Tag: pakistan

pakistan

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ভারত ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল পাকিস্তানকে, কীভাবে জানেন?

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ভারত ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল পাকিস্তানকে, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) পাকিস্তান যে নাস্তানাবুদ হয়েছিল, সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে তা জানে তামাম বিশ্ব। তবে সেই অপারেশন নিখুঁত করতে গিয়ে ভারত ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল পাকিস্তানকে (Pakistan)। ভারতের পাঠানো পাইলটবিহীন ছদ্ম বিমানের মোকাবিলা করতে যখন ব্যস্ত পাক সেনা, সেই সময়ই নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানে ভারত। ৯ মে রাতে ও ১০ মে ভোরে একের পর এক পাক বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। যার জেরে দেশে যুদ্ধবিমান মজুত থাকলেও, সেগুলি ওড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল ইসলামাবাদ। কারণ, রানওয়েতে বিশাল গর্ত। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, তার পরেই একপ্রকার বাধ্য হয়েই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় ভারতকে। বিশ্বকে শান্তির ললিত বাণী শোনায় যে ভারত, সেই ভারতই সাড়া দেয় পাকিস্তানের প্রস্তাবে। তারই ফসল এই সংঘর্ষ বিরতি। বিভিন্ন সূত্র মারফত এমন খবর পেয়েছে সংবাদ মাধ্যম। ঠিক কী ঘটেছিল সেই রাতে, কীভাবেই বা সাজানো হয়েছিল পাক বধের ঘুঁটি, কীভাবে পাকিস্তানকে কার্যত লেজেগোবরে করে ছেড়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত?

    ডামি যুদ্ধবিমান (Operation Sindoor)

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করতে ডামি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল ভারতীয় সেনা। পাইলটবিহীন এই যুদ্ধবিমানগুলি যে আদতে খেলনা বিমানের মতো, তা বুঝতে পারেনি পাক সেনা (Operation Sindoor)। ভারতীয় যুদ্ধ বিমানকে আঘাত করতে সক্রিয় হয় তারা। তখনই ভারতীয় সেনা জেনে যায় পাকিস্তানের লুকিয়ে রাখা রেডারের অবস্থান। এর পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করে ভারত। তার জেরই সফল হয় অপারেশন সিঁদুর। ‘লক্ষ্য’ ও ‘বানশি’ নামে পরিচিত এই ডামি ইউএভিগুলি রাফাল, সুখোই-৩০, মিগ-২৯ এবং জাগুয়ারের মতো ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানগুলিকে অনুকরণ করতে পারে।

    পাকিস্তানি বায়ুসেনাকে খোঁড়া করে দেওয়া

    ভারত প্রথম থেকেই ঠিক করেছিল পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলিতে হামলা চালানো হবে আকাশ পথে (Pakistan)। উদ্দেশ্য, পাকিস্তানি বায়ুসেনাকে খোঁড়া করে দেওয়া। ভারতের হামলার মোকাবিলা করতে পাকিস্তান তাদের মেড ইন চায়না, এইচকিউ-৯ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের লঞ্চার ও রাডারগুলি দেশের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করে। কয়েকটির অবস্থান ভারত আগে থেকেই জেনে গিয়েছিল। কিন্তু নতুন কয়েকটি জায়গায়ও মোতায়েন করা হয়েছিল লঞ্চার ও রাডারগুলি। ভারত ডামি যুদ্ধ বিমান পাঠাতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে পাকিস্তানের রাডার এবং লঞ্চার। সক্রিয় হয় এয়ার ডিফেন্স নেটওয়ার্কও। এইচকিউ-৯-ও সক্রিয় হয় (Operation Sindoor)।

    বেআব্রু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

    ব্যস, খেল খতম! পাকিস্তানের কোথায় কোথায় রাডার এবং লঞ্চার রাখা হয়েছে, তা জেনে যায় ভারত। তারপর করা হয় পদক্ষেপ। এর পরেই পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স রাডার, কমান্ড এবং কন্ট্রোল সিস্টেমগুলিকে লক্ষ্য করে ইজরায়েলে তৈরি হারোপ-সহ একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী (Pakistan)। দূরপাল্লার একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যেই ছিল ব্রহ্মোস এবং স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্রও। এই হামলায় প্রায় ১৫টি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্ক্যাল্প, রাম্পেজ এবং ক্রিস্টাল মেজ ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই প্রথম ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কোনও সংঘাতে ব্যবহার করা হল। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের পাঠানো ডামি যুদ্ধবিমানের টোপ গেলাই কাল হয়েছিল পাকিস্তানের। ভারতের পাতা ফাঁদে পা দিতেই এ দেশের সেনার কাছে ধরা পড়ে যায় তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঠিক অবস্থান। তার পরেই নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত করে ভারতীয় সেনা (Operation Sindoor)।

    পাক সেনাকে ঘোল খাইয়ে ছাড়ল ভারত

    পাক সেনাকে ঘোল খাইয়ে ছাড়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের ছোড়া ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র নষ্ট করে দেয় ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতির’। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই প্রাচীরই রুখে দিয়েছিল পাকিস্তানের হামলা। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭জন হিন্দু পর্যটককে। ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন। পরে অবশ্য তারা অস্বীকার করে হামলার দায় (Pakistan)।

    এর পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে কোমর বাঁধে ভারতীয় সেনা। এই লক্ষ্যে ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। ৯-১০ মে রাতে ভারতের হানায় পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনাঘাঁটিও আক্রান্ত হয়। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তানের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনাঘাঁটির মধ্যে ১১টি আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “ওই অভিযানে (Pakistan) ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল সেনা। তাতে রাতের অন্ধকারে দিন দেখেছে পাকিস্তান (Operation Sindoor)।”

  • Teesta Prahar: বাংলাদেশের বুকে কাঁপুনি! পূর্ব সীমান্তেও প্রস্তুত, চিকেন নেকে ভারতীয় সেনার ‘তিস্তা প্রহার’

