Tag: pakistan

pakistan

  • Afghanistan: পাকিস্তানকে এড়িয়ে ইরানের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে গম পাঠাচ্ছে ‘বন্ধু’ ভারত

    Afghanistan: পাকিস্তানকে এড়িয়ে ইরানের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে গম পাঠাচ্ছে ‘বন্ধু’ ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চরম খাদ্য সঙ্কটে তালিবান শাসিত আফগানিস্তান (Afghanistan)। ২০২১ সালে তালিবানের (Taliban) কাবুল দখলের পর থেকে ক্রমশই খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি। এই অবস্থায় আফগানিস্তানের (Afghanistan) পাশে দাঁড়াল নয়াদিল্লি। পাকিস্তানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আফগানিস্তানকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত। মঙ্গলবার দিল্লিতে পাঁচ দেশের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে ২০ হাজার মেট্রিক টন গম পাঠানো হবে। তবে পাকিস্তান হয়ে নয়, এই গম যাবে ইরানের চাবাহার বন্দর দিয়ে। এর পাশাপাশি সেদেশের মহিলা ও সংখ্যালঘু-সহ সমস্ত মানুষের অধিকার রক্ষা করতে রাজনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নতির দাবিও জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

    তালিবান দখলের পর ভারতের সহায়তা

    ২০২০ সালে, ভারত আফগানিস্তানে ৭৫,০০০ মেট্রিক টন গম পাঠানোর জন্য চাবাহার বন্দর ব্যবহার করেছিল। এরপর এবারে ফের ইরানের বন্দর ব্যবহার করে আফগানিস্তানে পাঠাতে চলেছে গম। একটি সরকারী বিবৃতি অনুসারে, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে “আফগান জনগণের” জন্য ২০ হাজার মেট্রিক টন গম বিতরণের জন্য জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (UNWFP) সঙ্গে অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছে ভারত।

    মঙ্গলবার কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ভারত। ভারত-মধ্য এশিয়ার যৌথ ওই বৈঠকেই নয়াদিল্লি ঘোষণা করে ভারতের তরফে ২০ হাজার মেট্রিক টন গম পাঠানো হবে আফগানিস্তানে। সেই সঙ্গেই আফগানিস্তানের প্রশাসনের আরও উন্নতি ঘটানোরও ডাক দিয়েছে ভারত। এর পাশাপাশি ভারত জোর দিয়েছে কোনওভাবেই যেন আফগানিস্তানকে জঙ্গিদের আশ্রয়, প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা কিংবা অন্য কোনও রকম কাজে ব্যবহার না করা হয়।

    পাকিস্তান হয়ে কেন পাঠানো হচ্ছে না গম?

    এর আগে পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে ত্রাণ পাঠাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় ভারতকে। শোনা যায়, হাজার হাজার কেজি গম চুরি করছে পাকিস্তান। ভারত থেকে গম বোঝাই ট্রাকগুলি পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করে। কিন্তু নির্দেশ মত সেখানে গমের বস্তা না নামিয়ে ফেরার পথে অবৈধভাবে পাকিস্তানে প্রবেশ করে সেগুলি। আর সেখান থেকেই গম চুরি করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশটিতে খাদ্যসামগ্রী ও জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতে ভারতের গম চুরি করছে দেশটি। এই খবর নয়াদিল্লির কাছেও পৌঁছেছিল।  তাই এবার পাকিস্তান হয়ে না গিয়ে ইরানের চাবাহার বন্দর দিয়ে আফগানিস্তানে গম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

    ভারতের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে তালিবানরা

    ভারত সেদেশের জনগণের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় তালিবানরা এর প্রশংসা করেছে। তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন বলেছেন, “চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে আফগান জনগণের জন্য ২০,০০০ মেট্রিক টন গম সরবরাহের জন্য আমরা এর প্রশংসা করি। এই ধরনের মানবিক পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে আস্থা বাড়ায় যা পারস্পরিক ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Hindu: পাকিস্তানে হোলি পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হিন্দু ছাত্ররা, জখম অন্তত ১৫

    Pakistan Hindu: পাকিস্তানে হোলি পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হিন্দু ছাত্ররা, জখম অন্তত ১৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্লান হল হোলির উৎসব। পাকিস্তানে হোলি (Holi) উৎসব পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হিন্দু (Pakistan Hindu) ছাত্ররা। লাহোরের পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের (Punjab University) ঘটনা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হোলি উৎসব পালন করতে যান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন পড়ুয়া। উৎসব পালনে বাধা দেয় কট্টরবাদী ছাত্র সংগঠন। ঘটনায় জখম হন অন্তত ১৫ জন পড়ুয়া। ঘটনায় মর্মাহত সে দেশের হিন্দু সমাজ। ফের একবার বেআব্রু হয়ে পড়ল পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা।

