Tag: PM Narendra Modi

PM Narendra Modi

  • AI Video of PM and His Mother: ‘মায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এআই ভিডিও সব জায়গা থেকে সরান’, কংগ্রেসকে নির্দেশ পাটনা হাইকোর্টের

    AI Video of PM and His Mother: ‘মায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এআই ভিডিও সব জায়গা থেকে সরান’, কংগ্রেসকে নির্দেশ পাটনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)-র প্রয়াত মা হীরাবেনকে নিয়ে একটি এআই ভিডিও (AI Video) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেসের (Congress) বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক ও রাজনৈতিক বাকবিতণ্ডা হয়। বুধবার সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল পাটনা হাইকোর্ট (Patna HC)।

    প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মা হীরাবেন মোদির বিতর্কিত ভিডিও

    কংগ্রেসের বিহার ইউনিট (Bihar Congress) প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মা হীরাবেন মোদির বিতর্কিত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাটনা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি পিবি বজন্ত্রি কংগ্রেসের বিহার ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন, অবিলম্বে সোশ্য়াল মিডিয়ার সব প্ল্য়াটফর্ম থেকে ওই বিতর্কিত ভিডিও সরিয়ে ফেলতে। সূত্রের খবর, গত ১০ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের বিহার ইউনিট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ৩৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সোশ্য়াল মিডিয়ায় শেয়ার করে। তাতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী তাঁর মাকে স্বপ্নে দেখছেন। তাঁর মা বিহারের ভোট নিয়ে তাঁর রাজনীতির সমালোচনা করছেন। ওই ভিডিও নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশ দিয়েছে পাটনা হাইকোর্ট।

    বিজেপি এবং এনডিএ জোটের শরিকদের ক্ষোভ

    ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি এবং এনডিএ জোটের শরিকরা এর তীব্র নিন্দা করে। তারা অভিযোগ করে, কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করতে এই ধরনের ‘লজ্জাজনক’ কৌশল অবলম্বন করছে। তারা আরও দাবি করে, এই বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক প্ররোচনা সৃষ্টির জন্যই এই ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও কংগ্রেসের দাবি, ভিডিওটিতে প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর প্রয়াত মায়ের প্রতি কোনও অসম্মান দেখানো হয়নি। পাশাপাশি তারা জানায়, কে বা কারা ওই ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে, বিজেপির দিল্লি নির্বাচন সেলের আহ্বায়ক সঙ্কেত গুপ্তার অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লি পুলিশ কংগ্রেস এবং তাদের আইটি সেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় দায়ের করা ওই অভিযোগে বলা হয়, ভিডিওটি মানহানিকর এবং এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির মায়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। পাশাপাশি, এটি সকল মায়েদের প্রতিও অপমানজনক।

    কংগ্রেসের বিকৃত মানসিকতা

    এ নিয়ে গত একমাসে দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মাকে নিয়ে বিতর্কিত ঘটনা ঘটল। গত ২৭ অগাস্ট বিহারের দ্বারভাঙায় কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’য় একটি সমাবেশ থেকে মোদি ও তাঁর মাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল। যার বিরুদ্ধে একটি সভা থেকে সরব হয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, এই ধরনের মন্তব্য দেশের সব মা, বোন ও কন্যাদের পক্ষে অপমানজনক। তিনি আরও বলেন, তাঁর মা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। বিজেপির বক্তব্য, বারবার এই ধরনের ঘটনা কংগ্রেসের বিকৃত মানসিকতার পরিচয়।

  • Trump Wishes Modi: ‘দুর্দান্ত কাজ করছেন’, জন্মদিনে মোদিকে ফোনে শুভেচ্ছাবার্তা ট্রাম্পের

    Trump Wishes Modi: ‘দুর্দান্ত কাজ করছেন’, জন্মদিনে মোদিকে ফোনে শুভেচ্ছাবার্তা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মদিনেই কি ভাঙল ‘দুই বন্ধুর’ সম্পর্কের শীতলতা? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ফোন করে বার্থ ডে উইশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ফোন যে তিনি করেছিলেন তা নিজেই জানালেন সোশ্যাল মাধ্যমে। পাল্টা মোদিও বন্ধুকে উষ্ণ অভ্যর্থনার কথা জানাতে ভুললেন না। ট্রাম্প একাধারে যেমন মোদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর জন্য ধন্যবাদ দিলেন, তেমনই মোদিও পাল্টা লিখলেন, “আমিও ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আপনার উদ্যোগকে আমরা সমর্থন করি।”

    মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা

    বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৫তম জন্মদিন। মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই উপলক্ষ্যে তাঁকে ফোন করেছিলেন ট্রাম্প। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। পরে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘‘এখনই আমার বন্ধু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে দারুণ কথা হল। আমি ওঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছি। উনি দারুণ কাজ করছেন। নরেন্দ্র, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে সহযোগিতার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’’ ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের কথা এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন মোদিও। তিনি লিখেছেন, ‘‘ফোন করে ৭৫তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আমার বন্ধু, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ। আপনার মতোই, আমিও ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ মোদি আরও লিখেছেন, ‘‘ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আপনার উদ্যোগকে সমর্থন করি।”

    ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে ফোনে কথা

    ১৭ জুনের পর এই প্রথম ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে ফোনে কথা হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সূত্রে খবর, ভারতের ওপর শুল্ক আরোপের পর মোদিকে অন্তত চার বার ফোন করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু মোদি ফোন তোলেননি। কথাই বলেননি ট্রাম্পের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কে কিছুটা তিক্ততা দেখা দিয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে চাপানউতোরও কম হয়নি। আমেরিকা এবং ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কের টানাপড়েনের মাঝেই ট্রাম্পের ফোন কিছুটা ‘ইতিবাচক’ বলেই মনে করছেন অনেকেই।

