Tag: Operation Sindoor

  • Operation Sindoor: মধ্যরাতে পাক ভূখণ্ডে এয়ার স্ট্রাইক ভারতের, কোথায় কোথায় হামলা? কত জঙ্গি খতম?

    Operation Sindoor: মধ্যরাতে পাক ভূখণ্ডে এয়ার স্ট্রাইক ভারতের, কোথায় কোথায় হামলা? কত জঙ্গি খতম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার বদলা নিল ভারত (India)। মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় বাহিনী (Operation Sindoor)। ভারতের এই প্রত্যাঘাত অভিযানের নাম দেওয়া হয় অপারেশন সিঁদুর। সেনার তরফ থেকে এয়ার টু সারফেস মিসাইল ব্যবহার করে এই সফল হামলা চালানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ভারতের এই ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এ শতাধিক জঙ্গি খতম হয়েছে। তবে, অসমর্থিত সূত্রের খবর, সংখ্যাটা হতে পারে আরও কয়েক গুণ বেশি।

    কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল (Operation Sindoor)?

    ● বাহওয়ালপুরের মারকাজে জৈশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে

    ● মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● তাহরা কালানের সারজালে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    ● শিয়ালকোটের মেহমুনা জোয়ায়ায় হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটিতে

    ● মারকাজে আহলে হাদিসে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● কোটলিতে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    ● কোটলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটিতে

    ● মুজাফ্ফরাবাদের শাওয়াই নাল্লা ক্যাম্পে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● মুজাফ্ফরাবাদের সৈয়দনা বিলাল ক্যাম্পে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    কতজন সন্ত্রাসী খতম (Operation Sindoor)?

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানে ১০০-র বেশি জঙ্গি নিধন হয়েছে। তবে, এটাই শেষ নয়। কারণ, ভারতীয় সেনা গোয়েন্দাদের সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ওই সব জঙ্গি ঘাঁটিতে ৯০০-র কাছাকাছি জঙ্গি ছিল। বাহওয়ালপুরে ২৫০ জনেরও বেশি জঙ্গি ছিল। মুরিদকে ছিল ১২০ জনেরও বেশি জঙ্গি। মুজাফ্ফরাবাদে ১১০-১৩০ জনেরও বেশি জঙ্গি ছিল। কোটলিতে ৭৫-৮০ জন জঙ্গি ছিল। গুলপুরে ৭৫-৮০ জন জঙ্গি ছিল। ভিম্বারে ৬০ জন জঙ্গি ছিল। চক আমরুতে ৭০-৮০ জন জঙ্গি ছিল। শিয়ালকোটে ১০০ জন জঙ্গি ছিল। এই ঘাঁটিগুলিকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ফলে, ধ্বংসস্তূপ সরলে সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে। পাকিস্তান দাবি করেছে ৮ জন মারা গিয়েছে। এদিকে, সূত্রের খবর, বাহওয়ালপুরে নিহতদের মধ্যে জৈশ প্রধান আজহার মাহমুদের পরিবারেরই ১৪ সদস্য রয়েছে।  ফলে, পাক কোনও সারবত্তা নেই, তা প্রমাণিত।

    ‘‘ঘুসকে মারেঙ্গে’’! পাকিস্তানের ১০০ কিমি ভিতরে ঢুকে চলল হামলা (Operation Sindoor)

    ‘‘ঘুসকে মারেঙ্গে’’! অর্থাৎ ‘‘ঢুকে মারব’’। পহেলগাঁও হামলার পর বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কথা রেখেছেন তিনি। শুধু পাক-অধিকৃ ত কাশ্মীরই নয়, একেবারে পাকিস্তানের (Operation Sindoor) ভূখণ্ডেও এয়ারস্ট্রাইক চালাল ভারত। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাত ১ টা ৪০ মিনিট থেকে ২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। ৯ জায়গায় প্রত্যাঘাত। ১৯৭১ সালের পরে পাকিস্তানের এত বেশি অভ্যন্তরে গিয়ে অভিযান চালাল ভারত।

