Tag: Operation Sindoor

  • Operation Sindoor: ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানাল ইডেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যে গর্বিত সচিন থেকে গম্ভীর

    Operation Sindoor: ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানাল ইডেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যে গর্বিত সচিন থেকে গম্ভীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) এর সাফল্যে ভারতীয় সেনাকে সম্মান জানাল ইডেন গার্ডেন্স। বৃহস্পতিবার, ইডেন ছিল অন্য মেজাজে। আইপিএলের ম্যাচে সাধারণত জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয় না। কখনও টুর্নামেন্টের শুরুর ম্যাচে কিংবা ফাইনালে এমনটা দেখা যায়। আন্তর্জাতিক ম্যাচ থাকলে অবশ্য় জাতীয় সঙ্গীত দিয়েই ম্যাচের শুরু হয়। আইপিএলে (IPL 2025) প্রথম বার ম্যাচ শুরুর আগে বাজল জাতীয় সঙ্গীত। এদিন ভারতীয় সেনাকে সম্মান জানাতে ইডেনে কেকেআর বনাম চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচ শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীতে। স্ক্রিনেও ভেসে ওঠে ভারতীয় সেনাকে গর্ব এবং সম্মানের বার্তা। ভারতীয় সেনার সাফল্যকে কুর্নিশ জানাতে এই পদক্ষেপ করে বিসিসিআই।

    সেনাকে কুর্নিশ বিসিসিআই-এর

    মঙ্গলবার রাতে জঙ্গিদের বহু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় থাকা জঙ্গিদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসীরা ২৬ জন ভারতীয়কে গুলি করে হত্যা করেছিল। তার বদলা হিসেবেই মঙ্গলবার ভারতীয় সেনা জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে আক্রমণ করে। বুধবার ইডেনে খেলার শুরুর আগেই দুই দল ভারতীয় সেনাকে স্যালুট জানায়। খেলা চলাকালীন একাধিকবার ডিজিটাল স্ক্রিনে দেখানো হয় ভারতীয় সেনাকে স্যালুট জানানোর কথা। বহু সমর্থক এদিন খেলা দেখতে আসেন তেরঙ্গা হাতে। খেলা চলাকালীন বাউন্ডারি লাইনের ধারের স্ক্রিনগুলিতেও বার্তা হিসেবে দেখানো হয়, “ভারতীয় সেনার জন্য আমরা গর্বিত।” এদিন ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা এবং চেন্নাইয়ের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে পাওয়া যায়। এই ম্য়াচটি শেষ ওভার পর্যন্ত চলে। টান টান ম্যাচে ঘরের মাঠে মহেন্দ্র সিং ধোনিদের কাছে ২ উইকেটে হেরে যায় কেকেআর। এই হারের ফলে চলতি আইপিএল থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়ার পথে নাইটরা।

    সেনাকে সেলাম ক্রিকেটারদের

    ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুর-কে (Operation Sindoor) কুর্নিশ জানিয়েছেন বহু প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। বীরেন্দ্র সেওয়াগ লিখেছেন জয় হিন্দ। নিজের ব্যাটিংয়ের মতোই অ্যাটাকিং স্টাইলে লিখেছেন, ‘‘কেউ যদি পাথর ছোড়ে, আপনিও ফুল ছুড়ে দিন, তবে গামলার সঙ্গে। অপারেশন সিঁদুর, একেবারে নিখুঁত নাম।’’ দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বর্তমানে ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর, অপারেশন সিঁদুরের ছবি সহ পোস্ট করেছেন জয় হিন্দ। সঙ্গে দেশের পতাকা। বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর লিখেছেন, ‘‘একতা ভয়ডরহীন। একতাই শক্তি। ভারতের শক্তি দেশের প্রত্য়েকটা মানুষ। এখানে সন্ত্রাসবাদের কোনও জায়গা নেই। জয় হিন্দ।’’ দেশের আর এক কিংবদন্তি ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামী লিখেছেন, ‘‘ভারত এভাবেই জবাব দেয়।’’ ভারতীয় ক্রিকেটের গব্বর শিখর ধাওয়ান কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধুয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদিকে। সেনার জবাবের পর ধাওয়ান লিখেছেন, ‘‘ভারত সবসময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে, ভারত মাতা কি জয়।’’ অনিল কুম্বলে, চেতন শর্মা, সুরেশ রায়না, বরুণ চক্রবর্তীর মতো প্রাক্তন এবং বর্তমান ক্রিকেটাররাও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে নানা পোস্ট করেছেন।

  • Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭-৮ মে মধ্যরাতের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি এবং আখনুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রেখাজুড়ে পাক সেনারা (Pakistan Army) ছোট অস্ত্র ও কামানের গোলা দিয়ে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই গোলাবর্ষণ শুরু করেছে (LOC)। বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, পাক সেনা হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও।

    পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণ (Pakistan Army)

    এদিকে, বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় এক জওয়ানও শহিদ হন। ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমার মঙ্গলবার গভীর রাতের গোলাবর্ষণে নিহত হন। হোয়াইট নাইট কোরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে লেখা হয়েছে, “জিওসি এবং হোয়াইটনাইট কোরের সকল সদস্যরা ৫ ফিল্ড রেজিমেন্টের ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমারের সর্বোচ্চ ত্যাগকে স্যালুট জানাচ্ছেন, যিনি ৭ মে ২৫ তারিখে পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। পুঞ্চ সেক্টরে নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার সকল শিকার ব্যক্তির সঙ্গেও আমরা সংহতি প্রকাশ করছি।” জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৬ মে রাতে তাংধর এবং অন্যান্য সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অসামরিক এলাকাগুলিতে গোলাবর্ষণ শুরু করে এবং ৭ মে পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখে। এই গোলাবর্ষণে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন সাধারণ কাশ্মিরীর মৃত্যু হয়েছে। বহু ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক স্থানীয় বাসিন্দাকে পালাতে বাধ্য করা হন।

    ভারতীয় সেনার পাশে স্থানীয়রা

    স্থানীয়রা দৃঢ়ভাবে অটল থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন সিঁদুরের প্রতি সমর্থন জানান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা (Pakistan Army)। তারই পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে উদ্যোগী হয় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। অপারেশন সিঁদুরের পরেও বুধবার পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে। এদিনও অসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় স্থানীয়দের মধ্যে। পুঞ্চ এবং রাজৌরি সেক্টরে অভিযানের পরেও গোলাবর্ষণের খবর মিলেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা এই জায়গা ছেড়ে যাব না এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমর্থন করব। যুদ্ধবিরতি আজও লঙ্ঘন হতে পারে। এই অভিযান একটি যথোপযুক্ত জবাব। আমরা এখান থেকে মহিলা ও শিশুদের সরিয়ে নিয়েছি, কিন্তু পুরুষরা এখানেই থাকব (LOC)।”

  • Lahore: অপারেশন সিঁদুরের পর দিনই সাতসকালে একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লাহোর

    Lahore: অপারেশন সিঁদুরের পর দিনই সাতসকালে একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লাহোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পরে বৃহস্পতিবার সাতসকালে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের লাহোর (Lahore)। সেদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে লাহোর বিমানবন্দরের কাছেই এই জোরাল বিস্ফোরণ হয়। একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছে এদিন। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। তবে বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে অনেকেরই আশঙ্কা, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে পাকিস্তানের। এটাই কি বিস্ফোরণের (Lahore) কারণ? তবে ভারতের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই বিস্ফোরণের সঙ্গে কোনও যোগ নয়াদিল্লির নেই।

    লাহোর (Lahore) বিস্ফোরণে বালোচ বিদ্রোহীদের হাত?

    আবার একাধিক পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, পাকিস্তানি (Pakistan) বায়ুসেনা এদিন মহড়া চালাচ্ছিল। সেই সময়ই এই বিস্ফোরণ হয়। বৃহস্পতিবার এই বিস্ফোরণের জেরে ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লাহোর (Lahore) ওল্ড বিমানবন্দর। লাহোর বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমেই তীব্র সাইরেনের শব্দ শোনা যায়। তারপরেই একাধিক বিস্ফোরণ হতে থাকে। অনেকে আবার এই বিস্ফোরণের পিছনে বালোচ আর্মির হাত থাকতে পারে বলে অনুমান করছেন। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের অন্দরেই বিদ্রোহ শুরু করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। ট্রেন হাইজ্যাক থেকে শুরু করে আস্ত শহরও দখল করে নেয় তারা, দিন কয়েক আগে। এদিন আবার পাকিস্তানি সেনার কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালাল তারা।

    পাক সেনার কনভয় উড়িয়ে দিল বালোচ বিদ্রোহীরা , মৃত ১৪ জওয়ান

    ভারতের প্রত্যাঘাতে এমনিতেই কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হল পাক সেনার কনভয়। বিদ্রোহীদের এই বিস্ফোরণে ১৪ জন পাক জওয়ান মারা গিয়েছেন বলে খবর মিলেছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ জন পাক জওয়ান মারা গিয়েছেন, তাতে রয়েছেন স্পেশ্যাল অপারেশন্স কমান্ডার তারিক ইমরান, সুবেদার উমর ফারুখ। প্রসঙ্গত,গত ৬ মে বালুচিস্তানে সেনার কনভয়ে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। সেবারও বেশ কয়েক জন মারা যান।

