Tag: PM Narendra Modi

PM Narendra Modi

  • International Yoga Day: ‘‘অশান্ত বিশ্বে শান্তির দিশা দেখায় যোগ’’, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বার্তা মোদির

    International Yoga Day: ‘‘অশান্ত বিশ্বে শান্তির দিশা দেখায় যোগ’’, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বিশ্বে শান্তির পথ দেখায় যোগ। গ্রাম থেকে শহর, যোগ সবার। যোগ হল জীবনের শৃঙ্খলা। শনিবার ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Day of Yoga) অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে এই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi on Yoga Day)। এদিন বিশাখাপত্তমে ২৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৫ লক্ষ মানুষের সঙ্গে যোগে অংশ নেন মোদি। বিশ্ব শান্তিতে যোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এবছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের থিম হল ‘এক পৃথিবী ও এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ’। আরকে বিচে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা ৪৫ পর্যন্ত চলা এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও যোগ দেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, রাজ্যপাল এস আবদুল নাজির, উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ এবং সেই রাজ্যের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ। এখানেই মানুষের জীবনে যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    সবার জন্য যোগ—সীমাহীন একতা

    বিশ্বের প্রত্যেক প্রান্তে মানুষ যোগকে নিজের জীবনের অঙ্গ করে নিয়েছে। ২০১৪ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য রাষ্ট্রসংঘে আবেদন করে ভারত। সেকথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১১ বছর পর বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে যোগ। ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে পালনের জন্য ভারত প্রস্তাব দেওয়ার পরপরই বিশ্বের ১৭৫টি দেশ তা সাদরে গ্রহণ করে। আজ সেই যোগ পৌঁছে গিয়েছে মহাকাশেও, যেখানে নভোচারীরাও যোগাভ্যাস করছেন।” প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “যোগ কারও একার নয়, এটি সবার। এটি বয়স, জাতি, ভাষা কিংবা শারীরিক সামর্থ্যের ঊর্ধ্বে।”

    যোগের মাধ্যমে সমষ্টির কল্যাণ

    ভারতের প্রাচীন মন্ত্র “সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ” উদ্ধৃত করে মোদি জানান, যোগ মানুষকে আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে মুক্ত করে, সমাজমুখী করে তোলে। তিনি বলেন, “যোগ কেবল ব্যায়াম নয়, এটি এক সামাজিক নৈতিকতা—সহানুভূতি, সহমর্মিতা, ও সেবার শিক্ষা দেয়। যোগ হল জীবনের শৃঙ্খলা। একইসঙ্গে এটা একটা ব্যবস্থা যেটা আমাদের আমি থেকে আমরা করে। আমরা বিচ্ছিন্ন নই, আমরা প্রকৃতির অংশ।”

    যোগ হোক নতুন মানবতার নীতি

    বিশ্বে ক্রমবর্ধমান সংঘাত, অস্থিরতা এবং মানসিক চাপের প্রেক্ষিতে মোদি বলেন, “যোগ হচ্ছে সেই ‘পজ বাটন’, যার মাধ্যমে মানুষ নিজের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে পারে।” তিনি আহ্বান জানান নতুন উদ্যোগ ‘যোগা ফর হিউম্যানিটি ২.০’-এর, যেখানে “আভ্যন্তরীন শান্তি হোক আন্তর্জাতিক নীতি”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন অস্থিরতা, চাপানউতোর চলছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের শান্তির দিশা দেয় যোগ।”

    বিজ্ঞানসম্মত গবেষণায় যোগের বিকাশ

    যোগা বয়স, সীমানা নির্বিশেষে সকলের জন্য। মোদি জানান, এইমস-সহ বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছে যে, হৃদরোগ, স্নায়ু সমস্যা, নারী স্বাস্থ্য ও মানসিক সুস্থতায় যোগ অত্যন্ত কার্যকর। মোদি জানান, জাতীয় আয়ুষ মিশনের অধীনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যোগচিকিৎসার প্রচার চলছে, এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লাখ লাখ মানুষ যোগ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।

    স্থূলতা রুখতে যোগ ও খাদ্য সংস্কার

    কুরুক্ষেত্রে ব্রহ্মসরোবর-এ যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন যোগগুরু স্বামী রামদেব এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি। একইভাবে আন্তর্জাতিক যোগাসনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রী। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেও পালিত হয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এদিন সকালে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এদিন রামকৃষ্ণ বিচে প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘১০ শতাংশ কম তেল’ চ্যালেঞ্জের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। বলেন, “তেল কমান, খারাপ খাদ্য এড়ান, যোগ করুন—এটাই আপনার প্রাকৃতিক ফিটনেস ফর্মুলা।”

    যোগ হোক বিশ্বজুড়ে এক গণ-আন্দোলন

    বিশ্বজুড়ে বাড়ছে যোগাসনের জনপ্রিয়তা। ইউকে তে যোগাসনের বিশেষ অনুষ্ঠানে হাজির হন রাজা চার্লস। সেখানে যোগের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে রাজা চার্লস বলেন, “যোগ ঐক্য, সহানুভূতি এবং কল্যাণের আন্তর্জাতিক নীতিগুলি তুলে ধরে। এটির বার্ষিক উদযাপন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্বাস্থ্য ও সুখের প্রেরণা দেয়।” এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদিও বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান, প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় যোগকে অন্তর্ভুক্ত করতে। তিনি বলেন, “প্রতিটি মানুষ তার দিন শুরু করুক যোগের মাধ্যমে, প্রতিটি সমাজ সংহত হোক যোগের মাধ্যমে, আর বিশ্ব হোক শান্তি ও সুস্থতার পথযাত্রী।”

