Tag: pakistan

pakistan

  • Hafiz Saeed: বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারতে হামলার ছক হাফিজের! কী বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

    Hafiz Saeed: বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারতে হামলার ছক হাফিজের! কী বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে ভারতের উপর জঙ্গি হামলার ছক কষছেন হাফিজ সইদ (Hafiz Saeed)। ভারতবাসীকে ফের একবার বিপদে ফলতে তৎপর ২৬/১১-র মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড। এবার নাকি নতুন করে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন এই কুখ্যাত জঙ্গি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এর জন্য বাংলাদেশে নতুন নতুন ঘাঁটি তৈরির কাজ চালাচ্ছেন হাফিজ সইদ। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে ক্রমেই বাড়ছে ভারত বিদ্বেষ। বাড়ছে ইসলামিক উগ্রবাদীদের দাপট। এই আবহে হাফিজ সইদের মতো জঙ্গিরা ভারতে হামলার ছক করছে বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করে।

    বাংলাদেশের দিক দিয়ে ভারতে হামলার প্রস্তুতি

    গত ৩০ অক্টোবর পাকিস্তানের খইরপুর তামেওয়ালিতে এক বিশাল জনসভার ভিডিও রেকর্ডিং গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে। যাতে দেখা গিয়েছে, লস্করের শীর্ষ এক কমান্ডার সইফুল্লা সইফ বিরাট বিপজ্জনক তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন। সইফুল্লা উসকানি দেওয়ার সুরে বলেন, হাফিজ সইদ (Hafiz Saeed) হাত গুটিয়ে বসে নেই। বাংলাদেশের দিক দিয়ে ভারতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। তাঁর আর দাবি, লস্কর-ই-তৈবার চর ইতিমধ্যেই পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশের অতীত নাম) সক্রিয় হয়ে রয়েছে। তারা ভারতকে অপারেশন সিঁদুরের জবাব দিতে তৈরি বলে দাবি করেন শীর্ষ লস্কর কমান্ডার।

    ভারতবিরোধী কাজে বাংলাদেশের যুবকরা

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হাফিজ ‘জিহাদের’ পরিকল্পনা করছে। ভারতবিরোধী কাজে সে তাতাচ্ছে বাংলাদেশের স্থানীয় যুবকদের। তাদের মনে মৌলবাদী ভাবনা ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আরও একটি তথ্যে জানা গিয়েছে, সইদ তাঁর এক অতি ঘনিষ্ঠকে সম্প্রতি বাংলাদেশে পাঠিয়েছিলেন। যিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় মসজিদ-মোক্তবে গিয়ে স্থানীয় যুবকদের কট্টরপন্থী আদর্শ জেহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। আর এসবই ভারতের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন একটি ভিডিও মারফৎ। সেখানে সইফকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার জন্য প্রকাশ্যে মানুষকে উস্কে দিতে দেখা যাচ্ছে।ভিডিওতে এই অনুষ্ঠানে শিশুদেরও দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ তাদের টার্গেট শৈশব থেকেই তাদের ভারবিরোধী করে তোলা। ভারতের বিরুদ্ধে ‘জিহাদের’জন্য মন তৈরি করে দেওয়া।

    পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশংসা

    সাইফুল্লাহর বক্তৃতায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশংসা শোনা গিয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ৯-১০ মে রাতের পর পাকিস্তান জবাব দিয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশও পাকিস্তানের কাছাকাছি চলে আসার দাবি করেছে সাইফুল্লাহ। সাইফুল্লাহর দাবি এখন, আমেরিকা তাদের সঙ্গে আছে। বাংলাদেশও আবার পাকিস্তানের কাছাকাছি আসছে। এই ভাবে জোটবদ্ধ হয়ে ভারতে পর্যুদস্ত করার হুঙ্কার ছাড়ে সে। তখনই সাইফুল্লাহ দাবি করে, ভারতের পূর্ব সীমান্তে একটি নতুন অপারেশন থিয়েটার তৈরি হয়েছে। সেটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে লস্কর-ই-তৈবা। আরও একটি তথ্যে জানা গিয়েছে, সইদ তাঁর এক অতি ঘনিষ্ঠকে সম্প্রতি বাংলাদেশে পাঠিয়েছিলেন। যিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় মসজিদ-মোক্তবে গিয়ে স্থানীয় যুবকদের কট্টরপন্থী আদর্শ জেহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।

    ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ডাক

    শুধু ভারত নয়, আমেরিকা সহ একাধিক দেশের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় হাফিজ সইদের নাম রয়েছে। হাফিজ সইদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ে একাধিকবার পাকিস্তানের হাতে তথ্যপ্রমাণও তুলে দিয়েছে ভারত। কিন্তু, এব্যাপারে পাকিস্তানের তরফে কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। তাই আজও নিশ্চিন্তে পাকিস্তানে বসেই ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছে হাফিজ সইদ। ভিডিওতে সাফ স্পষ্ট হয়েছে যে, সইফ খোলাখুলি ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ডাক দেন। এই কাজে পাকিস্তানি জঙ্গিরা যে কিশোর-নাবালকদের তালিম দিচ্ছে তাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কারণ ওই জনসভায় প্রচুর সংখ্যায় অপরিণত বালক ও কিশোর উপস্থিত ছিল।

    বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার হাফিজের

    এখন প্রশ্ন হল, ঠিক কীভাবে বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করে ভারতে আক্রমণের ছক করছে হাফিজ সইদ? গতবছর শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন হয়। গদিচ্যুত হন তিনি। সেনার নির্দেশে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন। তারপর থেকেই বাংলাদেশে শুরু হয়ে যায় অরাজকতা। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নেন মহম্মদ ইউনূস। এরপর থেকে সেই দেশে জামাতের মতো কট্টরপন্থী দলের প্রভাব বাড়তে থাকে। শুরু হয় জিহাদি শিক্ষা। আর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশে এই অভ্যুত্থানের পিছনে পাকিস্তানের বিরাট হাত ছিল। এমনকী আমেরিকাও হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে সাহায্য করেছে। আর এমন অভিযোগ হাসিনা নিজেও করেছেন। মাথায় রাখতে হবে, সরকার বদলের পর থেকেই বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠনগুলি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। সেখানে জিহাদের শিক্ষাই প্রধান হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এটাই ছিল পাক সরকার সহ হাফিজ সইদের প্রথম প্ল্যান। আর সেই কাজে তারা আপাতত সাফল্য পেয়েছে। পাক সেনায় হাফিজ সইদের বিরাট কদর। আর সেই জায়গাটাকে ব্যবহার করেই বাংলাদেশে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে এই জঙ্গি নেতা। সেই কারণে পাক আর্মির আধিকারিকরা মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশে আসছে। তারা ভারতের বিপক্ষে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

     

     

     

     

     

     

  • Pakistan: খাইবার পাখতুনখোয়ার উপজাতিদের কুকুর সম্বোধন পাক সেনার

    Pakistan: খাইবার পাখতুনখোয়ার উপজাতিদের কুকুর সম্বোধন পাক সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) খাইবার পাখতুনখোয়ার (Khyber Pakhtunkhwa) মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পাখতুন জনগণ ও উপজাতীয় অঞ্চলের লোকদের অপমান করার অভিযোগ করেছেন। আফ্রিদির দাবি, সেনাবাহিনী এলাকাবাসী লোকদের পশুর সঙ্গে তুলনা করেছে। এভাবে উপজাতি সমাজের মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। কুকুরের সঙ্গে তুলনা করে তাদের অপমান করেছে খোদ পাকসেনা। এই ঘটনা প্রমাণ করে পাকিস্তানি আম নাগরিকদের জীবন কতটা দুর্বিষহ।

