Tag: news in bengali

news in bengali

  • Maldives: চিনা চর জাহাজকে স্বাগত জানাল মলদ্বীপ, ভারতকে চাপে রাখার কৌশল বেজিংয়ের!

    Maldives: চিনা চর জাহাজকে স্বাগত জানাল মলদ্বীপ, ভারতকে চাপে রাখার কৌশল বেজিংয়ের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারতকে চাপে রাখার কৌশল চিনের! এবার অবশ্য শ্রীলঙ্কা নয়, চিনা গুপ্তচর জাহাজ ঘাঁটি গাড়তে চলছে নয়া বন্ধু মলদ্বীপের (Maldives) রাজধানী মালেতে। ‘শিয়াং ইয়াং হং ৩’ নামের ওই গুপ্তচর জাহাজটি ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগর থেকে মলাক্কা প্রণালী পেরিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জের মধ্যবর্তী সুন্দা প্রণালীতে পৌঁছে গিয়েছে।

    ভারত মহাসাগরে আসছে চিনা চর জাহাজ

    ৮ ফেব্রুয়ারি সেটি মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে পৌঁছবে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। তবে চিনা চর জাহাজটি যে সামরিক উদ্দেশ্যে ভারত মহাসাগরে নোঙর করতে চলেছে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে মলদ্বীপের চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু সরকারের তরফে। দ্বীপরাষ্ট্রের তরফে জানানো হয়েছে, চিনা গুপ্তচর জাহাজটি মলদ্বীপের জলভাগে কোনও গবেষণা করবে না। এর আগে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে ঘাঁটি গেড়েছিল চিনা চর জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’। এ নিয়ে ভারত-শ্রীলঙ্কা মন কষাকষি হয়। তার পরেই চিনা গুপ্তচর জাহাজটিকে বন্দর ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। ‘শিয়াং ইয়াং হং ৩’-ও হাম্বানটোটায় নোঙর করতে চেয়েছিল।

    শ্রীলঙ্কায়ও নোঙর করেছিল চিনা গুপ্তচর

    শ্রীলঙ্কার আপত্তিতে (Maldives) জাহাজটি ভিড়তে পারেনি হাম্বানটোটা বন্দরে। তবে ‘হাই ইয়াং ২৪ হাও’ এবং ‘শি ইয়ান ৬’ চিনের এই দুটি গুপ্তচর জাহাজ নোঙর করেছিল হাম্বানটোটায়। পরবর্তীকালে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনা গুপ্তচর জাহাজকে সে দেশের বন্দরে পা রাখতে দেয়নি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের সরকার। মলদ্বীপের প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই জাহাজটি এলে মলদ্বীপের সঙ্গে তার সঙ্গী দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হবে। বন্ধু দেশ থেকে আসা জাহাজকে স্বাগত জানানোটা এ দেশের শতাব্দী-প্রাচীন একটি ঐতিহ্য।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির সেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির হানা, শাহজাহান কোথায়?

    দীর্ঘদিন ধরে ভারত ছিল মলদ্বীপের পরম মিত্র দেশ। গত নির্বাচনে দেশের রশি যায় চিনপন্থী মুইজ্জুর হাতে। তার পর থেকে তিনি একের পর এক ভারত-বিরোধী পদক্ষেপ করছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে শেষমেশ সাসপেন্ড করা হয় ওই তিনজনকে। তাতে অবশ্য উন্নতি হয়নি নয়াদিল্লি-মালে (Maldives) সম্পর্কের। কারণ সেই চিনপন্থী মুইজ্জু। তাঁর এই চিন-প্রেমে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ভারত। এহেন আবহে চিনা চর জাহাজকে স্বাগত জানাল মুইজ্জু সরকার (Maldives)। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে চাপে রাখতে মলদ্বীপকে দিয়ে চর জাহাজকে স্বাগত জানানোর কৌশল আসলে বেজিংয়েরই ব্রেন চাইল্ড।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Mohan Bhagwat: ২ দিনের সফরে ফের বঙ্গে এলেন মোহন ভাগবত, রয়েছে কী কী কর্মসূচি?

