Tag: PM Modi

PM Modi

  • India-China Relation: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করেই ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতি’, ওয়াংকে বার্তা মোদির

    India-China Relation: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করেই ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতি’, ওয়াংকে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেবে নয়া দিল্লি ও বেজিং (India-China Relation)। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Chinese Foreign Minister Wang Yi) মুখোমুখি বৈঠকে বসেন। সেখানে সীমান্ত সমস্যার সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে বলে খবর। পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করেই ভারত-চিন সম্পর্ক ইতিবাচক পথে এগোচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। ওয়াং ই-ও একই অভিমত ব্যক্ত করেন।

    ভারত ও চিনের সম্পর্কের ‘উন্নতি’তে বড় পদক্ষেপ

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্ত-বিরোধ (India-China Relation) মেটাতে উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা করে একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধান খোঁজা হবে। সেই লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হবে। তারা সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেবে। কীভাবে দুই দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা মেটানো যায়, সেটা নিয়ে পরামর্শ দেবে ওই কমিটি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কাজান সম্মেলনে যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছিল, তা বর্তমানে বাস্তবায়নের পথে। ২৩তম আলোচনার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। এবার ২৪তম বিশেষ প্রতিনিধি বৈঠকে সীমান্তে শান্তি রক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ২০০৫ সালের সীমান্ত চুক্তির ভিত্তিতেই ন্যায্য, যুক্তিসঙ্গত ও পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানের খসড়া তৈরি হবে।

    সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু

    ভারতের জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দেশ (India-China Relation) খুব শীঘ্রই সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করবে। তিন বছর পর ভারতে সফরে এসেছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গালওয়ান সংঘর্ষ-পরবর্তী বরফ গলতে শুরু করেছে। আগামী ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদির চিন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। আগামী সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণপত্র ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদিক হাতে তুলে দেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন মোদি। মনে করা হচ্ছে, এই দ্বিপাক্ষিক সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন দিশা দেখাবে।

    কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা

    ভারত-চিন (India-China Relation) বৈঠকে ঠিক হয়, কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার পরিধি বাড়ানো হবে। যার ফলে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রীদের আর ঘুরপথে তীর্থক্ষেত্রে যেতে হবে না। আরও বেশি ভারতীয় তীর্থযাত্রী সহজে কৈলাসের পাদদেশে যেতে পারবেন। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সীমান্ত বাণিজ্যও ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লিপুলেখ পাস, শিপকিলা এবং নাথুলা, এই তিনটি নির্দিষ্ট রুট দিয়ে আবারও সীমান্ত বাণিজ্য শুরু হবে। উল্লেখ্য, লিপুলেখ পাস, শিপকি লা এবং নাথুলা দিয়ে মশলা, বৈদ্যুতিক সামগ্রী থেকে শুরু করে কার্পেট, পশম, ভেষজ উদ্ভিদ-সহ বিভিন্ন পণ্যের বাণিজ্য হয়। লেনদেন হয় প্রায় কয়েক লক্ষ ডলারের।

    সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার উপর জোর

    মঙ্গলবার দু’দিনের ভারত (India-China Relation) সফরের দ্বিতীয় তথা শেষ দিনে মোদির বাসভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উপর জোর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি গুরুত্ব দিয়েছেন, সীমান্ত সমস্যার ‘ন্যায্য, যুক্তিসঙ্গত এবং পারস্পরিক ভাবে গ্রহণযোগ্য’ সমাধানের প্রতি। ওয়াংকে বলেছেন, ভারত প্রতিশ্রুতি পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন শুল্কযুদ্ধের আবহে মোদি-ওয়াংয়ের এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। ভারত সফরে এসে সোমবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ওয়াং। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।

    মোদির বার্তা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা

    করোনা আবহে ২০২০ সালে চিনের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দেয় ভারত (India-China Relation)। এর মধ্যে লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষের জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধই ছিল। শুধু তাই নয়, ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরও অবনতি হয়। তবে গত এক বছরে বদলেছে সম্পর্কের সমীকরণ। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক সম্পর্কে বলেন,“ওয়াং ইয়ের সাথে দেখা করতে পেরে আনন্দিত। গত বছর কাজানে রাষ্ট্রপতি শি (জিনপিং) এর সাথে আমার সাক্ষাতের পর থেকে, ভারত-চিন সম্পর্ক পারস্পরিক স্বার্থ এবং সংবেদনশীলতার প্রতি শ্রদ্ধার দ্বারা পরিচালিত হয়ে স্থিতিশীল অগ্রগতি অর্জন করেছে। এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তিয়ানজিনে আমাদের পরবর্তী বৈঠকের জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। ভারত ও চিনের মধ্যে স্থিতিশীল, ভাবা যায় এমন, গঠনমূলক সম্পর্ক আঞ্চলিক এবং বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।”

  • Kolkata Metro: মোদির হাত ধরে পুজোর আগেই মেট্রোপথে জুড়ছে শিয়ালদা-হাওড়া, কতটা লাভবান হবেন নিত্যযাত্রীরা?

    Kolkata Metro: মোদির হাত ধরে পুজোর আগেই মেট্রোপথে জুড়ছে শিয়ালদা-হাওড়া, কতটা লাভবান হবেন নিত্যযাত্রীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গবাসীকে দুর্গাপুজোর বড় উপহার দিতে আগামী শুক্রবার ফের বঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যেমন তেমন কোনও উপহার নয়, ঐতিহাসিক উপহার। নয়া তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতেই আগামী ২২ তারিখ কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন দমদমে প্রশাসনিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেখান থেকেই নয়া তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনটি নতুন পাতালরেল রুট হল— রুট তিনটি হল শিয়ালদা-এসপ্লানেড (২.৪৫ কিলোমিটার), নোয়াপাড়া-জয়হিন্দ বিমানবন্দর (৬.৭৭ কিলোমিটার), হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)-বেলেঘাটা (৪.৩৯ কিলোমিটার)।

