Tag: Operation Sindoor

  • India Shreds Pakistan: ‘জঙ্গি আর সাধারণ মানুষের তফাৎ বোঝে না পাকিস্তান’, রাষ্ট্রপুঞ্জে ফের সরব ভারত

    India Shreds Pakistan: ‘জঙ্গি আর সাধারণ মানুষের তফাৎ বোঝে না পাকিস্তান’, রাষ্ট্রপুঞ্জে ফের সরব ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে দেশ জঙ্গি এবং সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না, তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার নেই। রাষ্ট্রপুঞ্জে ফের শুক্রবার পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল ভারত (India Shreds Pakistan)। এদিন রাষ্ট্রপুঞ্জে (India at UN) অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনায় পাকিস্তানের অংশগ্রহণকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ‘‘একটি অপমানজনক আচরণ’’ বলে আখ্যা দিল নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বথানেনী হরিশ পুরি বলেন, “যে দেশ সন্ত্রাসী ও অসামরিক নাগরিকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না, তাদের এই বিষয়ে কথা বলা ন্যায়সম্মত নয়। বিশ্বকে বুঝতে হবে পাকিস্তানের প্রকৃত সত্য।”

    পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলার শিকার ভারত

    অপারেশন সিঁদুরেই ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের (India Shreds Pakistan) ভূখণ্ডে কীভাবে জঙ্গিদের লালন-পালন চলে। এদিন ফের একবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের আসল চেহারা তুলে ধরল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বথানেনী হরিশ বলেন যে, ‘‘পাকিস্তানি প্রতিনিধির বিভিন্ন বিষয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাব আমি দেব।’’ এর আগে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত অসীম ইফতিখার আহমেদ তাঁর বক্তব্যে কাশ্মীর সমস্যা তুলে ধরেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের কথাও বলেন তিনি। এরপরই প্রতিক্রিয়ায় ভারতের প্রতিনিধি হরিশ বলেন, “ভারত কয়েক দশক ধরে সীমান্তে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছে। ৬৫ বছর আগে সৎ বিশ্বাসে সিন্ধু জল চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল ভারত। ভারতের উপর তিনটি যুদ্ধ এবং হাজার হাজার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তার চেতনা লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। গত কয়েক দশকে ২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে সবচেয়ে সাম্প্রতিকতমটি হল পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসী হামলা। ভারত সর্বত্র অসাধারণ ধৈর্য এবং উদারতা দেখিয়েছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদ অসামরিক নাগরিকদের জীবন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে পণবন্দি করতে চায়।”

    কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীরা সকলে পাকিস্তানে

    পাকিস্তানের (India Shreds Pakistan) মাটিতে জঙ্গিদের কার্যকলাপ সে দেশের সরকারের অজানা নয়। হরিশ বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীরা সকলে পাকিস্তানেই রয়েছে। দিনের আলোয় তারা বড় শহরগুলিতে সক্রিয়। তাদের ঠিকানা সকলেই জানেন। তাদের কাজকর্মও সকলেই জানেন। ওদের সঙ্গে কাদের যোগ রয়েছে, তা-ও সকলের জানা। তাই পাকিস্তান জড়িত নয়, এটা মনে করার কোনও কারণ নেই। এই রাষ্ট্রও জড়িত। তাদের সেনাও জড়িত।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারত এও উল্লেখ করেছে যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী চলতি মাসের শুরুতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে গোলাবর্ষণ করেছে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। এর ফলে ২০ জনেরও বেশি সাধারণ নাগরিক নিহত এবং ৮০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এমনকী ধর্মীয় স্থান এবং চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিকে নিশানা করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে ভারত।

    পাকিস্তানের সন্ত্রাসের শিকার সাধারণ মানুষ

    ২৬/১১-এর ভয়াবহ হামলার কথাও এদিন বলা হয় ভারতের তরফে। হরিশ বলেন,“ কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানের মদতে বেড়ে ওঠা জঙ্গিরা ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালিয়ে আসছে । এর মধ্যে মুম্বই শহরে ২৬/১১-এর ভয়াবহ হামলা থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের এপ্রিলে পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের বর্বর গণহত্যাও রয়েছে। সব ঘটনার পিছনে পাকযোগের প্রমাণ বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। মূলত পাকিস্তানের সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে নিরীহ সাধারণ মানুষ। কারণ ওদের লক্ষ্য হল আমাদের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং মনোবলের উপর আক্রমণ করা। এমন একটি দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক।” সংঘাতের মাঝে সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে শেলিং থেকে অসামরিক যাত্রিবাহী বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের সমস্ত কীর্তি নিরাপত্তা পরিষদের সামনে এদিন তুলে ধরে ভারত। একইসঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধি পার্বথানেনি হরিশ জানান, কী ভাবে বার বার সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করেছে ইসলামাবাদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সম্প্রতি পাক উর্ধ্বতন সরকার, পুলিশ এবং সামরিক কর্মকর্তাদের বিখ্যাত জঙ্গিদের শেষকৃত্যে শ্রদ্ধা জানাতে দেখেছি।”

    বিশ্ববাসীর কাছে আর্জি

    একদিকে গোটা বিশ্বে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল অপারেশন সিঁদুর-এর প্রয়োজনীতা, তার সাফল্য ব্যাখ্যার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের শয়তানি তুলে ধরছেন তো অপর দিকে রাষ্ট্রপুঞ্জে (India at UN) ইসলামাবাদকে তুলোধনা করছে ভারত। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসে একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে পাকিস্তানের জঙ্গি-যোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। পাকিস্তানের শহরে দিনের আলোয় সন্ত্রাসবাদীরা ঘুরে বেড়ায়। সে দেশে সন্ত্রাসবাদীদের ঠিকানা সকলে জানেন। পাকিস্তান সরকারের অজান্তে এটা কি সম্ভব, প্রশ্ন তোলেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানান, পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গিদের কার্যকলাপ সে দেশের সরকারের অজানা নয়। ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র। আমি এই নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছি না, বিবৃতি দিচ্ছি।’’ আর পাকিস্তানের প্রশাসনও যে এই বিষয়ে অবহিত, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ধরা যাক, আমস্টারডামের মতো শহরের মধ্যভাগে সেনাকেন্দ্র রয়েছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ সেনার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আপনার সরকার কিছুই জানে না, এটা কি বলতে পারেন? অবশ্যই নয়।’’ জয়শঙ্করের হুঁশিয়ারি, পাকিস্তান এই সন্ত্রাস হামলা বন্ধ না করলে ‘ফল ভুগতে হবে’। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়েই পাকিস্তানকে বার্তা দেন হরিশ। পাকিস্তানকে দু-মুখো সাপের সঙ্গে তুলনা করে একইসঙ্গে বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসবাদকে সমূলে বিনষ্ট করারও আর্জি জানান তিনি।