    ভারত-আমেরিকা সম্পর্কে বরফ গলছে

    সম্প্রতি ভারতের ওপর আমেরিকা সব মিলিয়ে ৫০ শতাংশ শুল্ক জারি করেছে। তার মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য জরিমানা বাবদ ২৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। ওয়াশিংটনের তরফে এই সিদ্ধান্তের পর ভারত মার্কিন সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। সম্প্রতি বেজিংয়ে এসসিও সম্মেলনে যোগ দিয়ে রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার বার্তা দেয় নয়াদিল্লি। পুতিন ও জিনপিংয়ের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে আমেরিকা বিরোধী অক্ষ তৈরীর সম্ভাবনা দেখা দেয়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এতেই খানিকটা চাপে পড়ে যান ট্রাম্প। কার্যত এর পরই কিছুটা সুর নরম করতে থাকে আমেরিকা।

    বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা

    সোমবারই ভারতে এসেছেন আমেরিকার অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ব্রেন্ডন লিঞ্চ। মঙ্গলবার বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় তাঁর। বৈঠকে বাণিজ্য অংশীদারিত্ব এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে খবর। আলোচনার পর ভারতের বিবৃতিও এসেছে। ভারত জানিয়েছে যে, সবকিছু ইতিবাচক। আমেরিকারও সুর তেমনটাই। তারপরই ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ফোন দু’দেশের সম্পর্ককে আরো সহজ করে নেওয়ার পক্ষে নতুন ধাপ বলেই মনে করা হচ্ছে। কূটনৈতিক মহলের মতে, এর ফলে শুল্ক জটিলতা কাটার পথে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেল দুই দেশ।

  • PM Narendra Modi: ১৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ফের মোদি, যোগ দেবেন সেনার অনুষ্ঠানে

    PM Narendra Modi: ১৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ফের মোদি, যোগ দেবেন সেনার অনুষ্ঠানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অপারেশন সিঁদুরের পর এই নিয়ে রাজ্যে চতুর্থবার আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তবে হ্যাঁ, এইবার কোনও রাজনৈতিক সভা বা কর্মসূচিতে নয়। ইস্টার্ন কমান্ডের সেনাবাহিনীর একটি সম্মেলন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রধান অজিত ডোভাল এবং দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রধানমন্ত্রী আসবেন ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে এবং ওই দিন রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন। পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর ফোর্ট উইলিয়মে সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের (Eastern Command) অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন এবং এরপর আবার ওই দিনই দুপুরে দিল্লি ফিরে যাবেন।

    থাকবেন তিন বাহিনীর প্রধান (PM Narendra Modi)

    অপারেশন সিঁদুরের পর পূর্ব ভারতে সেনার এবং কমান্ডারদের (Eastern Command) নিয়ে কলকাতায় বিরাট বৈঠক হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ইস্টার্ন কমান্ডের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিমাংশু তিওয়ারি জানিয়েছেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফোর্ট উইলিয়মে সম্মিলিত কমান্ড কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। আর ১৫ সেপ্টেম্বর ওই কনফারেন্সের উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি। এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন তিন বাহিনীর প্রধান ও ভারতীয় সেনার চিফ অফ ডিফেন্স অনিল চৌহান। সেইসঙ্গে থাকবেন আরও প্রমুখ সেনা আধিকারিকরা। আরও জানা গিয়েছে, আগামীদিনে দেশের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ব্যবস্থা, সীমান্ত সমস্যা এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত রক্ষার কৌশল কেমন হবে, তা নিয়েও আলোচনা হবে অনুষ্ঠানে।

    অস্থির পূর্ব-উত্তরপূর্ব প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি

    গত একবছরের বেশি সময় ধরে পূর্ব-উত্তরপূর্ব প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বাংলাদেশ ভীষণ ভাবে অস্থির। ওই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কট্টর মোল্লা-মৌলবিদের ভারত বিরোধী কার্যকলাপ এবং পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্ত সমস্যা, অনুপ্রবেশ ভারতের অভ্যন্তরে প্রভাব ফেলছে। আবার বাংলাদেশ-পাকিস্তানের গোপন সামরিক চুক্তিও উদ্বেগের কারণ। এবার আরেক পরিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমার এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতে। আর তার উপর রয়েছে চিনের আগ্রাসন নীতি। সব মিলিয়ে ভারতকে পূর্ব এবং উত্তর ভারতের সমীকরণ নিয়ে ভাবতেই হবে। সেই সঙ্গে ভারতের দেশীয় সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন এবং বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে অনুষ্ঠানে। তাই ভারতীয় সেনাকে মোদি (PM Narendra Modi) কী বিশেষ বার্তা দেন তাও দেখার বিষয়।

  • PM Modi Hails GST 2.0: ‘শিশুদের টফিতেও কর বসিয়েছিল কংগ্রেস’, জিএসটি ২.০-এর প্রশংসা করে খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi Hails GST 2.0: ‘শিশুদের টফিতেও কর বসিয়েছিল কংগ্রেস’, জিএসটি ২.০-এর প্রশংসা করে খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সাধারণ পরিবারগুলির উপর মারাত্মক করের বোঝা চাপিয়েছিল কংগ্রেস। এমনকী শিশুদের টফি-লজেন্সের উপরেও কর চাপানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ‘জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার’ প্রাপ্তদের সভায় নতুন জিএসটি হার নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করার পাশাপাশি, বিরোধী কংগ্রেসকে নিশানা করে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Hails GST 2.0)। কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, কংগ্রেস সরকার সাধারণ মানুষের রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং কৃষিকাজ, এমনকী ওষুধের উপরেও উচ্চহারে কর চাপিয়েছিল। জিএসটি ২.০-এক সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত, যা দেশের মানুষের স্বার্থে গৃহীত, দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

    কংগ্রেসকে আক্রমণ মোদির

    জিএসটি কাঠামোয় বড়সড় রদবদল ঘোষিত হয়েছে বুধবার সন্ধ্যায়। বৃহস্পতিবার সেই ইস্যুতেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Hails GST 2.0)। তিনি বলেন, ‘‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খাদ্য এবং ওষুধ – যে কোনও কিছুর উপর কর আরোপ করেছে। এমনকি শিশুদের টফিতেও কর বসিয়েছিল কংগ্রেস। মোদি যদি এটা করতেন, তাহলে তাঁরা আমার চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলত।’’ কংগ্রেসের তীব্র সমালচনা করে মোদি অভিযোগ করেন, “যদি সেই শাসনব্যবস্থা অব্যাহত থাকত, তাহলে ১০০ টাকার জিনিস কিনতে আপনাকে ২০-২৫ টাকা কর দিতে হত। কংগ্রেস জমানায় হোটেল বুকিংয়েও একাধিক কর নেওয়া হত। ভারতে চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল ছিল। কংগ্রেস সরকার ডায়াগনস্টিক কিটের উপর ১৪% কর নিত। কংগ্রেস সরকার আলো, পাখা, টিভি, এসির ওপর ৩১% কর নিত। কিন্তু আমাদের সরকারের লক্ষ্য হল সাধারণ মানুষের জীবনে সর্বাধিক সঞ্চয় নিশ্চিত করা এবং তাঁদের জীবন উন্নত করা।”

