Tag: news in bengali

news in bengali

  • CAG Report: দেনায় ডুবে যাচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বলছে ক্যাগের রিপোর্ট

    CAG Report: দেনায় ডুবে যাচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বলছে ক্যাগের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খয়রাতির রাজনীতি করতে গিয়ে দেনায় ডুবে যাচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal)। ঋণের বোঝার বহর দিনের পর দিন চাপছে পাঞ্জাবের আপ পরিচালিত সরকারের ঘাড়ে। ভারতের দ্য কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ) সম্প্রতি এক অভিনব রিপোর্ট (CAG Report) প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য কীভাবে তাদের আর্থিক ব্যবস্থা পরিচালনা করছে। শুক্রবার রাজ্যের অর্থসচিব সম্মেলনে সিএজি কে সঞ্জয় মূর্তি এই রিপোর্ট প্রকাশ করেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত এক দশকে ভারতের ২৮টি রাজ্যের মোট সরকারি ঋণ তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে যেখানে এই দেনার পরিমাণ ১৭.৫৭ লাখ কোটি টাকা, সেখানে ২০২২-২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯.৬০ লাখ কোটি টাকায়। ভারতের রাজ্যগুলির ঋণ থেকে রাজ্যের জিডিপির (GSDP) অনুপাত সবচেয়ে বেশি। এর অর্থ হল ওই রাজ্যগুলির অর্থনীতির আকারের তুলনায় ঋণের বোঝা ভয়ঙ্করভাবে বড়।

    পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা (CAG Report)

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত আটটি রাজ্যের সরকারি ঋণের দায় তাদের জিএসডিপির ৩০ শতাংশেরও বেশি ছিল। ছটি রাজ্যের ক্ষেত্রে এই দায় জিএসডিপির ২০ শতাংশের কম ছিল। আর বাকি ১৪টি রাজ্যের ক্ষেত্রে সরকারি ঋণের দায় তাদের নিজ নিজ জিএসডিপির ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে ছিল।” রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়াবহ। এ রাজ্যে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার। রাজ্যের ঋণ-টু-জিএসডিপির অনুপাত এখন ৩৩.৭ শতাংশে পৌঁছেছে, যা দেশের সর্বোচ্চগুলির মধ্যে একটি (CAG Report)। পশ্চিমবঙ্গের মতো অবস্থা আর এক অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য পাঞ্জাবেরও।

    করুণ অবস্থা পাঞ্জাবের

    দীর্ঘ দিন ধরেই পাঞ্জাব সীমিত রাজস্বভিত্তি এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। সিএজির রিপোর্টে নিশ্চিত করা হয়েছে যে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। পাঞ্জাব এমন এক রাজ্য যেখানে ইতিমধ্যেই বেকারত্ব, কৃষিক্ষেত্রে সঙ্কট, এবং শিল্পোন্নয়নের কম সুযোগ রয়েছে। তার ওপর এত বিপুল ঋণ উন্নয়নে লগ্নি করার ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে পঙ্গু করে দিচ্ছে (West Bengal)। মূলধনী ব্যয়, যেমন পরিকাঠামো নির্মাণ, যা ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি সৃষ্টি করে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার বদলে পাঞ্জাব এখন বাধ্য হচ্ছে ঋণ করা অর্থের বড় অংশ শুধু দৈনন্দিন খরচ চালাতে। প্রায় একই দশা পশ্চিমবঙ্গেরও। গত দশকে পশ্চিমবঙ্গের ঋণের বোঝা দারুনভাবে বেড়েছে। পাঞ্জাবের মতো পশ্চিমবঙ্গও সেই ১১টি রাজ্যের মধ্যে পড়ে, যারা ঋণ করে জোগাড় করা অর্থ ব্যবহার করছে দৈনন্দিন খরচ চালাতে। এর মধ্যে রয়েছে বেতন, ভর্তুকি ও প্রশাসনিক খরচ। অথচ এই টাকা খরচ করা যেতে পারত দীর্ঘমেয়াদে রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে (CAG Report)।

    রাজস্ব প্রাপ্তি

    রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “গড়ে রাজ্যগুলির সরকারি ঋণ তাদের রাজস্ব প্রাপ্তি বা মোট অঋণ প্রাপ্তির প্রায় ১৫০ শতাংশ। একইভাবে, সরকারি ঋণ রাজ্যগুলির মোট রাজ্য ডোমেস্টিক উৎপাদনের ১৭ থেকে ২৫ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করেছে এবং গড়ে জিএসডিপির ২০ শতাংশ হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে জিএসডিপির ২১ শতাংশ থেকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ২৫ শতাংশে ৪ শতাংশ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল ২০২০-২১ সালে কোভিড অতিমারি পর্বের কারণে জিএসডিপির পতন হয়। ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণ বৃদ্ধির পেছনে মূল কারণ ছিল ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণ, যা রাজ্যগুলিকে পুঁজি ব্যয়ের জন্য দেওয়া বিশেষ সহায়তা ও জিএসটি ক্ষতিপূরণের ঘাটতির পরিবর্তে ছিল (CAG Report)।”

    ঋণের অর্থ ব্যয় হয়েছে ঘাটতি পূরণেই

    সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও নাগাল্যান্ডের। তবে অধিকাংশ অন্যান্য রাজ্যও খুব বেশি পিছিয়ে নেই। উল্টো দিকে, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মতো কিছু রাজ্য তাদের ঋণের অনুপাত তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে, যা আর্থিক শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে একেবারেই উল্টো একটি ছবি তুলে ধরে (West Bengal)। রিপোর্টে উত্থাপিত আর একটি উদ্বেগজনক সূচক হল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও নাগাল্যান্ড-সহ ১১টি রাজ্যে পুঁজি ব্যয় তাদের নিট ঋণের চেয়ে কম ছিল। উদাহরণস্বরূপ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে যথাক্রমে তাদের নিট ঋণের মাত্র ১৭ শতাংশ এবং ২৬ শতাংশ ছিল পুঁজি ব্যয়। এর মানে হল, ঋণ নেওয়া অধিকাংশ অর্থ নতুন সম্পদ তৈরিতে (West Bengal) নয়, বরং ব্যয় হয়েছে ঘাটতি পূরণেই (CAG Report)।

  • Indias Foreign Exchange: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০২.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে

