Tag: news in bengali

news in bengali

  • PM Modi: জয়পুরে রোড শো মোদির, দোসর প্রজাতন্ত্র দিবসের অতিথি মাক্রঁ

    PM Modi: জয়পুরে রোড শো মোদির, দোসর প্রজাতন্ত্র দিবসের অতিথি মাক্রঁ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজস্থানের জয়পুরে রোড-শো করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ। দু’ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। মোদি ও মাক্রঁর যুগলবন্দি দেখতে রাস্তার দু’পাশে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। রোড-শোর পুরো রাস্তাটায় তাঁদের ওপর পুষ্পবৃষ্টি করে জনতা।

    যন্তর-মন্তরে মাক্রঁ

    রোড-শোর পরে দুই রাষ্ট্রপ্রধান চলে যান হওয়া মহল দর্শন করতে। ১৭৯৯ সালে তৈরি হয় এই মহল। জয়পুরের রয়্যাল সিটি প্যালেসেই রয়েছে এই মহল। এখানে বসেই বায়ুসেবন করতেন রাজ পরিবারের সদস্যরা। রোড শো শুরুর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট চলে আসেন জয়পুরের যন্তর-মন্তরে। সেখানে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। দু’জনেই দু’জনকে শুভেচ্ছাও জানান। তার পরেই তাঁরা চলে যান যন্তর-মন্তর দর্শনে। ২০১০ সালের জুলাই মাসে যন্তর-মন্তরকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে ইউনেসকো। যন্তর-মন্তর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মহারাজ সাওয়াই জয় সিংহ। এটি একটি বিখ্যাত সোলার অবজার্ভেটরি।

    অম্বর দুর্গে মাক্রঁ

    জয়পুরের অম্বর দুর্গ আগেই দেখেছিলেন মাক্রঁ।  সেখানে উপস্থিত স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গেও আলাপ করেন তিনি। অম্বর দুর্গেই তিনি সাক্ষাৎ করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। রাজস্থানের উপ মুখ্যমন্ত্রী দিয়া কুমারীও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ছবি তুলতে দিয়া কুমারী ও জয়শঙ্করের সঙ্গে পোজও দেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। পায়ে হেঁটে পুরো রাজপ্রাসাদটি ঘুরে দেখেন মাক্রঁ। জানেন দুর্গের ইতিহাস। রাজস্থানী পেন্টিং এবং শিল্পকীর্তিরও প্রশংসা করেন মাক্রঁ। অম্বর দুর্গ যাঁরা তৈরি করেছিলেন, সেই সব শিল্পীদেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি এবার মাক্রঁ। শুক্রবার নয়াদিল্লির অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। প্রসঙ্গত, ফ্রান্সই একমাত্র দেশ, যেখান থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে এসেছেন সে দেশের ৫ জন রাষ্ট্রপ্রধান। যদিও এসেছেন ছ বার (একজন প্রেসিডেন্ট এসেছিলেন দু’ বার)। গত বছর ১৪ জুলাই বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত বছরই ঠিক হয়, প্রজাতন্ত্র দিবসেব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে। সেই মতো জানানো হয় আমন্ত্রণ। এ বছর ভারত-ফ্রান্স কৌশলগত অংশীদারিত্বের ২৫ বছর পূর্তি (PM Modi)।

      

    আরও পড়ুুন: মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Gangopadhyay: মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। দু’ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশও দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। ডিভিশন বেঞ্চের স্থগিতাদেশ কেন মানা হবে না, বৃহস্পতিবার পর্যবেক্ষণে তাও জানিয়েছেন তিনি।

    সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ

    মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতি মামলায় এদিন কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির নজিরবিহীন মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্যের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনার সূত্রপাত এদিন সকালে। মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। পরে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে করা সিবিআইয়ের এফআইআরও খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “মেমোররেন্ডাম আপিল বা সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের কপি ছাড়া কীভাবে ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিল? এর আগে এমন কোনও উদাহরণ বা এই হাইকোর্টের নিয়মে কি তা রয়েছে এমন কিছু দেখাতে পারবেন?”

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    তাঁর নিজের নির্দেশ বহাল রাখার পাশাপাশি আরও বলেন, “তাঁর এই নির্দেশের কপি কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছেও পাঠানো হবে।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানান, বিচারপতি সৌমেন সেন একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। তাই দেশের শীর্ষ আদালতের উচিত তাঁর সমস্ত নির্দেশ খারিজ করা। তাঁর মন্তব্য, “এই মামলায় রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকা ব্যক্তির মতো আচরণ করছেন বিচারপতি সেন। কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।”

    আরও পড়ুুন: মমতার নির্দেশকে বুড়ো আঙুল! অনুব্রত-কাজল অনুগামীদের সংঘর্ষ

    বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে কেন ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হবে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “কেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও দু’ বছর ধরে তাঁর বদলি হচ্ছে না? অন্য বিচারপতিদের তো বদলি হয়ে গিয়েছে। কে তাঁকে বাঁচাচ্ছে? আমি দেশের প্রধান বিচারপতিকে এটা দেখার জন্য অনুরোধ করব।” বিচারপতি (Justice Abhijit Gangopadhyay) গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এফআইআর খারিজের যে নির্দেশ বিচারপতি সেন দিয়েছেন, সেটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে দিয়েছেন। তাই সেটা বৈধ নয়। সিবিআইয়ের উচিত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Gallantry Awards: সাহসিকতার ২৭৭টি পুরস্কারে স্বাক্ষর রাষ্ট্রপতির, কারা পাচ্ছেন?