  • India Pakistan Conflict: নিহত জঙ্গিদেরকে বীরের স্বীকৃতি! ফের প্রমাণিত পাক সেনা-সন্ত্রাসী আঁতাত, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

    India Pakistan Conflict: নিহত জঙ্গিদেরকে বীরের স্বীকৃতি! ফের প্রমাণিত পাক সেনা-সন্ত্রাসী আঁতাত, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মহলে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে পাকিস্তান (India Pakistan Conflict)। ভারতের সফল সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর এক ভয়াবহ ছবি উঠে এসেছে পাক মুলুকে। এই অভিযানে নিহত জঙ্গিদের মরদেহ মোড়া হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকায়! শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের মুরিদকে ফুটবল স্টেডিয়ামে সেনা ও আইএসআই কর্তাদের উপস্থিতিতে জঙ্গিদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। প্রকাশ্যে এসেছে তাদের সন্ত্রাস-যোগ।

    সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুতে ‘শোকপালন’ পাকিস্তানের

    সেনা  থেকে আইএসআই। পুলিশ থেকে আমলা। সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুতে এবার ‘শোকপালন’ করতে দেখা গেল পাক সরকারের একাধিক ব্যক্তিকে। বুধবার গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে প্রত্যাঘাত হেনেছে ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। নয়টি জঙ্গি ঘাঁটির অন্তত ৭০টি জঙ্গির মৃত্যু (কারও মতে, সংখ্যাটা আরও বেশি) হয়েছে এই স্ট্রাইকে। এবার সেইসব সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে দেখা মিলল পাক সেনা থেকে আধিকারিকের। পিটিআই রিপোর্ট মোতাবেক, মুরিদকে-তে থাকা জঙ্গিদের হেডকোয়ার্টারে এয়ার স্ট্রাইকের জেরে মারা গিয়েছে তিন জঙ্গি কারি আবদুল মালিক, খালিদ ও মুদাসির। নিহত হয়েছে বিলাল টেরর ক্যাম্পের প্রধান ইয়াকুব মুঘল। এই ক্যাম্প বহু বছর ধরে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদি হামলার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এদের শেষকৃত্যেই উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানি সেনা কর্তাদের। জঙ্গিদের শেষকৃত্যের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।

    পাক সেনার সঙ্গেই কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ আব্দুল রউফ

    শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে সামরিক পোশাকে, বুকভরা ব্যাজ নিয়ে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআই-এর শীর্ষ আধিকারিক এবং পাঞ্জাব পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে অংশ নিয়েছেন। তবে, শুধু পাক সেনা ও আধিকারিকরা নন, তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লস্কর-ই-তৈবার কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ আব্দুল রউফ। স্পষ্টতই খোলামেলাভাবে আয়োজন করা এই শেষকৃত্য সন্ত্রাসবাদের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনের একটি প্রমাণ। পিটিআইয়ের রিপোর্ট মোতবেক, হাফিজ সইদের নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত-উদ-দাওয়াও সদস্যরাও ছিলেন এই শেষকৃত্যে। এই সংগঠন দুটি রাষ্ট্রসংঘ-স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন, যাদের নাম জড়িয়ে আছে কাশ্মীর, দিল্লি, মুম্বই সহ ভারতের নানা প্রান্তে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায়।

    জঙ্গিদের গায়ে পাকিস্তানের পতাকা

    সাধারণত ভারতে জাতীয় পতাকা মোড়ানো হয় সেই সব মানুষদের কফিনে, যাঁরা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন—যেমন সেনা, পুলিশ অথবা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তারা। সেই মর্যাদা পাওয়া মানেই জাতীয় বীরের স্বীকৃতি। কিন্তু এবার পাকিস্তানে একই সম্মান দেওয়া হল জঙ্গিদের? এই ঘটনায় স্তম্ভিত ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষক মহল ও সাধারণ মানুষ। সেনা অফিসারদের উপস্থিতি, জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিন — কী বার্তা দিচ্ছে পাকিস্তান? মুরিদকে ফুটবল স্টেডিয়ামে যে জঙ্গিদের শেষকৃত্য হল, সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসাররাও। এর ফলে জঙ্গিদের প্রতি পাকিস্তান (India Pakistan Conflict) সরকারের সক্রিয় সমর্থনের অভিযোগ আরও জোরালো হচ্ছে।

    আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ 

    এই ভিডিও প্রকাশের পর ভারতীয় কূটনীতিকরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ জোরদার করেছে। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “পাকিস্তান তার মাটিতে জঙ্গি (militants) ঘাঁটি ধ্বংস করার কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাদের সেনা ও পুলিশ জঙ্গিদের সমর্থন করছে।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে ভারতের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

    পাকিস্তানের দ্বৈত চরিত্রের প্রমাণ

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কূটনীতিকদের মত, এই ভিডিও পাকিস্তানের দ্বৈত চরিত্রের প্রমাণ। একদিকে তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে, অন্যদিকে জঙ্গিদের শেষকৃত্যে অংশ নেয় তাদের সেনা ও পুলিশ। প্রাক্তন কূটনীতিক মঞ্জু শেঠ বলেন, “এটি কেবল পাকিস্তানের সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর জঙ্গিদের (militants) সঙ্গে সংযোগের প্রমাণ নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি সতর্কবার্তা। পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) এই আচরণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইকে দুর্বল করছে। এই ঘটনা রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য বিশ্ব শক্তির কাছে উত্থাপন করা উচিত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।” পহেলগাঁও হামলার (militants) প্রেক্ষাপটে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) প্রশংসা করে তিনি বলেন, “ভারতের নির্ভুল হামলা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা। তবে এই ভিডিও দেখায় যে পাকিস্তান তার অবস্থানে কোনও পরিবর্তন আনছে না।”

    পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত জঙ্গি রাষ্ট্র পাকিস্তান

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। বরং এটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জেহাদের প্রতি সমর্থনের প্রতীক। অ্যাবোটাবাদে যেখানে ওসামা বিন লাদেন সেনা নিরাপত্তায় আত্মগোপনে ছিলেন, বালাকোটে যেখানে জইশের ট্রেনিং ক্যাম্প পরিচালিত হত, কিংবা মুরিদকে, যেখানে লস্করের জঙ্গিদের রাষ্ট্রীয় সম্মানে কবর দেওয়া হয় — সবই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদতের প্রমাণ। এখনও যদি আর্থিক সহায়তা বন্ধ না হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মহল — বিশেষ করে এফএটিএফ, রাষ্ট্রসংঘ এবং পশ্চিমের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি — চোখ বুজে থাকলে তা হবে একপ্রকার সহযোগিতা। ভারত বহুদিন ধরেই এই সত্য জানত। এখন তার ভিডিও প্রমাণ সামনে এসেছে। এই ভিডিও প্রমাণ করে পাকিস্তান আসলে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত একটি জঙ্গি রাষ্ট্র।

  • Vikram Misri: ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটি লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক অভিযান, বিশ্বকে বলল ভারত

    Vikram Misri: ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটি লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক অভিযান, বিশ্বকে বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালিত হয়েছে, তা লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক। রাষ্ট্রসংঘের (UNSC) ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের এ কথা জানান ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যে ২৮ জন নিহত হয়েছেন গত ২২ এপ্রিল, তা আমাদের কাছে উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী ছিল।” তাঁর ইঙ্গিত, লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ এই হামলার দায় স্বীকার করলেও, পরে সুরক্ষার অজুহাতে পিছিয়ে যায়। পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি আদায়ে জোর চেষ্টা করে চলেছে জানিয়ে মিস্রি ওই রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের জানান, এ থেকে স্পষ্ট এখানে কোনও পরিকল্পনা কাজ করছে। এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতের প্রতিক্রিয়া কেবল জঙ্গি লক্ষ্যবস্তুতেই পরিমিত এবং অনুত্তেজক স্ট্রাইকের মধ্যেই ছিল।”

    বর্বরোচিত সন্ত্রাসী আক্রমণ (UNSC)

    এদিকে, পাকিস্তান কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায় বেসরকারি পরিকাঠামোগুলিতে নিরন্তর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসী হামলাকে বর্বরোচিত আক্রমণ আখ্যা দিয়ে মিস্রি বলেন, “বিশ্ববাসী এর প্রকৃতি প্রত্যক্ষ করেছে। ভারতের পদক্ষেপ কেবল সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়েছে।” মিস্রি বুধবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তান যদি জবাব দেয়, তাহলে ভারতও জবাব দেবে। তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর গোলাবর্ষণ চলছে। তিনি জানান, ভারত পাকিস্তানের কোনও সামরিক কাঠামোয় আঘাত করেনি, আঘাত করেছে জঙ্গি সংগঠনগুলির ৯টি ঘাঁটিতে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তান যদি অসামরিক পরিকাঠামোয় হামলা করে, তাহলে ভারতও জবাব দেবে।

    ভারতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে

    বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশে মিস্রি বলেন, “ভারতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে, তারা যে ৯টি জায়গায় আঘাত হেনেছে, সেগুলি ব্যবহৃত হত জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও অভিযানের ঘাঁটি হিসেবে।” জানা গিয়েছে, জঙ্গি পরিকাঠামোটি এমন একটি কমপ্লেক্সে অবস্থিত যেখানে মাদ্রাসা, মসজিদ, খেলার মাঠ, ছাত্রাবাস ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার এলাকা রয়েছে। ভারত এই কমপ্লেক্সগুলিকে আঘাত করেছে, যা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হত। মিস্রি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের মিশন সমস্ত ইউএনএসসি (UNSC) সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। মিস্রি (Vikram Misri) বলেন, ‘‘হত্যার পদ্ধতির মাধ্যমে নিহতদের পরিবারবর্গকে ইচ্ছাকৃতভাবে মানসিক আঘাত দেওয়া হয়েছিল, সঙ্গে এই বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে তারা যেন এই সংবাদ পৌঁছে দেয়। এই হামলার পেছনে স্পষ্ট উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরে স্বাভাবিকতা ফিরে আসাকে ব্যাহত করা।’’

    ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার প্রয়োগ’’

    ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “ভারতীয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করছে এবং ভারতে আরও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে।” তিনি বলেন, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা তথ্যে জানা গিয়েছে যে ভারতে আরও হামলা হতে পারে। তাই, প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার জন্য বাধ্য হয়েই ভারত সীমান্তজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করেছে।” তিনি বলেন, “আমাদের পদক্ষেপগুলি পরিমিত, উত্তেজনা না বাড়ানো, সমানুপাতিক ও দায়িত্বশীল ছিল। এগুলি কেবল জঙ্গিদের পরিকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে কেন্দ্রীভূত ছিল (UNSC)।’’

    পহেলগাঁওকাণ্ডের বদলা

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এর পরেই সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপারেশনের নামও ঠিক করে দেন তিনি – ‘অপারেশন সিঁদুর’। মঙ্গলবার গভীর রাতের ওই অভিযানে বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে সূত্রের খরব (Vikram Misri)। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় সেনার তরফে। সেখানে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানান,  মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি টার্গেট করে সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, অসামরিক মানুষ ও তাঁদের পরিকাঠামোর ক্ষতি যাতে না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এই জায়গাগুলি বেছে নেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহতদের ও তাঁদের পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়। ৯টি জঙ্গি শিবির সফলভাবে ধ্বংস করা হয়। বেসামরিক পরিকাঠামোর ক্ষতি বা প্রাণহানি এড়াতেই এই জায়গাগুলি বেছে নেওয়া হয়েছিল (UNSC)।’’ এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশিও। তিনি জঙ্গি শিবির ধ্বংসের ভিডিও চিত্র তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে সরকার জানিয়েছিল, অপরাধীদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে (Vikram Misri)।

  • Operation Sindoor: ‘সমাজমাধ্যমে দেশ-বিরোধী কোনও পোস্ট দেখলেই ব্যবস্থা নিন’, বাংলা সহ ১০ রাজ্যকে নির্দেশ শাহের

    Operation Sindoor: ‘সমাজমাধ্যমে দেশ-বিরোধী কোনও পোস্ট দেখলেই ব্যবস্থা নিন’, বাংলা সহ ১০ রাজ্যকে নির্দেশ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হেনেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। প্রয়োগ করা হয়েছে  ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা ব্যাপক বেড়েছে এরপরেই। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে ভারতের সীমান্তবর্তী ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মূলত, নেপাল এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সীমানা রয়েছে সেই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেই বৈঠক করেন শান। তালিকায় ছিল পশ্চিমবঙ্গও।

    পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া কোন কোন রাজ্য ছিল বৈঠকে?

    এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী, ডিজি এবং সচিবরাও হাজির ছিলেন। কেন এই বৈঠক আয়োজিত হল? জানা যাচ্ছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পরেই সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তান সেনা ক্রমাগত গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। এমন সময় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে আনার নির্দেশ দেন অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তাই ভারতের কাছে অগ্রাধিকার জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে অমিত শাহ নির্দেশ দিয়েছেন এই সময় সমাজমাধ্যমে দেশবিরোধী কোনও পোস্ট দেখলেই তার বিরুদ্ধে যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী, বিএসএফ প্রধান, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন অমিত শাহ

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) নিয়মিত ভাবেই বিএসএফ-র প্রধান দলজিৎ সিং, জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবারই ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানে তিনি জানান, পহেলগাঁওয়ে হামলার পরও পাকিস্তান জঙ্গি দমনের কোনওরকমের চেষ্টাই করেনি। সেই কারণেই প্রয়োগ করা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ওই সাংবাদিক বৈঠকে এও জানানো হয়, এই অভিযানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি।

