Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা সারাতে পারে ভারতই, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা সারাতে পারে ভারতই, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইটি ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। ২২ অগাস্ট তাঁর বক্তব্যে উঠে এল ভারতের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তির কথা এবং তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এই দেশ শুধুমাত্র পৃথিবীর দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির (Indian Economy) দিকে এগিয়ে চলেছে তা নয়, একই সঙ্গে সারা বিশ্বজুড়ে যেভাবে অর্থনীতির মন্দা দেখা দিয়েছে, সেখান থেকেও সেই পরিস্থিতিকে টেনে তুলে আনতে পারে ভারতের অর্থনীতি।

    নতুনভাবে লেখা হয়েছে ট্যাক্স আইন (PM Modi)

    তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও জানান যে, তাঁর সরকার ভারতের ইনকাম ট্যাক্স আইনকে নতুনভাবে লিখেছে এবং বিগত ৬০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার হয়েছে। এই ইনকাম ট্যাক্স আইনকে (PM Modi) দেশের জনগণের জন্য অতি সরল করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এই আইন বুঝতে আর কারও অসুবিধা হচ্ছে না।
    তিনি আরও বলেন যে, যেভাবে সংস্কার চলছে তা আগামী দিনেও চলতে থাকবে। সম্প্রতি তিনি বড় ঘোষণা করেছেন জিএসটি সংস্কারের কথা এবং তা দীপাবলিতেই নয়া উপহার হিসেবে দেশবাসীকে (Indian Economy) দেবেন বলে জানিয়েছেন।

    জিসটি নিয়ে কী বললেন?

    তিনি বলেন যে, নতুন জিএসটিতে অনেক জটিল বিষয় সরল করা হয়েছে। এই নতুন জিএসটির ফলে অনেক জিনিসের দাম কমবে। এর ফলে উৎপাদন শিল্প আরও বাড়বে এবং জনগণের মধ্যে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে। তাঁরা অনেক ভালোভাবেই ব্যবসা করতে পারবেন। নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, ২০১৭-র পর থেকে মুদ্রাস্ফীতি এখন সবচেয়ে কম চলছে এবং ইন্টারেস্ট রেটও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইপিএফও রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ২৪ লাখ নয়া ফর্মাল চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করা গিয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

    প্রত্যেক মাসে বিনিয়োগকারীরা এসআইপির মাধ্যমে বিনিয়োগ করছেন

    তিনি বলেন যে, প্রত্যেক মাসে বিনিয়োগকারীরা এসআইপির মাধ্যমে বিনিয়োগ করছেন। প্রথমত স্বাধীনতা দিবসে তিনি যে কথা বলেছিলেন, নয়া দিল্লিতে ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামেও তিনি একই কথা বলেন এবং জানান যে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে এবং ভারতেই তৈরি হচ্ছে সেমিকন্ডাক্টর চিপ। একইসঙ্গে ৬জি প্রযুক্তির অগ্রগতির নিয়েও তিনি বলেন। নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের কথা বলেন এবং এর ভিত্তি হবে ‘আত্মনির্ভর ভারত’—তাও তিনি জানান।

    ভারতের ‘স্পোর্টস ইকোনমি’ আরও বাড়ছে

    ভারতের ‘স্পোর্টস ইকোনমি’ আরও বাড়ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ওই মঞ্চ থেকে তিনি প্রাইভেট কোম্পানিগুলিকে আহ্বান জানান কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বায়োটেকনোলজি, ক্লিন এনার্জি, ব্যাটারি স্টোরেজ—এই সমস্ত বিষয়গুলিতে এগিয়ে আসার জন্য। বক্তব্যের একেবারে শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান যে, ভারত সম্পূর্ণ প্রস্তুত বিশ্বের উন্নয়নের সামনের সারিতে থাকার জন্য।

  • PM Modi: “যারা নকল কাগজপত্র নিয়ে এখানে আছে, তাদের দেশ থেকে যেতেই হবে,” সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “যারা নকল কাগজপত্র নিয়ে এখানে আছে, তাদের দেশ থেকে যেতেই হবে,” সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের যেতেই হবে। যারা নকল কাগজপত্র নিয়ে এখানে আছে, তাদের এখান থেকে যেতেই হবে।” শুক্রবার দমদম সেন্ট্রাল জেল মাঠে ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’ সভায় বলতে উঠে সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “এখান থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে হবে কি (TMC) না? কে তাড়াবে? বিজেপি তাড়াবে। তাই বিজেপিকে জেতান। বিজেপিকে ভোট দিন। অনুপ্রবেশকারীরা বাংলা ছেড়ে পালাবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের কাছে সম্পদ কম। যুব সমাজকে উপার্জনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে, নাগরিকদের সুবিধা দিতে হবে। অনুপ্রবেশকারীরা রোজগার কেড়ে নিচ্ছে। নাগরিকদের অধিকারে ভাগ বসাচ্ছে। মা-বোনেদের সম্মানে হাত দিচ্ছে।” এর পরেই তাঁর তোপ, “তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। ভোটব্যাংকের জন্য প্রশ্রয় দিচ্ছে। জমি কেলেঙ্কারি হচ্ছে। কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, আদিবাসীদের জমি দখল করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমি লালকেল্লার প্রাচীর থেকেও বলেছি, অনুপ্রবেশকারীদের যেতেই হবে। যারা নকল কাগজপত্র নিয়ে এখানে আছে, তাদের এখান থেকে যেতেই হবে। এই ভাবে তৃণমূল সরকারকেও এখান থেকে বিদায় নিতে হবে।”