  • PM Modi in Croatia: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা, প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক ক্রোয়েশিয়া সফরে চার-চুক্তি

    PM Modi in Croatia: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা, প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক ক্রোয়েশিয়া সফরে চার-চুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোপ হোক বা এশিয়া— সংঘর্ষের সমাধান যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমেই হওয়া উচিত। ক্রোয়েশিয়ায় (PM Modi in Croatia) ফের একবার শান্তির পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি ভারতের অবিচল অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন তিনি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সাইপ্রাস, কানাডার পর ক্রোয়েশিয়া সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের এই গুরুত্বপূর্ণ দেশে মোদির সফর ছিল কর্মব্যস্ত ও তাৎপর্যপূর্ণ, যা ভারত-ক্রোয়েশিয়া সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।

    মোদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা

    বুধবার ক্রোয়েশিয়ার জাগরেবে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এই দেশে মোদি (PM Modi in Croatia) প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পা রাখলেন। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। বিমানবন্দরে মোদিকে স্বাগত জানান ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচ (Andrej Plenkovic)। অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম ত্রিদেশীয় সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ক্রোয়েশিয়া সফর তাঁর তালিকায় আগে থেকেই ছিল। এই সফরে দুই দেশ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে সই করেছে।

    ক্রোয়েশিয়ায় প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    ক্রোয়েশিয়ার প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Croatia)। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে পৌঁছানোর পর, সেখানকার ভারতীয়রা “বন্দে মাতরম” এবং “ভারত মাতা কি জয়” ধ্বনি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় নৃত্যও পরিবেশন করা হয়। এদিন সাদা পোশাক পরা ক্রোয়েশিয়ান নাগরিকদের একটি দল ‘গায়ত্রী মন্ত্র’ এবং অন্যান্য সংস্কৃত শ্লোক উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানান। এই অনুষ্ঠান ভারত ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বন্ধন তুলে ধরে। এই মুহূর্তের ভিডিওটি প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়েছে। পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, “সংস্কৃতির বন্ধন দৃঢ় এবং প্রাণবন্ত! জাগরেবে স্বাগত জানানোর একটি অংশ এখানে দিলাম। ক্রোয়েশিয়ায় ভারতীয় সংস্কৃতির এত শ্রদ্ধা দেখে খুশি হলাম।” আরেকটি পোস্টে, প্রধানমন্ত্রী মোদি জাগরেবে তাঁর উষ্ণ অভ্যর্থনার একটি সুন্দর দুই মিনিটের ভিডিও শেয়ার করেছেন। এর মধ্যে প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও রয়েছে। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “জাগরেবে স্মরণীয় স্বাগত, উষ্ণতা এবং স্নেহে পরিপূর্ণ!”

    প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচের সঙ্গে বৈঠক

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Croatia) জাগরেবে ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রে প্লেনকোভিচের সঙ্গে প্রতিনিধি-স্তরের বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এক যৌথ প্রেস বিবৃতিতে উভয় নেতা বিশ্ব শান্তি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সরবরাহ শৃঙ্খল শক্তিশালী করার পাশাপাশি, ওষুধ শিল্প, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিচ্ছন্ন ও ডিজিটাল প্রযুক্তি, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জাহাজ নির্মাণ, সাইবার নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান মোদি। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে, যার আওতায় যৌথ প্রশিক্ষণ, সামরিক বিনিময় এবং শিল্প পর্যায়ের অংশীদারিত্ব থাকবে।

    সফরকালে দুই দেশের মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে:

    কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা

    ২০২৬-২০৩০ সালের সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি

    ২০২৫-২০২৯ সালের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক কর্মসূচি

    জাগরেব বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দি চেয়ার স্থাপন

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ

    আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Croatia) ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোরান মিলানোভিচের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতির কথা পুনরুল্লেখ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক ফোরামগুলিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্রোয়েশিয়ায় যোগব্যায়ামের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস যথাযোগ্য উৎসাহে পালিত হবে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। তিনি এপ্রিল ২২ তারিখে ভারতের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর ক্রোয়েশিয়ার জনগণ ও সরকারের সহানুভূতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

    ভারত-ক্রোয়েশিয়া সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা

    প্রধানমন্ত্রী প্লেনকোভিচ জাগরেবে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Croatia) সম্মানে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন। যা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এক নতুন মাত্রা দেয়। বিদায় বেলায় প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্রোয়েশিয়ার সরকার ও জনগণের উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁর কথায়, এই সফর ভারত-ক্রোয়েশিয়া সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে যা শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিন্ন লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই ঐতিহাসিক সফরের মাধ্যমে ভারত ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে, বলে মনে করছে কৃটনৈতিক মহল।

  • Modi-Vance Meeting: ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তির জন্য আলোচনা এগোচ্ছে, ভান্সের সন্তানদের সঙ্গে মজা মোদির

    Modi-Vance Meeting: ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তির জন্য আলোচনা এগোচ্ছে, ভান্সের সন্তানদের সঙ্গে মজা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-আমেরিকা (Modi-Vance Meeting) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষর করতে চায় দুই দেশ। চিনের সঙ্গে আমেরিকার বানিজ্য-যুদ্ধের আবহেই ৪ দিনের ভারত সফরে এসেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন, তাঁদের মধ্যে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকও হয়। এই বৈঠকে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    বাণিজ্য-চুক্তির দিকে তাকিয়ে দিল্লি-ওয়াশিংটন

