Tag: news in bengali

news in bengali

  • ICC CWC 2023 Final: মোতেরার মন্থর পিচে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখল ভারত

    ICC CWC 2023 Final: মোতেরার মন্থর পিচে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের ফাইনালে (ICC CWC 2023 Final) অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখল ভারত (India vs Australia World Cup Final)। এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। নির্ধারিত সময়ে মাত্র ২৪০ রান তুলতে সক্ষম হয় রোহিত বাহিনী। এদিন ভারতের হয়ে ব্যাটে অবদান রেখেছেন বিরাট কোহলি ও কেএল রাহুল। বিরাট করেন ৫৪ রান। রাহুল করেন ৬৬ রান। এছাড়া উল্লেখযোগ্য অবদান বলতে অধিনায়ক রোহিত শর্মার ৪৭। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে তিন উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। দুটি করে উইকেট নেন জশ হ্যাজেলউড ও প্যাট কামিন্স। একটি করে উইকেট নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যাডাম জাম্পা। যত সময় গড়াচ্ছে, পিচ মন্থর হচ্ছে। এই পুঁজি নিয়ে কি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবে ভারত? গোটা টুর্নামেন্টের মতো, আজও কি জ্বলে উঠবেন শামি-বুমরারা? পিচে কি ভেলকি দেখাতে পারবেন কুলদীপ-জাডেজা?

    এদিন শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল (ICC CWC 2023 Final)। ৪ ওভারে ৩০ রান উঠে গিয়েছিল। কিন্তু, তার পরেই ঘটে ছন্দপতন। ব্যক্তিগত ৪ রান করে আউট হন শুভমান। গুজরাট তাঁর দ্বিতীয় ঘর। কারণ, আইপিএলে গুজরাট লায়ন্সের হয়ে খেলেন ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন যুবরাজ। তবে, এদিন তিনি ব্যর্থ হন। এরপর এক অবিশ্বাস্য ক্যাচে ম্যান্ডাটরি পাওয়ার প্লে-র শেষ লগ্নে ফেরেন রোহিত। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে সময়ের হেরফের ঘটে রোহিতের শটে। বল কভার অঞ্চলের ওপর উঠে যায়। পিছনে দৌড়ে দুরস্ত ক্যাচ ধরেন ট্র্যাভিস হেড।

    ৪৭ রান কের রোহিত আউট হন দশম ওভারে। তাঁর জায়গায় আসেন শ্রেয়স আইয়ার। গত ২ ম্যাচে দুরন্ত ছন্দ দেখান শ্রেয়স। পর পর ২ ম্যাচে শতরান করলেও তিনিও এদিন ব্যর্থ হন। মাত্র ৪ রান করেই ফিরে যান শ্রেয়স। ৮১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ভারত তখন ব্যাকফুটে। সেখান থেকে ইনিংস পুনর্গঠন করার কাজে মন দেন বিরাট কোহলি ও কেএল রাহুল। পিচ ধীরগতির ছিল। ব্যাটে বল আসছিল না। এই সময় ভারতের রানের গতিও অনেকটাই স্লথ হয়ে গিয়েছিল। তবে, দুই ব্যাটারের লক্ষ্য ছিল, একটা সময় পর্যন্ত উইকেটে টিকে থাকা। এক-দুই করে রান নিয়ে স্কোরবোর্ডকে সচল রাখার কাজটাই করেছিলেন কোহলি ও রাহুল (India vs Australia World Cup Final)। পরের ১৮ ওভারে ধরে ধরে খেলেন দুই ব্যাটার। এই সময় ওঠে ৬৩ রান।

    কিন্তু, ২৯ ওভারে ফের ছন্দপতন। ১ লক্ষ ৩০ হাজার নীল ঢেউ তোলা গোটা স্টেডিয়ামকে (ICC CWC 2023 Final) স্তব্ধ করে ব্যক্তিগত ৫৪ রান করে ফিরে যান কোহলি। কামিন্সের বল তাঁর ব্যাটে ছুঁয়ে উইকেট গিয়ে লাগে। বিশ্বাস করতে পারেননি কোহলিও। খানিক থমকে দাঁড়িয়ে পড়েন।  বিরাট ফেরত যাওয়ার পর ক্রিজে আসেন রবীন্দ্র জাডেজা। সূর্যকুমার যাদবের আগে জাডেজাকে পাঠানো হয়। কিন্তু, তিনিও রাহুলকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন। ৯ রান করেই ফিরে যান তিনি। রাহুল-জাডেজার পঞ্চম উইকেটে ওঠে ৩০ রান (India vs Australia World Cup Final)। অনেকেই মনে করেছিলেন রাহুল আজ পরের দিকে ধুন্ধুমার খেলবেন। কিন্তু, অস্ট্রেলিয়া বোলাররা ক্রমাগত গতির তারতম্য ঘটাচ্ছিলেন। অবেশেষে ব্যক্তিগত ৬৬ রান করে ৪২ ওভারে আউট হন রাহুল। এর পর ভারতের ব্যাটিংয়ের শেষ ভরসা ছিলেন সূর্যকুমার। কিন্তু, তিনি কিছু করে উঠতে পারেননি। রান করার তাড়ায় শেষ লগ্নে তিনিও মাত্র ১৮ রান করেই আউট হন। এর বাইরে আর ভারতের ব্যাটিংয়ে কোনও কিছুই উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না।

