Tag: police

police

  • Birbhum: ‘পুলিশ-প্রশাসন আমাদের কথা শোনে না’, দলীয় সভায় সুব্রত বক্সির কাছে নালিশ জেলা তৃণমূল নেতার

    Birbhum: ‘পুলিশ-প্রশাসন আমাদের কথা শোনে না’, দলীয় সভায় সুব্রত বক্সির কাছে নালিশ জেলা তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ-প্রশাসন আর আমাদের সঙ্গে নেই। আগে কথা শুনতো। এখন আর কথা শোনে না। পুলিশ প্রশাসন যদি আমাদের সঙ্গে থাকে বীরভূমের (Birbhum) দুটি লোকসভা কেন্দ্র আমরা লক্ষাধিক ভোটে জিতব। জেলার সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির প্রতি অনুরোধ বিষয়টি দেখার জন্য। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। তৃণমূলের অবস্থা রেডিওর মতো। এখন আর বাড়িতে দেখা যায় না। দুমাস পর এরকম অবস্থা হবে কটাক্ষ বিজেপির।

    পুলিশ-প্রশাসন তৃণমূলের কথা শুনছে না (Birbhum)

    ১০ই মার্চ কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনগর্জন সভা। সেই সভাকে সামনে রেখে সোমবার বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে তৃণমূলের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কার্যত বিতর্কিত মন্তব্য করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জানিনা প্রশাসনের ভূমিকা এখন থেকে কি শুরু হয়ে গেছে! আমার মনে হচ্ছে প্রশাসনের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে যারা বসে আছেন আমাদের উল্টো কাজ করছেন। দল যেখানে বলছে এই কেসটা একটু দেখতে হবে, প্রশাসনের তরফ থেকে বিরোধিতা আসছে। যেকোনও উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে প্রশাসনের যে সহযোগিতা আমরা পেতাম সেটা আর পাচ্ছিনা। এসডিও হোক বিডিও হোক বা পুলিশের লোক হোক। প্রতিমুহূর্তে পিছন দিকে টেনে ধরার একটা প্রচেষ্টা চলছে। আমার উচ্চ নেতৃত্ব আছেন। সর্বোপরি তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এসেছেন। তাঁকে অনুরোধ করব বিষয়টি দেখার জন্য। যাতে প্রশাসন সহযোগিতা করে। এটা যদি হয় তাহলে বীরভূমে দুটি লোকসভা কেন্দ্রে লক্ষাধিক ভোটে আমরা জয়লাভ করব।

    প্রশাসন নিরপেক্ষ হলে তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবে না

    বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বীরভূমের বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দীপক ঘোষ বলেন, বোঝাই যাচ্ছে যে তৃণমূল আগে যে সমস্ত নির্বাচন পার করেছে সবই প্রশাসনের সহযোগিতায়। পঞ্চায়েত, পুরসভা, বিধানসভা বা লোকসভা। পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুক। তৃণমূলকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখন আর কারও বাড়িতে রেডিও থাকে না। তৃণমূলের সেই অবস্থা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে হল অভিযোগ দায়ের

    Sandeshkhali: শাহজাহান ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে হল অভিযোগ দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস ছিল না সন্দেশখালিবাসীর। কেউ সাহস করে থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে ঘুরলেই এই কথা শোনা যায়। আর ইডি-র ওপর হামলার পর দেড় মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত। এখনও অধরা শেখ শাহজাহান। এদিকে, তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে উত্তাল সন্দেশখালি। পথে নেমেছেন গ্রামের মহিলাদের একাংশ। শুধু শাহজাহান নয়, এর পাশাপাশি তাঁর ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধেও জমি দখল, বাড়িঘর ভাঙচুরের মতো একাধিক অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এবার নতুন করে শেখ শাহজাহানের ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল।

