Tag: Operation Sindoor

  • Operation Sindoor:’৮৮ ঘণ্টায় পাকিস্তানের অস্ত্রবিরতির আবেদন’, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বহু অজানা তথ্য প্রকাশ্যে

    Operation Sindoor:’৮৮ ঘণ্টায় পাকিস্তানের অস্ত্রবিরতির আবেদন’, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বহু অজানা তথ্য প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পরবর্তী সংঘর্ষে ১০০-এর বেশি পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। সম্প্রতি এমনই অভিমত প্রকাশ করলেন ভারতের ডেপুটি চিফ অব আর্মি স্টাফ (স্ট্র্যাটেজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই। তিনি মঙ্গলবার জানিয়েছেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ পোস্টহিউমাস পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, তা নির্দেশ করে যে তাদের সেনা বাহিনীর প্রাণহানি লাইন অব কন্ট্রোলে (LoC) ১০০-এর বেশি ছিল। লেফটেন্যান্ট জেনারেল ঘাই দাবি করেন, পাকিস্তান নিজেরাই তাদের ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেছে ১৪ আগস্টের ‘পোস্টহিউমাস অ্যাওয়ার্ড’ তালিকার মাধ্যমে। তিনি বলেন, “পাকিস্তান নিহত সেনাদের সংখ্যা শতাধিক ছিল, যা তারা প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি, কিন্তু পুরস্কারের মাধ্যমে ফাঁস হয়ে গিয়েছে।”

    প্রতিক্রিয়া অবশ্যম্ভাবী ছিল

    জেনারেল ঘাই বলেন, “এপ্রিল ২২-এ জম্মু কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হওয়ার পর পাল্টা একটি প্রতিক্রিয়া অবশ্যম্ভাবী ছিল। এপ্রিল ২২ থেকে মে ৬-৭-এর রাত পর্যন্ত আমাদের অভিযান ক্রমশ এগোচ্ছিল। আমরা আমাদের লক্ষ্যগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম। শত্রুকে বিরত রাখার জন্য সীমান্তে কিছু সতর্কমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। সেনা, অন্যান্য সরকারী সংস্থা ও বিভাগের মধ্যে সমন্বয় ছিল।” তিনি আরও বলেন, “চূড়ান্ত লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য আমরা বহু সম্ভাব্য লক্ষ্য যাচাই করেছি। এ সময়ই তথ্যযুদ্ধেও আমরা সক্রিয় ছিলাম। পাকিস্তানি ড্রোনগুলো বারবার ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় ভারতীয় বিমানবাহিনী (IAF) ব্যবস্থা নেয়।” মে ৯-১০ তারিখের রাতের রণকৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা তাদের ১১টি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করেছি। আটটি ঘাঁটি, তিনটি হ্যাংগার এবং চারটি রাডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তানের বিমান সম্পদ ধ্বংস হয়েছে।”

    ভারতীয় নৌবাহিনীও তখন সম্পূর্ণ সক্রিয়

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (DGMO) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই মঙ্গলবার এক বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশ করে জানান, গত মে মাসে চার দিনের সামরিক সংঘর্ষের সময় পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়ার আগে ভারতীয় নৌবাহিনী আরব সাগরে প্রবেশ করে সম্পূর্ণ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। লেফটেন্যান্ট জেনারেল ঘাই রাষ্ট্রসঙ্ঘের ট্রুপ কনট্রিবিউটিং কান্ট্রিজ (UNTCC)-এর চিফস’ কনক্লেভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “ভারতীয় নৌবাহিনীও তখন সম্পূর্ণ সক্রিয় ছিল—এটি হয়তো অনেকের জানা নেই। নৌবাহিনী আরব সাগরে প্রবেশ করেছিল এবং সেই মুহূর্তে আমাদের অবস্থান ছিল কৌশলগতভাবে অনুকূল। ডিজিএমও কথা বলার আগেই আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “যদি পাকিস্তান তখন পিছু না হটত, তাহলে ফলাফল তাদের জন্য ভয়াবহ হতে পারত—শুধু সমুদ্রপথেই নয়, অন্য দিক থেকেও।”

    ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে

    লেফটেন্যান্ট জেনারেল ঘাই আরও উল্লেখ করেন, ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী কৌশলে এখন এক “নীতিগত পরিবর্তন” এসেছে। তাঁর কথায়, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই এবিষয়ে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন। তিনটি মূলনীতি তিনি তুলে ধরেছেন—প্রথমত, সন্ত্রাসী হামলাকে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে গণ্য করা হবে এবং এর কঠোর জবাব দেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, আমরা কখনও পারমাণবিক হুমকিতে মাথা নত করব না। তৃতীয়ত, সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে কোনও পার্থক্য করা হবে না।” এর আগে, জুলাই মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে জানান যে, পহেলগাঁওতে নাগরিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন সন্ত্রাসীকে নিরাপত্তা বাহিনী ‘অপারেশন মহাদেব’-এর সময় হত্যা করেছে। ঘাই বলেন, “যে দোষীরা পাহালগাঁও হামলায় জড়িত ছিল, তাদের ভারতীয় সেনা নরকের গভীরতায় গিয়ে হলেও খুঁজে বের করবে—আমরা সেটাই করেছি। আমাদের ৯৬ দিন লেগেছিল, কিন্তু আমরা তাদের বিশ্রাম নিতে দিইনি। শেষ পর্যন্ত যখন তাদের খুঁজে বের করে নির্মূল করা হয়, তখন দেখা যায় তারা পলায়ন ও অনাহারে ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও সংসদে এটি উল্লেখ করেছেন—তাদের মৃত্যুর মধ্য দিয়েই ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

    রক্তপাতের উৎস গোপন নয়

    লেফটেন্যান্ট জেনারেল ঘাইয়ের বক্তব্যে স্পষ্ট হয় যে, ভারত এখন সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সম্পূর্ণ নতুন রণনীতি গ্রহণ করেছে—যেখানে আক্রমণের জবাব কেবল সীমান্তে নয়, তথ্যযুদ্ধ ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও সমানভাবে দেওয়া হচ্ছে।ভারতের পক্ষ থেকে তিনি বিশ্ববাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন, “১৯৮০-এর দশক থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে ২৮,০০০-এর বেশি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। ৬০ হাজারেরও বেশি সংখ্যালঘু পরিবার — প্রায় ১ লক্ষ মানুষ — ঘরছাড়া হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ হাজার নিরীহ নাগরিক ও ৩ হাজার নিরাপত্তারক্ষী। এই রক্তপাতের উৎস গোপন নয়।”