    Teesta Prahar: বাংলাদেশের বুকে কাঁপুনি! পূর্ব সীমান্তেও প্রস্তুত, চিকেন নেকে ভারতীয় সেনার ‘তিস্তা প্রহার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম সীমান্তে যে সময় অপারেশন সিঁদুর-এর মাধ্যমে পাকিস্তানের বুকে কাঁপুনি ধরাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা, ঠিক সেই সময়ই (৮-১০ মে) বাংলাদেশ সীমান্তে ব্যাপক সামরিক মহড়া সেরে রাখল ভারতীয় স্থলসেনা (Indian Army)। উত্তরবঙ্গে তিন দিন ধরে চলল ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ‘তিস্তা প্রহার’ (Teesta Prahar)। শিলিগুড়ির অদূরে চিকেন নেক এলাকার আশেপাশেই এই মহড়া দেয় ভারতীয় স্থলসেনা। ওদলাবাড়ির (Odlabari) সাওগাঁ বস্তির অদূরে তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে চলল মহড়া। তত্ত্বাবধানে সেনার ছিল ইস্টার্ন কমান্ড।

    কেন এই মহড়া

    উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে আপাতত যুদ্ধবিরতি চললেও, পূর্ব সীমান্তেও ভারতীয় সেনাবাহিনী যে আক্রমণ রুখে দিতে একেবারে প্রস্তুত তারই ঝলক দেখা গেল তিস্তা প্রহার-এ (Teesta Prahar)। তাহলে লক্ষ্য কি ঢাকা? পাকিস্তানের সমর্থনে বেশ লম্ফঝম্প করছিল বাংলাদেশ। এমনকি, হুমকি দেওয়া হয়েছে যে ভারত-পাক যুদ্ধ হলে চিনের সাহায্যে সেভেন সিস্টার্স দখল করা হবে। তারই জবাব দিল ভারত, এমনই অনুমান বিশ্লেষকদের। এমনিতে, পাকিস্তানের শোচনীয় অবস্থা দেখে সুর পাল্টেছে ইউনূসরা। হিন্দুদের সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, পাকিস্তান যদি এতটা পর্যুদস্ত না হত, বা পাকিস্তান যদি ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিত। তাহলে কি বাংলাদেশ এমন চুপ থাকত? বাংলাদেশ হায়নার মতো আচরণ করতে না কে বলতে পারে? সাতপাঁচ ভেবেই কি সামরিক মহড়া? ঘুরিয়ে বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত, অভিমত কূটনৈতিক মহলে।

    কী কী হল মহড়ায়

    পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ আবহে উদ্বেগ বেড়েছিল ‘চিকেন নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডর নিয়ে। ভারত-পাক সংঘাতের সুযোগ নিয়ে চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত (সেভেন সিস্টার) দখলের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ভারতীয় সেনার শক্তি দেখে নিয়েছে বিশ্ব। ইসলামাবাদকে যোগ্য জবাব দেওয়ার পাশাপাশি পরোক্ষে বার্তা দেওয়া হয়েছে চিন-বাংলাদেশকেও। দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে পূর্ব সীমান্তেও যে জওয়ানরা জবাব দিতে সর্বদা প্রস্তুত তারই ঝলক দেখা গেল তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে। তিনদিনের এই ‘তিস্তা প্রহার’ মহড়ায় ভারতীয় সেনার ইনফ্যানট্রি, আর্টিলারি, আর্মার্ড কোর, আর্মি অ্যাভিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স এবং সিগনাল কোর অংশগ্রহণ করেছিল। ভারতীয় সেনার অস্ত্রভান্ডারে সদ্য নিয়োজিত ‘নেক্সট জেনারেশন’ অস্ত্রশস্ত্র, মিলিটারি প্ল্যাটফর্ম এবং যুদ্ধক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগের মতো গুরুত্ব দিয়ে তিনদিনের মহড়ায় তুলে ধরা হয়। এছাড়াও প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে দ্রুততার সঙ্গে বাহিনীর প্রতিটি বিভাগের মধ্যে নিখুঁত সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতে কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় সেই প্রক্রিয়াতেও শান দেওয়া হয়েছে। মহড়ার একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ভারতীয় সেনার অস্ত্রভান্ডারে সদ্য নিয়োজিত ‘নেক্সট জেনারেশন’ অস্ত্রশস্ত্র। মহড়ায় এই যুদ্ধাস্ত্রের ব্যবহার, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও আধুনিকীকরণের উপর জোর দেওয়া হয়। বিভিন্ন দুর্গম জায়গাতেও প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতে কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে সেই প্রক্রিয়াতেও শান দেওয়া হয়।

    ঢাকার বুকে কাঁপুনি

    তিনদিনের ‘তিস্তা প্রহার’ (Teesta Prahar)মহড়া শেষে সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের তরফে প্রেস বার্তায় দাবি করা হয়েছে, যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতীয় সেনা একশো শতাংশ প্রস্তুত। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে একেবারে নিখুঁত সমন্বয় সাধনের জন্য এই মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানিয়েছে সেনা। ভারতীয় সেনার এই মহড়ায় ঢাকার বুকে কাঁপুনি ধরাতে পারে।

    আকাশকুসুম স্বপ্ন নয়

    সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। সেখানে তিনি বলেন, “ভারতের পূর্ব প্রান্তের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়, ওই বিরাট অঞ্চল কিন্তু পাহাড় আর স্থলভাগে ঘেরা। সমুদ্রপথে যোগাযোগ করার উপায়ই নেই তাদের। বাংলাদেশই হল সমুদ্রপথের রাজা। তাই ওই এলাকায় চিনা অর্থনীতির বিস্তার ঘটতেই পারে।” এই মন্তব্যের ইঙ্গিত অত্যন্ত স্পষ্ট যে, ভারতের ৭ রাজ্য (সেভেন সিস্টার)কে ভেঙে ফেলতে চায় বাংলাদেশ। এই একই ইচ্ছা চিনের। বাংলাদেশের মুখে এমন মন্তব্যে দুয়ে দুয়ে চার করতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি দিল্লির। কড়া জবাব হিসাবে ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ব্যবসার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, কয়েকদিন আগেই ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ওপার বাংলার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেন, দিল্লি-ইসলামাবাদের মধ্যে যুদ্ধ লাগলে নাকি ঢাকার উচিত ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো দখল করে নেওয়া। আর এর জন্য তারা হাত মেলাবে চিনের সঙ্গে। পড়শি দেশের এই আকাশকুসুম স্বপ্ন যে কোনও দিনই সফল হবে না তা বুঝিয়ে দিল ‘তিস্তা প্রহার’ মহড়া।

  • Operation Sindoor: “পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ করতে পারে ভারত”, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তার

