Tag: news in bengali

news in bengali

  • PM Modi: ব্যাঙ্কিং সেক্টরে মুনাফা ছাড়াল ৩ লাখ কোটির ঘর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: ব্যাঙ্কিং সেক্টরে মুনাফা ছাড়াল ৩ লাখ কোটির ঘর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম ভারতীয় ব্যাঙ্কিং সেক্টর নিট লাভ করল ৩ লাখ কোটি টাকারও বেশি। বৃদ্ধির হার ৩৯ শতাংশ। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই  পরেই পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি একে অভিহিত করলেন ‘উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়ানো’ বলে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্যাঙ্কের স্বাস্থ্যের এই উন্নতি আমাদের দেশের গরিব মানুষ, কৃষক এবং এমএসএমইদের ঋণ পাওয়া সহজলভ্য করতে সাহায্য করবে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আমরা যখন ক্ষমতায় আসি (২০১৪ সালে) তখন দেনায় ডুবে ছিল আমাদের ব্যাঙ্কগুলি। এনপিএস ছিল চড়া। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের ফোন ব্যাঙ্কিং নীতির জন্যই এসব হয়েছিল। সেই আমলে গরিবদের জন্য ব্যাঙ্কের দরজা বন্ধই হয়ে গিয়েছিল।” ২০১৪ সালে বিজেপির নেতৃত্বে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে এনডিএ সরকার। তার পর থেকেই স্বাস্থ্য ফিরছে দেশের অর্থনীতির।

    মোদি জমানায় স্বাস্থ্য ফিরেছে দেশের অর্থনীতির

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকারের অর্থনৈতিক নানা নীতির কারণে হাল ফিরছে ব্যাঙ্কিং সেক্টরেরও। ২০১৪ সালে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ১০ নম্বরে ছিল ভারতের নাম। গত দশ বছরে (মোদি জমানায়) ভারতের ঠাঁই হয়েছে পাঁচ নম্বরে। ব্রিটেনকে ছয়ে ঠেলে পাঁচ নম্বর জায়গাটি দখল করেছে ভারত। নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইওর দাবি, ২০২৭ সালের মধ্যেই চার নম্বরে থাকা জাপানকে পাঁচ নম্বরে ঠেলে দিয়ে ভারত উঠে আসবে চার নম্বরে। সেক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান হবে আমেরিকা, চিন এবং জার্মানির পরেই।

    আর পড়ুন: “আরএসএসে ছিলাম, ফিরে যেতেও প্রস্তুত”, অবসর নিয়ে বললেন বিচারপতি দাশ

    ভারতের আর্থিক স্বাস্থ্য যে ফিরছে, তার প্রমাণ মিলেছে ২০২৪ অর্থবর্ষে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির সম্মিলিত লাভের পরিমাণ ৩.১ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি ব্যাঙ্কিং সেক্টরগুলি লাভ করেছে ১.০৪ লাখ কোটি টাকা। বৃদ্ধির হার ৩৪ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির লাভের হার ৪২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে নিট মুনাফা ১.৭ লাখ। এই নিট লভ্যাংশ দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যোন্নতির ইঙ্গিত দেয়। ব্যাঙ্কিং সেক্টরের এই লাভ ছাড়িয়ে গিয়েছে আইটি কোম্পানিগুলির মোট লভ্যাংশের পরিমাণকেও। ২০২৪ অর্থবর্ষে আই কোম্পানিগুলি মুনাফা অর্জন করেছে ১.১ লাখ কোটি টাকা (PM Modi)।

    আরও বড় কথা হল, পাবলিক ব্যাঙ্কগুলির নিট মুনাফা গত তিন বছরে বেড়েছে চারগুণেরও বেশি। তাদের ব্যালেন্সশিট থেকেই এই তথ্য জানা গিয়েছে। তাদের রোজগার যে বাড়ছে, তাও জানা গিয়েছে ওই ব্যালেন্সশিট থেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

                

  • Coal Scam Case: অনুপস্থিত ৩ অভিযুক্ত! হল না কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন

    Coal Scam Case: অনুপস্থিত ৩ অভিযুক্ত! হল না কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় তিন বছর ধরে চলছে কয়লা পাচার মামলা (Coal Scam Case)। আসানসোলের (Asansol) বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারকের নির্দেশ মতো ২০ মে মঙ্গলবার থেকেই মামলার ট্রায়াল শুরুর কথা ছিল। সেই মতো মঙ্গলবার ৪৩ জন অভিযুক্তকে তলব করা হয়েছিল আদালতে। কিন্তু অনুপস্থিত ছিলেন তিনজন। ফলে মামলায় চূড়ান্ত চার্জ গঠন হয়নি। জানা গিয়েছে আগামী ৩ জুলাই চার্জ গঠনের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। ওই দিন চার্জশিটে নাম থাকা সব অভিযুক্তকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে।

    কয়লা পাচার মামলা (Coal Scam Case)

    এর আগে কয়লা পাচার মামলায় দুটি চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। দুটি চার্জশিটে মোট ৪৩ জন অভিযুক্তের নাম রয়েছে।  সেই ৪৩ জনের মধ্যে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি-সহ ৩৯ জন এদিন আদালতে হাজির হলেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনজন। তাঁরা হলেন জয়দেব মণ্ডল, নারায়ণ খাড়গে ও বিনয় মিশ্র। এদের মধ্যে বিনয় ‘নিরুদ্দেশ’। প্রাথমিক অনুমান, তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। 
    তবে এদিন অভিযুক্ত জয়দেব মণ্ডল এবং নারায়ণ খারকার অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারক৷ তাঁরা কোর্টে কেন অনুপস্থিত? এই প্রশ্ন বিচারক তাঁদের আইনজীবীদের করলে ওই আইনজীবীরা জানান, দুজনেই অসুস্থ৷ সেই কারণেই চার্জ গঠনের শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেননি৷ যা শুনে বেজায় ক্ষুব্ধ হন বিচারক৷

    বিচারকের মন্তব্য

    এ প্রসঙ্গে বিচারক বলেন, “এই দুজনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল একটাই শর্তে ৷ যখনই আদালতে তলব করা হবে, তাঁদের উপস্থিত থাকতে হবে ৷ যে কোনও পরিস্থিতিতে তাঁরা আদালতের নির্দেশ পালনে বাধ্য ৷ এভাবে অসুস্থ রয়েছে বলে দুটো মেডিক্যাল সার্টিফিকেট পাঠিয়ে দিলে চলবে না ৷ এই দুজনের জন্য বাকিরা উপস্থিত থাকলেও চার্জ গঠন করা যাচ্ছে না ৷ পরবর্তী শুনানির (Coal Scam Case) দিন অবশ্যই তাঁদের কোর্টে আসতে হবে ৷ অসুস্থ থাকলে প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে ৷” 

    আরও পড়ুন: বিশ্ব মেডিটেশন দিবসে জেনে নিন এর কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা

    বিচারকের নির্দেশ 

    অন্যদিকে মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ে আদালত চত্বরে এসে উপস্থিত হন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক উমেশকুমার সিংহ। হাজির হন বেশ কয়েক জন অভিযুক্তের আইনজীবীও। সেসময় উমেশ কুমারের কাছে বিচারক জানতে চান, “এই তদন্ত প্রক্রিয়া আর কতদিন চলবে ?” বিচারকের এই প্রশ্নে ওই আইনজীবীদের কয়েক জন আদালতে দাবি করেন, কয়লা পাচার মামলায় (Coal Scam Case) তদন্ত সংক্রান্ত কোনও নথি হাতে পাননি তাঁরা। তার পরই বিচারক ওই আইনজীবীদের হাতে নথি তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
    পাশাপাশি আগামী শুনানির (Coal Scam Case) দিন সমস্ত অভিযুক্তদের হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক৷ যদি কেউ উপস্থিত না-থাকেন, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: কমিশনে মমতাকে নিয়ে মন্তব্যের শোকজের জবাব দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: কমিশনে মমতাকে নিয়ে মন্তব্যের শোকজের জবাব দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে শোকজের জবাব দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সন্দেশখালির নারী নির্যাতনের ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। তৃণমূল দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্যে করে প্রাক্তন বিচারপতি এই বিজেপি প্রার্থী বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তুমি কত টাকায় বিক্রি হও”। এই কথায় তৃণমূল কমিশনে গিয়ে অভিযোগ জানায়। এরপর কমিশন শোকজ করলে, নির্ধারিত সময়ে নিজের জবাব দেন অভিজিৎ।

    উত্তর নির্ধারিত সময়েই দিয়েছেন (Abhijit Ganguly)

    বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) নির্বাচন কমিশনকে নিজের বক্তব্যের শোকজের উত্তর নির্ধারিত সময়েই দিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, “সময়ের মধ্যেই নিজের উত্তর দিয়েছেন অভিজিৎ।” তবে অভিজিতের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল কমিশনে অভিযোগ করে জানিয়েছিল যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চূড়ান্ত অবমাননা করা হয়েছে। আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একাধি জায়গায় মামলা দায়ের করার কথাও বলেছিল তৃণমূল। তবে প্রথমেই কমিশন বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছিল, “সমীচীন, কুরুচিকর এবং অবমাননাকর মন্তব্য, একই সঙ্গে আদর্শ আচরণবিধির বিরুদ্ধ আচরণ।”

    আরও পড়ুনঃ ষষ্ঠ দফার আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে বদলির নির্দেশ কমিশনের

    ঠিক কী বলে ছিলেন অভিজিৎ?

    গত ১৫ মে তমলুকের এক প্রচার সভায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “তৃণমূল মিথ্যা কথা বলেছে। ২০০০ টাকায় রেখা পাত্রকে কেনার কথা বলা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোয়াধ্যায়, তুমি কত টাকায় বিক্রি হও, তোমার হাতে আট লাখ টাকা গুঁজে দিলে একটা চাকরি দাও? তোমার হাতে ১০ লাখ টাকা গুঁজে দিলে রেশন নিয়ে অন্যদেশে হাওয়া করে দেয় পাচারকারীরা। ভারতেই থাকে না সেই রেশন। তোমার দাম ১০ লাখ টাকা? কেন? কেয়া শেঠকে দিয়ে মুখে ফুলটিস কর, সেজন্য মেকাপ করে বেরোও? আর রেখা পাত্র গরিবের মেয়ে। লোকের বাড়িতে কাজ করে খায়। এক মহিলা আরেক মহিলা সম্পর্কে কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন জানিনা। মমতা মহিলা তো? আমার মনে প্রশ্ন ওঠে মাঝে মাঝে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “আরএসএসে ছিলাম, ফিরে যেতেও প্রস্তুত”, অবসর নিয়ে বললেন বিচারপতি দাশ

    Calcutta High Court: “আরএসএসে ছিলাম, ফিরে যেতেও প্রস্তুত”, অবসর নিয়ে বললেন বিচারপতি দাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ আমার বিদায়ের দিন। শুনতে খারাপ লাগলেও একটা কথা আমি আপনাদের বলতে চাই, সেটা হল আমি আরএসএসে ছিলাম, সেই সংগঠনেই ফিরে যেতে প্রস্তুত। আমি আরএসএসের সদস্য ছিলাম এবং এখনও রয়েছি।” অবসরের দিনে কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ।

    ‘আমার যাবার সময় হল’… (Calcutta High Court)

    এদিন তাঁর সম্মানে আয়োজিত বিদায় সম্বর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা, ছিলেন বার কাউন্সিলের সদস্যরাও। বিদায়ের দিনে সেখানেই তিনি তাঁর সঙ্গে আরএসএসের সম্পর্কের কথা জানান। কোনও কাজে অথবা কোনও সাহায্যের জন্য আরএসএস তাঁকে ডাকলে তিনি তা করতে সক্ষম বলেও জানান সদ্য অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি। গত ১৪ বছর ধরে তিনি ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি। ওড়িশা হাইকোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে।

    আরএসএসের শিক্ষা

    আরএসএসে থেকে তিনি যে অনেক কিছু শিখেছেন, এদিন তাও জানাতে ভোলেননি ওড়িশা থেকে বাংলায় আসা এই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। বলেন, “আমি এই সংগঠনের (আরএসএস) কাছে বিভিন্নভাবে ঋণী…শৈশব থেকে আমি এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, পুরো যৌবনও কেটেছে সংগঠনেই। এই সংগঠন আমায় সাহসী হতে শিখিয়েছে, শিখিয়েছে ন্যায়নিষ্ঠ হতে। সবার প্রতি সমদৃষ্টি দিতে শিখিয়েছে এবং সর্বোপরি পাঠ দিয়েছে দেশপ্রেমের, কাজের প্রতি দায়বদ্ধতার।” তিনি জানান, যে পেশায় তিনি এতদিন ছিলেন, সেই পেশার কারণেই এতদিন সংগঠনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর।

