Tag: Odisha

Odisha

  • Income Tax Raid: ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডে আয়কর হানায় উদ্ধার ৩০০ কোটি, টাকা গুনতে বিগড়ে গেল মেশিন!

    Income Tax Raid: ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডে আয়কর হানায় উদ্ধার ৩০০ কোটি, টাকা গুনতে বিগড়ে গেল মেশিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগের বৃহস্পতিবারই ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের বেশ কয়েকটি জায়গায় আয়কর দফতরের হানা (Income Tax Raid) চলল। জানা গিয়েছে, আয়কর দফতরের এই অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা নগদ। এত বেশি পরিমাণ টাকা উদ্ধার হওয়াতে টাকা গণনা করতে আনা হয় মেশিন। একটা সময় করে সেই মেশিনও কাজ বন্ধ করে দেয়। ওড়িশার মধ্যে তল্লাশি চলে বালাঙ্গীর এবং সম্বলপুরে। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডের রাঁচি ও লোহারদাগাতেও চলে এই তল্লাশি। আয়কর দফতরের এই অভিযান চলেছে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ শাহুর বাড়িতেও।

    ১২ সদস্যের আয়কর দল হানা দেয় ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায়

    ১২ সদস্যের একটি দল, কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে সিআইএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে এই অভিযান চালায়। বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড (বিডিপিএল) এস শিব গঙ্গা অ্যান্ড কোম্পানি, এবং রানীসাটি প্যাডি প্রসেসিং প্রাইভেট লিমিটেড-এর অফিসে চলে এই হানা (Income Tax Raid)। এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের পরে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তা স্টেট ব্যাঙ্কের বুলাঙ্গীর শাখায়  নিয়ে আসেন একটি ট্রাকে করে।

    ১৫০ কোটি বাজেয়াপ্ত বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড থেকে

    জানা গিয়েছে, মোট ১৫০ কোটি টাকায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড (বিডিপিএল) এর বিভিন্ন শাখা থেকে। এই বিডিপিএল-ই হল দেশের মধ্যে সবথেকে বড় মদ তৈরির কারখানা। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে ওড়িশার বাইরেও এই সংস্থা দেশি মদ বিক্রি করছে কোনও রকম বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই। আয়কর হানায় (Income Tax Raid) রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। বিজেপির সুন্দরগড়ের এমএলএ কুসুম তেতে অভিযোগ এনেছেন যে, ওড়িশার শাসক দল বিজু জনতা দলের নেতা যোগেশ সিং জড়িত রয়েছেন এই কোম্পানির সঙ্গে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Millets: বিশ্ববাসীকে মিলেটের পুষ্টিগুণ চেনাতে ওড়িশায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন

    Millets: বিশ্ববাসীকে মিলেটের পুষ্টিগুণ চেনাতে ওড়িশায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিলেটের (Millets) খাদ্যগুণের কথা অস্বীকার করা যায় না। তাই নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় মিলেট রাখার বিষয়ে নানা সময় সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মিলেটের খাদ্যগুণের কথা স্বীকার করে এবং ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বাজারে জনগণের মধ্যে এই পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে ভারতের অনুরোধে ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রসংঘ।

    শ্রী অন্নকে গুরুত্ব দিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ

    শ্রী অন্নকে গুরুত্ব দিতে প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেশের কোটি কোটি মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণেও সক্ষম হবে। বিশ্ববাসীর কাছে এহেন মিলেটের গুরুত্ব তুলে ধরতে দু’ দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন হচ্ছে ওড়িশায়। ১০ নভেম্বর শুরু হওয়া সম্মেলন চলবে ১১ তারিখ পর্যন্ত। পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে উপজাতির লোকজন ভরসা করেন মিলেটের ওপর। সম্মেলনের মাধ্যমে সেই মিলেটকেই এবার তুলে ধরা হবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে।