    বিজেপি যা ভাবে, তা করে দেখায় (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি যা ভাবে, তা করে দেখায়। তার তাজা প্রমাণ অপারেশন সিঁদুর। বাংলা ভাষা, সংস্কৃতির উন্নয়নে বিজেপি নিয়োজিত।” তিনি বলেন, “বিজেপি সরকার সগর্বে বাংলা ভাষা আর বাংলা সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরাই বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছি।” তিনি বলেন, “বাংলাকে এমন একটা জায়গায় পৌঁছে দিতে চাই, যেখানে বাংলার একজন যুবককেও কাজের জন্য বাইরে যেতে না হয়। দেশের সব চেয়ে বড় চিন্তা অনুপ্রবেশকারীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে।” তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ সময়ের আগে চিন্তা করেন। অথচ তার পরেও অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের যুবকদের চাকরি ছিনিয়ে নিচ্ছে। পরিকাঠামো উন্নয়নেও বাধা দিচ্ছে। এই জন্যই ভারত সরকার এত বড় অভিযান শুরু করেছে। কিন্তু ইন্ডি জোট তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছে। অনুপ্রবেশকে সমর্থন করছে।” তিনি বলেন, “বাংলায় অনুপ্রবেশ ঘোর সামাজিক সংকট তৈরি করছে। এটা থামাতেই হবে। এজন্য আমি লালকেল্লা থেকে ডেমোগ্রাফিক মিশনের কথা ঘোষণা করেছি (TMC)।”

    প্রধানমন্ত্রীর মুখে দুর্নীতি বিরোধী বিলের প্রসঙ্গও

    এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মুখে শোনা গেল দুর্নীতি বিরোধী বিলের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “এবার লোকসভায় বিজেপি এক বড় দুর্নীতি-বিরোধী বিল নিয়ে এসেছে। বাংলাকেও সেই বিলের কথা বলব। আমাদের দেশে একজন সরকারি কর্মী, সে তিনি সাফাইকর্মীই হোন বা গাড়ির চালক, তাঁকে জেলে ঢোকানো হলে ৫০ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি না পেলে নিয়ম অনুযায়ী সাসপেন্ড হয়ে যান। কিন্তু মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী যদি জেলে যান, তাহলে তাঁদের জন্য কোনও আইন নেই!” পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ দেখেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে এমন একজন জেলে গিয়েছেন, যাঁর বাড়ি থেকে নোটের পাহাড় মিলেছে। তাও তিনি চেয়ার ছাড়তে রাজি ছিলেন না। তৃণমূলের আরও এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রেশন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ছিল (PM Modi)। তিনিও চেয়ার ছাড়তে রাজি ছিলেন না। এমন লোক যাঁরা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন, তাঁদের সরকারি পদে থাকার অধিকার আছে কি (TMC)?”

  • PM Modi: “যতদিন বাংলায় তৃণমূলের সরকার থাকবে, ততদিন উন্নয়ন থমকে থাকবে,” দমদমে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “যতদিন বাংলায় তৃণমূলের সরকার থাকবে, ততদিন উন্নয়ন থমকে থাকবে,” দমদমে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যতদিন বাংলায় তৃণমূলের সরকার থাকবে, ততদিন বাংলায় উন্নয়ন থমকে থাকবে। তৃণমূল গেলে তবেই আসল পরিবর্তন আসবে। টিএমসি যাবে, তবেই আসল পরিবর্তন আসবে।” শুক্রবার দমদম সেন্ট্রাল জেল মাঠে (Kolkata) ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’ সভায় বলতে উঠে এই ভাষায়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আক্রমণ শানালেন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে। এদিন বাংলায়ই ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “সবাই আমার প্রণাম নেবেন। ছোটরা ভালবাসা।” এরপরই তিনি দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দির ও কালীঘাট মন্দির-সহ একাধিক মন্দিরের কথা উল্লেখ করে ‘প্রণাম’ জানান। তিনি বলেন, “আমি এমন একটা সময়ে কলকাতায় এলাম, যখন দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কুমোরটুলিতে প্রতিমা গড়া চলছে। এর সঙ্গে যখন উন্নয়ন জুড়ে যায়, তখন খুশি দ্বিগুণ হয়ে যায়।”

    প্রধানমন্ত্রীর বাণ (PM Modi)