    যুদ্ধাপরাধের মতো সমতুল্য কাজ (Pakistan)

    সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী আফ্রিদি (Pakistan) বলেছেন, “পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরের নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকার মানুষকে মসজিদের ভেতরে কুকুরের মতো বেঁধে রাখার কাজ করছে। পাক সেনাবাহিনী বলেছে স্থানীয়রা এবং কুকুর এক। তাঁদের সম্মান সমান। ফলে মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে এই লোকগুলি। সেনার কথায় উপজাতি এবং এই কুকুরগুলি আলাদা নয়। তবে এই মন্তব্য অত্যন্ত বর্বর কাজ। মানুষের ওপর নির্যাতন ভীষণভাবে অমানবিক। সেনাবাহিনী এখানে ক্রমাগত অভিযান চালাচ্ছে। আমি মনে করি এটা যুদ্ধাপরাধের সমতুল একটি কাজ।”

    বালুচিস্তানে অসামরিক নাগরিকদের হত্যা

    খাইবার পাখতুনখোয়ার (Pakistan) গভর্নর ফয়সাল করিম কুন্ডি পাল্টা প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা করে বলেন, “তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে অবজ্ঞা করছেন এবং কেপিতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানকে আক্রমণ করছেন। আমাদের মাটির সাহসী সেনারা আমাদের প্রদেশকে রক্ষা করার জন্য তাঁদের জীবন উৎসর্গ করছেন। তাঁদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করলে মনোবল এবং জননিরাপত্তা – দুয়েরই ক্ষতি হয়।”

    পাকিস্তানের (Pakistan) সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কেপি (Khyber Pakhtunkhwa), বালুচিস্তানে অসামরিক নাগরিকদের হত্যা এবং জোরপূর্বক অপহরণের অভিযোগ নতুন নয়। স্থানীয় বাসিন্দারা কয়েক দশক ধরে এই বিষয়গুলি নিয়ে সরব হয়েছেন। এই ঘটনাটি প্রদেশব্যাপী প্রতিবাদ এবং আন্দোলনের সূত্রপাত সৃষ্টি করেছে। বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলও বেশ কয়েকবার এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাক সরকার এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বহু মানুষ। তবে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের নতুন সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। গত সপ্তাহে, পাকিস্তান আফগানিস্তানে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) -এর শিবিরগুলিকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান ঘরে-বাইরে মিলিয়ে অত্যন্ত চাপের মধ্যে রয়েছে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।

  • Pakistan: পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় ১২০০ বছরের পুরনো মন্দির আবিষ্কার

    Pakistan: পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় ১২০০ বছরের পুরনো মন্দির আবিষ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) সোয়াত উপত্যকায় বহু প্রাচীন একটি মন্দির আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। এই বৌদ্ধ মন্দির এক হাজার বছরের বেশি পুরনো ধর্মীয় ইতিহাসকে বহন করে চলেছে। এখানে রয়েছে অসাধারণ কারুকার্যময় স্থাপত্য এবং ঐতিহ্যের শিল্পকর্ম। দেশের খাইবার পাখতুনখোয়ায় (Swat Valley) বহুদিন ধরে এই খনন কার্য চলছিল। এখানে বহু প্রাচীন সভ্যতা সংস্কৃতির চমকপ্রদ আবিষ্কার ও নিদর্শন ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    সোয়াত এবং তক্ষশীলার মধ্যবর্তীস্থানে মন্দির (Pakistan)

    ইতালির একটি প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্থা এই এলাকায় খনন কার্য চালানোর দায়িত্ব গ্রহণ করে। খাইবার (Pakistan) পাখতুনখোয়া প্রত্নতাত্ত্বিকদের সঙ্গে ইতালির এই প্রত্নতাত্ত্বিকেরা কাজ করছেন বলে জানা গিয়েছে। সোয়াতের বারিকোটে আটটি প্রাচীন স্থানের মধ্যে এই মন্দিরটি ভীষণই প্রাচীন। এই জায়গা সোয়াত এবং তক্ষশীলার মধ্যবর্তীস্থানে অবস্থিত। ইতালির প্রত্নতাত্ত্বিক এই মিশনের পরিচালক ড. লুকা বলেছেন, “খনন কার্য চালিয়ে একটি ছোট মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। মন্দির এবং আশেপাশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্তরগুলির চারপাশে একটি সুরক্ষা মূলক ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। পরে তাকে অবশ্য সম্প্রসারণ করা হয়েছে সোয়াত নদীর দিকেই।”

    অসংখ্য বুদ্ধ মূর্তি, স্মারক, স্তূপ উদ্ধার

    পাকিস্তনে এই খননের সঙ্গে একটি প্রকল্প রয়েছে যাকে বলা হয় খাইবার পথ প্রকল্প (Swat Valley)। আঞ্চলিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সহ প্রাচীন ঐতিহ্যকে সংরক্ষণের মতো একাধিক কাজ হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিতে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। গত জুন মাস থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে এবং চলবে আগামী তিন বছর পর্যন্ত। প্রাগৈতিহাসিক পর্ব থেকে ইসলামি শাসনের নানা উপকরণ পাওয়া গেলেও মন্দিরের স্থাপত্য সত্যই ব্যতিক্রম। এখনও পর্যন্ত মোট ৫০টি স্থানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে উপাদান হিসেবে রয়েছে প্রস্তর যুগ, আলেকজেন্ডার, গ্রিক যুগ, বৌদ্ধ ধর্ম, হিন্দু রাজবংশ এবং ইসলামি শাসনের উপকরণ। অসংখ্য বুদ্ধ মূর্তি, স্মারক, স্তূপ এবং নানা ব্যবহার সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। তবে গবেষকরা নিশ্চিত করেছেন এই মন্দির একটি বিরাট বৌদ্ধ স্থাপত্যের অংশ ছিল। এখানে প্রচুর শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতেন। এখানে শিক্ষা গ্রহণ করতেন।

  • Sheikh Hasina: হাসিনাকে গদিচ্যুত করার নেপথ্যে সিআইএ! বড় দাবি বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    Sheikh Hasina: হাসিনাকে গদিচ্যুত করার নেপথ্যে সিআইএ! বড় দাবি বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনা অভ্যুত্থানের গুজব এবং শীর্ষ পর্যায়ে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগকে ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশের রাজনীতির আঙিনা। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে একটি বই। তাতেই চাঞ্চল্যকর দাবি (CIA) করা হয়েছে। কীভাবে নিপুণভাবে ঘুঁটি সাজিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) একটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল, তার উল্লেখ করা হয়েছে বইটিতে। হাসিনা মন্ত্রিসভার প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের অভিযোগ, দেশের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান নাকি সিআইএ-সমর্থিত একটি পরিকল্পনার অংশ ছিলেন, যার লক্ষ্যই ছিল হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা। ‘ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ: দ্য স্টোরি অফ অ্যান আনফিনিশড রেভোল্যুশন’ শিরোনামের ওই বইটি লিখেছেন দীপ হালদার, জয়দীপ মজুমদার এবং শহিদুল হাসান খোকন।

