Tag: PM Narendra Modi

PM Narendra Modi

  • PM Modi: ‘ভারতে বিনিয়োগের সঠিক সময়’, ফ্রান্স থেকে বিশ্বকে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi: ‘ভারতে বিনিয়োগের সঠিক সময়’, ফ্রান্স থেকে বিশ্বকে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে বিনিয়োগের এটাই সঠিক সময়। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’-র লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে দেশ। বিশ্বের তাবড় শিল্পোদ্যোগী, বিনিয়োগকারী তথা শিল্প সংস্থাকে ভারতে আসার আহ্বান জানিয়ে এই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্যারিসে ১৪তম ভারত-ফ্রান্স সিইও ফোরামে মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন মোদি। ভারত-ফ্রান্স সিইও ফোরামে তাঁকে স্বাগত জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ। দুই দেশের বড় বড় সংস্থার প্রতিনিধিরা এই ফোরামে অংশ নেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্যারিসে ১৪তম ভারত-ফ্রান্স সিইও ফোরামে প্রধানমন্ত্রী (Modi in France) জানান, ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে দেশ। ভারতে বিনিয়োগের জন্য এটাই সবচেয়ে ভাল সময়। তিনি বলেন, “গত এক দশকে ভারতে পরিবর্তন আপনারা লক্ষ করেছেন। বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে।” তাঁর সংযোজন “এখন বিনিয়োগের গন্তব্যস্থল ভারত। আমরা এখন সেমিকন্ডাক্টর এবং কোয়ান্টাম মিশনও শুরু করেছি। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র উদ্যোগকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’’

    ভারত-ফ্রান্স গভীর বন্ধুত্ব

    এদিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর সঙ্গে এখানে থাকতে পারা আমার কাছে খুবই আনন্দের। গত ২ বছরে এটা আমাদের ষষ্ঠ সাক্ষাৎ। গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন ম্যাক্রঁ।” প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, “ভারত ও ফ্রান্স শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের দ্বারাই যুক্ত নয় ৷ আমাদের বন্ধুত্বের ভিত্তি একে অপরের প্রতি গভীর বিশ্বাস, উদ্ভাবন এবং জনকল্যাণ ৷ আমাদের অংশীদারিত্ব শুধুমাত্র দু’টি দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় ৷ বিশ্বের নানা সমস্যা, চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় আমরা একে অপরের সহযোগিতা করছি ৷ আমি শেষ বার যখন এখানে এসেছিলাম, তখনই আমাদের অংশীদারিত্ব বিষয়ে ২০৪৭ সালের রোডম্যাপের কথা উল্লেখ করেছিলাম ৷” সফলভাবে এআই অ্যাকশন সম্মেলন আয়োজনের জন্য ম্যাক্রঁকে ধন্যবাদ জানান মোদি। এরপরই এআই, মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আগে ভারতীয় সংস্থাগুলি বিমানের জন্য বাইরে বড় বড় বরাত দিত। এখন আমরা (ভারতে) ১২০টি নতুন বিমানবন্দর খুলতে চলেছি। তা হলে ভাবুন, ওই ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ কতটা সম্ভাবনাময়।’’

  • Delhi Assembly Election: দিল্লিতে বিজেপির জয়ে আরএসএস-এর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, নেপথ্যে থেকে কী কী কাজ করেছে?

    Delhi Assembly Election: দিল্লিতে বিজেপির জয়ে আরএসএস-এর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, নেপথ্যে থেকে কী কী কাজ করেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিবাসীর মন জিতে নিল বিজেপি। ২৭ বছর পর ফের রাজধানীতে গেরুয়া ঝড়। ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আসতে চলেছে বিজেপি। দিল্লিতে বিজেপির এই জয়ের পিছনে বড় অবদান রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের। দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনে সক্রিয় ছিল আরএসএস। সরাসরি রাজনৈতিক প্রচার না করলেও আরএসএস ১০০ শতাংশ ভোটদানের প্রচার করে দিল্লিতে। গোটা রাজ্যে গত কয়েকমাস ধরে নিঃশব্দে কাজ করে গিয়েছেন আরএসএসের নেতা-কর্মীরা।

