Tag: news in bengali

news in bengali

  • GDP: জিডিপি বৃদ্ধির হারে জাপান-জার্মানি-ব্রিটেনকে টেক্কা দিচ্ছে মোদির ভারত!

    GDP: জিডিপি বৃদ্ধির হারে জাপান-জার্মানি-ব্রিটেনকে টেক্কা দিচ্ছে মোদির ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির ছবি স্পষ্ট হয়েছে বিভিন্ন সংস্থার তৈরি রিপোর্টে। কেন্দ্রের তরফেও রীতিমতো খতিয়ান তুলে দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্রমেই উন্নতির শিখরে উঠছে ভারত। মোদি জমানায় স্ফীতকায় হচ্ছে দেশের আর্থিক স্বাস্থ্য। অথচ গত কয়েক বছরে জার্মানি, জাপান এবং ব্রিটেনের মতো দেশে কমছে জিডিপির হার। এমতাবস্থায় তরতরিয়ে বাড়ছে ভারতের জিডিপি।

    জিডিপি (GDP)

    জিডিপির (GDP) অর্থ হল গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন। কোনও দেশের নাগরিকদের ক্রয় ক্ষমতা কেমন (অর্থনীতির পরিভাষায় (পারচেশিং পাওয়ার প্যারিটি বা সংক্ষেপে পিপিপি), তার ওপর নির্ভর করে তৈরি হয় জিডিপি। দিল্লি ভিত্তিক নন-প্রফিট সোশ্যাল পলিশি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালে ভারতীয় অর্থনীতিতে যখন পিপিপি দেখা যাচ্ছে ৩.৬ গুণ, তখন ব্রিটেনে এটি ২.১ গুণ। আর জার্মানির চেয়ে ২.৫ গুণ বেশি জাপানের। তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে ভারত।

    দ্রুত গড়াচ্ছে অর্থনীতির চাকা

    নরেন্দ্র মোদির জমানায় দ্রুত গড়াচ্ছে অর্থনীতির চাকা। গত দু’তিন বছরে রকেট গতিতে ছুটছে ভারতের অর্থনীতি। দ্রুত হারে বাড়ছে জিডিপি বৃদ্ধির হার। যা দেখে মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্বব্যাঙ্ক ও আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার। এই দুই প্রতিষ্ঠানেরই দাবি, আগামী দিনেও বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে নিজের জায়গা ধরে রাখবে ভারত। গত অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৪ শতাংশ। যা পূর্বাভাসের চেয়ে অনেকটাই বেশি। ২০২২ সালে জিডিপি বৃদ্ধির হারে চিন ছিল সবার ওপরে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতীয় জিডিপির অংশিদারিত্ব পিপিপিতে বৈশ্বিক জিডিপির ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাড়ছে। অথচ আমেরিকা, জাপান, রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ক্রমেই কমছে।

    আরও পড়ুুন: ভোট লুটেরারা হুঁশিয়ার!!! বাংলার সব বুথেই ওয়েব কাস্টিং, এআই প্রযুক্তি

    পিপিপি আমাদের সাহায্য করে দু’টি দেশের অর্থনীতির তুলনা করতে। কোনও একটি বস্তুর দাম ওই দুই দেশে কেমন, তা জানতেও সাহায্য করে। রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, একটি উচ্চমাত্রার পিপিপি বোঝায় প্রয়োজনীয় জিনিস ভারতে কতটা সস্তা। এই একই জিনিস কিনতে ঘাম ছুটে যায় জাপান, জার্মানি এবং ব্রিটেনের ক্রেতাদের (GDP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট লুটেরারা হুঁশিয়ার!!! বাংলার সব বুথেই ওয়েব কাস্টিং, এআই প্রযুক্তি

    Lok Sabha Election 2024: ভোট লুটেরারা হুঁশিয়ার!!! বাংলার সব বুথেই ওয়েব কাস্টিং, এআই প্রযুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট লুটেরারা সাবধান! হুঁশিয়ার দুষ্কৃতীরা! বঙ্গে ভোট লুট রুখতে এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে রাজ্যের সব বুথেই ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে এ খবর। কেবল তাই নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হবে। রাজনীতির কারবারিদের মতে, প্রতিটি নির্বাচনে প্রায় নিয়ম করে বাংলায় যে অশান্তি এবং ভোট লুট হয়, তা রুখতেই এ রাজ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

    ওয়েব কাস্টিংয়ে জোর (Lok Sabha Election 2024)

    লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সময়ই দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, এ বারের ভোটে কোনও ধরনের অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। বেশি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং ওয়েব কাস্টিংয়ের ওপর যে এবার জোর দেওয়া হবে, তারও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৫০.৩১ শতাংশ বুথে ওয়েব (Lok Sabha Election 2024) কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবার সেটাই বাড়িয়ে একশো শতাংশ করা হল। এ রাজ্যে বুথ রয়েছে ৮০ হাজার ৫৩০টি। সবক’টিতেই হবে ওয়েব কাস্টিং। বাংলার পাশাপাশি পাঞ্জাবের সব বুথেও ওয়েব কাস্টিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যেসব জায়গায় ইন্টারনেটের সমস্যা হবে, সেই সব জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে বলেও খবর কমিশন সূত্রে।

    ওয়েব কাস্টিং কী?

    প্রশ্ন হল, ওয়েব কাস্টিং কী? ওয়েব কাস্টিং বলতে বোঝায় লাইভ স্ট্রিমিং। এর সাহায্যে কোন বুথে কী হচ্ছে, অনলাইনের মাধ্যমে তাতে নজরদারি চালাতে পারে কমিশন। কোনও বুথে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে, কমিশনের অফিসে বসেই তা দেখতে পাবেন আধিকারিকরা। সেই মতো দ্রুত নেওয়া যাবে ব্যবস্থা। ওয়েব কাস্টিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন দিক থেকে কোনও একটি বুথের ভোট-ছবি ক্যামেরাবন্দি করা যাবে। সেই সব লাইভ ফিড সংরক্ষণও করা হবে। অল্প আলোয়ও ছবি তোলার ক্ষমতা রয়েছে, ব্যবহার করা হবে এমন ক্যামেরাই।

    আরও পড়ুুন: “নিজেদের আখের গুছোতে ভোটে লড়ছে কংগ্রেস-ইন্ডি”, রাজস্থানে তোপ মোদির

    বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোট, বোমাবাজি, খুন-জখম পশ্চিমবাংলার প্রায় প্রতিটি নির্বাচনের পরিচিত ছবি। অভিযোগ, বাম জমানায় এই দৃশ্য দেখা গেলেও, ছবিটা একটুও বদলায়নি তৃণমূলের আমলেও। এই ছবিটাই হয়তো এবার বদলাবে ওয়েব কাস্টিং এবং এআই প্রযুক্তির দৌলতে (Lok Sabha Election 2024)।

    অতএব, ‘সাধু’ সাবধান!   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “নিজেদের আখের গুছোতে ভোটে লড়ছে কংগ্রেস-ইন্ডি”, রাজস্থানে তোপ মোদির

    PM Modi: “নিজেদের আখের গুছোতে ভোটে লড়ছে কংগ্রেস-ইন্ডি”, রাজস্থানে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই নির্বাচন আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবে।” মঙ্গলবার রাজস্থানের কোটপুটিলে বিজেপি আয়োজিত এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’কেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘ওরা লড়ছে আখের গুছোবার জন্য’ (PM Modi)

    তিনি বলেন, “মোদি বলে দেশ থেকে দুর্নীতি হটাবে। আর কংগ্রেস এবং ‘ইন্ডি’ জোট এই নির্বাচনে দেশের জন্য লড়াই করছে না। তারা লড়াই করছে নিজেদের আখের গুছোবার জন্য। তাদের বক্তব্য, দুর্নীতি বাঁচাও। আর মোদি বলছে, দুর্নীতি হটাও।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এই প্রথম এমন একটা নির্বাচন হতে যাচ্ছে, যেখানে কংগ্রেস তাদের জয়ের জন্য মানুষকে ভোট দিতে বলছে না, বরং বলছে বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে দেশে আগুন জ্বলবে।”

    কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    প্রসঙ্গত, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ স্লোগান দিয়ে রবিবারই দিল্লির রামলীলা ময়দানে সভা করেছিলেন ‘ইন্ডি’ জোটের নেতারা। সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সেখানে রাহুল বলেছিলেন, “এই ম্যাচ-ফিক্সড নির্বাচনে যদি বিজেপি জেতে, এবং সংবিধান বদলে দেয়, মনে রাখবেন, তাহলে দেশে আগুন জ্বলবে।” রাহুলের সেই বক্তব্যের দিকেই যে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এদিনের বাক্য-বাণের অভিমুখ, তা বুঝতে রাজনীতিবিদ হতে হয় না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি গোটা দেশকেই একটি পরিবার বলে মনে করে। আর কংগ্রেস দেশের চেয়ে বড় বলে মনে করে তার পরিবারকে। বিজেপি দেশের অহংকারের পতাকাকে উড্ডীন করেছে। আর কংগ্রেস বিদেশে গিয়ে দেশের সম্পর্কে কু-মন্তব্য করেছে।” তিনি বলেন, “মোদি স্ফূর্তি করার জন্য জন্মগ্রহণ করেনি। জন্মেছে কঠোর পরিশ্রম করতে। দেশে অনেক কিছুই হয়েছে। তবে গত দশ বছরে যা হয়েছে, তা ট্রেলর মাত্র।”

