Tag: Operation Sindoor

  • Pakistan: ‘‘ধর্মের অপব্যবহার করে জিহাদের প্রসার ঘটাচ্ছে পাকিস্তান’’, মত ইতিহাসবিদ টম কুপারের

    Pakistan: ‘‘ধর্মের অপব্যবহার করে জিহাদের প্রসার ঘটাচ্ছে পাকিস্তান’’, মত ইতিহাসবিদ টম কুপারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) ধর্মের “ব্যাপক অপব্যবহার” করে জিহাদের জন্ম দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সামরিক বিমানচালনা বিশ্লেষক এবং ইতিহাসবিদ টম কুপার (Tom Cooper)। তিনি জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না। কুপার বলেন, ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসবাদ পশ্চিম আফ্রিকার নাইজেরিয়া থেকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ফিলিপিন্স পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক কাঠামো দীর্ঘদিন ধরে সামরিক শাসনের কবলে রয়েছে। কুপারের কথায়, “পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও অসামরিক নেতৃত্বের সম্পর্ক কখনওই ভালো ছিল না। দেশটিতে একাধিক সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে এবং বেশিরভাগ সময়ই দেশটি সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। ফলে এই সমস্যার সমাধান হবে না বলেই আমি মনে করি।” ধর্মকে ব্যবহার করে আমজনতাকে ভুল বুঝিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। বারবার এমনই অভিমত প্রকাশ করেছে ভারতও।

    পারমাণবিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

    পাকিস্তানের (Pakistan) পারমাণবিক নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন টম কুপার (Tom Cooper)। তিনি বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ইঙ্গিতপূর্ণ। পাকিস্তানের হাতে পরমাণু অস্ত্রও নিরাপদ নয়। কুপার বলেন, “ভারত তার গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলির উপর কড়া নজরদারি করছে। ভারতের হাতে এই বিষয়ে নির্ভুল তথ্য রয়েছে। এটি স্পষ্ট করে যে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনার সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ।” তাঁর দাবি, এই উদ্বেগ নতুন কিছু নয় এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা বহু বছর আগেই এই ধরনের শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। পাকিস্তানের উপর ভারতের আধিপত্য নিয়ে কুপার বলেন, “ভারত তার কৌশলগত গোয়েন্দা উপগ্রহের মাধ্যমে পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং পাকিস্তানের পক্ষে এতে বাধা দেওয়া প্রায় অসম্ভব।”

    পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা

    পাকিস্তানের (Pakistan) অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা এবং ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসবাদের প্রসার বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুপারের (Tom Cooper) মতে, পাকিস্তান শুধু নিজের দেশের মধ্যেই জিহাদবাদের প্রজনন ঘটাচ্ছে না, বরং আন্তর্জাতিকভাবেও এর অর্থায়ন এবং সংগঠন করছে। এই প্রক্রিয়া আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে, যা বিশ্ব শান্তির জন্য এক কঠিন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে। এটি শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরীণ নীতি নির্ধারণেই প্রভাব ফেলে না, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কুপারের মতে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী নিজস্ব স্বার্থ এবং উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত হয়, যা দেশের ব সরকারের সঙ্গে সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

  • Indus Waters Treaty: সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের পর চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ভারতের, আরও চাপ বাড়বে পাকিস্তানের

    Indus Waters Treaty: সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের পর চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ভারতের, আরও চাপ বাড়বে পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রভাগা নদীর ওপর খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আরও বেশি জল ঢুকবে ভারতে। সিন্ধু চুক্তি (Indus Waters Treaty) অনুযায়ী, সিন্ধু নদের এই উপনদীর জল পাকিস্তানই ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত। এই আবহে চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের কথা ভাবা হয়েছে বলে জানিয়েছে নয়া দিল্লি। জানা যাচ্ছে, চন্দ্রভাগার ওপর এই খালটির নাম ‘রণবীর’। সেটাই সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছে নয়াদিল্লি।

    বাড়বে জল বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা (Indus Waters Treaty)

    ভারত সরকারে এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, চন্দ্রভাগা নদীর জল ভারত খুব একটা ব্যবহার করতে পারে না। সামান্য জলই পাওয়া যায়, এটি সেচের কাজেই লাগে। সিন্ধু চুক্তি স্থগিত (Indus Waters Treaty) হওয়ার পর নদীর জল আরও বেশি করে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছে ভারত। মনে করা হচ্ছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই জল ব্যবহার করা গেলে, এদেশে বিদ্যুতের চাহিদাও মিটবে। জানা যাচ্ছে, এভাবেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আরও ৩০০০ মেগাওয়াট বৃদ্ধি করার কথা ভাবছে নয়াদিল্লি।

    রণবীর খালের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ১২০ কিলোমিটার করা হবে

    ইতিমধ্যে সমীক্ষার (Indus Waters Treaty) পরিকল্পনাও করা হয়ে গিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমাদের অন্যতম প্রধান পরিকল্পনা হল, চন্দ্রভাগার উপর রণবীর খালের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ১২০ কিলোমিটার করা। তবে এ সব কাজ তো সময়সাপেক্ষ। আমরা সকলকে বলেছি, যত দ্রুত সম্ভব প্রক্রিয়া শুরু করতে।’’ খাল সম্প্রসারণের পাশাপাশি কাঠুয়া, রবি, পরাগওয়ালের মতো খালগুলিতে পলি সরানোর কাজও শুরু হয়েছে। এতে নদীগুলির জলধারণের ক্ষমতা বাড়বে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলা হয়। এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। সন্ত্রাসে পাকিস্তানের যোগ উঠে আসে। তখনই স্থগিত করা হয় সিন্ধুচুক্তি। প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে।

  • Operation Sindoor: সন্ত্রাসীদের সমর্থনে ব্যাটিং পাক-অভিনেতাদের! বলিউডের তিন খান কেন নেই সেনার পাশে?

