Tag: news in bengali

news in bengali

  • Driving License New Rules: লাইসেন্সের জন্য আরটিওতে দিতে হবেনা ড্রাইভিং টেস্ট! চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম

    Driving License New Rules: লাইসেন্সের জন্য আরটিওতে দিতে হবেনা ড্রাইভিং টেস্ট! চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে বদলে যাচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স (Driving License New Rules) পাওয়ার নিয়ম। সম্প্রতি ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে বিরাট ঘোষণা করেছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক (Ministry of Road Transport and Highways)। জানা নিয়েছে এবার থেকে লাইসেন্স পেতে আর ছুটতে হবে না রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস (RTO) । ১ জুন থেকে এমনই নিয়ম চালু হচ্ছে দেশে। 

    ঠিক কী ঘোষণা করেছে সরকার? (Driving License New Rules) 

    নতুন নিয়মে (Driving License Rules 2024) বলা হয়েছে, এবার থেকে গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আঞ্চলিক পরিবহন অফিস বা আরটিও-তে গিয়ে ড্রাইভিং পরীক্ষা দিতে হবে না। বরং আগামী ১ জুন থেকে, সরকারি আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসের পরিবর্তে, বেসরকারি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই ড্রাইভিং পরীক্ষা দেওয়া যাবে। লাইসেন্সের যোগ্যতার জন্য পরীক্ষা পরিচালনা এবং সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য সরকারি অনুমোদন দেওয়া হবে এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে। 
    তবে এই অনুমোদন পাওয়ার জন্য বেসরকারি ড্রাইভিং স্কুলগুলির জন্য কিছু নতুন নিয়ম জারি করেছে মন্ত্রক –
    ১) ড্রাইভিং স্কুলগুলিতে ন্যূনতম ১ একর জমি থাকতে হবে। চার চাকার গাড়ির প্রশিক্ষণের জন্য ন্যূনতম ২ একর জমি থাকা বাধ্যতামূলক। 
    ২)প্রশিক্ষকদের অবশ্যই কোনও হাইস্কুলের ডিপ্লোমা বা তার সমতুল্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। সেইসঙ্গে, তার কমপক্ষে ৫ বছরের ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া, বায়োমেট্রিক্স এবং আইটি সিস্টেমের পরিচয় থাকা আবশ্যক।
    ৩)স্কুলগুলিকে অবশ্যই উপযুক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
    ৪)হালকা মোটরগাড়ির জন্য ৪ সপ্তাহে ২৯ ঘন্টার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এর মধ্যে ৮ ঘন্টা থাকবে তত্ত্বের জন্য এবং বাকি ২১ ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের জন্য। অন্যদিকে ভারী মোটরগাড়ির জন্য ৬ সপ্তাহে অন্তত ৩৮ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এর মধ্যে ৮ ঘণ্টা থাকবে তত্ত্বের জন্য, এবং ৩০ ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের জন্য।

    নিয়ম না মানলে কঠোর শাস্তি

    নিয়মের (Driving License New Rules) বাইরে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালালে জরিমানা বাবদ  ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা জরিমানা হবে। আর যদি একজন নাবালক ড্রাইভিং সিটে ধরা পড়ে তবে তাকে ২৫০০০ টাকার মোটা জরিমানা করতে হবে। এখানেই শেষ নয়, গাড়ির মালিকের রেজিস্ট্রেশন কার্ড বাতিল করা হবে। একই সঙ্গে ওই নাবালক ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত লাইসেন্সের জন্য অযোগ্য হবে।

    কেন এই সিদ্ধান্ত? 

    আসলে বর্তমান সময়ে ভারতে ক্রমশ বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা। বিশেষ করে কোভিড লকডাউনের সময়, অনেকেই মোটরবাইক বা গাড়ি কেনার দিকে ঝুঁকেছেন। কিন্তু প্রত্যেকেই যে দায়িত্ব নিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছেন, তা নয়। হামেশাই রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনার খবর শোনা যায়। এই পরিস্থিতিতে, ১ জুন থেকে ড্রাইভিং লাইন্সের নতুন নিয়ম (Driving License New Rules) কার্যকর করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন: ভোট তো দেন, জানেন কীভাবে কাজ করে ইভিএম?

    প্রসঙ্গত, লাইসেন্সের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া আগের মতোই আছে। বিশেষ পরিবর্তন করা হয়নি। https://parivahan.gov.in-এই লিঙ্কে গিয়ে অনলাইন বা অফলাইনে আবেদন করা যাবে। তবে, নতুন লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার পদ্ধতি আগের তুলনায় সরল করেছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Halal Certificate: পণ্যের গায়ে ‘হালাল’ স্টিকার সেঁটে চলছে অর্থ পাচার!