    আরও পড়ুুন: চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করেছে শাহজাহান!

    দেশে দারিদ্রের জন্য কংগ্রেসকেই দুষেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “স্বাধীনতার পরে গত ৬০ বছর ধরে দেশে দারিদ্র ছিল। এজন্য দায়ী কংগ্রেস। এর একমাত্র কারণ, কংগ্রেস জমানায় প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের জন্য ভারতকে নির্ভর করতে হত অন্য দেশের ওপর। কংগ্রেস কখনওই আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার অনুমোদন দেয়নি। কংগ্রেস আমলে ভারতের পরিচয় ছিল সব চেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারী দেশ হিসেবে। আর বিজেপি জমানায় ভারতকে বিশ্ব চেনে অস্ত্র রফতানিকারী দেশ হিসেবে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করেছে শাহজাহান!

    Sheikh Shahjahan: চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করেছে শাহজাহান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের নেতা হওয়ার সুবাদে একের এক অন্যায় করে চলেছিল সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। মাথায় দলীয় নেতার আশীর্বাদী হাত থাকায় ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল তৃণমূলের এই ‘বাদশা’। তদন্তকারীরা জেনেছেন, চিংড়ি মাছের ব্যবসার আড়ালে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করেছে শাহজাহান। সেই টাকা লেনদেনের নথিও সংগ্রহ করেছে ইডি।

    একের পর এক অনৈতিক কাজ!

    জমি দখল, ভেড়ি দখলের মতো কাজও করে শাহজাহান লুটেছিল কোটি কোটি টাকা। শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) নিয়ন্ত্রিত এসকে সাবিনা ফিশারিজ সংস্থায় ১০৪ কোটি টাকা ঢুকেছিল ম্যাগনাম এক্সপোর্টসের মাধ্যমে। অনুপ কুমার সোম নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গত অর্থবর্ষে শাহজাহানের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ৩৩ কোটি টাকা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, শাহজাহানের চিংড়ি মাছের ব্যবসার প্রায় ৪০ শতাংশ মাছের জোগান আসত অন্যের দখল করা ভেড়ি থেকে। তাঁর নিজের ভেড়ি থেকে আসত ১০ শতাংশ মাছ। আর বাকি ৫০ শতাংশ মাছ শাহজাহান কিনতেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।

    মাছ ব্যবসায়ীদের হুমকি দিত শাহজাহান!

    এলাকায় শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) যে একছত্র অধিপতি হতে চেয়েছিলেন, তারও প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, উনিশ সালে স্থানীয় চিংড়ি ব্যবসায়ীদের নিয়ে মিটিং করেন শাহজাহান। সেখানে তাঁদের হুমকি দিয়ে রাখে শাহজাহানের শাগরেদরা। জানিয়ে দেয়, তাঁদের সব মাছ বিক্রি করতে হবে তৃণমূল নেতা (অধুনা বহিষ্কৃত) শাহজাহানকে। অন্যত্র মাছ বিক্রি করলে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেয় শাহজাহান। প্রাণভয়ে শাহজাহানের ঠিক করে দরেই তাকে মাছ বিক্রি করতেন চিংড়ি ব্যবসায়ীরা। ইডি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ অন্তত ২০ জনের নাম জানতে পেরেছে, যারা দখল করা ভেড়ির মালিক। তারা সমস্ত চিংড়ি বিক্রি করত শাহজাহানকে। মাছ বিক্রির টাকা পৌঁছে যেত শাহজাহানের দুই ভাই এবং শাগরেদ উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাদের অ্যাকাউন্টে।

    আরও পড়ুুন: “আপনার বাড়ির নাম যদি বদলে দিই, বাড়িটা আমার হয়ে যাবে?”, চিনকে তোপ জয়শঙ্করের

