Tag: Operation Sindoor

  • Donald Trump: ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তকে ফের একবার স্বাগত জানালেন ট্রাম্প

    Donald Trump: ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তকে ফের একবার স্বাগত জানালেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তকে ফের একবার স্বাগত জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সিদ্ধান্তের জন্য তিনি গর্বিত বলে জানিয়েছেন। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘এখনই যে আগ্রাসন থামানো উচিত, দুই শক্তিধর দেশ ভারত এবং পাকিস্তান (India Pakistan War) তা যে বুঝতে পেরেছে, তার জন্য আমি গর্বিত। এই সংঘর্ষে অনেক নিরীহ মানুষের মৃত্যু হতে পারত। কিন্তু যে ভাবে দুই দেশ এগিয়ে এসে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য।’’

    ভারত এবং পাকিস্তান যে ভাবে সংঘর্ষবিরতিতে উদ্যোগী হয়েছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য

    এদিন কাশ্মীর ইস্যু নিয়েও লিখেছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। তিনি লেখেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমিত করার জন্য আমেরিকা যে ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্যও আমি গর্বিত।’’ এর পরই তিনি, কাশ্মীর প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই সমস্যার সমাধানের যাতে একটি রাস্তা বেরিয়ে আসে তার জন্য ভারত-পাক দু‌’দেশের সঙ্গেই কাজ করতে আগ্রহী তিনি। শেষে তিনি (Donald Trump) আবারও বলেন, ‘‘ভারত এবং পাকিস্তান যে ভাবে সংঘর্ষবিরতিতে উদ্যোগী হয়েছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।’’

    ভারত ধারাবাহিক ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে , শনিবারই জানিয়েছিলেন জয়শঙ্কর

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, শনিবার বিকেলে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরই ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর সমাজমাধ্যমে লেখেন, “আজ ভারত এবং পাকিস্তান সামরিক অভিযান এবং গোলাগুলি বন্ধ করার বিষয়ে একটি বোঝাপড়ায় এসেছে।” একই সঙ্গে তিনি লেখেন, “ভারত ধারাবাহিক ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং আপসহীন অবস্থান নিয়ে এসেছে। এটি বজায় থাকবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার বিকেল ৫টা ৪২ নাগাদ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘গোটা রাত দীর্ঘ আলোচনার পর দুই দেশই এই মুহূর্ত থেকে সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। সঠিক সময়ে বাস্তবজ্ঞান কাজে লাগানোয় দুপক্ষকে শুভেচ্ছা।’’  এরপর ফের রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিবৃতি সামনে এল।

  • India Pakistan war: কাপুরুষোচিত হামলা, পাকিস্তানের ছোড়া গুলিতে শহিদ বিএসএফ জওয়ান

    India Pakistan war: কাপুরুষোচিত হামলা, পাকিস্তানের ছোড়া গুলিতে শহিদ বিএসএফ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই বিকেল পাঁচটায় সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার পরই ফের নিজেদের (India Pakistan War) আসল রূপ দেখাল পাকিস্তান। ফিরে এল পাকিস্তান। কাশ্মীরের একাধিক এলাকায় লাগাতার গোলা-গুলি চালাতে থাকে তারা। সেসময় অবশ্য পাকিস্তানকে সঙ্গে সঙ্গে যোগ্য জবাবও দিতে শুরু করে বিএসএফ (BSF)। তবে বিএসএফ-এর জম্মু ডিভিশন থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোলায় মৃত্যু হয়েছে এক বিএসএফ আধিকারিকের। বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার জম্মুর আরএস পুরা এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে নির্বিচারে গোলাগুলি চালাতে শুরু করে পাকিস্তান। সেই সময়ই সামনে থেকে আধা সেনাকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর এমডি ইমতিয়াজ। তখনই পাকিস্তানের (India Pakistan War) ছোড়া গুলিতে শহিদ হন তিনি।