    Halal Certificate: পণ্যের গায়ে ‘হালাল’ স্টিকার সেঁটে চলছে অর্থ পাচার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘হালাল’ প্রোডাক্ট (Halal Certificate) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। গত নভেম্বেরর ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, হালাল সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত যে কোনও পণ্য উৎপাদন, মজুত, বণ্টন ও বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে সে রাজ্যে। সরকার এও জানিয়েছিল, যদি কোনও ফার্ম কিংবা কোনও ব্যক্তিকে হালাল শংসাপত্রপ্রাপ্ত ওষুধ, কসমেটিক প্রস্তুত করতে, মজুত করতে কিংবা কেনাবেচা করতে দেখা যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ফার্মের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এসটিএফের তদন্ত (Halal Certificate)

    তবে হালাল শংসাপত্র পাওয়া পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে যোগী সরকার। যোগী সরকারের নির্দেশিকার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল হালাল ট্রাস্ট। হালাল শংসাপত্র (Halal Certificate) দেওয়ার নামে অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নামে উত্তরপ্রদেশের এসটিএফ। আলাদা করে তদন্ত শুরু করে ইডিও। প্রাথমিক কিছু তথ্য হাতে পাওয়ার পর এবার অর্থ পাচারের মামলা দায়ের করতে চলেছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা।

    তদন্তকারীদের প্রশ্ন

    অর্থ পাচারের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক সম্পদ লুকানো এবং অবৈধ কাজে সেই সম্পদ ব্যবহার করা। মাদক পাচার, অস্ত্র কেনা, সন্ত্রাসবাদে ইন্ধন জোগানো এবং অন্যান্য দুষ্কর্মে অর্থায়নের কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে ওই টাকা। ‘হালাল’ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ, ‘অনুমোদিত’। কোনও পণ্যের গায়ে যদি হালাল স্টিকার সাঁটা থাকে, তার অর্থ মুসলমানেরা এটা ব্যবহার করতে পারেন। জানা গিয়েছে, ভেজিটেরিয়ান বিভিন্ন আইটেমের ওপরও হালাল স্টিকার সেঁটে দেওয়া হচ্ছে। মাংসের মতো প্রোডাক্টে হালাল স্টিকার দেওয়ার একটা অর্থ রয়েছে। কিন্ত ভেজিটেরিয়ান আইটেমে কেন হালাল স্টিকার সাঁটানো হচ্ছে, এই প্রশ্নই ভাবিয়ে তুলেছিল তদন্তকারীদের।

    আর পড়ুন: “টার্গেটে ছিল ইহুদি, খ্রিস্টান, বিজেপি ও আরএসএস” জেরায় স্বীকার করল জঙ্গিরা

    এ থেকেই তাঁদের অনুমান, ভেজিটেরিয়ান বিভিন্ন পণ্যের গায়ে হালাল স্টিকার লাগিয়ে দিয়ে আসলে চলছে অর্থ পাচার। সরকারের চোখে ধুলো দিয়ে বছরের পর বছর ধরে এই কারবার করে চলেছে হালাল সার্টিফিকেশন সার্ভিসেস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। এই কারবারের মূলেই কুঠারাঘাত করেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। কোন মাণদণ্ডের ভিত্তিতে কোনও পণ্যের গায়ে সেঁটে দেওয়া হচ্ছে হালাল লেবেল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন এসটিএফের তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, এভাবে পাচার হয়েছে বহু কোটি টাকা। এই জায়গাটায় এবার উঁকি মারতে চলেছে ইডিও। তোড়জোড় চলছে মামলা দায়েরের (Halal Certificate)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Al Sham Padgha: মুম্বইয়ের অদূরের এই গ্রামেরই পরিচয় ভারতের জঙ্গি হাব হিসেবে, কেন জানেন?

    Al Sham Padgha: মুম্বইয়ের অদূরের এই গ্রামেরই পরিচয় ভারতের জঙ্গি হাব হিসেবে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাণিজ্য নগরী মুম্বই। দেশ তো বটেই, বিদেশেরও অনেকেই রয়েছেন এই টিনসেল টাউনে। নিত্যদিন যেখানে লেনদেন হয় কয়েকশো কোটি টাকা, জীবন যেখানে বর্ণিল, তারই অদূরে সবার অগোচরে গড়ে উঠেছিল আইএসআইএসের নার্ভ সেন্টার (Al Sham Padgha)। সম্প্রতি এমনই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। মুম্বইয়ের ৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ব্যাকওয়াটার টাউন পাদঘা। সেখানকারই একটি গ্রামে তৈরি হয়েছে ভারতের ‘আইএসআইএসের হাব’।

    কুখ্যাত জঙ্গি শাকিব নাচান (Al Sham Padgha)

    এই গ্রামকে জঙ্গি হাবে পরিণত করার নেপথ্য কারিগর কুখ্যাত জঙ্গি শাকিব নাচান। তারই নির্দেশে পাদগার নাম বদলে হয়েছিল অল সাম (Al Sham Padgha)। এলাকায় লাগু হয়েছিল শরিয়া শাসন। চলছিল সমান্তরাল প্রশাসনও। এই শাকিবই পাদঘাকে জঙ্গিদের ঘাঁটিতে পরিণত করেছে। এক সময় শান্ত এই গ্রামেই একে একে ভিড় করতে থাকে অচেনা কিছু মুখ। তাদের কর্তাবার্তায়, চালচলনে সন্দেহও হয়েছিল স্থানীয়দের। তবে তাঁরা যতক্ষণে পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছিলেন, তার ঢের আগেই এলাকায় মাথাচাড়া দিয়েছে মৌলবাদ। ভয়ে আর মুখ খোলার সাহস দেখাননি স্থানীয়রা। এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে আস্ত একটি গ্রাম পরিণত হয়েছিল ভারতে জঙ্গিদের নার্ভ সেন্টারে।

