Tag: news in bengali

news in bengali

  • Aditya-L1 Mission: দ্বিতীয় দফার কক্ষপথ বদল সফল, এখন কোথায় রয়েছে আদিত্য-এল১?

    Aditya-L1 Mission: দ্বিতীয় দফার কক্ষপথ বদল সফল, এখন কোথায় রয়েছে আদিত্য-এল১?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্যে অবিচল আদিত্য-এল১ (Aditya-L1 Mission)। ধীরে ধীরে সে পৃথিবী থেকে দূরে সরছে। গন্তব্য থেকে দূরত্ব কমাচ্ছে। বর্তমানে, পৃথিবীর চারপাশে চক্কর কাটছে ইসরোর সৌরযান (ISRO Solar Mission)। এদিন ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ভোর রাত পৌনে তিনটে নাগাদ দ্বিতীয় বারের কক্ষপথ পরিবর্তন প্রক্রিয়া (ইসরোর পরিভাষায় ইবিএন#২) সফলভাবে সম্পন্ন করেছে আদিত্য-এল১। 

    ভারতের প্রথম সৌরাভিযান

    গত শনিবার, ১১টা ৫০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পিএসএলভি-সি৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় ১ হাজার ৪৮০ কেজি ওজনের আদিত্য-এল১ (Aditya-L1 Mission)। উৎক্ষেপণের ৬৩ মিনিট পর ইসরোর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপিত করা হয়েছে আদিত্য-এল১ উপগ্রহকে। সেই সময় প্রথম কক্ষপথে স্থাপিত করা হয়েছিল আদিত্য-এল১-কে। এর পর, ৩ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ, রবিবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ প্রথমবার কক্ষপথ পরিবর্তন করে দ্বিতীয় কক্ষপথে পৌঁছে যায় আদিত্য এল১। সেই সময় ইসরোর তরফে বলা হয়েছিল, সাফল্যের সঙ্গে বেঙ্গালুরুর ইসট্র্যাক থেকে প্রথম কক্ষপথ পরিবর্তনের (ইবিএন#১) প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় আদিত্যর।

    সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলো দ্বিতীয় লাফ

    এদিন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলো দ্বিতীয় লাফ। এর ফলে, মহাকাশযানটি (ISRO Solar Mission) বর্তমানে তৃতীয় কক্ষপথে পৌঁছে গেল। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ২৮২ কিমি x ৪০,২২৫ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে আদিত্য-এল১ (Aditya-L1 Mission)। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে এদিন ট্যুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডলে জানানো হয়, বেঙ্গালুরুর ইসট্র্যাক এবং পোর্ট ব্লেয়ার ও মরিশাসের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে আদিত্য-এল১-কে ট্র্যাক করা হয়েছে। আপাতত সৌরযানের হাল হকিকত স্বাভাবিক রয়েছে। সব যন্ত্রাংশ ঠিকঠাক আছে। ইসরো জানিয়েছে, এর পর তৃতীয় কক্ষপথ বদল হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটে নাগাদ।

    পাঁচবার কক্ষপথ বদল করবে আদিত্য

    ইসরো জানিয়েছে, এখনও পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ ছেড়ে বেরোয়নি ইসরোর সৌরযান (ISRO Solar Mission)। চন্দ্রযান ৩-এর মতোই পৃথিবীর চারদিকে পাঁচবার চক্কর কাটবে আদিত্য-এল১। এই করতে করতে প্রয়োজনীয় গতি সঞ্চয় করে নেবে। তাতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ১৬ দিন। এর পর পঞ্চম বার কক্ষপথ বদলের মাধ্যমে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বল কাটিয়ে সোজা পাড়ি দেবে সূর্যের দিকে। আদিত্য-এল১ উপগ্রহের চূড়ান্ত গন্তব্য হলো পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যবর্তী ল্যাগ্রাঞ্জ-১ পয়েন্ট বা এল-১ পয়েন্ট। এটি পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরের একটি ‘হ্যালো’ পয়েন্ট। সেখানেই গিয়ে স্থায়ীভাবে থাকবে এবং সূর্যের জরিপ করবে আদিত্য-এল১ (Aditya-L1 Mission)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Rain: দিনের বেলায় নামল আঁধার! ঝেঁপে বৃষ্টি কলকাতায়, জলমগ্ন বহু রাস্তা

    Kolkata Rain: দিনের বেলায় নামল আঁধার! ঝেঁপে বৃষ্টি কলকাতায়, জলমগ্ন বহু রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ আশপাশের জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল (Weather Update)। বেলা গড়াতেই ঘনিয়ে আসে আঁধার। এর পরই শহর কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নামে ঝেঁপে বৃষ্টি (Kolkata Rain)। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেখা যায় বিদ্যুতের ঝলকানি। কিছু জায়গায় ঘনঘন বাজও পড়েতে শুরু করে। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে বৃষ্টি। কোথাও মুষলধারে, তো কোথাও ঝিরঝির করে। তবে, তাতেই শহরের বিভিন্ন অংশে জল জমে যায়। যার প্রভাব পড়ে যানবাহনের গতিতে। যানজটে নাকাল হতে হয়েছে শহরবাসীকে। এর আগে, বৃহস্পতিবার একই ভাবে বৃষ্টিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা জলমগ্ন হওয়ায় গোটা কলকাতাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল।

    কী বলছে আবহাওয়া দফতর

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) তরফে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তন। যার জেরে শনিবার বৃষ্টি শুরু হয় দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। শুধু কলকাতাতেই (Kolkata Rain) নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানা গেছে আবহাওয়া দফতর সূত্রে। তবে, বৃষ্টির হলেও এখনই গরম কমবে না। তবে, রবিবার থেকে গরম খানিকটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই খবর আবহাওয়া দফতর সূত্রে। আপাতত দুই থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    বজ্রপাতে মৃত্যু যুবকের