    মেট্রোপথে জুড়ে যাচ্ছে শিয়ালদা-হাওড়া

    বলা বাহুল্য, এই তিনটি রুট চালু হলে শহরের উত্তর, মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ ও দ্রুত হবে। এই তিনটে রুটের মধ্যে আবার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড রুটটি। এটি মেট্রোর গ্রিন লাইন হাওড়া ময়দান-সেক্টর ৫ রুটের একটি অংশ। মোদির হাত ধরে এই রুটের ২টি অংশ জুড়বে আগামী ২২ তারিখ। এতদিন গ্রিন লাইন ১-এর অন্তর্গত সেক্টর ৫ থেকে শিয়ালদা এবং গ্রিন লাইন ২-এর অন্তর্গত হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত বিভক্তভাবে চালু ছিল মেট্রো। মাঝে এসপ্লানেড ও শিয়ালদার মধ্যে সংযোগ ছিল না। ২২ তারিখ সেটাই হয়ে যাবে। ফলে, (মেট্রো) রেল পথে জুড়ে যাবে হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশন। শিয়ালদা-এসপ্লানেড রুট চালু হলে প্রায় ১ ঘণ্টার রাস্তা পার করা যাবে ১১ মিনিটে। এই দুই স্টেশনেই সহজে যেতে পারবেন রেলযাত্রীরা। মোট ১৫.৬৬ কিলোমিটার পথে চলবে মেট্রো। এই রুটে ৮ মিনিট অন্তর মেট্রো চলবে বলে জানা যাচ্ছে।

    আরও সহজে বিমানবন্দর…

    অন্যদিকে, নোয়াপাড়া-এয়ারপোর্ট মেট্রো রুট চালু হলেও উপকৃত হবেন রেলযাত্রীরা। নোয়াপাড়া থেকে কলকাতা বিমানবন্দর বা জয় হিন্দ মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত যে রুট চালু হবে, সেটি অতিক্রম করবে প্রায় ৬.২৫ কিলোমিটার। মেট্রো সূত্রে খবর, এই রুটে চলা দুটি ট্রেনের মধ্যে সম্ভাব্য সময়ের ফারাক থাকবে ১৫ মিনিট। সম্পূর্ণ নতুন সাজে সেজে উঠেছে এটি। ভূগর্ভস্থ নির্মাণে তৈরি এই স্টেশনকে ইতিমধ্যেই এশিয়ার অন্যতম বড় মেট্রো স্টেশন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। মুম্বই, দিল্লি, লখনউ ও চেন্নাইয়ের পর কলকাতা হল ভারতের পঞ্চম শহর, যেখানে বিমানবন্দরের সঙ্গে সরাসরি মেট্রো পরিষেবা যুক্ত হচ্ছে। এই রুটে নোয়াপাড়া ও এয়ারপোর্ট ছাড়া রয়েছে দুটি স্টেশন- যশোর রোড ও দমদম ক্যান্টনমেন্ট। ঠিক যেভাবে শিয়ালদা আর দমদমে রেল স্টেশনের সংযোগকারী মেট্রো স্টেশন রয়েছে, সেভাবেই আরও দমদম ক্যান্টনমেন্টেও সংযোগকারী মেট্রো স্টেশন তৈরি হবে। শহরের দক্ষিণ থেকে বিমানবন্দর যেতে গেলে আর পোহাতে হবে না বাইপাস ও ভিআইপি রোডের জ্যামের ঝক্কি। সরাসরি ব্লু লাইন (কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর) রুটের মেট্রো ধরে নোয়াপাড়ায় নেমে লাইন বদলে ইয়েলো লাইন ধরে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে বিমানবন্দর। নোয়াপাড়া স্টেশনটি ইন্টারচেঞ্জিং হবে।

    বিকল্প পথে শিয়ালদা…

    আবার, অরেঞ্জ লাইনে নিউ গড়িয়া (কবি সুভাষ) থেকে রুবি (হেমন্ত মুখোপাধ্যায়) পর্যন্ত মেট্রো চালু রয়েছে। এবার সেই রুটই বিস্তৃত হচ্ছে বেলেঘাটা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে নিউ গড়িয়া থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত মেট্রো চলবে এবার। মোট ৯.৭৯ কিলোমিটার পথ। এই রুটে ২০ মিনিট অন্তর মেট্রো চলবে বলে জানা যাচ্ছে। বেলেঘাটা ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় জুড়ে গেলে, বেলেঘাটা থেকে যাত্রীরা সোজা কবি সুভাষ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারবেন। আর কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের সঙ্গে যোগ রয়েছে নিউ গড়িয়া রেল স্টেশনের। অর্থাৎ শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার সঙ্গে সরাসরি জুড়ে যাবে মেট্রো স্টেশন। ফলে, যাত্রীরা মেট্রোতে চেপে পৌঁছে যেতে পারবেন স্টেশনে। তবে, বর্তমানে ব্লু লাইনের প্রান্তিক কবি সুভাষ স্টেশন বন্ধ। যাতায়াত হবে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন অবধি।

    আশায় নিত্যযাত্রীরা

    রুটের নিত্যযাত্রীরাও আশায় আছেন এই রুট নিয়ে। এবার মেট্রোর তরফ থেকে জানানো হল যে নতুন রুটগুলি চালু হলে ঠিক কতটা সুবিধা হবে লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন নিজের কর্মস্থলে। কিন্তু স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছতে যে যানজটের যন্ত্রণা পেরতে হয়, সেই সমস্যার কিছুটা সুরাহা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, শুধুমাত্র নিত্যযাত্রীরাই নন, এই মেট্রো চালু হলে পুজোর দর্শণার্থীদেরও বিশেষ সুবিধা হবে। রাস্তার যানজটও অনেকটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    নতুন রুটে ভাড়া কেমন?