    জিএসটি ২.০ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

    নয়া জিএসটি কাঠামোর প্রশংসা করে মোদির (PM Modi Hails GST 2.0) দাবি, দেশের উন্নতিতে জিএসটি ২.০ দ্বিগুণ সাহায্য করবে। তাঁর মতে, ভারতকে আত্মনির্ভর করার জন্য এই সংস্কার ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, জিএসটি ২.০ জাতির প্রতি সহায়তা এবং দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ‘ডবল ডোজ’ হবে। সেই সঙ্গে জিএসটি হারের পরিবর্তন সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘‘দেশের স্বাধীনতার পরে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।’’ বুধবার পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) কাঠামোয় বুধবার গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন নির্মলা সীতারামন। জিএসটি কাউন্সিলের ৫৬তম বৈঠকের প্রথম দিনের শেষে জানিয়েছিলেন, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে মূলত দু’টি হারে (৫, ১৮) জিএসটি কার্যকর হবে (এ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে থাকবে ৪০ শতাংশ কর)। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে জিএসটি চালুর পর থেকে তাতে পাঁচটি (৫, ১২, ১৮, ২৮ এবং কিছু পণ্যে শূন্য) হার ছিল এতদিন পর্যন্ত। এ বার ১২ এবং ১৮ শতাংশ জিএসটি উঠে গেল। এই নয়া হারকে জিএসটি ২.০ বলেছেন মোদি।

    দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi Hails GST 2.0) বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘সময়োপযোগী পরিবর্তন না হলে আজকের বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের দেশকে তার যথাযথ স্থান দিতে পারব না। আমি ১৫ অগাস্ট লালকেল্লা থেকে বলেছিলাম যে, ভারতকে স্বাবলম্বী করার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, এই দীপাবলি এবং ছট পুজোর আগে দ্বিগুণ আনন্দের ঝলক দেখা যাবে।’’ সেই প্রতিশ্রুতি তাঁর সরকার রক্ষা করেছে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবি, ‘‘এই সিদ্ধান্তে একুশ শতকে দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন অগ্রগতি হবে। জিএসটি সংস্কারের মাধ্যমে ভারতের প্রাণবন্ত অর্থনীতিতে পাঁচটি নতুন রত্ন (পঞ্চরত্ন) যুক্ত হয়েছে।’’

    যুবকদের আয় বাড়বে

    বুধবার জিএসটি কাউন্সিলের অনুমোদিত সংস্কারে, রুটি থেকে শুরু করে চুলের তেল, আইসক্রিম এবং টিভি পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ব্যবহারের সব জিনিসের দাম কমবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও জীবনবিমার উপর করের পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনা হবে বলেও জানা গিয়েছে। ফিটনেস সামগ্রীতেও কর কমানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ব্যয় বৃদ্ধি এবং মার্কিন শুল্কের ধাক্কা কমাতে সমস্ত ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিস এবং মধ্যবিত্তদের ব্যবহারের অন্যান্য পণ্যের দাম কমবে। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi Hails GST 2.0) বলেন, ‘‘এখন জিএসটি আরও সহজ হয়ে গিয়েছে। মাত্র দু’টি স্ল্যাব রয়েছে এখন, ৫% এবং ১৮% – যা প্রতিটি নাগরিক এবং ব্যবসায়ীদের জন্য আরও সহজ হয়ে গেল। জিএসটি ২.০ বিশেষত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দেবে।’’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘জিএসটি ২.০ দরিদ্র, নব্য মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, কৃষক, মহিলা, ছাত্র, যুবক-যুবতী সকলের জন্যই উপকারী। পনির থেকে শ্যাম্পু-সাবান সবকিছুই হবে সস্তা।’’ ১৭৫টি জিনিসের দাম কমার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, জিএসটি শুধু কমেনি, জিএসটি সরলীকরণও করা হয়েছে। এতে যুবকদের আয় বাড়বে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্কের আবহে ভারতের রফতানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঘটনাচক্রে, সেই আবহেই এসেছে জিএসটি সরলীকরণের সিদ্ধান্ত। যা একেবারেই সময়ের দাবি বলে মত প্রধানমন্ত্রীর।

  • PM Modi on GST Reforms: “উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ, কৃষক-মধ্যবিত্তরা”, নতুন জিএসটি-র ঘোষণাকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi on GST Reforms: “উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ, কৃষক-মধ্যবিত্তরা”, নতুন জিএসটি-র ঘোষণাকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মরসুমে বড় উপহার মোদি সরকারের। ১০০টিরও বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমেছে। বুধবার জিএসটি (GST) কাউন্সিলের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে বিরাট স্বস্তিতে দেশবাসী। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তাঁর দাবি, এই পদক্ষেপে উপকৃত হবেন কৃষক, ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প, মধ্যবিত্ত, মহিলা এবং যুব সমাজ। তিনি (PM Modi on GST Reforms) এই সিদ্ধান্তকে ‘আগামী প্রজন্মের জিএসটি’ পরিবর্তন বলে উল্লেখ করেছেন। পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) কাঠামোয় কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছিল, জিএসটি কাউন্সিল তা অনুমোদন করেছে। বুধবার কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকের পরেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নতুন জিএসটি হার ঘোষণা করেছেন। এ বার থেকে দু’টি হারে জিএসটি কার্যকর হবে— ৫ এবং ১৮ শতাংশ। ১২ এবং ২৮ শতাংশের যে জিএসটি স্তর ছিল, তা তুলে দেওয়া হল। কিছু পণ্যকে রাখা হয়েছে ৪০ শতাংশ হারের বিশেষ তালিকায়। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নবরাত্রির প্রথম দিন। আর সেই দিন থেকেই কার্যকর হচ্ছে জিএসটি-র নতুন স্ল্যাব।