    শনিবারও রাজস্থান-গুজরাট সহ একাধিক জায়গায় ফের সাইরেন বাজাতে শুরু করে

    অন্যদিকে শনিবারই বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন, দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি করা হয়েছে। আপাতত আকাশ, স্থল, জল, কোনও পথেই সেনা ‘অ্যাকশন’ চালানো হবে না বলে জানান বিক্রম মিস্রি। তবে এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই দেখা গেল উধমপুর, আখনুর, নৌসেরা, পুঞ্চ, রাজৌরি, জম্মু, আরএসপুরা সহ একাধিক জায়াগায় গোলা-গুলি চালাতে (India Pakistan War) শুরু করে পাকিস্তান। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত রাজস্থান-গুজরাট সহ একাধিক জায়গায় ফের সাইরেন বাজাতে শুরু করে। জয়সালমের, বারমের, পাঠানকোট সহ একাধিক জায়গা সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয়।

    শুক্রবারও মৃত্যু হয়েছিল এক সরকারি আধিকারিকের

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা পাহারার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, পাক হামলায় শুক্রবারও মৃত্যু হয়েছিল এক সরকারি আধিকারিকের। নিহত হয়েছেন রাজৌরির অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারও। পাকিস্তানের গুলিতে মৃত্যু হয় রাজ কুমার থাপা নামের ওই আধিকারিকের। ওই হামলার ঘটনায় সেসময় আহত হয়েছিলেন তিনজন । পরে মৃত্যু হয় ওই আধিকারিকের।

  • Ajit Doval: যুদ্ধ ভারতের পছন্দ নয়, সন্ত্রাস প্রতিরোধে পদক্ষেপ করতেই হত, চিনকে সাফ জানালেন দোভাল

    Ajit Doval: যুদ্ধ ভারতের পছন্দ নয়, সন্ত্রাস প্রতিরোধে পদক্ষেপ করতেই হত, চিনকে সাফ জানালেন দোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে চিন পাকিস্তানকে সবদিক থেকে সমর্থনের কথা বলছে, অন্যদিকে আবার ভারতের কাছে আবার পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার নিন্দাও করছে। প্রসঙ্গত, শনিবার ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা হয়। এর ঠিক ঘণ্টা খানেক বাদেই পাকিস্তান তা লঙ্ঘন করে। তারপরেই ময়দানে নামে চিন। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল (Ajit Doval) এবং পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বলে জানা যায়। জানা গিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে (Ajit Doval) ফোন করে চিনা বিদেশমন্ত্রী পহেলগাঁও জঙ্গি হানার নিন্দা করেন। একইসঙ্গে যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁরা রয়েছেন বলেই ভরসা জোগানোর চেষ্টা করেন। এই আবহে চিনের দ্বিচারিতার সামনে কোনওভাবেই মাথা নত করেনি ভারত। অজিত দোভাল (Ajit Doval) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত কখনও যুদ্ধ করতে চায় না। যুদ্ধ কারও স্বার্থেই ভালো নয়। তবে ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও জঙ্গি হানায় অনেক ভারতীয়দের প্রাণহানি হয়েছিল। ভারতকে সন্ত্রাস প্রতিরোধে পদক্ষেপ করতেই হত।

    চিনের চিরমিত্র পাকিস্তান

    এদিকে চিন (China) তাদের চিরমিত্র পাকিস্তানকে জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানের স্বাধীনতা, সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে ইসলামাবাদের পাশে রয়েছে সবসময়। চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই নিজের বিবৃতিতে বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান সবসময় প্রতিবেশী থাকবে। আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ বিরতি কার্যকর করতে চিন সবসময় পাশে আছে।” চিন আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, দুই দেশ অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে নেয়। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, তার চেষ্টা করে।

    যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের

    এদিকে, যুদ্ধবিরতির মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর। শনিবার সন্ধ্যায় জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। বারামুল্লা ও অনন্তনাগ এলাকায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে একটি আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল (UAV) নামিয়ে ফেলা হয়। এই আবহে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্স -এ লেখেন, “এ কেমন যুদ্ধবিরতি?” এরপরেই বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। আমাদের বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন ভবিষ্যতে কোনওরকম অনুপ্রবেশ বা উস্কানি হলে কড়া জবাব দেওয়া হয়।”

  • India-Pakistan War: সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা! ‘‘ভারত প্রস্তুত’’, সম্মুখ সমরের ইঙ্গিত দিয়ে বলল সরকার

