Tag: news in bengali

news in bengali

  • Debangshu Bhattacharya: দেবাংশুর হাতে বুথের ভিডিও ফুটেজ কীভাবে? খোঁজ নিচ্ছে কমিশন

    Debangshu Bhattacharya: দেবাংশুর হাতে বুথের ভিডিও ফুটেজ কীভাবে? খোঁজ নিচ্ছে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েবকাস্টিংয়ের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। তমলুক কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দেবাংশু লড়ছেন তাঁরই বিরুদ্ধে।

    দেবাংশুর অভিযোগ (Debangshu Bhattacharya)

    তৃণমূলের এই প্রার্থীই বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওয়েবকাস্টিংয়ের ছবি পোস্ট করেছিলেন। তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগের যে কোনও সারবত্তা নেই, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বুথের ভিতরের ভিডিও ফুটেজ দেবাংশুর হাতে গেল কীভাবে, তার উত্তর পেতে তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরে পরেই একটি ভিডিও পোস্ট করেন দেবাংশু (Debangshu Bhattacharya) (ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, ইভিএমের সামনে কয়েকজন জড়ো হয়ে রয়েছেন। দেবাংশুর দাবি, ভিডিওটি নন্দীগ্রাম ১ এর সোনাচূড়া অঞ্চলের ২৭৯ নম্বর গঙ্গা বাসুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। দেবাংশুর অভিযোগ, এই বুথে বিজেপি দেদার ছাপ্পা দিচ্ছে।

    কমিশনের দাবি

    তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দাবি, ওই বুথে ভিভিপ্যাট খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেটি পাল্টানো হচ্ছিল। তাই ভিড় হয়েছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে, দেবাংশুর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিজেপির অভিজিৎ। হেভিওয়েট এই প্রার্থীর সামনে দাঁড়ানোটাই চ্যালেঞ্জ দেবাংশুর কাছে। তিনি জানেন, অভিজিতের কাছে গোহারা হারবেন। তাই গেয়ে রেখেছেন আগাম গাওনা। দেবাংশুর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন অভিজিৎও। তিনি বলেন, “কমিশন আগেও ওঁর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। কোথাও কোনও ছাপ্পার অভিযোগ নেই।”

    আর পড়ুন: “চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টের নামকরণও করত পরিবারের নামে”, কংগ্রেসকে তোপ মোদির

    তবে ওয়েবকাস্টিংয়ের ফুটেজ দেবাংশুর হাতে গেল কীভাবে তা জানার চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। ওয়েবকাস্টিং নিয়ন্ত্রিত হয় দিল্লিতে কমিশনের সদর দফতর, সিইওর দফতর এবং জেলাশাসকের দফতর থেকে। ওয়েবকাস্টিংয়ের পাশওয়ার্ড রয়েছে হাতে গোণা কয়েকজনের কাছে। তাই কীভাবে বাইরে এল ভিডিও ফুটেজ? সিইও দফতর সূত্রে খবর, সেখান থেকে ফুটেজ বের হয়নি। তাহলে বাকি রইল জেলাশাসকের দফতর। যদি তা হয়ে থাকে, তবে তা সার্ভিস রুল অবমাননার শামিল। ফুটেজ লিকের নেপথ্যেই বা কে, তাও জানার চেষ্টা করছে কমিশন (Debangshu Bhattacharya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টের নামকরণও করত পরিবারের নামে”, কংগ্রেসকে তোপ মোদির  

    PM Modi: “চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টের নামকরণও করত পরিবারের নামে”, কংগ্রেসকে তোপ মোদির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ড করেছিল চন্দ্রযান-৩। জায়গাটির নাম ‘শিব-শক্তি’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) দাবি, এই নামটি দেওয়া হয়েছে যাতে ভারতের নাগরিক এই নামের সঙ্গে একাত্মতা বোধ করতে পারেন। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে নিশানা করেন কংগ্রেসকে। তিনি বলেন, “কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলে ওই জায়গাটির নাম পরিবারের কোনও সদস্যের নামে করে দিত।”

