Tag: news in bengali

news in bengali

  • J&K Encounter: জম্মু কাশ্মীরে শুরু বাহিনীর অ্যাকশন, খতম এক জঙ্গি, নজরে টেরর ফান্ডিং নেটওয়ার্ক

    J&K Encounter: জম্মু কাশ্মীরে শুরু বাহিনীর অ্যাকশন, খতম এক জঙ্গি, নজরে টেরর ফান্ডিং নেটওয়ার্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপুরা জেলায় জঙ্গিদের সঙ্গে বাহিনীর গুলি বিনিময়ে (J&K Encounter) এক জঙ্গির মৃত্যু হল। জানা গিয়েছে উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলার আরগাম এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে সুরক্ষা বাহিনীর গুলি বিনিময় হয়। সন্ত্রাস দমনে এমন আরও অভিযান আসন্ন জানিয়েছে সেনাবাহিনী।  

    জম্মু কাশ্মীরের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা

    প্রসঙ্গত অমিত শাহ‌ জম্মু-কাশ্মীরের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব অজয় ভাল্লা, আইবি প্রধান তপন ডেকা, সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল আনিস দয়াল সিং, বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল নিতিন আগরওয়াল, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি আর আর সোয়েইন। জম্মু-কাশ্মীরে সুরক্ষা ব্যবস্থা, অমরনাথ যাত্রার আগাম ব্যবস্থা, বর্তমান জঙ্গি হানার প্রত্যুত্তর সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়। জম্মু-কাশ্মীরের সন্ত্রাস দমনের অ্যাকশন প্ল্যান  নিয়ে আলোচনা হয়। এর পরেই সুরক্ষা বাহিনী সন্ত্রাস দমনে অপারেশন (J&K Encounter) শুরু করেছে।

    ময়দানে নামলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ

    জানা গিয়েছে সিডিএস অনিল চৌহান জম্মু-কাশ্মীর পরিদর্শন করবেন এবং পরিস্থিতির খতিয়ান নেবেন। সেনা সূত্রে খবর নাগরোটায় অবস্থিত হোয়াইট নাইট কর্পসের হেডকোয়ার্টারেও যাবেন তিনি সেখানেই তাকে বর্তমান অবস্থা (J&K Encounter)নিয়ে ব্রিফ দেওয়া হবে। গত দুই সপ্তাহে জম্মু-কাশ্মীরের চার জায়গায় জঙ্গি হানা হয়েছে। এর মধ্যে রিয়াসি ও কঠুয়ার ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই চার জঙ্গি হানায় ১১ জন সাধারণ মানুষ এবং একজন সিআরপিএফ জওয়ান সহ দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।

    টেরার ফান্ডিং বন্ধ করার চেষ্টা শুরু (J&K Encounter)

    তবে শুধু জঙ্গি দমন (J&K Encounter)  অভিযান নয়, জঙ্গিদের টেরার ফান্ডিং-এর উপরেও নজর রয়েছে সেনার। কুপওয়াড়ার এসএসপি সৌভিক সাক্সেনা বলেন, “পুলিশ এবং সেনার যৌথ উদ্যোগে টেরার ফান্ডিং-এর জন্য ব্যবহার হওয়া মাদকের নেটওয়ার্ক ভাঙ্গার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই সাফিক আহমেদ শেখ এবং তারিখ আহমদ মালিক নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম হিরোইন বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই, নিহত ৮ মাওবাদী, শহিদ ১ জওয়ান

    প্রসঙ্গত জাল টাকা ও মাদকের মাধ্যমে একদা কাশ্মীরে জঙ্গি নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছিল। জাল টাকার কারবার ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়েছে। মাদকের কারবারও দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। পুনরায় মাদকের কারবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। “সন্ত্রাস ও মাদক একে অপরের সাথে জড়িত এবং একে অপরের পরিপূরক। সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো তাদের অপরাধমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অর্থের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে মাদক পাচারকে ব্যবহার করে। মাদক-সন্ত্রাস জম্মু-কাশ্মীরের শান্তির জন্য এবং স্থায়ী স্থিতিশীলতার জন্য একটি বিশাল হুমকি,” বলেন সৌভিক সাক্সেনা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: রাজভবনের সুরক্ষায় আর প্রয়োজন নেই কলকাতা পুলিশের! অবিলম্বে খালি করার নির্দেশ বোসের