    Operation Sindoor: সন্ত্রাসীদের সমর্থনে ব্যাটিং পাক-অভিনেতাদের! বলিউডের তিন খান কেন নেই সেনার পাশে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৫ জন হিন্দু পর্যটককে বেছে বেছে খুন করা হয়। হত্যা করার আগে তাঁদের নাম জিজ্ঞাসা করা হয়। ধর্ম নিশ্চিত করা হয়। নিম্নাঙ্গের পোশাক পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছিল ধর্ম নিশ্চিত করতে। নৃশংসভাবে এই হত্যালীলা চালানোর পরেও হামলা নিয়ে টুঁ শব্দটি করেননি (Operation Sindoor) বলিউডের তিন খান। তিন খানের কাছ থেকে কোনও রকমের প্রতিবাদ না আসায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। হিন্দু পুরুষদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল পহেলগাঁওয়ে, তারপরে গর্জে উঠেছিল গোটা দেশ। সারা দেশ সহানুভূতি জানিয়েছিল। সমবেদনা জানিয়েছিল। সেই ভুক্তভোগী পরিবারগুলিকে কোনওরকমের সমবেদনা জানায়নি কিন্তু তবু এত কিছুর মাঝেও আশ্চর্যজনকভাবে চুপ থেকেছে বলিউডে (Bollywood) তিন খান। অতীতের যে কোন ইস্যুতে যাঁরা আওয়াজ তুলেছেন। গলা ফাটিয়েছেন, তাঁদের এই নীরবতাতে অনেক প্রশ্নই সামনে আসছে।

    ১৯৪৮ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে অর্থ সংগ্রহ করে পাকিস্তান

    তবে ১৯৪৮ সালে যখন ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বাঁধে, তখন রাজ কাপুর, আইএস জোহর, গীতা বালি, নার্গিস, কামিনী কৌশলের মতো অনেক বড় অভিনেতারা ভারতকে শক্তিশালী করার জন্য তারা অর্থ সংগ্রহ নেমেছিলেন। ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের কিশোর কুমার, সুনীল দত্ত, নার্গিস, লতা মঙ্গেশকর, ওয়াহিদা রেহমান এনারাও (Bollywood) ভারতের সৈন্যদলের মনোবল বাড়িয়ে ছিলেন এবং তাঁরা সেই সময় অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন সেনার জন্য।

    ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও অর্থ সংগ্রহ করে বলিউড

    একই চিত্র সামনে এসেছিল ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও। এই সময়ে কিশোর কুমার, শাম্মি কাপুর, লতা মঙ্গেশকর, ওয়াহিদা রহমান, কল্যাণজি-আনন্দজি, নার্গিসের মতো অভিনেতারা বাংলাদেশের জন্য ত্রাণ কমিটি গঠন করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে বলিউডের তারকাদের (Operation Sindoor) মধ্যে এতটাই ক্ষোভ ছিল যে নানা পাটেকার সৈন্যদের সমর্থন করতে সরাসরি গিয়েছিলেন সেখানে।

    ২০২৫ সালে নিশ্চুপ থেকেছে বলিউড

    এবার আমরা যদি ২০২৫ সালের দিকে তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। আহত হন আরও অনেকেই। এমন সময় ভারতবর্ষের (Operation Sindoor) বলিউডের অভিনেতারা এনিয়ে কোনও বাক্য ব্যয় করেন নি। তাঁরা নিজেদের কাজেই মনোনিবেশ করেছেন। এরাই সেই বলিউড অভিনেতা, যাঁরা ২০১৮ সালে কাঠুয়া মামলায় গলায় প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে ছবি তুলেছিলেন কিন্তু চুপ রয়েছেন পহেলগাঁওকাণ্ডে। বলিউড অভিনেতারা দেশের জন্য দুটি লাইন লিখতে পারেননি।

    পাকিস্তানের অভিনেতারা দেশের পাশেই

    অন্যদিকে পাকিস্তানের নামী অভিনেতারা, তাঁদের দেশের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন। এঁদের মধ্যে অনেক অভিনেতা আবার ভারতে কাজও করেছেন। যেমন ‘সনম তেরি কসম’- এই ছবির মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়েছিলেন যাঁরা সেই ফাওয়াদ খান, হানিয়া আমির, মাহিরা খানরা ভারতকে কাপুরুষ বলেও তোপ দেগেছেন। সবথেকে আশ্চর্যজনক কথা হল, পাকিস্তানি এই অভিনেতাদের ভারতেও প্রচুর ভক্ত রয়েছেন। তার চেয়েও আশ্চর্যজনক কথা হল, বলিউডের অভিনেতারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি।

    ছবির প্রচারে জন্য ভারতের প্রশংসা করছে আমির খানের টিম!

    একইভাবে আমির খানও দীর্ঘদিন চুপ করে ছিলেন। কিন্তু তাঁর নতুন ছবি আসছে ‘সিতারে জামিন পর’। এই আবহে দিন কয়েক আগে তাঁর টিম ভারতের প্রশংসা করতে শুরু করে। একই পথে হেঁটেছেন তুষার কাপুরও। নিজের সিনেমার প্রচারের জন্য সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় তাঁকে তুরস্কের বয়কট সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তবে তা তিনি এড়িয়ে যান। তবে শুধু এটুকু বলেন যে ভারতের সঙ্গে তিনি আছেন।

    যুদ্ধ বিরতি নিয়ে পোস্ট, নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে পড়েন সলমন

    অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা হতেই বলিউড অভিনেতা সলমন খান অভিনন্দন জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন। এনিয়ে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এরপরই তিনি টুইট ডিলিটও করেন। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে মুখে কোনও কথা না বললেও যুদ্ধ বিরতিতে সরব হন সলমন। এক্স হ্যান্ডেলে সলমন খান লেখেন, ‘‘সংঘর্ষবিরতির জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।’’ এরপরই এক্স ব্যবহারকারীদের একাংশ অভিনেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের দাবি, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অভিনেতা। এখন সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে হঠাৎ কেন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন? ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে একটাও টুইট নেই কেন?’’, ‘‘আপনি অপারেশন সিঁদুর নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটাও কথা বলেননি!’’, এমন অনেক মন্তব্য আসতে থাকে তাঁর পোস্টের কমেন্ট বক্সে।