    দিল্লিতে আরএসএস-এর প্রচার

    দিল্লিতে বিপুল ব্যবধানে বিজেপিকে জেতাতে আরএসএস চেষ্টার কসুর করেনি। গণেশ উৎসব, দুর্গা নবরাত্রি, কোজাগরী থেকে দীপাবলি পর্যন্ত প্রতিটি উৎসবকে কেন্দ্র করে মহল্লায় জমায়েত করেছে আরএসএস। সঙ্ঘ পরিবারের সমস্ত সংগঠন মাঠে নেমেছে। আরএসএস স্বয়ংসেবকেরা সকালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। গত কয়েকটি নির্বাচনে যেমন হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিজেপির সাফল্যের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আরএসএসের, তেমনি দিল্লিতেও বিজেপির প্রচারে একধাপ এগিয়ে গিয়েছে সংগঠন। আরএসএস, একটি সামাজিক সংগঠন যা সাধারণত রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে কিছুটা দূরে থাকে। তবে বিজেপির পক্ষে এর প্রচার একেবারে সহজাত। সাধারণত এটি ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলে বিজেপির হিন্দুত্ব এবং জাতীয়তাবাদী বার্তা প্রচার করে।

    দিল্লিতে মানুষকে একজোট করার বার্তা

    ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আপ ২০১৩ সালে দিল্লিতে শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং ২০১৫ সাল থেকে শাসন চলতে থাকে। তবে কেজরিওয়াল ও অতীশী সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে ক্ষোভের পারদ চড়তে থাকে। জনগণের মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভে ঘৃতাহুতি দেন আরএসএস-এর কর্মীরা। তাঁরা মানুষের সামনে বিজেপির জাতীয়তাবাদী রাজনীতির আদর্শকে তুলে ধরেন। দিল্লিতে নির্বাচনের আগে, আরএসএস তার প্রচার শুরু করে দেয়। সংগঠনটির কাজ আটটি বিভাগে (জোন) ভাগ করা হয়েছে, যা ৩০টি জেলা এবং ১৭৩টি নগরে কার্যক্রম পরিচালনা করে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকেই, প্রত্যেকটি জোনকে “ড্রয়িং রুম সভা” আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই সভাগুলি ছোট ছোট গ্রুপে আয়োজন করা হতো। যেগুলি স্থানীয় এলাকাগুলির অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং সেন্টার, স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠিত হত। এখানে মূলত বিজেপির লক্ষ্য, উন্নততর ভারত গঠনের চেষ্টাকেই গুরুত্ব দেওয়া হত। বলা হত, অমৃতকালের কথা। দলীয় সূত্রে খবর, দিল্লিতে মোট ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভার আয়োজন করেছিল আরএসএস। যেখানে প্রায় ৪ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। পশ্চিম দিল্লির এক আরএসএস কর্মী বলেন, “আমাদের কাজ ছিল ভোটারদের শেখানো, যাতে তাঁরা বুথে গিয়ে জাতীয় স্বার্থে ভোট দেন। তবে হ্যাঁ, আমরা বিজেপিকে ভোট দিতে বলছিলাম। কারণ তারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করছে।” মানুষের সামনে প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্লিন ইমেজও তুলে ধরেন সঙ্ঘের সদস্যরা।

  • India-Bangladesh Relation: ‘হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই’, সাফ জানাল বিদেশমন্ত্রক

    India-Bangladesh Relation: ‘হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই’, সাফ জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) মন্তব্য তাঁর ‘ব্যক্তিগত’। তার সঙ্গে ভারতের (India-Bangladesh Relation) কোনও সম্পর্ক নেই। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। বাংলাদেশের সঙ্গে সদর্থক, গঠনমূলক, এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্কও বজায় রাখতে চায় ভারত ৷ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ডেকে এই কথাও জানিয়ে দিল সাউথ ব্লক ৷