    CV Ananda Bose: রাজভবনের সুরক্ষায় আর প্রয়োজন নেই কলকাতা পুলিশের! অবিলম্বে খালি করার নির্দেশ বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালবাজারের নিরাপত্তায় সুরক্ষিত নন রাজ্যপাল। অবিলম্বে রাজভবন খালি করুন। সোমবার সকালে রাজভবনে মোতায়েন কলকাতা পুলিশের কর্মীদের এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। ইতিমধ্যেই রাজভবন চত্বরে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সরানোর নির্দেশ দিয়ে নবান্নে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। এ প্রসঙ্গে রাজভবনের (Raj Bhavan) ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যপাল রাজভবনের ভিতরে মোতায়েন পুলিশ কর্মীদের অবিলম্বে প্রাঙ্গন খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন।  

    কী জানিয়েছেন রাজ্যপাল? (CV Ananda Bose)

    চিঠিতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে, রাজভবনের (Raj Bhavan) নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীরা তাঁর নির্দেশনা মানছে না। ফলে রাজভবন চত্বরে থাকা কলকাতা পুলিশের নিরাপত্তায় তিনি একেবারেই সুরক্ষিত বোধ করছেন না। তাই অবিলম্বে রাজভবনের (Raj Bhavan) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের সরিয়ে ফেলা হোক। যদিও রাজ্যপালের এই চিঠির প্রেক্ষিতে নবান্নের তরফে এখনও কোনও বক্তব্য মেলেনি।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

    আগে কী ঘটেছিল?  

    গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসায় ‘আক্রান্তদের’ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু সে সময় তাঁকে রাজভবনের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি কর্তব্যরত কলকাতা পুলিশ। রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে শুভেন্দু সহ শো দুয়েক লোককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) অনুমতি থাকা সত্ত্বেও রাজভবনে প্রবেশ করতে না পেরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিরোধী দলনেতা। শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যপাল কি গৃহবন্দী নাকি। তাঁর অনুমতি সত্ত্বেও কেন দেখা করার অনুমতি দেওয়া হল না। আর বিচারপতির এই মন্তব্যের পরেই এবার রাজভবন (Raj Bhavan) চত্বর থেকে লালবাজারের নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়ার জন্যে নবান্নকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল।

    যদিও রবিবার বিরোধী দলনেতা একশোর বেশি ঘরছাড়াকে নিয়ে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময় রাজ্যপাল শুভেন্দু অধিকারীকে বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে তিনি হিংসা মুক্ত করবেন। তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এসবের মাঝেই এবার বিচারপতির ওই মন্তব্যের পর সোমবার সকালে রাজ্যপাল এই নির্দেশ দেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kanchenjunga Express Accident: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির

    Kanchenjunga Express Accident: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchenjunga Express Accident) দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) দফতর । যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পিএমও।

    কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৬০ জন। তবে রেল সূত্রে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা আট। দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির চালকও মৃত বলে জানা গিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে, এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে মোদি লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে রেল দুর্ঘটনা দুঃখজনক। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি সমবেদনা। আমি প্রার্থনা করি আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য উদ্ধারকার্য চলছে। রেলমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবজিও দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।’’

    শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Kanchenjunga Express accident)

    এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের রাষ্ট্রপতিও। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu) সোমবার পশ্চিমবঙ্গের মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন, নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। “পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং-এ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানির খবর গভীরভাবে বেদনাদায়ক। আমার চিন্তা ও প্রার্থনা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সাথে রয়েছে। আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্য এবং ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করছি”, মুর্মু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন।

    আর্থিক সাহায্য ঘোষণা রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবেরও

    কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchenjunga Express Accident) দুর্ঘটনায় গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, “এনএফআর জোনে দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা। উদ্ধার তৎপরতা চলছে যুদ্ধকালীন পর্যায়ে। রেল, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ নিবিড় সমন্বয়ে কাজ করছে। আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।” দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে রেলমন্ত্রীর পক্ষ থেকে। এক্স হ্যান্ডেলে জানান হয়েছে, মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ২.৫ লাখ টাকা ও কম আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। 

    প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গে রেল পরিষেবায়

    এদিকে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে (Kanchenjunga Express Accident) মালগাড়ির ধাক্কায় প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গে রেল পরিষেবায়। মালদা টাউন স্টেশনে আটকে পড়েছে কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। রেলের তরফে মালদায় হেল্প লাইন নম্বর চালু হয়েছে। পাশাপাশি শিয়ালদহ ডিভিশনে চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। নম্বর দুটি হল- ০৩৩-২৩৫০৮৭৯৪ এবং ০৩৩-২৩৮৩৩৩২৬। 

    আরও পড়ুন: সিগন্যালেই সমস্যা! কীভাবে একই লাইনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস আর মালগাড়ি?

