Tag: news in bengali

news in bengali

  • Suvendu Adhikari: সলমন-মুখ্যমন্ত্রী ‘ডুয়েট’, মমতাকে ‘দ্বিতীয় নিরো’র তকমা শুভেন্দুর, আক্রমণ গিরিরাজেরও

    Suvendu Adhikari: সলমন-মুখ্যমন্ত্রী ‘ডুয়েট’, মমতাকে ‘দ্বিতীয় নিরো’র তকমা শুভেন্দুর, আক্রমণ গিরিরাজেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দ্বিতীয় নিরো’র তকমা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহও। ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট। মঞ্চে ছিলেন তারকা সলমন খান, সোনাক্ষী সিনহা, অনিল কাপুর, মহেশ ভাটরা। এক সময় গানের তালে নাচতে শুরু করেন সলমন, সোনাক্ষী। তাঁদের সঙ্গে পা মেলাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।

    গিরিরাজের নিশানায় মমতা

    এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন গিরিরাজ। বুধবার কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “গোটা বাংলা দুর্নীতিতে জড়িত। গরিব মানুষ তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ মুখ্যমন্ত্রী সলমনের সঙ্গে নাচে মেতে রয়েছেন।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকাল (Suvendu Adhikari) অন্য কোনও গ্রহে বাস করছেন। গোটা বাংলা দুর্নীতিতে ডুবে। গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে। আর উনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সলমন খানের সঙ্গে কোমর দোলাচ্ছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক। যে রাজ্যে গরিবকে লুণ্ঠন করা হচ্ছে, দুর্নীতি হচ্ছে, আর তার মুখ্যমন্ত্রী মোচ্ছব করছেন, কোমর দোলাচ্ছেন, এটা উচিত নয়।” গিরিরাজ বলেন, “উনি সেখানে গিয়ে বসে থাকতে পারতেন। ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বলে কোমর দোলানোটা কি খুব জরুরি? আমার আপত্তি উনি মোচ্ছব করছেন বলে। আর লোক খিদেয় মরছে, বেকারত্বের জ্বালায় মরছে, দুর্নীতিতে মরছে।”

    আরও পড়ুুন: সাংসদ পদে ইস্তফা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ বিজেপির ১০ জনের, তালিকায় কারা?

    কী বললেন শুভেন্দু 

    মুখ্যমন্ত্রীকে তাক করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “রোম পুড়ো যাওয়ার সময় নিরো বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হলেন নিরো ২.০। তিনি যখন নাচছেন তখন পশ্চিমবঙ্গ বিপুল আর্থিক বোঝা ও সীমাহীন দুর্নীতির মধ্যে ডুবে রয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, এবার ছিল ২৯তম আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনায় অনুষ্ঠানে থিম সং-টি গেয়েছেন অরিজিৎ সিংহ। সেই গানেই সলমনের সঙ্গে নাচতে দেখা যায় সোনাক্ষীদের। পরে হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে নিয়ে আসেন সলমন। এর পরেই তাঁদের সঙ্গে (Suvendu Adhikari) পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WB Legislative Assembly: বিজেপির আপত্তি মেনে ৮ তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ককে ভোটাভুটিতে অংশ নিতে দিলেন না স্পিকার

    WB Legislative Assembly: বিজেপির আপত্তি মেনে ৮ তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ককে ভোটাভুটিতে অংশ নিতে দিলেন না স্পিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপত্তি জানিয়েছিল বিজেপি। একপ্রকার বাধ্য হয়ে তাতেই সায় দিলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জেরে ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারলেন না তৃণমূলের ৬ জন বিধায়ক। ক্রিমিনাল জাস্টিস ডেলিভারি সিস্টেম নিয়ে দুদিনের আলোচনা শেষে বুধবার ভোটাভুটি চায় বিজেপির পরিষদীয় দল।

