Tag: news in bengali

news in bengali

  • Heatwave Alert: কলাইকুন্ডায় তাপমাত্রা ৪৬ ছুঁইছুঁই! তীব্র তাপপ্রবাহে দক্ষিণবঙ্গে ত্রাহি ত্রাহি রব

    Heatwave Alert: কলাইকুন্ডায় তাপমাত্রা ৪৬ ছুঁইছুঁই! তীব্র তাপপ্রবাহে দক্ষিণবঙ্গে ত্রাহি ত্রাহি রব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবদাহে (Heatwave Alert) জ্বলছে দক্ষিণবঙ্গ। বেশিরভাগ জেলায় বইছে লু। আগামী ৭ দিন গরম থেকে রেহাই নেই রাজ্যবাসীর। হু হু করে চড়ছে তাপমাত্রার (Temperature) পারদ। আর এরই মধ্যে রেকর্ড গড়ল রাজ্য। শনিবার দেশের উষ্ণতম স্থান ছিল কলাইকুণ্ডা। তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের কাছে কলাইকুন্ডায় (kalaikunda Weather Update) এদিন তাপমাত্রার পারদ উঠে গিয়েছিল ৪৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এই নিয়ে পর পর দুই দিন দেশের উষ্ণতম শহর কলাইকুন্ডা।

    দেশের মধ্যে সর্বাধিক তাপমাত্রা (Heatwave Alert) 

    উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডার তাপমাত্রা (Heatwave Alert) দেশের মধ্যে সর্বাধিক বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামীকাল থেকে আরও পারদ চড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী কয়েকদিনে আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।

    শনিবারও জ্বালাপোড়া গরম জেলায় জেলায়

    অন্যদিকে কলাইকুন্ডা (kalaikunda Weather Update) পাশাপাশি তাপপ্রবাহের (Heatwave Alert) পরিস্থিতি চলবে কলকাতাতেও। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.১ ডিগ্রি। এর আগে ৪৪ বছর আগে ১৯৮০ সালের এপ্রিল মাসে শহর কলকাতার তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও শনিবার বর্ধমান, ব্যারাকপুর, ঝাড়গ্রাম শহরে দিনের তাপমাত্রা (Temperature) ৪৩ ডিগ্রির গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। শ্রীনিকেতন, কৃষ্ণনগর, আসানসোল, পুরুলিয়া, সিউড়ির তাপমাত্রা ছিল ৪২-এরও বেশি। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৭ দিন বৃষ্টির (Rain fall) সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে আবহাওয়া দফতর।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছিল শাহজাহানের, মনে করিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ

    আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা

    কলাইকুন্ডার তাপমাত্রার (kalaikunda Weather Update) কথা মাথায় রেখে এমত পরিস্থিতিতে (Heatwave Alert) আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা, প্রয়োজন ছাড়া সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত রোদে বেরোবেন না। বেরোলেও সাথে ছাতা, টুপি সানগ্লাস এবং পর্যাপ্ত জল নিয়ে বেরোতে হবে। সাদা বা হালকা রঙের সুতির জামা পরতে হবে। সর্বোপরি নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “প্রথম দু’দফার ফল হতে চলেছে ২-০”, মহারাষ্ট্রে বললেন মোদি

    Lok Sabha Elections 2024: “প্রথম দু’দফার ফল হতে চলেছে ২-০”, মহারাষ্ট্রে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম দু’দফার ফল হতে চলেছে ২-০। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সব আসন পাবে। শূন্য হাতে ফিরতে হবে ইন্ডিয়া ব্লককে। শনিবার নির্বাচনের ফলের যে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এই হল তার নির্যাস (Lok Sabha Elections 2024)। মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে বিজেপি আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই নিশানা করেন ইন্ডিয়া ব্লককে। তিনি বলেন, “কোলাপুরকে মহারাষ্ট্রের ফুটবল হাব বলা হয়। ফুটবল স্থানীয় যুবকদের ভীষণ প্রিয়। গত দু’দফার নির্বাচনের ফল যদি আমি ফুটবলের ভাষায় প্রকাশ করি, তাহলে বলতে হয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২-০-তে লিড করছে।”

    ইন্ডি জোটকে নিশানা মোদির (Lok Sabha Elections 2024)

    বিরোধীরা দেশবিরোধী এবং তুষ্টিকরণের রাজনীতি (Lok Sabha Elections 2024) করছেন বলেও এদিন অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “ডিএমকে, কংগ্রেসের কাছে যাদের গুরুত্ব খানিক বেশি, তারা সনাতন ধর্মকে গালাগাল দিচ্ছে। তারা সনাতন ধর্মকে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া বলছে। আর ইন্ডি জোট তাদের মহারাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। যারা সনাতন ধর্মকে ধ্বংস করার কথা বলে, তাদের সম্মানিত করছে। এসব দেখলে বালাসাহেব (ঠাকরে) অবশ্যই দুঃখিত হতেন।”

