Tag: PM Narendra Modi

PM Narendra Modi

  • PM Modi in Japan: ভারতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ জাপানের! প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শিগেরু ইশিবার মধ্যে মউ স্বাক্ষর

    PM Modi in Japan: ভারতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ জাপানের! প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শিগেরু ইশিবার মধ্যে মউ স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১০ বছরে ভারতে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন (জাপানি মুদ্রা) বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে জাপান (India-Japan Relation)। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। জাপানের সঙ্গে এই মর্মে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, সেমিকনডাক্টর, ওষুধ, টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি, বিরল খনিজ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে এই বিনিয়োগ করবে জাপান।

    পরবর্তী দশকের জন্য রোডম্যাপ প্রস্তুত

    শুক্রবার টোকিওতে জাপানে প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Japan)। উভয় নেতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সাক্ষাৎকে একটি সন্ধিক্ষণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ভারত ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমারা কৌশলগত এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপে নতুন এবং সোনালি অধ্যায়ের ভিত্তিস্থাপন করছি। পরবর্তী দশকের জন্য আমাদের রোডম্যাপ প্রস্তুত। আগামী এক দশকে জাপান ভারতে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগ করবে।” মোদি জানান, ডিজিটাল পার্টনারশিপ এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে দুই দেশের। এর পাশাপাশি মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রেও ভারতের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করতে আগ্রহী জাপান। এ সবের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা খাতেও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র।

    চন্দ্র মেরু অনুসন্ধান মিশন

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এবং জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জ্যাক্সা) যৌথভাবে চন্দ্র মেরু অনুসন্ধান মিশন (চন্দ্রযান-৫) -এ সহযোগিতার জন্য একটি বাস্তবায়ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর যৌথ অনুসন্ধানের শর্তাবলী সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যা উন্নত মহাকাশ প্রযুক্তিতে ভারত-জাপান সমঝোতাকে (India-Japan Relation) শক্তিশালী করবে।

    এআই এবং ডিজিটাল উদ্ভাবন

    প্রযুক্তি-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ভারতে বিনিয়োগ করবে জাপান। জাপান ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যসঙ্গী (India-Japan Relation)। পরিকাঠামোর মতো উদীয়মান প্রযুক্তিতে সহযোগিতা আরও গভীর করার জন্য একটি নতুন ভারত-জাপান ডিজিটাল অংশীদারিত্ব ২.০ ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় পক্ষ যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন এবং ডিজিটাল প্রতিভা পুল তৈরির অঙ্গীকারও করেছে।

    গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ

    সরবরাহ শৃঙ্খলের দুর্বলতা কমাতে, উভয় দেশ খনিজ সম্পদের উপর সহযোগিতার একটি মৌ স্বাক্ষর করেছে। যা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অনুসন্ধান, প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি, যৌথ বিনিয়োগ এবং মজুদের উপর আরও জোর দেবে। সবুজ শক্তি এবং উন্নত উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সুরক্ষিত করার জন্য এই চুক্তিটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    আরও নানা চুক্তি

    আরও একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে দুই দেশ। যার মধ্যে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা থেকে পরিবেশগত স্থায়িত্ব পর্যন্ত আটটি অগ্রাধিকার ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সুরক্ষা সহযোগিতার উপর একটি যৌথ ঘোষণাপত্রও স্বাক্ষর করা হয়েছে, যা প্রতিরক্ষা এবং কৌশলগত সহযোগিতার জন্য একটি নতুন কাঠামো তৈরি করেছে। পাঁচ বছরের মধ্যে ৫০,০০০ ভারতীয় দক্ষ কর্মী সহ ৫০০,০০০ লোকের জাপানে যাতায়াত সক্ষম করার জন্য মানবসম্পদ বিনিময়ের উপর একটি পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ এবং বিকেন্দ্রীভূত বর্জ্য জল ব্যবস্থাপনার উপর অতিরিক্ত সমঝোতা (India-Japan Relation) স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বর্ধিত সহযোগিতার পাশাপাশি কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ এবং বিজ্ঞানীদের বিনিময় জোরদার করার জন্য কূটনৈতিক অ্যাকাডেমি এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    জাপান সফরের নানা গুরুত্ব

    টোকিও সফরে গিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi in Japan) সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিনিয়োগের বিষয়টি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মোদী বলেছেন, ‘’ প্রযুক্তি-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ভারতে বিনিয়োগ করবে জাপান। জাপান ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যসঙ্গী। ভারতের কাছে জাপান পঞ্চম বৃহত্তম ইনভেস্টমেন্ট সোর্স। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতে ৪ হাজার ৩১০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ করেছে জাপান। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারত ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২৮৫ কোটি ডলার। ২০২২ সাল থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতে ৩ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ছিল জাপানের। যা সময়সীমা শেষের দু’বছর আগেই পূরণ হয়ে গিয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক টানাপড়েন এবং বিশ্ব বাণিজ্যিক সমীকরণের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদির এই জাপান সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। শনিবারও জাপানেই থাকছেন মোদি। দু’দিনের জাপান-সফর শেষে রবিবার তিনি যাবেন চিনে।

     

     

     

  • PM Modi in Japan: “ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি মিলে বিপ্লব আনবে”, টোকিও-য় বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi in Japan: “ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি মিলে বিপ্লব আনবে”, টোকিও-য় বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পণ্য উৎপাদন করুন, বিশ্বে রফতানি করুন। ইন্দো-জাপান ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিয়ে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। দু’দিনের সরকারি সফরে জাপানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার আমন্ত্রণে অনুষ্ঠিত ১৫তম ভারত-জাপান বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই এই সফর। এদিন জাপান সফরের শুরুতে বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন ভারত এবং জাপান একসঙ্গে এশিয়াকে প্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে ৷ দু’দেশের সম্পর্ক এই শতাব্দীতে মহাদেশের উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে প্রতিভাত হবে ৷ তিনি মনে করেন, জাপানের উৎকর্ষতা এবং ভারতের দক্ষতা একত্রিত হলে উন্নয়নের পথ সুগম হবে৷