    শাহজাহানের নির্দেশে সেই টাকা ব্যবহার করা হত জমি কিনতে কিংবা অন্য কোনও কাজে। জমি কেনা হত আবু সিদ্দিকি হাফিজিয়া ট্রাস্টের নামে। এই ট্রাস্টটি শাহজাহানের বাবার নামে। জমি দখলের কালো টাকা সাদা করা হয়েছে ওই ট্রাস্টের মাধ্যমে। সোমবার আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, “জমি দখলের কালো টাকা চিংড়ি ব্যবসার লেনদেন হিসেবে দেখানো হত। সেই ব্যবসা শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) মেয়ে শেখ সাবিনার নামে।” ইডির দাবি, চিংড়ি কেনাবেচা করে নয়ছয় করা হয়েছে দুর্নীতির টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
  • Birbhum BJP Candidate: তারাপীঠে পুজো দিয়ে ভোটের ময়দানে নামলেন বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস

    Birbhum BJP Candidate: তারাপীঠে পুজো দিয়ে ভোটের ময়দানে নামলেন বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারাপীঠে পুজো দিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামলেন বীরভূমের (Birbhum) বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর (Debasis Dhar)। তাঁর লড়াই তিন বারের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Satabdi Ray) বিরুদ্ধে। শীতলকুচির (Sitalkuchi) ঘটনা বদলে দিয়েছে এই পুলিশ অফিসারের জীবন। জানা গিয়েছে, তাঁর অজান্তেই গুলি চলে ছিল। এরপর ঘটনায় অভিযুক্ত করে তাঁকে সাসপেন্ড এবং জেরা করা হয়। তারপরেই তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। তবে এই বিজেপি প্রার্থীর (BJP Candidate) তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “বীরভূমে কোনও কাজ করেননি তিন বারের সাংসদ শতাব্দী রায়। রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী আগে ভাগে পদক্ষেপ নিলে বীরভূম নিয়ে এত অভিযোগ উঠত না।”

    কী বললেন দেবাশীষ ধর?

    লোকসভা নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে এদিন দুর্নীতি নিয়েও রাজ্যকে কটাক্ষ করেন দেবাশিস ধর। তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “রাজ্য চুরিতে এমন রেকর্ড করে বসে আছে যে আগামী ১০০ বছরে এই রেকর্ড ভাঙা সম্ভব হবে না। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় না এলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। শীতলকুচির ঘটনার জন্য অনেক মানসিক পরিবর্তন হয়েছে। ওই ঘটনার পর যা হয়েছে তা যদি না ঘটত তাহলে ডিআইজি হতাম, প্রার্থী হতাম না। ২০১১ সাল থেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পুলিশমন্ত্রী। তিনি যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেন তাহলে রাজ্যে এত রাজনৈতিক হিংসা হত না। এত দুর্নীতিও হত না। রাজ্যে মানিক ভট্টাচার্য্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল অথবা বালুর মত ব্যক্তিদের ছড়াছড়ি হত না। তৃণমূলের তিনবারের সাংসদ কোনও কাজ করেননি। মানুষের কাছে গিয়ে তিনি ধাক্কা খাচ্ছেন। অন্য রাজ্যে গেলে বাঙালি হিসেবে লজ্জা হয়। এ রাজ্যে শিল্প বলতে মদ আর জমি বিক্রি ছাড়া আর কিছুই নেই।”

    তারা মায়ের কাছে মানব সেবার কামনা

    প্রসঙ্গত মঙ্গলবার তারাপীঠে (Tarapith) পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী। মায়ের কাছে কী কামনা করলেন জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, “প্রার্থনা করেছি এমন কিছু চমৎকার কর যেন জন্ম জন্মান্তর তোমার সেবা করতে পারি। মানুষের হয়ে কাজ করতে এসেছি। প্রশাসনিক পদে থাকা এবং মানুষের জন্য কাজ করা অনেকটাই আলাদা। আমরা ভোটে জয়ী হবো এতে কোনও সন্দেহ নেই। ব্যক্তিগত কোনও লড়াই নেই। সবটাই রাজনৈতিক লড়াই আমাদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইমেজে লড়াই হবে। আমাদের সরকার এলে রাজ্যের প্রশাসনিক সংস্কার হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Cyber Crime in Mewat: হরিয়ানার নুহ পুলিশের জালে ৪২ সাইবার দুষ্কৃতী, উদ্ধার প্রচুর মোবাইল ও সিম

