Tag: news in bengali

news in bengali

  • Manik Bhattacharya: বুধবার সকালেও ফের প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই, আবারও মানিককে জেরা শুরু

    Manik Bhattacharya: বুধবার সকালেও ফের প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই, আবারও মানিককে জেরা শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে এক দফা জেরা-পর্ব হয়েছিল। এবার বুধবার সকালেই দ্বিতীয় দফায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) জেরার জন্য কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ আবারও প্রেসিডেন্সি জেলে যান তদন্তকারীরা। পোস্টিং-দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়েই তাঁকে জেরা করা হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। আজ কি মানিককে হেফাজতে নেবে সিবিআই? বাড়ছে জল্পনা।

    এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরেই প্রাথমিক নিয়োগকাণ্ডের (Primary TET Scam) নতুন মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাটার্যকে রাতেই জেরা করার নির্দেশ সিবিআইকে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সেই মতো মঙ্গলবার রাতেই প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে যায় সিবিআই আধিকারিকের দল। প্রায় দু’ঘণ্টার ওপর সময় ধরে জেলবন্দি মানিককে করা হয় জেরা। 

    জেরায় চার সদস্যের সিবিআই টিম

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail) পৌঁছয় সিবিআইয়ের ৪ সদস্যের টিম। ওই টিমের নেতৃত্বে ছিলেন একজন এসপি পদমর্যাদার অফিসার। ছিলেন, দু’জন ইন্সপেক্টর। বিচারপতির নির্দেশ ছিল, গোটা জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। সেই মোতাবেক, এদিন সিবিআই টিমে ছিলেন একজন ভিডিয়োগ্রাফি এক্সপার্টও। সূত্রের খবর, জেলের ভিতর ইন্টারোগেশন রুমে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। সেখানেই এসপি কল্যাণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে মানিককে জেরা করছেন দু’টি পৃথক মামলার তদন্তকারী আধিকারিক মলয় দাস, ওয়াসিম আক্রম। প্রায় আড়াই ঘণ্টা জেলে ছিল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে যান তাঁরা।

    কী নিয়ে নতুন মামলা?

    প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘পোস্টিং’ নিয়ে দুর্নীতির (Teacher Posting Scam) অভিযোগ তুলে একটি মামলা করেন সুকান্ত প্রামাণিক। তাঁর দাবি, ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন তাঁদের বলা হয়েছিল নিজের জেলায় কোনও শূন্যপদ নেই। অভিযোগ, কাউন্সেলিং-এর ঠিক ১৭ দিন পরই চার জেলায় ৪০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। গতকাল, এই মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে। শুনানি চলছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে। কাদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল, টাকার লেনদেন হয়েছিল কি না, সেটাই জানতে চায় আদালত। সেখানেই বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, প্রাথমিকের নিয়োগে এটা পরিকল্পিত ভাবে দুর্নীতি হয়েছে। মানিক ছক কষে এই দুর্নীতি ‘ডিজাইন্ড কোরাপশন’ করেছেন। মানিক এই মামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি। তিনি নির্দেশ দেন, প্রয়োজনে মানিককে হেফাজতেও নিতে পারে সিবিআই। এমনকী, এই মামলায় আর্থিক দুর্নীতির দিক উঠে আসলে, তার তদন্তে ইডি-কে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: ছক কষেই দুর্নীতি! জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ সিবিআই-ইডিকে

    ‘ডিজাইন্ড কোরাপশন’ ঠিক কী?

    ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে হয়েছিল কাউন্সেলিং। পরের বছর জুলাই মাসে কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। সেখানে চতুরতার সঙ্গে ড্রাফট লেখা হয়েছিল। হোম ডিস্ট্রিক্ট ফাঁকা না দেখিয়ে, প্রেফার্ড ডিস্ট্রিক্টকে পছন্দ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কাউন্সেলিং পর্বে প্রার্থীদের বলা হয় ‘লাস্ট চান্স’। যদিও সেবারই তাঁরা প্রথম সুযোগ পাচ্ছিলেন। এখানেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। তিনি জানান, যে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পেয়েছেন মানিক (Manik Bhattacharya), সেই মামলার সঙ্গে এই নতুন মামলার কোনও যোগ নেই। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, তদন্ত চালিয়ে গেলেও, মানিকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: সফল পঞ্চম কক্ষপথ বৃদ্ধি প্রক্রিয়া, শেষ বারের মতো পৃথিবীর চক্কর কাটছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: সফল পঞ্চম কক্ষপথ বৃদ্ধি প্রক্রিয়া, শেষ বারের মতো পৃথিবীর চক্কর কাটছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর চারদিকে চক্কর কাটার শেষ ল্যাপে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। শেষ বারের মতো পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে মহাকাশযান। এর পর, চিরতরে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চাঁদের দেশে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুরে মহাকাশযানের পঞ্চম তথা শেষ অরবিট রেইজিং ম্যানুভার বা কক্ষপথ পরিধি প্রসার প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