    নতুন ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী, ন্যূনতম ভাড়া রাখা হয়েছে মাত্র ৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ৭০ টাকা। উদাহরণস্বরূপ, বিমানবন্দর থেকে যশোর রোড যেতে খরচ হবে ৫ টাকা, আর নোয়াপাড়া যেতে দিতে হবে ২০ টাকা। একইভাবে, বিমানবন্দর থেকে চাঁদনি চক বা এসপ্ল্যানেড যেতে খরচ হবে ৪০ টাকা। কবি সুভাষ পর্যন্ত পৌঁছতে ভাড়া ৪৫ টাকা। এয়ারপোর্ট থেকে শিয়ালদা যেতে খরচ হবে সর্বাধিক ৫০ টাকা। বিমানবন্দর থেকে হাওড়া যেতে যাত্রীদের দিতে হবে ৫০ টাকা। রুবি মোড় (হেমন্ত মুখোপাধ্যায়) যেতে গুনতে হবে ৬৫ টাকা। আর বিমানবন্দর থেকে সেক্টর ফাইভ বা করুণাময়ী পর্যন্ত যাত্রার জন্য সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ টাকা।

  • GST Reforms: মোদি সরকারের জিএসটি সংস্কার, লাভবান হবে মধ্যবিত্ত, কোন কোন পণ্যের দাম কমতে পারে?

    GST Reforms: মোদি সরকারের জিএসটি সংস্কার, লাভবান হবে মধ্যবিত্ত, কোন কোন পণ্যের দাম কমতে পারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির আগেই জিএসটি সংস্কারের ইঙ্গিত মিলেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এক্ষত্রে উল্লেখ করা দরকার বর্তমানে জিএসটি-র (GST Reforms) পাঁচটি স্তর রয়েছে। এগুলি হল ০, ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮ শতাংশ। সূত্রের খবর, এই পাঁচ স্তর প্রধানত দু’টিতে কমিয়ে আনা হতে পারে। থাকতে পারে কেবল ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ জিএসটি। জানা যাচ্ছে, সিগারেট, পানমশলার মতো ক্ষতিকর পণ্যে ৪০ শতাংশ জিএসটি প্রযোজ্য হতে পারে। এই একই জিএসটি লাগু হতে পারে অনলাইন গেমিং-এর ক্ষেত্রেও। এই পদক্ষেপ সরকারের তরফে কর হারগুলিতে স্থিতিশীলতা আনতে এবং ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট সংক্রান্ত জটিলতা দূর করার উদ্দেশ্যেই নেওয়া হয়েছে।বর্তমানে ১০ লক্ষেরও বেশি পণ্য জিএসটি-র আওতায় রয়েছে। নতুন এই জিএসটি সংস্কার সাধারণ মানুষের জন্য সরাসরি উপকার বয়ে আনবে।

    কোন কোন পণ্যের দাম কমতে পারে (GST Reforms)?

    বর্তমানে ছোট গাড়ি ও ২৫০ সিসি পর্যন্ত দু’চাকার গাড়ির উপর ২৮ শতাংশ হারে জিএসটি বসে। নতুন প্রস্তাবে তা কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হতে পারে। এছাড়াও, এয়ার কন্ডিশনার, ৩২ ইঞ্চি পর্যন্ত টেলিভিশন, ডিশওয়াশার প্রভৃতি পণ্যের দামও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সিমেন্টের উপরও কর কমিয়ে ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনা যেতে পারে, যেখানে বর্তমানে ২৮ শতাংশ কর আরোপিত হয়। এর ফলে নির্মাণ খরচ হ্রাস পেতে পারে। স্বাস্থ্য ও জীবন বিমার প্রিমিয়ামের ওপরও জিএসটি (GST Reforms) হ্রাসের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে তা ৫ শতাংশ করা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে কর হার শূন্য করার সম্ভাবনাও রয়েছে।

    ১২ শতাংশ জিএসটি নামবে ৫ শতাংশে, ২৮ শতাংশ নামবে ১৮ শতাংশে

    বর্তমানে যেসব পণ্যে ১২ শতাংশ জিএসটি প্রযোজ্য, সেগুলির ৯৯ শতাংশই ৫ শতাংশ করের আওতায় আসতে পারে। আর যেসব পণ্যে বর্তমানে ২৮ শতাংশ কর বসে, তার ৯০ শতাংশেই করহার কমে ১৮ শতাংশে নামবে। এর ফলে, একদিকে যেমন জিনিসপত্রের দাম কমবে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের কাছে কর কাঠামো আরও সহজবোধ্য হয়ে উঠবে। যেমন, সিমেন্ট, এসি, টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিনের মতো প্রায় ৯০ শতাংশ পণ্য, যেগুলির উপর এখন ২৮ শতাংশ জিএসটি প্রযোজ্য, সেগুলি ১৮ শতাংশ করস্ল্যাবে স্থান পাবে। অর্থাৎ, এই পণ্যগুলির দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমে যেতে পারে (GST Reforms)।

    উদহরণস্বরূপ বলা যায়-

    • ৩৫০ টাকার সিমেন্টের ব্যাগ ২৮ টাকা সস্তা হতে পারে
    • ৮০ হাজার টাকার টিভি ৮ হাজার টাকা কমে যেতে পারে
    • ৪০ হাজার টাকার ফ্রিজ ৪ হাজার টাকা কমবে
    • প্রতি কেজি ১০০০ টাকার মিষ্টির দাম ৭০ টাকা কমে যেতে পারে

    ৭ শতাংশ পর্যন্ত সস্তা হয়ে যাবে এই সমস্ত পণ্য

    ড্রাই ফ্রুট, ব্র্যান্ডেড নোনতা খাবার, টুথ পাউডার, টুথপেস্ট, সাবান, চুলের তেল, সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক, প্রক্রিয়াজাত খাবার, হিমায়িত শাকসবজি, কনডেন্সড মিল্ক, কিছু মোবাইল ও কম্পিউটার, সেলাই মেশিন, প্রেসার কুকার, গিজার, নন-ইলেকট্রিক ওয়াটার ফিল্টার, ইলেকট্রিক ইস্ত্রি, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, এক হাজার টাকার উপরের তৈরি পোশাক, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার জুতো, বেশিরভাগ টিকা, এইচআইভি/টিবি ডায়াগনস্টিক কিট, সাইকেল, বাসনপত্র, জ্যামিতি বক্স, মানচিত্র, গ্লোব, গ্লাসড টাইলস, প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড ভবন, ভেন্ডিং মেশিন, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যানবাহন, কৃষিযন্ত্রপাতি, সোলার ওয়াটার হিটার ইত্যাদির উপর জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হবে। ফলে, এই সব পণ্যও গড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সস্তা হয়ে যাবে।