    Gallantry Awards: সাহসিকতার ২৭৭টি পুরস্কারে স্বাক্ষর রাষ্ট্রপতির, কারা পাচ্ছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবস। সাহসিকতার ২৭৭টি পুরস্কারে (Gallantry Awards) স্বাক্ষর করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। পুলিশ, দমকল, হোমগার্ড, সিভিল ডিফেন্স ও কারেকশনাল সার্ভিস মিলিয়ে মোট ১১৩২ জনকে সাহসিকতা এবং অন্যান্য সার্ভিস মেডেল দেওয়া হবে।

    তালিকায় কারা?

    সাহসিকতার জন্য যে ২৭৭ জনকে পুরস্কার দেওয়া হবে, এঁদের মধ্যে ১১৯ জন মোতায়েন ছিলেন মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায়, জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলে ছিলেন ১৩৩ জন। অন্যান্য অঞ্চলে ছিলেন ২৫ জন। ২৭৭ জনের মধ্যে বিরল সাহসিকতার (Gallantry Awards) জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাবেন দু’জন। বাকি ২৭৫ জন পাচ্ছেন সাহসিকতার পুরস্কার। যাঁরা সাহসিকতার মেডেল পাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিএসএফের দু’জনও। বিএসএফের ১৫তম কঙ্গো কনটিনজেন্টে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

    আরও পাবেন যাঁরা

    সাহসিকতার ২৭৭টি পুরস্কারের মধ্যে রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ৭২ জন কর্মীও। মহারাষ্ট্রের ১৮ জন পুলিশ কর্মী, ছত্তিশগড়ের ২৬ জন, ঝাড়খণ্ডের ২৩ জন, ওড়িশার ১৫ জন, দিল্লির ৮ জন, সিআরপিএফের ৬৫ জন, এসএসবির ১৫ জন পুলিশ কর্মীও রয়েছেন এই তালিকায়। বাকি পুরস্কার প্রাপকরা অন্যান্য রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং সিএপিএফের।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ছেড়ে কেন হঠাৎ দিল্লি উড়ে গেলেন রাহুল, কী কারণ?

    আগে সাহসিকতার (Gallantry Awards) জন্য পুরস্কার দেওয়া হত ১৬টি বিভাগে। সেগুলিকে মিশিয়ে এখন চারটি বিভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল, প্রেসিডেন্টস মেডেল ফর গ্যালান্ট্রি, মেডেল ফর গ্যালান্ট্রি, প্রেসিডেন্টস মেডেল ফর ডিস্টিংগুইশড সার্ভিস এবং মেডেল ফর মেরিটোরিয়াস সার্ভিস। এই কাঠামোয় এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে পুরস্কৃত করা হবে ১১৩২ জনকে। প্রেসিডেন্টস মেডেল ফর ডিস্টিংগুইশড সার্ভিস পুরস্কার দেওয়ার হয় বিশেষ কোনও ডিস্টিংগুইশড রেকর্ড সার্ভিসের জন্য। মেডেল ফর মেরিটোরিয়াস সার্ভিস পুরস্কার দেওয়া হয় মূল্যবান কোনও সার্ভিস যাতে রিসোর্স এবং কর্তব্যের প্রতি ডিভোশন রয়েছে।

    প্রেসিডেন্টস মেডেল ফর ডিস্টিংগুইশড সার্ভিস বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হবে ১০২টি। পুলিশ সার্ভিসে দেওয়া হবে ৯৪টি পুরস্কার। দমকলে দেওয়া হবে ৪টি। সিভিল ডিফেন্স ও হোমগার্ড সার্ভিসে দেওয়া হবে ৪টি পুরস্কার। মেরিটোরিয়াস সার্ভিসে ৭৫৩টি পুরস্কারের মধ্যে ৬৬৭টি দেওয়া হবে পুলিশ সার্ভিসে, দমকলে ৩২টি, সিভিল ডিফেন্স ও হোমগার্ড বিভাগে ২৭টি এবং কারেকশনাল সার্ভিসে ২৭টি পুরস্কার (Gallantry Awards) দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Bharat Jodo Nyay Yatra: ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ছেড়ে কেন হঠাৎ দিল্লি উড়ে গেলেন রাহুল, কী কারণ?

