Tag: Operation Sindoor

  • Digital hawala of JeM: এফএটিএফ-এর নজর এড়াতে ডিজিটাল ওয়ালেট! ৩১৩টি নতুন ক্যাম্প, ৩৯০ কোটি টাকা সংগ্রহের ছক জৈশ-ই-মহম্মদের

    Digital hawala of JeM: এফএটিএফ-এর নজর এড়াতে ডিজিটাল ওয়ালেট! ৩১৩টি নতুন ক্যাম্প, ৩৯০ কোটি টাকা সংগ্রহের ছক জৈশ-ই-মহম্মদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদ চুপিসারে বিশাল চাঁদা সংগ্রহ অভিযানে নেমেছে। অপারেশন সিঁদুরে তাদের সংগঠন একেবারে ভেঙে গিয়েছে। তাই ফের নতুনভাবে (Digital hawala of JeM) পাকিস্তানে কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর পন্থায় আছে জৈশ। গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, জৈশ গোষ্ঠী পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় ৩১৩টি নতুন মারকাজ বা তালিম শিবির ও নিরাপদ ঘাঁটি তৈরির লক্ষ্য নিয়েছে। এই কাজে তারা প্রায় ৩৯০ কোটি পাকিস্তানি টাকা সংগ্রহ করতে চাইছে। জৈশ-ই প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার (Masood Azhar in Pakistan) ও তাঁর ভাই তালহা আল সইফ এই প্রচার চালাচ্ছে।

    নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা

    অপারেশন সিঁদুরে ভারত একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে আঘাত হানার পর, পাকিস্তানে ফের সন্ত্রাসের ডানা মেলাতে সক্রিয় হয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদ। গোষ্ঠীর প্রধান মাসুদ আজহার আইএসআই-এর সহযোগিতায় নতুন করে সন্ত্রাসমূলক পরিকাঠামো তৈরির ছক কষছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সূত্র। সমর্থকদের কাছে দরাজ হাতে চাঁদা দেওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ‘ইজিপয়সা’ এবং ‘সদাপে’-র মতো ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ, তাতে আন্তর্জাতিক জঙ্গি কার্যকলাপ ও তহবিল সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএটিএফ বা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের নজর বাঁচিয়ে চলা যাবে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এই ডিজিটাল ওয়ালেটগুলি মাসুদ আজহারের পরিবারের ফোন নম্বরের সঙ্গে নথিভুক্ত রয়েছে। যাঁর মধ্যে রয়েছেন তাঁর ভাই ও ছেলে আবদুল্লা আজহার। এছাড়াও, প্রতি শুক্রবার পাকিস্তানের বিভিন্ন মসজিদে গাজাবাসীদের ত্রাণের নাম করে নগদে চাঁদা সংগ্রহ চলছে। কিন্তু, আদতে সেই টাকা যাচ্ছে জৈশের ভাঁড়ারে।

    ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ

    জৈশ এখন ডিজিটাল ওয়ালেটের (Digital hawala of JeM) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করছে, যাতে কোনওরকম আন্তর্জাতিক নজরদারির আওতায় না আসে। এর মাধ্যমে তারা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)-এর নজর এড়াতে চায়। পাকিস্তান ২০২২ সালে ফতাফ-এর ধূসর তালিকা থেকে বেরিয়ে গেলেও, ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে—জৈশের কার্যকলাপ এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং পাকিস্তান তাদের মদত দিচ্ছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, মাসুদ আজহারের (Masood Azhar in Pakistan) পরিবারের সদস্যদের নামে ৫টি ডিজিটাল ওয়ালেট শনাক্ত হয়েছে। যেমন, সদাপে-র একটি অ্যাকাউন্ট তার ভাই তালহা আল সাইফ (তালহা গুলজার)-এর নামে রেজিস্টার করা হয়েছে, যা ব্যবহার করছে হারিপুরের জৈশ কমান্ডার আফতাব আহমেদ। অপরদিকে, ইজিপয়সার একটি ওয়ালেট চালাচ্ছে মাসুদ আজহারের ছেলে আবদুল্লাহ আজহার। একটি অন্য ওয়ালেট ছিল গাজা-র জন্য সহায়তা প্রদানের ছদ্মবেশে তৈরি, যার নম্বরের মালিক কাগজে ছিল খালিদ আহমেদ, তবে এটি পরিচালনা করতেন মাসুদের আরেক ছেলে হাম্মাদ আজহার। জৈশের সঙ্গে সংযুক্ত একটি সংগঠন আল রহমত ট্রাস্ট বাহাওয়ালপুরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও অর্থ সংগ্রহ করছে। এই ট্রাস্টের নেপথ্য মালিক খোদ মাসুদ আজহার এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা।