  • Spy Satellites: মহাকাশে ভারতের ৫২টি গোয়েন্দা উপগ্রহ! ২২,৫০০ কোটি টাকার বাজেট, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    Spy Satellites: মহাকাশে ভারতের ৫২টি গোয়েন্দা উপগ্রহ! ২২,৫০০ কোটি টাকার বাজেট, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সুরক্ষায় আসছে আরও গতি। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর কেন্দ্রের মোদি সরকার দেশের গোয়েন্দা সক্ষমতা জোরদার করতে একটি বৃহৎ স্যাটেলাইট প্রকল্প (Spy Satellites) শুরু করেছে। ‘স্পেস বেসড সার্ভেইল্যান্স (SBS-3)’ নামের এই প্রকল্পটির জন্য ২২,৫০০ কোটি টাকা (প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার) বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS) প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই কৃত্রিম উপগ্রহপুঞ্জের (Satellite Constellation) মাধ্যমে নজরদারির ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে ভারত।

    কেন এই পদক্ষেপ

    এই প্রকল্পে সরকারকে পথ দেখাতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। এমন ৫২টি স্যাটেলাইট (Spy Satellites)  লঞ্চ করতে চলেছে ইসরো, যারা মেঘ ভেদ করেও স্পষ্ট দেখতে পারবে। রাতের আকাশও বাধা হবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সীমান্ত কড়া নজরে রাখতেই এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এখন অন্তত ১০টি স্যাটেলাইট সারাক্ষণ দেশের সুরক্ষার জন্য কাজ করে চলেছে।

    নয়া প্রকল্পের হালচাল

    ‘স্পেস বেসড সার্ভেইল্যান্স (SBS-3)’ প্রকল্পের আওতায় ৫২টি গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের একটি কনস্টিলেশন (Satellite Constellation) বা নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। এর মধ্যে ৩১টি তৈরি করবে তিনটি বেসরকারি সংস্থা — অনন্ত টেকনোলজিস, সেন্টাম ইলেক্ট্রনিক্স, এবং আলফা ডিজাইন টেকনোলজিস, বাকি ২১টি তৈরি করবে ইসরো (ISRO)। আগে এই প্রকল্প শেষ করতে চার বছর সময় নির্ধারিত ছিল, কিন্তু এখন সেই সময়সীমা কমিয়ে ১২ থেকে ১৮ মাস করা হয়েছে। ইলন মাস্কের স্পেসএক্স (SpaceX) এই প্রকল্পে আন্তর্জাতিক সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়েছে। স্যাটেলাইটগুলো (Spy Satellites) ধাপে ধাপে তৈরি ও উৎক্ষেপণ করা হবে। অনন্ত টেকনোলজিসের মতো কোম্পানিগুলো নিজস্বভাবে কিছু স্যাটেলাইটের ডিজাইন ও নির্মাণ করবে, যার জন্য তারা আগেই প্রযুক্তিবিদদের আকৃষ্ট করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ইসরোর সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার ব্যবহৃত হবে। উৎক্ষেপণের জন্য দুটি বিকল্প রয়েছে — ইসরোর ভারী রকেট এলভিএম৩ অথবা স্পেসএক্সের রকেট। প্রতিটি উৎক্ষেপণের আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদন আবশ্যক।

    কী কাজে ব্যবহৃত হবে স্যাটেলাইটগুলি

    স্যাটেলাইটগুলি মূলত ভারতের সীমান্ত নজরদারিতে (Spy Satellites) ব্যবহার হবে, বিশেষ করে পাকিস্তানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য। পাশাপাশি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ — যেমন বন্যা ও ভূমিকম্পের সময় — জরুরি সহায়তা প্রদানেও এই স্যাটেলাইটগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, এই প্রকল্প ভারতের জন্য এক বিশাল অগ্রগতি। এটি শুধুমাত্র সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করবে না, বরং দেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়নেও সহায়তা করবে। একইসঙ্গে ভারতের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলোর জন্য এটি এক সুবর্ণ সুযোগ। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক মানের প্রকল্পে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারতীয় মহাকাশ খাত আরও এগিয়ে যাবে।

    সীমান্ত সতর্কতায় ছদ্ম উপগ্রহ

    এখন পাক সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালাতে ব্যবহৃত হয় রিস্যাট টু বি। অনুপ্রবেশকারীদের ওপর সদা সজাগ দৃষ্টি রাখে এই উপগ্রহ। দীর্ঘ দিন ধরেই জাতীয় নিরাপত্তা এবং নজরদারি বৃদ্ধির জন্য ছদ্ম-উপগ্রহ তৈরিরও চেষ্টা চালাচ্ছেন এ দেশের প্রতিরক্ষা গবেষকেরা। অবশেষে সাফল্যও পেয়েছেন তাঁরা। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক এয়ারশিপের প্রথম সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ‘ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ বা ডিআরডিও। বিশ্বের গুটিকতক দেশের হাতে রয়েছে এই প্রযুক্তি। সেই তালিকায় এ বার নাম উঠল ভারতের। অত্যাধুনিক এই এয়ারশিপ শত্রুর উপর নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ‘গেম চেঞ্জার’ হতে যাচ্ছে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

    অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পিছনে ইসরোর উপগ্রহ

    ইসরোর চেয়ারম‌্যান ড. ভি নারায়ণান সম্প্রতি বলেন, “পাকিস্তান-সহ দেশের ১১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত ইসরো মনিটর করছে অনবরত (Spy Satellites) । দেশের সবাই নিরাপদ।” ত্রিস্তরীয় সেনা দেশের নিরাপত্তার মূল পাহারাদার হলে তার সহচর হয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে যারা চূড়ান্ত সাফল‌্য এনে দিয়েছে তারা ইসরো। কারণ জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে সাফল্যের সঙ্গে মিসাইল হানা সম্ভব হওয়ার অন‌্যতম নেপথ‌্য কারিগর ছিল দেশের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। কারণ জঙ্গিদের সঠিক অবস্থান জেনে দিয়েছিল বিগত দু-তিন বছরে মহাকাশে পাঠানো তাদেরই অন্তত ১০০টি উপগ্রহ (Satellite Constellation), যার মধ্যে ৫৬টি এই মুহূর্তে ঠিক উপর থেকে দেশের কোণায় কোণায় দৃষ্টি রেখে চলেছে।