    হিন্দু (Pakistan Hindu) ছাত্ররা…

    জানা গিয়েছে, লাহোরের পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ল’ কলেজে হোলি উৎসব পালন করতে জড়ো হয়েছিলেন ৩০ জন পড়ুয়া (Pakistan Hindu)। কাশিফ ব্রোহি নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী পড়ুয়া সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শিক্ষার্থীরা ল’ কলেজের লনে জড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইসলামি জমিয়ত তুলবা কর্মীরা জোর করে তাঁদের হোলি পালনে বাধা সৃষ্টি করে। যার জেরে সংঘর্ষ বাঁধে। এর জেরেই ১৫ জন হিন্দু ছাত্র জখম হন। তিনি জানান, নিরাপত্তা রক্ষীরা চার-পাঁচজন হিন্দু পড়ুয়াকে জোর করে তাদের ভ্যানে তোলে। তাদের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে দেয়নি। কাশিফের দাবি, হোলি উৎসব পালনের জন্য হিন্দু ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি নিয়ে রেখেছিলেন।

    ঘটনার প্রতিবাদে উপাচার্যের অফিসের সামনে গেলে ফের এক প্রস্ত পড়ুয়াদের (Pakistan Hindu) মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। হামলায় জখম হয়েছেন ক্ষেত কুমার নামে এক হিন্দু ছাত্র। তিনি বলেন, উপাচার্যের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের ওপর লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। তিনি জানান, ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসলামি জমিয়ত তুলবা ও নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র পুলিশকে জমা দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, পুলিশ কোনও এফআইআর দায়ের করেনি।

    আরও পড়ুুন: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    ইসলামি জমিয়ত তুলবার মুখপাত্র ইব্রাহিম শাহিদ হিন্দু ছাত্রদের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর সংগঠন জড়িত নয়। পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র খুররম শাহজাদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কলেজের লনে হোলি উদযাপনের অনুমতি দেয়নি। তিনি বলেন, কোনও এক ঘরে হোলি উদযাপন করলে এই ঘটনা ঘটত না। উপাচার্য পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan Arrest: ইমরানের খোঁজে হন্যে পুলিশ, কোথায় গেলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী?

    Imran Khan Arrest: ইমরানের খোঁজে হন্যে পুলিশ, কোথায় গেলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষাখানা মামলায় হাজিরা দেননি তিনি। সেই কারণে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারের (Imran Khan Arrest) নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। আদালতের নির্দেশ মেনে ইমরানকে ধরতে রবিবারই তাঁর লাহোরের জামান পার্ক এলাকার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। প্রথমে ইমরানের পিটিআই (PTI) নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বাধায় প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতেই ঢুকতে পারেনি পুলিশ। পরে পুলিশের তরফে এক প্রতিনিধি প্রবেশ করেন ইমরানের বাড়িতে। ওই বাড়িতে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর নাগাল পায়নি পাকিস্তান পুলিশ। পিটিআই সুপ্রিমোকে তাঁর লাহোরের বাড়িতে না পেয়ে পুলিশ ছোটে ইসলামাবাদে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েও ইমরানের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। অনুমান, গ্রেফতারি এড়াতেই কোথাও গা-ঢাকা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    ইমরান খানকে গ্রেফতারের (Imran Khan Arrest) নির্দেশ…

    ইসলামাবাদ পুলিশের তরফে ট্যুইট-বার্তায় জানানো হয়েছে, ইসলামাবাদ থেকে পুলিশ অফিসারদের একটি দল আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী লাহোরে যায় ইমরান খানকে গ্রেফতার (Imran Khan Arrest) করতে। কিন্তু ইমরান খান আত্মসমর্পণে নারাজ। পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট তাঁর ঘরে যান, কিন্তু সেখানে তাঁর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। পুলিশ প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর নাগাল না পেলে কী হবে, রবিবার বিকেলেই জামান পার্কের বাড়ি থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন ইমরান। ইমরান বলেন, মিথ্যা মামলায় আমায় বারবার সমন পাঠানো হচ্ছে। গোটা দেশের এই বিষয়ে জানা উচিত। তিনি বলেন, যদি দুর্নীতি পরায়ণ নেতাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো না হয়, তাহলে তা দেশের জন্য খুব খারাপ হবে।