    Bharat Jodo Nyay Yatra: ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ছেড়ে কেন হঠাৎ দিল্লি উড়ে গেলেন রাহুল, কী কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় (Bharat Jodo Nyay Yatra) বেরিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার সেই যাত্রা পৌঁছেছিল কোচবিহারে। এখানে বক্সিরহাটে সংক্ষিপ্ত সভা ও জেলা সদরে রোড-শো করেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন রাহুল। তবে কেন তিনি হঠাৎ দিল্লি উড়ে গেলেন, সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। ঘটনাটি ঘিরে ক্রমেই চড়ছে জল্পনার পারদ। কংগ্রেসের একটি সূত্রে খবর, আগামী রবিবার ফের বাংলায় আসতে পারেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সেক্ষেত্রে পরিবর্তন হতে পারে যাত্রা পথের। রুট থেকে বাদ পড়তে পারে উত্তরবঙ্গের দুই জেলার অংশ বিশেষ।

    রাহুলকে স্বাগত কংগ্রেসের

    এদিন বক্সিরহাটে রাহুলকে স্বাগত জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, মহিলা কংগ্রেসের সদস্য পূজা রায়চৌধুরী, এআইসিসি সদস্য বিশ্বজিৎ সরকার সহ দলের (Bharat Jodo Nyay Yatra) অন্য নেতানেত্রীরা। বক্সিরহাটের পর রাহুলের যাওয়ার কথা ছিল তুফানগঞ্জে, প্রাতরাশ করতে। রাত্রিবাস করার কথা ছিল ফালাকাটায়। কিন্তু রাহুল ও তাঁর ‘ন্যায় যাত্রা’র সঙ্গীরা বক্সিরগঞ্জ থেকে ফেরেন কোচবিহার শহরে। শহর ও লাগোয়া এলাকার রেলগুমটি, মা ভবানী, সদর বাজার, রাজবাড়ি গেট, খাগড়াবাড়ি হয়ে রাজারহাট পর্যন্ত রোড-শো করেন রাহুল।

    ইন্ডিয়া জোট

    তিনি বলেন, “বিজেপি-আরএসএসের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছে। দেশজুড়ে অন্যায় হচ্ছে বলেই আমাদের এই ‘ন্যায় যাত্রা’।” দুপুর দুটো নাগাদ দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন সোনিয়া-তনয়। এআইসিসির সম্পাদক রণজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আগামী রবিবার সকাল ৮টায় আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় পূর্ব নির্ধারিত ক্যাম্প সাইটে আসবেন রাহুল। সেখান থেকে আবার যাত্রা শুরু করবেন তিনি।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভার ঢাকে কাঠি! কেন দেশের মানুষ মোদিকে পছন্দ করেন? নয়া থিম সং বিজেপির

    কী কারণে দিল্লি ফিরলেন রাহুল? কংগ্রেস সূত্রে খবর, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান রয়েছে শুক্রবার। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাহুল। পরের দিন দিল্লিতে রয়েছে একটি দলীয় অনুষ্ঠান। সেখানেও যোগ দেবেন তিনি। তাই তার পরের দিন আসবেন বাংলায়। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির অন্য একটি সূত্রে খবর, ফালাকাটার পরিকাঠামো রাহুলের রাত্রিবাসের উপযুক্ত নয় বলেই রাজ্য কংগ্রেস নেতাদের জানিয়েছিলেন রাহুলের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন যাঁরা, তাঁরা। তার পরেই প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয় (Bharat Jodo Nyay Yatra)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Pakistan Elections 2024: নওয়াজের সভায় জ্যান্ত বাঘ-সিংহ! কী বললেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী?

    Pakistan Elections 2024: নওয়াজের সভায় জ্যান্ত বাঘ-সিংহ! কী বললেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঝলক দেখলে মনে হবে বুঝি, সার্কাস চলছে। আসলে তা না। চলছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নির্বাচনী (Pakistan Elections 2024) প্রচার। খাঁচায় বন্দি বাঘ-সিংহ। বাঘের হালুম, সিংহের গর্জন ভয় ধরায় বুকে। সেসব উপেক্ষা করেই বাঘ-সিংহের সঙ্গে সেলফি তুলছে জনতা। সম্প্রতি এমনই ছবি ভাইরাল রয়েছে। ৪ বছরের বিদেশ-বাসের পর পাততাড়ি গুটিয়ে পাকিস্তানে ফিরেছেন নওয়াজ। নেমে পড়েছেন নির্বাচনী ময়দানে। ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখে ভোট হওয়ার কথা সে দেশে। জনতার মন পেতে তাই কোমর কষে নেমে পড়েছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা।

    নওয়াজের সভা

    মঙ্গলবার লাহোরের এক নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়েছিলেন নওয়াজ (Pakistan Elections 2024)। সেখানেই জ্যান্ত বাঘ-সিংহ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তাঁর সমর্থকরা। বিষয়টি জানতে পেরে সেগুলিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে এনএ-১৩০ আসনে প্রার্থী হয়েছেন নওয়াজ। তাঁর নির্বাচনী প্রতীক হওয়ায় বাঘ-সিংহ নিয়ে আসছেন সমর্থকরা। যদিও তিনি তাঁদের এসব করতে নিষেধ করেছেন বলে খবর। নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেন, “বাবা সমাবেশে সিংহ আনার খবর জানতে পারে। তাঁর নির্দেশে সিংহটি ফিরিয়ে আনা হয়।”