    ভারতের ওপর চাপানো অতিরিক্ত শুল্কের বোঝা আপাতত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রেখেছেন ট্রাম্প। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির (Modi-Vance Meeting) অগ্রগতির জন্যই তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এই চুক্তির ফলে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকে ভান্স দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে জোর দেন। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে যে, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী। ভারতের সঙ্গে এই বাণিজ্য চুক্তিটি হলে তা বিশ্বের বৃহত্তম পণ্য প্রস্তুতকারক চিনের সঙ্গে তাঁদের বাণিজ্য যুদ্ধের ধাক্কা কিছুটা হলেও কমাতে সাহায্য করবে আমেরিকাকে। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, জুলাই মাসের শেষেই এই বাণিজ্য চুক্তিটি সম্পন্ন করার ব্যাপারে আশাবাদী দিল্লি। সূত্রের খবর, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নয়াদিল্লির এক কর্তা জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং জেডি ভান্সের মধ্যে বৈঠকের পরপরই, এই সপ্তাহে নির্দিষ্ট একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। অপরদিকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শীঘ্রই আইএমএফ বৈঠকের জন্য ওয়াশিংটনে যাবেন। সেখানে তিনি ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করবেন বলেও জানা গিয়েছে।

    ভারতীয় পোশাকে ভান্সের সন্তানরা

    সোমবার সকালেই ভারতে পৌঁছন ভান্স। সকাল ১০টার কিছু আগে দিল্লির পালাম বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে তাঁর বিমান। ভান্সের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী উষা ভান্স এবং তিন শিশুসন্তান— ইওয়ান, বিবেক ও মিরাবেল। তিন সন্তানেরই পরনে ছিল ভারতীয় পোশাক। দুই পুত্র পরেছিল কুর্তা-পাঞ্জাবি। কন্যার পরনে ছিল চোলি-লেহঙ্গা। পালাম বিমানঘাঁটিতে ভান্সকে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় রেল এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিমানঘাঁটিতে ভান্সকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদির ৭ লোক কল্যাণ মার্গের সরকারি বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাতের সময়ও স্ত্রী এবং সন্তানদের নিয়ে গিয়েছিলেন ভান্স। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময়েও ভান্সের তিন সন্তানের পরনে ছিল ভারতীয় পোশাক। ইওয়ানের পরনে কালো বন্ধগলা, বিবেক সেজেছিল কুর্তা এবং জহর কোটে। হালকা রঙের চুড়িদার পরেছিল ছোট্ট মিরাবেল।

    প্রধানমন্ত্রী না ‘দাদু’ মোদি

    সোমবার রাতে সপরিবারে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান ভান্স। গাড়ি থেকে নেমেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দিব্যি ভাব হয়ে যায় ভান্সের (Modi-Vance Meeting) তিন সন্তানের। ভান্স পরিবারকে নিজের বাসভবন ঘুরিয়ে দেখান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বাড়িতে গিয়ে রীতিমতো হুটোপাটিতে মাতে তিন খুদে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কোলে চড়তে দেখা গিয়েছে ইওয়ান এবং বিবেককে। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদি নন, ‘দাদু’ মোদি। ভান্সের তিন সন্তানকে ময়ূরের পালক উপহার দেন মোদি। ভান্স মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তরফে শুভেচ্ছাবার্তা দেন মোদিকে। মোদিও ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে ভান্সের মাধ্যমে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান। বৈঠকের শেষে ভান্স এবং তাঁর পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ছিল বিশেষ নৈশভোজের আসর।

    জ্বালানি, প্রতিরক্ষা নানা ক্ষেত্রে সাহায্যের বার্তা

    বাণিজ্যচুক্তির পাশাপাশি এদিন জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, কৌশলগত প্রযুক্তি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ভারত মার্কিন সহযোগিতা নিয়ে মোদি ও ভান্সের মধ্যে আলোচনা হয়। নানা ক্ষেত্রে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের দৃঢ়তা বাড়ানো নিয়ে কথা হয়েছে তাঁদের। চলতি বছরের শেষের দিকে ভারত সফরে আসতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও, এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে মোদি-ভান্স বৈঠকের পর। মঙ্গলবার দিল্লি থেকে জয়পুর যাবেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। আমের ফোর্ট-সহ নানা স্থাপত্য ঘুরে দেখবেন তিনি। তারপর রাজস্থান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে বক্তৃতাও দেবেন।

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০,০০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য

    কিছুদিন আগে ভারতীয় পণ্যের উপর ২৬ শতাংশ পারস্পরিক শুল্কের কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তবে আপাতত ৯০ দিনের জন্য সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন তিনি। দুই দেশের স্বার্থে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তিতে অনেকটাই এগিয়েছে ভারত ও আমেরিকা। ২০৩০ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০,০০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে চুক্তি করতে চায় নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন। এখন যা প্রায় ১৯,১০০ কোটি ডলার। অতিরিক্ত বাণিজ্যসচিব এবং এই আলোচনায় ভারতের প্রধান প্রতিনিধি রাজেশ আগরওয়াল সম্প্রতি জানিয়েছেন, মে-র শেষে মুখোমুখি বৈঠক শুরু হবে বলে আশা করছেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত সময়সীমা মেনেই সব কিছু এগোচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পারস্পরিক শুল্ক নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে এগোনো সম্ভব বলেও মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

     

     

     

     

     

     