    Mohan Bhagwat: ২ দিনের সফরে ফের বঙ্গে এলেন মোহন ভাগবত, রয়েছে কী কী কর্মসূচি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ দিনের কর্মসূচি নিয়ে ফের বঙ্গ সফরে এলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সোমবার, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অংশ নিয়েছিলেন সরসঙ্ঘচালক। গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পুজোয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। সেখান থেকেই সরাসরি রাতের বিমান ধরে কলকাতায় আসেন সঙ্ঘ প্রধান। জানা গিয়েছে, ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবেন তিনি।

    ২ দিনের সফরে কলকাতায় মোহন ভাগবত

    সোমবার রাতে কলকাতায় আসেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। রাত্রিবাস করেন কেশব ভবনে। জানা গিয়েছে, আজ ও আগামিকাল— বঙ্গে তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। যদিও, সূত্রের খবর, তাঁর এই সফর সাংগঠনিক নয়, ব্যক্তিগত। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার, উত্তর কলকাতায় শোভাবাজার এলাকায় এক সঙ্ঘকর্তার (RSS) মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। এর পাশাপাশি, এদিনই বারাসাতে ‘নেতাজি লহ প্রণাম’ সংক্রান্ত একটি কর্মসূচিতে তিনি যোগ দেবেন। এদিন তিনি কলকাতায় সঙ্ঘের দফতর কেশব ভবনে থাকবেন। আগামিকাল তিনি ফিরে যাবেন।

    ২ মাসে ২ বার রাজ্যে এলেন মোহন ভাগবত

    ২ মাসে ২ বার রাজ্যে এলেন আরএসএস (RSS) প্রধান। এর আগে, ডিসেম্বরের গোড়ায় তিনি এসেছিলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সেবার তিনি দেখা করেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের সঙ্গে। এছাড়া, প্রবীণ অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান তিনি। সেখান থেকে বিশিষ্ট তবলা বাদক বিক্রম ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী জয়া শীলের বাড়িতে যান। শেষে বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের বাড়িতেও গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্ঘ প্রধানের বঙ্গ সফর নিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, উনি বছরে বেশ কয়েকবারই এ রাজ্যে আসেন। আরএসএসের কাজের কিছু ধরন রয়েছে। প্রচারে আসে না বলে অনেকে তা জানতে পারেন না।

    রাম মন্দিরের অনুষ্ঠানে কী বলেছেন ভাগবত?

    সোমবার, রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে সরসঙ্ঘচালক (RSS) বলেন, “আজ ৫০০ বছর পরে, রামলালা এখানে ফিরে এসেছেন এবং তাঁর প্রচেষ্টার ফলে আমরা আজ এই সোনালী দিন দেখতে পাচ্ছি, আমরা তাঁকে আমাদের অশেষ শ্রদ্ধা জানাই। এই যুগের ইতিহাসে এতই শক্তি আছে যে, যেই রামলালার গল্প শুনবে তাঁর সব দুঃখ-বেদনা মুছে যাবে।” ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, “আজকের অনুষ্ঠান এক নতুন ভারতের প্রতীক। যা সমগ্র বিশ্বকে সাহায্য করবে। সর্বত্র রাম আছেন জেনে আমাদের নিজেদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। একত্রে থাকাই ধর্মের যথার্থ অনুশীলন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রামলালাকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে ১১ দিনের ব্রত ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী

    Ram Mandir: রামলালাকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে ১১ দিনের ব্রত ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-শুভক্ষণে অযোধ্যার মন্দিরে (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠিত হলেন রামলালা। এই মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী রইল তামাম ভারত। পূর্ব নির্ধারিত সময়েই মন্দির প্রাঙ্গনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। অংশ নিলেন রামলালার বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে। রামলালার মূর্তিতে সোনার কাঠি দিয়ে কাজল পরিয়ে চক্ষুদান করলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিগ্রহকে দর্শন করান দর্পন। রামলালাকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে গর্ভগৃহ থেকে বেরিয়ে ১১ দিনের ব্রত ভাঙেন প্রধানমন্ত্রী।

