Tag: pakistan

pakistan

  • Bangladesh: পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ…! ড্রাগনের ফাঁদে পড়ে হয়েছে সর্বস্বান্ত, সেই পথে বাংলাদেশও?

    Bangladesh: পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ…! ড্রাগনের ফাঁদে পড়ে হয়েছে সর্বস্বান্ত, সেই পথে বাংলাদেশও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ড্রাগনের ফাঁদে পড়ে নাভিশ্বাস ওঠার দশা বাংলাদেশেরও (Bangladesh)। চিনের (China) কৌশলগত বিনিয়োগ, ঋণের ওপর চড়া হারে সুদ এবং বৃহৎ পরিসরের পরিকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাব অনেক দেশকেই আর্থিকভাবে অত্যধিক চাপে ও রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল করে তুলেছে। ঋণ সঙ্কট থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ভাঙন পর্যন্ত একাধিক দেশে গুরুতর চাপের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। উদ্যোক্তা রাজেশ সাওনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘এমনকি বাংলাদেশও এখন অরাজকতা ও অধোগামী সঙ্কটে পড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি অর্থনীতির মধ্যে ৫টিই ধসে পড়েছে। এগুলি হল, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং নেপাল।’’ যদিও এই তথ্য ওই দাবিকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে না, তবে অন্তর্নিহিত চাপের যে সংকেতগুলি মিলেছে, তা বাস্তব।

    বাংলাদেশ (Bangladesh)

    দেশটিতে সব চেয়ে বেশি অভাব আইনশৃঙ্খলার। সহিংস বিক্ষোভ ও উগ্রপন্থার উত্থানে জর্জরিত। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে পারছে না। সেনাবাহিনী “স্ব-নির্মিত সঙ্কটের ব্যাপারে সতর্ক করেছে ইউনূস সরকারকে। মুদ্রাস্ফীতি উচ্চমাত্রায়। স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল হয়েছে বিনিয়োগ। ২০২৫ অর্থবর্ষে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হতে কমে হতে পারে ৩.৩–৩.৯ শতাংশ। যদিও দেশটির অর্থনীতি চালু রয়েছে, কিন্তু খুবই কষ্টে রয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। (Bangladesh)।

    শ্রীলঙ্কা

    মিতব্যয়ী প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা উচ্চ দারিদ্র্য, মুদ্রাস্ফীতি ও দুর্বল মুদ্রার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালে দেশটি বৈদেশিক ঋণ শোধে ডিফল্ট করে এবং এখনও তাদের বিদেশি ঋণের অর্ধেকেরও বেশি চিনের কাছে বাকি রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলি সীমিত ফল দিয়েছে। তাই এই মুহূর্তে ঋণ পরিশোধ এখনও বড় ঝুঁকির (China)।

    মলদ্বীপ

    জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৪ শতাংশ হওয়ার আশা থাকলেও মলদ্বীপের সরকারি ঋণের প্রায় ২০ শতাংশই চিনের কাছে। দেশটির অর্থনীতি পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। তাই যে কোনও বাহ্যিক ধাক্কা ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। মলদ্বীপ-চিন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বাণিজ্য ঘাটতি বাড়াতে পারে এবং স্থানীয় শিল্পগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

    পাকিস্তান

    পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা তুঙ্গে। সেখানে ব্যাপক বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজস্ব ভিত্তিও দুর্বল। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মাধ্যমে চিনের ঋণ পরিকাঠামো উন্নয়নে সাহায্য করলেও, এটি ঋণের বোঝা বাড়িয়েছে এবং সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তাই বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখনও অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে। অথচ, বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে না পারলে শিল্প হওয়া এক কথায় অসম্ভব। আর শিল্প না হলে, ঘুঁচবে না বেকারত্বও (Bangladesh)।

    আফগানিস্তান ও নেপাল

    আফগানিস্তানের অর্থনীতি বিচ্ছিন্ন, অন্যের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল এবং দেশটি দারিদ্র্যে জর্জরিত। চিনের সম্পৃক্ততা এখানে সীমিত এবং ধীরগতির। আর নেপাল, কাগজে-কলমে স্থিতিশীল হলেও চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বেজিং-সমর্থিত পরিকাঠামোর ওপর নির্ভরতা বাড়ছে (China)।

    বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ

    প্রসঙ্গত, চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। এর মধ্যে রয়েছে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভও। শি জিনপিংয়ের দেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কও তৈরি করছে এবং তাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব স্থাপন করছে। চিন দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে, যা তাদের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে চিনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। এই বিনিয়োগগুলি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির পরিকাঠামোর উন্নতিতে সহায়তা করছে। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে ঋণ সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যাচ্ছে (Bangladesh)।

    রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার

    রাজনৈতিক প্রভাব বাড়াতে চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যেমন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সহযোগিতা স্থাপন। চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে ও নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করছে।

    সামরিক প্রভাবও বিস্তার

    চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে নিজেদের সামরিক প্রভাবও বিস্তার করছে। চিন পাকিস্তান ও অন্যান্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করেছে, যা ভারত ও অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে (China)। চিন দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনবে (Bangladesh)।