    আরও পড়ুুন: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    প্রসঙ্গত, গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরানের (Imran Khan Arrest) বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়। এগুলির মধ্যে তাঁর রাজনৈতিক দলের জন্য অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এদিকে, পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তৃতা বা মন্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করেছে সে দেশের মিডিয়া নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ পিইএমআরএ। বিবৃতি জারি করে পিইএমআরএ বলেছে, ইমরান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন এবং ঘৃণাসূচক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন।

    প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশ থেকে যেসব উপহার পেয়েছিলেন ইমরান, সেগুলি চড়া দরে তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের নিয়ম অনুযায়ী, সেগুলি জমা পড়ার কথা তোষাখানায়। সেই মামলায় ইমরানকে খুঁজছে পুলিশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Imran Khan: ইমরানকে ধরতে বাড়িতে গেল পুলিশ, পাকিস্তানের পথে পিটিআই নেতা-কর্মীরা

    Imran Khan: ইমরানকে ধরতে বাড়িতে গেল পুলিশ, পাকিস্তানের পথে পিটিআই নেতা-কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) গ্রেফতার করতে বাড়ির দোরগোড়ায় পুলিশ। যদিও প্রিয় নেতাকে গ্রেফতারির হাত থেকে বাঁচাতে রবিবার সকাল থেকে লাহোরে জামান পার্কে ইমরানের বাড়ির সামনে হাজির হয়েছেন হাজার হাজার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) পার্টির নেতা-কর্মী-সমর্থক। ঘন ঘন তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন, আগে আমাদের ধরো, তারপর নেতার কথা ভেবো। ঘটনার জেরে এদিন দিনভর উত্তেজনা তামাম পাকিস্তানে।

    ইমরান খান (Imran Khan)…

    পাকিস্তানের নিয়ম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা যেসব উপহার দেন সেগুলি সরকারি ভান্ডার বা তোষাখানায় জমা দিতে হয়। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইমরান ওই সব উপহার চড়া দরে বিক্রি করে দিয়েছেন। এই ঘটনার জেরে পাক নির্বাচন কমিশন ইমরানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অক্টোবর মাসে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেন পিটিআই সুপ্রিমো। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। তার পর থেকে এ পর্যন্ত এই মামলার যতবার শুনানি হয়েছে, সবগুলিতেই অনুপস্থিত থেকেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিন ফরমান নিয়ে ইসলামাবাদ পুলিশ জামান পার্কে ইমরানের দুয়ারে পৌঁছে যায়। ইসলামাবাদ পুলিশ ট্যুইট-বার্তায় জানিয়েছে, লাহোর পুলিশের সঙ্গে একযোগে অভিযানে নেমেছে তারা। তবে ইমরানের (Imran Khan) বাড়ির সদর দরজা পেরিয়ে ভিতরে ঢুকতে পারেনি। কারণ ইমরানের দলের নেতা ফওয়াদ চৌধুরীর ডাকে জামান পার্কের আশপাশে ভিড় করেছেন পিটিআই নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ ইমরানের বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলেই রাস্তায় শুয়ে পড়ছেন তাঁর দলের সমর্থকরা। পুলিশের দাবি, পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার এক আধিকারিক ইমরানের বাড়ির ভিতরে ঢুকেছেন। কিন্তু তাঁকে যে ঘরে বসতে দেওয়া হয়েছে সেখানে ইমরানের দেখা মেলেনি।

    আরও পড়ুুন: ‘ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহার করা হচ্ছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের

    ইসলামাবাদ পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারির পথে যাঁরা বাধার সৃষ্টি করবেন, আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও পুলিশের হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে প্রতিবাদ করেই চলেছেন ইমরানের দলের নেতা-কর্মীরা। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহের দাবি, ইমরানের গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত আদালতের। এ ব্যাপারে সরকারের কিছুই করার নেই। পুলিশ যখন ইমরানকে (Imran Khan) ধরতে তাঁর বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছেন, তখন ট্যুইট-বার্তায় প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী বলছেন, পাকিস্তান ‘বিকামস এ ব্যানানা রিপাবলিক’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Pakistan: এবারে ওষুধের তীব্র সংকট পাকিস্তানে, শেষের পথে জীবনদায়ী ওষুধ, বন্ধ অস্ত্রোপচার

