Tag: police

police

  • Nadia: রাস্তার পাশে বস্তার মধ্যে গোছা গোছা ভোটার কার্ড, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Nadia: রাস্তার পাশে বস্তার মধ্যে গোছা গোছা ভোটার কার্ড, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝোপের মধ্যে থেকে হাজার হাজার ভোটার কার্ড উদ্ধার। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভোটার কার্ডগুলি উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাকদা থানার তাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মিত্র পুকুর এলাকায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    বৃহস্পতিবার রাতে নদিয়ার (Nadia) চাকদার তাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মিত্রপুকুর এলাকার রাজ্য সড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে দুটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর বস্তাগুলি খুলতেই হতবাক হয়ে যান সকলে। বস্তার ভেতর হাজার হাজার ভোটার কার্ড রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চাকদা থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ ওই ভোটার কার্ডগুলিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গা সহ নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক পরিবারের কাছে আধার কার্ড বাতিলের নোটিশ আছে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। কারণ, একের পর এক কার্ড সক্রিয় হতে শুরু করেছে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ঝোপের মধ্যে বস্তা বস্তা ভোটার কার্ড উদ্ধার ঘিরে আবারও নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, এই ভোটার কার্ডগুলি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তৈরি হওয়ার কারণে কেউ ফেলে রেখে গেছে। পাশাপাশি মনে করা হচ্ছে এই ভোটার কার্ড গুলি নির্বাচনের সময় ব্যবহার করা হত।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এ বিষয়ে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মৃণাল বিশ্বাস বলেন, আমরা প্রথমে ওই বস্তা গুলো দেখতে পাই। সেখানে এত ভোটার কার্ড দেখে পরবর্তীকালে স্থানীয় থানায় খবর দিই। এরপর পুলিশ এসে ভোটার কার্ড গুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে, ভোটার কার্ডগুলো উদ্ধার করার পর সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি এই ভোটার কার্ডগুলি কোথা থেকে এলো কে বা ফেলে গেল তারও তদন্ত শুরু করেছে চাকদা থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ভুয়ো জিএসটি অফিসার পরিচয় দিয়ে ‘তোলাবাজি’! গ্রেফতার তিন যুব তৃণমূল নেতা

    Siliguri: ভুয়ো জিএসটি অফিসার পরিচয় দিয়ে ‘তোলাবাজি’! গ্রেফতার তিন যুব তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণত কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অনেক জায়গায় এই বিষয় নিয়ে এলাকাবাসী সরব হন। তবে, এবার জিএসটি অফিসার পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করতে গিয়ে তিনজন যুব তৃণমূলের নেতা গ্রেফতার হলেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) এলাকায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Siliguri)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই শিলিগুড়ি-সহ ফুলবাড়ির বিভিন্ন এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে জিএসটি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি এবং তোলা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছিল তিনজন যুবক। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির শহর সংলগ্ন ফুলবাড়ি বাইপাস টোলগেট এলাকায় একটি সাদা গাড়িতে জিএসটির বোর্ড লাগিয়ে তিন যুবক যানবাহন দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করছিল। এমন সময় নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশের সাদা পোশাকের টিম ওই তিন যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তাঁরা যুব তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়িতে (Siliguri)। অভিযুক্ত তিন যুবকের বাড়ি বাগডোগরাতে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের নাম শুভজিৎ ঘোষ, রুপেশ তিরকি ও পার্থ ঘোষ। ধৃতদের নিয়ে আসা জিএসটি বোর্ড লাগানোর সাদা রংয়ের একটি চারচাকা গাড়িও আটক করা হয়েছে। ধৃতরা এর আগেও এমন কাজ করেছে বলে স্বীকারও করেছে। ধৃত তিনজনই দলের জেলা সভানেত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাঁরা বাগডোগরায় নেতৃত্ব দিতেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    জেলা তৃণমূলের মুখপত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, আমরা এই ধরনের কাজকে সমর্থন করি না। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। যদি কেউ এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে পুলিশ পদক্ষেপ করবে। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, চুরি, তোলাবাজি তৃণমূলের সংস্কৃতি। তাই লুটে খাচ্ছে। পুলিশ বুঝতে না পেরে ধরে ফেলেছে। এখন গ্রেফতার পর তাদের পরিচয় সামনে এসে বিড়ম্বনায় পড়েছে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছালেন শুভেন্দু, ফুল ছড়িয়ে, শাঁখ বাজিয়ে নেতাকে বরণ