  • India-Pakistan War: ভারতের আকাশ, ব্রহ্মোস, স্কাই স্ট্রাইকার! ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ অস্ত্রে ধ্বংস পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা

    India-Pakistan War: ভারতের আকাশ, ব্রহ্মোস, স্কাই স্ট্রাইকার! ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ অস্ত্রে ধ্বংস পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের (India-Pakistan War) আবহে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া ওয়েপন’ বা দেশের মাটিতে তৈরি হাতিয়ার সকলের নজর কেড়েছে। সংশ্লিষ্ট অস্ত্রগুলির আঘাতে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ দশা হয়েছে ইসলামাবাদের। ভারতীয় সেনাবাহিনী আকাশ, ব্রহ্মোস ও স্কাই স্ট্রাইকার আত্মঘাতী ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চূর্ণ করে দিয়েছে। অপারেশন সিঁদুর শুধু পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে তা নয়, বরং ভারতের আত্মনির্ভরশীল প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির শক্তি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছে। গত কয়েক বছরে ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে। ডিআরডিও (Defence Research and Development Organisation) ও ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (BDL)-এর মতো প্রতিষ্ঠান বিশ্বমানের অস্ত্র তৈরি করছে, যেগুলো এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানিও হচ্ছে।

    আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা

    ডিআরডিও নির্মিত আকাশ হলো ভারতের (India-Pakistan War) নিজস্ব সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এটি ভারতীয় বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষার মেরুদণ্ডে পরিণত হয়েছে। আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ২৫ থেকে ৪৫ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত এবং ১৮,০০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, যার সফলতা ৯০ শতাংশ। গত ৮ থেকে ১০ মে, পাকিস্তানের একাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আকাশ সিস্টেম দ্বারা প্রতিহত করা হয়। এর মধ্যে শ্রীনগরে একটি পাকিস্তানি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান, পাঞ্জাবে একটি ফতেহ্-১ ক্ষেপণাস্ত্র এবং একাধিক পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র ও ডিজেআই সামরিক ড্রোন ধ্বংস করা হয়। লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করতে বিশেষ ধরনের একটি রেডার যুক্ত রয়েছে এই ব্যবস্থায়। ডিআরডিও জানিয়েছে, দু’ভাবে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। ট্র্যাকিং মোডে এটি একসঙ্গে ৬৪টি টার্গেটকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করতে সক্ষম। আবার সক্রিয় মোডে ১২টি লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে আকাশ।

    ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র

    ব্রহ্মোস হলো ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে নির্মিত একটি সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটি পৃথিবীর দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে পরিচিত, যার গতি শব্দের গতির তিন গুণ। বর্তমানে এর পরিসীমা ৯০০ থেকে ১৫০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে এবং এটি ভূমি, জল, আকাশ ও সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য। বর্তমানে তিন ধরনের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ভারতীয় ফৌজ। তার মধ্যে রয়েছে স্থলভাগ এবং যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়ার ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র। এ ছাড়া রণতরীর জন্য আলাদা ধরনের ব্রহ্মোস রয়েছে। সেগুলি মূলত ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির যুদ্ধজাহাজে ব্যবহার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। সূত্রের খবর, এর সাহায্যে পাকিস্তানের একাধিক বায়ুসেনাঘাঁটিকে গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বিমানবাহিনী। গত ১১ মে, ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যেখানে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়। এই অভিযানে লাহোর, ইসলামাবাদ ও করাচি-সহ সাতটি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

    স্কাই স্ট্রাইকার আত্মঘাতী ড্রোন

    স্কাই স্ট্রাইকার হলো ভারত ও ইজরায়েলের যৌথভাবে নির্মিত একটি “কামিকাজে” ড্রোন। এটি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই ড্রোন ‘ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুর হামলা চালায়। এই ড্রোন দীর্ঘ সময় ধরে আকাশে চক্কর কাটতে পারে এবং ছোট ও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁতভাবে ধ্বংস করতে পারে। এর ৫-১০ কেজি বিস্ফোরক বহনের ক্ষমতা রয়েছে। ‘স্কাই স্ট্রাইকার’-এর নির্মাণকারী সংস্থা হল আদানি গোষ্ঠীর বেঙ্গালুরুভিত্তিক সংস্থা আলফা ডিজাইন। ইজরায়েলি সংস্থা এলবিট সিকিউরিটিজের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এটিকে তৈরি করেছে তারা। সূত্রের খবর, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে মোট ন’টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে এই ড্রোন ব্যবহার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ইসলামাবাদের হাতে থাকা চিনের তৈরি এইচকিউ-৯পি নামের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ একে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়।

    নাগাস্ত্র-১ লইটারিং মিউনিশন: নিখুঁত সার্জিকাল স্ট্রাইক

    ডিআরডিও-র তত্ত্বাবধানে সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ দ্বারা নির্মিত নাগাস্ত্র-১ একটি ম্যান-পোর্টেবল লইটারিং মিউনিশন, যা স্কাই স্ট্রাইকার-এর কার্যক্রমকে সহায়তা করেছে। এই ড্রোনের পাল্লা ১৫-২০ কিলোমিটার, এবং এটি প্রায় ৬০ মিনিট আকাশে অবস্থান করতে পারে। ১-২ কেজি ওজনের ওয়ারহেডযুক্ত নাগাস্ত্র-১ জইশ-ই-মহম্মদ (JeM) ও লস্কর-ই-তৈবা (LeT)-এর ঘাঁটিতে নিখুঁত হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করেছে। মিশন মাঝপথে বাতিল করার ক্ষমতা ও সীমিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে নাগাস্ত্র-১ ভারতের দায়িত্বশীল যুদ্ধনীতিকে প্রতিফলিত করেছে।

    ডি৪ অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম: আকাশপথে সুরক্ষার ঢাল