    কেন তলব রাষ্ট্রদূতকে

    বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relation)  ধানমন্ডিতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক মুজিবুর রহমানের বাড়িতে তাণ্ডব, ভাঙচুর চলে৷ পরদিন সকালে সেই ঐতিহাসিক বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ৷ এদিকে সেদিনই ভার্চুয়ালি বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা দেন গণঅভ্যুত্থানের জেরে দেশছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ ভারতও মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বাড়ি ভাঙার ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করে। এর জন্য ভারতের সমালোচনা করে ইউনুস সরকার। এরপরই শুক্রবার নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নুরল ইসলামকে সমন পাঠিয়ে সাউথ ব্লকে তলব করা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দেয় বিদেশ মন্ত্রক।

    ভারতের অবস্থান স্পষ্ট

    বিবৃতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relation)  রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে, ভারত একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশের সঙ্গে। সম্প্রতি দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বার বার এই বিষয়টি ব্যক্ত করা হয়েছে। তবে এটা দুঃখজনক যে, বাংলাদেশ প্রশাসনের নিয়মিত বিবৃতিতে ভারতকে নেতিবাচক ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। সে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এ ধরনের বিবৃতি দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাচ্ছে। হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে নয়াদিল্লি আরও এক বার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসিনা (Sheikh Hasina) নিজের ক্ষমতাবলে মন্তব্য করছেন। এখানে ভারতের কোনও ভূমিকা নেই। হাসিনার মন্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতিতে সাহায্য করবে না। বিদেশ মন্ত্রক আরও বলেছে, ‘‘ভারত সরকার পারস্পরিক ইতিবাচক সম্পর্কের জন্য চেষ্টা করছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশও সেই পরিবেশ নষ্ট না-করে একই রকম ভাবে হাত বাড়িয়ে দেবে।’’

  • India Defence: ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্স যাচ্ছেন মোদি, তখনই স্বাক্ষর রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি?

    India Defence: ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্স যাচ্ছেন মোদি, তখনই স্বাক্ষর রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই ভারতীয় নৌসেনার জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ও তিনটি স্করপিন সাবমেরিন কিনতে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি (India France Deal) করতে চলেছে ভারত। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই খবর।

    নৌসেনার ‘গেমচেঞ্জার’ রাফাল-মেরিন যুদ্ধবিমান

    যুদ্ধবিমান থেকে অস্ত্র— প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কেনাকাটার দায়িত্বে রয়েছে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (India Defence)। সম্প্রতি, এই কাউন্সিলের বৈঠকে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে একপ্রকার সবুজ সঙ্কেত মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এর আগে, নৌসেনার জন্য রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ও স্করপিন সাবমেরিন কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি বা ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিসিএস)। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই বাস্তবায়িত করা হতে পারে চুক্তি (India France Deal)। এর ফলে, ভারতীয় নৌসেনার শক্তি এক লপ্তে অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা (India Defence)। তাঁদের মতে, ভারতীয় নৌসেনার জন্য রাফাল-মেরিন যুদ্ধবিমান ‘গেমচেঞ্জার’ হতে পারে।

    মোদির প্যারিস সফরেই স্বাক্ষর হবে চুক্তি?

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ প্যারিস যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi)। সেখানে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম মেধা নিয়ে একটি সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তারই ফাঁকে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করার কথা মোদির। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই সম্ভবত চুক্তি (India France Deal) সম্পন্ন হতে পারে। বর্তমানে তা একেবারেই চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে, ফ্রান্সের থেকে ২২টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (India Defence)। এই যুদ্ধবিমানগুলি নৌসেনার বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত-এ মোতায়েন করার কথা। তারই সঙ্গে তিনটি স্করপিন সাবমেরিন কেনার বিষয়েও অনুমোদন মিলেছিল।

    রাফাল-এম জেটের জন্য দুই দেশের সরাসরি চুক্তি?

