Tag: news in bengali

news in bengali

  • Nuh Violence: হিন্দুদের শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে গুলি ‘একে-৪৭’ থেকে! নুহ্-এর সংঘর্ষ কি পূর্ব-পরিকল্পিত?

    Nuh Violence: হিন্দুদের শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে গুলি ‘একে-৪৭’ থেকে! নুহ্-এর সংঘর্ষ কি পূর্ব-পরিকল্পিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ঘটে যাওয়া বীভৎসতার পর ৪৮-ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু সেদিনের কথা মনে পড়লেই এখনও শিউরে উঠছেন অনেকে। চোখে-মুখে মৃত্যুর আতঙ্ক। প্রাণে বেঁচে গেলেও, এখনও ত্রস্ত রয়েছেন হরিয়ানার মেওয়াটের নুহ্-তে (Nuh Violence) হিন্দু শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া পুণ্যার্থীরা।

    মহাভারত-সময়কালের মন্দির!

    প্রতি বছরের মত এবছরও শ্রাবণ মাসের সোমবার উপলক্ষে মুসলিম-অধ্যুষিত হরিয়ানার (Haryana Violence) মেওয়াটে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। ‘ব্রিজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রা’-য় কয়েক হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল নুহ্-তে অবস্থিত নলহাড়ে পঞ্চ শিবমন্দিরে গিয়ে পুজো দেওয়া। কথিত আছে, এই মন্দির নাকি মহাভারত-সময়কালের। সেই মন্দিরের পথেই এগোচ্ছিল শোভাযাত্রা। গুরুগ্রাম আলওয়ার হাইওয়েতে শোভাযাত্রা আটকে দেয় এক দল বিক্ষুব্ধ জনতা।

    তালিবানি স্টাইলে হত্যা হিন্দু পুণ্যার্থীকে!

    এর পরই শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় (Nuh Violence)। পুণ্যার্থীদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় গুলি। ধেয়ে আসে অ্যাসিডের বোতল। জানা যাচ্ছে, অনেক মহিলা পুণ্যার্থীর সম্মানহানিও করা হয়। যাত্রায় অংশ নেওয়া প্রায় ৩০টি সরকারি ও বেসরকারি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ভীত-সন্ত্রস্ত মানুষ মন্দিরে আশ্রয় নেন। সেখানেও হামলা চালানো হয়। সেদিনের হামলায় ৬ জন মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে দুই হোমগার্ড ও এক নাগরিক গুলিতে মারা যান। আহতের সংখ্যা প্রায় ৬০। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম অভিষেক রাজপুত। তিনি ছিলেন ওই দিনের হামলাকারী মুসলিমদের প্রথম শিকার। প্রথমে অভিষেককে গুলি করা হয়। গুলি লাগে তাঁর পেটে। কিন্তু, তাতেই ক্ষান্ত হয়নি হামলাকারীরা। তালিবানদের মতো নলি কেটে বড় পাথর দিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। সেখানেই মারা যান পেশায় মেকানিক অভিষেক।

    আরও পড়ুন: ফের উত্তেজনা হরিয়ানায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ গুরুগ্রামের সাংসদের

    ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন আক্রান্তরা

    পরে, আক্রান্ত পুণ্যার্থীদের উদ্ধার করে নুহ্  (Nuh Violence) পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই নিজেদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনান আক্রান্তরা। সেদিন কী ঘটেছিল, তা বর্ণনা করতে গিয়ে এক পুণ্যার্থী বলেন, জলাভিষেক করে ফেরা প্রথম বাসটিকে মন্দির থেকে এক কিলোমিটার দূরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তার পর পরই আরও ১৪-১৫টা গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তিনি যোগ করেন, খবর পেয়ে যখন তাঁদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, তখন তাঁদের গাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ওই আক্রান্ত স্পষ্ট দাবি করেন, একেবারে এক-৪৭ থেকে গুলি করা হয় পুণ্যার্থীদের লক্ষ্য করে। তিনি বলেন, ‘‘মন্দিরটি তিন দিকে পাহাড় দিয়ে ঘেরা। হামলাকারীরা ওই পাহাড় থেকে তিনদিক দিয়ে আমাদের গুলি করছিল।’’

    ৬ মাস আগে থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা?

    আরেকজন পুণ্যার্থী জানান, পুলিশ পৌঁছে হামলাকারীদের (Nuh Violence) লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। তবে, হামলাকারীরা প্রস্তুত হয়েই এসেছিল। এক-ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয়। তিনি যোগ করেন, জলাভিষেক যাত্রায় প্রায় ২৫ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। ওই হামলার পর ৬-৭ হাজার মানুষ মন্দিরে আশ্রয় নেন। পুলিশ সাত ঘণ্টার চেষ্টায় তাঁদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। আরেক পুণ্যার্থীর দাবি, তিনি এক কিশোরকেও বন্দুক চালাতে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বছর ১৪ কি ১৫র এক কিশোর আগ্নেয়াস্ত্র চালাচ্ছিল। এর থেকেই পরিষ্কার, ওরা ৬ মাস আগে থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা করে রেখেছিল।’’

    ‘‘হিন্দুদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় প্রথমে’’

    হিন্দুদের ওপর হামলার (Haryana Violence) ঘটনা যে পূর্ব-পরিকল্পিত, তার ইঙ্গিত মিলেছে ওই হামলায় আহত হওয়া এক পুলিশ আধিকারিকের কথাতেও। তিনি বলেন, হিন্দুদের শোভাযাত্রা ঠিকঠাক চলছিল। তিরঙ্গা মোড়ে পৌঁছতেই পাথর হামলা শুরু হয়। তিনি যোগ করেন, হিন্দুদের শোভাযাত্রাকে আটকে সেখান দিয়ে একটি মিছিল বের করে মুসলিমরা। সেখান থেকেই হিন্দুদের লক্ষ্য করে প্রথমে পাথর ছোড়া শুরু হয়। অন্তত ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

    ঠিক একই সময়ে সাইবার থানায় হামলা হল কেন?