    ৩১৩টি নতুন ‘মারকাজ’ তৈরির পরিকল্পনা

    চাঁদা সংগ্রহের পাশাপাশি জৈশ নেতারা নতুন মারকাজ নির্মাণের কথাও ভেবেছেন। এগুলিকে মাসুদ আজহার সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের গোপন ডেরা হিসেবে সংরক্ষিত করা হবে। তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই নতুন জঙ্গি তালিম শিবির খোলা হবে বলে গোয়েন্দারা জেনেছেন। সূত্র এও জানিয়েছে যে, চাঁদা সংগ্রহের অর্থে সংগঠন বিদেশি অস্ত্র কিনতে শুরু করেছে। যেমন মেশিন গান, রকেট লঞ্চার ও মর্টার। এসবের মাধ্যমে জৈশ নতুন পরিকল্পনা করেছে। এই সব কাজে জৈশকে সক্রিয় সহায়তা দিচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। জৈশ-আইএসআই মিলে ৩১৩টি নতুন মারকাজ বা জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প তৈরি করতে চাইছে। এসব ক্যাম্প গড়ার আড়ালে মসজিদ নির্মাণের ছুতো দিচ্ছে তারা। তবে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি নিশ্চিত যে এই পরিকাঠামো মূলত সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর উদ্দেশ্যে। প্রতিটি মারকাজ তৈরির খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১২.৫ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি।

    বিদেশে থাকা পাকিস্তানিদের কাছে অর্থ সংগ্রহ

    শুক্রবারের নামাজের সময় পাকিস্তানের মসজিদে গাজা-র সহায়তা নাম করে অনুদান তোলা হচ্ছে। পরে এই অর্থ জৈশ-এর কার্যকলাপে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিদেশে থাকা পাকিস্তানিদের কাছ থেকেও সোশ্যাল মিডিয়া—বিশেষ করে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে টাকা তোলা হচ্ছে। মাসুদ আজহারের লেখা পোস্টার, ভিডিও, বার্তা বিভিন্ন প্রোফাইল থেকে ছড়ানো হচ্ছে যাতে সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে অর্থ সাহায্য মেলে। জৈশ একসঙ্গে ৭-৮টি ওয়ালেট চালায় এবং প্রতি ৪ মাস অন্তর সেগুলো বদলে দেয়। একটি ওয়ালেটে মোটা অঙ্ক জমলে সেটি ছোট ছোট অঙ্কে ভাগ করে টাকা তুলে নেওয়া হয়। প্রায় ৩০টি নতুন ওয়ালেট তৈরি হচ্ছে প্রতি মাসে। সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক অমিত দুবে জানিয়েছেন, এসব ডিজিটাল ওয়ালেট আসলে ‘ডিজিটাল হাওয়ালা’-র মতো কাজ করছে—যেখানে কোনও প্রথাগত ব্যাংক ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় না, ফলে আন্তর্জাতিক নজরদারি এড়ানো যায়।

    ৮০-৯০ কোটি টাকার সন্ত্রাসী লেনদেন

    বর্তমানে জৈশ-এর এই ডিজিটাল ওয়ালেট (Digital hawala of JeM) চক্রের মাধ্যমে প্রায় ৮০-৯০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে খবর। এই অর্থ ব্যবহৃত হচ্ছে অস্ত্র কেনা, প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পরিচালনা, মাসুদের পরিবার চালানো এবং বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে। এই অর্থের বড় অংশই মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বার্তা স্পষ্ট — পাকিস্তান যতই ফতাফ-কে মিথ্যা আশ্বাস দিক, বাস্তবে জৈশ-ই-মহম্মদের মতো সংগঠন পাকিস্তান মাটিতে আগের মতোই সক্রিয় রয়েছে, আর এবার তারা ডিজিটাল প্রযুক্তিকে অস্ত্র করে তুলেছে।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর-এ ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে করাচি বন্দর ফাঁকা করে দিয়েছিল পাকিস্তান! বলছে উপগ্রহ চিত্র

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর-এ ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে করাচি বন্দর ফাঁকা করে দিয়েছিল পাকিস্তান! বলছে উপগ্রহ চিত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ফাঁকা কলসির আওয়াজ বেশি’! মুখে যতই তর্জন-গর্জন করুক না কেন, অপারেশন সিঁদুর-এ (Operation Sindoor) ভারতের প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের পিলে যে চমকে উঠেছিল, তার আরও একটা অকাট্য প্রমাণ মিলল। সম্প্রতি, প্রকাশিত হওয়া উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে যে, অপারেশন সিঁদুরের সময় করাচি বন্দর থেকে রণতরীগুলিকে সরিয়ে ইরান সীমান্তের কাছে গ্বদর বন্দরের কাছে রেখে দেয় পাকিস্তান। অর্থাৎ, কার্যত পালিয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচায় পাক নৌসেনা (Pakistan Navy)। ফের প্রমাণিত হল পাকিস্তানের ওই তর্জন-গর্জন শুধুই ছিল ‘মুখেন মারিতং জগৎ’।

    লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিল পাক নৌসেনা

    অপারেশন সিন্দুরের (Operation Sindoor) সময়ে পাকিস্তান কীভাবে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিল, তা প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়েছে। সেই সময়কার স্যাটেলাইট ছবির কিছু ভিজ্যুয়াল প্রকাশ করেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। সবগুলি ৬-৭ মে তারিখের বলে দাবি। ঠিক যে সময় পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ভারত। যা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, সংঘাত যখন শীর্ষে ছিল তখনই পাক সেনার পগারপার হওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে। ওই উপগ্রহ চিত্রগুলিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, করাচি বন্দর কার্যত ফাঁকা। অন্যদিকে, গ্বদর বন্দরে সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে পাক নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলি। তাও আবার কিনা বাণিজ্যিক টার্মিনালে নোঙর করা হয় রণতরীগুলিকে!