  • Operation Sindoor: “ভারতীয় সেনা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুরের প্রতিশোধ নিয়েছে,” বললেন গর্বিত হালিমা

    Operation Sindoor: “ভারতীয় সেনা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুরের প্রতিশোধ নিয়েছে,” বললেন গর্বিত হালিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুরের প্রতিশোধ নিয়েছে।” কথাগুলি বললেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশির (Colonel Sofiya Qureshi) মা হালিমা কুরেশি। পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালিয়েছে ভারত। বুধবার সকালে ভারতীয় সেনার এ সংক্রান্ত সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। কীভাবে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে করে ধ্বংস করা হয়েছে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংয়ের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সোফিয়াও। ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন হালিমা (Operation Sindoor)

    মেয়ের কাজে গর্বিত হালিমা। তিনি বলেন, “সোফিয়া দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা ও জেঠুর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চেয়েছিল। তারা দুজনেই সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছে। ও (সোফিয়া) ছোট থেকেই বলত বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। দেশের সেবা করবে।” মেয়ের সাফল্যে খুশি সোফিয়ার বাবা তাজ মহম্মদ কুরেশিও। তিনি বলেন, “আমরা অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের মেয়ে আমাদের দেশের জন্য একটি মহান কাজ করেছে। পাকিস্তানের ধ্বংস হওয়াই উচিত। আমার দাদা, আমার বাবা এবং আমি – আমরা সবাই সেনাবাহিনীতে ছিলাম। এখন আমার মেয়ে আছে।”

    ‘এমন প্রতিশোধ আশা করিনি’

    সোফিয়ার ভাই মহম্মদ সঞ্জয় কুরেশি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকে গোটা দেশ অপেক্ষা করছিল, কবে প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তবে এভাবে যে প্রতিশোধ নেওয়া হবে, তা কখনওই আশা করিনি (Operation Sindoor)।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ও (সোফিয়া) আমার আদর্শ। আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু আমরা কখনওই এমন প্রতিশোধ আশা করিনি বা প্রেস কনফারেন্সটি একটি পরিবারের সদস্য কর্তৃক পরিচালিত হবে, তাও আশা করিনি। আমাদের পরিবারকে এমন একটি বড় সুযোগ দেওয়ায় আমরা খুব খুশি।”

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এক জঙ্গির হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলমান যুবককেও। এই জঙ্গি হামলার পর সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই বুধবার ভোরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এই অপারেশনের নাম (Colonel Sofiya Qureshi) ছিল “অপারেশন সিঁদুর”। যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোফিয়ার পরিবার (Operation Sindoor)।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ উত্তর ভারতের বহু বিমানবন্দর, জারি সতর্কতা

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ উত্তর ভারতের বহু বিমানবন্দর, জারি সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জেরে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাক ভূমে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের থেকে কোনও প্ররোচনামূলক বা প্রতিহিংসাস্বরূপ হামলার সম্ভাবনা থাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বুধবার সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উত্তর ভারতের বহু বিমান চলাচল। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি বিমানবন্দরও (Airport Shut)। ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমানও। যাত্রীদের সুবিধার্থে বিবৃতি জারি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেট, ইন্ডিগোর মতো ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১৮টি বিমানবন্দর।

    ফ্লাইট অপারেশন স্থগিত (Operation Sindoor)

    প্রধান কয়েকটি বিমানবন্দর যার মধ্যে ধর্মশালা, লেহ, জম্মু, শ্রীনগর এবং অমৃতসর রয়েছে, এই বিমানবন্দরগুলিতে ফ্লাইট অপারেশন স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার সারাদিনের জন্য বন্ধ করে রাখা হয়েছে পাঠানকোট, জয়শলমীর, সিমলা, পাঠানকোট এবং জামনগর বিমানবন্দর। তবে বৃহস্পতিবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে কিনা, বুধবার দুপুর পর্যন্ত তা জানা যায়নি। এদিন সব মিলিয়ে বাতিল হয়েছে ২০০-র বেশি বিমান।

    কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই বিমানবন্দরগুলির মাধ্যমে সমস্ত ডিপার্চার এবং অ্যারাইভাল ও কানেক্টিং ফ্লাইট প্রভাবিত হতে পারে। নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসার আগে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। যাত্রীদের তাঁদের ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা জানতে এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাত্রা পরিকল্পনা করার অনুরোধ করা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির ওপর ভিত্তি করে আরও নতুন নতুন তথ্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। শ্রীনগর বিমানবন্দর বুধবার বন্ধ থাকায় সেখান থেকে কোনও বেসামরিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে না।