    শুধু হিন্দুদের শোভাযাত্রায় হামলা (Haryana Violence) চালানোই নয়। পুণ্যার্থীদের একটি বাস হাইজ্যাক করে নুহে্র সাইবার পুলিশ থানায় হামলা চালানো হয় সেদিনই। তেমনই একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বাসটি সোজা থানায় গিয়ে ধাক্কা মারে। লক্ষ্য ছিল, পুলিশের কাছে অপরাধের যে যে অভিযোগ ও নথিপ্রমাণ রয়েছে, তা নষ্ট করা। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েক বছরে দেশের সাইবার অপরাধের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল নুহ্। যে কারণে ২ বছর আগে এখানে সাইবার ক্রাইম শাখা পুলিশ থানা গঠন করা হয়। গত মে মাসেই, নুহ্ থেকে একটি সাইবার ক্রাইম চক্র ধরা পড়ে পুলিশের জালে। অভিযোগ, ২৮ হাজার মানুষকে ঠকানো হয়েছিল বিভিন্ন উপায়ে। প্রায় ১০০ কোটির প্রতারণা হয়েছিল। ১৪টি গ্রামে হানা দিয়ে ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২৫০ জন এখনও পলাতক। দায়ের করা হয়েছিল প্রায় ১৩৫০ মামলা।

    ‘‘মিনি পাকিস্তান মেওয়াট’’! দাবি ভিএইচপি নেতার

    এর থেকেই গোয়েন্দাদের ধারণা, এই হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত। বেশ কিছু দিন আগে থেকেই এর ছক কষা হয়েছে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর ও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ দুজনই একমত যে, এই হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত এবং এর নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। নুহ্ হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংগঠনের যুগ্ম কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন বলেন, ‘‘হরিয়ানার নুহ্-তে (Nuh Violence) যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যাত্রা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যেই বন্দুক, লাঠি ও তরোয়াল দিয়ে হামলা চালানো হয়। এক দিক দিয়ে ধেয়ে আসছিল বুলেট, অন্যদিক থেকে অ্যাসিডের বোতল। পাহাড়ে চড়ে মন্দিরেও ঢুকে পড়ে হামলাকারীরা।’’ এমনকী, মেওয়াটকে মিনি পাকিস্তান হিসেবে উল্লেখ করেন সুরেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: শনিবারই প্রবেশ চন্দ্র-কক্ষপথে! পৃথিবীর টান কাটিয়ে চাঁদের পথে এগোচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: শনিবারই প্রবেশ চন্দ্র-কক্ষপথে! পৃথিবীর টান কাটিয়ে চাঁদের পথে এগোচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রাভিযানে (ISRO Moon Mission) গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পার করলো ইসরো। পৃথিবীর ‘মায়া’ কাটিয়ে চাঁদের দেশের উদ্দেশে রওনা দিল ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সোমবার রাত সোয়া ১২টা নাগাদ পৃথিবীর কক্ষপথে থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে ঠেলে বের করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে লুনার ট্রান্সফার ট্যাজেক্টরি। এর ফলে, পাকাপাকিভাবে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাটিয়ে এবার চন্দ্র-বৃত্ত বা চন্দ্র কক্ষপথের দিকে এগিয়ে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’।

    মধ্যরাতে ঠিক কী ঘটেছে?

    এটা সকলেই জানেন যে, নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে পৃথিবী। এই কক্ষপথকে বলা হয় আর্থ অরবিট। ঠিক একইভাবে, চাঁদও পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। আর চাঁদ সেই প্রদক্ষিণ করে চলে তার নিজস্ব কক্ষপথ ধরেই। যাকে বলা হয় লুনার অরবিট। আবার চাঁদ একইধারে পৃথিবীর সঙ্গেই সূর্যের চারপাশেও প্রদক্ষিণ করছে। ইসরো কর্তাদের মতে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ, ‘চন্দ্রযান ৩’-কে এক কথায় নিক্ষেপ করা হলো বা ঠেলে দেওয়া হলো চাঁদের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন।

    কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই প্রক্রিয়া?

    ইসরো জানিয়েছে, সোমবার রাত সওয়া ১২টা নাগাদ মিশন কন্ট্রোল (ISTRAC) থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং বা চালু করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও জটিল বলে জানিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। একেবারে সেকেন্ডের ভগ্নাংশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অঙ্ক কষে সেই হিসেব অনুযায়ী রকেট ফায়ার করতে হয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এটা এতটাই সুক্ষ্ম যে, এক সেকেন্ডের হেরফের হয়ে গেলেই ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) চাঁদের দিকে এগনোর বদলে সোজা চিরতরে গভীর মহাকাশে (Deep Space) হারিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু, ইসরোর বিজ্ঞানীদের কুর্ণিশ (ISRO Moon Mission)। একেবারে সঠিক অঙ্ক কষেই তাঁরা ‘চন্দ্রযান ৩’ মহাকাশযানকে তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকেই ঠেলে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন।

    এতদিন কোথায় ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’?