    এখন ম্যাচের ভাগ্য নির্ভর করছে ভারতীয় বোলারদের ওপর। ব্যাটাররা অর্ধেক কাজ করেছেন। বাকি অর্ধেক দায়িত্ব পালন করতে হবে শামি-বুমরা-সিরাজ পেস ত্রয়ীকে। মোতেরার মন্থর পিচে স্পিনের ভেলকি কি দেখাতে পারবেন কুলদীপ-জাডেজা? সেটাই দেখার অপেক্ষায় তামাম ভারতবাসী। শুধু মাঠে উপস্থিত ১ লক্ষ ৩০ হাজার নয়, গোটা দেশের ১৪০ কোটি ভারতবাসীও তাঁদের হয়ে প্রার্থনা করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amherst Street PS: ‘‘তৃণমূল বলে কিছু নেই, পুলিশও কন্ট্রোলে নেই’’! থানায় যুবকের মৃত্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ

    Amherst Street PS: ‘‘তৃণমূল বলে কিছু নেই, পুলিশও কন্ট্রোলে নেই’’! থানায় যুবকের মৃত্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পুলিশ লক-আপে মৃত্যু ঘিরে উত্তাল শহর কলকাতা। থানার মধ্যে পিটিয়ে এক ব্যক্তিকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার (Amherst Street PS) পুলিশের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ ঘিরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃতের পরিবার। দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ওঠে সিবিআই তদন্তের দাবি। এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনকে তুলোধনা করেছে বিজেপি। থানার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবি তুলেছে বিরোধীরা। এর পরই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। ঘটনার সময় থানায় কর্মরত পুলিশকর্মীদের নামের তালিকা তৈরি করেছে লালবাজার।

    চোরাই ফোন কেনায় থানায় জিজ্ঞাসাবাদ

    জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম অশোক সিং। বুধবার, ফোন চুরির একটি তদন্তে ওই ব্যক্তিকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। মৃতের পরিবারের দাবি, সম্প্রতি ২০০ টাকা দিয়ে একটি ফোন কিনেছিলেন অশোক। সেই নিয়ে থানা (Amherst Street PS) থেকে ফোন করা হয় তাঁকে। বলা হয়, ফোনটি চুরির ফোন। গতকাল থানায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। সেই সময় বছর বেয়াল্লিশের অশোকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, থানার ভেতরে অশেককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। যদিও পুলিশের পাল্টা দাবি, ওই ব্যক্তি আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

    কী জানাচ্ছে মৃতের পরিবার?

    পরিবার সূত্রে খবর, বিকেল পাঁচটা নাগাদ আমহার্স্ট স্ট্রিট (Amherst Street PS) থানায় যান অশোক। কিছু ক্ষণ পরই থানায় পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে থানার মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর পরিবারের লোকজন। মৃতের মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল বলেও অভিযোগ। পুলিশের তরফেই মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অশোককে মৃত (Death In Police Station) বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরিবারের প্রশ্ন, থানায় ঢোকার আগে পর্যন্ত দিব্যি সুস্থ ছিলেন অশোক। ভিতরে ঢুকে কী করে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন তিনি? অশোকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ চলে। তাঁদের দাবি, ঘটনার সিবিআই তদন্ত হলেই প্রকৃত সত্য সামনে আসবে।

    ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। আমহার্স্ট স্ট্রিট (Amherst Street PS) থানার ওসি সহ ডিউটিরত পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করে অবিলম্বে হেফাজতে নেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। রাতে থানার সমানে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কাউন্সিলার সজল ঘোষ। তাঁর আরও দাবি, মৃত অশোক কুমার সিংয়ের দেহের ময়নাতদন্ত রাজ্য সরকারের কোনও হাসপাতালে না করে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত যে কোনও হাসপাতালে করতে হবে৷ তাঁর দাবি কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তা জানার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷

    রাজ্য প্রশাসনকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

    আমহার্স্ট স্ট্রিট (Amherst Street PS) থানার ঘটনায় রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার সকালে, নিউটাউনে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে পুলিশের কাজকর্ম ক্রমশ খুব বিতর্কিত হয়ে যাচ্ছে। এমনিতেই পুলিশকে নিয়ে চিন্তা আছে। সিপিএম আমলে পুলিশকে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন গোটাটাই পুলিশ করছে। তৃণমূল পার্টি বলে কিছু নেই। পুলিশ টাকা তুলে দিচ্ছে। বিরোধীদের ঠান্ডা করছে। ফলে তাদের ওপর কোনও কন্ট্রোল নেই। যেখানে গণপ্রহারে লোক মরছে সেখানে পুলিশের দেখা নেই। যেখানে গুলি চলছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছে। ঘরবাড়িতে আগুন লাগানো হচ্ছে, পুলিশ নির্বিকার।  আর এখানে, কার মোবাইল চুরি হয়েছে, কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই লোককে ডেকে থানায় পিটিয়ে মেরে (Death In Police Station) ফেলা হচ্ছে। এর পিছনে কী রহস্য? তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। মানুষ ভয়ে আছে। দুষ্কৃতীদের থেকে বাঁচতে মানুষ পুলিশের কাছে যায়। পুলিশ যদি এরকম অত্যাচার করে, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে?’’