    এদিকে, এদিন খাস দক্ষিণ কলকাতায় (Kolkata Rain) বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। জানা গেছে, রিজেন্ট পার্কের আনন্দপল্লিতে বেলা ১২টা নাগাদ বাজ পড়ে মৃত্যু হয় কৌশিক কর নামে ওই বছর চব্বিশের ওই যুবকের। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজের মতো শনিবার সকালে শরীরচর্চা করতে জিমে গিয়েছিলেন কৌশিক। জিম থেকে ফিরে ঘরের ভিতরে প্রচণ্ড অস্বস্তি হচ্ছিল তাঁর। তখনই বাইরে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টিতে ভিজতে বাড়ির ছাদে চলে যান তিনি। তখনই প্রচণ্ড শব্দে বাজ পড়ে। দ্রুত তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি৷ চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কলকাতার এক কলেজে বিবিএ-র ছাত্র ছিলেন কৌশিক। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: ‘আদিত্য-এল১’ এর সফল উৎক্ষেপণে ইসরোকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহের

    PM Narendra Modi: ‘আদিত্য-এল১’ এর সফল উৎক্ষেপণে ইসরোকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম সূর্য মিশন ‘আদিত্য-এল১’ উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণের জন্য ভারতীয় গবেষণা সংস্থা ইসরোকে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ‘‘আমাদের নিরলস বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টা চলবে’’

    মহাকাশে ‘আদিত্য-এল১’ তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছনোর পরই, ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইটারে (অধুনা এক্স) তিনি লেখেন, ‘‘চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর ভারত তার মহাকাশ যাত্রা জারি রেখেছে। ভারতের প্রথম সৌর মিশন ‘আদিত্য-এল১’-এর সফল উৎক্ষেপণের জন্য ইসরোর সকল বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ারদের অভিনন্দন।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘‘ সমগ্র মানব সভ্যতার কল্যাণের জন্য বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে আরও ভালো করে বুঝতে আমাদের নিরলস বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টা চলবে।’’

    অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রায়পুরে একটি সভায় তিনি বলেন, ‘‘মিশন আদিত্যর সফল উৎক্ষেপণের জন্য আমি সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’’

    অভিনন্দন জানানো হয়েছে বিজেপির তরফেও। দলের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডলে তারা লিখেছে, ‘‘ভারতের প্রথম সূর্যাভিযান আদিত্য-এল১-এর সফল উৎক্ষেপণের জন্য ইসরোকে অভিনন্দন।’’

    শনিবার মহাকাশে সফলভাবে পাড়ি দিয়েছে ‘আদিত্য-এল১’। এদিন, সকাল ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পিএসএলভি-সি৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় ১৫০০ কেজি ওজনের ‘আদিত্য-এল১’ (ISRO Aditya-L1 Mission)। উৎক্ষেপণের ৬৩ মিনিট পর ইসরোর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপিত করা হয়েছে ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1 Launch) উপগ্রহকে। ইসরো জানিয়েছে, প্রায় ১৬ দিন পৃথিবীর চারিদিকে চক্কর কাটবে ‘আদিত্য-এল১’ (ISRO Aditya-L1 Mission)। এই ভাবে ১৬ দিনে সূর্যের দিকে পাড়ি দেওয়ার জন্য পাঁচটি ধাপে নিজের উপযুক্ত গতিবেগ অর্জন করবে। এর পর লিক্যুইড অ্যাপোজি মোটরে ভর করে ‘হেলো অরবিট ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট’-এর দিকে যাত্রা করবে ‘আদিত্য-এল১’। ১১০ দিনের সেই যাত্রা শেষ করে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করবে ‘আদিত্য-এল১’। চূড়ান্ত গন্তব্য হলো পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে একটি জায়গা যার নাম ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্ট-১ পয়েন্ট বা এল-১। এখানে সূর্য এবং পৃথিবীর আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ বল একসঙ্গে ক্রিয়াশীল। ফলত, উপগ্রহটি একটি জায়গায় স্থির হয়ে থাকতে পারবে এবং সর্বক্ষণ সূর্যের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করবে। আপাতত চার মাসের অপেক্ষা। তার পর আরেকটি ইতিহাস তৈরি হবে।

    এদিন সফল উৎক্ষেপণের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, এখান থেকে এল১ পয়েন্টে যাওয়ার যাত্রা শুরু হলো। সামনে এক দীর্ঘ যাত্রা। প্রায় ১২৫ দিনের। আসুন সকলে মিলে ‘আদিত্য-এল১’-কে এই সফরের জন্য শুভেচ্ছা জানাই। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya-L1 Launch: নতুন অধ্যায়ের সূচনা ইসরোর! সূর্য-রহস্য উন্মোচনে মহাকাশে পাড়ি দিল ‘আদিত্য-এল১’

    Aditya-L1 Launch: নতুন অধ্যায়ের সূচনা ইসরোর! সূর্য-রহস্য উন্মোচনে মহাকাশে পাড়ি দিল ‘আদিত্য-এল১’

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সেই সঙ্গে সৃষ্টি হলো নতুন অধ্যায়ের। আরও একটা গর্বের মুহূর্তের সাক্ষী থাকলো দেশবাসী। সূর্যের দিকে পাড়ি দিল ইসরোর প্রথম সোলার মিশন ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1 Launch)। উৎক্ষেপণের ৬৩ মিনিট পর ঘোষণা করা হয় যে, উপগ্রহকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। ইসরোর সকল সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে (ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, ওয়েবসাইট) ১১টা ২০ মিনিট থেকেই উৎক্ষেপণের লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছিল।