    দরজা বন্ধের নির্দেশ

    বুধবার অধিবেশনের ভোটাভুটি পর্বে অধিবেশন কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার। এরপর শুরু হয় স্লিপ বিলি। স্লিপ বিলি শেষ হওয়ার পর শুরু হয় ভোটাভুটি পর্ব। এই সময় অধিবেশন কক্ষে ঢোকেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। উলুবেড়িয়া উত্তরের বিধায়ক নির্মল মাঝিও এই সময় ঢোকেন অধিবেশন কক্ষে। এর পরেই বিজেপি বিধায়করা স্পিকারকে সাফ জানিয়ে দেন, স্লিপ বিলির সময় যাঁরা বাইরে ছিলেন, তাঁরা ভোটাভুটিতে অংশ নিলে ওয়াকআউট করবেন তাঁরা। এই সময় বিধানসভা কক্ষে ঢুকতে যান রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রী সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন এবং জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্ত। স্পিকারের নির্দেশ শুনে ভোটাভুটি চলাকালীন আর ভিতরে ঢোকেননি তাঁরা।

    ওয়াকআউটের সিদ্ধান্ত 

    বিজেপির পরিষদীয় দল জানতে চায় বাইরে থাকা মন্ত্রীরা অধিবেশন কক্ষে রয়েছেন কীভাবে? এর পর ওয়াকআউটের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। স্লোগান দিতে দিতে অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান বিজেপির বেশিরভাগ বিধায়ক। এই সময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে অনুরোধ করেন, তাঁরা যেন ওয়াকআউট না করেন। তিনি এও জানান, বাইরে থাকা কোনও মন্ত্রী বা বিধায়ককে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। এর পরেই অধিবেশন কক্ষে ফেরেন পদ্ম বিধায়করা।

    আরও পড়ুুন: সাংসদ পদে ইস্তফা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ বিজেপির ১০ জনের, তালিকায় কারা?

    স্পিকার জানান, ১০১-৪২ ভোটে পাশ হয়েছে ওই প্রস্তাব। দলীয় মন্ত্রী-বিধায়কদের আচরণে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের একাংশও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিধায়ক বলেন, এলাকার মানুষ যখন ভোট দিয়ে আমাদের বিধানসভায় পাঠিয়েছে, তখন আমাদের উচিত বিধানসভার প্রতিটি নিয়মকানুন মেনে চলা। এ ক্ষেত্রে আমাদের মন্ত্রী-বিধায়করা যে আচরণ করেছেন, তা কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP MPs Resigned: সাংসদ পদে ইস্তফা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ বিজেপির ১০ জনের, তালিকায় কারা?

    BJP MPs Resigned: সাংসদ পদে ইস্তফা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ বিজেপির ১০ জনের, তালিকায় কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একে এক দশজন। চলছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এমতাবস্থায় আজ, বুধবার ইস্তফা দিলেন বিজেপির ওই সাংসদরা (BJP MPs Resigned)। মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কে কে বসবেন, তা নিয়ে বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তার পর এদিন সাংসদ পদে ইস্তফা দেন দশজন পদ্ম সাংসদ।

    ইস্তফা দিলেন কারা

    আগামী মার্চেই হতে পারে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই দশ সাংসদ পদত্যাগ করায় ওই আসনগুলিতে হতে পারে উপনির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের আগে সংসদে নতুন মুখ এনে চমক দিতে পারেন গেরুয়া নেতৃত্ব। এদিন যাঁরা সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে চলে আসছেন, তাঁরা হলেন— নরেন্দ্র সিং তোমার, প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল, রাকেশ সিং, উদয় প্রতাপ, রিতি পাঠক, অরুণ সাও, গোমতি সাই, রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, দিয়া কুমারি এবং কিরোদিলাল মিনা। এঁদের মধ্যে তোমর, প্যাটেল, পাঠক, সিং ও উদয় প্রতাপ মধ্যপ্রদেশের সাংসদ ছিলেন। ছত্তিসগড়ের সাংসদ ছিলেন সাও ও সাই। বাকি দুজন রাজস্থান থেকে সংসদে গিয়েছিলেন। বিজেপি সূত্রে খবর, দু-এক দিনের মধ্যেই ইস্তফা দেবেন রেণুকা সিং ও বালকনাথ সিং।

    কারা হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

    সদ্য (BJP MPs Resigned) সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড় এই তিন রাজ্যে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। সেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন বিজেপির এই দশ সাংসদও। রাজ্য নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় জাতীয় রাজনীতির ময়দান ছেড়ে তাঁরা এবার চলে এলেন রাজ্য-রাজনীতিতে। বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন যে এই সাংসদরা ইস্তফা দেবেন, তার চক-আউট তৈরি হয়ে গিয়েছিল মঙ্গলবারের বৈঠকে। এখানেই ঠিক হয়েছে বিজেপি যে তিন রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে, সেখানে কারা হবেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন যাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যেই কয়েকজনের নাম ভাসছে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে। সেই কারণেই এদিন ইস্তফা দিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: তিন রাজ্যে বিপুল ভোটে জয় বিজেপির, লোকসভা নির্বাচন ভরা বসন্তেই?