    খতিয়ে দেখছে লালবাজার

    এদিকে, এই ঘটনায় খতিয়ে দেখছেন কলকাতা পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক৷ এছাড়া ওই ঘটনার সময় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার (Amherst Street PS) অফিসার ইনচার্জ এবং অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জ-সহ যে ক’জন পুলিশকর্মী থানায় উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করেছে লালবাজার৷ তাঁদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করবেন পুলিশ কর্তারা৷ ওই ব্যক্তিকে থানায় ডেকে কীভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল এবং থানায় ডাকার যে আইনি নিয়ম রয়েছে, তা এক্ষেত্রে মানা হয়েছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছেন লালবাজারের তদন্তকারী আধিকারিকরা (Death In Police Station)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Vs Netherlands: টসে জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত রোহিতের, ভারতীয় দল অপরিবর্তিত

    India Vs Netherlands: টসে জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত রোহিতের, ভারতীয় দল অপরিবর্তিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচেও পূর্ণ শক্তি নিয়ে নামল ভারত। সুযোগ থাকলেও, পরিবর্তনের পন্থা অবলম্বন করল না ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাননি অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এর থেকেই একটা বিষয় পরিষ্কার। তা হল, এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে কোনও প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে যেতে নারাজ দল। আগামী ১৫ নভেম্বর মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে টিম ইন্ডিয়া। তার আগে তাঁরা যাতে প্রয়োজনীয় ম্যাচ প্র্যাকটিস পেয়ে যান, সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে টিম ইন্ডিয়া। 

    কী বললেন রোহিত

    এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক। সেই সময় তিনি বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তের কোনও বিশেষ কারণ নেই। এই প্রতিযোগিতায় আমরা প্রথম ব্যাট করেও জিতেছি। আবার প্রথমে বল করেও জিতেছি। বেঙ্গালুরুতে রান হয়। প্রথমে ব্যাট করে বড় রান করতে চাইছি আমরা। আরও একটা সুযোগ পাচ্ছি ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং দেখে নেওয়ার।’’

    ভারতীয় একাদশ— রোহিত শর্মা (অভিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আয়ার, লোকেশ রাহুল, সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাডেজা, জসপ্রিত বুমরা, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ।

    নেদারল্যান্ডস প্রথম একাদশ: ওয়েসলি বারেসি, ম্যাক্স ও’ডাউড, কলিন অ্যাকারম্যান, সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেট, স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), ব্যাস ডি লিড, তেজা নিদামানুরু, লগান ভ্যান বিক, ভ্যান ডার মারউই, আরিয়ান দত্ত, পল ভ্যান মিকেন।

    কোথায়, কখন হবে ম্যাচ? কীভাবে দেখবেন?

    আজ বিশ্বকাপের (ICC CWC 2023) শেষ গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে মুখোমুখি ভারত বনাম নেদারল্যান্ডস। ম্যাচটি (India Vs Netherlands) হচ্ছে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। ম্যাচের লাইভ টেলিকাস্ট দেখা যাচ্ছে স্টার স্পোর্টস চ্যানেলে এবং লাইভ স্ট্রিমিং দেখা যাচ্ছে ডিজনি প্লাস হটস্টার অ্যাপে। 

     

  • India Vs Netherlands: লক্ষ্য সেমিফাইনাল, আজ ডাচদের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচে বিশ্রামে শুভমান, বুমরা?

    India Vs Netherlands: লক্ষ্য সেমিফাইনাল, আজ ডাচদের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচে বিশ্রামে শুভমান, বুমরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপে (ICC CWC 2023) অপ্রতিরোধ্য রোহিত শর্মার ভারত। এখনও পর্যন্ত গ্রুপ পর্যায়ের ৮টি ম্যাচ খেলে ৮টিতেই জয়ী টিম ইন্ডিয়া। শুধু তাই নয়, চলতি বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালের জায়গা পাকা করেছে মেন ইন ব্লু। আজ, দীপাবলির দুপুরে গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচ (India Vs Netherlands) খেলতে নামছেন রোহিতরা।

    একদিকে, জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার দিকেও যেমন নজর থাকবে ভারতের, ঠিক তেমনই গুরুত্বপূর্ণ হলো সেমিফাইনালের আগে দলের সতেজ থাকা। যে কারণে, আজ বেঙ্গালুরুতে ডাচদের (India Vs Netherlands) বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচে হয়ত একাধিক বদল করতে পারে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। অন্তত এমনই একটা ইঙ্গিত গতকালই দিয়ে রেখেছিলেন ভারতের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়।

    একাধিক ক্রিকেটারকে বিশ্রাম?