  • Operation Sindoor: ‘‘শল্যচিকিৎসার মতো নিখুঁত আঘাত’’! ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ১০টি পাক বিমান ধ্বংস হয়েছে, ফের জানালেন বায়ুসেনা প্রধান

    Operation Sindoor: ‘‘শল্যচিকিৎসার মতো নিখুঁত আঘাত’’! ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ১০টি পাক বিমান ধ্বংস হয়েছে, ফের জানালেন বায়ুসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সময় পাক বিমানবাহিনীর ৮-১০টি সামরিক বিমান ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এমনটাই ফের একবার ব্যক্ত করলেন এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিং (ACM Amar Preet Singh)। কয়েকদিন আগে, রাষ্ট্রসংঘের সভায় ভারতের সামরিক অভিযান নিয়ে বিকৃত তথ্য পরিবেশন করে এসেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Pak PM Shehbaz Sharif)। শুক্রবার, তারই জবাব দিয়ে ফের একবার পাকিস্তানকে সত্যিটা মনে করালেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান।

    কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    আগামী ৮ অক্টোবর, ৯৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস (IAF Raising Day) উদযাপন করতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তার আগে, শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন অমরপ্রীত। সেখানেই বায়ুসেনা প্রধান (ACM Amar Preet Singh) বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) পাকিস্তানের চার-পাঁচটি এফ-১৬ ও জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান এবং একটি নজরদারি বিমান মাঝ-আকাশে ধ্বংস করেছে ভারত। এছাড়া, পাকিস্তানের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে থাকা আরও ৪-৫টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও ধ্বংস হয়েছে। এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিং আরও জানান, শুধু যুদ্ধবিমান নয়, পাকিস্তানের ১১টি সামরিক ঘাঁটিতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের নিখুঁত প্রত্যাঘাতে ওদের (পাকিস্তান) এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, রেডার সিস্টেম, কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, রানওয়ে ও হ্যাঙ্গারও বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল।

    ‘‘অপারেশন সিঁদুর ইতিহাসে স্থান পাবে’’

    অমরপ্রীত সিংয়ের (ACM Amar Preet Singh) দাবি, এই অভিযানে (Operation Sindoor) সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেয় দীর্ঘ পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম। সবচেয়ে দূরের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছিল ৩০০ কিমিরও বেশি গভীরে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই পরিস্থিতি পাল্টে দেয়।’’ তাঁর কথায়, অপারেশন সিঁদুর ছিল শল্যচিকিৎসার মতো নিখুঁত আঘাত, ন্যূনতম ক্ষয়ক্ষতি। বায়ুসেনা প্রধান আরও বলেন, ‘‘আমরা নিখুঁত ভাবে নিশানা করতে পেরেছি, অপারেশন সিঁদুরের এক রাতেই ওদের কাবু করতে পেরেছি। আমাদের তরফে হতাহতের সংখ্যা ছিল ন্যূনতম। সব মিলিয়ে এটি ছিল ১৯৭১-এর পর প্রথম প্রকাশ্যে আসা সর্ববৃহৎ অভিযান। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) ইতিহাসে স্থান পাবে।’’

    পাকিস্তানের ‘‘মনোহর কাহানিয়া’’-কে কটাক্ষ

    অন্যদিকে, ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপতিত করার মিথ্যা দাবির জন্য তিনি পাকিস্তানকে উপহাস করেন এবং সেগুলিকে ‘‘মনোহর কাহানিয়া’’ বা রম্য রচনা বলে অভিহিত করেছেন। পাকিস্তানের দাবিকে ব্যঙ্গ করে বায়ুসেনার প্রধান (ACM Amar Preet Singh) বলেন, ‘‘যদি ওরা মনে করে যে আমাদের ১৫টি যুদ্ধবিমান ভূপতিত করেছে, আমি আশা করি তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত এবং যখন তারা আবার যুদ্ধ করতে আসবে তখন তারা আমার তালিকা থেকে ১৫টি কম বিমানের ব্যবস্থা করবে।’’

  • Operation Sindoor: জইশ-এর পর এবার লস্কর জঙ্গির স্বীকারোক্তি, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের মিথ্যাচার ফাঁস

    Operation Sindoor: জইশ-এর পর এবার লস্কর জঙ্গির স্বীকারোক্তি, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের মিথ্যাচার ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসুদ আজহারের বাহাওয়ালপুর ক্যাম্প নিয়ে পাকিস্তানের দাবি জইশ-ই-মহম্মদের (জইশ) এক কমান্ডারের বক্তব্যে প্রশ্নের মুখে পড়ার কয়েক দিনের মধ্যেই এবার লস্কর-ই-তৈইবার (এলইটি) এক জঙ্গি স্বীকার করেছেন যে, মুরিদকেতে সংগঠনের সদর দফতর ‘মারকাজ তৈইবা’ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে লস্করের কমান্ডার কাসিম বলেন, ‘‘আমি মুরিদকের ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে একসময় মারকাজ তৈইবা ছিল। ভারতের হামলায় এটি ধ্বংস হয়েছে। এখন আল্লাহর রহমতে এটি আরও বড় করে নির্মাণ করা হচ্ছে।’’ ভিডিওতে কাসিমের পেছনে একটি নির্মীয়মান বাড়ি দেখা যায়।