    নতুন বছরের মার্চ মাসে হতে পারে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ এনে বিরোধীদের মাত দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মন্ত্রীরা হবেন যেসব রাজ্যে বিজেপি দুর্বল, সেগুলি থেকে। তাতে গেরুয়ার কেন্দ্র জয় (BJP MPs Resigned) হবে আরও অনায়াস।

    কে যেন বলেছিলেন, আপ কি বার, মোদি সরকার!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: তিন রাজ্যে বিপুল ভোটে জয় বিজেপির, লোকসভা নির্বাচন ভরা বসন্তেই?

    Lok Sabha Election 2024: তিন রাজ্যে বিপুল ভোটে জয় বিজেপির, লোকসভা নির্বাচন ভরা বসন্তেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনা ছিলই। এবার বোধহয় সত্যি হতে চলেছে। নতুন বছরের মার্চ মাসেই হতে পারে লোকসভা নির্বাচন। ফেব্রুয়ারি-মার্চের প্রথমার্ধেই শেষ হয়ে যাবে বিভিন্ন পরীক্ষা। তার পর ভরা বসন্ত। সূত্রের খবর, এই বসন্ত সমীরণেই সাধারণ নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) করিয়ে নিতে চাইছে মোদি সরকার।

    গরম এড়াতেই এগোচ্ছে ভোট?

    সাধারণত লোকসভা নির্বাচন হয় এপ্রিলের কাঠফাটা গরমে। ভোটকর্মীদের পাশাপাশি হাঁসফাঁস গরমে ভোট দিতে গিয়ে ঘেমেনেয়ে একশা হন ভোটাররাও। সানস্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। সেই কারণেই মাসখানেক আগেই ভোট করিয়ে নিতে চাইছে সরকার। কেন্দ্রের এক মন্ত্রী বলেন, “গত বারের তুলনায় এক মাস এগিয়ে এনে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট ঘোষণা হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের হাতে আর মাত্র ৬০ দিনের মতো সময় থাকবে।”

    বাজেটের পরেই বাজবে ভোটের বাদ্যি

    আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধন। ১ ফেব্রুয়ারি পেশ হবে (Lok Sabha Election 2024) ভোট অন অ্যাকাউন্ট। এই বাজেট অধিবেশন চলবে পাঁচ-ছ দিন। বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য আয়করে ছাড় সহ একাধিক জনমুখী ঘোষণা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। রাজনৈতিক মহলের মতে, তার পরেই ভোটের বাদ্যি বাজিয়ে দিতে চাইছে মোদি সরকার। কারণ সেক্ষেত্রে এক ঢিলে দুই মারা যাবে। একদিকে যেমন, ‘স্ট্রাইক দ্য আয়রন, হোয়েন ইট ইজ হট’ এই আপ্তবাক্য বাস্তবায়িত করা যাবে, তেমনি ঘর গোছানোর সময় পাবেন না বিরোধীরা। কারণ সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়েছে তিন রাজ্যে। একটি রাজ্যের রাশ গিয়েছে কংগ্রেসের হাতে। তারপরেই ফাটল ধরেছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’র অন্দরে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে চাইছেন পদ্ম নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে নতুন মুখ বিজেপির?

    প্রসঙ্গত, উনিশের লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছিল ১০ মার্চ। ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। নির্বাচন হয়েছিল সাত দফায়। ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছিল ১৯ মে। ফল ঘোষণা হয় ২৩ মে। লোকসভা নির্বাচনে যে কেন্দ্রের কুর্সিতে ফের বিজেপিই আসতে চলেছে, সেকথা বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। সম্প্রতি তিন রাজ্যে বিপুল ভোটে বিজেপির জয়ের পর লোকসভায় ফের মোদি সরকার হচ্ছে বলে আশাবাদী বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও। এমতাবস্থায় নির্বাচন এগিয়ে এলে, আদতে যে লাভবান হবে পদ্ম শিবিরই, সে বিষয়ে (Lok Sabha Election 2024) দ্বিমত নেই বিরোধীদের মধ্যেও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে নতুন মুখ বিজেপির?