    Suvendu Adhikari: অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছালেন শুভেন্দু, ফুল ছড়িয়ে, শাঁখ বাজিয়ে নেতাকে বরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)  সন্দেশখালির পথে রওনা দেন। যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে পারেন বলে তিনি আশঙ্কা করেছিলেন। তাঁর সেই আশঙ্কা সত্যি হল। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ধামাখালিতে আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে শুভেন্দু অধিকারী কে আটকালো পুলিশ। সেখানেই দলের অন্যান্য বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসে যান বিরোধী দলনেতা। সন্দেশখালি যেতে বাধা নেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। শর্তসাপেক্ষে শুভেন্দু ঢুকতে পারবেন সন্দেশখালি। শুভেন্দুর সঙ্গে কেবল যেতে পারবেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আদালতের অনুমতি পেতেই শঙ্কর ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালি যান। বিরোধী দলনেতা বললেন, “এটি সংবিধানের জয়।” আর শুভেন্দু সন্দেশখালির পথে যেতেই উচ্ছাসে ফেটে পড়লেন বিজেপি কর্মীরা।

    শাঁখ বাজিয়ে শুভেন্দুকে বরণ সন্দেশখালিতে (Suvendu Adhikari)  

    সন্দেশখালি পৌঁছতেই ফুল ছড়িয়ে, শাঁখ বাজিয়ে বরণ শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। মানুষের ভিড়ে কার্যত এগোতে পাচ্ছেন না তিনি। টোটোয় চড়ে গ্রামের মানুষের কাছে যান বিরোধী দলনেতা। শোনেন অভাব অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারী গ্রামে প্রবেশ করতেই বেরিয়ে এলেন বাড়ির মহিলারা। নিজেদের অভাব-অভিযোগ জানালেন বিরোধী দলনেতাকে। একই সঙ্গে বরণ করে নিলেন তাঁকে। কেউ কেউ আবার পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। শুভেন্দু তাঁদের কাছে জানতে চাইলেন, তাঁরা এখন কেমন আছেন? লড়াই চালানোর বার্তাও দিলেন বিরোধী দলনেতা। এরপর সন্দেশখালির মাটিতে বসে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, শাহজাহান সিপিএমের প্রোডাক্ট। এর আগে বৃন্দা কারাট শাহজাহানের সঙ্গে মিটিং করে গিয়েছেন। বামেদের নিচুতলার কর্মীরা বিজেপিকে সমর্থন করে। জানা গিয়েছে, আদালতের অনুমতি পেতেই বৃন্দা কারাট ও সিপিএম-এম মহিলা ব্রিগেডও সন্দেশখালিতে যায়।

    সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আসার আগে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্দেশখালিতে নতুন করে ১২টা জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয় বলে জানালেন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার   মেহেদী হাসান রহমান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে সন্দেশখালি থানার পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯ টি পয়েন্টে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে চারটি জায়গা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। জানা গেছে , মঙ্গলবা আবার নতুন করে ১২টি জায়গায় ফের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে মোট ২৭ টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: গরু পাচার রুখলেন গ্রামবাসীরা, ম্যাটাডোর ভাঙচুর করে আগুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Asansol: গরু পাচার রুখলেন গ্রামবাসীরা, ম্যাটাডোর ভাঙচুর করে আগুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার রুখলেন গ্রামবাসীরা। গরু বোঝাই ম্যাটাডোর ঘিরে ধরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। গরু নামিয়ে ম্যাটাডোরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন উত্তেজিত জনতা। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের (Asansol) দক্ষিণ থানার ডাঙ মহিশীলায় গ্রামে। গরু চোর সন্দেহে দুজনকে গণপিটুনি দেন বলে অভিযোগ। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Asansol)