    পাকিস্তানের (India-Pakistan War) সঙ্গে স্বল্প পরিসরের ‘যুদ্ধে’ ডিআরডিও-র ডি-৪ ব্যবস্থাটি খুবই কাজে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। এর সাহায্যে তুরস্কের ড্রোনের হামলা ঠেকিয়ে দেয় সেনা। যদিও এই নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ডি-ফোরের নির্মাণকারী সংস্থাও ভারত ইলেকট্রনিক্স। একে এককথায় ‘ড্রোন-কিলার’ হাতিয়ার বলা যেতে পারে। মূলত দু’ভাবে মানববিহীন উড়ুক্কু যান ধ্বংস করে এটি। প্রথম পদ্ধতিটি হল জিপিএস স্পুফিং। এর সাহায্যে ড্রোনকে ভুল পথে চালিত করে ডি-ফোর। জ্যাম করে মানববিহীন যানের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি। দ্বিতীয়টি হল, লেজার গাইডেড গুলি ছুড়ে মাঝ-আকাশে ড্রোনকে উড়িয়ে দেওয়া। ডিআরডিও-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান জি সতীশ রেড্ডি বলেন, “বিপুল সংখ্যক ড্রোনের আক্রমণের মুখেও এই অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম অত্যন্ত সফলভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।”

    ভারতীয় অস্ত্রের চাহিদা বাড়বে

    স্বাধীনতার পর থেকে অস্ত্র আমদানির দিকেই বেশি নজর দিয়েছে নয়াদিল্লি। ক্ষমতায় আসার পর থেকে হাতিয়ার নির্মাণে আত্মনির্ভর হওয়ার স্লোগান তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুধু তা-ই নয়, অস্ত্র রফতানির উপরেও জোর দেয় কেন্দ্র। কিন্তু, ভারতের মাটিতে তৈরি হাতিয়ার কোনও যুদ্ধে সে ভাবে ব্যবহার না হওয়ায় বিশ্ব বাজারে সেগুলির তেমন কদর কখনওই দেখা যায়নি। ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী সময়ে সেই মানসিকতায় আমূল বদল আসতে চলেছে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।

  • Operation Sindoor: মোদির নেতৃত্বে এককাট্টা দেশ, বিদেশে পাক-সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সরব হবেন সব দলের সাংসদরা

    Operation Sindoor: মোদির নেতৃত্বে এককাট্টা দেশ, বিদেশে পাক-সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সরব হবেন সব দলের সাংসদরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের মদত দেয় পাকিস্তান (Pakistan), এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে এবিষয়ে জোরদার প্রচার চালাবে নয়াদিল্লি। দেশের সব রাজনৈতিক দলের সাংসদদের নিয়ে কেন্দ্র তৈরি করেছে বিশেষ দল। জানা গিয়েছে, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এনিয়ে বিরোধী সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সূত্রের খবর, যোগাযোগ করা হয়েছে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর এবং সলমান খুরশিদ, এনসিপি (এসপি) এর সুপ্রিয়া সুলে, টিএমসির সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, এআইএমআইএম-এর আসাদুদ্দিন ওয়েইসি, ডিএমকে-র কানিমোঢ়ি এবং বিজেপির বিজে পান্ডার সঙ্গে। বিদেশের বিভিন্ন সরকারের কাছে গিয়ে তাঁরা পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলা, তার পরে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সমতে সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং ভারতের অবস্থান তুলে ধরবে ওই বিশেষ দল।

    ২২ মে-এর পর শুরু হবে এই বিদেশ সফর

    সূত্রের খবর, ২২ মে-এর পর শুরু হবে এই বিদেশ সফর (Operation Sindoor)। এই সফরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে। বিভিন্ন দলের সাংসদদের কাছে ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি প্রতিনিধি দলে ৫ থেকে ৬ জন করে সাংসদ থাকবেন। তাঁরা আমেরিকা, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সহ নানা দেশে সফর করবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে এনডিএ সাংসদরাই থাকবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্রীয় সরকার

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যে কোনও পদক্ষেপে কেন্দ্রের পাশে থাকার কথা জানিয়ে দেন বিরোধী সাংসদরা। এরপরেই শুরু করা হয় অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। পরে ১০ মে সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা করে ভারত-পাকিস্তান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেই পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দেওয়া হয়। বাতিল করে দেওয়া হয় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসাও।

  • India Pakistan: ‘‘রাত আড়াইটের সময় মুনিরের ফোন…’’, নূর খানে ভারতের প্রত্যাঘাতের কথা মানলেন শরিফ

    India Pakistan: ‘‘রাত আড়াইটের সময় মুনিরের ফোন…’’, নূর খানে ভারতের প্রত্যাঘাতের কথা মানলেন শরিফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রতি আক্রমণে দিশেহারা পাকিস্তান (India Pakistan)। অপারেশন সিঁদুর যে কতটা নিখুঁত তা মেনে নিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। মধ্য রাতে পাক জেনারেল আসিম মুনিরের ফোনেই তিনি বুঝেছিলেন ইসলামাবাদ নিরাপদ নয়। নিজেই বললেন শরিফ (Shahbaz Sharif)। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভারতের ক্রমাগত প্রত্যাঘাতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বিশেষত পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিগুলিকে দুরমুশ করে ছেড়েছে ভারত। আর সব থেকে বড় ঘা, হল রাজধানী ইসলামাবাদ সংলগ্ন নূর খান ছাউনিতে ভারতের প্রত্যাঘাত। সেখানে আঘাত হানতেই সংঘর্ষবিরতিতে মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তান।

    রাত আড়াইটা নাগাদ ফোন

    বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya) এই বিষয়টি শুক্রবার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে উল্লেখ করেন। মালব্য লেখেন, ‘‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজেই স্বীকার করেছেন, জেনারেল আসিম মুনির তাঁকে রাত আড়াইটা নাগাদ ফোন করে জানিয়েছিলেন যে, ভারত নূর খান বিমান ঘাঁটি এবং আরও বেশ কয়েকটি স্থানে বোমা হামলা চালিয়েছে। … প্রধানমন্ত্রী মাঝরাতে পাকিস্তানের ভেতরে হামলার খবর পেয়ে ঘুম থেকে উঠেছিলেন। এটি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর নির্ভুল লক্ষ্য এবং বিক্রমের প্রমাণ।’’

