Tag: Pahalgam Terror Attack

  • India Pakistan: ‘‘রাত আড়াইটের সময় মুনিরের ফোন…’’, নূর খানে ভারতের প্রত্যাঘাতের কথা মানলেন শরিফ

    India Pakistan: ‘‘রাত আড়াইটের সময় মুনিরের ফোন…’’, নূর খানে ভারতের প্রত্যাঘাতের কথা মানলেন শরিফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রতি আক্রমণে দিশেহারা পাকিস্তান (India Pakistan)। অপারেশন সিঁদুর যে কতটা নিখুঁত তা মেনে নিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। মধ্য রাতে পাক জেনারেল আসিম মুনিরের ফোনেই তিনি বুঝেছিলেন ইসলামাবাদ নিরাপদ নয়। নিজেই বললেন শরিফ (Shahbaz Sharif)। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভারতের ক্রমাগত প্রত্যাঘাতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বিশেষত পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিগুলিকে দুরমুশ করে ছেড়েছে ভারত। আর সব থেকে বড় ঘা, হল রাজধানী ইসলামাবাদ সংলগ্ন নূর খান ছাউনিতে ভারতের প্রত্যাঘাত। সেখানে আঘাত হানতেই সংঘর্ষবিরতিতে মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তান।

    রাত আড়াইটা নাগাদ ফোন

    বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya) এই বিষয়টি শুক্রবার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে উল্লেখ করেন। মালব্য লেখেন, ‘‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজেই স্বীকার করেছেন, জেনারেল আসিম মুনির তাঁকে রাত আড়াইটা নাগাদ ফোন করে জানিয়েছিলেন যে, ভারত নূর খান বিমান ঘাঁটি এবং আরও বেশ কয়েকটি স্থানে বোমা হামলা চালিয়েছে। … প্রধানমন্ত্রী মাঝরাতে পাকিস্তানের ভেতরে হামলার খবর পেয়ে ঘুম থেকে উঠেছিলেন। এটি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর নির্ভুল লক্ষ্য এবং বিক্রমের প্রমাণ।’’

    কী বলেছিলেন শরিফ

    পাকিস্তান (India Pakistan) মনুমেন্টে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় শরিফ (Shahbaz Sharif) জানান, ৯ মে এবং ১০ মে রাত। সময় তখন আড়াইটা মতো। ফোন করে তাঁকে ঘুম থেকে তোলেন জেনারেল আসিম মুনির। ধড়মড়িয়ে উঠে শরিফ জানতে পারেন, ভারত একেবারে পাকিস্তানের ভূখণ্ডের ভেতরে ঢুকে প্রত্যাঘাত করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘৯/১০ তারিখ রাতে, জেনারেল আসিম মুনির আমাকে ফোন করে জানান যে ভারত নূর খান বিমানঘাঁটি সহ আমাদের বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক বোমা হামলা চালিয়েছে।’’ নূর খান ছাউনি পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ক্ষেত্র। এটাই সেনা বাহিনীর প্রধান পরিবহণ কেন্দ্র। আকাশে থাকা অবস্থায় কোনও যুদ্ধবিমানের জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে এই নূর খান ছাউনি থেকেই জ্বালানি নেয় তারা। আর এই ছাউনি থেকে ইসলামাবাদ খুব দূরে নয়। তাই এই হানা কার্যত পাকিস্তানের বুকে তীর মেরে দেওয়ার সামিল। ভারতের সেনা বাহিনী সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেও , মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন শরিফরা। অবশেষে সারা বিশ্বের সামনে সত্যিটা মেনে নিল পাকিস্তান।

  • Rajnath Singh: ‘পাকিস্তানকে সাহায্য করার মানে সরাসরি সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্য’, আইএফমএফ-এর ঋণ নিয়ে সরব রাজনাথ

    Rajnath Singh: ‘পাকিস্তানকে সাহায্য করার মানে সরাসরি সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্য’, আইএফমএফ-এর ঋণ নিয়ে সরব রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার আইএমএফ-এর উচিত পাকিস্তানেকে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা। যে ঋণ আইএমএফ (Rajnath to IMF) ইসলামাবাদকে দিচ্ছে তা দিয়ে জঙ্গি নেটওয়ার্ক পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা করবে পাকিস্তান। সাহায্য করা হবে জঙ্গি মাসুদ আজহারকে। আন্তর্জাতিক মহল যদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে চায়, তাহলে কখনওই পাকিস্তানকে ঋণদান সঠিক নয়। শুক্রবার ভুজের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে দাঁড়িয়ে এই দাবি করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।

    জঙ্গিদের মদতেই ব্যবহৃত হবে টাকা

    ‘জঙ্গিদের মদতদাতা’ পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলার ঋণ মঞ্জুর করেছে আইএমএফ। এবার সেই ঋণ নিয়ে সরব হলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। গুজরাটের ভুজ এয়ারবেসে দাঁড়িয়ে রাজনাথ (Rajnath Singh) বললেন, “আইএমএফ পাকিস্তানকে অর্থসাহায্য করছে মানে পরোক্ষে সেই সন্ত্রাসবাদকেই মদত দেওয়া হচ্ছে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাফ কথা, “পাকিস্তানকে যে কোনও ধরনের সাহায্য করার অর্থ সরাসরি সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্য করা। ওরা সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো পুনর্গঠনের জন্য মাসুদ আজহারকেও অর্থ সাহায্য ঘোষণা করেছে। ভারত চায়, নিজেদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুক আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার।” পাকিস্তানকে আইএমএফের ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে রাজনাথের দাবি, ‘‘পাক সরকার মুরিদ এবং বহাওয়ালপুরের দুই জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি পুনর্নিমাণের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আইএমএফ থেকে পাওয়া অর্থের একটা বড় অংশ অবশ্যই ওই ঘাঁটি পুনর্নিমাণের জন্য ব্যবহার করা হবে।’’ রাজনাথ আরও বলেন, ‘‘পাক সরকার সাধারণ করদাতাদের ১৪ কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে তাও সেটা মাসুদ আজহারের পরিবারকে দেওয়ার জন্য। যে কি না রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকায় থাকা আন্তর্জাতিক জঙ্গি। সেই পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়া কি ঠিক?’’