    Indias Foreign Exchange: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০২.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার (Indias Foreign Exchange) ২০২৫ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে ৪.৬৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (USD) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০২.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI)-এর সর্বশেষ তথ্যেই এ খবর মিলেছে। এর ফলে ভান্ডার প্রায় সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তর ৭০৪.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে রেকর্ড হয়েছিল।

    বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ (Indias Foreign Exchange)

    বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ বেড়েছে ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, দাঁড়িয়েছে ৫৮৭.০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এদিকে, সোনার ভান্ডার বেড়েছে ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯২.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের সঙ্গে দেশের স্পেশাল ড্রইং রাইটস (এসডিআর) ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে পৌঁছেছে ১৮.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ভারতের আইএমএফ রিজার্ভ পজিশন ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে ৪.৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী রিপোর্টিং সপ্তাহে ভারতের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪.০৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯৮.২৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এর আগে রিজার্ভ ৩.৫১ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৬৯৪.২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।

    বেড়েছে সোনার রিজার্ভও

    সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখে শেষ হওয়া সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদ যা রিজার্ভের প্রধান অংশ ২.৫৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮৭.০১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে (Indias Foreign Exchange)। ওই সপ্তাহে সোনার রিজার্ভ ৩.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০.২৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। তবে স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস ৩৪ মিলিয়ন ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ১৮.৭৪২ বিলিয়ন ডলারে। প্রসঙ্গত, শক্তিশালী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উন্নয়নশীল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির অস্থির পরিস্থিতিতে তাদের মুদ্রাকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে, কারণ তখন বাজারে ডলার সরবরাহ করা যায়।

    রিজার্ভ বাড়লে সরকারের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয় এবং আরবিআই ভারতের বহিঃঅর্থনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ আর্থিক চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে পারে। এটি সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রার (USD) প্রয়োজন মেটাতে এবং বৈদেশিক ঋণের দায়বদ্ধতা পূরণে সহায়তা করে। শক্তিশালী বৈদেশিক রিজার্ভ ভারতীয় টাকাকে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে (Indias Foreign Exchange)।

  • Udhampur Encounter: উপত্যকায় নাশকতার ছক ভেস্তে দিল সেনা, উধমপুরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ জওয়ান

    Udhampur Encounter: উপত্যকায় নাশকতার ছক ভেস্তে দিল সেনা, উধমপুরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরসুমে ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। ভারতে ঢুকে ফের সন্ত্রাসবাদী হামলার চেষ্টা করেছিল জইশ-ই-মহম্মদের চার জঙ্গি। জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর জেলায় (Udhampur Encounter) ফের সন্ত্রাসবাদী দমন অভিযানকে ঘিরে তীব্র গুলির লড়াই চলল। ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে,জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে শুক্রবার রাত থেকেই উধমপুর জেলায় অভিযানে নামে সেনা। সেনার হোয়াইট নাইট কোরের তরফে সমাজমাধ্যম‌ে একটি পোস্ট করে জানানো হয়, “জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে।” জানানো হয়, সেনার অভিযান চলছে ডোডা-উধমপুর সীমানায়। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই (এনকাউন্টার)-এ খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। শহিদ হয়েছেন এক জওয়ান।

    পুঞ্চ সেক্টরে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার

    জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরে (Udhampur Encounter) যখন সেনার সঙ্গে জইশ জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে, সেই সময় পুঞ্চ সেক্টরে সেনা অভিযানে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর আসে, পুঞ্চ সেক্টরে অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। সেই খবর পেয়েই অভিযানে নামে সেনা। তল্লাশি চালানোর সময় চিনা হ্যান্ড গ্রেনেড, প্রচুর কার্তুজ, ম্যাগাজিন এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। সেনার সন্দেহ, জম্মু-কাশ্মীরে নাশকতার জন্যই এই অস্ত্র মজুত করা হচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই সেই অস্ত্র উদ্ধার করা হল। তবে কারা অস্ত্র মজুত করছিল, কারা এই ঘটনায় জড়িত সেই তল্লাশি শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।

    জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে তল্লাশি

    সেনার একটি সূত্র বলছে, যে পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে জঙ্গি কার্যকলাপেই এগুলি ব্যবহার করার উদ্দেশ্য ছিল। গত কয়েক দিন ধরেই জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। সূত্রের খবর, কাশ্মীরের সাতটি জেলা— শ্রীনগর, বারামুলা, অনন্তনাগ, কুপওয়ারা, হান্দোয়ারা, পুলওয়ামা এবং শোপিয়ানে তল্লাশি জারি। গত মাসেই উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলায় দুই লস্কর জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের কাছ থেকে প্রচুর চিনা গ্রেনেড। ব্যারেল গ্রেনেড, গ্রেনেড লঞ্চার, ১০টি একে সিরিজের রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। তার পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে তল্লাশি অভিযান চলছে। সেই তল্লাশি অভিযানের সময়েই পুঞ্চ থেকে অস্ত্র উদ্ধার হল।

    পুলিশ ও যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই

    সেনা সূত্রে খবর, উধমপুরের ডুডু বসন্তগড়ে জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পাওয়া গিয়েছিল। তার পরেই অভিযানে নামে সেনার স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী। উল্টো দিক থেকে জঙ্গিরা গুলি চালাতে‌ শুরু করলে পাল্টা জবাব দেয় যৌথ বাহিনীও। শনিবার সকালে উধমপুরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। গুলিবিদ্ধ হন এক জওয়ান। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। তিন থেকে চার জন জঙ্গিকে কোণঠাসা করে ফেলে নিরাপত্তাবাহিনী। এদের প্রত্যেকেই জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য বলে সূত্রের খবর। উধমপুরের ডুডু- বসন্তগড়েরের পাহাড়ি এলাকায় তিন থেকে চার জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পায় নিরাপত্তা বাহিনী। শুরু হয় অভিযান। সেনাবাহিনী, স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ (এসওজি) এবং পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়। গুলির লড়াইয়ে এক জওয়ান গুরুতর আহত হন। এখনও গুলির লড়াই চলছে। এক্স পোস্টে জম্মুর আইজিপি লেখেন, ‘এনকাউন্টার চলছে। পুলিশ ও সেনার যৌথদল ঘটনাস্থলে রয়েছে।’

