Tag: PM

PM

  • FTA: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করল ভারত-ব্রিটেন

    FTA: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করল ভারত-ব্রিটেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) সই করল ভারত ও ব্রিটেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথনের পরেই এই পদক্ষেপ। ইংল্যান্ডের সঙ্গে এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “এই চুক্তি আমাদের কৌশলগত সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং আমাদের উভয় অর্থনীতিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্ভাবনকে অনুঘটক করবে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (FTA)

    তিনি আরও লেখেন, “আমি আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আনন্দিত। এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। ভারত এবং ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এতে দু’দেশের অবদান অনস্বীকার্য। এই যুগান্তকারী চুক্তি আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও মজবুত করবে এবং উভয় দেশের অর্থনীতিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বাড়াবে। আমি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তাঁকে স্বাগত জানাতে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”

    খুশির খবর

    সংবাদ সংস্থা আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া অ্যাট ২০৪৭’ সম্মেলনের মঞ্চে যোগ দিয়ে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ ভারতের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। এখানে আসার কিছু আগেই আমার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এটা আপনাদের জানাতে পেরে আমি খুশি হচ্ছি যে, ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের দুটি বড় এবং খোলা বাজারের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য ও আর্থিক সহযোগিতার এই সমঝোতা দুই দেশের বিকাশে নতুন অধ্যায় জুড়বে। এটা আমাদের দেশের যুবকদের জন্য খুব বড় একটা খুশির খবর। এতে ভারতের আর্থিক কার্যকলাপ উজ্জীবিত হবে (PM Modi)।”

    সরকারের তরফে বিবৃতি

    সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার বলেন, বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির সঙ্গে জোট জোরদার করা এবং বাণিজ্য বাধা হ্রাস করা তাদের পরিকল্পনার অংশ, যাতে একটি শক্তিশালী ও আরও নিরাপদ অর্থনীতি দেওয়া যায়। একটি সুষম, ন্যায়সঙ্গত ও উচ্চাভিলাষী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, যা পণ্য ও পরিষেবার বাণিজ্যকে অন্তর্ভুক্ত করবে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে, কর্মসংস্থানের নয়া সুযোগ তৈরি করবে, জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে এবং দুই দেশের নাগরিকদের সামগ্রিক কল্যাণ উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি বিশ্ব বাজারের জন্য যৌথভাবে পণ্য ও পরিষেবার উন্নয়নে দুই দেশে নয়া সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে।’ প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের (FTA) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আমল থেকেই দুই দেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চালু করতে কাজ করে আসছে।

    চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমবার এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। গত শুক্রবার লন্ডনে এ বিষয়ে বৈঠক করেন দুই দেশের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীরা। কয়েকদিনের মধ্যেই বাস্তবে পরিণত হল এই চুক্তি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পর এটাই ব্রিটেনের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য (PM Modi)। ব্রিটেনে বসবাস করেন কমপক্ষে ১৯ লাখ ভারতীয়। বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় দুই গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও উন্নত হবে। বস্ত্র, সমুদ্রজাত পণ্য, লেদার, জুতো, রত্ন ও অলঙ্কার, খেলার সরঞ্জাম ও খেলনা রফতানিতে সুবিধা পাবে ভারত। আইটি, শিক্ষা ও আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রগুলিও এই চুক্তিতে উপকৃত হবে।