     

     

    শনিবার ঘড়ির কাঁটা অনুযায়ী, ঠিক ১১টা ৫০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পিএসএলভি-সি৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় ১৫০০ কেজি ওজনের ‘আদিত্য-এল১’ (ISRO Aditya-L1 Mission)। এখন চার মাসের অপেক্ষা। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে নিজের কাজ শুরু কররে ইসরোর সোলার মিশন। তখন আরেকটা ইতিহাস তৈরি করবে ভারত ও তার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

    পিএসএলভি-সি৫৭ রকেটে ভরসা ইসরোর

    ‘আদিত্য-এল১’-কে মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা পিএসএলভি রকেটের ওপর। সেই অনুযায়ী, এদিন ১৪৮০ কেজি ওজনের ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1 Launch) উপগ্রহকে সঙ্গে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেয় পিএসএলভি-সি৫৭। পূর্ব-নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, ১১টা ৫০ মিনিটে মহাকাশে পথে যাত্রা শুরু হয়। 

    প্রাথমিক লক্ষ্য, ‘আদিত্য-এল১’ উপগ্রহকে পৃথিবী থেকে ২৩৫ (পেরিজি-পৃথিবী থেকে নিকটে) x ১৯,৫০০ (অ্যাপোজি-পৃথিবী থেকে দূরে) কিলোমিটার উচ্চতার ডিম্বাকৃতি কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়া। ইসরো জানিয়েছে, চন্দ্রযানের মতোই, উৎক্ষেপণের পর প্রায় ১৬ দিন পৃথিবীর চারিদিকে চক্কর কাটবে ‘আদিত্য-এল১’ (ISRO Aditya-L1 Mission)। এই ভাবে ১৬ দিনে সূর্যের দিকে পাড়ি দেওয়ার জন্য পাঁচটি ধাপে নিজের উপযুক্ত গতিবেগ অর্জন করবে। এর পর লিক্যুইড অ্যাপোজি মোটরে ভর করে ‘হেলো অরবিট ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট’-এর দিকে যাত্রা করবে ‘আদিত্য-এল১’। ১১০ দিনের সেই যাত্রা শেষ করে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করবে ‘আদিত্য-এল১’।

     

     

    ‘আদিত্য-এল১’ কি সূর্যে যাচ্ছে? 

    ইসরো জানিয়েছে, ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1 Launch) কখনই সূর্যে যাচ্ছে না। এমনকী, নাসার পাঠানো পার্কার সোলার প্রোব-এর মতো ‘আদিত্য-এল১’ সূর্যের এত কাছাকাছিও যাবে না। এটি একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে নজর রাখবে ও গবেষণা চালাবে। এটি হতে চলেছে ভারতের প্রথম স্পেস বেসড্ সোলার অবজারভেটরি হতে চলেছে। অর্থাৎ মহাকাশে স্থাপিত ভারতের প্রথম সূর্য পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। সহজ ভাষায়, এটি একটি উপগ্রহ যা সূর্য-পর্যবেক্ষণ করবে। ইসরো জানিয়েছে, ‘আদিত্য-এল১’ (ISRO Aditya-L1 Mission) পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যবর্তী একটি অঞ্চল পর্যন্তই যাবে। যে বিন্দুকে বলা হচ্ছে ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্ট-১ পয়েন্ট বা এল-১। যেখানে ‘আদিত্য-এল১’ পৌঁছবে, পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব ১৫ লক্ষ কিলোমিটার (যা, পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে দূরত্বের ১ শতাংশ মাত্র বা ১০০ ভাগের এক ভাগ)। এই বিন্দুতে, এখানে সূর্য এবং পৃথিবীর আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ বল একসঙ্গে ক্রিয়াশীল। ফলত, উপগ্রহটি একটি জায়গায় স্থির হয়ে থাকতে পারবে।

    এই মিশনের লক্ষ্য কী?

    ‘আদিত্য-এল১’ মিশনের মূল লক্ষ্য হলো, এই মহাকাশযানটি সূর্যের নানা রহস্য উন্মোচন করবে। ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1 Launch) উপগ্রহ মোট সাতটি পেলোড নিয়ে মহাকাশে যাবে। তার মধ্যে চারটি সূর্যের আলো পর্যবেক্ষণ করবে। বাকি তিনটি প্লাজমা ও ম্যাগনেটিক ফিল্ড পর্যবেক্ষণ করবে। মহাকাশের পরিবেশ, আবহাওয়া, তার উপর সূর্যের কী প্রভাব পড়ে, সে সব জানার চেষ্টা করবে ‘আদিত্য-এল১’ (ISRO Aditya-L1 Mission)। সূর্যের করোনা ও ফোটোস্পিয়ার, ক্রোমোস্পিয়ারের পর্যবেক্ষণ করবে বিভিন্ন ওয়েভব্যান্ড থেকে। সূর্যের উত্তাপ, সৌর পদার্থের নিঃসরণ, সৌরঝড়ের মতো সূর্যকেন্দ্রিক বিষয়গুলি বুঝতেও বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে। 