    ‘সিআইএ-র চক্রান্ত’ (Sheikh Hasina)

    বইটির তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসের এক সকালে দিল্লির একটি হোটেলে লেখকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় খান কামাল এসব ঘটনা জানিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলকে ‘একটি নিখুঁত সিআইএ (মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা) চক্রান্ত’ বলে বর্ণনা করেন। তাঁর দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে সুচারুভাবে এই ষড়যন্ত্রের ছক কষা হয়েছিল। বইটিতে তাঁকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “আমরা জানতামই না যে সিআইএ ওয়াকারকে কব্জা করে ফেলেছে।” কামালের দাবি, দেশের প্রধান দুই গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং এনএসআই প্রধানমন্ত্রীকে এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক করতেও ব্যর্থ হয়েছিল। তাঁর ইঙ্গিত, এই দুই সংস্থার প্রবীণ কর্তারাও এতে জড়িত থাকতে পারেন, যেহেতু সেনাপ্রধান নিজেই ছিলেন এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম চাঁই।

    কেন নেপথ্যে আমেরিকা?

    বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের জন্য আমেরিকা কেন জড়াতে চাইবে? এ প্রশ্নের উত্তরে কামাল দুটি কারণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, ওয়াশিংটন দক্ষিণ এশিয়ায় একই সময়ে অতিরিক্ত শক্তিশালী নেতাদের দেখতে চায় না। উদাহরণ হিসেবে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চিনের শি জিনপিং এবং শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, শক্তিশালী আঞ্চলিক নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ চাপিয়ে দেওয়ার কাজটা কঠিন করে তোলে (Sheikh Hasina)। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত কৌশলগত সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বিষয়টির কথা। মায়ানমারের উপকূল থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে গুরুত্ব পেয়েছে। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের বাড়তি প্রভাবের কারণেই বেড়েছে এই দ্বীপের গুরুত্ব (CIA)।

    হাসিনার নিশানায় আমেরিকা

    ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে আগে হাসিনা নিজেই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ আমেরিকাকে দিতে ওয়াশিংটন তাঁর ওপর চাপ দিচ্ছিল। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে একটি প্রেস কনফারেন্সে তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁকে জানানো হয়েছিল দ্বীপটির অ্যাক্সেস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দিলে তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি একে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি আপস বলেও উল্লেখ করেছিলেন। পদচ্যুত হওয়ার পরেও ১১ জুন ফেসবুক লাইভেও তিনি একই দাবি করেন। তিনি বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নয়া সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে কাজ করছে। বইটিতে কামালের উদ্ধৃতি থেকে জানা গিয়েছে, “ভারতের সংবাদমাধ্যম এখন এটি রিপোর্ট করছে। কিন্তু আমাদের সরকার পতনের অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী আমাদের সতর্ক করেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য (Sheikh Hasina)।”

    বাংলাদেশকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দেবে

    প্রসঙ্গত, বইটি এমন একটি সময়ে প্রকাশিত হয়েছে যখন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী যার নেতৃত্বে এখনও রয়েছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান—ফের রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে (CIA)। ১১ অক্টোবর সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে স্বীকার করে যে তাদের ১৫ জন আধিকারিক নিখোঁজ ও গুমের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক রয়েছেন। এই ঘটনা ঘটেছিল হাসিনার জমানায়। এই পরিস্থিতি সেনাবাহিনীর ভেতরে উত্তেজনা ও বিভেদের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। ওয়াকারের সৌদি আরব সফরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার কারণে তিনি আপাতত বাতিল করেছেন তাঁর সফর। দীপ বলেন, “এটি বাংলাদেশকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দেবে।”

    লেখকের বক্তব্য

    দীপ বলেন, এই তথ্যগুলি বাংলাদেশের রাজনীতিকে গভীরভাবে অস্থির করে তুলবে। তিনি জানান, জেনারেল ওয়াকারকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন হাসিনা নিজেই। তিনি বলেন, “দুই শীর্ষ ব্যক্তি জেনারেল ওয়াকার এবং রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ক্ষমতার পরিবর্তন নিয়ে নানা গুজব ও তত্ত্বের কেন্দ্রে ছিলেন।” তিনি জানান, গোপালগঞ্জের দাঙ্গা থেকে শুরু করে সেনা কর্তাদের গ্রেফতার সব ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রপতি সেনাবাহিনীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। গত এক বছর ধরে গুজব ছিল যে জেনারেল ওয়াকার ‘ভারতের এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু নতুন দাবি হল, তিনি নাকি সিআইএর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। প্রশ্ন উঠছে, তিনি আসলে কোন পক্ষে রয়েছেন?

    অভিমন্যুর সঙ্গে হাসিনার তুলনা

    বইটিতে খান কামাল শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ভাগ্যকে মহাভারতের অভিমন্যুর সঙ্গে (CIA) তুলনা করেছেন। তিনি লেখকদের বলেছেন, “যেমন অভিমন্যুকে তাঁরই বিশ্বস্ত মানুষরা ঘিরে ধরে হত্যা করেছিল, ঠিক তেমনই ওয়াকার বাংলাদেশে মৌলবাদী শক্তিগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে হাসিনাকে পদচ্যুত করার কাজটি করেছেন।” তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ-সহ বিভিন্ন উগ্রপন্থী গোষ্ঠী, যারা বহু বছর ধরে পরস্পর শত্রু ছিল, তারা প্রথমবারের মতো একজোট হয়েছিল হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার অভিন্ন লক্ষ্যে।” কামালের মতে, এই ইসলামি দলগুলির জোট জামায়াতের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছিল এবং এর পেছনে ছিল বিদেশি গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের মদত।

    প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি

    কামাল বলেন, “ওয়াকার ২০২৪ সালের জুনে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন। তারই কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ৫ অগাস্ট ২০২৪ তিনি হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেন। কামালের বিশ্বাস, হাসিনাকে সরানোই ছিল ওয়াকারের প্রথম গোপন মিশন, এমন একটি মিশন যার জন্য তাঁকে সেই নেত্রীরই প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে হয়েছিল, যিনি তাঁকে সর্বোচ্চ পদে উন্নীত করেছিলেন।” কামাল এও জানান, পাকিস্তানের আইএসআই দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছিল। আইএসআই-প্রশিক্ষিত লোকেরা জামায়াতে যোগ দিয়েছিল এবং জুনের শেষ দিকে হিংসা উসকে দিতে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিল। এর মধ্যে পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলাও ছিল। তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় পুলিশের (CIA) শীর্ষ কর্তারা তাঁকে সতর্ক করেছিলেন এই বলে যে বিদেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিরা বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে মিশে যাচ্ছে। তিনি (Sheikh Hasina) ততক্ষণাৎ খবরটি দেন হাসিনাকে। কিন্তু হাসিনা তাঁকে জানিয়েছিলেন, সেনাপ্রধান ইতিমধ্যেই তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীই যথেষ্ট।”

    সেনাপ্রধানের দ্বিচারিতা!