    বিশ্ব ভারতকে ভরসা করে

    শুক্রবার ভোররাতে জাপানে পা রেখেই নিজের বার্তা স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। প্রধানমন্ত্রী বলেন,“বিশ্ব শুধু ভারতের দিকে তাকিয়েই নেই, ভারতের ওপর ভরসাও করে। আজ ভারতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছ নীতি এবং একটি সম্ভাবনা রয়েছে। আজ, ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি এবং খুব শীঘ্রই, এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে। আমরা বিশ্বব্যাপী জিডিপিতে ১৮% অবদান রাখি, এবং আমাদের বাজারগুলি শক্তিশালী রিটার্ন প্রদান করছে। সংস্কার, রূপান্তর এবং কর্মক্ষমতার আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এই সমস্ত অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।”

    অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক লক্ষ্য

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Japan) এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ভারত-জাপান স্পেশাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড গ্লোবাল পার্টনারশিপকে আরও মজবুত করা এবং নতুন বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। প্রধানমন্ত্রী জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), সেমিকন্ডাক্টর, রোবোটিক্স, বায়োটেক এবং স্পেস টেকনোলজিতে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে জয়েন্ট ক্রেডিট মেকানিজম ও ক্লিন-গ্রিন ফিউচার গঠনের চুক্তি ইতিমধ্যেই স্বাক্ষরিত হয়েছে। মোদি বলেন, “ভারতের উন্নয়নের যাত্রাপথে সবসময়েই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে রয়েছে জাপান। মেট্রো রেল থেকে শুরু করে উৎপাদন, সেমিকন্ডাক্টর থেকে স্টার্টআপ— সর্বত্রই জাপানের সহযোগিতা রয়েছে। ভারতে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ রয়েছে জাপানের একাধিক সংস্থার।”

    ভারত-জাপান পরমাণু সম্ভাবনা

    ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ও জাপান যৌথভাবে পরমাণু শক্তি নিয়ে কাজ শুরু করবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। তিনি বলেন, “প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ খাতের পর, আমরা বেসরকারি খাতের (লগ্নির) জন্য পারমাণবিক শক্তি খাতও খুলে দিচ্ছি।” গাড়ি উৎপাদন থেকে পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রে ভারত এবং জাপানের যৌথ অংশিদারিত্বও সাফল্যের নতুন দিগন্তের সন্ধান দিতে পারে বলে অভিমত প্রধানমন্ত্রীর ৷

    ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Japan) জোর দিয়ে বলেন, ‘আজ ভারতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। ওয়ান নেশন ওয়ান ট্যাক্স, সিঙ্গেল ডিজিটাল উইন্ডো, ম্যানুফ্যাকচারিং সাফল্য, সবই ভারতের গ্লোবাল ইকোনমিতে অবদানকে আরও দৃঢ় করছে। ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি মিলে এক নতুন বিপ্লব আনবে।’ মোদি ভারতীয় প্রতিভাদের জাপানি ভাষায় প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তাঁর মতে, সাংস্কৃতিক বন্ধন মজবুত হওয়ার পাশাপাশি এটি ভবিষ্যতের ব্যবসা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকেও আরও শক্তিশালী করবে। মোদি জানান, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জাপানের বাণিজ্য বৃদ্ধি ভারত ছাড়া সম্ভব নয় ৷ ওই সমস্ত দেশ ধীরে ধীরে উন্নয়নের সরণিতে পা রাখতে শুরু করেছে ৷ তাতে ভারত এবং জাপানের দুটি দেশেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে ৷

    ভারতীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া

    জাপান সফরে শুক্রবার সকালে এক অবিস্মরণীয় অভ্যর্থনা পান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। টোকিও বিমানবন্দরে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন জাপানি শিল্পীদের এক বিশেষ দল, যারা ভারতীয় ঐতিহ্যের আবহে তাঁকে স্বাগত জানান। রাজস্থানি রঙিন পোশাকে সজ্জিত শিল্পীরা যখন হাতজোড় করে বললেন ‘পাধারো আমহারে দেস’—তখন বিদেশের মাটিতেও দেশীয় উষ্ণতায় আপ্লুত হয়ে ওঠেন মোদি। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহিলারা শুধু রাজস্থানি পোশাকেই নয়, ভারতীয় কায়দায় হাতজোড় করে নমস্কার জানিয়ে চমকে দেন সবাইকে। এক শিল্পী গেয়ে ওঠেন দেশোয়ালি লোকসঙ্গীত “ভারি জাভু রে”, যা শুনে বিস্মিত হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত-জাপানের সম্পর্ক শুধু অর্থনীতি বা কূটনীতিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনেই এর আসল শক্তি। ভারতীয় সংস্কৃতি আজ বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণ। বিদেশের মাটিতে ভারতীয় গান, নাচ, ঐতিহ্য এভাবেই মানুষকে এক সূত্রে বাঁধছে।

  • PM Modi in Japan: ভূমিকম্পেও লাইনচ্যুত হবে না! মোদির জাপান সফরে আলোচনার কেন্দ্রে কোয়াড ও বুলেট ট্রেন প্রকল্প

    PM Modi in Japan: ভূমিকম্পেও লাইনচ্যুত হবে না! মোদির জাপান সফরে আলোচনার কেন্দ্রে কোয়াড ও বুলেট ট্রেন প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা থেকে দিল্লি পৌঁছে যাওয়া যাবে পাঁচ ঘণ্টায়। এমনই এক বুলেট ট্রেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi in Japan) দেখাতে চলেছে জাপান। ১৫তম ভারত-জাপান বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ অগাস্ট সন্ধ্যায় জাপান সফরে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই সফরে ভারত ও জাপানের মধ্যে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং প্রযুক্তির মতো বিষয়গুলি। ২৯ ও ৩০ অগাস্ট জাপানে থাকবেন মোদি। জাপান সফর শেষে চিনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী (Modi’s Big Japan Agenda)।