    প্রতি মিনিটে একটি করে ছবি তুলবে সোলার ক্যামেরা

    সূর্য গ্রহণ, সৌরঝড়, সূর্যের নানা অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে কাছ থেকে ছবি তুলে ইসরোকে পাঠাবে ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1 Launch)। এই ছবি পাঠানোর কাজ করবে ভিসিবল এমিশন লাইন করোনাগ্রাফি(ভিইএলসি) এবং সোলার আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপ (এসএউআইটি) নামে দু’টি মূল পেলোড। ইসরো জানিয়েছে, সমস্ত যন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করলে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ‘আদিত্য-এল১’ (ISRO Aditya-L1 Mission) প্রতিদিন ১৪৪০টি করে সূর্যের ছবি পাঠাবে। অর্থাৎ, প্রতি মিনিটে একটি করে ছবি তুলবে ভিইএলসি। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের তথ্য অনুযায়ী, ১৯০ কেজির ভিইএলসি পেলোড আগামী পাঁচ বছর ধরে ছবি পাঠাবে। এটি উপগ্রহের ন্যূনতম আয়ু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya-L1 Launch: আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা, তারপরই সূর্যে পাড়ি দেবে ‘আদিত্য-এল১’

    Aditya-L1 Launch: আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা, তারপরই সূর্যে পাড়ি দেবে ‘আদিত্য-এল১’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও এক মাহেন্দ্রক্ষণের প্রহর গুণছে ইসরো। আরও গর্বের মুহূর্তের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় দেশবাসী। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই, আজই সূর্যের দেশে পাড়ি দিচ্ছে ইসরোর প্রথম সোলার মিশন ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1 Launch)।

    আর কিছুক্ষণের মধ্যেই উৎক্ষেপণ

    আজ সকাল ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা পিএসএলভি-সি৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেবে ১৪৮০ কেজি ওজনের ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1 Launch)। রকেট তাকে পৌঁছে দেবে ২৩৫ x ১৯,৫০০ কিলোমিটার পরিধির পৃথিবীর কক্ষপথে। ইসরো জানিয়েছে, চন্দ্রযানের মতোই, উৎক্ষেপণের পর প্রায় ১৬ দিন পৃথিবীর চারিদিকে চক্কর কাটবে ‘আদিত্য-এল১’ (ISRO Aditya-L1 Mission)। এই ভাবে ১৬ দিনে সূর্যের দিকে পাড়ি দেওয়ার জন্য পাঁচটি ধাপে নিজের উপযুক্ত গতিবেগ অর্জন করবে। এর পর ‘হালো অরবিট ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট’-এর দিকে যাত্রা করবে ‘আদিত্য-এল১’। ১১০ দিনের সেই যাত্রা শেষ করে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করবে ‘আদিত্য-এল১’।

     

     

    ‘আদিত্য-এল১’ কি সূর্যে যাচ্ছে?

    ইসরো জানিয়েছে, ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1 Launch) কখনই সূর্যে যাচ্ছে না। অর্থাৎ, নাসার পাঠানো পার্কার সোলার প্রোব-এর মতো ‘আদিত্য-এল১’ কোনও সোলার প্রোব নয়। এটি ভারতের প্রথম স্পেস বেসড্ সোলার অবজারভেটরি হতে চলেছে। অর্থাৎ মহাকাশে স্থাপিত সূর্য পর্যবেক্ষ কেন্দ্র। বা বলা ভালো, এটি একটি উপগ্রহ। ইসরো জানিয়েছে, ‘আদিত্য-এল১’ (ISRO Aditya-L1 Mission) পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যবর্তী একটি অঞ্চল পর্যন্তই যাবে। যে বিন্দুকে বলা হচ্ছে ল্যাগ্রাঞ্জ-১ পয়েন্ট বা এল-১। যেখানে ‘আদিত্য-এল১’ পৌঁছবে, পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব ১৫ লক্ষ কিলোমিটার (যা, পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে দূরত্বের ১ শতাংশ মাত্র)। এই বিন্দুতে, এখানে সূর্য এবং পৃথিবীর আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ বল একসঙ্গে ক্রিয়াশীল। ফলত, উপগ্রহটি একটি জায়গায় স্থির হয়ে থাকতে পারবে।

    এই মিশনের লক্ষ্য কী?

    ‘আদিত্য-এল১’ মিশনের মূল লক্ষ্য হলো, এই মহাকাশযানটি সূর্যের নানা রহস্য উন্মোচন করবে। ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1 Launch) উপগ্রহ মোট সাতটি পেলোড নিয়ে মহাকাশে যাবে। তার মধ্যে চারটি সূর্যের আলো পর্যবেক্ষণ করবে। বাকি তিনটি প্লাজমা ও ম্যাগনেটিক ফিল্ড পর্যবেক্ষণ করবে। মহাকাশের পরিবেশ, আবহাওয়া, তার উপর সূর্যের কী প্রভাব পড়ে, সে সব জানার চেষ্টা করবে ‘আদিত্য-এল১’ (ISRO Aditya-L1 Mission)। সূর্যের করোনা ও ফোটোস্পিয়ার, ক্রোমোস্পিয়ারের পর্যবেক্ষণ করবে বিভিন্ন ওয়েভব্যান্ড থেকে। সূর্যের উত্তাপ, সৌর পদার্থের নিঃসরণ, সৌরঝড়ের মতো সূর্যকেন্দ্রিক বিষয়গুলি বুঝতেও বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে। 

    প্রতি মিনিটে একটি করে ছবি তুলবে সোলার ক্যামেরা

    সূর্য গ্রহণ, সৌরঝড়, সূর্যের নানা অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে কাছ থেকে ছবি তুলে ইসরোকে পাঠাবে ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1 Launch)। এই ছবি পাঠানোর কাজ করবে ভিসিবল এমিশন লাইন করোনাগ্রাফি(ভিইএলসি) এবং সোলার আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপ (এসএউআইটি) নামে দু’টি মূল পেলোড। ইসরো জানিয়েছে, সমস্ত যন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করলে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ‘আদিত্য-এল১’ (ISRO Aditya-L1 Mission) প্রতিদিন ১৪৪০টি করে সূর্যের ছবি পাঠাবে। অর্থাৎ, প্রতি মিনিটে একটি করে ছবি তুলবে ভিইএলসি। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের তথ্য অনুযায়ী, ১৯০ কেজির ভিইএলসি পেলোড আগামী পাঁচ বছর ধরে ছবি পাঠাবে। এটি উপগ্রহের ন্যূনতম আয়ু।

    কোথায়, কখন সরাসরি সম্প্রচার?

