Tag: Pahalgam Terror Attack

  • AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ইজরায়েলের আয়রন ডোমের দিকে নজর থাকলেও, গত কয়েক দিনে ভারত যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা এখন সারা বিশ্বে আলোচিত। ভারত চুপচাপ তার নিজস্ব আকাশসীমা প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে আকাশতীর (AkashTeer) প্রকল্পের মাধ্যমে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘ডিকেড অব ট্রান্সফরমেশন’ এবং ‘ইয়ার অব টেক অ্যাবজর্বশন’ উদ্যোগের অধীনে আকাশতীর তৈরি করা হয়েছে, যা আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা হুমকির বিরুদ্ধে কার্যকরী সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। সাম্প্রতিক ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতের এই বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা কৌশল আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, তুরস্ক সকলকেই চমকে দিয়েছে। আকাশতীর ভারতের আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ গেম-চেঞ্জার হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বের প্রথম ন্যাটো-বহির্ভূত কোনও দেশের হাতে এত উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি দেখেছে বিশ্ববাসী। সম্পূর্ণ দেশীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা পরিচালিত, উপগ্রহ-সংযুক্ত স্বয়ংক্রিয় কমব্যাট সিস্টেম হিসেবে আকাশতীর বিশ্বের তামাম প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের চমকে দিয়েছে।

    কী এই আকাশতীর?

    “আকাশতীর” একটি বহুস্তরীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত, স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ সমন্বয় ব্যবস্থা। বিশ্ব প্রতিরক্ষা কৌশলে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে ভারত। ডিআরডিও (DRDO), ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL) এবং ইসরো (ISRO)-এর যৌথ উদ্যোগে সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত হয়েছে “আকাশতীর”। এটি হল একটি বাস্তব-সময়ে লক্ষ্য নির্ধারণ ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ পরিচালন পদ্ধতি। এটি কোনও একক ডিভাইস নয়, বরং একটি সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক, যা নিজে থেকে বিপদ আঁচ করে যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিপদকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। আকাশতীর হলো বহুস্তরীয় সমন্বিত প্রতিরক্ষা এবং প্রতি-আক্রমণ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি। যা এআই, স্যাটেলাইট নজরদারি, স্বয়ংক্রিয় সোয়ার্ম ড্রোন, রেডার এবং মোবাইল কমান্ড ইউনিট মিলিয়ে এক নতুন ধরনের “কমব্যাট ক্লাউড” গঠন করে।

    আকাশতীরের মূল বৈশিষ্ট্য

    সেনা সূত্রে খবর, ৭ তারিখ রাত থেকে ৮ তারিখ ভোরের মধ্যে ১৫টি সেনা ছাউনিতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল পাক সেনা। সেই আক্রমণ শুধু প্রতিহতই করেনি ভারত। উল্টে যোগ্য জবাবও দিয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের পর একের পর এক ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। যা রুখে দেয় ভারত। ভারতের চার স্তরের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যা ‘আয়রন ডোম’-এর অনুরূপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই সিস্টেমটি বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি এবং ‘আকাশতীর’ কমান্ড নেটওয়ার্ক দ্বারা পরিচালিত। আকাশতীর সিস্টেম সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার সমস্ত রেডার এবং স্যাটেলাইট ডেটা একটি একক নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করেছিল। এই সমন্বিত চিত্রটি নির্ধারণ করেছিল যে কোন ব্যবস্থা কোন হুমকিকে ধ্বংস করবে। ফলস্বরূপ, পাকিস্তানের একের পর এক হামলা প্রতিহত করে ভারত।

    চার স্তরের আকাশতীর সিস্টেম

    ইসরোর উপগ্রহ নজরদারি: কার্টোস্যাট ও রিস্যাট উপগ্রহের মাধ্যমে রিয়েল-টাইম মানচিত্র এবং লক্ষ্য নির্ধারণ। বিদেশি স্যাটেলাইট ডেটার উপর নির্ভরতা ছাড়াই, নিজস্ব স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি যুদ্ধভূমির তথ্য সংগ্রহ ভারতকে কয়েক কদম এগিয়ে দিয়েছে।

    নাবিক ব্যবস্থার ব্যবহার: ভারতের নিজস্ব জিপিএস ন্যাভিগেশন সিস্টেম, যা উপমহাদেশীয় ভূখণ্ডে অত্যন্ত কার্যকর। এই বিশেষ সিস্টেম পার্বত্য, মরুভূমি ও শহরাঞ্চলে অত্যন্ত কার্যকর।

    সোয়ার্ম ড্রোন: আকাশতীরের প্রতিটি সোয়ার্ম ড্রোন সিস্টেম— ৫-১০ কেজি পেলোড বহনে সক্ষম। চিনা ও পাকিস্তানি রেডার এড়াতে সক্ষম। স্টেলথ প্রযুক্তিতে সজ্জিত। উচ্চ গতিতে উড়তে সক্ষম। অনুপ্রবেশ করতে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রুর ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম। সেলফ-নেভিগেশন রয়েছে। নিজেই লক্ষ্যকে স্থির করে নিতে সক্ষম। মিশনের প্রয়োজন অনুযায়ী, মাঝপথে নিজের প্রোগ্রামে বদল আনতে সক্ষম। এগুলি বাণিজ্যিক ড্রোন নয়। বরং কৌশলগত, বুদ্ধিমান কামিকাজে ইউনিট যা শত্রুর হাই-ভ্যালু টার্গেট পর্যবেক্ষণ করে, শত্রুর আকাশসীমায় প্রবেশ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম।

    এআই কমব্যাট ক্লাউড: তাৎক্ষণিক তথ্য বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে কোনও মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আক্রমণ পরিচালনা করে এই পদ্ধতি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শত্রুর রেডার সংকেত, ভূখণ্ড বিশ্লেষণ, আবহাওয়ার তথ্য এবং উপগ্রহ চিত্র সহ বিস্তৃত যুদ্ধের তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে আকাশতীর। এআই-এর দৌলতে আকাশতীর সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিশন নতুন করে সাজাতে পারে, ড্রোন রিডিরেক্ট করতে পারে এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে পারে, যা মার্কিন বা চিনা সিস্টেমের চেয়ে অনেক উন্নত, কারণ সেখানে মানুষের প্রয়োজন হয়।

    আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

    অপারেশন সিঁদুরের পর, ভারতের বায়ু প্রতিরক্ষা মডেল এখন বিশ্বব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। এই মডেলটি দেখায় যে নিরাপত্তা কেবল নতুন প্রযুক্তি কেনার মাধ্যমেই আসে না, বরং সেগুলিকে একীভূত করার মাধ্যমেও আসে। কীভাবে একইসঙ্গে শত্রুর হানা রুখছে, আবার শত্রুর ডেরায় গিয়ে আঘাত হানছে আকাশতীর,তা দেখে আমেরিকা থেকে শুরু করে চিন, তুরস্ক থেকে শুরু করে পাকিস্তান— সকলেই কার্যত থ বনে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এখন ভারতের এই স্তরযুক্ত প্রতিরক্ষাকে বিশ্বের জন্য একটি নতুন মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্লেষক ভারতের এই প্রযুক্তি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাঁরা আকাশতীরের অনুকরণে পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ কৌশল পুনর্বিবেচনার কথাও বলছেন। চিনের বেইডু স্যাটেলাইট ও ড্রোন বিশেষজ্ঞরা এখন আকাশতীরের অনুকরণে অ্যালগোরিদম পুনঃর্গঠনের চেষ্টা করছে। ভারতের অগ্রগতি দেখে অবিলম্বে বায়রাক্তার ড্রোনের প্রযুক্তি আপগ্রেডে ব্যস্ত তুরস্ক।

    কেন আকাশতীর অনন্য

    ভারত দীর্ঘদিন ধরে তার আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং অত্যাধুনিক বিমান আক্রমণের হুমকি বৃদ্ধি পাওয়ায়। আয়রন ডোমের মতোই ভারতের আকাশতীর এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য একটি শক্তিশালী সমাধান। এটি অত্যাধুনিক রেডার, ক্ষেপণাস্ত্র নির্দেশনা এবং কমান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি। আকাশতীর বিশেষভাবে উচ্চ-গতি, কম উচ্চতার এবং স্টেলথ লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আকাশতীরের রেডার সিস্টেম প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বিশাল অগ্রগতি। এটি একাধিক লক্ষ্যবস্তু বিভিন্ন উচ্চতায় শনাক্ত করতে সক্ষম, এবং অত্যাধুনিক সিগন্যাল প্রসেসিং অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে স্টেলথ বিমান, ড্রোন এবং সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারে। ঐতিহ্যবাহী রেডার সিস্টেমের তুলনায়, আকাশতীরের রেডার প্রায় মাটি ঘেঁষে চলা লক্ষ্যবস্তুও শনাক্ত করতে সক্ষম, যা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে ৩৬০-ডিগ্রি সুরক্ষা প্রদান করে। একশো শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই পদ্ধতি কোনও বিদেশি চিপ বা সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল নয়। এটি দেশের সরকারি সংস্থাগুলোর দুর্দান্ত সমন্বয়ে তৈরি এক প্রকল্প। ডিআরডিও, ইসরো ও ভারত ইলেক্ট্রনিক্সের যুগান্তকারী সমন্বয়ে তৈরি আকাশতীরের পূর্ণ কৌশলগত স্বাধীনতা রয়েছে। এটি একটি মোবাইল কমান্ড ইউনিট, যা জিপে রেখেও চালানো সম্ভব। আকাশতীর শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার প্রতীক। এটি ভারতকে আর অনুসরণকারী নয়, বরং নেতৃত্বকারী হিসেবে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠা করেছে।

  • India-Pakistan War: আবারও মুখ পুড়ল, ভারতের মহিলা পাইলটকে আটকের খবর ভুয়ো, মেনে নিল পাকিস্তান

    India-Pakistan War: আবারও মুখ পুড়ল, ভারতের মহিলা পাইলটকে আটকের খবর ভুয়ো, মেনে নিল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India-Pakistan War) কাছে ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) কোনও পাইলট আটক নেই। এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি একটি গুজব, যা সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। একথা স্পষ্ট করে জানালেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এর আগে পাকিস্তানিরা দাবি করছিল, ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানি সিং (Shivani Singh) পাক সেনার হাতে বন্দি। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে, আগেই পিআইবি ফ্যাক্ট চেক করে জানায়, খবরটি ভুয়ো। রবিবার ভারতীয় বায়ুসেনার কড়া বার্তার পর অবশেষে সত্যি স্বীকার করল পাকিস্তান।

    স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের

    পাকিস্তানের (India-Pakistan War) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের (ISPR) আধিকারিক আহমেদ শরিফ চৌধুরি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “আমি নিশ্চিত করতে পারি, আমাদের হেফাজতে কোনও ভারতীয় পাইলট নেই। এটি সম্পূর্ণরূপে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ভুয়ো খবর এবং প্রোপাগান্ডা।” এর আগে, সামাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যে ভারতীয় বিমানবাহিনীর মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানি সিং পাকিস্তানে ধরা পড়েছেন। তবে ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) দ্রুত এই গুজব খণ্ডন করে জানায়, “ভারতীয় মহিলা পাইলট আটক হয়নি। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর। যে ছবিটি দেখানো হচ্ছে, সেটি আসলে ২০২১ সালে পাঞ্জাবের মোগায় একটি মিগ-২১ ভেঙে পড়ার সময়ের ছবি।”

    আগেই বলেছিল ভারত

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর ইসলামাবাদ (Islamabad) এই ধরনের ভুয়ো প্রচারের আশ্রয় নেয়। ভারতীয় বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল একে ভারতী রবিবার জানিয়েছেন, “আমরা আমাদের সব লক্ষ্যে পৌঁছেছি এবং সব ভারতীয় পাইলট নিরাপদে ফিরে এসেছেন।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেগুলিকে প্রতিহত করা হয়েছে। কয়েকটি শত্রু বিমান ভূপাতিত হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো আগেই জানিয়েছিল অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তান-ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে অন্তত ৪০টি ভুয়ে খবর ছড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government) ভারতীয়দের (India-Pakistan War) বারবার যাচাই না করে গুজব বা ভুয়ো তথ্য শেয়ার করতে নিষেধ করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধকালীন সময়ে প্রোপাগান্ডা চালানো নতুন কিছু নয়, তবে পাকিস্তানের সেনা মুখপাত্রের এই স্বীকারোক্তি নিশ্চিত করেছে যে, ভারতীয় পাইলট আটক করার খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল।

  • India-Pakistan War: “চাইলে গুঁড়িয়ে দেওয়া যেত, ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে”, পাকিস্তানের উদ্দেশে বার্তা সেনার