    Operation Sindoor: “পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ করতে পারে ভারত”, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক উভয় ক্ষেত্রেই শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে। এর মাধ্যমে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায়, যে কোনও সময় আক্রমণ করতে পারে ভারত।” অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) প্রেক্ষিতে কথাগুলি বললেন মার্কিন সেনার প্রাক্তন রণকৌশলবিদ (US Army Warfare Expert)।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। পড়শি দেশের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটিকে দুরমুশ করে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির এই অপারেশন উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে তামাম বিশ্বে। এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত কেবল পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিই ধ্বংস করেনি, পাকিস্তানি বায়ুসেনার প্রায় এক ডজন বিমানঘাঁটিও ধ্বংস করেছে। তার পরেই অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ যুদ্ধবিশারদরা।

    মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জন স্পেন্সার বলেন, “যে চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে পাকিস্তান, তা ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দাঁড়াতেই পারবে না।” স্পেন্সার বলেন, “পাকিস্তানের গভীরে আক্রমণের বিরুদ্ধে ভারত সফলভাবে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি ড্রোন আক্রমণ এবং উচ্চ গতির ক্ষেপণাস্ত্র।”

    স্পেন্সার বর্তমানে মডার্ন ওয়ারফেয়ার ইনস্টিটিউটের আরবান ওয়ারফেয়ার স্টাডিজের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের ব্যবহৃত চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার জন্য ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা ভারতের উন্নত সামরিক সক্ষমতার (Operation Sindoor) প্রমাণ। চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ভারতের তুলনায় দুর্বল। ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র চিনা ও পাকিস্তানি উভয় বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছিল।” এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতের বার্তা স্পষ্ট ছিল। এটি যে কোনও সময় পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে পারে।”

    প্রসঙ্গত, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সব চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। এটি ভূপৃষ্ঠের যে কোনও জায়গা থেকে এবং সমুদ্রের সাবমেরিন থেকে, আকাশে যুদ্ধবিমান থেকে এবং স্থলে লঞ্চার থেকে নিক্ষেপ করা যেতে পারে (US Army Warfare Expert)। এটিই বিশ্বের একমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র যা চারটি উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম থেকে নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখে (Operation Sindoor)।

  • Pakistan: ‘‘ধর্মের অপব্যবহার করে জিহাদের প্রসার ঘটাচ্ছে পাকিস্তান’’, মত ইতিহাসবিদ টম কুপারের

    Pakistan: ‘‘ধর্মের অপব্যবহার করে জিহাদের প্রসার ঘটাচ্ছে পাকিস্তান’’, মত ইতিহাসবিদ টম কুপারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) ধর্মের “ব্যাপক অপব্যবহার” করে জিহাদের জন্ম দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সামরিক বিমানচালনা বিশ্লেষক এবং ইতিহাসবিদ টম কুপার (Tom Cooper)। তিনি জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না। কুপার বলেন, ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসবাদ পশ্চিম আফ্রিকার নাইজেরিয়া থেকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ফিলিপিন্স পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক কাঠামো দীর্ঘদিন ধরে সামরিক শাসনের কবলে রয়েছে। কুপারের কথায়, “পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও অসামরিক নেতৃত্বের সম্পর্ক কখনওই ভালো ছিল না। দেশটিতে একাধিক সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে এবং বেশিরভাগ সময়ই দেশটি সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। ফলে এই সমস্যার সমাধান হবে না বলেই আমি মনে করি।” ধর্মকে ব্যবহার করে আমজনতাকে ভুল বুঝিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। বারবার এমনই অভিমত প্রকাশ করেছে ভারতও।

    পারমাণবিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

    পাকিস্তানের (Pakistan) পারমাণবিক নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন টম কুপার (Tom Cooper)। তিনি বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ইঙ্গিতপূর্ণ। পাকিস্তানের হাতে পরমাণু অস্ত্রও নিরাপদ নয়। কুপার বলেন, “ভারত তার গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলির উপর কড়া নজরদারি করছে। ভারতের হাতে এই বিষয়ে নির্ভুল তথ্য রয়েছে। এটি স্পষ্ট করে যে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনার সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ।” তাঁর দাবি, এই উদ্বেগ নতুন কিছু নয় এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা বহু বছর আগেই এই ধরনের শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। পাকিস্তানের উপর ভারতের আধিপত্য নিয়ে কুপার বলেন, “ভারত তার কৌশলগত গোয়েন্দা উপগ্রহের মাধ্যমে পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং পাকিস্তানের পক্ষে এতে বাধা দেওয়া প্রায় অসম্ভব।”

    পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা

    পাকিস্তানের (Pakistan) অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা এবং ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসবাদের প্রসার বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুপারের (Tom Cooper) মতে, পাকিস্তান শুধু নিজের দেশের মধ্যেই জিহাদবাদের প্রজনন ঘটাচ্ছে না, বরং আন্তর্জাতিকভাবেও এর অর্থায়ন এবং সংগঠন করছে। এই প্রক্রিয়া আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে, যা বিশ্ব শান্তির জন্য এক কঠিন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে। এটি শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরীণ নীতি নির্ধারণেই প্রভাব ফেলে না, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কুপারের মতে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী নিজস্ব স্বার্থ এবং উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত হয়, যা দেশের ব সরকারের সঙ্গে সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

  • Indus Waters Treaty: সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের পর চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ভারতের, আরও চাপ বাড়বে পাকিস্তানের

    Indus Waters Treaty: সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের পর চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ভারতের, আরও চাপ বাড়বে পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রভাগা নদীর ওপর খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আরও বেশি জল ঢুকবে ভারতে। সিন্ধু চুক্তি (Indus Waters Treaty) অনুযায়ী, সিন্ধু নদের এই উপনদীর জল পাকিস্তানই ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত। এই আবহে চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের কথা ভাবা হয়েছে বলে জানিয়েছে নয়া দিল্লি। জানা যাচ্ছে, চন্দ্রভাগার ওপর এই খালটির নাম ‘রণবীর’। সেটাই সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছে নয়াদিল্লি।

    বাড়বে জল বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা (Indus Waters Treaty)

    ভারত সরকারে এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, চন্দ্রভাগা নদীর জল ভারত খুব একটা ব্যবহার করতে পারে না। সামান্য জলই পাওয়া যায়, এটি সেচের কাজেই লাগে। সিন্ধু চুক্তি স্থগিত (Indus Waters Treaty) হওয়ার পর নদীর জল আরও বেশি করে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছে ভারত। মনে করা হচ্ছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই জল ব্যবহার করা গেলে, এদেশে বিদ্যুতের চাহিদাও মিটবে। জানা যাচ্ছে, এভাবেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আরও ৩০০০ মেগাওয়াট বৃদ্ধি করার কথা ভাবছে নয়াদিল্লি।