    শাহজাহানের নামে আগেও অভিযোগ জমা করা হয়

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর গ্রামের মহিলারা ঝাঁটা হাতে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির ওপর হামলা হয়। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে, পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। তার আগে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার ওপর জনরোষ আছড়ে পড়েছিল। তাদের দুজনকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে, সন্দেশখালির মূল কাণ্ডারি শাহজাহানকে ধরার বিষয়ে পুলিশের কোনও হেলদোল নেই। এমনকী আদালত নির্দেশ দিলেও পুলিশ তাঁতে ধরার বিষয়ে গা করছে না। এমনই অভিযোগ সন্দেশখালিবাসীর। তবে, এখন সন্দেশখালির পরিস্থিতি আলাদা। উত্তাল সন্দেশখালিকে শান্ত করার জন্য জায়গায় জায়গায় ক্যাম্প বসিয়েছে পুলিশ। সেখানে গিয়ে অভিযোগ জমা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ও ২৫ ফেব্রুয়ারি দুই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। এবার ফের দাপুটে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়েছে। এর আগে সিরাজউদ্দিনের ওপর জনরোষ আছড়ে পড়েছিল। এবার তাঁর নামে অভিযোগ জমা পড়ল। প্রতিদিন নতুন করে অভিযোগ জমা পড়ছে। সেগুলো খতিয়ে দেখে নতুন করে কিছু এফআইআর হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরে বেআইনি অস্ত্রের কারখানার হদিশ, উদ্ধার এক নলা বন্দুক! গ্রেফতার ১

    Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরে বেআইনি অস্ত্রের কারখানার হদিশ, উদ্ধার এক নলা বন্দুক! গ্রেফতার ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ। উদ্ধার করা হল বন্দুক সহ একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে একজন। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) থানাপাড়া এলাকার সাহেব পাড়ায় একটি বাড়িতে বেআইনি ভাবে অস্ত্র তৈরি করার কারখানার খবর পেয়ে হানা দেয় পুলিশ। ধৃতের নাম হল বজলু শেখ। গ্রেফতার করে তাকে আদালতে তোলা হয়েছে। বিচারক পুলিশে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ।

    পুলিশ সূত্রে খবর (Kriahna Nagar)

    নদিয়া পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) সাহেব পাড়ায় একটি বাড়িতে বেআইনি ভাবে অস্ত্র নির্মাণে কাজ চলছিল। এই খবর গোপন সূত্রে আসে পুলিশের কাছে। এরপর এখানে হানা দিয়ে একটি একনলা বন্দুক সহ আরও একাধিক অস্ত্র উদ্ধার হয় ওই বাড়ি থেকে। বাড়িতেই ছিল অস্ত্র তৈরির কারখানা। সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। বাড়িতে সেই সময়ে উপস্থিত ছিল বজলু। পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে।” কিন্তু কীভাবে এই অবৈধ অস্ত্র নির্মাণের কাজ চলছিল তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সীমান্তের ওপারের অস্ত্রকারবারিদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা নিয়েও রীতিমতো জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

    পুলিশ আধিকারিক এসডিপিও-র বক্তব্য

    নদীয়া (Nadia) পুলিশের পক্ষ থেকে তেহট্ট এসডিপিও শুভতোষ সরকার বলেন, “অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা শুরু করেছে। অভিযুক্তের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।” তবে ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

    আতঙ্কিত এলাকবাসী

    এলাকার (Krishna Nagar) মানুষের প্রশ্ন প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে কীভাবে এই বাড়িতে অস্ত্র রাখা হয়েছিল। বাড়িতে নির্মিত কারখানায় অস্ত্র তৈরির কাজ চলছিল বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার মানুষ। এমনিতেই নদিয়া জেলার একপাশে বাংলাদেশ সীমান্ত, ফলে এই অস্ত্র বাংলাদেশে পাচার হবে না তো? আবার সামনেই লোকসভার ভোট তাকে প্রভাবিত করার জন্য অস্ত্র মজুত করা হয়তেছিল কিনা, তাই নিয়েও এলাকার মানুষ দারুণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেশী অস্ত্র এবং বোমার ব্যবহারে রাজনৈতিক হিংসার খবরে শিরোনাম হয়েছিল নদিয়া জেলা। তাই এলাকার মানুষ আতঙ্কিত।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকেও সন্দেশখালি ঢুকতে বাধা, ধস্তাধস্তি, ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ

    Sandeshkhali: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকেও সন্দেশখালি ঢুকতে বাধা, ধস্তাধস্তি, ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার পথে এবার বাধাপ্রাপ্ত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। বাধা দিল পুলিশ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালি যাচ্ছিলেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ভোজেরহাটেই কেন্দ্রের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আটকে দিল পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেই যুক্তি দেখিয়ে বাধা দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। ডিসি সৈকত ঘোষ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের অনুরোধ করে জানান, এই মুহূর্তে সন্দেশখালির যা পরিস্থিতি তাতে সেখানে এখন যাওয়া সম্ভব নয়। আইন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। কিন্তু, টিমের সদস্যরা জানাচ্ছেন, তাঁরা দু’জন যাবেন সেখানে। যদিও পরে পুলিশ কেন্দ্রীয় টিমের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয় (Sandeshkhali)

    ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আটকানোর জন্য রাজ্য পুলিশেরক পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। ভোজেরহাটে ইস্ট ডিভিশনের ডিসি আরএস বিলাল ও ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় টিমে ৬ জন সদস্য রয়েছেন। টিমে রয়েছেন পাটনা হাইকোটের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি নরসিমা রেড্ডি, রজপাল সিং, ওপপ্রকাশ ব্যাস, সঞ্জীব নায়ক, ভাবনা বাজাজ এবং চারু আলি খান্না। এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্যের বেশ কয়েকজন আইনজীবী সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকায় যাবেন বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। আইনজীবী তথা এনসিড্বলু-র  সদস্য চারু আলি খান্না জানান বলেন, “আমরা পুলিশকে বললাম দুজন যাব। বাংলার পুলিশ দুই মহিলাকে ভয় পাচ্ছে? কীসের ভয় পাচ্ছে ওরা? আমি কী করব ওইখানে গিয়ে। আমি তো ফিরব না। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় টিমের মহিলাদের আটক করার জন্য গাড়িতে তুলছিল পুলিশ। সেই সময় বাধা হয় সিআরপিএফ এর জওয়ানের সঙ্গে। তারা বাধা দেয়। চলে ধস্তাধস্তি।

    প্রতিনিধি দলকে গ্রেফতার

    ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে বলেন,”স্যর আপনাদের আটক করব? আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে আপনাদের অনুরোধ করছি ফিরে যাওয়ার জন্য।” পাল্টা প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বলেন, “ওইখানে ১৪৪ ধারা জারি। এখানে তো ১৪৪ ধারা নেই। যেতে দিচ্ছেন না। আমাদের বারণ আছে।”১৪৪ ধারার যুক্তি দিয়ে তথ্য অনুসন্ধানকারী দলকে আটকাল পুলিশ। পরে, পুলিশ কেন্দ্রীয় টিমের ৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: জলসায় নর্তকীদের সঙ্গে নাচতে দিতে বাধা, বন্দুক উঁচিয়ে দাপিয়ে বেড়ালেন যুবক