    ভারতীয় শিবির সূত্রে খবর, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মহা-গুরুত্বপূর্ণ সেমিফাইনালের (ICC CWC 2023) আগে দলের কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়া যেতে পারে। যা জানা যাচ্ছে, এদিনের ম্যাচে (India Vs Netherlands) তিনটি বদল হতে পারে। বিশ্রাম দেওয়া যেতে পারে শুভমান গিল, রবীন্দ্র জাডেজা ও জসপ্রিত বুমরাকে। সেই জায়গায় বেঞ্চের কিছু ক্রিকেটারকে খেলিয়ে দেখে নিতে পারেন রোহিতরা। প্রথম একাদশে আসতে পারেন ঈষাণ কিসান, শার্দূল ঠাকুর ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ

    রোহিত শর্মা (অভিনায়ক), ঈষাণ কিসান, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আয়ার, লোকেশ রাহুল, সূর্যকুমার যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, শার্দূল ঠাকুর, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ।

    কোথায়, কখন হবে ম্যাচ? কীভাবে দেখবেন?

    আজ বিশ্বকাপের (ICC CWC 2023) শেষ গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে মুখোমুখি ভারত বনাম নেদারল্যান্ডস। ম্যাচটি (India Vs Netherlands) হবে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। ম্যাচ শুরু হবে দুপুর ২টো নাগাদ। তার আগে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ টস হবে। ম্যাচের লাইভ টেলিকাস্ট দেখা যাবে স্টার স্পোর্টস চ্যানেলে এবং লাইভ স্ট্রিমিং দেখা যাবে ডিজনি প্লাস হটস্টার অ্যাপে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: ধর্মীয় বিশ্বাস, নাকি বিজ্ঞানসম্মত? কেন কালীপুজোর আগের দিন ‘চোদ্দ শাক’ খাওয়া হয়?

    Kali Puja 2023: ধর্মীয় বিশ্বাস, নাকি বিজ্ঞানসম্মত? কেন কালীপুজোর আগের দিন ‘চোদ্দ শাক’ খাওয়া হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। তবে, বাঙালিদের যে কোনও উৎসব বা পার্বনে একটা বিষয় থাকবেই। তা হল, যে কোনও উৎসবে ওতঃপ্রোতভাবে জড়িত খাওয়া-দাওয়ার আচার। এটাই যে কোনও উৎসবের পাওনা। যেমন, সরস্বতী পুজোর পরদিন গোটা সেদ্ধ খাওয়ার প্রথা রয়েছে অধিকাংশ বাড়িতে। আবার কিছু ব্রত রয়েছে, যেখানে গৃহস্থ কর্ত্রীরা শুধুমাত্র ময়দার তৈরি খাবার খান। প্রতিটি খাওয়া-দাওয়ার আচার, পরিবার এবং স্বজনদের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যেই পালিত হয়।

    নেপথ্যে রয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস

    রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে কালীপুজো ও দীপান্বিতা উৎসব। জানেন কি, আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অর্থাৎ কালীপুজোর আগের দিন অনেক বাড়িতেই চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে? এখন প্রশ্ন হল, চোদ্দ শাক খাওয়ার এই আচারের পিছনে কোন ধর্মীয় বিশ্বাস কাজ করছে? কথিত আছে, মৃত্যুর পরে মানুষ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর এই বিশেষ দিনেই নাকি পূর্ব পুরুষদের আগমন ঘটে মর্ত্যলোকে। হিন্দু শাস্ত্রমতে, আকাশ, জল, বায়ু, অগ্নি, মাটি—প্রকৃতির এই পাঁচ উপাদানের মধ্যেই ছড়িয়ে রয়েছেন আমাদের পিতৃপুরুষরা। বিশ্বাস মতে, চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি পালনের মধ্যে দিয়েই তাঁদের ছুঁয়ে থাকা যায়। 

    অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা চোদ্দ রকম শাক জলে ধুয়ে, সেই জল বাড়ির চারদিকে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পূর্বের সাত পুরুষকে উৎসর্গ করে পরবর্তী সাত পুরুষের জন্য খাওয়া হয় শাক। তাই মোট চোদ্দ রকমের শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এই শাকগুলি হল, জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, পলতা, শুলকা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী।

    রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও…

    এই প্রচলিত রীতিগুলোর পিছনে বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে বলে অনেকের ধারণা। এদেশের সমস্ত আচার এবং অনুষ্ঠান বিজ্ঞানসম্মত হয় এবং প্রকৃতির সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়। শরৎকালের শেষ এবং হেমন্তকালে শুরুতে অনেক রকমের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ শাক দেয় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এই চোদ্দ রকমের শাকগুলোর কী কী গুণ রয়েছে। 

    জয়ন্তী—উদরাময়, জ্বর, বহুমূত্র নিয়ন্ত্রণ করে।
    শাঞ্চে—রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
    হিংচে—পিত্তনাশক।
    ওল—অর্শ, রক্ত আমাশা, বাত, চর্মরোগ কমায়।
    পুঁই—হজমে সহায়ক।
    বেতো—কৃমিনাশক।
    সর্ষে—যকৃৎ, চোখ যত্নে রাখে।
    কালকাসুন্দে—অর্শ, কাশি দূর করে।
    নিম—যে কোনও চর্মরোগ নাশ করে।
    পলতা—শ্বাসযন্ত্র ভালো রাখে।
    শুলকা—হৃদ্‌যন্ত্র ভালো রাখে।
    গুলঞ্চ—উচ্চ রক্তচাপ, যকৃৎ যত্নে রাখে।
    ভাঁটপাতা—ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক।
    শুষণী—স্মৃতিবর্ধক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ৬ হাজার পাতার নথি দিয়ে এক-ঘণ্টা পর ইডি দফতর ছাড়লেন অভিষেক