  • Modi 3.0: জুন মাসে তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি, দেশজুড়ে পদযাত্রা করবে বিজেপি

    Modi 3.0: জুন মাসে তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি, দেশজুড়ে পদযাত্রা করবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় মোদি সরকারের (Modi 3.0) এক বছর পূর্তি হতে চলেছে আগামী মাসেই। ২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য মোদি সরকার ক্ষমতায় আসে। ২০১৯ সালে আবারও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জেতে বিজেপি। ২০২৪ সালের ৪ জুন ফলাফল প্রকাশিত হয়। তৃতীয়বারের জন্য ফের ক্ষমতায় আসে মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার সামনে উড়ে যায় বিরোধী দলগুলি। ২০২৪ সালের ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোদি। তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বছরে অনেক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে কর্মসূচি চূড়ান্ত করার জন্য বিজেপি দলীয় কর্মী এবং মন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করেছে। নরেন্দ্র মোদির জমানায় দেশে কী কী উন্নয়ন হয়েছে, ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশ, এই বার্তা পৌঁছে দেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। তাঁদের নিজেদের সংসদীয় এলাকায় প্রতি সপ্তাহে দুইদিন করে তাঁরা অন্তত কুড়ি কিলোমিটার পদযাত্রা করবেন।

    মোদি সরকারের (Modi 3.0) সাফল্যগাথা তুলে ধরবে বিজেপি

    এই পদযাত্রায় বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মীরাও যোগ দেবেন বলে জানানো হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে। ২০২৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১১ বছর পূর্ণ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi 3.0)। এই সময়ে দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য তাঁর করা একাধিক প্রকল্প তুলে ধরবেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। সাম্প্রতিক অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য সম্পর্কেও জনগণকে বোঝাবেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। কীভাবে মোদির নেতৃত্বে ভারত শক্তিশালী হয়েছে এবং পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেওয়া গিয়েছে, সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

    ৯ জুন ‘জ্ঞান ভারত মিশন’ চালু করবেন প্রধানমন্ত্রী

    একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি আগামী ৯ জুন ‘জ্ঞান ভারত মিশন’ চালু করবেন। এর ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা এক কোটিরও বেশি পান্ডুলিপির সংরক্ষণ করা হবে ডিজিটাল মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৫৪৩টির মধ্যে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বে এনডিএ জোট যেতে ২৯৩টি আসনে। অন্যদিকে বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লক জেতে ২৩৪টি আসনে। বিজেপি (BJP) একাই পায় ২৪০টি আসন। কংগ্রেস পায় ৯৯টি আসন। ২০২৪ সালের ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi 3.0) তৃতীয়বারের জন্য শপথ গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।

  • Agniveer: জীবনের প্রথম অগ্নিপরীক্ষায় সফল ৩ হাজার অগ্নিবীর, পাকিস্তানকে পরাস্ত করতে তাঁদের অবদান কতখানি, জানেন?

    Agniveer: জীবনের প্রথম অগ্নিপরীক্ষায় সফল ৩ হাজার অগ্নিবীর, পাকিস্তানকে পরাস্ত করতে তাঁদের অবদান কতখানি, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) চালায় ভারত। ভারতীয় সেনা এই অপারেশনে পাকিস্তানকে কাবু করে ফেলে। এই অপারেশনে সেনাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন অন্তত ৩ হাজার অগ্নিবীরও (Agniveer)। এঁদের প্রায় সকলের বয়সই কুড়ির কোঠায়। গত দু’বছরের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাঁরা।

    অগ্নিবীরদের ভূমিকা (Agniveer)

    ৭ থেকে ১০ মে-র মধ্যে একাধিক ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি, বিমান ঘাঁটি এবং শহরগুলিতে পাকিস্তান একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালালেও অগ্নিবীরদের হাঁটু কাঁপেনি। চার দিনের সামরিক সংঘর্ষের সময়ে বিভিন্ন ভূমিকায় সম্মানের সঙ্গে নিজেদের প্রমাণ করেছেন তাঁরা। এ বার অন্তত অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে বিতর্কের অবসান হওয়া উচিত বলে মনে করছেন সেনাকর্তারা। জানা গিয়েছে, এয়ার ডিফেন্স ইউনিটে চারটি প্রধান পেশায় বিশেষজ্ঞ অগ্নিবীরদের মোতায়েন করা হয়েছিল – গোলন্দাজ, ফায়ার কন্ট্রোল অপারেটর, রেডিও অপারেটর এবং কামান ও ক্ষেপণাস্ত্র-সহ ভারী সামরিক যানবাহনের চালক। সেনা সূত্রে খবর, প্রতিটি ভূমিকায়ই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন অগ্নিবীররা।

    অগ্নিবীরদের অবদান

    সেনা সূত্রে খবর, পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছিল যে এয়ার ডিফেন্স ইউনিটগুলি তার প্রতিটিতে ১৫০-২০০ জন করে অগ্নিবীর ছিলেন। দেশীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আকাশতীর পরিচালনার ভার ছিল তাদের হাতে। সংঘর্ষের সময় ভারতের বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই আকাশতীর। সেনা সূত্রে খবর, অগ্নিবীররা যথারীতি নিয়মিত সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে রেখে চালানো যায় এমন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে শত্রুপক্ষের টার্গেট ধ্বংস করেছে। এল-৭০ এস, জেডইউ ২৩-২বি’র মতো কামান, পেচোরা, শিলকা, ওসাক, স্ট্রেলা এবং তুঙ্গুস্কা অস্ত্র ব্যবস্থা পরিচালনা করেছে। বিভিন্ন ধরণের রেডার পরিচালনা করেছে। যাঁরা সামরিক যান চালানোর দায়িত্বে ছিলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করার পরে তাঁরাও সৈন্য হিসেবে কাজ করেছেন (Agniveer)।

    প্রসঙ্গত, অগ্নিবীর পদে নিয়োগ নিয়ে মোদি সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন বিরোধীরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে বিরোধীদের মুখের মতো জবাব দিয়েছেন অগ্নিবীররা। সূত্রের খবর, অগ্নিবীররা এই প্রথমবার যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির (Operation Sindoor) মুখোমুখি হয়েছিলেন। সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাঁরা দুরমুশ করে দিয়েছেন পাক সেনাদের (Agniveer)।