    Egra: জলসায় নর্তকীদের সঙ্গে নাচতে দিতে বাধা, বন্দুক উঁচিয়ে দাপিয়ে বেড়ালেন যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সাধারণ মানুষের হাতে হাতে ঘুরছে আগ্নেয়াস্ত্র। এটা বিরোধীদের কোনও অভিযোগ নয়। এই ঘটনার জ্বলন্ত প্রমাণ মিলল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় (Egra)। প্রকাশ্যেই জলসার মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে দাপিয়ে বেড়ালেন এক যুবক। আর এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Egra)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এগরা (Egra) থানার বাথুয়াড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচক গ্রামে এক জলসার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই জলসায় নৃত্য শিল্পীদের সঙ্গে নাচ করতে চেয়েছিল। কিন্তু আয়োজক কমিটির সদস্যরা তাতে রাজি হননি। আর এরপরই প্রকট হল যুবকের আসল রূপ। বন্দুক উঁচিয়ে তাণ্ডব শুরু করে দেয় জলসার মঞ্চের সামনে। আর তাতেই একেবারে হুলুস্থুল কাণ্ড। দর্শক আসনে যাঁরা বসে ছিলেন, তাঁরা সব ভয়ে ছুটে পালান। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে এগরা থানার পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম গোপাল মাঝি। তাঁর বাড়ি এগরা থানা এলাকাতেই। যুবকের থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশ কয়েক রাউন্ডগুলি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কীভাবে ওই যুবকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এল, ওই জলসায় ঠিক কী ঘটেছিল, সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে এগরা থানার আইসি অরুন কুমার খান জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোথা থেকে ওই বন্দুক এল, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু মুখ খুলতে রাজি হননি তিনি।

    আয়োজক কমিটির সদস্যরা কী বললেন?

    আয়োজক কমিটির সদস্যদের বক্তব্য,ওই যুবক জলসার অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে যখন চলে আসেন, তখন আমরা তাঁকে পিছনে গিয়ে বসার জন্য অনুরোধ করি। আর সেখান থেকেই শুরু হয় বিপত্তি। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ওই যুবক তাতে উত্তেজিত হয়ে পকেট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে উঁচিয়ে ধরে। এভাবে ওই যুবক পকেট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করবে তা ভাবতে পারিনি।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ইটভাটায় ধর্ষণ করে থেঁথলে খুন! মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Malda: নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ইটভাটায় ধর্ষণ করে থেঁথলে খুন! মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিত্যক্ত ইটভাটা থেকে নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদায় (Malda)। শুক্রবার সন্ধ্যায়  মৃতদেহ বাসিন্দাদের নজরে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক অঞ্চলের বিষণপুর এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার রক্তাক্ত মৃতদেহ ইট ভাটায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মালদা (Malda) থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান ওই নাবালিকাকে প্রথমে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। মাথায় ইটের আঘাত রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত নাবালিকার নাম সেবিকা মুর্মু (১৫)। তার বাড়ি সংশ্লিষ্ট এলাকায়। সে স্থানীয় ভাবুক রাম মার্ডি হাই স্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত। শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রামে একটি অনুষ্ঠান দেখতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর ওই স্কুল ছাত্রীর আর সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে দিন গড়িয়ে গেলেও সন্ধ্যা নাগাদ পরিবারের লোক জানতে পারেন পাশেই একটি পরিত্যক্ত ইট ভাটায় তাদের মেয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, অনুষ্ঠান থেকে সন্ধ্যার মধ্যে তার বাড়ি ফেরার কথা ছিস। আর গ্রামের মধ্যে অনুষ্ঠান হওয়ায় আমরা কোনও সন্দেহ করিনি। কিন্তু, সন্ধ্যা পেরিয়ে যাওয়ার পরও সে বাড়ি না ফেরায় চারিদিকে তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করি। কিন্তু, বাস্তবে তার হদিশ পাইনি। আমাদের অনুমান, প্রথমে  তাকে ধর্ষণ এবং তারপর খুন করে তাদের মেয়েকে মারা হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মালদা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান বিরোধী আন্দোলন দমাতে গ্রামে গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প, সিসি ক্যামেরায় নজরদারি

    Sandeshkhali: শাহজাহান বিরোধী আন্দোলন দমাতে গ্রামে গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প, সিসি ক্যামেরায় নজরদারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলন দমাতে সন্দেশখালিতে আরও সক্রিয় হল পুলিশ। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আপাতত বেড়মজুর এলাকার কাঠপোলে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে। বসানো হয়েছে তিনটি সিসি টিভি। আন্দোলনকারীদের ওপর নজরদারি করার জন্য করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। শনিবার সকাল থেকে থেকে কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন রয়েছে গ্রামে।