    নৌসেনার প্রোজেক্ট ৭৫-এর আওতায় ফ্রান্সের নেভাল গ্রুপের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতায় ৬টি স্করপিন সাবমেরিন ভারতের মাঝগাঁও ডকইয়ার্ডে ইতিমধ্যেই নির্মিত হয়েছে। এখন অতিরিক্ত তিনটি সাবমেরিনের জন্য চুক্তি (India France Deal) স্বাক্ষরিত হতে চলেছে (India Defence)। শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য কেনা রাফাল যুদ্ধবিমানের সময় যেমন ইন্টার-গভর্নমেন্টাল এগ্রিমেন্ট (দুই সরকারের মধ্যে সরাসরি চুক্তি) হয়েছিল, ঠিক তেমনভাবেই নৌসেনার জন্য রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হতে পারে। তেমনটা হলে, সবকটি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ফ্রান্সে নির্মিত হয়ে এখানে আসবে। এতে ভারতীয় নৌসেনা অত্যন্ত দ্রুত এই যুদ্ধবিমান হাতে পাবে।

    প্রতিরক্ষায় ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব…

    মোদি জমানায় ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রতিরক্ষা সমঝোতা ও সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। একদিকে, ভারত যেমন ফ্রান্সের থেকে যুদ্ধবিমান ও অত্যাধুনিক মিসাইল আমদানি করছে (India France Deal)। তেমনভাবেই, ভারতের নিজস্ব পিনাকা মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার কেনার বিষয়ে বিপুল আগ্রহ দেখিয়েছে ফ্রান্স। এর পাশাপাশি, দুই দেশ যুদ্ধবিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের জন্য অত্যাধুনিক জেট ইঞ্জিন যৌথভাবে নির্মাণ করার বিষয়ে আলোচনা অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে (India Defence)।

  • PM Modi: প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ায় অভিনন্দন, জয়শঙ্করের হাত দিয়ে বন্ধু ট্রাম্পকে চিঠি মোদির

    PM Modi: প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ায় অভিনন্দন, জয়শঙ্করের হাত দিয়ে বন্ধু ট্রাম্পকে চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধু ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Congratulates Donald Trump)। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। সোমবার ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর৷ সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে খবর, জয়শঙ্কর কিন্তু সেদেশে একা যাননি। সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন ট্রাম্পের প্রতি মোদির লেখা একটি চিঠিও। সেই চিঠি পৌঁছে দেন জয়শঙ্কর। সেই চিঠিতে কী লেখা আছে, তা অবশ্য প্রকাশ্যে আসেনি। এদিকে, দেশে বসেই ‘প্রিয় বন্ধু’ ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    মোদির বার্তা ট্রাম্পকে

    আমেরিকার মসনদে নিজের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প (PM Modi Congratulates Donald Trump)। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লিখলেন, ‘‘আমার প্রিয় বন্ধু রাষ্ট্রপতি @realDonaldTrump যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে আপনার ঐতিহাসিক অভিষেকের জন্য অভিনন্দন! আমাদের উভয় দেশের ভালোর জন্য এবং বিশ্বের জন্য এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে আমি আরও একবার ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।’’ ট্রাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী মোদির বিশেষ দূত হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির একটি চিঠি নিয়ে যান। এক পোস্টে জয়শঙ্কর লেখেন, ‘‘আজ ওয়াশিংটন ডিসিতে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের বিদেশমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছি।’’