    আগামী প্রজন্মের জিএসটি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর

    কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। স্বাধীনতা দিবসেই লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছিলেন জিএসটিতে সংস্কারের কথা। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দিপাবলীতে এই জিএসটি সংস্কার সাধারণ মানুষের জন্য বড় উপহার হতে চলেছে। সেই প্রতিশ্রুতি মতোই ঘোষণা। তুলে দেওয়া হল জিএসটির দুটি স্ল্যাব। ২৮ শতাংশ ও ১২ শতাংশের জিএসটি তুলে নেওয়া হল। ৩ সেপ্টেম্বরই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই ঘোষণা করেন। বুধবার একে ‘নেক্সট-জেনারেশন রিফর্ম’ (Next Gen GST) বলে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী এক্স-এ পোস্টে লেখেন, “স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে আমি বলেছিলাম যে আমাদের লক্ষ্য হল জিএসটিতে পরবর্তী প্রজন্ম পরিবর্তন আনা। কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিস্তীর্ণ জিএসটি হার বিভাজন ও প্রক্রিয়ায় সংস্কারের প্রস্তাবনা এনেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও সহজ করবে এবং দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।” তিনি আরও লেখেন, “জিএসটি কাউন্সিলের কেন্দ্র ও রাজ্যের মন্ত্রীরা সম্মিলিতভাবে এই প্রস্তাবনায় রাজি হয়েছেন। এতে সাধারণ মানুষ, কৃষক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, মধ্যবিত্ত মানুষ, মহিলা ও যুব প্রজন্ম উপকৃত হবে। এই বিশাল পরিবর্তন নাগরিকদের জীবনযাত্রা উন্নত করবে এবং ব্যবসা করতে, বিশেষ করে ছোট ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের আরও সুবিধা করে দেবে।” নতুন জিএসটি-কে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ অন্যান্যরা।

    অর্থমন্ত্রী নির্মলার ঘোষণা

    বুধবার ৫৬তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি ঘোষণা করেন, “আমরা স্ল্যাব কমিয়ে এনেছি। এখন থেকে দু’টি স্ল্যাব থাকবে এবং আমরা ক্ষতিপূরণ সেসের সমস্যাগুলিরও সমাধান করছি।” অর্থমন্ত্রী বলেন, “সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এই সংস্কার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রের উপর প্রতিটি করের কঠোর পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হার ব্যাপকভাবে কমানো হয়েছে। এই সংস্কারের ফলে কৃষক এবং কৃষিক্ষেত্র, সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যক্ষেত্রও উপকৃত হবে। অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।” অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, “যেসব পণ্যের উপর জিএসটি ৫% নামানো হয়েছে- চুলের তেল, টয়লেট সাবান, সাবানের বার, শ্যাম্পু, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, সাইকেল, টেবিলওয়্যার, রান্নাঘরের জিনিসপত্র এবং অন্যান্য গৃহস্থালীর জিনিসপত্র।” তবে বিলাসবহুল কিছু পণ্যের জন্য থাকছে বিশেষ উচ্চ হার। যেমন দামি গাড়ি, তামাক ও সিগারেটের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ কর ধার্য করা হবে। এই নতুন হার কার্যকর হবে ২২ সেপ্টেম্বর, নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে। অর্থমন্ত্রীর কথায়, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় প্রতিটি কর খতিয়ে দেখা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর কমানো হয়েছে। এর ফলে কৃষক, শ্রমনির্ভর শিল্প ও স্বাস্থ্যখাত প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।

    স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার

    বর্তমানে চিকিৎসার খরচ যেভাবে বেড়েছে, তাতে বিমা না করিয়ে উপায় নেই। আর সেই বিমার সঙ্গে জিএসটি দিতে দিতে নাজেহাল হতে হত সাধারণ মানুষকে। অবশেষে স্বস্তি। জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমায় দিতে হবে না কোনও জিএসটি। বুধবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দুটি বিমার ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হয়। অর্থাৎ কাউকে যদি ১০,০০০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হয়, তাহলে তার সঙ্গে আরও ১৮০০ টাকা দিতে হয় শুধু জিএসটি হিসেবে অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রিমিয়াম পড়ে ১১,৮০০ টাকা। এই পুরো বোঝাটাই এবার কমে যাবে। অর্থাৎ ১০,০০০ টাকা প্রিমিয়াম হলে ১০,০০০ টাকাই দিতে হবে। এছাড়া এবার থেকে লাইফ ইনসিওরেন্স বা জীবনবিমার মধ্যেই পড়বে ইউনিট লিংকড ইনসিওরেন্স ও এনডাওমেন্ট প্ল্যান। অর্থাৎ সব মিলিয়ে বিমা আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যে চলে আসছে।

    কোন কোন জিনিসের দাম কমল

    দুধ, ছানা, পনির, রুটি, পাউরুটির উপর পাঁচ শতাংশ জিএসটি ছিল। তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

    কনডেন্‌সড মিল্ক, মাখন, ঘি, তেল, চি়জ় এবং দুগ্ধজাত যাবতীয় পণ্যের উপর ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে জিএসটি করা হয়েছে পাঁচ শতাংশ। একই হার প্রযোজ্য বাদাম, খেজুর, আনারস, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, আম এবং অন্যান্য ফলের ক্ষেত্রে।

    পশুচর্বি, সসেজ়, সংরক্ষিত বা রান্না করা মাংস, মাছ, চিনি, পাস্তা, নুডল্‌স, স্প্যাগেটি এবং বিভিন্ন সব্জির দাম কমছে। জিএসটি এ সব ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামছে।

    জ্যাম, জেলি, মাশরুম, নারকেলের জল, ইস্ট, সরষে, সয়াবিন, ভুজিয়া এবং পানীয় জলের ২০ লিটারের বোতলের উপর থেকে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমে হল পাঁচ শতাংশ।