    উদ্ধব-শিবিরকেও আক্রমণ

    শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবিরকেও এদিন নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “ওরা (উদ্ধব ঠাকরে শিবির) ডিএমকের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছে।” প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় উঠে এসেছে ইন্ডিয়া ব্লক এবং মহা বিকাশ আগাড়ির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে তারা ঔরঙ্গজেবের অনুগামীদের সঙ্গেও জোট করছে। সিএএ প্রত্যহারের যে প্রতিশ্রুতি বিরোধীরা দিয়েছেন, এদিন তাকেও একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও না যাওয়ায়ও এদিন বিরোধীদের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “তারা (মন্দির কর্তৃপক্ষ) সব কিছু ভুলে গিয়েছিলেন (রাম মন্দির নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান)। কংগ্রেসের দুয়ারে গিয়ে ২২ জানুয়ারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তারা তা পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে। কেউ যদি ভগবান রামকেই প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে আপনি কী করবেন?”

    আরও পড়ুুন: “অভিষেক এইট ফেল”, বিস্ফোরক দাবি ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী ববির

    কংগ্রেসের ইস্তাহারে (পোশাকি নাম ‘ন্যায়পত্র’) সম্পদের পুনর্বণ্টনের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তাকেও কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “এই দল (কংগ্রেস) চিরকাল বাবাসাহেবকে (সংবিধান রচয়িতা, ভীম রাও আম্বেডকর) অশ্রদ্ধা করে আসছে। এখন তারা দলিত ও বঞ্চিতদের জন্য সংরক্ষণও কেড়ে নিতে চাইছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sri Ramakrishna Kathamrita: “ঠাকুর মাঝে মাঝে যেন অন্যমনস্ক হইতেছেন! পরে শুনিলেন, এরই নাম ভাব”

    Sri Ramakrishna Kathamrita: “ঠাকুর মাঝে মাঝে যেন অন্যমনস্ক হইতেছেন! পরে শুনিলেন, এরই নাম ভাব”

     

    এটি রাসমণির দেবালয়

    সিধুর সঙ্গে ঘরের বাহিরে আসিতে না আসিতে আরতির মধুর শব্দ হইতে লাগিল। এককালে কাঁসর, ঘণ্টা, খোল, করতালি বাজিয়ে উঠল। বাগানের দক্ষিণসীমান্ত হইতে নহবতের মধুর শব্দ আসিতে লাগিল। সেই শব্দ ভাগীরথীবক্ষে যেন ভ্রমণ করিতে করিতে অতিদূরে গিয়া কোথায় মিশিয়া যাইতে লাগিল। মন্দ মন্দ কুসুমগন্ধবাহী বসন্তানিল! সবে জ্যোৎস্না উঠিতেছে। ঠাকুরদের আরতির যেন চতুর্দিকে আয়োজন হইতেছে! মাস্টার দ্বাদশ শিবমন্দিরে, শ্রীশ্রী রাধাকান্তের মন্দিরে ও শ্রীশ্রীভবতারিণীর মন্দিরে আরতি দর্শন করিয়া পরম প্রীতিলাভ করিলেন। সিধু বলিলেন, “এটি রাসমণির দেবালয়। এখানে নিত্যসেবা। অনেক অতিথি, কাঙাল আসে।”

    কথা কহিতে কহিতে ভবতারিণীর মন্দির হইতে বৃহৎ পাকা উঠানের মধ্য দিয়া পাদচারণ করিতে করিতে দুইজনে আবার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরের সম্মুখে আসিয়া পড়িলেন। এবার দেখিলেন, ঘরের দ্বার দেওয়া (Sri Ramakrishna Kathamrita)। 

    এইমাত্র ধুনা দেওয়া হইয়াছে। মাস্টার ইংরেজী পড়িয়াছেন, ঘরে হঠাৎ প্রবেশ করিতে পারিলেন না। দ্বারদেশে বৃন্দে (ঝি) দাঁড়াইয়াছিল। জিজ্ঞাসা করিলেন, “হ্যাঁ গা, সাধুটি কি এখন এর ভিতর আছেন?”

    বৃন্দে– হ্যাঁ এই ঘরের ভিতর আছেন।

    মাস্টার– ইনি এখানে কত দিন আছেন –

    মাস্টার—আচ্চা, ইনি এখানে কতদিন আছেন?

    বৃন্দে—তা অনেকদিন আছেন –

    মাস্টার—আচ্ছা, ইনি কি খুব বই-টই পড়েন?

    বৃন্দে– আর বাবা বই-টই পড়েন?

    বৃন্দে—আর বাবা বই-টই! সব ওঁর মুখে!

