Tag: pakistan

pakistan

  • S-400: ‘সুদর্শন চক্রে’ কুপোকাত পাকিস্তান, রাশিয়া থেকে আরও এস-৪০০ রক্ষাকবচ কিনছে ভারত?

    S-400: ‘সুদর্শন চক্রে’ কুপোকাত পাকিস্তান, রাশিয়া থেকে আরও এস-৪০০ রক্ষাকবচ কিনছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) চলাকালীন পাকিস্তানের পাল্টা হানা প্রতিহত করেছে ভারতের ‘সুদর্শন চক্র’ এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ সিস্টেম (S-400)। সুর্দশন চক্রের ঘায়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে পাক ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বিমান। এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্যের পর রাশিয়া থেকে আরও বেশ কয়েকটি এস-৪০০ কেনার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ভারত। রাশিয়ার কাছে এই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিতে পারে রাশিয়া। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আদমপুরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। পাকিস্তানের দাবি ছিল, তারা এই ঘাঁটিতে রাখা এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। আদমপুরে বক্তব্য রাখার সময় মোদি এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ-এর সামনে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন।

    ‘সুদর্শন চক্র’ এস-৪০০ এর বিশেষত্ব

    মাটি থেকেই আকাশে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ (S-400)। আকাশে বিভিন্ন ধরণের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এটির। যার মধ্যে রয়েছে ফাইটার জেট, বোমারু বিমান, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমনকি ড্রোনকেও ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে দু’টি ব়েডার সিস্টেম রয়েছে। যা আকাশে ৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত এবং একসঙ্গে ৮০টি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে এবং ৩৬টি টর্গেটকে একসঙ্গে ‘লক’ করতে পারে। যে কোনও স্থানে নিয়ে গিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সিস্টেমটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া যায়। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে সেটি ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়ে যায়। লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার জন্য এতে একটি জ্যামার-রোধী প্যানোরামিক ব়েডার সিস্টেম রয়েছে। বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র সহ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য ৪টি ব্যারেল বা স্টেশন রয়েছে এস-৪০০-এ। ভারত ও রাশিয়ার পাশাপাশি, চিন, তুরস্ক এবং বেলারুশও এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে।

    রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ চুক্তির খুঁটিনাটি

    ২০১৮-এর অক্টোবরে পাঁচটি এস- ৪০০ (S-400) স্কোয়াড্রনের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দিল্লি সফরের সময় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সই হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে তিনটি এস-৪০০ ভারতে এসে পৌঁছেছে। বাকি দু’টি ২০২৬ সালের মধ্যেই চলে আসবে ভারতের হাতে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ চলার কারণে শেষ দুটি স্কোয়াড্রনের সরবরাহে দেরি হচ্ছে, বলে জানিয়েছে মস্কো। আপাতত ভারতের চারটি জায়গায় এই সিস্টেম মোতায়েন রয়েছে। পাঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তার জন্য পাঠানকোটে রয়েছে এস-৪০০। এছাড়াও রয়েছে রাজস্থান এবং গুজরাট সীমান্তে।

  • India: পাকিস্তানের পাশে থাকার মাশুল! তুরস্ক-আজারবাইজান বয়কটের ডাক ভারতীয় পর্যটকদের

    India: পাকিস্তানের পাশে থাকার মাশুল! তুরস্ক-আজারবাইজান বয়কটের ডাক ভারতীয় পর্যটকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেইমানির জবাব পাচ্ছে তুরস্ক! পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে ভারত (India) যখন পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়, তখন পাকিস্তানের পাশে (Pakistan Support) দাঁড়িয়েছিল ইসলামিক রাষ্ট্র তুরস্ক। অথচ, বছর দুয়েক আগের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে যখন তছনছ হয়ে গিয়েছিল তুরস্কের বিস্তীর্ণ অংশ, তখন সবার প্রথমে ত্রাণ নিয়ে সে দেশে হাজির হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। সেই কারণে অন্তত ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল তুরস্কের। তা না করে তারা সমর্থন করল ইসলামাবাদকে। পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে আর একটি ইসলামিক দেশ আজারবাইজান।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (India)

    তার পরেই এই দুই দেশের ওপর খেপে গিয়েছেন ভারতীয় পর্যটকরা। পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। সেই সময়ই ওই দুই ইসলামিক রাষ্ট্র পাশে দাঁড়ায় পাকিস্তানের। তার জেরে ওই দুই দেশ ভ্রমণে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পর্যটকদের একটা বড় অংশ। শুধু তা-ই নয়, অন্যান্য পর্যটকরাও যাতে ওই দুই দেশ বয়কট করেন, সেই ডাকও দেওয়া হয়েছে। এই দুই দেশের বদলে পর্যটকরা বেছে নিয়েছে ভারতের মিত্র দেশ গ্রিস এবং আর্মেনিয়াকে।

    পর্যটকদের বয়কট আন্দোলন

    পর্যটকদের বয়কট আন্দোলন ব্যাপক সমর্থন কুড়িয়েছে দেশবাসীর। তার পরেই ভারতের (India) বেশ কয়েকটি বড় ট্রাভেল এজেন্সিও তাঁদের সঙ্গে সুর মেলায়। ট্রাভোমিন্ট, ইজিমাইট্রিপ এবং কক্স অ্যান্ড কিংসের মতো কোম্পানিগুলি তুরস্ক ও আজারবাইজান ভ্রমণের সব প্যাকেজ স্থগিত করার কথা জানিয়ে দেয়। পর্যটক ও ট্রাভেল এজেন্সির এই সিদ্ধান্তগুলি একটি প্রবণতা নির্দেশ করে। সেটি হল, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকদের আচরণ গঠনে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দিন দিন আরও প্রভাব ফেলছে।

    তুরস্ক এবং আজারবাইজান বাদ

    পর্যটকদের সফরের তালিকা থেকে তুরস্ক এবং আজারবাইজান বাদ যাওয়ায় সেই লিস্টে ঢুকে পড়েছে আর্মেনিয়া এবং গ্রিস। এই দুই দেশই কূটনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ, বলা ভালো, ভারতের প্রতি সহানুভূতিশীল। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, তার জেরেই এবার এই দুই দেশে কার্যত ঢল নামবে ভারতীয় পর্যটকদের। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি বিরূপ মন্তব্য করায় মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন ভারতীয় পর্যটকরা। তার জেরে বিপাকে পড়েছিল দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপ। শেষমেশ ভুল কবুল করে ভারতে (India) এসে পর্যটকদের সে দেশে যেতে উৎসাহিত করেছিলেন মলদ্বীপের মন্ত্রী। তুরস্ক এবং আজারবাইনের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটবে (Pakistan Support) কিনা, তা বলবে সময়। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার, জাতীয়তাবাদী বোধ জাগ্রত হওয়ায় পর্যটকরাও এখন ভারতের মিত্র দেশগুলিতে ভ্রমণ করতে আগ্রহী হচ্ছেন।

    ভিড় বাড়ছে আর্মেনিয়ায়    

    দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে আর্মেনিয়া এখন ভারতের অন্যতম ঘনিষ্ঠ অংশীদার হয়ে উঠেছে। ২০২০ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আর্মেনিয়া ভারতের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম কিনেছে এবং যৌথ সামরিক উদ্যোগেও অংশ নিয়েছে। এই কৌশলগত বন্ধুত্ব এখন নাগরিক পর্যায়েও প্রতিফলিত হচ্ছে, বিশেষত পর্যটনে। ভারতীয় পর্যটকরা, আর্মেনিয়ার ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব ও আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, দেশটির প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ইউরোপ ও এশিয়ার মাঝে অবস্থিত এই দেশটির ভৌগোলিক আকর্ষণ যেমন আছে, তেমনি এর ভূরাজনৈতিক নির্ভরযোগ্যতাও ভারতীয় পর্যটকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক গির্জা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য — সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ — ভারতীয় পর্যটকদের এমন একটি গন্তব্যে আকৃষ্ট করছে, যা তাঁদের সাংস্কৃতিক কৌতূহল ও জাতীয় অনুভূতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ (India)।