    এনআইএ-র তল্লাশি অভিযান

    গত বছর পাদঘায় তল্লাশি অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। উদ্ধার হয় ৪৪টি ড্রোন, বাণিজ্য নগরীতে হামলা চালানোর জন্য মজুত করা হয়েছিল সেগুলি। এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়, বাইরে থেকে সাহায্য পাচ্ছিল জঙ্গিরা। কেবল ড্রোন নয়, লুকানো কিছু অস্ত্রও সেই অভিযানে খুঁজে পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। জঙ্গিদের ডেরায় মিলেছিল ইজরায়েলি পতাকাও। তা থেকেই ইঙ্গিত মিলেছিল, কেবল মুম্বই নয়, জঙ্গিদের নজর আরও উঁচুতে। দেশের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি, বড় ধরণের কোনও অশান্তি পাকানোর ছক কষেছিল এই গ্রামে ডেরা বাঁধা সন্ত্রাসবাদীরা।

    আর পড়ুন: “টার্গেটে ছিল ইহুদি, খ্রিস্টান, বিজেপি ও আরএসএস” জেরায় স্বীকার করল জঙ্গিরা

    মুম্বইয়ে একাধিক সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের নেপথ্যে শাকিবের হাত ছিল বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। মুম্বই সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশনে বিস্ফরণেও অভিযুক্ত সে। ২০০২ সালের ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় জখম হয়েছিলেন ২৫ জন। ভিলে পার্লে এলাকায় বিস্ফোরণেও হাত ছিল তার। মুলুন্দ স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় উঠে এসেছিল শাকিবের নাম। ২০০৩ সালে গ্রেফতার হয়ে সাত বছর জেল খেটেছিল এই কুখ্যাত জঙ্গি। গত ডিসেম্বরের ওই অভিযানে ১৫ জন জঙ্গি গ্রেফতার হয় এই গ্রাম থেকে। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে জঙ্গি ডেরার এই গাঁয়ের কথা (Al Sham Padgha)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Abhishek Banerjee: সুভাষবাবু ভোট চাইতে আসলে গাছে বেঁধে রাখুন, বিস্ফোরক অভিষেক

    Abhishek Banerjee: সুভাষবাবু ভোট চাইতে আসলে গাছে বেঁধে রাখুন, বিস্ফোরক অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে ভোটের প্রচারে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি এদিন নির্বাচনী প্রচার সভা করেন শালতোড়ায়। এরপর বিজপির প্রার্থী সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানি মূলক ভাষণ দেন। তিনি প্রকাশ্য সভায় বলেন, “সুভাষবাবু যখন ভোট চাইতে আসবেন সেই সময় গাছে বেঁধে জিজ্ঞাসা করুন, আপনার দলের সদস্য বলেছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে চায়। আপনার অবস্থান কী? আমি বলব তাঁকে শৌচালয় পরিষ্কার রান।” উল্লেখ্য এই তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন অরূপ চক্রবর্তী। সুভাষ সরকার অবশ্য ২০১৯ সালে বাঁকুড়া কেন্দ্রে জয়ী হয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হয়ে ছিলেন।

    কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    এদিন ভোটের প্রচারে এসে অভিষেক (Abhishek Banerjee) বিজেপিকে হুমকি দিয়ে বলেন, “সুভাষ সরকারকে বলুন রিপোর্ট কার্ড আনতে। তিনি কী করছেন? আমাদের সরকার কী করছে? বিজেপির সাংসদ কি বাঁকুড়ার জন্য একটাও ব্লকে বৈঠক করেছেন? মানুষের ১০০ দিনের কাজের জন্য কি দিল্লিতে চিঠি লিখেছেন। পাঁচ বছরের টানা সাংসদ ছিলেন। মাত্র পাঁচ সপ্তাহের জন্য সময়দেননি। যেই ভোট ঘোষণা হয়েছে পায়ের জুতো পালিশ করছেন, আবার লোকের গায়ে সাবান মাখিয়ে দিচ্ছেন। আমি বলব তাঁকে শৌচালয় পরিষ্কার করান। আপনাদের পাঁচ বছর ঠকিয়েছে আপনারাও তাঁদের ঠকান।”

    আর কী বললেন?