    মিলেট প্রতিকূল জলবায়ু সহনশীল

    মিলেট (Millets) প্রতিকূল জলবায়ু সহনশীল। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে বদলে যাচ্ছে বিশ্বের জলবায়ু। তাই প্রয়োজন বিকল্প চাষের। মিলেট হল সেই চাষ, যা প্রতিকূল জলবায়ুতেও দিব্যি শস্য উৎপাদনে সক্ষম। পুষ্টিগুণের কথা মাথায় রেখে মিলেট চাষে উৎসাহ দিচ্ছে সরকারি, বেসরকারি নানা সংস্থা। আন্তর্জাতিক যে সম্মেলন ওড়িশায় হচ্ছে, তার থিম হল, ‘মিলেট – এনসিয়েন্ট গ্রেইনস ফর মডার্ন চ্যালেঞ্জস’। সম্মেলনে যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের ৪-৫ হাজার কৃষক, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং ফারমার-প্রডিউসার অর্গানাইজেশন।

    আরও পড়ুুন: মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে আড়াই কোটি টাকা! আদালতে দাবি ইডির

    সম্মেলনে হবে বি টু বি অধিবেশন, রাউন্ড টেবিলস, টেকনিক্যাল অধিবেশন, ডেমনস্ট্রেশনস অন মেশিনারি অ্যান্ড প্যাকেজিং টেকনোলজি এবং কৃষক ও অন্যদের জন্য বিশেষ অধিবেশন। শ্রী অন্ন (মিলেট) হল জোয়ার, বাজরা এবং রাগি। শুকনো মাটি কিংবা পাহাড়ি এলাকা, সর্বত্রই মিলেট চাষ করা যায়। যেসব এলাকায় জলের অভাবে অন্য কোনও শস্য চাষ করা যায় না, সেখানেও অনায়াসে উৎপাদন করা যায় মিলেট। মিলেট প্রোটিনজাত খাবারের অন্যতম উৎস। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস এবং ডায়েটরি তন্তু সমৃদ্ধ। সেই কারণেই সেনা সহ দেশের বিভিন্ন বাহিনীতে খাবারে মিলেট দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ওড়িশা সরকার ৮ লক্ষ ক্যুইন্টাল মিলেট (Millets) উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Scrub Typhus: নয়া আতঙ্ক স্ক্রাব টাইফাস! ওড়িশায় মৃত ৫, হিমাচলে আক্রান্ত ৯

    Scrub Typhus: নয়া আতঙ্ক স্ক্রাব টাইফাস! ওড়িশায় মৃত ৫, হিমাচলে আক্রান্ত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আতঙ্কের নতুন নাম স্ক্রাব টাইফাস। একাধিক রাজ্য়ে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। ওড়িশায় স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, হিমাচল প্রদেশের শিমলায় স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে ন’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    ওড়িশার বরগড় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সাধু চরণ দাস জানান, রাজ্যে স্ক্রাব টাইফাস সংক্রমণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তরা সকলেই বরগড় জেলার বাসিন্দা। মৃতদের মধ্যে দুইজন সোহেলা ব্লকের বাসিন্দা ও বাকি তিনজন আট্টাবিরা, ভেদেন ও বারপালির বাসিন্দা। আক্রান্তরা সকলেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। হিমাচল প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় ২৯৫ জন বাসিন্দা স্ক্রাব টাইফাসের উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জন স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত বলে প্রমাণ মিলেছে।

    স্ক্রাব টাইফাস কী?

    স্ক্রাব টাইফাস শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ টাইফাস থেকে যার অর্থ হল ধোঁয়াটে বা অস্পষ্ট। এঁটুলি পোকার মতো দেখতে ট্রম্বিকিউলিড মাইটস বা টিক-এর মতো পরজীবী পোকার কামড় থেকে এই রোগের জীবাণু মানবদেহে ছড়ায়। এই পোকাগুলির আকার ০.২ মিলিমিটার থেকে ০.৪ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়। সাধারণত গ্রামের কৃষিজমিতে এই ধরনের পোকা দেখা যায়। যদিও শহুরে এলাকায় বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টে ছোট ঝোপঝাড়, গাছপালা কিংবা পোষ্যের গায়ে এই ধরনের পোকার দেখা হামেশাই মেলে। সাধারণত বর্ষায় এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। 