    পগারপার পাক নৌবাহিনির ‘বীরপুঙ্গব’রা

    ৭ মে’র রাতে যখন ভারত (Operation Sindoor) একের পর এক পাক জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছিল, তখন আরব সাগরে পাকিস্তানের করাচি বন্দরের ওপর ব্রহ্মোস দিয়ে নিশানা করে রেখেছিল ভারতীয় নৌবহর। অপেক্ষা ছিল শুধু নির্দেশের। যদিও শেষ পর্যন্ত সেখানে ভারত কোনও হামলা করেনি। কিন্তু হামলা হতে পারে আশঙ্কায়, ভারতের মিসাইলের ভয়ে আগেভাগেই জাহাজ নিয়ে পগারপার পাক নৌবাহিনির ‘বীরপুঙ্গব’রা। এক কথায় ‘চাচা, আপন প্রাণ বাঁচা’-র মতো নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে তৎপর হয় পাক নৌসেনা। প্রকাশিত হওয়া ছবিগুলি অনুযায়ী, করাচি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ইরানের কাছে গ্বদর বন্দরে গিয়ে লুকোয় পাকিস্তান নৌবাহিনী। এর মধ্যে একটি ছিল জুলফিকার-ক্লাসের ফ্রিগেট। যা চিনের তৈরি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধজাহাজ। কারণ বেজিং পাকিস্তানকে এই উন্নত জাহাজগুলির মধ্যে মাত্র চারটি দিয়েছে। অপারেশন সিন্দুরের মাত্র ছ’মাস আগে, ইসলামাবাদ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে ফ্রিগেটটিকে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছিল।

    ১৯৭১-এর যুদ্ধের ছায়া…

    ভারত-পাক যুদ্ধে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে শেষবার ১৯৭১-এর যুদ্ধের সময় হামলা চালিয়েছিল ভারত। সেই সময় কার্যত গুঁড়িয়ে যায় করাচি বন্দর। সে কথা মনে রেখেই, আগেই পালিয়ে যায় পাকিস্তানের নৌবহর। পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ভারতের দক্ষিণ নৌ কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এসসি সুরেশ বাঙ্গারা, যিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে ভারতের হামলার সময়ও অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর মতে, ভারত আক্রমণ চালাতে পারে এ বিষয়ে পাকিস্তানের তিনটি বাহিনীরই পূর্ণ সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের প্রথম সারির যুদ্ধজাহাজগুলিকে তখনও বন্দরে দেখতে পাওয়া তাদের নিম্নমানের অপারেশনাল প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়।

    ভারতের ভয়ে কাঁটা…

    বিগত কয়েক মাস ধরে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সম্পর্কে পাকিস্তান বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গল্প বানিয়ে শুনিয়েছে। অস্ত্রের লড়াইয়ে এঁটে উঠতে না পারলেও মুখের লড়াইয়ে কোনও খামতি ছিল না পাকিস্তানের। ভারতের সঙ্গে সংঘাত চলাকালীন একাধিকবার পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছে পাকিস্তানের নেতা-মন্ত্রীদের মুখে। ভারতের সেনাঘাঁটি ধ্বংসের মিথ্যে দাবিও করা হয়েছিল। এমনকি সংঘর্ষবিরতির পর মিথ্যে যুদ্ধ জয়ের বিজয় উৎসবও করেছে। কিন্তু ভারতের হামলাতেই যে পাল্টা পাকিস্তানের সেনাঘাঁটি ধ্বংস হয়েছিল তা স্পষ্ট। এবার উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে ফের একবার প্রমাণ হল অপারেশন সিঁদুর-এর সময় কতটা ভয়ে কাঁটা হয়ে ছিল পাক নৌসেনা (Pakistan Navy)।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ১৫০-র বেশি পাকিস্তানি সেনা নিহত! পাক মিডিয়ার রিপোর্টে ইঙ্গিত, পরে মুছে ফেলা হয়

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ১৫০-র বেশি পাকিস্তানি সেনা নিহত! পাক মিডিয়ার রিপোর্টে ইঙ্গিত, পরে মুছে ফেলা হয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে ১৫০ জনেরও বেশি পাকিস্তানের সেনা নিহত হয়েছে। এই খবর উঠে এসেছিল পাকিস্তানেরই এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে। যদিও দ্রুত সেই খবর সরিয়ে ফেলা হয়। অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) কোনওভাবেই দুর্বল পাকিস্তানের ছবি সামনে আনতে চায় না ইসলামাবাদ। সব সময়ই যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের ক্ষয়-ক্ষতি গোপন করার চেষ্টা করছে শাহবাজ শরিফের সরকার। তা পাক যুদ্ধ বিমান ধ্বংসই হোক বা পাক সেনা ঘাঁটিতে হামলা।

    কী উঠে এল প্রতিবেদনে

    প্রকাশিত ও পরে মুছে ফেলা প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের (India Pakistan) প্রেসিডেন্ট “অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুস”-এ অংশগ্রহণকারী সেনাদের বীরত্বের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন সামরিক পদক প্রদান করেছেন। কিন্তু সেই তালিকাতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে—অনেক পদকপ্রাপ্ত সেনার নামের পাশে লেখা “শহিদ”, অর্থাৎ তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধুমাত্র ইমতিয়াজি সানাদ পেয়েছেন ১৪৬ জন শহিদ সেনা। এই সনদ সাধারণত কর্তব্যে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেওয়া হয়। তাছাড়া, তামগা-ই-বাসালাত পদক পেয়েছেন আরও ৪৫ জন, যাদের মধ্যে ৪ জনের পুরস্কার মরণোত্তর। উচ্চতর বীরত্বের জন্য দেওয়া সিতারা-ই-বাসালাতেও একজন শহিদের নাম ছিল। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়—তামগা-ই-জুরাত, যেটি ভারতের বীর চক্রের সমতুল্য, সেটি দেওয়া হয়েছে ৫ জনকে, যার মধ্যে ৪ জনই শহিদ।