    ভোটে লড়তে পারবেন না ইমরান

    নওয়াজ প্রার্থী হতে পারলেও, ভোটে লড়তে পারবেন না পাকিস্তানের আর এক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়াতে হয়েছিল তাঁকে। তোষাখানা সহ একাধিক মামলায় নাম জড়ায় তাঁর। গ্রেফতারও হন। সম্প্রতি ছাড়া পেয়েছেন জামিনে। তবে নির্বাচনী ময়দানে দেখা যাবে না তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘কেন ইম্পিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হবে না?’’ বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    নওয়াজ জানান, তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে সমস্যায় পড়েছে পাকিস্তান। চার বছর লন্ডনে কাটিয়ে গত বছরের শেষের দিকে পাকিস্তানে ফেরেন নওয়াজ। জমা দেন মনোনয়ন। তাঁর প্রার্থিপদ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনও সদস্য আপত্তি না জানানোয় নির্বাচনে লড়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয় তাঁকে। নওয়াজ নির্বাচনে লড়ার ছাড়পত্র পাওয়ায় বেজায় চটেছে ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। তাদের দাবি, পরিকল্পনামাফিক নওয়াজকে ভোটে লড়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, আয় বহির্ভূত সম্পত্তি রাখার অভিযোগ উঠেছিল নওয়াজের বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে তাঁর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল পাকিস্তানের (Pakistan Elections 2024) সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Justice Abhijit Ganguly: ‘‘কেন ইম্পিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হবে না?’’ বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Ganguly: ‘‘কেন ইম্পিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হবে না?’’ বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি দুর্নীতি মামলাকে ঘিরে তুলকালাম দুই বিচারপতির মধ্যে। এই মামলায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশর ওপর গতকাল মৌখিকভাবে স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার এই মামলা নিয়ে শুনানির সময় এজলাসেই বিচারপতি সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, বড়দিনের ছুটির আগে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে নিজের চেম্বারে ডেকেছিলেন বিচারপতি সৌমেন সেন। সেখানে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে ডেকে রাজনৈতিক নেতার মত নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রথমে বলেছিলেন, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের একটা রাজনৈতিক ভবিষ্যত আছে, তাকে বিরক্ত করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, বিচারপতির অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করতে হবে। তৃতীয়ত, প্রাথমিকের দুটি মামলা খারিজ করতে হবে বিচারপতি সিনহাকে। 

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তিনি ওই ‘তথ্য’ জেনেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের কাছ থেকেই। বলেন, ‘‘আমি বিচারপতি সিনহার কাছ থেকে এটা জানতে পেরেছি।’’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যোগ করেন, বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে যা যা বলেছেন বিচারপতি সৌমেন সেন, সেই গোটা বিষয়টা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে জানান বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রধান বিচারপতি আবার তা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছেন।

    ‘‘অন্য কেউ গেলে এটা করবেন তো?’’

    মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি দুর্নীতি মামলায় নিজের নির্দেশনামায় বিচারপতি সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মতে, ‘‘বিচারপতির সৌমেন সেন স্পষ্টতই একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। তাই সুপ্রিম কোর্টের উচিত তাঁর (বিচারপতি সেনের) সমস্ত নির্দেশ খারিজ করা। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশনামা এবং আবেদনপত্রের কপি ছাড়াই সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিচ্ছেন বিচারপতি সেন। অন্য কেউ গেলে এটা করবেন তো? ভুল বার্তা পাঠাচ্ছেন বিচারপতি সেন।’’

    ‘‘কেন দু’বছর ধরে তাঁর বদলি হচ্ছে না?’’

    এখানেই থেমে থাকেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশনামায় তিনি এও উল্লেখ করেন, ‘‘এই মামলায় রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকা ব্যক্তির মত আচরণ করছেন বিচারপতি সেন। কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বিচারপতি সেন।’’ একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কেন তাঁর বিরুদ্ধে ইম্পিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হবে না? কেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও দু’বছর ধরে তাঁর বদলি হচ্ছে না? অন্য বিচারপতিদের তো হয়ে গিয়েছে। কে তাঁকে (বিচারপতি সেন) বাঁচাচ্ছে?’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আমি দেশের প্রধান বিচারপতিকে এটা দেখার জন্য অনুরোধ করব।’’

    ‘‘এফআইআর খারিজের নির্দেশ বৈধ নয়’’

    এদিন সকালে, সিবিআইয়ের এফআইআর খারিজ করার নির্দেশ দেয় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। এই প্রতিক্রিয়ায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নির্দেশনামায় জানান, এফআইআর খারিজের যে নির্দেশ বিচারপতি সেন দিয়েছেন সেটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে দিয়েছেন, ফলে সেটা বৈধ নয়। সিবিআইয়ের উচিত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সিবিআইকে ২ মাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন যে এই নির্দেশের কপি অবিলম্বে কলকাতা হাইকোর্ট এবং দেশের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Case: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা তৃণমূলের দেবরাজ-বাপ্পাদিত্যের