    শিগেরু ইশিবার আমন্ত্রণে জাপানে

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এর আগে সাতবার জাপানে গিয়েছেন মোদি (PM Modi in Japan)৷ এটি তাঁর অষ্টম সফর ৷ তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বদলের পর এই প্রথমবার সূর্যোদয়ের দেশে যাবেন তিনি৷ দীর্ঘদিন দেশের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে আসার পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শিগেরু ইশিবা৷ তাঁর অনুরোধে ১৫তম ভারত-জাপান দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই এবার জাপান সফরে যাচ্ছেন মোদি৷ শুক্রবার টোকিও-তে শুরু হচ্ছে ভারত-জাপান (India-Japan) শীর্ষ সম্মেলন। ভারত ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার ব্যাপারে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে৷ প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে নিরাপত্তা, ব্যবসা, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দুটি দেশ একে অপরকে কীভাবে সাহায্য করতে পারে তা নিয়ে কথা বলবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ এর পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন কয়েকটি বিষয় নিয়েও কথা বলবেন দুই নেতা ৷

    বুলেট ট্রেন নিয়ে আলোচনা

    বুলেট ট্রেন তৈরিতে গোটা বিশ্বে এক নম্বর স্থান বহু বছর জাপানের (Japan) দখলে। নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে সেই ট্রেনকে রকেটের গতি দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে জাপান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) এই সফরে জাপান সরকার এমনই একটি বুলেট ট্রেন (Bullet Train) তাঁকে দেখাতে চলেছে যেটি সে দেশে এখনও চলাচল শুরু করেনি। কারখানায় নির্মীয়মান অবস্থায় আছে। শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মিয়াগিতে যাবেন। সেখানে ইস্ট জাপান রেলওয়ে কোম্পানিতে তৈরি হচ্ছে ই-১০ সিরিজের বুলেট ট্রেন। ওই ট্রেন জাপানে চালু হওয়ার পর পরই ভারতে মুম্বই-আমেদাবাদের মধ্যে চলাচল শুরু করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদির ২০১৫ সালের জাপান সফরে মুম্বই-আমেদাবাদের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালুর চুক্তি হয়েছিল। তখন কথা হয় জাপান তাদের ই-৫ সিরিজের বুলেট ট্রেন ভারতকে সরবরাহ করবে। এখন তারা সিদ্ধান্ত বদলে ই-১০ সিরিজের বুলেট ট্রেন সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। প্রাথমিক আলোচনায় দু-দেশের আধিকারিকেরা ওই ট্রেন নেওয়ার আলোচনা সেরে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে (Modi’s Big Japan Agenda) সরাসরি কারখানায় নিয়ে গিয়ে ই-১০ সিরিজের নির্মীয়মান ট্রেন দেখাতে চান জাপানের প্রধানমন্ত্রী।

    কত কোটি বিনিয়োগ

    জাপানের বুলেট ট্রেনগুলি (Japan’s Bullet Train) ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। অর্থাৎ কলকাতা-দিল্লি রুটে চলাচল করলে মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় ১৪০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা সম্ভব। মুম্বই-আমেদাবাদের মধ্যে সময় লাগবে বড়জোর দু-ঘণ্টা। এই প্রকল্পে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা (JICA) প্রায় ৮৮,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে, যা মোট ১,০৮,০০০ কোটির প্রকল্পের প্রায় ৮১ শতাংশ। বাকি অর্থ কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট রাজ্য সরকার মিলে বিনিয়োগ করবে।

    দুর্ঘটনার সম্ভাবনাই নেই

    ই-১০ সিরিজের (E-10 series) যে নতুন ট্রেন তৈরি হচ্ছে সেটির বৈশিষ্ট হচ্ছে তা সাইক্লোন তো দূরের কথা, ভূমিকম্পেও বেলাইন হবে না। এমনকী মুখোমুখি সংঘর্ষেও নয়। ক্ষয়ক্ষতি যা হওয়ার সামনের কামরার হবে। সেই কামরাই যাবতীয় ধাক্কা সামলে নেবে। কারও মারা যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ ইঞ্জিনে কোনও চালক থাকবেন না। জাপান এই নতুন ট্রেনের মহড়া চালাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সাক্ষী রেখে।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি

    ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, ভারত-জাপান সম্পর্কের সর্বোচ্চ স্তরের সংলাপ মঞ্চই হল এই সম্মেলন। তাঁর কথায়,“গত দশকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের পরিধি ও উচ্চতা অনেক বেড়েছে। এই সফরে নতুন কিছু যৌথ উদ্যোগের সূচনা হতে পারে, যা পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করবে।” এই সফরে ২০০৮ সালের ‘জয়েন্ট ডিক্লেয়ারেশন অন সিকিউরিটি কো-অপারেশন’ (Joint Declaration on Security Cooperation) নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি একটি নতুন ‘অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পদক্ষেপ’ (Economic Security Initiative) প্রসঙ্গে কথা হবে। এতে সেমিকন্ডাক্টর, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), টেলিযোগাযোগ এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানির উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

    কোয়াড ও ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা

    দুই নেতার আলোচনায় কোয়াড জোটও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে আসবে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের এই জোট ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের প্রভাবের মোকাবিলায় একটি কৌশলগত গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক টানাপোড়েন—বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত—কোয়াডের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তবুও ভারত এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

    ব্যবসায়ী সম্মেলন

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Japan) তাঁর এই সফরকালে একটি বিজনেস লিডারস ফোরামেও অংশ নেবেন, যেখানে ভারত ও জাপানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। সম্প্রতি গুজরাটে মোদির উপস্থিতিতে সুজুকি মোটর প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে ইভি উৎপাদন শুরু করেছে, যা এই সফরের প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য। এই সফর শুধু ভারত-জাপান সম্পর্ক নয়, গোটা এশিয়া অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে কূটনৈতিক মহলের অভিমত।

  • Subhangshu Shukla: অপেক্ষার শেষ, ভারতে ফিরছেন শুভাংশু শুক্লা, সোমবার দেখা করবেন মোদির সঙ্গে