    আরও পড়ুুন: “এটা চোরেদের জোট”, ‘ইন্ডিয়া’-কে ফের নিশানা শুভেন্দুর

    স্ক্রাব টাইফাস সংক্রমণের উপসর্গ

    এই রোগের উপসর্গগুলি হল তীব্র মাথাব্যথা, অত্যধিক জ্বর, গা-হাত-পায়ে ব্যথা, সর্দি কাশি, গলা ব্যথা, পিঠে ও বুকে র‌্যাশ, পেটের সমস্যা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আক্রান্তের চোখ লাল হয়ে যায়। দেখা দিতে পারে গ্রাস্ট্রোইন্টেসটিনাল সমস্য়া,মেনিনজাইটিস। লিভার বেড়েও যেতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে অঙ্গপ্রতঙ্গ কাজ বন্ধ করে দিতে পারে এবং মৃত্যুও হয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার রেলের ৩ আধিকারিক

    Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার রেলের ৩ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালেশ্বরে (Odisha Train Accident) করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় রেলের তিন আধিকারিককে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই তিন আধিকারিকের কাজকর্মের জেরেই ঘটেছিল দুর্ঘটনা। এদিন যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়র অরুণ কুমার মোহন্ত, সেকশন ইঞ্জিনিয়র মহম্মদ আমির খান ও টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমার। সিবিআই জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ২০১ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তিনজনকে।

    করমণ্ডল দুর্ঘটনা 

    গত ২ জুন বালেশ্বরের (Odisha Train Accident) বাহানগা স্টেশনের অদূরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মেইন লাইনের পরিবর্তে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে থাকা আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস ঢুকে পড়েছিল লুপ লাইনে। ওই লুপ লাইনে আগে থেকেই দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। তার পিছনে ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডলের একাধিক কোচ। এরই কয়েকটি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। সেই সময় ওই লাইনে আসছিল ডাউন এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডলের কোচে ধাক্কা মেরে হাওড়াগামী ট্রেনের কয়েকটি কোচও লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রায় ২৮৮ জন। আহত হয়েছিলেন এক হাজার জনেরও বেশি মানুষ। 

    তদন্ত শুরু রেলের

    দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) কারণ জানতে তদন্ত শুরু করে রেলের সেফটি কমিশন। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে জানা যায়, সিগন্যালের ভুলের কারণেই ঘটেছিল মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনা। মূলত সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের একাধিক ভুলের জন্য মেইন লাইনের বদলে লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার এএম চৌধুরীও তাঁর রিপোর্টে দাবি করেছেন, বিভিন্ন স্তরে সিগন্যালিংয়ের ত্রুটির কারণেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা।

    আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালে খড়্গপুর ডিভিশনের বাঁকড়া নয়াবাজ স্টেশনেও এই একই ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছিল সিগন্যালিংয়ে। যার জেরে ভুল করে ট্র্যাকে ঢুকে পড়েছিল ট্রেন। এই রিপোর্টটি সিবিআইকে দেওয়ার কথা। কারণ এই দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) নেপথ্যে অপরাধমূলক কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা জানতে তদন্ত করছে সিবিআই-ও। সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন রেলমন্ত্রী স্বয়ং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: এআই পোর্টাল ‘সঞ্চার সাথী’র সাহায্যে করমণ্ডল দুর্ঘটনায় বহু মৃতদেহ শনাক্ত

    Coromandel Express Accident: এআই পোর্টাল ‘সঞ্চার সাথী’র সাহায্যে করমণ্ডল দুর্ঘটনায় বহু মৃতদেহ শনাক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) নিহত অনেক মানুষের পরিচয় এখনও মেলেনি। দুর্ঘটনার পর ৯ দিন কেটে গেলেও এখনও বেওয়ারিশ লাশের মত পড়ে রয়েছে বহু দেহ। এমন পরিস্থিতিতে ওড়িশা সরকারের সাহায্যে এই মৃতদেহগুলি শনাক্ত করতে রেলওয়ে নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সিম ট্রায়াঙ্গুলেশনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। রেলওয়ে এআই (AI) চালিত ওয়েবসাইট ‘সঞ্চার সাথী’ এবং সিম কার্ডের ব্যবহার করা হচ্ছে।

    কী ভাবে দেহগুলিকে শনাক্ত করা হল 

    রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, মোট ৮৩টি দেহ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু, তাতেও অধরা অনেকের পরিচয়। ফলে এবার আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে রেল। কী ভাবে মৃতদেহগুলিকে (Coromandel Express Accident) শনাক্ত করল এআই পোর্টাল? জানা গিয়েছে, এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স মূলত গ্রাহকদের নামে ইস্যু হওয়া মোবাইল নম্বরগুলিকে ট্র্যাক করে। এরপর নম্বর ব্লক করে স্মার্টফোনের লোকেশন খুঁজে বের করে। এক রেল আধিকারিকের কথায়, “নিরুপায় হয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত সঞ্চার সাথী এআই পোর্টালের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ৬৪টি দেহের শনাক্তকরণের জন্য এই পোর্টালের সাহায্য নেওয়া হয়। ৪৫টি ক্ষেত্রে সফল হয়েছে সেটি।”