  • PM Modi: ‘‘স্বামীজির শিক্ষা আমার জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছে’’, মার্কিন পডকাস্টারকে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘স্বামীজির শিক্ষা আমার জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছে’’, মার্কিন পডকাস্টারকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা আমার জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছে! মার্কিন জনপ্রিয় পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে আলোচনায় এমনটাই জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। রবিবারই মোদির (PM Modi) সঙ্গে ফ্রিডম্যানের পডকাস্ট শো-কে ব্রডকাস্ট হয়। সেখানেই তাঁর জীবনে স্বামীজির প্রভাবের কথা তুলে ধরেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘‘ছোটবেলায় গ্রামের পাঠাগারে নিয়মিত যেতাম আমি। সেখানে স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে পড়াশোনা করতাম। স্বামীজির শিক্ষা আমার জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছে।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘স্বামীজির লেখা এবং স্বামীজির জীবনী পড়ে উপলব্ধি করি, জীবনে সত্যিকারের পরিপূর্ণতা ব্যক্তিগত সাফল্যে নয়, অন্যের প্রতি স্বার্থহীন সেবার মাধ্যমে।’’

    বড় হয়েছি প্রচুর কষ্টের মধ্যে!

    মুখোমুখি আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন বললেন নিজের শৈশবের ছোট গল্পগুলোকে। জানালেন কীভাবে দারিদ্রতার মধ্য়ে দিয়ে বড় হতে হয়েছে তাঁকে। তবে তাঁর জীবনের অভাব কখনও তাঁর কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়ায়নি বলেই দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তাঁর কথায়, ‘‘প্রচুর কষ্টের মধ্য়ে বড় হতে হলেও, কখনও বঞ্চনা শিকার হতে হয়নি আমাকে। মানুষের স্নেহেই কেটে গিয়েছিল জীবনের অর্থাভাব।’’

    সাদা চক দিয়ে জুতো পরিষ্কার করতাম!

    এরপর তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘ছেলেবেলায় আমার কাকা আমাকে একটা সাদা রঙের জুতো দিয়েছিল। অন্যদের কাছে জুতো পরিষ্কারের সামগ্রী থাকলেও, আমার কাছে তা ছিল না। তাই স্কুলের ফেলে দেওয়া চকগুলোকে দিয়ে সেই সাদা জুতো ঝাঁ চকচকে রাখার চেষ্টা করতাম। অর্থাভাবকে কখনওই আমি সংগ্রাম হিসাবে দেখিনি।’’ রবিবারের সন্ধ্যায় মার্কিন পডকাস্টারের সঙ্গে আলোচনায় একের পর বড় চমক দিলেন প্রধানমন্ত্রী। দুনিয়া খ্যাত মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্য়ানের সঙ্গে মুখোমুখি বসলেন ১৪০ কোটির দেশের প্রধানমন্ত্রী। মার্কিন আর্টিফিশিয়াল রিসার্চার ফ্রিডম্য়ানের সঙ্গে আলোচনা বসে নিজের শৈশব থেকে রাজনীতি, সব পর্বই তুলে ধরলেন তিনি। প্রসঙ্গত, গুজরাটের ভাটনগরে জন্ম হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির। তাঁর শৈশব কেটেছে অত্যন্ত দারিদ্রতার সঙ্গেই। এই আবহে জারি থেকেছে পড়াশোনা। এরপর কিশোর বয়স থেকেই জুড়েছে আরএসএস-র কাজে। এদিন মার্কিন পডকাস্টারের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় ছেলেবেলার সেই দিনগুলির কথাই তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী।

  • Modi-Ursula Meeting: চিনকে রুখতে ভরসা ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ ভারত, মোদির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের

    Modi-Ursula Meeting: চিনকে রুখতে ভরসা ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ ভারত, মোদির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বাণিজ্যিক মানচিত্রে বড় বদল আনবে ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর। দু’দিনের ভারত সফরে এসে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন (Modi-Ursula Meeting)। চিনের আগ্রাসী অর্থনীতি ও একচেটিয়া উৎপাদননীতিকে ঠেকাতেই দিল্লির সঙ্গে বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের। শুক্রবার দু’দিনের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা।

    মোদি-উরসুলা বৈঠক

    মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরে উরসুলা বলেন, ‘‘আমরা ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।’’ ইইউ-র কাছে ভারত সেই বিশ্বস্ত বন্ধু এবং কৌশলগত অংশীদার (Modi-Ursula Meeting) বলে জানিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (আইএনইসি) নির্মাণ প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ করা হবে।’’ ওই করিডর নির্মিত হলে বিশ্বের বাণিজ্যিক মানচিত্রে বড় বদল হবে বলেও দাবি করেন তিনি। মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর উরসুলা জানান, চলতি বছরের শেষেই দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হতে পারে। অন্য দিকে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘দু’পক্ষই বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তির পাশাপাশি ভৌগোলিক বাণিজ্যের মানচিত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য আলোচনার অগ্রগতির দিকে তাকিয়ে রয়েছে।’’

    ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিনিধি দল

    এই প্রতিনিধি দলে ইউরোপীয় কমিশনের (EC) প্রেসিডেন্ট উরসুলা সহ ২২ জন কমিশনার রয়েছেন। এটি হল ২০১৯ সালে গঠিত ইউরোপীয় কমিশনের প্রথম বাইরের সফর এবং প্রথমবারের মতো একসঙ্গে ভারত সফর করছেন ইউরোপীয় কমিশনাররা। ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের তৃতীয় দশকে পদার্পণ করেছে। এই আবহে কমিশনারদের এই সফর ভারত-ইউরোপ সম্পর্কে নতুন এক যুগের সূচনা করবে, বলে অভিমত কূটনৈতিক মহলের।