    Pakistan: এবারে ওষুধের তীব্র সংকট পাকিস্তানে, শেষের পথে জীবনদায়ী ওষুধ, বন্ধ অস্ত্রোপচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে গোটা দেশ! এর আগেই জানা গিয়েছিল, খাবারের জন্য রাস্তায় মারামারি করছে মানুষ। গমের দাম আকাশ ছোঁয়া। এবারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতেও পড়েছে এর প্রভাব। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তান। সূত্রের খবর, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক মন্দার উত্তাপ এখন তার ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়’ পৌঁছেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের জন্য হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। প্রয়োজনীয় ওষুধ বা অপরিহার্য ওষুধের উপাদান (এপিআই) আমদানি করা যাচ্ছে না। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এর ফলে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারও হচ্ছে না এবং অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) মাত্র দুই সপ্তাহের ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাকি রয়েছে।

    চরম সংকটে প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তান

    চরম দুরাবস্থা পড়শি দেশ পাকিস্তানে। কোষাগারে বিদেশী মুদ্রার ভাণ্ডারে টান। চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। এর মাঝেই পর্যাপ্ত ওষুধের অভাবে ভেঙে পড়েছে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। নেই জীবনদায়ী ওষুধ। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে এসে ঠেকেছে, আমদানি করা যাচ্ছে না গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। যার ফলে দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারকদের উপর জোর দিচ্ছে সরকার। এমনকি অলিখিত ভাবে চিকিৎসকদের উপর ফতোয়া জারি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বলা হচ্ছে বেশি অপারেশন না করতে। রোগী কম দেখতে।

    মাত্র দুই সপ্তাহের ওষুধ মজুত রয়েছে

    পাক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বর্তমানে অপারেশন থিয়েটারে মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের জন্য চেতনানাশক ওষুধ অ্যানেসথেসিয়া মজুত রয়েছে। হার্ট, ক্যানসার এবং কিডনির মত রোগের অস্ত্রোপচারের জন্য যা অত্যাবশ্যকীয় একটি ওষুধ। ওষুধের ঘাটতি এবং সেগুলো তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদানের কারণে ওষুধ কোম্পানিগুলো ওষুধের পণ্য কমিয়ে দিয়েছে। এ কারণে হাসপাতালের রোগীরা বিপাকে পড়েছেন।

    ছাঁটাই শুরু চিকিৎসাক্ষেত্রে

    মনে করা হচ্ছে, ওষুধের ঘাটতি শুধু রোগীদের নয়, বহু মানুষের কর্মসংস্থানকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। চিকিৎসাক্ষেত্রে শুরু হয়েছে ছাঁটাই। কর্মহীন হচ্ছে বহু মানুষ। ফলে এটি মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

    ঋণ দিচ্ছে না ব্যাঙ্কগুলো

    ওষুধ উৎপাদনকারীরা এ সংকটের জন্য বর্তমান আর্থিক ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন। তারা বলেছেন, কাঁচামাল আমদানি করার জন্য লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) ছাড়পত্র দিচ্ছে না বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলো। পাকিস্তানের ওষুধ শিল্প প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর। মোট ওষুধের ৯৫ ভাগ কাঁচামালই ভারত, চিনসহ অন্যান্য দেশগুলো থেকে আসে। কিন্তু ডলার সঙ্কটের কারণে কাঁচামাল করাচি বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে।

    পাকিস্তানের ওষুধ উৎপাদনকারীরা বলছেন, দেশের মুদ্রার মান কমে যাওয়া, তেলের দাম বৃদ্ধি ও পরিবহণ খরচ বাড়ায় ওষুধের দাম বেড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যাতে বিপর্যয়ের দিকে না যায় সেজন্য সরকারের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (পিএমএ)। তবে, কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ না নিয়ে এখনও ঘাটতির পরিমাণ নির্ধারণের চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের খুচরা ওষুধ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ওষুধের সংকট নিয়ে একটি সার্ভে চালিয়েছে সরকার। তারা জানিয়েছেন, বাজারে এখন খুব সাধারণ কিন্তু অতি জরুরি প্যানাডোল, ইনসুলিন, ব্রুফেন, ডিসপ্রিন, ক্যালপল, তাগরাল, নিমেসুলেদে, হেপামারজ, বুসকোপান এবং রিভোট্রিলের মত ওষুধগুলো পাওয়া যাচ্ছে না।