    আরও পড়ুন: প্রতি জিবি ডেটা ৩০৮ থেকে কমে ১০ টাকারও নিচে! প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সাফল্য মোদি সরকারের

    এআই পোর্টাল কী?

    রেল প্রাথমিকভাবে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই) এর একটি দলকে ডেকেছিল এই মৃতদের পরিচয় জানতে। তাঁদের আঙুলের ছাপ নিতে ডাকা হয়। কিন্তু এটি শেষ পর্যন্ত কাজ করেনি। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বুড়ো আঙুলের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ছাপ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্যে, এই সঞ্চার সাথী পোর্টাল সম্প্রতি উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, যিনি দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রীও বটে। মৃতদেহের ছবির সাহায্যে এই এআই পোর্টাল তাঁদের ফোন নম্বর এবং আধার কার্ডের তথ্য বের করে ফেলছে। আর সেই তথ্যের সাহায্য়েই দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) মৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু, এই এআই পোর্টালের সাহায্যে মৃতদেহের চিহ্নিতকরণও দুর্বিসহ কাজ। কারণ অধিকাংশ মৃতদেহে ইতিমধ্যে পচন ধরেছে। দুর্ঘটনার জেরে বহু মানুষের মুখ বিকৃত হয়ে গিয়েছে। অধিকাংশের মুখ পুড়ে ঝলসে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bahanaga Bazar Station: ওড়িশার বাহানগা বাজার স্টেশনে আর দাঁড়াবে না ট্রেন, কেন জানেন?

    Bahanaga Bazar Station: ওড়িশার বাহানগা বাজার স্টেশনে আর দাঁড়াবে না ট্রেন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার এক অখ্যাত রেলস্টেশন বাহানগা বাজার (Bahanaga Bazar Station)। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পরে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল এই স্টেশন। ২ জুনের অভিশপ্ত সেই রাতের সাক্ষী ছিল অখ্যাত এই স্টেশনই। এই স্টেশনেই আপাতত আর কোনও ট্রেন থামবে না। শালিমার চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। সেই তদন্ত শেষ না হওয়া ইস্তক আর কোনও ট্রেন থামবে না বালাসোর জেলার বাহানগা বাজারে।

    রেলের বক্তব্য

    দুর্ঘটনাস্থলটি দক্ষিণ পূর্ব রেলের জোনের মধ্যে পড়ে। এই জোনের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য কুমার চৌধুরী বলেন, “সিবিআই ইতিমধ্যেই বাহানাগা বাজার স্টেশন সিল করে দিয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে লগ বুক, রিলে প্যানেল এবং অন্যান্য সরজ্ঞাম। রিলে ইন্টারলকিং সিস্টেম সিল করে দেওয়ার ফলে রেলকর্মীদের পক্ষে সিগন্যালিং পয়েন্ট অপারেট করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও প্যাসেঞ্জার বা মালগাড়ি এই স্টেশনে থামবে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত সিবিআই পরবর্তী নোটিশ দিচ্ছে, ততক্ষণ এই নির্দেশ জারি থাকবে।”

    বাহানগা বাজার (Bahanaga Bazar Station)

    বালাসোর জেলার এই স্টেশনে (Bahanaga Bazar Station) এক্সপ্রেস, লোকাল কিংবা মালগাড়ি নিয়মিত দাঁড়াত না কোনওকালেই। তবে সিগন্যাল না পেলে দাঁড়িয়ে পড়ত। অপেক্ষা করতে হত সবুজ সংকেতের। দুর্ঘটনার পর এবার আর সেটাই হবে না। বাহানগা বাজারের নিকটবর্তী সোরো এবং খান্তাপাদা স্টেশনেই আপাতত সিগনালের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ট্রেনগুলিকে।

    আরও পড়ুুন: ‘উদ্ধব ঠাকরে বিজেপির সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন’, মহারাষ্ট্রের সভায় শাহি তোপ