    ইসরো জানিয়েছে, শনিবার সকাল ১১টা ২০ মিনিট থেকেই এই ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1 Launch) উৎক্ষেপণের সম্প্রচার শুরু হবে। সরাসরি দেখতে পাওয়া যাবে ঘরে বসেই। ইসরোর সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে (ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, ওয়েবসাইট) দেখা যাবে উৎক্ষেপণের লাইভ সম্প্রচার।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘‘ইন্দিরা গান্ধী যখন চাঁদে পৌঁছলেন…’’! এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকেই চাঁদে পাঠালেন মমতা

    Mamata Banerjee: ‘‘ইন্দিরা গান্ধী যখন চাঁদে পৌঁছলেন…’’! এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকেই চাঁদে পাঠালেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাকেশ রোশন-পর্ব অতীত। এবার খোদ প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেই চাঁদের পাঠিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুধু তাই নয়, এমনও দাবি করলেন যে, চাঁদে পৌঁছে রাকেশকে ফোন করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী!

    ঠিক কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

    সোমবার, ধর্মতলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে উপলক্ষে আয়োজিত একটি সমাবেশে যোগ দিয়ে বক্তব্য পেশ করছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা (Mamata Banerjee)। সেখানেই চাঁদে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডিং প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করতে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর (Former PM Indira Gandhi) সময়ের কথা টেনে আনেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানেই বেফাঁস কথা বলে ফেলেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘এর আগেও আপনারা জানেন, ইন্দিরা গান্ধী চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিলেন, সালটা ’৬৯-’৭০ হবে। ছোট ছিলাম। তখন রোজ খবরের কাগজ পড়তাম। সেই সময় দেখেছিলাম কাগজে একটা স্টোরি বেরিয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধী যখন চাঁদে পৌঁছল, রাকেশকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, উপর সে হিন্দুস্তান ক্যায়সা লাগ রাহা হ্যায়? (ওপর থেকে ভারতকে কেমন লাগছে?) ও বলেছিল, সারে জাহা সে আচ্ছা – এই কথাটা আমি আজও মনে রাখি। তার কারণ, সেদিন থেকে গর্ব হয়েছে।’’

     

     

    ২৩ তারিখ কী বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী?

    ঠিক পাঁচদিন আগে, অর্থাৎ ২৩ তারিখ, মমতা (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, ‘‘ইন্দিরা গান্ধী যখন প্রাইম মিনিস্টার ছিলেন তখন চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিলেন। এখন মানুষ যায়নি, যন্ত্র গিয়েছে।’’ এখানেই থেমে না থেকে, মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, চাঁদের মাটিতে পৌঁছেছিলেন রাকেশ রোশন। তাঁকে ইন্দিরা গান্ধী প্রশ্ন করেছিলেন, মহাকাশ থেকে ভারতকে কেমন লাগছে? রাকেশ রোশন বলেছিলেন, সারে জাহাসে আচ্ছা!’’ এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। সমাজ মাধ্যমে হরেক মিম প্রকাশিত হয়েছিল। এবারও তার অন্যথা হয়নি। সোমবার মমতার বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের বন্যা।

    আরও পড়ুন: ‘‘চাঁদে গিয়েছিলেন রাকেশ রোশন’’! মমতার মন্তব্যে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া

    তারিখ নিয়েও বিভ্রাট!

    শুধু এটাই নয়। তারিখ নিয়েও বড়ো বিভ্রাট ঘটান মমতা (Mamata Banerjee)। তৃণমূলনেত্রীর কথায় সালটা ’৬৯-’৭০ হবে। ইতিহাস বলছে, সেই সময় প্রথমবার চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছিল মানুষ। চাঁদে পৌঁছেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং, এডউইন অল্ড্রিন ও মাইকেল কলিন্স। অন্যদিকে, রুশ রকেটে চেপে রাকেশ শর্মা মহাকাশে পৌঁছেছিলেন ১৯৮৪ সালে। 

    পোখরানে পাইপ সরবরাহ করেছিলেন মমতা!

    এখানেই থেমে থাকেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি এ-ও দাবি করেন, পোখরানে পরমাণু বিস্ফোরণের সময় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি পাইপ সরবরাহ করেছিলেন। মমতা বলেন, ‘‘অটলবিহারী বাজপেয়ীও করেছেন পোখরান। আমিতো জানি, আমি তখন রেল মিনিস্টার ছিলাম। পাইপগুলো কোথা থেকে গিয়েছে, এগুলো আমাকেও জোগাড় করতে হয়েছে। ভেতরকার ব্যাপার বলবো কেন? সিক্রেট আমি কখনও বলি না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Aditya-L1: রবির উদ্দেশে রওনা শনিতেই! ‘আদিত্য-এল১’ উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ ঘোষণা ইসরোর