    Cyber Crime in Mewat: হরিয়ানার নুহ পুলিশের জালে ৪২ সাইবার দুষ্কৃতী, উদ্ধার প্রচুর মোবাইল ও সিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার অপরাধের (Cyber Crime) বিরুদ্ধে নজির গড়ল হরিয়ানার নুহ পুলিশ। পুলিশের পাতা ফাঁদে ধরা পড়েছে ৪২ জন সাইবার অপরাধী। দেশব্যাপী সাইবার প্রতারণার মামলার বিষয়ে দু’ দিনে নুহ ও মেওয়াতের (mewat) বিভিন্ন অংশে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের নাম দীন মোহাম্মদ, আসিফ, আরিফ, সরফরাজ, সাকিব, ইজাজ, মুনাজির পবলে সহ আরও অনেক। পুলিশ সূত্রে খবর, গত শনিবার থেকে এই অভিযান চলে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। অভিযান শেষে অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৫০টি মোবাইল, জাল আধার কার্ড (fake adhar card), প্রচুর জাল নথি, ৯০ টিরও বেশি সিম কার্ড, নগদ টাকা এবং বেশ কয়েকটি এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে (arrested) আইপিসি ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ এবং ৪৭১ ধারা প্রয়োগ করে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আগেও ১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ পোর্টালের মাধ্যমে গ্রেফতার

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ বছরের এপ্রিল মাসের পর সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে এটাই সবচেয়ে বড় অভিযান। এর আগে পুলিশ একটি অভিযানে ১৪ টি গ্রাম থেকে ৬৬ জন সাইবার প্রতারণায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। সেই অভিযানের সময় ৫০০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ একটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টে জানিয়েছে, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ইন্টিগ্রেটেড সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের (i4C) বিশেষ প্রতিবিম্ব পোর্টালের (protibimb portal) সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুষ্কৃতীদের। পোর্টালটি এই বছর চালু হয়েছে। এটি মূলত প্রতারকদের সিম এবং আইএমইআই নম্বর রিয়েল-টাইম ভিত্তিতে চিহ্নিত করে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।”

    পুলিশ সুপারের বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে হরিয়ানা রাজ্যের ডিজি শত্রুজিৎ কাপুর বলেন, “প্রতিবিম্ব পোর্টাল পুলিশকে রাজ্য জুড়ে ৫৯৪ টি সাইবার জালিয়াতির অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। এই প্রতারকদের মধ্যে ১০১ জন নুহ এবং পার্শ্ববর্তী শহর আলওয়ার এলাকায় ছিল। সন্দেহভাজনদের রিয়েল-টাইম অবস্থানের ডেটা ও তাদের ফোন নম্বরগুলি স্থানীয় পুলিশ এবং পঞ্চকুলায় অবস্থিত সাইবার ক্রাইম কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছিল।” এই প্রসঙ্গে শত্রুজিৎ কাপুর আরও জানিয়েছেন, “ধৃতদের কাছ থেকে একাধিক সিম কার্ড এবং জাল আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। তারা কতগুলি মামলায় জড়িত ছিল তা খুঁজে বের করতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” সাইবার ক্রাইম থানার এসএইচও, ইন্সপেক্টর বিমল রাই বলেছেন, “পুলিশের যৌথ উদ্যোগে সাইবার প্রতারকদের ধরা হয়েছে। পুলিশ দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে, এই জালিয়াতির সাথে যুক্ত আরও অপরাধীদের ধরতে এই অভিযান চলবে।” একই ভাবে নুহ পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট, নরেন্দ্র বিজার্নিয়া সাইবার অপরাধীদের জন্য কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন।

    আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্রে ঝড় তুলবেন মোদি, সভা জলপাইগুড়িতেও

    কীভাবে চলত সাইবার প্রতারণা?

    সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা ভুয়ো বিজ্ঞাপন (fake advertisement), চাকরির (fake job) ভূয়ো প্রস্তাব সহ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করত। নুহ পুলিশের মুখপাত্র কিশান কুমার বলেছেন, “প্রতারকেরা লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদের টার্গেট খুঁজত। এরপর চাকরি খুঁজতে আসা তরুণীদের ভিডিয়ো কল করে তাদের ছবি অপপ্রয়োগ করে হুমকি ও যৌন নির্যাতন করত। আর যুবকদের লোভনীয় রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকানো হত।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi in North Bengal: উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্রে ঝড় তুলবেন মোদি, সভা জলপাইগুড়িতেও