    কী বলেছিলেন শরিফ

    পাকিস্তান (India Pakistan) মনুমেন্টে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় শরিফ (Shahbaz Sharif) জানান, ৯ মে এবং ১০ মে রাত। সময় তখন আড়াইটা মতো। ফোন করে তাঁকে ঘুম থেকে তোলেন জেনারেল আসিম মুনির। ধড়মড়িয়ে উঠে শরিফ জানতে পারেন, ভারত একেবারে পাকিস্তানের ভূখণ্ডের ভেতরে ঢুকে প্রত্যাঘাত করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘৯/১০ তারিখ রাতে, জেনারেল আসিম মুনির আমাকে ফোন করে জানান যে ভারত নূর খান বিমানঘাঁটি সহ আমাদের বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক বোমা হামলা চালিয়েছে।’’ নূর খান ছাউনি পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ক্ষেত্র। এটাই সেনা বাহিনীর প্রধান পরিবহণ কেন্দ্র। আকাশে থাকা অবস্থায় কোনও যুদ্ধবিমানের জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে এই নূর খান ছাউনি থেকেই জ্বালানি নেয় তারা। আর এই ছাউনি থেকে ইসলামাবাদ খুব দূরে নয়। তাই এই হানা কার্যত পাকিস্তানের বুকে তীর মেরে দেওয়ার সামিল। ভারতের সেনা বাহিনী সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেও , মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন শরিফরা। অবশেষে সারা বিশ্বের সামনে সত্যিটা মেনে নিল পাকিস্তান।

  • Pakistan Army Headquarters: রাওয়ালপিন্ডি থেকে সরছে পাক সেনার সদর দফতর! ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হানার জের?

    Pakistan Army Headquarters: রাওয়ালপিন্ডি থেকে সরছে পাক সেনার সদর দফতর! ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হানার জের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র চার দিনের লড়াইয়ে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ দশা! পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিগুলিতে আগুন ঝরিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। একের পর এক বায়ুসেনার ছাউনি গুঁড়িয়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে পাকিস্তান। নূর খানে হামলা আটকাতে ব্যর্থ হওয়ায় রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরও যে মোটেই নিরাপদ নয়, তা স্পষ্ট বুঝে যান ইসলামাবাদের ফৌজি অফিসারেরা। তাই ভারতের সাম্প্রতিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী সদর দফতর (Pakistan Army Headquarters) স্থানান্তরের কথা বিবেচনা করছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ভারতের এই হামলা পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত হেনেছে।

    কেন এই পরিবর্তন?

    রাওয়ালপিন্ডির চকলালা এলাকায় অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার (GHQ), যা যৌথ বাহিনীর সদর দফতরের নিকটবর্তী। এই ঘাঁটির পাশেই অবস্থিত নূর খান বিমানঘাঁটি, যা ভিআইপিদের আসা-যাওয়া ও সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে আসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল একে ভারতী নূর খান ঘাঁটির পূর্ব ও বর্তমান অবস্থার স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এই ঘাঁটি পাকিস্তানের সুরক্ষা ও নজরদারি ব্যবস্থার কেন্দ্র ছিল। পাকিস্তানের পাল্টা ভারতের হামলায় এই ঘাঁটির অবস্থা খুবই খারাপ। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ভারতের এই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে রেডার ফাঁকি দিয়ে ভারতের ড্রোনের নিচু উচ্চতায় ঢুকে পড়া, পাক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে পাশ কাটিয়ে হামলা করা পাকিস্তানকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।

    রাওয়ালপিন্ডিতে ভারতের ড্রোন হামলা

    পাক বিমানবাহিনীর এই ঘাঁটিগুলির মধ্যে চকলালার নূর খান ছাউনিটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী ইসলামাবাদ (Pakistan Army Headquarters) থেকে এর দূরত্ব মেরেকেটে ১০ কিলোমিটার। একে পাক বায়ুসেনার সদর দফতর বললে অত্যুক্তি করা হবে না। শুধু তা-ই নয়, অধিকাংশ বড় অপারেশনে মুখ্য ভূমিকা থাকে নূর খান ঘাঁটির। সংশ্লিষ্ট ছাউনিটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতর রাওয়ালপিন্ডির গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে। গত ৮ মে তারিখে ড্রোন দিয়ে যেসব স্থানে হামলা চালানো হয়েছিল তার মধ্যে ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানস ডিভিশন (এসপিডি) এবং রাওয়ালপিন্ডিতে কাশ্মীর নিয়ে কাজ করা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর একটি জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স-নর্থ উইং, পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডারের বাসভবন, অ্যাটক জেলার ন্যাশনাল ডিফেন্স কমপ্লেক্স (এনডিসি), যা ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ট্রান্সপোর্টার-ইরেক্টার-লঞ্চার যান তৈরি করে। এই হামলা ইসলামাবাদে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনা সদর দফতরের কাছে নয়াদিল্লি আঘাত হানতেই সংঘর্ষবিরতিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন  ইসলামাবাদের সেনাকর্তারা। এবার তারা ভাবছে কী করে সেনা সদর দফতর সরানো যায়।

    পাকিস্তানের দুর্বলতা প্রকাশ

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ আপাতত স্থগিত রেখেছে ভারত। কেউ কেউ একে সংঘর্ষবিরতি বলতেই পারেন, কিন্তু প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষজ্ঞরা এই শব্দটি এড়িয়ে যাচ্ছেন। যুদ্ধের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এটাকে শুধু বিরতি বলে বর্ণনা করা যাবে না বরং বলা যায় এটি বিরল এবং কৌশলগত স্থগিতাদেশ। ভারত বারবার দাবি করেছিল, পাকিস্তানের পক্ষ থেকেই সংঘর্ষ বিরতির আবেদন করা হয়ছিল। ভারতের আঘাত সইতে পারেনি ইসলামাবাদ। এখন তাদের সেনা সদর দফতর সরানোর পরিকল্পনাই প্রমাণ করে ভারেতর দাবি সত্য। গত ৮ এবং ৯ মে রাতে ভারতের একাধিক বায়ুসেনাঘাঁটিকে নিশানা করে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। এর পরই পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটির আকাশসীমায় ঢুকে একের পর এক ছাউনিতে হামলা চালান ভারতের পাইলটেরা। ফলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে ইসলামাবাদ। বেশ কিছু গণমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমে হামলার সময়কার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেখানে পাক বায়ুসেনাছাউনিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে।