    কূটনৈতিক মহলে আলোচনা

    এই তথ্য সামনে আসতেই কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। অনেকের মতে, এই ঘটনা ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেখানে পাকিস্তান তাদের মৃত সেনার সংখ্যা গোপন করেছিল। এমনকি অনেক শহিদের দেহ ফিরিয়েও নেওয়া হয়নি। যুদ্ধক্ষেত্রে “গোপনীয়তা নীতি” বজায় রেখেই এই প্রতিবেদন দ্রুত মুছে ফেলা হয়েছে, বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যদি প্রতিবেদনটি সত্য হয়, তবে বলা যায় যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উপর কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম বড় আঘাত হেনেছে ভারতীয় বাহিনী। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এখনো পর্যন্ত ভারত বা পাকিস্তান, কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি।

  • Operation Sindoor: “অপারেশন সিঁদুর ঐতিহাসিক”, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বললেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু

    Operation Sindoor: “অপারেশন সিঁদুর ঐতিহাসিক”, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বললেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu) ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের এক ‘ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত’ হিসেবে বর্ণনা করলেন। তিনি বলেন, এই অপারেশন (Operation Sindoor) প্রমাণ করেছে যে দেশের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনও পরিস্থিতিতে দেশের সুরক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত। রাষ্ট্রপতি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, গত এপ্রিল মাসে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে যে নৃশংস সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিরীহ ভারতীয় প্রাণ হারান, তা ছিল এক কাপুরুষোচিত আঘাত। সেই ঘটনার পর ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিল ‘দৃঢ় ও সঠিক’—এমনটাই মন্তব্য করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর কেবল একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি মানবতার পক্ষে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক স্পষ্ট ও দৃঢ় বার্তা। এই অভিযান ইতিহাসে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

    অপারেশন সিঁদুর আসলে আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

    রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, “পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর গোটা দেশ একসঙ্গে দাঁড়িয়ে যে ঐক্য দেখিয়েছে, তা ভারতের শক্তির প্রমাণ। যারা আমাদের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা করেছিল, তাদের এটাই ছিল উপযুক্ত উত্তর।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব এখন বুঝতে পেরেছে যে ভারত কখনও আগ্রাসী নয়, তবে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষায় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না।” রাষ্ট্রপতির মতে, “অপারেশন সিঁদুর আসলে আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক (Operation Sindoor)।” তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, “এই অভিযানের সাফল্য দেখিয়ে দিয়েছে, আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি।”

    পহেলগাঁওয়ে হামলা

    প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় ঘটে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ৭ মে ভারত চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’। অভিযানে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে চালানো হয় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা (Operation Sindoor)। ভারতীয় বায়ুসেনার নিখুঁত স্ট্রাইকে নিহত হয় একশোরও বেশি জঙ্গি। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান জম্মু-কাশ্মীরের নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালায় ড্রোন ও মিসাইল হামলা, কিন্তু ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তা সফলভাবে প্রতিহত করে। শুধু তাই নয়, ভারত পাল্টা আঘাত হানে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বিমান ঘাঁটিতে। এই অভিযানে ভারতের স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির কার্যকারিতা বিশ্বের সামনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ‘ব্রহ্মোস’-এর মতো অস্ত্র ব্যবহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা এই অভিযান (Operation Sindoor) সম্পন্ন করে।

  • Pak F-16: নীরব স্বীকারোক্তি? অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের এফ-১৬ ধ্বংস নিয়ে প্রশ্নে এড়ালো আমেরিকা

    Pak F-16: নীরব স্বীকারোক্তি? অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের এফ-১৬ ধ্বংস নিয়ে প্রশ্নে এড়ালো আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান তাদের একটি এফ-১৬ (Pak F-16) যুদ্ধবিমান হারিয়েছে কিনা এই প্রশ্নে সম্পূর্ণ নীরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলা ৮৮ ঘণ্টার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর তিন মাস কেটে গেলেও, এই প্রসঙ্গে মুখ খুলছে না ওয়াশিংটন। এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন বিদেশ দফতর সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয়, “এ বিষয়ে যা বলার পাকিস্তান সরকারই বলতে পারবে।”

    আমেরিকার কাছে তথ্য রয়েছে

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের এফ-১৬ (Pak F-16) ব্যবহার নিয়ে কঠোর চুক্তি রয়েছে। যার অধীনে মার্কিন “টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিম” সব সময় পাকিস্তানে থাকে। এই দল পাক এফ-১৬ (F-16) বিমানের অবস্থান, সংখ্যা এবং কার্যক্ষমতা সবসময় নজরদারিতে রাখে। এর ফলে আমেরিকার কাছে প্রতিটি বিমানের তথ্য থাকে। ২০১৯ সালে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর ভারতের এফ-১৬ (F-16) ভূপাতিত করার দাবিকে আমেরিকা সরাসরি অস্বীকার করেছিল। তবে এবার, অপারেশন সিঁদুরের তিন মাস পর, এ নিয়ে ভারতের দাবিকে সরাসরি খন্ডন করেনি আমেরিকা।