    রণবীর খালের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ১২০ কিলোমিটার করা হবে

    ইতিমধ্যে সমীক্ষার (Indus Waters Treaty) পরিকল্পনাও করা হয়ে গিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমাদের অন্যতম প্রধান পরিকল্পনা হল, চন্দ্রভাগার উপর রণবীর খালের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ১২০ কিলোমিটার করা। তবে এ সব কাজ তো সময়সাপেক্ষ। আমরা সকলকে বলেছি, যত দ্রুত সম্ভব প্রক্রিয়া শুরু করতে।’’ খাল সম্প্রসারণের পাশাপাশি কাঠুয়া, রবি, পরাগওয়ালের মতো খালগুলিতে পলি সরানোর কাজও শুরু হয়েছে। এতে নদীগুলির জলধারণের ক্ষমতা বাড়বে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলা হয়। এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। সন্ত্রাসে পাকিস্তানের যোগ উঠে আসে। তখনই স্থগিত করা হয় সিন্ধুচুক্তি। প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে।

  • India-Pakistan War: ভারতের আকাশ, ব্রহ্মোস, স্কাই স্ট্রাইকার! ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ অস্ত্রে ধ্বংস পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা

    India-Pakistan War: ভারতের আকাশ, ব্রহ্মোস, স্কাই স্ট্রাইকার! ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ অস্ত্রে ধ্বংস পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের (India-Pakistan War) আবহে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া ওয়েপন’ বা দেশের মাটিতে তৈরি হাতিয়ার সকলের নজর কেড়েছে। সংশ্লিষ্ট অস্ত্রগুলির আঘাতে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ দশা হয়েছে ইসলামাবাদের। ভারতীয় সেনাবাহিনী আকাশ, ব্রহ্মোস ও স্কাই স্ট্রাইকার আত্মঘাতী ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চূর্ণ করে দিয়েছে। অপারেশন সিঁদুর শুধু পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে তা নয়, বরং ভারতের আত্মনির্ভরশীল প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির শক্তি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছে। গত কয়েক বছরে ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে। ডিআরডিও (Defence Research and Development Organisation) ও ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (BDL)-এর মতো প্রতিষ্ঠান বিশ্বমানের অস্ত্র তৈরি করছে, যেগুলো এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানিও হচ্ছে।

    আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা

    ডিআরডিও নির্মিত আকাশ হলো ভারতের (India-Pakistan War) নিজস্ব সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এটি ভারতীয় বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষার মেরুদণ্ডে পরিণত হয়েছে। আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ২৫ থেকে ৪৫ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত এবং ১৮,০০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, যার সফলতা ৯০ শতাংশ। গত ৮ থেকে ১০ মে, পাকিস্তানের একাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আকাশ সিস্টেম দ্বারা প্রতিহত করা হয়। এর মধ্যে শ্রীনগরে একটি পাকিস্তানি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান, পাঞ্জাবে একটি ফতেহ্-১ ক্ষেপণাস্ত্র এবং একাধিক পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র ও ডিজেআই সামরিক ড্রোন ধ্বংস করা হয়। লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করতে বিশেষ ধরনের একটি রেডার যুক্ত রয়েছে এই ব্যবস্থায়। ডিআরডিও জানিয়েছে, দু’ভাবে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। ট্র্যাকিং মোডে এটি একসঙ্গে ৬৪টি টার্গেটকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করতে সক্ষম। আবার সক্রিয় মোডে ১২টি লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে আকাশ।

    ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র

    ব্রহ্মোস হলো ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে নির্মিত একটি সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটি পৃথিবীর দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে পরিচিত, যার গতি শব্দের গতির তিন গুণ। বর্তমানে এর পরিসীমা ৯০০ থেকে ১৫০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে এবং এটি ভূমি, জল, আকাশ ও সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য। বর্তমানে তিন ধরনের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ভারতীয় ফৌজ। তার মধ্যে রয়েছে স্থলভাগ এবং যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়ার ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র। এ ছাড়া রণতরীর জন্য আলাদা ধরনের ব্রহ্মোস রয়েছে। সেগুলি মূলত ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির যুদ্ধজাহাজে ব্যবহার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। সূত্রের খবর, এর সাহায্যে পাকিস্তানের একাধিক বায়ুসেনাঘাঁটিকে গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বিমানবাহিনী। গত ১১ মে, ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যেখানে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়। এই অভিযানে লাহোর, ইসলামাবাদ ও করাচি-সহ সাতটি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

    স্কাই স্ট্রাইকার আত্মঘাতী ড্রোন

    স্কাই স্ট্রাইকার হলো ভারত ও ইজরায়েলের যৌথভাবে নির্মিত একটি “কামিকাজে” ড্রোন। এটি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই ড্রোন ‘ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুর হামলা চালায়। এই ড্রোন দীর্ঘ সময় ধরে আকাশে চক্কর কাটতে পারে এবং ছোট ও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁতভাবে ধ্বংস করতে পারে। এর ৫-১০ কেজি বিস্ফোরক বহনের ক্ষমতা রয়েছে। ‘স্কাই স্ট্রাইকার’-এর নির্মাণকারী সংস্থা হল আদানি গোষ্ঠীর বেঙ্গালুরুভিত্তিক সংস্থা আলফা ডিজাইন। ইজরায়েলি সংস্থা এলবিট সিকিউরিটিজের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এটিকে তৈরি করেছে তারা। সূত্রের খবর, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে মোট ন’টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে এই ড্রোন ব্যবহার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ইসলামাবাদের হাতে থাকা চিনের তৈরি এইচকিউ-৯পি নামের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ একে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়।

    নাগাস্ত্র-১ লইটারিং মিউনিশন: নিখুঁত সার্জিকাল স্ট্রাইক

    ডিআরডিও-র তত্ত্বাবধানে সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ দ্বারা নির্মিত নাগাস্ত্র-১ একটি ম্যান-পোর্টেবল লইটারিং মিউনিশন, যা স্কাই স্ট্রাইকার-এর কার্যক্রমকে সহায়তা করেছে। এই ড্রোনের পাল্লা ১৫-২০ কিলোমিটার, এবং এটি প্রায় ৬০ মিনিট আকাশে অবস্থান করতে পারে। ১-২ কেজি ওজনের ওয়ারহেডযুক্ত নাগাস্ত্র-১ জইশ-ই-মহম্মদ (JeM) ও লস্কর-ই-তৈবা (LeT)-এর ঘাঁটিতে নিখুঁত হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করেছে। মিশন মাঝপথে বাতিল করার ক্ষমতা ও সীমিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে নাগাস্ত্র-১ ভারতের দায়িত্বশীল যুদ্ধনীতিকে প্রতিফলিত করেছে।