  • India Pakistan Conflicts: ৮টি এফ-১৬, ৪টি জেএফ-১৭, অ্যাওয়াক্স,… অপারেশন সিঁদুরে পাক বায়ুসেনার কী কী ধ্বংস? তালিকা প্রকাশ্যে

    India Pakistan Conflicts: ৮টি এফ-১৬, ৪টি জেএফ-১৭, অ্যাওয়াক্স,… অপারেশন সিঁদুরে পাক বায়ুসেনার কী কী ধ্বংস? তালিকা প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর-এর পর ভারত ও পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts) মধ্যে চলা সামরিক সংঘাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি বিস্তৃত রিপোর্টে সেই ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরা হয়েছে। এই অভিযানে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (PAF) যে বিপুল কৌশলগত ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। তথ্য অনুযায়ী, ৭ মে ২০২৫ তারিখে পরিচালিত অভিযানে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের কমপক্ষে ৮টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ও ৪টি জেএফ-১৭ ধ্বংস করে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন উচ্চ-মূল্যের আকাশ ও স্থল সামরিক সম্পদ ধ্বংস করা হয়। স্যাটেলাইট ছবি, গোয়েন্দা তথ্য এবং গোপন বাজেট নথি বিশ্লেষণ করে মোট ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৩.৩৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    বিমানঘাঁটি ও আকাশপথে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

    আকাশপথে সরাসরি সংঘর্ষে পাকিস্তান (India Pakistan Conflicts) ৪টি এফ-১৬ ব্লক ৫২ডি হারিয়েছে, প্রতিটির মূল্য ৮৭.৩৮ মিলিয়ন ডলার। মোট ক্ষতির পরিমাণ ৩৪৯.৫২ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া পাকিস্তানের একটি সাব ২০০ এরিআই অ্যাওয়াক্স নজরদারি বিমান (মূল্য ৯৩ মিলিয়ন ডলার), একটি আইএল-১৭ রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কার (৩৫ মিলিয়ন ডলার), দুইটি সিএম-৪০০একেজি মিসাইল, দুইটি শাহিন ক্ষেপণাস্ত্র ও ছয়টি বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন ধ্বংস হয়েছে। এছাড়াও এই সব সম্পদের মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫২৪.৭২ মিলিয়ন ডলার। মোট ক্ষতির পরিমাণ ৫২৪.৭ মিলিয়ন মর্কিন ডলার। অন্যদিকে, ১০ তারিখ পাক এয়ারবেসগুলিতে ভারতের প্রত্যাঘাতে আরও চারটি এফ-১৬ ব্লক ৫২ডি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে পাকিস্তান। একটি সি১৩০ হারকিউলিস পরিবহণ বিমান (৪০ মিলিয়ন ডলার), একটি এইচকিউ-৯ সাম ব্যাটারি (২০০ মিলিয়ন ডলার), এবং দুটি মোবাইল কমান্ড সেন্টার ধ্বংস হয়েছে (১০ মিলিয়ন ডলার)। এই ক্ষতির পরিমাণ মোট ৫৯৯.৫২ মিলিয়ন ডলার। এই বিশাল ক্ষতির ফলে পাকিস্তানের বিমান যুদ্ধের সক্ষমতা, নজরদারি ক্ষমতা এবং কৌশলগত পরিকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে, এফ-১৬ ধ্বংস হওয়া পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করেছে বলে মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    এফ-১৬ এর দাম

    এফ-১৬ বিমানটি মূলত মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা জেনারেল ডাইনামিক্স (বর্তমানে লকহিড মার্টিন) দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। পাকিস্তান প্রথম ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৮০টি এফ-১৬ বিমানের অর্ডার দেয়। চুক্তিটি ‘পিস গেট ১ এবং ২’ প্রোগ্রামের অধীনে করা হয়েছিল এবং তাদের ডেলিভারি ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে হয়েছিল। বর্তমানে, পাকিস্তানের কাছে প্রায় ৭৫ থেকে ৮৫টি এফ-১৬ বিমান রয়েছে, যার মধ্যে এ, বি, সি এবং ডি ভেরিয়েন্ট রয়েছে। এফ-১৬ এর দাম এর মডেলের উপর নির্ভর করে। একটি নতুন এফ-১৬ এর দাম প্রায় ৪০ থেকে ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে।

    জেএফ-১৭ এর দাম

    জেএফ-১৭ থান্ডার, পাকিস্তান ও চিনের অংশীদারিত্বে নির্মিত একটি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান। এটি যৌথভাবে পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স (পিএসি) এবং চেংডু এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন (সিএসি) দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। ৯০-এর দশকে যখন পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে এফ-১৬ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় আমেরিকা, তখন এর ভিত্তি স্থাপিত হয়। এরপর, পাকিস্তান ১৯৯২ সালে চিনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং ১৯৯৫ সালে জেএফ-১৭ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রথম জেএফ-১৭ ২০০৯ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং তাদের কাছে এখন ১৫৬টিরও বেশি বিমান রয়েছে। এটি একটি হালকা এবং দ্রুতগতির যুদ্ধবিমান, যার সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন ১৩,৫০০ কেজি। জেএফ-১৭ এর দাম প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১২০ কোটি), যেখানে ব্লক থ্রি-র দাম প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    যুদ্ধকালীন ব্যয় ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিকাঠামো

    ২৯ দিনব্যাপী সংঘাতে পাকিস্তানের যুদ্ধ (India Pakistan Conflicts) ব্যয়ও ছিল বিপুল। প্রতিদিনের বিমান টহল ও হামলা পরিচালনার খরচ ২৫ মিলিয়ন ডলার ধরে মোট ৭২৫ মিলিয়ন ডলার, ড্রোন ও মিসাইল ব্যবহারে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার, সীমান্তে মোতায়েন ও প্রতিরক্ষা খাতে ৪৩৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ইসলামাবাদ। যদিও পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেনি। ভারতের আক্রমণে পাকিস্তানের বায়ুসেনা ঘাঁটিরও প্রবল ক্ষতি হয়েছিল৷ ভেঙে পড়েছিল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম৷ এই দুটি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থার মূল ভিত্তি৷ পাকিস্তান বুঝতে পারে এরপরও সংঘর্ষ চললে আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে৷ ইসলামাবাদের সমস্যা আরও বাড়বে ৷ তাই সংঘর্ষ বিরতির পথে হাঁটে পাকিস্তান।

