Tag: Operation Sindoor

  • India Pakistan Conflicts: ‘‘রানাকে টেনে এনেছি, হাফিজ সঈদকেও…’’, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের

    India Pakistan Conflicts: ‘‘রানাকে টেনে এনেছি, হাফিজ সঈদকেও…’’, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের সঙ্গে আপস নয়। পথ একটাই। তা হল হাফিজ সঈদদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়া। আমেরিকা যেভাবে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর হুসেন রানাকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে, পাকিস্তানকেও তেমনভাবে দোষীদের হস্তান্তর করতে হবে। তবেই সীমান্ত সমস্যার সমাধান সূত্র বেরোতে পারে। সোমবার ইজরায়েলের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বললেন সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জেপি সিং (Indian Diplomat JP Singh)। তাঁর কথায়, “অপারেশন সিঁদুর স্থগিত হয়েছে, বন্ধ নয়। সন্ত্রাসবাদীরা পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ধর্ম পরিচয় জেনে তাদের হত্যা করেছিল। তাই ভারতও পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts) গোটা জঙ্গি পরিকাঠামোটাই ভেঙে দিয়েছে।”

    অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি

    সংঘর্ষ বিরতির (India Pakistan Conflicts) প্রসঙ্গ তুলে জেপি সিং জানান, অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। তাঁর সংযোজন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলতে থাকবে। ভারত একটা নিউ নর্ম্যাল আবহ তৈরি করেছে। যা শুধুমাত্র আক্রমণাত্মক কৌশলেই বিশ্বাসী। সন্ত্রাসবাদীরা যেখানে নিজেদের পরিকাঠামো গড়ে তুলবে। আমরা সেখানে ঢুকে তা ভেঙে আসব।” ওয়াকিবহাল মহল বলে, ভারতে সন্ত্রাসের শুরুটা লস্করদের হাত ধরেই। বর্তমানে ওদের মাথায় বসে আছে জঙ্গিনেতা হাফিজ সঈদ। এই সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক অভিযোগ থাকলেও, পাকিস্তান কোনও ভাবে একে হাতছাড়া করে না। ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেপি সিং বলেন, “পাকিস্তান আমাদের হাতে হাফিজ সঈদ, সাজিদ মীর ও জাকিউর রহমানদের তুলে দিক। ঠিক যেমন ভাবে আমরা তাহাউর রানাকে টেনে এনেছি।”

    পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ করা হয় না

    অপারেশন সিঁদুর যে জৈশ-প্রধান মাসুদ আজহারকে একেবারে নাজেহাল করে দিয়েছে, সেই খবর ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছে গোটা বিশ্ববাসী। ৭ মে ভারতীয় সেনার চালানো অভিযানে রাতারাতি ‘অনাথ’ হয়ে যায় মাসুদ। ভারতের প্রত্যাঘাতে শেষ হয়ে যায় তার গোটা পরিবার। এদিন আবারও ইজরায়েলে ভারতের রাষ্ট্রদূত জেপি সিং (Indian Diplomat JP Singh) স্পষ্ট করে দেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন। সীমান্তের ওপার থেকে কোনও সন্ত্রাস মেনে নেওয়া হবে না।” পহেলগাঁও নিয়ে পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts) তদন্তের ডাক দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মুম্বই, পাঠানকোট, পুলওয়ামা হামলার প্রেক্ষিতেও ভারতের তরফে পর্যাপ্ত তথ্য, প্রমাণ দেওয়া হলেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।”

    আমরা জল প্রবাহ করেছি, ওরা রক্ত

    পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির নূর খান ঘাঁটিতে ভারতের ১০ মে-র হামলাকে ‘গেম চেঞ্জার’ বলে আখ্যা দেন জেপি সিং। তিনি বলেন, এর ফলে ইসলামাবাদে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতীয় ডিজিএমও-র সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানান। সিন্ধু জলচুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই চুক্তির মূল ভিত্তিই ছিল সদিচ্ছা ও বন্ধুত্ব। কিন্তু পাকিস্তান সেই নীতি মানেনি। আমরা জল প্রবাহ করেছি, ওরা রক্ত।” তিনি জানান, জনগণের মধ্যে পাকিস্তান-ঘনিষ্ঠ সন্ত্রাসবাদে ক্ষোভ থেকেই জলচুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “ এক আইডব্লুটি (Indus Waters Treaty) এখন স্থগিত, তবে আরেক আইডব্লুটি চালু আছে—India’s War on Terrorism।” আন্তর্জাতিক স্তরে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জোট গঠনের ডাক দেন জেপি সিং। তিনি বলেন, “ভারত ও ইজরায়েলের মতো দেশগুলির উচিত একজোট হয়ে সন্ত্রাসবাদ এবং যারা তাকে সমর্থন করে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নেওয়া।”

  • India Pakistan Ceasefire: যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের ভূমিকা থেকে পাকিস্তানের পরমাণু হুমকি, সব খোলসা করলেন মিস্রি, কী বললেন?