    কেন টাকা নিয়ে আপত্তি ভারতের

    পাকিস্তানের অর্থনীতির কোমর ভেঙেছে বহু আগেই। গত কয়েক বছর ধরে আইএমএফের ঋণের উপর টিকে রয়েছে শাহবাজের দেশ। সেই ধারা অব্যাহত রেখে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ফের আইএমএফের কাছে যায় ইসলামাবাদ। তবে সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তানকে যাতে এই ঋণ না দেওয়া হয় তার জন্য স্পষ্ট যুক্তি দেওয়া হয় ভারতের তরফে। উল্লেখ্য, গত ৯ মে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসেছিল আইএমএফের ঋণ সংক্রান্ত বোর্ড। সেখানেই ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, আইএমএফের ঋণ পাওয়ার যে শর্ত থাকে, তা মানতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। অভিযোগ করা হয়, অতীতেও একাধিকবার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। তবে সেই অর্থ তারা সঠিক কাজে ব্যবহার করেনি। সরাসরি সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগানের আশঙ্কা প্রকাশ করে ভারত জানায়, এই অর্থ পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে অপব্যবহার করতে পারে ফলে এই ঋণ কোনওভাবেই দেওয়া উচিত নয়। তবে, শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলার ঋণ মঞ্জুর করেছে আইএমএফ। অনেকে এর নেপথ্যে আমেরিকার হাত দেখছে। ভারত ফের ওই ঋণ নিয়ে আপত্তি জানাল। আগামী দিনে আন্তর্জাতিক মহলেও এ নিয়ে সরব হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

    ব্রহ্মসের ক্ষমতা দেখল পাকিস্তান

    শুধু তা-ই নয়, রাজনাথের (Rajnath Singh) আরও দাবি, ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তির কাছে মাথা নত করেছে পাকিস্তান। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান ব্রহ্মসের ক্ষমতা মেনে নিয়েছে। আমাদের দেশে একটা কথা রয়েছে, ‘দিনে তারা দেখা’। ভারতে তৈরি ব্রহ্মস পাকিস্তানকে দেখিয়েছে রাতের অন্ধকারে কেমন আলো।’’ অনেকের মতে, গত ৭ মে রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালানো হয়, সেখানে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা স্বীকার করলেন রাজনাথ। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জন্য বিমানবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজনাথ। তিনি বলেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি, যা ঘটেছে তা কেবল ট্রেলার ছিল।’’

    ২৩ মিনিটই যথেষ্ট

    বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকেই পাকিস্তানকে নিশানা করে সেনার উদ্দেশ্যে রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, ‘‘২৩ মিনিটই যথেষ্ট ছিল। যতক্ষণে মানুষ প্রাতঃরাশ করেন, ততক্ষণে ভারতীয় বায়ুসেনা দেশের শত্রুদের শেষ করে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জমানায় প্রতিরক্ষা বিষয়ে ভারতের ভাবনা ও কার্যক্ষমতার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এই ক্ষেত্রে আমরা ভগবান রামের আদর্শেই চলি। আপনারা শত্রুদের দেশে গিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছেন। এর প্রতিধ্বনি কেবল ভারতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, সমগ্র বিশ্ব তা শুনেছে। সেই প্রতিধ্বনি কেবল ক্ষেপণাস্ত্রের নয় বরং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানদের বীরত্বেরও ছিল।’’

     

     

     

     

  • Pakistan Army Headquarters: রাওয়ালপিন্ডি থেকে সরছে পাক সেনার সদর দফতর! ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হানার জের?

    Pakistan Army Headquarters: রাওয়ালপিন্ডি থেকে সরছে পাক সেনার সদর দফতর! ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হানার জের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র চার দিনের লড়াইয়ে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ দশা! পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিগুলিতে আগুন ঝরিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। একের পর এক বায়ুসেনার ছাউনি গুঁড়িয়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে পাকিস্তান। নূর খানে হামলা আটকাতে ব্যর্থ হওয়ায় রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরও যে মোটেই নিরাপদ নয়, তা স্পষ্ট বুঝে যান ইসলামাবাদের ফৌজি অফিসারেরা। তাই ভারতের সাম্প্রতিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী সদর দফতর (Pakistan Army Headquarters) স্থানান্তরের কথা বিবেচনা করছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ভারতের এই হামলা পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত হেনেছে।

    কেন এই পরিবর্তন?

    রাওয়ালপিন্ডির চকলালা এলাকায় অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার (GHQ), যা যৌথ বাহিনীর সদর দফতরের নিকটবর্তী। এই ঘাঁটির পাশেই অবস্থিত নূর খান বিমানঘাঁটি, যা ভিআইপিদের আসা-যাওয়া ও সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে আসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল একে ভারতী নূর খান ঘাঁটির পূর্ব ও বর্তমান অবস্থার স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এই ঘাঁটি পাকিস্তানের সুরক্ষা ও নজরদারি ব্যবস্থার কেন্দ্র ছিল। পাকিস্তানের পাল্টা ভারতের হামলায় এই ঘাঁটির অবস্থা খুবই খারাপ। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ভারতের এই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে রেডার ফাঁকি দিয়ে ভারতের ড্রোনের নিচু উচ্চতায় ঢুকে পড়া, পাক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে পাশ কাটিয়ে হামলা করা পাকিস্তানকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।

    রাওয়ালপিন্ডিতে ভারতের ড্রোন হামলা

    পাক বিমানবাহিনীর এই ঘাঁটিগুলির মধ্যে চকলালার নূর খান ছাউনিটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী ইসলামাবাদ (Pakistan Army Headquarters) থেকে এর দূরত্ব মেরেকেটে ১০ কিলোমিটার। একে পাক বায়ুসেনার সদর দফতর বললে অত্যুক্তি করা হবে না। শুধু তা-ই নয়, অধিকাংশ বড় অপারেশনে মুখ্য ভূমিকা থাকে নূর খান ঘাঁটির। সংশ্লিষ্ট ছাউনিটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতর রাওয়ালপিন্ডির গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে। গত ৮ মে তারিখে ড্রোন দিয়ে যেসব স্থানে হামলা চালানো হয়েছিল তার মধ্যে ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানস ডিভিশন (এসপিডি) এবং রাওয়ালপিন্ডিতে কাশ্মীর নিয়ে কাজ করা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর একটি জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স-নর্থ উইং, পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডারের বাসভবন, অ্যাটক জেলার ন্যাশনাল ডিফেন্স কমপ্লেক্স (এনডিসি), যা ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ট্রান্সপোর্টার-ইরেক্টার-লঞ্চার যান তৈরি করে। এই হামলা ইসলামাবাদে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনা সদর দফতরের কাছে নয়াদিল্লি আঘাত হানতেই সংঘর্ষবিরতিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন  ইসলামাবাদের সেনাকর্তারা। এবার তারা ভাবছে কী করে সেনা সদর দফতর সরানো যায়।