  • India Turkey Relation: ভারত-বিরোধী অবস্থানের খেসারত দিচ্ছে তুরস্ক! ৭৭০ কোটি টাকার লোকসান

    India Turkey Relation: ভারত-বিরোধী অবস্থানের খেসারত দিচ্ছে তুরস্ক! ৭৭০ কোটি টাকার লোকসান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবার নয়, বিপদের সময় বার-বার তুরস্কের (India Turkey Relation) জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। বন্ধু ভেবে বিপর্যয় মোকাবিলা, মেডিক্যাল (Medical) ছাড়াও দিয়েছে আর্থিক সাহায্য (Finance)। অথচ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সেই ভারতেরই ক্ষতি চাইল তুরস্ক (Turkey)। তাই তুরস্ক বয়কটের ডাক দিল ভারত। তাতেই মাথায় হাত তুরস্ক প্রধান এর্দোগানের। পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে যাওয়ার খেসারত দিতে হল তুরস্ককে। ক্ষতির মুখে পড়ল তুরস্কের অর্থনীতি। একই সঙ্গ পাকিস্তানের সেই ‘বন্ধু’কেই এবার কড়া বার্তা দিল বিদেশ মন্ত্রকও। বলা হল, তুরস্ক পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করতে বলবে, এই আশা রাখে নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে ভারতের বিমানবন্দরগুলিতে তুরস্কের সংস্থা সেলেবির অনুমতি বাতিল নিয়েও অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

    বিদেশমন্ত্রকের বার্তা

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার এক মাসের মাথায় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমাদের আশা, তুরস্ক পাকিস্তানকে অনুরোধ করবে তারা যেন সীমান্তে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা এবং মদত দেওয়া বন্ধ করে। যে সন্ত্রাসবাদের রাজত্ব গড়ে উঠেছে গত কয়েক দশক ধরে, তার বিরুদ্ধে যেন পাকিস্তানকে পদক্ষেপ করতে বলে তুরস্ক, এটাই আমাদের আশা।’’ যে কোনও সম্পর্ক গড়ে ওঠে একে অপরের সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে, তুরস্কের প্রসঙ্গে এ কথাও জানান জয়সওয়াল। রণধীর বলেন, “প্রত্যেকের স্পর্শকাতর বিষয় এবং উদ্বেগের বিষয়গুলি উপলব্ধি করার মাধ্যমেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়।” বিশ্লেষকদের মতে, এইভাবে আঙ্কারাকে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বার্তা দেওয়া হল।

    সেলেবির অনুমতি বাতিল

    তুরস্ক নিয়ে ভারতের অবস্থান কী, সেলেবি নিয়েই বা কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবছে, এদিন জানতে চাওয়া হলে রণধীর বলেন, ‘‘সেলেবির ‘সুরক্ষা ছাড়পত্র’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষ। ভারতে অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাসের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলায় সেলেবি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, তাঁরা গত ১৭ বছর ধরে ভারতে পরিষেবা দিচ্ছেন। কখনও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ওঠেনি। কোনও সমস্যা দেখা দিলে আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান সম্ভব। কেন্দ্রের তরফে আদালতে জানানো হয়, জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সেলেবির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মুম্বই, নয়াদিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, আমেদাবাদ-সহ দেশের ৯টি বিমানবন্দরে একাধিক উড়ান সংস্থার হয়ে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং-এর একাধিক কাজ করার ভার ছিল সেলেবি-র উপর।

    কেন এই অবস্থান

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়ে প্রকাশ্যেই পাকিস্তানকে সমর্থন এবং অস্ত্র–সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছিল তুরস্কের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানকে অন্তত ৪০০টি ড্রোনও দিয়েছিল তুরস্ক বলে জানা গিয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হামলার সময়ে সেই ড্রোন ব্যবহার করাও হয়। এর পরেই তুরস্কের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে ভারত। তাদের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করা হয়েছে। এর সঙ্গেই তুরস্কের সঙ্গে থাকা বিভিন্ন চুক্তি বাতিল করার কথা জানিয়েছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বার তুরস্ককে কড়া বার্তা দিল ভারত।

    ৭৭০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে তুরস্ক

    সবচেয়ে বেশি ধাক্কা এসেছে তুরস্কের দ্রুত প্রসারমান ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ ইন্ডাস্ট্রিতে। গত কয়েক বছর ধরে ধনী ও প্রভাবশালী ভারতীয়দের বিয়ের জন্য পছন্দের জায়গা ছিল তুরস্ক। তবে সম্প্রতি ভারতীয় পরিবারগুলোর এক বড় অংশ তাদের বিয়ের আয়োজন তুরস্কে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে আনুমানিক ৭৭০ কোটি টাকার ক্ষতি হতে চলেছে বলে জানিয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা। ২০২৪ সালে তুরস্কে প্রায় ৫০টি ভারতীয় অভিজাত পরিবারের বিয়ে হয়। যেগুলোর প্রতিটির বাজেট ছিল ২৫ কোটি থেকে ৬৬ কোটি টাকার মধ্যে। শুধু হোটেল নয়, এই বিয়েগুলো স্থানীয় ফুলের দোকান, ক্যাটারিং, সজ্জা, ট্রাভেল এজেন্ট থেকে শুরু করে সঙ্গীত শিল্পীদেরও কাজ দিত। ভারতীয় ওয়েডিং মার্কেট তুরস্কের ব্যবসার আয়ের অন্যতম উৎসে পরিণত হয়েছিল।

    তুরস্কের পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব

    পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ২০২৫ সালে তুরস্কে নির্ধারিত ৫০টি বিয়ের মধ্যে ৩০টির বুকিং ইতোমধ্যেই বাতিল হয়ে গিয়েছে বা স্থগিত হয়েছে। ভারতীয় পরিবারগুলোর বার্তা স্পষ্ট, যারা দেশের বিরোধিতা করবে, তাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নয়। এর ফলে রাজস্থান, গোয়া, কেরল, উদয়পুরের মতো জায়গায় বিয়ের জন্য আগ্রহ বাড়ছে। এতে করে দেশের পর্যটন খাতও চাঙ্গা হচ্ছে, এবং কূটনৈতিক অর্থনৈতিক বার্তা স্পষ্ট হচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় ওয়েডিং ট্যুরিজম থেকে প্রতি বছর তুরস্কে প্রায় ১,১৭০ কোটি টাকা আয় হত। এই বিপুল রাজস্ব এখন ঝুঁকির মুখে। পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব তুরস্কের পর্যটন খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সম্প্রতি ৭০ শতাংশ ভারতীয় তুরস্কে ঘুরতে যাওয়া বাতিল করেছে ৷ বিশ্লেষকদের মতে, এর্দোগান সরকারের কূটনৈতিক কৌশলের এটি বড় ধরনের ব্যর্থতা।

  • HAPS Pseudo Satellites: আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় বায়ুসেনার হাতে আসছে ‘ছদ্ম উপগ্রহ’! কীভাবে কাজ করে এই সিস্টেম?