    মুরিদকে লস্কর ভবন পুনঃনির্মাণ

    ওই ভিডিওয় লস্কর কমান্ডার আরও স্বীকার করেন যে, বহু মুজাহিদ এবং ‘তালাবা’ (ছাত্র) এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতেন এবং ‘ফয়জ’ অর্জন করতেন। যদিও পাকিস্তান সরকার দাবি করেছে যে, এই ভবনটি দীর্ঘদিন ধরেই লস্করের দ্বারা ব্যবহার করা হচ্ছিল না, কাসিমের এই ভিডিও সেই দাবিকে সম্পূর্ণভাবে খণ্ডন করে। আরেকটি ভিডিওতে কাসিম পাকিস্তানের তরুণদের ‘দাওরা-এ-সুফফা’ নামে পরিচিত লস্করের প্রাথমিক জিহাদি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আহ্বান জানান। এই কর্মসূচিতে ধর্মীয় প্ররোচনার পাশাপাশি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের ৭ই মে জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারতীয় বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor)  অধীনে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি একযোগে ধ্বংস করে। এই অভিযানে বাহাওয়ালপুরে জইশ, শিয়ালকোটে হিজবুল মুজাহিদিন, বার্নালা ও মুজাফফরাবাদে লস্করের বিভিন্ন ঘাঁটি ছিল।

    ভারতের দাবিই সত্যি

    একটি ভয়াবহ ভিডিওতে লস্করের ডেপুটি চিফ সাইফুল্লাহ কাসুরি সম্প্রতি দাবি করেন, পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী মারকাজ তইবার পুনর্গঠনের জন্য অর্থ সাহায্য দিয়েছে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, মুরিদকে লস্করের সদর দফতর গোপনে পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ২০২৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি — কাশ্মীর সংহতি দিবসকে সামনে রেখে — নতুন করে নির্মিত মারকাজ তইবা উদ্বোধন করা হবে, যেখানে আবারও প্রশিক্ষণ, প্ররোচনা ও জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর আগে জইশ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরিও এক ভিডিও বার্তায় স্বীকার করেছিলেন, বাহাওয়ালপুরে ভারতীয় হামলায় মাসুদ আজহারের পরিবার “টুকরো টুকরো” হয়ে গিয়েছে। সেই ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনির নিহত জঙ্গিদের জানাজায় অংশ নিয়েছেন। এই ভিডিওগুলি প্রমাণ করে ভারতের দাবি সত্যি। কাঁটাতারের ওপার থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে বহু হামলার পরিকল্পনা করা হয়।

     

     

     

     

     

  • Operation Sindoor: ‘‘জঙ্গি-দমনই লক্ষ্য, সাধারণ মানুষ নয়’’! রাত ১টায় কেন অপারেশন সিঁদুর, জানালেন সিডিএস অনিল চৌহান

    Operation Sindoor: ‘‘জঙ্গি-দমনই লক্ষ্য, সাধারণ মানুষ নয়’’! রাত ১টায় কেন অপারেশন সিঁদুর, জানালেন সিডিএস অনিল চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি এড়ানোর জন্যই রাত ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালান হয়। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এমনই দাবি করলেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক (CDS Anil Chauhan) অনিল চৌহান। এদিন নয়াদিল্লির রাজভবনে এক আলাপচারিতায় অনিলের কথায় উঠে এসেছে ‘সিঁদুর’ অভিযানের সাফল্য এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর দক্ষতার প্রসঙ্গ।

    রাতেও আমরা ছবি তুলতে পারব

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। রাত ১টায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে অপারেশন চালানো হয়। অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে যে রাত ১টাতেই কেন এই অপারেশন চালানো হয়েছিল? তার উত্তর দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান। তিনি জানিয়েছেন যে ভারত ইচ্ছাকৃতভাবেই ৭ মে রাত ১টায় অপারেশন সিঁদুর চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের হতাহতের ঘটনা রোখা। ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক জানান, মধ্যরাতে অভিযান করার নেপথ্যে ছিল দু’টি কারণ। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথমত, রাতেও আমরা ছবি তুলতে পারব, আমাদের সেই ক্ষমতার উপর আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আর দ্বিতীয়ত, সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি এড়ানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের কাছে।’’

    নিরীহ মানুষের উপর আঘাত হানতে চায়নি ভারত

    অনিল জানান, ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে উপযুক্ত সময় ছিল। তার পরেও মধ্যরাতে অভিযান চালানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। কেন সকালে অভিযান করা হয়নি? অনিলের কথায়, ‘‘ওটা নমাজের সময়। অনেক সাধারণ মানুষ জড়ো হন ওই সময়ে। তাই চিন্তাভাবনা করে ভোরের সময় বাতিল করা হয়।’’ অর্থাৎ, ভোরবেলা অভিযান চালালে সাধারণ মানুষের হতাহতের সম্ভাবনা থাকত বেশি। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি জঙ্গি পরিকাঠামোয় আঘাত হেনেছিল ভারতীয় সেনা। এর মধ্যে ছিল মুজফ্‌ফরাবাদ, কোটলি, বহওয়ালপুর, রাওয়ালকোট, চক্‌সওয়ারি, ভিম্বার, নীলম উপত্যকা, ঝিলম এবং চকওয়াল। ছোড়া হয় মোট ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র। রাত ১টা বেজে পাঁচ মিনিটে শুরু হওয়া এই অভিযানের সময়সীমা ছিল ২৫ মিনিট। লশকর-এ-ত্যায়বা ও জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলিই ছিল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর লক্ষ্য। ভারতের দাবি, জঙ্গিদমন করতেই তাদের এই অভিযান। তাই নিরীহ মানুষের উপর আঘাত হানতে চায়নি ভারত।

    যুদ্ধের পরিবর্তিত চরিত্র

    ভারতীয় বাহিনীর সামরিক প্রধান শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে স্কুল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন। যেখানে তিনি সামরিক ও অসামরিক মিশনের জন্য সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন। তিনি জানান, যুদ্ধের পরিবর্তিত চরিত্র এখন প্রযুক্তির দ্বারা বেশি চালিত হয়। যুদ্ধক্ষেত্র আর শুধু স্থল, বায়ু এবং সমুদ্রের মতো ক্ষেত্রগুলিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি মহাকাশ, সাইবার, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম এবং এমনকি নলেজ ডোমেনেও প্রসারিত হয়েছে। সাম্প্রতিক অপারেশনগুলিতে এই পরিবর্তন স্পষ্ট ছিল বলে জানিয়েছেন জেনারেল অনিল চৌহান।