    চিন নির্ভরতা কমানো লক্ষ্য

    বর্তমানে জোগানের শৃঙ্খলে চিন-নির্ভরতা উদ্বেগের কারণ পশ্চিমের দেশগুলির। তাদের সেই উদ্বেগকে কাজে লাগাতে চাইছে নয়াদিল্লি। ১০-১৪ মার্চ ব্রাসেলসে হবে ভারত-ইইউ-এর বাণিজ্য বৈঠক হবে। তার আগে গাড়ি, ওয়াইন-সহ বিভিন্ন পণ্যে আমদানি শুল্ক কমাতে দিল্লিকে অনুরোধ করবে ইউরোপীয় কমিশন। ভারতও চাইছে নিজ শর্তে ইউরোপের সদস্য দেশগুলিতে পণ্য রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ বাড়াতে।

    বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠ

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও বৈঠক করেন উরসুলা। তাঁদের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক সম্পর্কিত আলোচনার পাশাপাশি কথা হয় প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে সমন্বয় এবং রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়েও। নয়াদিল্লি পৌঁছে উরসুলা তাঁর সমাজমাধ্যমের হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিলেন, ‘আমার প্রতিনিধিদের (কমিশনার) নিয়ে দিল্লির মাটি ছুঁলাম। সংঘাত এবং প্রবল প্রতিযোগিতার এই কালখণ্ডে প্রয়োজন হয় বিশ্বস্ত বন্ধুর। ইউরোপের ক্ষেত্রে ভারত সেই বিশ্বস্ত বন্ধু এবং কৌশলগত অংশীদার। এই অংশীদারি কীভাবে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে আমাদের।’

    সম্পর্কের গভীরতা

    ভারত ১৯৬২ সালে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক কমিউনিটির (যা পরবর্তীতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৯৩ সালে এক যৌথ রাজনৈতিক ঘোষণা এবং ১৯৯৪ সালের সহযোগিতা চুক্তি ভারত-ইউরোপ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে। এখনও পর্যন্ত ১৫টি ভারত-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রথম সম্মেলনটি ২০০০ সালে লিসবনে হয়েছিল। ২০০৪ সালে হেগে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সম্মেলনে ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে পরিণত করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলাও একাধিকবার বৈঠক করেছেন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট ভন ডার লায়েন ভারত সফর করেন এবং রাইসিনা সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন।

    বৈঠক ও উদ্যোগ

    ২০২০ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ভারত-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলনে “ভারত-ইউরোপীয় কৌশলগত অংশীদারিত্ব: ২০২৫ এর রোডম্যাপ” গৃহীত হয়। ২০২১ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে একটি মুক্ত বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ চুক্তি নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানেই ভারত ও ইউরোপের দেশগুলি এক সম্মতিতে পৌঁছেছে, যা পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে স্বাক্ষরিত হতে পারে। ভারত-ইউরোপীয় বাণিজ্য ও প্রযুক্তি কাউন্সিল (TTC) ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বাণিজ্য, নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত সমন্বয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। টিটিসি-এর প্রথম মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক ২০২৩ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবং দ্বিতীয় বৈঠক দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।

    বাণিজ্য ও বিনিয়োগ

    ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (India-Europe Partnership) প্রায় ১৫ বছর ধরে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারতকে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হিসাবে গড়ে তুলেছে। ২০২৩-২৪ সালে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ১৩৫ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ভারতীয় রফতানি ছিল ৭৬ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ৫৯ বিলিয়ন ডলার।

    প্রযুক্তি সহযোগিতা

    চিন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি করছে, সেই প্রেক্ষাপটে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রযুক্তি সহযোগিতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ২০০৭ সালে সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কোঅপারেশন চুক্তির আওতায় এই সহযোগিতা চলছে। ২০২২ সালে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং (HPC) এবং ২০২৩ সালে সেমিকন্ডাক্টর গবেষণায় সহযোগিতা নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

    সবুজ শক্তির সমাধান

    ভারত-ইউরোপীয় (India-Europe Partnership) সবুজ হাইড্রোজেন সহযোগিতা উদ্যোগের আওতায়, ভারত ২০২৪ সালের নভেম্বরে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় হাইড্রোজেন সপ্তাহে একমাত্র অংশীদার দেশ ছিল। ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক ভারতীয় হাইড্রোজেন প্রকল্পে ১ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    জনগণ ও জনগণের সম্পর্ক

    ভারত-ইউরোপীয় সম্পর্কের একটি শক্তিশালী ভিত্তি হল জনগণের সম্পর্ক। ইউরোপে ভারতীয় মহল সম্প্রসারিত হচ্ছে, যার মধ্যে ছাত্র, গবেষক এবং দক্ষ পেশাজীবী রয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্লু কার্ডের শীর্ষ প্রাপক ছিল ভারতীয় পেশাজীবীরা।

    প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ

    ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (India-Europe Partnership) তাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা শক্তিশালী করছে, বিশেষ করে সমুদ্র নিরাপত্তা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম যৌথ নৌযান মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহাকাশ গবেষণায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ESA) একসাথে কাজ করছে, যেমন চন্দ্রযান-৩ এবং আদিত্য-এল-ওয়ান মিশনে।