    Aditya-L1: রবির উদ্দেশে রওনা শনিতেই! ‘আদিত্য-এল১’ উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ ঘোষণা ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনা চলছিলই। তারিখ জানা গিয়েছিল আগেই। এবার তাতে সরকারি সিলমোহর পড়লো। ইসরো জানিয়ে দিল, আগামী ২ সেপ্টেম্বরেই সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দেবে বিশেষ সোলার প্রোব বা অন্বেষণকারী উপগ্রহ ‘আদিত্য-এল১’। অর্থাৎ, আগামী শনিবারই রবির দেশে পাড়ি দেবে ভারতের সূর্য-যান।

    রবির দেশে পাড়ি শনিতেই…

    চাঁদ চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। গত বুধবারই ইতিহাস রচনা করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের যান পাঠিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করার অনন্য কৃতিত্বও অর্জন করেছে ইসরো। কিন্তু, এত কিছু সত্ত্বেও, দম ফেলার জো নেই ভারতীয় বিজ্ঞানীদের। কাজ এখন অনেক বাকি। সময় নষ্ট না করে ভবিষ্যতের মিশনের প্রস্তুতি এখন থেকেই চলছে পুরোদমে। এবার গন্তব্য সূর্য।

     

     

    গত বৃহস্পতিবারই, ইসরোর তরফে ইঙ্গিত মিলেছিল যে, ২ সেপ্টেম্বর উৎক্ষেপণ হতে পারে আদিত্য মিশনের। সোমবার তাতে পড়ল সরকারি সিলমোহর। এদিন ইসরোর তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ বেজে ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পিএসএলভি-৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেবে ‘আদিত্য-এল১’। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার। ‘আদিত্য-এল১’-কে (Aditya-L1) যেখানে পাঠানো হচ্ছে, তা পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ১২৭ দিন। ‘আদিত্য-এল১’ মিশন হতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে প্রথম সৌর অভিযান। 

    ‘আদিত্য-এল১’ নামের তাৎপর্য কী?

    সোলার প্রোবের উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরেই জল্পনা চলছিল। ২০২০ সালেই এই মিশন লঞ্চ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, করোনা অতিমারির জন্য তা পিছিয়ে যায়। ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1) আদতে একটি করোনাগ্রাফি স্যাটেলাইট। ইসরোর আমদাবাদের স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর নীলেশ এম দেশাই জানান, এই মিশনের সব কাজ ও প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এবার বাকি শুধু উড়ানের। হিন্দু দেবতা সূর্যের আরেক নাম আদিত্য। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই নামকরণ করা হয়েছে উপগ্রহের (ISRO Sun Mission)। অন্যদিকে, এল-১ শব্দবন্ধের একটা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। এল১-এর পুরো অর্থ হলো ‘ল্যাগ্রাঞ্জ ওয়ান’। এটি সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী জায়গার একটি বিশেষ বিন্দু, যা পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। 

    কেন ‘ল্যাগ্রাঞ্জ ওয়ান’ পয়েন্টকে বাছাই করা হলো?

    দুটি মূল কারণে ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1) উপগ্রহকে এই ‘ল্যাগ্রাঞ্জ ওয়ান’ পয়েন্টে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে, প্রতিটি বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষীয় বল রয়েছে, যার জেরে তা একে অপরের দিকে টানে। যেমন পৃথিবীর রয়েছে অভিকর্ষজ বল। সাধারণ ভাষায়, যাকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি হিসেবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে। ইসরো বিজ্ঞানীদের মতে, এই এল১ পয়েন্ট সৌর মণ্ডলের এমন একটি জায়গায় অবস্থিত, যেখানে সূর্য বা পৃথিবী, কারও ওই শক্তি বা বল কাজ করে না, অথবা, সম-শক্তিতে বিপরীত দিকে কাজ করে। যার ফলে, এই পয়েন্টে থাকলে, ‘আদিত্য-এল১’ স্থির থাকতে পারবে অনন্তকাল। দ্বিতীয়ত, এই জায়গা থেকে কোনও রকম বাধা ছাড়াই সর্বক্ষণ সূর্যকে দেখতে পারবে ‘আদিত্য-এল১’। এমনকী, গ্রহণের সময়েও সমস্যা হবে না। অর্থাৎ সূর্যকে নিরীক্ষণ করতে কোনও বাধাই থাকবে না। ফলে সূর্যে কী হয়ে চলেছে তার রিয়েল-টাইম অ্যাক্টিভিটি দেখা যাবে।

    কী কাজ করবে ‘আদিত্য-এল১’?

    সূর্যের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1)। এই মিশনের উদ্দেশ্য সৌরজগৎ নিয়ে অনুসন্ধান চালানো। অর্থাৎ সূর্যের জলবায়ু, সৌর শিখা, সৌর ঝড়-সহ একাধঝিক বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। করোনা থেকে নির্গত তরঙ্গ, চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ করা হবে। জানা গিয়েছে, ৭ ধরনের বৈজ্ঞানিক পেলোড থাকবে এই উপগ্রহে (ISRO Sun Mission)। যেগুলির সাহায়্যে নানা ভাবে সূর্যকে ঘিরে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। সূর্যের ফোটোস্ফিয়ার, ক্রোমোস্ফিয়ার, সূর্যের বাইরের স্তরের উপর নজর রাখা হবে। এর জন্য ব্যবহার করা হবে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পার্টিকেল ও ম্যাগনেটিক ফিল্ড ডিটেক্টর।

    ভবিষ্যতে ইসরোর মিশনের তালিকায় রয়েছে কী কী?