    Recruitment Case: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা তৃণমূলের দেবরাজ-বাপ্পাদিত্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) পেয়েছিলেন সিবিআইয়ের সমন। সেই মতো আজ, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে হাজির হলেন তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী। তিনি বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি কীর্তন শিল্পী তথা তৃণমূল বিধায়িকা অদিতি মুন্সীর স্বামী। দেবরাজের পাশাপাশি তলব করা হয়েছিল তৃণমূলের আর এক নেতা কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকেও। হাজিরা দিয়েছেন তিনিও। দুই তৃণমূল নেতাকেই এদিন কলকাতার সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    সিবিআই দফতরে দেবরাজ-বাপ্পাদিত্য

    নভেম্বর মাসে দেবরাজের বাড়িতে (Recruitment Case) তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তাঁর স্ত্রী বিধায়িকা-কীর্তনশিল্পী অদিতির গানের স্কুলেও তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার হয় টেটের কয়েকটি মার্কশিট ও বদলির আবেদনপত্র। বাপ্পাদিত্যের বাড়িতেও মিলেছিল নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। সিবিআই সূত্রে খবর, দেবরাজ ও বাপ্পাদিত্যের ঠিকানায় চালানো তল্লাশিতে যেসব নথি উদ্ধার হয়েছিল, সেগুলি বিশ্লেষণ করার পরেই তলব করা হয়েছে তৃণমূলের এই দুই নেতাকে। এই নথি ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁদের। দেবরাজ বলেন, “বুধবার নোটিশ দিয়ে বৃহস্পতিবার ডাকা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টাও সময় দেওয়া হয়নি। তবে আমি তদন্তে সহযোগিতা করব।”

    নিয়োগের এজেন্ট ছিলেন এই তৃণমূল নেতারা!

    সিবিআই সূত্রে খবর, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে নাম রয়েছে দেবরাজ ও বাপ্পাদিত্যের। রিপোর্টে এঁদের নিয়োগ কেলেঙ্কারির এজেন্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এজেন্ট হিসেবে নাম রয়েছে মহিদুল আনসারি, জফিকুল ইসলাম, সজল কর ও সৌরভ ঘোষের। তৃণমূলে দেবরাজের উত্থান রকেটের গতিতে। এক সময় কংগ্রেস করতেন। পরে প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের পূর্ণেন্দু বসুর আপ্ত সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন। পূর্ণেন্দুর সুপারিশে বিধাননগর পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি। পরে মেয়র পারিষদের সদস্য করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভারতই মিত্র দেশ’’, যৌথ বিবৃতি জারি মলদ্বীপের দুই প্রধান দলের

    বাপ্পাদিত্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। পার্থ যে সংস্থায় চাকরি করতেন, সেখানেই কাজ করতেন বাপ্পাদিত্যও। পার্থর হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছিলেন তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও বাপ্পাদিত্যের সঙ্গে পার্থর আর্থিক লেনদেনের সম্পর্কও ছিল (Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Maldives: ‘‘ভারতই মিত্র দেশ’’, যৌথ বিবৃতি জারি মলদ্বীপের দুই প্রধান দলের

    Maldives: ‘‘ভারতই মিত্র দেশ’’, যৌথ বিবৃতি জারি মলদ্বীপের দুই প্রধান দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে ভারত ছিল তাদের ‘‘পরম মিত্র’’ দেশ। চিনপন্থী নেতা মহম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর তলানিতে ঠেকে ভারত-মলদ্বীপ (Maldives) সম্পর্ক। পুরানো বন্ধু-দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এবার সুর চড়াল দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল মলদ্বিভিয়ান ডেমক্রেটিক পার্টি ও ডেমোক্র্যাটস। যৌথ বিবৃতিতে এই দুই বিরোধী দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত মলদ্বীপের দীর্ঘদিনের পরম মিত্র।

    পরম মিত্র ভারত

    ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্ক আক্ষরিক অর্থেই ছিল পরম মিত্রের মতো। গত নির্বাচনে মলদ্বীপের ক্ষমতায় আসে মুইজ্জু সরকার। তার পর থেকেই চড়তে থাকে মলদ্বীপ-চিনের সখ্যের পারা। প্রত্যাশিতভাবেই আলগা হতে থাকে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের বাঁধন। এই বাঁধন ছিন্ন হয়ে যায় সম্প্রতি একটি ঘটনাকে ঘিরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেন মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে সাসপেন্ড করা হয় ওই মন্ত্রীদের। তার পরেও অবশ্য উন্নতি হয়নি নয়াদিল্লি-মালের সম্পর্কের।

    চিনা চর জাহাজকে স্বাগত

    সম্পর্কের এই আবহে ঘৃতাহুতি দেয় চিনা চর জাহাজকে মুইজ্জু সরকারের (Maldives) স্বাগত জানানোকে কেন্দ্র করে। ভারত মহাসাগরে নোঙর করবে জাহাজটি। এরই কিছুদিন আগে চিন সফরে গিয়ে বেজিংকে বন্ধু বলে ঘোষণা করেছিলেন মুইজ্জু স্বয়ং। চিনপন্থী মুইজ্জু সরকারের ভারত-বিরোধী এহেন অবস্থান মেনে নেয়নি মলদ্বীপের বিরোধী দলগুলি। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ভারতকেই পুরানো বন্ধু বলে উল্লেখ করে যৌথ বিবৃতি দেয়। মুইজ্জু সরকার চিনা গুপ্তচর জাহাজকে স্বাগত জানানোয়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওই দুই রাজনৈতিক দল।