    কী বলছে কমিশন

    কমিশনের সফররত এক কর্তা বলেন, ‘‘ভারত বৃহৎ উদীয়মান অর্থনীতি। সেখানে ছোট-বড় কৃষিজীবী মানুষ ও উদ্যোগ রয়েছে। এটি আমাদের চুক্তিতে প্রতিফলিত হবে। কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলি আগ্রহী। তবে চুক্তি যা-ই হোক, ভারসাম্য থাকা জরুরি। যেমন গাড়ি, ওয়াইন এবং স্পিরিটের মতো পণ্যের উপর ভারতের শুল্ক অনেক বেশি। ইইউ এই শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার চেষ্টা করবে।’’ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, রাষ্ট্রগোষ্ঠী হিসেবে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী ইইউ। গত বছর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে ১২,৬০০ কোটি ডলার। এক দশকে বেড়েছে ৯০%।

  • PM Modi: “কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করেন, মানুষকে বিভক্ত করেন,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করেন, মানুষকে বিভক্ত করেন,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করেন এবং বিদেশি শক্তির সমর্থনে মানুষকে বিভক্ত করেন। এভাবে তাঁরা আদতে দেশকেই দুর্বল করার চেষ্টা করেন।” রবিবার এমনই অভিযোগ করলেন (Bageshwar Dham) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিরোধিতা যাঁরা করেন, তাঁদেরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করছে (PM Modi)

    তিনি বলেন, “আজকাল আমরা দেখি কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করছে। তারা মানুষকে বিভক্ত করার কাজে লিপ্ত। প্রায়ই বিদেশি শক্তিগুলি, যারা এই নেতাদের সমর্থন করে, তারাও দেশ ও ধর্মকে দুর্বল করার চেষ্টা করে। যারা হিন্দুদের ঘৃণা করে, তারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এখানে বসবাস করছে। দাসত্বের মানসিকতা নিয়ে থাকা লোকেরা আমাদের বিশ্বাস, মন্দির, ধর্ম এবং আদর্শের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের উৎসব এবং ঐতিহ্যকে অপমান করে, আমাদের ধর্মকে আক্রমণ করে, সমাজকে বিভক্ত করে আমাদের ঐক্য ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে।”

    মহাকুম্ভ ভারতের ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করবে

    মহাকুম্ভ সমালোচকদেরও তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ ভারতের ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করবে। লক্ষ লক্ষ ভক্ত ইতিমধ্যেই ত্রিবেণীতে পবিত্র স্নান করেছেন। মহাকুম্ভ ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলবে। আমি কুম্ভে কঠোর পরিশ্রম করা পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও পুলিশ কর্মীদের অভিনন্দন জানাই।”

    প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এহেন মন্তব্য এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন বিরোধী দলের কিছু নেতা কুম্ভমেলায় অব্যবস্থা এবং ভক্তদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাবের অভিযোগে সরব হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো এক কদম এগিয়ে এই মেলাকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলে অভিহিত করেছেন। সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের দাবি, ত্রিবেণী সঙ্গমে গঙ্গার জলের গুণমান সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার ও কেন্দ্রীয় সংস্থার পরিসংখ্যানে অমিল রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এদিন প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুর জেলায় বাগেশ্বর ধাম মেডিক্যাল ও সায়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর ক্যান্সারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০ কোটিরও বেশি মূল্যের এই হাসপাতালটিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন (Bageshwar Dham)। এখানে দরিদ্র ক্যান্সার রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে (PM Modi)।

  • PM Modi: ‘ভারতে বিনিয়োগের সঠিক সময়’, ফ্রান্স থেকে বিশ্বকে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi: ‘ভারতে বিনিয়োগের সঠিক সময়’, ফ্রান্স থেকে বিশ্বকে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে বিনিয়োগের এটাই সঠিক সময়। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’-র লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে দেশ। বিশ্বের তাবড় শিল্পোদ্যোগী, বিনিয়োগকারী তথা শিল্প সংস্থাকে ভারতে আসার আহ্বান জানিয়ে এই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্যারিসে ১৪তম ভারত-ফ্রান্স সিইও ফোরামে মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন মোদি। ভারত-ফ্রান্স সিইও ফোরামে তাঁকে স্বাগত জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ। দুই দেশের বড় বড় সংস্থার প্রতিনিধিরা এই ফোরামে অংশ নেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্যারিসে ১৪তম ভারত-ফ্রান্স সিইও ফোরামে প্রধানমন্ত্রী (Modi in France) জানান, ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে দেশ। ভারতে বিনিয়োগের জন্য এটাই সবচেয়ে ভাল সময়। তিনি বলেন, “গত এক দশকে ভারতে পরিবর্তন আপনারা লক্ষ করেছেন। বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে।” তাঁর সংযোজন “এখন বিনিয়োগের গন্তব্যস্থল ভারত। আমরা এখন সেমিকন্ডাক্টর এবং কোয়ান্টাম মিশনও শুরু করেছি। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র উদ্যোগকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’’

    ভারত-ফ্রান্স গভীর বন্ধুত্ব

    এদিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর সঙ্গে এখানে থাকতে পারা আমার কাছে খুবই আনন্দের। গত ২ বছরে এটা আমাদের ষষ্ঠ সাক্ষাৎ। গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন ম্যাক্রঁ।” প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, “ভারত ও ফ্রান্স শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের দ্বারাই যুক্ত নয় ৷ আমাদের বন্ধুত্বের ভিত্তি একে অপরের প্রতি গভীর বিশ্বাস, উদ্ভাবন এবং জনকল্যাণ ৷ আমাদের অংশীদারিত্ব শুধুমাত্র দু’টি দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় ৷ বিশ্বের নানা সমস্যা, চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় আমরা একে অপরের সহযোগিতা করছি ৷ আমি শেষ বার যখন এখানে এসেছিলাম, তখনই আমাদের অংশীদারিত্ব বিষয়ে ২০৪৭ সালের রোডম্যাপের কথা উল্লেখ করেছিলাম ৷” সফলভাবে এআই অ্যাকশন সম্মেলন আয়োজনের জন্য ম্যাক্রঁকে ধন্যবাদ জানান মোদি। এরপরই এআই, মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আগে ভারতীয় সংস্থাগুলি বিমানের জন্য বাইরে বড় বড় বরাত দিত। এখন আমরা (ভারতে) ১২০টি নতুন বিমানবন্দর খুলতে চলেছি। তা হলে ভাবুন, ওই ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ কতটা সম্ভাবনাময়।’’

  • Delhi Assembly Election: দিল্লিতে বিজেপির জয়ে আরএসএস-এর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, নেপথ্যে থেকে কী কী কাজ করেছে?