    India-Pakistan War: সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা! ‘‘ভারত প্রস্তুত’’, সম্মুখ সমরের ইঙ্গিত দিয়ে বলল সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্গিল যুদ্ধের পর এই প্রথম ভারতের পশ্চিম সীমান্তে সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান (India-Pakistan War)। তারা অনবরত আগ্রাসী ভূমিকা বজায় রাখছে। শনিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ও ভারতীয় সেনার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানানো হয়েছে। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান বারবার হামলার চেষ্টা করছে। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলি তাদের নিশানায়। পাক সেনাদের গোলাবর্ষণ চলছে, যদিও হামলার চেষ্টা প্রতিহত করছে ভারতীয় সেনা। এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশি।

    সীমান্তে বাহিনী এগোতে শুরু করল পাকিস্তান

    সব সীমা ছাড়াচ্ছে পাকিস্তান (India-Pakistan War)। লাগাতার গোলাবর্ষণ তো করছিলই, এবার সীমান্তে বাহিনী এগোতে শুরু করল। ভারত সরকারের তরফেই এই তথ্য জানানো হয়েছে। ১৯৯৯ সালের পর প্রথম এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তান চার রাজ্যে মোট ২৬টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। যদিও ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সেগুলিক নিষ্ক্রিয় করেছে। ভারতও পাল্টা জবাবে ৪টি পাকিস্তানি এয়ারবেসে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া হামলা চালানো হয়েছে আরও ২ পাক এয়ারবেস, একটি সেনা বেস ও একটি রেডার স্টেশনে। পাকিস্তান সেনা সীমান্তে তাদের বাহিনী এগোনো শুরু করতেই ভারতও তাদের সেনাকে প্রস্তুত রেখেছে এবং যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে।

    সরাসরি আক্রমণের ইঙ্গিত পাকিস্তানের

    এ দিন উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং ও কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তানের সেনা এগোনোর সিদ্ধান্ত তাদের আক্রমণাত্বক অভিপ্রায়কেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কর্নেল সোফিয়া বলেন, ‘‘পাকিস্তান মিলিটারি সীমান্তে তাদের বাহিনী এগোচ্ছে। দেখা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনা তাদের সৈন্যদের সামনের দিকে এগিয়ে আনছে। এতে তাদের আক্রমণাত্মক অভিপ্রায় প্রকাশ পাচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে এটা। পাকিস্তান সেনা সীমান্তের দিকে যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, তা নিছক প্রতিরক্ষা কৌশল নয়—এটি সরাসরি আক্রমণের ইঙ্গিত। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে এবং যেকোনও আক্রমণের যোগ্য জবাব দেওয়া হচ্ছে।”  উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং-ও এই বিষয়ে একমত প্রকাশ করে জানান যে, পাকিস্তান তাদের বাহিনী সীমান্ত বরাবর এগিয়ে এনে ভারতের সার্বভৌমত্বে সরাসরি আঘাত হানতে চাইছে। তিনি বলেন, “এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের পরিকল্পিত সামরিক আগ্রাসনের পরিচয় বহন করে।” তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী (India-Pakistan War) সম্পূর্ণ প্রস্তুত। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ভারতের তিন বাহিনী।

    পাকিস্তানের লক্ষ্য সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি সাধন 

    জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গত কয়েক দিন ধরে পাকিস্তান ভারী গোলাবর্ষণ করে চলেছে। এই ধরনের গোলাবর্ষণ যুদ্ধে কোনও অগ্রগতি এনে দেয় না। সীমান্তবর্তী সামরিক চৌকিতে উচ্চক্ষমতার আর্টিলারি গান (কামান) বসিয়ে সীমান্তের অন্য দিকে একনাগাড়ে গোলাবর্ষণ করাই যায়। যে কোনও দেশই সেটা করতে পারে। কিন্তু তাতে সীমান্ত এগোবে বা পিছোবে না। শত্রুপক্ষও খতম হবে না।পাকিস্তানের সামরিক কর্তারা সে কথা ভালই জানেন। তবু অনবরত গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়ে যাচ্ছেন। ভারতের সামরিক বাহিনীর দুর্ভেদ্য বর্মে পাকিস্তান এত জোরে ধাক্কা খাচ্ছে যে, অপমান ভুলতে লোকালয়ে গোলা ছুড়ছে, এমনই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। প্রেস বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, গতকাল সারা রাত ধরে পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে। উধমপুর, পাঠানকোট, ভূজ, ভাটিন্ডা সহ ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। রাত ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ পাকিস্তান হাই স্পিড মিসাইল দিয়ে পাঞ্জাবের একটি এয়ারবেসে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। ভারত সেই হামলাও প্রতিহত করেছে। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে একটানা ড্রোন, যুদ্ধবিমান, এমনকী লং রেঞ্জ মিসাইল দিয়েও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।