    মধু, মিছরি, চকোলেট, কর্নফ্লেক্‌স, কেক, পেস্ট্রি, স্যুপ, আইসক্রিম, জিলেটিনের উপর থেকে জিএসটি কমানো হয়েছে। এত দিন ১৮ শতাংশ জিএসটি ছিল এই সমস্ত পণ্যে। কমে হয়েছে পাঁচ শতাংশ।

    যাবতীয় জীবনবীমা এবং স্বাস্থ্য বীমার উপর থেকে জিএসটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

    দাম কমছে থার্মোমিটার, ক্লিনিক্যাল ডায়াপারের।

    বিড়ির দাম কমছে। বিড়ির পাতার উপর ১৮ শতাংশ থেকে জিএসটি কমে হচ্ছে পাঁচ শতাংশ। বিড়ির উপর ২৮ শতাংশ থেকে জিএসটি কমে হচ্ছে ১৮ শতাংশ।

    সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়ার উপর জিএসটি পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনা হচ্ছে।

    টিভি, এসি, ছোট গাড়ি, ৩৫০ সিসি-র নীচে বাইকের দাম কমছে। এখন থেকে এই পণ্যগুলিতে ১৮ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হবে।

    কোন কোন জিনিসে দাম বাড়ল

    বিলাসবহুল গাড়ি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট জেট, রেসিং কারের উপর ৪০ শতাংশ জিএসটি আরোপ করা হয়েছে।

    পান মশলা, বাড়তি চিনি মিশ্রিত পানীয়, কার্বনযুক্ত পানীয়ের দাম বাড়ছে। ২৮ শতাংশ থেকে জিএসটি করা হচ্ছে ৪০ শতাংশ।

    সিগারেট, চুরুট এবং তামাকজাত যাবতীয় পণ্যের উপর ৪০ শতাংশ হারে জিএসটি নেওয়া হবে।

    কয়লার দাম বাড়ছে। পাঁচ থেকে ১৮ শতাংশ হচ্ছে কয়লার উপর জিএসটি।

  • PM Modi in Japan: ভারতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ জাপানের! প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শিগেরু ইশিবার মধ্যে মউ স্বাক্ষর

    PM Modi in Japan: ভারতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ জাপানের! প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শিগেরু ইশিবার মধ্যে মউ স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১০ বছরে ভারতে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন (জাপানি মুদ্রা) বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে জাপান (India-Japan Relation)। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। জাপানের সঙ্গে এই মর্মে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, সেমিকনডাক্টর, ওষুধ, টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি, বিরল খনিজ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে এই বিনিয়োগ করবে জাপান।

    পরবর্তী দশকের জন্য রোডম্যাপ প্রস্তুত

    শুক্রবার টোকিওতে জাপানে প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Japan)। উভয় নেতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সাক্ষাৎকে একটি সন্ধিক্ষণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ভারত ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমারা কৌশলগত এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপে নতুন এবং সোনালি অধ্যায়ের ভিত্তিস্থাপন করছি। পরবর্তী দশকের জন্য আমাদের রোডম্যাপ প্রস্তুত। আগামী এক দশকে জাপান ভারতে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগ করবে।” মোদি জানান, ডিজিটাল পার্টনারশিপ এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে দুই দেশের। এর পাশাপাশি মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রেও ভারতের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করতে আগ্রহী জাপান। এ সবের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা খাতেও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র।

    চন্দ্র মেরু অনুসন্ধান মিশন

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এবং জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জ্যাক্সা) যৌথভাবে চন্দ্র মেরু অনুসন্ধান মিশন (চন্দ্রযান-৫) -এ সহযোগিতার জন্য একটি বাস্তবায়ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর যৌথ অনুসন্ধানের শর্তাবলী সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যা উন্নত মহাকাশ প্রযুক্তিতে ভারত-জাপান সমঝোতাকে (India-Japan Relation) শক্তিশালী করবে।

    এআই এবং ডিজিটাল উদ্ভাবন

    প্রযুক্তি-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ভারতে বিনিয়োগ করবে জাপান। জাপান ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যসঙ্গী (India-Japan Relation)। পরিকাঠামোর মতো উদীয়মান প্রযুক্তিতে সহযোগিতা আরও গভীর করার জন্য একটি নতুন ভারত-জাপান ডিজিটাল অংশীদারিত্ব ২.০ ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় পক্ষ যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন এবং ডিজিটাল প্রতিভা পুল তৈরির অঙ্গীকারও করেছে।

    গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ

    সরবরাহ শৃঙ্খলের দুর্বলতা কমাতে, উভয় দেশ খনিজ সম্পদের উপর সহযোগিতার একটি মৌ স্বাক্ষর করেছে। যা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অনুসন্ধান, প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি, যৌথ বিনিয়োগ এবং মজুদের উপর আরও জোর দেবে। সবুজ শক্তি এবং উন্নত উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সুরক্ষিত করার জন্য এই চুক্তিটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    আরও নানা চুক্তি

    আরও একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে দুই দেশ। যার মধ্যে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা থেকে পরিবেশগত স্থায়িত্ব পর্যন্ত আটটি অগ্রাধিকার ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সুরক্ষা সহযোগিতার উপর একটি যৌথ ঘোষণাপত্রও স্বাক্ষর করা হয়েছে, যা প্রতিরক্ষা এবং কৌশলগত সহযোগিতার জন্য একটি নতুন কাঠামো তৈরি করেছে। পাঁচ বছরের মধ্যে ৫০,০০০ ভারতীয় দক্ষ কর্মী সহ ৫০০,০০০ লোকের জাপানে যাতায়াত সক্ষম করার জন্য মানবসম্পদ বিনিময়ের উপর একটি পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ এবং বিকেন্দ্রীভূত বর্জ্য জল ব্যবস্থাপনার উপর অতিরিক্ত সমঝোতা (India-Japan Relation) স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বর্ধিত সহযোগিতার পাশাপাশি কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ এবং বিজ্ঞানীদের বিনিময় জোরদার করার জন্য কূটনৈতিক অ্যাকাডেমি এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    জাপান সফরের নানা গুরুত্ব