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী একের পর এক বাণ নিক্ষেপ করতে থাকেন রাজ্য সরকারকে। তিনি বলেন, “প্রথমে কংগ্রেস, তারপর বামেদের শাসন দেখেছে বাংলা। ১৫ বছর আগে আপনারা মা-মাটি-মানুষে বিশ্বাস করে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে আগের চেয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হল। ‘ক্রাইম’ এবং ‘কোরাপশন’ টিএমসি সরকারের পরিচিতি।” তিনি বলেন, “বাংলার জন্য যে টাকা আমরা সরাসরি রাজ্য সরকারকে পাঠাই, তার বেশিরভাগই লুট হয়ে যায়। আপনাদের জন্য খরচ হয় না। টিএমসি ক্যাডারের জন্য খরচ হয়। এই জন্য জনকল্যাণে পিছিয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আগে ত্রিপুরা, অসমের এই হাল ছিল। যবে থেকে বিজেপি সরকার এসেছে, তবে থেকে ওই দুই রাজ্যেই পাচ্ছে গরিব কল্যাণ যোজনার লাভ।”

    “বাঁচতে চাই, তাই বিজেপি চাই”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলার গৌরবোজ্জ্বল অতীত আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই এক সঙ্গে বলতে হবে তৃণমূলকে সরাও। বাংলাকে বাঁচাও।” তিনি বলেন, “পরিবর্তন চাই। এমন পরিবর্তন, যা মেয়েদের সুরক্ষা দেবে, যা দোকান আর ঘর জ্বালানো বন্ধ করবে, গরিবের অধিকার গরিবকে পাইয়ে দেবে, কৃষকের উন্নতি হবে।” এদিনের সভায় ছাব্বিশের ভোটের স্লোগানও বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “বাঁচতে চাই, তাই বিজেপি চাই!”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় বিজেপির সরকার বানান। আমরা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্নের বাংলা বানিয়ে দেব। বিকশিত বাংলা, মোদির গ্যারান্টি।” তিনি বলেন, “বাংলার উন্নয়নের জন্য বিজেপির কাছে রোডম্যাপ আছে। কিন্তু তৃণমূলের নেই। তৃণমূল উন্নয়নের শত্রু। তার সাক্ষী এই দমদমের মানুষও।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্মার্ট সিটি মিশনে এখানকার অনেক উন্নতি হতে পারত। কিন্তু তৃণমূলের সরকার সেই প্রকল্প যুক্ত হল না। তৃণমূলের কাজ হল, যে কোনও উপায়ে পশ্চিমবঙ্গে (Kolkata) কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রূপায়ণ আটকানো।” প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) আবেদন, “আপনারা এখানেও একবার বিজেপিকে সুযোগ দিয়ে দেখুন।”

  • PM Modi in Kolkata: ‘‘বাংলার উন্নয়নে গতি দেওয়ার সুযোগ পেলাম’’, বৃষ্টিস্নাত বিকেলে তিন মেট্রো পথের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi in Kolkata: ‘‘বাংলার উন্নয়নে গতি দেওয়ার সুযোগ পেলাম’’, বৃষ্টিস্নাত বিকেলে তিন মেট্রো পথের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর আগেই কলকাতাবাসী পেল নতুন তিন মেট্রো লাইন (Metro Railway Projects)। এই নতুন পরিষেবা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বড় পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিন রুটের উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেল কলকাতার পরিবহণ মানচিত্রও। শুক্রবার বৃষ্টিস্নাত বিকেলে এই তিন সম্প্রসারিত মেট্রো লাইনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন নোয়াপাড়া থেকে জয়হিন্দ পর্যন্ত নবনির্মিত ইয়লো লাইন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে বেলিয়াঘাটা পর্যন্ত অরেঞ্জ লাইন এবং গ্রিন লাইন- ১ ও ২ অর্থাৎ শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করলেন তিনি। শুক্রবার সন্ধে থেকেই সাধারণ মানুষ চড়তে পারবেন নয়া লাইনের মেট্রোয়।

    রাস্তার দু’ধারে উপচে পড়া ভিড়

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবুজ পতাকা নেড়ে উদ্বোধন করেন সম্প্রসারিত মেট্রোর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য, শান্তনু ঠাকুর এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। নয়া মেট্রো পথের উদ্বোধনের পরেই যশোর রোড মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। দমদম সেন্ট্রাল জেলের মাঠের দিকে রওনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। রাস্তার দু’ধারে উপচে পড়ে সাধারণ মানুষের ভিড়। ‘মোদি মোদি’ স্লোগান দিতে থাকেন সাধারণ মানুষ। গাড়ির মধ্যে থেকে প্রধানমন্ত্রীকেও হাত নাড়তে দেখা যায়।

    ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস

    দমদম সেন্ট্রাল জেল ময়দানে পৌঁছে প্রথমে সরকারি একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন তিনি। সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ও কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এদিন ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি নানা প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করে মোদি বলেন, “আজ অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব আনন্দ হয়েছে। এই মেট্রো যাত্রা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারত আজ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে। সেখানে দমদম, কলকাতার বড় ভূমিকা থাকবে।” হাওড়া থেকে শিয়ালদা মেট্রোর নতুন রুট চালু হওয়ায় যাত্রীদের অনেক সময় বাঁচবে বলে প্রধানমন্ত্রী এদিন মন্তব্য করেন।

    বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মেট্রো নেটওয়ার্ক

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মেট্রো নেটওয়ার্ক এখন ভারতে। কলকাতার গণপরিবহণের খরচ আরও কমল। যাতায়াতের আরও সুবিধা হল। শিয়ালদা, হাওড়ার মতো ব্যস্ত রেলস্টেশনের সঙ্গে মেট্রো জুড়ে গেল। তার ফলে ঘণ্টার সফর এখন কয়েক মিনিটে হয়ে যাবে। একইভাবে বিমানবন্দর থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া সহজ হল। আজ আরও একবার বাংলার উন্নয়নে গতি দেওয়ার সুযোগ পেলাম। সকলেই খুশি যে কলকাতার গণপরিবহণ আধুনিক হচ্ছে। কলকাতাবাসী, বাংলাবাসীকে অনেক শুভেচ্ছা। কলকাতা মেট্রো আগে ২৮ কিলোমিটার বিস্তৃত ছিল। এখন প্রধানমন্ত্রী ৩৯ কিলোমিটার সম্প্রসারণ করেছেন। আরও ২২ কিলোমিটার সম্প্রসারণ হবে।”

    কোনা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ৫২০০ কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন। জনসভা শুরুর আগে সেন্ট্রাল জেল ময়দানে প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকে তিনি শিলান্যাস করেন ছয় লেনের এলিভেটেড কোনা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের। ৭.২ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করতে ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।

    মেট্রোয় জুড়ল শহর

    শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির পথে আরও একধাপ। মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকেই এক মেট্রোয় হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারবেন যাত্রীরা। মেট্রো সূত্রে খবর, হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ যেতে যাত্রীদের সময় লাগবে ৩২ মিনিট। আর হাওড়া থেকে ৩০ মিনিট মতো। বাসে যেতে ঘণ্টা দেড়েক লাগত তাই এবার পাতালপথে লাগবে আধ ঘণ্টা। হাওড়া থেকে সেক্টর ফাইভে ভাড়া ২৫ টাকা হওয়ার সম্ভাবনা। এদিকে শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড মেট্রোর সঙ্গে জুড়ে যাওয়ায় প্রথমবারের মতো পুরো যাত্রাপথে ছুটবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। নোয়াপাড়ার সঙ্গে যুক্ত হল দমদম বিমানবন্দর (জয় হিন্দ)। শিয়ালদহের সঙ্গে যুক্ত হল এসপ্ল্যানেড। রুবির (হেমন্ত মুখোপাধ্যায়) সঙ্গে জুড়ল বেলেঘাটা (মেট্রোপলিস)। মোট ১৪ কিলোমিটারের পথ। নোয়াপাড়া থেকে দমদম বিমানবন্দর (জয় হিন্দ স্টেশন) প্রায় ৬.২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটে দুটি ট্রেন চলবে এবং প্রতিটির মধ্যে ১৫ মিনিটের ব্যবধান থাকবে। হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ (ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো পূর্ণাঙ্গভাবে চালু) এই রুট চালু হওয়ায় মাত্র ১২ মিনিটে শিয়ালদহ থেকে হাওড়া পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। রুবি থেকে বেলেঘাটা মেট্রো প্রায় ৪.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই অংশটি চালু হওয়ায় শহরের পূর্ব অংশের যাত্রীদের খুব সুবিধা হবে।

  • PM Modi: “সরকারি কর্মীর চাকরি গেলে মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন কেন?”, প্রশ্ন মোদির

    PM Modi: “সরকারি কর্মীর চাকরি গেলে মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন কেন?”, প্রশ্ন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যদি কোনও সরকারি কর্মচারী ৫০ ঘণ্টা জেলে থাকেন, তাঁর চাকরি চলে যায়। কিন্তু মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও জেল থেকে সরকার চালাতে পারেন!” শুক্রবার ভোটমুখী বিহারের গয়ায় আয়োজিত এক জনসভায় (Jailed Ministers) এমনই মন্তব্যই করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিহারের ওই জনসভা থেকে তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। সরকারি কর্মচারীদের দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “কেন জেলে থাকলে মন্ত্রিত্ব খোয়া যাবে না?” জেল থেকে সরকার চালানোর সাম্প্রতিক নজিরও তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে কারও নাম নেননি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছু দিন আগে আমরা দেখেছি, কীভাবে জেলে বসে ফাইলে সই করা হচ্ছিল। সরকারের নির্দেশিকা কীভাবে জেল থেকে জারি করা হচ্ছিল। নেতারাই যদি এমন আচরণ করেন, তবে আমরা কীভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করব?” তিনি বলেন, “এনডিএ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইন এনেছে। এই আইনের আওতায় প্রধানমন্ত্রীও রয়েছেন।” এর পরেই তিনি বলেন, “যদি কোনও সরকারি কর্মচারী ৫০ ঘণ্টা জেলে থাকেন, তাঁর চাকরি চলে যায়। তা তিনি গাড়ির চালক হোন, কেরানি হোন কিংবা পিয়ন। কিন্তু মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও জেল থেকে সরকার চালাতে পারেন!”