  • Himanta Biswa Sarma: ‘‘অসমে কেউ ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বললে ঠ্যাং ভেঙে দেব,’’ হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    Himanta Biswa Sarma: ‘‘অসমে কেউ ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বললে ঠ্যাং ভেঙে দেব,’’ হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘অসমে (Assam) যদি কেউ ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেয়, আমরা তাদের ঠ্যাং ভেঙে দেব।’’ শুক্রবার কথাগুলি বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। পহেলগাঁওকাণ্ডের সমর্থনে বিবৃতি দেওয়ায় অসমে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩০ জনেরও বেশি জনকে। এদিন এক পঞ্চায়েতের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন হিমন্ত। সেখানেই তিনি হুঁশিয়ারি দেন পাকিস্তান-প্রেমীদের। এ ব্যাপারে তাঁর সরকার যে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে, তাও মনে করিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    কঠোর শাস্তি (Himanta Biswa Sarma)

    এদিনের জনসভায় তিনি জানান, ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’-এর মতো স্লোগান যারা দেবে, তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। পাকিস্তানি জঙ্গিরা পহেলগাঁওয়ে ঢুকে নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। এহেন আবহে আমাদেরই মাঝে কিছু মানুষ পাকিস্তানের প্রশংসা করছে। ইতিমধ্যেই ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পরেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি সাফ বলে দিচ্ছি, অসমে কেউ ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলে চিৎকার করলে আমরা তাদের পা ভেঙে দেব।’’

    কালবিলম্ব না করে গ্রেফতারের নির্দেশ

    মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘অসম পুলিশকে এমন কার্যকলাপে জড়িত যে কাউকে কালবিলম্ব না করে গ্রেফতারের জন্য কঠোর নির্দেশ দিয়েছি। জাতীয় নিরাপত্তা ও জনগণের অনুভূতির সঙ্গে কোনও অবস্থাতেই আপোস করা হবে না।’’ এর আগে পাকিস্তান-পোষিত সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের পক্ষেও সওয়াল করেছিলেন হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)।

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন ২৭ জন হিন্দু পর্যটক। স্থানীয় এক মুসলিম এক জঙ্গির হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায়, তাকেও গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় জঙ্গিরা। তার পরে পরেই পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতে থাকেন ভারতে বসবাসকারী পাক-প্রেমীরা। তার জেরেই অসমে শুরু হয় ধরপাকড়। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও মিল নেই। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ কোনও সম্পর্কও নেই। তাই আমাদের সেভাবেই থাকতে হবে। আমরা সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট খতিয়ে দেখছি (Assam)। যাঁদের পোস্ট আমাদের দেশবিরোধী বলে মনে হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে (Himanta Biswa Sarma)।

  • Cyberattacks by Pakistan: সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা! পাকিস্তানের সাইবার হামলা প্রতিহত করল ভারত

    Cyberattacks by Pakistan: সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা! পাকিস্তানের সাইবার হামলা প্রতিহত করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার (Indian Army) ৪টি ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করল পাকিস্তানি হ্যাকাররা (Cyberattacks by Pakistan)। জানা গিয়েছে, শ্রীনগর, রানিক্ষেতের আর্মি পাবলিক স্কুলের ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা করা হয়েছে। আর্মি ওয়েলফেরার হাউজিং অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইটেও হামলার চেষ্টা হয়। কিন্তু বার বারই সেই চেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারত। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তান-ভিত্তিক হ্যাকারদের একাধিক সমন্বিত সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। হ্যাকারদের লক্ষ্যই ছিল ভারতের সাইবার সুরক্ষা নষ্ট করা।

    কোন কোন ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, পাকিস্তান (Cyberattacks by Pakistan) প্রায় প্রতি দিন নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের চেষ্টা করছে। সেই আবহেই পাকিস্তানি হ্যাকারেরা ভারতের সাইবার সুরক্ষা ভেদ করতে একটি নতুন গোষ্ঠী তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক কালে ‘ইন্টারনেট অফ খিলাফাহর’ (আইওকে) নামে একটি হ্যাকার গোষ্ঠীর নাম বার বার উঠে এসেছে। নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে খবর, শ্রীনগর এবং রানিক্ষেতের সেনাবাহিনী স্কুলের ওয়েবসাইটগুলিতে হানা দিয়েছিল হ্যাকারেরা। বিভিন্ন প্ররোচনামূলক পোস্ট ওয়েবসাইটে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এ ছাড়াও, ‘আর্মি ওয়েলফেয়ার হাউজিং অর্গানাইজেশন’-এর তথ্যভাণ্ডারের হামলা করেছিল। শুধু তা-ই নয়, ‘ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স প্লেসমেন্ট অর্গানাইজেশন’ পোর্টালও হ্যাকারেরা নিশানা করে। শুধু ‘আইওকে’ নয়, ভারতের বিভিন্ন সাইবার হানার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে অন্য পাকিস্তানভিত্তিক হ্যাকার গোষ্ঠীর। ‘আর্মি কলেজ অফ নার্সিং’-এর ওয়েবসাইট হ্যাকের অভিযোগে নাম জড়ায় হ্যাকার গোষ্ঠী— ‘টিম ইনসেন পিকে’র।