    India Pakistan Ceasefire: যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের ভূমিকা থেকে পাকিস্তানের পরমাণু হুমকি, সব খোলসা করলেন মিস্রি, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে (India Pakistan Ceasefire) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনও ভূমিকা ছিল না। অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর সামরিক সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে হয়েছে বলে দাবি করলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। সোমবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিদেশ সচিব জানান, গত ১০ মে দুই দেশের ডিজিএমও আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষিবিরতিতে সায় দেন।

    ট্রাম্পের দাবিকে মান্যতা নয়

    সংঘর্ষবিরতির কথা প্রথম ঘোষণা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ভারত এবং পাকিস্তানের (India Pakistan Ceasefire) তরফে আনুষ্ঠানিক সংঘর্ষবিরতির ঘোষণায় তাঁর নাম উল্লেখ না থাকা সত্ত্বেও বারাবর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতার কারিগর হিসেবে নিজেকেই তুলে ধরেছেন। এই নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে বিরোধী দলগুলি। সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন হয়। সংসদীয় কমিটির এক সদস্য প্রশ্ন করেছিলেন, ‘অন্তত ৭ বার প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি সম্ভব হয়েছে তাঁরই জন্য। ভারত চুপ কেন?

    তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা নেই

    এদিন বিদেশসচিব স্পষ্ট বলেন, “ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির (India Pakistan Ceasefire) সিদ্ধান্ত একান্তভাবেই দুই দেশের সম্মতির ভিত্তিতে হয়েছে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনও তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা নেই।” বিক্রম মিস্রি জানান, সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ছিল পুরোপুরি প্রচলিত যুদ্ধবিধির মধ্যে। তাঁর কথায়, “পাকিস্তানের তরফে কোনও পরমাণু সংকেত দেওয়া হয়নি। সংঘর্ষের সময় তাদের ব্যবহৃত চিনা প্রযুক্তির অস্ত্র নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল— আমরা তাদের বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে কঠোরভাবে আঘাত করেছি।” বিদেশ সচিবের এই বক্তব্য ভারতের অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করে, যে কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ভারত গ্রহণ করবে না।

    যুদ্ধবিমানের ক্ষয়ক্ষতি

    সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এইচ-কিউ ৯ মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথাও উঠে আসে কমিটির আলোচনায়। তবে বিদেশসচিব জানান, অস্ত্রের উৎস নয়, আঘাতের কার্যকারিতাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সংসদীয় কমিটির একাধিক সদস্য জানতে চান, পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কি ভারতের কয়েকটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। বিশেষ করে ফ্রান্সের রাফাল যুদ্ধবিমানের ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গ উঠে আসে। তবে বিদেশ সচিব জাতীয় নিরাপত্তার কারণে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি। তিনি জানান, এটা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিষয়, তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না। উল্লেখ্য বিদেশ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের রাজীব শুক্ল, দীপেন্দর হুডা, বিজেপির অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, অরুণ গোভিল এবং এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।

    বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে এক ভিডিও ক্লিপে বলতে শোনা গিয়েছিল, “অভিযানের শুরুতেই আমরা পাকিস্তানকে একটি বার্তা দিয়েছিলাম, জানিয়ে দিই যে আমরা সন্ত্রাসী শিবিরে হামলা করছি।” এই বক্তব্য ঘিরে উত্তাল হয় রাজনীতি। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী একে ‘অপরাধ’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে প্রশ্ন তোলেন, ‘কে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে? এর ফলে আমাদের বিমানবাহিনী কতটি বিমান হারিয়েছে?’ বিদেশ সচিব কমিটিকে জানান, বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “অপারেশনের শুরুতে নয়, সুনির্দিষ্ট আঘাতের পর পাকিস্তানকে জানানো হয়েছিল।” সূত্রের খবর, সোমবারের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে মিস্রি জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর প্রথম অভিঘাতের পরে পাকিস্তানকে জানানো হয়েছিল, ভারতের টার্গেট জঙ্গিঘাঁটি, কোনও পাকিস্তানি মিলিটারি ইনস্টলেশন নয়, তাই পাক সেনা যেন ভারতের অপারেশনে বাধা না দেয়। কিন্তু পাকিস্তানি সেনা সেই পরামর্শ শোনেনি, তাই তাদের ফল ভুগতে হয়েছে। অপারেশন শুরুর আগে পাকিস্তানকে কিছুই জানানো হয়নি বলে দাবি মিস্রির।

    তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক

    পাকিস্তানকে সামরিক সাহায্যের অভিযোগ উঠেছিল তুরস্কের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একাধিক লেনদেনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভারত। ভারত–তুরস্কের সম্পর্ক এখন কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে? সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে মিস্রি বলেন, ‘আপনারা ইতিহাস ঘেঁটে দেখে নিন, পাকিস্তান এবং তুরস্ক— দু’দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক কোনও দিন বিশেষ ভালো ছিল না। ফলে, নতুন করে সম্পর্কে অবনতির বিষয় নেই।’ মিস্রি ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ট্রোল করা হয়েছিল, এ দিনের বৈঠকে স্ট্যান্ডিং কমিটি সর্বসম্মত ভাবে তার নিন্দা করেছে।

  • IMF: ৫০টি শর্ত পূরণ হলে তবেই পাকিস্তান পাবে ঋণ, ভারতের চাপেই কি এই সিদ্ধান্ত আইএমএফের?