    পাক সেনাবাহিনীর গ্রহণযোগ্যতা কমছে

    পাকিস্তানের ঘরের ভিতরে ঢুকে ভারতের এই হামলা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর (Pakistan Army Headquarters) জন্য বড় ধাক্কা। ফলে পাক সেনাবাহিনী এখন ঢেলে সাজানোর কথা ভাবছে ইসলামাবাদ। নেতৃত্ব পরিবর্তন, সদর দফতর স্থানান্তর তারই অঙ্গ। পাকিস্তান চাইছে তাদের সমরাস্ত্র এক জায়গায় না রেখে পাহাড়ঘেরা অঞ্চল যেমন বেলুচিস্তান বা খাইবার পাখতুনখোয়ায়র কোনও জায়গায় রাখতে। ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে রাওয়ালপিন্ডি একটি ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল। যে কোনও সময় এখানে হামলা হতে পারে। তাই এখানে পরমাণু অস্ত্র রাখাও সুরক্ষিত নয়। ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পর পাকিস্তান সেনার সদর দফতর সরানোর পরিকল্পনা ইসলামাবাদের দুর্বলতা স্পষ্ট করে। এই কাজ তাদের সামরিক ভাবমূর্তিতে বড় ধাক্কা দেবে, বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেনা সদর দফতর স্থানান্তর একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। ঋণে ডুবে থাকা অর্থনীতির জন্য এটি অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ বালোচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহস জোগাবে এবং সাধারণ মানুষের সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা কমাবে।

  • BrahMos Missiles: ড্রাগনকে শুঁড়ে জড়াচ্ছে হাতি! চিনকে বাগে আনতে চাই ব্রহ্মোস, আওয়াজ উঠছে দক্ষিণ চিন সাগরে

    BrahMos Missiles: ড্রাগনকে শুঁড়ে জড়াচ্ছে হাতি! চিনকে বাগে আনতে চাই ব্রহ্মোস, আওয়াজ উঠছে দক্ষিণ চিন সাগরে

    সুশান্ত দাস

     

    গত এপ্রিল মাসে, ভারতে তৈরি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles) ভর্তি দ্বিতীয় বিমানটি ফিলিপিন্সে অবতরণ করে। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারত প্রত্যাঘাত করতে পারে এমন আশঙ্কা করে চিন যখন পাকিস্তানে অস্ত্র সরবরাহ করছিল, ঠিক সেই সময়ই ফিলিপিন্সে ব্রহ্মোস নিয়ে পৌঁছয় ভারতের বিমানটি। ভারতের থেকে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র কেনার চুক্তি করেছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার (South-East Asia) এই দ্বীপপুঞ্জ-রাষ্ট্রটি। এর মধ্যে গত বছর এপ্রিল মাসে ব্রহ্মোসের প্রথম ব্যাচ সরবরাহ করা হয়েছিল। এবার পাঠানো হল দ্বিতীয় ব্যাচ।

    পথ দেখাল ফিলিপিন্স

    ভারতের থেকে ফিলিপিন্সের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles) কেনার সিদ্ধান্ত নিছক কোনও ছোটখাটো বিষয় নয়। এর প্রধান দুটি ইতিবাচক দিক রয়েছে, অবশ্যই ভারতের দিক দিয়ে। এক, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারের নীতি অনুসারে দেশীয় অস্ত্র রফতানি করা হল। দুই, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (South-East Asia) চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ফলে তৈরি হওয়া বিপদের ওপর রাশ টানার একটা গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পন্থা হাতে পেল ভারত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ফিলিপিন্স ভারতের থেকে ব্রহ্মোস কেনার সাহস দেখিয়েছে। বাকিরা হয়ত মনে মনে চাইলেও, প্রকাশ্যে বলতে ভয় পাচ্ছিল। কারণ, গোটা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ভারত বাদে চিনকে চোখরাঙানি দেওয়া দূর, চিনের চোখে চোখ রেখে কথা বলার ঔদ্ধত্য কিছুদিন আগে পর্যন্ত কেউ দেখানোর সাহস পেত বলে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে ফিলিপিন্স ভারতের থেকে ব্রহ্মোস (BrahMos Missiles) কিনে সেই ভীতি অতিক্রম করে। তারা পথ দেখিয়েছে। বাকিরা সেই সাহস পেল সদ্যসমাপ্ত ভারত-পাক সংঘাতের পর।

    চিনের মায়াজাল ছিন্নভিন্ন

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। এই একটা নাম পাকিস্তানের হাল এমন বেহাল করে ছেড়েছে, যে তার আওয়াজ ইসলামাবাদ থেকে ছাড়িয়ে শোনা যাচ্ছে বেজিংয়েও। ভারতীয় সেনার এই সামরিক অভিযানে শুধু পাকিস্তান বেআব্রু হয়েছে, তাই নয়। বিশ্বের দরবারে ধসে গিয়েছে চিনা অস্ত্রের গরিমাও। এতদিন চিন তাদের অস্ত্রসম্ভারের বিপণন করে বিশ্বের কাছে যে মায়াজাল বুনেছিল, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles) ও ড্রোনের হামলা কার্যত তাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। চিন এতদিন নিজের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সকলকে (বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগর ও লাগোয়া অঞ্চলে অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াভুক্ত রাষ্ট্রগুলি) ভীতি প্রদর্শন করে দমিয়ে রাখত। কিন্তু, পাকিস্তানে চিনা এয়ার-ডিফেন্স থেকে শুরু করে চিনা যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে, তাতে সকলের সংবিৎ ফিরেছে। চিনা বস্তু নিয়ে ভারতে প্রবলভাবে জনপ্রিয় একটা শব্দবন্ধ রয়েছে— ‘চাইনিজ প্রোডাক্ট’। এক এক করে এই দেশগুলিও তা উপলব্ধি করছে।