    সাইবার হানা প্রতিহত কীভাবে

    গোয়েন্দা (Cyberattacks by Pakistan) সূত্রে খবর, সাইবার হানার বিষয় নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ওয়েবসাইটগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। তার পর হ্যাকারদের কবল থেকে তা পুনরুদ্ধার করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়। পহেলগাঁও হামলার পর সীমান্তে টানটান উত্তেজনা রয়েছে। এর মধ্যে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর নতুন ছক প্রকাশ্যে এসেছে। ভারতকে অশান্ত করার পাক চক্রান্ত ফাঁস হয়েছে। ভারতীয় অফিসারের নাম বলে ফোন করে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা। সেনারা যে গাড়িতে যাতায়াত করেন, তার রাস্তা জানার চেষ্টা করেছে আইএসআই। এবার, ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলি হ্যাক করে সাইবার জগতে উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে পাকিস্তান।

  • Pakistani Airspace: উত্তেজনার আবহে পাক আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে নামকরা বিদেশি বিমানসংস্থাগুলি

    Pakistani Airspace: উত্তেজনার আবহে পাক আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে নামকরা বিদেশি বিমানসংস্থাগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ভারতের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এই আবহে পাকিস্তানের (Pakistani Airspace) ওপর দিয়ে চলছে না কোনও ভারতীয় বিমান। তবে বর্তমানে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে পশ্চিম দুনিয়ার দেশগুলির নামী বিমানসংস্থা পাকিস্তানের (Pakistani Airspace) আকাশ সীমাকে এড়িয়ে চলছে। যদিও তাদের জন্য সে দেশের আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞা নেই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার কারণে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে দেশটি। তার কারণ হল আকাশসীমা ব্যবহারকারী বিমান সংস্থাগুলির থেকে পাকিস্তান ওভারফ্লাইড ফি নেয়। কিন্তু তা বর্তমানে বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে।

    কোন কোন বিমান সংস্থা এড়িয়ে চলছে পাক আকাশসীমা?

    গত দুই দিন ধরে, লুফথানসা, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, সুইস, এয়ার ফ্রান্স, ইতালির আইটিএ এবং পোল্যান্ডের লট হলের মতো বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় ইউরোপীয় বিমান সংস্থা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কারণে পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে। বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন,পাকিস্তানের আকাশসীমা (Pakistani) যেভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে পশ্চিম দুনিয়ার দেশগুলি, তাতে কয়েকশো মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে পাকিস্তানের।

    ২০১৯ সালেও বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছিল পাকিস্তান (Pakistani Airspace)

    এক্ষেত্রে অনেকেই উদাহরণ দিচ্ছেন ২০১৯ সালের। সেসময় ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামাতে হামলার পরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক চালায় ভারতের বিমান বাহিনী। এরপরে পাকিস্তানের (Pakistani Airspace) ওপর দিয়ে বিমানসংস্থাগুলির উড়ানে রাশ টানা হয়। সেই সময়ে ১০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছিল দেশটির। পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার না করতে পারার কারণে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি হয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হওয়াতে যেভাবে পশ্চিম দুনিয়ার দেশগুলি পাকিস্তানকে এড়িয়ে চলছে, তাতে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা হয়।বেছে বেছে খুন করা হয় হিন্দু পর্যটকদের। এই ঘটনায় উঠে আসে পাকিস্তানি যোগ। তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে বাড়তে থাকে উত্তেজনা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত।

  • India Pakistan Relation: হাতে মার, ভাতে মার! বিশ্ব মঞ্চে পাকিস্তানকে জোড়া ফলায় বিদ্ধ করতে উদ্যোগী ভারত

    India Pakistan Relation: হাতে মার, ভাতে মার! বিশ্ব মঞ্চে পাকিস্তানকে জোড়া ফলায় বিদ্ধ করতে উদ্যোগী ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওকাণ্ডের (Pahalgam Attack) জেরে আস্তিন গুটোচ্ছে ভারত (India Pakistan Relation)। একদিকে যেমন যুদ্ধ যুদ্ধ ‘সাজ’ চলছে, তেমনি অন্যদিকে, পাকিস্তানকে ভাতে মারতে চাইছে নয়াদিল্লি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জোড়া ফলায় বিদ্ধ হলে ঘুরে দাঁড়ানোর মতো শক্তিই পাবে না পাকিস্তান। ভারত যে যুদ্ধে বিশ্বাসী নয়, তা নানা সময় বিভিন্নভাবে বলতে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তবে পহেলগাঁওকাণ্ডের পরে সেনাকে তিনি ফ্রিহ্যান্ড খেলতে দিয়ে দিয়েছেন বলেও খবর। তার পরেই সীমান্তে শুরু হয়েছে সেনা তৎপরতা। যার জেরে যুদ্ধের আশঙ্কায় কাঁটা পাকিস্তান।

    গ্রে লিস্টেড করার চেষ্টা (India Pakistan Relation)