    এদিন নির্বাচনের প্রচারে এসে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) আরও বলেন, “আমি বলছি বিজেপির নেতা কর্মীরা ভোট চাইতে গেলে গাছে বেঁধে রাখবেন। মারবেন না। শুধু বেঁধে রাখবেন। ২০২১-এ বাংলায় হারার পর ১০ পয়সা আবাসের বাড়ির জন্য রাজ্যকে দেয়নি। যদি প্রমাণ করতে পারে টাকা দিয়েছে আমি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখব না। কানে শুনে নয়, চোখ দিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ১০ বছর আগে মাওবাদী হামলা, সন্ত্রাস, সিপিএমের খুনোখুনি রাজনীতি চলত। মানুষ জল পেত না, আমাদের সরকার জল এনে দিয়েছে। তৃণমূলকে ভোট দেননি এমন ব্যক্তিদের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ হিন্দু-মুসলিম সকলের ভোটে জয়ী হবেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বার্তা শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: প্রথম ৫ দফাতেই ৩১০ আসন পার বিজেপির, দাবি শাহের

    Amit Shah: প্রথম ৫ দফাতেই ৩১০ আসন পার বিজেপির, দাবি শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত পাঁচ দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকি আরও দু দফা। আর এরই মধ্যে নাকি বিজেপি ৩১০টি আসনে জিতে গিয়েছে। বাকি দু দফা শেষে  ৪০০ পার করবে মোদি (PM Modi) সরকার। মঙ্গলবার ওড়িশায় এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    অমিত শাহের দাবি (Amit Shah)

    এখনও পর্যন্ত পাঁচ দফায় ৪২৮টি লোকসভা আসনে ভোট হয়েছে দেশ জুড়ে। শাহ দাবি করলেন এর মধ্যেই নাকি বিজেপি একাই ৩১০টি আসনে জিতে গিয়েছে। 

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৪২৮টি আসনের মধ্যে থেকে ২৫০-র গণ্ডিও পার করতে পারেনি এনডিএ। তবে এবার ওড়িশা থেকে অমিত শাহ (Amit Shah) নিজে জানালেন ফের তৃতীয় বারের মত দেশে নিজের সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি সরকার। 

    আরও পড়ুন: “খেতে যেতে পারেন, শুধু রাম লালার দর্শনে আপত্তি”, লালু-রাহুলকে কটাক্ষ মোদির

    তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, দাবি শাহের 

    এবারের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে বিজেপির লক্ষ্য ৪০০-র বেশি আসনে জয়। অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, পুরো দেশ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, তৃতীয়বারের জন্য মোদিকে তারা প্রধানমন্ত্রী করবে ৷

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওড়িশায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককে কটাক্ষ করে বলেন, তাঁর নীতি ও শাসনের কারণে রাজ্যটি ৫০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে। তিনি নবীনকে আক্রমণ করে আরও বলেন, ‘এই বছরটি নবীন পট্টনায়কের ক্ষমতা হারানোর বছর হতে চলেছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalash Tribe: ‘আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটে’র ‘হারানো সন্তান’রা পালন করেন হিন্দুধর্ম!

    Kalash Tribe: ‘আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটে’র ‘হারানো সন্তান’রা পালন করেন হিন্দুধর্ম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশটা ইসলামি। তার ওপর দেশটার নাম পাকিস্তান। সে দেশেই কোনওক্রমে অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন হাজার চারেক হিন্দু। এ যেন কয়েক হাজার ওয়াটের নিয়ন আলোর সামনে টিম টিম করে জ্বলা লণ্ঠন, কোনওক্রমে চালিয়ে যাচ্ছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই! আজ্ঞে হ্যাঁ, আমরা পাকিস্তানের কালাশ (Kalash Tribe) হিন্দুদের কথাই বলছি। হিন্দুকুশ পর্বতের উপত্যকার জেলা চিত্রালে বাস করেন হাজার চারেক কালাশ সম্প্রদায়ের মানুষ। এঁরা মুসলমান নন।

    হিন্দুত্বের ধ্বজা (Kalash Tribe)

    হিন্দু গণহত্যার আবহেও ইসলামি এক রাষ্ট্রের বুকে এঁরা আজও উড়িয়ে চলেছেন হিন্দুত্বের ধ্বজা। মুসলমানদের কাছে এঁরা ‘কাফের’ নামে পরিচিত। যেহেতু এক সময় এই সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ হিন্দুকুশ পর্বত অঞ্চলে বসবাস করতেন, তাই এই অঞ্চলের নাম ছিল ‘কাফেরস্তান’। ডুরান্ড লাইন বিভক্ত করেছে কাফেরস্তানকে। এদের একটা অংশের শাসক ছিল ব্রিটিশরা। অন্য অংশের বাসিন্দারা ছিলেন আফগান রাজা আমির আবদুর রহমানের অধীনে। নিজের অংশের প্রজাদের ধর্মান্তরিত করা হয়। এলাকার নাম বদলে রাজা করে দেন নুরিস্তান। ব্রিটিশদের অধীনে যাঁরা ছিলেন, তাঁর কালাশই রয়ে যান। এঁরা আজও সংস্কৃত ভাষা গোষ্ঠীর ইন্ডিক ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বলেন।