    মাস্টার সবে পড়াশুনা করে এসেছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বই পড়েন না শুনে আর অবাক্‌ হলেন।

    মাস্টার—সবে পড়াশুনা করে এসেছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বই পড়েন না শুনে আরও অবাক্‌ হলেন।

    মাস্টার—আচ্ছা, ইনি বুঝি এখন সন্ধ্যা করবেন?—আমরা কি এ-ঘরের ভিতর যেতে পারি?—তুমি একবার খবর কিবে?

    বৃন্দে—তোমার যাও না বাবা। গিয়ে ঘরে বস।

    তখন তাঁহার ঘরে প্রবেশ করিয়া দেখেন, ঘরে আর অন্য কেহ নাই। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ঘরে একাকী তক্তপোশের উপর বসিয়া আছেন। ঘরে ধুনা দেওয়া হইয়াছে ও সমস্ত দরজা বন্ধ। মাস্টার প্রবেশ করিয়াই বদ্ধাঞ্জলি হইয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বসিতে অনুজ্ঞা করিলেন তিনি ও সিধু মেঝেতে বসিলেন। ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোথায় থাক, কি কর, বরাহনগরে কি করতে এসেছ” ইত্যাদি। মাস্টার সমস্ত পরিচয় দিলেন। কিন্তু দেখিতে লাগিলেন যে, ঠাকুর মাঝে মাঝে যেন অন্যমনস্ক হইতেছেন (Sri Ramakrishna Kathamrita)। পরে শুনিলেন, এরই নাম ভাব। যেমন কেহ ছিপ হাতে করিয়া মাছ ধরিয়া মাছ ধরিতে বসিয়াছে। মাছ আসিয়া টোপ খাইতে থাকিলে ফাতনা যখন নড়ে, সে ব্যক্তি যেমন শশব্যস্ত হইয়া ছিপ হাতে করিয়া ফাতনার দিকে একদৃষ্টে একমনে চাহিয়া থাকে, কাহারও সহিত কথা কয় না; এ- ঠিক সেইরূপ ভাব। পরে শুনিলেন ও দেখিলেন, ঠাকুর সন্ধ্যারপর এই রূপ ভাবান্তর হয়, কখন কখন তিনি একেবারে বাহ্যশূন্য হন!

    মাস্টার – আপনি এখন সন্ধ্যা করবেন, তবে এখন আমরা আসি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভাবস্থ)– না – সন্ধ্যা — তা এমন কিছু নয়।

    আর কিছু কথাবার্তার পর মাস্টার প্রণাম করিয়া বিদয় গ্রহণ করিলেন। ঠাকুর বলিলেন, “আবার এস”।

    মাস্টার ফিরিবার সময় ভাবিতে লাগিলেন, “এ সৌম্য কে? যাঁহার কাছে ফিরিয়া যাইতে ইচ্ছা করিতেছে। বই না পড়িলে কি মানুষ মহৎ হয়?—কি আশ্চর্য, আবার আসিতে ইচ্ছা হইতেছে। ইনি বলিয়াছেন, “আবার এস! কাল কি পরশু সকালে আসিব (Sri Ramakrishna Kathamrita)।”  

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ২য় পরিচ্ছেদ, প্রথম দর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Economy: পাকিস্তানে গাড়ি বিক্রির অবস্থা বেহাল! পাততাড়ি গোটাচ্ছে বহু সংস্থা

    Pakistan Economy: পাকিস্তানে গাড়ি বিক্রির অবস্থা বেহাল! পাততাড়ি গোটাচ্ছে বহু সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে চরম অর্থনৈতিক মন্দা। আইএমএফের গ্রে  লিস্ট থেকে সাময়িক স্বস্তি পেলেও অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব পড়েছে গাড়ি শিল্পে। হু হু করে কমছে পাকিস্তানের (Pakistan) গাড়ি বিক্রি। পাকিস্তানের গাড়ি বিক্রির পরিমান এতটাই কমে গেছে যে সে দেশে সারা মাসে যত গাড়ি বিক্রি হয়, ভারতে (India) তা বিক্রি হয় মাত্র কয়েক ঘণ্টায়। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে পাকিস্তানের (Pakistan Economy) কী হাল।

    পাকিস্তান অটোমেটিভ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য (Pakistan Economy)

    ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে গোটা পাকিস্তানে (Pakistan Economy) গাড়ি বিক্রি মাত্র ২৮৪৪টি। এই সংখ্যা ভারতের যে কোন মেট্রো শহরের ঝাঁ চকচকে একটি মাত্র  শোরুমের এক মাসের বিক্রির সমান। যদিও ২০২৩ সালের শেষে হতাশাজনক এই পারফরম্যান্স কাটিয়ে উঠে পাকিস্তানে ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত গাড়ি বিক্রির সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেশী দেশে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রির সংখ্যা ছিল ৫ হাজারের নীচে। চলতি বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬৭২ ইউনিট। পাকিস্তান অটোমেটিভ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

    ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি

    একদিকে চরম অর্থনৈতিক সংকট পাকিস্থানে (Pakistan Economy) । অন্য দিকে মুদ্রাস্ফীতি। পাকিস্তান এখন চারিদিক থেকে কোনঠাসা। নেতারা এদেশ ওদেশ করছেন বেলআউট প্যাকেজের জ্জন্য। খাবার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের।

    আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র, বিষ্ফোরক উদ্ধারে নামানো হল রোবট, এনএসজি কমান্ডো, আরও চাপে শাহজাহান

    বন্ধ হচ্ছে করাচির গাড়ি শো-রুম

    সারা বিশ্বের মানুষ যখন ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে তখন পাকিস্তানের (Pakistan Economy) ক্রেতারাও এই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের অবস্থা নতুন করে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (SIAM) দ্বারা প্রকাশিত এক তথ্য অনুসারে দেখা গেছে  শেষ আর্থিক বছরে দেশে ৩ লক্ষ ৬৯ হাজারেরও বেশি গাড়ি বিক্রি হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজারটিরও বেশি গাড়ি বিক্রি হয়েছে ভারতে। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মোটর গাড়ি প্রস্তুতকারকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু পাকিস্তানে তাঁরা কোন আশা দেখছে না। ইদানিংকালে পরিস্থিতির উন্নতি না করতে পেরে বেশ কয়েকটি গাড়ি নির্মাতারা ইতিমধ্যেই তাদের পাততাড়ি গোটাতে শুরু করে দিয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে দেশের করাচি, পেশাওয়ার, ইসলামাবাদের মত শহরে অনেক গাড়ির শোরুম ও সার্ভিস সেন্টার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: নৈহাটির মাতৃসদনে টাকা ঢেলছে সন্দেশখালির সংস্থা! পার্থ- শাহজাহান যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অর্জুন

    Barrackpore: নৈহাটির মাতৃসদনে টাকা ঢেলছে সন্দেশখালির সংস্থা! পার্থ- শাহজাহান যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যরাকপুরের (Barrackpore) তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের (Partha Bhowmick) সঙ্গে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) যোগের প্রমাণ রয়েছে তাঁর হাতে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। সন্দেশখালির একটি বেসরকারি সংস্থা ওএনজিসি’র সিএসআর ফান্ডের টাকা নৈহাটির মাতৃসদনে বিনিয়োগ করেছে। সন্দেশখালির ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠরা যুক্ত দাবি অর্জুন সিংয়ের।

    এক্স হ্যান্ডেলে অর্জুনের বক্তব্য (Barrackpore)

    সামাজিক মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে ব্যরাকপুরের (Barrackpore) প্রার্থী অর্জুন উল্লেখ করেছেন, “ওএনজিসির ‘সিএসআর’ ফান্ডের টাকায় বেশ কিছু জিনিস দান করা হয়েছিল সন্দেশখালির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘মা সারদা ওমেন এন্ড রুরাল ওয়েলফেরায় সোসাইটিকে’। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সেই জিনিসগুলি আবার নৈহাটি পুরসভার হাসপাতাল মাতৃসদনকে দান করেছে। এদিন  বিকেলে হালিশহরে ভোট প্রচারে বেরিয়ে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং এই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন। তাঁর প্রশ্ন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতালকে সেগুলো না দিয়ে নৈহাটির মাতৃসদন হাসপাতালকে কেন প্রদান করেছে? এতেই নৈহাটির সঙ্গে সন্দেশখালি যোগের প্রমান ধরা পড়েছে। শিবু হাজরা নৈহাটির কাঁপা চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জমি কিনেছে দাবি করেন অর্জুন। তিনি আরও জানান আগামী দিনে পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে শেখ শাহজাহানের সরাসরি যোগাযোগ প্রমাণ করে দেবেন।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে এবার উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার, চলল গুলি, পড়ল বোমা, আহত শিশু-সহ ২

    বিজেপির অভিযোগ

    ব্যরাকপুরের (Barrackpore) প্রার্থী বিজেপি অর্জুন আরও বলেন, “নৈহাটি পুরসভার মাতৃসদন হাসপাতাল রোজগারের একটা কেন্দ্রে হিসেবে পরিণত হয়েছে। অন্য হাসপাতালে যাতে রোগী না নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর জন্য চিকিৎসকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁদের বাধ্য করা হচ্ছে এখানে ডিউটি করার জন্য।”  পাল্টা নৈহাটি পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সনৎ দে বলেন, “ কে আমাদের সরঞ্জাম দিল আমরা দেখতে যাব কেন? ওএনজিসি কাকে টেন্ডার দেবে সেটা তাঁদের ব্যাপার। আমরা তাঁদের (ongc) কাছে ডায়েলিসিসের বিভিন্ন সরঞ্জাম সাহায্য হিসেবে চেয়েছিলাম। কিছু জিনিসের প্রয়োজন ছিল। সেটা পেয়েছি। কিভাবে ওএনজিসি ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করল সেটা তাঁদের ব্যাপার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum BJP Candidate: বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের  মনোনয়ন বাতিল, লড়াইয়ে এবার দেবতনু