    এর পাশাপাশি, আরও একটি কাজ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেটি হল পাকিস্তানকে ফের ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)-এর গ্রে লিস্টেড করার চেষ্টা। বিশ্বব্যাপী অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হল এফএটিএফ। পাকিস্তানকে ওই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করতে ইতিমধ্যেই এফএটিএফের সদস্য দেশগুলির সমর্থন জোগাড় করছে ভারত। ২০১৮ সালের জুন মাসে ওই তালিকার গ্রে লিস্টে বা ধূসর তালিকায় ঠাঁই হয় পাকিস্তানের। অনেক কাকুতি-মিনতি এবং টালবাহানার পর সেই তালিকা থেকে পাকিস্তানের নাম বাদ যায় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে। গ্রে লিস্টেড হওয়ায় ওই পর্বে পাকিস্তানে বিদেশি বিনিয়োগ এবং অর্থ সংগ্রহে বড় রকমের প্রভাব পড়েছিল। কারণ কোনও দেশ যদি গ্রে লিস্টেড হয়, তাহলে সেই দেশের বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রভাবিত হয়।

    গ্রে লিস্টেড করার প্রক্রিয়া

    কোনও দেশকে এফএটিএফের গ্রে লিস্টেড করতে হলে প্রথমে প্রয়োজন হয় একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবের। এই প্রস্তাব আবার সদস্য দেশগুলির দ্বারা অনুমোদিত হতে হয়। এফএটিএফের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মূল মঞ্চ প্লেনারি বসে বছরে তিনবার – ফেব্রুয়ারি, জুন এবং অক্টোবর মাসে। তাই আসন্ন প্লেনারিতে ভারতকে এই প্রস্তাব (Pahalgam Attack) উত্থাপিত করতে হলে জোগাড় করতে হবে সদস্য দেশগুলির সিংহভাগের সমর্থন (India Pakistan Relation)। পাকিস্তানকে গ্রে লিস্টেড করতে গিয়ে ভারতকে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। কারণ পহেলগাঁওকাণ্ডের পর আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপিয়ান কমিশন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি-সহ ২৩টি দেশ ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে সহমত পোষণ করেছে ভারতের সঙ্গে।

    এফএটিএফের সদস্য ভারত

    ভারত এফএটিএফ এবং এশিয়া পেসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি)-র সদস্য। আর পাকিস্তান শুধুই এপিজির সদস্য। তাই পাকিস্তানকে এফএটিএফের তালিকাভুক্ত করা ভারতের পক্ষে খুব একটা কঠিন কাজ হবে না। এফএটিএফের ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের রিপোর্টে কাশ্মীরে ইসলামিক স্টেট ও আল কায়েদা ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলির সক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে ভারতের সন্ত্রাস সংক্রান্ত ঝুঁকিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল (India Pakistan Relation)। এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের মধ্যে রয়েছে অর্থ পাচার, সন্ত্রাসে অর্থায়ন, আইনি কাঠামো, পর্যবেক্ষণ সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংক্রান্ত নির্দেশিকাও। এফএটিএফের এই রিপোর্টগুলি সদস্য রাষ্ট্রগুলির পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তৈরি হয় এবং এতে প্রতিটি দেশের আর্থিক ব্যবস্থার শক্তি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করা হয়। ২৬/১১-য় মুম্বই হামলার সময়ও সক্রিয় হয়েছিল (Pahalgam Attack) আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF)। তার জেরে এফএটিএফের চাপে পাকিস্তান মুম্বইয়ের ওই হামলায় কয়েকজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিল। ভারতের সাফ কথা, পাকিস্তানকে এফএটিএফের নজরদারি থেকে মুক্ত থাকতে হলে সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসের অর্থ জোগান বন্ধে বিশ্বাসযোগ্য, যাচাইযোগ্য, অপরিবর্তনীয় এবং স্থায়ী পদক্ষেপ করতে হবে।

    আইএমএফেরও দ্বারস্থ হচ্ছে ভারত

    এফএটিএফের গ্রে লিস্টেড করতে চেষ্টা করার পাশাপাশি আরও একটি পদক্ষেপ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। পাকিস্তানকে ভাতে মারতে আইএমএফেরও দ্বারস্থ হচ্ছে ভারত। ভারত ২০২৪ সালের (India Pakistan Relation) জুলাই মাস থেকে শুরু হওয়া ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রকল্পে আপত্তি জানাতে চলেছে। এই প্রকল্প চলবে ৩৭ মাস ধরে। মোট ছ’টি রিভিউ মিটিং হয়, যার ভিত্তিতে পরবর্তী কিস্তি মঞ্জুর করা হয়। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান এই টাকা সন্ত্রাসবাদ ও অবৈধ কাজে ব্যবহার করছে। তাই মে মাসে আইএমএফের বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি তুলতে চলেছে ভারত।

    প্রসঙ্গত, আগামী ৯ মে আইএমএফ বোর্ড জলবায়ু সহনশীলতা ঋণ কর্মসূচির অধীনে পাকিস্তানের জন্য ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নয়া ঋণ পরিকল্পনা মূল্যায়ন করবে। এছাড়াও, বর্তমানে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক সাহায্য প্যাকেজ এবং নীতি সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির (Pahalgam Attack) অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। সূত্রের খবর, এই ঋণ অনুমোদনের সময় বোর্ড সভায় প্রতিবেশী দেশটির সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনের বিষয়টি তুলে ধরবে ভারত। সেটা হলে পাকিস্তানের পক্ষে ঋণ পাওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের (India Pakistan Relation)।

  • India Pakistan Relation: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে উত্তর-পূর্ব ভারত দখলের ছক কষছে বাংলাদেশ?