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল। সেই থেকে টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে চলেছিল এই মহাকাশযান। অর্থাৎ, এতদিন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ঘেরাটোপেই ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। তবে, ঘোরার ফাঁকে নিজের গতিও বাড়িয়ে চলছিল। পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে করতে নিজের কক্ষপথ পাঁচবার বাড়িয়ে নিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। এই প্রক্রিয়া, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে অরবিট রেইজিং ম্যানুভার, তার মাধ্যমে কক্ষপথের সঙ্গে সঙ্গে গতি বাড়িয়ে নিচ্ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। গতকাল সে শেষবারের মতো পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। তারপর মধ্যরাতে, ‘চন্দ্রযান ৩’-কে চাঁদের রাস্তায় ঠেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    এবার কী হবে? পরের ধাপ কী?

    এখন লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে (Chandrayaan 3)। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ সোজা এগিয়ে যাবে চাঁদের দিকে। জানা যাচ্ছে, ৫ থেকে ৬ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এই বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে লুনার অরবিট ইনসার্টশন। তারপর চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শেষ পর্যন্ত ভারতের চন্দ্রযানকে চন্দ্র কক্ষপথে টেনে আনবে। সেখানে একইভাবে পাঁচবার চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে নিজের কক্ষপথ সঙ্কোচন ও গতি কমানোর প্রক্রিয়া চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার। শেষ ধাপে চাঁদের ১০০ কিলোমিটারের কক্ষপথে পৌঁছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের বুকে চূড়ান্ত অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Chandrayaan 3: আজ মধ্যরাতে চাঁদের রাস্তায় পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’, কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রক্রিয়া?

    Chandrayaan 3: আজ মধ্যরাতে চাঁদের রাস্তায় পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’, কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রক্রিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের চন্দ্র মিশনে (ISRO Moon Mission) আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ মধ্যরাতে ঘটতে চলছে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। সব ঠিকঠাক চললে, আজ রাত থেকে চাঁদের দিকে সরাসরি এগিয়ে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)।

    এখন ঠিক কোথায় আছে ‘চন্দ্রযান ৩’?

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল (ISRO Moon Mission)। সেই থেকে টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে চলেছে এই মহাকাশযান। অর্থাৎ, এখনও পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ঘেরাটোপেই রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। তবে, ঘোরার ফাঁকে নিজের গতিও বাড়িয়ে চলেছে। এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে করতে নিজের কক্ষপথ পাঁচবার বাড়িয়ে নিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। এই প্রক্রিয়া, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে অরবিট রেইজিং ম্যানুভার, তার মাধ্যমে কক্ষপথের সঙ্গে সঙ্গে গতি বাড়িয়ে নিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। বর্তমানে পৃথিবীকে শেষবার প্রদক্ষিণ করছে মহাকাশযানটি। যাকে বলা হচ্ছে ফাইনাল আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভার। এখন সেটি রয়েছে পৃথিবী থেকে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০৯ কিলোমিটার (অ্যাপোজি বা পৃথিবী থেকে দূরে) x ২৩৬ কিলোমিটার (পেরিজি বা পৃথিবী থেকে নিকট) পরিধির ডিম্বাকৃতি কক্ষপথে। 

    আজ মধ্যরাতে কী ঘটতে চলেছে?

    আজ রাতে ইসরোর মিশন কন্ট্রোল থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং বা চালু করা হবে। এর ফলে, ফের একবার কক্ষপথ পরিবর্তন করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। তবে তফাতের মধ্যে, এবার আর পৃথিবীর কক্ষপথে সীমাবদ্ধ থাকবে না ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। আজকের এই বিশেষ প্রক্রিয়ার ফলে, ‘চন্দ্রযান ৩’ সোজা এক লাফে প্রতিস্থাপিত হবে চাঁদের কক্ষপথের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘লুনার ট্রান্সফার ট্যাজেক্টরি’। ইসরো সূত্রে খবর, এই বিশেষ প্রক্রিয়াটি হতে চলেছে রাত ১২টা থেকে রাত দেড়টার মধ্যে। 

    কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই প্রক্রিয়া?

    এটা সকলেই জানেন যে, নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে পৃথিবী। এই কক্ষপথকে বলা হয় আর্থ অরবিট। ঠিক একইভাবে, চাঁদও পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। আর চাঁদ সেই প্রদক্ষিণ করে চলে তার নিজস্ব কক্ষপথ ধরেই। যাকে বলা হয় লুনার অরবিট। আবার চাঁদ একইধারে পৃথিবীর সঙ্গেই সূর্যের চারপাশেও প্রদক্ষিণ করছে। ইসরো কর্তাদের মতে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ, আজ ‘চন্দ্রযান ৩’-কে এক কথায় নিক্ষেপ করা হবে বা ঠেলে দেওয়া হবে চাঁদের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ‘ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন’। 

    আজই কি চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’?

    আজকের বিশেষ প্রক্রিয়ার ফলে চাঁদের কক্ষপথের দিকে এগিয়ে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। এরপর প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ সোজা এগিয়ে যাবে চাঁদের দিকে। জানা যাচ্ছে, ৫ থেকে ৬ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এই বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘লুনার অরবিট ইনসার্টশন’। তারপর চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শেষ পর্যন্ত ভারতের চন্দ্রযানকে চন্দ্র কক্ষপথে টেনে আনবে। সেখানে একইভাবে পাঁচবার চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে নিজের কক্ষপথ সঙ্কোচন ও গতি কমানোর প্রক্রিয়া চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার। শেষ ধাপে চাঁদের ১০০ কিলোমিটারের কক্ষপথে পৌঁছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের বুকে চূড়ান্ত অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    কোথায় অবতরণ করবে?