    Abhishek Banerjee: ৬ হাজার পাতার নথি দিয়ে এক-ঘণ্টা পর ইডি দফতর ছাড়লেন অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৬ হাজার পাতার নথিপত্র জমা দিয়ে এদিনের মতো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতর ছাড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন ১১ টা নাগাদ তৃণমূল সাংসদকে সল্ট লেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সংস্থার দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছিল। তদন্তকারী আধিকারিকের সামনে বেশ কিছু নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁকে। সেই মতো, এদিন অভিষেক সকাল ১১টা ৫ মিনিটে হাজির হন ইডি দফতরে। ১২টার কয়েক মিনিট অতিক্রান্ত হওয়ার তিনি ইডি দফতর ছেড়ে বেরিয়ে যান। জানা গিয়েছে, আজ শুধু নথি জমা করেছেন অভিষেক। তাঁকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।

    পোশাকে বদল অভিষেকের

    বৃহস্পতিবার অভিষেকের (Abhishek Banerjee) পোশাকে খানিক বদল লক্ষ্য করা গিয়েছে। এতদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় অভিষেককে কালো শার্ট বা টিশার্টে দেখা যেত। কিন্তু খানিক ছক ভেঙে এদিন সাদা শার্টেই সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। নিছকই কি রঙ বদল না তিনি অন্য কিছু বোঝাতে চাইছেন? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। এদিন সকাল থেকেই বিধাননগর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরা সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ও ভিতরে দুটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রেখেছিলেন। সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকা ও বেরনোও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বাইরের সমস্ত গাড়ি কমপ্লেক্সের ভিতর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

    কবে কবে তলব কেন্দ্রীয় সংস্থার

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ৬ বার অভিষেককে (Abhishek Banerjee) তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০ মে, নবজোয়ার যাত্রার মধ্যেই অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে ডেকে পাঠায় সিবিআই। তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। এর পর, ১৩ জুন নবজোয়ার যাত্রার মধ্যেই অভিষেককে তলব করেছিল ইডি। সেবার তিনি যাননি। পরে, ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডি জোটের সমন্বয় বৈঠকের সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এর পর, ৩ অক্টোবর, দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্নার দিন ফের তলব করা হয় অভিষেককে। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তিনি হাজিরা দেননি। তার পর, ৯ অক্টোবর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের তলব করে ইডি। সেবারও তিনি হাজিরা দেননি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন মামলায় মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ! বিস্ফোরক দাবি নিশিকান্ত দুবের

    Mahua Moitra: ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন মামলায় মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ! বিস্ফোরক দাবি নিশিকান্ত দুবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে কি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? অন্তত এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এদিন এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে নিশিকান্ত লেখেন, ‘‘আমার অভিযোগের ভিত্তিতে লোকপাল আজ জাতীয় সুরক্ষার বিনিময়ে দুর্নীতি করার অভিযোগে সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।’’

    বিজেপি সাংসদ অভিযোগ করেন, দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির থেকে অর্থ ও উপহার নিয়ে (Cash For Query Row) তাঁর হয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করা এবং হীরানন্দানিদের ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সওয়াল করেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ (Mahua Moitra)। বিজেপি সাংসদের আরও অভিযোগ, সংসদের ওয়েবসাইটে নিজের লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দর্শন হীরানন্দানিকে দিয়ে তিনি জাতীয় সুরক্ষাকে বিপদের মুখে ফেলেছেন মহুয়া। এই ঘটনায়  প্রথম থেকেই মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছিল।

    আরও পড়ুন: এবার মহুয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন ‘প্রেমিক’ জয়ের, কী জানালেন থানায়?

    এই একই অভিযোগ (Cash For Query Row) লিখিত আকারে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে করেন নিশিকান্ত। সেখানে মহুয়াকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করার দাবিও করেন বিজেপি সাংসদ। নিশিকান্তের অভিযোগের ভিত্তিতে মহুয়া-বিতর্ককে পাঠানো হয় সংসদের স্থায়ী এথিক্স কমিটির কাছে। সেই কমিটি তৃণমূল সাংসদকে তলব করেছিল। সেখানে মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি কমিটির চেয়ারম্যান তথা অন্য সদস্যদের সঙ্গে অত্যন্ত আপত্তিজনক কথা বলেন। এই দাবি করেন ওই কমিটিরই সদস্যা অপরাজিতা সারঙ্গি। এর আগে, কমিটি নিশিকান্ত দুবে ও মহুয়া মৈত্রর প্রাক্তন প্রেমিক তথা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অনন্ত দেহাদ্রাইয়ের সঙ্গেও কথা বলে। মহুয়াকে নিয়ে এথিক্স কমিটির সুপারিশ এখনও জমা পড়েনি লোকসভার স্পিকারের কাছে। সম্ভবত, আগামিকাল, বৃহস্পতিবার এই কমিটির বৈঠকে তা চূড়ান্ত হবে। তার আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দিল লোকপাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের অভিষেককে তলব ইডি-র, বৃহস্পতিবারই হাজিরার নির্দেশ