    PM Modi: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে নতুন মুখ বিজেপির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরানোর চেয়ে নতুন মুখেই ভরসা বেশি তাঁর। তাই গোবলয়ের যে তিন রাজ্যে উড়েছে বিজেপির বিজয় কেতন, সেই তিন রাজ্যেই এবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নতুন মুখকেই বেছে নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নতুন বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে হতে পারে লোকসভা নির্বাচন। সেকথা মাথায় রেখেই নতুন কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হতে পারে ওই তিন রাজ্যে।

    প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক

    এই রাজ্যগুলির কুর্সিতে কাকে বসানো হবে, তা নিয়ে বুধবার প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রবিবারই ফল ঘোষণা হয়েছে চার রাজ্যের। এর মধ্যে কেবল তেলঙ্গানা ছাড়া বাকি তিন রাজ্যের রশি গিয়েছে বিজেপির হাতে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ের কুর্সিতে কাকে বসানো হবে, তা নিয়েই চলছে ম্যারাথন বৈঠক। 

    মুখ্যমন্ত্রী পদে কে কে?

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার অনেকে।এঁদের মধ্যে রয়েছেন মরুরাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াও। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকেও বসানো হতে পারে ওই পদে। আবার রামচন্দ্রের বংশধর দিয়া কুমারিকেও বসানো হতে পারে ওই পদে। মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সিপি জোশীও। মধ্যপ্রদেশের কুর্সিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বসিয়ে চমক দিতে পারেন বিজেপির শীর্ষ (PM Modi) নেতৃত্ব। কংগ্রেসের মেরুদণ্ড ভাঙতে বসানো হতে পারে সোনিয়ার দলের প্রাক্তনী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন প্রহ্লাদ প্যাটেল এবং নরেন্দ্র সিং তোমারও।

    আরও পড়ুুন: মহাদেব বেটিং অ্যাপকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের বাবার দেহ উদ্ধারে রহস্য

    ছত্তিসগড়ের কুর্সিতে বসানো হতে পারে প্রাক্তন আইএএস আধিকারিক ওপি চৌধুরীকে। দৌড়ে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমণ সিংহ এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি অরুণকুমার সাউ-ও। এর আগে উত্তরপ্রদেশের কুর্সিতে যোগী আদিত্যনাথকে বসিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেবার কেউ ভাবতেই পারেননি, রাজনীতিতে আনকোরা নাথ সম্প্রদায়ের এই যোগীকেই বসানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। এবারও প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) তেমন কোনও চমক দিতে পারেন বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 2024 LS Polls: ১২ রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি, কংগ্রেস মাত্র তিনে! প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘হ্যাটট্রিক’ কি সময়ের অপেক্ষা?

    2024 LS Polls: ১২ রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি, কংগ্রেস মাত্র তিনে! প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘হ্যাটট্রিক’ কি সময়ের অপেক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (2024 LS Polls) কয়েক মাস আগে তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজয় নিশান উড়িয়ে দেশের রাজনৈতিক ময়দানে নিজদের কর্তৃত্ব প্রমাণ করেছে বিজেপি (BJP)। শুধু কথার কথা নয় তা। পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে ১২টিতেই শাসক বিজেপি। আরও চারটি রাজ্যে জোট বেঁধে শাসক শিবিরে রয়েছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেসের শাসিত রাজ্যের সংখ্যা মাত্র ৩— কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশ ও সদ্য জয় করা তেলঙ্গানা।

    কী বলছে পরিসংখ্যান

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের করা পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রে ক্ষমতায় প্রথমবার আসার পর কীভাবে ধীরে ধীরে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে গেরুয়া-ঝান্ডা। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলি দেশের মোট ভূমি এলাকার ৫৮ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার ৫৭ শতাংশ নিয়ে গঠিত। অন্যদিকে, বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি দেশের মোট ভূমি এলাকার ৪১ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ নিয়ে গঠিত।