    কামালের দাবি, আইএসআই জড়িত থাকার খবর দেওয়ার পরেও ওয়াকার বারবার তাঁকে এই বলে আশ্বস্ত করেছিলেন যে পুলিশ মোতায়েনের  প্রয়োজন নেই, সেনাবাহিনীই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে। হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার আগের দিন গণভবনে পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে একটি বৈঠক হয়। তাতে সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থার শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কামাল প্রস্তাব দেন, বিক্ষোভকারীরা যাতে ঢাকায় ঢুকতে না পারে, সে জন্য পুলিশ যেন সব প্রবেশপথ সিল করে দেয়। কিন্তু ওয়াকার সহমত হননি। তিনি বলেছিলেন, পুলিশের ওপর আর ভরসা নেই জনগণের। তাই সেনাবাহিনীরই দায়িত্ব নেওয়া উচিত। কামাল জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন রক্ষায় পুলিশ মোতায়েনের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। ওয়াকার সেই প্রস্তাবও খারিজ করে দেন এবং কামাল ও হাসিনা দু’জনকেই আশ্বস্ত করেন যে গণভবনের দিকে কাউকে এগোতে দেওয়া হবে না (CIA)। তিনি বলেন, “সেদিন রাতে তিনি (হাসিনা) তাঁর কথায় বিশ্বাস করেছিলেন। তার পরের দিন কী হয়েছিল, তা তো আমরা সবাই জানি (Sheikh Hasina)।”

  • Pakistan: ভারতে নজরদারি বাড়াতে বাংলাদেশে সক্রিয় হচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই?

    Pakistan: ভারতে নজরদারি বাড়াতে বাংলাদেশে সক্রিয় হচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চল-সহ ভারতের পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর নজরদারি করতে বাংলাদেশে নীরবে সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু করেছে পাক (Pakistan) চর সংস্থা আইএসআই (ISI)। বিভিন্ন সূত্রের খবর, সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সফর করে পাক সেনাবাহিনীর একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। এই সফরে ছিলেন আইএসআইয়ের কর্তারাও। তাঁদের লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে গোপন সহযোগিতা মজবুত করা।

    শেখ হাসিনার জমানা (Pakistan)

    শেখ হাসিনার দীর্ঘ রাজত্বে বাংলাদেশে সেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি আইএসআই। তাঁর জমানায় ঢাকার নিরাপত্তা নীতি ছিল নয়াদিল্লির নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। জেনারেল শামসাদ মিরজার নেতৃত্বে আসা ওই প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) ও ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই)-এর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে। আলোচনায় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মতে, উভয় পক্ষ যৌথ গোয়েন্দা-তথ্য বিনিময় ব্যবস্থার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেছে। প্রস্তাবিত কাঠামোর লক্ষ্য হবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী সামুদ্রিক অঞ্চলে নজরদারি জোরদার করা।

    পাকিস্তানের বৃহত্তর কৌশলেরই অংশ

    বাংলাদেশ সম্পর্কে যাঁরা বিশেষভাবে খোঁজখবর রাখেন, তাঁদের মতে, এই উন্নয়ন পাকিস্তানের বৃহত্তর কৌশলেরই অংশ, এবং সেটা হল ভারতের পূর্ব সীমান্তজুড়ে পুরানো গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (অধুনা বাংলাদেশ) পাক সেনাবাহিনী ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার শক্তিশালী উপস্থিতি ছিল। বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আইএসআই এখন ফের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ খুঁজছে। উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার (Pakistan)।

    পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি নেটওয়ার্ক

    ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাশ ছিল আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনার হাতে। সেই সময় ঢাকা আইএসআইয়ের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কার্যকলাপ দমন করতে কঠোর ব্যবস্থা (ISI) নিয়েছিল। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থা প্রায়ই হাসিনার সরকারকে এ নিয়ে কৃতিত্বও দিত। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলি যাতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে টার্গেট করতে না পারে, সেই বিষয়ে কঠোর নজরদারির জন্য সর্বদা সক্রিয় ছিল হাসিনা সরকার। কিন্তু ২০২৪ সালে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন ও বিরোধী নেতৃত্বাধীন অস্থিরতার জেরে ক্ষমতাচ্যুত হন হাসিনা। ক্ষমতায় আসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এর ফলে সেই সব শক্তির জন্য নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়, যাদের এতদিন রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল (Pakistan)।

    আইএসআইয়ের নীরব উত্থান

    সূত্রের খবর, আইএসআই আগে থেকেই একটু একটু করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাধ্যমে কাজ করে আসছিল। ইউনূস জমানায় তারাই ভীষণভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এদের (ISI) প্রতি সহানুভূতিশীল বিভিন্ন সংগঠন, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপির একটা অংশ এবং জামায়াতে ইসলামীও সক্রিয় হয়ে ওঠে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নেটওয়ার্ক-সহ আরও কিছু গোষ্ঠী শেখ হাসিনার পতনে বিক্ষোভ-আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল। ফলে এখন আইএসআইয়ের উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা একদিকে যেমন তাদের পুরস্কৃত করা, তেমনি অন্যদিকে ঢাকার সহানুভূতিশীল শক্তিগুলির সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো এবং ভারতের প্রভাব মোকাবিলা করার কৌশলগত প্রয়াস (Pakistan)।

    তিনটি মূল লক্ষ্য

    বিশ্লেষকদের মতে, এই জায়গাগুলি তিনটি মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যবহার করা হতে পারে। প্রথমত, সীমান্ত নিরাপত্তা চলাচল পর্যবেক্ষণ, দ্বিতীয়ত, সামুদ্রিক তৎপরতা নজরদারি, এবং সর্বোপরি, পাকিস্তানের স্বার্থের প্রতি সহানুভূতিশীল বিভিন্ন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ আরও মজবুত করা। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল বিশেষ করে টেকনাফ এবং কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির সংলগ্ন এলাকাকে গোপন অপারেশনের কার্যকরী জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হয় (ISI)। নয়াদিল্লির নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মূল্যায়ন, বাংলাদেশে আইএসআইয়ের নতুন করে সক্রিয়তা শুধু ভারতের পূর্বাঞ্চল সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য জোগাড়ের উদ্দেশ্যেই নয়, বরং এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের বিকল্প পথ গড়ে তোলার একটি প্রচেষ্টাও। তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর সেখানে চলতে থাকা অপারেশনের ক্ষেত্র সংকুচিত হওয়ায়, ইসলামাবাদ বাংলাদেশের দিকে বেশি করে মনোযোগ দিচ্ছে। কারণ কৌশলগতভাবে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব অপিরসীম (Pakistan)।

    বাংলাদেশে আইএসআইয়ের কার্যকলাপ

    স্পষ্টতই, বাংলাদেশে আইএসআইয়ের কার্যকলাপের এই সম্প্রসারণ এলাকাটির গোয়েন্দা প্রেক্ষাপটে গোপন কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন এনে দিয়েছে। ভারতের জন্য এটি পূর্ব সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ প্রকৃতি, গুপ্তচরবৃত্তি ও সম্ভাব্য জঙ্গি তৎপরতা সম্পর্কে পুরানো আশঙ্কাকে নতুনভাবে সামনে নিয়ে আসছে। বাংলাদেশের কাছে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হল দ্রুত পরিবর্তনশীল আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা এবং বাইরের চাপের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখা। এই যোগাযোগ দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতায় রূপ নেবে, নাকি শুধু সতর্কতার মধ্যেই সীমিত থাকবে, তা নির্ভর করবে (ISI) ঢাকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আগামী মাসগুলিতে নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়ার ওপর (Pakistan)।