    আসানসোলের (Asansol) ডাঙ মহিশীলা গ্রামে গত কয়েকদিন ধরেই গরু চুরির ঘটনা ঘটে। বাড়ি থেকেও উধাও হয়ে যাচ্ছিল গরু। কিন্তু, চোরের হদিশ পাচ্ছিলেন না গ্রামবাসীরা। এমনকী মাঠ থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছিল গরু। তবে, কে বা কারা এই গরু চুরি করছিল তার হদিশ পাননি এলাকাবাসী। পুলিশের কাছে এনিয়ে একাধিক গ্রামবাসী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে, গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। সোমবার দুপুরে দুটি ম্যাটাডোরে গরু বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি গ্রামবাসীদের নজরে পড়তেই দুটি ম্যাটাডোর আটকান তাঁরা। গাড়ির চালকরা কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপরই গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে ম্যাটাডোর থেকে গরু নামিয়ে চালকদের ওপর চড়াও হন। তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দমকলের গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই এলাকায় গরু পাচার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দিনের পর দিন এলাকা থেকে গরু পাচার হয়ে গেলেও চোর ধরা পড়ছিল না। পুলিশের কাছে আমরা একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছি। তাতে কোনও কাজ হয়নি। এদিন দুটি ম্যাটাডোর করে অনেক গরু পাচার করা হচ্ছিল। আমরা হাতেনাতে তা ধরে ফেলেছি। অবিলম্বে এই গরু পাচারের সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা আর্জি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার জের! পুলিশের পোশাক পরে মহিলার বাড়িতে হামলা

    Sandeshkhali: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার জের! পুলিশের পোশাক পরে মহিলার বাড়িতে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা গ্রেফতার হওয়ার পর উচ্ছ্বাসে মেতে ছিলেন সন্দেশখালিবাসী। আর শনিবার রাতেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এক নির্যাতিতার বাড়়িতে পুলিশ পোশাক পরে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এমনই অভিযোগ নির্যাতিতা মহিলার। ফলে, নতুন করে আতঙ্ক আবার দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন, শিবু হাজরা লোক বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছিলেন। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়ে আসার পর থেকে রেহাই নেই! শনিবার সন্দেশখালিতে ছিল উৎসবের মেজাজ। মানুষে মিষ্টি মুখ করেছেন। কিন্তু রাতেই জানান দিল সন্ত্রাস! বসিরহাট আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়া ওই মহিলার বাড়িতে পুলিশের পোশাকে ঢুকে হামলার অভিযোগ উঠল। শিবু হাজরার গ্রেফতারির রাতেই বাড়িতে চলল হামলা। বেড়ার ঘরের দেওয়াল ফুটো করে দেখা হল, ঘরের ভিতরে কোন মহিলা শুয়ে? কিন্তু পুলিশের পোশাকে কেন হামলা? পুলিশের বক্তব্য, পুলিশই এসেছিল, তবে মহিলার নিরাপত্তার জন্য। জানা গিয়েছে, রাতের ওই ঘটনার পর রবিবার ওই মহিলার বাড়িতে আন্দোলনকারীরা আসেন। তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দেন। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, এখনও আমরা নিরাপদ নই। পুলিশ কোথায়? এই বাড়ির গলি ঘুরতেই পুলিশ ক্যাম্প! আমাদের আতঙ্কের কোনও শেষ নেই। ভীষণভাবে আতঙ্কিত গ্রামের মহিলারা। মহিলারা এখন মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে। আসলে এভাবে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে ওরা।

    নির্যাতিতা মহিলা কী বললেন?

    নির্যাতিতা মহিলার বক্তব্য, গোপন জবানবন্দি দেওয়া আমার অপরাধ। রাতেই পুলিশ পোশাক পরে বাড়িতে চড়াও হয়। দেওয়াল ফুটো করে দেওয়া হয়। ঘরের মধ্যে টর্চ মেরে আমি রয়েছি কি না দেখা হয়। এভাবে পুলিশ বাড়ির ভিতর ঢুকে তাণ্ডব করতে পারে। আসলে পুলিশের আড়ালে কারা ছিল তা তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ, আমাকে সামনে পেলেই হামলা হত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বুট দিয়ে মেরেছে,’ সন্দেশখালির পথে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বুট দিয়ে মেরেছে,’ সন্দেশখালির পথে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিরর রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পর এবার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) চরম পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বার বার তাঁর পথ আটকেছে পুলিশ। গাড়িতে উঠে চলেছে তল্লাশি। সব বাধা পার করে এদিন বেলা সওয়া দুটো নাগাদ সন্দেশখালি পৌঁছন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে তিন বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি, তাপসী মণ্ডল, শঙ্কর ঘোষ। কিন্তু, সরবেড়িয়া পৌঁছতেই পুলিশ কর্তার সঙ্গে ব্যাপক তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। সেখানেই ব্যাপক গণ্ডগোল হয়।