    মোদির মুখে ‘হ্যাটট্রিক’ তত্ত্ব

    ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিজেপির (BJP) এই তিন রাজ্য যথা— মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিসগড় জয় লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় প্রভাব ফেলবে জনমানসে এবং রাজনৈতিক রণাঙ্গণে। ফলাফল বের হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেই দিয়েছেন, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে (2024 LS Polls) বিজেপি যে ‘হ্যাটট্রিক’ করতে চলেছে, তা নিশ্চিত করেছে বিধানসভা নির্বাচনে দলের এই ‘হ্যাটট্রিক’। তিন রাজ্যে দলের জয়কে সুশাসন ও স্বচ্ছতার প্রতিফলন হিসেবে তুলে ধরেন তিনি।

    অর্ধেক লোকসভা বিজেপির দখলে

    এই তিন রাজ্য জয়ের ফলে, লোকসভার নিরিখে ৫৪৩ আসনের প্রায় অর্ধেক বিজেপির (BJP) দখলে। ২০১৪ সালে, যখন প্রথমবার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদি, তখন দেশের কয়েকটি রাজ্যে শাসক ছিল বিজেপি। যার মধ্যে রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া ও ছত্তিসগড় অন্যতম। সেখানে থেকে বিজেপি ধীরে ধীরে নিজেদের জমি শক্ত করেছে এবং প্রসারিত করেছে। এখন একক-সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং জোট মিলিয়ে ১৬টি রাজ্যের শাসনে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদি হতে চলেছেন দেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদ ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী (2024 LS Polls)।

    উল্লেখযোগ্য উত্তর-পূর্বাঞ্চল

    তবে, বিজেপির (BJP) এই বিজয় যাত্রার অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক হল, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দলের নিশান প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হওয়া। ২০১৪ সালে, দেশের এই অংশে বিজেপির তেমন কোনও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু, এখন তিন রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে সরকার পরিচালনার দায়িত্বে বিজেপি। আরও তিন রাজ্যে জোট সরকার গড়ে ক্ষমতাসীন গেরুয়া-শিবির।

    ছন্নছাড়া বিরোধী শিবির

    একদিকে যখন বিজেপি (BJP) বাড়ছে, তখন বিরোধী শিবিরে ছন্নছাড়া দৃশ্য। একা না পেরে বিজেপির মোকাবিলা করতে ২৬ বিরোধী দল জোট বাঁধার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই, সেই জোটে চিড়। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে জোটের বৃহত্তম দল কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। তাতে গ্র্যান্ড-ওল্ড পার্টিকে খুবলোতে শুরু করেছে শরিক দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে, তারা করবে মোদির মোকাবিলা! ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে (2024 LS Polls) বিজেপির হ্যাটট্রিক যে হচ্ছেই, সত্যিই তা একপ্রকার নিশ্চিত। প্রধানমন্ত্রী তা বলেই দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gaumutra States Row: “গোমূত্র রাজ্যে জয়ী বিজেপি”, মন্তব্য ডিএমকের, “সনাতন ধর্মের অপমান”, বলছে বিজেপি

    Gaumutra States Row: “গোমূত্র রাজ্যে জয়ী বিজেপি”, মন্তব্য ডিএমকের, “সনাতন ধর্মের অপমান”, বলছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সনাতন ধর্মকে বেনজির আক্রমণ। এবারও কাঠগড়ায় সেই ডিএমকে। সনাতন ধর্মের অপমানের (Gaumutra States) জবাব দেবেন সাধারণ মানুষ, বলছে বিজেপি। সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দি বলয়ে চোখ ধাঁধানো ফল করেছে বিজেপি। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। তিন রাজ্যেই গোহারা হেরেছে কংগ্রেস।

    ইন্ডি জোটে রয়েছে ডিএমকে

    এই কংগ্রেস আবার বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত ইন্ডি জোটের প্রধান স্তম্ভ। এই জোটে রয়েছে ডিএমকেও। প্রত্যাশিতভাবেই বিজেপির জয়ে গায়ে ফোস্কা পড়ার জোগাড় ডিএমকের। আজ, মঙ্গলবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ডিএমকে সাংসদ সেন্থিলকুমার এস বলেন, “মূলত হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলিতে নির্বাচনে জেতে বিজেপি। যে রাজ্যগুলিকে আমরা গোমূত্র রাজ্য (Gaumutra States Row) হিসেবে বিবেচনা করি। তোমরা কোনওদিন দক্ষিণে আসতে পারবে না। ওখানে আমরা খুব শক্তিশালী।” তিনি বলেন, “আপনারা যদি ওই সব রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে চান, তবে আমরা অবাক হব না। একমাত্র এই উপায়ে রাজ্যগুলির ওপর প্রভাব খাটাতে পারবেন আপনারা। কারণ ওই রাজ্যগুলিতে সরাসরি ক্ষমতা দখলের স্বপ্নপূরণ হবে না আপনাদের।”

    কী বলছে বিজেপি?

