Tag: news in bengali

news in bengali

  • Fake Aadhaar Cards: জাল আধার কার্ড বানিয়ে কেরলে রয়েছে ৫০ হাজার অনুপ্রবেশকারী!

    Fake Aadhaar Cards: জাল আধার কার্ড বানিয়ে কেরলে রয়েছে ৫০ হাজার অনুপ্রবেশকারী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যটি বাম শাসিত। সেখানেই রমরমা কারবার জাল আধারকার্ডের (Fake Aadhaar Cards)। অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গরাজ্য বললেও অত্যুক্তি হয় না। কারণ ছোট্ট রাজ্যটিতে অনুপ্রবেশকারী রয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি। এঁরা সবাই এসেছেন বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কা থেকে।

    জাল আধারকার্ড (Fake Aadhaar Cards)

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই অনুপ্রবেশকারীরা জাল আধারকার্ড বানিয়ে নিয়ে কেরলে রয়েছে বহাল তবিয়তে। গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, অসমের মধুপুর এবং নাগাঁও, পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর ও নদিয়া এবং কেরলের পেরামবাভুরে রমরমিয়ে চলছে জাল আধারাকার্ড তৈরির চক্র। এসব জায়গা থেকেই নকল আধারকার্ড সংগ্রহ করে কেরলে ঘাঁটি গেড়েছে এই অনুপ্রবেশকারীরা। কেবল অনুপ্রবেশকারীরাই নয়, অনেক ভারতীয়ও এই সব কেন্দ্র থেকে বানিয়ে নিচ্ছে নকল আধার কার্ড (Fake Aadhaar Cards)। এদেশে দুষ্কর্ম করে অনায়াসে পালিয়ে যাচ্ছে অন্যত্র। জাল আধারকার্ডের ভিত্তিতে যখন পুলিশ অভিযুক্তদের খুঁজছে, ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পগার পার।

    হ্যাকারদের হানা

    অথচ অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে রয়েছে বিএসএফের কড়া নজরদারি। উপকূলীয় রাজ্য কেরলের ওপর বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ডও। তার পরেও বন্ধ হয়নি অনুপ্রবেশ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টেও বলা হয়েছে, ভিনদেশিরা এদেশে ঢুকছে জাল আধারকার্ড সংগ্রহ করেই। জানা গিয়েছে, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের একটি ইন্টারনেট সিস্টেমে হানা দিয়েছে হ্যাকাররা। সেখান থেকেই তথ্য জোগাড় করছে তারা। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই তৈরি করা হচ্ছে আধারকার্ড। নকল আধারাকার্ড তৈরি হচ্ছে পেরামবাভুরের ‘ভাই মার্কেটে’র একটি দোকানেও। কেরলে পা রেখেই এই এলাকায় ভিড় করেন অস্থায়ী শ্রমিকরা। জানা গিয়েছে, এই দোকানটিতে আধারকার্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে একই ছবি, যদিও বদলে দেওয়া হচ্ছে নাম-ঠিকানা।

    আরও পড়ুুন: ৫০ বছর পর মথুরার গোবর্ধন পাহাড়ে ফের খনন শুরু এএসআই-এর, কেন জানেন?

    কেরল পুলিশের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী ইউনিট দিন কয়েক বেশ কিছু জাল আধারকার্ডের সন্ধান পেয়েছে। জাল আধারকার্ড তৈরি কিংবা এর অপব্যবহার রুখতে দেশে রয়েছে আধারকার্ড অ্যাক্ট, ২০১৬। ধরা পড়লে ১০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হয়। তিন বছর ধরে খাটতে হয় জেলও। তার পরেও চলছে জাল আধারকার্ডের রমরমা কারবার। যে কার্ড জোগাড় করে ভিন দেশিও রাতারাতি হয়ে যাচ্ছে খাঁটি দেশি (Fake Aadhaar Cards)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Govardhan Hill: ৫০ বছর পর মথুরার গোবর্ধন পাহাড়ে ফের খনন শুরু এএসআই-এর, কেন জানেন?

    Govardhan Hill: ৫০ বছর পর মথুরার গোবর্ধন পাহাড়ে ফের খনন শুরু এএসআই-এর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝে পাঁচ দশকের বিরতি। এবার ফের মথুরার গোবর্ধন পাহাড়ে (Govardhan Hill) খননকাজ শুরু করেছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা এএসআই। পুরাণখ্যাত এই স্থানে এক সময় খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছিল। পরে বন্ধ হয়ে যায়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলাক্ষেত্রে এবার ফের সেই কাজই শুরু করেছে এএসআই।

    কৃষ্ণময় ভূমি (Govardhan Hill)