    PM Modi in North Bengal: উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্রে ঝড় তুলবেন মোদি, সভা জলপাইগুড়িতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক বিপর্যয় এখন রাজনীতির ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) কয়েক মিনিটের ঝড় (Tornado) প্রভাব ফেলেছে রাজনীতির আঙিনায়। এবার প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এই কেন্দ্রে বঙ্গ সফরে বেশি সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রথম দফাতেই জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নির্বাচন (Election) হবে। কিন্তু নির্বাচনের আগে টর্নেডোর তাণ্ডব এখন ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোটের প্রচার (Election Campaign) থমকে গিয়েছে ঝড়ের প্রভাবে। থমকে গিয়েছে স্থানীয় মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন। তবে ভোটপ্রচার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা সম্ভব নয় রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষে। গণতন্ত্রের উৎসব বলে কথা।

    বৃহস্পতিবার কোচবিহারে মোদি

    প্রসঙ্গত রবিবার ঝড়ের খবর পেয়েই জলপাইগুড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), তড়িঘড়ি টুইট করে প্রশাসনিক সাহায্যের আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। উল্লেখ্য ১৯ এপ্রিল কোচবিহার (Coochbehar), আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar) ও জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) আসনে নির্বাচন হবে। ভোট প্রচারে ঝড় তুলতে বৃহস্পতিবার কোচবিহারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোচবিহারের রাসলীলা ময়দানে জনসভা করার কথা রয়েছে তাঁর। এরপর রবিবার জলপাইগুড়িতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনই বালুরঘাটেও সভা করার কথা রয়েছে তাঁর।

    রাজ্যে ৩০টির বেশি সভা মোদির

    উত্তরবঙ্গ পাখির চোখ বিজেপির। নিজেদের গড় ধরে রাখার লড়াই চালাচ্ছে বিজেপি। কোচবিহারের প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, বালুরঘাটের প্রার্থী বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়। তিন হেভিওয়েট কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও ভাষণ সহযোগে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির দাবি, শুধু উত্তরবঙ্গ নয় লোকসভা ভোটে গোটা পশ্চিমবঙ্গে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে একাধিক সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বারাসত, কৃষ্ণনগর ও আরামবাগে সভা করে প্রচারে ঝড় তুলে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে রাজ্যে ৩০টির বেশি সভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এছাড়াও অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা সহ বিজেপির তারকা প্রচারকদের শতাধিক সভা ও মেগা র‍্যালি হবে রাজ্যজুড়ে।

    আরও পড়ুনঃ ভারতে চলবে না পেট্রল-ডিজেল গাড়ি! কী বললেন নিতিন গড়করি?

    উত্তরবঙ্গ বিজপির পাখির চোখ

    বিজেপি সূত্রের খবর, কোচবিহারের রাসলীলা ময়দানে মোদির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার। এরপর রবিবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কেন্দ্র বালুরঘাটে দুপুর ২:৩০ নাগাদ সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি বিকেল চারটে নাগাদ যাবেন জয়ন্ত রায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র জলপাইগুড়িতে। সেখানে সভা করবেন তিনি। যেহেতু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপি ভালো ফল করেছিল এবং সার্বিকভাবে বিগত বিধানসভা নির্বাচনেও উত্তরবঙ্গ থেকে বেশ কয়েকটি আসন নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয় বিজেপি, তাই উত্তরবঙ্গকে এবারও পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। সে কারণেই প্রচারে কোনও রকম খামতি রাখতে চাইছে না বিজেপি। তাই আগেভাগেই উত্তরবঙ্গের সমস্ত আসনে প্রচারে ঝড় তুলে ভোটারদের নিজেদের পক্ষে করার স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে পদ্মফুল শিবির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: ভোটের আগে বিরাট সাফল্য বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে খতম ৯ মাওবাদী, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

    Chhattisgarh: ভোটের আগে বিরাট সাফল্য বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে খতম ৯ মাওবাদী, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী দমনে বিরাট বড় সাফল্য বাহিনীর। নির্বাচনের আগে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম ৯ মাওবাদী। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলার ঘটনা। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রও। গোটা জঙ্গল ঘিরে চিরুনি-তল্লাশি শুরু করেছে বাহিনী।

    মাওবাদীদের সমূলে উৎখাত করার বার্তা (Chhattisgarh)

    দিন কয়েক আগেই মাওবাদীদের সমূলে উৎখাত করার বার্তা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তিশগড়ের এক জনসভায় তিনি বলেছিলেন, “২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে মাওবাদীদের সমূলে উৎপাটিত করা হবে।” তার পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছত্তিশগড়ে মাও দমনে অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। 