    একটানা ড্রোন হামলা পাকিস্তানের

    দেশের পশ্চিম সীমান্তে ড্রোন হামলাও চালাচ্ছে পাকিস্তান। শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ অমৃতসরের খাসা ক্যান্টের উপর শত্রুপক্ষের একাধিক সশস্ত্র ড্রোন দেখা উড়তে দেখা যায়। যা প্রতিহত করে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই পরিস্থিতিতে সকাল সাড়ে ১০টার পরে বিদেশ মন্ত্রক, সেনার সাংবাদিক বৈঠক শুরু হয়। প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল থেকে পাকিস্তান সেনাকে উদ্ধৃত করে একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ভারতের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। সাইবার হামলা চালানো হয়েছে ভারতের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোয়। এই দাবিগুলি ভুয়ো বলে জানান বিদেশসচিব। আফগানিস্তানে ভারতের মিসাইল পড়েছে বলে যে খবর ছড়াচ্ছে, তা–ও মিথ্যা বলে জানান তিনি। মিস্রি বলেন, ‘কোন দেশ আফগানিস্তানে বার বার হামলা চালিয়ে এসেছে, তা আশা করি সেখানকার মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে না।’

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

    এই প্রেক্ষাপটে দিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে (India-Pakistan War) উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে আলোচনা করছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক (India-Pakistan Conflict) থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ডার এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সক্রিয় করা এবং রণসজ্জা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান এই ধরণের আচরণ করে (India-Pakistan Conflict) আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করতে চাইছে। এ ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক নিয়ম ও সমঝোতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

  • RSS: “পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে,” বললেন প্রবীণ আরএসএস প্রচারক ইন্দ্রেশ

    RSS: “পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে,” বললেন প্রবীণ আরএসএস প্রচারক ইন্দ্রেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান এমন একটি দেশ যা জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে। দেশটি অচিরেই পাঁচভাগে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে।” শুক্রবার ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রবীণ প্রচারক ইন্দ্রেশ কুমার। পহেলগাঁওকাণ্ডের প্রেক্ষিতে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। এই অপারেশনে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ (RSS)

    ইন্দোরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ‘জিএএফসিওএন-এবিসিআই নর্থ ইন্ডিয়া লিডারস কনফারেন্স’-এ বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, “আমরা জানি না পাকিস্তানের কী হবে। কিন্তু মানুষ বলছে এই দেশ পাঁচ ভাগে বিভক্ত হয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।” ইন্দ্রেশ কুমার ব্যাখ্যা করেন, ‘কিছু লোক মনে করে পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের শিকার। তারা এও মনে করে যেহেতু দেশটি ইতিমধ্যেই ৮০ বছর পূর্ণ করে ফেলেছে, তাই এর অস্তিত্বের সময় হয়তো শেষের পথে। কারণ প্রতিটি সৃষ্ট বস্তুই এক সময় বিলুপ্ত হয় (RSS)।’

    ভারতের সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা

    ভারতের সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “ভারত সনাতন সংস্কৃতিতে গড়ে ওঠা দেশ যার কোনও নির্দিষ্ট জন্মতারিখ নেই। সেখানে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে নতুন রাষ্ট্র।” তিনি বলেন, “এই সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা পাকিস্তানের যে নয়া রাষ্ট্রস্বত্ত্বা তার সঙ্গে কোনওভাবেই মেলে না।”

    অনুষ্ঠান শেষে সংবাদমাধ্যমে প্রবীণ এই আরএসএস নেতা বলেন, “পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মহল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দাবি উঠছে। সিন্ধু, বালুচিস্তান, পশতু অঞ্চল এবং পাঞ্জাবের মতো এলাকাগুলো আলাদা হতে চাইছে। আর পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়।” তাঁর মতে, এসব আন্দোলন পাকিস্তানের রাষ্ট্র হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকার ক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তিনি দেশবাসীকে জাতপাত, দলীয় রাজনীতি, ধর্মীয় গোষ্ঠী ও ভাষাভিত্তিক বিভাজন অতিক্রম করে সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার আহ্বানও জানান। বলেন, “আমাদের নিজেদের মধ্যের পার্থক্য ভুলে একত্রিতভাবে সন্ত্রাসের অবসান ঘটাতে হবে এবং পাকিস্তানকে শক্ত বার্তা দিতে হবে।”