    মোদি-ট্রাম্প বন্ধুত্ব

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi Congratulates Donald Trump) সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক বরাবরই ভালো৷ ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তাঁর প্রথম মেয়াদকালে একাধিকবার ট্রাম্পের প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে মোদিকে৷ এমনকী, ২০১৯ সালে টেক্সাসের ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানে একে অপরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন ট্রাম্প ও মোদি৷ পাল্টা ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় মোদি সরকার করেছিল ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠান। এমনকী, ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের হয়ে “আব কি বার ট্রাম্প সরকার” বলতেও শোনা গিয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে৷ সবমিলিয়ে, প্রথমবার মেয়াদকালে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন ট্রাম্প ৷ এবারও তার অন্যথা হবে না বলে মত কূটনৈতিক মহলের ৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: জাতিভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi: জাতিভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতিভিত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে কিছু মানুষ। শনিবার গ্রামীণ ভারত মহোৎসবের উদ্বোধন করে এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি নাগরিকদের সমাজে শান্তি বজায় রাখতে জাতিভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। শনিবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে গ্রামীণ ভারত মহোৎসব ২০২৫-এর শুভ সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই অনুষ্ঠানে গ্রামের উন্নয়নকে ভারতের সামগ্রিক অগ্রগতির মূলভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গ্রামের সমৃদ্ধি হল জাতির উন্নয়নের চাবিকাঠি। আমাদের গ্রামীণ এলাকা যত বেশি আত্মনির্ভর ও প্রগতিশীল হবে, ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারতের স্বপ্ন ততই সাফল্যের পথে এগোবে”। 

    সম্প্রীতিই ঐতিহ্য

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম না নিয়ে এদিন বলেন, কিছু মানুষ জাতিভিত্তিক বিভেদ ছড়িয়ে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের গ্রামগুলির পরিচয় গভীরভাবে সম্পর্কিত তার সম্প্রীতি এবং ভালোবাসার সঙ্গে। এই সময়ে কিছু মানুষ জাতির নামে সমাজে বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে এবং আমাদের সম্প্রদায়ের একতা দুর্বল করার চেষ্টা করছে। আমাদের উচিত এই ষড়যন্ত্রগুলো প্রতিহত করা এবং আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি ধরে রাখার পাশাপাশি তা আরও শক্তিশালী করা।”

    গ্রামীণ দারিদ্র্য কমেছে

    প্রধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আরও বলেছেন, “২০১৪ সাল থেকে আমি ক্রমাগত এবং প্রতি মুহূর্তে গ্রামীণ ভারতের সেবায় নিযুক্ত রয়েছি। গ্রামের মানুষকে মর্যাদাপূর্ণ জীবন দেওয়া আমার সরকারের অগ্রাধিকার। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হল ভারতের গ্রামের মানুষের যেন ক্ষমতায়ন হয়, তারা যেন উন্নতির আরও বেশি করে সুযোগ পায়, তাদের অন্যত্র যেতে না হয়, গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হয়, তাই প্রতিটি গ্রামে আমরা মৌলিক সুবিধার নিশ্চয়তা দিয়েছি।” গ্রামীণ জনগণের মধ্যে আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সরকারের লক্ষ্য বলে জানান মোদি। তিনি জানান, এখন ভারতে গ্রামীণ দারিদ্র্য কমে ৫ শতাংশেরও কম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গতকালই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট এসেছে, ওই রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১২ সালে ভারতের গ্রামীণ দারিদ্র্য ছিল প্রায় ২৬ শতাংশ। যেখানে ২০২৪ সালে ভারত গ্রামীণ দারিদ্র্য কমে ৫ শতাংশেরও কম হয়েছে।” জানুয়ারি ৪ থেকে ৯ পর্যন্ত চলবে এই মহোৎসব। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • The Sabarmati Report: “দ্য সবরমতী রিপোর্ট দেখার পর মোদিজির চোখের কোণে ছিল জল”, আবেগাপ্লুত বিক্রান্ত মৈসী

    The Sabarmati Report: “দ্য সবরমতী রিপোর্ট দেখার পর মোদিজির চোখের কোণে ছিল জল”, আবেগাপ্লুত বিক্রান্ত মৈসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ (The Sabarmati Report) নজর কেড়েছে দর্শকদের। এই সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) এবং তাঁর মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা। নরেন্দ্র মোদির চোখে জল দেখেছিলেন সিনেমার অভিনেতা বিক্রান্ত মৈসী। নিজের অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করে সেই অনুভূতি ভাগ করে নিলেন তিনি। জানালেন, এই সিনেমার অভিনয় দাগ কেটেছে মোদিজির মনে। তাঁর ‘চোখের কোণে জল’ দেখেছি আমি।