    India-Pakistan War: “চাইলে গুঁড়িয়ে দেওয়া যেত, ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে”, পাকিস্তানের উদ্দেশে বার্তা সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) পাক জঙ্গি দমনে করা হলেও, তার পাল্টা বারবার জবাব দিয়েছে পাকিস্তানি সেনা। ভারত (India-Pakistan War) তাদের সেনা বা নাগরিকের কোনও ক্ষতি করতে চায়নি। চেয়েছে সীমান্তে বসে থাকা জঙ্গিদের শেষ করতে। যা করেছেও। কিন্তু তার পাল্টা ভারতে হামলা চালিয়েছে পাক সেনা। যার প্রত্যাঘাত হিসেবে পাকিস্তানের একাধিক সেনা ঘাঁটি বাধ্য হয়েই উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে তা স্পষ্ট করে দিল ভারত। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ভারতীয় সেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন্‌স’ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই, বায়ুসেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ এয়ার অপারেশন্‌স’ এয়ার মার্শাল একে ভারতী এবং নৌসেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ নেভাল অপারেশন্‌স’ ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ গত কয়েক দিনের সামরিক অভিযানের খুঁটিনাটি তথ্য তুলে ধরেন। এদিন বৈঠক শুরু হয় শিব তাণ্ডব স্তোত্র দিয়ে।

    বেয়াদপি করলে বরদাস্ত নয়

    সংঘর্ষ বিরতি (India Pakistan Ceasefire) ঘোষণার পর বিশ্বাসঘাতকতা করে বারবার হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। রবিবার সেনার সাংবাদিক বৈঠকে কড়া ভাষায় বার্তা দিয়ে জানানো হল পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আর কোনওরকম ভারত-পাক সমঝোতা ভঙ্গ হলে ভারতও চুপ থাকবে না। ভারতের লড়াই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানি সেনা বা সীমান্তের ও পারের বাসিন্দাদের সঙ্গে ভারতের কোনও লড়াই নেই। অপারেশন সিঁদুর তা গোটা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছে। ভারত আর সন্ত্রাসবাদকে কোনও ভাবে বরদাস্ত করবে না। পাকিস্তান যে জঙ্গিদের মদত দেয় সেটা জলের মতো পরিষ্কার। এর পর পাকিস্তান কোনও রকমের বেয়াদপি করলে ভারত কোনও রকমে রেয়াত করবে না। তিন বাহিনীর কর্তারা জানান, এই সংঘাতের আবহে পাক সেনার ৩৫-৪০ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি ইসলামাবাদের কাছে চাকলালা ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করাচিতেও যে কোনও মুহূর্তে আঘাত করার মতো কৌশলগত অবস্থানে ছিল ভারতীয় নৌসেনা। তবে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তির জন্য আপাতত চুপ রয়েছে ভারত।

    ১০০-র বেশি জঙ্গি, ৩৫-৪০ পাক সেনার মৃত্যু

    ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা (India-Pakistan War) লঙ্ঘন করে বেশ কিছু জনবহুল গ্রাম এবং মন্দির, গুরুদ্বারের মতো ধর্মীয় স্থানে আঘাত করার চেষ্টা করে। ভারতের জম্মু, উধমপুর, ভাটিন্ডা, বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। হামলার কড়া প্রত্যাঘাত করেছে ভারতও। পাকিস্তান ও পিওকের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাকলালা, রফিকি-সহ বেশ কিছু অঞ্চল রয়েছে। ১০০-র বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ইউসূফ আজহার, আব্দুল মালিক রাউফ এবং মুদস্‌সর আহমেদ। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে আইসি ৮১৪ অপহরণ এবং পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিও রয়েছে। ৩৫-৪০ পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে জঙ্গি দমনের সাফল্য এসেছে কী ভাবে তার ব্যাখ্যা দেয় ভারতীয় সেনা।

    পাক হামলার প্রত্যাঘাত করা হয়েছে মাত্র

    তিন বাহিনীর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, ৮-৯ মে’র রাতে পাকিস্তান বেশ কিছু ড্রোন এবং বিমান ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করে। সেগুলির লক্ষ্য ছিল ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি। তার মধ্যে বেশির ভাগই ব্যর্থ হয়েছে। শ্রীনগর থেকে নালিয়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ড্রোন, পাইলটহীন বিমান দিয়ে হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য সেগুলি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারেনি। এ ছাড়া পাকিস্তানি কিছু যুদ্ধবিমানকেও গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তবে সেগুলি ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করার আগেই সেগুলিকে আটকে দেওয়া গিয়েছে। ভারত স্পষ্ট করে দেয়, পাকিস্তানের এই হামলার কারণেই প্রত্যাঘাত করতে হয়েছে ভারতীয় সেনাকে।

    সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল

    পাক হামলার (India-Pakistan War) পরে ভারতও পাকিস্তানের বেশ কিছু বায়ুসেনা ঘাঁটি, কমান্ড সেন্টার এবং অন্য সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত করে। প্রত্যাঘাত করা হয় পাকিস্তানের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাতেও। পাকিস্তানের যে সামরিক ঘাঁটিগুলিতে প্রত্যাঘাত করা হয়েছে, তার মধ্যে ইসলামাবাদ সংলগ্ন এলাকাও রয়েছে। এয়ার মার্শাল ভারতী বলেন, “আমরা যে ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করেছিলাম তার মধ্যে ছিল চাকলালা, রফিকি। উল্লেখ্য, চাকলালা ইসলামাবাদে অবস্থিত।” এ ছাড়া পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খান, সরগোদা, জাকোকাবাদ এবং ভুলারির মতো এলাকাতেও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছে। এয়ার মার্শাল জানান, এই ঘাঁটিগুলিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল ভারতের। কিন্তু ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে।

    ভারতীয় নৌসেনার কৌশলগত অবস্থান

    গত কয়েক দিন ধরে পাক নৌসেনাকে কৌশলগত ভাবে চাপে রেখেছিল ভারতীয় নৌসেনাও। ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ জানান, পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে নৌসেনার ডুবোজাহাজ, বিমান-সহ সমস্ত বিভাগকে সংঘাতের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে সমুদ্রে মোতায়েন করে দেওয়া হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদী হামলার ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে নৌসেনা আরব সাগরে বেশ কিছু কৌশলগত অবস্থান নেয়। উত্তর আরব সাগরে এমন জায়গায় বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছিল যেখান থেকে নিজেদের পছন্দ মতো সময়ে করাচি-সহ বিভিন্ন স্থানে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা ছিল নৌসেনার। ভারতীয় নৌসেনার কৌশলগত অবস্থানের জন্য পাকিস্তানি নৌসেনাকে রক্ষণমূলক অবস্থান নিতে হয়েছিল এবং সেগুলি বেশির ভাগই নিজেদের বন্দর বা উপকূলের কাছাকাছিই রয়ে গিয়েছিল।