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের অভিষেককে তলব ইডি-র, বৃহস্পতিবারই হাজিরার নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো মিটতেই ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে ফের একাবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ED Summons Abhishek Banerjee)। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, তৃণমূল সাংসদকে সিজিওতে হাজির হতে বলা হয়েছে। এই নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দ্বিতীয়বার তলব করল ইডি।

    গতবার তলব সত্ত্বেও জাননি

    ঠিক একমাস আগে, অর্থাৎ, ৯ অক্টোবর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) অভিষেককে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি (ED Summons Abhishek Banerjee)। একইসঙ্গে, তলব করা হয়েছিল সাংসদ-পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, অভিষেকের বাবা-মা যথাক্রমে অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও লতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়কে। রুজিরা ও সুমিত হাজিরা দিলেও দেননি অভিষেক কিংবা তাঁর বাবা-মা। উল্টে, ইডি-র নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেলে, হাইকোর্ট অভিষেককে সম্পত্তির নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মতো, ১০ অক্টোবর সিজিও দফতরে নথি জমা করেন অভিষেক।

    হাজিরা দেবেন কি অভিষেক?

    এর পর পুজোর ছুটি পড়ে যায়। এখন সেই আবহ মিটতেই, নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইডি। সেই প্রেক্ষিতে, অভিষেককে পাঠানো হয়েছে তলবের নোটিশ (ED Summons Abhishek Banerjee)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদকে সিজিওতে হাজির হতে বলা হয়েছে। এদিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, অভিষেক সময় মতো ওইদিন ইডি দফতরে যাবেন। 

    কবে কবে তলব কেন্দ্রীয় সংস্থার

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ৬ বার অভিষেককে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০ মে, নবজোয়ার যাত্রার মধ্যেই অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে ডেকে পাঠায় সিবিআই। তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। এর পর, ১৩ জুন নবজোয়ার যাত্রার মধ্যেই অভিষেককে তলব করেছিল ইডি। সেবার তিনি যাননি। পরে, ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডি জোটের সমন্বয় বৈঠকের সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এর পর, ৩ অক্টোবর, দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্নার দিন ফের তলব করা হয় অভিষেককে। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তিনি হাজিরা দেননি। তার পর, ৯ অক্টোবর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের তলব করে ইডি (ED Summons Abhishek Banerjee)। সেবারও তিনি হাজিরা দেননি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: দীপাবলির আগে রাজ্যকে উপহার মোদির! প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি বরাদ্দ ঘোষণা কেন্দ্রের

    Narendra Modi: দীপাবলির আগে রাজ্যকে উপহার মোদির! প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি বরাদ্দ ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির আগে রাজ্যের জন্য ‘উপহার’ পাঠালেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বাংলার জন্য বরাদ্দ করা হলো প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা (Central Fund For Bengal)। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে।

    রাজ্যকে ‘উপহার’ মোদির

    মঙ্গলবারই নভেম্বর মাসের ট্যাক্স ডিভ্যালুয়েশনের টাকা বরাদ্দ করেছে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার। দেশের মোট ২৮টি রাজ্যের জন্য বরাদ্দ বরাদ্দ মঞ্জুর করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। সব মিলিয়ে ২৮টি রাজ্যের জন্য ৭৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে, রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা (Central Fund For Bengal)। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১০ নভেম্বরের পরিবর্তে দেশের বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে নভেম্বর মাসের জন্য ট্যাক্স ডিভোলিউশনের প্রাপ্য অর্থ ৭ নভেম্বরই দিয়ে দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে মোদি সরকার।

    ব্যর্থতা ঢাকতে বঞ্চনার অভিযোগ

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে প্রায়ই সরব হতে দেখা যায় রাজ্যের শাসক দলকে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ দিয়ে যখন ক্রমাগত বিষোদগার করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা শেখানো বুলির মতো একই কথা বলেই চলেছেন। তা হলো— রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র, রাজ্যের বকেয়া দিচ্ছে না কেন্দ্র, রাজ্য কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার… ইত্যাদি। মোদি সরকার (Narendra Modi) যে রাজ্যের প্রাপ্য আটকে রাখে না, তার প্রমাণ মিলেছে আগেও। গত অগাস্ট মাসেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৬৫১ কোটি ১৪ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা (Central Fund For Bengal) পেয়েছিল বাংলা। আবারও মিলল মঙ্গলবার। 