    India Pakistan Relation: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে উত্তর-পূর্ব ভারত দখলের ছক কষছে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) মধ্যে সংঘাতের আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) উচিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখলের পরিকল্পনা করা। পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে চরমে উঠেছে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা। এই আবহে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রবীণ এক আধিকারিকের এমন মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ভারতজুড়ে। ২২ এপ্রিল ভরদুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলিম যুবককেও। নিহত হন এক খ্রিস্টান পর্যটকও। সব মিলিয়ে ওই দিন জঙ্গি হামলার বলি হন ২৮ জন নিরীহ মানুষ।

    বাংলাদেশের বিতর্কিত পোস্ট (India Pakistan Relation)   

    বাংলাদেশের ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের চেয়ারপারসন মেজর জেনারেল (অব.) এএলএম ফজলুর রহমান গত সপ্তাহে ফেসবুকে একটি বিতর্কিত পোস্ট করেন। বাংলায় লেখা ওই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, “ভারত যদি পাকিস্তানকে আক্রমণ করে, তাহলে বাংলাদেশের উচিত ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য দখল করা। চিনের সঙ্গে যৌথ সামরিক কাঠামো গঠনের বিষয়টি বিবেচনার সময় এসেছে।” প্ররোচনামূলক ভাষা ও সময়ের কারণে এই পোস্ট ভারতে তো বটেই, আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে (Bangladesh)।

    ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ!

    ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ফজলুর রহমানের এই বক্তব্যকে। তাঁর এই মন্তব্যটি সমর্থন করেছেন কমিশনের আর এক সদস্য ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের পূর্ততন নেতা শাহনাওয়াজ খান চন্দন। বর্তমানে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক চন্দনকে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বর্ণনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০২৪ সালের অগাস্টে অপসারণের পর এই সরকার ক্ষমতায় আসে (India Pakistan Relation)।

    উদ্বেগজনক মন্তব্য

    স্ট্র্যাটেজিক এক্সপার্টরা এই বিবৃতিকে কেবল দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেই মনে করছেন না, তাঁদের মতে বাংলাদেশের এহেন মন্তব্য গভীরভাবে উদ্বেগজনকও, বিশেষত এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার প্রেক্ষিতে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, যা বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ সীমানা শেয়ার করে, তা প্রায়ই আন্তঃসীমান্ত নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয় হয়ে আসছে। তবে কোনও উচ্চপদস্থ বাংলাদেশি আধিকারিকের ভারতের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক আগ্রাসন প্রকাশ্যে সমর্থন করা এই প্রথম। এই ঘটনা ঘটেছে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উত্তেজনার প্রেক্ষিতে, যিনি শেখ হাসিনার সরকারের কুর্সি দখল করেন। পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের কঠোর অবস্থান ও বৈদেশিক নীতির পুনর্বিন্যাসের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। পাকিস্তানের এই হামলায় জড়িত থাকার প্রতিক্রিয়ায় ভারত সম্প্রতি ১৯৬০-এর সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছে, আটারি চেকপোস্ট সিল করে দিয়েছে এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের স্তর হ্রাস করেছে (Bangladesh)। প্ররোচনামূলক এই বিবৃতির প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, বিশেষত অসম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলিতে নজরদারি বাড়িয়েছে বলে সূত্রের খবর (India Pakistan Relation)।

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক

    বাংলাদেশের এক প্রবীণ আধিকারিকের এহেন জ্বালাময়ী বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক এখনও সরকারিভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে কূটনৈতিক সূত্রে খবর, ভারতের ঢাকায় অবস্থিত হাই কমিশন এই বিষয়টি তুলে ধরেছে এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে জবাব চাইতে পারে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন নেতৃত্বের এমন বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক ক্রমেই তলানিতে ঠেকছে। শেখ হাসিনার শাসন কালে রক্ষিত ঐতিহ্যগতভাবে আন্তরিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে সরে আসারও ইঙ্গিত দেয় ইউনূসের সরকার। রহমানের পোস্টে চিনের উল্লেখ থাকায় বিশ্লেষকরা দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষমতার সমীকরণে সম্ভাব্য পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন, যা আগামী মাসগুলিতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতের।

    সাবধানী পদক্ষেপ ভারতের

    জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণ ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভারতের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকায়, পূর্ব প্রতিবেশী থেকে উদ্ভূত এই নতুন হুমকি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার দৃঢ় তবে সাবধানী পদক্ষেপ নিতে পারে বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের (India Pakistan Relation)। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে তীব্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তার পরেই বাংলাদেশের রাশ যায় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। এর পর থেকেই ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে ইউনূস সরকারের। চিনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে থাকেন ইউনূসরা। পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে ভারত পাক সীমান্তে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই সুযোগ (Bangladesh) কাজে লাগিয়ে চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখল করতে চাইছে ইউনূসের বাংলাদেশ (India Pakistan Relation)।