    HAPS Pseudo Satellites: আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় বায়ুসেনার হাতে আসছে ‘ছদ্ম উপগ্রহ’! কীভাবে কাজ করে এই সিস্টেম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধুনিক যুদ্ধকৌশলে সামরিক যোগাযোগ ও নজরদারি ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী। ফলে, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এবং ভবিষ্যৎ যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে এই দুই ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী, আরও মজবুত, আরও আধুনিক করতে এবার নতুন ঘরানার সামরিক উপগ্রহ মোতায়েন করতে চলেছে ভারত।

    ভবিষ্যতের প্রস্তুতি শুরু…

    জানা যাচ্ছে, এর ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে এক বিশেষ ধরনের ‘সিউডো স্যাটেলাইট’ বা ছদ্ম উপগ্রহ (HAPS Pseudo Satellites)। নজরদারি চালানোর পাশাপাশি এই বিশেষ উপগ্রহগুলির কাজ হবে যুদ্ধবিমান ও গ্রাউন্ড স্টেশনগুলির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন ও তথ্য বিনিময় করা। এর পাশাপাশি, দেশের আকাশসীমার নিরাপত্তাকে আরও বলিষ্ঠ করতে বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে ভেরি শর্ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (VSHORADS) ৪৮টি লঞ্চার। এরই অংশ হিসেবে সেনা কিনতে চলেছে ৮৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৪৫টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন নাইট-ভিশন ডিভাইস। ভারত-পাক তীব্র সংঘাতের আবহে এই সরঞ্জামগুলি কেনার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ হলেও, বর্তমান সামরিক প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে এগুলির অন্তর্ভুক্তি সম্ভব নয় বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। কারণ, বাহিনীর হাতে এগুলি আসতে আরও কয়েকমাস লেগে যাবে। ফলে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এগুলিকে কেনা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    সৌরশক্তিচালিত ছদ্ম উপগ্রহ

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই বিশেষ ধরনের ছদ্ম উপগ্রহগুলির খোঁজ চালাচ্ছে, যাদেরকে পরিভাষায় হাই-অলটিচিউড প্ল্যাটফর্ম সিস্টেম (হাপ্স) বলা হচ্ছে। এই সিস্টেমগুলি (HAPS Pseudo Satellites) দীর্ঘসময় ধরে নজরদারি চালাতে সক্ষম ইউএভি বা ড্রোন হিসাবে কাজ করে এবং সৌরশক্তিচালিত হওয়ায় এতে জ্বালানি ভরার প্রয়োজন হয় না। প্রচলিত সৌর প্যানেলের জায়গায় এই ছদ্ম-উপগ্রহ বা ড্রোনগুলিতে ব্যবহৃত প্যানেলগুলি অত্যন্ত পাতলা সৌর ফিল্ম দিয়ে তৈরি। সাধারণ ড্রোনের তুলনায় অধিক অথচ লো-আর্থ অরবিটে মোতায়েন কৃত্রিম উপগ্রহের তুলনায় কম উচ্চতায় কাজ করে এই হাপ্স ড্রোনগুলি। সৌরচালিত হওয়ায় টানা বহু মাস ধরে আকাশে চক্কর কাটতে সক্ষম হাপ্স। ফলে, প্রায় মহাকাশ থেকে নজরদারি চালাতে পারে এই সিস্টেম। যে কারণে একে সিউডো-স্যাটেলাইট (HAPS Pseudo Satellites) বলা হয়ে থাকে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এ জোর

    বায়ুসেনার জন্য এরকম তিনটি প্ল্যাটফর্ম কেনার জন্য রিকোয়েস্ট ফর ইনফরমেশন (আরএফআই) জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যা টেন্ডার প্রক্রিয়ার একটি ধাপ। কেবলমাত্র দেশীয় সংস্থাগুলি থেকেই তথ্য চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’-কে তুলে ধরতে চেয়েছে মোদি সরকার। দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের গুণমান কতটা ভালো, তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) প্রমাণিত। ফলে, ফের একবার, দেশীয় প্রযুক্তি ও সরঞ্জামেই আস্থা রাখছে কেন্দ্র। আরএফআই-তে বলা হয়েছে— প্ল্যাটফর্মগুলিতে একদিকে যেমন নিরন্তর গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ (সামরিক পরিভাষায় ISR) করা এবং অন্য ড্রোনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষমতা থাকবে। অন্যদিকে, শত্রুযানের সিগন্যালও জ্যাম করার সক্ষমতা থাকতে হবে এই সিস্টেমগুলিতে (HAPS Pseudo Satellites)।

    ১৬ কিমি উচ্চতায় মোতায়েন!

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের আরএফআই-তে বেঁধে দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, ১৬ কিমি উচ্চতাতেও সমানভাবে কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে সিস্টেমগুলিতে। এখানে উল্লেখ্য, পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮৮৪৯ মিটার। দূরপাল্লার আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমানগুলি সাধারণত ১০ হাজার মিটার বা ১০ কিমি উচ্চতা দিয়ে যাতায়াত করে। শর্ত অনুযায়ী, হাপ্স সিস্টেমগুলিতে (HAPS Pseudo Satellites) উন্নতমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকতে হবে। লাইন-অফ-সাইট-এর সাপেক্ষে ন্যূনতম ১৫০ কিমি এবং স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৪০০ কিমি দূরত্বে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষমতা থাকতে হবে এই সিস্টেমে।

    বাকেট-লিস্টে ভিশোরাড…

    হাপ্স সিস্টেমের পাশাপাশি, নতুন প্রজন্মের অতি স্বল্প পাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (VSHORADS) কেনার বিষয়েও রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল (আরএফপি) আহ্বান করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এগুলি হল ম্যান-পোর্টবেল বা কাঁধে বসিয়ে নিক্ষেপযোগ্য বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। মূলত, রেডার সীমার নীচ দিয়ে আকাশপথে হামলা চালানো শত্রুপক্ষের হেলিকপ্টার বা বিমান বা ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্রের মতো যে কোনও উড়ুক্কু যানকে ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকবে এই ভিশোরাড-এর। এই সিস্টেমগুলি হবে বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্সের সবচেয়ে অভ্যন্তরীণ বর্ম। বর্তমানে, রুশ-নির্মিত ইগলা-পি ও আরও উন্নত ইগলা-এস ম্যানপ্যাড ব্যবহার করে ভারত। এবার ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সিস্টেম কিনতে চাইছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের শর্ত, এগুলির পাল্লা হতে হবে ৬ হাজার মিটার এবং এগুলিকে দিনে ও রাতে সমান কার্যকর হতে হবে।