    টোকিও সফরে গিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi in Japan) সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিনিয়োগের বিষয়টি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মোদী বলেছেন, ‘’ প্রযুক্তি-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ভারতে বিনিয়োগ করবে জাপান। জাপান ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যসঙ্গী। ভারতের কাছে জাপান পঞ্চম বৃহত্তম ইনভেস্টমেন্ট সোর্স। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতে ৪ হাজার ৩১০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ করেছে জাপান। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারত ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২৮৫ কোটি ডলার। ২০২২ সাল থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতে ৩ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ছিল জাপানের। যা সময়সীমা শেষের দু’বছর আগেই পূরণ হয়ে গিয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক টানাপড়েন এবং বিশ্ব বাণিজ্যিক সমীকরণের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদির এই জাপান সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। শনিবারও জাপানেই থাকছেন মোদি। দু’দিনের জাপান-সফর শেষে রবিবার তিনি যাবেন চিনে।

     

     

     

  • PM Modi in Japan: “ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি মিলে বিপ্লব আনবে”, টোকিও-য় বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi in Japan: “ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি মিলে বিপ্লব আনবে”, টোকিও-য় বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পণ্য উৎপাদন করুন, বিশ্বে রফতানি করুন। ইন্দো-জাপান ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিয়ে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। দু’দিনের সরকারি সফরে জাপানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার আমন্ত্রণে অনুষ্ঠিত ১৫তম ভারত-জাপান বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই এই সফর। এদিন জাপান সফরের শুরুতে বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন ভারত এবং জাপান একসঙ্গে এশিয়াকে প্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে ৷ দু’দেশের সম্পর্ক এই শতাব্দীতে মহাদেশের উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে প্রতিভাত হবে ৷ তিনি মনে করেন, জাপানের উৎকর্ষতা এবং ভারতের দক্ষতা একত্রিত হলে উন্নয়নের পথ সুগম হবে৷

    বিশ্ব ভারতকে ভরসা করে

    শুক্রবার ভোররাতে জাপানে পা রেখেই নিজের বার্তা স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। প্রধানমন্ত্রী বলেন,“বিশ্ব শুধু ভারতের দিকে তাকিয়েই নেই, ভারতের ওপর ভরসাও করে। আজ ভারতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছ নীতি এবং একটি সম্ভাবনা রয়েছে। আজ, ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি এবং খুব শীঘ্রই, এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে। আমরা বিশ্বব্যাপী জিডিপিতে ১৮% অবদান রাখি, এবং আমাদের বাজারগুলি শক্তিশালী রিটার্ন প্রদান করছে। সংস্কার, রূপান্তর এবং কর্মক্ষমতার আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এই সমস্ত অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।”

    অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক লক্ষ্য

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Japan) এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ভারত-জাপান স্পেশাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড গ্লোবাল পার্টনারশিপকে আরও মজবুত করা এবং নতুন বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। প্রধানমন্ত্রী জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), সেমিকন্ডাক্টর, রোবোটিক্স, বায়োটেক এবং স্পেস টেকনোলজিতে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে জয়েন্ট ক্রেডিট মেকানিজম ও ক্লিন-গ্রিন ফিউচার গঠনের চুক্তি ইতিমধ্যেই স্বাক্ষরিত হয়েছে। মোদি বলেন, “ভারতের উন্নয়নের যাত্রাপথে সবসময়েই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে রয়েছে জাপান। মেট্রো রেল থেকে শুরু করে উৎপাদন, সেমিকন্ডাক্টর থেকে স্টার্টআপ— সর্বত্রই জাপানের সহযোগিতা রয়েছে। ভারতে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ রয়েছে জাপানের একাধিক সংস্থার।”

    ভারত-জাপান পরমাণু সম্ভাবনা

    ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ও জাপান যৌথভাবে পরমাণু শক্তি নিয়ে কাজ শুরু করবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। তিনি বলেন, “প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ খাতের পর, আমরা বেসরকারি খাতের (লগ্নির) জন্য পারমাণবিক শক্তি খাতও খুলে দিচ্ছি।” গাড়ি উৎপাদন থেকে পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রে ভারত এবং জাপানের যৌথ অংশিদারিত্বও সাফল্যের নতুন দিগন্তের সন্ধান দিতে পারে বলে অভিমত প্রধানমন্ত্রীর ৷

    ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Japan) জোর দিয়ে বলেন, ‘আজ ভারতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। ওয়ান নেশন ওয়ান ট্যাক্স, সিঙ্গেল ডিজিটাল উইন্ডো, ম্যানুফ্যাকচারিং সাফল্য, সবই ভারতের গ্লোবাল ইকোনমিতে অবদানকে আরও দৃঢ় করছে। ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি মিলে এক নতুন বিপ্লব আনবে।’ মোদি ভারতীয় প্রতিভাদের জাপানি ভাষায় প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তাঁর মতে, সাংস্কৃতিক বন্ধন মজবুত হওয়ার পাশাপাশি এটি ভবিষ্যতের ব্যবসা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকেও আরও শক্তিশালী করবে। মোদি জানান, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জাপানের বাণিজ্য বৃদ্ধি ভারত ছাড়া সম্ভব নয় ৷ ওই সমস্ত দেশ ধীরে ধীরে উন্নয়নের সরণিতে পা রাখতে শুরু করেছে ৷ তাতে ভারত এবং জাপানের দুটি দেশেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে ৷

    ভারতীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া

    জাপান সফরে শুক্রবার সকালে এক অবিস্মরণীয় অভ্যর্থনা পান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। টোকিও বিমানবন্দরে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন জাপানি শিল্পীদের এক বিশেষ দল, যারা ভারতীয় ঐতিহ্যের আবহে তাঁকে স্বাগত জানান। রাজস্থানি রঙিন পোশাকে সজ্জিত শিল্পীরা যখন হাতজোড় করে বললেন ‘পাধারো আমহারে দেস’—তখন বিদেশের মাটিতেও দেশীয় উষ্ণতায় আপ্লুত হয়ে ওঠেন মোদি। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহিলারা শুধু রাজস্থানি পোশাকেই নয়, ভারতীয় কায়দায় হাতজোড় করে নমস্কার জানিয়ে চমকে দেন সবাইকে। এক শিল্পী গেয়ে ওঠেন দেশোয়ালি লোকসঙ্গীত “ভারি জাভু রে”, যা শুনে বিস্মিত হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত-জাপানের সম্পর্ক শুধু অর্থনীতি বা কূটনীতিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনেই এর আসল শক্তি। ভারতীয় সংস্কৃতি আজ বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণ। বিদেশের মাটিতে ভারতীয় গান, নাচ, ঐতিহ্য এভাবেই মানুষকে এক সূত্রে বাঁধছে।