    গ্রিসেও ভারতীয় পর্যটকদের ঢল

    আর্মেনিয়ার পাশাপাশি ভারতীয় পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ছে গ্রিসের প্রতিও। সংস্কৃতি ও কূটনৈতিক আদান-প্রদানের দীর্ঘ ঐতিহ্যের ধারা রয়েছে ভারত ও গ্রিসের মধ্যে। দুই দেশের সম্পর্ক বিস্তৃত প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং জ্বালানি সহযোগিতা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তি ও কূটনৈতিক কার্যকলাপ এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে, যা আরও বেশি ভারতীয় পর্যটকদের ভূমধ্যসাগরীয় এই দেশটি ঘুরে দেখতে উৎসাহ দিচ্ছে। প্রাচীন অ্যাথেন্সের ধ্বংসাবশেষ থেকে শুরু করে সান্তোরিনির বিখ্যাত নীল গম্বুজযুক্ত ছাদ পর্যন্ত, গ্রিস এক অনন্য ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশ্রণ উপস্থাপন করে পর্যটকদের কাছে। দেশটির গভীর ঐতিহাসিক শেকড়, রঙিন উপকূলীয় শহর এবং আতিথেয়তাপূর্ণ মানুষ — এইসব উপাদান ভারতীয় মূল্যবোধ ও নান্দনিকতার (Pakistan Support) সঙ্গে গভীরভাবে মিলে যায়। তার জেরেই ভারতীয় পর্যটকদের কাছে দিন দিন বাড়ছে গ্রিসের জনপ্রিয়তা (India)।

  • Cyber Attack: ভারতের ১৫ লক্ষ ওয়েবসাইটে সাইবার হানার চেষ্টা পাকিস্তানি হ্যাকারদের! সফল মাত্র ১৫০টি

    Cyber Attack: ভারতের ১৫ লক্ষ ওয়েবসাইটে সাইবার হানার চেষ্টা পাকিস্তানি হ্যাকারদের! সফল মাত্র ১৫০টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটে ১৫ লক্ষ বার সাইবার হানার (Cyber Attack) চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানি হ্যাকাররা। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সাইবার বিভাগের পক্ষ থেকে এমন সাতটি অ্যাডভান্সড পার্সিসট্যান্ট থ্রেট শনাক্ত করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের সাইবার সেলের একটি তদন্তমূলক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হ্যাকারদের সাফল্য যৎসামান্যই। লক্ষ লক্ষ বার ভারতের ওয়েবসাইটগুলিকে নিশানা করলেও মাত্র ১৫০টি ক্ষেত্রে সফল হয়েছে তারা। ব্যর্থতার হার ৯৯.৯৯ শতাংশ।

    ভারতের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ!

    মহারাষ্ট্র সাইবার সেলের (Cyber Attack) তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, কেবল পাকিস্তান থেকেই নয়, সাইবার হানা চালানো হয় বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো এবং পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকেও। তদন্ত রিপোর্টটির নাম ‘রোড অফ সিঁদুর’। এই রিপোর্টে হ্যাকারদের বেশ কয়েকটি দাবিকেও নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্টেই নোডাল সাইবার এজেন্সি জানিয়েছে যে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু হ্যাকিং গ্রুপ সাইবার যুদ্ধ চালাচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে। এই রিপোর্ট সমস্ত ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির কাছে পাঠানো হয়েছে, ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এবং স্টেট ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের কাছে পাঠানো হয়েছে। মহারাষ্ট্র সাইবার সেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ যশস্বী যাদব এ কথা জানিয়েছেন।

    ব্যর্থতাই সম্বল পাকিস্তানের

    এমন ৭টি পাকিস্তানি হ্যাকার (Cyber Attack) গ্রুপকে শনাক্ত করেছে সাইবার বিভাগ। এপিটি ৩৬, পাকিস্তান সাইবার ফোর্স, টিম ইনসেন পিকে, মিস্টিরিয়াস বাংলাদেশ, ইন্দো হ্যাকস সেক, সাইবার গ্রুপ হোয়াক্স ১৩৩৭ এবং পাকিস্তানের ন্যাশনাল সাইবার ক্রিউ। যে ১৫০টি ওয়েবসাইটে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা তাদের মধ্যে রয়েছে কুলগাঁও বদলাপুর মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইট, জলন্ধরের ডিফেন্স নার্সিং কলেজের ওয়েবসাইট। তবে, হ্যাকাররা দাবি করেছিলেন মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সার্ভার থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করা হয়েছে। তাঁদের তরফে এ-ও দাবি করা হয় যে, ভারতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে সাইবার হানা হওয়ায় বহু জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছোচ্ছে না। এই সমস্ত দাবিকে মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

  • India Pakistan Conflict: “ঘরে ঢুকে মারব, বাঁচার কোনও সুযোগই দেব না,” জঙ্গিদের হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর

    India Pakistan Conflict: “ঘরে ঢুকে মারব, বাঁচার কোনও সুযোগই দেব না,” জঙ্গিদের হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঘরে ঢুকে মারব। বাঁচার কোনও সুযোগই দেব না।” মঙ্গলবার আদমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ভাষায়ই পাক মদতপুষ্ট (India Pakistan Conflict) জঙ্গিদের উদ্দেশে হুঙ্কার ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। তখনও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, জঙ্গি হামলা হলে কোনও ছাড় নেই। যে সরকার জঙ্গিদের মদত দেবে, তাদেরও একই চোখে দেখবে ভারত। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে পাকিস্তানি সেনার ভরসায় এই জঙ্গিরা বসেছিল, ভারতের সেনা-বায়ুসেনা-নৌসেনা পাকিস্তানি সেনাকে ছারখার করে দিয়েছে। আপনারা পাকিস্তানি সেনাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানে এমন কোনও ঠিকানা নেই, যেখানে জঙ্গিরা স্বস্তিতে থাকতে পারবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “ঘরে ঢুকে মারব। বাঁচার কোনও সুযোগই দেব না। আমাদের ড্রোন, মিসাইলের কথা ভেবেই কয়েকদিন ঘুম হয়নি পাকিস্তানের।”

    নিরাপত্তাবাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা (India Pakistan Conflict)

    পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ায় ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ আমাদের নতুন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সক্ষমতা রয়েছে, যার মোকাবিলা করতে পারবে না পাকিস্তান। গত দশকে বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি পৌঁছেছে ভারতীয় বায়ুসেনা ও আমাদের অন্যান্য বাহিনীতে। কিন্তু আমরা সকলেই জানি যে, নয়া প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে বড় চ্যালেঞ্জও আসে। একটি জটিল ও উন্নত সিস্টেমের ভারসাম্য বজায় রাখা, দক্ষতার সঙ্গে তা পরিচালনা করার জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন। আপনারা প্রযুক্তিকে কৌশলের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন। আপনারা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে এই খেলায় আপনারাই সেরা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা সব ভারতীয়ের ছাতি ফুলিয়ে দিয়েছেন। মাথা উঁচু করে দিয়েছেন। সম্মান বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই বীরদের প্রণাম করতে এসেছি। আপনারা দেশকে গর্বিত করেছেন। আজ থেকে বহু বছর পরেও যখন এই পরাক্রম নিয়ে আলোচনা হবে, তখন মনে থাকবে আপনাদের কাজের কথা। আপনারা এখন দেশবাসীর প্রেরণা। সেনা, বায়ুসেনা, নৌসেনা এবং বিএসএফকে আমি স্যালুট জানাই (India Pakistan Conflict)।”