    শিব-শক্তি নাম কেন? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চন্দ্রযান-৩ প্রথম যেখানে ভূমি স্পর্শ করেছিল তার নাম অন্য কিছুও হতে পারত। তবে তারা(কংগ্রেস) ক্ষমতায় থাকলে, তারা জায়গাটির নাম তাদের পরিবারের কারও নামে নামকরণ করতে পারত…কিন্তু আমি সেটা করতে পারি না।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত তামাম বিশ্বকে একটা দর্শন (ফিলোজফি) দিয়েছে। আমি গর্ব অনুভব করি এই ভেবে যে এর (চাঁদের ওই ভূমি) যে নাম দেওয়া হয়েছে, সেই শক্তি মহাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে।”

    পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ

    তিনি (PM Modi) বলেন, “আমি যখন বলি শিব-শক্তি, ভারতের ১৪০ কোটি মানুষ এর সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করেন। যদি একটা পরিবারের নামে এর নামকরণ করা হত, তাহলে জনগণের একটা অংশ মাত্র এর সঙ্গে নিজেকে রিলেট করত। শিব-শক্তি হল একটা নাম, যেটা আমাদের মোটিভেট করে, শক্তি জোগায়। এটা এমন একটা নাম যা কোটি কোটি মানুষকে গাইড করে।”

    আর পড়ুন: “ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম,” বললেন নিহত বিজেপি মহিলা কর্মীর মেয়ে

    দেশে চলছে অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন। ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। আজ, শনিবার হল ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন হবে পয়লা জুন। তার আগে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কংগ্রেসকেই চাঁদমারি করেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নানা সময় তিনি পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। কংগ্রেসের আমলে চন্দ্রাভিযান-৩ সফল হলেও, যে তার ব্যতিক্রম হত না, এদিন প্রকাশ্যেই তা জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, গত বছর অগাস্টে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখে চন্দ্রযান-৩। বিশ্বে ভারতই প্রথম দেশ, যারা এই অঞ্চলে ল্যান্ড করতে সক্ষম হয়েছিল। চন্দ্রযান-৩ প্রথম যে জায়গাটিতে ল্যান্ড করে, সেখানকার নাম দেওয়া হয় শিব-শক্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rajasthan Govt: মুসলমানদের ওবিসি শংসাপত্র, এবার খতিয়ে দেখবে রাজস্থান সরকার

    Rajasthan Govt: মুসলমানদের ওবিসি শংসাপত্র, এবার খতিয়ে দেখবে রাজস্থান সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দু’দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের ৭৭টি শ্রেণিকে (যার সিংহভাগই মুসলমান এবং তাদের ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল জমানায়) দেওয়া ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও উচ্চতর আদালতের এই রায়ের প্রসঙ্গে নিশানা (Rajasthan Govt) করেছেন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় রাজ্যকে কষিয়ে এক থাপ্পড়।”

    কাদের ওবিসি শংসাপত্র! (Rajasthan Govt)

    আদালতের এই রায়ের দু’দিনের মধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজস্থান সরকার পূর্বতন সরকারের আমলে কাদের ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, তা পুনর্মূল্যায়ন করতে চলেছে। ২৪ মে রাজস্থানের সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট মন্ত্রী অবনীশ গেহলট বলেন, “তুষ্টিকরণের রাজনীতির অংশ হিসেবে কংগ্রেস ১৪টি মুসলিম শ্রেণিকে ১৯৯৭ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ওবিসি সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে এসেছিল।” তিনি বলেন, “এ সংক্রান্ত সমস্ত সার্কুলার আমাদের রয়েছে। যথা সময়ে দফতর ও সরকার এটি পুনর্মূল্যায়ন করবে।” গেহলট বলেন (Rajasthan Govt), “ধর্মের ভিত্তিতে কোনও শ্রেণিকে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা সংবিধানের নীতিবিরুদ্ধ। আমরা এ ব্যাপারে একগুচ্ছ অভিযোগ পেয়েছি। দফতর অভিযোগগুলি যাচাই করে দেখছে। এজন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রাজস্থানে সরকারি চাকরিতে ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের হার ২১ শতাংশ। চলতি বছর এপ্রিল মাসে এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের কোটা কমিয়ে দিয়ে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণের ঢালাও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এক নির্বাচনী জনসভায় অভিযোগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তিনি বলেছিলেন, “আমি কংগ্রেসকে জিজ্ঞাসা করতে চাই এরা কী দলিত, উপজাতি এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ কমিয়ে দিয়ে মুসলমানদের সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করবে না? যদি তা না করে, তাহলে দেশবাসীকে কথা দিতে হবে।”