    প্রতিটি হামলার পাল্টার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে

    ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, প্রাথমিকভাবে ৩৬ ঘণ্টার জন্য সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, পাকিস্তান যদি কোনও রকমভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে তাহলে এপার থেকেও উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে পাক সেনাকে। এক বিন্দু জমিও ছাড়বে না ভারত। প্রতিটি হামলার পাল্টার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ইসলামাবাদকে।

  • India-Pakistan War: সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা! ‘‘ভারত প্রস্তুত’’, সম্মুখ সমরের ইঙ্গিত দিয়ে বলল সরকার

    India-Pakistan War: সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা! ‘‘ভারত প্রস্তুত’’, সম্মুখ সমরের ইঙ্গিত দিয়ে বলল সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্গিল যুদ্ধের পর এই প্রথম ভারতের পশ্চিম সীমান্তে সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান (India-Pakistan War)। তারা অনবরত আগ্রাসী ভূমিকা বজায় রাখছে। শনিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ও ভারতীয় সেনার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানানো হয়েছে। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান বারবার হামলার চেষ্টা করছে। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলি তাদের নিশানায়। পাক সেনাদের গোলাবর্ষণ চলছে, যদিও হামলার চেষ্টা প্রতিহত করছে ভারতীয় সেনা। এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশি।

    সীমান্তে বাহিনী এগোতে শুরু করল পাকিস্তান

    সব সীমা ছাড়াচ্ছে পাকিস্তান (India-Pakistan War)। লাগাতার গোলাবর্ষণ তো করছিলই, এবার সীমান্তে বাহিনী এগোতে শুরু করল। ভারত সরকারের তরফেই এই তথ্য জানানো হয়েছে। ১৯৯৯ সালের পর প্রথম এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তান চার রাজ্যে মোট ২৬টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। যদিও ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সেগুলিক নিষ্ক্রিয় করেছে। ভারতও পাল্টা জবাবে ৪টি পাকিস্তানি এয়ারবেসে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া হামলা চালানো হয়েছে আরও ২ পাক এয়ারবেস, একটি সেনা বেস ও একটি রেডার স্টেশনে। পাকিস্তান সেনা সীমান্তে তাদের বাহিনী এগোনো শুরু করতেই ভারতও তাদের সেনাকে প্রস্তুত রেখেছে এবং যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে।

    সরাসরি আক্রমণের ইঙ্গিত পাকিস্তানের

    এ দিন উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং ও কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তানের সেনা এগোনোর সিদ্ধান্ত তাদের আক্রমণাত্বক অভিপ্রায়কেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কর্নেল সোফিয়া বলেন, ‘‘পাকিস্তান মিলিটারি সীমান্তে তাদের বাহিনী এগোচ্ছে। দেখা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনা তাদের সৈন্যদের সামনের দিকে এগিয়ে আনছে। এতে তাদের আক্রমণাত্মক অভিপ্রায় প্রকাশ পাচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে এটা। পাকিস্তান সেনা সীমান্তের দিকে যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, তা নিছক প্রতিরক্ষা কৌশল নয়—এটি সরাসরি আক্রমণের ইঙ্গিত। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে এবং যেকোনও আক্রমণের যোগ্য জবাব দেওয়া হচ্ছে।”  উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং-ও এই বিষয়ে একমত প্রকাশ করে জানান যে, পাকিস্তান তাদের বাহিনী সীমান্ত বরাবর এগিয়ে এনে ভারতের সার্বভৌমত্বে সরাসরি আঘাত হানতে চাইছে। তিনি বলেন, “এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের পরিকল্পিত সামরিক আগ্রাসনের পরিচয় বহন করে।” তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী (India-Pakistan War) সম্পূর্ণ প্রস্তুত। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ভারতের তিন বাহিনী।

    পাকিস্তানের লক্ষ্য সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি সাধন 

    জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গত কয়েক দিন ধরে পাকিস্তান ভারী গোলাবর্ষণ করে চলেছে। এই ধরনের গোলাবর্ষণ যুদ্ধে কোনও অগ্রগতি এনে দেয় না। সীমান্তবর্তী সামরিক চৌকিতে উচ্চক্ষমতার আর্টিলারি গান (কামান) বসিয়ে সীমান্তের অন্য দিকে একনাগাড়ে গোলাবর্ষণ করাই যায়। যে কোনও দেশই সেটা করতে পারে। কিন্তু তাতে সীমান্ত এগোবে বা পিছোবে না। শত্রুপক্ষও খতম হবে না।পাকিস্তানের সামরিক কর্তারা সে কথা ভালই জানেন। তবু অনবরত গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়ে যাচ্ছেন। ভারতের সামরিক বাহিনীর দুর্ভেদ্য বর্মে পাকিস্তান এত জোরে ধাক্কা খাচ্ছে যে, অপমান ভুলতে লোকালয়ে গোলা ছুড়ছে, এমনই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। প্রেস বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, গতকাল সারা রাত ধরে পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে। উধমপুর, পাঠানকোট, ভূজ, ভাটিন্ডা সহ ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। রাত ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ পাকিস্তান হাই স্পিড মিসাইল দিয়ে পাঞ্জাবের একটি এয়ারবেসে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। ভারত সেই হামলাও প্রতিহত করেছে। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে একটানা ড্রোন, যুদ্ধবিমান, এমনকী লং রেঞ্জ মিসাইল দিয়েও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।

    একটানা ড্রোন হামলা পাকিস্তানের

    দেশের পশ্চিম সীমান্তে ড্রোন হামলাও চালাচ্ছে পাকিস্তান। শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ অমৃতসরের খাসা ক্যান্টের উপর শত্রুপক্ষের একাধিক সশস্ত্র ড্রোন দেখা উড়তে দেখা যায়। যা প্রতিহত করে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই পরিস্থিতিতে সকাল সাড়ে ১০টার পরে বিদেশ মন্ত্রক, সেনার সাংবাদিক বৈঠক শুরু হয়। প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল থেকে পাকিস্তান সেনাকে উদ্ধৃত করে একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ভারতের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। সাইবার হামলা চালানো হয়েছে ভারতের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোয়। এই দাবিগুলি ভুয়ো বলে জানান বিদেশসচিব। আফগানিস্তানে ভারতের মিসাইল পড়েছে বলে যে খবর ছড়াচ্ছে, তা–ও মিথ্যা বলে জানান তিনি। মিস্রি বলেন, ‘কোন দেশ আফগানিস্তানে বার বার হামলা চালিয়ে এসেছে, তা আশা করি সেখানকার মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে না।’