    আরও পড়ুুন: বকেয়া ডিএ, চলছে আমরণ অনশন, রাজ্যপালকে হস্তক্ষেপের আর্জি শুভেন্দুর

    দ্বীপরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের একটি প্রথা ছিল, যিনি প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হবেন, তিনি প্রথমে সফর করবেন পরম মিত্র দেশ ভারতে। সেই প্রথা ভেঙে মুইজ্জু সফর করেন তুরস্কে। এনিয়েও ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান প্রশাসন ভারত-বিরোধী অবস্থান নিচ্ছে। তবে এমডিপি এবং দ্য ডেমোক্র্যাটস বিশ্বাস করে, দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নতিতে দীর্ঘ পুরানো মিত্র দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে। নয়াদিল্লি-মালে সম্পর্কের উন্নতিতে এদিন বারংবার জোর দিয়েছেন এমডিপির চেয়ারপার্সন ফৈয়জ ইসমাইল, পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার আহমেদ সালিম, ডেমক্র্যাটস পার্টির প্রেসিডেন্ট হাসান লতিফ এবং পার্লামেন্টারি গ্রুপ লিডার আলি আজিম (Maldives)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Republic Day 2024: ফোকাস নারী ক্ষমতায়ন, ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ঘটবে অনেক ‘প্রথম’

    Republic Day 2024: ফোকাস নারী ক্ষমতায়ন, ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ঘটবে অনেক ‘প্রথম’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐতিহাসিক হতে চলেছে ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2024) কুচকাওয়াজ। ঐতিহাসিক এই কারণে যে, এবছর কুচকাওয়াজে অনেক কিছু প্রথমবার ঘটতে চলেছে। দেশবাসী এমন কিছু প্রত্যক্ষ করতে চলেছেন এবছর দিল্লির কুচকাওয়াজে, যা আগে কখনও কেউ দেখেননি।

    মূল ফোকাস হল নারী ক্ষমতায়ন

    এবছর ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2024) মূল ফোকাস হল নারী ক্ষমতায়ন। তবে, এ বছর দিল্লির কর্তব্য পথের কুচকাওয়াজে মহিলা অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে মহিলা সশক্তিকরণের (Women Empowerment) প্রদর্শন— অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে। সর্বত্র নারী ক্ষমতায়নকেই তুলে ধরা হবে। সে কথাই জানালেন ভারতীয় সেনার মেজর জেনারেল সুমিত মেহতা। তিনি বলেন, ‘‘এবছরের কুচকাওয়াজ নারী-কেন্দ্রিক। থিম হল— ‘বিকশিত ভারত’ এবং ‘গণতন্ত্রের পীঠস্থান ভারত’।’’ 

    ইতিহাস হতে চলেছে কুচকাওয়াজে

    তিনি জানান, ইতিহাস ঘটতে চলেছে এবারের কুচকাওয়াজে। প্রথমবার, মহিলাদের একটি ট্রাই-সার্ভিস কন্টিনজেন্ট কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করতে চলেছে। অর্থাৎ, সামরিক বাহিনীর তিন বাহু— স্থল, নৌ ও বায়ুসেনার সম্মিলিত ১৪৮ জন মহিলা অফিসার ও জওয়ানকে নিয়ে তৈরি ওই কন্টিনজেন্ট কর্তব্যপথ দিয়ে মার্চ-পাস্ট করবে। কন্টিনজেন্টের নেতৃত্বে থাকবেন মিলিটারি পুলিশের ক্যাপ্টেন সন্ধ্যা। এই মার্চ-পাস্টের মধ্য দিয়ে নারী ক্ষমতায়নকে (Women Empowerment) তুলে ধরা হবে। এবছর কর্তব্য পথের মার্চ-পাস্টে দেখা যাবে ‘অগ্নি-কন্যা’-দেরও। তিন বাহিনীতে নিযুক্ত ‘অগ্নি-কন্যা’-রা সমন্বয়ে প্যারেডে অংশ নেবেন।

    সেনা ক্যাপ্টেন সন্ধ্যা। ছবি-সংগৃহীত।

    মেকানাইজড কলামের নেতৃত্বে মহিলা

    শুধু এই একটিই প্রথম নয়। এবারের কুচকাওয়াজে (Republic Day 2024) প্রথমবার সেনার আর্টিলারি রেজিমেন্টের মহিলা অফিসাররা মেকানাইজড কলামে চেপে কর্তব্য পথ ধরে এগিয়ে যাবেন। মেকানাইজড কলাম সাধারণত দেশীয় সামরাস্ত্র বিশ্বের সামনে মেলে ধরার একটি পন্থা। আর্টিলারির দুটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার— পিনাকা মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার ও স্বাতী ক্ষেপণাস্ত্র অনুসন্থানকারী রেডার— এই দুটিতেই ৪ মহিলা অফিসার নেতৃত্বে থাকবেন। 