    IMF: ৫০টি শর্ত পূরণ হলে তবেই পাকিস্তান পাবে ঋণ, ভারতের চাপেই কি এই সিদ্ধান্ত আইএমএফের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে ভারতীয় মুদ্রায় আট হাজার কোটি টাকার বাড়তি ঋণ মঞ্জুর করেছে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (IMF)। ইতিমধ্যেই প্রথম দু’কিস্তির টাকাও পেয়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ (Operation Sindoor)। তবে পরের কিস্তির টাকা দেওয়ার আগে ইসলামাবাদের ওপর ১১টি নতুন শর্ত চাপিয়েছে আইএমএফ। শনিবার এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও প্রকাশ করেছে তারা। জানা গিয়েছে, ঋণের জন্য পাকিস্তানকে আগে থেকেই ৩৯টি শর্ত দিয়ে রেখেছিল আইএমএফ। পরে আরও ১১টি শর্ত চাপানোয় মোট শর্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০। এই সবক’টি শর্ত পূরণ করলেই ঋণের পরবর্তী কিস্তির টাকা হাতে পাবে শাহবাজ শরিফের দেশ।

    আইএমএফের রিপোর্ট (IMF)

    আইএমএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ২০২৬ অর্থবর্ষের বাজেট আইএমএফের চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে এবং তাতে সংসদীয় অনুমোদন নিশ্চিত করতে হবে। পাকিস্তানের ফেডারেল বাজেটে ১৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেখিয়েছে আইএমএফ। এর মধ্য শুধু উন্নয়নের জন্যই খরচ করতে বলা হয়েছে ১.০৭ লাখ কোটি টাকা। পাকিস্তানের যে প্রদেশগুলিতে নয়া কৃষি আয়কর আইন বাস্তবায়ন করার কথা, সেখানে আয়কর রিটার্নের প্রক্রিয়াকরণ, করদাতাদের শনাক্ত করা এবং নথিভুক্ত করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করতে বলা হয়েছে। এজন্য জুন মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। আইএমএফের সুপারিশ অনুযায়ী, পাকিস্তান সরকারকে একটি নির্দিষ্ট প্রশাসনিক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে এবং তা প্রকাশ করতে হবে। প্রশাসনিক দুর্বলতাগুলিকে চিহ্নিত করে সংস্কারের পরিকল্পনা জনসমক্ষে তুলে ধরাই এর উদ্দেশ্য। ২০২৭ সালের পরে অর্থনৈতিক সেক্টরে পাকিস্তানের পরিকল্পনা কী হবে, তার একটি রূপরেখাও তৈরি করতে বলা হয়েছে পাকিস্তানকে। এই রূপরেখাও প্রকাশ করতে হবে।

    চারটি নয়া শর্ত

    শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের ওপর আরোপ করা হয়েছে আরও চারটি নয়া শর্ত। চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের মধ্যে পাকিস্তান সরকারকে বার্ষিক বিদ্যুৎ শুল্ক পুনর্নির্ধারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। পাকিস্তানে বিদ্যুতের ঋণ পরিশোধের বাড়তি খরচের সর্বোচ্চ সীমা ইউনিট প্রতি ৩.২১ টাকা। জুন মাসের মধ্যে আইন করে (Operation Sindoor) এই সীমা তুলে দিতে হবে। সরকারের ভুল নীতির কারণেই যে পাকিস্তানের ওপর ঋণের পাহাড় প্রমাণ বোঝা চেপেছে, তাও জানিয়ে দিয়েছে আইএমএফ। আইএমএফের তরফে পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা তাদের উন্নয়ন প্রকল্পের আর্থিক, বহিরাগত এবং সংস্কারের লক্ষ্যগুলির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে (IMF)।

    হাঁড়ির হাল হয়েছে পাক অর্থনীতির

    বস্তুত, হাঁড়ির হাল হয়েছে পাক অর্থনীতির। ঋণের ভারে ধুঁকছে শাহবাজ শরিফের দেশ। বাজেট করতে গেলেও বিশ্বের দুয়ারে দুয়ারে হাত পাততে হচ্ছে পাকিস্তানকে। তার পরেও পূর্ণ উদ্যমে জঙ্গিদের মদত দিয়ে চলেছে তারা। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে নতুন করে ঋণ দেওয়ার জন্য ১১টি শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। এই শর্তে রাজি হলে পাকিস্তান অবিলম্বে হাতে পাবে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। ফলে বেলআউট প্যাকেজের আওতায় তাদের মোট ঋণের অঙ্ক দাঁড়াবে ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও, আরএসএফের আওতায় আরও প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ডলার দিতেও রাজি হয়েছে আইএমএফ।

    আইএমএফ প্রকাশিত স্টাফ লেভেল রিপোর্ট

    শনিবার আইএমএফ প্রকাশিত স্টাফ লেভেল রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা যদি অব্যাহত থাকে বা এর আরও অবনতি হয়, তাহলে কর্মসূচির আর্থিক, বহিরাগত ও সংস্কার লক্ষ্যগুলির ঝুঁকি বেড়ে যাবে (IMF)। গত দুসপ্তাহে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বাজারের প্রতিক্রিয়া সেভাবে হয়নি। শেয়ার বাজার তার বেশিরভাগ লাভ ধরে রেখেছে এবং মধ্য গতিতে এগোচ্ছে (Operation Sindoor)।