    Birbhum BJP Candidate: বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল, লড়াইয়ে এবার দেবতনু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পুরো দমে চলছে ভোটের হাওয়া। আর এরই মধ্যে এবার বীরভূমের (Birbhum) বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের (Debasish Dhar) মনোনয়ন বাতিল করল নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৩ মে, চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ বীরভূম কেন্দ্রে। আর তার আগে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফ থেকে এই প্রাক্তন আইপিএসের প্রার্থী (Birbhum BJP Candidate) পদ বাতিল করা হয়েছে।

    ঠিক কী কারনে মনোনয়ন বাতিল (Birbhum BJP Candidate)?

    জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফে ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট না দেওয়ায় বাতিল করা হয়েছে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিসের (Birbhum BJP Candidate) মনোনয়ন। মনোনয়ন (Nomination) বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে দেবাশিস জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি।

    নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা বিজেপির

    তবে কোনও পরিস্থিতিতেই জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি। দেবাশিসের (Birbhum BJP Candidate) মনোনয়ন বাতিল হতেই তড়িঘড়ি ওই আসনে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নয়া প্রার্থীর নাম দেবতনু ভট্টাচার্য। ২০২১ সালের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দেবতনু। বিজেপি সূত্রে খবর, এ বারের লোকসভা ভোটে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের সাংগঠনিক কাজকর্ম করছিলেন দেবতনু। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী, কালনা, কাটোয়ায় সাংগঠনিক বৈঠকেও ছিলেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফ থেকে তাঁকে সিউড়িতে চলে আসতে বলা হয়। তারপর ওই দিন তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।

    আরও পড়ুন:”বিজেপিকে ভোট দিন”, তৃণমূল প্রার্থীর নামে বিতর্কিত লিফলেটে শোরগোল বালুরঘাটে

    আঁচ আগেই পেয়েছিল বিজেপি

    যদিও এমন কিছু যে ঘটতে পারে তার আঁচ আগেই টের পেয়েছিল বিজেপি। বিজেপি (BJP) সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, দেবাশিসের (Birbhum BJP Candidate) প্রার্থিপদ নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। মূলত নথিপত্র সংক্রান্ত সমস্যা। সেই কারণেই বিকল্প হিসাবে দেবতনুর নাম ভাবা হয়েছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সাঁইথিয়ার পুনুর গ্রামে ঢোল বাজিয়ে প্রচারে মেতেছিলেন দেবাশিস। ঠিক সেই সময়েই বীরভূম আসনে পদ্ম প্রতীকেই মনোনয়নপত্র জমা দেন দেবতনু ভট্টাচার্য। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছিলেন, “কোনও ষড়যন্ত্র করা হতে পারে, তাই এই সিদ্ধান্ত।” আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাতিল হল দেবাশিস ধরের প্রার্থী পদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: মনমোহনের পুরানো ভিডিও শেয়ার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানাল বিজেপি

    BJP: মনমোহনের পুরানো ভিডিও শেয়ার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীকে ‘ন্যায়পত্র’ (কংগ্রেসের ইস্তাহার) নিয়ে বোঝাবেন বলে সময় চেয়ে দু’পাতার একটা চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কংগ্রেসকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের করা একটি মন্তব্যের ভিডিও প্রকাশ্যে নিয়ে এল মোদি-শাহ-নাড্ডার দল।

    বিজেপির ‘সিংহ-বাণ’! (BJP)