    পুলিশ বুট দিয়ে মেরেছে, সরব শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    দুদিন আগেও বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) সন্দেশখালি বাসে করে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সায়েন্স সিটির কাছে পুলিশ বাধা দেয়। ফলে, বাসের চাকা আর এগোয়নি। বৃহস্পতিবার ফের তিনি সন্দেশখালি যাওয়ার পরিকল্পনা নেন। এদিনও প্রথমে সায়েন্স সিটির কাছে বাস আটকায় পুলিশ। কিন্তু, সেসব কাটিয়ে সরবেড়িয়া পর্যন্ত পৌঁছয় শুভেন্দুর বাস। সেখানে পুলিশের কড়া প্রহরা ছিল। সেখানে পুলিশের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর কথা কাটাকাটি হয়। মিনাখাঁ-র এসডিপিও-র সঙ্গে তিনি বচসায় জড়িয়ে পড়েন। বাস থেকে নেমে পড়তে বাধ্য হন শুভেন্দু। সেখানেই বিরোধী দলনেতা বলেন, পুলিশ বুট দিয়ে আমাকে মেরেছে। আমার পা চিপে দিয়েছে।” রাস্তায় বসে পড়েন শুভেন্দু। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বাসে বসেই শুভেন্দু বলেন, “আমরা ১৪৪ ধারা মেনেই যাচ্ছি। আমরা গ্রামের নির্যাতিত মহিলাদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব। যে সমস্ত বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করব। “বিধায়ক তাপসী মণ্ডল বলেন, “আমরা ওই সমস্ত মা-বোনেদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলার চেষ্টা করব, যাঁরা এতদিন ধরে অত্যাচারিত হয়েছেন। পুলিশ তো এখন তৃণমূলের ক্যাডার। তাই তারা গণতন্ত্র মানে না।”

    সন্দেশখালিতে কালো টাকা রয়েছে

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তিনি বলেন “এই সময়কালের মধ্যেই ওই মহিলাদের চুক্তিভিত্তিক কাজের লোভ, ভয় দেখিয়ে, প্রভাবিত করে চাপে রাখতে পারে। সরকার বলতেই পারে, ১০ হাজার টাকা দিচ্ছে, মুখ বন্ধ করো। কারণ, প্রচুর কালো টাকা রয়েছে।” পুলিশি বাধা প্রসঙ্গে শুভেন্দু চিৎকার করে বলতে থাকেন, “এটা আপনাদের (পুলিশ) নিয়ম নয়। এটা যা করছেন গায়ের জোরে করছেন।” রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল রাজ্য, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বারাসতে বিজেপির কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার, জলকামান

    BJP: সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল রাজ্য, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বারাসতে বিজেপির কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার, জলকামান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের সন্ত্রাস এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে এসপি অফিস অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করে গেরুয়া শিবির। আর এই কর্মসূচিতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিজেপি (BJP) কর্মীরা। কোথাও পুলিশি লাঠিচার্জে বিজেপির জেলা সভাপতি আক্রান্ত হন, কোথাও বিজেপি কর্মীদের ঠেকাতে পুলিশ জলকামান চালায়। কোথাও আবার পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। সবমিলিয়ে বিজেপি-র এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় উত্তেজনা তৈরি হয়।

    বর্ধমানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি (BJP)