  • Operation Sindoor: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল পাকিস্তান, বিপাকে ট্রাম্প

    Operation Sindoor: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল পাকিস্তান, বিপাকে ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল পাকিস্তান (Pakistans Foreign Minister)। ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) মন্তব্যের জেরে ফাঁপরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁকে বিপাকে ফেলেছেন খোদ পাক উপপ্রধানমন্ত্রী তথা (Operation Sindoor) বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। তাঁর কবুল করা কথাতেই ফেঁসে গেলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)

    ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় নরেন্দ্র মোদির ভারত। এই অপারেশনে সফল হয় ভারত। তার পরেও বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মোদি সরকারকে। কারণ, যুদ্ধ বিরতির কৃতিত্ব দাবি করেন ট্রাম্প। এর পরেই বিরোধীদের দাবিতে তুলকালাম হয় সংসদে। তাঁদের বক্তব্য, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতির কথা কেন ঘোষণা করবে তৃতীয় পক্ষ। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধবিরতি কোনও তৃতীয় পক্ষের কথা শুনে হয়নি। এবার সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের মুখে। তিনি বলেন, “ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা, তবে ভারত তাতে রাজি হয়নি।” তিনি কবুল করেন, “যুদ্ধ থামাতে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিওর কাছে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি তুলেছিল ইসলামাবাদ।” যদিও শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক এই বিষয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “নয়াদিল্লি সব সময় ভারত ও পাকিস্তানের যাবতীয় বিষয় কঠোরভাবে দ্বিপাক্ষিক হিসেবেই দেখে।”

    পাক বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য

    যুদ্ধবিরতি নিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমরা তৃতীয় পক্ষের জড়িত থাকার বিষয়ে আপত্তি করি না। তবে ভারত বরাবর স্পষ্ট করে বলে আসছে- এটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় কোনও আপত্তি নেই। তবে (Operation Sindoor) আলোচনা ব্যাপক হতে হবে। আগেও আমরা সন্ত্রাসবাদ, বাণিজ্য, অর্থনীতি, জম্মু-কাশ্মীরের মতো বিষয়ে আলোচনা করেছি।” দার জানান, এর আগে মে মাসে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওয়াশিংটন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী)। বলেছিল (Pakistans Foreign Minister), ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা হবে একটি নিরপেক্ষ স্থানে। যদিও ২৫ জুলাই ওয়াশিংটনে রুবিওর সঙ্গে পরবর্তী এক বৈঠকে দারকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভারত এই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত বলেছে এটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। আমরা কোনও কিছুর জন্য ভিক্ষা করছি না। আমরা একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। আমরা বিশ্বাস করি যে আলোচনা এগিয়ে যাওয়ার পথ। তবে আলোচনার জন্য দু’জনের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।” তিনি সাফ জানান, ভারত যদি সাড়া দেয়, তবে পাকিস্তান এখনও আলোচনায় অংশ নিতে ইচ্ছুক। দার বলেন (Operation Sindoor), “কোনও দেশ যদি আলোচনা চায়, তবে আমরা খুশিই হব। সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আমরা আলোচনায় বিশ্বাস করি। তবে ভারত যদি না চায়, তাহলে আমরাও এগোব না।” অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তান যে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চেয়েছিল, এদিন তাও জানান পাক বিদেশমন্ত্রী। তিনি কবুল করেন, “পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কথা বলার জন্য বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিল (Pakistans Foreign Minister)।”

    শিমলা চুক্তি

    উল্লেখ্য যে, ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত শিমলা চুক্তির অন্যতম শর্তই ছিল ভারত ও পাকিস্তানের কোনও সমস্যার সমাধান দ্বিপক্ষিক স্তরে হবে। সংবাদ মাধ্যম ‘আল জাজিরা’কে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সে কথা মনেও করিয়ে দেন দার। শুধু তা-ই নয়, ১৯৯৯ সালে লাহোর ঘোষণার সময় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বিজপেয়ী যখন পাকিস্তানে যান, তখনও তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে আলোচনার সময়ই এই বিষয়টি উঠে এসেছিল (Operation Sindoor)। জানা গিয়েছে, রুবিও তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারত সব সময় বলে এসেছে, এটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়, তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা নেই। অথচ সেই দেশেরই রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প গত মে মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, “আমার মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।”

    বিক্রম মিস্রির দাবি

    ট্রাম্পের এহেন দাবির পরে পরেই ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এসেছিল পাকিস্তানের তরফে। তবে ভারত তৃতীয় পক্ষের কোনও হস্তক্ষেপ মানেনি। বিদেশসচিব জানান, পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতীয় ডিজিএমও-কে ফোন করে যুদ্ধবিরতির আবেদন করেন। তার পরেই বিকেল ৫টা থেকে গুলি চালানো বন্ধ করার বিষয়ে বোঝাপড়া হয় দুই দেশের মধ্যে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেও ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ভারত তাঁকে কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে বলেছে। তখনই তাঁর দাবি খারিজ করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন শিমলা চুক্তির পর (Pakistans Foreign Minister) থেকে নয়াদিল্লি শুধুই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পক্ষপাতী (Operation Sindoor)।

  • Muhammad Masood Azhar: ‘অপারেশেন সিঁদুর’-এই ছিন্নভিন্ন মাসুদের পরিবারের সদস্যরা! স্বীকার জইশ কামান্ডারের

    Muhammad Masood Azhar: ‘অপারেশেন সিঁদুর’-এই ছিন্নভিন্ন মাসুদের পরিবারের সদস্যরা! স্বীকার জইশ কামান্ডারের

    মাধ্যম নিউজ: অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ছিন্নভিন্ন হয়েছে মাসুদ আজাহারের (Muhammad Masood Azhar) পরিবার। পাকিস্তানের মুখ পুড়িয়ে এবার মন্তব্য জইশ কামান্ডারের। ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। মঞ্চের দুই দিকে বন্দুকধারী রক্ষী ছিল কঠিন পাহারায়। মাইক নিয়ে হাত উঁচু করে জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলছে, “গত ৭ মে ভারত যখন বাহাওয়ালপুরের জঙ্গি ডেরায় হামলা চালিয়েছিল সেই সময় সেই সময় জইশ প্রধান মৌলনা মাসুদ আজাহারের পরিবারের সদস্যদের টুকরো টুকরো করে নিঃশেষ করা হয়েছিল। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে সবকিছু।” এই মন্তব্যে ফের একবার ভারতের অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য নিয়ে পাকিস্তানের থোতা মুখ ভোঁতা হয়েছে। জঙ্গি উৎপাদনকারী দেশের কুকর্ম আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে।

    কী বলল জইশ কমান্ডার (Muhammad Masood Azhar)?