    ইসরোর (ISRO Moon Mission) তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমায় অবতরণ করার কথা এই মহাকাশযানের। এই এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২৩ বা ২৪ তারিখ চাঁদে অবতরণ করার পর সেখানে গবেষণা চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এখনও পর্যন্ত যে তিনটি দেশ চাঁদে পা রেখেছে, তাদের কেউই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে পারেনি। চাঁদের নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছে অবতরণ করেছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Dengue Outbreak: ‘‘ডেঙ্গি আসছে বাংলাদেশ থেকে’’! রাজ্যে প্রকোপ বাড়তেই সাফাই মমতার

    West Bengal Dengue Outbreak: ‘‘ডেঙ্গি আসছে বাংলাদেশ থেকে’’! রাজ্যে প্রকোপ বাড়তেই সাফাই মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার মরশুম শুরু হতেই রাজ্যে শুরু ডেঙ্গির (West Bengal Dengue Outbreak) প্রকোপ। সরকারের পেশ করা হিসেব অনুযায়ী, গত ২ সপ্তাহে ডেঙ্গিতে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। বেসরকারি মতে এ পর্যন্ত ডেঙ্গিতে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। কিন্তু, কেন বর্ষা নামতেই রাজ্যে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়ে গেল কেনই বা, গত বছরের থেকে শিক্ষা নিল না রাজ্য প্রশাসন (West Bengal Health Department)?

    ডেঙ্গি নিয়ে কী সাফাই প্রশাসনের?

    এরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেই নিরিখে, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করেন, রাজ্যে ডেঙ্গি (West Bengal Dengue Outbreak) সমস্যা প্রধানত এসেছে বাইরে থেকে। তাঁর মতে, ডেঙ্গি সমস্যা আসছে বাংলাদেশ থেকে। তিনি জানান, মূলত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় ডেঙ্গির বেশি প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ তত্ত্ব শোনাচ্ছেন, সেখানে জেলা প্রশাসন আবার পঞ্চায়েত ভোটকে ঢাল হিসেবে খাড়া করছে। প্রতিবারের মতো, এবছরও ডেঙ্গির প্রকোপ ধরা পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। সেই জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের আবার দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ব্যাহত হয়েছে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ।

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দাবিকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মতে, তাহলে তো এখন বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠানো উচিত। সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওঁর উচিত অবিলম্বে চার্টার্ড বিমান নিয়ে ঢাকা যাওয়া। সঙ্গে ক্যানিংয়ের শওকত মোল্লা, ভাঙড়ের আরাবুল ইসলাম, ফলতার জাহাঙ্গিরদের নিয়ে যাবেন। কারণ, সীমান্ত এলাকায় এঁরা কাজকর্ম করেন, কে কী ভাবে ঢুকবে না ঢুকবে, নিয়ন্ত্রণ করেন। ডেঙ্গি বাংলাদেশ থেকে এলে এঁদেরও ব্যাপারটা দেখা উচিত। এই প্রতিনধিদল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনায় বসুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে!’’

    এদিকে, ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে (West Bengal Dengue Outbreak) দুই পর্যায়ে বৈঠক করল রাজ্য সরকার। প্রথমে, সব জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতালের সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। পরে বিকেলে সব জেলা-কর্তাদের সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এর পরই, রাজ্যের তরফে ডেঙ্গি মোকাবিলায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়। হাসপাতালগুলি ও চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ গাইডলাইন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ভবন (West Bengal Health Department)।

    আরও পড়ুন: দশ হাজারের নিচে নামলে তবেই প্লেটলেট! ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের নয়া নির্দেশিকায় বিতর্ক

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা রাজ্যের

    নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, পরীক্ষার বিষয়টাতে এতটাই জোর দিতে হবে যাতে কোনও ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ার ঘটনা চোখ এড়িয়ে না যায়, পরীক্ষায় যেন দেরি না হয়। প্রত্যেক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর হিসেব রাখা হয়। ডেঙ্গি পরীক্ষার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২ থেকে ৭ দিন জ্বরে অসুস্থ থাকলেও পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এছাড়া মাথা ব্যাথা, রক্তক্ষরণ, দেহে র‌্যাশ বেরনোর মতো উপসর্গ থাকলেই ডেঙ্গি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক বলে উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। অর্থাৎ মশাবাহিত এই দুই রোগ নিয়ে যাতে কোনও রকম গা ছাড়া মনোভাব না দেখা যায়, সে ব্যাপারেই সতর্ক করেছে রাজ্য।

    বৈঠকে স্থির হয়েছে, প্রতিটি হাসপাতালে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ‘ফিভার ক্লিনিক’ চালু রাখতে হবে সর্বক্ষণ। সেটি দেখাশোনার দায়িত্ব এক জন সহকারী সুপারের। জেলায় ডেঙ্গি দমনে ৯০০০ চিকিৎসক, প্যারা মেডিক্যাল কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, হাসপাতালগুলি এবং ব্লাড ব্যাঙ্কে অণুচক্রিকার (প্লেটলেট) জোগানে যাতে কোনও ঘাটতি না থাকে। রাজ্যের যে সব হাসপাতালে ডেঙ্গি (West Bengal Dengue Outbreak) আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা বেশি, সেখানে ডেঙ্গি পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালকেও ডেঙ্গি রোগীদের জন্য বেড তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal BJP: নারী সুরক্ষা ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য বিধানসভা! প্রস্তাব পেশে ‘বাধা’, ওয়াকআউট বিজেপির

    West Bengal BJP: নারী সুরক্ষা ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য বিধানসভা! প্রস্তাব পেশে ‘বাধা’, ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী নির্যাতনের ইস্যুতে বুধবার উত্তাল রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন৷ রাজ্যে মহিলা নির্যাতনের ইস্যুতে এদিন বিধানসভায় অগ্নিমিত্রা পালের আনা দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব পড়তে বাধা দেওয়া হলে স্লোগান তুলে ওয়াকআউট করেন বিজেপির (West Bengal BJP) বিধায়করা৷

    প্রস্তাব পেশ করতে বাধা বিজেপিকে!