    তৃণমূল জমানায় ঋণে জর্জরিত বাংলা

    এসব যে রাজ্যের শাসক দল নিজেদের ব্যর্থতা ও দুর্নীতি ঢাকতে করে চলেছে, তা এখন বুঝতে পারছেন রাজ্যবাসী। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল জমানায় রাজ্যের ঘাড়ে ক্রমশ ভারী হচ্ছে ঋণের বোঝা। বাম জমানায় ঋণের যে পরিমাণ ছিল, এখন তা বেড়ে আরও কয়েকগুণ হয়েছে। ফলস্বরূপ, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ করতে শুরু করে রাজ্যের শাসক দল (Narendra Modi)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: আজ ‘ধনতেরস’, জেনে নিন কেন পালন করা হয় এই উৎসব

    Kali Puja 2023: আজ ‘ধনতেরস’, জেনে নিন কেন পালন করা হয় এই উৎসব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। বিশেষত এই সময়টা অর্থাৎ শরৎকাল এবং হেমন্তকাল যেন পুজোর ঋতু। মহালয়া থেকে শুরু হয়ে একে একে দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো (Kali Puja 2023)। পরপর চলতেই থাকে। কিন্তু কালীপুজোর ঠিক দু’দিন আগে পালন করা হয় আরও একটি উত্‍সব, যার নাম ‘ধনতেরস’ (Dhanteras 2023)।

    কার্তিক মাসের কৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথি

    ধন শব্দের অর্থ সম্পদ এবং তেরস শব্দের অর্থ ত্রয়োদশী। দীপাবলির দিন বা কালীপুজোর (Kali Puja 2023) সন্ধ্যার অমাবস্যায় অলক্ষ্মীকে বিদায় করে লক্ষ্মীপুজোর রীতি রয়েছে। এই লক্ষ্মী পুজোর দু’দিন আগে, অর্থাৎ ত্রয়োদশীতে পালিত হয় ধনতেরস। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, কার্তিক মাসের কৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে এই উত্‍সব পালিত হয়। আলোর ঝরনায় যখন মেতে ওঠে সম্পূর্ণ বিশ্ব, তখন আত্মীয়স্বজন, পরিবারের মঙ্গল কামনায় এবং ধন-সম্পদের আশায় বহু মানুষ দেবতা কুবেরের আরাধনা করেন। কুবের হল ধনদেবতা‌। বিশ্বাস মতে, এই দিন কোনও না কোনও মূল্যবান ধাতু, বাসনপত্র অথবা নতুন পোশাক কিনলে মা লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন। আশীর্বাদ করেন তাঁর ভক্তদের।

    বহু পৌরাণিক গল্পে ধনতেরসের মাহাত্ম্য 

    ধনতেরসকে (Dhanteras 2023) ঘিরে রয়েছে অজস্র পৌরাণিক কাহিনী। তারই মধ্যে একটি জনপ্রিয় কাহিনী হল, প্রাচীনকালে হিম নামে এক রাজা ছিলেন। তাঁর পুত্রের একটি অভিশাপ ছিল যে বিয়ের চার দিনের মাথায় সর্প দংশনে তাঁর মৃত্যু হবে। এই দিনের কথা সকলেই জানতেন। তাই স্বামীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য নববধূ সারারাত স্বামীকে ঘুমাতে দেননি, নানা কৌশলে জাগিয়ে রেখেছিলেন তাঁকে।

    তাঁদের শয্যাকক্ষের বাইরে প্রচুর ধন-সম্পদ, সোনা-রুপোর গয়না, বাসনপত্র সাজিয়ে রেখেছিলেন নববধূ। ঘরের সর্বত্র প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছিলেন। এতো ভালো, উজ্জ্বল, আলোকময় পরিবেশের জন্য সারারাত সেই ঘরে কোনও সাপ প্রবেশ করতে পারেনি। স্বামীকে জাগিয়ে রাখার জন্য সারারাত নববধূ গল্প এবং গান করে কাটিয়ে ছিলেন। পরদিন মৃত্যুর দেবতা যমরাজ সেখানে আসেন। ঘরের দরজায় গয়নার জৌলুস এবং প্রদীপের আলোতে চোখ ধাঁধিয়ে যায় তাঁর। তিনি রাজপুত্রের কাছে পৌঁছাতে পারেন না। রাজপুত্রের ঘরের বাইরে সারারাত ওই গয়নার ওপর শুয়ে শুয়ে রানীর গান এবং গল্প শুনে বিভোর হয়ে পরের দিন তিনি ফিরে যান‌। 

    এই ঘটনার পর থেকে প্রতি বছর রাজ পরিবারে সোনা এবং রুপোর তিথি ধনতেরস (Dhanteras 2023) উত্‍সব পালন করা শুরু হয়ে যায়। কুবেরের সঙ্গে এই দিন লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করা হয়, একথা পূর্বেই বলা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিন ধনদেবী লক্ষ্মীরও আরাধনা করা হয়‌। অর্থাৎ একই মাসে দুবার লক্ষ্মী পুজোর রীতি হিন্দু ধর্মে দেখা যায়‌। ধনতেরস বা ধন ত্রয়োদশীর দিন লক্ষ্মীপুজোর তাৎপর্য কী? পুরাণে বলা হয়েছে যে, এক সময় দুর্বাসা মুনির অভিশাপে সৌভাগ্যের দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে চলে যান এবং মহাসাগরে বসবাস শুরু করেন। লক্ষ্মী চলে যাওয়াতে স্বর্গলোক শ্রীহীন হয়ে পড়ে। এরপর দেবতারা অসুরের সঙ্গে ব্যাপক যুদ্ধ করে সমুদ্র মন্থনে ফিরিয়ে এনেছিলেন লক্ষ্মীকে। এই দিনটি ছিল ধনতেরসের দিন। মানে কার্তিক মাসের কৃষ্ণা পক্ষের ত্রয়োদশী তিথি। তাই তখন থেকেই দেবী লক্ষ্মীর উদ্দেশে সূচনা করা হয়েছিল দীপাবলি উত্‍সব এবং তার আগে ধনদেবীর আরাধনা করা হয়।