    ডিএমকে সাংসদের এহেন মন্তব্যে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষি লেখি বলেন, “এটা সনাতন ধর্মের বড়সড় অপমান। যাঁরা দেশের মানুষের ভাবাবেগের সঙ্গে ছেলেখেলা করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে যোগ্য জবাব দেবেন সাধারণ মানুষ।” পদ্ম সাংসদ অন্নপূর্ণা দেবী বলেন, “বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তায় কষ্ট হচ্ছে বিরোধীদের। তাই বিকৃত মন্তব্য করা হচ্ছে।” এর আগেও একাধিকবার সনাতন ধর্মকে আক্রমণ শানিয়েছে ডিএমকে।

    সেপ্টেম্বর মাসেই স্ট্যালিন মন্ত্রিসভার সদস্য তথা জনপ্রিয় তামিল অভিনেতা উদয়নিধি চেন্নাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “সনাতন ধর্মের আদর্শকে মুছে ফেলার এই অনুষ্ঠানে আমায় আমন্ত্রণ জানানোয় উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাই। সনাতন ধর্মের আদর্শের বিরোধিতা না বলে তাকে নিশ্চিহ্ন করার কথা বলায় অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানাই।” তিনি বলেন, “আমাদের প্রথম কাজ হল বিরোধিতা নয়, সনাতন ধর্মের আদর্শকে মুছে ফেলা। এই সনাতন প্রথা সামাজিক ন্যায় ও সাম্যের বিরোধী। করোনা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির যেমন বিরোধিতা নয়, তাদের নিশ্চিহ্ন করা প্রয়োজন, তেমনই সনাতন ধর্মের আদর্শকেও মুছে ফেলা দরকার (Gaumutra States Row)।”

    আরও পড়ুুন: “হাইকোর্টে এক কথা, সুপ্রিম কোর্টে অন্যথা কেন?”, পর্ষদকে তোপ আদালতের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chinese Websites: জালিয়াতি রুখতে পদক্ষেপ কেন্দ্রের, ভারতে নিষিদ্ধ হচ্ছে শতাধিক চিনা ওয়েবসাইট

    Chinese Websites: জালিয়াতি রুখতে পদক্ষেপ কেন্দ্রের, ভারতে নিষিদ্ধ হচ্ছে শতাধিক চিনা ওয়েবসাইট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েবসাইট খুলে দিব্যি চলছিল জালিয়াতি কারবার। চিনে বসেই ভারত থেকে লুটে নেওয়া হচ্ছিল কোটি কোটি টাকা (Chinese Websites)। সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসেছিলেন সাধারণ মানুষ। ভারত থেকে অবৈধভাবে লুটে নেওয়া টাকায় ফুলেফেঁপে উঠছিলেন ওয়েবসাইটগুলির চিনা মালিকরা। ঘটনাটি নজরে আসতেই দুর্নীতির মূলে কুঠারাঘাত করল কেন্দ্র।

    ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু

    ড্রাগনের দেশের লুটেরাদের খপ্পর থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে ১০০টিরও বেশি বিনিয়োগ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করল নয়াদিল্লি। জানা গিয়েছে, এই বিনিয়োগ কেলেঙ্কারির সাইটগুলির মুখ ভারতীয়। তবে হাত ফের হয়ে লুটে নেওয়া অর্থ পৌঁছে যায় ওয়েবসাইগুলির (Chinese Websites) চিনা মালিকদের কাছে। এই সাইটগুলি ব্লক করতে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রের মতে, এই অ্যাপগুলি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছিল।

    অনলাইন প্রতারণা থেকে বাঁচতে কী করবেন? 

    কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন এই জালিয়াতি থেকে? প্রথমত, বিশ্বস্ত অ্যাপ ছাড়া অপরিচিত কোনও অ্যাপ ব্যবহার করবেন না। কেন্দ্রীয় সাইবার নিরাপত্তা সার্ট-ইন সংস্থার ‘ফ্রড অ্যালার্ট’, এসসিএসএপি-র ‘এমসেফ’ বা ‘অ্যান্টি-ফিশিং অ্যাপ’ ইনস্টল করুন। এই অ্যাপগুলি আপনাকে নিয়মিত সতর্ক করবে। দ্বিতীয়ত, ব্যক্তিগত তথ্য যত সম্ভব কম শেয়ার করুন। ফোন নম্বর, ইমেল অ্যাড্রেস এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মতো বিষয় শেয়ার করবেন না।

    তৃতীয়ত, সন্দেহজনক কোনও ইমেল এবং মেসেজ যেগুলো আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চায়, সেসব ইমেল ও মেসেজ এড়িয়ে চলুন। চতুর্থত, বিশ্বস্ত সোর্স যেমন, অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোরগুলি থেকেই ডাউনলোড করুন। আনভেরিফায়েড ওয়েবসাইটগুলি কখনওই ডাউনলোড করবেন না। পঞ্চমত, সফ্টওয়্যার আপডেট নিয়মিত মেনটেন করুন। এটা আপনার নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করবে। সর্বোপরি, উপযুক্ত ভেরিফিকেশন না করে কখনওই অনলাইনে কাউকে পেমেন্ট করবেন না (Chinese Websites)। 

    আরও পড়ুুন: মমতা-নীতীশদের অনুপস্থিতির জের! শরিক-ঘোঁটে ভেস্তে গেল ইন্ডি-জোটের বৈঠক?

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে ভারত সরকার ২৫০টির মতো চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। এই অ্যাপগুলি ভারতের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার পক্ষে ক্ষতিকর ছিল। এবার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে আরও শতাধিক চিনা অ্যাপ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: “হাইকোর্টে এক কথা, সুপ্রিম কোর্টে অন্যথা কেন?”, পর্ষদকে তোপ আদালতের

    Calcutta High Court: “হাইকোর্টে এক কথা, সুপ্রিম কোর্টে অন্যথা কেন?”, পর্ষদকে তোপ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে এক কথা, আর সুপ্রিম কোর্টে অন্য কথা কেন?” মঙ্গলবার নিয়োগ কেলেঙ্কারির শুনানির প্রথম দিনই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের তোপের মুখে পড়ল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পর্ষদ কেন হাইকোর্টে ও সুপ্রিম কোর্টে দুরকম কথা বলছে, তা পরিষ্কার করে জানাতে হবে। এ ব্যাপারে এক সপ্তাহের মধ্যে পর্ষদকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নির্দেশ, বোর্ড মিটিং করে সাত দিনের মধ্যে গোটা বিষয়টি জানাতে হবে কমিশনকে।

    কমিশনের দ্বিচারিতা 

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় দ্রুত তদন্ত শেষ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নিয়োগ সংক্রান্ত সব মামলাও ফেরত পাঠিয়েছে হাইকোর্টে। মামলার নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ বেঞ্চও গঠন করেছে হাইকোর্ট। এই বেঞ্চের তরফেই এদিন প্রশ্ন তোলা হয়েছে পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে। নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত (Calcutta High Court) মামলাটির মূল মামলাকারী লক্ষ্মী তুঙ্গা, সাবিনা ইয়াসমিন ও সন্দীপ প্রসাদ। ওই মামলায় হাইকোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেআইনি চাকরিপ্রাপকদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করেছে। একই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের চাপে একাজ করতে বাধ্য হয়েছে তারা। এই মামলায়ই এদিন কমিশনের কাছে হাইকোর্ট জানতে চায়, নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে এক কথা, আর সুপ্রিম কোর্টে অন্য কথা কেন?

    কমিশনের দাবি

    কমিশনের দাবি, মামলাকারীরা প্রথমে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। চাকরি না পেয়ে মামলা করেছেন তাঁরা। তাই তাঁদের পরীক্ষায়ও বেনিয়ম হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, “একজন দুর্নীতির চেষ্টা করেছে বলে কি আপনারাও দুর্নীতির ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন?” এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, এই সব মামলায় রাজ্যকে পার্টি না করেই এক তরফাভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই এই মামলা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “যদি সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়, তাহলে অনেক যোগ্য প্রার্থীও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাঁদেরও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জনগণের টাকা (Calcutta High Court) কেন এভাবে নষ্ট হবে?”