    দুয়ারে ক্যাম্প! (Sandeshkhali)

    শাহজাহান বাহিনী সন্দেশখালি জুড়ে তাণ্ডব করে বেড়াত। গ্রামবাসীরা সাহস করে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হত। অভিযোগ নেওয়া হত না। এমনই অভিযোগ করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। এখন গ্রামে ক্যাম্প করে অভিযোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, আগে পুলিশ এই পদক্ষেপ নিল সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এই রুপ রাজ্যবাসীকে দেখতে হত না। পুলিশ নিষ্ক্রিয় হওয়ার কারণে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। এখন ঠেলায় পড়ে পুলিশের টনক নড়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে থানার আইসি, এসডিপিও এবং বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সন্দেশখালিতে রয়েছেন। ডিআইজি বলেন, এদিন বেড়মজুর গ্রামে ক্যাম্প করা হয়েছে। ধীরে ধীরে বাকি গ্রামগুলিতে  ক্যাম্প করে অভিযোগ জমা নেওয়া হবে। যে কোনও ধরনের অভিযোগ জানানো যাবে ক্যাম্পে। তার উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি ক্যাম্পে একজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। এছাড়াও থাকবেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।  দু-তিনজন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

     শাহজাহান অনুগামীদের ওপর চড়াও হন গ্রামবাসীরা

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে সন্দেশখালির কাছারি এলাকায় শাহজাহান শেখের এক ‘অনুগামী’র মাছের ভেড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। বেড়মজুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও হাতে লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় মহিলারা। দখল হয়ে যাওয়া জমিজমা ফেরতের দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি,শাহজাহানকে গ্রেফতারেরও দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। এই পরিস্থিতিতে ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। বেলার দিকে পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে মারধর করার পাশাপাশি তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের গাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামের মহিলারা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সহ একাধিক জনকে আটক করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ, গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভে মহিলারা

    Sandeshkhali: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ, গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থেকে ফিরে যেতেই অ্যাকশন মুডে চলে যায় পুলিশ। শুরু হয় গ্রাম জুড়ে ধরপাকড়। বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ চেষ্টা করলে মুহূর্তের মধ্যে ছবি বদলে যায়। আগুনে ঘি ঢালার মতো পুলিশের ওপর জনরোষ আছড়ে পড়ে। পুলিশের গাড়ির সামনেই গাছের গুঁড়ি ফেলে মহিলারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। হাতে গাছের ডাল নিয়ে পথে নামেন মহিলারা। পুলিশ ভ্যানে সামনেই রাস্তায় শুয়ে পড়েন এক বৃদ্ধ মহিলা। সব মিলিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন সন্দেশখালির মহিলারা।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    এতদিন শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল। শুক্রবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ দুজন তৃণমূল নেতার ওপর জনরোষ গিয়ে পড়ে। অজিত মাইতি নামে এক তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আর তৈয়ব মোল্লার ভেড়ির আলাঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। নতুন করে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) অশান্ত হওয়ার খবর পেয়ে শুক্রবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার আসেন। বিক্ষোভ দমাতে গ্রামবাসীদের আইন হাতে তুলে নিলে গ্রেফতারি করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সন্দেশখালি থেকে ডিজি ফিরে যাবার পরেই কার্যত অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। এলাকা জুড়ে একের পর এক ধর পাকড় শুরু হয়। বেড়মজুড় গ্রামের সাঁকোর এক প্রান্তে পুলিশ বাহিনী। অন্যপ্রান্তে গ্রামবাসীরা জড়ো হন। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। এক মহিলা বলেন, আমার ছেলে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। ভ্যান চালিয়ে খুব কষ্ট করে সে পড়াশোনা করছে। পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে পুলিশ তাকে তুলে নিল। এটা পুলিশের কী আচরণ। এই পুলিশের গাড়ির সামনে মাটিতে শুয়ে এক গ্রামবাসী কাকুতি মিনতি করতে থাকেন। চ্যাংদোলা করে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

    শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীকে না ধরে গ্রামবাসীদের ধরতে ব্যস্ত পুলিশ!