    পাকিস্তানের দুর্বলতা প্রকাশ

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ আপাতত স্থগিত রেখেছে ভারত। কেউ কেউ একে সংঘর্ষবিরতি বলতেই পারেন, কিন্তু প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষজ্ঞরা এই শব্দটি এড়িয়ে যাচ্ছেন। যুদ্ধের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এটাকে শুধু বিরতি বলে বর্ণনা করা যাবে না বরং বলা যায় এটি বিরল এবং কৌশলগত স্থগিতাদেশ। ভারত বারবার দাবি করেছিল, পাকিস্তানের পক্ষ থেকেই সংঘর্ষ বিরতির আবেদন করা হয়ছিল। ভারতের আঘাত সইতে পারেনি ইসলামাবাদ। এখন তাদের সেনা সদর দফতর সরানোর পরিকল্পনাই প্রমাণ করে ভারেতর দাবি সত্য। গত ৮ এবং ৯ মে রাতে ভারতের একাধিক বায়ুসেনাঘাঁটিকে নিশানা করে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। এর পরই পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটির আকাশসীমায় ঢুকে একের পর এক ছাউনিতে হামলা চালান ভারতের পাইলটেরা। ফলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে ইসলামাবাদ। বেশ কিছু গণমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমে হামলার সময়কার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেখানে পাক বায়ুসেনাছাউনিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে।

    পাক সেনাবাহিনীর গ্রহণযোগ্যতা কমছে

    পাকিস্তানের ঘরের ভিতরে ঢুকে ভারতের এই হামলা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর (Pakistan Army Headquarters) জন্য বড় ধাক্কা। ফলে পাক সেনাবাহিনী এখন ঢেলে সাজানোর কথা ভাবছে ইসলামাবাদ। নেতৃত্ব পরিবর্তন, সদর দফতর স্থানান্তর তারই অঙ্গ। পাকিস্তান চাইছে তাদের সমরাস্ত্র এক জায়গায় না রেখে পাহাড়ঘেরা অঞ্চল যেমন বেলুচিস্তান বা খাইবার পাখতুনখোয়ায়র কোনও জায়গায় রাখতে। ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে রাওয়ালপিন্ডি একটি ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল। যে কোনও সময় এখানে হামলা হতে পারে। তাই এখানে পরমাণু অস্ত্র রাখাও সুরক্ষিত নয়। ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পর পাকিস্তান সেনার সদর দফতর সরানোর পরিকল্পনা ইসলামাবাদের দুর্বলতা স্পষ্ট করে। এই কাজ তাদের সামরিক ভাবমূর্তিতে বড় ধাক্কা দেবে, বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেনা সদর দফতর স্থানান্তর একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। ঋণে ডুবে থাকা অর্থনীতির জন্য এটি অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ বালোচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহস জোগাবে এবং সাধারণ মানুষের সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা কমাবে।

  • India-Afghanistan Relation: প্রথমবার তালিবানের সঙ্গে কথা জয়শঙ্করের, ভারতের এই নীতিতে চাপে পাকিস্তান?

    India-Afghanistan Relation: প্রথমবার তালিবানের সঙ্গে কথা জয়শঙ্করের, ভারতের এই নীতিতে চাপে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) কথা বললেন তালিবানের (India-Afghanistan Relation) ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে। এই প্রথম ভারতের কোনও মন্ত্রী তালিবান প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি কথা বললেন। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা বাড়তেই কৌশলে কূটনৈতিক চাল দিল মোদি সরকার। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার প্রকাশ্যে নিন্দা করেছিল কাবুল। তার জন্যই আফগানিস্তানকে ধন্যবাদ জানান বিদেশমন্ত্রী।

    তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা

    আফগান (India-Afghanistan Relation) মুলুকে তালিবান ফের ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি কথা হল। চলতি ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দুই মন্ত্রীর এই কথোপকথনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর তার নিন্দায় সরব হয়েছিল তালিবান সরকার। সমাজমাধ্যমে বিদেশমন্ত্রী লেখেন, “পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার নিন্দা জানানোর জন্য তাঁকে (তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী) ধন্যবাদ জানাই।” এর পাশাপাশি আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের ‘চিরন্তন’ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে দুই দেশের বোঝাপড়া আরও নিবিড় করার বার্তাও দিয়েছেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এরই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের মাধ্যমে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। পাকিস্তানের তরফে এই চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই প্রচেষ্টাকে আমল দেয়নি আফগানিস্তান।

    কী বলল আফগানিস্তান

    ২০২১ সালের ১৫ অগাস্ট তালিবান (India-Afghanistan Relation) ফের একবার দখল নেয় আফগানিস্তানের। শুরু হয় তালিবান শাসন। এখনও পর্যন্ত ভারত এই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। সেখানেই এবার সরাসরি আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar)। তালিবানের জনসংযোগ আধিকারিক হাফিজ জিয়া আহমেদ জানিয়েছেন, আফগান বিদেশমন্ত্রী মুত্তাকি ভারতের বিদেশমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন যে আরও আফগান নাগরিকদের যেন ভিসা দেওয়া হয়, বিশেষ করে যারা চিকিৎসা করাতে ভারতে আসতে চান। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, ভারতে বন্দি আফগানদের মুক্তি দেওয়া এবং ইরানের চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে তাঁদের সঙ্গে জয়শঙ্করের কথা হয়েছে।

    কৌশলী চাল ভারতের

    নয়া তালিবান শাসনে পাকিস্তানের (Pakistan) মাথাব্যথা বেড়েছে আফগানিস্তানকে (India-Afghanistan Relation) নিয়ে। পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশ একাধিক বার বিদ্রোহী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান -এর হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে। তালিবান সরকারের বিরুদ্ধে এই গোষ্ঠীকে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ইসলামাবাদ। অন্য দিকে, এখনও কূটনৈতিক স্বীকৃতি না-দিলেও তালিবান সরকারের সঙ্গে আলোচনার দরজা বন্ধ করে দেয়নি ভারত। এই আবহে পাকিস্তানকে আরও কোণঠাসা করতে নয়াদিল্লি কাবুলকে কাছে টানতে চাইছে, বলে অনুমান কূটনৈতিক মহলের।