    মথুরা, ব্রজধাম, বৃন্দাবন – এ সবের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে শ্রীকৃষ্ণের নাম। তিনি দেবতা না মানব, সে প্রশ্ন আলাদা। তবে তিনি যে ছিলেন, তা নিয়ে কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলে অভিমত পুরাণবিদদের একাংশের। এঁদের অনেকেই মনে করেন, ক্ষুরধার বুদ্ধির অধিকারী ছিলেন কৃষ্ণ। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি উন্নীত হয়েছেন দেবত্বে। এই কৃষ্ণের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে গোবর্ধন পর্বত (Govardhan Hill)। কথিত আছে, একবার হঠাৎ করে ঘোর বৃষ্টি চলে এলে সহ-রাখাল ও তাঁদের গোরুদের বাঁচাতে গোবর্ধন পাহাড় আঙুলে করে তুলে ধরেন কৃষ্ণ। যার জেরে বৃষ্টিভেজার হাত থেকে রক্ষা পান কৃষ্ণ, তাঁর সঙ্গীরা এবং তাঁদের গোরুগুলি।

    গোবর্ধন পাহাড়

    গোবর্ধন পাহাড়টির অবস্থান উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাজস্থানের ডিগ জেলার বাহজ গ্রামে। এলাকাটি জাঠ অধ্যুষিত। প্রত্নধন পাওয়ার আশায় এক সময় খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছিল এই পাহাড়ে। সেই কাজই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এএসআইয়ের জয়পুর সার্কেলের সুপারিনটেডিং প্রত্নতাত্বিক বিনয়কুমার গুপ্ত বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল মথুরার প্রাচীন অতীত ও আশপাশের এলাকাগুলিতে অনুসন্ধান কাজ চালানো। ভারতীয় সংস্কৃতিতে ব্রজধামের গুরুত্ব রয়েছে। হিন্দু দেবতাদের উপাসনা পদ্ধতি ও ভাস্কর্য শিল্পের ওপর এর প্রভাবও রয়েছে।” প্রাচীন সংস্কৃতির খোঁজে ২০২২-২৩ সালে এএসআই দেশজুড়ে ৫১টি জায়গায় খননকার্য চালানোর অনুমোদন দেয়। সেই কাজ শুরু হতেই মিলছে একের পর এক চমকপ্রদ প্রত্ন-রত্ন। রাজস্থানের সিকারের বেনওয়া গ্রামে আবিষ্কৃত হয়েছে সম্ভবত প্রাথমিক হরপ্পা সভ্যতার মৃৎশিল্প। গোবর্ধন পাহাড়ে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হতেই মিলেছে শুঙ্গ যুগের হাড়ের সরঞ্জাম, মৌর্য যুগের প্রত্নধন। মৌর্য যুগের পোড়া ইটও মিলেছে।

    উদ্যোগী মোদি

    ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রাচীন ভারতের ঐতিহাসিক ও পৌরাণিক জায়গাগুলির অতীত খুঁজে বের করতে উদ্যোগী হয় নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। তার জেরেই প্রত্নরত্নের সন্ধানে জোরকদমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় খননকাজ করছে এএসআই। বর্ষীয়ান প্রত্নতাত্ত্বিক বিবি লালের মতে, দিল্লির পুরাণ কিলা কমপ্লেক্সে মহাভারত যুগের নিদর্শন খুঁজে বের করাই খনন কার্যের উদ্দেশ্য। এখানে যেসব প্রাচীন জিনিসের খোঁজ মিলেছে, তারই একটি হল প্রাকৃতিক বালিতে ভরা ছোট্ট একটি পাত্র। ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক খননে এর আগে এমন পাত্রের খোঁজ মেলেনি। মাটির বিভিন্ন স্তরে মিলেছে এমন পাত্র। যা থেকে প্রমাণিত হয়, এই অঞ্চলের বাসিন্দারা মাটির পাত্র তৈরি করতেন। খোঁড়াখুঁড়িতেই মিলেছে শয়ে শয়ে ছোট ছোট পুঁতি। যার জেরে বোঝা যায়, এই অঞ্চলের মানুষ পুঁতির কাজ করতেন, পুঁতির ব্যবসাও ছিল। এই পুঁতি তৈরির কাঁচামাল আসত গুজরাট থেকে। গুপ্তর মতে, এক সময় যে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে গুজরাটের ব্যবসায়িক যোগাযোগ ছিল। এ তারই প্রমাণ। বাহাজ গ্রামে এএসআই খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করতেই স্থানীয়দের উৎসাহের অন্ত নেই। খননকার্য চাক্ষুষ করতে দলে দলে ভিড় করছেন তাঁরা। স্থানীয়দের উৎসাহের জেরে মথুরার অতীত খুঁজে বের করতে (Govardhan Hill) মরিয়া এএসআই। 

    গোবর্ধন’ শব্দের অর্থ

    ‘গোবর্ধন’ শব্দের দুটি অর্থ। একটি অর্থে, ‘গো’ মানে গোরু, এবং ‘বর্ধন’ শব্দের অর্থ হল আশ্রয় স্থল। এই অর্থ ধরলে, এই পাহাড় অঞ্চলে এক সময় ব্যাপকভাবে গো-ধন পালিত হত। আর একটি অর্থ হল, ‘গো’ মানে ইন্দ্রিয় এবং ‘বর্ধন’ মানে নিয়ন্ত্রণ করা। এই অর্থ ধরলে, গোবর্ধন শব্দের অর্থ দাঁড়ায়, এটি এমন একটি জায়গা যেখানে মানুষ তাঁর লাগামহীন ইন্দ্রিয়কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন, সংযত রাখতে পারেন।