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

    এই প্রেক্ষাপটে দিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে (India-Pakistan War) উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে আলোচনা করছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক (India-Pakistan Conflict) থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ডার এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সক্রিয় করা এবং রণসজ্জা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান এই ধরণের আচরণ করে (India-Pakistan Conflict) আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করতে চাইছে। এ ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক নিয়ম ও সমঝোতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

  • India Pakistan War: ধর্মীয় স্থানকে নিশানা! জম্মুর শম্ভু মন্দিরে মর্টার হামলা পাকিস্তানের, জবাব দিচ্ছে সেনা

    India Pakistan War: ধর্মীয় স্থানকে নিশানা! জম্মুর শম্ভু মন্দিরে মর্টার হামলা পাকিস্তানের, জবাব দিচ্ছে সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মুতে (Jammu) জারি হল রেড অ্যালার্ট৷ শনিবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট থেকেই জম্মুতে লাগাতার শেলিং শুরু করে পাকিস্তান (India Pakistan War) ৷ পাক হামলায় এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই, তিনজন আহত৷ গতকাল রাত থেকে জম্মু থেকে শুরু করে শ্রীনগর, এদিকে পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে রাজস্থানের একাধিক এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়েছে পাকিস্তান৷ জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার চলছে গোলাবর্ষণ ৷ তবে পাকিস্তানের হামলা শক্ত হাতে প্রতিহত করেছে ভারত। শনিবার সকালে জম্মুর শম্ভু মন্দিরে পাকিস্তানের গোলা এসে পড়েছে। মন্দির চত্বরে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর।

    মন্দিরের দরজার সামনে বিস্ফোরণ

    উত্তর পশ্চিম সীমান্তে টানা গোলাবর্ষণ করছে পাকিস্তান। শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ জম্মুর আপ শম্ভু মন্দিরের কাছে ড্রোন হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান (India Pakistan War)। মন্দিরের দরজার সামনে বিস্ফোরণ ঘটে। সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সেই ড্রোন ধ্বংস করে দেওয়া হয়। কাছে থাকা একটি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। রাস্তায় থাকা গাড়িগুলিরও ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে শনিবার সকালে আপ শম্ভু মন্দিরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। পাকিস্তানের হামলায় রজৌরিতে সরকারি আধিকারিক-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজৌরির অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার রাজকুমার থাপার বাড়িতে শুক্রবার রাতে পাকিস্তানের ছোড়া একটি গোলা গিয়ে পড়ে। তিনি গুরুতর জখম হয়েছিলেন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

    জম্মুতে লাগাতার হামলা পাকিস্তানের

    জম্মু (Jammu) উধমপুরে শোনা যাচ্ছে ভারী বিস্ফোরণের শব্দ। শহরের মধ্যে আকাশ ঢেকে যাচ্ছে ধোঁয়ার কুণ্ডলিতে। জম্মু, পাঠানকোট, শ্রীনগর, উধমপুর লক্ষ্য করে মিসাইল নিক্ষেপ করছে পাকিস্তান। প্রায় প্রতি ২ মিনিট অন্তর শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ। জম্মুর পাশাপাশি ভারতের পশ্চিম সীমান্তে লাগাতার ড্রোন দিয়ে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান (India Pakistan War)। সাধারণ নাগরিকদের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চলছে। সেনা প্রতিহত করছে। পাল্টা জবাবও দেওয়া হচ্ছে, বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। শ্রীনগর, জম্মু, রজৌরিতে শোনা যাচ্ছে পর পর বিস্ফোরণের আওয়াজ। অসমর্থিত সূত্রের খবর, পাকিস্তানের রওয়ালপিন্ডির কাছে তিনটি এয়ারবেসে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডির নুর খান, সিন্ধ প্রদেশের সুক্কুর, চাকওয়ালের মুরিদ এয়ারবেস ক্ষতিগ্রস্ত। পাকিস্তানের আকাশে আপাতত সমস্ত রকম বিমানের উড়ান বন্ধ রাখা হয়েছে। হরিয়ানার সিরসার আকাশে পাক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ভারত। অবন্তীপোরা, শ্রীনগর, উধমপুরে বায়ুসেনা চিকিৎসা কেন্দ্র ও স্কুলকে নিশানা করেছে পাকিস্তান। বারবার সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। সেনা সূত্রে খবর, অন্তত ২৬ জায়গায় হামলার চেষ্টা হয়েছে। দ্রুত জবাব দিয়েছে ভারত।

  • India-Pakistan War: যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব, ৩২টি বিমানবন্দরে অস্থায়ীভাবে পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

    India-Pakistan War: যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব, ৩২টি বিমানবন্দরে অস্থায়ীভাবে পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে বড় পদক্ষেপ করল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। আগামী ১৪ মে পর্যন্ত দেশের ৩২টি বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাক সীমান্তবর্তী উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বিমানবন্দর গুলিতে অসামরিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। ১৫ মে সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ফের এখানে পরিষেবা চালু হওয়ার কথা রয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে ঘোষিত এই সিদ্ধান্তটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অশান্তির আবহে নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে।

    কোন কোন বিমানবন্দরকে নির্দেশ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (AAI) এবং সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষ বিমানকর্মীদের (NOTAMs) জন্য একাধিক নোটিস জারি করেছে। যে ৩২টি বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে অমৃতসর, চণ্ডীগড়, শ্রীনগর, লুধিয়ানা, ভুন্টার, কিষেণগড়, পাটিয়ালা, সিমলা, কাংড়া-গগ্গল, ভাটিণ্ডা, জৈসলমের, জোধপুর, বিকানের, হলওয়ারা, পঠানকোট, জম্মু, লেহ্‌, মুন্দ্রা, জামনগর, হিরাসর, পোরবন্দর, কেশোড়, কান্দলা, ভূজ। ইতিমধ্যে এই ৩২টি বিমানবন্দরে ওঠানামা করার কথা ছিল যে সব বিমানের, সেগুলি বেশির ভাগই বাতিল করে দিয়েছে সংস্থাগুলি। এয়ার ইন্ডিয়া জম্মু, শ্রীনগর, লেহ্‌, জোধপুর, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, ভূজ, রামনগর, রাজকোটে যাতায়াতকারী তাদের সমস্ত বিমান বাতিল করেছে। যাত্রীদের ভাড়া ফেরত দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সংস্থা। বিমান সংস্থা ইন্ডিগোও বেশ কিছু বিমান বাতিল করেছে।