    কেন কিছু বলছে না আমেরিকা

    সম্প্রতি, ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এক বিবৃতিতে বলেন, “শাহবাজ জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটি ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। ওখানে একটি এফ-১৬ (Pak F-16) হ্যাঙ্গার ছিল, যার অর্ধেক ধ্বংস হয়েছে। আমি নিশ্চিত, সেখানে কিছু বিমান থাকতেই পারে।” ভারতের বায়ুসেনা (IAF) দাবি করছে, এই যুদ্ধে তারা ছয়টি পাকিস্তানি বিমান গুলি করে নামিয়েছে — যার মধ্যে পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি বড় ইলেকট্রনিক বিমান রয়েছে। পাকিস্তান অবশ্য এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেছে। তবে পেন্টাগন ও মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্রদের কাছে এই বিষয়ে প্রশ্ন পাঠানো হলেও কোনও জবাব মেলেনি। ফলে এখনও পর্যন্ত, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান আদৌ এফ-১৬ (F-16) হারিয়েছে কিনা — সেটি নিশ্চিত নয়। তবে, আমেরিকার কাছে সমস্ত তথ্য থাকার কথা, কিন্তু তারা এই নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছে না। এ থেকে কূটনৈতিক মহলের অনুমান, পরোক্ষে চুপ থেকে ভারতের দাবিকে মৌন সম্মতি জানাচ্ছে ওয়াশিংটন।

  • India-Pakistan: বন্ধ জল-গ্যাস-সংবাদপত্র! ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের হেনস্তা

    India-Pakistan: বন্ধ জল-গ্যাস-সংবাদপত্র! ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের হেনস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই ইসলামাবাদে চূড়ান্ত হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে ভারতীয় কূটনীতিকদের! এর ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের (India-Pakistan) কর্মীদের জল, রান্নার গ্যাসের পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁদের দৈনিক সংবাদপত্র দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। এর ফলে ভারতীয় কূটনীতিকরা তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। দূতাবাস কর্মীদের উপর এরকম অমানবিক আচরণের তীব্র নিন্দা করেছে ভারত।

    ভিয়েনা চুক্তি লঙ্ঘন

    সূত্রের খবর, পাকিস্তানে ভারতীয় হাইকমিশন এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের বাসভবনে সংবাদপত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর জবাবে ভারতও দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানি কূটনীতিকদের জন্য একই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে ভারতীয় কূটনীতিকদের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাঁদের বাসভবন ও অফিসে বিনা অনুমতিতে প্রবেশেরও অভিযোগ উঠেছে। প্রসঙ্গত, এই ধরনের কার্যকলাপ ‘ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স’(Vienna Convention on Diplomatic Relations)-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করে। উল্লেখ্য, এই ধরনের হয়রানির ঘটনা এর আগেও দেখা গেছে। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার প্রত্যুত্তরে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ একই ধরনের কৌশল গ্রহণ করেছিল।

    নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বন্ধ

    একটি সরকারি সূত্রে জানিয়েছে, পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের দূতাবাস কর্মীদের হেনস্তার পরিকল্পনা করেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। যাতে করে তাঁদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা এবং কাজ ব্যাহত হয়। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সুই নর্দার্ন গ্যাস পাইপলাইনস লিমিটেডের (এসএনজিপিএল) গ্যাস পাইপলাইন রয়েছে দূতাবাসে। ইচ্ছাকৃতভাবে সেই সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতারা, যাঁরা ইতিপূর্বে জ্বালানি সরবরাহ করতেন, তাঁদেরও পাক কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে—তাঁরা যেন ভারতীয় কর্মীদের কাছে গ্যাস বিক্রি না করেন। এই অবস্থায় খোলা বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার কিনছেন দূতবাস কর্মীরা। জানা গিয়েছে, একই ভাবে পানীয় জল সরবরাহকারী ভেন্ডারের মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁর যেন ভারতীয় দূতাবাসে পানীয় জল সরবরাহ না করেন। এর ফলে চরম বিপদে পড়েছেন দূতাবাস কর্মীরা। যেহেতু পৌরসভার জল ফিল্টার না করে খাওয়া বিপজ্জনক, তাই সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। একইভাবে সংবাদপত্র ব্যবসায়ীদেরও দূতাবাস কর্মীদের কাছে সংবাদপত্র বিলি করতে বারণ করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ভারতীয় দূতাবাস যাতে স্থানীয় সংবাদ সম্পর্কে অবগত না হতে পারে, সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে কৌশলে।

    অমানবিক আচরণ

    আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতে মিসাইল হামলার হুমকি দিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তার পরে ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। এ বার ভারতীয় হাই কমিশনের কূটনীতিকদের গ্যাস, পানীয় জল, সংবাদপত্রের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় এবং অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী দেওয়া বন্ধ করে দিল শেহবাজ শরিফের সরকার। দিও বিদেশ মন্ত্রক এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে, পাকিস্তানের এই আচরণ ক্রমশ ভঙ্গুর ভারত-পাক সম্পর্কের জন্য বিপজ্জনক।