    ২ জুন দুর্ঘটনার করলে পড়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয়েছিল ২৮৮ জন যাত্রীর। জখম হয়েছিলেন ১১০০-র বেশি মানুষ। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। নেমেছিল বায়ুসেনা, এনডিআরএফের ৯টি দল। হেলিকপ্টারের সাহায্যে চলছিল উদ্ধারকাজ। ট্রেনের দরজা ভেঙে, গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়েছিল জীবিত ও মৃত যাত্রীদের। উদ্ধারকাজে গতি আনতে অকুস্থলে (Bahanaga Bazar Station) পাঠানো হয়েছিল মালদহ ডিভিশনের ২২৪ জন আরপিএফ জওয়ানকে। দুর্ঘটনার জেরে বাহানাগা বাজারে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল ৫১ ঘণ্টা। লাইনচ্যুত হওয়া ১৫টি কামরা সরিয়ে ফেলে ফের চালু করা হয় ট্রেন চলাচল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

      

  • Donor Saves Life: সফল অঙ্গদান! ওড়িশায় ব্রেন ডেড মহিলার কিডনি প্রতিস্থাপন করে বাঁচল দুজনের জীবন

    Donor Saves Life: সফল অঙ্গদান! ওড়িশায় ব্রেন ডেড মহিলার কিডনি প্রতিস্থাপন করে বাঁচল দুজনের জীবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশায় এক ব্রেন ডেড মহিলার কিডনি প্রতিস্থাপন করে দুজনের জীবন বাঁচানো গেল। কটকের এসসিবি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (MCH) ইউরোলজি এবং নেফ্রোলজি বিভাগে এই প্রতিস্থাপন করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃত দাতা, কটকের জগৎপুরের তারোলের বাসিন্দা তনুজা কর। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁকে বাঁচানোর সমস্ত রকম চেষ্টা করার পর চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন ওই মহিলার ব্রেন ডেড হয়েছে। এরপরই তাঁর কিডনি দানের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।

    ওড়িশায় অঙ্গদান

    সরকারি সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাপক তালিকা অনুসারে, উচ্চ অগ্রাধিকার স্কোর সহ দুই জন প্রাপককে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়। ভুবনেশ্বরের অ্যাপোলো হাসপাতাল প্রয়োজনীয় সমস্ত সহযোগিতা করেছে। দাতা এবং গ্রহীতার ক্রস ম্যাচের পর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপনের পর গ্রহীতারা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। প্রাপকরা হলেন ঝাড়সুগুড়ার ব্রজরাজ নগরের অলোক বোদক (৩৬) এবং কটকের সিডিএ-র সৌরজ্য রঞ্জন সাহু (৪৮)৷

    অঙ্গদান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ওড়িশায় প্রথম ক্যাডেভারিক কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল ২০২০ সালে। মরণোত্তর অঙ্গদান প্রক্রিয়া মসৃণ করতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সারাদেশে এই নিয়ে অভিন্ন নীতি চালুর পথে হাঁটছে সরকার। রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মরণোত্তর অঙ্গদানের জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘গ্রাহকদের কাছে অঙ্গদানকারীরা ঈশ্বরতুল্য। এতে বহু মানুষের জীবন রক্ষা করা যায়।’  

    আরও পড়ুুন: মমতার দফতরেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ! ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ শুভেন্দুর

    সারা দেশে অঙ্গদান নিয়ে যেভাবে সচেতনতা বাড়ছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মরণোত্তর অঙ্গদান নিয়ে কী ধরনের নীতি আসছে, তিনি সেব্যাপারেও আভাস দিয়েছেন। তাঁর কথায়, অঙ্গদানের জন্য যে স্টেট ডোমিসাইল নীতি রয়েছে, তা তুলে দিতে চলেছে সরকার। এতে একজন রোগী দেশের যে কোনও রাজ্যে গিয়ে অঙ্গ পেতে পারেন। এখন অঙ্গদানের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৬৫ বছর। বয়সের সেই উর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার কথাও প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে মরণোত্তর অঙ্গদান করেছিলেন ৫ হাজারেরও কম মানুষ। ২০২২ সালে তা ১৫ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha: প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিবিদ্ধ ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কাঠগড়ায় খোদ পুলিশই  