  • Donald Trump: ‘পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করছে চিন-পাকিস্তান’! বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস ট্রাম্পের

    Donald Trump: ‘পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করছে চিন-পাকিস্তান’! বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোপনে পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। তলায় তলায় পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছে পাকিস্তান, চিন-সহ চার দেশ। রবিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়াও তাদের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করছে। সম্প্রতি, ৩৩ বছরের স্থগিতাদেশের পর আমেরিকার সেনা বাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। এরপরেই তাঁর এই মন্তব্য চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে।

    কী বললেন ট্রাম্প

    ট্রাম্প বলেন, “আমরা পরীক্ষা করছি, কারণ বাকিরাও পরীক্ষা করছে।” একই সঙ্গে ট্রাম্পের সংযোজন, “হঠাৎই উত্তর কোরিয়া পরীক্ষা করছে। পাকিস্তান পরীক্ষা করছে। তারা কিন্তু আপনাকে গিয়ে এই খবর দেয়নি। তারা গোপনে এই পরীক্ষা করছে, যাতে মানুষ জানতেও না পারে কী হচ্ছে।” তার পরেই ট্রাম্প দাবি করেন, রাশিয়া এবং চিনও একই ভাবে তাদের পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষানিরীক্ষা করছে। ওই দেশগুলিকে দুষে ট্রাম্পের বক্তব্য, মুক্ত সমাজে গোপনীয়তার সঙ্গে এই সব কাজ করা হচ্ছে। ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, ‘রাশিয়া এবং চিন পরীক্ষা করছে, কিন্তু তাঁরা এটা নিয়ে কথা বলে না। কিন্তু আমরা একটি উন্মুক্ত ব্যবস্থায় বিশ্বাসী। আমরা আলাদা। আমরা এটা নিয়ে কথা বলি। তাদের কাছে এমন কোনও সাংবাদিক নেই যারা এটা নিয়ে লিখবে।’ পাশাপাশি পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করেছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, মাটির গভীরে এই পরীক্ষা করছে সবাই। সেই কারণে মৃদু কম্পন ছাড়া কিছুই বুঝতে পারবেন না সাধারণ মানুষ। যদিও ট্রাম্পের দাবি খারিজ করে দিয়েছে চিন। চিনের বিদেশ মন্ত্রক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছে, তারা একটি দায়িত্বশীল পরমাণু শক্তিধর দেশ। তাই আত্মরক্ষার প্রয়োজন ছাড়া তারা পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষানিরীক্ষা করে না।

    আধুনিক পদ্ধতিতে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা

    সম্প্রতি নতুন করে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার রাস্তায় হাঁটা নিয়ে কথা চলছে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্দরে। পুরোনো দিনের মতো বিস্ফোরণ না করে আধুনিক পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত ভাবে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া ও চিনের মতো প্রতিপক্ষ দেশগুলি পরমাণু পরীক্ষা করছে ধরে নিয়েই এই পদক্ষেপ করার কথা ভেবেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই আবহেই আলতো করে অন্য দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর হুমকি, ‘অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় আমেরিকার কাছে অনেক বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে।’ ট্রাম্পের নতুন মন্তব্যে কূটনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে – বিশ্ব কি ফের পারমাণবিক প্রতিযোগিতার অন্ধকার অধ্যায়ে ফিরছে? আর সত্যিই যদি চিন-পাক গোপনে পরীক্ষা চালায়, তাহলে কি ভারতও পোখরান-৩-এর পথে হাঁটবে? প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নজরে রাখা ছাড়া উপায় নেই। তবে একথা স্পষ্ট, বৈশ্বিক নিরাপত্তা মানচিত্রে উত্তাপ বাড়া যে এখন সময়ের অপেক্ষা, ট্রাম্পের মন্তব্য সেই ইঙ্গিতই দিল।

  • Australian Report: পাকিস্তানের মাথায় ঝুলছে মৃত্যুর খাঁড়া, হাতল রয়েছে ভারতের হাতে!

    Australian Report: পাকিস্তানের মাথায় ঝুলছে মৃত্যুর খাঁড়া, হাতল রয়েছে ভারতের হাতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুম ছুটেছে পাকিস্তানের! ভারতের সঙ্গে বৈরিতার ফল যে ভালো হবে না, উল্টে পরিণতি যে হবে ভয়ঙ্কর, ইতিমধ্যেই তা টের পেয়ে গিয়েছেন পাক সেনকর্তারা। অস্ট্রেলিয়ার (Australian Report) সিডনি থেকে প্রকাশিত নয়া এক রিপোর্টে প্রকাশিত একটি তথ্য থেকে (India) তামাম বিশ্ব জেনে গিয়েছে, বর্তমানে পাকিস্তানের টিকে থাকাটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে ভারতের দয়ার ওপর।

    ‘ইকোলজিক্যাল থ্রেট রিপোর্ট ২০২৫’ (Australian Report)

    এবার ফেরা যাক মূল খবরে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যা পিস তার ‘ইকোলজিক্যাল থ্রেট রিপোর্ট ২০২৫’-এ একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। তার পরেই ঘুম ছুটে গিয়েছে পাকিস্তানের। ওই রিপোর্টে পাকিস্তান সম্পর্কে যে বক্তব্যটি এসেছে, তাতে বলা হয়েছে, ভারত এখন এমন প্রযুক্তি তৈরি করেছে, যার সাহায্যে সিন্ধু নদের প্রবাহ বদলে দেওয়া সম্ভব, এবং এটি ঠেকানোর ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই। উল্লেখ্য যে, অস্ট্রেলিয়ার ওই প্রতিষ্ঠান বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলির একটি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আর পাঁচটি সাধারণ অ্যাকাডেমিক কোনও গবেষণা রিপোর্ট নয়। এটি পাকিস্তানের মাথার ওপর ঝুলে থাকা মৃত্যুদণ্ডের খাঁড়া, যার হাতল ধরা রয়েছে ভারতের হাতে। ইসলামাবাদের এই সঙ্কটটি এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন পরিস্থিতি এর চেয়ে খারাপ হতে পারে না। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলায় খুন হন ২৬ জন হিন্দু ভারতীয়। তার পরেই পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। এর পাশাপাশি ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের জলসম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করত যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি, তাও স্থগিত করে দেয় নয়াদিল্লি।

    সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত

    সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় প্রমাদ গোণে পাকিস্তান। কারণ পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিজমি সম্পূর্ণভাবে সিন্ধু নদ থেকে সরবরাহ করা জলের ওপর নির্ভরশীল (Australian Report)। এই জল প্রবাহিত হয় ভারতের দিক থেকেই। পাকিস্তানের ঘনবসতিপূর্ণ সমতলভূমি, যেখানে কোটি কোটি মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভর করে বেঁচে রয়েছেন (India), তা পুরোপুরি এমন নদীগুলির জলের ওপর নির্ভরশীল, যেগুলি কোনও চুক্তি ভঙ্গ না করেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ভারত। যদিও জঙ্গিদের মদত দেওয়ায় এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কোনও পদক্ষেপ না করায় জলচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিসের রিপোর্টে প্রকাশ্যে চলে এসেছে পাকিস্তানের দুর্বলতা। জানা গিয়েছে, ভারতের এই প্রতিবেশী শত্রু দেশটির কাছে মাত্র ৩০ দিনের জল সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। এই পর্বে নদীর প্রবাহে কোনও বাধা সৃষ্টি হলে ভয়ঙ্কর জলসঙ্কটে পড়বে পাকিস্তান। যার জেরে পাকিস্তান মুখোমুখি হতে পারে