    কোথায় রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ 

    এদিন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তরফে একটি ট্যুইট করে এই খবর জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরু-স্থিত ইসরোর কমান্ড সেন্টার ‘ইসট্র্যাক’ থেকে সফলভাবে পঞ্চম আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিনের প্রক্রিয়ার ফলে, বর্তমানে পৃথিবী থেকে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০৯ কিলোমিটার (অ্যাপোজি বা পৃথিবীর দূরে) X ২৩৬ কিলোমিটার (পেরিজি বা পৃথিবীর নিকট) পরিধির ডিম্বাকৃতি কক্ষপথে প্রতিস্থাপিত হয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)।

    ১ অগাস্ট মধ্যরাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হতে চলেছে!

    ইসরোর (ISRO Moon Mission) তরফে জানানো হয়েছে, এর পরের ধাপ আসতে চলেছে ১ অগাস্ট। সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ, ওই দিন রাত ১২টা থেকে রাত ১টার মধ্যে একটা বড় লাফ দিতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’, যাকে বলা হচ্ছে ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন। বিশেষ রকেট ফায়ার করানোর মাধ্যমে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে পাঠিয়ে দেওয়া হবে চাঁদের কক্ষপথের উদ্দেশে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় লুনার ট্রান্সফার ট্যাজেক্টরি। এক কথায়, চাঁদের কক্ষপথের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে। এটা এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ কারণ, সেদিনই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে চিরতরে হারিয়ে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। 

    ৫ থেকে ৬ অগাস্টে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ

    জানা যাচ্ছে, ৫ থেকে ৬ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। তারপর চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শেষপর্যন্ত ভারতের চন্দ্রযানকে চন্দ্র কক্ষপথে টেনে আনবে। সেখানে একইভাবে বার বার রিভার্স ম্যানুভারিংয়ের মাধ্যমে নিজের কক্ষপথ সঙ্কোচন ও গতি কমানোর প্রক্রিয়া চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। অবশেষে চাঁদের ১০০ কিলোমিটারের কক্ষপথে পৌঁছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের বুকে চূড়ান্ত অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ২৩ বা ২৪ তারিখ চাঁদে অবতরণ করার পর সেখান থেকে ছবি পাঠাবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)।

    ধাপে ধাপে কক্ষপথ পরিধি প্রসারণ

    ১৪ জুলাই, অর্থাৎ, গত শুক্রবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘এলভিএম-৩’ রকেট (ISRO Moon Mission)। পৃথিবীর ওপর একটা নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’-কে। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। বলা যেতে পারে, এখনও পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ আওতায় রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। প্রতি প্রদক্ষিণে নিজের কক্ষপথের আয়তনের সঙ্গে সঙ্গে গতি বৃদ্ধিও করে চলেছে এই মহাকাশযান। এর আগে, ১৫ তারিখে প্রথম, ১৭ তারিখে দ্বিতীয়, ১৮ তারিখে তৃতীয় ও ২০ তারিখে চতুর্থ অরবিট রেইজিং ম্যানুভার সম্পন্ন করেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। প্রতিবার নিজের কক্ষপথের পরিধি বৃদ্ধি করেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৫ জুলাই সম্পন্ন হল পঞ্চম তথা চূড়ান্ত ম্যানুভার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Moloy Ghatak: কয়লাকাণ্ডে ফের হাজিরা এড়ালেন মলয় ঘটক, এবার কি গ্রেফতার করবে ইডি?

    Moloy Ghatak: কয়লাকাণ্ডে ফের হাজিরা এড়ালেন মলয় ঘটক, এবার কি গ্রেফতার করবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলায় (Bengal Coal Scam) ফের একবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাজিরা এড়ালেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। যা জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে ১৩ বার নাকি হাজিরা এড়ালেন মন্ত্রীমশায়। গত ১২ জুলাই তাঁকে হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। চলতি সপ্তাহেই তাঁর দিল্লিতে গিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, মন্ত্রীমশাই চিঠি দিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত কিছু কর্মসূচি থাকার কারণে তিনি দিল্লি যেতে পারছেন না।

    বার বার এড়াচ্ছেন হাজিরা

    ইডি সূত্রে দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে, প্রতিবার ১৫ দিন সময় দিয়ে মলয়কে (Moloy Ghatak) ডাকা হচ্ছে। কিন্তু বারেবারে নানা কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়াচ্ছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ২০ ও ২৬ জুন তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি। সেইসময় রাজ্যের মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না। ভোটপর্ব মিটলে তিনি হাজিরা দেবেন। সেই মতো, ভোট মিটে যাওয়ার পর, এবার গত ১২ তারিখ তাঁকে তলবের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, এবারও, তিনি হাজিরা এড়িয়ে গেলেন। 

    কেন তলব মন্ত্রী মলয়কে?