    ভারতের বাজারে বাড়তি সুবিধা

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জেরে ভারতের বাজারে বাড়তি সুবিধা পাবে ব্রিটিশ বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি। অটোমোবাইল, অ্যালকোহল-সহ বহু পণ্যে শুল্ক কমবে। হিসেব বলছে, চুক্তি চালু হলে শুল্ক বাবদ ৪০ কোটি পাউন্ড ছাড় দেবে ভারত। একই সঙ্গে ব্রিটেনে বসবাসকারী অস্থায়ী ভারতীয় কর্মীদের তিন বছর সামাজিক সুরক্ষার জন্য (FTA) কোনও টাকা দিতে হবে না। দুই দেশের মধ্যে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সিআইআই প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব পুরী। তিনি বলেন, “এই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য দুই দেশকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। প্রত্যেক অংশীদারের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করব।” তিনি বলেন, “২০৩০ রোডম্যাপের নির্দেশনায় এই সময়োপযোগী চুক্তি ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার দিকে পরিচালিত করবে।” ভারতীয় বাণিজ্য ও শিল্প মণ্ডলী (ফিকি)র দাবি, শ্রম-নিবিড় খাতসমূহ যেমন টেক্সটাইল, সমুদ্রজাত পণ্য, চামড়া, ফুটওয়্যার, ক্রীড়া সামগ্রী, খেলনা এবং রত্ন ও অলঙ্কারের জন্য বৃহৎ রফতানি সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে।

    কী বলছেন দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা

    বহু প্রতীক্ষিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় খুশি দুই দেশই। ব্রিটেনের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী জনাথন রেনল্ডস বলেন, “অনিশ্চয়তার এই সময়ে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য নিয়ে এমন বাস্তববাদী পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “দুই বৃহত্তর অর্থনীতির মধ্যে সম পরিমাণ বাণিজ্যের ভিত তৈরি করবে এই চুক্তি।”

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেন সরকার জানিয়েছে, ভারত এখন ব্রিটেনের আমদানিকৃত পণ্যের ৯০ শতাংশের ওপর শুল্ক হ্রাস করবে, যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ পণ্য পরবর্তী এক দশকের মধ্যে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত হয়ে যাবে। আর ভারত ব্রিটেন থেকে আমদানিকৃত হুইস্কি এবং জিনের শুল্ক অর্ধেক কমিয়ে ৭৫ শতাংশে নামিয়ে আনবে (PM Modi) এবং কোটা ব্যবস্থার অধীনে গাড়ি শুল্ক ১০ শতাংশে হ্রাস করবে (FTA)।

     

  • PM Modi: “ন্যায় মিলকে রহেগা,” ‘মন কি বাতে’ পহেলগাঁওকাণ্ডে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “ন্যায় মিলকে রহেগা,” ‘মন কি বাতে’ পহেলগাঁওকাণ্ডে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ন্যায় মিলকে রহেগা (ন্যায় অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে)।” রবিবার ‘মন কি বাতে’র (Mann Ki Baat) ১২১তম পর্বে পহেলগাঁওকাণ্ডে এই আশ্বাসই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে তিনি বলেন, “আমার হৃদয় গভীর বেদনায় ভারী। তবে এটা জেনে রাখুন, এই হামলার ষড়যন্ত্রকারী ও অপরাধীরা কঠোরতম প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।” এর পরেই তিনি আশ্বাস দেন, ন্যায় অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে।

    আমার হৃদয় গভীর বেদনায় ভরা (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি যখন আপনাদের সঙ্গে হৃদয়ের কথা বলছি, আমার হৃদয় গভীর বেদনায় ভরা। ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা দেশের প্রতিটি নাগরিককে মর্মাহত করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের প্রতি প্রতিটি ভারতীয় গভীর সমবেদনা অনুভব করছে। তাঁরা যে কোনও রাজ্যের বা কোনও ভাষার মানুষই হোন না কেন, এই হামলার ছবি দেখে প্রতিটি নাগরিক রাগে জ্বলছে বলে আমি বুঝতে পারছি।” তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের এই কাজ তাদের দুর্বলতা ও ভীতিরই প্রতিফলন। ভারতীয়রা ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করবে (PM Modi)।”