    ভালভ ঘুরিয়ে দিলেই কেল্লাফতে

    দুর্ভিক্ষ এবং অর্থনৈতিক অধঃপতনের (Australian Report)। স্থানীয় লোকজনও এলাকা ছেড়ে ভিড় করতে পারেন শহরে গিয়ে। যা বিশ্বের যে কোনও দেশের পক্ষেই হতে পারে বিপর্যয়ের একটি বড় কারণ। পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে গিয়ে ভারতকে খুব বেশি ‘নীচে’ নামতে হবে না। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু গ্রীষ্মকাল বা কৃষি মরশুমের মতো সঙ্কটপূর্ণ সময়ে বাঁধ পরিচালনায় সামান্য পরিবর্তন আনলেই বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে পাকিস্তানের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে গেলে দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই ভারতের। প্রয়োজন নেই মিসাইল খরচেরও। সীমান্তে সেনা পাঠিয়ে অকারণে উত্তেজনা বাড়ানোরও প্রয়োজন নেই। পাকিস্তানের (India) অর্থনীতির কোমর ভেঙে দিতে প্রয়োজন শুধু চাষের সময় স্রেফ বাঁধের কয়েকটি ভালভ ঘুরিয়ে দেওয়া (Australian Report)।

    ‘রান-অফ-দ্য-রিভার’

    রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, এই পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারত যখন সিন্ধু জল-বণ্টন চুক্তি স্থগিত করে, তখন তারা পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও পরামর্শ ছাড়াই চেনাব নদীর জল ছেড়ে দেয়। শুরুতে নদীর কিছু অংশ পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছিল। পরে যখন ভারত হঠাৎ করে লকগেট খুলে দেয়, তখন কাদামাটি-মেশানো তীব্র স্রোত ধেয়ে আসে পাকিস্তানের দিকে। অসহায়ভাবে তা দেখতে হয় পাকিস্তানের নাগরিকদের। অস্ট্রেলিয়ার ওই সংস্থার রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলির ওপর যেসব বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলি কোনও বিশাল জলাধার নয়। আদতে সেগুলি ‘রান-অফ-দ্য-রিভার’ প্রকল্প, যা স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারে না জলপ্রবাহ। পাকিস্তানের চিন্তার কারণ হল, জল ছাড়ার জন্য লকগেট কখন খোলা হবে, বন্ধই বা করা হবে কখন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার রশি রয়েছে ভারতের হাতে। জল কখন ছাড়বে, কতক্ষণ ধরে জলপ্রবাহ বইবে, এসবই ঠিক করে ভারত। কারণ জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি রয়েছে নয়াদিল্লির হাতেই। প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালের জলচুক্তি অনুযায়ী, ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সিন্ধু, ঝিলম এবং চেনাব – পশ্চিমাঞ্চলীয় এই তিন নদীর জল পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগ করে নেবে (India)। আর ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকবে পূর্বের তিন নদী-বিয়াস, রাভি ও শতদ্রু। চুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ভারতের আর সেই বাধ্যবাধকতা নেই। শীতের মরশুমে যার চড়া মাশুল গুণতে হতে পারে পাকিস্তানকে (Australian Report)।

    পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা

    এমনিতেই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয়। শাসকরা সুখে রইলেও, আম-পাকিস্তানবাসীর অবস্থা করুণ। এই দিক থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সন্ত্রাসবাদকে। জঙ্গিদের নিয়মিত রসদ এবং মদত জুগিয়ে মজিয়ে রেখেছে পাকস্তানের যুব সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশকে। সেই কারণেই পাকিস্তানের বাজেটে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তার চেয়ে ঢের বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয় প্রতিরক্ষা খাতে। তাই প্রতিরক্ষা খাতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত লোকজন সুখে থাকলেও, পেটে ভিজে গামছা দিয়ে দিন গুজরান করেন পাকিস্তানের একটা বড় অংশের মানুষ। তার পরেও ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) ধারণা ছিল যে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ও জেহাদি প্রক্সিগুলির কারণে তারাই কৌশলগত দিক থেকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে। পাকিস্তানের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা ভাবতেই পারেননি যে, হাতে না মেরেও ভারত পাকিস্তানকে মারতে পারে আক্ষরিক অর্থেই ভাতে। জলসম্পদ ও পরিকাঠামো উন্নয়নে ভারত যে দীর্ঘমেয়াদি লগ্নি করে চলেছে, তা বুঝতেই পারেনি (Australian Report) পাকিস্তান।

    সবচেয়ে শক্তিশালী অ–সামরিক অস্ত্র

    ভারত বাঁধ তৈরি করেছে। গড়েছে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ভারত এমন প্রযুক্তি তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে নদীর জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব। সন্ত্রাসের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা পাকিস্তান বুঝতেই পারেনি যে ভারতের হাতে সে তুলে দিয়েছে সবচেয়ে শক্তিশালী অ–সামরিক অস্ত্রটি। এখন, অপারেশন সিঁদুর ও সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে ভয়ঙ্কর বাস্তবতার। এই বাস্তবতাটি হল ভারত একটিও গুলি না ছুড়ে ভেঙে ফেলতে পারে পাকিস্তানের নড়বড়ে (India) অর্থনীতির মেরুদণ্ড। চোখের সামনে সব কিছু ঘটতে দেখলেও, হাত গুটিয়েই বসে থাকতে হবে ইসলামাবাদকে (Australian Report)।

  • Assam: কংগ্রেসের বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের নির্দেশ হিমন্তের

    Assam: কংগ্রেসের বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের নির্দেশ হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের দলীয় বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) ‘আমার সোনার বাংলা’। ঘটনায় তোলপাড় অসমের (Assam) রাজনীতি। এবার এই ঘটনায় জড়িত শ্রীভূমি জেলার কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

    হিমন্ত বিশ্বশর্মার বক্তব্য (Assam)

    সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই ঘটনা ভারতের প্রতি এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি এক প্রকাশ্য অসম্মান। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে কংগ্রেস আসলে বাংলাদেশে কিছু মানুষের সেই ধারণাকেই সমর্থন করছে, যে ভারতের সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল নাকি তাদের দেশের অংশ।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি পুলিশকে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন। শ্রীভূমি শহরে কংগ্রেসের সেবা দলের বৈঠক হয় মঙ্গলবার। বৈঠকের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যায় বছর পঁচাশির এক ব্যক্তি গানটির দু’টি লাইন গাইছেন। ভিডিওতে এও দেখা গিয়েছে, গায়ক দাঁড়িয়ে গান করলেও, অন্যান্যরা সবাই বসে ছিলেন। গানটি রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতাও তিনিই।