    ডি৪ অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম: আকাশপথে সুরক্ষার ঢাল

    পাকিস্তানের (India-Pakistan War) সঙ্গে স্বল্প পরিসরের ‘যুদ্ধে’ ডিআরডিও-র ডি-৪ ব্যবস্থাটি খুবই কাজে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। এর সাহায্যে তুরস্কের ড্রোনের হামলা ঠেকিয়ে দেয় সেনা। যদিও এই নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ডি-ফোরের নির্মাণকারী সংস্থাও ভারত ইলেকট্রনিক্স। একে এককথায় ‘ড্রোন-কিলার’ হাতিয়ার বলা যেতে পারে। মূলত দু’ভাবে মানববিহীন উড়ুক্কু যান ধ্বংস করে এটি। প্রথম পদ্ধতিটি হল জিপিএস স্পুফিং। এর সাহায্যে ড্রোনকে ভুল পথে চালিত করে ডি-ফোর। জ্যাম করে মানববিহীন যানের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি। দ্বিতীয়টি হল, লেজার গাইডেড গুলি ছুড়ে মাঝ-আকাশে ড্রোনকে উড়িয়ে দেওয়া। ডিআরডিও-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান জি সতীশ রেড্ডি বলেন, “বিপুল সংখ্যক ড্রোনের আক্রমণের মুখেও এই অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম অত্যন্ত সফলভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।”

    ভারতীয় অস্ত্রের চাহিদা বাড়বে

    স্বাধীনতার পর থেকে অস্ত্র আমদানির দিকেই বেশি নজর দিয়েছে নয়াদিল্লি। ক্ষমতায় আসার পর থেকে হাতিয়ার নির্মাণে আত্মনির্ভর হওয়ার স্লোগান তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুধু তা-ই নয়, অস্ত্র রফতানির উপরেও জোর দেয় কেন্দ্র। কিন্তু, ভারতের মাটিতে তৈরি হাতিয়ার কোনও যুদ্ধে সে ভাবে ব্যবহার না হওয়ায় বিশ্ব বাজারে সেগুলির তেমন কদর কখনওই দেখা যায়নি। ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী সময়ে সেই মানসিকতায় আমূল বদল আসতে চলেছে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।

  • India Pakistan: ‘‘রাত আড়াইটের সময় মুনিরের ফোন…’’, নূর খানে ভারতের প্রত্যাঘাতের কথা মানলেন শরিফ

    India Pakistan: ‘‘রাত আড়াইটের সময় মুনিরের ফোন…’’, নূর খানে ভারতের প্রত্যাঘাতের কথা মানলেন শরিফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রতি আক্রমণে দিশেহারা পাকিস্তান (India Pakistan)। অপারেশন সিঁদুর যে কতটা নিখুঁত তা মেনে নিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। মধ্য রাতে পাক জেনারেল আসিম মুনিরের ফোনেই তিনি বুঝেছিলেন ইসলামাবাদ নিরাপদ নয়। নিজেই বললেন শরিফ (Shahbaz Sharif)। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভারতের ক্রমাগত প্রত্যাঘাতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বিশেষত পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিগুলিকে দুরমুশ করে ছেড়েছে ভারত। আর সব থেকে বড় ঘা, হল রাজধানী ইসলামাবাদ সংলগ্ন নূর খান ছাউনিতে ভারতের প্রত্যাঘাত। সেখানে আঘাত হানতেই সংঘর্ষবিরতিতে মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তান।

    রাত আড়াইটা নাগাদ ফোন

    বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya) এই বিষয়টি শুক্রবার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে উল্লেখ করেন। মালব্য লেখেন, ‘‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজেই স্বীকার করেছেন, জেনারেল আসিম মুনির তাঁকে রাত আড়াইটা নাগাদ ফোন করে জানিয়েছিলেন যে, ভারত নূর খান বিমান ঘাঁটি এবং আরও বেশ কয়েকটি স্থানে বোমা হামলা চালিয়েছে। … প্রধানমন্ত্রী মাঝরাতে পাকিস্তানের ভেতরে হামলার খবর পেয়ে ঘুম থেকে উঠেছিলেন। এটি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর নির্ভুল লক্ষ্য এবং বিক্রমের প্রমাণ।’’

    কী বলেছিলেন শরিফ

    পাকিস্তান (India Pakistan) মনুমেন্টে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় শরিফ (Shahbaz Sharif) জানান, ৯ মে এবং ১০ মে রাত। সময় তখন আড়াইটা মতো। ফোন করে তাঁকে ঘুম থেকে তোলেন জেনারেল আসিম মুনির। ধড়মড়িয়ে উঠে শরিফ জানতে পারেন, ভারত একেবারে পাকিস্তানের ভূখণ্ডের ভেতরে ঢুকে প্রত্যাঘাত করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘৯/১০ তারিখ রাতে, জেনারেল আসিম মুনির আমাকে ফোন করে জানান যে ভারত নূর খান বিমানঘাঁটি সহ আমাদের বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক বোমা হামলা চালিয়েছে।’’ নূর খান ছাউনি পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ক্ষেত্র। এটাই সেনা বাহিনীর প্রধান পরিবহণ কেন্দ্র। আকাশে থাকা অবস্থায় কোনও যুদ্ধবিমানের জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে এই নূর খান ছাউনি থেকেই জ্বালানি নেয় তারা। আর এই ছাউনি থেকে ইসলামাবাদ খুব দূরে নয়। তাই এই হানা কার্যত পাকিস্তানের বুকে তীর মেরে দেওয়ার সামিল। ভারতের সেনা বাহিনী সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেও , মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন শরিফরা। অবশেষে সারা বিশ্বের সামনে সত্যিটা মেনে নিল পাকিস্তান।

  • Balochistan: স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল বালোচিস্তান, ফের প্রচারের আলোয় হিংলাজ মাতার মন্দির