  • Indus Waters Treaty: পহেলগাঁও হামলার বদলা, পাকিস্তানকে ভাতে মারতে আইএমএফের দ্বারস্থ হতে পারে ভারত

    Indus Waters Treaty: পহেলগাঁও হামলার বদলা, পাকিস্তানকে ভাতে মারতে আইএমএফের দ্বারস্থ হতে পারে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত (Indus Waters Treaty) করে পাকিস্তানকে (Pakistan) ‘জলে’ মারতে চেয়েছে ভারত। এবার আক্ষরিক অর্থেই পড়শি ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’টিকে ভাতে মারতে চায় ভারত। জানা গিয়েছে, আর কয়েক দিন পরেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের বোর্ডের সভা। এই সভায় পাকিস্তান ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চাইতে পারে। পাকিস্তানের ওই চাওয়ায় বাধা দিতে পারে ভারত। অন্তত সূত্রের খবর এমনই।

    আইএমএফ বোর্ডের সভা (Indus Waters Treaty)

    আগামী ৯ মে আইএমএফ বোর্ড জলবায়ু সহনশীলতা ঋণ কর্মসূচির অধীনে পাকিস্তানের জন্য ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নয়া ঋণ পরিকল্পনা মূল্যায়ন করবে। এছাড়াও, বর্তমানে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক সাহায্য প্যাকেজ এবং নীতি সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। সূত্রের খবর, এই ঋণ অনুমোদনের সময় বোর্ড সভায় প্রতিবেশী দেশটির সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনের বিষয়টি তুলে ধরবে ভারত। সেটা হলে পাকিস্তানের পক্ষে ঋণ পাওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে।

    ভোটদানে বিরত ছিল ভারত

    ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আইএমএফের সঙ্গে পাকিস্তান ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্প্রসারিত তহবিল সুবিধা (ইএফএফ) চুক্তিতে পৌঁছায়। এই কর্মসূচির আওতায় পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি, কাঠামোগত সমস্যার সমাধান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর নীতি ও সংস্কার বাস্তবায়নের শর্ত পূরণ করতে হয়েছিল। আইএমএফ ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিস্তিতে দিচ্ছে। পরবর্তী ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিস্তি ছাড়ার জন্য বোর্ডের অনুমোদন অপরিহার্য। এর আগে, প্রতিবেশী দেশের লড়াই চালিয়ে যাওয়া অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে দেওয়া আর্থিক সাহায্য প্যাকেজে ভারত ভোটদানে বিরত ছিল।

    প্রসঙ্গত, ভারত পাকিস্তানের জন্য আইএমএফের সাহায্যের বিরুদ্ধে নেতিবাচক ভোট দিতে পারে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এজন্য তহবিল তছরুপ ও প্রযুক্তিগত কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সিন্ধু নদী জল চুক্তি (Indus Waters Treaty) স্থগিতও।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সাতটি অস্থায়ী সদস্য দেশের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা করেছেন। অনুমান, তিনি তাদের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি ঘটনায় সীমান্ত পারের যোগসূত্র সম্পর্কে জানিয়েছেন। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় পাক (Pakistan) মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তারা বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন হন স্থানীয় এক মুসলিমও (Indus Waters Treaty)।

  • Pahalgam Attack: পাক আকাশসীমা এড়াতে লেহ্-হিন্দুকুশ হয়ে বিমান চালাবে ভারত!

    Pahalgam Attack: পাক আকাশসীমা এড়াতে লেহ্-হিন্দুকুশ হয়ে বিমান চালাবে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের (Pahalgam Attack) পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে ভারত। তার জেরে ভারতের জন্য আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পাকিস্তান (Pakistans Airspace) । স্বাভাবিকভাবেই ঘুরপথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে হচ্ছে ভারতীয় বিমানগুলিকে। যেমন ইউরোপ ও আমেরিকাগামী বিমানগুলি দিল্লি থেকে নিচের দিকে আহমেদাবাদ হয়ে আরব সাগরের ওপর দিয়ে মাস্কাট হয়ে যাচ্ছে। এতে খরচ হচ্ছে বেশি, সময়ও লাগছে। সেই কারণেই নয়া ফ্লাইট রুট খোঁজার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি। সমস্যা মেটাতে ভারতের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং এয়ারলাইন্সগুলির শীর্ষ কর্তারা সমাধানের পথ খুঁজতে আলোচনায় বসেছেন। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্তারা পশ্চিমাঞ্চলের আকাশপথের যানজট কমাতে এবং বিকল্প হিসেবে নয়া ফ্লাইট পথ পরিকল্পনার কথা ভাবছেন।

    বিমান চলাচল সংস্থার কাছে আপিল! (Pahalgam Attack)

    এছাড়াও, ভারত সরকার আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার কাছে আপিল করার কথাও ভাবছে। তাদের যুক্তি হল, পাকিস্তানের এই নিষেধাজ্ঞা ১৯৪৪ সালের বেসামরিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত কনভেনশনে গৃহীত সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন। প্রসঙ্গত, পাকিস্তান নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগোর মতো ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলিকে একাধিক রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।