    Subhangshu Shukla: অপেক্ষার শেষ, ভারতে ফিরছেন শুভাংশু শুক্লা, সোমবার দেখা করবেন মোদির সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে ফিরে আসার পর এবার দেশের মাটিতে ফিরতে চলেছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা (Subhangshu Shukla)। দীর্ঘ রিহ্যাবিলিটেশন পর্ব শেষ করে রবিবার তিনি ভারতের (India) মাটিতে পা রাখতে পারেন বলে সূত্রের খবর। অক্টোবরে হতে চলা গগনযান মিশনের প্রশিক্ষণ পুনরায় শুরু করার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি।। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। বিমানে বসে ছবিও পোস্ট করেছেন শুভাংশু। লিখেছেন, “ভারতে ফেরার জন্য এবং সকলের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য তিনি আর অপেক্ষা করতে পারছেন না।” প্রসঙ্গত, শুভাংশু শুক্লার বাড়ি লখনউতে। সেখানেই থাকে তাঁর পরিবার। রবিবার তিনি সেখানে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা যাচ্ছে।

    কী লিখলেন শুভাংশু (Subhangshu Shukla)

    নিজের পোস্টে শুভাংশু লেখেন, “ভারতে (India) ফেরার বিমানে বসে আমার মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। মিশনের জন্য বিগত এক বছর ধরে যারা আমার সঙ্গে ছিলেন, যারা আমার পরিবার, বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন, তাঁদের ছেড়ে আসতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আবার আমার বন্ধু, পরিবার ও দেশের সকলের সঙ্গে দেখা করতেও উৎসাহিত। এটাই হয়তো জীবন। গুডবাই বড় কঠিন, কিন্তু আমাদের জীবনে এগিয়ে যেতে হবে।” শেষে তিনি শাহরুখ খানের গানের দুটি পঙক্তিও লেখেন, “ইউ হি চলা চল রাহি, জীবন গাড়ি হ্যায় সময় পাহিয়া।”

    গত মাসেই পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি

    গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা (Subhangshu Shukla) অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের অন্তর্গত একটি অভিযানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন। সেখানে ১৮ দিন কাটিয়ে গত মাসেই পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। মহাকাশ থেকে ফিরে শরীরকে আবার পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এতদিন তিনি রিহ্যাবে ছিলেন। জানা যাচ্ছে, রবিবার তিনি ভারতে আসবেন এবং সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর ২৩ অগাস্ট ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’-এর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলেও জানা গিয়েছে (Subhangshu Shukla)।

  • PM Modi: “বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও হল আরএসএস”, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও হল আরএসএস”, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর ভাষণে উঠে আসে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর ভূয়সী প্রশংসা (RSS)। তিনি বলেন, “আজ অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করতে চাই—১০০ বছর আগে যে সংগঠনের জন্ম হয়েছিল, সেটি হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। বিগত ১০০ বছর ধরে এই সংগঠন সেবামূলক কাজ করে চলেছে। এটি ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবময় ও সোনালি অধ্যায়। চরিত্র গঠনের মাধ্যমে জাতি গঠনের সংকল্প নিয়েই পরিচালিত হয় এই সংগঠন।” প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনিয়ে লালকেল্লায় ১২ বার ভাষণ দিলেন। তিনি নিজেও একজন আরএসএস প্রচারক। ২০২৫ সালের বিজয়া দশমীতে ১০০ বছরে পা দিচ্ছে আরএসএস। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ১০ লক্ষেরও বেশি স্বয়ংসেবক নিজেদের সমর্পণ করেছেন (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, “মাতৃভূমির সেবার লক্ষ্যে ১০ লক্ষেরও বেশি স্বয়ংসেবক সম্পূর্ণভাবে নিজেদের সমর্পণ করেছেন। দেশের উন্নতি ও মাতৃভূমির কল্যাণের জন্য তাঁরা আত্মনিবেদিত।” তিনি বলেন, “সেবা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলাই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অন্যতম বড় বৈশিষ্ট্য। এক অর্থে বলা যায়, আরএসএস বিশ্বের বৃহত্তম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এর ইতিহাস নিঃস্বার্থ সেবার এক শতাব্দীর সাক্ষ্য বহন করে।”

    সরকার গঠন করলেই জাতি গঠিত হয় না

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) কথায়, “কেবলমাত্র সরকার গঠন করলেই জাতি গড়ে ওঠে না। এর পেছনে থাকে লক্ষ লক্ষ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা—ঋষি, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, কৃষক, যুবক, সৈনিক, শ্রমিক—সবার অবদানে গড়ে ওঠে এক শক্তিশালী দেশ। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, উভয়ের অবদানেই নির্মিত হয় জাতির ভিত্তি।”  প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “আজ লালকেল্লা থেকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সেই সব নিঃস্বার্থ স্বয়ংসেবকদের, যারা গত এক শতকে দেশের সেবায় নিজেদের নিবেদিত করেছেন। দেশ গর্বিত এই শতবর্ষীয় আরএসএসের যাত্রাপথে এবং তাদের অবদানে।”

  • Indian Medical Team: কূটনৈতিক দূরত্ব ভুলে সৌজন্যতার নজির, বাংলাদেশে বিশেষ চিকিৎসক দল পাঠাচ্ছে ভারত

    Indian Medical Team: কূটনৈতিক দূরত্ব ভুলে সৌজন্যতার নজির, বাংলাদেশে বিশেষ চিকিৎসক দল পাঠাচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনৈতিক দূরত্ব সত্ত্বেও ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাকাণ্ডে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াল ভারত। সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের এই খারাপ অবস্থার সময়ে ভারত সবরকমভাবে পাশে থাকতে রাজি। সেই মতো এবার মহম্মদ ইউনূসের দেশে ভারত থেকে যাচ্ছে ডাক্তার-নার্সদের টিম। মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, চিকিৎসক এবং নার্সদের দলকে বাংলাদেশে পাঠানো হবে, তাঁরা এরকম পুড়ে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ। শীঘ্রই তাঁরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে ভারতের তরফে জানানো হয়েছে। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক সরঞ্জামও পাঠাচ্ছে ভারত।

    সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মোদি

    সোমবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরায় উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ বায়ুসেনার প্রশিক্ষণরত একটি বিমান। ফলে আগুন ধরে যায়। দগ্ধ হয় অনেক পড়ুয়া। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৫ শিশু-সহ ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স ১২ বছরের নিচে। আহতের সংখ্যা ২০০-র মতো। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঢাকার প্রায় ৬টি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আহতদের। বিমান দুর্ঘটনার পর উত্তরার ওই স্কুলের অনের শিশু আহত হয়। বেশিভাগই অগ্নিদগ্ধ। অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
    এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদি। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘‘ঢাকায় একটি মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত ও দুঃখিত বোধ করছি। যেখানে মৃতদের মধ্যে অনেকেই তরুণ শিক্ষার্থী। পরিবারগুলোর জন্য আমাদের হৃদয় শোকাহত। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও ব‌লেন, ‘‘ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে এবং সম্ভাব্য সব সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’’

    বার্ন-স্পেশালিস্ট ডাক্তার ও মেডিক্যাল টিম

    মোদি সাহায্যের বার্তা পাঠানোর পরে দুই দেশের বিদেশ সচিব স্তরে যোগাযোগ বজায় ছিল টানা। ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশে তার কাউন্টারপার্টকে ফোন করেন। যে কোনও দরকারে ভারত যে সর্বতোভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত, সে কথাও জানিয়ে দেন। কী ধরনের চিকিৎসার সাহায্য প্রয়োজন তা জানতে চেয়েছিল ভারত। তার উত্তরে বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল যেহেতু জখমরা সকলেই অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন, সেই কারণে তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও যন্ত্রপাতির প্রয়োজন রয়েছে। সেই মতো পদক্ষেপ করেছে ভারত। দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আলোপ আলোচনা চলার পরই ভারত সেই দেশের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা যাচ্ছে, বার্ন ইউনিটে কাজ করার অর্থাৎ অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন ডাক্তার ও চিকিৎসাকর্মীদের বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। মেডিক্যাল টিমে দিল্লির দুজন ডাক্তার রয়েছেন- একজন রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের এবং অন্যজন সফদরজং হাসপাতালের। প্রয়োজনে আরও চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানো হবে বলে ভারতের তরফে থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    ভারতেও চিকিৎসার আশ্বাস

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আহতদের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখবেন। প্রয়োজনে ভারতের বিশেষ চিকিৎসার সুপারিশ করবেন। অর্থাৎ তাঁরা সুপারিশ করলে আহতদের ভারতে নিয়ে আসার দরজাও খুলে দিচ্ছে নয়াদিল্লি। এমনকী প্রয়োজন হলে চিকিৎসার জন্য ভারত আরও এরকম বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে বলেও জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বেড়েছে দূরত্ব। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে দেখা দিয়েছে কূটনৈতিক লড়াই। বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়েছে প্রবল ভারত বিরোধিতার সুর। সবকিছুকে উপেক্ষা করে, প্রতিবেশীর বিপর্যয়ে সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়ল ভারত।

  • Monsoon Session 2025: অপারেশন সিঁদুর, শুভাংশুর মহাকাশ যাত্রা, শক্তিশালী ভারত! বাদল অধিবেশনের আগে কী বললেন মোদি?

    Monsoon Session 2025: অপারেশন সিঁদুর, শুভাংশুর মহাকাশ যাত্রা, শক্তিশালী ভারত! বাদল অধিবেশনের আগে কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনকে (Monsoon Session 2025) বিজয়োৎসব হিসেবে অভিহিত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, থেকে শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন। সোমবার অধিবেশন শুরুতেই দেশবাসীকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অধিবেশন শুরুর আগে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাদল অধিবেশন দেশের উন্নয়ন, নীতিনির্ধারণ ও জনকল্যাণমূলক কাজে অগ্রগতির একটি সুযোগ। তাঁর বক্তব্যে উঠে এল অপারেশন সিঁদুর থেকে মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার সাফল্য। ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বাদল অধিবেশন আমাদের কাছে বিজয়োৎসবের মতো। এই প্রথমবার আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ভারতের পতাকা উড়েছে, সেটা প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে গর্বের বিষয়। তাই প্রত্যেক সাংসদ একসুরে এই কীর্তির প্রশংসা করবেন।”

    অপারেশন সিঁদুর-এর সাফল্য

    বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session 2025) শুরুতে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপারেশন সিঁদুরে ১০০ শতাংশ সাফল্য এসেছে। ভারতীয় সেনার শক্তি দেখেছে গোটা বিশ্ব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২২ মিনিটে জঙ্গিদের ঘাঁটিতে ঢুকে তাদের নির্মূল করেছে ভারতীয় সেনা। এটি আমাদের সামরিক দক্ষতার জ্বলন্ত উদাহরণ।” মোদি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যে নৃশংস গণহত্যা হয়েছে তাতে গোটা বিশ্ব কেঁপে উঠেছে। দলগত স্বার্থ ঊর্ধ্বে তুলে রেখে জাতীয় স্বার্থে সব দলগুলি দেশের হয়ে বিশ্বের দরবারে আওয়াজ তুলেছে। তাঁরা সকলে মিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সফল প্রচার করে এসেছেন। আমি সেই সকল সাংসদদের ভূয়সী প্রশংসা করি। আমি সেইসব দলকেও এই কাজে সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, গোটা বিশ্বের কাছে এখন পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বন্দুক ও বোমার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছে আমাদের সংবিধান।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ভারতে তৈরি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি আজ বিশ্বের নজর কাড়ছে।”