    মলয় ঘটক, একাধারে আইন ও শ্রম মন্ত্রী, অন্যদিকে, খনি এলাকা আসানসোলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল বিধায়ক। ইডি সূত্রে দাবি, কয়লা পাচার মামলায় (Bengal Coal Scam) আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সামনে রেখে মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা শঙ্কর চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। আসানসোল পুরসভার ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপা চক্রবর্তীর স্বামী শঙ্করের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে ইডি-র দাবি।

    আগে জেরা করেছে সিবিআই-ও

    এই মামলায় ইডির আগে, সিবিআইও জেরা করেছিল মন্ত্রীকে। মামলা তদন্তে সিবিআই বিরাট অভিযান চালিয়েছিল। তারা পৌঁছে গিয়েছিল মলয়ের আসানসোলের বর্তমান বাড়ি, পৈতৃক বাড়িতে। এমনকী রাজভবনের মন্ত্রী আবাসনের যে ফ্লোরে মলয় (Moloy Ghatak) থাকেন সেখানেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। পরে, এই মামলায় ইডি-ও সামন্তরাল তদন্ত শুরু করলে, ডাক পড়ে মলয় ঘটকের। যে প্রেক্ষিতে, মন্ত্রীমশাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, অন্তত ১৫ দিন সময় নিয়ে মন্ত্রীকে ডাকতে হবে। সেই মতো, ১২ তারিখ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।

    কী পদক্ষেপ করতে পারে ইডি?

    এদিকে, বার বার ডাকা সত্ত্বেও মলয় ঘটক (Moloy Ghatak) যেভাবে হাজিরা এড়াচ্ছেন, তা আদালত অবমাননার সামিল বলে মনে করছে ইডি। এ নিয়ে আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেও কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর। নিয়ম অনুযায়ী, তদন্তকারী সংস্থা যাকে হাজিরার জন্য ডাকবে তাকে যেতে হবে। না গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ইডি-র। এক্ষেত্রে, তদন্তকারী সংস্থা আদালতের কাছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুর জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি তারা মনে করেন যে তিনি শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ এড়ানোর জন্যই এই কাজ করছেন তবে তাকে গ্রেফতারির জন্য আদালতের কাছে ওয়ারেন্ট ইস্যুর আবেদনও করতে পারেন। কারণ ইডির গ্রেফতার করার ক্ষমতা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • EPF Interest Hike: চাকরিজীবীদের মুখে হাসি! পিএফ-এ সুদের হার বৃদ্ধি কেন্দ্রের, জানুন নতুন রেট

    EPF Interest Hike: চাকরিজীবীদের মুখে হাসি! পিএফ-এ সুদের হার বৃদ্ধি কেন্দ্রের, জানুন নতুন রেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও চওড়া হলো বেতনভোগী চাকরিজিবীদের মুখের হাসি। সোমবার, প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার (EPF Interest Hike) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো মোদি সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে আগের তুলনায় অতিরিক্ত ০.০৫ শতাংশ সুদ বেশি মিলবে। এই মর্মে, এদিন ইপিএফও-র সব অফিসকে নোটিস পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কেন্দ্রের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক বলেছে, ‘‘কর্মচারী ভবিষ্যৎ তহবিল প্রকল্পে ১৯৬২ এর অনুচ্ছেদ ৬০(১) অনুযায়ী, ২০২২-২৩ সালের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড (Provident Fund) স্কিমের প্রতিটি সদস্যের অ্যাকাউন্টে ৮.১৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে।” 

    কত হলো সুদের হার?

    এর আগে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। সেখান থেকে কমিয়ে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পিএফ-এর সুদের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। ২০২০-২১ সালে সেই হারই বহাল রাখা হয়েছিল। তবে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালের পর এটাই পিএফ-এর সর্বনিম্ন সুদের হার। তবে আজ বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হলো পিএফ-এর সুদের হার (EPF Interest Hike) বাড়ানো হচ্ছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য। আজকের সিদ্ধান্তের ফলে, এখন থেকে চাকরিজীবীদের পিএফে সুদের হার হলো ৮.১৫ শতাংশ। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের ছ’কোটি সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবী উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। 

    কেন প্রয়োজন প্রভিডেন্ট ফান্ড?