    অপারেশন সিঁদুর

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পরেই ব্যাপক অবনতি হয় ভারত-পাক সম্পর্কের। এই জঙ্গি হামলার পক্ষকাল পরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। দুরমুশ করে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। হামলা এবং পাল্টা হামলার জেরে টানা চার দিন উত্তপ্ত থেকেছে সীমান্ত। শেষমেশ গত ১০ মে দুই দেশ রাজি হয় সংঘর্ষ বিরতিতে। এরই মাঝে পাকিস্তানের জন্য বিপুল অঙ্কের ঋণ মঞ্জুর করে আইএমএফ (IMF)।

    প্রসঙ্গত, ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও পাকিস্তানের জন্য বিপুল ঋণের অনুমতি দিয়েছে আইএমএফ। শনিবার জানা গিয়েছে পাকিস্তানকে বেলআউট ফান্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে ১১টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে (Operation Sindoor) আইএমএফের তরফে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ভারত এবং আন্তর্জাতিক চাপের ফলেই শেষমেশ করা হল শর্ত আরোপ (IMF)।

  • Jyoti Malhotra: জ্যোতিকে চর হিসেবে গড়ে তুলছিল আইএসআই! জানুয়ারিতেই গিয়েছিলেন পহেলগাঁও, উঠে এল তদন্তে

    Jyoti Malhotra: জ্যোতিকে চর হিসেবে গড়ে তুলছিল আইএসআই! জানুয়ারিতেই গিয়েছিলেন পহেলগাঁও, উঠে এল তদন্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার ট্রাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রা। পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Agents) অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। রবিবারই এই খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের কাছে গোপন তথ্য পাচার করতেন জ্যোতি (Jyoti Malhotra)। শুধু তাই নয়, পুলিশে তরফে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে, যে পহেলগাঁও হামলার আগে জানুয়ারি মাসেই সেখানেই ঘুরতে যান জ্যোতি। অপারেশন সিঁদুরের আবহেও পাকিস্তানি এজেন্টদের সঙ্গে জ্যোতি মালহোত্রা যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তবে প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত কোনও তথ্য তিনি পাননি, কারণ ততদূর পর্যন্ত পৌঁছানোর ক্ষমতা তাঁর ছিল না। জানা যাচ্ছে, জ্যোতিকে ‘অ্যাসেট’ বা চর হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিল পাকিস্তান।

    কী জানালেন হিসারের পুলিশ সুপার

    এ নিয়ে সামনে এসেছে হিসারের পুলিশ সুপার শশাঙ্ক কুমার শাওনের বিবৃতি। রবিবারই উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে,  জ্যোতি মালহোত্রাকে (Jyoti Malhotra) পাকিস্তানের ভ্রমণে নিয়ে যায় সে দেশের গোয়েন্দারা। তাঁদের টাকাতেই একাধিকবার পাকিস্তানের গিয়েছেন জ্যোতি। পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন যে, পহেলগাঁও হামলায় যদি কোনও যোগসূত্র থাকে, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্তে। পুলিশ সুপারের দাবি, আধুনিক যুদ্ধ কেবলমাত্র সীমান্তে গুলি-বারুদের লড়াইতেই হয় না। পাকিস্তানি এজেন্টরা (Pak Agents) তাঁদের নিজেদের বক্তব্য প্রচারের জন্য এদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় যাঁরা প্রভাবশালী রয়েছেন, তাঁদের ‘অ্যাসেট’ (গুপ্তচর দুনিয়ার পরিভাষায় বিদেশে থাকা চর) হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। সেই লক্ষ্যেই জ্যোতিকে তারা গড়ে তুলছিল পাকিস্তান।

    চিন সফরও করে পাকিস্তানের চর জ্যোতি (Jyoti Malhotra)

    হিসারের পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, জ্যোতি মালহোত্রা সাম্প্রতিককালে একবার চিন সফরও করেছেন। জ্যোতি মালহোত্রার ভ্রমণের যে ব্যয় তা তাঁর আয়ের থেকে অনেক বেশি বলে দেখা যাচ্ছে। এনিয়েই এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা জ্যোতি মালহোত্রা আর্থিক বিবরণটা বিশ্লেষণ করছি। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের সময় জ্যোতি মালহোত্রা পাকিস্তানি এজেন্টদের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগে ছিলেন। দেখা যাচ্ছে, তাঁর ভ্রমণের যে অর্থ ব্যয় করেছেন তিনি, তা তাঁর মোট আয়ের থেকেও বেশি। এই টাকা তিনি কোথা থেকে পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

    অপারেশন সিঁদুরের সময়ও পাক এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জ্যোতির

    প্রসঙ্গত, জ্যোতি মালহোত্রার (Jyoti Malhotra) চ্যানেলের নাম হল ‘ট্রাভেল উইথ জো’। শনিবারই জ্যোতিকে গ্রেফতার করা হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির তরফ থেকে গোপন তথ্য পাওয়ার পরেই এই কাজ করে হরিয়ানা পুলিশ। পাকিস্তানের এজেন্টদের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল বলে জানিয়েছে প্রশাসন। যাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিল এহসান-উর-রহিম। যাঁর অপর নাম দানিশ। এই পাকিস্তানি এজেন্ট নয়া দিল্লিতে পাক হাই কমিশনের একজন কর্মচারী বলেই জানা গিয়েছে।