  • PM Modi in Japan: ভূমিকম্পেও লাইনচ্যুত হবে না! মোদির জাপান সফরে আলোচনার কেন্দ্রে কোয়াড ও বুলেট ট্রেন প্রকল্প

    PM Modi in Japan: ভূমিকম্পেও লাইনচ্যুত হবে না! মোদির জাপান সফরে আলোচনার কেন্দ্রে কোয়াড ও বুলেট ট্রেন প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা থেকে দিল্লি পৌঁছে যাওয়া যাবে পাঁচ ঘণ্টায়। এমনই এক বুলেট ট্রেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi in Japan) দেখাতে চলেছে জাপান। ১৫তম ভারত-জাপান বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ অগাস্ট সন্ধ্যায় জাপান সফরে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই সফরে ভারত ও জাপানের মধ্যে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং প্রযুক্তির মতো বিষয়গুলি। ২৯ ও ৩০ অগাস্ট জাপানে থাকবেন মোদি। জাপান সফর শেষে চিনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী (Modi’s Big Japan Agenda)।

    শিগেরু ইশিবার আমন্ত্রণে জাপানে

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এর আগে সাতবার জাপানে গিয়েছেন মোদি (PM Modi in Japan)৷ এটি তাঁর অষ্টম সফর ৷ তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বদলের পর এই প্রথমবার সূর্যোদয়ের দেশে যাবেন তিনি৷ দীর্ঘদিন দেশের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে আসার পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শিগেরু ইশিবা৷ তাঁর অনুরোধে ১৫তম ভারত-জাপান দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই এবার জাপান সফরে যাচ্ছেন মোদি৷ শুক্রবার টোকিও-তে শুরু হচ্ছে ভারত-জাপান (India-Japan) শীর্ষ সম্মেলন। ভারত ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার ব্যাপারে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে৷ প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে নিরাপত্তা, ব্যবসা, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দুটি দেশ একে অপরকে কীভাবে সাহায্য করতে পারে তা নিয়ে কথা বলবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ এর পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন কয়েকটি বিষয় নিয়েও কথা বলবেন দুই নেতা ৷

    বুলেট ট্রেন নিয়ে আলোচনা

    বুলেট ট্রেন তৈরিতে গোটা বিশ্বে এক নম্বর স্থান বহু বছর জাপানের (Japan) দখলে। নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে সেই ট্রেনকে রকেটের গতি দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে জাপান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) এই সফরে জাপান সরকার এমনই একটি বুলেট ট্রেন (Bullet Train) তাঁকে দেখাতে চলেছে যেটি সে দেশে এখনও চলাচল শুরু করেনি। কারখানায় নির্মীয়মান অবস্থায় আছে। শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মিয়াগিতে যাবেন। সেখানে ইস্ট জাপান রেলওয়ে কোম্পানিতে তৈরি হচ্ছে ই-১০ সিরিজের বুলেট ট্রেন। ওই ট্রেন জাপানে চালু হওয়ার পর পরই ভারতে মুম্বই-আমেদাবাদের মধ্যে চলাচল শুরু করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদির ২০১৫ সালের জাপান সফরে মুম্বই-আমেদাবাদের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালুর চুক্তি হয়েছিল। তখন কথা হয় জাপান তাদের ই-৫ সিরিজের বুলেট ট্রেন ভারতকে সরবরাহ করবে। এখন তারা সিদ্ধান্ত বদলে ই-১০ সিরিজের বুলেট ট্রেন সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। প্রাথমিক আলোচনায় দু-দেশের আধিকারিকেরা ওই ট্রেন নেওয়ার আলোচনা সেরে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে (Modi’s Big Japan Agenda) সরাসরি কারখানায় নিয়ে গিয়ে ই-১০ সিরিজের নির্মীয়মান ট্রেন দেখাতে চান জাপানের প্রধানমন্ত্রী।

    কত কোটি বিনিয়োগ

    জাপানের বুলেট ট্রেনগুলি (Japan’s Bullet Train) ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। অর্থাৎ কলকাতা-দিল্লি রুটে চলাচল করলে মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় ১৪০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা সম্ভব। মুম্বই-আমেদাবাদের মধ্যে সময় লাগবে বড়জোর দু-ঘণ্টা। এই প্রকল্পে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা (JICA) প্রায় ৮৮,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে, যা মোট ১,০৮,০০০ কোটির প্রকল্পের প্রায় ৮১ শতাংশ। বাকি অর্থ কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট রাজ্য সরকার মিলে বিনিয়োগ করবে।

    দুর্ঘটনার সম্ভাবনাই নেই

    ই-১০ সিরিজের (E-10 series) যে নতুন ট্রেন তৈরি হচ্ছে সেটির বৈশিষ্ট হচ্ছে তা সাইক্লোন তো দূরের কথা, ভূমিকম্পেও বেলাইন হবে না। এমনকী মুখোমুখি সংঘর্ষেও নয়। ক্ষয়ক্ষতি যা হওয়ার সামনের কামরার হবে। সেই কামরাই যাবতীয় ধাক্কা সামলে নেবে। কারও মারা যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ ইঞ্জিনে কোনও চালক থাকবেন না। জাপান এই নতুন ট্রেনের মহড়া চালাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সাক্ষী রেখে।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি

    ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, ভারত-জাপান সম্পর্কের সর্বোচ্চ স্তরের সংলাপ মঞ্চই হল এই সম্মেলন। তাঁর কথায়,“গত দশকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের পরিধি ও উচ্চতা অনেক বেড়েছে। এই সফরে নতুন কিছু যৌথ উদ্যোগের সূচনা হতে পারে, যা পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করবে।” এই সফরে ২০০৮ সালের ‘জয়েন্ট ডিক্লেয়ারেশন অন সিকিউরিটি কো-অপারেশন’ (Joint Declaration on Security Cooperation) নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি একটি নতুন ‘অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পদক্ষেপ’ (Economic Security Initiative) প্রসঙ্গে কথা হবে। এতে সেমিকন্ডাক্টর, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), টেলিযোগাযোগ এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানির উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