    বিরোধীদের জবাব

    এদিকে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাদল অধিবেশনে ঝড় তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিরোধী ইন্ডি ব্লক। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু রবিবার সর্বদল বৈঠকে জানিয়ে দেন, সংসদের বাদল অধিবেশনে অপারেশন সিঁদুর সহ মূল বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত সরকার। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হামলায় ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে কি না, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির জন্য ট্রাম্প মধ্যস্থতা করেছেন কি না, এই ধরনের একাধিক প্রশ্ন বিরোধী শিবির থেকে উঠেছে বিগত সপ্তাহগুলিতে। এই আবহে রিজিজু বলেন, সরকার লোকসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। বিরোধীদের ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সরকার পার্লামেন্টে উপযুক্ত জবাব দেবে।’ এরপরই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাদল অধিবেশনের শুরুতে বিরোধীদের অস্ত্রেই বিরোধীদের মাত দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী।

    মহাকাশে উড়ল তেরঙ্গা

    অধিবেশনের (Monsoon Session 2025) আগে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ঐতিহাসিক যাত্রার উল্লেখ করেন। এই মহাকাশ অভিযানকে জাতীয় গর্বের উৎস হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) প্রথমবারের জন্য ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনকে ঐতিহাসিক সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “এটি শুধু গর্বের মুহূর্ত নয়, ভারতের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিরও প্রতিফলন।”

    বর্ষা মানেই উদ্ভাবন

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্ষা মানেই উদ্ভাবন এবং নবজাগরণের প্রতীক। এই সময় আমাদের নতুন শক্তি ও নীতির জন্ম হয়। দেশে ভালো বর্ষা হচ্ছে যা কৃষক ও কৃষিক্ষেত্রের জন্য শুভ লক্ষণ। গত ১০ বছরের তুলনায় এবার তিনগুণ বেশি জল সঞ্চয় হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করবে।” নকশালপ্রবণ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ দেশের অনেক জেলা নকশাল মুক্ত হয়েছে। যেখানে আগে বন্দুকের ভাষা চলত, আজ সেখানে সংবিধানের জয় হচ্ছে। রেড করিডোর আজ সবুজ সম্ভাবনার অঞ্চলে রূপান্তরিত হচ্ছে।”

    আর্থিক অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (Monsoon Session 2025) জানান, “২০১৪ সালের আগে ভারত ছিল বিশ্বের দশম বৃহত্তম অর্থনীতি, আর আজ তৃতীয় বৃহত্তম হওয়ার পথে। দেশবাসী আমাদের উপর যে দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল, তা আমরা পালন করেছি। ইতিমধ্যেই ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে, এবং মুদ্রাস্ফীতির হার অনেকটাই কমে গিয়েছে।” সাংসদদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, “এই অধিবেশন হোক এক সুরে দেশগৌরবের প্রশংসা গাওয়ার উপলক্ষ। এতে দেশের জনগণ অনুপ্রাণিত হবে এবং বিশ্ব বুঝবে ভারতের প্রকৃত শক্তি।”

  • Modi In Bengal: বাংলার উন্নতিতে ৫,৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ! গুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে আজ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Modi In Bengal: বাংলার উন্নতিতে ৫,৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ! গুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে আজ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় তৃণমূলের অপশাসন রুখতে বঙ্গবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। আজ, শুক্রবার বঙ্গে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্গাপুরে জোড়া সভা তাঁর। বাংলার উন্নতিতে, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের হাল ফেরাতে ৫৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাকৃতিক গ্যাস, রেল ও বিদ্যুৎ শিল্পে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন খাতে এই টাকা ব্যয় করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্গাপুরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিনিয়োগের কথা জানান রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

    মোদির আহ্বান

    বাংলার মাটিতে পা রাখার আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশে তোপ দেগে তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করলেন নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। শুক্রবার দুর্গাপুরে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পাশের মঞ্চেই রাজনৈতিক সভা করবেন তিনি। সে-কথা জানিয়েই করেছেন পোস্ট। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের অপশাসনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বঙ্গের মানুষ অনেক আশা নিয়ে এবার বিজেপির দিকে তাকিয়ে আছেন এবং তাঁরা নিশ্চিত যে একমাত্র বিজেপি-ই পারবে উন্নয়ন করতে। এই বলে মানুষকে তাঁর সভায় যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে পৌঁছতে তিনি উদগ্রীব । দুর্গাপুরে তিনি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, রেল এবং সড়ক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। মোট ৫০০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    উন্নতি চায় কেন্দ্র

    শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদির (Modi In Bengal) সভার আগে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজ্য সরকার সবসময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলে। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থে কেন্দ্রের ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রমাণ করে দেয়, মোদি সরকার কখনও বিমাতৃসুলভ আচরণে বিশ্বাসী নয়। সমস্ত রাজ্যের উন্নয়ন করতে চায়। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানান, এই বিনিয়োগে বিপুল কর্মসংস্থান হবে।

    কোন কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার মোট পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। বৃহস্পতিবার রাতভর জোরকদমে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলেছে দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে। এখান থেকেই জনসভার পাশাপাশি একাধিক সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই স্টেডিয়ামে দু’টি পৃথক মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

    বাড়ি বাড়ি প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ: বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় বাণিজ্যিক ও বাড়ি বাড়ি প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করবে ভারত পেট্রোলিয়াম সংস্থা। পাশাপাশি চালু করবে সিএনজি আউটলেট। ১৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে এই প্রকল্প।

    উর্জা গঙ্গা প্রকল্প: ‘প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা’ প্রকল্পের অধীনে ১১৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগে দুর্গাপুর থেকে হলদিয়া ১৩২ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এর ফলে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলায় কয়েক লক্ষ বাড়িতে পাইপলাইনে পৌঁছে যাবে রান্নার গ্যাস। এ ছাড়া জগদীশপুর থেকে হলদিয়া ও বোকারো থেকে ধর্মা পর্যন্ত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের পাইপ লাইন করা হবে।

    দূষণ নিয়ন্ত্রণ: পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বাঁকুড়ার মেজিয়াতে ডিভিসির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে একাধিক বার। দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে ডিভিসির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে এই তিনটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফুয়েল গ্যাস ডেসুলফিউরাইজ়েশন পদ্ধতির সূচনা হবে। এর ফলে দূষণ কমবে। এই প্রকল্পে খরচ হবে ১৪৫৭ কোটি টাকা।