    Balochistan: স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল বালোচিস্তান, ফের প্রচারের আলোয় হিংলাজ মাতার মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল হয়েছে পাকিস্তানের বালোচিস্তান (Balochistan)। এই আবহে ফের একবার প্রচারের আলোয় উঠে এসেছে হিংলাজ মাতার মন্দির এবং কাটাস রাজ মন্দির। বালোচিস্তানের বিদ্রোহীরা তাঁদের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে একপ্রকার পাকিস্তানের সেনা ও সরকারকে কোণঠাসা করে ফেলেছেন। পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন বালোচিস্তানের হাজার হাজার মানুষ। বালোচিস্তানের এই দুই প্রাচীন মন্দিরের সঙ্গেই ভারতের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক এক পুরনো সম্পর্ক রয়েছে।

    বালোচিস্তানের লাসবেলা জেলায় অবস্থিত হল হিংলাজ মাতার মন্দির

    পাকিস্তানের বালোচিস্তানের (Balochistan) লাসবেলা জেলায় অবস্থিত হল হিংলাজ মাতার মন্দির। এই মন্দির হিন্দুদের একান্ন শক্তি পীঠের অন্যতম বলে মানা হয়। হিংলাজ মাতার মন্দির হিংলাজ শক্তিপীঠ নামে পরিচিত। হিন্দু ধর্ম অনুসারে বালোচিস্তানের এই শক্তি পীঠেই মাতা সতীর মস্তক পড়েছিল। এমনটাই ভক্তদের বিশ্বাস। হিঙ্গল নদীর তীরে অবস্থিত এই মন্দির হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান। এই মন্দির সিন্ধি এবং বালোচিস্তানে বসবাসরত হিন্দু সমাজের কাছে অত্যন্ত ভক্তির জায়গা। শুধু তাই নয়, বালোচিস্তানে (Balochistan) বসবাসরত মুসলমানদের একাংশের কাছেও হিংলাজ মাতার মন্দির নানি পীর বলে পরিচিত।

    পাঞ্জাব প্রদেশের চকোয়ালে অবস্থিত হল কাটাস রাজ শিব মন্দির

    একইভাবে পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জাব প্রদেশের চকোয়ালে অবস্থিত হল কাটাস রাজ শিব মন্দির। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান বলে পরিচিত এই মন্দির ফের একবার প্রচারের আলো উঠে এসেছে। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দির ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। এখানেই সতীদাহের সময় ভগবান শিবের অশ্রু পড়েছিল। এই স্থানে রয়েছে একটি পবিত্র জলাশয়। শুধু তাই নয়, কাটাস রাজ শিব মন্দিরের অন্য গুরুত্বও রয়েছে বলে জানাচ্ছেন ঐতিহাসিকরা। প্রাচীন ভারতবর্ষে এই মন্দিরই হিন্দু ধর্মের শিক্ষা এবং দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল বিশ্বাস করা হয়। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, পাণ্ডবরা তাঁদের অজ্ঞাতবাসের সময় এখানে এসেছিলেন। শুধু তাই নয়, আদি গুরু শংকরাচার্য এই মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। কাটাস রাজ শিব মন্দিরের গঠনে হিন্দু এবং বৌদ্ধ রীতির মিশ্রণ দেখা যায়। পাকিস্তানে হিন্দুদের (Balochistan) জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হিসেবে আজও রয়ে গিয়েছে। যদিও দেশভাগের পরবর্তীকালে এই মন্দিরে পুজো না করতে দেওয়ার অনেক অভিযোগ সামনে এসেছে।

  • Rajnath Singh: ‘পাকিস্তানকে সাহায্য করার মানে সরাসরি সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্য’, আইএফমএফ-এর ঋণ নিয়ে সরব রাজনাথ

    Rajnath Singh: ‘পাকিস্তানকে সাহায্য করার মানে সরাসরি সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্য’, আইএফমএফ-এর ঋণ নিয়ে সরব রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার আইএমএফ-এর উচিত পাকিস্তানেকে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা। যে ঋণ আইএমএফ (Rajnath to IMF) ইসলামাবাদকে দিচ্ছে তা দিয়ে জঙ্গি নেটওয়ার্ক পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা করবে পাকিস্তান। সাহায্য করা হবে জঙ্গি মাসুদ আজহারকে। আন্তর্জাতিক মহল যদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে চায়, তাহলে কখনওই পাকিস্তানকে ঋণদান সঠিক নয়। শুক্রবার ভুজের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে দাঁড়িয়ে এই দাবি করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।

    জঙ্গিদের মদতেই ব্যবহৃত হবে টাকা

    ‘জঙ্গিদের মদতদাতা’ পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলার ঋণ মঞ্জুর করেছে আইএমএফ। এবার সেই ঋণ নিয়ে সরব হলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। গুজরাটের ভুজ এয়ারবেসে দাঁড়িয়ে রাজনাথ (Rajnath Singh) বললেন, “আইএমএফ পাকিস্তানকে অর্থসাহায্য করছে মানে পরোক্ষে সেই সন্ত্রাসবাদকেই মদত দেওয়া হচ্ছে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাফ কথা, “পাকিস্তানকে যে কোনও ধরনের সাহায্য করার অর্থ সরাসরি সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্য করা। ওরা সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো পুনর্গঠনের জন্য মাসুদ আজহারকেও অর্থ সাহায্য ঘোষণা করেছে। ভারত চায়, নিজেদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুক আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার।” পাকিস্তানকে আইএমএফের ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে রাজনাথের দাবি, ‘‘পাক সরকার মুরিদ এবং বহাওয়ালপুরের দুই জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি পুনর্নিমাণের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আইএমএফ থেকে পাওয়া অর্থের একটা বড় অংশ অবশ্যই ওই ঘাঁটি পুনর্নিমাণের জন্য ব্যবহার করা হবে।’’ রাজনাথ আরও বলেন, ‘‘পাক সরকার সাধারণ করদাতাদের ১৪ কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে তাও সেটা মাসুদ আজহারের পরিবারকে দেওয়ার জন্য। যে কি না রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকায় থাকা আন্তর্জাতিক জঙ্গি। সেই পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়া কি ঠিক?’’