  • Rajnath Singh: পাকিস্তানের কাছে পরমাণু অস্ত্র কি আদৌ নিরাপদ! কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন রাজনাথের

    Rajnath Singh: পাকিস্তানের কাছে পরমাণু অস্ত্র কি আদৌ নিরাপদ! কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের মতো দেশের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা কি আদৌ নিরাপদ? শ্রীনগরে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্ন তুললেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে যান তিনি। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর রাজনাথ এই প্রথম উপত্যকায় গেলেন। ভারতীয় সেনার চিনার কর্পসের সদর দফতরে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।

    পাকিস্তানের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন

    জওয়ানদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “আজ শ্রীনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে গোটা বিশ্বের কাছে একটা প্রশ্ন করতে চাই। দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং দুর্বৃত্ত মানসিকতাসম্পন্ন কোনও দেশের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকাটা কি আদৌ নিরাপদ? আমার মনে হয় আইএইএ (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি)র উচিত পাকিস্তানের সমস্ত পারমাণবিক অস্ত্রের উপর নজর রাখা।” প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক এই সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পারমাণবিক কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালিয়ে থাকে। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেছিলেন যে পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি আর মোটেও মেনে নেবে না ভারত। উল্লেখ্য, পাক সেনাবাহিনী ভেঙে পড়লে পারমাণবিক অস্ত্রের অপব্যবহার হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে গোটা দুনিয়া। তাই রাজনাথের দাবি, পরমাণু ভাণ্ডারের উপর নজরদারি চালানো সংস্থা বিশেষ করে সতর্ক হোক পাকিস্তানকে নিয়ে।

    সেনাবাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা

    এদিন সেনাবাহিনীর সাহসিকতারও ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজনাথ। সেনার উদ্দেশে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “অপারেশন সিঁদুরে আপনারা যা করেছেন, তার জন্য গোটা দেশ গর্বিত।” বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের বাদামিবাগ সেনাছাউনি ঘুরে দেখেন রাজনাথ। এই সেনাছাউনিতেই ধেয়ে এসেছিল পাকিস্তানের গোলা। সেই গোলার অংশ দেখেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। কাশ্মীরকে ভারতের মাথা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের মাথায় মেরেছিল, আমরা ওদের ছাতি ফালাফালা করে দিয়েছি।”

    সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করাই লক্ষ্য

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বীর জওয়ানদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজনাথ বলেন, “পহেলগাঁওয়ে নিহত সাধারণ নাগরিকদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করি। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) একটা অঙ্গীকার। ওরা ধর্ম দেখে নিরীহ মানুষদের মেরেছে কিন্তু আমরা কর্ম দেখে জঙ্গিদের মেরেছি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এটি ভারতের সবচেয়ে বড় অভিযান। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে আমরা যে কোনও সীমা পর্যন্ত যাব। পাকিস্তানকে অবিলম্বে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে হবে।” ইসলামাবাদের দাবি মোতাবেক, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ক‌োনও আলোচনা হবে না বলেও স্পষ্ট করে দেন রাজনাথ। বলেন, “কথা হবে সন্ত্রাসবাদ আর পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) নিয়ে।”

  • India Turkey Relation: অকৃতজ্ঞ! কেন্দ্রের আতসকাচের তলায় ভারতে ‘পাক-প্রেমী’ তুরস্কের বহু প্রকল্প

    India Turkey Relation: অকৃতজ্ঞ! কেন্দ্রের আতসকাচের তলায় ভারতে ‘পাক-প্রেমী’ তুরস্কের বহু প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের পাহেলগাঁও হামলার পর ভারতের (India Turkey Relation) ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে তুরস্কের সঙ্গে একাধিক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক চুক্তি এখন সঙ্কটে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তুরস্কের সঙ্গে সব প্রকল্পের ওপরই কঠোর নজরদারি করছে মোদি সরকার। সূত্রের খবর, টানেল নির্মাণ, মেট্রো রেল, তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিমান পরিবহণসহ বিভিন্ন খাতে চলমান তুরস্কের বিনিয়োগ পুনর্মূল্যায়ন করতে চলেছে কেন্দ্র। এই পর্যালোচনার পেছনে রয়েছে তুরস্কের ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তান-প্রীতি বক্তব্য ও ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান।

    প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন

    তুরস্ক (India Turkey Relation) প্রাথমিকভাবে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলাকে “সন্ত্রাসী কার্যকলাপ” হিসেবে নিন্দা জানিয়েছিল, পরে তাদের অবস্থান ভারতীয় কূটনীতিক মহলে সন্দেহ সৃষ্টি করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এরদোগান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে পাহেলগাঁও হামলার পরে সাক্ষাৎ করেন। নয়াদিল্লির মতে এই সাক্ষাত পাকিস্তানের প্রতি প্রকাশ্যে তুরস্কের সংহতির বার্তা বহন করে। তুরস্ক অপারেশন সিঁদুরকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর “অন্যায্য আঘাত” হিসেবে অভিহিত করে। এর পরপরই ৮–৯ মে রাতে পাকিস্তান তুরস্ক-নির্মিত ড্রোন দিয়ে ভারতের বিভিন্ন সামরিক ও অসামরিক স্থাপনায় নজিরবিহীন হামলা চালায়। লেহ থেকে গুজরাটের স্যর ক্রিক পর্যন্ত ৩৬টি স্থানে হামলা চালানো হয়। এই হামলায় পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে একটি পরিবারের তিন সদস্য আহত হন। এই ঘটনার জেরে মোদি সরকার এখন ভারতের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে যুক্ত তুরস্কের কোম্পানিগুলোর ভূমিকা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা শুরু করেছে। প্রায় ১০.৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।

    অকৃতজ্ঞ তুরস্ক

    পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। তার জেরে পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। সেই সময়ই তুরস্ক পাশে দাঁড়ায় পাকিস্তানের। অথচ, বছর দুয়েক আগের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে যখন তছনছ হয়ে গিয়েছিল তুরস্কের বিস্তীর্ণ অংশ, তখন সবার প্রথমে ত্রাণ নিয়ে সে দেশে হাজির হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। সেই কারণে অন্তত ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল তুরস্কের। তা না করে তারা সমর্থন করল ইসলামাবাদকে।