    যজমান প্রধানমন্ত্রী

    প্রধান যজমান মোদি পরেছিলেন ঘিয়ে রংয়ের গরদের পাঞ্জাবী। ওপরে সাদা গলাবন্ধ। সঙ্গে সাদা ধুতি ও সোনালি পাড়ের সাদা উত্তরীয়। হাতে ছিল লাল বাঁধনি ওড়নি, রামলালার জন্য রুপোর ছাতা। প্রাণপ্রতিষ্ঠার মাহেন্দ্রক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর চোখের কোণে চিকচিক করতে দেখা গিয়েছে আনন্দাশ্রু। পুজো শেষে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করতেও দেখা যায় তাঁকে। প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান হয়েছে মৃগশিরা নক্ষত্রে। অনুষ্ঠান শেষে আবেগঘন কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, রামলালাকে (Ram Mandir) আর তাঁবুর নীচে দিন কাটাতে হবে না।

    শেষ হল সংযমব্রত

    যেহেতু প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং যজমান, তাই গত এগারো দিন ধরে সংযমব্রত পালন করছিলেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে সেকথা জানিয়েওছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ১২ জানুয়ারি তিনি লিখেছিলেন, “অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আর মাত্র এগারো দিন বাকি। আমি সৌভাগ্যবান যে আমিও এই অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে পারছি। ভগবান আমায় প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় ভারতের সমস্ত মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিয়েছেন। এ কথা মাথায় রেখে আমি আজ থেকে এগারো দিনের একটি বিশেষ আচার শুরু করছি। আমি সমস্ত মানুষের কাছে আশীর্বাদ চাইছি। এই মুহূ্র্তে আমি আমার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।”

    পরে এক ভিডিও-অডিও বার্তায় তিনি বলেছিলেন, “এর জন্য (মূর্তি প্রতিষ্ঠা) বিশদ নিয়ম রয়েছে। প্রাণপ্রতিষ্ঠার বেশ কয়েকদিন আগে থেকে সেগুলি অনুসরণ করতে হয়। আমি আজ থেকে প্রাণপ্রতিষ্ঠার (Ram Mandir) দিন পর্যন্ত শাস্ত্র নির্দেশিত সমস্ত নিয়ম ও তপস্যা কঠোরভাবে পালন করব।”

    আরও পড়ুুন: প্রতীক্ষার অবসান, রামলালা প্রতিষ্ঠিত হলেন জন্মভূমিতেই

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: প্রতীক্ষার অবসান, রামলালা প্রতিষ্ঠিত হলেন জন্মভূমিতেই

    Ram Mandir: প্রতীক্ষার অবসান, রামলালা প্রতিষ্ঠিত হলেন জন্মভূমিতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান। রামলালার মূর্তিতে হল প্রাণপ্রতিষ্ঠা। জন্মভূমি অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠিত হলেন রামলালা। বালক রামের এই মূর্তিটি বসানো হয়েছিল শুক্রবার। সোমবার শুভক্ষণে মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন প্রধান পুরোহিত। তার আগে পুজোর ডালা নিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেন পুষ্পাঞ্জলিও। বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় ফের এক প্রস্ত হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হয় মন্দিরের ওপর। ব্যাগগ্রাউন্ডে বাজছিল রাম গান। মন্দিরের অদূরে শিল্পীরা উদাত্ত কণ্ঠে গাইছিলেন রামগীতি। লোকমুখে ফিরছিল রামচরিত মানসের কলি। 

    প্রাণপ্রতিষ্ঠা

    প্রধানমন্ত্রী গর্ভগৃহে প্রবেশের পরেই খোলা হয় বিগ্রহের আবরণ। তার পরে হয় প্রাণপ্রতিষ্ঠা। রামলালাকে যে রুপোর মুকুট পরানো হবে, মন্দিরে সেটি নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। মন্দিরে (Ram Mandir) প্রবেশের সময় প্রধানমন্ত্রীকে তিলক পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। তার পরেই শুরু করেন পুজো। তাঁকে পুজোয় সাহায্য করেন প্রধান পুরোহিত। পুজো শুরুর আগে সংকল্প করানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে। পুজো শেষে তাঁর মাথায় ছিটানো হয় শান্তিজল।