    কোয়াড ও ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা

    দুই নেতার আলোচনায় কোয়াড জোটও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে আসবে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের এই জোট ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের প্রভাবের মোকাবিলায় একটি কৌশলগত গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক টানাপোড়েন—বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত—কোয়াডের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তবুও ভারত এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

    ব্যবসায়ী সম্মেলন

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Japan) তাঁর এই সফরকালে একটি বিজনেস লিডারস ফোরামেও অংশ নেবেন, যেখানে ভারত ও জাপানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। সম্প্রতি গুজরাটে মোদির উপস্থিতিতে সুজুকি মোটর প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে ইভি উৎপাদন শুরু করেছে, যা এই সফরের প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য। এই সফর শুধু ভারত-জাপান সম্পর্ক নয়, গোটা এশিয়া অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে কূটনৈতিক মহলের অভিমত।

  • Subhangshu Shukla: অপেক্ষার শেষ, ভারতে ফিরছেন শুভাংশু শুক্লা, সোমবার দেখা করবেন মোদির সঙ্গে

    Subhangshu Shukla: অপেক্ষার শেষ, ভারতে ফিরছেন শুভাংশু শুক্লা, সোমবার দেখা করবেন মোদির সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে ফিরে আসার পর এবার দেশের মাটিতে ফিরতে চলেছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা (Subhangshu Shukla)। দীর্ঘ রিহ্যাবিলিটেশন পর্ব শেষ করে রবিবার তিনি ভারতের (India) মাটিতে পা রাখতে পারেন বলে সূত্রের খবর। অক্টোবরে হতে চলা গগনযান মিশনের প্রশিক্ষণ পুনরায় শুরু করার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি।। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। বিমানে বসে ছবিও পোস্ট করেছেন শুভাংশু। লিখেছেন, “ভারতে ফেরার জন্য এবং সকলের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য তিনি আর অপেক্ষা করতে পারছেন না।” প্রসঙ্গত, শুভাংশু শুক্লার বাড়ি লখনউতে। সেখানেই থাকে তাঁর পরিবার। রবিবার তিনি সেখানে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা যাচ্ছে।

    কী লিখলেন শুভাংশু (Subhangshu Shukla)

    নিজের পোস্টে শুভাংশু লেখেন, “ভারতে (India) ফেরার বিমানে বসে আমার মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। মিশনের জন্য বিগত এক বছর ধরে যারা আমার সঙ্গে ছিলেন, যারা আমার পরিবার, বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন, তাঁদের ছেড়ে আসতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আবার আমার বন্ধু, পরিবার ও দেশের সকলের সঙ্গে দেখা করতেও উৎসাহিত। এটাই হয়তো জীবন। গুডবাই বড় কঠিন, কিন্তু আমাদের জীবনে এগিয়ে যেতে হবে।” শেষে তিনি শাহরুখ খানের গানের দুটি পঙক্তিও লেখেন, “ইউ হি চলা চল রাহি, জীবন গাড়ি হ্যায় সময় পাহিয়া।”

    গত মাসেই পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি

    গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা (Subhangshu Shukla) অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের অন্তর্গত একটি অভিযানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন। সেখানে ১৮ দিন কাটিয়ে গত মাসেই পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। মহাকাশ থেকে ফিরে শরীরকে আবার পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এতদিন তিনি রিহ্যাবে ছিলেন। জানা যাচ্ছে, রবিবার তিনি ভারতে আসবেন এবং সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর ২৩ অগাস্ট ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’-এর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলেও জানা গিয়েছে (Subhangshu Shukla)।

  • PM Modi: “বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও হল আরএসএস”, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও হল আরএসএস”, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর ভাষণে উঠে আসে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর ভূয়সী প্রশংসা (RSS)। তিনি বলেন, “আজ অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করতে চাই—১০০ বছর আগে যে সংগঠনের জন্ম হয়েছিল, সেটি হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। বিগত ১০০ বছর ধরে এই সংগঠন সেবামূলক কাজ করে চলেছে। এটি ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবময় ও সোনালি অধ্যায়। চরিত্র গঠনের মাধ্যমে জাতি গঠনের সংকল্প নিয়েই পরিচালিত হয় এই সংগঠন।” প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনিয়ে লালকেল্লায় ১২ বার ভাষণ দিলেন। তিনি নিজেও একজন আরএসএস প্রচারক। ২০২৫ সালের বিজয়া দশমীতে ১০০ বছরে পা দিচ্ছে আরএসএস। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ১০ লক্ষেরও বেশি স্বয়ংসেবক নিজেদের সমর্পণ করেছেন (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, “মাতৃভূমির সেবার লক্ষ্যে ১০ লক্ষেরও বেশি স্বয়ংসেবক সম্পূর্ণভাবে নিজেদের সমর্পণ করেছেন। দেশের উন্নতি ও মাতৃভূমির কল্যাণের জন্য তাঁরা আত্মনিবেদিত।” তিনি বলেন, “সেবা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলাই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অন্যতম বড় বৈশিষ্ট্য। এক অর্থে বলা যায়, আরএসএস বিশ্বের বৃহত্তম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এর ইতিহাস নিঃস্বার্থ সেবার এক শতাব্দীর সাক্ষ্য বহন করে।”

    সরকার গঠন করলেই জাতি গঠিত হয় না

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) কথায়, “কেবলমাত্র সরকার গঠন করলেই জাতি গড়ে ওঠে না। এর পেছনে থাকে লক্ষ লক্ষ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা—ঋষি, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, কৃষক, যুবক, সৈনিক, শ্রমিক—সবার অবদানে গড়ে ওঠে এক শক্তিশালী দেশ। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, উভয়ের অবদানেই নির্মিত হয় জাতির ভিত্তি।”  প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “আজ লালকেল্লা থেকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সেই সব নিঃস্বার্থ স্বয়ংসেবকদের, যারা গত এক শতকে দেশের সেবায় নিজেদের নিবেদিত করেছেন। দেশ গর্বিত এই শতবর্ষীয় আরএসএসের যাত্রাপথে এবং তাদের অবদানে।”

LinkedIn
Share