     জানা গিয়েছে মালগাড়ির ধাক্কায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের (Kanchenjunga Express Accident) দু’টি কামরা। বেসরকারি মতে এই ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জন যাত্রীর, এছাড়াও কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সোমবার সকালে দার্জিলিং জেলার রুইধাসায় নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে মালগাড়ির ধাক্কায় বেলাইন হয়ে যায় শিয়ালদহগামী ১৩১৭৪ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। মালগাড়ির ধাক্কায় ট্রেনের পিছন দিকের দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • UEFA Euro 2024: দলকে এককাট্টা রাখতে রাজনীতি নিষিদ্ধ ফরাসি শিবিরে

    UEFA Euro 2024: দলকে এককাট্টা রাখতে রাজনীতি নিষিদ্ধ ফরাসি শিবিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুটবলের মাঠেও ঢুকে পড়েছে রাজনীতি। সামনেই ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন। এমতাবস্থায় অনভিপ্রেত হলেও রাজনীতি ঢুকে পড়েছে ফরাসি ফূতবল ময়দানে। ফ্রান্সের ফুটবলাররা কেউ শাসক পক্ষের, কেউ বিরোধী পক্ষের সমর্থক। ফুটবলের মাঠে যাতে রাজনীতি যাতে মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেই লক্ষ্যে (UEFA Euro 2024) প্লেয়ারদের রাজনীতি নিয়ে মুখ না খোলার কথা বলা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে সাংবাদিকদের অনুরোধ করা হয়েছে ফুটবলারদের দেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন না করতে।

    ইউরোর জিততে মরিয়া ইংল্যান্ডের

    অন্যদিকে ইউরোর খেতাব জেতা হয়নি ইংল্যান্ডের । গতবার ফাইনালে উঠেও হারতে হয়েছিল ইতালির কাছে । তিন বছর বাদে তারকাসমৃদ্ধ ফরোয়ার্ড লাইন নিয়ে আবারও ইউরো জয়ের অন্যতম দাবিদার তাঁরা। কিন্তু ২০২৪ ইউরোর প্রথম ম্যাচে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না ইংরেজ ফরোয়ার্ডরা। অপেক্ষাকৃত দুর্বল সার্বিয়ার বিরুদ্ধে গ্যারি সাউথগেটের ছেলেরা জিতল নামমাত্র গোলে। গোল করলেন জুড বেলিংহ্য়াম । হ্যারি কেন, বুকায়ো সাকা, কোল পালমার, জুড বেলিংহ্যাম, ফিল ফডেন সমৃদ্ধ ইংরেজ ফরোয়ার্ড লাইন এবারের ইউরোয় গোলের বন্যা বইয়ে দেবে  ভেবেছিলেন ফুটবল অনুরাগীরা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সেই প্রত্যাশায় সিলমোহর না-দিয়ে খানিক নিষ্প্রভ রইলেন ‘থ্রি-লায়ন্স’ স্ট্রাইকাররা।

    রাজনীতি নিষিদ্ধ ফরাসি ফুটবল দলে (UEFA Euro 2024)

    প্রসঙ্গত গতবার বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করে ট্রফি অধরা থেকে গিয়েছিল ফ্রান্সের। ট্রফি উঠেছিল আর্জেন্টিনার হাতে। এবার এমবাপে বাহিনী ইউরো কাপ (UEFA Euro 2024) জেতার লক্ষ্যে ময়দানে নামছে। তাঁদের সামনে প্রতিপক্ষ অস্ট্রিয়া। ম্যাচের আগে ফ্রান্স শিবিরে রাজনীতি নিয়ে চর্চা করা যাবে না এই সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেন নামবে সেনাবাহিনীর বার্তা পেয়ে। তাঁদের সামনে রয়েছে প্রতিপক্ষ রোমানিয়া। ফ্রান্সের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে প্রত্যেক ফুটবলারদের নিজস্ব মতামত থাকতে পারে। তাঁরা সেই মতামত জানাতে পারে। তাঁদের সেই অধিকার আছে। দেশের মানুষকে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানাতে পারে তাঁরা। কিন্তু ফ্রান্স ফুটবল দলকে যাতে কোনও ভাবে রাজনীতির উপাদান না বানানো হয় তার জন্যই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।  