    বুধবার অধিবেশন শুরু হতেই রাজ্যের নারীসুরক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব আনে বিজেপি (West Bengal BJP)৷ তবে, সেই প্রস্তাব পাঠের অনুমতি মেলেনি বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের৷ এরপরেই উত্তপ্ত হয় বিধানসভা। অধিবেশন কক্ষে স্লোগান তুলে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে ওয়াকআউট করে বিজেপি৷ বিধানসভার চত্বরেও স্লোগান দিতে থাকেন মহিলা বিজেপি বিধায়করা। অগ্নিমিত্রা পালদের অভিযোগ, রাজ্যে নির্যাতিত হচ্ছেন মহিলারা, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কোনও পদক্ষেপ করছেন না! 

    কী বলছেন অগ্নিমিত্রা পাল?

    আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘‘একুশের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু মণিপুরের কথা বললেন৷ আমরাও ওই ঘটনার নিন্দা করি৷ কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেটা নিয়ে কিছু বলা হচ্ছে না৷ ওঁরা কি বাংলার মেয়ে নয়? একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীই বাংলার মেয়ে?’’ এদিকে, আলোচনার সময়ে কেন স্লোগান তোলা হলো, বিরোধীদের এই আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপির ওয়াকআউট নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন তিনি৷

    বিজেপি মহিলা মোর্চার দুদিন ব্যাপী ধর্না

    এদিকে, পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস ও হিংসার প্রতিবাদে ধর্নায় নামছে বিজেপি মহিলা মোর্চা (BJP Mahila Morcha)৷ আজ, বুধবার এবং আগামিকাল ধর্নায় বসতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি মহিলা মোর্চা৷ জানা যাচ্ছে, শ্যামবাজারের মোড়ে দু’দুদিন ব্যাপী এই ধর্না প্রদর্শন করবে মহিলা মোর্চা৷ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এই ধর্না কর্মসূচি। বঙ্গ বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র ধর্নার নেতৃত্ব দেবেন৷ তিনি জানান, রাজ্যে লাগাতার অশান্তি, মানুষের উপর হামলা, হত্যা চলছে৷ এমনকী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে৷ ভোট সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এই ধর্নার ডাক দেওয়া হয়েছে৷

    যোগ দেবেন শুভেন্দু-অগ্নিমিত্রারা?

    মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে ফাল্গুনী পাত্র (BJP Mahila Morcha) বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন স্বেচ্ছাচারী মানুষ৷ তিনি কোনও আইন মানেন না৷ তিনি রাজতন্ত্র কায়েম করতে চাইছেন৷ তিনি কাউকে তোয়াক্কা করেন না৷ আর এতে সন্ত্রাসবাদীরা আরও ইন্ধন পাচ্ছে৷ তিনি শুধুনিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছেন৷ তাই পশ্চিমবঙ্গে এমন জঙ্গলরাজ তৈরি হয়েছে৷’’ জানা যাচ্ছে, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল-সহ অন্য বিজেপি (West Bengal BJP) নেতারা এই ধর্না মঞ্চে উপস্থিত থাকতে পারেন৷ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: বুধবার সকালেও ফের প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই, আবারও মানিককে জেরা শুরু

    Manik Bhattacharya: বুধবার সকালেও ফের প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই, আবারও মানিককে জেরা শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে এক দফা জেরা-পর্ব হয়েছিল। এবার বুধবার সকালেই দ্বিতীয় দফায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) জেরার জন্য কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ আবারও প্রেসিডেন্সি জেলে যান তদন্তকারীরা। পোস্টিং-দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়েই তাঁকে জেরা করা হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। আজ কি মানিককে হেফাজতে নেবে সিবিআই? বাড়ছে জল্পনা।

    এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরেই প্রাথমিক নিয়োগকাণ্ডের (Primary TET Scam) নতুন মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাটার্যকে রাতেই জেরা করার নির্দেশ সিবিআইকে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সেই মতো মঙ্গলবার রাতেই প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে যায় সিবিআই আধিকারিকের দল। প্রায় দু’ঘণ্টার ওপর সময় ধরে জেলবন্দি মানিককে করা হয় জেরা। 

    জেরায় চার সদস্যের সিবিআই টিম

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail) পৌঁছয় সিবিআইয়ের ৪ সদস্যের টিম। ওই টিমের নেতৃত্বে ছিলেন একজন এসপি পদমর্যাদার অফিসার। ছিলেন, দু’জন ইন্সপেক্টর। বিচারপতির নির্দেশ ছিল, গোটা জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। সেই মোতাবেক, এদিন সিবিআই টিমে ছিলেন একজন ভিডিয়োগ্রাফি এক্সপার্টও। সূত্রের খবর, জেলের ভিতর ইন্টারোগেশন রুমে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। সেখানেই এসপি কল্যাণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে মানিককে জেরা করছেন দু’টি পৃথক মামলার তদন্তকারী আধিকারিক মলয় দাস, ওয়াসিম আক্রম। প্রায় আড়াই ঘণ্টা জেলে ছিল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে যান তাঁরা।

    কী নিয়ে নতুন মামলা?