    কোন কোন চুক্তিতে প্রশ্নচিহ্ন

    বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইন্ডিয়া ব্র্যান্ড ইক্যুইটি ফাউন্ডেশনের (IBEF) ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তুরস্ক থেকে ভারতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) এসেছে ২৪০.১৮ মিলিয়ন ডলার। এই বিনিয়োগ মূলত নির্মাণ, উৎপাদন, বিমান চলাচল, মেট্রো রেল এবং শিক্ষা ও গণমাধ্যমের মতো জ্ঞানভিত্তিক খাতে কেন্দ্রীভূত। গত এক দশকে ভারত ও তুরস্কের মধ্যে বহু সমঝোতা চুক্তি (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আফিম বীজের বাণিজ্য, টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও কূটনৈতিক সহযোগিতা। তবে এখন এই সম্পর্কে চির ধরছে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “তুরস্ক প্রতিষ্ঠান যুক্ত সব প্রকল্প এখন সরকারের বিশেষ পর্যালোচনার আওতায়। সরকারি ও বেসরকারি খাতের সব চুক্তির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।” এই পর্যালোচনায় রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের অটল টানেলের ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল অংশে ২০২০ সালে যুক্ত তুরস্কের একটি কোম্পানি এবং ২০২৪ সালে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (RVNL) সঙ্গে একটি মেট্রো প্রকল্পে তুরস্কের অংশীদারিত্ব।

    ভারতের অবস্থান স্পষ্ট

    তুরস্কের (India Turkey Relation) কাশ্মীর ইস্যুতে বারবার হস্তক্ষেপ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ফলে এই কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক কৌশলগত পুনর্মূল্যায়ন আরও জোরালো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, জম্মু ও কাশ্মীর এবং দিল্লি – অন্তত পাঁচটি রাজ্যে তুরস্কের বিনিয়োগ রয়েছে। এইসব রাজ্যে মেট্রো প্রকল্প, বিমানবন্দর পরিচালনা এবং উৎপাদন কেন্দ্রের মতো উচ্চ-প্রোফাইল প্রকল্পে তুরস্কের অংশীদারিত্ব রয়েছে। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ভারত সফরকালে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো এখন অনেকটাই অর্থহীন হয়ে উঠেছে। সরকারি সূত্র মতে, এখন পর্যন্ত কোনও প্রকল্প বাতিলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও, স্পষ্ট যে ভারত ধীরে ধীরে তুরস্কের অংশীদারিত্ব থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। “ভারত এখন বৈশ্বিক অবস্থান স্পষ্ট করছে। যে কোনও অংশীদারিত্ব ভারতের কৌশলগত স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে তা আস্তে আস্তে বাতিলের পথে যেতে পারে” বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। ভারত-পাক ‘যুদ্ধ’-এ সংঘর্ষবিরতির চার দিন পর পাঞ্জাবের আদমপুরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন, ‘সন্ত্রাস এবং আলোচনা’, ‘সন্ত্রাস এবং বাণিজ্য’ একসঙ্গে চলতে পারে না।

    তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মৌ চুক্তি বাতিল

    ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে সম্প্রতি তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মৌ চুক্তি বাতিল করে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ৷ জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাতে তুরস্ক ও চিনের তৈরি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে ৷ যদিও তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং সেনাবাহিনী ৷ পাকিস্তানের ছোড়া সশস্ত্র ড্রোন, ইউএভি-র বেশ কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছে ৷ সেগুলি পরীক্ষা করে ভারত জানতে পেরেছে, ওই ড্রোনগুলি পাকিস্তানকে সরবরাহ করেছে তুরস্ক ৷ তুরস্কের এই ভারত-বিরোধী অবস্থানের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে বয়কটের ডাক দিয়েছে পর্যটন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যবসায়ী সংগঠন ৷ কার্যত একই পথে হেঁটেছে জেএনইউ ৷

    মার্বেল ব্য়বসায়ীরা মুখ ঘোরাচ্ছে

    জেএনইউ-এর এক শীর্ষ কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, “আমরা তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে করা মৌ চুক্তি বাতিল করেছি ৷ এই চুক্তির আওতায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অধ্যাপক আদান-প্রদানের পরিকল্পনা ছিল ৷ পাশাপাশি দুই দেশের পড়ুয়ারা দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগও পেতেন ৷ কিন্তু এখন আর তা হবে না ৷” চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি এই চুক্তি হয় ৷ দুই দেশের সাংস্কৃতিক গবেষণা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতাকে শক্তিশালী করতে ভারত-তুরস্কের এই চুক্তি হয়েছিল ৷ ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেই সম্পর্ক ছিন্ন করল জেএনইউ ৷ অন্যদিকে, রাজস্থানের মার্বেল ব্য়বসায়ীরা তুরস্কর থেকে মার্বেল পাথর আনতে চাইছেন না ৷ আপেল ও শুকনো ফলের ব্যবসায়ীরাও একই পথে হেঁটেছেন ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল- তিন মাসে ভারত-তুরস্কের মধ্যে ৫.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি বাণিজ্য হয়েছে ৷ কিন্ত ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় তুরস্কের ভূমিকার জন্য এবার বাণিজ্যের পরিমাণ কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের ৷

  • India Pakistan War: ‘‘পাকিস্তান একে এখনও জয় বলবে?’’ ইসলামাবাদের দাবি খারিজ মার্কিন সংবাদমাধ্যমের

    India Pakistan War: ‘‘পাকিস্তান একে এখনও জয় বলবে?’’ ইসলামাবাদের দাবি খারিজ মার্কিন সংবাদমাধ্যমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তাতে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। তারই পাল্টা হিসেবে কৌশলগত সামরিক অভিযান অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। একশো জঙ্গি নিকেশ করা হয়। বে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে চারদিন ধরে চলা ভারত-পাকিস্তান (India Pakistan War) সীমান্ত সংঘর্ষ ঘিরে তথ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কে ‘জিতল’ ভারত-পাক সংঘাত? উল্লেখ্য, সংঘর্ষবিরতির পর থেকেই পাকিস্তানে উল্লাসের আমেজ। এমনকী জয় ঘোষণা করে দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও। তবে এবার স্যাটেলাইট ছবি তুলে ধরে নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে, সাম্প্রতিক সংঘর্ষে পাকিস্তানের যে সামরিক ঘাঁটি ও বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করেছে ভারত, তার ‘স্পষ্ট প্রমাণ’ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান যে দাবি করছে, তার কোনও স্যাটেলাইট চিত্র নেই। এরপরই বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইসলামাবাদ যা দাবি করছে, তার অধিকাংশই ভুয়ো।