    আর পড়ুন: মোদির ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের সুফল, ব্যাপক বংশবৃদ্ধি গাঙ্গেয় ডলফিনের

    প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগে ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে বাতিল হতে চলেছে প্রায় ৫ লাখ ওবিসি সার্টিফিকেট। যদিও ২০১০ সালের পরে ওবিসি সংরক্ষণের কারণে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন বা নিয়োগপ্রক্রিয়ায় রয়েছেন, তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে আদালত। তবে বাকিরা আর চাকরিপ্রক্রিয়ায় ওই সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারবেন না বলেই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের। বেঞ্চের নির্দেশ, ১৯৯৩ সালের ওবিসি সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী রাজ্যকে ফের নতুন করে তালিকা তৈরি করতে হবে (Rajasthan Govt)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে”, কাঁথিতে আক্রমণ সৌমেন্দুর

    Lok Sabha Election 2024: “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে”, কাঁথিতে আক্রমণ সৌমেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক বচসা হয়। একাধিক বুথে গেলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। সেই সঙ্গে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভ দেখায়। সৌমেন্দু অবশ্য পর্যাপ্ত বাহিনী না থাকার অভিযোগ করেন। অপর দিকে তমলুক, মেদিনীপুর, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীদের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা একাধিক বার হামলা করার চেষ্টা করেছে বলে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে। একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্টদের ঢুকতে বাধা, বুথে বসতে না দেওয়া এবং বুথের বাইরে অবৈধ জমায়েত করার মতো ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য অশান্তি মূলের তৃণমূলকে দায়ী করেছে বিজেপি।

    কী বললেন সৌমেন্দু (Lok Sabha Election 2024)?

    ভোটের দিন (Lok Sabha Election 2024) তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অশান্তি করার অভিযোগ তুলে সৌমেন্দু বলেন, “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে। বাহিনী কী করবে কী করবে না তা কী ওরা ঠিক করবে? বুথের সামনে ব্যাপক অবৈধ জমায়েত করা হচ্ছে। সকলের ভোটার আইডি দেখা হোক। আমি এখানকার প্রার্থী, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে কিনা, তাই দেখতে এসেছি।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পাল্টা স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, “বুথে বাহিনী অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। যারা ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিচ্ছে তাদের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাহিনীর লোকজন বিজেপি নেতাদের বাইকে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না।”

    আরও পড়ুনঃমেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা

    আমার ভোট বিকশিত ভারতের জন্য

    নন্দীগ্রামে ভোট দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা সৌমেন্দুর দাদা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভোটাধিকার (Lok Sabha Election 2024) আমাদের অধিকার। আমি আমার ভোট বিকশিত ভারতের জন্য মোদি জি-কে ভোট দিলাম। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করেছেন। তিনি তৃণমূলের অনেক চোরকে জেলে পাঠিয়েছেন। এই এলাকায় আরও বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য বিজেপিকে দরকার। এই এলাকায় তৃণমূল সাফ হয়ে গিয়েছে। ২০০ টির বেশি বুথে তৃণমূল এজেন্ট খুঁজে পায়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে ভোট দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার

    Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে ভোট দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ভোটগ্রহণ পর্বে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) হার সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ের পর সেই বিষয়েই মন্তব্য করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajib Kumar)। শনিবার ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে ভোট দিতে এসে রাজীব কুমার জানান, এ বছর লোকসভা ভোট যথেষ্ট শান্তিপূর্ণভাবে এগোচ্ছে। এর মধ্যে ভোট দানের হার প্রকাশিত না হওয়ায়াই ভালো। এতে ভোটারদের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।

    তিন প্রজন্মের একসঙ্গে ভোটদান 

    এদিন রাজীব কুমার তাঁর বাবা, স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে এসে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন প্রতিটি নাগরিকের জন্য ভোট দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে তিনি জানান তার বাবার সাথে প্রথম ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “তিন প্রজন্ম একসঙ্গে ভোট দেওয়াটা গর্বের বিষয়।” একই সঙ্গে তিনি এ দিন সেই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত প্রত্যেকজন ভোটারকে ভোটদানে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেন।