    কী বলছে এয়ার ইন্ডিয়া 

    এক্স হ্যান্ডেলে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, জোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোট থেকে বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সমস্ত বিমান বাতিল করা হয়েছে। এই বিমানবন্দরগুলিতে যেসব বিমানের নামার কথা ছিল, সেগুলিও (Operation Sindoor) আপাতত বাতিল করা হয়েছে। অমৃতসরগামী দু’টি আন্তর্জাতিক বিমান অবতরণ করানো হবে দিল্লিতে। যাত্রীদের সমস্যার জন্য আমরা দুঃখিত।” সূত্রের খবর, বিমানবন্দরের কর্তারা জানিয়েছেন, এটি জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি, যাত্রী সুরক্ষাই সর্বাগ্রে। ডিজিসিএ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

    স্পাইসজেট-ইন্ডিগোর পোস্ট

    স্পাইসজেট জানিয়েছে, ‘সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে ধর্মশালা, লেহ, শ্রীনগর, অমৃতসর-সহ উত্তর ভারতের একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই বিমানবন্দরগুলিতে বিমানের ওঠানামা প্রভাবিত হতে পারে। এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে সকলকে যাত্রার পরিকল্পনা করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।’ ইন্ডিগোর পোস্টে বলা হয়েছে, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে শ্রীনগর, জম্মু, অমৃতসর, লেহ, চণ্ডীগড়, ধর্মাশালা থেকে আমাদের সমস্ত বিমান বাতিল করা হয়েছে। এই বিমানবন্দরগুলিতে আমাদের কোনও বিমান নামবেও না। বিমানবন্দরে পৌঁছনোর আগে আপনারা বিমান সংক্রান্ত তথ্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে জেনে নিন।’ ইন্ডিগো এও জানিয়েছে, জোধপুর এবং বিকানেরের বিমান পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে (Operation Sindoor)। ভারতের বন্ধ থাকায় কাতার এয়ারওয়েজ সাময়িকভাবে পাকিস্তানের সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে। এয়ারলাইনটি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও জানিয়েছে।

    হিন্দু পর্যটককে হত্যা

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে জঙ্গিরা। এই বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার বদলা হিসেবে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। এই অভিযানের নামই দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। অপারেশনের নাম দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং (Airport Shut)।

    জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

    এই অপারেশনে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটির ২১টি টার্গেট ধ্বংস করতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এগুলির মধ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের শক্তঘাঁটি বাহাওয়ালপুরও। বাহওয়ালপুরের মর্কাজ সুভান আল্লায় নামক জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, মুরিদকে-র মর্কাজ তৈবায় লস্কর-ই-তৈবার ২০০ একর জায়গার উপর স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারত। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, ‘আমাদের পদক্ষেপ ছিল মাপা, নির্দিষ্ট এবং কোনওভাবেই উস্কানিমূলক নয়। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কোনও ব্যবস্থাকেই নিশানা করা হয়নি। লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন এবং হামলা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ভারত যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে।’

  • Operation Sindoor: বোঝার আগেই শেষ! পাক-ভূমে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে তিন ‘স্মার্ট’ অস্ত্র ব্যবহার ভারতের

    Operation Sindoor: বোঝার আগেই শেষ! পাক-ভূমে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে তিন ‘স্মার্ট’ অস্ত্র ব্যবহার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার জবাবে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালিয়েছে ভারত। প্রায় ২৫ মিনিটের এই ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এ ৯টি জঙ্গি ঘাঁটির ২১টি টার্গেটকে ধ্বংস করেছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান। পাকিস্তান কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোটা অপারেশন শেষ। আর জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে রাফালে চাপিয়ে পাঠানো হয় বিশেষ কয়েকটি মিসাইল ও বম্ব (Special Weapons)। গোটা অভিযানের পরিচালন তিন বাহিনীর সমন্বয়ে সংগঠিত হয়। তবে, বম্ব নিক্ষেপ করার কাজ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ব্যবহার করা হয়েছে হ্যামার বোমা, স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং লয়টারিং মিউনিশন। মূলত নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম, দূরপাল্লার এই বিশেষ অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই অস্ত্রগুলির বিশেষত্ব—