    আর পড়ুন: কার্তিক মহারাজের পাশে সাধু-সন্তরা, মমতাকে ধিক্কার জানিয়ে হল প্রতিবাদ মিছিল

    বলেন, “দীর্ঘ কেরিয়ারে কোনও সুবিধা নিতে সংগঠনের সদস্যপদ আমি ব্যবহার করিনি। কারণ এটা নীতিবিরুদ্ধ। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে আমি সমস্ত বিচারপ্রার্থীকে সমদৃষ্টিতে দেখেছি। বিচারের সময় কখনও ভাবিনি তিনি কমিউনিস্ট, না বিজেপি, না কংগ্রেস, না তৃণমূল।” তিনি বলেন, “আমার কাছে সবাই সমান। কারও প্রতি কখনও কোনও পক্ষপাতিত্ব করিনি। আমি মনে করি, বিচার করতে গিয়ে আইনকে নত করা যায়, কিন্তু বিচারপতিকে নয়।”

    আরএসএস ডাকলে তিনি যে আবারও সংগঠনে ফিরে যেতে প্রস্তুত, তাও জানান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দাশ। বলেন (Calcutta High Court), “আমার জীবনে আমি কখনও কোনও অন্যায় কিছু করিনি। আমি যে ওই সংগঠন থেকে এসেছি, তা বলার মতো সাহস আমার রয়েছে। কারণ এটাও তো কোনও অন্যায় নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • AK-203: সেনার হাতে এল দেশে তৈরি ২৭ হাজার অত্যাধুনিক ‘একে-২০৩’ কালাশনিকভ, কী বিশেষত্ব?

    AK-203: সেনার হাতে এল দেশে তৈরি ২৭ হাজার অত্যাধুনিক ‘একে-২০৩’ কালাশনিকভ, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার (Indian Army) হাতে উঠে এল প্রায় ২৭ হাজার দেশে নির্মিত (Made in India) ‘একে-২০৩’ অ্যাসল্ট রাইফেল (AK-203)। কালাশনিকভ ঘরানার এই অত্যাধুনিক রাইফেল প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে উৎপাদন হচ্ছে ভারতেই। এটি তৈরি করেছে উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত ইন্দো-রাশিয়ান রাইফেল ফ্যাক্টরি লিমিটেড (আইআরআরপিএল)। জানা গিয়েছে, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে, আরও ৮ হাজার একে-২০৩ রাইফেল সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে।

    আইআরআরপিএল হল ভারত ও রুশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী ২ সংস্থার যৌথ উদ্যোগ। ভারতের অ্যাডভান্সড উইপন্স অ্যান্ড ইক্যুইপমেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড (পূর্বতন অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড) এবং রুশ সংস্থা কালাশনিকভ কনসার্ন — যা বিশ্বখ্যাত একে-৪৭ রাইফেল নির্মাণের জন্য পরিচিত— এর মধ্যে যৌথ অংশিদারিত্বে তৈরি হওয়া সংস্থা। এই সংস্থার কারখানা রয়েছে উত্তরপ্রদেশের অমেঠির কোরওয়াতে। 

    ৬ লক্ষ ৭০ হাজার ইউনিট উৎপাদন

    দেশীয় ইনস্যাসকে সরিয়ে নতুন প্রধান অ্যাসল্ট রাইফেলের খোঁজ করছিল সেনা (Indian Army) ও আধাসামরিক বাহিনী। বিশ্বের একাধিক রাইফেলের তুল্যমূল্য বিচার করে ২০২০ সালে একে-২০৩ (AK-203) রাইফেলকে বেছে নেওয়া হয়। স্থির হয়, বাহিনীর প্রয়োজনকে মাথায় রেখে ৭ লক্ষ ৭০ হাজার একে-২০৩ কেনা হবে। এর জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল সে বছরেই। চুক্তির মূল্য ছিল ৫ হাজার কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী, ১ লক্ষ রাইফেল সরাসরি রাশিয়া থেকে আমদানি করা হবে। বাকি ৬ লক্ষ ৭০ হাজার ইউনিট প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে তৈরি হবে এদেশেই (Made in India)। 