    পাক হাইকমিশনের ইফতার পার্টিতেও ছিল জ্যোতি

    গত বছরে ড্যানিসের সঙ্গেই পাক হাইকমিশন একটি বিশেষ ইফতার পার্টিতেও যোগদান করেছিলেন জ্যোতি মালহোত্রা। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ভারতের অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রশাসন মনে করছে, এই মামলায় আরও অনেকেই জড়িত থাকতে পারে। গ্রেফতারের পর জ্যোতিকে আদালতে তোলা হলে তাঁকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    চিন-বাংলাদেশ-পাকিস্তানের হাইকমিশনের কর্মীদের ওপর কড়া নজর রাখে দিল্লি

    অন্যদিকে, এই ঘটনায় জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন ডিজিপি, শেস পল বৈদ্য জানিয়েছেন যে পাকিস্তানি গুপ্তচরের কাছে হানি ট্রাপে পড়েছিলেন জ্যোতি। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পহেলগাঁওয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন ডিজিপি আরও জানিয়েছে, বর্তমান কালে আমাদের দেশে পাকিস্তান, চিন এবং বাংলাদেশের হাইকমিশনের কর্মীরা কোথায় কোথায় যাচ্ছেন তা কড়া নজরদারিতে রাখেন আমাদের গোয়েন্দারা।

    ২০২৩ সালে প্রথম পাকিস্তানে যান জ্যোতি

    পাকিস্তান গিয়ে জ্যোতি একাধিক আইএসআই এজেন্ট এবং কর্তার সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের মধ্যে শাকির আর রান শাহবাজ নামের দুই পাক এজেন্টের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। গত তিন বছরে হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবে বড় চর নেটওয়ার্ক তৈরি করেন জ্যোতি। জানা যাচ্ছে, পাক এজেন্টদের মোবাইল নম্বর অন্য নামে সেভ করা রয়েছে তাঁর ফোনে। নিয়মিত যোগাযোগ থাকত এঁদের সকলের সঙ্গে। সূত্রের খবর, কথা চলত হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটে। হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার হওয়া জ্যোতি মালহোত্রার বিভিন্ন ডিভাইস ঘেঁটে উঠে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০২৩ সালে প্রথম পাকিস্তান যান জ্যোতি। সেই সময়েই নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের আধিকারিক এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই এই দানিশকে ভারতে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

  • Pakistan: অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজের হামলা! পাকিস্তানে খতম আরএসএস সদর দফতরে হামলা চালানো রজুল্লা

    Pakistan: অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজের হামলা! পাকিস্তানে খতম আরএসএস সদর দফতরে হামলা চালানো রজুল্লা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৬ সালে নাগপুর সদর দফতরে পুলিশের বেশে ঢুকে পড়ে একদল জঙ্গি। সেসময় সদর দফতরে থাকা পুলিশি নিরাপত্তার কারণে একেবারে ভিতর পর্যন্ত যেতে পারেনি তারা। সেসময় ছদ্মবেশি জঙ্গিদের (Abu Saifullah) ‘চাল’ বুঝতে পেরেই গুলি চালায় সেখানে মোতায়েন থাকা পুলিশ বাহিনী। সঙ্গে সঙ্গে খতম হয় তিন জঙ্গি। একইসঙ্গে প্রাণ যায় মহারাষ্ট্র পুলিশের ২ জনের (Pakistan)। সেসময় তথ্য উঠে আসে, এই সন্ত্রাসহানার ছক কষেছিল পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি গোষ্ঠী। সংঘের সদর দফতরে হামলার গোটা কৌশল সাজিয়েছিল লস্কর কমান্ডর আবু সইফুল্লা ওরফে রজুল্লা। এই ঘটনার ১৯ বছর পর অবশেষে খতম হল সেই মূলচক্রী রজুল্লা।

    পাকিস্তানেই (Pakistan) এক অজ্ঞাত পরিচয়ের গুলিতে খতম রজুল্লা

    জানা গিয়েছে, পাকিস্তানেই (Pakistan) এক অজ্ঞাত পরিচয়ের গুলিতে শেষ হয়েছ আরএসএস-র সদর দফতরে হামলা চালানো মূল চক্রী। এদিন পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মাতলি ফালকারা চক এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে সন্ত্রাসী রজুল্লার দেহ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রজুল্লার মৃত্যুর কারণ বালোচ বিদ্রোহীরাও হতে পারে। সাম্প্রতিক কালে, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে আবহে নতুন করে ‘শক্তি’ বাড়িয়েছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি। তাদের দাপটে কার্যত কোণঠাসা পাকিস্তানের (Pakistan) সরকার ও সেনা।

    কাশ্মীর ও উত্তরপ্রদেশেও হামলার ছক কষেছিল রজুল্লা (Abu Saifullah)

    পাক সরকারের (Pakistan) ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে তারা। নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেও ঘোষণা করেছে তারা। পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াতেই এই মৃত্যু সেই চাপেরও একটা নমুনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরএসএস সদর দফতর ছাড়া, কাশ্মীর ও উত্তরপ্রদেশের রামপুরের সেনা ছাউনিতেও হামলার ছক কষেছিল এই রজুল্লা। প্রসঙ্গত, ৬ ও ৭ মে, মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। পাকিস্তানের ৯ জঙ্গিঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। পাল্টা সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ড্রোন হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। যদিও সবকটি হামলা প্রতিহত করে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স। ১০ মে পাকিস্তান-ভারত সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়। এই আবহেই সামনে এল শীর্ষ এই লস্কর নেতার খতমের খবর।