    কোথায় বাস কালাশদের

    কালাশরা (Kalash Tribe) ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন বুম্বুরেট, রুম্বুর ও বিরির এই তিন উপত্যকায়। কালাশ অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে থাবা বসাতে পারেনি মৌলবাদ। এই সম্প্রদায়ের মানুষ পাকিস্তানের শাসন মানেন না। এঁরা নিজেদের গ্রীক বীর আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সৈন্যের বংশধর বলে মনে করেন। তাই হাজার বছর ধরে লড়াই করেও কোনওক্রমে স্বতন্ত্র অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন কালাশরা। কালাশদের দাবি, ইসলামেরও জন্মের আগে ভারতে এসেছিলেন সিকান্দার-ই-আজম (আলেকজান্ডার)। ভারত জয় করে তিনি ফিরে যান গ্রিসে। তাঁর কিছু সৈন্য হিন্দুকুশ অঞ্চলে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে গিয়ে এখানেই থেকে যান। বিয়ে করেন স্থানীয় মহিলাদের। পাকিস্তানের মুসলমানরা যাঁদের কাফের বলেন, হিন্দুকুশের সেই কাফের কালাশরা তাঁদেরই বংশধর। কালাশদের (Kalash Tribe) জীবন বড় বর্ণময়। জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় সব কিছুই নিজেরাই তৈরি করে নেন তাঁরা। জীবিকা নির্বাহের জন্য এঁরা চাষবাস করেন, করেন পশুপালনও। কালাশ সমাজে নারী-পুরুষ সবাই সমান। তবে রজঃস্বলারা বা সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় মহিলাদের বাস করতে হয় গ্রামের প্রান্তের ‘বাশালেনি’ নামের একটি ঘরে।

    কালাশরাও পৌত্তলিকতায় বিশ্বাসী

    হিন্দুদের মতোই কালাশরাও পৌত্তলিকতা (পুতুল পুজো) বা মূর্তিপুজোয় বিশ্বাসী। এঁদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব তিনটি। মে মাসে হয় ‘চিলাম জোশি’, শরৎকালে যে সময় হিন্দুরা পালন করেন নবরাত্রি উৎসব, সেই সময় কালাশরা পালন করেন ‘উচাউ’। আর শীতকালের মাঝামাঝি একটি সময় তাঁরা পালন করেন ‘কাউমুস’ নামের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। দেবতার বাসগৃহকে কালাশরা ‘ডেভালক’ বলেন। ‘কাউমুস’ উৎসবের সময় ‘টক’ গাছের (স্থানীয় ভাষায় জায়গাটার নাম ইন্দানকোট) কাছে জড়ো হন স্থানীয়রা। মন্দিরে হয় পুজো। পুরোহিতরা ভক্তদের গায়ে বুলিয়ে দেন জুনিপার গাছের পাতা। এই উৎসবে ছাগল উৎসর্গ করেন কালাশরা। তাঁদের বিশ্বাস, এই সময় তাঁদের দেবতা ‘বালোমেন’ ঘুরে ঘুরে শোনেন ভক্তদের প্রার্থনা। দেবতার উদ্দেশে এই সময় পাহাড়ে জ্বালানো হয় আগুন-মশাল। বাঁশি বাজিয়ে, ড্রাম বাজিয়ে সেই আগুনের চারপাশে ঘুরতে থাকেন এই সম্প্রদায়ের মানুষ। কালাশদের প্রধান দেবতা ‘বালোমেন’ হলেও, তাঁর ভাই ‘ইনডর’ও পূজিত হন। পুজো পান ‘সরিযান’, ‘গসিদাই’, ‘মুনজেম’ ‘মালিক’, ‘মাহানদিও’, ‘দেজাউ’, ‘জেস্টাক’, ‘ডেজলিক’ নামের দেবতারাও। অর্থাৎ হিন্দুদের মতোই কালাশরাও ঈশ্বরের বহুত্বে বিশ্বাসী। কালাশদের বিশ্বাস, ‘বালোমেনে’র রুদ্ররূপ হলেন ‘জেস্টান’। কুকুরের রূপ ধরে পৃথিবীতে আসেন তিনি।

    কী বলছেন গবেষকরা?

    সংস্কৃত ভাষা নিয়ে চর্চা করেন মিখাইল উইটজেল। ‘দ্য ওরিজিনস অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস মিথোলজিস’ গ্রন্থে তিনি বলেছেন, “কালাশ ধর্মের কিছু প্রবাদ, আচার এবং সমাজব্যবস্থার সঙ্গে ঋগ্বেদে বর্ণিত তথ্যের মিল আমি পেয়েছি।” তিনি মনে করেন, কালাশরা প্রাচীন বৈদিক ধর্ম পালন করেন। ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ অবশ্য ২০১৪ সালে লিখেছিল, “কালাশদের ডিএনএ বলছে, তাঁরা প্রাচীন ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীর বংশোদ্ভুত।” মাইট্রোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ রিপোর্ট বলছে, এশিয়ার সঙ্গে কালাশ উপজাতির জিনগত কোনও সম্পর্ক নেই, মিল রয়েছে পাশ্চাত্যের ইউরেশিয়ানদের।