    ‘ক্ষতিকর’ বিভাগের পণ্য, সামাজিক নীতি মেনেই করা হয়েছে

    কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ‘ক্ষতিকর’ বিভাগে কোন কোন পণ্য থাকবে, তা দেশের সামাজিক নীতির কথা চিন্তা করে স্থির করেছে সরকার। সূত্রের খবর, অনলাইন গেমিং ছাড়াও এই বিভাগে রাখা হতে পারে পানমশলা, সিগারেট, বিলাসবহুল গাড়ি, এসইউভি-কে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, বর্তমানে অনলাইন গেম থেকে সরকার ২৮ শতাংশ শুল্ক নেয়, যা সর্বোচ্চ। অর্থাৎ নয়া নিয়ম কার্যকর হলে, অনলাইন গেমিংয়ের মাধ্যমে যাঁরা অর্থ রোজগার করেন, তাঁদের ৪০ শতাংশ কর দিতে হতে পারে।

    জিএসটি সংস্কার নিয়ে কী বলছেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, জিএসটি কাঠামো সংস্কারের উদ্দেশ্যে গত ছ’মাস ধরেই কাজ করে চলেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। জানা যাচ্ছে, সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে নতুন জিএসটি কাঠামো চালু করে দিতে পারে মোদি সরকার। নতুন নিয়ম চালু হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিস সস্তা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন (Good Governance)। তিনি গত শুক্রবার লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বলেছেন, ‘‘এ বারের দীপাবলি আমি আপনাদের জন্য দ্বিগুণ আনন্দের করে দিচ্ছি। এই দীপাবলিতে দেশবাসী একটি বড় উপহার পাবেন। আমরা নতুন প্রজন্মের জিএসটি সংস্কার আনছি। এর ফলে সারা দেশে করের বোঝা কমবে। দীপাবলির আগে এটাই হবে উপহার (Good Governance)।” নতুন জিএসটি কাঠামোর খসড়া ইতিমধ্যে রাজ্যগুলির কাছেও পাঠিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার। রাজ্য সরকারগুলিকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

  • Putin Modi Talk: আলাস্কার বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, ফোনে বন্ধু মোদিকে বললেন পুতিন

    Putin Modi Talk: আলাস্কার বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, ফোনে বন্ধু মোদিকে বললেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। সেই বৈঠকে ঠিক কী কথা হয়েছে, ফোন করে তা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের এই বিষয়টি নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে এই বিষয়টি জানানোর জন্য পুতিনকে  ধন্যবাদ দিয়েছেন মোদি। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথাও প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    সমাজ মাধ্যমে পোস্ট মোদির (PM Modi)

    এক্স পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) পুতিনকে বন্ধু হিসাবে উল্লেখ করে লেখেন, ‘‘সম্প্রতি আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর (পুতিন) বৈঠকের বিষয়বস্তু আমার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’’ মোদি আরও জানিয়েছেন, ভারত ধারাবাহিক ভাবে ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়ে এসেছে। যুদ্ধ বন্ধের সকল প্রচেষ্টাকে ভারত সমর্থন করে বলেও জানিয়েছেন মোদি।

    কথা দুই দেশের সম্পর্ক নিয়েও

    জানা যাচ্ছে, আলাস্কার বৈঠক বা ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গই নয়, মোদি এবং পুতিনের (Putin) মধ্যে এই কথোপকথনের মধ্যে উঠে এসেছে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়েও একাধিক প্রসঙ্গ। ভ্লাদিমির পুতিন এবং নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া ও ভারতের সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।

    ১৫ অগাস্ট আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, গত ১৫ অগাস্ট আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বৈঠকের দিকে নজর ছিল ভারতেরও, কারণ সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হুঁশিয়ারি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের ওপর শুল্কও বৃদ্ধি করেন তিনি।

    বৈঠক নিয়ে কী জানিয়েছিলেন ট্রাম্প

    বৈঠকের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন যে, এই বৈঠক হতে চলেছে মূলত রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সংঘাত থামানোর বিষয়ে। কিন্তু অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই মনে করেছিলেন যে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার প্রসঙ্গ উঠতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের এই বৈঠকে। প্রসঙ্গত, আলাস্কায় গত ১৫ অগাস্ট এই বৈঠক ৩ ঘণ্টা ধরে চলে। জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকে রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কোনও সমাধানসূত্রই বের করা যায়নি। কিন্তু বৈঠকের পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট দুজনেই বলেন বৈঠক ফলপ্রসূ।

    বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে ভারত

    অন্যদিকে, গত শনিবারে ভারত আলাস্কায় রাশিয়া এবং আমেরিকার এই বৈঠকে স্বাগত জানায়। এ নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে বিবৃতি আসে যে, ভারত স্বাগত জানাচ্ছে আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin) এই বৈঠককে।

    ট্রাম্পের সুর নরম

    প্রসঙ্গত রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে শুল্ক চড়িয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপরে। তবে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্পের সুর কিছুটা নরম বলেই মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। কারণ, ওই বৈঠকের পরে তিনি বলেন, “আজ যা হল, আশা করি এর পর আর ওটা (শুল্ক) নিয়ে ভাবতে হবে না। তবে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হয়তো ওটা নিয়ে আমাকে আবার ভাবতে হবে। এখন কিছু নয়। আমার মনে হয়, বৈঠক খুব ভালো হয়েছে।’’

  • Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেয়েও ২২ অগাস্টের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মমতা, ভোট ব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়ে?

    Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেয়েও ২২ অগাস্টের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মমতা, ভোট ব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন। সৌজন্য দেখিয়েছে কেন্দ্রও। তবে ‘পাছে লোকে কিছু বলে’! তার ওপর আবার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করার খেসারত দিতে হতে পারে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে। তাই ডাক পেয়েও ২২ অগাস্ট কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্তত সূত্রের খবর এমনই। এদিন দমদমে মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আগেই চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ১৪ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা আমন্ত্রণপত্রে রেলমন্ত্রী লিখেছেন, “যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে আয়োজিত কর্মসূচিতে আপনাকে উপস্থিত থাকার জন্য আমরা বিনীতভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”

    যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)

    তৃণমূল সূত্রে খবর, বেশ কিছু রাজনৈতিক ও প্রাসঙ্গিক কারণেই এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, শুক্রবার গ্রিন লাইনের শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড অংশ, অরেঞ্জ লাইনের হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি ক্রসিং)- বেলেঘাটা অংশ এবং ইয়োলো লাইনের নোয়াপাড়া-জয়হিন্দ বিমানবন্দর (বিমানবন্দর) অংশে মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একই সঙ্গে তিন মেট্রো লাইনের উদ্বোধন এবং তার সময় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল। তাদের দাবি, আগামী বছরের গোড়ার দিকে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করা হচ্ছে। যদিও রাজ্য বিজেপির তরফে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ। তারা মেট্রো প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করতে দেরি হওয়ার জন্য দায়ী করেছে রাজ্য সরকারকে।

    শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যা এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতার অভাবের কারণেই ইস্ট-ওয়েস্ট (গ্রিন লাইন)-সহ বাংলায় ৪৩টি রেল প্রকল্প বিলম্বিত হয়েছে। এই কারণে চিংড়িঘাটায় অরেঞ্জ লাইনের নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তা না হলে এটিও এতদিনে সল্টলেক সেক্টর-৫ এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যেত।” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার পরেও কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করতে চাইছেন না মমতা? এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। আসুন, একে একে জেনে নিই সেগুলি (Mamata Banerjee)।

    ‘ইন্ডি’ জোটেই রয়েছে মমতার দল

    প্রথমত, গত লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে বিপাকে পড়েছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ তথা এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’র সদস্য তাঁর দল (PM Modi)। এই ‘ইন্ডি’ জোটেই রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসও। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে ফের ‘ইন্ডি’ জোটের সদস্য দলগুলির সমালোচনার মুখে পড়তে চাননি মমতা। দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে উপস্থিত থাকার পরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে তিনি আর বিভিন্ন রেলপ্রকল্প নিয়ে ‘গালগপ্পো’ করতে পারবেন না। বরং প্রধানমন্ত্রীর সভায় অনুপস্থিত থাকলে ভোট প্রচারে বেরিয়ে বুক বাজিয়ে তিনি বলতে পারবেন, এসব প্রকল্পই আমার করা। এতদিনে রূপায়ণ করা হচ্ছে। প্রচারে ফের একবার নিজের ঢাক নিজেই পেটাতে পারবেন মমতা।

    নজরুল মঞ্চে অসন্তোষ

    তৃতীয়ত, এর আগে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের আচরণ সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর। রাগ সামলাতে না পেরে মঞ্চেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ফের যাতে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করবেন না তিনি। চতুর্থত, মমতার প্রশাসনিক সভায় আজ পর্যন্ত ঠাঁই হয়নি কোনও বিরোধী জনপ্রতিনিধির। পাছে কোনও অপ্রিয় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, তাই আমন্ত্রণ জানানো হয় না তাঁদের (PM Modi)। ওয়াকিবহালের মতে, প্রধানমন্ত্রীর সভায় মমতার অনুপস্থিত থাকার এটাও একটা কারণ (Mamata Banerjee)।

    ভোটব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়

    সর্বোপরি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলে ছাব্বিশের নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের বিরাগভাজন হতে হতে পারে মমতাকে। ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে তিল তিল করে মুসলিম-প্রীতির যে মুখোশ তিনি তৈরি করেছেন এবং পরেও রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলে পাছে তা খসে যায়, তাই আমন্ত্রণ পেয়েও (PM Modi) রেলের ওই অনুষ্ঠানে হাজির না হওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)।

    ‘সত্য সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ’!

  • Wang Yi: সরকারি সফরে ভারতে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই, সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    Wang Yi: সরকারি সফরে ভারতে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই, সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-আমেরিকা শুল্ক-যুদ্ধের আবহেই সোমবার সরকারি সফরে ভারতে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Wang Yi)। তিন দিনের সফরে আসছেন তিনি। ১৯ অগাস্ট মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। তার আগে, সোমবার বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং পরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও বৈঠক করবেন ওয়াং ই।

    অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক (Wang Yi)

    বিদেশমন্ত্রকের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়াং ই-র কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক ২৪তম বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক। এই আলোচনায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিস্তৃত ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। সোমবার তিনি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন, যেখানে আলোচনা হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে। অজিত ডোভালের সঙ্গে তাঁর বৈঠক নির্ধারিত হয়েছে মঙ্গলবার সকালে। এদিন বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ৭, লোককল্যাণ মার্গে তাঁর সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করবেন বলে বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত সূচিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি

    গতকাল এক বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, “ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের আমন্ত্রণে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী মহামান্য ওয়াং ই ১৮-১৯ অগাস্ট ২০২৫ তারিখে ভারত সফর করবেন। এই সফরে তিনি ভারতের বিশেষ প্রতিনিধি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডোভালের সঙ্গে ভারত-চিন সীমান্ত প্রশ্নে ২৪তম বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও ওয়াং ই-র (Wang Yi) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।” প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি মূল প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি, তবে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং এক্স হ্যান্ডেলে এই সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, “১৮ থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সিপিসি সেন্ট্রাল কমিটির পলিটব্যুরোর সদস্য, বিদেশমন্ত্রী এবং চিন-ভারত সীমান্ত প্রশ্নে চিনের বিশেষ প্রতিনিধি ওয়াং ই ভারতে সফর করবেন। ভারতের আমন্ত্রণে তিনি চিন ও ভারতের বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে সীমান্ত প্রশ্নে ২৪তম দফা বৈঠকে অংশ নেবেন।”

    কেন ওয়াং-এর সফর গুরুত্বপূর্ণ?