    ভিডিওটি ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসের। তাতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “সংখ্যালঘুরা, বিশেষত মুসলমান সংখ্যালঘুরা, তাঁরা যদি গরিব হন, তাহলে দেশের সম্পদের ওপর তাঁদের দাবি সর্বাগ্রে।” সম্পদের পুনর্বণ্টনের যে পরিকল্পনার কথা ইস্তাহারে জানিয়েছে কংগ্রেস, তার প্রেক্ষিতেই বিজেপির এই ‘সিংহ-বাণ’। ভিডিওটি (যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) শেয়ার করে ট্যুইট-বার্তায় বিজেপি বলেছে, “লোকসভা  নির্বাচন চলাকালীন মনমোহন সিংহ আবারও তুলেছেন তাঁর সেই বক্তব্য জাতীয় সম্পদের ক্ষেত্রে বিশেষত দরিদ্র মুসলমানদের অগ্রাধিকার থাকা উচিত। তিনি বলেছিলেন যে তিনি তাঁর আগের মন্তব্যে অনড়, যে দেশীয় সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার থাকা উচিত মুসলমানদের।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    সম্প্রতি (BJP) কংগ্রেস নেতা শ্যাম পিত্রোদা বলেছিলেন, “আমেরিকার ধাঁচে  এদেশেও চালু করা যেতে পারে কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তির ৪৫ শতাংশ হয়ে যাবে দেশের। বাকিটা তাঁর উত্তরসূরীদের।” কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। সম্প্রতি এক জনসভায় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ কেড়ে নিতে চায় কংগ্রেস। সেই অর্থ অনুপ্রবেশকারী ও বড় পরিবারগুলিকে ভাগ করে দিতে চায় তারা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এর অর্থ হল, তারা সম্পদ সংগ্রহ করবে, আর বিলি করবে তাদের যারা অনুপ্রবেশকারী, অনেক ছেলেমেয়ে আছে। আপনি কি চান আপনার কষ্টার্জিত অর্থ অনুপ্রবেশকারীদের বিলি করা হোক? আপনি কি এটা মেনে নেবেন?  কংগ্রেসের ইস্তাহারে কিন্তু এমনটাই বলা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “পরের জন্মে বাংলায় জন্মগ্রহণ করব,” কর্মীদের উচ্ছ্বাস দেখে আপ্লুত মোদি

    এই ইস্যুতে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন বিজেপি প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডাও। তাঁর অভিযোগ, এভাবে কংগ্রেস তফশিলি জাতি-উপজাতি এবং অন্যান্য পিছড়েবর্গদের অধিকার কেড়ে নিয়ে মুসলমানদের দিতে চাইছে। কংগ্রেসের এটাই লুকোনো অ্যাজেন্ডা। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তুষ্টিকরণের রাজনীতির অভিযোগ বরাবর করে এসেছে বিজেপি। এবারও তার অন্যথা হয়নি। নাড্ডা বলেন, “তফশিলি জাতি-উপজাতির মানুষ যে সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করেন, মুসলমানদের তা পাইয়ে দিতে (BJP) এভাবে গ্রাউন্ডওয়ার্ক করছে কংগ্রেস।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sri Ramakrishna Kathamrita: “মাস্টার দেখিলেন, একঘর লোক নিস্তব্ধ হইয়া তাঁহার কথামৃত পান করিতেছেন”

    Sri Ramakrishna Kathamrita: “মাস্টার দেখিলেন, একঘর লোক নিস্তব্ধ হইয়া তাঁহার কথামৃত পান করিতেছেন”

    তব কথামৃতং তপ্তজীবনং, কবিভিরীড়িতং কল্মষা পহম্‌।

    শ্রবণমঙ্গলং শ্রীমদাততং, ভুবি গৃণান্তি যে ভূরিদা জনাঃ।।

    গঙ্গাতীরে দক্ষিণেশ্বরে কালীবাড়ি। মা-কালীর মন্দির। বসন্তকাল, ইংরেজী ১৮৮২ খ্রীস্টাব্দের মার্চ মাস। ঠাকুর জন্মোৎসবের কয়েক দিন পরে। শ্রীযুক্ত কেশব সেন ও শ্রীযুক্ত জোসেফ্‌ কুক সঙ্গে ২৩শে ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার (১২ই ফাল্গুন, ১২৮৮, শুক্লাষষ্ঠী) ঠাকুরের স্টীমারের বেড়াইয়াছিলেন—তাহারই কয়েকদিন পরে। সন্ধ্যা হয় হয়। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরে মাস্টার আসিয়া উপস্থিত। এই প্রথম দর্শন। দেখিলেন একঘর লোক নিস্তব্ধ হইয়া তাঁহার কথামৃত (Sri Ramakrishna Kathamrita) পান করিতেছেন। ঠাকুর তক্তপোশে বসিয়া পুর্বাস্য হইয়া সহাস্যবদনে হরি কথা কহিতেছেন। ভক্তেরা মেঝেয় বসিয়া আছেন।