    কোভিড অতিমারীর কারণে বিলম্ব

    কিন্তু, দরদাম করতে ও কোভিড অতিমারীর কারণে, দেশে উৎপাদনের কাজ থমকে যায়। এর মধ্যে ২০২১ সালে রাশিয়া থেকে ৭০ হাজার একে-২০৩ (AK-203) রাইফেল চলে আসে ভারতীয় বাহিনীর (Indian Army) জন্য। কোভিড-উত্তর কালে, কারখানায় নতুন উদ্যমে কাজ শুরু হয়। গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয় প্রথম ব্যাচের উৎপাদন। ৬ মাস আগে, দেশে নির্মিত এই অত্যাধুনিক কালাশনিকভ রাইফেলের পরীক্ষা শুরু করে ভারতীয় সেনা। সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সেনার থেকে প্রাপ্ত চূড়ান্ত মতামত নিয়েই এই রাইফেলের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। এবার, দেশে তৈরি সেই একে-২০৩ রাইফেল চলে এল বাহিনীর হাতে।

    এক-একটি রাইফেল নির্মাণ খরচ কত?

    সূত্রের খবর, এক-একটি রাইফেল তৈরি করতে খরচ প্রায় ১১০০ মার্কিন ডলারের মতো। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৯০ হাজারের মতো। এর মধ্যে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও কারাখানা তৈরি করার খরচ ধরা হয়েছে। কালাশনিকভের অন্যান্য সিরিজের মতোই একে-২০৩ (AK-203) রাইফেলটিও গ্যাস-চালিত ও ম্যাগাজিন-নির্ভর। এর থেকে ৭.৬২ এমএমx৩৯ ক্যালিবারের গুলি নিক্ষিপ্ত হয়। বর্তমানে ভারতীয় সেনায় (Indian Army) হাতে রয়েছে মার্কিন নির্মিত সিগ-সয়ার রাইফেল। এই রাইফেলেও একই ক্যালিবারের গুলি ব্যবহৃত হয়। ফলে, কার্যকারিতা ও ব্যবহারযোগ্যতার দিক দিয়ে একে-২০৩ নিয়ে সেনার অসুবিধে হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠ দফার আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে বদলির নির্দেশ কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠ দফার আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে বদলির নির্দেশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মধ্যে ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে রাজ্যে আরও এক পুলিশকর্তার বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার আইপিএস ধৃতিমান সরকারকে সারানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। গতকাল সোমবার কমিশনের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। ঘটনায় রাজনীতির আঙ্গিনায় ব্যাপাক শোরগোল পড়েছে।

    কমিশনে সূত্রে খবর (Lok Sabha Election 2024)

    জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার মধ্যাহ্নের আগে রাজ্য সরকারকে পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য তিন জন অফিসারের নামের তালিকা পাঠানোর কথা বলা বলেছে কমিশন। প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে একজনকে ঠিক করবে কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে আরও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ধৃতিমানকে নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) সংক্রান্ত কোনও দায়িত্বে বদলি করা যাবে না।

    আগেও বদলি হয়েছে

    সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার বদলির নির্দেশের সঙ্গে পুরুলিয়ার নতুন পুলিশ সুপার, কাঁথির নতুন এসডিপিও-র নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইপিএস আশিষ মৌর্য্যকে। আবার কাঁথির এসডিপিও হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আজাহারউদ্দিন খানকে। তবে নির্বাচন কমিশনের কাছে অফিসার বদলি করার বিশেষ ক্ষমতা থাকে। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়েছে। তাই কোনও অফিসার নিজের দায়িত্ব ঠিক মত পালন না করলে বা কর্তব্যে গাফিলতি মনে করলে কমিশন সেই অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এইবারের লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজ্যের ডিজি, জেলাশাসক, এসপি, এসডিও সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকদের বদলির নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। সম্প্রতি বহরমপুর, বেলডাঙা, কসবা, ডায়মন্ড হারববারে একাধিক ক্ষেত্রে এমন বদলির নির্দেশ দেখা গিয়েছে। তবে এই সব আমলাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে বিজেপি একাধিকবার তৃণমূলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ করেছিল। ফলে আগামী ২৫ মে হল ষষ্ঠ দফার ভোট, রাজনীতির আঙ্গিনায় তীব্র চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে।  

    আরও পড়ুনঃকার্তিক মহারাজের পাশে সাধু-সন্তরা, মমতাকে ধিক্কার জানিয়ে হল প্রতিবাদ মিছিল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Meditation Day: বিশ্ব মেডিটেশন দিবসে জেনে নিন এর কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা

    World Meditation Day: বিশ্ব মেডিটেশন দিবসে জেনে নিন এর কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস (World Meditation Day)। মেডিটেশন হল আসলে মনের ব্যায়াম। নিরবে এক জায়গায় চুপ করে বসে একমনে ধ্যান করলে বৃদ্ধি পায় মনোযোগ ও সচেতনতা। এছাড়াও নিয়মিত মেডিটেশন করলে মানসিক চাপ থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি এর সুফল হিসাবে জীবনে নেতিবাচক প্রভাব কেটে ইতিবাচক প্রভাবের সৃষ্টি হয়। 
    জানা গিয়েছে বিশ্বজুড়ে বর্তমানে প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ নিয়মিত মেডিটেশন করেন। তাই প্রতি বছর এই ২১ মে দিনটিকে বিশ্ব ধ্যান দিবস (World Meditation Day) হিসেবে পালন করা হয়। 

    জেনে নেওয়া যাক  এই মেডিটেশনের বিশেষ কিছু উপকারিতা-(Health Benefits of Meditation)

    মানসিক চাপ থেকে মুক্তি- মেডিটেশন আমাদের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। যদি নিয়মিত ভাবে মেডিটেশন করা যায় তবে মানুষের চাপ থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে। 
    মনকে শান্ত রাখা- মানসিক চাপ মুক্তির পাশাপাশি নিয়মিত ভাবে মেডিটেশন করলে মন শান্ত হবে। অর্থাৎ সারাদিন কাজের পর যে খিটখিটে ভাব আমাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় তা থেকে নিমিষেই মুক্তি লাভ হবে। 
    মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ- নিয়মিতভাবে মেডিটেশন করলে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। এছাড়াও ডিপ্রেশন বা অনেক রকম নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকেও মুক্তি লাভ ঘটে।
    মনোযোগ বৃদ্ধি- মেডিটেশন (World Meditation Day) এর আরো একটি উপকারিতা হলো মনোযোগ বৃদ্ধি হওয়া। অর্থাৎ সামান্য ছোট ছোট জিনিস যেগুলো আমরা কারণে অকারণে ভুলে যাই বা মনে রাখতে পারি না সেই সব ক্ষেত্রে নিয়মিত মেডিটেশন করলে আমাদের মনোযোগ বৃদ্ধি হবে। ও যেকোনও কাজে একাগ্রতা আসবে। 
    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ- নিয়মিত মেডিটেশন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মত বিপদের ঝুঁকিও কম থাকে। 
    স্মৃতিশক্তির উন্নতি- নিয়মিত ভাবে মেডিটেশন করলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে। 
    অনিদ্রা থেকে মুক্তি- নিয়মিতভাবে মেডিটেশন করলে মিলবে অনিদ্রা থেকে মুক্তি। একইসঙ্গে তৈরি হবে একটা ভালো ঘুমের রুটিন।

    আরও পড়ুন: ‘বন্ধুদেশ’ ইরানের প্রেসিডেন্টের প্রয়াণ, রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ভারতে

    বর্তমানে ডিপ্রেশন বা হতাশার শিকার বহু মানুষ। এই প্রতিযোগীতার সমাজে লড়াইয়ে নেমে অনেকেই ভেঙে পরেন। আর ঠিক তখনই তারা নেন চিকিৎসকের পরামর্শ। আর চিকিৎসক এইসব বিষয়ে সবার আগে পরামর্শ দেন মেডিটেশনের (World Meditation Day)। কারন আত্মশক্তির বিকাশ, রোগ নিরাময়, সাফল্য কিংবা প্রশান্তি লাভে মেডিটেশনের গুরুত্ব এখন খুবই উল্লেখযোগ্য। তাই বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মেডিটেশন হয়ে উঠেছে রোগ নিরাময়ের বিকল্প পদ্ধতি, সাফল্যের অব্যর্থ প্রক্রিয়া ও মানসিক প্রশান্তির একমাত্র রাস্তা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Attack On Ramakrishna Mission: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা, সাধুদের প্রাণে মারার হুমকি

    Attack On Ramakrishna Mission: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা, সাধুদের প্রাণে মারার হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল বিরোধিতার অভিযোগে বিভিন্ন মিশন-সংঘের সাধুদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক পরে পরেই হামলা হল শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনে (Attack On Ramakrishna Mission)।

    রামকৃষ্ণ মিশনে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি (Attack On Ramakrishna Mission)

    আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হল জমি দখলের চেষ্টাও। প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হল আশ্রমের সন্ন্যাসীদের। কেড়ে নেওয়া হল মিশনের নিরাপত্তারক্ষীদের মোবাইল। ভেঙে ফেলা হল সিসিটিভি ক্যামেরা। ন্যক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির সেবক রোডের শালুগাড়ায় রামকৃষ্ণ মিশনের সেবক হাউসে। এক ভক্তের দান করা জমিতেই গড়ে উঠেছে আশ্রম। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে থেকে সাধন-ভজন করেন সন্ন্যাসীরা। রবিবার গভীর রাতে জমি মাফিয়া প্রদীপ রায় তিরিশ-চল্লিশ জন দুষ্কৃতীর একটি দল নিয়ে গিয়ে আশ্রমে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মিশনের তরফে ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    সরব প্রধানমন্ত্রীও 

    রামকৃষ্ণ মিশনের (Attack On Ramakrishna Mission) মতো একটি প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার রাজ্যে এসে এই পরিস্থিতির জন্য তিনি আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। তাঁর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আক্রমণ করেছেন, তার জেরেই এই ঘটনা। রাজ্যের এখনও বেশ কয়েকটি আসনে নির্বাচন বাকি। তার আগে হাওয়া যাতে গেরুয়া পালে ঘুরে না যায়, তাই মুখ খুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতার দাবি, তাঁর অভিযোগ কেবল নির্দিষ্ট কয়েকজন সাধুর বিরুদ্ধে।

    তৃণমূলের পিঠ বাঁচানোর এই দাবিতে অবশ্য ভবি ভুলছে না। রামকৃষ্ণ মিশনের মতো নিরপেক্ষ একটি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানোর নিন্দা করেছে বিজেপি। পদ্ম-পার্টির দাবি, ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে এবং নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়কে খুশি করতেই তৃণমূল নেত্রীর এই বাক্যবাণ নিক্ষেপ। যার জেরে হামলা হয়েছে মিশনে। রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মেজাজ হারান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।

    আর পড়ুন: “তৃণমূলের কাছে রিপোর্ট কার্ড নেই, আছে রেটকার্ড”, চাকরি চুরি নিয়ে মমতাকে তোপ মোদির

    রামকৃষ্ণ মিশন কিংবা ভারত সেবাশ্রম সংঘের মতো প্রতিষ্ঠান নানা বিপদে আপদে পাশে থাকেন বিপন্নদের। সংসার-বন্ধন ছিন্ন করে মানবসেবাকেই যাঁরা জীবনের ব্রত করেছেন, ভোট কুড়োতে তাঁদেরই আক্রমণ করে বসলেন তৃণমূল সুপ্রিমো! বিশিষ্ট মহলের সিংহভাগেরও মতে, তৃণমূল নেত্রীর এহেন আক্রমণ স্রেফ ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্রয়েই রাজ্যে দুষ্কৃতীদের এত বাড়বাড়ন্ত। তাই যেই তিনি মঠ-মিশন-সংঘকে নিশানা করেছেন, তখনই জমি দখলে নেমে পড়েছে মাফিয়ারা (Attack On Ramakrishna Mission)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠদফার আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের তিন পুলিশকর্তাকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠদফার আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের তিন পুলিশকর্তাকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ষষ্ঠদফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে ফের একবার তিন পুলিশকর্তাকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। মেদিনীপুরের কাঁথি, ভূপতি নগর এবং পটাশপুরের পুলিশ আধিকারিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে এই প্রথম পুলিশ আধিকারিকদের সরানো হয়নি। বহরমপুর, বেলডাঙাতেও পুলিশ আধিকারিকদের সারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অবশ্য আগামী ২৫ মে কাঁথি, তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের ভোট, তাই এই পুলিশ আধিকারিকদের সরানো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    কমিশন সূত্রে খবর (Lok Sabha Election 2024)

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস, ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক, পটাশপুর থানার ওসি রাজু কুণ্ডুকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে নতুন তিনজন আধিকারিকদের ওই পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। এই জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ ছিলেন রাজ্যের শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। এই এলাকা এক কথায় অধিকারী পরিবারের বিশেষ গড় বলে পরিচিত। এই তিনজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে আগেও নানা সময়ে একাধিক বার শাসকদল তৃণমূলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বিজেপি।

    নতুন আধিকারিক কে কে হবেন?