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    পহেলগাঁওকাণ্ডের পক্ষকাল পরে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার পর এদিনই তিনি গেলেন পাঞ্জাবের আদমপুরের বায়ুসেনাঘাঁটিতে। সেখানে বায়ুসেনার জওয়ানদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মান-মর্যাদা রক্ষায় আপনারা প্রাণ বলিদান দেন। দেশের জন্য যাঁরা বাচতে চান, কিছু করতে চান, আমি তাঁদের কথাই বলছি।” তিনি বলেন, “ভারতের সৈনিক যখন ভারত মাতা কি জয় বলেন, তখন আমাদের শত্রুদের কলিজা কেঁপে যায়। আমাদের ড্রোন আর মিসাইল যখন শত্রুর ঠিকানায় পৌঁছে যায়, তখন বলা হয় ভারত মাতা কি জয়। আমাদের সেনা পরমাণু বোমার ব্ল্যাকমেল অগ্রাহ্য করে বলে ভারত মাতা কি জয় (PM Modi)।”

    ইতিহাস রচনা করেছেন

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ সম্পর্কে এদিন আদমপুরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের কারণেই ‘অপারেশন সিঁদুরে’র বীরগাথা সবাই শুনতে পাচ্ছে (India Pakistan Conflict)। সব ভারতীয়র প্রার্থনা আপনাদের সঙ্গে রয়েছে। আপনারা ইতিহাস রচনা করেছেন। এটা কোনও সামান্য একটা অপারেশন নয়। এটা ভারতের নীতি, নির্ণয় করেছে।” তিনি বলেন, “ভারত বুদ্ধের মাটি, আবার গুরু গোবিন্দ সিংয়ের মাটিও। ওরা আমাদের বোন-কন্যার সিঁদুর ছিনিয়ে নিয়েছিল। তাই ওদের শিক্ষা দিতে ওদের ঘরে ঢুকে ওদের নিকেশ করেছি।”

    সব ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা ওদের সামনে থেকে আক্রমণ করে মেরেছেন। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। ভারতের দিকে তাকালে তার কঠোর সাজা হবে। একটাই মন্ত্র হবে বিনাশ ও মহাবিনাশ। ভারতের সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা পাকিস্তানের সেনাকেও ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে (India Pakistan Conflict)। আপনারা ওদের সেনাদের এও বুঝিয়ে দিয়েছেন যে পাকিস্তানের এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে বসে সন্ত্রাসবাদীরা নিশ্চিন্তে নিঃশ্বাস নেবে।” তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে দেশের একতার সূত্র রচিত হয়েছে। আর আপনারা দেশের সীমা রক্ষা করেছেন। সম্মান আরও উঁচু করেছেন। আমাদের বায়ুসেনা যেভাবে ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে সীমা পেরিয়ে পিন পয়েন্ট টার্গেট করে ওদের গভীরে গিয়ে ক্ষতি করেছেন, সেটা একমাত্র পেশাদাররাই করতে পারেন। ওরা বুঝতেই পারেনি যে ওদের বুকের ওপর কী হয়েছে। সব ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা যা করেছেন, তা অভূতপূর্ব, অকল্পনীয় এবং ভাবনার অতীত। ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটা পরিষ্কার লক্ষ্মণ রেখা টেনে দিয়েছে (PM Modi)।”

    প্রসঙ্গত, আদমপুর ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বায়ুসেনা ঘাঁটি। এখানে রাফাল এবং মিগ-২০ যুদ্ধবিমান রয়েছে। ১৯৬৯ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধে এই সেনাঘাঁটির ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ (India Pakistan Conflict)।

  • IACCS: পাক হানা প্রতিরোধে ভারতের ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, নেপথ্য নায়কদের ছবি প্রকাশ কেন্দ্রের

    IACCS: পাক হানা প্রতিরোধে ভারতের ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, নেপথ্য নায়কদের ছবি প্রকাশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের পিছনে ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (আইএসিসিএস)। সাংবাদিক বৈঠকে এসে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথা বলতে গিয়ে বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল একে ভারতী শেষ ভাবে উল্লেখ করেছিলেন আইএসিসিএস-এর (IACCS) কথা। বলেছিলেন এই অভিযানের নেপথ্যে থাকা নায়কদের কথা। শুনিয়েছিলেন পর্দার পিছনের কাহিনী। সোমবার তারই একটা ছবি প্রকাশ করে কেন্দ্র।

    কেন্দ্রের তরফে ছবি প্রকাশ

    সেনা সূত্রে জানা যায়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ওই সিস্টেম যে কক্ষ থেকে পরিচালিত হয়েছিল, সোমবার কেন্দ্রের তরফে তারই একটি ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, পিছনে বৃহদাকার এলইডি স্ক্রিনে নানা ভৌগোলিক হিসেবনিকেশ করা রয়েছে। তার সামনে মুখে মাস্ক পরে দাঁড়িয়ে সেনার কয়েক জন আধিকারিক। তাঁদের পরিচয় যাতে প্রকাশ্যে না-চলে আসে, সেই জন্যই প্রত্যেকের মুখ মাস্কের আড়ালে।

    আইএসিসিএস-এর তিনটি স্তর

    সেনার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে সর্বদা সতর্ক এবং সজাগ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এই আইএসিসিএস (IACCS)। বায়ুসেনার প্রতিটি কার্যকলাপে নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ চালায় এটি। এই আইএসিসিএস-এর তিনটি স্তর বা বিভাগ রয়েছে। একটি বিভাগ স্থল, জল এবং নৌবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখে। আর একটি বিভাগ বিভিন্ন ধরনের রেডারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। তার পর সেই তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় কমান্ড এবং কন্ট্রোল সেন্টারে।

    ভারতের তিন বাহিনীর যৌথ অংশ গ্রহণ

    এই জটিল ও স্তরভিত্তিক এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থাটি ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনার যৌথ অংশগ্রহণে গঠিত হয়েছে। এতে ব্যবহৃত হয়েছে একাধিক সেন্সর ও অস্ত্রব্যবস্থা, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘সফট-কিল’ ও ‘হার্ড-কিল’ কাউন্টার-ইউএভি ব্যবস্থা, এবং প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী। আইএসিসিএস (IACCS) ছিল এই প্রতিরক্ষা জালের কেন্দ্রবিন্দু, যা বিভিন্ন স্তরের অপারেশনকে সমন্বয় করেছে।

    আইএসিসিএস কী?