    Odisha: প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিবিদ্ধ ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কাঠগড়ায় খোদ পুলিশই  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিবিদ্ধ ওড়িশার (Odisha) স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব দাস (Naba Das)। রবিবার সকালে দলীয় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। গাড়ির দরজা খুলে নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রীকে (Health Minister) উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। কী কারণে মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হল, তা এখনও জানা যায়নি।

    চলল গুলি…

    প্রশাসন সূত্রে খবর, এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ঝাড়সুগুদা জেলার বজরঙ্গ নগরের গান্ধী চকে নতুন দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। গাড়ির দরজা খুলে নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। মন্ত্রীর বুকে দুটি গুলি লাগে। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়সুগুদা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় ভুবনেশ্বরে। মন্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

    এদিকে, প্রথমে হামলাকারীর পরিচয় না জানা গেলেও, পরে জানা গিয়েছে যিনি গুলি চালিয়েছেন, তিনি পুলিশের এএসআই। তাঁর নাম গোপাল চন্দ্র দাস। সূত্রের খবর, ওই পুলিশ অফিসার গান্ধী চক পোস্টে (Odisha) ডিউটিতে ছিলেন। মন্ত্রী আসার খবর পেয়েই তিনি ওই দলীয় কার্যালয়ের কাছে যান। মন্ত্রী গাড়ি থেকে নামতেই নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালান। মন্ত্রী লুটিয়ে পড়লে তিনি ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। ঘটনার জেরে ওড়িশা সরকারের তরফে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় ত্রুটি কীভাবে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ভারত-চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে রাহুলকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    মহারাষ্ট্রের একটি মন্দিরে এক কোটি টাকারও বেশি মূল্যের স্বর্ণ কলস দান করে সম্প্রতি খবরের শিরোনামে এসেছিলেন ওড়িশার (Odisha) এই মন্ত্রী। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা জানে না তাঁর দলও। বিজেডি-র প্রবীণ নেতা প্রসন্ন আচার্য বলেন, টেলিফোনে খবরটি পেয়ে আমরা স্তম্ভিত। কে জড়িত, কেনই বা এই ঘটনা ঘটল, তা জানি না। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এই কামনা করি। আমরা এই ঘটনার নিন্দে করি। পুলিশ তদন্ত করে খুনের মোটিভ জানতে পারবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Odisha: হল না শেষরক্ষা, বুকে গুলি লেগে প্রয়াত ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব দাস

    Odisha: হল না শেষরক্ষা, বুকে গুলি লেগে প্রয়াত ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব দাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন ওড়িশার (Odisha) স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব দাস। বুকে গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এদিন দুপুরে ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজরাজনগরের কাছে গান্ধী চকে রাজ্য পুলিশের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর দুটি গুলি ছোঁড়েন। সেখানেই মাটিতে পড়ে যান তিনি। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এয়ারলিফট করে ভুবনেশ্বরেও নিয়ে যাওয়া হয়। এত কিছুর পরেও হল না শেষরক্ষা। এদিকে হামলাকারী পুলিশকর্মীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে।

    আজ দুপুর একটার দিকে ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজনগরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন নব দাস (Odisha) । সেই সময় নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালায় ওড়িশা পুলিশের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর। ব্রজরাজনগরের এসডিপিও গুপ্তেশ্বর ভোই জানিয়েছেন, হামলাকারী এএসআই-এর নাম গোপাল দাস। স্থানীয়রাই গোপাল দাসকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তারপরে হামলাকারীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন গাড়ি থেকে নামার সময় গুলি চালানো হয়। গুলি চালানোর কারণ এখনও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: ব্রিটিশ কন্যাদের হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় তরুণীরা

    কী জানা গেল?