    চিনা বিদেশমন্ত্রীর এই সফরের সময় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুরু করা শুল্ক-যুদ্ধের জন্য নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে। আমেরিকার জারি করা উচ্চ শুল্ক ব্যবস্থার ফলে ভারতের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে। ভারত-চিনের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলেছে সাম্প্রতিককালে। কাছাকাছি আসছে দুদেশ। কয়েকদিন আগে, দুই দেশের মধ্য়ে সরাসরি বিমান পরিষেবা, ভিসা সরলীকরণ এবং কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।  ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই সফরকে ভারত-চিন সম্পর্ক স্থিতিশীল করার চলমান প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) আসন্ন চিন সফরের আগে (Wang Yi)।

  • CP Radhakrishnan: সংঘ পরিবারের সাধারণ কর্মী থেকে এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ

    CP Radhakrishnan: সংঘ পরিবারের সাধারণ কর্মী থেকে এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজ্যপাল শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণকে (CP Radhakrishnan) উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। রবিবার, ১৭ অগাস্ট এই ঘোষণা সামনে এসেছে এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই ঘোষণা করেন একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে। এনডিএ-র সংসদীয় দলের সংসদীয় বোর্ডের মিটিং সম্পন্ন হওয়ার পরেই তিনি এই ঘোষণা করেন তিনি।

    শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ৪ মে

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের পুরো নাম হল চন্দ্রপুরম পন্নুস্বামী রাধাকৃষ্ণণ (CP Radhakrishnan)। তাঁকে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল করা হয় ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হওয়ার আগে তিনি ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও তেলঙ্গানার রাজ্যপাল হিসেবে এবং পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ৪ মে, তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরে। এর পরে তিনি পড়াশোনা করেন তুতিকোরিনের ভিও চিদাম্বরম কলেজে এবং সেখান থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক হন।

    তিনি দুবার কোয়েম্বাটুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন

    তিনি একজন ভূমিস্তরের কর্মকর্তা হিসেবে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। তারপরে ধীরে ধীরে নিজের দক্ষতা ও প্রতিভার জোরেই তিনি উপরে উঠতে থাকেন। তিনি দুবার কোয়েম্বাটুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জানা যায়, ভারতীয় জনসংঘের সঙ্গেই তার প্রথম রাজনৈতিক যোগাযোগ শুরু হয় এবং জনসংঘের রাজ্য কমিটির একজন সদস্য হন, যা ছিল বর্তমান বিজেপির পূর্বসূরি। ১৯৭৪ সালে তিনি জনসংঘের রাজ্য কমিটির সদস্য হন। জনসংঘে যোগদানের আগে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) স্বয়ংসেবক ছিলেন বলেও জানা যায়।

    ১৯৯৬ সালে সিপি রাধাকৃষ্ণণ তামিলনাড়ু বিজেপির সম্পাদক হন

    ১৯৯৬ সালে সিপি রাধাকৃষ্ণণ তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) বিজেপির সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এরপরেই তিনি লোকসভার সাংসদ হন (CP Radhakrishnan) কোয়েম্বাটুর থেকে ১৯৯৮ সালে। পরে, ১৯৯৯ সালেও তিনি পুনরায় সাংসদ পদে নির্বাচিত হন। সংসদে থাকাকালীন তিনি পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলান এবং একই সঙ্গে পার্লামেন্টারি কমিটি ফর পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস ও স্পেশাল কমিটি অন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য স্টক এক্সচেঞ্জ-এর সদস্যও ছিলেন।

    ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল তামিলনাড়ু বিজেপির সভাপতি

    ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত রাধাকৃষ্ণণকে (CP Radhakrishnan) দায়িত্ব দেওয়া হয় তামিলনাড়ুর রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসেবে। এই সময়ে তিনি ৯৩ দিনব্যাপী একটি রথযাত্রা কর্মসূচি গ্রহণ করেন, যা প্রায় ১৯,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল। এই রথযাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতের সমস্ত নদীগুলোর সংযোগ সাধন, সন্ত্রাসবাদ দমন, ‘এক দেশ এক আইন’ বাস্তবায়ন, অস্পৃশ্যতা নির্মূল এবং মাদকবিরোধী সচেতনতা গড়ে তোলা।

    কোচির নারকেল বোর্ডের চেয়ারম্যান

    সিপি রাধাকৃষ্ণণকে চেয়ারম্যান করা হয় কোচির  নারকেল বোর্ডের, যা কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ছোট শিল্প উদ্যোগ মন্ত্রকের অধীনস্থ। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি ওই বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়কালে নারকেলের ছোবড়ার রফতানি সর্বোচ্চ হয় এবং ভারত ২৫৩২ কোটি টাকার নারকেলের ছোবড়া রফতানি করতে সক্ষম হয়। একই সঙ্গে, তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কেরালার বিজেপি পর্যবেক্ষক হিসেবে এবং ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতির বাইরে রাধাকৃষ্ণণ টেবিল টেনিস খুব ভালো খেলতেন। জানা যায়, নিজের কলেজ জীবনে তিনি টেবিল টেনিসের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এছাড়াও, তাঁর ক্রিকেট ও ভলিবলের প্রতিও বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।

    একাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন

    তিনি একাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন। সফর করা দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, চিন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, তাইল্যান্ড, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, জাপান প্রভৃতি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন যে, “তিনি দীর্ঘদিন জনসেবায় যুক্ত ছিলেন। রাধাকৃষ্ণণজির মধ্যে কর্তব্যবোধ, মানবিকতা এবং বুদ্ধিমত্তা রয়েছে। তিনি এর আগেও একাধিক দায়িত্ব সামলেছেন এবং সর্বদা লক্ষ্য রেখেছেন জনগণের সেবা এবং দরিদ্রদের সশক্তিকরণে। তামিলনাড়ুতে তিনি ভূমিস্তরে কাজ করেছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এনডিএ পরিবার তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে।”

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের মা কী বলছেন?