    প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় কারা

    প্রসঙ্গত, আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা না দিয়ে জেলে বসেই সরকার পরিচালনা করেছিলেন তিনি। মাস ছয়েক পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিন পান কেজরিওয়াল। তারপর তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দায়িত্ব তুলে দেন অতীশীর হাতে। প্রধানমন্ত্রী এদিন সেই ঘটনারই ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আগেও দেখেছি, কীভাবে জেল থেকে বসে সরকার চালানো হয়। একের পর এক ফাইলে সই করা হয়। নেতারাই যদি এরকম হন, তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালানো অসম্ভব।” তিনি বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির নৈতিক হওয়া প্রয়োজন। সেই কারণেই আমাদের সরকার এমন একটি আইন আনতে চলেছে, যার নজরদারিতে খোদ প্রধানমন্ত্রীও থাকবেন।”

    উল্লেখ্য, (PM Modi) বুধবার সংসদে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল-সহ আরও দু’টি বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বিলে বলা হয়েছে, কোনও গুরুতর অপরাধে যদি কোনও মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ৩০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত (Jailed Ministers), তাহলে ঠিক ৩১ দিনের মাথায় পদ থেকে সরে যেতে হবে ওই মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi)।

  • PM Modi in Bihar: ‘‘অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে যারা…’’, বিহার থেকেই তৃণমূলকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি মোদির

    PM Modi in Bihar: ‘‘অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে যারা…’’, বিহার থেকেই তৃণমূলকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের জনসভা থেকে অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bihar)। শুক্রবার বঙ্গে আসার আগে গয়ার (Gaya) এক সভা থেকেই মোদি তাঁর ভাষণে বাংলাকে ইঙ্গিত দিয়ে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Infiltrators) দেশ থেকে তাড়ানোর সংকল্পের কথা জানিয়ে দেন। বিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, এরপর খুব শীঘ্রই জাতিগত জনসংখ্যা গণনা দিকে পা বাড়াবে কেন্দ্র।

    দেশের অন্যতম বড় সমস্যা অনুপ্রবেশ

    বিহারের জনসভা থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bihar) বলেন, ‘‘দেশের এক অন্যতম বড় সমস্যা হল অনুপ্রবেশের। বহু জায়গাতেই দ্রুত বদলে যাচ্ছে জনসংখ্যা বিন্যাস। বিশেষ করে বিহারের সীমানা জেলাগুলিতে। আমি চাই না বিহারের তরণ প্রজন্মের উপার্জনের পথ অনুপ্রবেশকারীরা বন্ধ করে দিক। তাই যে সব দল এই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে, তাদের চিনে রাখুন।’’ মোদির কথায়, ‘‘দেশে অবৈধ অভিবাসীদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা উদ্বেগের বিষয়। বিহারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে, জনসংখ্যার চিত্র দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এনডিএ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে অবৈধ অভিবাসীদের আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে দেওয়া হবে না। আমরা অভিবাসীদের বিহারের জনগণের জন্য নির্ধারিত চাকরি কেড়ে নিতে দেব না…।’’

    মানুষকে সজাগ থাকার বার্তা

    বিহারের মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে মোদি (PM Modi in Bihar) বলেন, ‘‘আপনারাও সজাগ থাকবেন যাতে কোনও অনুপ্রবেশকারী আপনাদের হক ছিনিয়ে না নিতে পারে। কোন কোন দল অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষ নিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করুন। ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে কংগ্রেস-আরজেডি সবকিছু করতে পারে। ওরা যে কোনও স্তরে নেমে যেতে পারে। বিহারকে ওদের অশুভ দৃষ্টি থেকে বাঁচাতেই হবে। রাজ্যের মানুষের কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘জনংখ্যা বিন্যাস সংক্রান্ত এই হুমকি মোকাবিলা করার জন্য, আমি একটি জনসংখ্যাতাত্ত্বিক মিশন শুরু করার প্রস্তাব করেছি। এই মিশন শীঘ্রই তার কাজ শুরু করবে। আমরা প্রতিটি অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করব… বিহারের জনগণকে দেশের এই অভিবাসীদের সমর্থকদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে… কংগ্রেস এবং আরজেডি বিহারের জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে চায় এবং তুষ্টির জন্য এবং তাদের ভোট ব্যাংক বাড়ানোর জন্য অভিবাসীদের হাতে তুলে দিতে চায়।’’

    অশ্বত্থ পাতায় মোদিকে স্বাগত

    পশ্চিমবঙ্গ সফরের আগে শুক্রবার বিহারে (Bihar) জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন বিহারের খ্যাতনামা স্যান্ড আর্টিস্ট মধুরেন্দ্র (Sand Artist Madhurendra) এক অভিনব পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। বিহারের গয়া জি-তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে অশ্বত্থ পাতায় (Peepal Leaf) তাঁর ছবি খোদাই করেছেন মধুরেন্দ্র। মোদির সঙ্গে গৌতম বুদ্ধের (Gautam Buddha) প্রতিচ্ছবি এবং দুটি ট্রেনের প্রতিচ্ছবিও রয়েছে। এই অভিনব শিল্পকর্ম দিয়েই গয়ার ঐতিহ্য ও প্রধানমন্ত্রীর সফরকে একসঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করেছেন শিল্পী। সোশ্যাল মিডিয়ায় মধুরেন্দ্র তাঁর ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘গয়া হল শান্তি ও আধ্যাত্মিকতার ভূমি। তাই বুদ্ধমূর্তি ও উন্নয়নের ভাবনাকে একসঙ্গে মিশিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছি।’’

  • Japan: আগামী ১০ বছরে ভারতে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নি করার পরিকল্পনা জাপানের, ঘোষণা কবে?