    নাশকতা ঘটানোর ছক কষেছিল জঙ্গিরা

    উল্লেখ্য, গত এক বছরে এই অঞ্চলেই একাধিক গুলির লড়াইয়ের ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরের ২৬ জুন ডোডা-বসন্তগড়ের জঙ্গলে সংঘর্ষে খতম হয় জইশ কমান্ডার হায়দার, যিনি প্রায় চার বছর ধরে ওই এলাকায় সক্রিয় ছিলেন। এর আগে ২৫ এপ্রিল একই এলাকায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে শহিদ হয়েছিলেন এক সেনা জওয়ান। অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স শাখা কাশ্মীর উপত্যকার সাতটি জেলায়। শ্রীনগর, বারামুলা, অনন্তনাগ, কুপওয়ারা, হ্যান্ডওয়ারা, পুলওয়ামা এবং শোপিয়ানে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিতে সেনাবাহিনী ড্রোন ও ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করছে। পুঞ্চ সেক্টরে ওই তল্লাশিতে মেলে বিপুল অস্ত্রভান্ডার। উদ্ধার হয়েছে ২০টি চিনা হাতবোমা-সহ একাধিক মারাত্মক অস্ত্র। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই অস্ত্রগুলি সম্প্রতি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল এবং সেগুলি মূল ভূখণ্ডে পৌঁছে দিয়ে নাশকতা ঘটানোর ছক কষেছিল জঙ্গিরা। সময়মতো খবর পাওয়ায় বড়সড় সন্ত্রাসের ছক ভেস্তে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও একাধিক ডিজিটাল ডিভাইস এবং নথি উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    শেষ দুই সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় অভিযান

    স্থানীয় প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী, শেষ দুই সপ্তাহের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে এটাই সবচেয়ে বড় অভিযান। এর আগে কূলগাম অভিযান চালিয়েছিল সেনা। সেখানে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক সেনা আধিকারিক-সহ মোট ২ জওয়ান শহিদ হন। পালটা জবাবে দুই জঙ্গিকে খতম করা হয়। উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পর উপত্যকা থেকে সন্ত্রাসের জাল ছিঁড়ে ফেলতে তৎপর হয়েছে সেনা। ব্যাপক ধড়-পাকড়ের পাশাপাশি জঙ্গি নিধন যজ্ঞ। এরপর শ্রীনগরে ‘অপারেশন মহাদেবে’ পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত ৩ জঙ্গিকেই খতম করেছে ভারতীয় সেনা। পহেলগাঁও হামলার পর গত তিন মাস ধরে গা ঢাকা দিয়েছিল তারা।

  • JEM Hizbul Mujahideen: ভারত ফের যদি সামরিক অভিযান চালায়! ভয়ে ডেরা সরাচ্ছে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি

    JEM Hizbul Mujahideen: ভারত ফের যদি সামরিক অভিযান চালায়! ভয়ে ডেরা সরাচ্ছে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর হাঁটু কেঁপে গিয়েছে জঙ্গিদের। দিন কয়েক আগে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি যে নিছক মিথ্যে নয়, তার প্রমাণ মিলল শুক্রবার, প্রতিরক্ষা ও সামরিক সূত্রে। জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুরে ভারতের সিংহ-বিক্রমে আক্ষরিক অর্থেই ভয় পেয়ে গিয়েছে পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন। সূত্রের খবর, সেই ভয়েই জইশ-ই-মহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিন (JEM Hizbul Mujahideen) তাদের ঘাঁটি পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছে পাকিস্তানেরই (POK) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। তাদের মতে, এই সিদ্ধান্ত এই জঙ্গি সংগঠনগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অভিযোজন। তারা এখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের হামলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ আফগান সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়ায় তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।

    অপারেশন সিঁদুর (JEM Hizbul Mujahideen)

    অপারেশন সিঁদুরে ভারত বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, মুজাফফরাবাদ-সহ একাধিক জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে ৭ মে ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। তার জেরে শুরু হয় ভারত-পাক সংঘর্ষ। চার দিন পরে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় বিধ্বস্ত পাকিস্তান। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় ভারত। সূত্রের খবর, এ পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের পূর্ণ মদত এবং প্রত্যক্ষ সাহায্যে এই জঙ্গি সংগঠনগুলি ডেরা বদলাচ্ছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি সুরক্ষায় জেইএমের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক-ধর্মীয় সংগঠন জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের সহযোগিতাও লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    প্রকাশ্যে জঙ্গি নিয়োগ

    প্রসঙ্গত, এই সব তথ্য ভারতের একাধিক নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথভাবে প্রস্তুত করা একটি ডসিয়ারের অংশ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মানসেহরা জেলার গড়ি হাবিবুল্লাহ শহরে (JEM Hizbul Mujahideen)। এখানে জেইএম গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হওয়ার প্রায় সাত ঘণ্টা আগে প্রকাশ্যে জঙ্গি নিয়োগ কর্মসূচি চালায়। সূত্রের খবর, এই অনুষ্ঠানটি ছিল জেইএম এবং জেইউআইয়ের যৌথভাবে পরিচালিত একটি গণ-সমাবেশ। এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মৌলানা মুফতি (POK) মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মিরি ওরফে আবু মহম্মদ। তিনি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ এবং কাশ্মীর অঞ্চলে জেইএমের শীর্ষ নেতা।

    ইলিয়াস কাশ্মিরি মোস্ট ওয়ান্টেড

    ইলিয়াস কাশ্মিরি ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড টার্গেট। তিনি জেইএমের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। সূত্রের খবর, এম৪ রাইফেল হাতে জেইএম সশস্ত্র ক্যাডার ও স্থানীয় পুলিশ প্রহরায় জনসভায় তাঁর উপস্থিতি পাকিস্তানের জেইএমের প্রতি প্রত্যক্ষ মদতই প্রমাণ করে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে জইশ কমান্ডার ইলিয়াসকে বলে শোনা যায়, “সেনা সদর দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অপারেশন সিঁদুরে নিহত জঙ্গিদের শেষকৃত্যে যাতে পদস্থ পাক কমান্ডাররা উপস্থিত থাকেন। তিনি এও বলেন, শহিদদের সম্মান জানাতে জওয়ানদের সেনার পোশাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। এমনকী কিছু জওয়ানকে সেখানে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল সদর দফতর থেকে। তাঁর দাবি, অপারেশন সিঁদুরের পর জঙ্গিদের সৎকারে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ (POK) দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান খোদ আসিম মুনিরই (JEM Hizbul Mujahideen)।