    আরও পড়ুন: প্রথম কোনও ভারতীয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রী হলেন, ইতিহাস কলকাতার অনসূয়ার

    কমিশনের প্রশংসা 

    এদিন রাজীব কুমার জানান প্রথম পাঁচ দফার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) যথেষ্ট ভালোভাবে নিজের দায়িত্ব সামলেছে কমিশন। একই সঙ্গে কমিশনের প্রশংসা করে  তিনি বলেন, ভোটের জন্য কমিশনের নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপ রাজ্যে ভোটদানের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। জানা গিয়েছে, ষষ্ঠ দফার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) দেশের ৬টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৮৮৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করেছে ১১.১৩ কোটিরও বেশি ভোটার। ষষ্ঠ দফায় বিহারের ৮টি, হরিয়ানার ১০টি, জম্বু কাশ্মীরের ১টি, ঝাড়খণ্ডের ৪টি, দিল্লির ৭টি, ওড়িশার ৬টি, উত্তরপ্রদেশের ১৪ টি এবং পশ্চিমবঙ্গের ৮ টি আসনে ভোটগ্রহন হয়েছে। একই সঙ্গে ওড়িশার ৪২ টি বিধানসভা কেন্দ্রেও এদিন ভোটগ্রহণ হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 27: “সব ত্যাগ করে ভগবানকে ডাক–তিনিই সত্য আর সব অনিত্য”

    Ramakrishna 27: “সব ত্যাগ করে ভগবানকে ডাক–তিনিই সত্য আর সব অনিত্য”

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) কেশবের প্রতি স্নেহজগন্মাতার কাছে ডাবচিনি মানা

    আজ কমলকুটিরে সেই বৈঠকখানাঘরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে উপবিষ্ট। ২রা এপ্রিল ১৮৮২, বেলা ৫টা। কেশব ভিতরের ঘরে ছিলেন, তাঁহাকে সংবাদ দেওয়া হইল। তিনি জামা-চাদর পরিয়া আসিয়া প্রণাম করিলেন। তাঁহার ভক্তবন্ধু কালীনাথ বসু পীড়িত, তাঁহাকে দেখিতে যাইতেছেন। ঠাকুর আসিয়াছেন, কেশবের আর যাওয়া হইল না। ঠাকুর বলিতেছেন, তোমার অনেক কাজ, আবার খপরের কাগজ লিখতে হয়; সেখানে (দক্ষিণেশ্বরে) যাবার অবসর নাই; তাই আমিই তোমায় দেখতে এসেছি। তোমার অসুখ শুনে ডাব-চিনি মেনেছিলুম; মাকে বললুম, মা! কেশবের যদি কিছু হয়, তাহলে কলিকাতায় গেলে কার সঙ্গে কথা কইব।

    শ্রীযুক্ত প্রতাপাদি ব্রাহ্মভক্তদের সহিত শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) অনেক কথা কহিয়াছেন। কাছে মাস্টার বসিয়া আছেন দেখিয়া তিনি কেশবকে বলিতেছেন, ইনি কেন ওখানে (দক্ষিণেশ্বরে) যান না; জিজ্ঞাসা করত গা; এত ইনি বলেন, মাগছেলেদের উপর মন নাই। মাস্টার সবে এক মাস ঠাকুরের কাছে যাতায়াত করিতেছেন। শেষে যাইতে কয়দিন বিলম্ব হইয়াছে তাই ঠাকুর এরূপ কথা বলিতেছেন। ঠাকুর বলিয়া দিয়াছিলেন, আসতে দেরি হলে আমায় পত্র দেবে।

    ব্রাহ্মভক্তেরা শ্রীযুক্ত সমাধ্যায়ীকে দেখাইয়া ঠাকুরকে বলিতেছেন, ইনি পণ্ডিত, বেদাদি শাস্ত্র বেশ পড়িয়াছেন। ঠাকুর বলিতেছেন, হাঁ এঁর চক্ষু দিয়া ভিতরটি দেখা যাচ্ছে, যেমন সার্সীর দরজার ভিতর দিয়া ঘরের ভিতরকার জিনিস দেখা যায়।

    শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য গান গাইতেছেন। গান গাইতে গাইতে সন্ধ্যার বাতি জ্বালা হইল, গান চলিতে লাগিলেন। গান শুনিতে শুনিতে ঠাকুর হঠাৎ দণ্ডায়মান—আর মার নাম করিতে করিতে সমাধিস্থ। কিঞ্চিৎ প্রকৃতিস্থ হইয়া নিজেই নৃত্য করিতে করিতে গান ধরিলেনঃ

    সুরা পান করি না আমি সুধা খাই জয় কালী বলে,

    মন-মাতালে মাতাল করে মদ-মাতালে মাতাল বলে।

    গুরুদত্ত গুড় লয়ে, প্রবৃত্তি তায় মশলা দিয়ে;

    জ্ঞান শুঁড়িতে চোঁয়ায় ভাঁটি পান করে মোর মন মাতালে।

    মূল মন্ত্র যন্ত্রভরা, শোধন করি বলে তারা;

    প্রসাদ বলে এমন সুরা খেলে চতুর্বর্গ মেলে।

    শ্রীযুক্ত কেশবকে ঠাকুর স্নেহপূর্ণ নয়নে দেখিতেছেন। যেন কত আপনার লোক; আর যেন ভয় করিতেছেন, কেশব পাছে অন্য কারু, অর্থাৎ সংসারে হয়েন! তাঁহার দিকে তাকাইয়া আবার গান ধরিলেন;

    কথা বলতে ডরাই; না বললেও ডরাই

    মনের সন্দ হয়; পাছে তোমা ধনে হারাই হারাই।।

    আমরা জানি যে মন-তোর; দিলাম তোরে সেই মন্তোর।

    এমন মন তোর, যে মন্ত্রে বিপদেতে তরী তারই।।

    আমরা জানি যে মন-তোর সেই মন্তোর; এখন মনতোর। অর্থাৎ সব ত্যাগ করে ভগবানকে ডাক,–তিনিই সত্য আর সব অনিত্য; তাঁকে না লাভ করলে কিছুই হল না! এই মহামন্ত্র।

    আবার উপবেশন করিয়া ভক্তদের সঙ্গে কথা কহিয়াছেন।

    তাঁহাকে জল খাওয়াইবার উদযোগ হইতেছে। হলঘরের একপাশে একটি ব্রাহ্মভক্ত পিয়ানো বাজাইতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) হাস্যবদন, বালকের ন্যায় পিয়ানোর কাছে গিয়া দাঁড়াই দেখিতেছেন। একটু পরেই অন্তঃপুরে তাঁহাকে লইয়া যাওয়া হইল। জল খাইবেন। আর মেয়েরাও প্রণাম করিবেন।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের জলসেবা হইল। এইবারেই তিনি গাড়িতে উঠিলেন। ব্রাহ্মভক্তেরা সকলেই গাড়ির কাছে দাঁড়াইয়া আছেন। কমলকুটির হইতে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরাভিমুখে যাত্রা করিল।

    আরও পড়ুনঃ“এই স্থানে নরেন্দ্রের গান ঠাকুর প্রথমে শুনেন ও তাঁহাকে দক্ষিণেশ্বরে যাইতে বলেন”

    আরও পড়ুনঃ “দক্ষিণেশ্বরের পরমহংস সামান্য নহেন, এক্ষণে পৃথিবীর মধ্যে এত বড় লোক কেহ নাই”

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anasuya Sengupta: প্রথম কোনও ভারতীয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রী হলেন, ইতিহাস কলকাতার অনসূয়ার

    Anasuya Sengupta: প্রথম কোনও ভারতীয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রী হলেন, ইতিহাস কলকাতার অনসূয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস গড়ল কলকাতা। প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে ‘আঁ সার্ত্যাঁ রোগার’ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন কলকাতার মেয়ে অনসূয়া সেনগুপ্ত (Anasuya Sengupta)। অনসূয়াই প্রথম ভারতীয় যিনি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে (Cannes Film Festival)। যা বিশ্বের দরবারে ভারতীয় সিনেমার জন্য এক অভাবনীয় সাফল্য৷ বুলগেরিয়ান পরিচালক কনস্টানটিন বোজানভ পরিচালিত ছবি ‘দ্য শেমলেস’-এর হাত ধরে এই শিরোপা পেলেন বাঙালি অভিনেত্রী। এই প্রথম কান-এ কোনও ভারতীয় অভিনেত্রী এই বিভাগে পুরস্কৃত হলেন। 