    মাওবাদী-বাহিনী এনকাউন্টার

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালে পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে, বিজাপুরের (Chhattisgarh) লেন্দ্রা গ্রামের কাছে মাওবাদীদের জড়ো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মাওবাদী দমন অভিযানে নামে বাহিনী। সিআরপিএফের কোবরা ইউনিট, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং ছত্তিশগড় পুলিশের ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডকে নিয়ে তৈরি যৌথবাহিনী এই অভিযান অংশগ্রহণ করে। হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং অস্ত্র নিয়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। দুপক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে গুলি বিনিময় হয়। এর পরই জঙ্গলের ভিতর থেকে ৯ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়। পাশে থেকে নিরাপত্তা কর্মীরা একটি মেশিনগান এবং অন্যান্য অস্ত্র-সহ বেশ কয়েকটি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। গোটা এলাকায় চিরুনি-তল্লাশি শুরু করেছে যৌথবাহিনী।

    সাম্প্রতিক অতীতে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সাফল্য

    এর আগে ৩০ মার্চ আটচল্লিশ ঘণ্টার জন্য অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। দুদিনের এই অভিযানে এনকাউন্টার হয় তিনবার। ২৬ মার্চও ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তারে বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের এনকাউন্টারে খতম হয় ছয় মাওবাদী। তাদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল বিজাপুর জেলার একটি জঙ্গলে। ওই জঙ্গলে মাওবাদীদের একটি দল লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পায় পুলিশ। তার পরেই শুরু হয় অভিযান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে মাওবাদীরা। প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাহিনী। দু’পক্ষের লড়াইয়ে নিকেশ হয় এক মহিলা সহ ছয় মাওবাদী।

    আরও পড়ুুন: “আপনার বাড়ির নাম যদি বদলে দিই, বাড়িটা আমার হয়ে যাবে?”, চিনকে তোপ জয়শঙ্করের

    দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ভোট হবে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। সেদিন দেশের আরও কয়েকটি কেন্দ্রের সঙ্গে নির্বাচন হবে বস্তার যে লোকসভা কেন্দ্রের অধীন, সেখানেও। নির্বাচনে অশান্তি পাকাতেই এলাকার বিভিন্ন জঙ্গলে জড়ো হয়েছে মাওবাদীরা। মাওবাদীদের সেই চক্র দুরমুশ করতেই অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী (Chhattisgarh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: “আপনার বাড়ির নাম যদি বদলে দিই, বাড়িটা আমার হয়ে যাবে?”, চিনকে তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “আপনার বাড়ির নাম যদি বদলে দিই, বাড়িটা আমার হয়ে যাবে?”, চিনকে তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ যদি আমি আপনার বাড়ির নাম বদলে দিই, তাহলেই কী বাড়িটা আমার হয়ে যায়?” দক্ষিণ গুজরাট চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রশ্নটি ছুড়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। অরুণাচল প্রদেশ ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। অথচ মাঝে মধ্যেই ভারতের এই অঙ্গরাজ্যটির বিভিন্ন অংশের নাম বদলে দিচ্ছে চিন।

    অরুণাচলের নাম বদলাচ্ছে চিন (S Jaishankar)

    ফি বছর মানচিত্র প্রকাশের আগে অরুণাচলের এক একটি এলাকার নাম বদলে দিচ্ছে চিন। সম্প্রতি ফের অরুণাচলের ৩০টি এলাকার নাম বদলে দিয়েছে বেজিং। চিন যে ৩০টি এলাকার নাম পরিবর্তন করেছে, তার মধ্যে রয়েছে ১২টি পর্বত, চারটি নদী, একটি হ্রদ, একটি পর্বত গিরিপথ, ১১টি আবাসিক এলাকা এবং একটি জমি। চিনা ভাষায় জায়গাগুলির নামও লিখে ফেলেছে ড্রাগনের দেশ। এদিনের অনুষ্ঠানে সেই কারণেই চিনকে নিশানা করেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    তিনি বলেন, “আজ যদি আমি আপনার বাড়ির নাম বদলে দিই, তাহলেই কী বাড়িটা আমার হয়ে যায়? অরুণাচল প্রদেশ চিরকাল ভারতের ছিল, আছে এবং থাকবে। তাই নাম পরিবর্তনের কোনও প্রভাব পড়বে না। আমাদের বাহিনী মোতায়েন রয়েছে সেখানে (প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায়)।” ১৯১৭ সালে চিন অরুণাচলের ছ’টি জায়গার জন্য ‘প্রমিত’ নামের একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছিল। ২০২১ সালে ১৫টি জায়গার নাম সম্বলিত দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করে। ২০২৩ সালে আরও একটি তালিকা প্রকাশ করে বেজিং। এতে নাম ছিল ১১টি জায়গার।