    আর পড়ুন: “আরএসএসে ছিলাম, ফিরে যেতেও প্রস্তুত”, অবসর নিয়ে বললেন বিচারপতি দাশ

    ইউনিভার্সিটি মাস ডার্টমাউথের ইসলামিক স্টাডির অধ্যাপক তথা লেখক ব্রায়ান গ্লিন উইলিয়াম “দ্য লস্ট চিল্ড্রেন অফ আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট: আ জার্নি টু দ্য পাগান কালাশ পিপল অফ পাকিস্তান” শীর্ষক প্রবন্ধে লিখেছেন”, ঊনবিংশ শতাব্দীতে কালাশ উপজাতিকে নির্মমভাবে শেষ করার চেষ্টা করেছিল আফগানরা। তাঁদের প্রাচীন মন্দির ও দেবতার কাঠের মূর্তি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। তবে তাঁদের জীবনযাত্রার বিভিন্ন চিহ্ন, সমাজব্যবস্থার ধরন, সংস্কৃতিগত প্রমাণ ও ডিএনএ রিপোর্টও প্রমাণ করতে চলেছে তাঁরা আলেকজান্ডারের সৈন্যদের বংশধর।”

    পণ্ডিতদের একটা অংশের মতে, কালাশরা হিন্দু। নুরিস্তানকে তাঁরা বলেছেন প্রাচীন হিন্দুধর্ম। খ্যাতনামা নুরিস্তান ভাষাতত্ত্ববিদ রিচার্ড স্ট্র্যান্ড বলেন, “ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার আগে নুরিস্তানের বাসিন্দারা প্রাচীন হিন্দু ধর্ম পালন করতেন (Kalash Tribe)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “খেতে যেতে পারেন, শুধু রামলালার দর্শনে আপত্তি”, লালু-রাহুলকে কটাক্ষ মোদির

    PM Modi: “খেতে যেতে পারেন, শুধু রামলালার দর্শনে আপত্তি”, লালু-রাহুলকে কটাক্ষ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আবহে আবারও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও আরজেডি সুপ্রিমো তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার চম্পারনের এক প্রচার সভা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। এদিন সেই সভা থেকেই রাহুল (Rahul Gandhi) ও লালুকে মটন পার্টি নিয়ে কটাক্ষ করলেন তিনি। প্রসঙ্গে উঠল সেই পুরনো লালু-রাহুলের মটন পার্টির ভাইরাল ভিডিও।

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য (PM Modi)

    এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের একে অপরের বাড়িতে খাবার খেতে যাওয়ার সময় আছে কিন্তু রাম লালাকে দর্শন করার মত সময় তাদের কাছে নেই।” উল্লেখ্য, যখন জানুয়ারি মাসে অযোধ্যায় রাম লালার মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় তখন সকলের মত রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও লালু প্রসাদ যাদবকেও আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সেই আমন্ত্রন উপেক্ষা করে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “রাম মন্দির বিজেপির রাজনৈতিক অনুষ্ঠান।” এবার সেই ঘটনাকে প্রসঙ্গে এনেই রাহুল-লালুকে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী(PM Modi)।  

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই চালু হবে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রোরুট! সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু অরেঞ্জ লাইনে

    অন্যদিকে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের একটি ভাইরাল ভিডিওর প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। যেখানে দুই নেতাকে একসাথে “চম্পারন মাটন” প্রস্তুত করতে দেখা গেছে। সেই প্রসঙ্গেই এদিন এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। 
    উল্লেখ্য, কদিন আগেই নবরাত্রির সময় তেজস্বী যাদবের মাছ খাওয়া নিয়ে বিতর্ক ঘনিয়েছিল। সেই বিতর্কেই তেজস্বী সহ তাঁর বাবা লালুপ্রসাদ থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সকলকে খোঁচা মেরে মোদির (PM Modi) দাবি, কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের নেতারা দেশের সংখ্যাগুরু মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগ নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। একইসঙ্গে দুই তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলের নেতা লালু প্রসাদ ও রাহুল গান্ধীকে মোঘলদের মতো `বিধর্মী`দের সঙ্গেও তুলনা করেন মোদি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: হিন্দু-মুসলিম সকলের ভোটে জয়ী হবেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হিন্দু-মুসলিম সকলের ভোটে জয়ী হবেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ২৫ মে ষষ্ঠ দফা নির্বাচন। ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার। এই জেলার তমলুক কেন্দ্রের প্রার্থী হলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এই তৃণমূল শাসনের শিক্ষক দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি নিয়ে যুগান্তকারী রায় দিয়েছিলেন। তাঁর নির্দেশে একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছেন। বিজেপিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রার্থী করে বিরাট চমক দিয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari), অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে নন্দীগ্রামে সভা করেন। সেখানে তিনি বলেন, “আমি চাইব কেবলমাত্র সনাতন হিন্দুদের সমর্থনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, নন্দীগ্রাম থেকে লিড পাবেন তা নয়, সবার ভোট পাবেন।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামে এদিন লোকসভার প্রচার অভিযানে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ভুল বুঝিয়েছিল বলে আমি আপনাদের ভোট পাইনি। বুথগুলি আমি হিসেব করেছিলাম, ২০২১ সালে ৪০০–র মত রাষ্ট্রবাদী মুসলমান পেয়েছিলাম। বাম প্রার্থী পেয়েছিলেন ১২০০ ভোট। আর এলাকায় ভয়, সন্ত্রাস দেখিয়ে গায়ের জোরে এবং মিথ্যা কথা বলে বাকিটা পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে অবশ্য মমতার মিথ্যা কথাগুলি ভুল প্রমাণিত হয়েছিল। মোদি জি বাংলাকে রামরাজ্য করতে চাইছেন। রামরাজ্য মনে মাথার উপর ছাদ। এই রাজ্যে ৪০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ সুফিয়ানের বড় বড় বাড়ি থাকলেও, সাধারণ মানুষের বাড়ি নেই। কেন্দ্র সরকার ফ্রিতে মানুষকে রেশন দিচ্ছে। এই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে ৩০০০ করে টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়া হবে। বগটুই হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার হবে। ভোটের জন্য সংখ্যা লঘুদের ব্যবহার করেন মমতা।”