    ইপিএফ স্কিম বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) এই তহবিল পরিচালানা করে। অবসরকালীন সুবিধা ছাড়াও কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের পরে আর্থিক নিরাপত্তা দেয় এই প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা। এই তহবিলে (EPF Interest Hike) প্রতি মাসে একজন কর্মচারী তাদের উপার্জনের ১২ শতাংশ জমা দেন। কর্মীদের পাশাপাশি মালিকপক্ষও ১২ শতাংশ অবদান জমা করে। তার মধ্যে নিয়োগকর্তার পক্ষ থেকে ৩.৬৭ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। বাকি ৮.৩৩ শতাংশ যায় কর্মচারী পেনশন স্কিমে(EPS)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: সম্পন্ন হল চতুর্থ কক্ষপথ প্রসারণ প্রক্রিয়া, চাঁদের আরও কাছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: সম্পন্ন হল চতুর্থ কক্ষপথ প্রসারণ প্রক্রিয়া, চাঁদের আরও কাছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দিকে চূড়ান্ত যাত্রা শুরু করার আগে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পার করল ‘চন্দ্রযান ৩’। ইসরো জানিয়েছে, এদিন বিকেলে চতুর্থ অরবিট রেইজিং ম্যানুভার বা কক্ষপথ প্রসারণ প্রক্রিয়া সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করেছে চন্দ্রযান মডিউল। এবার পঞ্চম দফায় কক্ষপথ প্রসারণ ঘটানোর পর চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)।

    গতি বৃদ্ধি করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    ১৮ জুলাই, অর্থাৎ, গত শুক্রবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘এলভিএম-৩’ রকেট (ISRO Moon Mission)। পৃথিবীর ওপর একটা নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’-কে। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। বলা যেতে পারে, এখনও পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ আওতায় রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। প্রতি প্রদক্ষিণে নিজের কক্ষপথের আয়তনের সঙ্গে সঙ্গে গতি বৃদ্ধিও করে চলেছে এই মহাকাশযান।  এর আগে, ১৭ তারিখ দ্বিতীয় ও ২০ তারিখ তৃতীয় অরবিট রেইজিং ম্যানুভার সম্পন্ন করেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’।

    ২৫ তারিখ পঞ্চম তথা চূড়ান্ত কক্ষপথ প্রসারণ

    ইসরো জানিয়েছে, আগামী ২৫ তারিখ, দুপুর ২টো থেকে ৩টের মধ্যে পঞ্চম তথা চূড়ান্ত বারের জন্য কক্ষপথ প্রসারণ করবে চন্দ্রযান। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভার। এর পরই, মহাকাশযানে লাগানো বিশেষ রেট্রো রকেট ফায়ার করে পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে লুনার ট্রান্সফার ট্র্যাজেকটরিতে প্রতিস্থাপিত হবে ‘চন্দ্রযান ৩’। বলা যেতে পারে, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ কাটিয়ে পৌনে ৪ লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) পৌঁছে যাবে লুনার অরবিট বা চাঁদের কক্ষপথে। 

    ৫ থেকে ৬ অগাস্টে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ

    জানা যাচ্ছে, ৫ থেকে ৬ অগাস্টে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। সেখানে গিয়ে একইভাবে বার বার রিভার্স ম্যানুভারিংয়ের মাধ্যমে নিজের কক্ষপথ সঙ্কোচন ও গতি কমানোর প্রক্রিয়া চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। অবশেষে চাঁদের ১০০ কিলোমিটারের কক্ষপথে পৌঁছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের বুকে চূড়ান্ত অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ২৩ বা ২৪ তারিখ চাঁদে অবতরণ করার পর সেখান থেকে ছবি পাঠাবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)।

    ‘চন্দ্রযান ৩’-এর স্বাস্থ্য একেবার ঠিক

    বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর এস উন্নিকৃষ্ণণ তিরুঅনন্তপুরম থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উৎক্ষেপণের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) নির্বিঘ্নেই এগিয়ে চলেছে। পরিকল্পনামাফিক তার অগ্রগতি হচ্ছে। কোনও হেরফের এখনও হয়নি। এই অভিযান (ISRO Moon Mission) সফল হলে মহাকাশ গবেষণায় বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশকে পিছনে ফেলে দেবে ভারত।

  • Bengaluru Terrorists Arrest: শহরজুড়ে বিস্ফোরণ! বেঙ্গালুরুতে বড় হামলার ছক ছিল ধৃত ৫ লস্কর জঙ্গির

    Bengaluru Terrorists Arrest: শহরজুড়ে বিস্ফোরণ! বেঙ্গালুরুতে বড় হামলার ছক ছিল ধৃত ৫ লস্কর জঙ্গির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বেঙ্গালুরু শহর উড়িয়ে দেওয়ার ছক! ছিল ২৬/১১ ধাঁচে তার চেয়েও বড় জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা! বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার হওয়া ৫ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে (Bengaluru Terrorists Arrest) জেরা করে এমনই হাড়হিম করা তথ্য পেল পুলিশ। গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ধৃতদের পেছনে কোন মাথা রয়েছে, আর কোনও সঙ্গী রয়েছে কিনা বা কোথায় বসে তাদের হ্যান্ডলার, কীভাবে আসত নির্দেশ— এসব তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টায় গোয়েন্দারা।

    বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল

    বুধবার, দেশে বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল (Terror Attack Foiled) করেছে বেঙ্গালুরুর সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ পুলিশ। বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার (Bengaluru Terrorists Arrest) করা হয় ৫ সন্দেহভাজন লস্কর জঙ্গিকে। ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বারুদ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ নিশ্চিত দেশের বুকে বড় নাশকতার ছক কষা হয়েছিল। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বেঙ্গালুরুর আরটি নগর অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ৫ সন্দেহভাজন জঙ্গির নাম— সইদ সুহেল খান, মহম্মদ ফয়জন রব্বানি, মহম্মদ উমর, মুদ্দাসির পাশা ও জাহিদ তাবরেজ। এরা সকলেই বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা।

    লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ

    পুলিশের দাবি, ধৃতদের (Bengaluru Terrorists Arrest) সঙ্গে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার প্রত্যক্ষ যোগ ছিল। ধৃতদের কাছ থেকে ৭টি পিস্তল, প্রচুর গুলি, একটি ওয়াকি-টকি সহ আরও আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তদের প্রত্যেকের বয়স ২৫ থেকে ৩৫-এর মধ্যে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে, ২০১৭ সালে একটি খুনের মামলায় পাঁচ জন গ্রেফতার হয়েছিল। ২০১৯ সালে তারা জামিন পায়। তখন থেকেই ধৃতরা বেঙ্গালুরু শহরে সিরিয়াল বিস্ফোরণ করার পরিকল্পনা  (Terror Attack Foiled) করেছিল বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। কমিশনার জানান, আরও এক সঙ্গীর সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

    মাস্টারমাইন্ড বসে আফগানিস্তানে!

    প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃতদের ‘মাস্টারমাইন্ড’-এর নাম মহম্মদ জুনেইদ। তার সঙ্গে লস্করের মাথাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। বর্তমানে সে এখন পাক-সীমান্ত লাগোয়া আফগানিস্তানে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, বেঙ্গালুরুর কাছে সুনতানপাল্যা অঞ্চলে ভেড়া কেনাবেচা করত জুনেইদ। ২০১৭ সালে একটি খুনের মামলায় তার জেল হয়। সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় ওই জেলেই বন্দি থাকা ২০০৮ বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত লস্কর জঙ্গি মহম্মদ নাজিরের সঙ্গে। ধৃত পাঁচজনের (Bengaluru Terrorists Arrest) সঙ্গেও সেখানেই পরিচয় হয় জুনেইদের। ২০২১ সালে ছাড়া পেয়ে সে সীমান্ত টপকে পাকিস্তানে যায় জুনেইদ। সেখানে গিয়ে লস্করের থেকে সে প্রশিক্ষণ নেয়। 

    জেলে বসেই নাশকতার পাঠ!

    এখন ইন্টারপোলের সাহায্যে জুনেইদের বর্তমান ঠিকানা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। পাশাপাশি, জেলবন্দি নাজিরকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। পুলিশ নিশ্চিত, জেলেই জুনেইদ ও এই ৫ জনের মগজধোলাই করে নাজির। তার নির্দেশেই, জুনেইদ পাকিস্তানে যায়। তার নির্দেশই এই ৫ জন বেঙ্গালুরুতে বড় হামলার ছক কষেছিল। সূত্রের দাবি, পুলিশি জেরায় ধৃতরা স্বীকার করেছে যে, সন্ত্রাস হামলা কী করে করতে হয়, নাজিরই তাদের শিখিয়েছিল। এমনকী, জুনেইদের বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য এই পাঁচজনের থেকেই পেয়েছে পুলিশ। ধৃতদের (Bengaluru Terrorists Arrest) জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, জেলে বসেই তৈরি করা হয়েছিল হামলার ব্লু-প্রিন্ট (Terror Attack Foiled)!

    এনআইএ তদন্তের দাবি বিজেপির

    এদিকে, এই ঘটনাকে বড় ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে গোটা তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়ার পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বাসবরাজ বোম্মাই। তিনি বলেন, “সেখানে একটা বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তারা বেঙ্গালুরু শহরে সিরিয়াল বিস্ফোরণ ঘটাতে (Terror Attack Foiled) চেয়েছিল। এই মামলাটি এনআইএ-র হাতে দেওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: ‘‘আদালতে আসি ন্যায় দিতে, কাগজে নাম ছাপাতে নয়’’! বিস্ফোরক বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    Justice Amrita Sinha: ‘‘আদালতে আসি ন্যায় দিতে, কাগজে নাম ছাপাতে নয়’’! বিস্ফোরক বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) ছাপ্পা-ভোট থেকে শুরু করে গণনায় কারচুপির অভিযোগ নিয়ে বারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধী দলগুলি। কয়েকদিন আগেই, কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দাখিল হয়, যেখানে মামলাকারী দাবি করেন, ভোট বয়কট করা বুথেই ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই তথ্য আদালতের সামনে পেশ করলে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। বুধবার আরও একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে। মামলাকারীর দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার তিনটি বুথে ১০০ শতাংশেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।

    ১০০ শতাংশেরও বেশি ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী!

    জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া-২ ব্লকের মালিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনা ঘটেছে। ৬৮ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা ১হাজার ৪৮১। কিন্ত সেখানে মোট ভোট পড়েছে ২ হাজার ১৭৭টি। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭১ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৫২৯। সেখানে ভোট পড়েছে ১ হাজার ৭৪০টি। একইভাবে ৮৩ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা যেখানে ১ হাজার ৪৮৮. কিন্ত ভোট পড়েছে ২ হাজার ৪৯৬টি। মামলাকারীর দাবি, এর থেকেই স্পষ্ট, কীভাবে কারচুপি ও ছাপ্পার সাহায্যে জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল (Panchayat Elections 2023)। মামলাটি এদিন ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) এজলাসে। ভাবে মোট ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট পড়ল, সংশ্লিষ্ট বিডিও-র কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।

    বিধায়কের হুমকির পরই জয়ী ঘোষণা তৃণমূল প্রার্থীকে!

    কুলপির এক সিপিএম প্রার্থীর দায়ের করা আরেকটি মামলায় নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট তলব করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের বিরুদ্ধে গণনায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দাখিল করেন কুলপির রামকৃষ্ণপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী অর্পিতা বণিক সর্দার। সিপিএম প্রার্থীর অভিযোগ, ভোটগণনার দিন (Panchayat Elections 2023) গণনার শেষে প্রথমে তাঁকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে স্থানীয় বিধায়ক কয়েক জন দুষ্কৃতীকে নিয়ে গণনাকেন্দ্রে ঢোকেন এবং হুমকি দেন। তার পরেই মাত্র একটি ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হয়। সেখানে মামলাকারীর দাবি, তিনি এই মর্মে বিধায়কের বিরুদ্ধে কমিশনেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এর পরই এই ঘটনায় কমিশনের রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি।

    ‘‘মানুষকে ন্যায় দিতে আদালতে আসি…’’

    অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) ঘিরে মামলার পাহাড় জমে যাওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একটি মামলার শুনানি চলাকালীন তিনি জানন, খাবার খাওয়ারও সময় পাচ্ছেন না তিনি। এদিন, নির্বাচন সংক্রান্ত নয় একটি মামলার উল্লেখপর্ব নিয়ে মামলার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘পঞ্চায়েতের যেভাবে বন্যার মতো মামলা আসছে তাতে আমি আপনাকে কথা দিতে পারছি না। রোজ ৭০ – ৮০টা করে তালিকাবহির্ভূত মামলা আসছে।’’ তখন ওই আইনজীবী বলেন, ‘‘আমরা দেখছি যে মাননীয় বিচারপতি দুপুরের আহার করার সময় পাচ্ছেন না।’’ তাঁর কথার সূত্র ধরে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘হ্যাঁ, গতকাল আমি ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ এজলাসে বসেছি। আর উঠেছি বেলা ৩টে ২৯ মিনিটে।’’

    এই কথার প্রেক্ষিতেই উপস্থিত আরেক আইনজীবী বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘‘আজকের খবর কাগজে প্রথম হেডলাইনেই আপনার নাম।’’ তখন জবাবে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘খবরের কাগজে নাম ছাপাটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল, একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ছুটতে ছুটতে আদালতে আসছে। সাংবাদিকদের হয়তো হেডলাইন নিয়ে উৎসাহ থাকবে। কিন্তু আমরা এখানে শুধুমাত্র মানুষকে ন্যায় দিয়ে আসি। হেডলাইনে নাম ছাপার জন্য নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO Aditya L1: চাঁদের পর সূর্যাভিযান ভারতের! সোলার প্রোব পাঠাচ্ছে ইসরো, কবে উৎক্ষেপণ?

    ISRO Aditya L1: চাঁদের পর সূর্যাভিযান ভারতের! সোলার প্রোব পাঠাচ্ছে ইসরো, কবে উৎক্ষেপণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সফলভাবে গত শুক্রবার উৎক্ষেপণ হয়েছে চন্দ্রযান ৩ মিশনের। এখন চন্দ্রযান ৩ মহাকাশযান পৃথিবীর চারপাশে কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে নিজের গতি ও উচ্চতা বৃদ্ধি করছে। এইভাবে ৩৫ দিন পর আগাস্টের ২৩ বা ২৪ তারিখ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার কথা চন্দ্র-ল্যান্ডারের। আশা করা হচ্ছে, এই মিশনের মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠের অনেক অজানা তথ্য উঠে আসবে। অনেক রহস্যের উন্মোচন হবে। তবে, চন্দ্রাভিযানেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখতে নারাজ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। এর আগেও, মঙ্গলগ্রহে অরবিটার পাঠিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এবার লক্ষ্য সূর্য (ISRO Aditya L1)। 