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে জঙ্গি পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ গোটা দেশে প্রশংসিত হয়েছে। এটি আদতে (Operation Sindoor) সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স মনোভাবেরই প্রতিফলন (RSS)।

  • India Pakistan War: ধর্মীয় স্থানকে নিশানা! জম্মুর শম্ভু মন্দিরে মর্টার হামলা পাকিস্তানের, জবাব দিচ্ছে সেনা

    India Pakistan War: ধর্মীয় স্থানকে নিশানা! জম্মুর শম্ভু মন্দিরে মর্টার হামলা পাকিস্তানের, জবাব দিচ্ছে সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মুতে (Jammu) জারি হল রেড অ্যালার্ট৷ শনিবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট থেকেই জম্মুতে লাগাতার শেলিং শুরু করে পাকিস্তান (India Pakistan War) ৷ পাক হামলায় এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই, তিনজন আহত৷ গতকাল রাত থেকে জম্মু থেকে শুরু করে শ্রীনগর, এদিকে পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে রাজস্থানের একাধিক এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়েছে পাকিস্তান৷ জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার চলছে গোলাবর্ষণ ৷ তবে পাকিস্তানের হামলা শক্ত হাতে প্রতিহত করেছে ভারত। শনিবার সকালে জম্মুর শম্ভু মন্দিরে পাকিস্তানের গোলা এসে পড়েছে। মন্দির চত্বরে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর।

    মন্দিরের দরজার সামনে বিস্ফোরণ

    উত্তর পশ্চিম সীমান্তে টানা গোলাবর্ষণ করছে পাকিস্তান। শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ জম্মুর আপ শম্ভু মন্দিরের কাছে ড্রোন হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান (India Pakistan War)। মন্দিরের দরজার সামনে বিস্ফোরণ ঘটে। সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সেই ড্রোন ধ্বংস করে দেওয়া হয়। কাছে থাকা একটি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। রাস্তায় থাকা গাড়িগুলিরও ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে শনিবার সকালে আপ শম্ভু মন্দিরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। পাকিস্তানের হামলায় রজৌরিতে সরকারি আধিকারিক-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজৌরির অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার রাজকুমার থাপার বাড়িতে শুক্রবার রাতে পাকিস্তানের ছোড়া একটি গোলা গিয়ে পড়ে। তিনি গুরুতর জখম হয়েছিলেন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

    জম্মুতে লাগাতার হামলা পাকিস্তানের

    জম্মু (Jammu) উধমপুরে শোনা যাচ্ছে ভারী বিস্ফোরণের শব্দ। শহরের মধ্যে আকাশ ঢেকে যাচ্ছে ধোঁয়ার কুণ্ডলিতে। জম্মু, পাঠানকোট, শ্রীনগর, উধমপুর লক্ষ্য করে মিসাইল নিক্ষেপ করছে পাকিস্তান। প্রায় প্রতি ২ মিনিট অন্তর শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ। জম্মুর পাশাপাশি ভারতের পশ্চিম সীমান্তে লাগাতার ড্রোন দিয়ে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান (India Pakistan War)। সাধারণ নাগরিকদের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চলছে। সেনা প্রতিহত করছে। পাল্টা জবাবও দেওয়া হচ্ছে, বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। শ্রীনগর, জম্মু, রজৌরিতে শোনা যাচ্ছে পর পর বিস্ফোরণের আওয়াজ। অসমর্থিত সূত্রের খবর, পাকিস্তানের রওয়ালপিন্ডির কাছে তিনটি এয়ারবেসে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডির নুর খান, সিন্ধ প্রদেশের সুক্কুর, চাকওয়ালের মুরিদ এয়ারবেস ক্ষতিগ্রস্ত। পাকিস্তানের আকাশে আপাতত সমস্ত রকম বিমানের উড়ান বন্ধ রাখা হয়েছে। হরিয়ানার সিরসার আকাশে পাক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ভারত। অবন্তীপোরা, শ্রীনগর, উধমপুরে বায়ুসেনা চিকিৎসা কেন্দ্র ও স্কুলকে নিশানা করেছে পাকিস্তান। বারবার সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। সেনা সূত্রে খবর, অন্তত ২৬ জায়গায় হামলার চেষ্টা হয়েছে। দ্রুত জবাব দিয়েছে ভারত।