    আইএসিসিএস (IACCS) বা ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম হল একটি স্বয়ংক্রিয় এয়ার ডিফেন্স কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, যা ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান অভিযানের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির জন্য তৈরি হয়েছে। আধুনিক নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক যুদ্ধের যুগে ‘রেকগনাইজড এয়ার সিচুয়েশন পিকচার’ (RASP) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিশেষ সিস্টেমে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং সিভিল রেডার নেটওয়ার্কের মধ্যে বিশেষ সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিনিময় হয়। আইএসিসিএস (IACCS) বিভিন্ন ধরনের ২-ডি ও ৩-ডি রেডার, মোবাইল পর্যবেক্ষণ পোস্ট, এয়ার ফোর্স ঘাঁটি, সিভিল এজেন্সি, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল থেকে রিয়েল-টাইম তথ্য সংগ্রহ করে এবং একটি সমন্বিত রেকগনাইজড এয়ার সিচুয়েশন পিকচার তৈরি করে। এই পুরো সিস্টেমটি আইপি-ভিত্তিক ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কের (WAN) মাধ্যমে সংযুক্ত।

    আইএসিসিএস-এর ভূয়সী প্রশংসা

    ভারত-পাক যুদ্ধ আবহে দেশের তিন বাহিনীর সাফল্য প্রসঙ্গে এয়ার মার্শাল ভারতী বলেন, “আমাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একটা শক্তিশালী দেওয়ালের মতো দেশকে বাঁচিয়েছে ৷ শত্রুরা এই দেওয়াল ভেদ করতে পারেনি ৷ পাকিস্তানের নিরন্তর প্রচেষ্টা, প্রতিরোধ করেছে ভারতের বহুস্তরীয় ও সংহত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ৷ ভারতীয় সেনা, ভারতীয় নৌ-বাহিনী এবং ভারতীয় বায়ুসেনার বিভিন্ন জায়গায় এই এডিএস স্থাপন করেছিল ৷” এই বিশাল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে বহু সংখ্যায় বিভিন্ন ধরনের এয়ার ডিফেন্স সেন্সর এবং অস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে৷ যেমন- লো লেভেল এয়ার ডিফেন্স গান, কাঁধে রেখে গোলা বর্ষণের অস্ত্র (শোলডার ফায়ার্ড ম্যান প্যাডস), স্বল্প পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (সারফেস টু এয়ার মিসাইল, এসএএমএস) ৷ এছাড়া এরিয়া ডিফেন্স ওয়েপন- যেমন এয়ার ডিফেন্স যুদ্ধবিমান, দূর পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ৷ পাকিস্তানের পাঠানো অসংখ্য ড্রোন, আনম্যান্ড ভেহিকলকে আকাশেই ধ্বংস করেছে ভারতের নিজস্ব সফ্ট ও হার্ড কিল কাউন্টার-ইউএএস সিস্টেম এবং ভারতীয় বায়ুসেনার দক্ষ আধিকারিকরা ৷ আর এই সবকিছুর সমন্বয় ঘটিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (IACCS) ৷

    মোদি সরকারকে ধন্যবাদ

    আধুনিক যুগের এই যুদ্ধ-ব্যবস্থার ক্ষমতা ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে তৈরি ৷ নতুন এডি সিস্টেমের পাশাপাশি পুরনো এডি সিস্টেমও এই সংঘাতে কাজ করেছে ৷ সর্বোপরি সাম্প্রতিক যুদ্ধে ভারতের নিজস্ব আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পারফরমেন্স ছিল দুর্দান্ত ৷ বিগত কয়েক বছরে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের জন্য এই অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম-এ ভারত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (IACCS) তৈরি সম্ভব হয়েছে বলে জানান এয়ার মার্শাল একে ভারতী ৷

  • Pakistan: ভারতের আশঙ্কাই সত্যি, নিহত জঙ্গিদের পরিবারকে মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে পাকিস্তান!

    Pakistan: ভারতের আশঙ্কাই সত্যি, নিহত জঙ্গিদের পরিবারকে মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে পাকিস্তান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের আশঙ্কাই সত্যি হল। ভারত-পাক সংঘর্ষে যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছে (IMF Aid), তাদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করল শাহবাজ শরিফের দেশ (Pakistan)।

    পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল ভারত (Pakistan)

    শুক্রবারই আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারে পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল ভারত। ভারতের আপত্তিতে কান না দিয়ে পাকিস্তানকে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আইএমএফ। সন্ত্রাসবাদের সরাসরি সমর্থক দেশকে অর্থ সাহায্য করায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে আইএমএফকে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার বিষয় নিয়ে পর্যালোচনায় বসে আইএমএফ। সেখানে ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, পাকিস্তানের মতো সীমান্ত সন্ত্রাসের ঘোষিত পৃষ্ঠপোষককে পুরস্কৃত করা তামাম বিশ্বকে বিপজ্জনক বার্তা দেয়। এমনটা করা হলে আইএমএফ এবং তার সঙ্গে জড়িত অন্যদের সুনাম নষ্ট হয়। আদতে আন্তর্জাতিকস্তরের এই সংস্থার মূল্যবোধকে নিয়েই উপহাস করা হয়। তবে শেষমেশ ভারতের আপত্তিকে গুরুত্ব না দিয়েই ইসলামাবাদকে অর্থ সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয় আইএমএফ।

    নিহত জঙ্গিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ

    ফেরা যাক খবরের গোড়ায়। আইএমএফ থেকে অর্থ সাহায্য মিলছে শুনেই ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরে’ যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছে, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ইসলামাবাদ (IMF Aid)। ঘটনার সূত্রপাত গত ২২ এপ্রিল। সেদিন দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এর পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। পড়শি দেশের ৯টি জায়গায় হামলা চালিয়ে ভারত ধ্বংস করে দেয় ২৪টি জঙ্গি ঘাঁটি। ভারতের ওই অপারেশন খতম হয় বেশ কয়েকজন জঙ্গি এবং তাদের কয়েকজন মাথা। এই জঙ্গিদের কফিনবন্দি দেহ পাকিস্তানের জাতীয় পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়। তাদের দেওয়া হয় শহিদের মর্যাদা। তাদের পরিবারকেই মোটা অঙ্কের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করে শাহবাজ শরিফের সরকার (Pakistan)।

    ক্ষতিপূরণের বহর

    জানা গিয়েছে, অসামরিক শহিদদের পরিবারের জন্য ১ কোটি করে টাকা এবং সাধারণ নাগরিকদের জন্য ১০ থেকে ২০ লাখ করে টাকা। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে দেওয়া হবে ১ থেকে ১৮ কোটি পর্যন্ত টাকা। এর মধ্যে হয়েছে হোম ফেসিলিটি অ্যালাওয়েন্সও। পদমর্যাদার ওপর ভিত্তি করে সাহায্য করা হবে ১৯ থেকে ৪২ কোটি টাকা পর্যন্ত। যেসব (IMF Aid) সেনা নিহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে তাঁর অবসর গ্রহণের দিন পর্যন্ত পুরো বেতন ও ভাতা দেওয়া হবে। তাঁদের সন্তানদের জন্য স্নাতকস্তর পর্যন্ত নিখরচায় শিক্ষা এবং একটি মেয়ের বিবাহ অনুদান বাবদ দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকা। সশস্ত্র বাহিনীর যারা জখম হয়েছেন, তাঁদের আঘাতের গুরুত্ব বিচার করে দেওয়া হবে ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। ভারতের অপারেশনে যেসব ঘরবাড়ি এবং মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (যদিও ভারতের দাবি, কেবল জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করেই আঘাত হানা হয়েছে।), সেগুলি পুনর্নির্মাণ এবং আহতদের চিকিৎসার খরচও দেওয়া হবে। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকার শহিদদের পরিবারের যত্ন নেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব পালন করবে।” এই সাহায্য প্যাকেজটি তাঁর মতে, “জাতীয় সংহতির একটি প্রতীক।” ভারত শরিফের এই প্যাকেজের তীব্র নিন্দা করেছে (Pakistan)। নয়াদিল্লির অভিযোগ, এই অর্থ সন্ত্রাসবাদে যুক্ত ব্যক্তি, যেমন, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ এবং জামাত-উদ-দাওয়ার সদস্যদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘অপারেশন সিঁদুরে’ এই সব সংগঠনের জঙ্গিরাই নিহত হয়েছে (IMF Aid)।