    আরও পড়ুুন: ‘‘আমি মাস্টারমাইন্ড নই’’, দাবি কেষ্টর, ‘‘পুলিশ ওনার পকেটে’’, পাল্টা সিবিআই

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

       

  • PM Narendra Modi: ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে’র দিনেই প্রাইমারি টেট! ক্ষোভ জমছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও

    PM Narendra Modi: ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে’র দিনেই প্রাইমারি টেট! ক্ষোভ জমছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক ছিল প্রাইমারি টেট পরীক্ষা হবে ১০ ডিসেম্বর। পরীক্ষা যখন দোরগোড়ায়, তখনই কোনও কারণ ছাড়াই বদলে দেওয়া হল টেট পরীক্ষার দিন! পরীক্ষা হবে ২৪ ডিসেম্বর। ঘটনাচক্রে এদিনই ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠে’র আসরে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বিজেপির অভিযোগ, রাজনীতি করতেই পর্ষদ বেছে বেছে পরীক্ষার দিন ফেলেছে ২৪ ডিসেম্বর। গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে ব্যাঘাত ঘটাতেই এটা করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদেরও একাংশের বক্তব্য, বেছে বেছে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানের দিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার দিন ফেলে আদতে তাঁদেরই হেনস্থা করতে চাইছে রাজ্য সরকার।

    ২৪ ডিসেম্বর গীতাজয়ন্তী

    ২৪ ডিসেম্বর, রবিবার গীতাজয়ন্তী। দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে এ রাজ্যে এতদিন দিনটির বিশেষত্বের কথা জানতেন হাতে গোণা কয়েকজন। এবার অবশ্য হইচই পড়ে গিয়েছে এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে। এর প্রথম কারণ, এক লক্ষ মানুষ গীতা পাঠ করবেন সমবেত কণ্ঠে। আর দ্বিতীয়ত, অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তাই গীতা পাঠকদের পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠান চাক্ষুষ করতেও ভিড় করবেন প্রচুর মানুষ (PM Narendra Modi)। এঁদের মধ্যে ধর্মপ্রাণ মানুষ যেমন থাকবেন, তেমনি থাকবেন অনুসন্ধিৎসুরাও।

    সমস্যায় পড়তে পারেন পরীক্ষার্থীরা

    প্রধানমন্ত্রী শহরে আসবেন। তাই এদিন যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তার ওপর ব্রিগেডে এদিন ভিড় হবে লক্ষাধিক মানুষের। যেহেতু দিনটি রবিবার, তাই যানবাহন চলে কম। এই জোড়া ফলায় সমস্যায় পড়তে পারেন টেট পরীক্ষার্থীরা। বিশেষত, এদিন যাঁরা পরীক্ষা দিতে আসবেন কলকাতায়। তাছাড়া যাঁরা পরীক্ষা দেবেন, তাঁদের অনেকেই বঞ্চিত হবেন এই মহতী অনুষ্ঠানের সাক্ষী হওয়া থেকে। তাই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে পরীক্ষার্থীদেরও একাংশের মধ্যে। যেহেতু অনেক আগে থেকেই লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করেছেন উদ্যোক্তারা, প্রস্তুতিও শেষের পথে, তাই অনুষ্ঠানের দিন বদল করতে রাজি নন তাঁরা। এদিকে, রাজ্য সরকারও ওই দিনেই পরীক্ষা নিতে বদ্ধপরিকর। স্বাভাবিকভাবেই যার খেসারত দিতে হতে পারে পরীক্ষার্থীদের।

    আরও পড়ুুন: কংগ্রেস হারতেই বেসুরো মমতা, ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন

    সংগঠনের সহ-সভাপতি রিষড়া প্রেম মন্দিরের সন্ন্যাসী নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারি বলেন, “অনেক আগে থেকে আমাদের কর্মসূচি ঠিক করা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) যে আসবেন, সেটাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তাই আমাদের পক্ষে দিন বদল করা সম্ভব নয়।” বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এ রাজ্যের শাসক দল ও মুখ্যমন্ত্রী যে সনাতন ধর্ম বিরোধী, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়ে সনাতন ধর্মের একটি কর্মসূচির দিনের করাটা, তাঁর সেই মনোভাবেরই পরিচায়ক।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share