    আরও পড়ুনঃ কমিশনে মমতাকে নিয়ে মন্তব্যের শোকজের জবাব দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    সিএএ নিয়ে মিথ্যা প্রচার

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari), মমতাকে এদিন প্রচার সভা থেকে তোপ দেগে বলেন, “নন্দীগ্রামে অপপ্রচার করে ভোট পেয়ছেন মমতা। মমতা সর্বত্র মিথ্যা কথা বলে ভুল প্রচার করেছিলেন। বিজেপির শাসিত রাজ্যগুলিতে মানুষের ধর্মা চরণে বাধা নেই। তৃণমূল সরকার অসত্য কথা বলে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। চুরির লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। সিএএ-এনআরসি নিয়ে অপপ্রচার করছে তৃণমূল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: শীঘ্রই চালু হবে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রোরুট! সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু অরেঞ্জ লাইনে

    Kolkata Metro: শীঘ্রই চালু হবে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রোরুট! সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু অরেঞ্জ লাইনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক নতুন প্রকল্প। ধাপে ধাপে কলকাতা মেট্রোকে (Kolkata Metro) ঢেলে সাজানোর কাজ করে চলেছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে সময়ের সাথে সাথে কলকাতা মেট্রো সেজে উঠছে নতুন রূপে। আর এরই মধ্যে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট (Airport-Haldiram Metro) করিডর সংক্রান্ত প্রকল্প নিয়ে সামনে এলো বড় খবর। শীঘ্রই শুরু হবে হলদিরাম-এয়ারপোর্ট মেট্রোরুট। নিউ গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্ট অংশের প্রায় ৩০ কিলোমিটারের বেশিরভাগটাই মাটির উপর দিয়ে গিয়েছে। তবে শেষের ৫০০ মিটারে মাটির তলায় প্রবেশ করবে মেট্রো। সেজন্যই এবার সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ শুরু হল।  

    সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনে

    কলকাতা ব্যস্ততম শহর। তাই অজস্র গাড়ির ভিড়ে ব্যস্ত ওই অংশের উপরে, যানবাহন চলাচলে যাতে সমস্যা না-হয়, সে জন্য ‘বক্স-পুশিং’ পদ্ধতিতে সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হলো কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) অরেঞ্জ লাইনে। কবি সুভাষ থেকে বেরিয়ে মেট্রোর ওই দীর্ঘ পথ এলিভেটেড অবস্থায় আসার পর এয়ারপোর্টের কিছুটা আগে মাটির নীচে ঢুকে মেট্রো এগোবে জয় হিন্দ স্টেশনের দিকে। মেট্রোর এয়ারপোর্ট স্টেশনের নামই জয় হিন্দ। মেট্রোর লাইন যেখান থেকে মাটির নীচে ঢুকবে এয়ারপোর্ট থেকে হলদিরাম পর্যন্ত সেই ২.৪ কিলোমিটার অংশেই চলছে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ।    
    কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) এয়ারপোর্ট বা জয় হিন্দ স্টেশন আসলে কবি সুভাষের মতোই দুই লাইনের সংযোগস্থল। এই স্টেশনেই কলকাতা মেট্রোর নোয়াপাড়া-এয়ারপোর্ট এবং কবি সুভাষ-এয়ারপোর্ট অর্থাৎ ইয়েলো লাইন ও অরেঞ্জ লাইন মিলবে।

    আরও পড়ুন: অনুপস্থিত ৩ অভিযুক্ত! হল না কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন

    কবে থেকে চালু হচ্ছে নতুন রুট? (Kolkata Metro) 

    জানা গিয়েছে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এয়ারপোর্ট থেকে হলদিরাম পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু  করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর সেই লক্ষ্যেই এবার নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রো করিডরের (অরেঞ্জ লাইন) সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ শুরু করা হল। আর এই মেট্রোরুট চালু হলে শহরবাসীর যাতায়াতে যে কতটা সুবিধা হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 23: “বেঙাচির ল্যাজ খসলে জলেও থাকতে পারে, আবার ডাঙাতেও থাকতে পারে”