    কাশ্মীরের উন্নয়ন শত্রুরা মেনে নিতে পারেনি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কাশ্মীরে যখন শান্তি ফিরে এল, দেশের শত্রু ও জম্মু-কাশ্মীরের শত্রুরা তা মেনে নিতে পারেনি। জঙ্গি ও তাদের প্রভুরা কাশ্মীরকে আবার ধ্বংসস্তূপে দেখতে চায়। তাই এমন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছে, তাতে দেশের ঐক্যই হল এর সবচেয়ে বড় শক্তি।” এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশবাসীকে তাদের সংকল্প দৃঢ় করার আহ্বানও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অঞ্চলটিতে (পহেলগাঁওয়ে) পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি, মানুষের রোজগার বাড়ানো এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার বিষয়গুলো হামলার পিছনে থাকা শক্তিগুলো মেনে নিতে পারছিল না।”

    তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে এই হামলা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকদের মরিয়া হয়ে ওঠার লক্ষণ। এটি তাদের কাপুরুষতা প্রকাশ করে। যে সময়ে কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল, স্কুল-কলেজে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছিল, নির্মাণকাজ অভূতপূর্ব গতি পেয়েছিল, গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছিল, পর্যটকের সংখ্যা রেকর্ড হারে বাড়ছিল, মানুষের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছিল, যুবসমাজের জন্য (Mann Ki Baat) নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল – দেশের শত্রুরা, জম্মু ও কাশ্মীরের শত্রুরা এসব সহ্য করতে পারেনি। তাই এই হামলা (PM Modi)।”

  • PM Modi: ভুল মানচিত্র দেখাচ্ছে, চিনা অ্যাপ সরানোর নির্দেশ গুগলকে

    PM Modi: ভুল মানচিত্র দেখাচ্ছে, চিনা অ্যাপ সরানোর নির্দেশ গুগলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (PM Modi) ভুল মানচিত্র দেখাচ্ছে গুগল। তাই ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক ও ভারতের সমীক্ষা দফতর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলকে তাদের প্লে স্টোর থেকে চিনা চ্যাট অ্যাপ ‘অ্যাবলো’ সরায়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ভারতের যুক্তি, অ্যাপটিতে ভারতের আঞ্চলিক সীমানা সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি (Chinese App)।

    সরকারি নোটিশ (PM Modi)

    সরকারি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, চিন-ভিত্তিক এই ভিডিও চ্যাট প্ল্যাটফর্ম, যার গুগল প্লে-তে ১০ হাজারেরও বেশি ডাউনলোড রয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে এবং মানচিত্র থেকে লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দিয়েছে। এই নির্দেশনায় ফৌজদারি আইন (সংশোধন) আইন, ১৯৯০-এরও উল্লেখ করা হয়েছে, যা এই ধরনের ভুল উপস্থাপনাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করে। এই অপরাধে দোষীদের সর্বোচ্চ ছ’মাসের কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।

    ‘অ্যাবলো’ অ্যাপ

    নোটিশে বলা হয়েছে, “এটি স্পষ্ট যে গুগল প্লে স্টোরে উপলব্ধ ‘অ্যাবলো’ অ্যাপটির মানচিত্রে ভারতের বাহ্যিক সীমানা ভুলভাবে দেখানো হয়েছে, যা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে।” ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক গুগলকে পাঠানো নোটিশে তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ধারা ৭৯(৩)(খ) উল্লেখ করেছে, যা প্ল্যাটফর্মগুলিকে ভারতীয় আইন লঙ্ঘনকারী কন্টেন্ট অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে বা অ্যাক্সেস নিষ্ক্রিয় করতে বাধ্য করে (PM Modi)। ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভুল মানচিত্র প্রদর্শনের বিষয়টি সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক বৈঠকে উঠে এসেছে। মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে ওই অ্যাপের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

    তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টের ২০১৫ সালের শ্রেয়া সিংহাল বনাম ভারত ইউনিয়ন রায়েরও উল্লেখ করেছে, যা সরকারের বৈধ আদেশ মানতে প্ল্যাটফর্মগুলিকে বাধ্য করে। গুগল এই নির্দেশ মেনে নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ অ্যাপটির গুগল প্লে স্টোর ল্যান্ডিং পেজে এখন লেখা দেখা যাচ্ছে (Chinese App), “আমরা দুঃখিত, এই সার্ভারে অনুরোধ করা ইউআরএল খুঁজে পাওয়া যায়নি”। অ্যাপটি এখন ভারতীয় ইউজারদের জন্য অ্যাপল অ্যাপ স্টোরেও অনুপলব্ধ (PM Modi)।

  • Bhutan PM: “প্রধানমন্ত্রী মোদি আমার দাদা, আমার গুরু,” তাইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

    Bhutan PM: “প্রধানমন্ত্রী মোদি আমার দাদা, আমার গুরু,” তাইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আমার দাদা। তিনি আমার গুরু।” শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমনই প্রশস্তি করলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী (Bhutan PM) শেরিং টোবগে। দ্বীপরাষ্ট্র তাইল্যান্ডে শুক্রবার শেষ হয়েছে ষষ্ঠ বিমস্টেকের (BIMSTEC) শীর্ষ সম্মেলন। সেই সম্মেলনের ফাঁকেই শেষ দিন হয় ভারত ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। সেখানেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর গলায়। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে টোবগে বলেন, ‘‘আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমার দাদা বলে মনে করি। তিনি আমাকে নির্দেশনা দেন। তাই আমি তাঁকে আমার গুরু বলেও মনে করি। তাঁর সঙ্গে প্রতিটি বৈঠকই আমার জন্য খুব বিশেষ।’’

    মোদি ‘আধ্যাত্মিক নেতা’ (Bhutan PM)

    ভুটানের প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘আধ্যাত্মিক নেতা’ বলেও অভিহিত করেন। আমেরিকান পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে তাঁর পডকাস্টের প্রশংসা করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাগুলি শুনতে শুনতে আমার মনে হচ্ছিল, আমি যেন একজন আধ্যাত্মিক গুরুর কথা শুনছি।” তিনি জানান, পডকাস্টটি তিনি ইংরেজি এবং হিন্দি উভয় ভাষায়ই শুনেছেন। শেরিং টোবগে (Bhutan PM) বলেন, ‘‘আমি লেক্স ফ্রিডম্যানের প্রধানমন্ত্রী মোদির সাক্ষাৎকার শুনেছি। আমি এটি ইংরেজিতে শুনেছি। হিন্দিতেও শুনেছি। যদিও আমি খুব বেশি হিন্দি বুঝি না। তবে আমি এটি মূল ভাষায় শুনতে চেয়েছিলাম। আমি প্রধানমন্ত্রীকে সে কথা জানিয়েওছি।” তিনি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলেছিলাম, দাদা, আমি সেই পডকাস্টটি শুনেছি এবং আমি একজন আধ্যাত্মিক নেতাকে দেখেছি। আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন একজন আধ্যাত্মিক গুরুর ভাষণ শুনছি। এটি খুবই আধ্যাত্মিকভাবে পরিপূর্ণ ছিল।’’

    ভারতের নেতৃত্বের ভূমিকায় জোর

    বিমস্টেকের মধ্যে ভারত সব চেয়ে বড় দেশ। তাই ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ভারতের নেতৃত্বের ভূমিকার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “এই বৈঠকের সময় আমরা খুব সংক্ষেপে বিমস্টেকের কার্যক্রম ও ভারতের নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছি। কারণ ভারত বিমস্টেকের সব চেয়ে বড় সদস্য রাষ্ট্র, সব চেয়ে জনবহুল সদস্য রাষ্ট্র, সব চেয়ে বড় অর্থনীতি এবং বিমস্টেক অঞ্চলের সব চেয়ে শক্তিশালী দেশ। আমরা ভারতের নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সেই নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। তাই আমি বলেছি যে বিমস্টেকের জন্য অনেক ভালো কিছু (Bhutan PM) পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।”