    প্রকাশ্যে পাক মদত

    অপারেশন সিঁদুরে নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের দেহ জাতীয় পতাকায় মুড়ে শেষকৃত্য করেছিল পাক সেনা। গান স্যালুট দিয়ে জঙ্গিদের শহিদ তকমা দিতেও শোনা গিয়েছিল তাঁদের। ইলিয়াসের দাবি, এই নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল সেনবাহিনীর মুখ্য কার্যালয় থেকে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দিল্লি এবং মুম্বই হামলায় মাদুস আজহারের হাত ছিল বলেও কবুল করেন ইলিয়াস। তিনি বলেন, “দিল্লির তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এবং শত্রুদের কবল থেকে পালানোর পর আমির-উল-মুজাহিদিন মাসুদ আজহার পাকিস্তানে বালাকোটে বসেই দিল্লির সংসদ ভবন এবং মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার ছক কষেছিলেন (POK)। এই মাটি, এর প্রতিটি কণা, তাঁর কাছে ঋণী (JEM Hizbul Mujahideen)।’’

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান যে কেবল জঙ্গিদের আশ্রয়ই দেয় না, বরং ভারত-বিরোধী জঙ্গি হামলায় সরাসরি মদত দেয়, এ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছে ভারত। যদিও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে বারংবার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার স্বয়ং জইশ কমান্ডারের স্বীকারোক্তির পর ভারতের দাবি যে আরও স্পষ্ট হল, তা বলাই বাহুল্য (JEM Hizbul Mujahideen)।

  • GST Reforms: জিএসটি সংস্কারের ফলে মানুষের হাতে আসবে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা, বললেন সীতারামন

    GST Reforms: জিএসটি সংস্কারের ফলে মানুষের হাতে আসবে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা, বললেন সীতারামন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া একাধিক জিএসটি সংস্কারের (GST Reforms) ফলে মোট ২ লক্ষ কোটি টাকা মানুষের হাতে পৌঁছবে। এতে ঘরোয়া ভোগব্যয় আরও বেড়ে যাবে।” তামিলনাড়ু ফুডগ্রেইন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)।

    কী বললেন নির্মলা (GST Reforms)

    পূর্বের চারটি স্তর থেকে পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) সহজ করে দুটি স্তরে আনার পরে নির্মলা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চান যাতে গরিব ও সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ, মধ্যবিত্ত পরিবার এবং ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগগুলি (MSME) মূলত এই জিএসটি সংস্কার থেকে উপকৃত হয়।” প্রসঙ্গত, সংশোধিত কর কাঠামোর সঙ্গে নতুন জিএসটি সংস্কার ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “প্রস্তাবিত জিএসটি সংস্কারের মাধ্যমে দেশীয় বাজারে ভোগ বা খরচ বৃদ্ধি পাবে। অর্থমন্ত্রক জনগণের কাছ থেকে যে ২ লাখ কোটি টাকা কর হিসেবে পায়, তা তাদের কাছে থেকে যায় না, বরং তা ফের অর্থনীতিতে ফিরে যায় এবং ডোমেস্টিক কনজাম্পশনে সাহায্য করে।”

    নির্মলার ব্যাখ্যা

    বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নির্মলা বলেন, “দ্বিস্তরীয় কাঠামোর কারণে কোনও পণ্যের দাম, যা একজন ক্রেতা সাধারণত (GST Reforms) কেনেন, তা কমে যায়। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একই পণ্য, যেমন সাবান বেশি পরিমাণে কেনেন, তাহলে প্রস্তুতকারক উৎপাদন বাড়ায়। উৎপাদন বাড়াতে গেলে, তিনি অনেক মানুষকে কাজে নেন। যখন অনেক মানুষ কাজ পান, তারা আয়কর দেন। আবার এই সময় সরকারও পরোক্ষ কর বাবদ রাজস্ব পায়। এই চক্রটি যখন চলতে থাকে, তখন তা অর্থনীতির জন্য ভালো।” সীতারামনের বক্তব্যের নির্যাস হল, যখন জনসাধারণ বেশি খরচ করেন, তখন চাহিদা বেড়ে যায়। চাহিদা মেটাতে উৎপাদন বাড়ানো হলে কর্মসংস্থান বাড়ে। আর যখন বেশি কর্মসংস্থান হয়, তখন করদাতার ভিত্তি আরও বিস্তৃত হয়। তিনি বলেন, “২০১৭ সালে জিএসটি চালুর আগে যখন কর দানকারী উদ্যোক্তার সংখ্যা ছিল ৬৫ লাখ, তখন তা কমে ১০ লাখে নামেনি। বরং (Nirmala Sitharaman) উদ্যোক্তারা এর সুবিধা বুঝতে পেরেছেন এবং গত ৮ বছরে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৫ কোটিতে (GST Reforms)।

  • Heron UAV: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ বাজিমাত, সেনার তিন বাহিনীর জন্য আরও ইজরায়েলি হেরন ড্রোন কিনবে ভারত

    Heron UAV: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ বাজিমাত, সেনার তিন বাহিনীর জন্য আরও ইজরায়েলি হেরন ড্রোন কিনবে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সশন্ত্র বাহিনীকে (Indian Armed Forces) আরও শক্তিশালী করতে নতুন পদক্ষেপ নিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। সূত্রের খবর, সেনার তিন বাহুর জন্যই ইজরায়েল থেকে আরও হেরন ড্রোন (Heron UAV) কিনতে চলেছে ভারত। ‘অপারেশন সিঁদুর’-পর্বে হেরন ড্রোনের ক্ষমতা দেখে সন্তুষ্ট সেনাকর্তারা। তাই এবার স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার জন্য অতিরিক্ত হেরন ড্রোন কিনবে মোদি সরকার।

    ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক হেরনের

    এক দশকেরও বেশি সময় আগে হেরন মার্ক-১ ড্রোন (Heron UAV) ইজরায়েল থেকে কিনেছিল ভারত। তার পর ২০২১ সালে এই ড্রোনের উন্নত মার্ক-২ সংস্করণ ‘হেরন টিপি’ ও ‘হেরন টিপি এক্সপি’ কিনেছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। মূলত, চালকহীন এই ড্রোনগুলি থেকে আকাশ থেকে মাটিতে ছোড়ার ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবহার করা যায়। ড্রোনগুলো মূলত চিন ও পাকিস্তান উভয় সীমান্তে দূরপাল্লার নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এগুলো অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ক্ষমতা প্রদর্শন