    গত মাসেই (জানুয়ারি) পাকিস্তান ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশনের (পিপিএমএ) কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান সাঈদ ফারুক বুখারি জানিয়েছিলেন, ওষুধ উৎপাদন প্রায় ২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তিনি সতর্কতা দিয়ে বলেছিলেন, যদি আগামী ৪-৫ সপ্তাহ কাঁচামাল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে তাহলে ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দেবে।

  • Narendra Modi: আর্থিক সংকটে থাকা পাকিস্তানকে উদ্ধারে নামতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দাবি প্রাক্তন র প্রধানের

    Narendra Modi: আর্থিক সংকটে থাকা পাকিস্তানকে উদ্ধারে নামতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দাবি প্রাক্তন র প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক সঙ্কটের মুখ থেকে পাকিস্তানকে উদ্ধার করতে সাহায্যে হাত বাড়াতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এমনটাই অনুমান প্রাক্তন রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র) প্রধান অমরজিৎ সিংহ দুলাত। তিনি বলেন, “চলতি বছরের শেষের দিকেই পাকিস্তানকে সাহায্য করতে পারে ভারত সরকার। যা পড়শি দেশটিকে সঙ্কট থেকে বার করে আনবে।”

    কী বলেন অমরজিৎ?   
     
    অমরজিতের আরও দাবি, চিন, রাশিয়া এবং ইরান সখ্য দেশগুলিকে মদত দিয়ে ক্রমশ শক্তিশালী করে তুলছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “ভারতের সতর্ক হওয়া উচিত।  ভারতের বন্ধু দেশ আমেরিকার চেয়ে প্রতিবেশী পাকিস্তান অনেক নিকটে। তাই পাকিস্তানের দিকেই ভারতের মনোনিবেশ করা দরকার।”

    আরও পড়ুন: “মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে, বেড়েছে ভোটার”, রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অমরজিৎ বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনও সময়, যে কোনও অবস্থাতেই আলোচনায় বসা যায়। আমাদের প্রতিবেশীকে আমাদেরই ব্যস্ত রাখতে হবে।” 

    তিনি বলেন, ‘‘আমার অনুমান, মোদীজি পাকিস্তানকে সাহায্য করতে পারেন। আমি এই নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোনও তথ্য পাইনি। আমার কেবল মনে হচ্ছে, এটা হতে পারে।’’

    বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই অর্থনৈতিক সঙ্কটে রয়েছে পাকিস্তান (Narendra Modi)।। দেউলিয়া হয়েছে প্রতিবেশী দেশ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। দুমুঠো খাবারের জন্যে হাহাকার করছেন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক স্থিতাবস্থাও প্রশ্নের মুখে। বিশ্ব অর্থভান্ডার পাকিস্তানকে অনুদান এবং ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকেই এই অবস্থা সে দেশের। এবার কী তাহলে সাহায্যার্থে এগিয়ে যাবে ভারত? সেটা সময়ই বলবে।

    পাকিস্তানকে সম্প্রতি ৭০০ মিলিয়ন ডলার ‘অর্থসাহায্য’ করেছে চিন। এর আগে এভাবেই ‘অর্থসাহায্য’ এবং ‘বিনিয়োগ’-এর নামে শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়ে সেই দেশকে আর্থিক ভাবে পঙ্গু করে দিয়েছে চিন। এই আবহে পাকিস্তানকে দেওয়া এই ঋণ নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা। এবং এই নিয়ে ভারতের সঙ্গে এবার ‘গুরুত্বপূর্ণ’ আলোচনা শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আমেরিকা। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকবছর ধরেই চিনা ‘ঋণের ফাঁদ’ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বিশ্বে। বিভিন্ন দেশকে অর্থ সাহায্য দিয়ে কার্যত তাদের নিজেদের বশে নিয়ে আসে চিন। গতবছরই শ্রীলঙ্কার ভয়ানক পরিস্থিতি তার অন্যতম প্রমাণ। ভারতের পড়শি নেপাল, বাংলাদেশকেও এই ‘ঋণের ফাঁদে’ ফেলতে চায় চিন। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই সেই ফাঁদে আর্ধেক পা দিয়ে রেখেছে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’র নামে। আর এবার দেশের আর্থিক হাল ফেরাতে চিনের থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য নিল পাকিস্তান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • FATF Pakistan: আপনারা নজরে রয়েছেন, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি এফএটিএফ কর্তার