  • Operation Sindoor: বদলা নয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর উদ্দেশ্য বিচার, ভিডিও প্রকাশ ভারতীয় সেনার

    Operation Sindoor: বদলা নয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর উদ্দেশ্য বিচার, ভিডিও প্রকাশ ভারতীয় সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের পর পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রত্যাঘাত চালায় ভারত। শুরু হয় অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। সেনাবাহিনী, নৌ সেনা, বায়ুসেনার একযোগে এরপর শুরু করে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত। এবার নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে একটি নতুন ভিডিও পোস্ট করল ভারতীয় সেনা। সেখানে তারা সাফ জানাল, বদলার মনোভাব থেকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান নয়, এর পিছনে উদ্দেশ্য একটাই- বিচার।

    ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে (Operation Sindoor)

    ওয়েস্টার্ন কমান্ড- ইন্ডিয়ান আর্মির (Indian Army) এক্স হ্যান্ডেলে ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। তারই ক্যাপশনে লেখা, পরিকল্পিত, প্রশিক্ষিত এবং বাস্তবায়িত। ভিডিও-র শুরুতে দেখা যাচ্ছে একদল সেনাকে। তাঁদেরই একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) জেরে এর (অপারেশন সিঁদুর) শুরু হয়েছে। রাগ ছিল না, একটাই লক্ষ্য ছিল, এবার উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে যাতে আগামী দিনে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম মনে রাখবে (Operation Sindoor)।’’

    পহেলগাঁওকাণ্ড (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর (Indian Army) হামলা চালায় জঙ্গিরা। এর জেরে মৃত্যু হয় ২৫ পর্যটক ও এক স্থানীয় বাসিন্দার। এই হামলার দায় স্বীকার করে লস্কর-ই-তইবার শাখা সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। এরপরই ৬ ও ৭ মে, মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। পাকিস্তানের ৯ জঙ্গিঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। পাল্টা সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ড্রোন হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। যদিও সবকটি হামলা প্রতিহত করে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স। ১০ মে পাকিস্তান-ভারত সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়।যদিও সেদিনই আবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান সীমান্তে গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। প্রসঙ্গত,পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পরেই ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এবার দেশের সাংসদরা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে যাবেন পাকিস্তানের মদতে চলা সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বক্তব্য রাখবেন।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিতর্কিত পোস্ট, গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিতর্কিত পোস্ট, গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিন্দুর’ (Operation Sindoor) নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী মন্তব্য করার জন্য গ্রেফতার কার হল অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Ashoka University) অধ্যাপক আলি খান মাহমুদাবাদকে। ইতিমধ্যে তাঁর আইনজীবী সংবাদমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মহিলা সেনা অফিসারদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করেন ওই অধ্যাপক। এমনটাই অভিযোগ ওঠে আলি খানের বিরুদ্ধে। এর পরেই হরিয়ানা রাজ্য মহিলা কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই বিষয়টির ওপর নজর দেয়। এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই এই অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হল।

    মহিলা অফিসারদের অবমাননা করার অভিযোগ (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, আগেই একটি নোটিশে মহিলা কমিশন বলেছিল যে আলি খানের মন্তব্য ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর মহিলা অফিসারদের অবমাননা করা হয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক বিভেদ উস্কে দিয়েছে। নিজেকে বাঁচাতে কোনওরকমের চেষ্টার ত্রুটি করছেন না আলি। মহিলা কমিশনের নোটিশের জবাবে তাঁর দাবি করেছিলেন, অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) এবং এর সঙ্গে যুক্ত মহিলা অফিসারদের নিয়ে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলি নারীবিদ্বেষী ছিল না। তবে এসব ধোপে টিকল না, গ্রেফতার হতেই হল আলিকে (Ashoka University) ।

    নিজের পোস্টে কী লিখেছিলেন আলি?

    তিনি নিজের পোস্টে সেনার সাংবাদিক সম্মেলনকে ‘অপ্টিক’ এবং ‘ভণ্ডামি’ বলে মন্তব্য করেন। নিজের ফেসবুক পোস্টে আলি লিখেছিলেন, ‘‘আমি খুব খুশি যে অনেক ডানপন্থী কর্নেল কুরেশির প্রশংসা করছেন। তবে তারা একই ভাবে গণপিটুনি, একতরফা বুলডোজার কার্যক্রমের বিরুদ্ধেও জোর গলায় সরব হতে পারেন। যারা বিজেপির বিদ্বেষের রাজনীতির মুখে পড়ছেন, তাদের সুরক্ষার দাবি জানাতে পারেন।’’

    স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত করা হয়

    এই আবহে হরিয়ানা রাজ্য মহিলা কমিশন আইন, ২০১২ এর ধারা ১০(১)(এফ) এবং ১০(১)(এ) অনুসারে আলি খানের মন্তব্যের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত শুরু করে। তবে এই গোটা বিতর্কের জবাবে আলি খান বারবার দাবি করেন, এটা একটা নতুন ধরনের সেন্সরশিপ। তবে এই আবহে অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে এক বিবৃতি (Operation Sindoor) জারি করে। আলি খানের বক্তব্য তারা সমর্থন করেনা বলেও জানায় বিশ্ববিদ্যালয়।

  • Indian Army: “পাকিস্তানের ভিতরে ১০০ কিলোমিটার ঢুকে জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত,” বললেন শাহ