    উপগ্রহ চিত্রের বিশ্লেষণ

    নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক সাংবাদিক টুইটে উপহাসের সুরে লেখেন, “ভারতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি না করে পাকিস্তান কি এখনও একে জয় বলবে?” মার্কিন সংবাদমাধ্যমের উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, ভারতীয় বাহিনীর আঘাতে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হলেও, পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী ভারতের বিভিন্ন স্থানে তাদের হামলার তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ যেসব আক্রমণের দাবি করেছেন, সেগুলির অনেকটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত অপ্রমাণিত ফুটেজের উপর ভিত্তি করে। এমনকি পাকিস্তান (India Pakistan War) দাবি করেছিল তারা আদমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে, যা উপগ্রহ চিত্রে প্রমাণিত হয়নি। বরং, ভারতীয় বায়ুসেনার আধিকারিক এয়ার মার্শাল একে ভারতী জানিয়েছেন, “পাকিস্তানের বহু ড্রোন এবং বিমান আক্রমণ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, কোনও সুনির্দিষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।” যার প্রমাণ মিলেছে উপগ্রহ চিত্রে।

    আকাশপথে হানা ও অসামরিক উড়ান ব্যাহত

    ভারতের (India Pakistan War) একাধিক শহর – জম্মু, উধমপুর, পাঠানকোট, অমৃতসর, ভাতিন্ডা, জয়সলমীর সহ ১২টিরও বেশি অঞ্চলে ব্ল্যাক আউট ঘোষণা করা হয় ড্রোন ও যুদ্ধবিমানের হানার আশঙ্কায়। মে ৭ থেকে মে ১০ পর্যন্ত ওই অঞ্চলে অসামরিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। ২০০-র বেশি অভ্যন্তরীণ উড়ান বাতিল ও একাধিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের হামলায় সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। কিন্তু সন্ত্রাস দমনের জন্যেই লড়ছে ভারত। জঙ্গিদের খতম করার জন্যেই করা হয়েছিল অপারেশন সিঁদুর। কোনও নির্দিষ্ট দেশের সেনা বা জনবসতি লক্ষ্য করে ভারতীয় সেনাবাহিনী কোনও আক্রমণ করেনি। তবে, সামরিক ঘাঁটি ও জনবসতি এলাকা লক্ষ্য করে পাকিস্তান আক্রমণ করার কারণে হাত গুটিয়ে বসে ছিল না ভারতীয় সেনা বাহিনী। এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী জানান, নির্দিষ্ট কিছু পাকিস্তানি এয়ারফিল্ড উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। যার স্যাটেলাইট চিত্রও তুলে ধরেন তিনি। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘যুদ্ধের আগে ও পরে উচ্চ রেজুলেশনের স্যাটেলাইট চিত্রে ভারতীয় হামলায় পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনাগুলোর ‘স্পষ্ট ক্ষতি’ দেখা গিয়েছে।’’ ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘‘স্যাটেলাইট চিত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে ভারতের হামলা ব্যাপক ছিল। ভারতের হামলায় বেশিরভাগ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের সামরিক কেন্দ্রগুলোতে। হাই-টেক যুদ্ধের নতুন যুগে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে আক্রমণ চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। স্যাটেলাইট চিত্রে তারই প্রমাণ মিলেছে।’’

    পাকিস্তানি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির স্পষ্ট কোনও চিত্র নেই

    ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘দ্বিতীয় দফার লড়াইয়ে প্রতীকী হামলা ও শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে একে অপরের প্রতিরক্ষা কেন্দ্রগুলির ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল ভারত ও পাকিস্তান। এই আবহে পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনা ও বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ভারত স্পষ্টতই এগিয়ে রয়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা পাকিস্তানের করাচি বন্দরের কাছে ভোলারি বিমান ঘাঁটিতে নিখুঁত হামলা চালিয়েছেন।’’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘‘ভারতের দাবি অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, ভোলারি সত্যিই ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়া, নূর খান বিমান ঘাঁটিকেও নিশানা করেছিল ভারত। নূর খান বিমান ঘাঁটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতর এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে। পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের তত্ত্বাবধান ও সুরক্ষা ইউনিটেরও কাছেই অবস্থিত।’’ ভারতীয় সেনাবাহিনী বলেছে যে, তারা পাকিস্তানের কয়েকটি প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়েকে নিশানা করেছিল। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সেই দাবি অনুযায়ী উপগ্রহ চিত্রে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন স্পষ্ট। এদিকে ১০ মে রহিম ইয়ার খান বিমানবন্দরে রানওয়ে চালু না থাকার কথা জানিয়ে নোটিশও জারি করেছিল পাকিস্তান। এছাড়া পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সারগোধা বিমানবন্দরের রানওয়ের দুটি অংশে হামলা চালানোর দাবি করেছে ভারতীয় সেনা। এদিকে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘যেসব জায়গায় পাকিস্তান (India Pakistan War) আঘাত হেনেছে বলে দাবি করা হয়েছে সেসব স্থানের স্যাটেলাইট ইমেজে সীমিত এবং পাকিস্তানি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির স্পষ্ট কোনও চিত্র এখনও দেখা যায়নি।’’

  • Operation Sindoor: ভারতের প্রত্যাঘাতে পাক বায়ুসেনার ২০ শতাংশ পরিকাঠামো ধ্বংস, নিহত ৫০