    বিকল্প পথের খোঁজে আলোচনা

    সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা, বিদেশমন্ত্রক ও অসামরিক বিমান মন্ত্রকের কর্তারা গত সপ্তাহে বিকল্প পথ নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক করেছেন (Pahalgam Attack)। কর্তৃপক্ষ বিমান সংস্থাগুলিকে এই পথের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করতে বলেছেন, যেখানে দিল্লি থেকে যাত্রা শুরু করা একটি বিমান লেহ্-এর উত্তর দিকে এগিয়ে হিন্দুকুশ পর্বতমালার ওপর দিয়ে উড়ে কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের আকাশসীমা অতিক্রম করে ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকার দিকে যেতে পারে। এতে এড়ানো যাবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের আকাশসীমা।

    ২০২১ সালে এয়ার ইন্ডিয়া “পাপা ৫০০” নামে একটি নতুন বিমানপথ চালু করে, যা এয়ারোনটিক্যাল চার্টে উল্লেখ করা হয়। তবে এই পথে যাত্রার সময় বিমানকে পাকিস্তানের আকাশসীমার একটি ছোট অংশ অতিক্রম করতে হয়। প্রস্তাবিত ধারণা অনুযায়ী, বিমানটিকে আরও উত্তরে উড়ে চিনের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে হতে পারে। এক সরকারি কর্তা বলেন, “রুটটির সম্ভাব্যতা যাচাই করতে এয়ারলাইন্সগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে সরকার চিনের অনুমতি চাইতে পারে। এতে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি প্রবেশাধিকার মিলতে পারে। সেক্ষেত্রে বিরতির প্রয়োজন পড়বে না (Pahalgam Attack)।”

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ হওয়ার পরে এখন উত্তর ভারত, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে চলাচলকারী ফ্লাইটগুলি দক্ষিণ দিকে (Pakistans Airspace) আহমেদাবাদের কাছাকাছি দিয়ে উড়ছে। সেখান থেকে আরব সাগর পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁচ্ছছে (Pahalgam Attack)।

  • Bangladesh Border: বাংলাদেশে পাক সেনা-আইএসআইয়ের জোর তৎপরতা! হাই অ্যালার্ট ভারতের পূর্ব সীমান্তে

    Bangladesh Border: বাংলাদেশে পাক সেনা-আইএসআইয়ের জোর তৎপরতা! হাই অ্যালার্ট ভারতের পূর্ব সীমান্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তেও (Bangladesh Border) দুই কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। কারণ, গত কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনা এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের তৎপরতা বেড়েছে পদ্মাপাড়ে। মহম্মদ ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সখ্যতাও তৈরি হয়েছে বেশ ভালো। এই কারণেই বাংলাদেশ সীমান্তে চূড়ান্ত হাই অ্যালার্ট বজায় রাখা হয়েছে। অনুপ্রবেশ রোখার জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা। বাংলাদেশের পাশাপাশি নজরদারি চালানো হচ্ছে মায়ানমার সীমান্তেও।

    মুর্শিদাবাদ হিংসায় উঠে আসে বাংলাদেশি যোগ

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে মুর্শিদাবাদ জেলাতে বিক্ষোভের নামে ভয়ংকর হিংসা ছড়ায়। সেখানে উঠে এসেছে বাংলাদেশি যোগ। এই আবহে বাংলাদেশ সীমান্তে (Bangladesh Border) পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে করতে শুরু করে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ জেলায় ওয়াকফ হিংসায় তিনজন মানুষের মৃত্যু হয়। কয়েকশো মানুষ আহত হন। কেন্দ্রের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ যোগের কারণেই এই হিংসা আরও প্রবল আকার ধারণ করেছে। এই আবহে ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে হামলার ঘটনায় ভারত পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। ২৬ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়। ঠিক সেই সময়ই বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তেও ব্যাপক সতর্ক দৃষ্টি রাখছে ভারত।

    নজরে বাংলাদেশ সীমাও (Bangladesh Border)

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেই পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি, সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করা হয়েছে। সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনা যে কোনও সময় আঘাত হানতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই আবহে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়ে যাচ্ছে পাক সেনা (Bangladesh Border)। অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। কাশ্মীর সীমানা ছাড়া, বাংলাদেশ সীমাও এখন ভারতের নজরে।

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা জবাব প্রস্তুত, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে না গিয়ে নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়ার পথে দিল্লি?