    Indian Army: “পাকিস্তানের ভিতরে ১০০ কিলোমিটার ঢুকে জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত,” বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র ভূয়সী প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী (Indian Army) পাকিস্তানের ভিতরে ১০০ কিলোমিটার ঢুকে জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।” গুজরাটের গান্ধীনগর জেলার কোলাভাডা গ্রামে আয়োজিত এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গোটা বিশ্ব আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর দক্ষতা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় সংকল্পের প্রশংসা করছে।”

    ১০০ জন সন্ত্রাসবাদী নির্মূল

    তিনি বলেন, “ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রায় ১০০ জন সন্ত্রাসবাদীকে নির্মূল করেছে। জঙ্গি সংগঠনগুলির সদর দফতর ধ্বংস করেছে এবং ১৫টি সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর পাল্টা আঘাত হানার ক্ষমতা অনেকটাই কমে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দেশের নারীদের সম্মান জানিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামকরণ করেছেন। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে কয়েক বছর ধরে নিয়মিত জঙ্গি হামলা ঘটত, এখন আর তা ঘটছে না (Indian Army)।”

    মোদি জমানায় খেলা ঘুরেছে

    গান্ধীনগরের লোকসভার সাংসদ বলেন, “আগে সন্ত্রাসবাদীরা পাকিস্তান থেকে আসত, আমাদের সেনা ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করত এবং পালিয়ে যেত। তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করত। কিন্তু তখন তাদের কোনও জবাব দেওয়া হত না।” তিনি বলেন, “মোদি দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতে তিনটি বড় জঙ্গি হামলা হয়েছে—উরি, পুলওয়ামা এবং গত মাসে পহেলগাঁও।প্রধানমন্ত্রী মোদি সবগুলির উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন এবং গোটা বিশ্ব বিস্ময়ের সঙ্গে তা দেখছে, আর পাকিস্তান তা আতঙ্কের সঙ্গে অনুভব করছে।”

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তারা (পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা) অতীতে ভারতের প্রতিক্রিয়া থেকে কোনও শিক্ষাই নেয়নি এবং ফের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা চালিয়েছে। এবার ‘অপারেশন সিঁদুরে’র আওতায় আমরা জঙ্গি সংগঠনগুলির সদর দফতর ধ্বংস করে দিয়েছি।” তিনি বলেন, “আজ আমি গর্বের সঙ্গে বলতে এসেছি যে, আমরা পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ নিয়েছি—জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে দিয়েছি। পাকিস্তানি জঙ্গিরা নিরস্ত্র ভারতীয় নাগরিকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে, তাদের পরিবারগুলোর সামনে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল (Indian Army)।”

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ভারত ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল পাকিস্তানকে, কীভাবে জানেন?

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ভারত ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল পাকিস্তানকে, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) পাকিস্তান যে নাস্তানাবুদ হয়েছিল, সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে তা জানে তামাম বিশ্ব। তবে সেই অপারেশন নিখুঁত করতে গিয়ে ভারত ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল পাকিস্তানকে (Pakistan)। ভারতের পাঠানো পাইলটবিহীন ছদ্ম বিমানের মোকাবিলা করতে যখন ব্যস্ত পাক সেনা, সেই সময়ই নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানে ভারত। ৯ মে রাতে ও ১০ মে ভোরে একের পর এক পাক বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। যার জেরে দেশে যুদ্ধবিমান মজুত থাকলেও, সেগুলি ওড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল ইসলামাবাদ। কারণ, রানওয়েতে বিশাল গর্ত। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, তার পরেই একপ্রকার বাধ্য হয়েই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় ভারতকে। বিশ্বকে শান্তির ললিত বাণী শোনায় যে ভারত, সেই ভারতই সাড়া দেয় পাকিস্তানের প্রস্তাবে। তারই ফসল এই সংঘর্ষ বিরতি। বিভিন্ন সূত্র মারফত এমন খবর পেয়েছে সংবাদ মাধ্যম। ঠিক কী ঘটেছিল সেই রাতে, কীভাবেই বা সাজানো হয়েছিল পাক বধের ঘুঁটি, কীভাবে পাকিস্তানকে কার্যত লেজেগোবরে করে ছেড়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত?

    ডামি যুদ্ধবিমান (Operation Sindoor)

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করতে ডামি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল ভারতীয় সেনা। পাইলটবিহীন এই যুদ্ধবিমানগুলি যে আদতে খেলনা বিমানের মতো, তা বুঝতে পারেনি পাক সেনা (Operation Sindoor)। ভারতীয় যুদ্ধ বিমানকে আঘাত করতে সক্রিয় হয় তারা। তখনই ভারতীয় সেনা জেনে যায় পাকিস্তানের লুকিয়ে রাখা রেডারের অবস্থান। এর পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করে ভারত। তার জেরই সফল হয় অপারেশন সিঁদুর। ‘লক্ষ্য’ ও ‘বানশি’ নামে পরিচিত এই ডামি ইউএভিগুলি রাফাল, সুখোই-৩০, মিগ-২৯ এবং জাগুয়ারের মতো ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানগুলিকে অনুকরণ করতে পারে।