  • PM Modi: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে দেখতে এইমসে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে দেখতে এইমসে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) দেখতে এইমসে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শনিবার মধ্য রাতে আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা অধুনা উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ভর্তি করা হয় দিল্লির এইমসে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে।

    হাসপাতালে উপরাষ্ট্রপতি (PM Modi)

    রবিবার দুপুরে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতালে তিনি উপরাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও। পরে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খবর নিতে দিল্লি এইমস হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ওঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” উপরাষ্ট্রপতি চিকিৎসাধীন রয়েছেন এইমসের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান রাজীব নারাঙের তত্ত্বাবধানে। ইতিমধ্যেই তাঁর শরীরে নানাবিধ পরীক্ষা হয়েছে। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট এলে পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিক করা হবে (PM Modi)। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।

    আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু ধনখড়ের

    এর আগেও একবার ধনখড়কে দিল্লির এইমসে ভর্তি করা হয়েছিল। ম্যালেরিয়া হওয়ায় ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেই সময় তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। ১৯৭৮-৭৯ সালে রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে স্নাতক হন ধনখড়। কর্মজীবন শুরু করেন আইনজীবী হিসেবে। দীর্ঘ দিন ধরে রাজস্থানের হাইকোর্টে এবং সুপ্রিম কোর্টে ওকালতি করেছেন ধনখড়।

    ধনখড় ভারতের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি। তাঁর আগে তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। ১৯৮৯ সালে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ধনখড়ের। ঝুনঝুনু লোকসভা আসন থেকে নির্বাচনে জয়লাভ করে রাজনীতিতে চলে আসেন তিনি। পরের বছরই সংসদীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ১৯৯৩ সালে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে আজমের জেলার কিষানগড় অসনে জয়ী হন তিনি। পিভি নরসিংহের আমলে যোগ দেন কংগ্রেসে। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। তার পরেই হন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। এই সময় বাংলার শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে প্রায়ই নানা কারণে সংঘাত বাঁধে তাঁর। ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) আমলেই রাজভবন ও নবান্ন সংঘাত চরমে উঠেছিল (PM Modi)।

  • PM Modi: রাশিয়ার বিজয় দিবসে অংশ নেবেন মোদি! কবে মস্কো যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: রাশিয়ার বিজয় দিবসে অংশ নেবেন মোদি! কবে মস্কো যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাশিয়া সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আগামী ৯ মে মস্কোর রেড স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত হবে ‘গ্রেট প্যাট্রিয়টিক ওয়ার’ বা মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধের ৮০তম বিজয় দিবস (Victory Day Parade)। সেই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রাশিয়ায় যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

    তাসের প্রতিবেদন (PM Modi)

    বুধবার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়া সফরের ভীষণ সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৯ মে রেড স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত প্যারেডে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা করছেন। এটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, এবং এটি হবে বলেই মনে হচ্ছে।” সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সান্ধ্য সামরিক দলও এই প্যারেডে অংশ নেবে। এই দলটি অন্তত এক মাস আগে মস্কো পৌঁছে যাবে। সেখানেই চলবে প্যারেডের জন্য প্রস্তুতি।

    মস্কোর অনুষ্ঠানে ভারতের সেনা

    জানা গিয়েছে, ভারতের সেনা কর্মীদের রাশিয়ায় পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে। ভারতের সামরিক প্রতিনিধিরা রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের অংশগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত করছেন। এর আগে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছেন যে, বেশ কিছু দেশ ইতিমধ্যেই মস্কোর অনুষ্ঠানে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাংবাদিক সম্মেলনে (PM Modi) দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “সিআইএস (কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস)-এর বাইরে অন্য দেশগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।” তিনি আরও বলেন, “যাঁরা বিজয় দিবসের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন, রাশিয়া তাঁদের সবাইকে মস্কোয় স্বাগত জানাবে।”