    ভারতীয় অস্ত্রের বৈপ্লবিক উত্থান

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর বদলে যায় গোটা প্রেক্ষাপট। একদিকে যেমন চিনা অস্ত্রের মুখোশ খুলে যায়। অন্যদিকে, বিশ্বের দরবারে ভারতীয় অস্ত্রের বৈপ্লবিক উত্থান। তারা একটা বিষয় সকলে বুঝে গিয়েছে। চিনকে বাগে আনতে হলে, চিনা প্রভাব খাটো করতে হলে, ভারতের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-কে (BrahMos Missiles) ঘরে তুলতেই হবে। তাই কালবিলম্ব না করে, ফিলিপিন্সের মতো ভারতের দুয়ারে লাইন দিতে শুরু করে দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার (South-East Asia) একের পর এক দেশ। কে নেই! তালিকায় রয়েছে— ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। সকলেই ব্রহ্মোস কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। হয়ত আগামীদিনে এই অঞ্চলের আরও দেশ ভারতের শরণাপন্ন হবে। ভারতের থেকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles) কিনতে চাইবে। ফলে যেটা শুরু হয়েছিল ফিলিপিন্স দিয়ে, এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা অঞ্চলে।

    চিনা অত্যাচারের শিকার

    এই দেশগুলির মধ্যে একটা বিষয় কমন বা অভিন্ন। তা হল, এরা সকলেই দক্ষিণ চিন সাগর এলাকায় চিনের নীপিড়ন-অত্যাচারের শিকার। চিনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, দমন করার নীতি, শোষণের স্বভাব, জবরদখলের ইতিহাস— এরা সকলেই তার সঙ্গে পরিচিত। সামরিক শক্তি দেখিয়ে চিন সাগর অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে গা-জোয়ারি করে আসছে চিন। ফলে বাধ্য হয়ে মুখ বন্ধ করে, মাথা নিচু করে থাকতে হতো সকলকে। তারা সকলেই চিনের ওপর বীতশ্রদ্ধ। কিন্তু, ভারতের হাতে পাকিস্তানের পরাজয় চিনকে মাটিতে আছড়ে ফেলেছে।

    ভারতের তুরুপের তাস

    ভারতও চিনের এই নীতির সঙ্গে ভালোভাবেই অবগত। চিন এতদিন এইভাবেই ভারতকে চারদিক দিয়ে ঘেরার চেষ্টা চালিয়েছে। চিনের এই কৌশলের নাম ‘স্ট্রিং অফ পার্লস’ বা মুক্তোমালা। এখন চিনকে মোক্ষম সবক শেখাতে চাইছে ভারত। তাই, চিনা দমনের শিকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি হতে পারে ভারতের তুরুপের তাস। আর প্রধান হাতিয়ার ব্রহ্মোস (BrahMos Missiles)। তবে অস্ত্র নিক্ষেপ নয়, অস্ত্র বেচে এই কাজ হাসিল করতে উদ্যোগী ভারত। বেজিংকে শিক্ষা দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (South-East Asia) ভারসাম্য আনার চেষ্টায় নয়াদিল্লি। ধীরে ধীরে নিঃশব্দে ‘ড্রাগন’কে (চিনের প্রতীক) তার শুঁড়ে পেঁচিয়ে নিতে শুরু করেছে ‘হাতি’ (ভারতের প্রতীক)।

  • Operation Sindoor: সফল অপারেশন সিঁদুর! প্রতিরক্ষা খাতে ৫০ হাজার কোটি বরাদ্দ বাড়াচ্ছে মোদি সরকার

    Operation Sindoor: সফল অপারেশন সিঁদুর! প্রতিরক্ষা খাতে ৫০ হাজার কোটি বরাদ্দ বাড়াচ্ছে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সাফল্যে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ আরও ৫০ হাজার কোটি বাড়তে চলেছে। এমনটাই জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে। পাক আক্রমণ প্রতিহত করতে এস-৪০০ সহ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের ভূমিকাও (Indian Defence Budget) দেখেছে সারা বিশ্ব। ভারতের একাধিক শহরকে পাকিস্তানের সেনা টার্গেট করলেও এদেশের দুর্ভেদ্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে তাদের আক্রমণ। এই আবহে ভারতীয় সেনাকে আরও শক্তিশালী করতে চায় মোদি সরকার। সেই লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা খাতে বাড়তি ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    সেনার আধুনিকীকরণ, গবেষণা এবং আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কেনার কাজে ব্যবহার হবে বরাদ্দ

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভায় এসংক্রান্ত প্রস্তাব পাশ হয়েছে। সংসদের আসন্ন অধিবেশনে এটা নিয়ে বিল আনা হবে (Indian Defence Budget)। জানা যাচ্ছে, প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ অতিরিক্ত ৫০ হাজার কোটি টাকা সেনার আধুনিকীকরণ (Operation Sindoor), গবেষণা এবং আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কেনার কাজে ব্যবহার করা হবে।

    চলতি বছরেই প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো হয়েছিল ৯.২ শতাংশ

    চলতি বছরেই প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো হয়েছিল ৯.২ শতাংশ। ২০২৪ সালে প্রতিরক্ষা বাজেটে মোদি সরকার বরাদ্দ করেছিল ৬ লক্ষ ২২ হাজার কোটি। ২০২৫ সালে তা বাড়িয়ে ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থ মূল বাজেটের ১৩ শতাংশ বলে জানা যাচ্ছে। এবার সেটা আরও বাড়তে চলেছে খবর। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতিরক্ষা খাতে (Operation Sindoor) বাড়তি নজর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪-১৫ সালে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকা। বর্তমান বরাদ্দ তার প্রায় তিনগুণ।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পরেই অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতের সেনাবাহিনী। খতম হয় শতাধিক জঙ্গি। এরপরে সন্ত্রাসের বুকে আঘাত হানতেই সক্রিয় হয় জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তান। পালটা হামলা চালানোর চেষ্টা হয় ভারতের উপর। কিন্তু ভারতের উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই হামলা রুখে দেয়। অন্যদিকে, ভারতের পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের বায়ুসেনা ঘাঁটি-সহ অন্তত ১১টি সেনাঘাঁটি ধ্বংস হয়।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর! নতুন উচ্চতায় রাফালের শেয়ার, ধস চিনা যুদ্ধবিমানের স্টকে