  • India-Pakistan War: যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব, ৩২টি বিমানবন্দরে অস্থায়ীভাবে পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

    India-Pakistan War: যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব, ৩২টি বিমানবন্দরে অস্থায়ীভাবে পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে বড় পদক্ষেপ করল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। আগামী ১৪ মে পর্যন্ত দেশের ৩২টি বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাক সীমান্তবর্তী উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বিমানবন্দর গুলিতে অসামরিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। ১৫ মে সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ফের এখানে পরিষেবা চালু হওয়ার কথা রয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে ঘোষিত এই সিদ্ধান্তটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অশান্তির আবহে নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে।

    কোন কোন বিমানবন্দরকে নির্দেশ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (AAI) এবং সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষ বিমানকর্মীদের (NOTAMs) জন্য একাধিক নোটিস জারি করেছে। যে ৩২টি বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে অমৃতসর, চণ্ডীগড়, শ্রীনগর, লুধিয়ানা, ভুন্টার, কিষেণগড়, পাটিয়ালা, সিমলা, কাংড়া-গগ্গল, ভাটিণ্ডা, জৈসলমের, জোধপুর, বিকানের, হলওয়ারা, পঠানকোট, জম্মু, লেহ্‌, মুন্দ্রা, জামনগর, হিরাসর, পোরবন্দর, কেশোড়, কান্দলা, ভূজ। ইতিমধ্যে এই ৩২টি বিমানবন্দরে ওঠানামা করার কথা ছিল যে সব বিমানের, সেগুলি বেশির ভাগই বাতিল করে দিয়েছে সংস্থাগুলি। এয়ার ইন্ডিয়া জম্মু, শ্রীনগর, লেহ্‌, জোধপুর, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, ভূজ, রামনগর, রাজকোটে যাতায়াতকারী তাদের সমস্ত বিমান বাতিল করেছে। যাত্রীদের ভাড়া ফেরত দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সংস্থা। বিমান সংস্থা ইন্ডিগোও বেশ কিছু বিমান বাতিল করেছে।

    কেন বন্ধ বিমান চলাচল

    অপারেশন সিঁদুরের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার নিয়েছে। লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে পাকিস্তান থেকে। যার বেশিরভাগই মাঝ আকাশে নষ্ট করেছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই অবস্থায় সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির বিমানবন্দর থেকে বিমান চালানো যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে সরকার। সে কথা মাথায় রেখেই আগামী ১৪ মে পর্যন্ত ৩২টি বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।

    কলকাতা বিমানবন্দরে জারি হাই অ্যালার্ট

    ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ আবহে কলকাতা বিমানবন্দরে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সিআইএসএফের সমস্ত কর্মীদের ছুটি। যারা ছুটিতে ছিলেন, তাদেরও ফিরে আসতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দর চত্বরে অ্যারাইভাল, ডিপারচারে কোন গাড়ি দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। অসামরিক উড়ান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে দেশের সমস্ত বিমানবন্দরগুলোতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। যাত্রীদের উড়ানের ৩ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছতে বলা হয়েছে। দেড় ঘণ্টা আগেই গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

  • Indus Waters Treaty: বিশ্বব্যাঙ্কের ভূমিকা শুধু সাহায্যকারী হিসাবে, সিন্ধু চুক্তি নিয়ে বললেন অজয় বঙ্গা

    Indus Waters Treaty: বিশ্বব্যাঙ্কের ভূমিকা শুধু সাহায্যকারী হিসাবে, সিন্ধু চুক্তি নিয়ে বললেন অজয় বঙ্গা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Waters Treaty) স্থগিত করা নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের ভূমিকা নিয়ে একাধিক রিপোর্ট সামনে এসেছে। এই আবহে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের (World Bank President) প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গা। অত্যন্ত নির্দিষ্টভাবে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গার মতে, ‘‘সাহায্যকারীর বাইরে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। মিডিয়াতে নানা জল্পনা ছড়াচ্ছে কীভাবে বিশ্বব্যাঙ্ক এনিয়ে পদক্ষেপ নেবে ও এই সমস্যাটা ঠিকঠাক করবে। কিন্তু এগুলি সব বাজে কথা। বিশ্বব্যাঙ্কের ভূমিকা কেবলমাত্র একজন সাহায্যকারী হিসাবে।’’