    পাকিস্তানি বায়ুসেনাকে খোঁড়া করে দেওয়া

    ভারত প্রথম থেকেই ঠিক করেছিল পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলিতে হামলা চালানো হবে আকাশ পথে (Pakistan)। উদ্দেশ্য, পাকিস্তানি বায়ুসেনাকে খোঁড়া করে দেওয়া। ভারতের হামলার মোকাবিলা করতে পাকিস্তান তাদের মেড ইন চায়না, এইচকিউ-৯ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের লঞ্চার ও রাডারগুলি দেশের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করে। কয়েকটির অবস্থান ভারত আগে থেকেই জেনে গিয়েছিল। কিন্তু নতুন কয়েকটি জায়গায়ও মোতায়েন করা হয়েছিল লঞ্চার ও রাডারগুলি। ভারত ডামি যুদ্ধ বিমান পাঠাতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে পাকিস্তানের রাডার এবং লঞ্চার। সক্রিয় হয় এয়ার ডিফেন্স নেটওয়ার্কও। এইচকিউ-৯-ও সক্রিয় হয় (Operation Sindoor)।

    বেআব্রু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

    ব্যস, খেল খতম! পাকিস্তানের কোথায় কোথায় রাডার এবং লঞ্চার রাখা হয়েছে, তা জেনে যায় ভারত। তারপর করা হয় পদক্ষেপ। এর পরেই পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স রাডার, কমান্ড এবং কন্ট্রোল সিস্টেমগুলিকে লক্ষ্য করে ইজরায়েলে তৈরি হারোপ-সহ একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী (Pakistan)। দূরপাল্লার একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যেই ছিল ব্রহ্মোস এবং স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্রও। এই হামলায় প্রায় ১৫টি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্ক্যাল্প, রাম্পেজ এবং ক্রিস্টাল মেজ ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই প্রথম ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কোনও সংঘাতে ব্যবহার করা হল। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের পাঠানো ডামি যুদ্ধবিমানের টোপ গেলাই কাল হয়েছিল পাকিস্তানের। ভারতের পাতা ফাঁদে পা দিতেই এ দেশের সেনার কাছে ধরা পড়ে যায় তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঠিক অবস্থান। তার পরেই নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত করে ভারতীয় সেনা (Operation Sindoor)।

    পাক সেনাকে ঘোল খাইয়ে ছাড়ল ভারত

    পাক সেনাকে ঘোল খাইয়ে ছাড়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের ছোড়া ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র নষ্ট করে দেয় ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতির’। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই প্রাচীরই রুখে দিয়েছিল পাকিস্তানের হামলা। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭জন হিন্দু পর্যটককে। ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন। পরে অবশ্য তারা অস্বীকার করে হামলার দায় (Pakistan)।

    এর পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে কোমর বাঁধে ভারতীয় সেনা। এই লক্ষ্যে ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। ৯-১০ মে রাতে ভারতের হানায় পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনাঘাঁটিও আক্রান্ত হয়। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তানের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনাঘাঁটির মধ্যে ১১টি আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “ওই অভিযানে (Pakistan) ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল সেনা। তাতে রাতের অন্ধকারে দিন দেখেছে পাকিস্তান (Operation Sindoor)।”

  • Operation Sindoor: “পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ করতে পারে ভারত”, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তার

    Operation Sindoor: “পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ করতে পারে ভারত”, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক উভয় ক্ষেত্রেই শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে। এর মাধ্যমে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায়, যে কোনও সময় আক্রমণ করতে পারে ভারত।” অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) প্রেক্ষিতে কথাগুলি বললেন মার্কিন সেনার প্রাক্তন রণকৌশলবিদ (US Army Warfare Expert)।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। পড়শি দেশের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটিকে দুরমুশ করে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির এই অপারেশন উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে তামাম বিশ্বে। এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত কেবল পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিই ধ্বংস করেনি, পাকিস্তানি বায়ুসেনার প্রায় এক ডজন বিমানঘাঁটিও ধ্বংস করেছে। তার পরেই অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ যুদ্ধবিশারদরা।

    মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জন স্পেন্সার বলেন, “যে চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে পাকিস্তান, তা ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দাঁড়াতেই পারবে না।” স্পেন্সার বলেন, “পাকিস্তানের গভীরে আক্রমণের বিরুদ্ধে ভারত সফলভাবে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি ড্রোন আক্রমণ এবং উচ্চ গতির ক্ষেপণাস্ত্র।”

    স্পেন্সার বর্তমানে মডার্ন ওয়ারফেয়ার ইনস্টিটিউটের আরবান ওয়ারফেয়ার স্টাডিজের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের ব্যবহৃত চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার জন্য ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা ভারতের উন্নত সামরিক সক্ষমতার (Operation Sindoor) প্রমাণ। চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ভারতের তুলনায় দুর্বল। ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র চিনা ও পাকিস্তানি উভয় বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছিল।” এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতের বার্তা স্পষ্ট ছিল। এটি যে কোনও সময় পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে পারে।”

    প্রসঙ্গত, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সব চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। এটি ভূপৃষ্ঠের যে কোনও জায়গা থেকে এবং সমুদ্রের সাবমেরিন থেকে, আকাশে যুদ্ধবিমান থেকে এবং স্থলে লঞ্চার থেকে নিক্ষেপ করা যেতে পারে (US Army Warfare Expert)। এটিই বিশ্বের একমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র যা চারটি উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম থেকে নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখে (Operation Sindoor)।

LinkedIn
Share