    ভারতের প্রতিক্রিয়া

    পাকিস্তান সরকারের এই ক্ষতিপূরণের ঘটনায় ফুঁসছে ভারত। প্রাক্তন বিদেশ সচিব কনওয়াল সিব্বাল এই সিদ্ধান্তকে ভয়ঙ্কর দৃষ্টিভঙ্গি বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “আইএমএফের পরিচালনা পদ্ধতি পশ্চিমি শক্তিদের প্রতি পক্ষপাত করে। তাদের দায়বদ্ধতার অভাবও রয়েছে।” জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার প্রশ্ন, “আইএমএফ যখন মূলত পাকিস্তানকে ভারতের ওপর হামলার জন্য অর্থ দিচ্ছে, তখন কীভাবে উত্তেজনা প্রশমন আশা করা যায়?” আফগানিস্তানের প্রাক্তন সাংসদ মারিয়ম সোলাইমানখিল আইএমএফকে রক্তপাতের অর্থদাতা বলে অভিযুক্ত করেন। তাঁর প্রশ্ন, “মানুষ খুন করতে বিশ্ব আর কতদিন অর্থ জোগাবে পাকিস্তানকে (Pakistan)?”

    এফএটিএফের বৈঠক

    সামনের সপ্তাহেই পরবর্তী বৈঠক রয়েছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (FATF)। তার আগেই খতিয়ে দেখা হবে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন সংক্রান্ত নিয়ম পাকিস্তান কেমন মেনে চলছে। কূটনীতিকদের মতে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান মুখে এক কথা বললেও, কাজে করছে ঠিক উল্টোটা। জঙ্গিদের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের অনেক পদস্থ কর্তা। সেই জঙ্গিদের পারিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে আইএমএফের টাকায়। প্রত্যাশিতভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের। তাদের প্রশ্ন, পশ্চিমি বিশ্ব কী ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইকে সমর্থন করবে, নাকি সমালোচকদের (IMF Aid) ভাষায় সন্ত্রাসের কারখানায় অর্থায়ন করেই চলবে (Pakistan)?

  • PM Modi: “বাঁচতে হলে পাকিস্তানকে নির্মূল করতে হবে ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বাঁচতে হলে পাকিস্তানকে নির্মূল করতে হবে ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তানকে যদি বাঁচতে হয়, তাহলে ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো নির্মূল করতে হবে।” সোম-সন্ধ্যায় (India Pakistan Ceasefire) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে একথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “ভারত আর সন্ত্রাসবাদীদের চোখরাঙানি সহ্য করবে না।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তানকে যদি বাঁচতে হয় ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো নির্মূল করতে হবে। ‘টেরর’ ও ‘টক’ (সন্ত্রাস ও আলোচনা) এক সঙ্গে চলতে পারে না। জল এবং রক্ত একই সঙ্গে বইতে পারে না।”

    স্টেট স্পনসর্ড টেররিজম (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্টেট স্পনসর্ড টেররিজমের বড় উদাহরণ হল পহেলগাঁওকাণ্ড। প্রতিটি যুদ্ধের ময়দানে আমরা পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করেছি। ‘অপারেশন সিঁদুরে’ও আমরা সেই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছি। ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ হাতিয়ার তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে।” সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আমাদের সেনাবাহিনী সর্বদা সতর্ক। আকাশ, জল থেকে মাটি – সর্বত্র আমরা প্রস্তুত থেকেছি। ‘নয়া নর্মাল’ তৈরি করেছে সেনা। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আবারও জবাব দেওয়া হবে। ভারত আর কোনও নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না।”

    পাকিস্তান ব্যর্থ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান আমাদের স্কুল-কলেজ, সাধারণ নাগরিকের বাড়িঘর, মন্দিরকে নিশানা করল। এখানেও ওরা ব্যর্থ হল। দুনিয়া দেখল, কীভাবে পাকিস্তানের ড্রোন, মিসাইল ভারতের কাছে ধুলিসাৎ হল। আকাশেই নষ্ট করে দেওয়া হল।” তিনি বলেন, “তিনদিনে পাকিস্তানের যা হাল করা হয়েছে, তা ওরা ভাবতেই পারেনি। এখন ওরা বাঁচার রাস্তা খুঁজছে। গোহারা হেরে যাওয়ার পর ১০ মে পাকিস্তানি সেনা আমাদের ডিজিএমও-র দ্বরস্থ হন। তার আগেই আমরা পাকিস্তানের মাটিতে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছি।”

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “পৃথিবীতে বড় বড় সব সন্ত্রাসবাদী হামলা একই সুতোয় বাঁধা। তাই ভারতের হামলায় সন্ত্রাসবাদের হেড কোয়ার্টার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান হতাশ। এই অবস্থায় ওরা আরও একটা ভুল করেছে। ভারতকে সঙ্গ দেওয়ার বদলে ভারতের ওপরই হামলা করল।” তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের প্রাপ্তির জন্য, সেনার পরাক্রমকে আমরা উৎসর্গ করেছি দেশের সব মা, সকল মহিলাদের। স্ত্রী, সন্তানের সামনে ধর্ম জিজ্ঞাসা করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে পহেলগাঁওয়ে। আমার কাছে এটা ক্রূরতা। জঙ্গিরা বুঝে গিয়েছে, মা-বোনেদের সিঁদুর মোছার পরিণাম কী।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এবার পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হলে (India Pakistan Ceasefire) সন্ত্রাসবাদ নিয়েই কথা হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হলে এবার পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই কথা হবে।” তিনি (PM Modi) বলেন, “আজ বুদ্ধপূর্ণিমা, শান্তির পথও যুদ্ধ দিয়েই হয়।”

  • AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ইজরায়েলের আয়রন ডোমের দিকে নজর থাকলেও, গত কয়েক দিনে ভারত যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা এখন সারা বিশ্বে আলোচিত। ভারত চুপচাপ তার নিজস্ব আকাশসীমা প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে আকাশতীর (AkashTeer) প্রকল্পের মাধ্যমে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘ডিকেড অব ট্রান্সফরমেশন’ এবং ‘ইয়ার অব টেক অ্যাবজর্বশন’ উদ্যোগের অধীনে আকাশতীর তৈরি করা হয়েছে, যা আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা হুমকির বিরুদ্ধে কার্যকরী সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। সাম্প্রতিক ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতের এই বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা কৌশল আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, তুরস্ক সকলকেই চমকে দিয়েছে। আকাশতীর ভারতের আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ গেম-চেঞ্জার হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বের প্রথম ন্যাটো-বহির্ভূত কোনও দেশের হাতে এত উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি দেখেছে বিশ্ববাসী। সম্পূর্ণ দেশীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা পরিচালিত, উপগ্রহ-সংযুক্ত স্বয়ংক্রিয় কমব্যাট সিস্টেম হিসেবে আকাশতীর বিশ্বের তামাম প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের চমকে দিয়েছে।

    কী এই আকাশতীর?