    ‘গোবর্ধন’ শব্দের অর্থ যা-ই হোক না কেন, পাহাড়টি রয়েছে বৃন্দাবন থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে। ভাগবত গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং বলেছেন, “গোবর্ধন পর্বত আমার থেকে আদালা নয়। তাই আমার উপাসকরা যেমন আমার মূর্তি পুজো করে, তেমনি তাঁরা যেন গোবর্ধন পাহাড়কেও পুজো করে।” জানা গিয়েছে, পাহাড়টি বেলেপাথর দিয়ে গঠিত। কৃষ্ণভক্তদের কাছে গোবর্ধন পাহাড়ের গুরুত্ব অপরিসীম। গুরুপূর্ণিমা, গোবর্ধন পুজো, জন্মাষ্টমী সহ কষ্ণ-সম্পৃক্ত নানা অনুষ্ঠানে ভক্তরা খালি পায়ে এই গোবর্ধন পাহাড় পরিক্রমা করেন। পুরো পথটির দৈর্ঘ ২৩ কিলোমিটার। পায়ে হেঁটে ঘুরতে সময় লাগে ৬-৮ ঘণ্টা। ভক্তদের বিশ্বাস, গোবর্ধন পাহাড় (Govardhan Hill) পরিক্রমা করলে ভক্তরা আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও চিত্তশুদ্ধি লাভ করতে পারেন।

    আরও পড়ুুন: কংগ্রেসের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন পিত্রোদা, কেন জানেন?

    এহেন গুরুত্বপূর্ণ একটি পাহাড়ে ফের খননকার্য শুরু করেছে এএসআই। ব্রজ অঞ্চলের প্রাচীন কোনও সংস্কৃতির নিদর্শন মেলে কিনা, সেই আশায়। যদি পুরাণযুগের কোনও প্রত্নরত্নের খোঁজ মেলে, তাহলে তা যেমন একদিকে মথুরার সমৃদ্ধশালী অতীত গৌরবের হদিশ দেবে, তেমনি ফেরাবে কৃষ্ণ-অবিশ্বাসীদের বিশ্বাস। তখন আর কবিকেও কেঁদে কেঁদে বলতে হবে না, “আমি শুধাই ব্রজের ঘরে ঘরে কৃষ্ণ কোথায় বল…।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sam Pitroda: কংগ্রেসের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন পিত্রোদা, কেন জানেন?

    Sam Pitroda: কংগ্রেসের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন পিত্রোদা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ণবাদের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ঘরে বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কংগ্রেসের ওভারসিজ চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা (Sam Pitroda)। তার জেরে বুধবার পদত্যাগ করলেন গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ এই নেতা। এই মুহূর্তে দেশে চলছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। তার মধ্যেই পিত্রোদার মতো ওজনদার এক নেতা পদত্যাগ করায় বিপাকে কংগ্রেস। রবিবারই কংগ্রেস ছেড়েছিলেন এআইসিসির মুখপাত্র রাধিকা খের। পরের দিনই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দেগেছিলেন রাধিকা। সেই ঘা শুকনোর আগেই পিত্রোদার বিতর্কিত মন্তব্য। এবং তারই জেরে পদত্যাগ কংগ্রেসের এই ওভারসিজ নেতার।

    কী বলেছিলেন পিত্রোদা? (Sam Pitroda)

    প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগে পিত্রোদা বলেছিলেন উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দারা চিনাদের মতো দেখতে, পশ্চিমের লোকেরা আরবদের মতো দেখতে, আর দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দারা দেখতে আফ্রিকানদের মতো। বর্ণবাদের মতো একটি সংবেদনশীল বিষয়ে মন্তব্য করে নিজে তো বটেই, দলকেও বিপাকে ফেলে দেন পিত্রোদা (Sam Pitroda)। কংগ্রেস-বিরোধীরা যাতে এর ফায়দা তুলতে না পারে, তাই পিত্রোদার মন্তব্য যে তাঁরই, কংগ্রেসের নয়, ফলাও করে তা বলতে হয় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে।

    পিত্রোদার পদত্যাগ 

    পিত্রোদার মন্তব্যের পরে পরেই কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছিলেন, “ভারতের বৈচিত্র্যকে চিত্রিত করার জন্য মিঃ স্যাম পিত্রোদা একটি পডকাস্টে যে সাদৃশ্যগুলি এঁকেছেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং অগ্রহণযোগ্য। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এই উপমা থেকে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, বিভিন্ন দিক থেকে চাপের মুখে পড়ে গিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন পিত্রোদা। কংগ্রেসের তরফে এদিন সেই জয়রাম রমেশই বলেন, “মিঃ স্যাম পিত্রোদা নিজের ইচ্ছায় ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি তাঁর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।”

    আরও পড়ুুন: “গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে অপমান হজম করব না”, পিত্রোদার মন্তব্যকে কটাক্ষ মোদির