    পাকিস্তানের স্বঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জইশ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলে, “ভারতের হামলায় মাসুদ আজাহারের (Muhammad Masood Azhar) পরিবারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পরিবারের একাধিক সদস্য মারা পড়েছে।” জইশের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমেও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে ওই কমান্ডারকে আরও বলতে শোনা যায়, “আমরা দেশের সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থে কাবুল, কান্দাহার, দিল্লির সঙ্গে লড়াই করছি। মাসুদ আজাহারের পরিবার সদস্য এবং পুত্রকে বোমায় টুকরো টুকরো করা হয়েছে।” ভারতের সেনাবাহিনী যে ভাবে অপারেশন সিঁদুরকে (Operation Sindoor) সুপরিণতি দিয়েছে তাতে ফের একবার আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের জয়ই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। ভারত বিরোধীরা ঘরেবাইরে জঙ্গিদের মন্তব্যে আরও কোনঠাসা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর

    পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের একটি শহর হল বাহাওয়ালপুর। জইশ-ই-মহম্মদের (Muhammad Masood Azhar) সদর দফতর মারকাজ সুবহান আল্লাহ নামে একটি স্থানে অবস্থিত। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের অভ্যন্তরে ১০০ কিমি গভীরে অবস্থিত এই জঙ্গি ডেরা। আর এখানেই ভারতীয় সেনা ব্যাপক আঘাত করেছিল। এটা ছিল জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর। তাকে সম্পূর্ণ ভাবে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে। এই আস্তানায় মাসুদের পরিবারের আত্মীয়রা থাকত। ধ্বংসের পর উপগ্রহের চিত্র প্রকাশ্যে এনেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী (Operation Sindoor)। স্পষ্ট দেখা গিয়েছে পাকজঙ্গি ঘাঁটির অবস্থা কতটা করুণ। সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

    ১৫ একর জমির উপর নির্মিত

    মাসুদ ইলিয়াসের মন্তব্য ছিল পাকিস্তানের জন্য দারুণ ধাক্কা। সে নিজেই স্বীকার করে নেয় যে, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মাসুদ আজাহারের (Muhammad Masood Azhar) পরিবারের ১০ জন সদস্য এবং ৪ জন সহযোগী নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে মাসুদ আজাহারের বোন, তার স্বামী এবং বেশ কয়েকজনের শিশু। যদিও প্রথমে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম প্রথমে ১৪ জনের মৃত্যু সংবাদ পরিবেশন করেছিল। পরে অবশ্য মাসুদ নিজেই স্বীকারোক্তি করে। তবে এই জঙ্গি ডেরাটি মোট ১৫ একর জমির উপর নির্মিত। এখানে কট্টর ধর্মীয় জিহাদ এবং মৌলবাদের শিক্ষা প্রদানের কাজ চলত।

    ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা হয়েছিল

    ভারতীয় সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে মুখপাত্র হিসেবে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং যৌথ সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন, “মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছে ভারতীয় সেনা (Operation Sindoor)। তার মধ্যে বাহাওয়ালপুরের এই জঙ্গিঘাঁটিও ছিল। আগেও বারবার ভারতের বিরুদ্ধে এই জঙ্গি আস্তানা থেকে ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়।” জঙ্গিদের (Muhammad Masood Azhar) প্রতি পাকসেনা বাহিনী কতটা সহমর্মী তা আরও স্পষ্ট হয়েছিল যখন মৃত জঙ্গিদের জানাজায় তাঁদের স্পষ্ট উপস্থিতি সংবাদ মাধ্যমে দেখা গিয়েছিল।

    মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি

    ভারতের কাছে মাসুদ আজাহার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। ২০০০ সালে জইশ-ই-মহম্মদ নামে জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলে মাসুদ। ভারতে লাগাতার হামলার ছক করে ইতিমধ্যে কুখ্যাত মাসুদ আজাহার। তার হামলা করা ষড়যন্ত্রগুলির মধ্যে হল- ২০০১ সালে সংসদে হামলা, ২০০৮ সালে মুম্বই জঙ্গি হামলা এবং ২০১৬ সালে পাঠানকোটে বিমানঘাঁটিতে হামলার মাস্টার মাইন্ড ছিল এই জঙ্গি। আন্তর্জাতিক মহলে লাগাতার পাকিস্তানের এই জঙ্গিকে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দাবি করে আসছে ভারত। কিন্তু পাকিস্তান সরকার সম্পূর্ণ ভাবে এই জেহাদি সংগঠনের সহযোগিতা নেয় এবং তাদের লালনপালন করে থাকে। তবে অপারেশন সিঁদুরে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলিকে যে ব্যাপক ভাবে আঘাত করেছে তাও আরও একবার স্পষ্ট হয়।

  • Lashkar E Taibas: পাক মদতে লস্কর ফের তৈরি করছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ গুঁড়িয়ে দেওয়া সদর দফতর

    Lashkar E Taibas: পাক মদতে লস্কর ফের তৈরি করছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ গুঁড়িয়ে দেওয়া সদর দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তার পর কিছুদিন ভয়ে গুটিয়ে ছিল জঙ্গিরা। অভিযোগ, পাকিস্তানের মদত পেয়ে তারা ফের মাথা তুলেছে। ওই অভিযানে পাক পাঞ্জাবের মুরিদকে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar E Taibas) সদর দফতর মার্কাজ তায়েবা। ধ্বংসপ্রাপ্ত সেই সদর দফতর পুনর্নিমাণে ফের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠন। এই তথ্য জানা গিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে প্রাপ্ত একটি রিপোর্টে।