    রেল পরিষেবা উন্নত: রাজ্যে রেল পরিষেবা উন্নত করতে ৩৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরুলিয়া থাকে কোটশিলা পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার ডাবল লাইন করা হবে। কাজটি সম্পন্ন হলে জামশেদপুর, বোকারো, ধানবাদ, রাঁচি ও কলকাতার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে ও পণ্য পরিবহণে সুবিধা হবে। এছাড়া পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর ও জামুড়িয়ার তপসি স্টেশন সংলগ্ন রেলগেটে দু’টি ওভারব্রিজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ‘সেতু ভারতম’ প্রকল্পের আওতায় ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওভারব্রিজ দু’টি তৈরি হওয়ায় দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে এলাকাবাসীর।

    কখন কোথায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী

    আজ, ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর দু’টি অনুষ্ঠান দুর্গাপুরে। সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও জনসভা। দু’টিই নেহরু স্টেডিয়ামে। দুর্গাপুরের গান্ধীমোড় থেকে জনসভাস্থল নেহরু স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার ‘অঘোষিত’ রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহার থেকে অণ্ডাল বিমানবন্দরে নেমে তিনি সড়কপথেই গান্ধীমোড় আসবেন। তার পর শুরু হবে রোড শো। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে বিজেপি কর্মীরা দাঁড়িয়ে ফুল ছুড়ে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রীকে। রোড শোয়ের পর নেহরু স্টেডিয়ামে এসে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।

  • Shubhanshu Shukla: ‘‘সঙ্গে নিয়ে যাওয়া গাজরের হালুয়া সঙ্গীদের খাইয়েছেন?’’ শুভাংশুকে প্রশ্ন মোদির

    Shubhanshu Shukla: ‘‘সঙ্গে নিয়ে যাওয়া গাজরের হালুয়া সঙ্গীদের খাইয়েছেন?’’ শুভাংশুকে প্রশ্ন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে নভোচর শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla) বললেন, “মানচিত্রে ভারতকে যেমন দেখি, মহাকাশ থেকে তা আরও অনেক বড় ও অসাধারণ মনে হয়।” শনিবার সন্ধ্যায় এক আবেগঘন ভিডিও আলাপচারিতায় শুভাংশু এই মন্তব্য করেন। গত ২৬ জুন বিকেল ৪টা নাগাদ শুভাংশু শুক্লা প্রথম ভারতীয় হিসেবে আইএসএস-এ পৌঁছে ইতিহাস গড়েছেন। ভবিষ্যতে ইসরোর গগনযান প্রকল্পে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে তাঁর।

    আপনি সঙ্গে যে গাজরের হালুয়া নিয়ে গিয়েছেন, তা আপনার সঙ্গীদের খাইয়েছেন?

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) কখনও ‘শুভাংশু’, কখনও ‘শুভ’ আবার কখনও স্নেহভরে ‘শুক্স’ বলে সম্বোধন করেন তাঁকে। দু’জনের মধ্যে প্রায় ১৮ মিনিটের কথোপকথন চলে, যার ভিডিও পরে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। মোদি শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla) কাছে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন এবং জিজ্ঞেস করেন, আপনি সঙ্গে যে গাজরের হালুয়া নিয়ে গিয়েছেন, তা আপনার সঙ্গীদের খাইয়েছেন? উত্তরে শুভাংশু জানান, তিনি গাজরের হালুয়া, মুগডালের হালুয়া ও আমরস সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন এবং আইএসএস-এর সহকর্মীদের সঙ্গেও ভাগ করে খাইয়েছেন। তাঁর কথায়, “এই খাবারগুলো আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ রন্ধনশিল্পের প্রতিচ্ছবি। সবাই খুব উপভোগ করেছে।”

    ১৬টি সূর্যোদয় ও ১৬টি সূর্যাস্ত দেখি

    কথোপকথনের সময় প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, সেই মুহূর্তে পৃথিবীর কোন অংশের উপর দিয়ে তাঁরা যাচ্ছেন। শুভাংশু (Shubhanshu Shukla) বলেন, “এই মুহূর্তে সঠিকভাবে বলতে পারছি না, তবে কিছুক্ষণ আগেই আমরা হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের উপর দিয়ে গিয়েছি। প্রতিদিন আমরা পৃথিবীকে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করি, যার মানে প্রতিদিন ১৬টি সূর্যোদয় ও ১৬টি সূর্যাস্ত দেখি। আমরা ঘণ্টায় প্রায় ২৮,০০০ কিমি গতিতে ছুটে চলেছি।”

    মহাকাশ থেকে যখন দেখি, ভারত অনেক বেশি বড়, বেশি সুন্দর

    মোদি এরপর প্রশ্ন করেন, মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে প্রথম দেখে তাঁর মনে কী ভাবনা জেগেছিল। শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla) জবাব, “কক্ষপথে পৌঁছে যখন প্রথম পৃথিবীকে দেখলাম, তখন মনে হল পৃথিবী আসলে একটিই। বাইরে থেকে কোনও সীমান্ত বা রেখা চোখে পড়ে না।” ভারত সম্পর্কে বলতে গিয়ে শুভাংশু বলেন, “যখন মানচিত্রে ভারতকে দেখি, মনে হয় অন্য দেশগুলো তুলনায় বড়। কিন্তু সেটি দ্বিমাত্রিক মানচিত্র। বাস্তবে মহাকাশ থেকে যখন দেখি, ভারত অনেক বেশি বড়, বেশি সুন্দর—যেমনটা কল্পনাও করা যায় না।”

    আমরা দু’জন কথা বলছি, কিন্তু গোটা দেশের অনুভূতি আমাদের সঙ্গে রয়েছে

    প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) শেষে বলেন, “আজ আপনি আমাদের থেকে দূরে, কিন্তু ১৪০ কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ের সবচেয়ে কাছাকাছি রয়েছেন। আপনার এই যাত্রা এক নতুন যুগের সূচনা, একটা ‘শুভারম্ভ’। এই মুহূর্তে আমরা দু’জন কথা বলছি, কিন্তু গোটা দেশের অনুভূতি আমাদের সঙ্গে রয়েছে।” শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla) জানান, দেশের মানুষের ভালোবাসা ও আশীর্বাদেই তিনি সুস্থ আছেন এবং তাঁর এই যাত্রা শুধুমাত্র তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্য নয়—পুরো দেশের জন্য এক গর্বের অধ্যায়।