    ছবির বিষয় 

    ‘দ্য শেমলেস’-আবর্তিত রেণুকাকে ঘিরে। রেণুকার ভূমিকাতেই অভিনয় করেছেন বাংলার অনুসূয়া (Anasuya Sengupta)। সিনেমায় চলচ্চিত্রকার একজন যৌনকর্মীর কাহিনী তুলে ধরেছেন৷ গল্পে এক পুলিশ অফিসারকে ছুরি মেরে দিল্লির যৌনপল্লী থেকে পালায় সে। এরপর উত্তর ভারতের যৌনকর্মীদের একটি সম্প্রদায়ের কাছে আশ্রয় নেন৷ সেখানে তাঁর পরিচয় হয় দেবিকা (ওমারা)-র সঙ্গে৷ এই তরুণী পতিতাবৃত্তির জীবনকে ঘৃণা করেন৷ এরপর এই দুজনের জীবনের ওঠাপড়া নিয়েই বোনা হয় ছবির গল্প।  

    আরও পড়ুন: সাইবার জালিয়াতি রুখতে ৩ হাজারেরও বেশি সোশ্যাল সাইট, লিঙ্ক বন্ধ করল কেন্দ্র

    অনুসূয়ার কর্মজীবন (Anasuya Sengupta)

    জানা যায়, খাস কলকাতাতেই বেড়ে ওঠেন অনুসূয়া। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর পড়াশোনা। তবে অনসূয়ার কর্মজীবনের শুরুটা অনেক বছর আগে। বাংলা ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। অঞ্জন দত্তের ‘ম্যাডলি বাঙালি’ ছবিতে তানিয়ার চরিত্রে দেখা যায় অনসূয়াকে। এখানেই শেষ নয়, অনুসূয়া ২০২১ সালে নেটফ্লিক্সের সত্যজিৎ রায়ের সংকলন ‘ফরগেট মি নট’ এবং ‘মাসাবা মাসাবা’র মতো শোয়ে প্রোডাকশন ডিজাইনার হিসাবেও কাজ করেছেন। এছাড়াও পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি ৷ 
    শনিবার পরিসপমাপ্তি ঘটবে ২০২৪ কান চলচ্চিত্র উৎসবের (Cannes Film Festival)৷ আর তার আগে শুক্রবার রাতে কানের মঞ্চে এই সম্মান নিতে উঠে অনসূয়া (Anasuya Sengupta) তাঁর এই পুরস্কার সমাজের সেই সমস্ত পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে উৎসর্গ করেছেন, যাঁরা প্রতিনিয়ত বিশ্বের সর্বত্র নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করে চলেছেন৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: মেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা

    Lok Sabha Election 2024: মেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চলছে ষষ্ঠ দফা নির্বাচন। মেদিনীপুর লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হলেন অগ্নিমিত্রা পল। এই লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক বুথ কেন্দ্রে বিজেপির এজেন্টদের তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একেবারে কেশিয়াড়িতে অগ্নিশর্মা মেজাজে দেখা গেল অগ্নিমিত্রা পলকে। বুথের মধ্যেই পুলিশ ঢুকে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর নিজেই পুলিশকে বার করে দেন বুথের ভিতর থেকে। এরপর ওই বুথে বিজেপির এজেন্টকেও বসান। কিন্তু বুথ থেকে বেরোলে তাঁকে ঘিরে পাল্টা বিক্ষোভও দেখায় তৃণমূল। ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। আবার খড়্গপুর সেরসা স্টেডিয়ামে ২৬৩ নম্বর বুথে ভোট দিলেন বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পাল (Lok Sabha Election 2024)?

    ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিনে তৃণমূল এবং পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে অগ্নিমিত্রা বলেন, “পুলিশ অত্যন্ত নির্লজ্জ। বুথের ভিতরে ঢুকে পুলিশ ভোট করাচ্ছে। আমাদের বুথ এজেন্টদের গতকাল রাত থেকেই পুলিশ তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে। আজ সকালে অনেককে কোর্টে চালান করে দিয়েছে। আমাদের বুথে নতুন করে এজেন্ট বসাতে হচ্ছে। মমতা সরকারের পুলিশ, তৃণমূলের হয়ে সরাসরি কাজ করাচ্ছে। দরজায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের হয়ে ভোট করাচ্ছে পুলিশ।“ একই ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আপনারা কী চোখে দেখতে পান না? পুলিশ কীভাবে বুথের বাইরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সাহস পায়। আপনারা কর্তব্য ঠিক মতো পালন না করলে আমরা অভিযোগ জানাবো কমিশনে। হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলাম।” একই ভাবে বেলদা থানার সাবড়ায় ৫৫ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন অগ্নিমিত্রা।

    আরও পড়ুনঃ নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    ঝাড়গ্রামে প্রণত টুডুর গাড়িতে আক্রমণ

    নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনে ঝাড়গ্রামের গড়বেতায় বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। ২০০ নম্বর বুথে দেখা দিয়েছিল ব্যাপক উত্তেজনা। লাঠি, বাঁশ নিয়ে বিজেপি প্রার্থীর দিকে তেড়ে যান মহিলারা। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের গাড়ির কাচও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আবার গাড়িতে হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyber Crime: সাইবার জালিয়াতি রুখতে ৩ হাজারেরও বেশি সোশ্যাল সাইট, লিঙ্ক বন্ধ করল কেন্দ্র

    Cyber Crime: সাইবার জালিয়াতি রুখতে ৩ হাজারেরও বেশি সোশ্যাল সাইট, লিঙ্ক বন্ধ করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনে দিনে বাড়ছে সাইবার জালিয়াতির ঘটনা। আর এবার সাইবার জালিয়াতি (Cyber Crime) আটকাতে কড়া পদক্ষেপ নিল সরকার। একসাথে ৩০০০টিরও বেশি ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) সাইট, ওয়েবসাইট ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বন্ধ করে দেওয়া হল। জানা গিয়েছে ১৪সি এবং রাজ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সুপারিশে ৩৪০১টি ইউআরএল এবং ৫৯৫ টি অ্যাপ আইপিসির আইটি আইনের ৬৯এ ধারার অধীনে ব্লক করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৯০% ফিশিং এবং জালিয়াতি সাইট মেটা অ্যাপে প্রচারিত হয়েছিল।

    এ প্রসঙ্গে সাইবার জালিয়াতি (Cyber Crime) বিভাগের সিইও রাজেশ কুমার বুধবার জানান, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৭৯(৩)বি এর অধীনে সাইবার অপরাধ সম্পর্কিত আইনের উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    সাইবার জালিয়াতির পদ্ধতি 

    এদিন রাজেশ কুমার জানান, সাইবার ক্রাইমের অপরাধীরা স্ক্যাম বা অপরাধ করার জন্য মূলত তিনটি সিস্টেমের অপব্যবহার করে থাকে। প্রথমটি হল, টেলিকম অবকাঠামো। যার মাধ্যমে সিম কার্ড এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করা হয়। দ্বিতীয়টি হল, ইন্টারনেট। অর্থাৎ ভুয়ো অনলাইন বিজ্ঞাপন বা বিভিন্ন অ্যাপস এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতারণা বা জালিয়াতি (Cyber Crime) করা। আর তিন নম্বরটি হল আর্থিক পরিষেবা, অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক স্কিমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করা। 

    এই স্কিমগুলি সাধারন মানুষকে প্রায়ই প্রচুর লাভের প্রতিশ্রুতি দেয়। এটা আসলে একটা কৌশল। সাইবার অপরাধীরা তাঁদের কৌশলের মাধ্যমে মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রলুব্ধ করে তাদের টাকা হাতিয়ে নেয়। এই আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা বর্তমানে  অনেক বেড়েছে। সব ক্ষেত্রেই বড় রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণের টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। তাই এই জালিয়াতি বন্ধ করতেই এবার কড়া পদক্ষেপ নিল সরকার। 

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ থেকে সুরক্ষিত থাকতে কী করবেন, কী করবেন না-জানুন