    ১০০ ম্যাচ জেতা কোচ হতে চলেছেন দেশঁ

    প্রসঙ্গত ফ্রান্সে ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতায় জোর দেওয়া হয়। সেখানে এই ধরনের নিষেধাজ্ঞায় অবাক হয়েছেন অনেকেই। যদিও (UEFA Euro 2024) ফুটবল যাতে ফুটবলেই থাকে তার জন্যই এই নির্দেশ বলে ফরাসি ফুটবল দলের তরফে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: স্কটল্যান্ডকে পাঁচ গোল! ইউরোর প্রথম ম্যাচেই জয় জার্মানির

    সোমবার ফ্রান্স জিতলে কোচ হিসেবে ১০০ টি ম্যাচ জিতবেন দিদিয়ের দেশঁ। ১২ বছর ধরে তিনি দলের কোচের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ২০১৮ এবং ২০২২ বিশ্বকাপে দলকে ফাইনালে তুলেছেন। একবার জিতেওছেন। এবারের প্রতিযোগিতায় অন্যতম অভিজ্ঞ কোচ এবং অন্যতম শক্তিশালী ফুটবল খেলিয়ে দেশ ‘ফ্রান্স’।

    ইউক্রেনের প্রতিপক্ষ রোমানিয়া

    তুলনামূলক কম শক্তিশালী হলেও চর্চার রয়েছে ইউক্রেন দল নিয়েও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে দেশের সেনাবাহিনী বিপদের মধ্যে ফুটবলের দলের জন্য সমর্থন বার্তাও পাঠিয়েছে সেনাবাহিনী।দলের কোচ স্যারজি রেভ জানিয়েছেন ফুটবলার থেকে কোচ, অনবরত বার্তা পাচ্ছেন সেনাবাহিনীর তরফ থেকে। দেশের ঐতিহ্য ও গর্ব ফুটবলের মাঠে মাঠে তুলে ধরার আবেদন জানানো হয়েছে। সেখানে ইউক্রেনের সামনে সামনের ম্যাচে প্রতিপক্ষ রোমানিয়া। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল একক ভাবে ২৯টি আসনে জয়লাভ করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে ফল প্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় ভোট-পরবর্তী হিংসার কথা উঠে আসছে। বিজেপির অভিযোগ মূলত তৃণমূলের দিকেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা হিংসায় সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ১ নম্বর ব্লকের বয়ারমারী অঞ্চলের বেশ কিছু সক্রিয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের টোটো ও দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    বিজেপি ফল ভালো করায় কি আক্রমণ (Sandeshkhali)?

    বয়ারমারী (Sandeshkhali) এক নম্বর অঞ্চলের বেশ কিছু বুথে বিজেপি ভালো ফলাফল করেছে। যে সমস্ত বুথে বিজেপি ভালো ফলাফল করেছে সেই সমস্ত বুথের সক্রিয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বেছে বেছে টোটো চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তৃণমূল। একই ভাবে বিজেপিকর্মীদের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। গত এক সপ্তাহ ধরে দোকান ও টোটো চলাচল বন্ধ থাকার ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। এই এলাকার মানুষের জীবন-জীবীকার প্রধান আশ্রয় এই দোকান এবং টোটো। অসহায় গরীব মানুষগুলি কোনও রকমে দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা রোজগার দিয়ে সংসার চালান। গত কয়েকদিন ধরে এই রোজগার বন্ধ থাকায় তাঁরা প্রায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবি বিজেপি কর্মীদের। তাই দোকান ও টোটো চালানোর দাবিতে রবিবার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত রাজবাড়ী আউটপোস্টে এসে বিজেপির পক্ষ থেকে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুনঃ ‘ঘরছাড়া’ দলীয় কর্মীদের দেখতে বারুইপুর গেলেন সুকান্ত, দিলেন ঘরে ফেরানোর আশ্বাস

    বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য

    স্থানীয় (Sandeshkhali) বিজেপি কর্মী জয়দেব মণ্ডল বলেছেন, “সকালে উঠে দোকান খুলতে গেলে তৃণমূল প্রধানের অনুগামীরা বলেন, দোকান খোলা যাবেনা। কারণ জানতে চাইলে হুমকি দিয়ে বলেন, তোরা সবাই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিস, তাই দোকান বন্ধ থাকবে। তোদের ছেলেপেলেদের নিয়ে পার্টি অফিসে দেখা কর। ক্ষমা চাইতে হবে, এলাকায় বিজেপি করা যাবে না। সেই সঙ্গে দোকান বন্ধ করে তালা মেরে দেয় তৃণমূলের লোকজন।” আরেক টোটো চালক উৎপল দত্ত বলেছেন, “তৃণমূল প্রধান আমাদের বেশকিছু টোটো বন্ধ করে দিয়েছে। পার্টি অফিসে দেখা করার নিদান দিয়েছেন। এলাকায় বিজেপি ভালো ফল করার আমাদের জীবন-জীবীকার উপর সঙ্কট তৈরি করেছে তৃণমূল। আমরা সব কিছু স্বাভাবিক চাই। তাই, আজ থানায় ডেপুটেশন দিলাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: পিএলআই প্রকল্প-এমএসএমইতে কর্মসংস্থানের দিশা থাকবে মোদি সরকারের বাজেটে?

    PM Modi: পিএলআই প্রকল্প-এমএসএমইতে কর্মসংস্থানের দিশা থাকবে মোদি সরকারের বাজেটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে কিছুদিন আগেই। নির্বাচনের কারণে পেশ হয়েছিল ভোট অন অ্যাকাউন্ট। ইতিমধ্যেই শপথ নিয়েছে নয়া সরকার। বাদল অধিবেশনে পেশ হবে পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তারই প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। এটি মোদি সরকারের (PM Modi)  তৃতীয় টার্ম।

    বাজেটে দিশা (PM Modi)

    দেশবাসীর আশা অনেক। এই বাজেটে খেলনা, আসবাবপত্র, জুতো তৈরি, টেক্সটাইলের বিভিন্ন ক্ষেত্রের পাশাপাশি এমএসএমই-র ওপর জোর দেওয়া হবে বলে আশা। উদ্দেশ্য হল, মহিলাদের রোজগার বাড়ানো এবং পরিকাঠামোর উন্নয়ন। নির্বাচন চলাকালীনই গত মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে সরকার গড়ার পর প্রথম একশো দিনে কী কী কাজ করা হবে, তার রোডম্যাপও তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০৩০ সালের মধ্যে মোদি সরকার যাতে লক্ষ্য পূরণ করতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। এবার বাজেটে এসবেরই দিশা থাকতে পারে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের (PM Modi)।

    মধ্যবিত্তদের সুবিধা!

    মধ্যবিত্তদের কীভাবে আরও সুবিধা দেওয়া যায়, সেদিকেও দৃষ্টি রয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের। কেবল ট্যাক্সে ছাড়ই নয়, হাউজিং লোন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সুদের হার কীভাবে কমানো যায়, সেই বিষয়টি নিয়েও ভাবছেন তিনি। এই বিষয়গুলিতে প্রাথমিকভাবে জোর দেওয়া হবে। যদিও এ ব্যাপারে ডিটেইলড কোনও তথ্য মেলেনি। বর্তমানে বিদেশ সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ফিরে কী নির্দেশ দেন, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে অর্থমন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: “যত বড়ই আধিকারিক হন, ছাড়া পাবেন না”, নিট বিতর্কে বার্তা শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের

    জানা গিয়েছে, প্রাক-বাজেট পরামর্শ-পর্ব শুরু হবে চলতি সপ্তাহেই। তবে আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই কিছু গ্রাউন্ড ওয়ার্ক সেরে নিয়েছেন। এই আধিকারিকদেরই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নয়া সরকার গঠিত হওয়ার পর প্রথম একশো দিনে কী কী কাজ হবে। বুধবার এবং জুনের ২৫ তারিখের মধ্যে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে মিলিত হতে পারেন সীতারামণ। শনিবার তিনি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন, জানতে চাইবেন বাজেট নিয়ে তাঁদের আশা-আকাঙ্খার কথা। ছোটখাট ব্যবসায়ীদের উন্নতিকল্পে এমএসএমই প্যাকেজ তৈরি হতে পারে। কর্মসংস্থানের পরিমাণ এবং গুণমান কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, এবারের বাজেটে থাকতে পারে সেই হদিশও (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 49: “কামিনী-কাঞ্চনের ঝড় তুফানগুলো কাটিয়ে গেলে তখন শান্তি”