    এই ড্রোনগুলিকে (Heron UAV) ব্যবহার করে অনায়াসে দেশের আকাশসীমা অতিক্রম করে শত্রু দেশে সহজেই হামলা চালানো সম্ভব। এতে প্রাণের ঝুঁকিও থাকে না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ইজরায়েলি ড্রোনগুলো এ বছরের মে মাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় গোয়েন্দা, নজরদারি এবং নিরীক্ষণ (আইএসআর) মিশনের জন্য কার্যকরভাবে মোতায়েন করা হয়েছিল। অপারেশন সিঁদুরের সময় এই ড্রোনগুলি তার ক্ষমতা দেখিয়েছিল। যার ফলস্বরূপ, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী (Indian Armed Forces) অতিরিক্ত হেরন ড্রোন কেনার জন্য নতুন অর্ডার দিচ্ছে। জানা যাচ্ছে, নতুন ড্রোনগুলি মার্ক-২ সংস্করণ থেকে আরও উন্নত হবে।

    ‘প্রজেক্ট চিতা’য় বিশেষ পরিকল্পনা

    সূত্রের খবর, নতুন এই ড্রোনগুলিতে (Drones) ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী গাইডেড মিসাইল বসানোর পরিকল্পনা করছে ভারতীয় তিন বাহিনী। এই পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রজেক্ট চিতা’। উন্নতমানের এই ড্রোনগুলিতে (Heron UAV) অত্যাধুনিক মানের নজরদারি সরঞ্জাম বসানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। হেরনে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ‘স্পাইক-এনএলওএস’ (নন লাইন অফ সাইট) বসানোর পরিকল্পনা করেছে স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা। নতুন এই ড্রোনগুলি ৩০ ঘন্টা উড়তে সক্ষম। পাশাপাশি ৪৫ হাজার ফুট উঁচু থেকে স্পষ্ট ছবি তুলতে সক্ষম এই ড্রোনগুলি।

    দেশীয় মেল ড্রোন উৎপাদন

    বিদেশ থেকে কেনার পাশাপাশি, ভারতের নিজস্ব দেশীয় এই ধরনের ড্রোন নির্মাণের কর্মসূচির চলছে। এর আওতায় মিডিয়াম অলটিটিউড লং এনডিওরেন্স (MALE) ড্রোন তৈরি হচ্ছে। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল), লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (এলঅ্যান্ডটি), সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এবং আদানি ডিফেন্সের মতো বড় প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো এই ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিযোগী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনী (Indian Armed Forces) দেশের নিরাপত্তা চাহিদা মেটাতে আগামী ১০-১৫ বছরে প্রায় ৪০০টি এমন ‘মেল’ ড্রোনের দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে।

  • India Vs Pakistan: ভয় ধরাল ওমান!‍ রবিতে ফের পাকিস্তানের সামনে ভারত, চিন্তা বাড়ল গম্ভীরের

    India Vs Pakistan: ভয় ধরাল ওমান!‍ রবিতে ফের পাকিস্তানের সামনে ভারত, চিন্তা বাড়ল গম্ভীরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবাসরীয় ক্রিকেটে সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতের সামনে পাকিস্তান (India Vs Pakistan)৷ রবিবার পাকিস্তান ম্যাচের আগে দলের সকলকে দেখে নিতে চেয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। ব্যাটিং, বোলিং দুই ক্ষেত্রেই পরীক্ষা করে দেখলেন তিনি। সেই কারণেই হয়তো চলতি এশিয়া কাপে ওমানকে হারাতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হল ভারতের। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে হারাতেও এতটা সমস্যা হয়নি সূর্যদের। ওমানকে ২১ রানে হারিয়ে ভারত অপরাজিত থাকলেও সুপার ফোরের আগে কয়েকটি প্রশ্ন উঠে গেল গম্ভীরের সামনে। ভারত জিতল, তবে কষ্ট করে ৷

    রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে সুপার ফোর

    এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্যায় শুরু হয়ে যাচ্ছে শনিবার থেকেই। গ্রুপ এ থেকে ভারত ও পাকিস্তান এবং গ্রুপ বি থেকে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে সুপার ফোরে। এবার রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে খেলবে চার দল। সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া দুই দল যাবে ফাইনালে। সুপার ফোরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে ব্যাটিং, বোলিং দুই ক্ষেত্রেই পরীক্ষানিরীক্ষা চালায় ‘মেন ইন ব্লু’৷ তবে ওমানকে হারাতে সমস্যা হল ভারতের। এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিলেও ভারতের বিরুদ্ধে ওমান ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো৷ ম্য়াচ শেষে ভারত অধিনায়কের সংযোজন, ‘অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলেছে ওমান।’ ম্যাচের পর ওমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ হ্যান্ডশেক করলেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন৷ ম্যাচের সেরা সঞ্জু স্যামসন৷

    রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে সুপার ফোর

    ওমান ম্যাচের আগে আলোচনা চলছিল রেকর্ড নিয়ে। অনেকেই বলছিলেন, রেকর্ডের বন্যা বয়ে যেতে পারে এই ম্যাচে। কিন্তু ওমান দেখিয়ে দিল, একটি ম্যাচ না জিতলেও লড়াই করতে ভয় পায় না তারা। নজর কাড়লেন শাহ ফয়জল। পাকিস্তানে জন্মানো এই বাঁহাতি পেসার খেলেন ওমানের হয়ে। নতুন ও পুরনো দুই বলেই ভারতীয় ব্যাটারদের সমস্যায় ফেললেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে তাঁর ভিতরের দিকে ঢুকে আসা বল বুঝতে পারলেন না শুভমন গিল। তাঁর অফ স্টাম্প ছিটকে গেল। উইকেট মেডেন নিলেন ফয়জল। চলতি এশিয়া কাপে বড় রান পাননি শুভমন। এই ম্যাচেও ৫ রানে আউট হলেন। রান পেলেন না হার্দিকও। ১ রানের মাথায় রান আউট হলেন। শিবম দুবে ৫ রানে ফিরলেন। ভারতের তিন ব্যাটারের ফর্ম চিন্তায় রাখবে গম্ভীরকে। অভিষেক শর্মা অবশ্য ছন্দে রয়েছেন। এই ম্যাচেও ঝোড়ো ইনিংস খেললেন। ১৫ বলে ৩৮ রান করলেন তিনি। ভাল দেখাল সঞ্জু স্যামসনকে। চলতি এশিয়া কাপে প্রথম বার খেলতে নেমে অর্ধশতরান করলেন তিনি।