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের মা জানিয়েছেন, তিনি খুবই খুশি তাঁর ছেলের এই সাফল্যে। তিনি বলেন, “যখন আমার ছেলে জন্মগ্রহণ করে, আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যেন সে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের মতো হয়। সেই অনুযায়ী তার নাম রাখা হয়। আজ সেই প্রার্থনা সফল হয়েছে।” উল্লেখ্য, সিপি রাধাকৃষ্ণণ ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত এবং তিনি হতে চলেছেন দ্বিতীয় কোনও ওবিসি নেতা যিনি দক্ষিণ ভারত থেকে উপরাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হবেন। তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) থেকে তিনিই তৃতীয় নেতা যিনি উপরাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসছেন। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের নাম ঘোষণায় তামিলনাড়ুর বিজেপির সহ-সভাপতি নারায়ণ ত্রিপাঠী বলেন, “আমরা গর্বিত।”

  • PM Modi: ২২ অগাস্ট রাজ্যে আসছেন মোদি, তিন নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন, বক্তব্য রাখবেন দলীয় জনসভায়

    PM Modi: ২২ অগাস্ট রাজ্যে আসছেন মোদি, তিন নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন, বক্তব্য রাখবেন দলীয় জনসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যবাসীকে এক ‘ঐতিহাসিক উপহার’ দিচ্ছে মোদি সরকার (PM Modi)। এমাসেই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২২ অগাস্ট দমদমে প্রশাসনিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি, তিনটি নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন ওই দিনই তিনি পরিবর্তন সংকল্প সভাতেও বক্তব্য রাখবেন।

    কোন কোন পথে ছুটবে নতুন মেট্রো?

    রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনটি নতুন পাতালরেল রুট হল:

    শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড (West Bengal)

    বেলেঘাটা থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)

    নোয়াপাড়া থেকে জয় হিন্দ (বিমানবন্দর)

    এই তিনটি রুট চালু হলে শহরের উত্তর, মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ ও দ্রুত হবে।

    হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়েরও উদ্বোধন (West Bengal)

    ২২ অগাস্টের একই অনুষ্ঠানে হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। হাওড়া স্টেশন থেকে মেট্রো পরিষেবা নিতে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে তৈরি এই সাবওয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সমাজমাধ্যমে এই খবর ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর তিনি এই খবর প্রকাশ্যে আনেন। এই উদ্যোগকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের জন্য এক ‘ঐতিহাসিক উপহার’ বলে বর্ণনা করেছেন (PM Modi)। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের বাজেটেই পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ১৩,৯৫৫ কোটি টাকা। বর্তমানে রাজ্যে রেল পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রায় ৮৩,৭৬৫ কোটি টাকার কাজ চলছে।

    ১০১টি স্টেশনকে বিশ্বমানের রূপে পুনর্নির্মাণ

    ৯টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ও ২টি অমৃত ভারত ট্রেন চালু

    পরিকাঠামোগত উন্নয়নের একাধিক প্রকল্প

    আরও বিস্তৃত হচ্ছে কলকাতার মেট্রো নেটওয়ার্ক

    এই নতুন তিনটি রুট চালুর মাধ্যমে কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা আরও বিস্তৃত হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দ্রুত, আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রেলের এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • PM Modi: কমবে যানজট এবং দূষণ, দিল্লিতে ১১ হাজার কোটি টাকার জোড়া ফ্লাইওভারের উদ্বোধন মোদির

    PM Modi: কমবে যানজট এবং দূষণ, দিল্লিতে ১১ হাজার কোটি টাকার জোড়া ফ্লাইওভারের উদ্বোধন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং যানজট ও বায়ুদূষণ হ্রাস করতে তৈরি হওয়া দুটি বৃহৎ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার, উদ্বোধনের আগে তিনি নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথাও বলেন এবং অংশ নেন একটি রোড শো-তে।

    দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন, ব্যয় ৫,৩৬০ কোটি টাকা

    এ দিন প্রধানমন্ত্রী দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে (দিল্লি অংশ) এবং UER-II করিডর-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১০.১ কিলোমিটার, যার নির্মাণে খরচ হয়েছে ৫,৩৬০ কোটি টাকা। ভাষণে মোদি বলেন, “এক্সপ্রেসওয়ের নাম দ্বারকা, অনুষ্ঠান হচ্ছে রোহিণীতে। আর চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে জন্মাষ্টমীর আনন্দ।”

    UER-II করিডরের মাধ্যমে দুই হাইওয়ের সংযোগ

    প্রায় ৫,৫৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি UER-II করিডর এখন থেকে এনএইচ-৪৪ এবং এনএইচ-৪৮ হাইওয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। এই সংযোগ ব্যবস্থার ফলে রাজধানী দিল্লির মধ্যে যানজট অনেকটাই হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুরো দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থাও আরও দ্রুত ও কার্যকর হবে (PM Modi)।

    ২ ঘণ্টার পথ এখন মাত্র ৪০ মিনিটে

    প্রধানমন্ত্রী জানান (PM Modi), আগে সিঙ্ঘু বর্ডার থেকে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগত। নতুন এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ায় এখন এই পথ মাত্র ৪০ মিনিটে অতিক্রম করা যাবে। এর ফলে শুধু যাত্রী নয়, পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থাও অনেক সহজ ও দ্রুত হবে।

    দূষণ কমানোর লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ

    মোদি (PM Modi) দাবি করেন, দিল্লির ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ রোধেও এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। যানজট কমার ফলে গাড়ির ইঞ্জিন সচল থাকার সময় কমবে, যা সরাসরি দূষণ হ্রাসে সহায়ক হবে।

    ৫০ হাজার কোটি টাকার বৃহৎ প্রকল্পের অংশ

    এই দুটি ফ্লাইওভার, দিল্লি ও তার আশপাশের অঞ্চলের যানজট কমাতে গৃহীত ৫০ হাজার কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এই মেগা প্রকল্পে আরও বহু রাস্তাঘাট, এক্সপ্রেসওয়ে ও করিডর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়করি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত, এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি-সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।

  • Chhattisgarh: এবারই প্রথম স্বাধীনতা দিবসের আনন্দে মাতলেন ছত্তিশগড়বাসীর একাংশ

    Chhattisgarh: এবারই প্রথম স্বাধীনতা দিবসের আনন্দে মাতলেন ছত্তিশগড়বাসীর একাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস (Tricolour) পালন করল দেশ। আর এবারই প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) ২৯টি নকশাল কবলিত এলাকার বাসিন্দারা। অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতা পেয়েছিলেন এই সব এলাকার বাসিন্দারাও। কিন্তু মাওবাদীদের (স্থানীয় ভাষায় বনপার্টি) রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জাতীয় পতাকা তোলার সাহস তাঁদের ছিল না। তাই গত ৭৮ বছর এই জঙ্গলরাজ্যে তিরঙ্গা ঝাণ্ডা ওড়েনি। মোদি-শাহের জমানায় বদলেছে জঙ্গলমহলের ছবিটা। তার জেরেই এবার প্রথম ‘স্বাধীনতা’র মুখ দেখলেন এই সব এলাকার বাসিন্দারা।