    মোদির এই সফর কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। কারণ তিনি যে সময় রাশিয়ায় যাচ্ছেন, সেই সময় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে প্রথম দফার আলোচনায় অংশ নেন রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শান্তির পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। রাশিয়া সফরের সময় তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন (Victory Day Parade)। তিনি যে যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষেই, সেই অবস্থানও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন (PM Modi)।

  • Veer Savarkar: ‘জাতি কখনওই ভুলতে পারবে না তাঁর অবদান’, সাভারকরের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    Veer Savarkar: ‘জাতি কখনওই ভুলতে পারবে না তাঁর অবদান’, সাভারকরের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকরের (Veer Savarkar) মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার প্রধানমন্ত্রী মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অমূল্য অবদানের কথা জাতি কখনওই ভুলতে পারবে না। তিনি লেখেন, “সমস্ত দেশবাসীর পক্ষ থেকে বীর সাভারকরজিকে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি। তপস্যা, ত্যাগ, সাহস ও সংগ্রামে ভরা স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অমূল্য অবদান কৃতজ্ঞ জাতি কখনও ভুলতে পারবে না।”

    বীর সাভারকর (PM Modi)

    ১৮৮৩ সালে ২৮ মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বীর সাভারকর (Veer Savarkar)। খুব অল্প বয়সেই তিনি শুরু করেছিলেন তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বদেশি ভাবনা ও বিদেশি পণ্যের বর্জন, শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং বিপ্লবী চেতনার বিকাশ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব সাভারকর ছিলেন একজন আইনজীবী, লেখক ও সমাজকর্মী। তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর লেখা ‘হিন্দুত্ব: হু ইজ আ হিন্দু?’ বইটির জন্য তিনি বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন।

    কারাদণ্ড ভোগ

    মর্লে-মিন্টো সংস্কারের বিরোধিতা করায় সাভারকরকে (Veer Savarkar) ১৯১১ সালে আন্দামানের সেলুলার জেলে ৫০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে ১৯২৪ সালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর,  তিনি রত্নগিরিতে অস্পৃশ্যতা দূর করার লক্ষ্যে কাজ করেন। পরে সাভারকর হন হিন্দু মহাসভার সভাপতি। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিরোধিতা করেন তিনি। ভারতের (PM Modi) বিভাজন মেনে নেওয়ার জন্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসেরও সমালোচনা করেছিলেন এই দেশপ্রেমিক।

    সাভারকরকে (Veer Savarkar) শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, তিনি ছিলেন একজন গতিশীল চিন্তক, জাতীয়তাবাদী ভাবনার ধারক এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “… সাভারকরজি তাঁর জীবনের মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন কীভাবে মাতৃভূমি, নিজের সংস্কৃতি এবং জাতির জন্য ত্যাগ ও নিবেদনের শিখরে পৌঁছানো যায়। জাতীয় ঐক্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করে সমাজকে জাত-পাতের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করেছিলেন যে সাভারকরজি (Veer Savarkar), তাঁর জীবনগাথা মাতৃভূমির সেবার পথে ধ্রুবতারার মতো অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে (PM Modi)।”

  • PM Modi: “যারা পশুখাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা দেশের কৃষকদের কল্যাণ করতে পারে না,” বললেন মোদি

    PM Modi: “যারা পশুখাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা দেশের কৃষকদের কল্যাণ করতে পারে না,” বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা পশুর জন্য তৈরি খাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা দেশের কৃষকদের কল্যাণ নিয়ে ভাবতে পারে না।” সোমবার বিহারের ভাগলপুরের এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ঠিক এই ভাষায়ই রাষ্ট্রীয় জনতা দল সুপ্রিমো তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে (Lalu Yadav) নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন অবশ্য লালুর নাম মুখেও আনেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে তাঁর চাঁদমারি যে লালুই, তা বুঝতে বাকি থাকেনি উপস্থিত দর্শকদের।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্র ও বিহার উভয় জায়গায়ই এনডিএ সরকার সর্বদা কৃষকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয়। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সারা দেশের আমার কৃষক ভাইবোনেরা প্রধানমন্ত্রী কিষান নিধির সুবিধা পেতেন না। গত ছ’বছরে কিষান প্রকল্পের প্রতিটি পাই-পয়সা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।” এর পরেই লালুকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “যারা পশুখাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা এ দেশের কৃষকদের কল্যাণ সম্পর্কে ভাবতে পারে না।”