    সুপার ফোরের জন্য তৈরি

    ভারতের বোলিংয়ের শুরু করেছিলেন তিন পেসার। হার্দিক, অর্শদীপ ও হর্ষিত পাওয়ার প্লে-তে উইকেট তুলতে পারলেন না। জসপ্রীত বুমরাহ এই ম্যাচে খেলেননি। ভারতীয় পেসারেরা গায়ের জোরে বল করে গেলেন। বৈচিত্র বিশেষ দেখালেন না। ফলে নতুন বলে উইকেট এল না। ওমানের জুটি ভাঙলেন সেই কুলদীপ যাদব। এ বারের এশিয়া কাপে কুলদীপকে থামানো যাচ্ছে না। তাঁর বল বুঝতেই পারছেন না ব্যাটারেরা। ওমানের বিরুদ্ধেও শুরুতে তাই দেখা গেল। জতিন্দরকে ৩২ রানে ফেরালেন তিনি। শুক্রবার ওমানকে হারিয়ে অপরাজিত থেকে সুপার ফোরে উঠেছে ভারত। খেলা শেষে সঞ্চালক সঞ্জয় মঞ্জরেকর সূর্যকে প্রশ্ন করেন, “রবিবারের ম্যাচের জন্য তৈরি তো?” জবাবে সূর্য বলেন, “সুপার ফোরের জন্য তৈরি।” আলাদা করে পাকিস্তান ম্যাচের কথা বলেননি সূর্য। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, পাকিস্তান ম্যাচকে আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই দেখছেন তাঁরা।

    এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025) সুপার ফোরের সূচি

    ২০ সেপ্টেম্বর:‌ শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ
    ২১ সেপ্টেম্বর:‌ ভারত বনাম পাকিস্তান
    ২৩ সেপ্টেম্বর:‌ পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা
    ২৪ সেপ্টেম্বর:‌ ভারত বনাম বাংলাদেশ
    ২৫ সেপ্টেম্বর:‌ পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ
    ২৬ সেপ্টেম্বর:‌ ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা
    ২৮ সেপ্টেম্বর:‌ ফাইনাল।

    ভারতের সব ম্যাচই হবে দুবাইয়ে

  • Zubeen Garg: জলে নেমেই খিঁচুনি! মর্মান্তিক মৃত্যু গায়ক জুবিন গর্গের, জানেন এই রোগের প্রভাব?

    Zubeen Garg: জলে নেমেই খিঁচুনি! মর্মান্তিক মৃত্যু গায়ক জুবিন গর্গের, জানেন এই রোগের প্রভাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারতীয় বিনোদুনিয়ায় আছড়ে পড়েছে দুঃসংবাদ। বিদেশের মাটিতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের (Zubeen Garg)। নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন জুবিন। সেখানেই প্রখ্যাত অসমীয়া গায়ক জুবিন গর্গ সিঙ্গাপুরের লাজারাস আইল্যান্ডে স্কুবা ডাইভেরর সময় খিঁচুনির শিকার হন। যা শেষপর্যন্ত তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়। মৃত্যুকালে জুবিন গর্গের বয়স হয়েছিল ৫২।

    কী ঘটেছিল

    প্রয়াত গায়কের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গর্গ জানিয়েছেন, “জুবিন প্রায় সাত-আট জনের একটি দলের সঙ্গে ইয়ট করে লাজারাস দ্বীপে গিয়েছিলেন। দলের মধ্যে ছিলেন ড্রামার শেখর ও সিদ্ধার্থ সহ আরও অনেকে। তাঁরা সবাই লাইফ জ্যাকেট পরে সাঁতার কাটেন এবং পরে ইয়টে ফিরে আসেন। কিন্তু জুবিন আবার একা সাঁতারের জন্য নামেন এবং সেই সময়েই খিঁচুনির আক্রমণ হয়।” তিনি আরও জানান, “জুবিন আগেও একাধিকবার খিঁচুনির সমস্যায় পড়েছিলেন, কিন্তু প্রতিবারই মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। এবারও সহযাত্রীরা কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করে তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং প্রায় দু’ঘণ্টা আইসিইউ-তে রাখা হয়।” কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জুবিন।

    বলিউডে পরিচিত নাম জুবিন

    জন্মসূত্রে অসমের হলেও বলিউডে বেশ পরিচিত নাম জুবিন। গান গেয়েছেন ‘ফিজা’, ‘গ্যাংস্টার’, ‘রাজ’, ‘থ্রিডি’, ‘কৃষ থ্রি’র মতো সিনেমায়। বাংলা চলচ্চিত্রেও একাধিক গান গেয়েছেন তিনি। রংবাজ, খিলাড়ি, খোকা ৪২০-এর মতো সিনেমায় দিয়েছেন কণ্ঠ। অসমিয়া ছবিতে গানের পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন তিনি। তবে বছরখানেক ধরেই শরীর ভালো যাচ্ছিল না জুবিনের। গায়কের ঘনিষ্ঠমহলও একাধিকবার তাঁর বিরুদ্ধে অত্যধিক মদ্যপানের অভিযোগ তুলেছে। যার জেরে তাঁর একাধিক শো-ও বাতিল সাম্প্রতিক অতীতে। একসময়ে যে গায়কের কণ্ঠে ‘ইয়া আলি…’ শুনে গোটা দেশে ঝড় উঠেছিল, সেই গায়কের এহেন অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন অনুরাগীদের অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। খিঁচুনি একটি জিনঘটিত রোগ হলেও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এই রোগে অনুঘটকের কাজ করে।

    খিঁচুনি কী?