    সেনার মেকানাইজড রেজিমেন্টের মহিলা অফিসাররা। ছবি-সংগৃহীত।

    এর পাশাপাশি, আরও চার মেকানাইজড কলাম— দেশীয় ড্রোন জ্যামিং সিস্টেম, অত্যাধুনিক রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি মনিটরিং সিস্টেম, কোর অফ ইঞ্জিনিয়ার্সদের সর্বত্র ব্রিজিং সিস্টেম এবং মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের নেতৃত্বেও থাকবেন মহিলা অফিসাররা। ফলত, এর মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়েনের (Women Empowerment) আরেকটি উদাহরণ তুলে ধরার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারত-এর নীতিও প্রস্ফুটিত হবে। গত বছরের এপ্রিল ও সেপ্টেম্বর মাসে আর্টি-রেজিমেন্টে মহিলা অফিসারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই রেজিমেন্টে ১০ মহিলা অফিসার রয়েছেন।

    আধা-সামরিক বাহিনীর মহিলা ব্রিগেডের মার্চ-পাস্ট

    শুধু সামরিক নয়, দেশের আধা-সামরিক বাহিনীও মহিলা ক্ষমতায়েনে সামিল হবে। এবছর প্রথম বিএসএফ, সিআরপিএফ সহ দেশের বিভিন্ন আধা-সামরিক বাহিনীর মহিলা ব্রিগেডের মার্চ-পাস্ট প্রত্যক্ষ করবেন মানুষ। দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ক্ষেত্রে অন্যতম সফল সংস্থা হচ্ছে ডিআরডিও। এই সংস্থার ট্যাবলোর ফোকাস হতে চলেছে নারী ক্ষমতায়েন। ডিআরডিও-র ট্যাবলোকে নেতৃত্ব দেবেন অন্যতম প্রতিথযশা বিজ্ঞানী সুনীতা দেবী জেনা। তিনি হবেন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার। ট্যাবলোয় থাকবে— ম্যান-পোর্টবল ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী গাইডেড মিসাইল, অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল, অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র, ভূমি-থেকে-ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র, ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, নেভাল শর্ট রেঞ্জ অ্যান্টি-শিপ মিসাইল, হেলিনা ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী মিসাইল, ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, তেজস বিমান, উত্তর রেডার, শক্তি ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম সহ সাইবার সিকিউরিটি ও কমান্ড-কন্ট্রোল সিস্টেম।

    রাজ্যের ট্যাবলোতেও ফোকাস নারী ক্ষমতায়ন

    শুধু দেশের সামরিক বাহিনীতে নয়, অসামরিক ক্ষেত্রেও নারী ক্ষমতায়নের (Women Empowerment) উদাহরণ প্রথমবার বৃহৎ আকারে মেলে ধরা হবে এবছরের কুচকাওয়াজে (Republic Day 2024)। যে কারণে, বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলোতে মহিলা সশক্তিকরণের ছাপ স্পষ্ট থাকবে। মণিপুরের ট্যাবলোয়ে দেখা যাবে পদ্মের ডাঁটি থেকে চরকায় সুতো তৈরি করছেন মহিলারা। মধ্যপ্রদেশ তুলে ধরবে দেশের প্রথম মহিলা ফাইটার পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদীকে। রাজস্থান তুলে ধরবে সেরাজ্যের মহিলাদের হস্তশিল্প। আবার হরিয়ানার ট্যাবলোয় দেখা যাবে মহিলারা কেমন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সুবিধা নিচ্ছেন।

    নতুন প্রজন্মের সাঁজোয়া গাড়ির প্রদর্শন

    এখানেই শেষ নয়। আরও ‘প্রথমে’র চমক আছে ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2024) কুচকাওয়াজে। এবছর আত্মনির্ভর ভারতকে মাথায় রেখে দেশে তৈরি একাধিক আধুনিক ও নতুন ঘরানার স্থলযুদ্ধজান ও সাঁজোয়া গাড়ি ২৬ তারিখ প্রদর্শিত হবে কর্তব্য পথে। এই তালিকায় রয়েছে— নতুন প্রজন্মের টেরেইন ভেহিকল, লাইট স্পেশালিস্ট ভেহিকল, স্পেশাল মোবিলিটি ভেহিকল এবং ক্যুইক রিয়্যাকশন ভেহিকল এবং ভেহিকল-মাউন্টেড ইন্ডিয়ান মর্টার সিস্টেম। এই সবকিছুই প্রথমবার প্রদর্শিত হতে চলেছে প্রজাতন্ত্র দিবসে। 

    কুচকাওয়াজে ১৫টি বিমানের চালক মহিলা

    এছাড়া, আত্মনির্ভর ভারতের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে দেশীয় নাগ মিসাইল সিস্টেম, বিএমপি-২ সাঁজোয়া গাড়ির পাশাপাশি সেনার অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ধ্রুব-রুদ্র এবং লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার প্রচণ্ড— এই দুটিই কর্তব্য পথের ওপর দিয়ে উড়ে যাবে। সেনার পাশাপাশি, বায়ুসেনাও জোরকদমে অংশ নিচ্ছে এবারের কুচকাওয়াজে। জানা গিয়েছে, তেজস, রাফাল, সুখোই-৩০ সহ বায়ুসেনার ২৯টি যুদ্ধবিমান, ৭টি পণ্যবাহী বিমান, ৯টি হেলিকপ্টার এবং একটি হেরিটেজ বিমান এবারের কুচকাওয়াজে অংশ নেবে। এর মধ্যে ১৫টি বিমানের পাইলট হিসেবে থাকবেন মহিলা অফিসাররা। 