    Japan: আগামী ১০ বছরে ভারতে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নি করার পরিকল্পনা জাপানের, ঘোষণা কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে ভারত। তার ঠিক আগেই রয়েছে এশিয়া মহাদেশেরই দেশ জাপান (Japan)। সেই জাপান সরকারই আগামী ১০ বছরে ভারতের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন অর্থাৎ ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করার পরিকল্পনা করছে। টোকিও থেকে প্রকাশিত দ্য আসাহি শিম্বুন পত্রিকার প্রতিবেদনেই মিলেছে এই খবর। জানা গিয়েছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২৯ অগাস্ট টোকিওয় বৈঠকের সময় এই নয়া লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করবেন। এই পরিকল্পনা জাপানের বর্তমান লক্ষ্যমাত্রাকে আরও প্রসারিত করবে। ২০২২ সালের মার্চে ভারত সফরের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ভারতে ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন।

    তিন দিনের জন্য জাপান সফরে মোদি (Japan)

    দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে, তাতে এই নয়া বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রার কথা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ২৯ অগাস্ট থেকে তিন দিনের জন্য জাপান সফরে যাবেন। এটি হবে ২০২৩ সালের মে মাসে হিরোশিমায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর তাঁর প্রথম জাপান সফর। জাপানি ব্যবসায়ীরা এরপর থেকে গড়ে প্রতি অর্থবর্ষে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ইয়েন (জাপানি মুদ্রা) ভারতে বিনিয়োগ করেছে। সরকার নয়া লক্ষ্যমাত্রা আপডেট করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ আরও উৎসাহিত করার পরিকল্পনা করছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দুই দেশ যৌথভাবে একটি অর্থনৈতিক নিরাপত্তা উদ্যোগ চালু করার পরিকল্পনাও করছে। এটি হবে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার একটি নতুন কাঠামো, যা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে – যেমন গুরুত্বপূর্ণ উপকরণের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং মূল পরিকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

    অগ্রাধিকার যেসব ক্ষেত্রে

    এই উদ্যোগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মূল খাতগুলিতে, যেমন, সেমিকন্ডাক্টর, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি, ওষুধশিল্প এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সহ বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র। ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ খাতে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহযোগিতা উদ্যোগ গঠন করা হবে। এর পাশাপাশি, ডিজিটাল পার্টনারশিপ ২.০ নামে একটি প্রকল্পও চালু করা হবে, যা উৎপাদনশীলতার বাইরে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসারিত করে উদীয়মান প্রযুক্তি খাত, যেমন সেমিকন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্টার্টআপকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে (Japan)।

    জানা গিয়েছে, জাপান ও ভারত একটি যৌথ বিবৃতি জারি করবে ‘এনার্জি ডায়ালগ’ নিয়ে। এর উদ্দেশ্য হল দুই দেশের সহযোগিতা মজবুত করা, যাতে একইসঙ্গে ডিকার্বনাইজেশন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জন করা যায়। দুই দেশই যৌথ ক্রেডিটিং ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা করতে পারে। এটি (PM Modi) একটি দ্বিপাক্ষিক কাঠামো, যার মাধ্যমে জাপান ও ভারতের মধ্যে তার গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাসকারী প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিয়ে অর্জিত কার্বন নিঃসরণ কমানোর কৃতিত্বকে নিজেদের নির্ধারিত লক্ষ্যপূরণের অংশ হিসেবে গণনা করতে পারবে (Japan)।

  • Swaraj Paul Demise: প্রয়াত অনাবাসী ভারতীয় শিল্পপতি লর্ড স্বরাজ পল, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Swaraj Paul Demise: প্রয়াত অনাবাসী ভারতীয় শিল্পপতি লর্ড স্বরাজ পল, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি লর্ড স্বরাজ পল (Lord Swaraj Paul) ৷ পরিবার সূত্রে খবর,স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লন্ডনে এই অনাবসী ভারতীয় শিল্পপতির জীবনাবসান হয়েছে ৷ দিন কয়েক আগে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ সেখানেই তিনি প্রয়াত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ শোকবার্তা দিয়েছেন ব্রিটেনের সংসদের উচ্চকক্ষে তাঁর সতীর্থ লর্ড ব়্যামি রেঞ্জারও ৷ স্বরাজ পল ব্রিটিশ শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্যাপারো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা

    স্বরাজ পালের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখছেন, ‘শ্রী স্বরাজ পলজির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প এবং জনসেবায় তাঁর অবদান এবং ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রতি তাঁর অটল সমর্থন সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমাদের বহু আলাপচারিতার কথা আমি আন্তরিকভাবে স্মরণ করি। তাঁর পরিবার এবং ভক্তদের প্রতি সমবেদনা। ওম শান্তি।’ এই অনাবাসী শিল্পপতির মৃত্যুতে শোকের ছায়া শিল্পমহলে।