    অপারেশন সিঁদুর (Lashkar E Taibas)

    পাকিস্তানের সময় অনুযায়ী, ওই দিন রাত ১২টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ভারতীয় মিরাজ বিমান পাঞ্জাব প্রদেশের গভীরে ঢুকে মার্কাজ তায়েবা ক্যাম্পাসের ১.০৯ একর এলাকায় তিনটি প্রধান কাঠামোর ওপর বিমান হামলা চালায়। টার্গেটে ছিল, একটি লাল রংয়ের বহুতল ভবন, যেটি ব্যবহৃত হত ক্যাডারদের ব্যবস্থাপনা ও অস্ত্রসংগ্রহের জন্য, এবং হলুদ রংয়ের দুটি ভবন যেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত এবং সংগঠনের সিনিয়র কমান্ডারদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হত। অপারেশন সিঁদুরের জেরে ওই তিনটি ভবনেরই ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই হামলা লস্করের পরিকাঠামোর ওপর ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর সব চেয়ে বিধ্বংসী আঘাত। সূত্রের খবর, ১৮ অগাস্ট লস্কর-ই-তৈবা ভারী যন্ত্রপাতি মোতায়েন করে ধ্বংসাবশেষগুলি সরিয়ে ফেলে। লস্করের ক্যাডারদের দেখা গিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ সরানোর তদারকি করতে।

    পুনর্নির্মিত ভবনের উদ্বোধন ফেব্রুয়ারিতে!

    সূত্রের খবর, বর্তমানে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর নজর আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির দিকে। ফি বছর এই দিনটি পালিত হয় ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ হিসেবে। এই দিনেই উদ্বোধন করা হতে পারে পুনর্নির্মিত ভবনের। এদিনই হতে পারে লস্করের বার্ষিক সম্মেলনও। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পুনর্নির্মিত মার্কাজ ফের প্রশিক্ষণ, আদর্শায়ন এবং অপারেশনাল পরিকল্পনার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। সদর দফতর পুনর্নির্মাণের কাজ ব্যক্তিগতভাবে তত্ত্ববধান করছেন মাওলানা আবু জার। তিনি মার্কাজ তৈবার পরিচালক এবং লস্করের প্রধান প্রশিক্ষক। তিনি উস্তাদ উল মুজাহিদ্দিন হিসেবেও পরিচিত। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ইউনূস শাহ বুখারিও। অপারেশনাল তত্ত্বাবধানে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বুখারি (Lashkar E Taibas)।

    জঙ্গি গোষ্ঠীটির অস্থায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    জানা গিয়েছে, এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি অস্থায়ীভাবে তাদের প্রশিক্ষণ শাখাগুলিকে বাহাওয়ালপুরের মারকাজ আকসায় এবং পরে কাসুর জেলার পাটোকির মারকাজ ইয়ারমুকে স্থানান্তরিত করেছে (Operation Sindoor)। এর নেতৃত্বে ছিলেন উপ-প্রধান সাইফুল্লাহ কাসুরির বিশ্বস্ত সহযোগী আবদুল রশিদ মহসিন। ডসিয়ার অনুসারে, ইসলামাবাদ প্রকাশ্যে লস্কর-ই-তৈবা এবং জৈশ-ই-মহম্মদের (জেইএম) ধ্বংস হওয়া কার্যালয়গুলির জন্য আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এগুলিই ধ্বংস হয়েছিল অপারেশন সিন্দুরে। অগাস্ট মাসে লস্কর-ই-তৈবা পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা পেয়েছে। অনুমান, ওই ভবনগুলি তৈরি করতে খরচ হবে ১৫ কোটি টাকারও বেশি। এই আর্থিক ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বন্যা ত্রাণ কর্মসূচি তহবিলের আড়ালে অর্থ সংগ্রহ করেছে লস্কর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানের এহেন আচরণ মুখোশ খুলে দিয়েছে ইসলামাবাদের ভন্ডামির। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তারা দাবি করছে, পাকিস্তান উগ্রপন্থার শিকার, যদিও রাষ্ট্র স্বয়ং অর্থায়ন করে চলেছে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে (Lashkar E Taibas)।

    পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    ২০০৫ সালে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) ভূমিকম্পের পরে লস্কর (সেই সময় জামাত-উদ-দাওয়া নামে পরিচিত ছিল) মানবিক সাহায্যের নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। পরবর্তীকালে জানা যায় যে, সংগৃহীত অর্থের  ৮০ শতাংশই জঙ্গিঘাঁটি গড়তে খরচ করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতলি অঞ্চলে অবস্থিত মার্কাজ আব্বাস নির্মাণও ছিল, অপারেশেন সিঁদুরে যেটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।অপারেশন সিঁদুরের কৌশলগত সাফল্যের পরেও, লস্করের দ্রুত উত্থান তার মজবুত সংগঠনেরই প্রমাণ দেয়, যে গোষ্ঠীতে নিয়মিত অর্থায়ন করে চলে রাষ্ট্র নিজে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মার্কাজ পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করেছে (Operation Sindoor)। এটি প্রতিরোধ ও প্রচারের কাজ করবে। নিশ্চিত করবে পাকিস্তানের ভারতের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধে তার কেন্দ্রীয় ভূমিকা। লস্করের প্রক্সি ফ্রন্টগুলির বিস্তার দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট, কাশ্মীর টাইগার্স এবং মাউন্টেন ওয়ারিওর্স অফ কাশ্মীর – একদিকে যেমন পাকিস্তানকে অস্বীকার করার সুযোগ করে দেয়, তেমনি অন্য দিকে ভারত-বিরোধী হিংসার ধারাবাহিকতাকে নিশ্চিত করে (Lashkar E Taibas)।

    ইসলামাবাদের অর্থায়ন

    মুরিদকের এই ঘটনা পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা ও জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যের গভীর সম্পর্কের সুস্পষ্ট নিদর্শন। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করার বদলে, ইসলামাবাদের অর্থায়ন, সাহায্য এবং উদাসীনতা নিশ্চিত করে যে লস্করের মতো গোষ্ঠীগুলি শুধু টিকে থাকবে না, বরং আরও ডালপালা বিস্তার করবে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার দিন পনেরো পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত (Lashkar E Taibas)।