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর! নতুন উচ্চতায় রাফালের শেয়ার, ধস চিনা যুদ্ধবিমানের স্টকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানকে (Operation Sindoor) দুরমুশ করতেই বড় ধস নামল চিনা জে-১০ যুদ্ধবিমানের স্টকে। অন্যদিকে বাড়ল রাফালের (Rafale) শেয়ার দর। অনেকেই মনে করছেন, এতেই পরিষ্কার হল ভারতের অপারেশন সিঁদুর ঠিক কতটা সফল! অন্যদিকে, ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থারও ব্যর্থতাও সামনে আনল। অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে গিয়ে রাফালের ভয়ঙ্কর আঘাত যেমন আলোচনায় উঠে এসেছে। একইভাবে চর্চায় রয়েছে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স। ভারতের দূর্ভেদ্য বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের আকাশই ধ্বংস করে দেয় চিনের তৈরি যুদ্ধ সরঞ্জাম। এই আবহে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারত পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতেই চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থা অ্যাভিক চেংডু এয়ারক্রাফ্ট কোম্পানির স্টকে ১২ শতাংশ পতন দেখা গেল। একইসঙ্গে লক্ষ্মীলাভ হল রাফালের।

    মোদির ভাষণের পরেই চিনা সংস্থার শেয়ারের দাম দ্রুত গতিতে নেমেছে

    ভারতের বিরুদ্ধে এই কোম্পানির জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান। এবার এতেই দেখা গিয়েছে বড় ধস। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনা সংস্থার শেয়ার আরও নীচে নামতে পারে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতার (Operation Sindoor) পরই এই শেয়ারের দাম দ্রুত গতিতে নেমেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। ভারত যে যুদ্ধ জিতেছে তা এবার প্রতিফলিত হল শেয়ার বাজারের দরেও। সামনে এল চিনা যুদ্ধ সরঞ্জামের বেআব্রু অবস্থা।

    রাফালের লক্ষ্মীলাভ (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, রাফাল যুদ্ধবিমান হল বিশ্বের প্রথমসারির ফাইটার জেটগুলির মধ্যে অন্যতম। ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন এই যুদ্ধবিমান তৈরি করে। অপারেশন সিঁদুরে এই যুদ্ধবিমানই (Operation Sindoor) ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা। পাক-ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে ঢুকতে আঘাত হানে এই যুদ্ধ বিমান। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিখুঁত আক্রমণ করে। তার পর থেকেই রাফালের অসামান্য দক্ষতা নিয়ে আলোচনা চলছে আন্তর্জাতিক মহলে। এই পরিস্থিতিতেই দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ার দর লাফিয়ে বাড়ছে। তা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারত ও পাকিস্তানের সংঘর্ষে আদতে লক্ষ্মীলাভ হলো এই ফরাসি সংস্থার (Rafale)। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বুধবারই ফ্রান্সের শেয়ার বাজার খোলার পর প্যারিস স্টক এক্সচেঞ্জে দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ার দর প্রায় দেড় শতাংশ বেড়ে হয় ৩০৪.৪০ ইউরো। তবে শুধুমাত্র শুধু স্টকের দামই নয়, দাসো অ্যাভিয়েশনের ফিনান্সিয়াল রিপোর্টও এই সংস্থার শ্রীবৃদ্ধিকেই দেখাচ্ছে।

    ভারতের প্রতিরক্ষা খাতের শেয়ারে দাম বেড়েছে হু হু করে, চিনে পতন

    চলতি সপ্তাহে চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির শেয়ারের দামের ব্যাপক পতন হয়েছে যেখানে ভারতীয় প্রতিরক্ষা খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে হু হু করে। দেখা যাচ্ছে, সোমবার প্রতি শেয়ারের ৯৫.৮৬ ইউয়ানের থেকে অ্যাভিক চেংডু এয়ারক্রাফ্টের শেয়ারের দাম ১১.৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে, চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থার শেয়ারের দাম ৮৫.২০ ইউয়ানে লেনদেন হচ্ছে। টানা তিন দিনে ১১.৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে চেংডু এয়ারক্রাফ্টের শেয়ারের দাম ।

    পাকিস্তানকে কোন কোন অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল চিন

    এর আগে, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবেই চিনা মিসাইলকে ধ্বংস করে দেয়। চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের একাধিক ছবি সাংবাদিক সম্মেলন করে দেখায় ভারতীয় সেনা। এরপর থেকেই ঝুঝো হংডা ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন লিমিটেডের শেয়ারের দাম তীব্রভাবে কমতে দেখা যায়। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী নিশ্চিত করে, চিন পাকিস্তানকে যে মিসাইল সরবরাহ করেছিল, তার নাম পিএল-১৫। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতের বহু-স্তরযুক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে ব্যর্থ হয়েছে। অকেজো হয়ে গিয়েছে এই মিসাইল।

    সহজেই অকেজো হয়ে যায় চিনা ক্ষেপণাস্ত্র

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরেই ৯ ও ১০ মে রাতে পাকিস্তান ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি ও সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে একাধিক বিমান হামলা চালানোর চেষ্টা করে। যার মধ্যে ছিল চিনা পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র এবং তুরস্কের তৈরি বাইকার ইহা কামিকাজে ড্রোন সহ উন্নত অস্ত্রশস্ত্র। তবে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবে সমস্ত হুমকি প্রতিহত করে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের জেএফ-১৭ ও জে-১০ যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত পিএল-১৫ হল একটি বিয়ন্ড-ভিজ্যুয়াল-রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। এটি খুব সহজেই নিষ্ক্রিয় করে দেয় দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই আবহে চিনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির বাস্তব কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার এই কারণেই চিনা কোম্পানির স্টকের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমতে দেখা গেল।

LinkedIn
Share