  • International Yoga Day: ‘‘অশান্ত বিশ্বে শান্তির দিশা দেখায় যোগ’’, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বার্তা মোদির

    International Yoga Day: ‘‘অশান্ত বিশ্বে শান্তির দিশা দেখায় যোগ’’, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বিশ্বে শান্তির পথ দেখায় যোগ। গ্রাম থেকে শহর, যোগ সবার। যোগ হল জীবনের শৃঙ্খলা। শনিবার ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Day of Yoga) অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে এই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi on Yoga Day)। এদিন বিশাখাপত্তমে ২৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৫ লক্ষ মানুষের সঙ্গে যোগে অংশ নেন মোদি। বিশ্ব শান্তিতে যোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এবছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের থিম হল ‘এক পৃথিবী ও এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ’। আরকে বিচে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা ৪৫ পর্যন্ত চলা এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও যোগ দেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, রাজ্যপাল এস আবদুল নাজির, উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ এবং সেই রাজ্যের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ। এখানেই মানুষের জীবনে যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    সবার জন্য যোগ—সীমাহীন একতা

    বিশ্বের প্রত্যেক প্রান্তে মানুষ যোগকে নিজের জীবনের অঙ্গ করে নিয়েছে। ২০১৪ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য রাষ্ট্রসংঘে আবেদন করে ভারত। সেকথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১১ বছর পর বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে যোগ। ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে পালনের জন্য ভারত প্রস্তাব দেওয়ার পরপরই বিশ্বের ১৭৫টি দেশ তা সাদরে গ্রহণ করে। আজ সেই যোগ পৌঁছে গিয়েছে মহাকাশেও, যেখানে নভোচারীরাও যোগাভ্যাস করছেন।” প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “যোগ কারও একার নয়, এটি সবার। এটি বয়স, জাতি, ভাষা কিংবা শারীরিক সামর্থ্যের ঊর্ধ্বে।”

    যোগের মাধ্যমে সমষ্টির কল্যাণ

    ভারতের প্রাচীন মন্ত্র “সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ” উদ্ধৃত করে মোদি জানান, যোগ মানুষকে আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে মুক্ত করে, সমাজমুখী করে তোলে। তিনি বলেন, “যোগ কেবল ব্যায়াম নয়, এটি এক সামাজিক নৈতিকতা—সহানুভূতি, সহমর্মিতা, ও সেবার শিক্ষা দেয়। যোগ হল জীবনের শৃঙ্খলা। একইসঙ্গে এটা একটা ব্যবস্থা যেটা আমাদের আমি থেকে আমরা করে। আমরা বিচ্ছিন্ন নই, আমরা প্রকৃতির অংশ।”

    যোগ হোক নতুন মানবতার নীতি

    বিশ্বে ক্রমবর্ধমান সংঘাত, অস্থিরতা এবং মানসিক চাপের প্রেক্ষিতে মোদি বলেন, “যোগ হচ্ছে সেই ‘পজ বাটন’, যার মাধ্যমে মানুষ নিজের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে পারে।” তিনি আহ্বান জানান নতুন উদ্যোগ ‘যোগা ফর হিউম্যানিটি ২.০’-এর, যেখানে “আভ্যন্তরীন শান্তি হোক আন্তর্জাতিক নীতি”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন অস্থিরতা, চাপানউতোর চলছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের শান্তির দিশা দেয় যোগ।”

    বিজ্ঞানসম্মত গবেষণায় যোগের বিকাশ

    যোগা বয়স, সীমানা নির্বিশেষে সকলের জন্য। মোদি জানান, এইমস-সহ বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছে যে, হৃদরোগ, স্নায়ু সমস্যা, নারী স্বাস্থ্য ও মানসিক সুস্থতায় যোগ অত্যন্ত কার্যকর। মোদি জানান, জাতীয় আয়ুষ মিশনের অধীনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যোগচিকিৎসার প্রচার চলছে, এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লাখ লাখ মানুষ যোগ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।

    স্থূলতা রুখতে যোগ ও খাদ্য সংস্কার

    কুরুক্ষেত্রে ব্রহ্মসরোবর-এ যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন যোগগুরু স্বামী রামদেব এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি। একইভাবে আন্তর্জাতিক যোগাসনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রী। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেও পালিত হয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এদিন সকালে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এদিন রামকৃষ্ণ বিচে প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘১০ শতাংশ কম তেল’ চ্যালেঞ্জের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। বলেন, “তেল কমান, খারাপ খাদ্য এড়ান, যোগ করুন—এটাই আপনার প্রাকৃতিক ফিটনেস ফর্মুলা।”

    যোগ হোক বিশ্বজুড়ে এক গণ-আন্দোলন

    বিশ্বজুড়ে বাড়ছে যোগাসনের জনপ্রিয়তা। ইউকে তে যোগাসনের বিশেষ অনুষ্ঠানে হাজির হন রাজা চার্লস। সেখানে যোগের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে রাজা চার্লস বলেন, “যোগ ঐক্য, সহানুভূতি এবং কল্যাণের আন্তর্জাতিক নীতিগুলি তুলে ধরে। এটির বার্ষিক উদযাপন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্বাস্থ্য ও সুখের প্রেরণা দেয়।” এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদিও বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান, প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় যোগকে অন্তর্ভুক্ত করতে। তিনি বলেন, “প্রতিটি মানুষ তার দিন শুরু করুক যোগের মাধ্যমে, প্রতিটি সমাজ সংহত হোক যোগের মাধ্যমে, আর বিশ্ব হোক শান্তি ও সুস্থতার পথযাত্রী।”

LinkedIn
Share