    স্বরাজ পলের জীবনধারা

    ব্রিটেনে তাঁর ব্যবসায়িক জীবনের বিস্তার হলেও স্বরাজ আদতে পাঞ্জাবের জালন্ধরের বাসিন্দা। ১৯৩১ সালে সেখানেই তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। বাবা পেয়ারে লাল ছিলেন ব্যবসায়ী৷ স্টিলের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির কারখানা ছিল তাঁর৷ জলন্ধরে প্রাথমিক পঠনপাঠনের পর উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছিলেন লাহোরে৷ সেখানকার ফরমান খ্রিস্টান কলেজে পড়া শেষ করে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চলে যান আমেরিকা৷ ম্য়াসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ডিগ্রিও পান৷ পড়া শেষে দেশে ফিরে এসে বাবার তৈরি এপিজে গ্রুপে দুই ভাই সত্য পল এবং জিৎ পলের সঙ্গে কাজ শুরু করেন ৷

    ক্যাপারো গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ-এর শুরু

    ১৯৬৬ সালে তাঁর কন্যা অম্বিকার চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনে যান স্বরাজ। তবে অম্বিকাকে বাঁচানো যায়নি। কন্যার মৃত্যুর পর স্বরাজও আর ভারতে ফেরেননি। সেখানেই শুরু করেন নিজের ব্যবসা। প্রতিষ্ঠা করেন ‘ক্যাপারো গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ’। পরে তৈরি করেন অম্বিকা পল ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা৷ শিশুদের চিকিৎসা-সহ নানা ব্যাপারে সাহায্য করে এই সংস্থা৷ দেশ থেকে এত দূরে থাকলেও ভারতের সঙ্গে কোনওদিন মানসিক দূরত্ব বাড়তে দেননি৷ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সুস্পর্কের কথা সর্বজবিদিত৷ ইংল্যান্ড গেলে ভারতের বহু বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতারাই তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন ৷

    সমাজসেবায় যুক্ত

    পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর সংস্থা ক্যাপারোর ৪০টি দফতর আছে ৷ উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে শুরু করে ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যে নিজের দফতর তৈরি করেছিলেন এই প্রয়াত শিল্পপতি ৷ এখন ক্যাপরো ইন্ডিয়ার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁর ছেলে আকাশ পল ৷ শুধু শিল্পপতি হিসেবে নয়, ‘হাউস অফ লর্ডস’-এর সক্রিয় সদস্য হিসাবেও পরিচিত ছিলেন স্বরাজ। বাণিজ্য, শিক্ষা বা নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে তাঁর কাজ সমাদৃত। স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে তাঁর জনহিতকর কাজ বহুল আলোচিত। এক সময় লন্ডন চিড়িয়াখানা বন্ধের কথা ওঠে, সেই সময় অনেকের মতো তা বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বরাজ। লন্ডনে ব্যবসা করলেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি কখনই। ভারত এবং ব্রিটেন মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির জন্য স্বরাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

  • PM Modi: তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে আজ রাজ্যে মোদি, করবেন জনসভাও, রইল প্রধানমন্ত্রীর সম্পূর্ণ সফরসূচি

    PM Modi: তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে আজ রাজ্যে মোদি, করবেন জনসভাও, রইল প্রধানমন্ত্রীর সম্পূর্ণ সফরসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তবে এই সফর পুরোপুরি রাজনৈতিক নয়। দমদমে একটি জনসভায় অংশগ্রহণ এবং একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ পাটনা থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছবেন। সেখান থেকে সড়কপথে তিনি যশোর রোড মেট্রো স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে তিনি মেট্রো রেল-সহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

    বক্তব্য রাখবেন ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’তে

    উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) মেট্রো রেলে করে বিমানবন্দরে যাবেন এবং সেখান থেকে আবার যশোর রোড স্টেশনে ফিরে আসবেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাঁর দমদম (Dumdum) সেন্ট্রাল জেল ময়দানে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ওই সরকারি অনুষ্ঠান শেষ হতেই তিনি বিজেপির ‘পরিবর্তন সংকল্প সভা’-য় বক্তব্য় রাখবেন।

    একনজরে মোদির সফর – ২২ অগাস্ট, শুক্রবার

    বাংলার মাটিতে পা রাখবেন 

    বিকেল ৪:০৫ — কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)

    ৪:১০ — সড়কপথে রওনা হবেন যশোর রোড মেট্রো স্টেশনের উদ্দেশে

    মেট্রো রুট উদ্বোধন

    ৪:১৫ — মেট্রোর নতুন তিনটি রুট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে। এরপর মেট্রো চড়ে যশোর রোড মেট্রো স্টেশন থেকে বিমানবন্দর (জয় হিন্দ স্টেশন) পর্যন্ত যাবেন
    ৪:৩৫ — ওই ট্রেনে চেপেই যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে ফিরে আসবেন

    সরকারি অনুষ্ঠান

    ৪:৪৫ – ৫:১৫ — দমদম সেন্ট্রাল জেল মাঠে প্রশাসনিক মঞ্চে। একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন

    রাজনৈতিক ভাষণ

    ৫:২০ — উঠবেন বিজেপির রাজনৈতিক মঞ্চে (প্রশাসনিক মঞ্চের পাশেই)