  • India Pakistan Conflict: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ৫০ জঙ্গিকে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাকিস্তান! রুখে দেয় বিএসএফ

    India Pakistan Conflict: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ৫০ জঙ্গিকে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাকিস্তান! রুখে দেয় বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পরই ভারতে ৫০ জন জঙ্গিকে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে এমনই দাবি করেছেন বিএসএফের এক আধিকারিক। প্রতিদিনই সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। সীমান্তে গোলাগুলি চালানো আর ভারতীয় ভূখণ্ডে জঙ্গি প্রবেশ করানো পাকিস্তানের অভ্যেস। সেই মতোই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পরই জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টর দিয়ে ভারতে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করে আইএসআই। যদিও জঙ্গি অনুপ্রবেশের সেই চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে বিএসএফ।

    কীভাবে হয়েছিল অনুপ্রবেশের চেষ্টা

    বিএসএফের ডিআইজি এসএস মাঁদ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সূত্রে তাঁদের কাছে খবর এসেছিল, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ৪০-৫০ জন জঙ্গির একটি দল অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। গত ৮ মে সীমান্তে সন্দেহজনক ভাবে বেশ কয়েক জন ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। তার সঙ্গে সীমান্তের ও পারে পাকিস্তান থেকে ক্রমাগত গোলাগুলি চলছিল। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু জওয়ানরা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, বোমাবর্ষণ করে। পাল্টা হামলার মুখে পড়ে জঙ্গিরা পালাতে শুরু করে।

    দ্বিমুখী লড়াইয়ের ছক ছিল পাকিস্তানের

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার জবাব দিতে গত ৭ মে পাকিস্তানের মাটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। তার ঠিক পর দিন অর্থাৎ ৮ মে সাম্বা সেক্টর দিয়ে ৪০-৫০ জন জঙ্গিকে ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। ডিআইজি আরও জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে সামরিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে বড় নাশকতার চেষ্টা করেছিল, তা বানচাল করে দিয়েছে বিএসএফ। সাম্বায় অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় নিকেশ করা হয় ৭ জঙ্গিকে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানের মাটিতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। তার পর জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে ক্রমাগত গোলাগুলি চালাতে থাকে পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী লড়াইয়ের ছক ছিল পাকিস্তানের (India-Pakistan)। একদিকে হাতিয়ার সেনা, অন্যদিকে দোসর জঙ্গিরা। তবে বিএসএফ সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দেয়।

  • India Pakistan Conflicts: পহেলগাঁওয়ে হামলার নেপথ্যে আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’! বিস্ফোরক বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

    India Pakistan Conflicts: পহেলগাঁওয়ে হামলার নেপথ্যে আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’! বিস্ফোরক বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জন্য পাক সেনাপ্রধান (India Pakistan Conflicts) আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’ই দায়ী। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নেদারল্যান্ডসের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পাক সেনাপ্রধানের সমালোচনায় জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আসিম মুনিরের চরমপন্থী ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিই জঙ্গিদের পহেলগাঁও হামলায় আরও বেশি করে উস্কে দিয়েছে৷’’ এখানেই শেষ নয়, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে যে জঙ্গি হামলা হয়েছে, তাকে ‘বর্বরোচিত কাজ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন বিদেশমন্ত্রী৷ জানিয়েছেন, উপত্যকায় পর্যটন শিল্পে ধাক্কা দিতে এবং ধর্মীয় বিভেদ ছড়াতেই এই হামলা চালানো হয়েছে৷

    ধর্মীয় বিভেদ উস্কে দিয়েছিলেন মুনির

    এদিন জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত ওই হামলার লক্ষ্যই ছিল কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পকে পঙ্গু করে দেওয়া এবং ধর্মীয় বিভেদ উস্কে দেওয়া। ধর্ম দেখে বেছে বেছে ২৬ জনকে তাঁদের পরিবারের সামনেই হত্যা করা হয়েছিল। এটি এমন ভাবে করা হয়েছিল যাতে পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা কাশ্মীরের অর্থনীতির মূলভিত্তি।’’ উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার কয়েক দিন আগেই মুনির দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রসঙ্গ তুলে ধর্মীয় বিভেদ ‘উস্কে’ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কথাপ্রসঙ্গে এসেছিল কাশ্মীর সমস্যার বিষয়টিও। সেই প্রসঙ্গ টেনেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিষয়টা বুঝতে হলে আপনাকে পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে, বিশেষ করে তাদের সেনাপ্রধানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আসিম মুনিরের দৃষ্টিভঙ্গি চরম ধর্মীয়। পহেলগাঁওয়ে যে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে এ হেন মতাদর্শের স্পষ্টতই যোগসূত্র রয়েছে।’’

    মুনিরের মন্তব্যের পরই হামলা টিআরএফ-এর

    পহেলগাঁও হামলার এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে, ১৬ এপ্রিল, পাক সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির কাশ্মীর ইস্যুতে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন৷ বলেছিলেন, ‘‘কাশ্মীর হল ভারতের যুগুলার ভেইন৷’’ তিনি দুই দেশ তত্ত্বের সমর্থনেও কথা বলেছিলেন সেদিন, যে তত্ত্ব স্বাধীনতা পরবর্তী দেশভাগের জন্য দায়ী৷ এছাড়াও, পাকিস্তানের নাগরিকদের তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, যাতে তাঁরা তাঁদের সন্তানকে শেখান যে, ‘‘তারা হিন্দুদের থেকে আলাদা৷’’ এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই জয়শঙ্কর কথাগুলো বলেন। ডাচ মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময়, জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘টিআরএফ অনেক দিন ধরেই আমাদের নজরে ছিল। আমরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জের নজরে এনেছি৷” তিনি জানান, ভারতের কাছে টিআরএফের সাথে হাফিজ সইদের লস্কর-ই-তৈবার সংযোগের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে এবং ভারত তাদের কম্যান্ড সেন্টার এবং অবস্থান সম্পর্কে অবগত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা জানি কম্যান্ড সেন্টারগুলো কোথায় – এবং ৭ মে আমরা সেই জায়গাগুলোকেই লক্ষ্য করেছিলাম।” এই টিআরএফ-ই পহেলগাঁওয়ে হামলার দায় স্বীকার করে।