    কেন টাকা নিয়ে আপত্তি ভারতের

    পাকিস্তানের অর্থনীতির কোমর ভেঙেছে বহু আগেই। গত কয়েক বছর ধরে আইএমএফের ঋণের উপর টিকে রয়েছে শাহবাজের দেশ। সেই ধারা অব্যাহত রেখে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ফের আইএমএফের কাছে যায় ইসলামাবাদ। তবে সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তানকে যাতে এই ঋণ না দেওয়া হয় তার জন্য স্পষ্ট যুক্তি দেওয়া হয় ভারতের তরফে। উল্লেখ্য, গত ৯ মে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসেছিল আইএমএফের ঋণ সংক্রান্ত বোর্ড। সেখানেই ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, আইএমএফের ঋণ পাওয়ার যে শর্ত থাকে, তা মানতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। অভিযোগ করা হয়, অতীতেও একাধিকবার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। তবে সেই অর্থ তারা সঠিক কাজে ব্যবহার করেনি। সরাসরি সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগানের আশঙ্কা প্রকাশ করে ভারত জানায়, এই অর্থ পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে অপব্যবহার করতে পারে ফলে এই ঋণ কোনওভাবেই দেওয়া উচিত নয়। তবে, শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলার ঋণ মঞ্জুর করেছে আইএমএফ। অনেকে এর নেপথ্যে আমেরিকার হাত দেখছে। ভারত ফের ওই ঋণ নিয়ে আপত্তি জানাল। আগামী দিনে আন্তর্জাতিক মহলেও এ নিয়ে সরব হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

    ব্রহ্মসের ক্ষমতা দেখল পাকিস্তান

    শুধু তা-ই নয়, রাজনাথের (Rajnath Singh) আরও দাবি, ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তির কাছে মাথা নত করেছে পাকিস্তান। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান ব্রহ্মসের ক্ষমতা মেনে নিয়েছে। আমাদের দেশে একটা কথা রয়েছে, ‘দিনে তারা দেখা’। ভারতে তৈরি ব্রহ্মস পাকিস্তানকে দেখিয়েছে রাতের অন্ধকারে কেমন আলো।’’ অনেকের মতে, গত ৭ মে রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালানো হয়, সেখানে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা স্বীকার করলেন রাজনাথ। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জন্য বিমানবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজনাথ। তিনি বলেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি, যা ঘটেছে তা কেবল ট্রেলার ছিল।’’

    ২৩ মিনিটই যথেষ্ট

    বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকেই পাকিস্তানকে নিশানা করে সেনার উদ্দেশ্যে রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, ‘‘২৩ মিনিটই যথেষ্ট ছিল। যতক্ষণে মানুষ প্রাতঃরাশ করেন, ততক্ষণে ভারতীয় বায়ুসেনা দেশের শত্রুদের শেষ করে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জমানায় প্রতিরক্ষা বিষয়ে ভারতের ভাবনা ও কার্যক্ষমতার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এই ক্ষেত্রে আমরা ভগবান রামের আদর্শেই চলি। আপনারা শত্রুদের দেশে গিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছেন। এর প্রতিধ্বনি কেবল ভারতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, সমগ্র বিশ্ব তা শুনেছে। সেই প্রতিধ্বনি কেবল ক্ষেপণাস্ত্রের নয় বরং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানদের বীরত্বেরও ছিল।’’

     

     

     

     

  • Balochistan: বালোচিস্তানে গণবিদ্রোহ! ভারতকে রক্তাক্ত করার নীতিই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে পাকিস্তানে

    Balochistan: বালোচিস্তানে গণবিদ্রোহ! ভারতকে রক্তাক্ত করার নীতিই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের পাপের ফল ভোগ করছে পাকিস্তান (Pakistan)! বিগত কয়েক দশক ধরেই পাকিস্তানের একটাই নীতি, সেটা হল ভারতকে আঘাত করা এবং রক্তাক্ত করা। পাকিস্তান এই নীতিকে বাস্তবায়িত করতে সন্ত্রাসকে তোষণ করছে। জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে। সে দেশে প্রকাশ্যেই সদর দফতর খুলে বসে আছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। তাও সেনাবাহিনীর নাকের ডগায়। বিগত কয়েক দশক ধরেই এই জঙ্গিদের ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতের দুই সীমান্তবর্তী রাজ্য জম্মু-কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবে ধর্মীয় তথা রাজনৈতিক অস্থিরতাকে উস্কানি দেওয়ার লক্ষ্যে এই কাজ করে আসছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তান যখন ভারতে আঘাত হানার চেষ্টা চালাচ্ছে, তখন তারা কখনও ফিরে দেখেনি তাদের নিজের বাড়ির উঠোনেই বিচ্ছিন্নতাবাদের আগুন জ্বলে উঠছে। আয়তনের দিক থেকে পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ হল বালোচিস্তান। এই প্রদেশের গণবিদ্রোহে বর্তমানে পাকিস্তানের সেনা ও সরকার একেবারে বিপর্যস্ত। সে দেশের সরকারের কাছে এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বালোচিস্তানের গণবিদ্রোহ (Balochistan)।

    ১৯৪৮ সালে জোর করে বালোচিস্তান (Balochistan) দখল করে পাকিস্তান

    ১৯৪৮ সালের বালোচিস্তান পাকিস্তানের অংশ হয়ে ওঠে। একপ্রকার জোর করে বালোচিস্তানকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সে সময়ে বালোচিস্তান প্রদেশের বেশ কিছু প্রভাবশালী উপজাতি নেতা ছিলেন, যাঁরা তাদের এই প্রদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে চেয়েছিলেন। তবে, তাঁদের সেই চাওয়া এবং দাবিকে কোনও মূল্যই দেয়নি পাকিস্তানের (Pakistan) তৎকালীন রাজনৈতিক নেতারা। এক প্রকার জোর করে বালোচিস্তানের ওপরে নিজেদের কর্তৃত্ব চাপায় পাকিস্তান সরকার। বালোচিস্তান (Balochistan) যেন প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ এক ভূমি। কী নেই এখানে! গ্যাস, কয়লা, তামা, সোনা সমস্ত কিছুই। প্রদেশের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, পাকিস্তান কখনও এই প্রদেশকে তার প্রাপ্যটুকু দেয়নি। তার মূল্য দেয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনা করা হয়েছে প্রদেশের মানুষদের সঙ্গে। তাঁরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিছিয়ে গিয়েছে বালোচিস্তান। কোনও উন্নয়ন পৌঁছায়নি প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ এই প্রদেশে।

    পাকিস্তানি সেনার করুণ অবস্থা সামনে এসেছে গণবিদ্রোহে (Balochistan)

    খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধশালী এই অঞ্চলের জনগণের ক্ষোভ তাই পুঞ্জীভূত হতে থাকে। পাকিস্তান সম্পদ সমৃদ্ধ বালোচিস্তানকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনা করায় সেখানকার মানুষজন হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য হয়। তাঁরা বলতে থাকেন, ইসলামাবাদ বিগত কয়েক দশক ধরে যে গৃহীত নীতি অনুসরণ করে চলেছে তা বালোচিস্তানের বিরুদ্ধে গিয়েছে। তার বিরুদ্ধেই তারা এই অস্ত্র হাতে নিয়েছে। ভারতকে রক্তাক্ত করতে গিয়ে পাকিস্তান এখন নিজের দেশেই পিছু হঠছে। বালোচ বিদ্রোহীদের হাতে পাকিস্তানের সেনাকেও যেন অসহায় লাগছে। পাকিস্তানি সেনার কনভয়গুলিতে লাগাতার আক্রমণ, বোমা হামলা, পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা, অতর্কিত হামলা- এই সমস্ত কিছুতেই অসহায় হতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানকে। কড়া হাতে বিদ্রোহ দমন করতে চেয়েছে ইসলামাবাদ। তবে উলটে বালোচ বিদ্রোহীরা যেন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি, বালোচিস্তানের প্রায় ৫১ জায়গায় পাক সেনার উপরে ৭১টি হামলা চালিয়েছে তারা। বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির সঙ্গে রয়েছে গোটা প্রদেশের জনসমর্থন। অনেক চেষ্টা করেও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বিদ্রোহীদের।

    ২০০০ সাল থেকে বালোচ বিদ্রোহীরা সেনা ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে থাকে

    দীর্ঘদিন ধরে লাগাতার বালোচিস্তানের মানুষদের প্রতি পাকিস্তান সরকারের এমন বঞ্চনা, বিদ্রোহে পরিণত হয় ২০০০ সালে। ওই বছরেই বালোচিস্তানের বিদ্রোহীরা তাদের নিকটবর্তী স্থানগুলির সেনাঘাঁটিগুলিতে হামলা চালায়। এরপর ২০০৬ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বালোচিস্তান উপজাতি গোষ্ঠীর নবাব আকবর বুগদিকে হত্যা করে। এতেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলতে শুরু করে। বিদ্রোহ দমনের নামে তারপর থেকেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী শয়ে শয়ে যোদ্ধাকে হত্যা করতে থাকে। তাঁদেরকে নির্যাতন করতে থাকে। বিদ্রোহীদের অপহরণ করতে থাকে পাকিস্তানি সেনা। সেনাবাহিনীর এমন কর্মকাণ্ডে বালোচিস্তান মানুষদের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। ২০২৫ সালে যা ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে বালোচিস্তান।

    প্রতীকী স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন বালোচ নেতারা, সমাজমাধ্যমে ভাইরাল জাতীয় পতাকা

    পাকিস্তান সরকারের এমন সন্ত্রাসের অভিযোগে বালোচিস্তান নেতারা বিগত কয়েক দশক ধরেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথাটি উল্লেখ করে আসছেন। তাঁরা বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চের দৃষ্টিও আকর্ষণ করছেন। পাকিস্তান থেকে ইতিমধ্যে স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেছেন তাঁরা। সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের প্রস্তাবিত জাতীয় পতাকা। এর পাশাপাশি স্বাধীন বালোচিস্তান রাষ্ট্রের মানচিত্রও দেখা গিয়েছে। বালোচিস্তান প্রজাতন্ত্র নামে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। এ নিয়ে বালোচিস্তানের অন্যতম নেতা তথা লেখক মীর ইয়ার বালুচ বলেন, ‘‘পাকিস্তান অধিকৃত বালোচিস্তানের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। বালোচিস্তান (Balochistan) পাকিস্তানের অংশ নয়।’’ নিজের সমাজ মাধ্যমের পোস্টে মীর ইয়ার বালুচ রাষ্ট্রসংঘের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বালোচিস্তানকে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার জন্য। ১৯৪৮ সালের পাকিস্তান জোর করে বালোচিস্তান দখল করার পর থেকেই এই সমস্যা চলছে বলেও জানিয়েছেন মীর ইয়ার বালুচ। তাঁর মতে, ‘‘এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ, বিশেষ করে গ্যাস-খনিজ এই সমস্ত কিছুই ইসলামাবাদ লুট করছে। বালোচিস্তানের স্থানীয় জনগণকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ওই কারণে পাকিস্তানের সবচেয়ে দরিদ্র প্রদেশ হিসেবেই রয়ে গিয়েছে বালোচিস্তান।’’ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বালোচিস্তানের পতাকা ও মানচিত্র হাতে সাধারণ মানুষের ছবিও পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে মীর ইয়ার বালুচকে।

    বালোচিস্তানের জনগণ চালাচ্ছে একটি Government in Exile! সরকারের মহিলা প্রধানমন্ত্রী নাইলা কাদরি

    সাবেক বালোচিস্তানের একটা বড় অংশ যেমন পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত, আরও দুটি অংশ ঢুকে আছে, আফগানিস্তান ও ইরানের মধ্যে! তবে এখন পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশের নাম বালোচিস্তান, পাকিস্তানের মোট আয়তনের ৪৩ শতাংশ। এক লাখ একত্রিশ হাজার ৫৪৫ বর্গ মাইল! ঐতিহাসিকদের মতে, ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট থেকে ১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বালোচিস্তানের পার্লামেন্ট পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিরোধিতা করে! কিন্তু ১৯৪৮ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বালোচিস্তান জবরদখল করে! তবে অনেক বছর ধরেই বালোচিস্তানের জনগণ চালাচ্ছে একটি Government in Exile! সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী একজন মহিলা! তাঁর নাম নাইলা কাদরি! যাঁকে ইতিমধ্যেই বিতারিত করা হয়েছে দেশ থেকে! এই বালোচ নেত্রী পাকিস্তানের অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির জন্য জাতিসংঘ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমর্থনও চেয়েছেন। পেশায় অধ্যাপিকা নইলা কাদরি বিশ্বাস করেন, একমাত্র সনাতনী ভারতের সঙ্গে পুরান সাংস্কৃতিক যোগাযোগ আছে বালোচবাসীর! বালোচবাসীর মধ্যে হিন্দু আছেন শিখ আছেন মুসলিম আছেন, সকলে বালোচ পরিচয়ে আছেন! ধর্মের পরিচয়ে নেই! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বালোচিস্তান, যা একসময় একটি স্বাধীন দেশ ছিল, তা এখন পাকিস্তানের অবৈধ দখলে রয়েছে!

LinkedIn
Share