    প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘পোস্টিং’ নিয়ে দুর্নীতির (Teacher Posting Scam) অভিযোগ তুলে একটি মামলা করেন সুকান্ত প্রামাণিক। তাঁর দাবি, ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন তাঁদের বলা হয়েছিল নিজের জেলায় কোনও শূন্যপদ নেই। অভিযোগ, কাউন্সেলিং-এর ঠিক ১৭ দিন পরই চার জেলায় ৪০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। গতকাল, এই মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে। শুনানি চলছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে। কাদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল, টাকার লেনদেন হয়েছিল কি না, সেটাই জানতে চায় আদালত। সেখানেই বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, প্রাথমিকের নিয়োগে এটা পরিকল্পিত ভাবে দুর্নীতি হয়েছে। মানিক ছক কষে এই দুর্নীতি ‘ডিজাইন্ড কোরাপশন’ করেছেন। মানিক এই মামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি। তিনি নির্দেশ দেন, প্রয়োজনে মানিককে হেফাজতেও নিতে পারে সিবিআই। এমনকী, এই মামলায় আর্থিক দুর্নীতির দিক উঠে আসলে, তার তদন্তে ইডি-কে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: ছক কষেই দুর্নীতি! জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ সিবিআই-ইডিকে

    ‘ডিজাইন্ড কোরাপশন’ ঠিক কী?

    ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে হয়েছিল কাউন্সেলিং। পরের বছর জুলাই মাসে কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। সেখানে চতুরতার সঙ্গে ড্রাফট লেখা হয়েছিল। হোম ডিস্ট্রিক্ট ফাঁকা না দেখিয়ে, প্রেফার্ড ডিস্ট্রিক্টকে পছন্দ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কাউন্সেলিং পর্বে প্রার্থীদের বলা হয় ‘লাস্ট চান্স’। যদিও সেবারই তাঁরা প্রথম সুযোগ পাচ্ছিলেন। এখানেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। তিনি জানান, যে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পেয়েছেন মানিক (Manik Bhattacharya), সেই মামলার সঙ্গে এই নতুন মামলার কোনও যোগ নেই। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, তদন্ত চালিয়ে গেলেও, মানিকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: সফল পঞ্চম কক্ষপথ বৃদ্ধি প্রক্রিয়া, শেষ বারের মতো পৃথিবীর চক্কর কাটছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: সফল পঞ্চম কক্ষপথ বৃদ্ধি প্রক্রিয়া, শেষ বারের মতো পৃথিবীর চক্কর কাটছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর চারদিকে চক্কর কাটার শেষ ল্যাপে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। শেষ বারের মতো পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে মহাকাশযান। এর পর, চিরতরে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চাঁদের দেশে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুরে মহাকাশযানের পঞ্চম তথা শেষ অরবিট রেইজিং ম্যানুভার বা কক্ষপথ পরিধি প্রসার প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

    কোথায় রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ 

    এদিন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তরফে একটি ট্যুইট করে এই খবর জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরু-স্থিত ইসরোর কমান্ড সেন্টার ‘ইসট্র্যাক’ থেকে সফলভাবে পঞ্চম আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিনের প্রক্রিয়ার ফলে, বর্তমানে পৃথিবী থেকে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০৯ কিলোমিটার (অ্যাপোজি বা পৃথিবীর দূরে) X ২৩৬ কিলোমিটার (পেরিজি বা পৃথিবীর নিকট) পরিধির ডিম্বাকৃতি কক্ষপথে প্রতিস্থাপিত হয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)।

    ১ অগাস্ট মধ্যরাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হতে চলেছে!

    ইসরোর (ISRO Moon Mission) তরফে জানানো হয়েছে, এর পরের ধাপ আসতে চলেছে ১ অগাস্ট। সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ, ওই দিন রাত ১২টা থেকে রাত ১টার মধ্যে একটা বড় লাফ দিতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’, যাকে বলা হচ্ছে ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন। বিশেষ রকেট ফায়ার করানোর মাধ্যমে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে পাঠিয়ে দেওয়া হবে চাঁদের কক্ষপথের উদ্দেশে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় লুনার ট্রান্সফার ট্যাজেক্টরি। এক কথায়, চাঁদের কক্ষপথের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে। এটা এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ কারণ, সেদিনই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে চিরতরে হারিয়ে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। 

    ৫ থেকে ৬ অগাস্টে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ

    জানা যাচ্ছে, ৫ থেকে ৬ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। তারপর চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শেষপর্যন্ত ভারতের চন্দ্রযানকে চন্দ্র কক্ষপথে টেনে আনবে। সেখানে একইভাবে বার বার রিভার্স ম্যানুভারিংয়ের মাধ্যমে নিজের কক্ষপথ সঙ্কোচন ও গতি কমানোর প্রক্রিয়া চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। অবশেষে চাঁদের ১০০ কিলোমিটারের কক্ষপথে পৌঁছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের বুকে চূড়ান্ত অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ২৩ বা ২৪ তারিখ চাঁদে অবতরণ করার পর সেখান থেকে ছবি পাঠাবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)।