    “আমার কাজ পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী” (The Sabarmati Report)

    সম্প্রতি একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে আলাপচারিতার প্রসঙ্গ টেনে অভিনেতা বিক্রান্ত মৈসী বলেন, “দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে। তবে তা গোপন রাখাই শ্রেয়। কিন্তু এইটুকু বলতে পারি আমাদের মোদিজি সিনেমাটি (The Sabarmati Report) উপভোগ করেছেন। আমাদের পরিশ্রম, প্রচেষ্টার ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। আমার কাজ পছন্দ করেছেন, ওঁর চোখের কোণে জল ছিল। এই প্রশংসা আজীবন আমার সঙ্গে থেকে যাবে।” উল্লেখ্য সিনেমার বিষয় ছিল ২০০২ সালে গোধরা দাঙ্গার প্রেক্ষাপট। সবরমতি এক্সপ্রেসে কীভাবে আগুন লাগিয়ে রামভক্ত করসেবকদের ষড়যন্ত্র করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল সেই কাহিনি রয়েছে সিনেমার গল্পে। নিহত ৫৯ জনের মধ্যে অধিকাংশ মহিলা এবং শিশু ছিল। সংবাদ মাধ্যম ঘটনাকে চেপে সত্যতাকে কীভাবে লুকিয়ে রেখেছিল, সেই গল্প রয়েছে সিনেমায়।

    আরও পড়ুনঃ করিডর তৈরির পর তিন বছরে ১৯.১৩ কোটি ভক্ত বেড়েছে কাশী বিশ্বনাথ ধামে

    বক্স অফিসে সাফল্যই বড় কথা নয়

    অভিনেতা বিক্রান্ত মৈসী আরও বলেন, “অনেক ধরনের অভিনেতা রয়েছেন। আমি একটা সংশোধন করতে চাই-সবরমতী রিপোর্ট (The Sabarmati Report) হিট। যদি বিনিয়োগ, প্রোডাকশনের খরচ ও আয় দেখেন তবে এটা অবশ্যই হিট। আমি মনে করি ২০০ কোটি টাকা দিয়ে সিনেমা তৈরি করে ২৫০ কোটি টাকা আয় করলে সেটা মোটেও ভালো ব্যবসা নয়। আর যদি ১৫ কোটি ব্যয় করে সিনেমা তৈরি করে ৪০ কোটি টাকা আয় করে সেটা ভা্লো ব্যবসা। আমি এই ধরনের মানসিকতার সঙ্গে কাজ করি। তবে বক্স অফিসে সাফল্যই সিনেমার সাফল্যের একমাত্র মাপকাঠি নয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: মহাকুম্ভের প্রস্তুতি উপলক্ষে প্রয়াগরাজে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মোদি

    PM Narendra Modi: মহাকুম্ভের প্রস্তুতি উপলক্ষে প্রয়াগরাজে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নেরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) প্রয়াগরাজের সফরে এসেছেন। সেখানে নদী সঙ্গমে মন্দির দর্শন করেন এবং সেই সঙ্গে পুজো করেন। একই ভাবে অক্ষয় ভাতা বৃক্ষে পুজো করেন। এরপর হনুমান মন্দির এবং সরস্বতী কূপ দর্শন ও পুজো করেন। আগামী ২০২৫ সালের জানুয়ারির মকর সংক্রান্তি থেকে মহাকুম্ভ মেলার (Mahakumbh 2025) শুরু হতে চলেছে এবং মেলা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই মেলাকে কেন্দ্র করে একাধিক উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদি। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল।

    ১০টি নতুন রাস্তা, ফ্লাইওভার উদ্বোধন মোদির (PM Narendra Modi)