    প্রধানমন্ত্রীর পুজো

    হাতে পদ্মফুল নিয়ে মন্ত্রপাঠ করে সেটি বিগ্রহের পায়ে অর্পণ করেন প্রধান যজমান প্রধানমন্ত্রী। প্রাণপ্রতিষ্ঠার যে পর্বে মন্দিরের গর্ভগৃহে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, সেখানে তখন উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। পুজোয় অংশ নেন তাঁরাও। বিগ্রহের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন প্রধানমন্ত্রী। করেন আরতিও। আরতির পবিত্র তাপও নিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। পরে হাতজোড় করে করেন প্রার্থনা।

    আরও পড়ুুন: রাম মন্দির উদ্বোধন স্মরণে শান্তিপুরের গির্জায়-মসজিদে জ্বলবে প্রদীপ

    রাম মন্দিরে (Ram Mandir) বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষে গত এগারো দিন ধরে কঠিন সংযমব্রত পালন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর পুজো শেষে ব্রত ভঙ্গ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে এক চামচ তরল খাইয়ে দেন ট্রাস্টের গোবিন্দদাস গিরি মহারাজ। এর পর সভাস্থলের দিকে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রামময় অযোধ্যা, মহোৎসবের অনুষ্ঠানে এলেন যজমান নরেন্দ্র মোদি

    Ram Mandir: রামময় অযোধ্যা, মহোৎসবের অনুষ্ঠানে এলেন যজমান নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু থেকে তিনি উড়ে এলেন অযোধ্যা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে তিনি এলেন রাম জন্মভূমি অযোধ্যায়। গত এগারো দিন ধরে কঠোর সংযমব্রত পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার রামলালার (Ram Mandir) প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে তিনিই মুখ্য যজমানের ভূমিকায়। সেই তিনিই এসে পৌঁছলেন অযোধ্যায় রাম মন্দিরে। প্রধানমন্ত্রী ঢুকতেই উদ্বেলিত জনতার জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে কেঁপে উঠল অযোধ্যার আকাশ। শোনা গেল, মোদি, মোদি স্লোগানও। পুলিশ ব্যান্ডেও বাজানো হতে থাকে ভক্তিগীতি। বেলা বারোটা বাজার কিছু আগে হেলিকপ্টার থেকে মন্দিরের ওপর পুষ্পবৃষ্টি করা হতে থাকে। 

    অযোধ্যায় চাঁদের হাট

    এদিন সকাল থেকেই অযোধ্যা কার্যত রামময়। চারদিকে লাউড স্পিকারে বাজছে রামগান। ভক্তদের মুখেও শোনা যাচ্ছে রামায়ন গান, রামচরিত মানসের ছন্দ। এহেন আবহে সাত সকালে অযোধ্যায় চলে এসেছেন অমিতাভ বচ্চন ও তাঁর ছেলে অভিষেক। কাকভোরে মন্দির প্রাঙ্গনে চলে আসেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তার কিছু পরে আসেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ এসে পৌঁছান অভিনেতা জ্যাকি শ্রফ। তার আগে চলে এসেছেন রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, মাধুরী দীক্ষিত, ভিকি কৌশল, ক্যাটরিনা কাইফ, আয়ুষ্মান খুরানা, চিরঞ্জীবী, রামচরণ, বিবেক ওবেরয়, মধুর ভাণ্ডারকর, রজনীকান্ত এবং সোনু নিগম প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তি। ভক্তিগীতি পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী অনুরাধা পাড়োয়াল। রামমন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেলার দিকে পৌঁছন শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী ও নীতা অম্বানি। পৌঁছন ব্যাডমিন্টন তারকা সাইনা নেহওয়ালও।

    আরও পড়ুুন: “এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নকে নিয়ে যাবে নয়া উচ্চতায়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে অনুষ্ঠান এড়ালেন যাঁরা 

    অযোধ্যার আকাশ রয়েছে ঝলমলে। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকলেও, বেলার দিকে তা কেটে যায়। অযোধ্যায় এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অযোধ্যার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েও উপস্থিত হননি কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, অধীর চৌধুরী, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bilkis Bano: বিলকিস বানো মামলায় গুজরাট জেলে আত্মসমর্পণ ১১ দণ্ডিতেরই