    পিত্রোদার মন্তব্যের পরে পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে নিশানা করেছিলেন। বুধবারই সকালে তিনি বলেছিলেন, “আমি আজ ভীষণ রেগে রয়েছি। কেউ আমায় গালি দিলে আমি রাগ করি না। আমি সহ্য করে নিই। কিন্তু শাহজাদার (রাহুল গান্ধী) মার্কিন প্রবাসী দার্শনিক ও গাইড কাকু যে মন্তব্য করেছেন, তাতে আমার রাগ চরমে উঠেছে।” তাঁর প্রশ্ন, “মানুষের ক্ষমতা এবং যোগ্যতা কি (Sam Pitroda) তার গায়ের রং দিয়ে বিচার করা যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna12: “মাঝে মাঝে সাধুসঙ্গ আর মাঝে মাঝে নির্জনে থেকে ঈশ্বরচিন্তা করতে হয়”

    Ramakrishna12: “মাঝে মাঝে সাধুসঙ্গ আর মাঝে মাঝে নির্জনে থেকে ঈশ্বরচিন্তা করতে হয়”

    ৭ম পরিচ্ছেদ 

    যো মামজমনাদিঞ্চ বেত্তি লোকমহেশ্বরম্‌।

    অসংগমূঢ়ঃ স মর্তেষু সর্বপাপৈঃ প্রমচ্যতে।।

    উপায়-বিশ্বাস

    একজন ভক্ত—মহাশয়, এরূপ সংসারী জীবের কি উপায় নাই?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)-অবশ্য উপায় আছে। মাঝে মাঝে সাধুসঙ্গ আর মাঝে মাঝে নির্জনে থেকে ঈশ্বরচিন্তা করতে হয়। আর বিচার করতে হয়। তাঁর আছে প্রার্থনা করতে হয়, আমাকে ভক্তি বিশ্বাস দাও।

    বিশ্বাস হয়ে গেলেই হল। বিশ্বাসের চেয়ে আর জিনিস নাই।

    (কেদারের প্রতি)—“বিশ্বাসের কত জোর তা তো শুনছে, পুরাণে আছে, রামচন্দ্র যিনি সাক্ষাৎ পূর্ণব্রহ্ম নারায়ণ, তাঁর লঙ্কায় যেতে সেতু বাঁধতে হল। কিন্তু হনুমান রামনামে বিশ্বাস করে লাফ দিয়ে সমুদ্রের পারে গিয়ে পড়ল। তার সেতুর দরকার হয় নাই। (সকলের হাস্য)

    “বিভীষণ একটি পাতায় রামনাম লিখে ওই পাতাটি একটি লোকের কাপড়ের খোঁটে বেঁধে দিছিল। সে লোকটি সমুদ্রের পারে যাবে। বিভীষণ তাকে বললে, তোমার ভয় নাই, তুমি বিশ্বাস করে জলের উপর দিয়ে চলে যাও, কিন্তু দেখ যাই অবিশ্বাস করবে, অমনি জলে ডুবে যাবে। লোকটি বেশ সমুদ্রের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছিল; এমন সময়ে তার ভারী ইচ্ছা হল যে, কাপড়রের খোঁটে কি বাঁধা আছে একবার দেখে! খুলে দেখে যে, কেবল রামনাম লেখা রয়েছে! তখন সে ভাবলে, এ কি! শুধু রামনাম (Ramakrishna) একটি লেখা রয়েছে! যাই অবিশ্বাস, অমনি ডুবে গেল।

    যার ঈশ্বরে বিশ্বাস আছে, সে যদি মহাপতক করে-গো, ব্রাহ্মণ, স্ত্রী হত্যা করে, তবুও ভগবানে এই বিশ্বাসের বলে ভারী ভারী পাপ থেকে উদ্ধার হতে পারে। সে যদি বলে আর আমি এমন কাজ করব না, তার কিছুতেই ভয় হয় না।”

    এই বলিয়া ঠাকুরের গান ধরিলেনঃ

    মহাপাতক ও নামমাহাত্ম্য

    আমি দুর্গা দুর্গা বলে মা যদি মরি।

    আখেরে এ-দীনে, না তারো কেমনে জানা যাবে গো শঙ্করী।।

    নশি গো ব্রাহ্মণ, হত্যা করি ভ্রূণ, সুরাপান আদি বিনাশ নারী।

    এ-সব পাতক, না ভাবি তিলেক, ব্রহ্মপদ নিতে পারি।।

    এই ছেলেটিকে দেখছ, এখানে একরকম। দুরন্ত ছেলে বাবার কাছে যখন বসে, যেমন জুজটি, আবার চাঁদনিতে যখন খেলে, তখন আর এক মূর্তি। এরা নিত্যসিদ্ধের থাক। এরা সংসারে কখনও বদ্ধ হয় না। একটু বয়স হলেই চৈতন্য (Ramakrishna) হয়, আর ভগবানের দিকে চলে যায়। এরা সংসারে আসে জীবশিক্ষার জন্য। এদের সংসারের বস্তু কিছু ভাল লাগে না-এরা কামিনীকাঞ্চনে কখন আসক্ত হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “ভালো লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে, মন্দ লোকের কাছ থেকে তফাত থাকতে হয়”

    আরও পড়ুনঃ “সাধু, অসাধু, ভক্ত, অভক্ত-সকলেরই হৃদয়ে নারায়ণ আছেন, কিন্তু দুষ্টু লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে না”

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৭ম পরিচ্ছেদ,

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: বারাকপুরে মোদির সভার নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা অর্জুনের, যাচ্ছেন কমিশনে

    Arjun Singh: বারাকপুরে মোদির সভার নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা অর্জুনের, যাচ্ছেন কমিশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা করতে আসার প্রসঙ্গে তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানালেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh)। তিনি আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “বারাকপুরেও পাঞ্জাবে খালিস্তানীদের মতো তৃণমূলের সন্ত্রাসীরা নাশকতা মূলক চক্রান্ত করছে। রাজ্য প্রশাসন সব জেনেও নির্বাক।” পুলিশের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি।

    কী বললেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)?