    কেন বন্ধ বিমান চলাচল

    অপারেশন সিঁদুরের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার নিয়েছে। লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে পাকিস্তান থেকে। যার বেশিরভাগই মাঝ আকাশে নষ্ট করেছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই অবস্থায় সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির বিমানবন্দর থেকে বিমান চালানো যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে সরকার। সে কথা মাথায় রেখেই আগামী ১৪ মে পর্যন্ত ৩২টি বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।

    কলকাতা বিমানবন্দরে জারি হাই অ্যালার্ট

    ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ আবহে কলকাতা বিমানবন্দরে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সিআইএসএফের সমস্ত কর্মীদের ছুটি। যারা ছুটিতে ছিলেন, তাদেরও ফিরে আসতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দর চত্বরে অ্যারাইভাল, ডিপারচারে কোন গাড়ি দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। অসামরিক উড়ান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে দেশের সমস্ত বিমানবন্দরগুলোতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। যাত্রীদের উড়ানের ৩ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছতে বলা হয়েছে। দেড় ঘণ্টা আগেই গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

  • India-Pakistan War: ভাসতে পারে শিয়ালকোট, চেনাবের ৪টি লকগেট খুলল ভারত, হু হু করে জল ঢুকছে পাকিস্তানে

    India-Pakistan War: ভাসতে পারে শিয়ালকোট, চেনাবের ৪টি লকগেট খুলল ভারত, হু হু করে জল ঢুকছে পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার স্ট্রাইকের পাশাপাশি পাকিস্তানে ‘ওয়াটার স্ট্রাইক’ (India-Pakistan War)। খুলে দেওয়া হল চন্দ্রভাগা বাঁধ। হু হু করে জল ঢুকছে পাকিস্তানে। ভারতের দিকে কুনজর দিলে, কী পরিণতি হতে পারে, তা জল-স্থল-আকাশপথে বুঝিয়ে দিচ্ছে ভারত। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের মিশাইল হানায় লন্ডভন্ড পাকিস্তানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর। এবার ভসে যেতে পারে চন্দ্রভাগার তীরবর্তী পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলা।

    বন্যার আশঙ্কা শিয়ালকোটে

    পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাত হিসাবেই প্রথমে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছিল ভারত সরকার। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সিন্ধু ও উপনদী চন্দ্রভাগা, ঝিলমের জল। পাকিস্তানের রাতারাতি শুকিয়ে মরার মতো অবস্থা হয়, কারণ এই নদীগুলির উপরই নির্ভরশীল পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিকাজ। এবার খুলে দেওয়া হল চন্দ্রভাগা বাঁধ। রামবানসহ জম্মু-কাশ্মীরের অনেক স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে কয়েকদিন ধরে । পাশাপাশি রামবানে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং ভূমিধ্বসের ঘটনাও ঘটেছে। এর ফলে জলের স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তাই বাঁধের লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। রামবানে সালাল বাঁধের চারটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ ছিল এই লকগেট। সেই লকগেটগুলো খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকগুন বেড়ে যায় চন্দ্রভাগার জল। যেকোনও মুহূর্তেই ভেসে যেতে পারে পাকিস্তানের শিয়ালকোট। এই আশঙ্কায় সেখানকার শয়ে শয়ে মানুষ নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।

    চন্দ্রভাগা নদীতে বেড়েছে জলস্রোত

    দুই দিন আগে, চেনাব বা চন্দ্রভাগার বাগলিহার বাঁধ আটকে জলের মর্ম বুঝিয়ে দিয়েছিল ভারত। কয়েক ঘণ্টা জল আটকে দেওয়ায় শুকিয়ে মরার আতঙ্কে হাহাকার করে উঠেছিল পাকিস্তান। সেদেশের কৃষি-শিল্পের অনেকটাই নির্ভর করে এই চেনাবের জলের উপর। এবার সেই চেনাবেরই চার চারটি লক গেট খুলে দিল ভারত। এর জেরে এবার বন্যায় ভাসতে পারে পাকিস্তান। জম্মুতে অতি ভারী বৃষ্টির পর পাকিস্তানে এখন বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চেনাব নদীতে নির্মিত বাগলিহার বাঁধের চারটি ফটক খুলে দেওয়া হয়েছে শুক্রবারই। বৃহস্পতিবার এই চেনাব নদীতেই নির্মিত রিয়াসি সালাল বাঁধের ৩টি ফটকও খুলে দেওয়া হয়। বাঁধের ফাটক দিয়ে প্রচুর পরিমাণে জল বের হচ্ছে। শুক্রবারের খবর অনুসারে, চন্দ্রভাগা নদীর উপর সালাল বাঁধের ৪টি লকগেট খুলে দিয়েছে ভারত। এর ফলে চন্দ্রভাগা নদীতে একলাফে বেড়েছে জলস্রোত। ভারত জল ছাড়ায় এবার পাকিস্তানের শিয়ালকোটে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতে পারে হু হু করে। এমন চলতে থাকলে পাকিস্তানের ওই অঞ্চল বন্যায় ভেসে যেতেও পারে।

  • India Pakistan War: হার্পির আতঙ্কে হাসি উড়েছে পাকিস্তানের, ইহুদি ড্রোনে ছিন্নভিন্ন চিনা-কবচ

    India Pakistan War: হার্পির আতঙ্কে হাসি উড়েছে পাকিস্তানের, ইহুদি ড্রোনে ছিন্নভিন্ন চিনা-কবচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর’-এর এক দিনের মাথাতেই লাহোরের (India Pakistan War) এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ধ্বংস করল নয়াদিল্লি। ইসলামাবাদের দাবি, এতে ইজরায়েলি মানববিহীন উড়ুক্কু যান ব্যবহার করেছে ভারতীয় সেনা। যদিও সরকারি ভাবে এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি কেন্দ্রের মোদি সরকার। সূত্রের খবর, লাহোরে সেনাছাউনি সংলগ্ন এলাকায় চিনের তৈরি এইচকিউ-৯পি নামের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ মোতায়েন রেখেছিলেন রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তারা। পাক গণমাধ্যমগুলির দাবি, ইজরায়েলি ‘হার্পি’ দিয়ে সেটি উড়িয়েছে ভারত।

    পাকিস্তানের আতঙ্ক

    পাক সেনার জনসংযোগ বিভাগের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি জানিয়েছেন, ইজরায়েলে তৈরি ওই ড্রোন দিয়ে একাধিক শহরকে নিশানা করে ভারতীয় বাহিনী। সেই তালিকায় ছিল করাচি, বহাওয়ালপুর, শিয়ালকোট এবং রাওয়ালপিন্ডি। এ প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ আরও বলেন, ‘‘ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়ে আগ্রাসন দেখিয়েছে ভারত। সেগুলির অধিকাংশকেই নিষ্ক্রিয় করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও একটি লাহোরের সেনাছাউনিতে ঢুকে পড়ে। সংশ্লিষ্ট ড্রোনটির বিস্ফোরণে চার জন সৈনিক আহত হন।’’