    পহেলগাঁও হামলার পরেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে ভারত

    এইভাবেই কার্যত নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিল বিশ্বব্যাঙ্ক। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওতে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হানার পরেই একের পর এক কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করে ভারত। তারমধ্যে অন্যতম ছিল সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত। ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের ((Indus Waters Treaty) ) মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই দুই দেশ ছাড়াও অতিরিক্ত স্বাক্ষরকারী ছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। এই চুক্তিতে সিন্ধু এবং এর উপনদীগুলির জল দুই দেশের মধ্যে ন্যায্যভাবে ভাগ করার কথা বলা হয়েছিল। চুক্তির অধীনে, পূর্বাঞ্চলীয় ৩ নদী – বিপাশা, রবি এবং শতদ্রুর জল ভারতকে এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় ৩ নদী – চেনাব, সিন্ধু এবং ঝিলামের জল পাকিস্তানকে বরাদ্দ করা হয়েছিল (Indus Waters Treaty)। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশকে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে একে অপরের নদী ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। যেমন ছোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু, জলসেচ ইত্যাদি কাজে।

    বৃহস্পতিবারই বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এই সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন

    প্রসঙ্গত, এর আগে বৃহস্পতিবারই বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এই সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে কিছু ইস্যু আমি বলতে চাই। কিছু ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে এই ইস্যু সম্পর্কে। আসল বিষয়টি হল পরিস্থিতির মূলগত কিছু পরিবর্তন হয়েছে যার জেরে সিন্ধু জলচুক্তিটা (Indus Waters Treaty) আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে।’’

  • Vikram Misri: ‘‘গোটা বিশ্বের কাছে মিথ্যে তথ্য তুলে ধরছে পাকিস্তান’’, বললেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি

    Vikram Misri: ‘‘গোটা বিশ্বের কাছে মিথ্যে তথ্য তুলে ধরছে পাকিস্তান’’, বললেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বিকালেই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। সেখানেই পাকিস্তানের তৈরি করা ভুয়ো খবর নিয়ে হাটে হাড়ি ভাঙলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। এদিন তিনি বলেন, ‘‘কোণঠাসা হয়ে গোটা বিশ্বের কাছে মিথ্যে তথ্য তুলে ধরছে পাকিস্তান (India Pakistan War)।’’

    কী বললেন বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)?

    তিনি (Vikram Misri) আরও বলেন, ‘‘গত রাতে পাকিস্তান যে হামলা চালিয়েছে, সেই সম্পর্কে দেশের জনগণ জ্ঞাত। ভারতীয় সেনাও তাদের মোক্ষম জবাব দিয়েছে। তবে পাকিস্তান বারংবার দাবি করেছে, ওরা কোনও ধর্মীয় স্থানে আক্রমণ চালায়নি। উল্টে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দিকে অভিযোগ তুলে বলেছে, আমরা নাকি অমৃতসরের নানা জায়গায় হামলা চালিয়ে, ওদের দিকে দোষ ঠেলছি। কিন্তু গোটাটাই ভুয়ো। কাশ্মীরের পুঞ্জের একটি গুরুদ্বারে এই সময় হামলা চালায় পাকিস্তান। যার জেরে ওই ধর্মীয় স্থানের এক প্রধানের মৃত্য়ু হয়।’’ ভারতের বিদেশ সচিব আরও বলেন, ‘‘শুধুই পুঞ্চ নয়। ভারতের একাধিক এলাকাতেও হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। এমনকি, ওরা কোণঠাসা হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আরও একটি ভুয়ো অভিযোগ করে। পাকিস্তানের দাবি, ভারত নাকি তাদের দেশের অন্দরে থাকা গুরুদ্বারে হামলা চালিয়েছে। আসলে ওরা গোটা ব্যাপারটাকে একটা সাম্প্রদায়িক হিংসার রূপ দিতে চাইছে।’’