    ১. বাহাওয়ালপুর – ১০০ কিমি ভেতরে
    ২. মুরিদকে – ৩০ কিমি ভেতরে
    ৩. গুলপুর – ৩৫ কিমি ভেতরে
    ৪. সাওয়াই ক্যাম্প – ৩০ কিমি ভেতরে
    ৫. বিলাল ক্যাম্প – দূরত্ব নির্দিষ্ট করা হয়নি
    ৬. কোটলি ক্যাম্প – ১৫ কিমি ভেতরে
    ৭. বার্নালা ক্যাম্প – ১০ কিমি ভেতরে
    ৮. সরজাল ক্যাম্প – ৮ কিমি ভেতরে
    ৯. মেহমুনা ক্যাম্প – ১৫ কিমি ভেতরে

  • Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারতীয় সেনা! কেন এই অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’? কার দেওয়া জানেন?

    Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারতীয় সেনা! কেন এই অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’? কার দেওয়া জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ৬ দিন আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। হাতে মেহেন্দি, মাথায় সিঁদুর নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বৈসরণে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন হিমাংশী নরওয়াল। হঠাতই চোখের সামনে স্বামীকে গুলি করে মারে জঙ্গিরা। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের উপর হামলা চালানো হয়। নাম, পরিচয় জানার পরই গুলি চালানো হয়। ওই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান নৌসেনার অফিসার লেফটেন্যান্ট বিনয় নরওয়াল। হাতের মেহন্দি ওঠার আগেই সিঁথির সিঁদুর মুছে যায় হিমাংশীর। কয়েকদিন পর স্বামীকে শ্রদ্ধার্ঘ জানানোর সময় তাঁর সিঁথি ফাঁকা ছিল। সেই সিঁদুরেরই মূল্য চোকাতে হল পাকিস্তানকে। নির্ভুল প্রত্যাঘাত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বদলা নিল ভারতীয় সেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হেনে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ১০০ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতীয় সেনার এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর রাখার জন্য বলেন। সেইমতো ভারতীয় সেনার এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)।

    সিঁদুর বিবাহিত হিন্দু নারীর সম্মানের প্রতীক

    ‘সিঁদুর’ শব্দটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে গভীর তাৎপর্য বহন করে। হিন্দু ঐতিহ্যে সিঁদুর বিবাহিত নারীর সৌভাগ্য ও সম্মানের প্রতীক। এটি রক্তের সঙ্গেও যুক্ত, যা সাহস, ত্যাগ এবং প্রতিশ্রুতির প্রতিনিধিত্ব করে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামকরণের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষার প্রতি তাদের অটল প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নামটি পহেলগাঁও হামলায় নিহত নাগরিকদের রক্তের প্রতিশোধ এবং জাতির সম্মান রক্ষার প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় মহিলাদের সিঁদুর মুছে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই নামকরণ করা হয়েছে ৷ ‘সিঁদুর’ নামটি শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থানই নয়, বরং জাতীয় গর্ব ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবেও কাজ করছে।

    সিঁদুর বীরত্বের প্রতীক

    হিন্দু মহিলাদের কাছে সিঁদুরের গুরুত্ব অপরিসীম। আবার সিঁদুরের তিলক বীরত্বেরও প্রতীক। ভারতের যোদ্ধারা শত্রুকে নিধনে যাওয়ার সময় এই সিঁদুরের তিলক পরেন। মারাঠা ও রাজপুত যোদ্ধারা কপালে সিঁদুরের তিলক নিয়েই যুদ্ধে যেতেন। বিজয়ী হয়ে ফিরলেও তাঁদের এই তিলকে বরণ করা হতো। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতীয় সেনার এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) রাখার জন্য বলেন। সেইমতো এই অভিযানের নাম রাখা হয় অপারেশন সিঁদুর। এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর রাখা নিয়ে নিহতদের পরিজনরা বলছেন, ভারতীয় সেনা মহিলাদের সম্মান জানাল। জঙ্গি হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ায়ও খুশি তাঁরা এছাড়া, ‘সিঁদুর’ শব্দটি সিন্ধু নদীর সঙ্গেও সাংস্কৃতিকভাবে সম্পৃক্ত। সিন্ধু নদী ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

LinkedIn
Share