    Operation Sindoor: ভারতের প্রত্যাঘাতে পাক বায়ুসেনার ২০ শতাংশ পরিকাঠামো ধ্বংস, নিহত ৫০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে এবং সন্ত্রাস দমনে পাক-ভূমে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) চালায় ভারত। সাধারণ পাকিস্তানিদের কথা মাথায় রেখে সতর্কতার সঙ্গে টার্গেট চিহ্নিত করে অপারেশন চালানো হয়েছে। খতম হয়েছে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি। তবে এরপরই জঙ্গিদের হয়ে হাতিয়ার ধরে পাকিস্তানের সেনা। তারা ক্রমাগত সীমান্তে জনবসতি ও সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে হামলা চালাতে থাকে। ভারতীয় আকাশসীমার অভ্যন্তরে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান প্রবেশ করায় পাকিস্তান। ভারতের ডিফেন্স সিস্টেম সেগুলি নিষ্ক্রিয় করে। বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা হলেও সেগুলির মধ্যে বেশির ভাগই প্রতিহত করা হয়। কিছু আছড়ে পড়লেও সেগুলিতে বড় ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে। এরপরই বাধ্য হয়ে পাক সেনা পরিকাঠামোয় হামলা চালায় ভারত, সেই হামলায় ৫০ জন পাকিস্তানি জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয় পাকিস্তানের একের পর এক বায়ুসেনা ও সামরিক ঘাঁটি। পাকিস্তানের ১২টিরও বেশি সামরিক ঘাঁটিতে ভারতের নির্ভুল স্ট্রাইক চালানোর ফলে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রায় ২০ শতাংশ পরিকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।

    ক্ষতি, মানল পাকিস্তান

    ভারতের প্রত্যাঘাতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। প্রয়োজনীয় নথি, ছবি এবং উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে তা পরিষ্কার করেছে ভারত। ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে তাদের বিপুল ক্ষতি হয়েছে, এমনটা প্রথমে মানতে চায়নি পাকিস্তান। কিন্তু ক্ষতির বহর এতটাই বেশি যে, শেষ পর্যন্ত ঢোঁক গিলেও মানতে বাধ্য হয় পাকিস্তানের সেনা। পাক সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, অন্তত ১১ জন সেনা ভারতের প্রত্যাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন। পাকিস্তান সেনা ও বায়ুসেনার অন্তত ৭৮ জন জওয়ান আহত হয়েছেন। পাকিস্তানের বায়ুসেনার ৫ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের নাম স্কোয়া়ড্রন লিডার উসমান ইউসুফ, চিফ টেকনিশিয়ান ঔরঙ্গজেব, সিনিয়র টেকনিশিয়ান নাজিব, কর্পোরাল টেকনিশিয়ান ফারুখ এবং সিনিয়র টেকনিশিয়ান মুবাশির। ভারতের প্রত্যাঘাতে পাক সেনার ৬ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের নাম, নায়েক আব্দুল রহমান, ল্যান্স নায়েক দিলওয়ার খান, ল্যান্স নায়েক ইক্রামুল্লা, নায়েক ওয়াকার খালিদ, সিপাই মুহাম্মদ আদিল আকবর এবং সিপাই নিসার।

    কী কী ধ্বংস করা হয়েছে, জানাল ভারত

    তবে পাকিস্তান যাই বলুক ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, এই সংঘর্ষে পাকিস্তানের ৫০ জন সেনা নিহত হয়েছে এবং ভারত তার লক্ষ্য পূরণে সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “পাকিস্তান যদি ভবিষ্যতে কোনও ধরনের দুঃসাহস দেখায়, তবে তাকে তার জন্যও চরম মূল্য দিতে হবে।” তিনি জানান, সামরিক ঘাঁটি ও জনবসতি এলাকা লক্ষ্য করে পাকিস্তান আক্রমণ করার কারণে হাত গুটিয়ে বসে ছিল না ভারতীয় সেনা বাহিনী। এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী জানান, নির্দিষ্ট কিছু পাকিস্তানি ডিফেন্স সিস্টেমের ঘাঁটি, এয়ারফিল্ড উড়িয়ে দিয়েছে সেনা। তিনি জানান, এই আক্রমণের কারণে পাকিস্তানের এয়ারফোর্সের ২০ শতাংশ পরিকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে বেশ কয়েকটি এফ-১৬ এবং জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান। উল্লেখযোগ্যভাবে, সারগোধা এবং ভোলারি বিমান ঘাঁটি এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল। ভোলারি এয়ার বেসে চালানো হামলায় স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফসহ চারজন পাক বায়ুসেনা নিহত হন। সূত্র মতে, এই আক্রমণে একাধিক পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।

    ভারতীয় বায়ুসেনা ৯০ মিনিটের মধ্যে ১২টি ঘাঁটিতে হামলা করেছে। যার মধ্যে অন্যতম —

    ১) পাসরুর এয়ার ডিফেন্স রেডার স্টেশন
    ২) চুনিয়া এয়ার ডিফেন্স রেডার স্টেশন
    ৩) আরিফওয়ালা এয়ার ডিফেন্স রেডার স্টেশন
    ৪) সারগোদা এয়ার ফিল্ড (পাকিস্তানি সেনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এয়ারফিল্ড)
    ৫) রহিম ইয়ার খান এয়ারফিল্ড
    ৬) চাকলালা এয়ারফিল্ড
    ৭) সাক্কার এয়ারফিল্ড
    ৮) ভোলারি এয়ারফিল্ড
    ৯) জাকোবাবাদ এয়ারফিল্ড

    ভারতের সংযম প্রদর্শন

    এই প্রতিআক্রমণের অংশ হিসেবে ভারত চুনিয়ান, সিয়ালকোট, পাসরুর, মুরিদ (চকওয়াল), নূর খান (চাকলালা), রফিকি (শোরকোট), সুক্কুর, সারগোধা, স্কার্দু, ভোলারি ও জ্যাকবাবাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি এবং গোলাবারুদের গুদাম লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এয়ার মার্শাল একে ভারতী বলেন, “আমরা নিশ্চিতভাবেই পাকিস্তানের কয়েকটি বিমান ভূপাতিত করেছি, তবে সংখ্যাটি অনুমান করা কঠিন, কারণ তারা আমাদের সীমান্তের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।” তিনি যোগ করেন, “আমরা আমাদের সমস্ত লক্ষ্য পূরণ করেছি এবং আমাদের সমস্ত পাইলট নিরাপদে ফিরে এসেছেন।” তিনি বলেন, “আমরা এ পর্যন্ত অত্যন্ত সংযম প্রদর্শন করেছি। আমাদের পদক্ষেপ ছিল নির্দিষ্ট, পরিমিত এবং উত্তেজনাবর্জিত। কিন্তু ভারতের সার্বভৌমত্ব, ভৌগলিক অখণ্ডতা কিংবা নাগরিকদের নিরাপত্তার প্রতি যে কোনো হুমকির জবাব আমরা দৃঢ়ভাবে দেব।”

  • S-400: ‘সুদর্শন চক্রে’ কুপোকাত পাকিস্তান, রাশিয়া থেকে আরও এস-৪০০ রক্ষাকবচ কিনছে ভারত?