    খিঁচুনি হল মস্তিষ্কে হঠাৎ করে অতিরিক্ত ইলেকট্রিক্যাল ক্রিয়াকলাপের ফলে ঘটে যাওয়া সাময়িক অস্বাভাবিকতা, যা আচরণ, অনুভূতি কিংবা চেতনার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি খিঁচুনির ধরন একরকম হয় না। কেউ হঠাৎ থেমে গিয়ে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে পারেন, আবার কারও দেহে অস্বাভাবিক ঝাঁকুনি দেখা দিতে পারে। একজন ব্যক্তি হয়তো জীবনে একবারই খিঁচুনি অনুভব করবেন, আবার কেউ প্রতিদিন একাধিকবার খিঁচুনিতে আক্রান্ত হতে পারেন। গবেষণা অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ জীবনে অন্তত একবার খিঁচুনির অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

    খিঁচুনির ধরন

    জেনারেলাইজড সিজার (Generalized Seizure): এ ধরণের খিঁচুনিতে মস্তিষ্কের উভয় পাশেই একযোগে ইলেকট্রিক্যাল অ্যাক্টিভিটি শুরু হয়। এতে দেহে প্রবল ঝাঁকুনি দেখা যায় অথবা ব্যক্তি হঠাৎ স্থির হয়ে যায়। সাধারণত শিশু ও তরুণদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও যেকোনও বয়সে এটি হতে পারে।

    ফোকাল সিজার (Focal Seizure): এতে খিঁচুনির সূত্রপাত মস্তিষ্কের একটি পাশে হয় এবং দেহের একদিকে লক্ষণ দেখা যায়। অনেক সময় ব্যক্তি এই খিঁচুনির অভিজ্ঞতা মনে রাখতে পারেন না। ফোকাল সিজার ধীরে ধীরে উভয় পাশে ছড়িয়ে পড়তেও পারে।

    খিঁচুনির লক্ষণসমূহ

    খিঁচুনির লক্ষণ ধরণ ও তীব্রতার উপর নির্ভর করে। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে থাকতে পারে, জ্ঞান হারানো, শরীরে অত্যধিক কাঁপুনি, মাংসপেশির টান, শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, দাঁত শক্ত করে চেপে ধরা, লালা পড়া, চোখে অস্বাভাবিক নড়াচড়া, প্রস্রাব বা পায়খানা ধরে রাখতে না পারা, অজানা শব্দ তৈরি হওয়া, হঠাৎ আবেগের পরিবর্তন – ভয়-বিভ্রান্তি-আনন্দ বা উদ্বেগ।

    খিঁচুনির কারণ কী?

    সাধারণত মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত বৈদ্যুতিক সংকেত আদান-প্রদানের ফলে খিঁচুনি হয়। এই সংকেত মস্তিষ্কের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে সামগ্রিক বৈদ্যুতিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। এটি প্রধানত দুই ধরনের।

    প্রোভোকড সিজার (Provoked Seizure): যেটি কোনও সাময়িক অবস্থার কারণে ঘটে। যেমন: জ্বর, রক্তে শর্করার ভারসাম্যহীনতা, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বা মাথায় আঘাত।

    আনপ্রোভোকড সিজার (Unprovoked Seizure): যেগুলি নিজে নিজেই ঘটে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি মৃগী বা এপিলেপসির লক্ষণ হতে পারে।

    সাঁতারের সময় খিঁচুনি কেন বিপজ্জনক?

    জলের মধ্যে খিঁচুনি হলে ব্যক্তি চেতনা হারাতে পারেন, ফলে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। লাইফ জ্যাকেট থাকলেও হঠাৎ শরীরের কাঁপুনি ও অঙ্গ সঞ্চালনে অসামঞ্জস্য দেখা দিলে তা প্রাণঘাতী হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনও ব্যক্তি আগে খিঁচুনির শিকার হলে, সাঁতারের সময় তাঁর সবসময় নজরদারির মধ্যে থাকা উচিত। জলে একা নামা একেবারেই উচিত নয়।

    জুবিনের জনপ্রিয়তা

    ১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর মেঘালয়ের তুরায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন জুবিন বোর ঠাকুর। পরে তিনি তাঁর পরিবারের গোত্র থেকে গর্গ উপাধিটি গ্রহণ করেন। প্রখ্যাত সঙ্গীত সুরকার জুবিন মেহতার নামে তাঁর নামকরণ করা হয়। সাহিত্য ও সঙ্গীতে যথেষ্ঠ চর্চা ছিল জুবিনের পরিবারে। তাঁর বাবা মোহিনী মোহন বোরঠাকুর ছিলেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট। পাশাপাশি তিনি গীতিকার ও কবিও ছিলেন। তিনি কপিল ঠাকুর নামে লিখতেন। তাঁর মা হলেন ইলি বোরঠাকুর, তিনিও একজন গায়িকা। অভিনেত্রী তথা গায়িকা জংকি বোরঠাকুর তাঁর বোন। তিনি ২০০২ সালে এক পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। তাঁর আর এক বোন, ডঃ পাম বোরঠাকুর। অসমিয়া, বাংলা, হিন্দি শুধু নয়, নেপালি, তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, মারাঠি, ওড়িয়া, ইংরেজি এবং এমনকি কার্বি, মিসিং এবং তিওয়ার মতো উপজাতি ভাষা সহ মোট ৪০ টিরও বেশি ভাষা এবং উপভাষায় গান গেয়েছিলেন। তবে কেবল গান নয় নানা বাদ্যযন্ত্রেও তিনি পারদর্শী ছিলেন। তিনি তবলা থেকে শুরু করে গিটার, ড্রাম, হারমোনিয়াম, দোতারা, ঢোল, ম্যান্ডোলিন এবং হারমোনিয়াম-সহ ১২টি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন। জুবিন গার্গের অকাল মৃত্যুতে দেশের সংগীত জগত শোকাহত। তাঁর স্মৃতি, গান এবং অবদান শ্রোতাদের হৃদয়ে চিরকাল অম্লান থাকবে।

  • Manipur Violence: সন্ত্রাসী হামলায় রক্তাক্ত মনিপুর, অসম রাইফেল্‌সের কনভয়ে গুলি! হত দুই জওয়ান, জখম ছয়

    Manipur Violence: সন্ত্রাসী হামলায় রক্তাক্ত মনিপুর, অসম রাইফেল্‌সের কনভয়ে গুলি! হত দুই জওয়ান, জখম ছয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্ত ঝরল মণিপুরে (Manipur Violence)। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী অসম রাইফেল্‌সের গাড়িতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালায়। গুলির লড়াইয়ে দু’জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অন্তত ছয় জন। হামলার পরেই ওই অঞ্চলে বাড়তি বাহিনী পাঠানো হয়েছে। শুরু হয়েছে পাহাড়-জঙ্গল ঘিরে চিরুনি তল্লাশি।