  • Operation Sindoor: আর কত নিচে নামবে পাকিস্তান! ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই-কমিশনে সরবরাহ বন্ধ জল-গ্যাস এবং সংবাদপত্রের

    Operation Sindoor: আর কত নিচে নামবে পাকিস্তান! ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই-কমিশনে সরবরাহ বন্ধ জল-গ্যাস এবং সংবাদপত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে এঁটে উঠতে না পেরে এবার পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের ওপর ‘প্রতিশোধ’ (Operation Sindoor) নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। যার জেরে ফের একবার বিশ্বের দরবারে মুখ পুড়ল ইসলামাবাদের (Pakistan)। শুধু তাই নয়, এর ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছে। প্রবীণ সরকারি আধিকারিকদের মতে, এই পদক্ষেপ ইচ্ছাকৃত, পরিকল্পিত এবং ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া অপারেশন সিঁদুর। সেই অভিযানে কার্যত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল খায় পাক সেনাবাহিনী। পরে পাল্টা প্রতিশোধ নিতে শুরু করে তারা। যদিও ভারতের কাছে পরাস্ত হয়ে শেষমেশ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠায় ভারতের কাছে। তাতে সাড়া দেয় ভারত।

    বন্ধ গ্যস, জল এবং খবরের কাগজ

    পাকিস্তানে ভারতীয় হাই কমিশন প্রাঙ্গনে গ্যাস পাইপলাইন বসিয়েছে সুই নর্দার্ন গ্যাস পাইপলাইন্স লিমিটেড। এতদিন তারাই গ্যাস সরবরাহ করছিল ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের বাড়ি এবং তাঁদের অফিসে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই গ্যাস সরবরাহ। এর ফলে ভারতীয় কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারকে বাধ্য হয়ে খোলাবাজারে চড়া দরে সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে। নিতান্তই তা সম্ভব না হলে ব্যবস্থা করতে হচ্ছে বিকল্প জ্বালানির।

    কেবল জ্বালানি নয়, বন্ধ (Operation Sindoor) করে দেওয়া হয়েছে জল সরবরাহও। ইসলামাবাদের সব বিক্রেতাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন ভারতীয় হাই কমশনকে মিনারেল ওয়াটার সরবরাহ না করেন (Pakistan)। এই ফতোয়ার জেরে ঘোর বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা। পানীয় জলের পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সংবাদপত্র বিক্রিও। তথ্য প্রবাহ সীমিত করতেই ভারতীয় দূতাবাস ও তাদের কর্মীদের বাড়িতে কোনও প্রকাশনা সংস্থাই যেন খবরের কাগজ কিংবা ম্যাগাজিন বিক্রি না করে, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এই সব নির্দেশ ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্সের বিরোধী। এই ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স ভারতীয় দূতাবাসগুলির নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ কার্যকলাপ নিশ্চিত করে (Operation Sindoor)।

  • Asim Munir: “ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক”, অদ্ভূত তুলনায় হাসির খোরাক হলেন আসিম মুনির

    Asim Munir: “ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক”, অদ্ভূত তুলনায় হাসির খোরাক হলেন আসিম মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir) সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন এক তুলনা টেনেছেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রবল ট্রোল ও সমালোচনা। ঘটনার সূত্রপাত হয় পাক সেনাপ্রধানের এক বক্তব্য ঘিরে। আসিম মুনির বলেন, “আমি একটি রূঢ় উপমা দিয়ে বোঝাতে চাইছি। ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, যা হাইওয়েতে ছুটছে ফেরারির মতো। আর আমরা একটি ডাম্প ট্রাক, যা ভর্তি কাঁকর-নুড়িপাথর দিয়ে। এখন যদি এই ট্রাক গিয়ে মার্সিডিজকে ধাক্কা দেয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত কে হবে?” এই বক্তব্যে মুনির বোঝাতে চেয়েছিলেন, পাকিস্তান হয়তো মার্সিডিজের মতো ঝকঝকে নয়, কিন্তু একটি ডাম্প ট্রাকের মতো ভারি ও ধাক্কা দিতে সক্ষম। তবে তাঁর এই উপমা ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসে।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল

    এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হন মুনির। এক নেটিজেন বলেন, “এই তুলনায় আসলে পাকিস্তানকেই তিনি ‘ডাম্প ট্রাক’ বলে স্বীকার করেছেন, যা একধরনের আত্ম-অপমান।” একজন ব্যবহারকারী লেখেন, “মুনিরের বক্তব্যে একমাত্র সত্য হলো, ভারত একটি মার্সিডিজ, আর পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক। বাকিটা কল্পনা।” আরেকজন লিখেছেন, “অন্তত পাকিস্তান নিজেদের বাস্তবতা জানে… তারা ডাম্প ট্রাক ছাড়া অন্য কিছুই নয়। ব্যর্থ মার্শাল স্বীকার করলেন যে তারা কতটা করুণ অবস্থায় আছেন।” কেউ আবার এআই জেনারেটেড ছবি দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, মার্সিডিজ ও ডাম্প ট্রাকের সংঘর্ষে কী হতে পারে। একজন মজা করে লেখেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম এটা মজা। পরে বুঝলাম, না — এটা আসলেই বলেছে! পাকিস্তান সত্যিই আসিম মুনিরের মতো সেনাপ্রধানকে ডিজার্ভ করে।”