    S-400: ‘সুদর্শন চক্রে’ কুপোকাত পাকিস্তান, রাশিয়া থেকে আরও এস-৪০০ রক্ষাকবচ কিনছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) চলাকালীন পাকিস্তানের পাল্টা হানা প্রতিহত করেছে ভারতের ‘সুদর্শন চক্র’ এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ সিস্টেম (S-400)। সুর্দশন চক্রের ঘায়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে পাক ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বিমান। এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্যের পর রাশিয়া থেকে আরও বেশ কয়েকটি এস-৪০০ কেনার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ভারত। রাশিয়ার কাছে এই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিতে পারে রাশিয়া। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আদমপুরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। পাকিস্তানের দাবি ছিল, তারা এই ঘাঁটিতে রাখা এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। আদমপুরে বক্তব্য রাখার সময় মোদি এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ-এর সামনে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন।

    ‘সুদর্শন চক্র’ এস-৪০০ এর বিশেষত্ব

    মাটি থেকেই আকাশে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ (S-400)। আকাশে বিভিন্ন ধরণের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এটির। যার মধ্যে রয়েছে ফাইটার জেট, বোমারু বিমান, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমনকি ড্রোনকেও ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে দু’টি ব়েডার সিস্টেম রয়েছে। যা আকাশে ৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত এবং একসঙ্গে ৮০টি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে এবং ৩৬টি টর্গেটকে একসঙ্গে ‘লক’ করতে পারে। যে কোনও স্থানে নিয়ে গিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সিস্টেমটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া যায়। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে সেটি ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়ে যায়। লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার জন্য এতে একটি জ্যামার-রোধী প্যানোরামিক ব়েডার সিস্টেম রয়েছে। বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র সহ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য ৪টি ব্যারেল বা স্টেশন রয়েছে এস-৪০০-এ। ভারত ও রাশিয়ার পাশাপাশি, চিন, তুরস্ক এবং বেলারুশও এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে।

    রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ চুক্তির খুঁটিনাটি

    ২০১৮-এর অক্টোবরে পাঁচটি এস- ৪০০ (S-400) স্কোয়াড্রনের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দিল্লি সফরের সময় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সই হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে তিনটি এস-৪০০ ভারতে এসে পৌঁছেছে। বাকি দু’টি ২০২৬ সালের মধ্যেই চলে আসবে ভারতের হাতে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ চলার কারণে শেষ দুটি স্কোয়াড্রনের সরবরাহে দেরি হচ্ছে, বলে জানিয়েছে মস্কো। আপাতত ভারতের চারটি জায়গায় এই সিস্টেম মোতায়েন রয়েছে। পাঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তার জন্য পাঠানকোটে রয়েছে এস-৪০০। এছাড়াও রয়েছে রাজস্থান এবং গুজরাট সীমান্তে।

  • Cyber Attack: ভারতের ১৫ লক্ষ ওয়েবসাইটে সাইবার হানার চেষ্টা পাকিস্তানি হ্যাকারদের! সফল মাত্র ১৫০টি

    Cyber Attack: ভারতের ১৫ লক্ষ ওয়েবসাইটে সাইবার হানার চেষ্টা পাকিস্তানি হ্যাকারদের! সফল মাত্র ১৫০টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটে ১৫ লক্ষ বার সাইবার হানার (Cyber Attack) চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানি হ্যাকাররা। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সাইবার বিভাগের পক্ষ থেকে এমন সাতটি অ্যাডভান্সড পার্সিসট্যান্ট থ্রেট শনাক্ত করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের সাইবার সেলের একটি তদন্তমূলক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হ্যাকারদের সাফল্য যৎসামান্যই। লক্ষ লক্ষ বার ভারতের ওয়েবসাইটগুলিকে নিশানা করলেও মাত্র ১৫০টি ক্ষেত্রে সফল হয়েছে তারা। ব্যর্থতার হার ৯৯.৯৯ শতাংশ।

    ভারতের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ!

    মহারাষ্ট্র সাইবার সেলের (Cyber Attack) তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, কেবল পাকিস্তান থেকেই নয়, সাইবার হানা চালানো হয় বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো এবং পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকেও। তদন্ত রিপোর্টটির নাম ‘রোড অফ সিঁদুর’। এই রিপোর্টে হ্যাকারদের বেশ কয়েকটি দাবিকেও নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্টেই নোডাল সাইবার এজেন্সি জানিয়েছে যে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু হ্যাকিং গ্রুপ সাইবার যুদ্ধ চালাচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে। এই রিপোর্ট সমস্ত ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির কাছে পাঠানো হয়েছে, ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এবং স্টেট ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের কাছে পাঠানো হয়েছে। মহারাষ্ট্র সাইবার সেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ যশস্বী যাদব এ কথা জানিয়েছেন।

    ব্যর্থতাই সম্বল পাকিস্তানের

    এমন ৭টি পাকিস্তানি হ্যাকার (Cyber Attack) গ্রুপকে শনাক্ত করেছে সাইবার বিভাগ। এপিটি ৩৬, পাকিস্তান সাইবার ফোর্স, টিম ইনসেন পিকে, মিস্টিরিয়াস বাংলাদেশ, ইন্দো হ্যাকস সেক, সাইবার গ্রুপ হোয়াক্স ১৩৩৭ এবং পাকিস্তানের ন্যাশনাল সাইবার ক্রিউ। যে ১৫০টি ওয়েবসাইটে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা তাদের মধ্যে রয়েছে কুলগাঁও বদলাপুর মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইট, জলন্ধরের ডিফেন্স নার্সিং কলেজের ওয়েবসাইট। তবে, হ্যাকাররা দাবি করেছিলেন মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সার্ভার থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করা হয়েছে। তাঁদের তরফে এ-ও দাবি করা হয় যে, ভারতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে সাইবার হানা হওয়ায় বহু জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছোচ্ছে না। এই সমস্ত দাবিকে মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

LinkedIn
Share