    মহাকুম্ভ মেলার (Mahakumbh 2025) আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি এবং একাধিক বিষয়কে পরিদর্শন করতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Narendra Modi)। তিনি যে প্রকল্পগুলিকে উদ্বোধন করলেন তার মধ্যে রয়েছে, রেল এবং সড়ক ব্যবস্থার একাধিক প্রকল্প। ১০টি নতুন রাস্তা, ফ্লাইওভার, নদীর স্থায়ী ঘাট এবং নদীর পাড় বরাবর রাস্তার কাজ খতিয়ে দেখেন। তবে মেলায় আগত ভক্তদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং একাধিক সুবিধাকে উপলব্ধি করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সিসিটিভির ব্যবহার করা হবে।

    একাধিক মন্দির কাঠামোর দিকে বিশেষ নজর

    গঙ্গার স্বচ্ছতা এবং নির্মল ধারার বিষয় নজরে রেখে এদিন গঙ্গা নদীর দিকে যাওয়ার ছোট ছোট ড্রেনগুলি এবং নিকাশি ব্যবস্থার উপর বিশেষ নজর দিয়ে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মোদি (PM Narendra Modi)। জলে যাতে দূষণ কম হয় সেই দিকেও বিশেষ নজর দিয়েছেন। একই ভাবে মেলায় পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিকাঠামোর ওপর নজরে রেখেছেন। একই সঙ্গে একাধিক মন্দির করিডোরগুলিকে উদ্বোধন করেন। ভরদ্বাজ আশ্রম, শ্রিংভারপুর ধাম, অক্ষয়বত ধাম, হনুমান মন্দির করিডর সহ একাধিক মন্দিরের পরিকাঠামোর উপর আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলকে আরও আকর্ষণীয় করতে বিশেষ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এদিন মেলার আয়োজনের সঙ্গে কৃত্রিম মেধা নির্ভর ‘কুম্ভ সহায়িক চ্যাটবট’ চালু করেছেন। মেলায় ভক্তদের সাক্ষাৎকার এবং নির্দেশাবলী এতে থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PAN Card QR Code: প্যান কার্ডে জুড়ছে কিউআর কোড, সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের, আরও বাড়বে সুরক্ষা

    PAN Card QR Code: প্যান কার্ডে জুড়ছে কিউআর কোড, সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের, আরও বাড়বে সুরক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যান কার্ড (Pan Card) কার্যত এখন দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনের অন্যতম অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। এবার সেই প্যান কার্ডে বড় বদল আসতে চলেছে। প্যান কার্ডকে আরও আধুনিক, আরও স্মার্ট করার লক্ষ্যে আয়কর বিভাগের বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন করল মোদি মন্ত্রিসভা (Modi Cabinet)। এই প্রকল্প অনুযায়ী, এবার থেকে প্যান কার্ডে কিউআর কোড যুক্ত হবে (PAN Card QR Code)। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কিত ক্যাবিনেট কমিটির (সিসিইএ) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্যান ২.০’ (PAN 2.0)। এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৪৩৫ কোটি টাকা।

    নতুন প্রকল্পে কী কী সুবিধা

    প্যান কার্ডে কিউআর কোড (PAN Card QR Code) ছাড়া আর কী কী সুবিধা থাকবে তা নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Modi Cabinet)। প্যান কার্ডে কিউআর কোড  থাকার ফলে আয়করদাতাদের আর্থিক লেনদেন অনেক সহজ এবং স্বচ্ছ হয়ে উঠবে। পাশাপাশি, উন্নত মানের এবং দ্রুত পরিষেবা পাওয়া যাবে। ব্যক্তিগত তথ্য এবং অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে। আর্থিক জালিয়াতির ভয় কিছুটা হলেও কমবে। এই প্রকল্পের ফলে সাধারণ মানুষের আর্থিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা আরও উন্নত হবে বলেও দাবি করা হচ্ছে। গ্রাহকেরা একেবারে বিনাপয়সা আপগ্রেড করে নিতে পারবেন এই প্যান কার্ডের। এই নতুন সিস্টেম (PAN Card QR Code) হবে একেবারে পেপারবিহীন। এর মাধ্যমে কিউআর কোড স্ক্যানিংয়ের সুবিধা মিলবে।