    মাস্টার দাঁড়াইয়া অবাক্‌ হইয়া দেখিতেছেন। তাঁহার বোধ হইল যেন সাক্ষাৎ শুকদেব ভগবৎ-কথা কহিতেছেন, আর সর্বতীর্থের সমাগম হইয়াছে। অথবা যেন শ্রীচৈতন্য পুরীক্ষেত্রে রামানন্দ স্বরূপাদি ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন ও ভগবানের নামগুণকীর্তন করিতেছেন। ঠাকুর (Sri Ramakrishna Kathamrita) বলিতেছেন, “যখন একবার হরি বা একবার রামনাম করলে রোমাঞ্চ হয়, অশ্রুপাত হয়, তখন নিশ্চয়ই জেনো যে সন্ধ্যাদি কর্ম—আর করতে হবে না। তখন কর্মত্যাগের অধিকার হয়েছে—কর্ম আপনা আপানি ত্যাগ হয়ে যাচ্ছে। তখন কেবল রামনাম, কি হরিনাম, কি শুদ্ধ ওঁকার জপলেই হল।” আবার বলিলেন, “সন্ধ্যা গায়ত্রীতে লয় হয়। গায়েত্রী আবার ওঁকারে লয় হয়।”

    মাস্টার সিধুর সঙ্গে বরাহনগরের এ-বাগান ও-বাগান বেড়াইতে বেড়াইতে এখানে আসিয়া পড়িয়াছেন। আজ রবিবার অবসর আছে, তাই বেড়াইতে আসিয়াছেন; শ্রীযুক্ত প্রসন্ন বাঁড়ুজ্যের বাগানে কিয়ৎক্ষণ পূর্বে বেড়াইতেছিলেন। তখন সাধু বলিয়াছিলেন, “গঙ্গার ধারে একটি চমৎকার বাগান আছে, সে-বাগানটি কি দেখতে যাবেন? সেখানে একজন পরমহংস (Sri Ramakrishna Kathamrita) আছেন।”

     

    বাগানে সদর ফটক দিয়া ঢুকিয়াই মাস্টার ও সিধু বরাবর ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরে আসিলেন। মাষ্টার অবাক্‌ হইয়া দেখিতে দেখিতে ভাবিতেছেন, আহা কি সুন্দর স্থান! কি সুন্দর মানুষ! কি সুন্দর কথা! এখান থেকে নড়তে ইচ্ছা করছে না।” কিয়ৎক্ষণ পরে মনে মনে বলিতে লাগিলেন, “একবার দেখি কোথায় এসেছি। তারপর এখানে বসব।” (Sri Ramakrishna Kathamrita)

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ২য় পরিচ্ছেদ, প্রথম দর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ৫০টিরও বেশি বুথে পুনরায় ভোট করতে কমিশনে অভিযোগ জানালেন রাজু বিস্তা

    Lok Sabha Election 2024: ৫০টিরও বেশি বুথে পুনরায় ভোট করতে কমিশনে অভিযোগ জানালেন রাজু বিস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠুঁটো জগন্নাথ করে পুলিশ নিয়ে চোপড়ার সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এমনই অভিযোগ করলেন দার্জিলিং (Darjeeling) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। চোপড়া উত্তর দিনাজপুর জেলা হলেও লোকসভার নিরিখে এই বিধানসভা দার্জিলিং কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। এদিন তিনি বলেন, “চোপড়ায় ভোট (Lok Sabha Election 2024) হচ্ছে না। তৃণমূলের সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তাই, চোপড়া সহ দার্জিলিং লোকসভা আসনে ৫০ টিরও বেশি বুথে পুনরায় ভোট করার দাবি জানিয়েছি নির্বাচন কমিশনের কাছে।”

    চোপড়ায় তৃণমূলের গুন্ডারা প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে ঘুরছে (Lok Sabha Election 2024)

    শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) দার্জিলিং আসনেও ভোট চলছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া এই কেন্দ্রের অন্তর্গত। এদিন সকাল থেকে বুথে বুথে ঘুরছেন রাজু বিস্তা। শিলিগুড়িতে একটি বুথ পরিদর্শনের পর রাজু বিস্তা বলেন, চোপড়ায় তৃণমূলের গুন্ডারা প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে ঘুরছে। ভোটারদের বুথে যেতে দিচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠুঁটো জগন্নাথ করে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে চোপড়ায় গণতন্ত্রকে হত্যা করছে তৃণমূল। এখানে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না। চোপড়ার সঙ্গে পাহাড়েরও কয়েকটি বুথে বিজেপির এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি। এরকম ৫০ টিরও বেশি বুথে ভোট হচ্ছে না। তাই, ওই সব বুথে পুনরায় ভোট করার দাবি জানিয়েছি নির্বাচন কমিশনকে।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে”, চাকরি বাতিল ইস্যুতে তোপ মোদির

    সকাল থেকেই বিতর্ক চোপড়ায়

    এদিন ভোট (Lok Sabha Election 2024) শুরু হতেই চোপড়া বিতর্কে জড়িয়ে পরে। চোপড়ার একটি বুথে ভোটাররা কোথায় ভোট দিচ্ছেন তার ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, ইভিএমের পিছনে ক্যামেরা রাখা আছে। ভোটার কোথায় ভোট দিচ্ছেন সেই ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়ছে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, ভোটারদের প্রভাবিত করতে তৃণমূল এই কাজ করেছে। রাজু বিস্তা বলেন, তৃণমূল নেতা হামিদুর রহমান নিজে বড়লোক হওয়ার জন্য গরিব মুসলিমদের এভাবে ভোটাধিকার কেড়ে নিচ্ছেন।