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগামী ১২ মে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং-এর (Arjun Singh) সমর্থনে ভাটপাড়ায় জনসভা করতে আসার কথা রয়েছে। তবে তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বারাকপুরে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি আজ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যে মাঠে সভা করতে আসবেন সেই মাঠ ভাটপাড়া পুরসভার তত্ত্বাবধানে খুঁড়ে ফেলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর মতো হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির আসার বিষয় জানার পরেও হেলদোল নেই পুলিশ প্রশাসনের। পাঞ্জাবে খালিস্তানী জঙ্গিদের আচরণে একটি ব্রিজের উপরে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। দেশের সর্বোচ্চ পদের অধিকারী পদের নিরাপত্তা নিয়ে একই ভাবে এই রাজ্যের প্রশাসন তৎপর নয়। বারাকপুরে পুলিশ কমিশনার এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। কিন্তু শাসক দলের কোন গড-ফাদার এই নির্দেশ দিয়েছেন তা অবিলম্বে তদন্ত করে বের করা হোক। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।”

    আরও পড়ুনঃএবার থেকে গরম ও পুজোর ছুটিতেও করাতে হবে অনলাইন ক্লাস! নির্দেশিকা জারি শিক্ষা সংসদের

    আর কী বললেন অর্জুন সিং?

    বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh) আরও বলেন, “রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা আধিকারিকদের আমরা তথ্য দিয়ে অভিযোগ জানাবো। নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানাবো। আমি এটাও শুনেছি মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো এখানে একটা পথসভা করবেন তাই রাস্তার সকল লাইনের তার সরানোর জন্য পুলিশ কমিশনার নিজে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। অথচ দেশের প্রধানমন্ত্রী সভা করতে আসবেন কিন্তু তা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের হেলদোল নেই।”   

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Air India Flights: ‘অসুস্থ’ এয়ার ইন্ডিয়ার শতাধিক কেবিন ক্রু! কর্মীসঙ্কটের জেরে বাতিল ৭০টির বেশি উড়ান

    Air India Flights: ‘অসুস্থ’ এয়ার ইন্ডিয়ার শতাধিক কেবিন ক্রু! কর্মীসঙ্কটের জেরে বাতিল ৭০টির বেশি উড়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মীসঙ্কটের জেরে বিপাকে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India Flights) এক্সপ্রেস। একসঙ্গে প্রায় ৩০০ কর্মী আচমকাই ছুটি নিয়েছেন। ফলে কর্মীসঙ্কটের জেরে বাধ্য হয়ে ৭০টির বেশি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমান বাতিল (Flights Cancelled) করতে বাধ্য হয়েছে বিমান সংস্থা। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যতম বিমান পরিবহণ সংস্থার এই অব্যবস্থা যাত্রীদের চরম সমস্যায় ফেলেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Air India Flights) 

    সূত্রের খবর, এয়ার ইন্ডিয়ার শতাধিক সিনিয়র কেবিন ক্রু হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফলে সকলেই ছুটি নিয়েছেন (Crews Mass Sick Leave)। এই খবর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই তাঁরা তাঁদের মোবাইল বন্ধ করে দেন। এরপর এয়ার ইন্ডিয়া (Air India Flights) এক্সপ্রেস ম্যানেজমেন্ট ওই সিনিয়র কেবিন ক্রু-দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করলে তা বিফলে যায়। একসঙ্গে এত কর্মী আচমকাই ছুটি নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবায়। বাতিল করতে হয়েছে ৭৯টির মতো বিমান।

    তবে কেন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হল? 

    শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছে বলেই জানাচ্ছে বিমান সংস্থাটি। তবে সূত্রের খবর টাটা গোষ্ঠীর সংস্থাটিতে চাকরির নতুন যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদেই এই ঘটনা (Flights Cancelled)ঘটেছে। নয়া নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে কয়েক দিন ধরেই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে কর্মীদের মধ্যে। অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ কর্মীদের সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। তাই এই গণ অসুস্থতা বলে মনে করছেন অনেকে। 

    আরও পড়ুন: “গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে অপমান হজম করব না”, পিত্রোদার মন্তব্যকে কটাক্ষ মোদির

    যাত্রীদের অভিযোগ

    এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বাতিল হওয়ার খবর জানিয়ে সমাজমাধ্যমে একাধিক পোস্ট করছেন যাত্রীরা। 