    সম্ভাব্য উৎক্ষেপণের দিন প্রকাশ্যে

    সব ঠিকঠাক চললে, আগামী মাসে, অর্থাৎ অগাস্টেই সৌর মিশন করতে চলেছে ইসরো। শ্রীহরিকোটা থেকেই সূর্যের দিকে পাড়ি দেবে ইসরোর আদিত্য এল ১। এই প্রেক্ষিতে, উৎক্ষেপণের তারিখও প্রকাশ্য এসেছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থারসৃ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্ভবত ২৬ অগাস্ট সোলার মিশন লঞ্চ করা হবে। অর্থাৎ, চন্দ্রযান ৩ ল্যান্ডারের চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ২ দিনের মাথায় সূর্যের দিকে পাড়ি দেবে আদিত্য এল ১ (ISRO Aditya L1)। এই মিশনে ভারতের অন্যতম হাতিয়ার পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল বা পিএসএলভি।

    কী কাজ করবে আদিত্য এল ১ (Aditya L1 Sun Probe)?

    প্রসঙ্গত, সোলার প্রোবের উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরেই জল্পনা চলছিল। ২০২০ সালেই এই মিশন লঞ্চ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, করোনা অতিমারির জন্য তা পিছিয়ে যায়। আদিত্য এল ১ (ISRO Aditya L1) আদতে একটি করোনাগ্রাফি স্যাটেলাইট। হিন্দু দেবতা সূর্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই নামকরণ করা হয়েছে মহাকাশযানটির। এই মিশনের উদ্দেশ্য সৌরজগৎ নিয়ে অনুসন্ধান চালানো এবং এই মহাকাশযানটিকে পৃথিবী থেকে ১.৫ মিলিয়ান দূরে পাঠানো। ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে, মহাকাশযানটিকে সূর্য-পৃথিবী সিস্টেমের প্রথম ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট এল ১-এর চারপাশে একটি হ্যালো কক্ষপথে স্থাপন করা হবে (Aditya L1 Sun Probe)। এই পয়েন্টের একটি বিশেষত্ব রয়েছে। আর তা হল, কোনও গ্রহণ ছাড়াই সূর্যকে অবিচ্ছিন্ন ভাবে দেখার। সৌরমণ্ডল এবং পৃথিবীর পরিবেশের উপর সূর্যের ঠিক কী প্রভাব পড়ে সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সামনে আসতে পারে এই অভিযান সফল হলে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu Terrorists Killed: রাতভর ‘অপারেশন ত্রিনেত্র’! ড্রোনের সাহায্যে পুঞ্চে ৪ জঙ্গিকে খতম করল সেনা

    Jammu Terrorists Killed: রাতভর ‘অপারেশন ত্রিনেত্র’! ড্রোনের সাহায্যে পুঞ্চে ৪ জঙ্গিকে খতম করল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমরনাথ যাত্রা চলাকালীন জঙ্গিদমন অভিযানে (Operation Trinetra) বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চে ৪ জঙ্গিকে খতম (Jammu Terrorists Killed) করল যৌথবাহিনী। সেনা সূত্রে খবর, সোমবার রাতে পুঞ্চ জেলার সিন্ধরা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। রাতভর দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় গুলি বিনিময় হয়। ড্রোনের সাহায্য নিয়ে ৪ জঙ্গিকে নিকেষ করা হয়।

    রাতভর ‘অপারেশন ত্রিনেত্র’

    সেনার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ১১টা নাগাদ গোপন চ্যানেলে খবর আসে যে পুঞ্চের সিন্ধারা এলাকায় বেশ কয়েক জন জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছেন। সেই খবর পেয়েই ওই এলাকায় রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তল্লাশি অভিযানে যায় ভারতীয় সেনার বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাহিনী, রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের বিশেষ বাহিনীকে নিয়ে গঠিত যৌথবাহিনী। সেনার তরফ থেকে এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন ত্রিনেত্র’ (Operation Trinetra)।

    জঙ্গিরা কোথায় লুকিয়ে? জানিয়ে দেয় ড্রোন

    সিন্ধারা এলাকা ঘিরে জওয়ানরা তল্লাশি অভিযান শুরু করতেই, জঙ্গলে ভেতর থেকে বাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি শুরু করে জঙ্গিরা। বিভিন্ন দিক থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ধেয়ে আসছিল বাহিনীর দিকে। অন্ধকারে কিছু দেখাও যাচ্ছিল না বলে বাহিনীকে প্রথমে সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু, এই অভিযানে অত্যাধুনিক নাইট ভিসন ক্যামেরা, গগলসের পাশাপাশি ড্রোন নিয়ে গিয়েছিল সেনা। 
    তাতেই সাফল্য মেলে। সেনা সূত্রে খবর, ড্রোনে থাকা ক্যামেরা থেকে বাহিনী জেনে যায়, জঙ্গলের ঠিক কোন জায়গায় লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা (Jammu Terrorists Killed)।