  • PM Narendra Modi: ১৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ফের মোদি, যোগ দেবেন সেনার অনুষ্ঠানে

    PM Narendra Modi: ১৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ফের মোদি, যোগ দেবেন সেনার অনুষ্ঠানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অপারেশন সিঁদুরের পর এই নিয়ে রাজ্যে চতুর্থবার আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তবে হ্যাঁ, এইবার কোনও রাজনৈতিক সভা বা কর্মসূচিতে নয়। ইস্টার্ন কমান্ডের সেনাবাহিনীর একটি সম্মেলন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রধান অজিত ডোভাল এবং দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রধানমন্ত্রী আসবেন ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে এবং ওই দিন রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন। পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর ফোর্ট উইলিয়মে সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের (Eastern Command) অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন এবং এরপর আবার ওই দিনই দুপুরে দিল্লি ফিরে যাবেন।

    থাকবেন তিন বাহিনীর প্রধান (PM Narendra Modi)

    অপারেশন সিঁদুরের পর পূর্ব ভারতে সেনার এবং কমান্ডারদের (Eastern Command) নিয়ে কলকাতায় বিরাট বৈঠক হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ইস্টার্ন কমান্ডের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিমাংশু তিওয়ারি জানিয়েছেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফোর্ট উইলিয়মে সম্মিলিত কমান্ড কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। আর ১৫ সেপ্টেম্বর ওই কনফারেন্সের উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি। এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন তিন বাহিনীর প্রধান ও ভারতীয় সেনার চিফ অফ ডিফেন্স অনিল চৌহান। সেইসঙ্গে থাকবেন আরও প্রমুখ সেনা আধিকারিকরা। আরও জানা গিয়েছে, আগামীদিনে দেশের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ব্যবস্থা, সীমান্ত সমস্যা এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত রক্ষার কৌশল কেমন হবে, তা নিয়েও আলোচনা হবে অনুষ্ঠানে।

    অস্থির পূর্ব-উত্তরপূর্ব প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি

    গত একবছরের বেশি সময় ধরে পূর্ব-উত্তরপূর্ব প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বাংলাদেশ ভীষণ ভাবে অস্থির। ওই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কট্টর মোল্লা-মৌলবিদের ভারত বিরোধী কার্যকলাপ এবং পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্ত সমস্যা, অনুপ্রবেশ ভারতের অভ্যন্তরে প্রভাব ফেলছে। আবার বাংলাদেশ-পাকিস্তানের গোপন সামরিক চুক্তিও উদ্বেগের কারণ। এবার আরেক পরিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমার এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতে। আর তার উপর রয়েছে চিনের আগ্রাসন নীতি। সব মিলিয়ে ভারতকে পূর্ব এবং উত্তর ভারতের সমীকরণ নিয়ে ভাবতেই হবে। সেই সঙ্গে ভারতের দেশীয় সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন এবং বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে অনুষ্ঠানে। তাই ভারতীয় সেনাকে মোদি (PM Narendra Modi) কী বিশেষ বার্তা দেন তাও দেখার বিষয়।

  • Operation Sindoor: ‘‘১০ মে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ থামেনি’’, অপারেশন সিঁদুরের অনেক না বলা কথা শোনালেন সেনাপ্রধান

    Operation Sindoor: ‘‘১০ মে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ থামেনি’’, অপারেশন সিঁদুরের অনেক না বলা কথা শোনালেন সেনাপ্রধান

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার জবাবে ৭ মে শুরু হওয়া ভারতের সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) কেবলমাত্র তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়নি, বরং এটি দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। শুক্রবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আপনারা হয়ত ভাবছেন ১০ মে যুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছে; না, তা নয়। এটি আরও অনেক দিন ধরে চলেছে, অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যার সবকিছু বলা সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন, সীমান্তে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাস এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি এবং নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

    সীমান্তে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি

    শুক্রবার দিল্লিতে একটি বই উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে জেনারেল দ্বিবেদী জানান, সিঁদুর অভিযানের প্রভাব সীমান্তে কতটা পড়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ, সীমান্তে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদত দেওয়াও চলছে। তাঁর কথায়, ‘‘নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতির উপরে সিঁদুর অভিযানের প্রভাব কতটা পড়েছে, তা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা যাবে না। পাকিস্তানের মদতে সন্ত্রাস কি বন্ধ হয়েছে? আমি মনে করি না। কারণ, নিয়ন্ত্রণরেখায় এখনও অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। আমরা সকলে জানি, কত জন জঙ্গি নিহত হয়েছে, কত জন পালিয়ে গিয়েছে।’’

    অপারেশন সিঁদুর: দ্য আনটোল্ড স্টোরি

    পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা, তার জবাবে গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে সংঘাত শুরু হয়। অবশেষে ১০ মে পাকিস্তানের (Pakistan) অনুরোধেই দুই দেশের ডিজিএমও (DGMO) স্তরে বৈঠক হয়। তারপরই সংঘর্ষ বিরতি হয়। অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) কী কী হয়েছিল, তা নিয়েই বই প্রকাশ করলেন সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। সেখানেই তিনি জানালেন যে ১০ মে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত শেষ হয়নি। ‘অপারেশন সিঁদুর: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অব ইন্ডিয়া’জ ডিপ স্ট্রাইক ইনসাইড পাকিস্তান’ শীর্ষক বইটি প্রকাশিত হয় শুক্রবার। এই বইটি লিখেছেন প্রাক্তন সেনা কর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজিএস ধিলন। তিনি উল্লেখ করেন যে এই অভিযান শুধুমাত্র ভারতীয় সেনার সামরিক অভিযানই ছিল না, একইসঙ্গে সেনার সাহসিকতা, পেশাদারিত্বকেও তুলে ধরেছিল। জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “এই দিকগুলি সাধারণত না শোনা, না বলা থেকে যায়, কারণ উর্দিধারীরা এই কথাগুলি বলতে পারেন না। নিয়ন্ত্রণ রেখায় এই ধরনের সংঘাতে আমরা অভ্যস্ত কিন্তু আমরা বুঝি না যে এর অনুভূতি, ক্ষতি, লাভ ও কী কী প্রতিবন্ধকতা থাকে। অপারেশন সিঁদুরেও না বলা কাহিনি ছিল।”

    বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়

    সিঁদুর অভিযানের সময় ভারতের বাহিনীগুলির মধ্যে সমন্বয়েরও প্রশংসা করেছেন দ্বিবেদী। তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেক বাহিনীর আধিকারিকেরা নিজেদের নির্দেশ নিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে অবহিত ছিলেন। সেই মতো পদক্ষেপ করেছেন তাঁরা। তিনি বায়ু, নৌ এবং স্থলসেনাকে এক কমান্ডারের অধীনে (থিয়েটারাইজেশন) নিয়ে আসার বিষয়েও সওয়াল করেছেন। তাঁর মতে, কাজ সম্পাদনের জন্য এক জন কমান্ডার থাকা প্রয়োজন। অভিযান চলাকালীন তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়কে তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন এবং ভারতীয় সেনার সমন্বিত অগ্রযাত্রাকে “একটি ছন্দময় তরঙ্গের মতো” বলে আখ্যা দেন, যেখানে “প্রত্যেকে একে অপরের সঙ্গে সমন্বিত ছিল এবং নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন ছিল।” তিনি ব্যাখ্যা করেন যে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে, যেখানে তিন বাহিনী ছাড়াও অসামরিক ও সাইবার সংস্থাগুলো যুক্ত থাকে, সেখানে একীভূত কমান্ড কাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “এত সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হলে থিয়েটারাইজেশনই সমাধান। ঐক্যবদ্ধ কমান্ড অপরিহার্য; কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য একজন মাত্র কমান্ডার থাকা প্রয়োজন।”

    জিএসটি সংস্কারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত

    কেন্দ্রীয় সরকারের জিএসটি সংস্কারের সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। ড্রোনের উপরে জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশ হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন জেনারেল দ্বিবেদী। জেনারেল দ্বিবেদী সাম্প্রতিক জিএসটি সংস্কারকে সেনার আধুনিকীকরণে ত্বরান্বিত করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানান। তিনি উল্লেখ করেন, ড্রোনে জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা “বৃহৎ পরিসরে ক্রয়” সম্ভব করবে। তিনি আরও বলেন, এই সংস্কার প্রতিরক্ষা করিডরগুলিকে শক্তিশালী করবে এবং ছোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলির অংশগ্রহণ বাড়াবে। “আমাদের প্রতিরক্ষা করিডরগুলো বড় ধাক্কা পাবে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং স্টার্ট-আপগুলো, যাদের প্রায়ই সীমিত সম্পদ থাকে, তারা এই জিএসটি কাট থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।”

  • Nur Khan Airbase: অপারেশন সিঁদুরে গুঁড়িয়ে যায় নূর খান বিমানঘাঁটি, পুনর্নির্মাণ করছে পাকিস্তান, ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    Nur Khan Airbase: অপারেশন সিঁদুরে গুঁড়িয়ে যায় নূর খান বিমানঘাঁটি, পুনর্নির্মাণ করছে পাকিস্তান, ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নূর খান বিমানঘাঁটিতে (Nur Khan Airbase) জোরকদমে পুনর্গঠনের কাজ চলছে। সম্প্রতি প্রকাশিত স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে, মে মাসে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আঘাতে ধ্বংস হওয়া কাঠামো নতুনভাবে নির্মিত হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির মেরামত করে এই বিমানঘাঁটিকে ফের কার্যকার করতে চাইছে পাকিস্তান।

    মে মাসে ভারতীয় বিমানবাহিনী ওই ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়

    মে মাসে ভারতীয় বিমানবাহিনী ওই ঘাঁটিতে (Nur Khan Airbase) ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। আশপাশের ভবনগুলোও এই হামলায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায় অপারেশন সিঁদুরের হামলার পরে ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকা ১৭ মে-র মধ্যে পরিষ্কার করে ফেলা হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বরের ছবিতে আরও দেখা যায়, সেখানে নতুন দেওয়াল ও কাঠামো তৈরি হচ্ছে, যা পূর্বের নকশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ভিতরকার গঠন ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছিল, তাই সেগুলো ভেঙে ফেলে পুরনো ভিতের ওপরেই নতুন কাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।

    খুব কাছেই পাক সেনার সদর দফতর

    নূর খান বিমানঘাঁটি (Nur Khan Airbase) পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এখানেই রয়েছে আকাশপথ নজরদারি ব্যবস্থা, সি-১৩০ পরিবহণ বিমান ও আইএল-৭৮ জ্বালানি ভরার বিমান। এই সবকটি ব্যবস্থাই পাকিস্তানের নজরদারি ও যুদ্ধের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই ঘাঁটিতে ভারতের হামলাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতরের এত কাছাকাছি একটি ঘাঁটিতে আঘাত হেনে ভারত পাক সেনাকে নিজেদের বুঝিয়ে দেয় ক্ষমতা।

    পাকিস্তানের (Pakistan) ২০০ কিমি ভিতরে ঢুকে যায় ভারতীয় সেনা

    ২২ এপ্রিল, যখন পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ সাধারণ মানুষ নিহত হন। এর কয়েক দিনের মধ্যেই ভারত পাল্টা আঘাতের রূপরেখা চূড়ান্ত করে এবং ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত সীমান্ত পেরিয়ে একাধিক কৌশলগত আক্রমণ চালানো হয়। প্রায় ২০০ কিলোমিটার গভীরে ঢুকে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের রেডার, রানওয়ে, জঙ্গি ঘাঁটি ও হ্যাঙ্গারে নিখুঁত হামলা চালায়। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে এটিই ভারতের সবচেয়ে গভীর ও ব্যাপক সামরিক অভিযান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই ধারাবাহিক আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পাকিস্তান দ্রুত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয় (Nur Khan Airbase)।

LinkedIn
Share