    স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল (Scalp Cruise Missile)—

    এটি স্টর্ম শ্যাডো নামেও পরিচিত। এটি একটি দীর্ঘ পাল্লার আকাশ থেকে ভূমি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া হয় এই ক্ষেপণাস্ত্র, যা ২৫০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে শত্রুপক্ষের ঘাঁটিতে (Operation Sindoor) আঘাত হানতে সক্ষম। দিনে হোক বা রাতে, যে কোনও মরসুমে এটি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। যে কারণে, বিশ্বের সব সামরিক বাহিনীর কাছে এটি অত্যন্ত প্রিয়।

    হ্যামার স্মার্ট বম্ব (Hammer Smart Bomb)—

    পুরো নাম হাইলি অ্যাজাইল মডিউলার মিউনিটন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ। শক্তিশালী পরিকাঠামো যেমন রিইনফোর্সড বাঙ্কার বা বহুতল বিল্ডিং অথবা অস্ত্রভাণ্ডার গুঁড়িয়ে দিতে ওস্তাদ হ্যামার স্মার্ট বোমা। ৫০-৭০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম হ্যামার। কত উঁচু থেকে ছোড়া হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে আঘাতের তীব্রতা। এই অভিযানে (Operation Sindoor) হ্যামার দিয়ে লস্কর-ই-তৈবা ও জৈশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

    লয়টারিং মিউনিশন (Loitering Munition)—

    এগুলি কামিকাজে বা আত্মঘাতী ড্রোন হিসেবেও পরিচিত। মূলত লুকিয়ে এলাকার পর নজরদারি চালানোর জন্য, কোথায় জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে, তাতে কী কী রয়েছে বা কারা-কতজন রয়েছে, তা জানতে এই যন্ত্র ব্যবহার করে সেনাবাহিনী (Operation Sindoor)। যত ক্ষণ পর্যন্ত না লক্ষ্য নির্ধারণ হচ্ছে, তত ক্ষণ উড়ে বেড়ায় এই ড্রোন। স্বয়ংক্রিয় ভাবেও উড়তে পারে এই ড্রোন, আবার রিমোটের মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় (Special Weapons)। লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি, এই ড্রোনে বিস্ফোরক বা পেলোডও বসানো যায়। ড্রোনের মাধ্যমেই আঘাত হানা যায় লক্ষ্যে।

  • RSS: “অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায় বিচারের সূচনা হয়েছে,” বলছে আরএসএস

    RSS: “অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায় বিচারের সূচনা হয়েছে,” বলছে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায় বিচারের সূচনা হয়েছে। পাকভূমে ভারতের প্রত্যাঘাতের জবাব দিতে গিয়ে একথাই বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান সুনীল আম্বেকর।

    আরএসএসের বক্তব্য (RSS)

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “পহেলগাঁওয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়ের সূচনা — ‘অপারেশন সিঁদুর’, ন্যায় প্রতিষ্ঠিত। জাতি সমর্থন জানায়।” তিনি আরও লেখেন, “জয় হিন্দ। মাতৃভূমি ভারত দীর্ঘজীবী হোক।” দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এগুলির মধ্যে রয়েছে বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ডেরা এবং মুরিদেকতে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি।

    অপারেশন সিঁদুর

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহলেগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। পহেলগাঁওয়ের ওই ঘটনার দু’সপ্তাহ পরে অপারেশন সিঁদুরের অধীনে এই সামরিক হামলা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই অপারেশন চালানো হয়। তার পরেই সেনার এক কর্তা জানান, অপারেশন সিঁদুরের অধীনে আঘাত করা হয়েছে ৯টি লক্ষ্যস্থলে। এর মধ্যে চারটি পাকিস্তানে এবং পাঁচটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। এই সব জায়গায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ছদ্মবেশে জঙ্গি শিবির পরিচালনার গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনী লক্ষ্যগুলি বেছে নেয়। এগুলিকে শনাক্ত করা থেকে এড়াতে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি এই কৌশল নিয়েছিল বলে জানানো হযেছে।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর আরএসএসের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত বলেছিলেন, “এটি ধর্ম ও অধর্মের লড়াই। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের প্রথমে তাঁদের ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। একজন হিন্দু কখনও এটি করবে না। কারণ সে ধৈর্যশীল।” এর পরেই তিনি দেশবাসীর কাছে আবেদন করেছিলেন, ভারতকে শক্তিশালী করতে হবে যাতে এটি এই ধরনের রাক্ষসদের ধ্বংস করতে পারে। তিনি বলেছিলেন, “দেশকে শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের আট-বাহু শক্তি দ্বারা রাক্ষসদের ধ্বংস করতে হবে।” পহেলগাঁওকাণ্ডের পরে পরে আম্বেকরও বলেছিলেন, “এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা (Operation Sindoor)। আমি নিশ্চিত যে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে (RSS)।”

LinkedIn
Share