    Bilkis Bano: বিলকিস বানো মামলায় গুজরাট জেলে আত্মসমর্পণ ১১ দণ্ডিতেরই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিলকিস বানো (Bilkis Bano) মামলায় গুজরাট জেলে আত্মসমর্পণ করল সাজা প্রাপ্ত ১১ জনই। ধর্ষকদের দু’ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আত্মসমর্পণের জন্য বাড়তি সময় চেয়েছিল গুজরাট হিংসায় খুন ও গণধর্ষণকাণ্ডের অপরাধীরা। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় দেশের শীর্ষ আদালতে।

    আত্মসমর্পণ অপরাধীদের

    তার পর রবিবার রাতে আত্মসমর্পণ করে  ধর্ষকরা। এদিন গুজরাটের পঞ্চমহল জেলা গোধরা সাব-জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে তারা। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দুটি গাড়িতে করে গোধরা জেলের কাছে এসে উপস্থিত হয় বিলকিস বানো মামলার ১১ জন ধর্ষক। তার পরেই করে আত্মসমর্পণ। প্রসঙ্গত, আত্মসমর্পণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের সময়সীমা শেষ হয়েছে রবিবারই।

    মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার

    বিলকিসকাণ্ডে (Bilkis Bano) ১১ জন সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। ৮ জানুয়ারি, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, গুজরাট সরকারের ওই সিদ্ধান্ত এক্তিয়ার-বহির্ভূত। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের পর্যবেক্ষণ ছিল, জালিয়াতি করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে ধর্ষকদের। কারণ ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ারই ছিল না গুজরাট সরকারের। আদালতের নির্দেশ, খুন ও ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১জনকেই জেলে ফিরতে হবে দু’ সপ্তাহের মধ্যে। ধর্ষকদের কয়েকজন শীর্ষ আদালতে জানান, আত্মসমর্পণের জন্য তাঁদের আরও কিছুটা সময় দেওয়া হোক। দোষীদের সেই আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের কোনও বাড়তি সময় দেওয়া হবে না। নির্ধারিত দিনেই জেলে ফিরতে হবে তাদের।

    আরও পড়ুুন: “এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নকে নিয়ে যাবে নয়া উচ্চতায়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, গুজরাট হিংসা-পর্বে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়। তাঁর এক শিশু সন্তান-সহ পরিবারের ৭জনকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয় ১২জন। এদের মধ্যে ১১জনকে বাইশের স্বাধীনতা দিবসে জেলে ভালো আচরণ করার যুক্তি দিয়ে মুক্তি দিয়ে দেয় গুজরাট সরকার। তার আগে এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র জোগাড় করে গুজরাট সরকার। পরে শীর্ষ আদালত জানায়, মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার নেই গুজরাট সরকারের। অপরাধীদের ফিরতে (Bilkis Bano) হবে গারদেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: “এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নকে নিয়ে যাবে নয়া উচ্চতায়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Ram Mandir: “এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নকে নিয়ে যাবে নয়া উচ্চতায়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নের যাত্রাকে নিয়ে যাবে নয়া উচ্চতায়।” রবিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রাণ প্রতিষ্ঠার (Ram Mandir) অনুষ্ঠানকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলেও আখ্যায়িত করলেন তিনি।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী?

    সোমবার, ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের। এদিন মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন ভগবান রাম। এই অনুষ্ঠানে যজমানের ভূমিকা পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে তাঁকে শুভেচ্ছা-বার্তা পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতির চিঠির জবাব দিতে গিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “অযোধ্যা ধামে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার উৎসবে শুভকামনার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার বিশ্বাস, এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নের যাত্রাকে পৌঁছে দেবে নতুন উচ্চতায়।”

    কী লিখেছিলেন রাষ্ট্রপতি?