    FATF Pakistan: আপনারা নজরে রয়েছেন, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি এফএটিএফ কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা! দেশের আর্থিক অবস্থা তলানিতে। দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ। এমতাবস্থায় পাকিস্তানকে (Pakistan) হুঁশিয়ারি দল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স, সংক্ষেপে এফএটিএফ (FATF Pakistan)। শুক্রবার ওই সংস্থার তরফে ইসলামাবাদকে সাফ জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসে অর্থ জোগানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এফএটিএফের সভাপতি টি রাজা কুমার বলেন, আমি নির্দিষ্ট মিডিয়া রিপোর্ট নিয়ে জল্পনা করব না। তবে আমি মনে করি, যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ দ্বারা পাকিস্তানের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে জোর দেওয়া।

    পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের…

    সম্প্রতি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বশির আহমেদ পিরকে গুলি করে হত্যা করে এক আততায়ী। কাশ্মীরের বাসিন্দা বশিরের পাকিস্তানে এভাবে মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে থাকে, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের আনাগোনা নিয়ে। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে সন্ত্রাস রোখার বিষয়ে কতটা সচেতন পাকিস্তান? এখানেই শেষ নয়, বশির আহমেদ পিরের শেষকৃত্যে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে সৈয়দ সালাউদ্দিনকে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনারা তাঁকে ঘিরে রেখেছে এবং তিনি ভারতকে হুমকি দিচ্ছেন। সেই ঘটনার কথা কানে যায় এফএটিএফের প্রধানের। তখনই তিনি মুখ খোলেন পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, গ্রেফতার ডিআরডিও আধিকারিক

    বর্তমানে এফএটিএফের (FATF Pakistan) প্রেসিডেন্ট সিঙ্গাপুরের টি রাজা কুমার। প্যারিসে প্রতিষ্ঠানের প্লেনারি সেশনে তিনি বলেন, একটি উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির ওপর ভিত্তি করে পাকিস্তান ৩৪টি অ্যাকশন প্ল্যান আইটেম সম্পূর্ণ বা যথেষ্ট পরিমাণে সম্পূর্ণ করার জন্যও পদক্ষেপ নিয়েছে যা মূলত এগুলিকে অব্যাহত রাখতে এবং টিকিয়ে রাখতে হবে। তিনি বলেন, আমি পাকিস্তানকে তার অবশিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা আইটেমগুলিকে সম্পূর্ণ করার জন্য অনুরোধ করব। সেই সঙ্গে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে সে তার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখছে ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, গত বছর এফএটিএফের (FATF Pakistan) ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানের নাম। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখনও দেশটিকে দুটি অ্যাকশন প্ল্যান নিতে হবে। পাকিস্তানকে ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরেও তার ওপর নজর রেখেছে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ।

    পাকিস্তানের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে বিশ্বের নানা দেশের কাছে হাত পাতছে ইসলামাবাদ। হত্যে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারেরও। এমতাবস্থায় এফএটিএফের এই হুঁশিয়ারিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পাকিস্তানের শীর্ষ কর্তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

     

  • Hizbul: সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান! রাওয়ালপিন্ডির রাস্তায় সেনা নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরছেন হিজবুল প্রধান

    Hizbul: সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান! রাওয়ালপিন্ডির রাস্তায় সেনা নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরছেন হিজবুল প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা বললেও, দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান। সম্প্রতি তারই প্রমাণ মিলল একটি ভিডিও ফুটেজে। ওই ভিডিওয় দেখা গেল রাওয়ালপিন্ডির রাস্তায় সেনা নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরছেন হিজবুল মুজাহিদ্দিনের (Hizbul Mujahideen) প্রধান তথা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী তকমাপ্রাপ্ত সইদ সালাহুদ্দিন (Syed Salahuddin)।  ভারতের তরফে ঘোষণা করা মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি বসির আহমেদ পীরের শেষযাত্রাতেই তাঁকে প্রার্থনা করতে দেখা যায়।  প্রকাশ্যে ভারত বিরোধী বক্তৃতাও দিতে দেখা যায় এই হিজবুল নেতাকে।

    জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য পাকিস্তান

    এই ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়তেই পাকিস্তানের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকায় ছিল পাকিস্তান। তবে সম্প্রতি সেই তালিকা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে তারা। তবে পাকিস্তান যে জঙ্গিদের জন্য স্বর্গরাজ্য, এই ভিডিও ফুটেজ সামনে আসাতে তা ফের একবার প্রমাণিত হল। 