    মার্কিন মুলুকে মুনির

    একদিকে ভারতের উপরে ক্রমাগত চাপাচ্ছেন ট্যারিফ, অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা বাড়িয়েই চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এবার ফের মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। বিগত দুই মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন সফরে আসিম মুনির। আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে সরাসরি ভারতকে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে পাকিস্তান যদি অস্তিত্বের সংকটে পড়ে, তাহলে পাকিস্তান পুরো অঞ্চলকে পারমাণবিক সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দেবে।

  • Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সময় পাকিস্তানের অন্তত ৬টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল ভারত। শনিবার এমনই দাবি করলেন ভারতীয় এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। বায়ুসেনা প্রধান জানান, ভারত ‘সুদর্শন চক্র’ অর্থাৎ এস-৪০০ ব্যবহার করে ধ্বংস করেছিল ৫টি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। এছাড়াও, বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জ্যাকোবাবাদে থাকা এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গারেও নিখুঁত ভাবে আঘাত হানা হয়েছিল বলে দাবি করলেন এপি সিং। তিনি দাবি করেছেন, এই হামলাতেও হ্যাঙ্গারের মধ্যে থাকা বিমানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

    পাক হামলার মোক্ষম জবাব ভারতের

    অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর এই প্রথম প্রকাশ্যে কথা বললেন বায়ুসেনা প্রধান অমরপ্রীত সিং। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিহ্নিত কিছু জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। ওই সময় পাকিস্তানের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়নি। কিন্তু ভারতের অভিযানের পরে পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের উপর হামলা শুরু করে। জবাব দেয় ভারতও। ওই সংঘর্ষের আবহে অন্তত ছ’টি পাকিস্তানি বিমান ধ্বংস করেছে বায়ুসেনা। শনিবার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় এমনটাই জানালেন বায়ুসেনা প্রধান।

    সুদর্শন চক্রের সাফল্য

    শনিবার বেঙ্গালুরুতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে মন্তব্যের সময় বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান আমরা নিশ্চিত ভাবে ধ্বংস করেছি। এ ছাড়া একটি বড় (সামরিক) বিমান রয়েছে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে হামলা করা হয়েছিল।” অমরপ্রীত জানান, এখনও পর্যন্ত ভূমি থেকে আকাশে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় রেকর্ড। বায়ুসেনা প্রধান জানান, এই ছ’টি পাকিস্তানি বিমানকেই ধ্বংস করা হয়েছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ ব্যবহার করে। ভারত এর নাম দিয়েছে সুদর্শন চক্র। পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। এর পরেই অপারেশন সিঁদুর শুরু করে সেনাবাহিনী। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। তার জবাব দেয় ভারতও। এই সংঘর্ষের সময়েই যুদ্ধবিমানগুলি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা।

    এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস!

    এদিন বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল লক্ষ্মণ মাধব কাত্রের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং বলেন, “জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটিতে এফ-১৬ বিমানের হ্যাঙ্গার আছে। হ্যাঙ্গারের অর্ধেকটাই উড়ে গিয়েছে। আমি নিশ্চিত, ভিতরে কিছু বিমান ছিল, সেগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।” বস্তুত, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আমেরিকা তৈরি করে। আমেরিকার থেকেই এই যুদ্ধবিমান কেনে পাকিস্তান। ১৯৯৪ সালে বিল ক্লিন্টন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি হয় এফ-১৬ সংক্রান্ত। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বিষয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধানের এই মন্তব্যও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    রাশিয়ার তৈরি অস্ত্রের সাফল্য

    একইসঙ্গে শনিবার বেঙ্গালুরুতে ওই অনুষ্ঠানে এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং বলেছেন, “আমাদের এয়ার ডিফেন্স দুরন্ত কাজ করেছে। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ সিস্টেম, যেটা আমরা সম্প্রতি মোতায়েন করেছিলাম সেটা খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ওই সিস্টেমের শক্তি ওদের বিমানগুলিকে সত্যিই দূরে রেখেছিল। যেমন ওদের কাছে থাকা দূরপাল্লার গ্লাইড বোমাগুলির মতো অস্ত্রকে ওরা ব্যবহারই করতে পারেনি। কারণ এই সিস্টেমটাকে ওরা ভেদই করতে পারেনি।” বর্তমানে উদ্ভূত কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়ার তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য বর্ণনাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া থেকে ভারত জ্বালানি এবং অস্ত্র কেনায় অসন্তুষ্ট আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে তা একাধিক বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখার জন্য নয়াদিল্লির উপর বাড়তি শুল্কও চাপিয়েছেন ট্রাম্প। ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে শনিবার রাশিয়ার তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য তুলে ধরলেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান।

    যুদ্ধবিরতি ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না

    ভারত হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের বায়ুসেনার শক্তির সমূলে আঘাত হানে বলেও জানিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল। বায়ুসেনা প্রধানের মতে, এর পরে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানানো ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না। জঙ্গি ঘাঁটিগুলোর ‘বিফোর অ্যান্ড আফটার’ স্যাটেলাইট ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। বাহাওয়ালপুরে চুরমার হয়ে যাওয়া জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, পাশের কোন বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি। সব অক্ষত রয়েছে। আমাদের কাছে শুধু স্যাটেলাইট ছবি নয়, স্থানীয় মিডিয়ার কাছ থেকে পাওয়া ছবিও আছে।’ লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর মুরিদকের ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। তাঁর কথায়, ‘এগুলো ওদের অফিস। এখানেই বৈঠক করত।’ তাঁর দাবি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