    ছাব্বিশের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা অফিসাররা। ছবি সংগৃহীত।

    ফরাসি ফ্লাই-বাইয়ের নেতৃত্বেও মহিলা

    এবারের কুচকাওয়াজের (Republic Day 2024) অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে ফরাসি বাহিনীর কুচকাওয়াজ ও ফরাসি বিমানবাহিনীর ফ্লাই-বাই। এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ। সেই প্রেক্ষিতে, এবারের কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছে ফরাসি বিশেষ বাহিনী ও বায়ুসেনা। জানা গিয়েছে, ৯৫ সদস্য বিশিষ্ট ফরাসি ফরেন লিজিয়ন (ফরাসি ভাষায় লেজিওঁ এত্রঁজ্যের ফ্রঁসেজ) কোরের একটি কনটিনজেন্ট ছাব্বিশের মার্চপাস্টে অংশ নেবে। এটি হল ফ্রান্সের অত্যন্ত সম্মানীয় ইউনিট। ওই দলে থাকবেন ৬ জন করে ভারতীয় ও নেপালি বংশোদ্ভূত জওয়ান। এছাড়া, এঁদের সঙ্গে হাঁটবেন ৩৫ জন ফরাসি সামরিক ব্যান্ডের সদস্যও। ঠিক সেই সময় মাথার ওপর দিয়ে ফ্লাই-বাই করবে ফরাসি বায়ুসেনার এয়ারবাস-৩৩০ মাল্টি রোল-ট্যাঙ্কার সাপোর্ট ও এক জোড়া রাফাল। ওই ফ্লাই-বাইয়ের নেতৃত্বে থাকবে ট্যাঙ্কারটি, যার পাইলট হচ্ছেন এক মহিলা (Women Empowerment)।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • International Day Of Education: আজ আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস, কেন পালন করা হয় দিনটি জানেন?

    International Day Of Education: আজ আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস, কেন পালন করা হয় দিনটি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৪ জানুয়ারি, বুধবার। আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস (International Day Of Education)। এ বছরের থিম, ‘শান্তি বজায় রাখার জন্য শিক্ষা’। গত ছ’ বছর ধরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস। তামাম বিশ্বের ২০০ কোটি মানুষ বাস করেন দাঙ্গা দীর্ণ এলাকায়। বিশেষত তাঁদের জন্যই এবার বেছে নেওয়া হয়েছে এই থিম।

    ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’

    দাঙ্গা কিংবা অন্য কোনও কারণে যেসব শিশু শিক্ষার পথ মাড়ায়নি কিংবা মাড়ানোর সুযোগ পায়নি, তাদের জন্য কাজ করে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’। কত শিশু তাদের নিজেদের পরিচয় জানে না। কত শিশুর নেই স্থায়ী ঠিকানা। এই সব শিশুরাও বঞ্চিত শিক্ষার অমৃতমধুর স্বাদ থেকে। সারা বিশ্বেই শিক্ষার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। শিক্ষাকে যাতে প্রত্যেকে কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার চেষ্টা করা উচিত আমাদের সবারই। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষা (International Day Of Education) একটি টুল, যার সাহায্যে পৃথিবীর অনেক সমস্যারই সমাধান করা যায়। দূর করা যায় দারিদ্র, অসাম্যের মতো জ্বলন্ত সমস্যাও। শিক্ষার গুরুত্ব বোঝাতেই ফি বছর বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস।

    আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস

    শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে ২৪ জানুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ। শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করেছিল যে ৫৯টি দেশ, তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কেবল শিক্ষার জন্য আস্ত একটা দিন বেছে নেয় রাষ্ট্রসংঘ। তার পরেই ২৪ জানুয়ারিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস হিসেবে পালনের কথা ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ। তার পর থেকে গোটা বিশ্বেই পালিত হচ্ছে দিনটি। এদিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবসের চলতি বছরের থিমের ওপর হচ্ছে আলোচনা। নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরেও বসেছে আলোচনা সভা। আলোচনার বিষয়বস্তু, ‘নিজের, অন্যের এবং এই গ্রহের ওপর খেয়াল রাখার জন্যই শিক্ষা’।

    আরও পড়ুুন: ২৫ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশ থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করছেন মোদি

    কেন বেছে নেওয়া হল ‘শান্তি বজায় রাখার জন্য শিক্ষা’র মতো থিম? জানা গিয়েছে, বর্তমান বিশ্ব জর্জরিত নানা দ্বন্দ্বে, বৈষম্য-ঘৃণা ভাষণে। এই দ্বন্দ্ব-বৈষম্য-ঘৃণা ভাষণ দূর করতে প্রয়োজন শিক্ষার। একমাত্র শিক্ষাই দেখাতে পারে স্থায়ী শান্তির পথ। সেই কারণেই বেছে নেওয়া হয়েছে এমন একটি থিম (International Day Of Education)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

LinkedIn
Share