    ধাপে ধাপে কক্ষপথ পরিধি প্রসারণ

    ১৪ জুলাই, অর্থাৎ, গত শুক্রবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘এলভিএম-৩’ রকেট (ISRO Moon Mission)। পৃথিবীর ওপর একটা নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’-কে। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। বলা যেতে পারে, এখনও পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ আওতায় রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। প্রতি প্রদক্ষিণে নিজের কক্ষপথের আয়তনের সঙ্গে সঙ্গে গতি বৃদ্ধিও করে চলেছে এই মহাকাশযান। এর আগে, ১৫ তারিখে প্রথম, ১৭ তারিখে দ্বিতীয়, ১৮ তারিখে তৃতীয় ও ২০ তারিখে চতুর্থ অরবিট রেইজিং ম্যানুভার সম্পন্ন করেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। প্রতিবার নিজের কক্ষপথের পরিধি বৃদ্ধি করেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৫ জুলাই সম্পন্ন হল পঞ্চম তথা চূড়ান্ত ম্যানুভার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Moloy Ghatak: কয়লাকাণ্ডে ফের হাজিরা এড়ালেন মলয় ঘটক, এবার কি গ্রেফতার করবে ইডি?

    Moloy Ghatak: কয়লাকাণ্ডে ফের হাজিরা এড়ালেন মলয় ঘটক, এবার কি গ্রেফতার করবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলায় (Bengal Coal Scam) ফের একবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাজিরা এড়ালেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। যা জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে ১৩ বার নাকি হাজিরা এড়ালেন মন্ত্রীমশায়। গত ১২ জুলাই তাঁকে হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। চলতি সপ্তাহেই তাঁর দিল্লিতে গিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, মন্ত্রীমশাই চিঠি দিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত কিছু কর্মসূচি থাকার কারণে তিনি দিল্লি যেতে পারছেন না।

    বার বার এড়াচ্ছেন হাজিরা

    ইডি সূত্রে দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে, প্রতিবার ১৫ দিন সময় দিয়ে মলয়কে (Moloy Ghatak) ডাকা হচ্ছে। কিন্তু বারেবারে নানা কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়াচ্ছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ২০ ও ২৬ জুন তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি। সেইসময় রাজ্যের মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না। ভোটপর্ব মিটলে তিনি হাজিরা দেবেন। সেই মতো, ভোট মিটে যাওয়ার পর, এবার গত ১২ তারিখ তাঁকে তলবের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, এবারও, তিনি হাজিরা এড়িয়ে গেলেন। 

    কেন তলব মন্ত্রী মলয়কে?

    মলয় ঘটক, একাধারে আইন ও শ্রম মন্ত্রী, অন্যদিকে, খনি এলাকা আসানসোলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল বিধায়ক। ইডি সূত্রে দাবি, কয়লা পাচার মামলায় (Bengal Coal Scam) আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সামনে রেখে মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা শঙ্কর চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। আসানসোল পুরসভার ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপা চক্রবর্তীর স্বামী শঙ্করের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে ইডি-র দাবি।

    আগে জেরা করেছে সিবিআই-ও

    এই মামলায় ইডির আগে, সিবিআইও জেরা করেছিল মন্ত্রীকে। মামলা তদন্তে সিবিআই বিরাট অভিযান চালিয়েছিল। তারা পৌঁছে গিয়েছিল মলয়ের আসানসোলের বর্তমান বাড়ি, পৈতৃক বাড়িতে। এমনকী রাজভবনের মন্ত্রী আবাসনের যে ফ্লোরে মলয় (Moloy Ghatak) থাকেন সেখানেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। পরে, এই মামলায় ইডি-ও সামন্তরাল তদন্ত শুরু করলে, ডাক পড়ে মলয় ঘটকের। যে প্রেক্ষিতে, মন্ত্রীমশাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, অন্তত ১৫ দিন সময় নিয়ে মন্ত্রীকে ডাকতে হবে। সেই মতো, ১২ তারিখ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।

    কী পদক্ষেপ করতে পারে ইডি?

    এদিকে, বার বার ডাকা সত্ত্বেও মলয় ঘটক (Moloy Ghatak) যেভাবে হাজিরা এড়াচ্ছেন, তা আদালত অবমাননার সামিল বলে মনে করছে ইডি। এ নিয়ে আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেও কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর। নিয়ম অনুযায়ী, তদন্তকারী সংস্থা যাকে হাজিরার জন্য ডাকবে তাকে যেতে হবে। না গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ইডি-র। এক্ষেত্রে, তদন্তকারী সংস্থা আদালতের কাছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুর জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি তারা মনে করেন যে তিনি শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ এড়ানোর জন্যই এই কাজ করছেন তবে তাকে গ্রেফতারির জন্য আদালতের কাছে ওয়ারেন্ট ইস্যুর আবেদনও করতে পারেন। কারণ ইডির গ্রেফতার করার ক্ষমতা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • EPF Interest Hike: চাকরিজীবীদের মুখে হাসি! পিএফ-এ সুদের হার বৃদ্ধি কেন্দ্রের, জানুন নতুন রেট

    EPF Interest Hike: চাকরিজীবীদের মুখে হাসি! পিএফ-এ সুদের হার বৃদ্ধি কেন্দ্রের, জানুন নতুন রেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও চওড়া হলো বেতনভোগী চাকরিজিবীদের মুখের হাসি। সোমবার, প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার (EPF Interest Hike) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো মোদি সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে আগের তুলনায় অতিরিক্ত ০.০৫ শতাংশ সুদ বেশি মিলবে। এই মর্মে, এদিন ইপিএফও-র সব অফিসকে নোটিস পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কেন্দ্রের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক বলেছে, ‘‘কর্মচারী ভবিষ্যৎ তহবিল প্রকল্পে ১৯৬২ এর অনুচ্ছেদ ৬০(১) অনুযায়ী, ২০২২-২৩ সালের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড (Provident Fund) স্কিমের প্রতিটি সদস্যের অ্যাকাউন্টে ৮.১৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে।” 

    কত হলো সুদের হার?