    কী বলল কংগ্রেস

    কংগ্রেসের (Assam) অভিযোগ, বিজেপি মানুষকে ভুল পথে চালিত করতে অযথা বিতর্কের সৃষ্টি করছে। শ্রীভূমি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তাপস পুরকায়স্থ বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আমাদের পঁচাশি বছর বয়সী কবি বিধুভূষণ দাস গানটির মাত্র দু’টি লাইন গেয়েছেন।” তাঁর দাবি, গানটিকে অপমান করা মানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করা। অসমের কংগ্রেস সভাপতি গৌরব গগৈ বলেন, “বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক রূপ দিচ্ছে এবং গানটির পেছনের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করছে।” তিনি বলেন, “বিজেপি বাংলা সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের দাবি করলেও তাদের আচরণ বারবার বাংলা ভাষা ও বাঙালি জনগণের প্রতি অপমানজনক হয়ে উঠেছে।”

    গৌরবের (Assam) বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস সভাপতির উচিত ছিল দলীয় নেতাদের পক্ষ নেওয়ার বদলে তাঁদের তৎক্ষণাৎ বহিষ্কার করা। কারণ তাঁরা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন।” তিনি বলেন, “এটি পাকিস্তান সরকারের একটি পরিকল্পনা। কয়েক দিন আগে (National Anthem) পাকিস্তান মহম্মদ ইউনূসকে একটি উপহার দিয়েছে, যেখানে ত্রিপুরা ও অসমকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই কংগ্রেস পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ‘ডট ডট’ দল। খারাপ শব্দটি আমি বলতে চাই না।”

  • Pakistan Afghanistan Peace Talks: ভেস্তে গিয়েছে পাক-আফগান শান্তি আলোচনা, ভারতকে দুষছে ইসলামাবাদ

    Pakistan Afghanistan Peace Talks: ভেস্তে গিয়েছে পাক-আফগান শান্তি আলোচনা, ভারতকে দুষছে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রফাসূত্র না বেরনোয় তুরস্কে ভেস্তে গিয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের শান্তি আলোচনা (Pakistan Afghanistan Peace Talks)। এজন্য ভারতকে দুষছে শাহবাজ শরিফের দেশ। শান্তি আলোচনা (Ceasefire) বিশ বাঁও জলে চলে যাওয়ায় ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। যদিও, আলোচনার আগে অচলাবস্থায় পৌঁছানোর আসল কারণ ছিল পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলা রোধে ইসলামাবাদের অসহায়তা।

    কী বলছে কাবুলের সংবাদমাধ্যম (Pakistan Afghanistan Peace Talks)

    টোলো নিউজের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আলোচনায় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেছিলেন যে আফগানিস্তান কেবল তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলার জন্য আফগান মাটি ব্যবহার রোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে যদি ইসলামাবাদ আফগান আকাশসীমা লঙ্ঘন বন্ধ করে এবং মার্কিন ড্রোন ওড়ানো বন্ধ করে। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের ওই সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে যে পাকিস্তান এই শর্ত মানতে রাজি হয়নি। টোলো নিউজের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, আলোচনা বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে পাঠান ও পাকিস্তানি প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে ফের আলোচনা শুরু করেছে। তুরস্কে শান্তি আলোচনার পর জানা গিয়েছিল যে একটি বিদেশি দেশ আফগান ভূখণ্ডে ড্রোন হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করছে।

    টোলো নিউজের রিপোর্ট

    টোটো নিউজের ওই রিপোর্টে সাফ জানানো হয়েছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই পাকিস্তান থেকে ড্রোন পরিচালনা করছে।’ কাবুলের (আফগানিস্তানের রাজধানী) সাংবাদিক তামিম বাহিস এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “আফগানিস্তানের সংবাদ চ্যানেলগুলির মতে, পাকিস্তান একটি ‘বিদেশি দেশের’ সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা স্বীকার করেছে যা আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে নজরদারি এবং সম্ভাব্য হামলার জন্য তার আকাশসীমায় ড্রোন পরিচালনার অনুমতি দেয়।”  এক্স হ্যান্ডেলেই টোলো নিউজের পোস্ট (Pakistan Afghanistan Peace Talks), “প্রথমবারের মতো, পাকিস্তান এই আলোচনার সময় স্বীকার করেছে যে ড্রোন হামলার অনুমতি দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের একটি চুক্তি রয়েছে এবং দাবি করেছে যে তারা সেই চুক্তি ভঙ্গ করতে পারবে (Ceasefire) না।”

    ভারতের দোষ!

    সূত্রের উল্লেখ করে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, “শান্তি আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা প্রাথমিকভাবে কিছু শর্ত মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু সম্ভবত পাকিস্তানের হাইকমান্ডের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর তাঁরা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেন। তাঁরা বলেন, মার্কিন ড্রোনের ওপর তাঁদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই এবং আইসিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন না।” রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “কাতার এবং তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীরাও পাক প্রতিনিধিদলের আচরণে অবাক হয়েছিলেন।” তার পরেও আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার দায় চাপানো হচ্ছে আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন এবং ভারতের ঘাড়ে।

    পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “কাবুলের লোকেরা যাঁরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং পুতুলের নাটক করছেন, তাঁরা দিল্লির নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন। যখনই আমরা কোনও চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছি (Pakistan Afghanistan Peace Talks), তখনই প্রতিনিধিরা কাবুলকে রিপোর্ট করেছেন, হস্তক্ষেপ করা হয়েছে এবং চুক্তিটি প্রত্যাহার করা হয়েছে (Ceasefire)।” আসিফ যা বলেননি, তা হল পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলার বিষয়ে ফোনে কথা বলার পর পাক প্রতিনিধি দলের আচরণ কীভাবে দ্রুত বদলে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর, খাজা আসিফ ২০০১ সালের মার্কিন নেতৃত্বাধীন তোরা বোরা যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তালিবানদের হুমকিও দিয়েছিলেন।

    তালিবান শাসনকে নির্মূলের হুমকি!

    সংবাদমাধ্যমে আসিফ বলেন, “আমি তাদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, তালিবান শাসনকে নির্মূল করতে এবং তাদের গুহায় ফেরাতে সম্পূর্ণ অস্ত্রাগারের একাংশও ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই পাকিস্তানের। যদি তারা তা চায়, তাহলে তোরা বোরায় তাদের (তালিবানদের) পরাজয়ের দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হবে। তাদের লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য এই অঞ্চলের মানুষের কাছে দেখার মতো একটি দৃশ্য হবে (Pakistan Afghanistan Peace Talks)।” প্রসঙ্গত, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ইসলামাবাদ আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা এবং কৌশলগত সংযোগ জোরদার করেছে (Ceasefire)। এনিয়ে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তড়িঘড়ি ওভাল অফিসে দৌড়ানোও। এই সফরে শরিফের সঙ্গে ছিলেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরও।

    ট্রাম্পের হুমকি!