     শিলিগুড়ির মেয়রকে হুঁশিয়ারি বিজেপি প্রার্থীর

    বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বিজেপি ভোটারদের মধ্যে টাকা বিলি করেছে বলে শিলিগুড়ির মেয়র তথা তৃণমূল নেতা গৌতম দেব এই অভিযোগ করেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজু বিস্তা বলেন, তৃণমূল পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই বিজেপির বিরুদ্ধে এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। গোর্খারা তাদের নিজস্ব টাকা নিয়ে যাওয়ার পথে তৃণমূল পুলিশ দিয়ে চক্রান্ত করে সেই টাকা আটকে নানান রকমের গল্প বানাচ্ছে। গৌতমদা’কে  বলব, কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুঁড়বেন না।  আপনি এ ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন, না হলে আমিও মুখ খুলব আপনার বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Air Taxi: ভারতে চালু হচ্ছে উড়ন্ত ট্যাক্সি পরিষেবা! কবে থেকে, কোথায় চলবে জানেন?

    Air Taxi: ভারতে চালু হচ্ছে উড়ন্ত ট্যাক্সি পরিষেবা! কবে থেকে, কোথায় চলবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শুধু রাস্তায় নয়, আকাশে উড়বে ট্যাক্সি (Air Taxi)। অভাবনীয় চিন্তাভাবনা ইন্ডিগোর। রাজধানীর রাস্তার যানজট এড়িয়ে মাত্র সাত মিনিটেই পৌঁছে যাওয়া যাবে কনট প্লেস থেকে গুরুগ্রাম। এই পরিষেবা আনতে আমেরিকার আর্চার অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে কাজ চালাচ্ছে ইন্টারগ্লোব। ইন্ডিগোর (Indigo) মূল সংস্থা ইন্টারগ্লোব এন্টারপ্রাইজ এবং ইউএস-ভিত্তিক আর্চার এভিয়েশন ভারতে একটি ইলেকট্রিক এয়ার ট্যাক্সি পরিষেবা (Air Taxi) চালু করতে চলেছে।

    কোন কোন রাজ্যে চালু হবে এই পরিষেবা (Air Taxi)?

    সংস্থার তরফে জানা গেছে, দিল্লির পাশাপাশি প্রথম দফায় এই একই পরিষেবা (Air Taxi) চালু করা হবে মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতে। এই উড়ানগুলির বিশেষত্ব হল, এগুলি একেবারে ভার্টিক্যালি অর্থাৎ উল্লম্বভাবে টেক অফ ও ল্যান্ডিং করতে পারে। ঠিক যেমনটা হেলিকপ্টার ওঠানামা করে। শুধু আওয়াজ অনেকটা কম। পাইলট-সহ পাঁচ জন যাত্রী বহন করার ক্ষমতা রাখবে এই উড়ানগুলি। কোম্পানির অন্য একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে এই বিমানটিতে ছয়টি ব্যাটারি প্যাক থাকবে যা ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাবে। এক মিনিট চার্জ হবে মোটামুটি এক মিনিটের ফ্লাইটের সমান। আর্চার এভিয়েশন আপাতত ২০০ টি উড়ন্ত ট্যাক্সি (Air Taxi) সরবরাহ করবে। এমন ২০০টি এয়ারক্র্যাফ্টের জন্য খরচ হচ্ছে ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকারও বেশি। জানা যাচ্ছে, ২০২৬ সালের মধ্যেই ভারতে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক এয়ার ট্যাক্সি (Electric Air Taxi) পরিষেবা চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ইন্টারগ্লোব এন্টারপ্রাইজ। সংস্থা সূত্রে খবর, ডিজিসিএ এই পরিষেবায় ছাড়পত্র দিলেই পরিষেবা চালু করে দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: ভোট শুরু হতেই অশান্ত রায়গঞ্জ, দলের কর্মীকেই মারধর তৃণমূল কোঅর্ডিনেটরের

    আকাশপথে ট্যাক্সি যাত্রায় খরচ কত?

    তবে আকাশপথে ট্যাক্সি (Air Taxi) যাত্রায় খরচ কিন্তু নাগালের মধ্যেই থাকছে। আর্চার অ্যাভিয়েশন সূত্রের খবর, দিল্লির (Delhi) কনট প্লেস থেকে হরিয়ানার গুরুগ্রাম পর্যন্ত সাত মিনিটের যাত্রাপথে খরচ পড়বে মাত্র ২-৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ সাধ্যের মধ্যেই হবে এই পরিষেবা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share