    তার পর এবার ফের বদলে ফেলল অরুণাচলের ৩০টি জায়গার নাম। তিনি বলেন, “এটা (অরুণাচলের জায়গার নাম বদল) নতুন কোনও ইস্যু নয়। এটা চিনের দাবির বর্ধিত অংশ। তাদের এই দাবি আগেও হাস্যকর ছিল, এখনও হাস্যকরই রয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “ভোটারদের তেজপাতা মনে করেন মমতা”, শীতলকুচির সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    দিন কয়েক আগে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও বলেছিলেন, “অরুণাচল ইস্যুতে আমাদের অবস্থান বরাবর স্পষ্ট। তাই চিন যতবার ইচ্ছা, তার ভিত্তিহীন দাবির পুনরাবৃত্তি করতে পারে। তবে কী জানেন, অরুণচল প্রদেশ ভারতের ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israeli Air Strike: সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হানা, হত ১১, কাঠগড়ায় ইজরায়েল

    Israeli Air Strike: সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হানা, হত ১১, কাঠগড়ায় ইজরায়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাস লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ঘটনায় ইরানের সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ কর্তা সহ অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সিরিয়ার রাজধানীতে এই ঘটনায় ইজরায়েলের (Israeli Air Strike) হাতই দেখছে ইরান। যদিও এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে তেল আভিভ।

    ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্ব (Israeli Air Strike)

    সিরিয়ার সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, ইজরায়েলি হানার লক্ষ্যই ছিল ইরানের কনস্যুলেট। লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লা গোষ্ঠীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শত্রুদের শাস্তি ও প্রতিশোধ না নিয়ে ছাড়া হবে না। তারা এও বলেছে, এজন্য (ক্ষেপণাস্ত্র হামলা) তাদের (ইজরায়েলকে) মূল্য চোকাতে হবে। মুসলিম রাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে ইহুদি দেশ ইজরায়েলের (Israeli Air Strike) দ্বন্দ্ব নতুন নয়। তবে ইদানিং সমস্যার সূত্রপাত ইজরায়েল-হামাস লড়াইকে কেন্দ্র করে। মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস হামলা চালায় ইজরায়েলে। নৃংশসভাবে খুন করে বহু সাধারণ মানুষকে।

    বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর পাশে রয়েছে ইরান

    অচিরেই পায়ে পা তুলে এই ‘ঝগড়া’ করার মাশুল গুণতে হয় হামাসকে। হামাসের দখলে থাকা প্যালেস্তাইনের গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইজরায়েল। এই হামাসদের পাশে দাঁড়িয়ে যায় মুসলিম রাষ্ট্র সিরিয়া, ইরান। ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিও হামাসের পাশে দাঁড়িয়েছে। মহাসাগর দিয়ে চলচলকারী জাহাজের ওপর হামলা চালাচ্ছে তারা। এই হুথির পাশেও দাঁড়িয়েছে ইরান। এরই পাল্টা হিসেবে সিরিয়া ও ইরানের নির্দিষ্ট এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলও।

    জানা গিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হানায় যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ রেজা জাহেদি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ হাদি হাজি রহিমি-সহ সাত আধিকারিক। বাকিদের মধ্যে দু’জন সিরিয়া ও অন্যজন লিবিয়ার বাসিন্দা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, দামাস্কাসে ইরানের কনস্যুলেটের ওপর ইজরায়েলের হামলা সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল।

    আরও পড়ুুন: “ভোটারদের তেজপাতা মনে করেন মমতা”, শীতলকুচির সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    কিছু দিন আগেই সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে ঘাতক হানা দিয়ে অন্তত ৪০ জনকে খতম করেছিল ইজরায়েল। নিহতদের মধ্যে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য ও সিরিয়ার সেনাবাহিনীর আধিকারিকরাও ছিলেন বলে খবর। ঘটনার জেরে ক্ষোভ উগরে দেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আবেদোল্লাহিয়ান। সিরিয়ার বিদেশমন্ত্রীকে ফোনে তিনি বলেন, “সব রকম আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ভেঙে দিয়েছে তেল আভিভ (Israeli Air Strike)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share