    প্রধানমন্ত্রীকে লেখা রাষ্ট্রপতির চিঠিতে ছিল ব্রতচারণে মোদির অটুট নিষ্ঠার ভূয়সী প্রশাংসার কথা। রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, “আপনি ১১ দিন ধরে যা ব্রত পালন (Ram Mandir) করেছেন, তা শুধু পবিত্র আচারই নয়, ভগবান শ্রীরামের প্রতি আত্মত্যাগ এবং তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করাও।” মহাত্মা গান্ধীর উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, “গান্ধীজিও ভাগবান রামের বড় ভক্ত ছিলেন। অযোধ্যার মহোৎসব ভারতের চিরন্তন আত্মার বহিঃপ্রকাশ।”

    তিনি লিখেছেন, “আপনি ভগবান রামের জন্মভূমিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে নবনির্মিত মন্দিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। আমি মনে করতে পারি কীভাবে ধাপে ধাপে আজ আপনি পবিত্রভূমে পৌঁছচ্ছেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “আমাদের জাতির এই পুনরুত্থানের সাক্ষী হতে পারায় আমরা খুব ভাগ্যবান।”

    আরও পড়ুুন: “মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আত্মমর্যাদা বেড়েছে হিন্দুদের”, বললেন শঙ্করাচার্য

    সোমবার, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার মন্দিরে শুরু হয়েছে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। আচার পালন শুরু হয়েছে ১৬ তারিখ থেকে। এদিন হবে মূল পর্বের অনুষ্ঠান। প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানটি শুরু হবে এদিন দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে। তার আগে থেকেই চলছে পুজোআচ্চা। প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে (Ram Mandir) উপস্থিত থাকার কথা হাজার তিনেক ভিভিআইপির। তাঁদের নিরাপত্তায় সতর্ক প্রশাসন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Shankaracharya: “মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আত্মমর্যাদা বেড়েছে হিন্দুদের”, বললেন শঙ্করাচার্য

    Shankaracharya: “মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আত্মমর্যাদা বেড়েছে হিন্দুদের”, বললেন শঙ্করাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আত্মমর্যাদা বেড়েছে হিন্দুদের।” রবিবার কথাগুলি বললেন শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। তিনি যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নন, বরং তাঁর একজন ভক্ত, তাও জানিয়ে দেন এই শঙ্করাচার্য। স্বাধীনতার পর থেকে দেশে এ পর্যন্ত যত জন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তাঁর মধ্যে একমাত্র মোদিই হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

    কী বলছেন শঙ্করাচার্য

    অভিমুক্তেশ্বরানন্দ বলেন, “সত্যটা হল এই যে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আত্মমর্যাদা জাগরিত হয়েছে হিন্দুদের। এটা ছোটখাট কোনও একটি বিষয় নয়। আমরা সব সময় বলেছি, আমার মোদির বিরুদ্ধে নই, বরং তাঁর ভক্ত।” তিনি (Shankaracharya) বলেন, “আমরা তাঁকে শ্রদ্ধা করি কারণ, স্বাধীনতার পর থেকে আর কোনও প্রধানমন্ত্রী এত সাহস দেখাননি। এর আগে হিন্দুদের পাশে কে দাঁড়িয়েছে? আমরা কারও সমালোচনা করছি না। তবে এটা ঠিক যে তিনিই (মোদি) প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি হিন্দুদের আবেগকে সমর্থন করেন।”

    ৩৭০ ধারাকেও স্বাগত

    সম্প্রতি রাম মন্দির নিয়ে শঙ্করাচার্যদের বক্তব্যকে বিকৃত করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ বলেন, “আপনারা, যাঁরা সংবাদমাধ্যম, তাঁদের একমাত্র কাজই হল আমাদের মোদি-বিরোধী বলে প্রতিপন্ন করা। আমায় বলুন, যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করেছিলেন, তখন আমরা তাকে স্বাগত জানাইনি? আমরা স্বচ্ছ ভারত অভিযানকেও স্বাগত জানিয়েছি। প্রকাশ্যে তাঁর প্রশংসা করেছি। আমরা তাঁর কাজে খুশি হয়েছি। হিন্দুদের বিশ্বাস বিকশিত হতে সাহায্য করছেন তিনি। মোদির কাজকর্মের অভিমুখ সেই দিকেই।”