    ভুয়ো একাউন্ট ফ্রিজ  

    জানা গিয়েছে এই সাইবার প্রতারণা (Cyber Crime) আটকাতে গত চার মাসে প্রায় ৩ লক্ষ্য ২৫ হাজার ভুয়ো একাউন্ট ফ্রিজ করেছে সরকার। এছাড়াও ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে প্রায় ৫ লক্ষ ৩০ হাজার সিম কার্ড এবং ৮০ হাজারেরও বেশি আইএমইআই নম্বর বাতিল বা প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদির ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের সুফল, ব্যাপক বংশবৃদ্ধি গাঙ্গেয় ডলফিনের

    PM Modi: মোদির ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের সুফল, ব্যাপক বংশবৃদ্ধি গাঙ্গেয় ডলফিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত বিভিন্ন রাজ্যে গঙ্গা শোধন প্রকল্প হাতে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার (PM Modi)। গঙ্গার দূষণ রোধ ও বিভিন্ন ঘাট সংস্কারের জন্য বরাদ্দও হয়েছিল কোটি কোটা টাকা। প্রকল্পের নাম ছিল ‘নমামি গঙ্গে’। এই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও বিহারের জন্যও নানা সময় বরাদ্দ হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। এই প্রকল্পে ২০২২ সালেই পশ্চিমবঙ্গের জন্য ২৫টির বেশি নিকাশি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল মোদি সরকার।

    গাঙ্গেয় ডলফিনের বংশবৃদ্ধি (PM Modi)

    এই নমামি গঙ্গে (PM Modi) প্রকল্প রূপায়িত হওয়ায় ক্রমেই সংসার বাড়ছে লুপ্ত হতে বসার জোগাড় গাঙ্গেয় ডলফিনের। গঙ্গার স্বচ্ছ জলেই বাস ডলফিনের একটি প্রজাতির। এই প্রজাতির ডলফিন গাঙ্গেয় ডলফিন নামেই পরিচিত। দূষণের জেরে যারা হারিয়ে যেতে বসেছিল, নমামি গঙ্গে প্রকল্পের জেরে তারাই বাড়ছে ঝাড়েবংশে। ভারতের ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান বলছে গঙ্গা ও তার শাখানদীগুলিতে এই মুহূর্তে ডলফিন রয়েছে ৪ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে কমবেশি ২ হাজার গঙ্গা ডলফিন রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। যার জেরে উৎসাহিত উত্তরপ্রদেশ সরকার নয়া পর্যটন নীতি নিয়েছে। চম্বল স্যাংচুয়ারিকে তারা ডলফিন স্যাংচুয়ারি বলেও ঘোষণা করেছে।

    ডলফিনের সংখ্যা দ্বিগুণের লক্ষ্যমাত্রা

    ডলফিন প্রজেক্টের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পরেই বেড়ে গিয়েছে ডলফিন নিয়ে আমজনতার আগ্রহ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নমামি গঙ্গে প্রকল্পে যে কেবল গঙ্গার দূষণ কমেছে তাই নয়, ডলফিনের বংশবৃদ্ধি হওয়ায় এই প্রাণীটি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের আগ্রহও বাড়ছে। আধিকারিকরা জানান, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানুষের অংশগ্রহণের ফলে সফল হয়েছে নমামি গঙ্গে প্রকল্প। ২০৩০ সালের মধ্যে বিপন্ন প্রজাতির গাঙ্গেয় ডলফিনের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে একটা লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করা হয়েছে।

    আর পড়ুন: ভারতে ৩৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে আইডিএফসি, জানালেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

    নমামি গঙ্গে প্রকল্পে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকার, নদী বিশেষজ্ঞ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং গঙ্গা যে অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে, সেখানকার বাসিন্দারা। এই প্রকল্প রূপায়িত হওয়ায় যেহেতু দূর হয়েছে গঙ্গার ময়লা, তাই এই নদী ও শাখানদীগুলি হয়ে উঠেছে গাঙ্গের ডলফিনের বিচরণ ক্ষেত্র। যা যে কোনও জলজ প্রাণীর বংশবৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, গাঙ্গেয় ডলফিনের দেখা মেলে কেবল ভারতীয় উপমহাদেশেই (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share