    Ramakrishna 49: “কামিনী-কাঞ্চনের ঝড় তুফানগুলো কাটিয়ে গেলে তখন শান্তি”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ ও অন্যান্য ভক্তসঙ্গে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    কামিনী-কাঞ্চনই যোগের ব্যাঘাত–সাধনা ও যোগতত্ত্ব

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে বিরাজ করিতেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ই ভাদ্র ১২৮৯), শ্রাবণ-শুক্লা দশমী তিথি, ২৪ শে অগস্ট ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দ।

    আজকাল ঠাকুরের কাছে হাজরা মহাশয়, রামলাল, রাখাল প্রভৃতি থাকেন। শ্রীযুক্ত রামলাল ঠাকুরের ভ্রাতুস্পুত্র,–কালীবাড়িতে পূজা করেন। মাস্টার আসিয়া দেখিলেন উত্তর-পূর্বের লম্বা বারন্দায় ঠাকুর হাজরার নিকট দাঁড়াইয়া কথা কহিতেছেন। তিনি আসিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া ঠাকুরের শ্রীপাদপদ্ম বন্দনা করিলেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) সহাস্যবদন। মাস্টারকে বলিতেছেন, আর দু-একবার ঈশ্বর বিদ্যাসাগরকে দেখাবার প্রয়োজন। চালচিত্র একবার মোটামুটি এঁকে নিয়ে তারপর বসে বসে রঙ ফলায়। প্রতিমা প্রথমে একমেটে, তারপর দোমেটে, তারপর খড়ি, তারপর রঙ-পরে পরে করতে হয়। ঈশ্বর বিদ্যাসাগরের সব প্রস্তুত কেবল চাপা রয়েছে। কতগুলি সৎকাজ করছে, কিন্তু অন্তরে কি আছে তা জানে না, অন্তরে সোনা চাপা রয়েছে। অন্তরে ঈশ্বর আছেন,–জানতে পারলে সব কাজ ছেড়ে ব্যাকুল হয়ে তাঁকে ডাকতে ইচ্ছা হয়।

    ঠাকুর মাস্টারের সঙ্গে দাঁড়াইয়া কথা কহিতেছেন—আবার কখন কখন বারন্দায় বেড়াইতেন।

    সাধনা–কামিনী-কাঞ্চনের ঝড়তুফান কাটাইবার জন্য।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—অন্তরে কি আছে জানবার জন্য একটু সাধন চাই।

    মাস্টার—সাধন কি বারবার করতে হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—না, প্রথমটা একটু উঠে পড়ে লাগতে হয়। তারপর আর বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। যতক্ষণ ঢেউ, ঝড়, তুফান আর বাঁকের কাছ দিয়ে যেতে হয়, ততক্ষণ মাঝির দাঁড়িয়ে হাল ধরতে হয়,–সেইটুকু পার হয়ে গেলে আর না। যদি বাঁক পার হল আর অনুকুল হাওয়া বইল, তখন মাঝি আরাম করে বসে, হালে হাতটা ঠেকিয়ে রেখে,–তারপর পাল টাঙাবার বন্দোবস্ত করে তামাক সাজতে বসে। কামিনী-কাঞ্চনের ঝড় তুফানগুলো কাটিয়ে গেলে তখন শান্তি।

    আরও পড়ুনঃ “হিন্দুরা জল খাচ্ছে একঘাটে বলছে জল; মুসলমানরা আর-এক ঘাটে খাচ্ছে বলছে পানি”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “পাপ করলে তার ফল পেতে হবে! লঙ্কা খেলে তার ঝাল লাগবে না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি প্রবেশদ্বারের পিছনে লুকিয়ে কোন ইতিহাস?

    Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি প্রবেশদ্বারের পিছনে লুকিয়ে কোন ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার ধামের অন্যতম হল পুরীর জগন্নাথ ধাম। পুরীর এই জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple) নিয়ে রয়েছে নানান ইতিহাস। এই মন্দিরে প্রবেশের চারটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। কথিত আছে চারটি গেট চারটি প্রাণীর প্রতিনিধিত্ব করে এবং এই গেটের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কিছু বিশেষ তাৎপর্য। জগন্নাথ ধাম প্রবেশের এই চার দুয়ার হল- ‘সিংহ দুয়ার’,’অশ্ব দুয়ার’,’ব্যাঘ্র দুয়ার’ ও ‘হস্তি দুয়ার’। 

    আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক এই চার দুয়ারের তাৎপর্য – (Significance Of Entrance Gates) 

    ১) পূর্ব দুয়ার বা সিংহ দুয়ার-  এই গেটটি শ্রী জগন্নাথ মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) প্রবেশের প্রধান দরজা। পৃথিবীতে গুণ প্রচারের জন্য সিংহকে ভগবানের একটি বিশেষ অবতার বলে মনে হয়। আর সূর্য পূর্ব দিক থেকে উদিত হওয়ার কারণে মন্দিরের পূর্ব দিকের গেটটিই সিংহ দুয়ার নামে পরিচিত। এই সিংহ দুয়ার প্রধানত ভক্তি বা মোক্ষ লাভের দুয়ার হিসাবে পরিচিত।  
    ২) পশ্চিম দুয়ার বা ব্যাঘ্র দুয়ার-  বাঘ হল ইচ্ছার প্রতীক। জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশের পশ্চিম গেটে বাঘের মূর্তি রয়েছে। এই গেট দিয়ে সাধারনত সাধু ও বিশেষ ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করেন। 
    ৩) উত্তর দুয়ার বা হস্তি দুয়ার- হাতিটিকে সম্পদের দেবী মহা লক্ষ্মীর বাহন হিসাবে গণ্য করা হয়। তাই সম্পদের প্রতীক হিসাবে, মন্দিরের উত্তর গেটে হাতির প্রতীক ছিল। কথিত আছে, এই দরজা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করলে ধনসম্পদে ভরে ওঠে ভক্তের ঘর। জানা গিয়েছে  হস্তি দুয়ারের প্রতি পাশে একটি করে হাতির বিশাল মূর্তি ছিল, যা মুঘল আক্রমণের সময় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে, এই হস্তি দুয়ার মেরামত করে প্লাস্টার করা হয়েছিল। এই দরজা দিয়ে মূলত ঋষি ও বিশেষ ভক্তরা প্রবেশ ও প্রস্থান করেন। 
    ৪) দক্ষিণ দুয়ার বা অশ্ব দুয়ার- জগন্নাথ ধামে দক্ষিণের প্রবেশ দ্বার বিজয়ের রাস্তা হিসাবে পরিচিত। এই প্রবেশদ্বারের বাইরে দুটি ছুটন্ত ঘোড়ার মূর্তি রয়েছে। প্রাচীনকালে সম্রাটরা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য প্রভুর আশীর্বাদ নিতে এই দরজা দিয়ে মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) প্রবেশ করতেন। কথিত আছে, এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করলে কামের অনুভূতি কেটে যায়। এখানে একাধিক দেবতার প্রতীক রয়েছে। লোকনাথ, ঈশানেশ্বর, পরশুনাথ, ধবলেশ্বর, লক্ষ্মী নৃসিংহ ও তপস্বী হনুমানের প্রতীক রয়েছে এই দরজায়।

    আরও পড়ুন: ওষুধ-টাকা নিঃশেষিত! আবহাওয়া খারাপ, সোমে হচ্ছে না সিকিমে আটক পর্যটকদের উদ্ধারকার্য

    উল্লেখ্য, দ্বাদশ শতকের এই মন্দিরে একসময় চারটি প্রবেশদ্বারই খোলা থাকত। তবে নিয়ম বদলায় কোভিড অতিমারি শুরু হলে। কারন তৎকালীন সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিমারির সময় থেকেই মন্দিরের তিনটি দরজা বন্ধ করে দেয়। খোলা ছিল একটি মাত্র দরজা। সেই একটি মাত্র দুয়ার দিয়েই ভক্তরা মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) প্রবেশ করতে পারতেন। কিন্তু কভিড পরবর্তী সময়ে সব কিছু স্বাভাবিক হলেও এতদিন পর্যন্ত সেই নিয়মই বহাল ছিল। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছিলেন ভক্তরা। তবে সম্প্রতি নতুন সরকার আশায় মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়ার পাশাপাশি মন্দিরের সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে ৫০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতাকে জাগাতে এসেছি”, বলেন বিপ্লব দেব

    Post Poll Violence: “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতাকে জাগাতে এসেছি”, বলেন বিপ্লব দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার তিনি যখন রাজভবনে, তখন হিংসার (Post Poll Violence) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। মাহেশ্বরী সদনে ঘরছাড়া কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ শোনেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নালিশ করেন কয়েকজন ঘরছাড়া।