    “আকাশতীর” একটি বহুস্তরীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত, স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ সমন্বয় ব্যবস্থা। বিশ্ব প্রতিরক্ষা কৌশলে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে ভারত। ডিআরডিও (DRDO), ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL) এবং ইসরো (ISRO)-এর যৌথ উদ্যোগে সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত হয়েছে “আকাশতীর”। এটি হল একটি বাস্তব-সময়ে লক্ষ্য নির্ধারণ ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ পরিচালন পদ্ধতি। এটি কোনও একক ডিভাইস নয়, বরং একটি সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক, যা নিজে থেকে বিপদ আঁচ করে যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিপদকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। আকাশতীর হলো বহুস্তরীয় সমন্বিত প্রতিরক্ষা এবং প্রতি-আক্রমণ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি। যা এআই, স্যাটেলাইট নজরদারি, স্বয়ংক্রিয় সোয়ার্ম ড্রোন, রেডার এবং মোবাইল কমান্ড ইউনিট মিলিয়ে এক নতুন ধরনের “কমব্যাট ক্লাউড” গঠন করে।

    আকাশতীরের মূল বৈশিষ্ট্য

    সেনা সূত্রে খবর, ৭ তারিখ রাত থেকে ৮ তারিখ ভোরের মধ্যে ১৫টি সেনা ছাউনিতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল পাক সেনা। সেই আক্রমণ শুধু প্রতিহতই করেনি ভারত। উল্টে যোগ্য জবাবও দিয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের পর একের পর এক ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। যা রুখে দেয় ভারত। ভারতের চার স্তরের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যা ‘আয়রন ডোম’-এর অনুরূপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই সিস্টেমটি বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি এবং ‘আকাশতীর’ কমান্ড নেটওয়ার্ক দ্বারা পরিচালিত। আকাশতীর সিস্টেম সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার সমস্ত রেডার এবং স্যাটেলাইট ডেটা একটি একক নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করেছিল। এই সমন্বিত চিত্রটি নির্ধারণ করেছিল যে কোন ব্যবস্থা কোন হুমকিকে ধ্বংস করবে। ফলস্বরূপ, পাকিস্তানের একের পর এক হামলা প্রতিহত করে ভারত।

    চার স্তরের আকাশতীর সিস্টেম

    ইসরোর উপগ্রহ নজরদারি: কার্টোস্যাট ও রিস্যাট উপগ্রহের মাধ্যমে রিয়েল-টাইম মানচিত্র এবং লক্ষ্য নির্ধারণ। বিদেশি স্যাটেলাইট ডেটার উপর নির্ভরতা ছাড়াই, নিজস্ব স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি যুদ্ধভূমির তথ্য সংগ্রহ ভারতকে কয়েক কদম এগিয়ে দিয়েছে।

    নাবিক ব্যবস্থার ব্যবহার: ভারতের নিজস্ব জিপিএস ন্যাভিগেশন সিস্টেম, যা উপমহাদেশীয় ভূখণ্ডে অত্যন্ত কার্যকর। এই বিশেষ সিস্টেম পার্বত্য, মরুভূমি ও শহরাঞ্চলে অত্যন্ত কার্যকর।

    সোয়ার্ম ড্রোন: আকাশতীরের প্রতিটি সোয়ার্ম ড্রোন সিস্টেম— ৫-১০ কেজি পেলোড বহনে সক্ষম। চিনা ও পাকিস্তানি রেডার এড়াতে সক্ষম। স্টেলথ প্রযুক্তিতে সজ্জিত। উচ্চ গতিতে উড়তে সক্ষম। অনুপ্রবেশ করতে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রুর ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম। সেলফ-নেভিগেশন রয়েছে। নিজেই লক্ষ্যকে স্থির করে নিতে সক্ষম। মিশনের প্রয়োজন অনুযায়ী, মাঝপথে নিজের প্রোগ্রামে বদল আনতে সক্ষম। এগুলি বাণিজ্যিক ড্রোন নয়। বরং কৌশলগত, বুদ্ধিমান কামিকাজে ইউনিট যা শত্রুর হাই-ভ্যালু টার্গেট পর্যবেক্ষণ করে, শত্রুর আকাশসীমায় প্রবেশ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম।

    এআই কমব্যাট ক্লাউড: তাৎক্ষণিক তথ্য বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে কোনও মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আক্রমণ পরিচালনা করে এই পদ্ধতি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শত্রুর রেডার সংকেত, ভূখণ্ড বিশ্লেষণ, আবহাওয়ার তথ্য এবং উপগ্রহ চিত্র সহ বিস্তৃত যুদ্ধের তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে আকাশতীর। এআই-এর দৌলতে আকাশতীর সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিশন নতুন করে সাজাতে পারে, ড্রোন রিডিরেক্ট করতে পারে এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে পারে, যা মার্কিন বা চিনা সিস্টেমের চেয়ে অনেক উন্নত, কারণ সেখানে মানুষের প্রয়োজন হয়।

    আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

    অপারেশন সিঁদুরের পর, ভারতের বায়ু প্রতিরক্ষা মডেল এখন বিশ্বব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। এই মডেলটি দেখায় যে নিরাপত্তা কেবল নতুন প্রযুক্তি কেনার মাধ্যমেই আসে না, বরং সেগুলিকে একীভূত করার মাধ্যমেও আসে। কীভাবে একইসঙ্গে শত্রুর হানা রুখছে, আবার শত্রুর ডেরায় গিয়ে আঘাত হানছে আকাশতীর,তা দেখে আমেরিকা থেকে শুরু করে চিন, তুরস্ক থেকে শুরু করে পাকিস্তান— সকলেই কার্যত থ বনে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এখন ভারতের এই স্তরযুক্ত প্রতিরক্ষাকে বিশ্বের জন্য একটি নতুন মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্লেষক ভারতের এই প্রযুক্তি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাঁরা আকাশতীরের অনুকরণে পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ কৌশল পুনর্বিবেচনার কথাও বলছেন। চিনের বেইডু স্যাটেলাইট ও ড্রোন বিশেষজ্ঞরা এখন আকাশতীরের অনুকরণে অ্যালগোরিদম পুনঃর্গঠনের চেষ্টা করছে। ভারতের অগ্রগতি দেখে অবিলম্বে বায়রাক্তার ড্রোনের প্রযুক্তি আপগ্রেডে ব্যস্ত তুরস্ক।

    কেন আকাশতীর অনন্য

    ভারত দীর্ঘদিন ধরে তার আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং অত্যাধুনিক বিমান আক্রমণের হুমকি বৃদ্ধি পাওয়ায়। আয়রন ডোমের মতোই ভারতের আকাশতীর এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য একটি শক্তিশালী সমাধান। এটি অত্যাধুনিক রেডার, ক্ষেপণাস্ত্র নির্দেশনা এবং কমান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি। আকাশতীর বিশেষভাবে উচ্চ-গতি, কম উচ্চতার এবং স্টেলথ লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আকাশতীরের রেডার সিস্টেম প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বিশাল অগ্রগতি। এটি একাধিক লক্ষ্যবস্তু বিভিন্ন উচ্চতায় শনাক্ত করতে সক্ষম, এবং অত্যাধুনিক সিগন্যাল প্রসেসিং অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে স্টেলথ বিমান, ড্রোন এবং সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারে। ঐতিহ্যবাহী রেডার সিস্টেমের তুলনায়, আকাশতীরের রেডার প্রায় মাটি ঘেঁষে চলা লক্ষ্যবস্তুও শনাক্ত করতে সক্ষম, যা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে ৩৬০-ডিগ্রি সুরক্ষা প্রদান করে। একশো শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই পদ্ধতি কোনও বিদেশি চিপ বা সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল নয়। এটি দেশের সরকারি সংস্থাগুলোর দুর্দান্ত সমন্বয়ে তৈরি এক প্রকল্প। ডিআরডিও, ইসরো ও ভারত ইলেক্ট্রনিক্সের যুগান্তকারী সমন্বয়ে তৈরি আকাশতীরের পূর্ণ কৌশলগত স্বাধীনতা রয়েছে। এটি একটি মোবাইল কমান্ড ইউনিট, যা জিপে রেখেও চালানো সম্ভব। আকাশতীর শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার প্রতীক। এটি ভারতকে আর অনুসরণকারী নয়, বরং নেতৃত্বকারী হিসেবে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠা করেছে।