    মাওবাদীদের দাপট (Chhattisgarh)

    বস্তার ডিভিশন, যার মধ্যে রয়েছে ৭টি জেলা, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দাপিয়ে বেড়াত বনপার্টি। স্থানীয়দের তারা বোঝাতে ‘ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়’। কোনও কোনও এলাকায় তো আবার এদিন উত্তোলন করা হয় কালো পতাকা। তৃতীয়বার দেশের কুর্সিতে বসেই প্রথমে নকশাল দমনে জোর দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশকে মাওবাদীমুক্ত করতে বেঁধে দেন ডেডলাইন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ। তার পরেই কোমর বেঁধে মাও দমনে নেমে পড়েন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। ফল মেলে হাতে হাতে। একদিকে যেমন এনকাউন্টারে খতম হয় মাওবাদীদের বড় বড় চাঁইরা, তেমনি অন্য দিকে, রাজ্যের বিজেপি সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূলস্রোতে ফেরেন বহু মাওবাদী। জঙ্গলের ওই সব অঞ্চলে বইয়ে দেওয়া হয় উন্নয়নের জোয়ার। এই ত্র্যহস্পর্শে খেলা ঘুরে যায়। মাও-মুক্ত হয় ছত্তিশগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার পর এটাই ছিল এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে প্রথম স্বাধীনতা দিবস। তাই দিনটিকে যথেষ্ঠ মর্যাদার সঙ্গে পালন করলেন ওই গ্রামগুলির কয়েক হাজার বাসিন্দা। তবে সরল গ্রামবাসীদের এমনতর ‘পরবে’ যাতে মাওবাদীরা ‘কাল’ হয়ে না দাঁড়ায়, তাই বিভিন্ন জেলায় ছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা।গ্রামগুলির প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে ব্যবস্থা করা হয়েছিল পুলিশ ক্যাম্প, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, বস্তার ফাইটার্স, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের।

    স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ

    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এদিন স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহের অন্ত ছিল না (Chhattisgarh)। নারায়ণপুর জেলায় হোরাড়ি, গারপা, কচ্ছপাল, কোডলিয়ার, কুতুল, বড়েমাকোটি, পদ্মাকোট, কান্দুলনার, নেলাঙ্গুর, পানগুর ও রায়নারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সুকমা জেলায় রায়গুডেম, তুমালপাদ, গোলাকুন্ডা, গোমগুডা, মেট্টাগুডা, উস্কাভায়া ও মূলকাথং গ্রামে প্রথমবারের মতো তিরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করা হয়। অন্যদিকে বিজাপুর জেলায় কন্ডাপল্লি, জিডাপল্লি, ভাটেবাগু, কার্রেগুটা, পিডিয়া, গুঞ্জেপার্তি, পূজারি, কানকার, ভীমারাম, কোরচোলি ও কোটপল্লি গ্রামেও স্বাধীনতা দিবসের আনন্দঘন উৎসবে সবাই অংশ নেন (Tricolour)।

    পুলিশের বক্তব্য

    সুকমার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট কিরণ চৌহান জানান, প্রান্তিক এলাকাগুলিতে ধারাবাহিকভাবে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে এবং নেল্লানার প্রকল্পের অধীনে রাস্তা, বিদ্যুৎ এবং মোবাইল টাওয়ারের মতো মৌলিক পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য বিজাপুর, সুকমা, কাঁকড়, দান্তেওয়াড়া ও নারায়ণপুরের মতো জেলাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা, যাতে নাগরিকদের সঙ্গে সরকারের কল্যাণমূলক সেবার সংযোগ বাড়ে এবং এর মাধ্যমে মাওবাদীদের প্রভাব দুর্বল হয় (Chhattisgarh)। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত শুধু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতীকী বিজয়ই নয়, বরং ভারতের অন্যতম হিংসাপীড়িত অঞ্চলে সমন্বয়, উন্নয়ন ও স্থায়ী শান্তির নতুন আশারও প্রতীক।

    গ্রামে এল বিজলি, আত্মহারা শিশু থেকে বৃদ্ধ

    এদিকে, চলতি বছরের মে মাসে ছত্তিশগড়ের মোহলা-মানপুর-আম্বাগড় চৌকি জেলায় প্রায় ৫৪০ পরিবার প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ গ্রিডের সংযোগ পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মজরাটোলা বিদ্যুতায়ন যোজনার অধীনে, যার জন্য ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি টাকা। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দুর্গম ভূখণ্ড ও নকশালদের ক্রমাগত হুমকির কারণে এই কাজটি ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, ফলে বিদ্যুৎ গ্রিডের সংযোগ পাওয়া ছিল একপ্রকার মিশন সম্পন্ন করার মতোই (Chhattisgarh)। আগে গ্রামবাসীরা সৌরশক্তির ওপর নির্ভর করতেন বাল্ব জ্বালানোর জন্য। কিন্তু বারবার প্যানেল চুরি এবং দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণের (Tricolour) কারণে শিশুদের কেরোসিনের আলোয় পড়াশোনা করতে হত। এখন কাটুলঝোরা, কাট্টাপার, বোদ্রা, বুকমার্কা, সাম্বলপুর, গাট্টেগাহান, পুগদা, আমাকোদো, পেটেমেতা, টাটেকাসা, কুন্দালকাল, রাইমানহোরা, নাইনগুদা, মেতাতোদকে, কোকাটোলা, এদাসমেতা এবং কুঞ্জাকানহারে আনন্দের বন্যা বইছে, কারণ তাদের ঘরে প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ পৌঁছেছে স্বাধীনতা দিবসের দিন। এক আধিকারিক বলেন, “কিছু গ্রামে শিশুরা নাচছিল, আবার অন্য কিছু গ্রামে প্রবীণরা আনন্দে পটকা ফাটাচ্ছিলেন—এটি ছিল সেই মুহূর্ত, যার জন্য তাঁরা দশকের পর দশক ধরে অপেক্ষা করেছিলেন (Chhattisgarh)।”

LinkedIn
Share