    অন্যদিকে, অদূর ভবিষ্যতে পর পর মহাকাশ মিশন রয়েছে ইরসোর ঝুলিতে। ২০২৪ সালে মঙ্গলগ্রহে মহাকাশযান পাঠানোর প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে ইসরো। এই অভিযানের নাম ‘মঙ্গলযান ২’। এই অভিযানে মঙ্গলের মাটিতে নামানো হবে ল্যান্ডার। ২০২৪ সালে আমেরিকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘নিসার’ (নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার) পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। মহাকাশে ভারতের প্রথম মানবাভিযান ‘গগনযান’ নিয়েও ইসরোয় তুঙ্গে ব্যস্ততা। এটিই এখন নয়নের মণি, পাখির চোখ। ২০২৪ বা ২০২৫ সালে মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছে ভারতের এই মহাকাশযান। এছাড়া, প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে ‘শুক্রযান-১’ অভিযানের প্রস্তুতিও।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madurai Train Fire: কামরায় হচ্ছিল রান্না! সিলিন্ডার ফেটে মাদুরাইয়ে ভারত গৌরব এক্সপ্রেসে আগুন, মৃত ১০

    Madurai Train Fire: কামরায় হচ্ছিল রান্না! সিলিন্ডার ফেটে মাদুরাইয়ে ভারত গৌরব এক্সপ্রেসে আগুন, মৃত ১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মর্মান্তিক স্মৃতি কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী দেশ। এবার ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হলো অন্তত ১০ জনের। আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। ঘটনাস্থল তামিলনাড়ুর মাদুরাই (Madurai Train Fire)।

     

    শনিবার ভোর ৫টা ১৫ মিনিট নাগাদ মাদুরাই রেল স্টেশনের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা লখনউ-রামেশ্বরম ভারত গৌরব ট্যুরিস্ট এক্সপ্রেসের (Bharat Gaurav Express) একটি কামরায় আগুন লাগে। জানা গিয়েছে, ট্রেনটি একটি পর্যটন ট্রেন ছিল। দুর্ঘটনার সময় তা মাদুরাই (Madurai Train Fire) রেল স্টেশনের বাইরে বোড়ি লেনে দাঁড়িয়ে ছিল। আগুন লাগার খবর পেয়ে ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন রেল এবং দমকল কর্মীরা। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মাদুরাইয়ের জেলা কালেক্টর এমএস সঙ্গীতা। সকাল ৭টা ১৫ নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। 

     

    শেষ খবর মেলা পর্যন্ত, দমকল ইতিমধ্যেই আগুন নিভিয়েছে। আগুনে একটি কামরা পুরোটাই পুড়ে গিয়েছে। তবে, অন্য কামরায় তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। পোড়া কামরা থেকে সকালে মৃতদেহগুলো বের করা হয়। আহতদের মাদুরাইয়ের সরকারি রাজাজি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সাম্প্রতিককালে একাধিকবার ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তবে এভাবে যাত্রীদের মৃত্যু হয়নি। 

     

     

    দক্ষিণ রেল সূত্রে খবর, এক্সপ্রেস ট্রেনটির (Bharat Gaurav Express) ওই কামরাটি ব্যক্তিগত ভাবে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ওই কামরার যাত্রীরা এসেছিলেন উত্তর প্রদেশের লখনউ থেকে। ১৭ অগাস্ট তাঁদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সকলের গন্তব্য ছিল রামেশ্বরম। কামরাটি আলাদা করে মাদুরাই স্টেশনের এক কিলোমিটার দূরে রেল ইয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। ট্রেনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন পোর্টেবল এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে চা তৈরি করছিলেন৷ সেইসময় সিলিন্ডার ফেটে বিপত্তি ঘটে (Madurai Train Fire)।  আগুন দেখে অনেক যাত্রীই কোচ থেকে নেমে পড়েন। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহয্যে ঘোষণা করা হয়েছে, দক্ষিণ রেলের তরফ। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: পূর্বসূরির চোখে উত্তরসূরি! চাঁদের বুকে ‘বিক্রম’-এর ছবি তুলে পাঠালো ‘চন্দ্রযান ২’ অরবিটার

    Chandrayaan 3: পূর্বসূরির চোখে উত্তরসূরি! চাঁদের বুকে ‘বিক্রম’-এর ছবি তুলে পাঠালো ‘চন্দ্রযান ২’ অরবিটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে তার সঙ্গীর অকালমৃত্যুতে সে একা হয়ে পড়েছিল। চার বছর ধরে সে একাই চাঁদের চারপাশে চরকি-পাক খাচ্ছিল। এবার সে একজন সঙ্গী পেয়েছে। চন্দ্রভূমে সফল অবতরণ করেছে তার উত্তরসূরি ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার। ইতিমধ্যেই সেই ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে ‘চন্দ্রযান ২’-এর অরবিটারের। এবার চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর (Vikram-Pragyan) ছবি উঠলো চন্দ্র-২ অরবিটারে লাগানো ক্যামেরায়। সেই ছবি পোস্ট করা হয়েছে ইসরোর চন্দ্রযান-৩ ট্যুইটার হ্যান্ডলে।

    এখনও সচল চন্দ্র-২ অরবিটার

    ২০১৯ সালে চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ২’। কিন্তু, সেই অভিযান সফল হয়নি। অবতরণের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছিল ‘হার্ড-ল্যান্ডিং’ ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (‘চন্দ্রযান ৩’ অভিযানেও ল্যান্ডার ও রোভারের নাম অরপিবর্তিত রাখা হয়েছে)। কিন্তু, সচল রয়েছে চন্দ্র-২ অরবিটার। সে এখনও প্রদক্ষিণ করে চলেছে চাঁদকে। চার বছর আগের সেই ব্যর্থতার পর ২০২৩ সালে এসে সাফল্যের মুখ দেখল ইসরো। 