    এর আগে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। সেখান থেকে কমিয়ে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পিএফ-এর সুদের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। ২০২০-২১ সালে সেই হারই বহাল রাখা হয়েছিল। তবে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালের পর এটাই পিএফ-এর সর্বনিম্ন সুদের হার। তবে আজ বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হলো পিএফ-এর সুদের হার (EPF Interest Hike) বাড়ানো হচ্ছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য। আজকের সিদ্ধান্তের ফলে, এখন থেকে চাকরিজীবীদের পিএফে সুদের হার হলো ৮.১৫ শতাংশ। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের ছ’কোটি সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবী উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। 

    কেন প্রয়োজন প্রভিডেন্ট ফান্ড?

    ইপিএফ স্কিম বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) এই তহবিল পরিচালানা করে। অবসরকালীন সুবিধা ছাড়াও কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের পরে আর্থিক নিরাপত্তা দেয় এই প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা। এই তহবিলে (EPF Interest Hike) প্রতি মাসে একজন কর্মচারী তাদের উপার্জনের ১২ শতাংশ জমা দেন। কর্মীদের পাশাপাশি মালিকপক্ষও ১২ শতাংশ অবদান জমা করে। তার মধ্যে নিয়োগকর্তার পক্ষ থেকে ৩.৬৭ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। বাকি ৮.৩৩ শতাংশ যায় কর্মচারী পেনশন স্কিমে(EPS)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: সম্পন্ন হল চতুর্থ কক্ষপথ প্রসারণ প্রক্রিয়া, চাঁদের আরও কাছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: সম্পন্ন হল চতুর্থ কক্ষপথ প্রসারণ প্রক্রিয়া, চাঁদের আরও কাছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দিকে চূড়ান্ত যাত্রা শুরু করার আগে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পার করল ‘চন্দ্রযান ৩’। ইসরো জানিয়েছে, এদিন বিকেলে চতুর্থ অরবিট রেইজিং ম্যানুভার বা কক্ষপথ প্রসারণ প্রক্রিয়া সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করেছে চন্দ্রযান মডিউল। এবার পঞ্চম দফায় কক্ষপথ প্রসারণ ঘটানোর পর চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)।

    গতি বৃদ্ধি করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    ১৮ জুলাই, অর্থাৎ, গত শুক্রবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘এলভিএম-৩’ রকেট (ISRO Moon Mission)। পৃথিবীর ওপর একটা নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’-কে। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। বলা যেতে পারে, এখনও পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ আওতায় রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। প্রতি প্রদক্ষিণে নিজের কক্ষপথের আয়তনের সঙ্গে সঙ্গে গতি বৃদ্ধিও করে চলেছে এই মহাকাশযান।  এর আগে, ১৭ তারিখ দ্বিতীয় ও ২০ তারিখ তৃতীয় অরবিট রেইজিং ম্যানুভার সম্পন্ন করেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’।

    ২৫ তারিখ পঞ্চম তথা চূড়ান্ত কক্ষপথ প্রসারণ

    ইসরো জানিয়েছে, আগামী ২৫ তারিখ, দুপুর ২টো থেকে ৩টের মধ্যে পঞ্চম তথা চূড়ান্ত বারের জন্য কক্ষপথ প্রসারণ করবে চন্দ্রযান। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভার। এর পরই, মহাকাশযানে লাগানো বিশেষ রেট্রো রকেট ফায়ার করে পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে লুনার ট্রান্সফার ট্র্যাজেকটরিতে প্রতিস্থাপিত হবে ‘চন্দ্রযান ৩’। বলা যেতে পারে, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ কাটিয়ে পৌনে ৪ লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) পৌঁছে যাবে লুনার অরবিট বা চাঁদের কক্ষপথে। 

    ৫ থেকে ৬ অগাস্টে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ

    জানা যাচ্ছে, ৫ থেকে ৬ অগাস্টে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। সেখানে গিয়ে একইভাবে বার বার রিভার্স ম্যানুভারিংয়ের মাধ্যমে নিজের কক্ষপথ সঙ্কোচন ও গতি কমানোর প্রক্রিয়া চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। অবশেষে চাঁদের ১০০ কিলোমিটারের কক্ষপথে পৌঁছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের বুকে চূড়ান্ত অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ২৩ বা ২৪ তারিখ চাঁদে অবতরণ করার পর সেখান থেকে ছবি পাঠাবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)।

    ‘চন্দ্রযান ৩’-এর স্বাস্থ্য একেবার ঠিক

    বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর এস উন্নিকৃষ্ণণ তিরুঅনন্তপুরম থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উৎক্ষেপণের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) নির্বিঘ্নেই এগিয়ে চলেছে। পরিকল্পনামাফিক তার অগ্রগতি হচ্ছে। কোনও হেরফের এখনও হয়নি। এই অভিযান (ISRO Moon Mission) সফল হলে মহাকাশ গবেষণায় বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশকে পিছনে ফেলে দেবে ভারত।

LinkedIn
Share