    অনেকেরই অভিযোগ, বিমানবন্দরে এসে তাঁরা বিমান বাতিলের খবর পেয়েছেন। কেন তাঁদের আগে থেকে জানানো হল না, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছেন।

    এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্রের বক্তব্য 

    এ প্রসঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Flights) মুখপাত্র বলেন, ‘‘বিমান পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় আমাদের যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন। আমরা যাত্রীদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। বিমান বাতিলের কারণে সমস্যায় পড়া যাত্রীদের টিকিটের সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিংবা অন্য দিন বিমানে যেতে চাইলে তার ব্যবস্থাও করা হবে।’’ তবে হঠাৎ করে ৭৯ টি উড়ান বাতিল হওয়ায় নির্দিষ্ট সময় বিমান না পেয়ে বহু যাত্রীর সমস্যা হয়েছে। যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থা করার কথা এয়ার ইন্ডিয়া (Air India Flights) এক্সপ্রেস ঘোষণা করলেও যাত্রীদের একটা বড় অংশ পুরো টিকিটের দাম ফেরত চাইছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • HS Result 2024: উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় প্রথম দশে হুগলির দুই যমজ বোন সোহা-স্নেহা

    HS Result 2024: উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় প্রথম দশে হুগলির দুই যমজ বোন সোহা-স্নেহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ মাধ্যমিকের (HS Result 2024) মেধা তালকায় দুই যমজ বোনের বিরাট সাফল্য। একই সঙ্গে পড়াশুনা, একই সঙ্গে টিউশনি পড়তে যেতেন দুই বোন। এবার মেধা তালিকার প্রথম দশে স্থান করে নিয়েছেন দুই বোন। উচ্চ মাধ্যমিকে ফলাফল ঘোষণার পর এই খুশির সংবাদ ফিরে এলো চন্দননগরের ঘোষ পরিবারে। দুই কৃতী ছাত্রী হলেন, স্নেহা ঘোষ এবং সোহা ঘোষ। উচ্চ মাধ্যমিকে চতুর্থস্থান অধিকারিণী হয়েছেন স্নেহা এবং দশমস্থান অধিকারিণী হয়েছেন সোহা। ওপর দিকে উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের কোচবিহারের প্রতীচী রায় তালুকদার চতুর্থস্থান অধিকারিণী হয়েছেন। রাজ্যে যুগ্মভাবে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন দুই জন। পরিবার এবং এলাকায় ব্যাপক উচ্ছ্বাস এবং খুশির হাওয়া।

    ছাত্রীদের বক্তব্য (HS Result 2024)

    উচ্চ মাধ্যমিকে (HS Result 2024) পাশ করা সোহা এবং স্নেহা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলে জানিয়েছেন, “৯৮ শতাংশ নম্বর পাবো ভেবেছি। কিন্তু মেধা তালিকায় থাকব এমনটা ভাবতে পারিনি। সবসময় আমরা বলতাম ৪৯০ এর উপর পাবো। নিজের নাম শুনে অতটাও খুশি হইনি যতটা সোহার নাম শুনে হয়েছি। তবে ও পাশে না থাকলে সম্ভব হতনা।”

    পরিবারের বক্তব্য

    সোহার থেকে এক মিনিটের ছোট হলেন স্নেহা। উচ্চ মাধ্যমিকে (HS Result 2024) স্নেহার প্রাপ্ত নম্বর হল ৪৯৩, আর সোহা পেয়েছেন ৪৮৭। চন্দননগরের কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দিরে স্কুলের ছাত্রী। তাঁদের বাড়ি চুঁচুড়ার গরবাটি ষষ্ঠীতলার বাসিন্দা তাঁরা। দুই বোনের ফলাফলে পরিবার ব্যাপক খুশি। পরিবারের তরফ থেকে তাঁদের মা জানিয়েছেন, “ভাষা হারিয়ে ফেলেছি আমি। এত ভালো ফলাফল হবে আমি আশা করিনি। আমরা চেষ্টা করতাম সাহায্য করতে। দুই মেয়ে চন্দননগরের কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দির স্কুলের ছাত্রী। ওঁরা চায় আগামী দিনে অর্থনীতি নিয়ে পড়তে চায়।”

    আরও পড়ুনঃ “সুপ্রিম কোর্টে আমার নাম নিয়ে দুই গালে চড় খেয়ে এসেছে”, তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    কোচবিহারে চতুর্থ প্রতীচী

    উচ্চ মাধ্যমিকে (HS Result 2024) প্রতীচী রায় তালুকদারের প্রাপ্ত নম্বর হল ৪৯৩। কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমিতে পড়াশুনা করতেন তিনি। প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে পড়াশুনা করতেন প্রতীচী। একই সঙ্গে শরীরীচর্চা, ছবি আঁকা, ব্যাড মিণ্টন, ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসে এই কৃতী ছাত্রী। তাঁর পছন্দের গায়িকার তালিকায় রয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল। প্রতীচীর বাবা অবশ্য পেশায় শিক্ষক। ইঞ্জিনিইয়ারিং-এ বিশেষ স্থান নিয়ে আছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Online classes: এবার থেকে গরম ও পুজোর ছুটিতেও করাতে হবে অনলাইন ক্লাস! নির্দেশিকা জারি শিক্ষা সংসদের