    Delhi Assembly Election: দিল্লিতে বিজেপির জয়ে আরএসএস-এর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, নেপথ্যে থেকে কী কী কাজ করেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিবাসীর মন জিতে নিল বিজেপি। ২৭ বছর পর ফের রাজধানীতে গেরুয়া ঝড়। ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আসতে চলেছে বিজেপি। দিল্লিতে বিজেপির এই জয়ের পিছনে বড় অবদান রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের। দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনে সক্রিয় ছিল আরএসএস। সরাসরি রাজনৈতিক প্রচার না করলেও আরএসএস ১০০ শতাংশ ভোটদানের প্রচার করে দিল্লিতে। গোটা রাজ্যে গত কয়েকমাস ধরে নিঃশব্দে কাজ করে গিয়েছেন আরএসএসের নেতা-কর্মীরা।

    দিল্লিতে আরএসএস-এর প্রচার

    দিল্লিতে বিপুল ব্যবধানে বিজেপিকে জেতাতে আরএসএস চেষ্টার কসুর করেনি। গণেশ উৎসব, দুর্গা নবরাত্রি, কোজাগরী থেকে দীপাবলি পর্যন্ত প্রতিটি উৎসবকে কেন্দ্র করে মহল্লায় জমায়েত করেছে আরএসএস। সঙ্ঘ পরিবারের সমস্ত সংগঠন মাঠে নেমেছে। আরএসএস স্বয়ংসেবকেরা সকালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। গত কয়েকটি নির্বাচনে যেমন হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিজেপির সাফল্যের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আরএসএসের, তেমনি দিল্লিতেও বিজেপির প্রচারে একধাপ এগিয়ে গিয়েছে সংগঠন। আরএসএস, একটি সামাজিক সংগঠন যা সাধারণত রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে কিছুটা দূরে থাকে। তবে বিজেপির পক্ষে এর প্রচার একেবারে সহজাত। সাধারণত এটি ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলে বিজেপির হিন্দুত্ব এবং জাতীয়তাবাদী বার্তা প্রচার করে।

    দিল্লিতে মানুষকে একজোট করার বার্তা

    ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আপ ২০১৩ সালে দিল্লিতে শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং ২০১৫ সাল থেকে শাসন চলতে থাকে। তবে কেজরিওয়াল ও অতীশী সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে ক্ষোভের পারদ চড়তে থাকে। জনগণের মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভে ঘৃতাহুতি দেন আরএসএস-এর কর্মীরা। তাঁরা মানুষের সামনে বিজেপির জাতীয়তাবাদী রাজনীতির আদর্শকে তুলে ধরেন। দিল্লিতে নির্বাচনের আগে, আরএসএস তার প্রচার শুরু করে দেয়। সংগঠনটির কাজ আটটি বিভাগে (জোন) ভাগ করা হয়েছে, যা ৩০টি জেলা এবং ১৭৩টি নগরে কার্যক্রম পরিচালনা করে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকেই, প্রত্যেকটি জোনকে “ড্রয়িং রুম সভা” আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই সভাগুলি ছোট ছোট গ্রুপে আয়োজন করা হতো। যেগুলি স্থানীয় এলাকাগুলির অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং সেন্টার, স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠিত হত। এখানে মূলত বিজেপির লক্ষ্য, উন্নততর ভারত গঠনের চেষ্টাকেই গুরুত্ব দেওয়া হত। বলা হত, অমৃতকালের কথা। দলীয় সূত্রে খবর, দিল্লিতে মোট ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভার আয়োজন করেছিল আরএসএস। যেখানে প্রায় ৪ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। পশ্চিম দিল্লির এক আরএসএস কর্মী বলেন, “আমাদের কাজ ছিল ভোটারদের শেখানো, যাতে তাঁরা বুথে গিয়ে জাতীয় স্বার্থে ভোট দেন। তবে হ্যাঁ, আমরা বিজেপিকে ভোট দিতে বলছিলাম। কারণ তারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করছে।” মানুষের সামনে প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্লিন ইমেজও তুলে ধরেন সঙ্ঘের সদস্যরা।

  • India-Bangladesh Relation: ‘হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই’, সাফ জানাল বিদেশমন্ত্রক

    India-Bangladesh Relation: ‘হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই’, সাফ জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) মন্তব্য তাঁর ‘ব্যক্তিগত’। তার সঙ্গে ভারতের (India-Bangladesh Relation) কোনও সম্পর্ক নেই। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। বাংলাদেশের সঙ্গে সদর্থক, গঠনমূলক, এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্কও বজায় রাখতে চায় ভারত ৷ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ডেকে এই কথাও জানিয়ে দিল সাউথ ব্লক ৷