    আরও পড়ুুন: রাম মন্দিরের নির্মাণ ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’, অযোধ্যায় পৌঁছে জানালেন মোহন ভাগবত

    ২২ জানুয়ারি সোমবার অযোধ্যায় শুরু হয়েছে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। এদিনই শুভক্ষণে গর্ভগৃহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে রামলালার প্রস্তরমূর্তির। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনিই এই অনুষ্ঠানের যজমান। সেজন্য গত ১১ দিন ধরে কঠোর সংযম পালন করছেন তিনি। প্রাণ প্রতিষ্ঠার কাজ করছেন পুরোহিত লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতের নেতৃত্বে একটি দল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন দেশ-বিদেশের হাজার আটেক আমন্ত্রিত অতিথি (Shankaracharya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর আয় বাড়বে যোগী রাজ্যের, কত হবে জানেন?

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর আয় বাড়বে যোগী রাজ্যের, কত হবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে মন্দিরকে ঘিরে বহু বিতর্ক হয়েছে, যে মন্দির (Ram Mandir) তৈরি করতে গিয়ে দিতে হয়েছে আত্মবলিদান, সেই মন্দিরই হাল ফেরাবে উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতির। অন্তত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট থেকে তা-ই জানা গিয়েছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, অযোধ্যার রাম মন্দির এবং অন্যান্য পর্যটনস্থলগুলি থেকে রাজস্ব আয় হতে পারে ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা।

    এসবিআইয়ের রিপোর্ট

    রবিবার এসবিআইয়ের তরফে প্রকাশ করা হয় রিপোর্টটি। সেখানে দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রের পিলগ্রিমেজ রিজুভেনেশন অ্যান্ড স্পিরিচুয়াল হেরিটেজ অগমেন্টেশন ড্রাইভ প্রকল্পে আদতে লাভবান হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশই। এ রাজ্যের বাজেট থেকে জানা গিয়েছে, ২০২৪ অর্থবর্ষে সরকারের কোষাগারে রাজস্ব জমা হবে ২.৫ লাখ কোটি টাকা। এর সঙ্গে পর্যটন বাবদ আয় ধরলে টাকার অঙ্কটা হবে স্ফীতকায়। যা আদতে শক্ত করবে রাজ্যের অর্থনীতির ভিত।

    বাড়বে পর্যটক

    এসবিআইয়ের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩-এ উত্তরপ্রদেশে পর্যটকের সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের পর এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারের পদক্ষেপের ফলে আমরা আশা করছি, উত্তরপ্রদেশে পর্যটকরা যা ব্যয় করবেন, তার পরিমাণ চলতি বছরের শেষে পেরিয়ে যাবে ৪ লাখ কোটি টাকার গণ্ডি। রিপোর্ট (Ram Mandir) থেকেই জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে দেশের পর্যটকদের কাছ থেকে উত্তরপ্রদেশ সরকারের রোজগার হয়েছিল ২.২ লাখ কোটি টাকা। ওই বছর যোগী রাজ্যে বেড়াতে আসা ভিনদেশিদের থেকে সরকার আয় করেছিল ১০ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ওই বছর অযোধ্যা দর্শনে এসেছিলেন ২.২১ কোটি পর্যটক।

    আরও পড়ুুন: ৮ লক্ষ প্রদীপশিখায় রামের ছবি, তৃণমূল নেতার উদ্যোগে বিস্মিত ভাটপাড়া

    রাম মন্দির উদ্বোধনের পরে যে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই কারণেই রাম জন্মভূমিতে তৈরি হয়েছে আস্ত একটি বিমানবন্দর। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশনকেও। সরকারের আশা, রাম মন্দির দর্শনের পর রামের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলি দর্শন করবেন পর্যটকরা। কেবল তাই নয়, রামের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে নেপাল এবং শ্রীলঙ্কাও। নেপালে রামের শ্বশুরবাড়ি। আর লঙ্কায় রাবণ-বধ করেছিলেন ভগবান। এই তিন দেশের সহযোগিতায় যদি একটি ট্যুরিস্ট ম্যাপ তৈরি করা যায়, তাহলে পর্যটকের আনাগোনা আরও বাড়বে বলেই আশা সংশ্লিষ্টমহলের (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NAM Summit: দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাচ্ছেন ভারতীয়রা, স্বীকার করলেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট

    NAM Summit: দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাচ্ছেন ভারতীয়রা, স্বীকার করলেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বদলাচ্ছে দেশের অর্থনীতির হাল। তাতে সব চেয়ে বেশি অবদান যাঁদের, তারা ভারতীয় অভিবাসী। এই ভারতীয়দের জন্যই যে বদলাচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক চিত্র, সেকথা মনে করিয়ে দিলেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়েওরি মুসেভানি। পূর্ব আফ্রিকার একটি দেশ উগান্ডা। রাজধানী কাম্পালা। এখানেই এবার হচ্ছে নন অ্যালায়েড মুভমেন্টের ১৯তম সামিট (NAM Summit)।

    প্রেসিডেন্টের স্বীকারোক্তি

    এই সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়েই প্রেসিডেন্ট মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করে নেন ভারতীয় অভিবাসীদের অবদান। প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি লোকজনকে জিজ্ঞাসা করছিলাম ভারতীয় অভিবাসীরা আমাদের দেশে কতগুলো কল-কারাখানা বানিয়েছেন। তারা আমায় বলল, তাঁরা (ভারতীয় অভিবাসীরা) ফিরে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০০ কল-কারখানা স্থাপন করেছেন।” ভারতীয় অভিবাসীদের দেশ থেকে তাড়ানো যে ঠিক হয়নি, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইয়েওরি মুসেভানি। উগান্ডা থেকে এশিয়ান, বিশেষত ইন্ডিয়ান-উগান্ডানদের তাড়ানো হয়েছিল ইদি আমিনের শাসনকালে। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে মুসেভানি বলেন, “সরকার কাজটি (ইন্ডিয়ান-উগান্ডানদের তাড়ানো) ভুল করেছিল।”

    কী বললেন মুসেভেনি?

    উগান্ডার প্রেসিডেন্ট বলেন, “নন-অ্যালায়েড মুভমেন্টের (NAM Summit) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিও কখনও কখনও ভুল করেছিল। এই যেমন উগান্ডায় করেছিল।” প্রসঙ্গত, আমিনের শাসনকালে ভারত-উগান্ডা সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। যার জেরে এক সময় উগান্ডার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে ভারত। আমিনের সিদ্ধান্তের প্রভাব যে উগান্ডার অর্থনীতিতে পড়েছিল, তাও মনে করিয়ে দেন প্রেসিডেন্ট। বলেন, “নন-অ্যালায়েড মুভমেন্টে আপনাদের একজন নেতা ছিলেন, যিনি দেশীয় অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছিলেন। যাঁদের দেশ থেকে তাড়ানো হয়েছিল, চিনি, হোটেল এবং ইস্পাত উৎপাদন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান কম নয়।”

    আরও পড়ুুন: অযোধ্যায় ফিরছেন রাম, পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য জায়গাগুলি জানেন?

    মুসেভেনি বলেন, “আমাদের (নন-অ্যালায়েড মুভমেন্ট) দেশগুলিতে বিনিয়োগের পরিবেশ খতিয়ে দেখা হয়। আমরা এই সব লোকদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। পরে সরকারে ফেরে আমার দল। তারপর ফিরিয়ে আনা হয় তাঁদের। আমরা আমাদের এশিয়ান নাগরিক বা অ-নাগরিকদের সম্পত্তি ফিরিয়ে দিয়েছি। অথচ এঁদেরই তাড়িয়ে দিয়েছিলেন ইডি আমিন। আমরা তাঁদের ফিরিয়ে এনেছি। এনিয়ে পার্লামেন্টে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়েছিল। কেউ বলছিলেন, কাজটি ঠিক হবে না। আমরা বলছিলাম, না, তাঁদের অবশ্যই সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে। সেই মতো সম্পত্তি ফেরতও দেওয়া হয়েছে।” নন-অ্যালায়েড মুভমেন্ট (NAM Summit) প্রতিষ্ঠায় ভারতের অবদানও স্বীকার করেছেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share