    আরও পড়ুন: ভারতকে জব্দ করতে গিয়ে চিনের থেকে অস্ত্র কিনে ডাহা ঠকল পাকিস্তান, জানুন বিশদে

    সম্প্রতিই পাকিস্তানে নিকেশ করা হয় মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি বসির আহমেদ পীরকে। দিন কয়েক আগে তাঁর শেষযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দেখা যায়, আন্তর্জাতিক জঙ্গি তথা হিজবুল মুজাহিদ্দিন প্রধান সইদ সালাহুদ্দিনকে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, সালাহুদ্দিনকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে পাকিস্তানি সেনা। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির একটি সুরক্ষিত জায়গায় ওই কুখ্যাত জঙ্গির শেষযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। ভাইরাল ভিডিয়োয় সালাহুদ্দিনকে ভারতকে ধ্বংস করার শপথ নিতেও দেখা যায়। একদিকে যেমন পাক সেনারা তাঁকে চারপাশ থেকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘিরে রেখেছিল, তেমনই উপস্থিত জনতাদের হিজবুল প্রধানদের সমর্থনে স্লোগান দিতেও দেখা যায়। প্রসঙ্গত, রাওয়ালপিন্ডি পাক সেনার সদর দফতর। সেই শহরে হিজবুল প্রধানকে দেখতে পাওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pakistan: ভারতকে জব্দ করতে গিয়ে চিনের থেকে অস্ত্র কিনে ডাহা ঠকল পাকিস্তান, জানুন বিশদে

    Pakistan: ভারতকে জব্দ করতে গিয়ে চিনের থেকে অস্ত্র কিনে ডাহা ঠকল পাকিস্তান, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে (India) জব্দ করতে গিয়ে বন্ধু দেশের কাছে ডাহা ঠকল পাকিস্তান। পাকিস্তান (Pakistan) সম্প্রতি বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র কেনে চিনের (China) কাছ থেকে। সেই অস্ত্রেই ধরা পড়ল ত্রুটি। দামে সস্তা হওয়ায় বাজারে চিনা পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। তবে সেগুলির কোনওটিই বেশি দিন টেঁকে না। তবে দামে সস্তা হওয়ায় অনেকেই তা কেনেন। ঠকেনও। এই যেমন পাকিস্তান। সম্প্রতি বেজিং থেকে আননেমড এরিয়াল ভেহিক্যাল কিনেছিল ইসালামাবাদ। চিনের তরফে মানববিহীন এই ড্রোন পাকিস্তানে পাঠানোও হয়েছিল। সেই ড্রোনগুলিতেই মিলেছে মারাত্মক ত্রুটি।

    ত্রুটির পর ত্রুটি…

    কেবল ওই ড্রোনগুলিই নয়, আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রের বরাতও চিনকে দিয়েছিল পাকিস্তানের সরকার। সেই ক্ষেপণাস্ত্র এসেও গিয়েছে পাকিস্তানে। ত্রুটি মিলেছে তাতেও। জানা গিয়েছে, সিএইচ ৪ মানববিহীন ড্রোন তৈরি করে চিনা সংস্থা এলিট। সেই সংস্থাই পাঠিয়েছিল ড্রোনগুলি। কিন্তু সেগুলির অবস্থা দেখে মাথায় হাত পাকিস্তানের সামরিক কর্তাদের। তাঁরা দেখেছেন, চিন থেকে আমদানি করা ওই ড্রোনগুলির কোনওটির ডানা ভাঙা, তো কোনওটায় রয়েছে বড় মাপের যান্ত্রিক ত্রুটি। একটি ড্রোনের তো আবার এক্সস্ট ম্যানিফোল্ড ভাঙা। ড্রোনের ভেতরে থাকা গ্যাস নির্গমণে সাহায্য করে এই এক্সস্ট ম্যানিফোল্ড। অন্য একটি ড্রোনের টার্বোচার্জারেই রয়েছে একটি বড়সড় ফাটল। সমস্যা রয়েছে ইঞ্জিনেও। চিন থেকে আমদানি করা আকাশ থেকে ভূমিতে থাকা শত্রু সেনা ঘাঁটি ধ্বংস করতে ব্যবহৃত এআর ২ ক্ষেপণাস্ত্রেও ত্রুটি রয়েছে (Pakistan)।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মোটা দা টুকি’’! জেলের ভিতর টিটকিরি দুই ছিঁচকের, রেগে আগুন ‘হেভিওয়েট’ পার্থ