    কেন তলব রাষ্ট্রদূতকে

    বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relation)  ধানমন্ডিতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক মুজিবুর রহমানের বাড়িতে তাণ্ডব, ভাঙচুর চলে৷ পরদিন সকালে সেই ঐতিহাসিক বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ৷ এদিকে সেদিনই ভার্চুয়ালি বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা দেন গণঅভ্যুত্থানের জেরে দেশছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ ভারতও মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বাড়ি ভাঙার ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করে। এর জন্য ভারতের সমালোচনা করে ইউনুস সরকার। এরপরই শুক্রবার নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নুরল ইসলামকে সমন পাঠিয়ে সাউথ ব্লকে তলব করা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দেয় বিদেশ মন্ত্রক।

    ভারতের অবস্থান স্পষ্ট

    বিবৃতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relation)  রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে, ভারত একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশের সঙ্গে। সম্প্রতি দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বার বার এই বিষয়টি ব্যক্ত করা হয়েছে। তবে এটা দুঃখজনক যে, বাংলাদেশ প্রশাসনের নিয়মিত বিবৃতিতে ভারতকে নেতিবাচক ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। সে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এ ধরনের বিবৃতি দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাচ্ছে। হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে নয়াদিল্লি আরও এক বার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসিনা (Sheikh Hasina) নিজের ক্ষমতাবলে মন্তব্য করছেন। এখানে ভারতের কোনও ভূমিকা নেই। হাসিনার মন্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতিতে সাহায্য করবে না। বিদেশ মন্ত্রক আরও বলেছে, ‘‘ভারত সরকার পারস্পরিক ইতিবাচক সম্পর্কের জন্য চেষ্টা করছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশও সেই পরিবেশ নষ্ট না-করে একই রকম ভাবে হাত বাড়িয়ে দেবে।’’

  • India Defence: ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্স যাচ্ছেন মোদি, তখনই স্বাক্ষর রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি?

    India Defence: ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্স যাচ্ছেন মোদি, তখনই স্বাক্ষর রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই ভারতীয় নৌসেনার জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ও তিনটি স্করপিন সাবমেরিন কিনতে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি (India France Deal) করতে চলেছে ভারত। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই খবর।

    নৌসেনার ‘গেমচেঞ্জার’ রাফাল-মেরিন যুদ্ধবিমান

    যুদ্ধবিমান থেকে অস্ত্র— প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কেনাকাটার দায়িত্বে রয়েছে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (India Defence)। সম্প্রতি, এই কাউন্সিলের বৈঠকে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে একপ্রকার সবুজ সঙ্কেত মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এর আগে, নৌসেনার জন্য রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ও স্করপিন সাবমেরিন কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি বা ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিসিএস)। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই বাস্তবায়িত করা হতে পারে চুক্তি (India France Deal)। এর ফলে, ভারতীয় নৌসেনার শক্তি এক লপ্তে অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা (India Defence)। তাঁদের মতে, ভারতীয় নৌসেনার জন্য রাফাল-মেরিন যুদ্ধবিমান ‘গেমচেঞ্জার’ হতে পারে।

    মোদির প্যারিস সফরেই স্বাক্ষর হবে চুক্তি?

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ প্যারিস যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi)। সেখানে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম মেধা নিয়ে একটি সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তারই ফাঁকে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করার কথা মোদির। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই সম্ভবত চুক্তি (India France Deal) সম্পন্ন হতে পারে। বর্তমানে তা একেবারেই চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে, ফ্রান্সের থেকে ২২টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (India Defence)। এই যুদ্ধবিমানগুলি নৌসেনার বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত-এ মোতায়েন করার কথা। তারই সঙ্গে তিনটি স্করপিন সাবমেরিন কেনার বিষয়েও অনুমোদন মিলেছিল।

    রাফাল-এম জেটের জন্য দুই দেশের সরাসরি চুক্তি?

    নৌসেনার প্রোজেক্ট ৭৫-এর আওতায় ফ্রান্সের নেভাল গ্রুপের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতায় ৬টি স্করপিন সাবমেরিন ভারতের মাঝগাঁও ডকইয়ার্ডে ইতিমধ্যেই নির্মিত হয়েছে। এখন অতিরিক্ত তিনটি সাবমেরিনের জন্য চুক্তি (India France Deal) স্বাক্ষরিত হতে চলেছে (India Defence)। শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য কেনা রাফাল যুদ্ধবিমানের সময় যেমন ইন্টার-গভর্নমেন্টাল এগ্রিমেন্ট (দুই সরকারের মধ্যে সরাসরি চুক্তি) হয়েছিল, ঠিক তেমনভাবেই নৌসেনার জন্য রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হতে পারে। তেমনটা হলে, সবকটি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ফ্রান্সে নির্মিত হয়ে এখানে আসবে। এতে ভারতীয় নৌসেনা অত্যন্ত দ্রুত এই যুদ্ধবিমান হাতে পাবে।

    প্রতিরক্ষায় ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব…

    মোদি জমানায় ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রতিরক্ষা সমঝোতা ও সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। একদিকে, ভারত যেমন ফ্রান্সের থেকে যুদ্ধবিমান ও অত্যাধুনিক মিসাইল আমদানি করছে (India France Deal)। তেমনভাবেই, ভারতের নিজস্ব পিনাকা মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার কেনার বিষয়ে বিপুল আগ্রহ দেখিয়েছে ফ্রান্স। এর পাশাপাশি, দুই দেশ যুদ্ধবিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের জন্য অত্যাধুনিক জেট ইঞ্জিন যৌথভাবে নির্মাণ করার বিষয়ে আলোচনা অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে (India Defence)।

LinkedIn
Share