    স্বচ্ছ, সহজ, উন্নত পরিষেবা 

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স হ্যন্ডলে লেখেন, “প্যান ২.০ প্রকল্পের মাধ্যমে আয়করদাতাদের অনেক সুবিধা হবে। তাঁরা নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে স্বচ্ছ, সহজ এবং উন্নত পরিষেবা পাবেন।” তবে, কবে থেকে নতুন প্যান কার্ডের (PAN Card QR Code) এই পরিষেবা চালু হবে তা নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Cabinet)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘‘এটা ১৪০ কোটি ভারতীয়র প্রাপ্য’’, গায়ানা, ডমিনিকার সর্বোচ্চ সম্মান পেয়ে আপ্লুত মোদি

    PM Modi: ‘‘এটা ১৪০ কোটি ভারতীয়র প্রাপ্য’’, গায়ানা, ডমিনিকার সর্বোচ্চ সম্মান পেয়ে আপ্লুত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা মহামারীর সময়ে বিশ্ববাসীর কাছে ত্রাতা হয়ে উঠেছিল ভারত। এগিয়ে দিয়েছিল সাহায্যের হাত। ভারতের কাছ থেকে সে সময় যে সহযোগিতা পেয়েছিল তার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) হাতে সর্বোচ্চ সম্মান তুলে দিলেন ‘কমনওয়েলথ অব ডমিনিকা’র প্রেসিডেন্ট সিলভানি বার্টন। ডমিনিকার (Dominica) পর মোদির হাতে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান তুলে দিল গায়ানাও (Guyana)।

    ডমিনিকার কৃতজ্ঞতা

    ‘ডমিনিকা’-র সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মানে সম্মানিত হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। এক বিবৃতিতে ডমিনিকা জানিয়েছে, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যে সম্মান প্রদান করা হল তা কেবল ভারত এবং ডোমিনিকা-র মধ্যে বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার প্রতীক নয়, বিশ্ব অতিমারির কঠিন সময়ে ভারতের সাহায্যের স্বীকৃতিও।’’

    ১৪০ কোটি ভারতীয়র সম্মান

    বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘দ্য অর্ডার অব এক্সিলেন্স’ (The Order Of Excellence) সম্মানে ভূষিত করে গায়ানা। এদিন এই সম্মানটি মোদির হাতে তুলে দেন গায়ানার প্রেসিডেন্ট ডঃ ইরফান আলি। গায়ানার সর্বোচ্চ সম্মান পেয়ে আপ্লুত মোদি এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘গায়ানার সর্বোচ্চ সম্মান আমার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বন্ধু ইরফান আলিকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই সম্মান শুধু আমার একার নয়। এটা ১৪০ কোটি ভারতীয়র প্রাপ্য। ভারত এবং গায়ানার অভ্যন্তরীণ বন্ধন এভাবেই দৃঢ় হোক। দুই দেশের ইতিহাস প্রমাণ করে যে কীভাবে তারা ঐতিহ্য এবং বিশ্বাসের বন্ধনে বারেবারে মিশে গিয়েছে।’’

    নেতাদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন

    ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গায়ানায় পোঁছান, এখানে তিনি জর্জটাউনে ভারত-ক্যারিকম শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন যে গায়ানার জনগণের দক্ষতা বিকাশ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভারত অনেক বড় অবদান রেখেছে। অন্যদিকে, গায়ানার রাষ্ট্রপতি মহম্মদ ইরফান আলি প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসা করে তাঁকে তাঁর প্রভাবশালী নেতৃত্ব এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে অবদানের জন্য ‘নেতাদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে উল্লেখ করেন। গায়ানার রাষ্ট্রপতি ইরফান আলি মোদির শাসনব্যবস্থার প্রশংসা করে বলেছেন যে গায়ানা এবং অন্যান্য দেশও তাঁর কার্যপদ্ধতি গ্রহণের দিকে মনোযোগ দিয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share