  • Pahalgam Attack: পকেটে পাক ভোটার কার্ড, চকোলেট! কীভাবে পহেলগাঁওয়ে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা, জানাল কেন্দ্র

    Pahalgam Attack: পকেটে পাক ভোটার কার্ড, চকোলেট! কীভাবে পহেলগাঁওয়ে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের দাচিগামে ‘অপারেশন মহাদেব’-এর (Operation Mahadev) সময়ে নিহত তিন জঙ্গিই পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। অভিযানের পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ এবং সেনা যে তথ্য পেয়েছে, তা থেকে প্রমাণিত যে ওই তিন জন পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের কাছ থেকে পাকিস্তানের ভোটার পরিচয়পত্র, করাচিতে তৈরি চকোলেট এবং একটি মেমারি কার্ড মিলেছে, যাতে তাদের আঙুলের বায়োমেট্রিক ছাপ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে আগেই জানিয়েছিলেন, ‘অপারেশন মহাদেবে’ নিকেশ হওয়া তিন জঙ্গির থেকে পাকিস্তানি ভোটার কার্ড মিলেছে। এবার গোয়েন্দা সংস্থাগুলির প্রকাশ করা রিপোর্টেও উঠে এল সেই তথ্য। শুধু তাই নয়, কবে কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকল তিন জঙ্গি, সেই নিয়েও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

    তিন জঙ্গির কবে -কীভাবে ভারতে প্রবেশ

    ‘অপারেশন মহাদেব’-এ (Operation Mahadev)  নিহত হয় তিন জঙ্গি। তারা হল সুলেমান শাহ ওরফে ফয়জল জাট, আবু হামজা ওরফে আফগান এবং ইয়াসির ওরফে জিবরান। সুলেমান লস্করের এক জন এ প্লাস প্লাস কমান্ডার ছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সুলেমানই পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রী। হামলার অন্যতম প্রধান বন্দুকবাজও ছিল। হামজা এবং ইয়াসির এ-গ্রেড লস্কর কমান্ডার ছিল। পহেলগাঁওয়ের হামলায় হামজা দ্বিতীয় এবং ইয়াসির তৃতীয় বন্দুকবাজ ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের মে মাসে গুরেজ সেক্টর থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল এই তিন জঙ্গি। হামলার আগের দিন বৈসরন থেকে ২ কিমি দূরত্বে একটি কুঠুরিতে আশ্রয় নেয় তারা। হামলার দিন সকালে ট্রেকিং করে বৈসরনে যায় তিনজন। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া শেল কেসিং মিলে গিয়েছে ‘অপারেশন মহাদেবে’র পর উদ্ধার হওয়া একে-১০৩ রাইফেলের সঙ্গে। জঙ্গিদের স্যাটেলাইট ফোন থেকে মিলেছে একটি মাইক্রো এসডি কার্ড-ও। জঙ্গিদের পকেটে ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরবাদে তৈরি চকলেটের মোড়কও।

    তিন জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা

    এএনআইয়ের তরফে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ভুল জঙ্গিদের স্কেচ প্রকাশ করেছিল কাশ্মীর পুলিশ। তবে শেষ পর্যন্ত ২৮ জুলাই পহেলগাঁও হামলার জঙ্গিদের নিকেশ করা হয় ‘অপারেশন মহাদেবে’র (Operation Mahadev) মাধ্যমে। তাদের থেকে পাকিস্তানি ভোটার কার্ড, চকলেট এবং বায়োমেট্রিক ডেটাবোঝাই মাইক্রো এসডি চিপ মিলেছে। সুলেমান এবং আফগানের পকেট থেকে পাওয়া ল্যামিনেট করা ভোটার কার্ডে লেখা রয়েছে, তারা যথাক্রমে লাহোর এবং গুজরানওয়ালার বাসিন্দা। জঙ্গিদের স্যাটেলাইট ফোন থেকে একটি মেমরি কার্ড মিলেছে। ফোনটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ওই মেমরি কার্ডে রয়েছে এনএডিআরএ-র (ন্যাশনাল ডেটাবেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটি) তথ্য। তা থেকে তিন জঙ্গির বায়োমেট্রিক তথ্যও মিলেছে। কী রয়েছে সেখানে? জঙ্গিদের আঙুলের ছাপ, মুখের অবয়ব, পরিবারের বিষয়ে তথ্য, যা থেকে স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে যে, তিন জনেই পাকিস্তানের বাসিন্দা। দু’টি ঠিকানাও মিলেছে সেই মেমারি কার্ড থেকে। একটি ঠিকানা কাসুর জেলার চাঙ্গা মাঙ্গার, দ্বিতীয়টি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটের কোইয়ান গ্রামের। এছাড়াও এসডি চিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও তিন জঙ্গির পাক নাগরিকত্ব প্রমাণ হয়েছে। তারা সকলেই লস্কর-এর সদস্য, তার প্রমাণও মিলেছে। এতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পিছনে পাকিস্তানেরই হাত ছিল। তিনজনের কেউই স্থানীয় কাশ্মিরি জঙ্গি নয়।

LinkedIn
Share