    আরেক নাম ধন্বন্তরি ত্রয়োদশী

    আবার অন্য একটি মতে, ধনতেরসের (Dhanteras 2023) এই দিনটি ধন্বন্তরি ত্রয়োদশী নামেও পরিচিত। ধন্বন্তরি হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। এই বিশেষ দিনে দেবতা ধন্বন্তরি সকলকে আরোগ্য থাকার আশীর্বাদ প্রদান করেন। ধন্বন্তরি দুধের মহাসাগর থেকে উত্থিত হয়েছিলেন বলেই পৌরাণিক মত রয়েছে। ভাগবত পুরাণে বর্ণিত আখ্যান অনুযায়ী সমুদ্র মন্থন কালে অমৃতের পাত্রের সঙ্গে ধন্বন্তরি উঠেছিলেন। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে ধন্বন্তরি আয়ুর্বেদ প্রথা চালু করেছিলেন। এই কারণের জন্য, ২৮ অক্টোবর ২০১৬ থেকে কার্তিক মাসের কৃষ্ণা পক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে ভারত সরকার ধনতেরসের দিনটি জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।

    অন্য একটি পৌরাণিক কাহিনী হল, এক সময় বিষ্ণু মর্ত্যলোকে বিচরণ করতে এলে লক্ষ্মীও তাঁর সঙ্গে আসতে যান। তখন বিষ্ণু বলেন, তাঁর কথা মেনে চললে মা লক্ষ্মী তাঁর সঙ্গে যেতে পারেন। তাঁর কথা মান্য করে মা লক্ষ্মী বিষ্ণুর সঙ্গে পৃথিবীতে আসেন। একটি জায়গায় এসে বিষ্ণু মা লক্ষীকে অপেক্ষা করতে বলেন। তিনি বলেন যে, তিনি দক্ষিণ দিকে যাচ্ছেন এবং তাঁর না আসা পর্যন্ত লক্ষ্মী যেন সেখান থেকে কোথাও না যায়। লক্ষ্মীর মনে দক্ষিণ দিকে বিষ্ণুর যাওয়ার কারণ জানার কৌতূহল জেগে ওঠে। এরপর তিনি বিষ্ণুর পিছু নেন। কিছু দূর এগোনোর পর সর্ষের ক্ষেতে ফুল ফুটে থাকতে দেখে সেই ফুল দিয়ে লক্ষ্মী নিজেকে সাজানোর জন্য সেই দিকে অগ্রসর হন। কিছু দূর যাওয়ার পর আখের ক্ষেত থেকে আখ তুলে তার রস পান করেন। সেই সময় বিষ্ণু সেখানে আসেন এবং লক্ষ্মীকে দেখে ভীষণ রেগে যান। এরপর বিষ্ণু মা লক্ষ্মীকে অভিশাপ দেন। বারণ করা সত্ত্বেও তাঁর পিছু নেওয়া ও দরিদ্র কৃষকের ক্ষেত থেকে চুরির অপবাদে লক্ষ্মীকে ১২ বছর পর্যন্ত কৃষকের সেবা করতে বলে ক্ষীর সাগরের উদ্দেশে প্রস্থান করেন বিষ্ণু। 

    সেই কৃষকের বাড়িতে কৃষকের স্ত্রীকে স্নান করে লক্ষ্মীপুজো ও তারপর রান্না করার কথা বলেন। পুজোর পর কৃষকের স্ত্রীর সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়ে যায়। ফলে দ্বিতীয় দিন থেকেই কৃষকের ঘর অন্ন, বস্ত্র, রত্নতে ভরে যায়। এভাবে বারো বছর পর্যন্ত খুব আনন্দে কাটে কৃষকের। ১২ বছর পর বিষ্ণু লক্ষীকে নিতে এলে কৃষকের স্ত্রী তাঁকে যেতে দেন না। তখন বিষ্ণু জানান, লক্ষ্মীকে কেউ যেতে দিতে চায় না। লক্ষ্মী চঞ্চলা, কোথাও টিকতে পারেন না। তখন লক্ষ্মী কৃষককে জানান, তাঁর কথা মতো চললে পরিবারে কখনও অর্থাভাব থাকবে না। ধনতেরসের (Dhanteras 2023) দিনে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করার কথা বলেন লক্ষ্মী। এরপর রাতে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখে সন্ধ্যাকালে পুজো করতে বলেন। একটি রুপোর ঘটে তাঁর জন্য টাকা ভরে রাখার কথাও বলেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share