    ৫:৩০ – ৬:১৫ — ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’-য় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    সফর শেষ করে ফিরে যাওয়া

    ৬:১৫ — সড়কপথে কলকাতা বিমানবন্দরের (Dumdum) উদ্দেশে রওনা

    ৬:৩০ — দিল্লির উদ্দেশে বিমানে রওনা হওয়ার কথা

    যে তিনটি মেট্রো রুটের উদ্বোধন হচ্ছে:

    শিয়ালদা – এসপ্ল্যানেড

    বেলেঘাটা – হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)

    নোয়াপাড়া – জয় হিন্দ (বিমানবন্দর)

    অতিরিক্ত উদ্বোধন:

    হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়ে-এরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

  • Kolkata Metro: দেড় বছর পর ফের কলকাতা মেট্রোয় সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী, যশোর রোড থেকে যাবেন বিমানবন্দর স্টেশনে

    Kolkata Metro: দেড় বছর পর ফের কলকাতা মেট্রোয় সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী, যশোর রোড থেকে যাবেন বিমানবন্দর স্টেশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের প্রথম বিমানবন্দর সংযোগকারী মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন হতে চলেছে আগামী শুক্রবার। নয়া রুটে মেট্রোয় সওয়ারি হবেন নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২২ অগাস্ট কলকাতায় এসে তিনটি নতুন মেট্রোপথের উদ্বোধন করবেন তিনি। তার মধ্যে একটি রুটে সফর করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। এর আগে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেডের মাঝে মেট্রো চলাচলের সূচনা করে গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেড় বছর পর ফের একবার কলকাতা মেট্রোয় সফর করবেন তিনি। আগামী ২২ তারিখে তিনটি নয়া মেট্রো রুটের পাশাপাশি হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়েরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর সারবেন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সভা।

    এশিয়ার সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ মেট্রো টার্মিনাস

    বিমানবন্দর স্টেশনে ভারতবর্ষ তথা এশিয়ার সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ মেট্রো টার্মিনাস গড়ে উঠেছে। স্টেশনটি ৫৫০ মিটার লম্বা ও ৪১.৬ মিটার চওড়া। এই স্টেশন নির্মাণের সময় ‘এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়া’ বিশেষ কারণে আপত্তি জানিয়েছিল। কারণ, সেই সময়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী স্টেশনটি হওয়ার কথা ছিল মাটির উপর। তাছাড়া, বিমানবন্দরের এত কাছে স্টেশনের বিশাল নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে মাটির নীচেই মেট্রো স্টেশন তৈরির অনুমোদন মেলে। বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিং থেকে ১৫০ মিটার দূরে গড়ে উঠেছে দেশের গভীরতম এই অত্যাধুনিক মেট্রো স্টেশন। এই পথ সাবওয়ের মাধ্যমে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ‘মুভিং ওয়াকওয়ে’র মাধ্যমে যাত্রীরা সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, গত বছর ৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় গঙ্গার তলদেশ দিয়ে মেট্রো সফর করেছিলেন। ওই অংশে যাত্রী পরিষেবা শুরু হয়েছিল সেই বছর ১৫ মার্চ।

    প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি…

    শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে প্রথমে যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে পৌঁছবেন। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি তিনটি মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করবেন। এরপর প্রথম ট্রেনটিতে করে নিজেই যশোর রোড স্টেশন থেকে বিমানবন্দর বা জয়হিন্দ স্টেশন পর্যন্ত যাবেন। তারপরে জয়হিন্দ স্টেশন থেকে আবার মেট্রোয় করেই যশোর রোড স্টেশনে ফিরবেন। সেখান থেকে সড়কপথে দমদম সেন্ট্রাল জেল ময়দানে যাবেন। ওই মাঠেই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক সভা।

    ৪৩টি রেল প্রকল্প আটকে, রাজ্যের জমি-নীতিকে দুষলেন শমীক

    অন্যদিকে, রাজ্যে ৪৩টি রেল প্রকল্প আটকে থাকার কথা জানিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণও করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘সেক্টর ফাইভের সঙ্গে কলকাতার সংযোগ শুধু চিংড়িঘাটার জন্য বন্ধ হয়ে রয়েছে। আমার সঙ্গে ওখানকার স্থানীয় বিধায়ক এবং মন্ত্রী সুজিত বসুর কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে, রাস্তার এ পার পর্যন্ত যা হয়েছে, সেটা তাঁর দায়িত্ব। ওখানে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বাকি অংশের ক্ষেত্রে দমকলমন্ত্রী তাঁর অপাগরতার কথাও জানিয়েছেন।’’ এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ব্যর্থ নীতির তীব্র সমালোচনা করেন শমীক। বলেন, ‘‘একটা রাজ্যের যদি কোনও নির্দিষ্ট জমি নীতি না থাকে, একটি সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই যদি ঘোষণা করে যে আমরা এক বর্গফুট জমিও নতুন করে অধিগ্রহণ করব না, তা হলে পরিণতি কী হতে পারে তা আমরা রেলের প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে গিয়েই বুঝতে পারছি।’’

LinkedIn
Share