    হার্পির সুবিধা

    গত কয়েক বছর ধরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এই হাতিয়ারটিকে সযত্নে অস্ত্রাগারে সাজিয়ে রেখেছিল নয়াদিল্লি। মোক্ষম সময়ে এর এক আঘাতেই দিশেহারা পাকিস্তান, মুখ পুড়েছে বেজিঙেরও। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, ‘হার্পি’ ড্রোনে রয়েছে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর। একটানা ন’ঘণ্টা ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এর। লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করে বিশেষ একটি পদ্ধতিতে পরিকল্পনামাফিক বিভিন্ন কোণ থেকে আক্রমণ চালাতে সক্ষম ইজরায়েলের তৈরি এই মানববিহীন উড়ুক্কু যান। শুধু তা-ই নয়, হামলার সময়ে ‘গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম’-এর (জিএনএসএস) সাহায্যে একে নিষ্ক্রিয় করাও সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রতিকূল পরিবেশেও অপারেটরের সঙ্গে দিব্যি যোগাযোগ রেখে চলে ‘হার্পি’। একে যুদ্ধজাহাজ বা সামরিক ট্র্যাকের উপর বসানো লঞ্চার থেকে শত্রুর ঘাঁটির দিকে ছোড়া যায়। ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে গিয়ে নিখুঁত নিশানায় হামলা করতে সক্ষম ‘হার্পি’।

    হার্পির সংখ্যা এখন ১০০

    নির্মাণকারী সংস্থা হল ‘ইজরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ’। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে মানববিহীন এই আত্মঘাতী উড়ুক্কু যানটিকে বহরে সামিল করার কথা ঘোষণা করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর জন্য ১০ কোটি ডলার খরচ করেছিল কেন্দ্র। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথমে ১০টি ‘হার্পি’ ড্রোন সরবরাহ করে ইজরায়েল। ২০২০ সালের মধ্যে ফৌজের অস্ত্রাগারে ইজরায়েলি ‘হার্পি’-র সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়।

  • India Pakistan War: ‘সুদর্শন চক্রে’ ছিন্ন ভিন্ন পাক ক্ষেপণাস্ত্র! কীভাবে পাকিস্তানের আক্রমণ প্রতিহত করল ভারত?

    India Pakistan War: ‘সুদর্শন চক্রে’ ছিন্ন ভিন্ন পাক ক্ষেপণাস্ত্র! কীভাবে পাকিস্তানের আক্রমণ প্রতিহত করল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরই ভারতের ১৫টি শহরকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পাকিস্তান (India Pakistan War)। কিন্তু সেই ক্ষেপণাস্ত্র নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছোনোর আগেই সেগুলিকে নষ্ট করে দেয় ভারতের বহুস্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আর এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে রাশিয়ার এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সুদর্শন চক্রের (ভারতের দেওয়া নাম) আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয় যায় পাক ড্রোন ও বিমান। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ও পশ্চিম প্রান্তের সেনা ছাউনিগুলি লক্ষ্য করে আঘাত হানার চেষ্টা করে পাকিস্তান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এস -৪০০ থেকে মোট ৭২টি মিসাইল ছোড়া হয়। যেগুলির প্রায় সবক’টি নির্ভুলভাবে আঘাত করেছে পাকিস্তানের মিসাইল এবং ড্রোনকে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।

    সুদর্শন চক্রে আটকে গেল পাকিস্তান

    উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান (India Pakistan War)। তার মধ্যে ছিল অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা এবং ভুজ। কিন্তু পাকিস্তানের সেই হামলা পুরোপুরি ভেস্তে দেয় এ-৪০০। যা ভারতের আকাশকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে রেখেছে। ভারতীয় সেনায় এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুদর্শন চক্র’। আকাশপথে যে দিক থেকেই হামলা হোক না কেন, এস ৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই হামলাকে রুখে দিতে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে। রাশিয়া থেকে কেনা এই যুদ্ধাস্ত্র এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি সফল।

    পাকিস্তানের মোট আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ভারত

    বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের ১৫টি জায়গায় সেনা ছাউনিকে টার্গেট করেছিল পাকিস্তান। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে অবন্তীপোরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিণ্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই ও ভূজে হামলার চেষ্টা করে । কিন্তু সব অপচেষ্টা মাঝ আকাশেই ব্যর্থ করে দেয় ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। পাকিস্তানের মোট ৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র ভারত ধ্বংস করেছে। পাক হামলার নিশানায় ছিল মূলত জম্মু বিমানবন্দর, সাম্বা, আরএস পুরা, আরিনা এবং সংলগ্ন এলাকা। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ দিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আটকানো হয়েছে বলে খবর। বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান এবং পাঞ্জাবের কয়েকটি জায়গায় পর পর হামলায় চালায় পাকিস্তানি সেনা। সেই হামলাই প্রতিহত করেছে ভারত। পাল্টা আঘাতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাক বায়ুসেনার মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। ধ্বংস করা হয়েছে পাকিস্তানের দু’টি চিনা জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানও। ড্রোনের মাধ্যমেও হামলা চালানো হয়েছিল। তা-ও প্রতিহত করা হয়েছে। আখনুরে একটি ড্রোনকে গুলি করে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

    ব্ল্যাকআউট, সাইরেনের শব্দ

    সমগ্র জম্মু শহরে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জম্মু বিমানবন্দর, পঠানকোটের বায়ুসেনার ঘাঁটিতে সাইরেন বাজতে শুরু করে। সাইরেনের শব্দ শোনা গিয়েছে বারামুলা, কুপওয়ারার মতো এলাকাতেও। এ ছাড়া শহরের নানা প্রান্ত থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। শুধু জম্মু নয়, সীমান্ত সংলগ্ন পঞ্জাবের বিভিন্ন অংশেও ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের ডেপুটি কমিশনার আশিকা জৈন জানিয়েছেন, বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শহরে ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত ‘ব্ল্যাকআউট’ চলবে। অমৃতসরেও ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। জম্মুর বিমানবন্দর, সামবা, আরএস পুরা, আর্নিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে।