    শুরু হয় সেনার ‘ফাইনাল অ্যাসল্ট’

    ড্রোনের সাহায্যে জঙ্গিদের অবস্থান চলে আসে হাতের মুঠোয়। সেই মতো, পরিকল্পনা করা হয়। তার পরই ‘ফাইনাল অ্যাসল্ট’ শুরু করে সেনা। খুঁজে খুঁজে এক এক করে চার জঙ্গিকে খতম (Jammu Terrorists Killed) করা হয়। বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় জঙ্গিদের একটি ডেরার হদিশ মিলেছে। জঙ্গিদের ডেরা থেকে প্রচুর অস্ত্র মিলেছে। তিনটি গ্রেনেড ও অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই এলাকায় আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে আছে কি না, তা জানতে চিরুনি-তল্লাশি চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি মুকেশ সিংহ জানিয়েছেন, এই অভিযানে ড্রোন ব্যবহার করে জঙ্গিদের খুঁজে খুঁজে মারা হয়েছে। প্রযুক্তির সাহায্যে নেওয়ায় জঙ্গিদের সহজেই খুঁজে বার করে সম্ভব হয়েছে।

    বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল

    সেনা সূত্রে খবর, যে ৪ জনকে নিকেষ (Jammu Terrorists Killed) করা হয়েছে, তারা প্রত্যেকে বিদেশি। সীমান্তের ওপার থেকেই জঙ্গিদের ওই দলটি ভারতে প্রবেশ করে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছিল বলে জানানো হয় সেনা বাহিনীর তরফে। নিহত জঙ্গিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে,  সেনার অনুমান, উপত্যকায় বড়সড় নাশকতার ছক ছিল এই জঙ্গিদের। এই নিয়ে গত ২ দিনে পুঞ্চে ৬ জঙ্গিকে খতম করল সেনা। সোমবারও পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে কয়েকজন জঙ্গি। তাদের জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানে নিহত হয় দুই জঙ্গি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Enforcement Directorate: আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে মধ্যরাতে ইডি-র হাতে গ্রেফতার ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায়

    Enforcement Directorate: আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে মধ্যরাতে ইডি-র হাতে গ্রেফতার ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে কলকাতার ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায়কে গ্রেফতার (Kolkata Businessman Arrested) করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (Enforcement Directorate)। সোমবার মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর সূত্রের। 

    আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ

    কৌস্তুভের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েছিল। এই প্রেক্ষিতে অতীতে তাঁর অফিসে ও বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। দফতরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কয়েক মাস আগে কৌস্তুভের বাড়ি ও দফতরে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। সেসময়ই বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে খবর মিলেছিল। তবে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তি তৈরি করার অভিযোগ। বিদেশ সফর নিয়েও কৌস্তুভ বেশ কিছু তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ।

    দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার

    সোমবার সকালে কৌস্তুভকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিল ইডি (Enforcement Directorate)। কিন্তু তিনি পাল্টা চিঠি দিয়ে ইডিকে জানান, এদিন সকালে হাজিরা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। বিকেলে তাঁর দেখা করার সময় হবে। তখন ওই চিঠির প্রেক্ষিতে ইডি তাঁকে বিকেল ৪টেয় হাজিরা দিতে বলেছিল। সেই মতো, গতকাল বিকেল ৪টে নাগাদ সিজি-তে হাজিরা দেন কৌস্তুভ। সেখানে তাঁকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় অবশেষে রাত দেড়টা নাগাদ কৌস্তুভকে গ্রেফতার (Kolkata Businessman Arrested) করে ইডি। সূত্রের খবর, সোমবার বেশ কিছু নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি (Enforcement Directorate)। সূত্রের খবর, যা তিনি দেখাতে পারেননি। আর যেসব নথি তিনি পেশ করেছিলেন সেগুলিতে অসঙ্গতি মিলেছে। এর পরই কৌস্তুভকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ফোনও।

    ‘শাসক-ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন কৌস্তভ, দাবি বিরোধীদের  

    প্রসঙ্গত, কৌস্তুভ একটি টিভি চ্যানেলের কর্তা। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কৌস্তুভ। রাজ্যের শাসক শিবিরের একাধিক কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে কৌস্তুভকে। বিরোধীদের দাবি, প্রত্যক্ষভাবে না থাকলেও, পরোক্ষভাবে শাসক শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কৌস্তভ। বিরোধীদের আরও দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যখন কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রথম তলব করেছিল, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল কৌস্তুভ রায়কে। শুধু তাই নয়, আগামী ২১ জুলাই তৃণমূলের কর্মসূচির সম্প্রচার করার দায়িত্বে কৌস্তভের চ্যানেল। বিরোধীদের দাবি, এর থেকেই প্রমাণিত, তিনি শাসক-শিবিরের কতটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share