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা জবাব প্রস্তুত, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে না গিয়ে নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়ার পথে দিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেরিয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহ। কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ে নিরীহ হিন্দুদের হত্যাকাণ্ডের ঘাতকদের খোঁজ চলছে। বৈসরন উপত্যকার জঙ্গি হানায় ২৫ জন হিন্দু পর্যটক এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু ঘিরে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ উত্তেজনার পারদ এখনও চড়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে উপত্যকা জুড়ে চলছে সেনা তৎপরতা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনী যুদ্ধের সীমা না পেরিয়ে দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে আঘাত হানার দিকেই এখন বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS)-এর দ্বিতীয় বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

    পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়িয়ে নিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ

    এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC)-তে ছোট অস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর “উস্কানিমূলক” গুলিবর্ষণের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ডিজিএমও হটলাইনে ভারতীয় সেনাবাহিনী কড়া বার্তা দেয়। মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান আবার উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এবং জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে পারগওয়াল সেক্টরে গুলিবর্ষণ শুরু করে। একজন সেনা কর্মকর্তা জানান, “আমাদের বাহিনী সব ধরনের সংঘর্ষবিরোধ লঙ্ঘনের জবাব দ্বিগুণ শক্তিতে দিচ্ছে।” মঙ্গলবার নিজের বাসভবনে সামরিক আধিকারিক এবং গুরুত্বপূর্ণ আমলাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে সেনাবাহিনীকে পরবর্তী বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদি তিন বাহিনীর প্রধানদের “সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা” দেওয়ার ফলে এখন বিষয়টি আর “পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না” নয়, বরং “কখন নেওয়া হবে”—এই প্রশ্নে এসে দাঁড়িয়েছে। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “পাল্টা জবাবের পরিকল্পনা ও ধাপে ধাপে প্রতিক্রিয়ার কৌশল প্রস্তুত রয়েছে। এটি কোনো আবেগতাড়িত প্রতিক্রিয়া নয়, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়িয়ে বরং হিসেব করে নেওয়া, বিশ্বাসযোগ্য এবং নিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ।” বুধবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।

    সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি ঘাঁটিতে হানা

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তান সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদ তার বাহিনী মোতায়েন করেছে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সক্রিয় করেছে—ফলে চমকের উপাদান প্রায় নেই। তা সত্ত্বেও, ভারতীয় সেনা ১৫৫ মিমি কামান, ১২০ মিমি মর্টার এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি ঘাঁটি ও সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডে আঘাত হানার উপযোগী অবস্থানে রয়েছে।

    দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার

    একজন কর্মকর্তা আরও জানান, “নিয়ন্ত্রণ রেখা না পার হয়েও দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের অবকাঠামোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করা সম্ভব। পাকিস্তানি বাহিনী ১৫৫ মিমি গোলাবারুদের ঘাটতির মধ্যে রয়েছে, যা তারা ইউক্রেনে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে রফতানি করছে।” এছাড়া, সীমিত স্থল অভিযানে সেনাবাহিনীর প্যারা-স্পেশাল ফোর্স অংশ নিতে পারে—যেমন ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, যেখানে চারটি আলাদা স্থানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়েছিল। বিমানে হামলা—যেমন ২০১৯ সালের বালাকোট স্ট্রাইক—এবারও বিকল্প হতে পারে, যদিও তা কিছুটা উত্তেজনা বাড়াতে পারে। এবার ভারতের হাতে রয়েছে আধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান, যেগুলো স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল, ইসরায়েলি ক্রিস্টাল মেজ ও স্পাইস ২০০০-এর মতো আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত।

    সংঘর্ষবিরতি ভঙ্গ

    এছাড়া, ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট বৈঠকে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাকিস্তানের ওপর একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি হাই কমিশনের কার্যক্রম সীমিত করা এবং ভারতে অবস্থানরত সব পাকিস্তানি নাগরিকের ভিসা বাতিল। পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি)। নিয়ন্ত্রণরেখায় বরাবর সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ করেছে পাক সেনা। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, কাশ্মীরের কুপওয়ারা এবং বারামুলা জেলার কাছে নিয়ন্ত্রণরেখার অপর প্রান্ত থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণ শুরু করেছে পাকিস্তানি সেনা। কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের বিপরীত প্রান্ত থেকেও গুলি চালিয়েছে পাক ফৌজ। তার জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। প্রসঙ্গত, এলওসি এলাকায় সংঘর্ষবিরতি কার্যকর করতে ২০০৩ সালে একমত হয়েছিল নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ। ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি চুক্তি পুনর্নবীকরণ করেছিল। খাতায়কলমে এই নিয়ম এখনও বহাল। কিন্তু, অতীতেও দু’দেশের সেনা পরস্পরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে।

    উপত্যকা জুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান

    কুলগাঁও, ত্রাল, সোপিয়ান-পুলওয়ামার মতো চারটি স্থানে সেনা অভিযান হয়েছে। ত্রালের অদূরে জঙ্গলে একটি জঙ্গিদলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর। তাদের সঙ্গে সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়েছে। বৈসরনে হামলায় জড়িত সন্দেহে ১৫ জন স্থানীয়কে গ্রেফতার করে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের বয়ান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে সরকারি সূত্রের দাবি। ধরপাকড়ের পাশাপাশি বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজন লস্কর জঙ্গির বাড়ি নিরাপত্তাবাহিনী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে।

    পহেলগাঁও প্রসঙ্গ রাষ্ট্রপুঞ্জে

    পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ তুলে রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানকে ‘দুর্বৃত্ত দেশ’ (রোগ স্টেট) বলে সমালোচনায় বিঁধেছে ভারত। ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বই হামলার পরে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হানাতেই সবচেয়ে বেশি নিরস্ত্র মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। ভারতের প্রতি সংহতির বার্তা দিয়েছে।

LinkedIn
Share