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাসিন্দাদের বক্তব্য, ইডি-র ওপর হামলার পর থেকেই শাহজাহানের খোঁজ নেই। তাঁর অনুগামীরাও এলাকা ছাড়া। যারা এলাকায় এক সময় অত্যাচার করেছিল তাদের গ্রেফতার করার বিষয়ে পুলিশের কোন হেলদোল নেই। অত্যাচারীদের জন্যই সন্দেশখালির আজ এই চেহারা নিয়েছে। শাহজাহানকে না ধরে এখন গ্রামবাসীদের ধরতে ব্যস্ত পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ফের শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর, বিক্ষোভ দমাতে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি ডিজি-র

    Sandeshkhali: ফের শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর, বিক্ষোভ দমাতে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি ডিজি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসময় যারা গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল, সেই শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি। বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও জ্বলছে সন্দেশখালি। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর এলাকায় লাঠি, বাঁশ-হাতে রাস্তায় নেমেছেন গ্রামের মহিলারা। শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি, তোয়েব মোল্লাদের বিরুদ্ধে জনরোষ আছড়ে পড়ল।

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর (Sandeshkhali)

    শুক্রবার সকাল থেকে নতুন করে অশান্ত হতে শুরু করে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। গ্রামবাসীদের জমি দখল করে ভেড়়ি করা শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তোয়েবের বিরুদ্ধে জনতারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ভেড়ির আলাঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে, সমস্ত ক্ষোভ গিয়ে পড়ে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির ওপর। বেড়মজুর এলাকার মানুষের অভিযুক্তদেরও তালিকায় প্রথম নাম রয়েছে তাঁর। শুক্রবার সকালে শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতেই হামলার অভিযোগ ওঠে। বেড়ার পাঁচিল ভেঙে ফেলা হয়।  বাড়ির ভিতর ঢুকেও চলে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, একুশের নির্বাচনের পর থেকে ওই তণমূল নেতার দলবল আমাদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চালিয়েছে। বাড়িঘর দখল করেছে, জমি দখল করেছে, প্রতিবাদ করলেও মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে ব্যাপক মারধরও করা হয়েছে। এবার সেই ক্ষোভই আছড়ে পড়ল তৃণমূল নেতার পরিবারের ওপর। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূলনেতার স্ত্রীর বক্তব্য,  “আমার স্বামী কিচ্ছু করেনি। কোনও ভাঙচুর করেনি। সব ওরা গায়ের জোরে করছে। শাহজাহান শেখের সঙ্গে দল করে, এটাই ওদের রাগ।” আক্রান্ত তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “গ্রামবাসীদের অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে আইনের শাসন মেনে নেব।

    সন্দেশখালিতে রাজ্য পুলিশের ডিজি

    এদিকে, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করল বসিরহাট জেলা পুলিশ। ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। শুক্রবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তিনি বলেন, আইন হাতে তুলে নেবেন না। যা অভিযোগ রয়েছে, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি এদিন বেড়মজুরে যান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেন। জেলাশাসকের সঙ্গে ফোনে গ্রামবাসীদের কথা বলিয়ে দেন।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: টাক স্বামীকে অপছন্দ, বান্ধবীর সঙ্গে মন্দিরে মালা বদল সন্তান খুনে অভিযুক্ত মায়ের

    Hooghly: টাক স্বামীকে অপছন্দ, বান্ধবীর সঙ্গে মন্দিরে মালা বদল সন্তান খুনে অভিযুক্ত মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার আদালতে পেশ করে ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে শান্তা শর্মা এবং তাঁর বান্ধবী ইফফাত পারভিনকে। এরপর পুলিশি জেরায় প্রায় প্রতিদিনই উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য। ১৬ ফেব্রুয়ারি হুগলির (Hooghly) কোন্নগরের কানাইপুর আদর্শনগর এলাকাতে নিজ বাড়ির ভেতরে খুন হয়ে যায় এক শিশু। সেই খুনের তদন্তে নেমে ৪ দিনের মাথায় পুলিশ গ্রেফতার করে মূল অভিযুক্ত তার মা ও ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে। মোটিভ হিসেবে উঠে আসে সমকামিতা।