    কৃষি রফতানি বেড়েছে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতের কৃষি রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পেতে পারছেন। এ বছরের বাজেটে সরকার একটি মাখানা বোর্ড তৈরির কথা ঘোষণা করেছে, যা শীঘ্রই বাস্তবায়িত হবে।” মহাকুম্ভ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন লালু। তিনি বলেছিলেন, “ফালতু হ্যায় কুম্ভ।” এদিন তারও তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “যাঁরা জঙ্গলরাজে বিশ্বাসী, তাঁরা আমাদের ঐতিহ্য ও বিশ্বাসকে ঘৃণা করেন।”

    তিনি বলেন, “আমি আশাবাদী, প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যকারীদের বিহারবাসী কখনও ক্ষমা করবেন না।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউরোপের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি মানুষ এই মহাকুম্ভ পবিত্র স্নান করেছেন। কিন্তু জঙ্গলরাজের প্রতিনিধিরা এই পবিত্র অনুষ্ঠানের সমালোচনা করছেন। যারা রাম মন্দিরের বিরোধী, তারা মহাকুম্ভকে অপমান করার প্রতিটি সুযোগ নিচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে বিহারের জনগণ এই পবিত্র অনুষ্ঠানের বিরোধীদের কখনও ক্ষমা করবেন না।” তিনি বলেন, “বর্তমানে প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐক্যের মহাকুম্ভ (Lalu Yadav)। এটি ভারতের বিশ্বাস, ঐক্য ও সম্প্রীতির সর্ববৃহৎ উদযাপনকে উপস্থাপন করে (PM Modi)।”

  • PM Modi: “পরীক্ষা চলছে, তাই দেরি হয়ে গেল”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “পরীক্ষা চলছে, তাই দেরি হয়ে গেল”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনব্যাপী ইনভেস্ট এমপি গ্লোবাল ইনভেস্টর সামিট ২০২৫-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে (Bhopal) হচ্ছে ওই সম্মেলন। এখানে অন্তত ৬০টি দেশের উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন তিনি। ১৫ মিনিট দেরিতে পৌঁছনোর জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    তিনি জানান, রাজভবন থেকে তাঁর রওনা হওয়ার সময়সূচি আজ অনুষ্ঠিত দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার সময়ের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এই অসুবিধা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গতকাল এখানে পৌঁছে জানলাম, আজ দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষার সময় ও রাজভবন থেকে আমার রওনা হওয়ার সময় এক সঙ্গে পড়ে যাচ্ছিল।” তিনি বলেন, “আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে গিয়ে রাস্তাগুলি বন্ধ থাকবে। তাতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে অসুবিধা হবে। এই অসুবিধা এড়ানোর জন্য, শিক্ষার্থীরা যাতে সময়ে তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারে, আমি ভেবেছিলাম সব শিক্ষার্থী তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর পরেই আমি রাজভবন থেকে রওনা হব। তাই আমি সচেতনভাবে আমার যাত্রার সময় ১৫-২০ মিনিট দেরি করেছি (PM Modi)।”