    প্রশাসন সূত্রে খবর, এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ঝাড়সুগুদা (Odisha) জেলার বজরঙ্গ নগরের গান্ধী চকে নতুন দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। গাড়ির দরজা খুলে নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। মন্ত্রীর বুকে দুটি গুলি লাগে। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়সুগুদা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় ভুবনেশ্বরে। মন্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

    এদিকে, প্রথমে হামলাকারীর পরিচয় না জানা গেলেও, পরে জানা গিয়েছে যিনি গুলি চালিয়েছেন, তিনি পুলিশের এএসআই। তাঁর নাম গোপাল চন্দ্র দাস। সূত্রের খবর, ওই পুলিশ অফিসার গান্ধী চক পোস্টে (Odisha) ডিউটিতে ছিলেন। মন্ত্রী আসার খবর পেয়েই তিনি ওই দলীয় কার্যালয়ের কাছে যান। মন্ত্রী গাড়ি থেকে নামতেই নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালান। মন্ত্রী লুটিয়ে পড়লে তিনি ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। ঘটনার জেরে ওড়িশা সরকারের তরফে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় ত্রুটি কীভাবে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    মহারাষ্ট্রের একটি মন্দিরে এক কোটি টাকারও বেশি মূল্যের স্বর্ণ কলস দান করে সম্প্রতি খবরের শিরোনামে এসেছিলেন ওড়িশার (Odisha) এই মন্ত্রী। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা জানে না তাঁর দলও। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Agni 3: অগ্নি-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ, শঙ্কায় চিন, পাকিস্তান!

    Agni 3: অগ্নি-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ, শঙ্কায় চিন, পাকিস্তান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নি ৩-র (Agni 3) সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত। এটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। বুধবার ওড়িশার আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় অগ্নি ৩ ক্ষেপণাস্ত্রটি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে খবরটি। পরীক্ষাটি রুটিন পরীক্ষা বলেও জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের তরফেও জানানো হয়েছে, এদিন ওড়িশা উপকূল থেকে মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এটি যাবতীয় মাপকাঠিও পেরিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফেও জানানো হয়েছে, স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের তত্ত্বাবধানে প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে রুটিন উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত দূরত্বের ভিত্তিতে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। তারাও জানিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়ায় যাবতীয় মাপকাঠি পূরণ করেছে অগ্নি ৩।

    অগ্নি প্রাইম…

    এর আগে অগ্নি প্রাইম (Agni Prime) নিউ জেনারেশন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রেরও সফল উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। সেবারও উৎক্ষেপণ হয়েছিল ওড়িশা উপকূলের অদূরে। অগ্নি প্রাইমের সফল উৎক্ষেপণের জেরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক লপ্তে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময় অগ্নি প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রটি এর সর্বোচ্চ পাল্লা পর্যন্ত যায়। পরীক্ষার সমস্ত দিকগুলি সফলভাবে পাশও করে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এনিয়ে তৃতীয়বার সফল্যের গণ্ডী পার হল অগ্নি প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্র। নিখুঁত এবং বিশ্বাসযোগ্যভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র।

    অগ্নি প্রাইমের সফল উৎক্ষেপণ হওয়ার পর এবার সাফল্য এল অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের তৃতীয় সংস্করণ অগ্নি ৩ (Agni 3) মিসাইলের ক্ষেত্রেও। ২০০৬ সালের ৯ জুলাই প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে সেই মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সেবার অবশ্য মেলেনি কাঙ্খিত সাফল্য। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারেনি সেই ক্ষেপণাস্ত্র। মুখ থুবড়ে পড়ে গিয়েছিল সমুদ্রে গিয়ে। তার পর ফের পরীক্ষামূলকভাবে অগ্নি ৩ মিসাইলের উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। ২০০৭ সালে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় পাশ করে ওই মিসাইল। তার পরের বছরই সফল হয়েছিল তৃতীয় পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণও।

    আরও পড়ুন: সফল উৎক্ষেপণ অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের, আওতায় ভারতের প্রতিবেশীরা

    জানা গিয়েছে, অগ্নি ৩ (Agni 3) ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩ হাজার ৫০০ কিমি দূরের কোনও লক্ষ্যবস্তুতেও নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে। পারমাণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। অগ্নির এই সফল উৎক্ষেপণ চিন এবং পাকিস্তানকে চাপে রাখবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। কারণ ভারতের এই দুই প্রতিবেশী দেশও চলে আসছে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লায়।

    প্রসঙ্গত, অগ্নি ১-৫ ক্ষেপণাস্ত্রগুলির নকশা এবং ডেভলপমেন্ট করেছে ডিআরডিও। নিয়োজিত করা হয়েছে দেশের সেবায়। প্রসঙ্গত, অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ছোট ও মাঝারি পাল্লার। আঘাত হানতে পারে ৭০০ থেকে ৫ হাজার কিমি পর্যন্ত দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share