  • Joint Military Briefing: “পাকিস্তানের যা কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ওরা নিজেরাই দায়ী,” বললেন এয়ার মার্শাল ভারতী

    Joint Military Briefing: “পাকিস্তানের যা কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ওরা নিজেরাই দায়ী,” বললেন এয়ার মার্শাল ভারতী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংবাদিক বৈঠক (Joint Military Briefing) করলেন ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই। উপস্থিত ছিলেন জল-স্থল ও আকাশ – তিন বাহিনীর শীর্ষকর্তারা। সফল (DGMO) অপারেশন সম্পর্কে এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী বলেন, “আমাদের লড়াই ছিল জঙ্গিদের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানের সেনার সঙ্গে নয়। কিন্তু পাক সেনা জঙ্গিদের হয়ে ময়দানে নামে।” তিনি বলেন, “আফশোস এই যে পাক সেনা জঙ্গিদের পাশে দাঁড়ানোটাই উচিত বলে মনে করল। এই লড়াইয়ে তারা নিজেরাই ময়দানে নামল। আজ পাকিস্তানের যা কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ওরা নিজেরাই দায়ী।”

    মাল্টি লেয়ার এয়ার ডিফেন্সের ব্যবস্থা (Joint Military Briefing)

    ভারতে ছিল মাল্টি লেয়ার এয়ার ডিফেন্সের ব্যবস্থা। লো লেভেল গান থেকে শুরু করে সারফেস টু এয়ার মিসাইল – সবই ছিল। এয়ার কমান্ড এবং কন্ট্রোল সিস্টেমও কাজ করেছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের লং রেঞ্জ মিসাইল, কপ্টার, ড্রোন সব ধ্বংস করা হয়েছে। কেউই আঘাত হানতে পারেনি। আমাদের আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সব সময় কাজ করেছে।” প্রমাণ হিসেবে এদিন এয়ার মার্শাল একগুচ্ছ ছবিও দেখিয়েছেন। তাতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে ধ্বংস করা হয়েছে চিনা পিএল-১৬ মিসাইল। জায়ান্ট স্ক্রিনে তার টুকরোগুলোও দেখানো হয়। দেখানো হয়েছে পাকিস্তানের ছোড়া একটি রকেটের টুকরোও। পাকিস্তানের নূর খান এয়ারবেস, রহিমিয়ার খান এয়ারবেসের কতটা ক্ষতি হয়েছে,  তাও দেখিয়েছেন (Joint Military Briefing) এয়ার মার্শাল একে ভারতী।

    কী বললেন ডিজিএমও? 

    ডিজিএমও রাজীব ঘাই বলেন, “পাকিস্তানের পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। আমরা যেহেতু লাইন অব কন্ট্রোল পার না করেই আঘাত করেছিলাম, তাই ভেবেছিলাম পাকিস্তানও বর্ডারের ওপার থেকেই হামলা করবে। তাই এয়ার ডিফেন্স জোরদার করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “পাকিস্তান পরপর আমাদের বায়ুসেনাঘাঁটিতে হামলা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে হার মানতে হয় তাদের।” ক্রিকেটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সব সিস্টেম পার করলেও এয়ারফিল্ডে পৌঁছতে পারবে না পাকিস্তান। এমনই ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।” ভারতের সব এয়ারফিল্ড সক্রিয় রয়েছে বলেও জানান তিনি। রাজীব বলেন, “বিএসএফের ডিজি থেকে শেষ জওয়ান পর্যন্ত প্রত্যেক সদস্য সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। গত কয়েক বছরে জঙ্গি কার্যকলাপের চরিত্র বদলেছে। এখন সাধারণ মানুষকে নিশানা করে জঙ্গিরা। পাক হামলা প্রতিহত করতে বিএসএফের ভূমিকা প্রশংসনীয়।’’

    বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদও। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পর্কে তিনি বলেন, “শত্রুপক্ষের কোনও বিমান কয়েকশো কিলোমিটার দূর থেকেও চিহ্নিত করতে সক্ষম ভারত।” এয়ার মার্শাল বলেন, “প্রয়োজন হলে আমাদের সব মিলিটারি বেস পরবর্তী (DGMO) মিশনের জন্যও প্রস্তুত হয়ে (Joint Military Briefing) যাবে।”

  • Pakistan: পারমাণবিক বোমার জুজু দেখিয়ে ভারতকে দমানো যাবে না, হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান

    Pakistan: পারমাণবিক বোমার জুজু দেখিয়ে ভারতকে দমানো যাবে না, হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারমাণবিক বোমার জুজু দেখিয়ে যে ভারতকে আর আঘাত করা যাবে না, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan)। এয়ারবেসগুলির মতোই ভূপতিত পাকিস্তানের পরমাণু ভাঁওতাবাজি (Nuclear Deterrence)।

    কার্গিল যুদ্ধ (Pakistan)

    ১৯৯৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হয়েছিল কার্গিল যুদ্ধ। তখনও দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রই ছিল। তবুও, সেই সংঘর্ষ সীমিত পরিসরেই নিয়ন্ত্রিত ছিল। যুদ্ধ হয়েছিল কার্গিলের কঠিন পার্বত্য এলাকায়। সেই সময়ও ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তারা লাইন অফ কন্ট্রোল (LoC) অতিক্রম করবে না কিংবা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে কোনও টার্গেটে হামলা চালাবে না। তখন পড়শি এই দুই দেশই সদ্য পরমাণু শক্তিধর হয়ে উঠছিল। তারা তখনও ছিল কমান্ড ও কন্ট্রোল প্রোটোকল এবং ম্যাচিওরিং ডেলিভারি সিস্টেমের মধ্যে।পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে ভারত পাকিস্তানে যে অভিযান চালায়, তার নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’। কার্গিল যুদ্ধের চেয়ে এটি সম্পূর্ণ আলাদা। এটি কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত তৈরি করেছে, যেখানে ভারত পরমাণু যুদ্ধের মধ্যে না গিয়েও পাকিস্তানকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে বিশ্বকে।

    পাকিস্তানের উসকানি

    আগের মতো এবারও ভারত-পাক সংঘাতের কারণ সেই পাকিস্তানের উসকানি। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। অন্যান্যবারের ঘটনাগুলির মতো এবার আর নয়াদিল্লি শুধু প্রতীকী বিমান হামলা বা এয়ারস্ট্রাইকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। কূটনৈতিকভাবেও শিক্ষা দিয়েছে পাকিস্তানকে (Pakistan)। এবার  পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। যার অর্থ, কয়েক দশকের সংযমের বাঁধ ভেঙে মারমুখী হয়ে উঠেছিল ভারত। তবে ভারত কেবল জঙ্গিঘাঁটিগুলিকেই টার্গেট করেছিল, পাকিস্তানের মতো নিরীহ মানুষকে মারেনি। ভারত জঙ্গিদের যেসব ডেরায় আঘাত করেছে, তার মধ্যে ছিল বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি, আর ছিল মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার আস্তানা। এই দুটি জায়গায় যে কেবল জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত, তাই নয়, সংসদে হামলা, মুম্বই হামলা, পুলওয়ামাকাণ্ড এবং আরও বহু হামলার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এই দুই জায়গার (Nuclear Deterrence)।