    একটি ক্ষেপণাস্ত্রে আবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা গিয়েছে। সেই কারণে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যবস্তু খুঁজে পাওয়ার ক্ষমতা হারিয়েছে। চিন থেকে কেনা ওই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলি মেরামত করতে ফের চিনে পাঠিয়েছে পাকিস্তান। তবে সেগুলি আদৌ মেরামত করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান পাক সেনার শীর্ষ কর্তাদের একাংশ। বন্ধু দেশ চিনের কাছে ঠকে গিয়ে হতাশ পাকিস্তান। সেই কারণে চিন নয়, পশ্চিমের দেশগুলি থেকে ড্রোন ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র কিনতে চাইছে শাহবাজ শরিফের দেশ। শোনা যাচ্ছে, এস ১০০ ইউএভি ড্রোন কিনতে অস্ট্রিয়ার অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থা স্কিবেলের দ্বারস্থ হয়েছে ইসলামাবাদ। এজন্য ওই ড্রোনের কর্মক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে পাক সরকার। দেশের (Pakistan) অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। এমতাবস্থায় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনতে গিয়ে ডাহা ঠকেছে পাকিস্তান। এখন দেখার, এই ঘটনা পাক-চিন সম্পর্কে ছাপ ফেলে কিনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pakistan: ‘আমরা একটি দেউলিয়া দেশে বাস করছি’, প্রকাশ্য সভায় জানালেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    Pakistan: ‘আমরা একটি দেউলিয়া দেশে বাস করছি’, প্রকাশ্য সভায় জানালেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা একটি দেউলিয়া দেশে বাস করছি। প্রকাশ্য সভায় এ কথা ঘোষণা করলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Minister) খাজা আসিফ। শনিবার দেশের দেউলিয়াপনার কথা স্বীকার করে নিলেন শাহবাজ শরিফ ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। এজন্য তিনি দায়ী করলেন প্রতিষ্ঠান, আমলা এবং রাজনৈতিক নেতাদের। এদিন শিয়ালকোটের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে পাকিস্তান দেউলিয়া হতে যাচ্ছে। এটা (দেউলিয়া) হয়েই গিয়েছে। এর পরেই খাজা আসিফ বলেন, আমরা একটি দেউলিয়া হয়ে যাওয়া দেশে বাস করছি।

    পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী…

    এ থেকে উত্তরণের পথও বাতলে দিয়েছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মধ্যেই এর সমাধান নিহিত রয়েছে। পাকিস্তানের সমস্যা মেটানোর চাবিকাঠি আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের কাছে নেই। পাক (Pakistan) প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সঙ্গে ক্রমাগত মিথ্যাচারের ফলেই আজ এই পরিস্থিতি। পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অনেকেই দায়ী। এর মধ্যে যেমন রয়েছে প্রতিষ্ঠান এবং আমলারা, তেমনি রয়েছেন রাজনীতিবিদরাও। তিনি বলেন, পাকিস্তানে আইন এবং সংবিধানের দেখানো পথ অনুসৃত হয় না। 

    আরও পড়ুুন: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে…’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের

    জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ডের সঙ্গে হওয়া ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তির মধ্যে কমপক্ষে ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জোগাড়ের মরিয়া চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। এজন্য কার্যত হন্যে হচ্ছেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। চুক্তি নির্ধারিত দিন পেরিয়ে গেলেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের শর্তাবলী পূরণ না হওয়ায় পাকিস্তানকে টাকা দেয়নি তারা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার পাকিস্তানকে কতগুলি শর্তও দিয়েছে। এই সব শর্ত পূরণ করতে না পারলে, টাকাও পাবে না ইসলামাবাদ।

    পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্কের হিসেব অনুযায়ী, গত ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে বিদেশি মুদ্রার যা সঞ্চয় ছিল, তাতে কোনওক্রমে ১০-১৫ দিন চলত। সেই সঞ্চয়ের ভাণ্ডারও তলানিতে এসে ঠেকেছে। তার জেরে নিত্য মূল্যবৃদ্ধির চড়া আঁচে ছ্যাঁকা লাগছে আম-আদমির। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে এক লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ রুপিতে। এক কিলো মুরগির মাংস বিকোচ্ছে ৭৫০ রুপি দরে। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, গত ৭৫ বছরে এ নিয়ে সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের কাছে হাত পেতেছে ২৩ বার। তিনি জানান, গত এক বছরে পাকিস্তানের (Pakistan) ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ২৩ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share