    তাছাড়া, ট্রাম্প প্রকাশ্যে তালিবান-নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তান থেকে বাগরাম বিমানঘাঁটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন। আফগানিস্তানকে তিনি এই বলে সতর্কও করেন যে, আমেরিকা যদি এটি পুনরুদ্ধার না করে তবে খারাপ ঘটনা ঘটবে। কূটনীতিকদের মতে, পাক-আফগান সংঘাত বন্ধ হবে তখনই, যখন আফগানিস্তান ঔপনিবেশিক ব্রিটিশদের দ্বারা টানা ডুরান্ড লাইনকে স্বীকৃতি দেবে। এই লাইনই পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে পশতুন এলাকাকে বিভক্ত করেছে। যেহেতু পাঠানরা এই লাইনকে মান্যতা দেয় না, তাই চলতেই থাকে পাক-আফগান যুদ্ধ (Pakistan Afghanistan Peace Talks)। যদিও এক্স হ্যান্ডেলে কাবুলের সাংবাদিক আলি এম লতিফি লেখেন, “পাকিস্তান স্বীকার করেছে যে তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। আসলে পাকিস্তান যে (Ceasefire) এক সময় বারাক ওবামার ড্রোন হামলার শিকার হয়েছিল।”

  • Indian Pressure: চাবাহার বন্দর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল আমেরিকা, ভারতের চাপেই নতি স্বীকার!

    Indian Pressure: চাবাহার বন্দর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল আমেরিকা, ভারতের চাপেই নতি স্বীকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের চাপের (Indian Pressure) কাছে নতি স্বীকার করল ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা! তুলে নিল ইরানের কৌশলগত চাবাহার (Chabahar) বন্দরের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা। এর ফলে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ পরিকল্পনার জন্য নয়াদিল্লির একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ পুনরুদ্ধার হল। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ভারতের একটি বড় কূটনৈতিক জয়। কারণ এই বন্দরের নির্মাণ ও পরিচালনায় ইতিমধ্যেই মোটা অঙ্কের লগ্নি করে ফেলেছে ভারত। বন্দরটি সম্পূর্ণভাবে রয়েছে ভারতের নিয়ন্ত্রণেই।

    নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার (Indian Pressure)

    ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত চাবাহার একটি গভীর সমুদ্রবন্দর। এটি পাকিস্তানকে এড়িয়ে ভারতকে সরাসরি আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করে। গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বন্দরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তার জেরে ভারত সাময়িকভাবে কাজকর্ম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল। ভারত সব সময়ই দাবি করে এসেছে যে, চাবাহার বন্দর আফগানিস্তানের জন্য একটি মানবিক ও অর্থনৈতিক জীবনরেখা। এটি খাদ্যশস্য, ওষুধ-সহ নানা জরুরি পণ্য পরিবহণে সাহায্য করে। নয়াদিল্লির বক্তব্য, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং স্থলবেষ্টিত দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এই বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানা গিয়েছে, ভারতের লাগাতার কূটনৈতিক চাপের জেরে ওয়াশিংটন (আমেরিকার রাজধানী) এখন আগামী বছরের শুরু পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দিয়েছে। এর ফলে চাবাহার বন্দরে ফের জোর কদমে কাজকর্ম শুরু করবে ভারত।

    আঞ্চলিক কৌশলের কেন্দ্রে চাবাহার

    চাবাহার বন্দরটি দীর্ঘদিন ধরে ভারতের আঞ্চলিক কৌশলের কেন্দ্রে রয়েছে (Indian Pressure)।  ২০১৮ সালে আমেরিকা প্রথমবারের মতো ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তখন ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জেরে চাবাহার বন্দরের ওপর সেই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হয়নি। এই ছাড়ের ফলে নয়াদিল্লি তেহরানের সঙ্গে তার যোগাযোগ বজায় রাখতে পারে, পারে এই এলাকায় সংযোগমূলক প্রকল্পগুলিকে এগিয়ে নিতে যেতে (Chabahar)। ২০১৬ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তেহরান সফরের সময় ভারত–ইরান–আফগানিস্তান ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের পর চাবাহার বন্দর নিয়ে ভারত আরও বেশি করে মনোযোগ দেয়। এই চুক্তির উদ্দেশ্যই ছিল চাবাহারের মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক পরিবহণ করিডর তৈরি করা, যা আফগানিস্তান এবং তার বাইরের বাজারগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়াবে। ২০১৮ সালে ভারত ‘ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেডে’র মাধ্যমে শাহিদ বেহেশতি টার্মিনালের কাজকর্মের দায়িত্ব নেয়। এর ফলে চাবাহারে ভারতের উপস্থিতি আরও মজবুত হয়। ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষের বাজেটে ভারত চাবাহার বন্দর সম্প্রসারণের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর এই বিনিয়োগ আপাতত নিরাপদ (Chabahar)।

    বড় পরিকল্পনা ভারতের

    চাবাহার বন্দরের পরিকাঠামো এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ নিয়ে বড় পরিকল্পনা করেছে ভারত। বর্তমানে এই বন্দরের পণ্য পরিচালন ক্ষমতা ১ লাখ টিইইউ (২০ ফুটের ইউনিট)। অর্থাৎ, ২০ ফুটের এক লক্ষ ইউনিট। একে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টিইইউতে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। ইরানের ভিতর দিয়ে চলা ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেললাইনও নির্মাণ করা হচ্ছে, যার ফলে উন্নত হবে আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়া এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ (Indian Pressure)। প্রসঙ্গত, বন্দর ও রেল দুটি প্রকল্পই ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে চালু হওয়ার কথা। এটি ভারতের আঞ্চলিক বাণিজ্যিক প্রভাবকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।

    চাবাহার বন্দরের কৌশলগত গুরুত্ব

    ভারতের কাছে চাবাহার বন্দরের কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। ওমান উপসাগরের তীরে অবস্থিত এই বন্দর পাকিস্তানের চিন নিয়ন্ত্রিত গদর বন্দর থেকে মাত্র ১৪০ কিলোমিটার দূরে। চিন ও পাকিস্তান যেখানে চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরের অধীনে গদরের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে, সেখানে ভারতের চাবাহার বন্দরের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ সেই আধিপত্যকে ভারসাম্যপূর্ণ করে বলেও দাবি কূটনীতিবিদদের একাংশের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জেরে এক সময় ভারতের আঞ্চলিক প্রভাব কিছুটা দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে আরব সাগরের বুকে স্থিতিশীল ও প্রভাবশালী একটি শক্তি হিসেবে আবারও প্রতিষ্ঠিত হল ভারত (Indian Pressure)।

    ইসলামাবাদের উদ্বেগ

    এদিকে, সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বালুচিস্তানের পাশনি এলাকায় একটি নতুন বন্দর নির্মাণ করবেন বলে। চাবাহার থেকে এই এলাকার দূরত্ব মাত্র ১৫০ কিলোমিটার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানের এই উদ্যোগ ভারতের পুনরুজ্জীবিত কৌশলগত সুবিধা নিয়ে ইসলামাবাদের উদ্বেগকেই প্রতিফলিত করে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এখনও পাকিস্তানের এই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এ থেকে স্পষ্ট, ওয়াশিংটন ভারতের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত ভূমিকা সম্পর্কে যথেষ্টই ওয়াকিবহাল (Chabahar)।

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্প সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত শুধু ভারতের অর্থনৈতিক স্বার্থকেই সুরক্ষিত করে না, বরং ভারত মহাসাগর ও মধ্য এশিয়ার যোগাযোগপথে আঞ্চলিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার এক নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে ভারতের অবস্থানকেও শক্তিশালী করে (Indian Pressure)।

LinkedIn
Share