    জানা গিয়েছে, কাঁথির পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাসের পরিবর্তে নতুন এসডিপিও-কে হবেন তা এখনও নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করেনি। আবার ভূপতিনগর ও পটাশপুর থানার নতুন ওসি সোমবারই নিযুক্ত করা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ভূপতিনগর থানার দায়িত্বভার সামলাবেন জয়ন্ত দাস। তিনি বীরভূমে সাব-ইন্সপেক্টর ছিলেন। অন্যদিকে পটাশপুর থানার দায়িত্বভার সামলাবেন রঞ্জিত বিশ্বাস। তিনি আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাব-ইন্সপেক্টর ছিলেন। ষষ্ঠদফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে একটি বড় সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    আরও পড়ুনঃ “তৃণমূলের কাছে রিপোর্ট কার্ড নেই, আছে রেটকার্ড”, চাকরি চুরি নিয়ে মমতাকে তোপ মোদির

    নির্বাচনী প্রচার জমজমাট

    লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং কাঁথির প্রার্থী হয়েছেন সুমেন্দু অধিকারী। এলাকায় অনেক দিন ধরে উক্ত পুলিশ আধিকারিকরা তৃণমূলের হয়ে পক্ষপাতিত্বের কাজ করছেন বলে বিজেপি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। অপরে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তমলুকে প্রচার সভা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে অবতরণ করা সম্ভব হয়নি। তাই ঝাড়গ্রাম থেকে একযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন আকাধিক ইস্যুতে। শেষ সময়ে এই দুই কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচার জমে উঠেছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: তৃণমূলের সন্ত্রাসে বুথে যেতে পারেননি, ১০ বছর পর ভোট দিলেন ভোটাররা

    Lok Sabha Election 2024: তৃণমূলের সন্ত্রাসে বুথে যেতে পারেননি, ১০ বছর পর ভোট দিলেন ভোটাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে গত ১০ বছর ভোট দিতে পারেননি। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিলেন আমডাঙার উলুডাঙার সাধনপুর নিম্নবুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ৬৭ ও ৭২ নম্বর বুথের ভোটাররা। এদিন বুথের বাইরে লম্বা লাইন দেখা গেল আজ। ভোটারদের দাবি, তাঁরা ভোট দিতে পারতেন না। গ্রামে আটকে থাকতেন। ১০ বছর ধরে এমনই নাকি হত। গ্রামের এক মহিলা বললেন, “এই প্রথমবার লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছি। প্রায় ১০ বছর পর ভোট দিচ্ছি। এখানে এমনই হয়।” আরও এক মহিলা বলেন, “ভোট দিতে পেরেছি ভাল লাগছে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় তো আমার ছেলেকে মেরে ছিল। আমরা শাক-ভাত খাওয়া মানুষ। অন্য লোকের মার কেন খাব?” গ্রামবাসীরা একযোগে বললেন, “আমরা তো ভয়ে বের হতেই পারতাম না। এবার কমিশনের তৎপরতায় ভোট দিতে পারলাম।”

    আঙুল কাটলো ভোটারের (Lok Sabha Election 2024)

    এবার আমডাঙায় এক ভোটারের আঙুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। তিনি ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিলেন। সেই সময়েই এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে জখম অবস্থায় বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসা করানোর জন্য। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘যা কিছু অভিযোগ, সব আমাদের দিকে? আমি জানি না এই অভিযোগের ভিত্তি কী আছে। অভিযোগ যদি করে থাকে, পুলিশ সেটা দেখবে।’

    আরও পড়ুন: “হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে বসে থাকতে পারি না”, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা কার্তিক মহারাজের

    আমডাঙায় ভোটারদের হুমকি

    আমডাঙা বিধানসভার বোদাই সরদারপাড়া এলাকার ১৩০ নম্বর বুথে সাধারণ ভোটারদের  বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিরুদ্ধে। ঘটনায় বারাসাত পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কিউআরটি টিম পৌঁছায়। মানুষের অভিযোগ, ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে গেলে রাতের বেলা বোম মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে হাত কেটে নেওয়া হবে। আর এই কারণে গ্রামের মহিলা থেকে পুরুষ কেউই ভোট দিতে যেতে পারছে না ভোট কেন্দ্রে। একই ভাবে দুই বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয় এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share