    জিআইএস ২০২৫ ইভেন্টে বক্তৃতা

    জিআইএস ২০২৫ ইভেন্টে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ভারতের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্ব আশাবাদী। তিনি বলেন, “মধ্যপ্রদেশ জনসংখ্যার বিচারে ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম রাজ্য। কৃষি ও খনিজ সম্পদের দিক থেকেও এটি শীর্ষ রাজ্যগুলির মধ্যে একটি।” তিনি বলেন, “গত দু’দশকে মধ্যপ্রদেশে বহু রূপান্তর ঘটেছে। একসময় বিদ্যুৎ ও জলের সমস্যা ছিল, আইন-শৃঙ্খলাও খুব খারাপ অবস্থায় ছিল। সেই পরিস্থিতিতে শিল্পোন্নয়ন কঠিন ছিল। কিন্তু গত বিশ বছরে, জনগণের সহায়তায়, বিজেপি রাজ্য সরকার শাসন ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। দু’দশক আগে, মানুষ এখানে বিনিয়োগ করতে সংকোচ বোধ করতেন। আর আজ এটি দেশের শীর্ষ বিনিয়োগবান্ধব রাজ্যগুলির মধ্যে একটি।”

    সম্মেলনে ৬০টি দেশের উদ্যোক্তা, ১৩ জন রাষ্ট্রদূত, ৬ জন হাই কমিশনার এবং বেশ কয়েকজন কনসাল জেনারেল (Bhopal) অংশগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট শিল্পপতিদের মধ্যে রয়েছেন কুমার মঙ্গলম বিড়লা, গৌতম আদানি, নাদির গোদরেজ, পিরুজ খানবাটা, বাবা এন কল্যাণী, রাহুল আওয়াস্থী এবং নীরজ আখৌরি (PM Modi)।

  • PM Modi: “কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করেন, মানুষকে বিভক্ত করেন,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করেন, মানুষকে বিভক্ত করেন,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করেন এবং বিদেশি শক্তির সমর্থনে মানুষকে বিভক্ত করেন। এভাবে তাঁরা আদতে দেশকেই দুর্বল করার চেষ্টা করেন।” রবিবার এমনই অভিযোগ করলেন (Bageshwar Dham) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিরোধিতা যাঁরা করেন, তাঁদেরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করছে (PM Modi)

    তিনি বলেন, “আজকাল আমরা দেখি কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করছে। তারা মানুষকে বিভক্ত করার কাজে লিপ্ত। প্রায়ই বিদেশি শক্তিগুলি, যারা এই নেতাদের সমর্থন করে, তারাও দেশ ও ধর্মকে দুর্বল করার চেষ্টা করে। যারা হিন্দুদের ঘৃণা করে, তারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এখানে বসবাস করছে। দাসত্বের মানসিকতা নিয়ে থাকা লোকেরা আমাদের বিশ্বাস, মন্দির, ধর্ম এবং আদর্শের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের উৎসব এবং ঐতিহ্যকে অপমান করে, আমাদের ধর্মকে আক্রমণ করে, সমাজকে বিভক্ত করে আমাদের ঐক্য ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে।”

    মহাকুম্ভ ভারতের ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করবে

    মহাকুম্ভ সমালোচকদেরও তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ ভারতের ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করবে। লক্ষ লক্ষ ভক্ত ইতিমধ্যেই ত্রিবেণীতে পবিত্র স্নান করেছেন। মহাকুম্ভ ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলবে। আমি কুম্ভে কঠোর পরিশ্রম করা পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও পুলিশ কর্মীদের অভিনন্দন জানাই।”

    প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এহেন মন্তব্য এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন বিরোধী দলের কিছু নেতা কুম্ভমেলায় অব্যবস্থা এবং ভক্তদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাবের অভিযোগে সরব হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো এক কদম এগিয়ে এই মেলাকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলে অভিহিত করেছেন। সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের দাবি, ত্রিবেণী সঙ্গমে গঙ্গার জলের গুণমান সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার ও কেন্দ্রীয় সংস্থার পরিসংখ্যানে অমিল রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এদিন প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুর জেলায় বাগেশ্বর ধাম মেডিক্যাল ও সায়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর ক্যান্সারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০ কোটিরও বেশি মূল্যের এই হাসপাতালটিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন (Bageshwar Dham)। এখানে দরিদ্র ক্যান্সার রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে (PM Modi)।

LinkedIn
Share