    মন্দিরে মালা বদল হয় দুজনের (Hooghly)

    ২০১০ সালে শান্তার সঙ্গে পারভিনের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। পরে, পঙ্কজ শর্মার সঙ্গে শান্তার বিয়ে হয় ২০১২ সালে। ২০১৮ সালে পারভিনের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে সে কেটে পড়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে। এরপরের বছর কলকাতার একটি মন্দিরে শান্তা আর পারভিন দুজনে মালা বদল করে। সেটা দুই পরিবারের কেউ জানত না। পঙ্কজ জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী ও পারভিন বছর দুয়েক আগে দিল্লি গিয়েছিল। তখন ছেলেকে সঙ্গে নেয়নি। গত বছর বিহারে গিয়েছিল ছেলে ছিল সঙ্গে। তবে, পারভিনের বাড়িতে ছেলেকে আলাদা রেখে এক ঘরে রাত কাটায় শান্তা ও পারভিন। সে কথা শিশু তার বাবাকে জানিয়েছিল। হুগলি (Hooghly) জেলার পুলিশ দুজনের মোবাইল ঘেঁটে কিছু ছবি পায়। যেখানে একটি ছবিতে দুজনের হাতেই চুড়ি দেখা যায়। শান্তার স্বামী পুলিশকে জানিয়েছিল শান্তা কোনোদিনও চুড়ি পরত না।

    স্বামীর মাথার টাক অপছন্দের ছিল শান্তার

    নিজের স্বামীকে ছেড়ে হঠাৎ বান্ধবীর প্রতি আসক্তি কেন? শান্তার দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। স্বামী পঙ্কজের মাথায় টাক। সেটা ছিল অপছন্দের বিষয় শান্তার কাছে। বিয়ের সময় থেকে পঙ্কজের মাথায় টাক ছিল। যা পছন্দ ছিল না শান্তার। বিয়ের পর এনিয়ে দুজনের অশান্তিও হত। একে স্বামীর সঙ্গে মনের মিল নেই অন্যদিকে সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতার অভাব। দুই এর সুযোগে পারভিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। শিশু খুনের দুদিন আগে থেকে কোনও যোগাযোগ নেই এটা প্রমাণ করতেই ফোনালাপ বন্ধ রাখে তারা। ঘটনার দিনও বেলা তিনটের সময় পারভিনের মোবাইল টাওয়ার লোকেশান ছিল ওয়াটগঞ্জ। আবার রাত সারে আটটায় সেই একই লোকেশানে ছিল। মাঝে ফোন বন্ধ ছিল। তবে, সন্ধা ছটা থেকে সারে ছটা নাগাদ শিশুকে খুন করা হয়। তার মিনিট পনেরে আগে শান্তা ও পারভিনের কথা হয় তার সূত্র পেয়ে যায় পুলিশ।

    পরিকল্পনা মতো কাজে গিয়েছিলেন শান্তা

    শান্তা একটি ফুড কোর্টে কাজ করতেন। পরিকল্পনা মাফিক সেদিন কাজে যান। দোকানে গিয়ে ডলি নামে প্রতিবেশি এক মহিলাকে দিয়ে বাড়িতে ছেলেকে খবর পাঠান তার চশমা দিয়ে যেতে।ছেলে মাকে চশমা দিয়ে বাড়ি ফিরে টিভি চালিয়ে কার্টুন দেখতে বসে। সে সময় আততায়ী ঘরে ঢুকে শিশুকে মাথা থেঁতলে খুন করে।শান্তার স্বামী পঙ্কজ শর্মা অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজা চাইছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share