    সুদর্শনের সহায়তায় অন্যরা

    এরইমধ্যে আবার সুপারসনিক ব্যালাস্টিক মিসাইল নিয়েও উধমপুরে হামলা চালায় পাকিস্তান। রাজস্থান, পাঞ্জাব, কাশ্মীর সহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে পাক আক্রমণের খবর আসতে থাকে। কিন্তু, ভারতের ডিফেন্স সিস্টেম ভেদ করে কিছুতেই ভারতীয় ভূখণ্ডে হামলা করতে পারেনি পাক সেনা। তার আগেই এস-৪০০ এর পাশাপাশি পাকিস্তানকে প্রতিহত করতে মাঠে নেমে পড়ে এল-৭০, জেডএসইউ-২৩, শিলকার মতো শক্তিশালী সব ডিফেন্স সিস্টেম।

    কোথায় পাক প্রধানমন্ত্রী

    জয়সলমিরে পাকিস্তানের (India Pakistan War) ঘাতক যুদ্ধবিমান এফ-১৬ নামিয়ে আনা হয়। লাহোর, ইসলামাবাদ, শিয়ালকোটে পাল্টা মিসাইল হামলা চালায় ভারত। জ্বলন্ত ছবি ধরা পড়ে ক্যামেরায়। বাহাওয়ালপুরের সেনা ক্য়াম্পেও হামলা চলে। এরইমধ্যে শোনা যায় ইসলামাবাদ সহ পাকিস্তানের ৭ শহরে হানা দিয়েছে ভারতীয় সেনা। খবর আসে, বাঙ্কারে লুকিয়ে পড়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শহবাজ শরিফ। সূত্র মারফত এও জানা যায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আসিফ মুনির।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বেঠক সেনাপ্রধানের

    বৃহস্পতিবার রাতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মার্কিন আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা বলেন। এরইমধ্যে তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বড় বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ইসলামাবাদের মিসাইল হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের একের পর এক শহরে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। আর উত্তেজনার এই পরিবেশেই এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এই বৈঠক হয়। সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি ও সামরিক বাহিনীর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনাপ্রধানের আলোচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • India Pakistan War: ব্যর্থ চেষ্টা! পাক বায়ুসেনার ১টি এফ-১৬, দুটি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান, ১টি অ্যাওয়াক্সকে নামাল ভারত

    India Pakistan War: ব্যর্থ চেষ্টা! পাক বায়ুসেনার ১টি এফ-১৬, দুটি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান, ১টি অ্যাওয়াক্সকে নামাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিমান হামলা প্রতিহত করল ভারত (India Pakistan War)। ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনা একযোগে পাকিস্তানের একটি এফ-১৬ ফাইটার জেট এবং দুইটি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান গুলি করে নামায় (F-16 shot down)। এছাড়াও, পাকিস্তানের জন্য এক বড় কৌশলগত আঘাত হিসেবে, পাঞ্জাব প্রদেশের অভ্যন্তরে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি নজরদারি বিমান, অ্যাওয়াক্স (AWACS) বিমানও নামানো হয়েছে। যা ইসলামাবাদের আকাশসীমায় নজরদারির ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেবে অনেকটাই।

    একাধিক জায়গায় হামলার চেষ্টা 

    জম্মু, রাজস্থান ও পাঞ্জাবের একাধিক এলাকায় (Jammu drone attack) বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে পাকিস্তানের (India Pakistan conflict) তরফে চালানো হয় একাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী এই হামলা রুখে দেয় এবং পাল্টা আক্রমণ চালায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, হামাসের মতোই হামলা চালায় পাকিস্তান। ভারতের শক্তিশালী এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (সুদর্শন চক্র), LU-70, ZSU-23-4 এবং অন্যান্য মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে অন্তত ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে (Pakistani missiles)।

    নামানো হল পাকিস্তানের এফ-১৬ বিমান

    এফ-১৬ (F-16) হল মাল্টিরোল অ্যাডভান্সড কমব্যাট ফাইটার। পরমাণু অস্ত্র বা মিসাইল বহনে সক্ষম। ১৯৭৮ সালে প্রথম আমেরিকায় তৈরি হয় এই মার্কিন যুদ্ধবিমান। ১৯৮৩ সালে আমেরিকার থেকে সেই যুদ্ধ বিমানের আধুনিক ভার্সান কেনে পাকিস্তান। যে যুদ্ধবিমানে রয়েছে ২০এমএম মাল্টিব্যারেল ক্যানন যা ৫০০ রাউন্ড পর্যন্ত ফায়ার করতে পারে। এফ ১৬-এ ৬টি আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমিতে ছোঁড়ার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। সর্বোচ্চ ২১ হাজার ৭৭২ কিলোগ্রাম ওজনের অস্ত্রবহনে সক্ষম এই যুদ্ধ বিমান। ৩ হাজার ২২২ কিলোমিটার দূরে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এফ ১৬। সর্বোচ্চ ৫০ হাজার ফুট পর্যন্ত উড়তে পারে। শব্দের দ্বিগুণ বেগে ওড়ে। ঘণ্টায় এর সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ২ হাজার ৪১৪ কিমি। আমেরিকায় তৈরি, বিশ্বের অন্যতম পরীক্ষিত এই এফ ১৬ বিমানকেই গুলি করে ভারতীয় ভূখণ্ডে নামিয়ে আনে ভারতীয় সেনা।

    চিন থেকে কেনা  জেএফ ১৭ যুদ্ধবিমানও ব্যর্থ

    পাশাপাশি গুলি করে নামানো হয়েছে পাকিস্তানের ২টি জেএফ ১৭ যুদ্ধবিমান। সিঙ্গল ইঞ্জিন, মাল্টি-রোল এই ফাইটার জেট, চিনের থেকে কিনেছিল পাকিস্তান। ওজনে হাল্কা, দৈর্ঘ্য় প্রায় ১৪.৯ মিটার, দেড় হাজার কেজি অস্ত্র বহনে সক্ষম। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১ হাজার ৯১০ কিমি। আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমিতে ছোড়ার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে জেএফ ১৭ বিমানে। রয়েছে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্রও (India Pakistan War)। যা আকাশ থেকে লক্ষ্য়বস্তুতে আঘাত হানতে পারে। চিন থেকে কেনা যুদ্ধবিমান, জেএফ ১৭-এ রয়েছে আধুনিক এভিওনিক্স, কম্পিউটারাইজড ফ্লাইট কন্ট্রোল, হেড-আপ ডিসপ্লে, ডেটা লিঙ্ক এবং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম। এত ক্ষমতা সম্পন্ন ফাইটার জেট ভারতে ঢোকামাত্র, কুপোকাত হয়ে গেল। গুলি করে শত্রুর যুদ্ধ বিমান এক নিমেষে মাটিতে নামিয়ে আনল ভারতীয় সেনা।

LinkedIn
Share