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Post Poll Violence)

    কেন্দ্রীয় এই দলটি তৈরি করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই দলে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বিপ্লব দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং বিজেপি সাংসদ কবিতা পতিদার। বিমানবন্দর থেকে (Post Poll Violence) তাঁরা সটান চলে আসেন মাহেশ্বরী সদনে। কেন্দ্রীয় টিমের সঙ্গে সমন্বয়কারী হিসেবে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, তমোঘ্ন ঘোষ। কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা ঘরছাড়াদের জানান, শিশু থেকে মহিলা কাউকে ছাড়ছে না তৃণমূলের গুন্ডারা।

    নির্বাচনোত্তর হিংসা

    নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “মমতাদি আপনার রাজ্যে কী চলছে যে মানুষ ভোট দেওয়ার পর ঘরে যেতে পারছেন না? আমাদের এক কার্যকর্তার ভাইকে খুন করে ফেলেছে। এখন তাঁকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক কর্মীরা রয়েছেন, তাঁরা ইদ পালন করতে যেতে পারছেন না। মমতাদি আপনার রাজ্যে কী চলছে?”

    আরও পড়ুন: “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ, বলেছেন রাজ্যপাল”, দাবি শুভেন্দুর

    এদিকে, বিজেপির এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল যাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ডায়মন্ড হারবার ও জয়নগরে যাওয়ার কথা তাদের। মঙ্গলবার ওই দলের সদস্যরা যাবেন কোচবিহারে। দিল্লি ফিরে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে। বিপ্লব বলেন, “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাগাতে এসেছি।” তিনি বলেন, “গত ১২-১৩ বছর ধরে তাঁর ঘুমই ভাঙছে না।” ত্রিপুরার প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপির লিগ্যাল সেল ঘরছাড়াদের পাশে থাকবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত।” তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করে, তাহলে দিল্লি থেকে বিজেপির প্রতিনিধিদলের বাংলায় আসার প্রয়োজন হয় না (Post Poll Violence)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ, বলেছেন রাজ্যপাল”, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ, বলেছেন রাজ্যপাল”, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তদের জন্য রাজভবনের দরজা খোলা থাকলেও, রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সেই দরজা বন্ধ।’ অন্তত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁকে একথা জানিয়েছেন বলেই দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “রাজ্যপাল বলেছেন এবার তিনি পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের বাঁচানোর জন্য কঠিন পদক্ষেপ করবেন।” তিনি বলেন, “রাজ্যপাল বলেছেন, রাজভবনের দরজা ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের জন্য সব সময় খোলা রয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর জন্য তা বন্ধ।” ঘাটাল-সহ রাজ্যের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্ত হয়েছেন শাসক দলের বহু কর্মী-সমর্থক। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর থেকে এমনতর অভিযোগ করে আসছেন বিরোধীরা। এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের আক্রান্ত বিজেপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ১১৫জনকে নিয়ে রাজভবনে যান। দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে।

    বিজেপি নেতার দাবি

    রাজ্যপালের সঙ্গে আক্রান্তদের নিয়ে শুভেন্দুর দেখা করার সময় উপস্থিত ছিলেন এক বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল আমাদের সঙ্গে কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। পুলিশ ও শাসকদল কীভাবে রাতের অন্ধকারে ঢুকে বাড়ির মহিলা ও বাচ্চাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে, তা শুনেই রাজ্যপাল আক্রান্তদের জন্য রাজভবনের দরজা খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায়ই রাজ্যপাল তাঁর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ করার কথাও বলেছেন।”

    আরও পড়ুন: “হিংসা শিক্ষার বিষয় হতে পারে না”, সাফ জানালেন এনসিইআরটি কর্তা

    এদিন ১০-১২ মিনিট ধরে রাজ্যপালকে সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা জানান শুভেন্দু। অভিযোগের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় নথি, ভিডিও ফুটেজ, স্টিল ছবিও তুলে দেন রাজ্যপালের হাতে। এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “বিচারব্যবস্থা বেঁচে আছে বলেই কেষ্ট মণ্ডল, হেমন্ত সোরেন, কেজরিওয়ালের মতো ডাকাতরা জেলের ভিতরে রয়েছেন। বিচারব্যবস্থা বেঁচে আছে বলেই, আমি লড়াই করে আবার আজ আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে এসে দেখা করলাম সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে (Suvendu Adhikari)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share