    কীভাবে হামলা

    প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, অসম রাইফেলসের জওয়ানদের নিয়ে একটি ‘টাকা ৪০৭’ গাড়ি রাজধানী ইম্ফল থেকে বিষ্ণুপুরের উদ্দেশে আসছিল। পথে নাম্বোল সবাল লেইকাই এলাকায় অতর্কিতে ওই গাড়ির উপর হামলা চালায় বন্দুকবাজের দল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ জওয়ানের। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, অতর্কিত হামলার পর এলাকা ছেড়ে জঙ্গলের দিকে চম্পট দেয় বন্দুকবাজরা। তাদের খোঁজে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল যে রাস্তার উপর এই হামলা চলেছে কয়েকদিন আগে এই রাস্তা ধরেই গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ

    হামলার খবর প্রকাশ্যে আসার পর শহিদ জওয়ানদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লা। এক্স হ্যান্ডেলে মণিপুর রাজভবনের তরফে লেখা হয়েছে, ‘আজ সন্ধ্যায় মণিপুরে নিরাপত্তাবাহিনীর উপর যে হামলা চালানো হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই ঘটনায় অসম রাইফেলসের দুই বীর জওয়ান শহিদ হয়েছেন। রাজ্যপাল মর্মান্তিক এই ঘটনায় শহিদ পরিবারের উদ্দেশে সমবেদনা জানিয়েছেন। দেশরক্ষায় তাঁদের বীরত্ব ও নিষ্ঠা স্বীকৃতির দাবিদার। পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন রাজ্যপাল।’ একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই ধরনের কাপুরুষোচিত হামলা কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না। এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য প্রশাসন কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দেবে। অপরাধীরা যোগ্য জবাব পাবে।’ প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারী কুকি জঙ্গিরাই এই হামলা চালিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। সম্প্রতি ওই এলাকা থেকে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ (AFSPA) প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

  • Headaches: বাড়ছে মাথা ব্যথা! বাঙালির রান্নাঘরে রয়েছে সমাধান, জানেন কি?

    Headaches: বাড়ছে মাথা ব্যথা! বাঙালির রান্নাঘরে রয়েছে সমাধান, জানেন কি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সন্ধ্যা হলেই মাথার ভিতরে টিপটিপ করে! ল্যাপটপে চোখ আটকে রাখতেই কষ্ট হয়। কিন্তু কাজের চাপে কয়েক মিনিট অবসর নেওয়াও কঠিন হয়ে যায়। আবার আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জেরে তাপমাত্রার রকমফের হলেই সকাল হোক‌ বা রাত মাঝেমধ্যে মাথার ভিতরে যন্ত্রণা হয়। কেউ কেউ তো ঘুম থেকে উঠেই মাথার যন্ত্রণা অনুভব করেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ মাথার যন্ত্রণায় কাবু। তবে সব সময় সাইনাস কিংবা মাইগ্রেনের জন্য এই যন্ত্রণা নয়। বরং মাথা যন্ত্রণার কারণ হয় জীবন‌ যাপনের অভ্যাস!

    কেন তরুণ প্রজন্মের একাংশ মাথার যন্ত্রণায় কাবু?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাইগ্রেন কিংবা সাইনাসের মতো সমস্যা না থাকলেও অনেকেই নিয়মিত মাথা যন্ত্রণায় ভোগেন। বড় শারীরিক জটিলতা না থাকলেও মাথা যন্ত্রণার জন্য একাধিক কারণ কাজ করে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের ল্যাপটপে দীর্ঘসময় কাজ করতে হয়। দিনের অনেকটা সময় ল‌্যাপটপ এবং মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার জেরে তাঁদের চোখের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। যা মস্তিষ্কের স্নায়ুর উপরেও প্রভাব ফেলে। তাই মাথার যন্ত্রণা হয়।

    পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব মস্তিষ্কের স্নায়ুকে দূর্বল করে‌ দেয়। আর তার জন্য মাথা যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দেয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশের গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার অভ্যাস রয়েছে। এর ফলে নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুম হয় না। দীর্ঘদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের স্নায়ুর উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। তাই মাথার যন্ত্রণা হয়।

    মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ মানসিক চাপ। এমনটাই জানাচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নানান মানসিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। অনেকেই অবসাদ, উদ্বেগের মতো গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সঙ্কট নিয়ে জীবন যাপন করছেন। অনেক সময়েই তার প্রয়োজনীয় থেরাপি হচ্ছে না। রোগ নির্ণয় ঠিক মতো হয় না। তাই মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ ঘন‌ ঘন দেখা দিচ্ছে। অনেক সময় ভাইরাস ঘটিত কারণেও মাথা ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় কিংবা বারবার তাপমাত্রার ওঠানামা করলে অনেক সময় মস্তিষ্কের স্নায়ুর উপরে চাপ পড়ে। রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি হয়। তার জেরেই মাথা যন্ত্রণা হয়।

    কোন ঘরোয়া উপদানে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাথা যন্ত্রণা কমাতে অনেকেই নিয়মিত নানান পেন কিলার খান।‌ অনেক সময়েই চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়াই নিজেরা এই ধরনের ওষুধ নিয়মিত খাচ্ছে। যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনি, লিভার, পাকস্থলীর মতো শরীরের নানান গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের উপরে এর প্রভাব পড়ে। তার ফলে অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের ভরসা ঘরোয়া উপাদান। তাঁরা জানাচ্ছেন, দারুচিনি বাঙালির রান্নাঘরের অতি পরিচিত একটা মশলা।‌ আর এই মশলা শরীরের জন্য অত‌্যন্ত উপকারি।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, দারুচিনির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মস্তিষ্কের স্নায়ুর উপরে বিশেষ প্রভাব ফেলে। ফলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। স্নায়ু সক্রিয় থাকে। তাই চায়ের জল গরম করার সময় মধ্যে দারুচিনি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন এতে মাথা ব্যথা কমবে। নিয়মিত আদা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। ফলে ঋতু পরিবর্তনের সময়েও মাথা ব্যথা কাবু করতে পারবে না। স্নায়ুকে সুস্থ রাখতে আদা বিশেষ সাহায্য করে। আদার পাশপাশি লবঙ্গ মাথা ব্যথা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে বলেও‌ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, লবঙ্গ স্মেল থেরাপির কাজ করে। লবঙ্গের গন্ধে স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। মানসিক চাপ কমে। ফলে মস্তিষ্কের স্নায়ু ঠিকমতো কাজ করে। মাথা ব্যথার ভোগান্তিও কমে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share