    পাকিস্তানকে শিক্ষা ভারতের

    পাকিস্তানের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়ে গত ২৫ বছর ধরে এই ঘাঁটিগুলি থেকে ভারতে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল একের পর এক নাশকতার কাজ। ভারত উপযুক্ত জবাব না দেওয়ায় পাকিস্তানের মাথারা ভেবেছিলেন, সে দেশের পরমাণু শক্তিকে ভয় পাচ্ছে ভারত। এই ভাবনা থেকেই জঙ্গিরাও ছিল চিন্তামুক্তভাবে। এবার ‘অপারেশন সিঁদুরে’র মাধ্যমে ভারত পাকিস্তান এবং তার আশ্রিত জঙ্গিদের বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারত কী পারে, আর পারে না। অপারেশন সিঁদুরে ৯টি জায়গায় হামলা চালিয়ে ভারত ধ্বংস করে দিয়েছে ২৪টি জঙ্গি ঘাঁটি। এক সময় যেখানে জঙ্গিদের আনাগোনা ছিল, ভারতের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর নীল নকশা কষা হত, পাকিস্তানের সেসব জায়গাই দুরমুশ করে দিয়েছে ভারত।

    চ্যালেঞ্জ নিবি না…   

    এবং এখানেই থেমে থাকেনি (Pakistan) ভারত। পাকিস্তানের প্রতিটি প্রতিশোধের জবাবে ভারত আরও কঠোরভাবে আঘাত হানে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর এই প্রথমবার ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে এবং প্রকাশ্যে পাকিস্তানের প্রচলিত সামরিক পরিকাঠামোকে টার্গেট করে। জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভারত অন্তত ১১টি পাকিস্তান বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অক্ষম করে দেয়। ধ্বংস করে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদও। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল রাওয়ালপিন্ডির বিমানঘাঁটির ওপর হামলা, যা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স থেকে মাত্রই ১২ কিলোমিটার দূরে। এটি কেবল একটি কৌশলগত অভিযান ছিল না। এটি ছিল একটি সুপরিকল্পিত উত্তেজনা বৃদ্ধির পদক্ষেপ, পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া। রাওয়ালপিন্ডির বিমানঘাঁটিতে হামলা  চালিয়ে ভারত পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের ওয়ার মেশিনারি যেখান থেকে পরিচালিত হয়, তাও ভারতের নাগালের বাইরে নয় (Pakistan)।

    পাকিস্তানকে স্পষ্ট দুটি বার্তা ভারতের

    এই হামলা চালিয়ে ভারত পাকিস্তানকে স্পষ্ট দুটি বার্তা দিয়েছে। এক, পাকিস্তানের প্রচলিত সামরিক যন্ত্রে আঘাত হানার ক্ষমতা ভারতের রয়েছে। আর, দুই, এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি হল, পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকি সত্ত্বেও ভারত পিছিয়ে থাকবে না (Nuclear Deterrence)। কার্গিল যুদ্ধের পর সবাই ভেবেছিল, পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর দেশ হওয়ায় নয়াদিল্লির হাত-পা বাঁধা। আর রাওয়ালপিন্ডির নীতি ছিল, সন্ত্রাসকে রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ হিসেবে ব্যবহার কর, বারবার ভারতকে উসকে দাও, এবং প্রতিশোধের সম্ভাবনা এলেই পারমাণবিক অস্ত্রের কার্ড দেখাও। ২০০১–’০২ সালে ভারতীয় সংসদে হামলার পর সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ভারত সেনা মোতায়েন করেছিল, যদিও শেষ পর্যন্ত হামলা চালায়নি। কেউ কেউ এটিকে সংযমের উদাহরণ মনে করলেও, অন্যরা একে প্রতিরোধ এবং প্রস্তুতির ব্যর্থতা হিসেবেই দেখেছে। কিন্তু ‘অপারেশন সিঁদুর’ এই সমীকরণ বদলে দিয়েছে। ভারত এখন প্রমাণ করেছে যে তারা শুধু প্রতীকীভাবে নয়, প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার করেও প্রতিশোধ নিতে পারে। পারমাণবিক সীমা লঙ্ঘন না করেই পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিতে পারে (Pakistan)।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্রেফ পহেলগাঁওয়ের প্রতিশোধ নেওয়া ছিল না। এটি ছিল কৌশলগত সমীকরণ পুনর্নির্ধারণের একটি প্রচেষ্টাও। দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান এই বিভ্রমে ছিল যে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের মালিকানা তাদেরকে ভারতকে “হাজার বার কাটা” নীতিতে রক্তাক্ত করার অবাধ সুযোগ দেয়। ইসলামাবাদের সেই বিভ্রম এখন ভেঙে চৌচির। ভারতের যে কোনও শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে পারমাণবিক যুদ্ধের রূপ নেবে—বিশ্বের বহু দেশের এই আশঙ্কাকে নিশ্চিতভাবে ভুল প্রমাণ করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের এই জয় শুধুমাত্র রাজনৈতিক বা প্রতীকী নয়, অপারেশনাল দৃষ্টিকোণ থেকে ভারত তাদের সামরিক প্রস্তুতি, সমন্বয় এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার এমন এক মাত্রা দেখিয়ে দিয়েছে, যার জেরে তাদের আঘাত হয়েছে কার্যকর ও নির্ভুল লক্ষ্যে (Nuclear Deterrence)। দূরপাল্লার অস্ত্র থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ, রিয়েল-টাইম নজরদারি থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা—ভারত এমন বিভিন্ন ক্ষমতা ব্যবহার করেছে, যা তাদের সংঘাত নিয়ন্ত্রণ করতে, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাধান্য অর্জন করতে সাহায্য করেছে।

    ট্রাম্পের দ্বারস্থ পাকিস্তান

    ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পিছনে থাকা রাজনৈতিক সদিচ্ছাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ভারত শুধু হুঁশিয়ারিই দেয়নি, কার্যকর পদক্ষেপও করেছে। তারা প্রথমে আঘাত হেনেছে এবং বারবার হেনেছে। আর যখন পাকিস্তান প্রত্যুত্তর দিয়েছে, তখনও ভারত পিছু হটেনি। বরং তারা পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। যে জবাবের প্রেক্ষিতে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। তাই সংঘাত থামাতে তারা দ্বারস্থ হয়েছিল ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ভারতের দিকে পাকিস্তানই আগে বাড়িয়ে দিয়েছে শান্তি-বারতার হাত। ভারত যেহেতু যুদ্ধ-অশান্তি চায় না, তাই পাকিস্তানের শান্তিবার্তায় সাড়া দিয়েছে বুদ্ধের দেশ।

    পারমাণবিক অস্ত্রের জুজু

    পাকিস্তান ভেবেছিল পারমাণবিক অস্ত্রের জুজু দেখিয়ে ভারতকে চুপ করিয়ে রাখবে। কিন্তু ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারত পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দিল, পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ না করেও, বিশাল কিছু ক্ষতি না করেও তাদের উচিত শিক্ষা দিতে পারে। ভারতের এই পাল্টা ‘মারে’ পাকিস্তান বুঝে গিয়েছে, পারমাণবিক বোমার ছাতা আর নিরাপদ নয়, যেমন নিরাপদ নয় ভারতে জঙ্গি হামলা চালানো। মোদির নয়া ভারত জবাব দিতে জানে, জানে শত্রুকে কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় (Nuclear Deterrence)।

    ভারতের ভদ্রতা যে দুর্বলতা নয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে তা প্রমাণ করে দিল নয়াদিল্লি (Pakistan)।

LinkedIn
Share