    মহাকাশে বিরাট লাফ ভারতের

    বুধবারই মহাকাশে বিরাট লাফ দিয়েছে ভারত। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করেছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও তার পেটে থাকা রোভার ‘প্রজ্ঞান’ (Vikram-Pragyan)। ইতিমধ্যেই, চাঁদের বুকে দাপিয়ে এদিক-ওদিক হেঁটে বেড়াচ্ছে রোভার। অন্যদিকে, এক জায়গায় স্থির রয়েছে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। এদিকে, চাঁদের চারপাশে চক্কর কাটতে কাটতে সেই ছবি তুলে নিলো ‘চন্দ্রযান ২’ অরবিটার। অর্থাৎ, পূর্বসূরির চোখে ধরা দিল উত্তরসূরি।

    ইসরোর তরফে যে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, চাঁদের মাটিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। আগের দিনের সঙ্গে বর্তমানে ল্যান্ডারের অবস্থানের পার্থক্য বোঝাতে বুধবার দুপুরের আর বুধবার রাতের দুটো ছবি প্রকাশ করে ইসরো। দুটি ছবিই চন্দ্রপৃষ্ঠের এক জায়গার। দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চারদিকে গর্তের মধ্যে, মোটামুটি সমতল একটা জায়গা খুঁজে নিয়ে ল্যান্ডার বিক্রম দাঁড়িয়ে রয়েছে চাঁদের মাটিতে। তার ছায়াও ধরা ছবিতে।

    ঠিকঠাক কাজ করছে বিক্রম-প্রজ্ঞান (Vikram-Pragyan)

    এর আগে, গতকাল ইসরো জানিয়েছিল, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) সকল সিস্টেম ঠিকঠাক কাজ করছে। সব প্যারামিটার স্বাভাবিক রয়েছে। ইসরো ট্যুইট করে জানিয়েছে, ‘‘সমস্ত কাজ নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী হচ্ছে। সমস্ত সিস্টেমও স্বাভাবিক রয়েছে। ল্যান্ডার মডিউল পেলোডগুলি— ইলসা, রম্ভা এবং চ্যাস্টে চালু করা হয়েছে। রোভারের গতিশীলতা কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। প্রপালশন মডিউলে শেপ পেলোড রবিবার চালু করা হয়েছে৷’’

    নামার আগে শেষ মুহূর্তের ভিডিও

    পাশাপাশি, ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) অবতরণের আগে চূড়ান্ত মুহূর্তগুলির একটি ভিডিও শেয়ার করেছে ইসরো। সেখানে দেখা যাচ্ছে, যতই চাঁদের দিকে এগিয়ে চলেছে ল্যান্ডার ততই স্পষ্ট হয়ে ধরা দিচ্ছে চাঁদ। ল্যান্ডার ইমেজার ক্যামেরায় ওই ছবিগুলি ধরা পড়ে অবতরণের একেবারে শেষ মুহূর্তে। ভিডিও শেয়ার করার সময় ইসরো টুইটে জানিয়েছে, ‘‘ল্যান্ডার ইমেজার ক্যামেরাটি মাটি স্পর্শ করার ঠিক আগে চাঁদের ছবি ধারণ করেছিল।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India On Moon: ইতিহাসের পাতায়! বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় ভারতের

    India On Moon: ইতিহাসের পাতায়! বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। নির্ধারিত সময়েই হলো বহু কাঙ্খিত টাচডাউন। চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করলো ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। সেই সঙ্গে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়লো ভারত। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরু জয় করলো ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’। একইসঙ্গে, আমেরিকা, সাবেক সোভিয়েত এবং চিনের পরেই চাঁদে সফল ভাবে মহাকাশযান অবতরণ করানো দেশের তালিকায় চতুর্থ হিসাবে নাম লেখাল ভারত। এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ‘‘আমরা পেরেছি, চাঁদের দেশে পা রেখেছে ভারত। ইন্ডিয়া ইস অন দ্য মুন।’’

    কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে বসে ইতিহাসের সাক্ষী থাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে নতুন ইতিহাস সৃষ্টির সঙ্গে জুড়ে থাকলেন কোটি কোটি ভারতবাসী। ইসরোর তরফে একটি ট্যুইট করে বলা হয়, ‘চন্দ্রযান ৩’  সফলভাবে চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করেছে। একইসঙ্গে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’কে উদ্ধৃত করে লেখা হয়, ‘ভারত, গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছি আমি। লক্ষ্যপূরণ হল তোমারও।’’

    এত বড়ো সাফল্যের পর জোহানেসবার্গ থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘‘তিনি বলেন, ভারতের উদীয়মান ভাগ্যের আহ্বান এই মুহূর্তে। অমৃতকালের আহ্বান। অন্তরীক্ষে নতুন ভারতের উদয়।’’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, আজ ১৪০ কোটি ভারতীয়র হৃদস্পন্দন জড়িয়ে ছিল। ইসরো বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেন মোদি। বলেন, ‘‘টিম চন্দ্রযানকে, বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা। তাঁরা এই মুহূর্তটির জন্য বছরের পর বছর ধরে পরিশ্রম করেছেন।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমার প্রিয় পরিবাবেরর সদস্যরা যখন নিজেদের চোখের সামনে এরকম ইতিহাস তৈরি হতে দেখি, তখন জীবন ধন্য হয়ে যায়। এরকম ঐতিহাসিক ঘটনা রাষ্ট্রের জন্য গর্বের বিষয়। এই মুহূর্তটা অবিস্মরণীয়। এই মুহূর্তটা উন্নত ভারতের। প্রত্যেক দেশবাসীর মতো আমারও মনোযোগ চন্দ্রযানের মহা অভিযানে ছিল।  এটি ভারতের নতুন শক্তি, নতুন চেতনার মুহূর্ত।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share