    Online classes: এবার থেকে গরম ও পুজোর ছুটিতেও করাতে হবে অনলাইন ক্লাস! নির্দেশিকা জারি শিক্ষা সংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমের ছুটি হোক কিংবা পুজোর ছুটি। ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষিকা-সকলের অপেক্ষায় থাকে বছরের এই দুটি সময়ের জন্য। যে সময় পড়াশোনা থেকে ছুটি পেয়ে সকলেই নিজের মত করে সময় কাটায়, অথবা ঘুরতেও যায়। কারন বছরের এই সময়টাতেই প্রায় একটানা অনেকগুলো দিন ছুটি পাওয়া যায়। তবে এবার থেকে আর নিস্তার নেই গরম ও পুজোর ছুটিতে। গরমের ছুটি হোক বা পুজোর ছুটি, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এ বার করাতে হবে ক্লাস। তবে স্কুলে গিয়ে নয়, ক্লাস হবে অনলাইনে (Online classes)। সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) তরফ থেকে দেওয়া বার্ষিক কর্মসূচি তালিকায় এমনই উল্লেখ করা হয়েছে।

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (Online classes)

    দেখা যায় দুর্গাপুজো কেটে যাওয়ার পর লক্ষ্মী পুজো থেকে কালীপুজো পর্যন্ত একটা লম্বা ছুটি থাকে। বিশেষত এই সময় যাতে অনলাইনে ক্লাসগুলি (Online classes) করানো যায় তার জন্য স্কুল গুলির কাছে আবেদনে জানিয়েছে শিক্ষা সংসদ। কারণ এই সময় প্রায় ১২ থেকে ১৩ দিনের একটানা ছুটি থাকে। মূলত দীর্ঘ গরমের ছুটি বা পুজোর টানা ছুটি যাতে সিলেবাস শেষের পথে বাধা না হয়ে ওঠে তাই জন্যই শিক্ষা সংসদের তরফে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

    চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের বক্তব্য 

    এ প্রসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রমে মাধ্যমিকের তুলনায় বিষয় সংখ্যা অনেক বেশি। সেমেস্টার পদ্ধতিতে প্রথম পরীক্ষা হবে সেপ্টেম্বর মাসে। সময়ের মধ্যে পাঠ্যক্রম শেষ না হলে ছাত্রছাত্রীরা কী ভাবে শিখবে? পরীক্ষাই বা দেবে কী করে? তাই ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে সুবিধা মতো অনলাইন ক্লাস (Online classes) নেওয়ার কথা বলা হয়েছে স্কুলগুলিকে।”
    শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে রাজ্যের সমস্ত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক কর্মসূচির সবিস্তার তালিকা পাঠানো হয়েছে। আর তাতে সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে ‘টিচিং লার্নিং-এর’ উপর। সেই সূত্রেই ছুটি চলাকালীন অনলাইন ক্লাসের (Online classes) কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। স্কুলগুলি চাইলে এই ক্লাস করাতে পারে।

    আরও পড়ুন: ৫২৫০ নাকি ৮৮৬১! এসএসসি দুর্নীতিতে অযোগ্য প্রার্থী কতজন? সুপ্রিম কোর্টে সংখ্যা বদল কমিশনের

    সেমিস্টার পদ্ধতিতে পড়াশোনা 

    উল্লেখ্য এ বছর থেকে চালু হয়েছে সেমিস্টার পদ্ধতি। প্রথম সেমিস্টারের জন্য ১০০ ঘন্টা আর দ্বিতীয় সেমিস্টারের জন্য ৮০ ঘন্টা দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে। অর্থাৎ প্রত্যেক বিষয় ভিত্তিক ১৮০ ঘণ্টা করে ‘কন্টাক্ট আওয়ার’ ধার্য করা হয়েছে। এছাড়াও ২০ ঘন্টা দেয়া হয়েছে হোম অ্যাসাইনমেন্ট, টিউটোরিয়াল এবং রেমেডিয়াল ক্লাসের জন্য। যদিও স্কুলগুলোর জন্য এই নিয়ম (Online classes) বাধ্যতামূলক নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Dev: “কেশপুরে ১০ দিনের মধ্যে খুন হবে বিজেপি, ফাঁসানো হবে তৃণমূলকে!”, দেবের মন্তব্যে পাল্টা এফআইআর হিরণের