    Ramakrishna 23: “বেঙাচির ল্যাজ খসলে জলেও থাকতে পারে, আবার ডাঙাতেও থাকতে পারে”

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    কমলকুটিরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীযুক্ত কেশব সেন

    শ্রীরামকৃষ্ণ কাপ্তেনের বাটি হইয়া শ্রীযুক্ত কেশব সেনের কমলকুটির নামক বাটিতে আসিয়াছেন। সঙ্গে রাম, মনোমোহন, সুরেন্দ্র, মাস্টার প্রভৃতি অনেকগুলি ভক্ত। সকলে দ্বিতল হল ঘরে উপবেশন করিয়াছেন। শ্রীযুক্ত প্রতাপ মজুমদার, শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তগণও উপস্থিত আছেন।

    ঠাকুর শ্রীযুক্ত কেশবকে বড় ভালবাসেন। যখন বেলঘরের বাগানে সশিষ্য তিনি সাধন-ভজন করিতেছিলেন, অর্থাৎ ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে মাঘোৎসবের পর—কিছুদিনের মধ্যে ঠাকুর একদিন বাগানে গিয়া তাঁহার সহিত দেখা করিয়াছিলেন। সঙ্গে ভাগিনেয় হৃদয়রাম। বেলঘরের এই বাগানে তাঁহাকে বলেছিলেন, তোমারই ল্যাজ খসেছে, অর্থাৎ তুমি সব ত্যাগ করে সংসারের বাহিরেও থাকতে পার; আবার সংসারেও থাকতে পার; যেমন বেঙাচির ল্যাজ খসলে জলেও থাকতে পারে, আবার ডাঙাতেও থাকতে পারে। পরে দক্ষিণেশ্বরে, কমলকুটিরে, ব্রাহ্মসমাজ ইত্যাদি স্থানে অনেকবার ঠাকুর কথাচ্ছলে তাঁহাকে উপদেশ দিয়াছিলেন, নানা পথ দিয়া, নানা ধর্মের ভিতর দিয়া ঈশ্বরলাভ হতে পারে। মাঝে মাঝে নির্জনে সাধন-ভজন করে ভক্তিলাভ করে সংসারে থাকা যায়, জনকাদি ব্রহ্মজ্ঞানলাভ করে সংসারে ছিলেন; ব্যাকুল হয়ে তাঁকে ডাকতে হয়, তবে দেখা দেন; তোমরা যা কর, নিরাকার সাধন, সে খুব ভাল। ব্রহ্মজ্ঞান হলে ঠিক বোধ করবে—ঈশ্বর সত্য আর সব অনিত্য, ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা। সনাতন হিন্দু ধর্মে সাকার নিরাকার দুই মানে; নানাভাবে ঈশ্বরের পূজা করে—শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য মধুর। রোশনচৌকিওয়ালারা একজন শুধু পোঁ ধরে বাজায় অথচ তার বাঁশীর সাত ফোকর আছে। কিন্তু আর একজন তারও সাত ফোকর আছে, সে নানা রাগরাগিণী বাজায়।

    তোমরা সাকার মানো না, তাতে কিছু ক্ষতি নাই, নিরাকারের নিষ্ঠা থাকলেই হল। তবে সাকারবাদীদের টানটুকু নেবে। মা বলে তাঁকে ডাকলে ভক্তি-প্রেম আরও বাড়বে। কখন দাস্য, কখন বাৎসল্য, কখন মধুর ভাব। কোন কামনা নাই তাঁকে ভালবাসি, এটি বেশ। এর নাম অহেতুকী ভক্তি। বেদ, পুরাণ, তন্ত্রে এক ঈশ্বরেরই কথা আছে ও তাঁহার লীলার কথা; জ্ঞান ভক্তি দুইই আছে। সংসারে দাসীর মতো থাকবে, দাসী সব কাজ করে, কিন্তু দেশে মন পড়ে আছে। মনিবের ছেলেদের মানুষ করে, বলে, আমার হরি, আমার রাম, কিন্তু জানে, ছেলে আমার নয়। তোমরা যে নির্জনে সাধন করছ, এ খুব ভাল, তাঁর কৃপা হবে। জনক রাজা নির্জনে কত সাধন করেছিলেন, সাধন করলে তবে তো সংসারে নির্লিপ্ত হওয়া যায়।

    আরও পড়ুনঃ “গুরুর উপদেশ অনুসারে চলতে হয়, বাঁকাপথে গেলে ফিরে আসতে কষ্ট হবে”

    আরও পড়ুনঃ “পাপ করলে তার ফল পেতে হবে! লঙ্কা খেলে তার ঝাল লাগবে না?”

    আরও পড়ুনঃ “ব্যাকুলতা না এলে কিছুই হয় না, সাধুসঙ্গ করতে করতে ঈশ্বরের জন্য প্রাণ ব্যাকুল হয়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share