     

     

     

     

  • Operation Sindoor: “সিঁদুর এখন বারুদে পরিণত,” রাজস্থানের সভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Operation Sindoor: “সিঁদুর এখন বারুদে পরিণত,” রাজস্থানের সভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা যে সিঁদুর ব্যবহার করি, তা এখন বারুদে পরিণত হয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে।” রাজস্থানের বিকানেরে বৃহস্পতিবার এক জনসমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানে প্রত্যাশিতভাবেই আসে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) প্রসঙ্গ। তার আগে আসে ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গও। ওই দিন বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এর ঠিক পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিদের ঘাঁটি।

    সিঁথির সিঁদুর (Operation Sindoor)

    এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা সেদিন সিঁথির সিঁদুর মুছে দিতে এসেছিল, তাদের আমরা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছি।” তিনি বলেন, “সেদিন জঙ্গিরা পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে মেরেছিল, মুছে দিয়েছিল মহিলাদের সিঁথির সিঁদুর। জঙ্গিদের ছোড়া সেই গুলি কেবল পহেলগাঁওয়ের মাটিতেই লাগেনি, লেগেছিল ১৪০ কোটির হৃদয়ে। কিন্তু যারা ভেবেছিল ভারত চুপ করে থাকবে, তারা আজ নিজেদের ঘরে লুকিয়ে আছে, আর যারা অস্ত্রে ভরসা করত, তারা আজ নিজেদের ঘরে লুকিয়ে রয়েছে, তারা আজ তাদেরই ধ্বংসস্তূপের নীচে। প্রতিটি রক্তফোঁটার দাম আদায় করে নিয়েছে ভারত।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সঙ্কল্প নিয়েছিলাম যে আমরা সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করব। আমরা তাদের কল্পনার চেয়েও বড় শাস্তি দেব। সন্ত্রাসবাদীদের মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হবে। আজ, আপনাদের আশীর্বাদ এবং দেশের সেনাবাহিনীর সাহসিকতায় আমরা সকলেই তা পূরণ করতে পেরেছি। আমাদের সরকার তিন সেনাকে ফ্রি হ্যান্ড দিয়েছিল। তিন সেনা মিলে ওদের নাস্তানাবুদ করেছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “তিন বাহিনী মিলে এমন একটি চক্রব্যূহ তৈরি করেছে যে পাকিস্তানকে নতজানু হতে বাধ্য করা হয়েছে।”

    এই ভারত আগের ভারত নয়

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ভারত আগের ভারত নয়। এখনকার ভারত প্রতিশোধ নিতে জানে – তা যেমন কূটনৈতিকভাবে, সেমনই সামরিকভাবেও।” তিনি বলেন, “মাত্র ২২ মিনিটের মাথায় সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করে দেয় আমাদের সেনা। যার জেরে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। এটাই নতুন ভারতের জবাব। এটাই অপারেশন সিঁদুর।” জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে মোদি সরকার যে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে, এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেনাকে সম্পূর্ণ ফ্রি হ্যান্ড দেওয়া হয়েছে। তিন বাহিনী এমন একটা চক্রব্যূহ তৈরি করেছিল যে পাকিস্তান পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। যারা আগুন জ্বালাতে এসেছিল, তারাই এখন ছাইয়ের নীচে।”

    ২২ তারিখের হামলার জবাবে ২২ মিনিটে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২২ তারিখের হামলার জবাবে ২২ মিনিটে আমরা জঙ্গিদের ৯টি ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছি (Operation Sindoor)। ২২ তারিখে ধর্ম বেছে বেছে খুন করা হয়েছে। দেশের শত্রুরা দেখে নিয়েছে, সিঁদুর যখন বারুদে পরিণত হয়, তখন ফল কী হয়!” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা প্রতিশোধ নয়, এটা ন্যায়ের নয়া রূপ (PM Modi)। এটা আক্রোশ নয়, এটা সমগ্র ভারতের প্রত্যয়। এটাই ভারতের নয়া স্বরূপ। আগে ঘরে ঢুকে আঘাত করেছিলাম। এখন সোজা বুকে আঘাত করেছি। এরপর আর ভারতে কোনও হামলা হলে আরও কড়া জবাব দেওয়া হবে। এর পরেও সময় ঠিক করবে সেনা, আঘাতের উপায়ও ঠিক করবে তারাই।” পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার ভয় দেখানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পারমাণবিক বোমার এই ভুয়ো ভয়ে ভারত আর ভীত হবে না। আতঙ্কের গুরু এবং সন্ত্রাসকে সাহায্য করা সরকারকে আমরা আলাদা আলাদা করে দেখব না। আমরা তাদের একই হিসেবে দেখব। তাদের এই স্টেট, নন-স্টেটের খেলা আর চলবে না। গোটা বিশ্বে তাদের মুখোশ খোলার জন্য আমরা দল পাঠিয়েছি। আমরা এখন গোটা বিশ্বকে পাকিস্তানের আসল চেহারা দেখাব।”

    বীরভূমি রাজস্থান

    তিনি (PM Modi) বলেন, “পাঁচ বছর আগে যখন বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক হয়েছিল, তখন আমার প্রথম জনসভা হয়েছিল রাজস্থানে। এটা বীরভূমি। অপারেশন সিঁদুরের পরেও আমার প্রথম জনসভা হল বীরভূমি রাজস্থানের বিকানেরে (Operation Sindoor)।” এদিন বিকানের সফরে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন নাল এয়ার ফোর্স স্টেশনে। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন এখানেই হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সেই হামলা সফলভাবে প্রতিহত করে ভারতীয় বাহিনী। সেখানে সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী, প্রশংসা করেন ভারতীয় বাহিনীর মনোবলের। এদিন, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় পুনর্নির্মিত দেশনোক স্টেশন। এর পাশাপাশি, তিনি উদ্বোধন ও সূচনা করেন ২৬ হাজার কোটি টাকার একাধিক রেল প্রকল্পের (PM Modi)। এর মধ্যে রয়েছে চুরু-সাদুলপুর নয়া রেললাইন এবং পাঁচটি রেলপথের বিদ্যুদয়নও (Operation Sindoor)।

LinkedIn
Share