    Dev: “কেশপুরে ১০ দিনের মধ্যে খুন হবে বিজেপি, ফাঁসানো হবে তৃণমূলকে!”, দেবের মন্তব্যে পাল্টা এফআইআর হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিজেপি কর্মীর একটা খুন হতে পারে কেশপুরে। আর এই খুনের দায় চাপানো হতে পারে তৃণমূলের উপরে। কিন্তু রাজ্যের তৃতীয় দফা নির্বাচনের পর কেন এমন ইঙ্গিত দিলেন ঘাটাল লোকসভা তৃণমূল প্রার্থী দেব (Dev)? অপরে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় নির্বাচনের পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। ঠিক এর মধ্যেও তৃণমূল নেতার মুখে খুনের ইঙ্গিত! ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    ঠিক কী বলেছেন দেব (Dev)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে তৃণমূল প্রার্থী দেব বললেন, “আগামী ১০ থেকে ২০ মে-র মধ্যে কেশপুরে খুন হতে পারেন এক বিজেপি কর্মী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং তাঁর দলের কর্মীরা ষড়যন্ত্র করে খুন করতে পারেন। এই খুনের দায় তৃণমূলের উপর চাপানোর ষড়যন্ত্র চলছে। বিজেপির প্রার্থী হিরণ এবং দল যে ভাবে ঘটাল লোকসভায় জেতার জন্য পড়ে রয়েছেন তাতে কেশপুরে একটা বড় ঘটনা ঘটতে চলেছে। নিজের লোককে মেরে আমাদের লোকজনকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। গত দশ বছর ধরে এলাকাকে আমি শান্ত করে রেখেছি। সন্ত্রাস করার চেষ্টা হতে পারে তাই কমিশন এবং সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়ে রাখলাম।”

    আরও পড়ুনঃ “সুপ্রিম কোর্টে আমার নাম নিয়ে দুই গালে চড় খেয়ে এসেছে”, তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত দেব!

    এদিকে বিজেপি প্রার্থী হিরণ পাল্টা দেবকে আক্রমণ করে বলেছেন, “আমরা এফআইআর করব। আমি কেশপুরের বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বলছি, সবাই নিশ্চিন্তে থাকুন। কারও দম নেই যে খুন করবে। তৃণমূল খুনের পরিকল্পনা করছে।”দেবের বিরুদ্ধে গরু পাচারের অভিযোগ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগে থেকেই ছিল। একাধিক বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে হাজিরা দিয়ে তলব করেছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দেবের সিনেমায় গরুপাচারের টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। গরু পাচারের টাকা এনামূলের মাধ্যমে এসেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। একই ভাবে এই ঘটাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণও ধারাবাহিক ভাবে গরু পাচার বিষয়ে দেবকে আক্রমণ করেছেন। তাহলে কী দেব নিজের জন সমর্থন কমে গেছে বুঝতে পেরে আগাম বিস্ফোরক বা উস্কানি মূলক মন্তব্য করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন? অবশ্য রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মানুষ এমনটাই মনে করছেন।  তাঁর মন্তব্যে রাজনৈতিক হিংসার ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছে বিজেপি। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।          

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Betul fire incident: ভোটকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে বাসে আগুন! পুড়ল একাধিক ইভিএম

    Betul fire incident: ভোটকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে বাসে আগুন! পুড়ল একাধিক ইভিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মঙ্গলবার ৭ মে ছিল তৃতীয় দফার নির্বাচন। সারা দেশে নির্বিঘ্নে ভোটদান হলেও ভোট শেষে রাতের অন্ধকারে ঘটল অগ্নিকান্ডের (Betul fire incident) ঘটনা। আগুন লাগার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে যায় দমকল। ধীরে ধীরে আগুন নিভিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। জানা গেছে, বাসে মোট ছটি ইভিএম ছিল। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।  

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Betul fire incident)

    ঘটনাটি মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের গোলা গ্রামের কাছে ঘটেছে। ভোট শেষ হওয়ার পর মধ্যপ্রদেশের বেতুল ভোটকেন্দ্র থেকে ইভিএম (Electronic Voting Machines) নিয়ে বাসে ফিরছিলেন পোলিং অফিসারেরা। ঠিক সেই সময় পথে হঠাৎ বাসে আগুন (Betul fire incident)লেগে যায়। হঠাৎ করে আগুন লেগে যাওয়ায় বাস থেকে চালক-সহ সকলে নেমে যান। দুটি ইভিএম মেশিন অক্ষত অবস্থায় বের করা গেলেও বাকি চারটি ইভিএম আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 
    জানা গেছে, বেতুলের ২৭৫, ২৭৬, ২৭৭, ২৭৮, ২৭৯ এবং ২৮০ নম্বর বুথের ইভিএম–এর ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে (Election commission) জানানো হয়েছে। এরপর পরিস্থিতি বিচার করে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে ওই ছটি বুথে আবারও ভোট হবে কি না। 

    আরও পড়ুন: তৃতীয় দফায় ভোটের হার ৬১.৪৫%, প্রথম সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় যে ৯৩টি আসনে ভোট হয়েছে (Lok Sabha election 2024), তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪ টির পাশাপাশি গুজরাতের ২৫, কর্নাটকের ১৪, মহারাষ্ট্রের ১১, উত্তরপ্রদেশের ১০, মধ্যপ্রদেশের ৯ টি, ছত্তীসগঢ়ের ৭ টি, বিহারের ৫ টি, অসমের ৪ টি, গোয়ার ২ টি, দাদরা ও নগর হভেলীর ১ টি এবং দমন ও দিউয়ের ১ টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেতুল লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃতীয় দফায় মোট ৭২.৬৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। তবে আগ্নিকান্ডের ঘটনায় (Betul fire incident) ইভিএম মেশিন গুলি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় কমিশন আবারও এই কেন্দ্রে পরবর্তীতে ভোটের সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা তা সময়ই বলবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share