    ৩৬ জায়গায় ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন হামলারও চেষ্টা করে পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকে বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি ছাড়াও হাজির ছিলেন সেনার দুই মহিলা অফিসার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। কর্নেল কুরেশি বলেন, ‘‘রাত আটটা থেকে ৯টার মধ্যেই সবথেকে বেশি হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান (India Pakistan War)। পশ্চিমী সেনা ঘাঁটিগুলিতে সবথেকে বেশি হামলার চেষ্টা। বারবার বায়ুসীমা পার করার চেষ্টা করে পাক বায়ু সেনা। ৩৬ জায়গায় ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন হামলারও চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু, সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সমস্ত ড্রোনকে ভেঙে গুড়িয়ে দিতে সমর্থ হয় ভারতীয় সেনা।’’

  • Pakistan: ‘‘ভারতের ড্রোন হামলা ইচ্ছে করেই আটকাইনি’’! আজব যুক্তি দিলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    Pakistan: ‘‘ভারতের ড্রোন হামলা ইচ্ছে করেই আটকাইনি’’! আজব যুক্তি দিলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভারতের হাতে মার খেয়ে আপাতত নানা আজব যুক্তি সাজাতে ব্যস্ত পাকিস্তান (India Pakistan War)। পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ (Pakistan) বলেছেন, তাঁরা চাইলেই নাকি এই ড্রোন হামলা ঠেকাতে পারতেন। কিন্তু চেষ্টা করেননি! কেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আসিফ। তাঁর মতে, ইন্টারসেপ্টর কোথায় রাখা আছে এর ফলে জেনে যেত ভারত, তাই ইচ্ছে ভারতের ড্রোন হামলা আটকায়নি পাকিস্তান! এমন আজব যুক্তি শুনে স্তম্ভিত সব মহলই।

    কী বললেন আসিফ?

    পাক সংসদে (Pakistan) বক্তব্য রাখার সময়ে আসিফ দাবি করেন, ‘‘পাকিস্তান চাইলেই ভারতের ড্রোন হামলা ঠেকাতে পারত। কিন্তু তা করতে গেলে পাক সেনার নানা ক্যাম্পের হদিশ পেয়ে যেত ভারত। তাই প্রতিঘাত করা হয়নি!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা আমাদের লোকেশন জানাতে চাইনি ভারতকে। তাই ইচ্ছে করেই ড্রোন হামলা করতে দিয়েছি। তা প্রতিহত করার চেষ্টা করিনি। পাক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কোথায় আছে, তা খুঁজতেই ড্রোনগুলি পাঠিয়েছিল ভারত।’’ আসিফের এমন বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে এবং তা কার্যত অবাক করেছে সকলকে। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও পাকিস্তান (Pakistan) এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে নানা রকম ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে পাকিস্তান খবর রটিয়ে দিয়েছিল ৫টি রাফাল যুদ্ধবিমান নাকি পাকিস্তান ধ্বংস করে দিয়েছে। পরে স্পষ্ট করা হয়, সেই খবর নাকি ভুয়ো। খোদ পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিদেশি সংবাদমাধ্যমে এই দাবি করে তার পক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি।

    কাপুরুষ শেহবাজ শরিফ মোদির নামও উচ্চারণ করতে পারেন না

    কাপুরুষ শেহবাজ শরিফ মোদির নামও উচ্চারণ করতে পারেন না, কোনও ভারতীয় নয়, এবার এমন মন্তব্য করতে শোনা গেল পাকিস্তানের (Pakistan) সাংসদকেই। ভারত-পাক উত্তেজনামূলক পরিস্থিতির মাঝেই নিজের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে একেবারে ‘কাপুরুষ’ বলে আক্রমণ করলেন পাক রাজনৈতিক নেতা সৈয়দ আহমেদ। পাকিস্তানের (India Pakistan War) সংবাদমাধ‍্যমে ইতিম্যমে ভাইরাল সেই ভিডিও। ইমরান খানের দলের সাংসদকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে একটি বিবৃতিও আসেনি। সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা পাকিস্তানি সৈন্যরা আশা করে যে সরকার সাহসিকতার সাথে লড়াই করবে। যখন আপনার নেতা একজন কাপুরুষ যিনি মোদির নামও উচ্চারণ করতে পারেন না, আপনি সীমান্তে লড়াই করা সৈন্যকে কী বার্তা দিচ্ছেন?’’

LinkedIn
Share