    বর্ধমানে বিজেপির (BJP) পুলিশ সুপার অফিস অভিযানে ধুন্ধুমার। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় বিজেপি কর্মী জখম হন। সঙ্গে একজন পুলিশ কর্মী ও একজন সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হন। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে জল কামান ব্যবহার করে। সন্দেশখালি সহ পশ্চিমবঙ্গে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির প্রতিবাদে জেলা পুলিশ সুপার অফিস ঘেরাও অভিযান ছিল বিজেপির। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের টাউন হল থেকে বিজেপির মিছিল শুরু হয়। পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে যাওয়ার আগেই কার্জন গেট চত্বরে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপি কর্মী সমর্থক পর পর দুটি ব্যারিকেড ভেঙে দিয়ে পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ কোর্ট চত্বরের রাস্তায় নেতাজি স্ট্যাচুর সামনে ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয়। জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা-র নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী-সমর্থক রাস্তায় বসে পড়ে। শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। এরপর ফের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে জলকামান ব্যবহার করে।

    মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি

    এদিন মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কলেজ মোড়ে এসপি অফিসে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি (BJP) কর্মীরা। বিজেপি মহিলা মোর্চার হাতে লাঠি ও ঝাঁটা নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন। বিজেপি কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আন্দোলনের নেতৃত্ব ছিলেন মুর্শিদাবাদ (দক্ষিণ) বিজেপি-র জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। তাতেই মাথা ফেটে যায় বিজেপির জেলা সভাপতির। তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর অক্সিজেন চলছে।

    দক্ষিণ দিনাজপুরে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ

    এদিন বালুরঘাট পুলিশ সুপার অফিস ঘেরাও করে  বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি (BJP)। এদিকে পুলিশের তরফে এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের তরফে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিক্ষোভকারী জেলা কার্যালয় থেকে মিছিল করে আসে। এরপর ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। পরে রাস্তার ওপর বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। পরে, বিজেপির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী সহ জেলা বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব।

    বারাসতে বিজেপি কর্মীদের অবরোধ

    জানা গিয়েছে, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বিজেপির (BJP) এই কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। এদিন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে প্রথম ব্যরিকেড ভেঙে এসপি অফিসের উদ্দেশ্যে বিজেপি কর্মীরা গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে, এসপি অফিস থেকে কিছুটা দূরে জাতীয় সড়কের ওপর বসে বিক্ষোভ দেখাতে  থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ভুট্টাক্ষেতে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার যুবতীর ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ, এলাকায় চাঞ্চল্য

    Malda: ভুট্টাক্ষেতে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার যুবতীর ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ, এলাকায় চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) গলা কেটে নাবালিকা খুনকাণ্ডের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের মর্মান্তিক ঘটনা। ভুট্টাক্ষেত থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার হল এক যুবতীর ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ। ঘটনায় ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ পরিবারবর্গের। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    উল্লেখ্য, রাজ্যের জেলা সফর কর্মসূচির সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদায় থাকাকালীন এক নাবালিকাকে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু প্রথমে পুলিশ খুনিকে গ্রেফতার করতে পারেনি, পরিবারের লোকজনই পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল। ইতিমধ্যে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন মৃতার বাড়িতে এসে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। রাজ্যের পুলিশ ঠিকমতো তদন্ত করছে না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন কমিশনের সদস্যরা। পাশপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মমতাকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “রাজ্যের কোনও মেয়ে সুরক্ষিত নয় এই মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর শাসনে।”

    মৃত নাবালিকার পরিচয় (Malda)?

    এই ঘটনাকে ঘিরে আজ বৃহস্পতিবার সাত সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল মালদার (Malda) মোথাবাড়ি থানার হামিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ঘটনাস্থলে মোথাবাড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবতীর নাম জল্পনা মণ্ডল, বয়স ২৫ বছর। বাড়ি মোথাবাড়ি থানার শ্রীপুর কলোনি এলাকায়।

    পরিবারের অভিযোগ

    মৃত যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতার কারণে অপহরণের পর ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে যুবতীকে। সরস্বতী পুজোর দিনে সবজি কাটতে হাঁসুয়া নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল বলে দাবি বাড়ির লোকজনের। এরপর বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে বাড়ির (Malda) সদস্যরা। রাতভর খোঁজাখুঁজির পরও কোনও ভাবেও খোঁজ মেলেনি। অবশেষে আজ সকালে খবর আসে ভুট্টার ক্ষেতে এক যুবতী নগ্ন মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।

    ঘটনাস্থলে পুলিশ

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মোথাবাড়ি (Malda) থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মালদা জেলায় লাগাতার এমন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে জেলাবাসীর মধ্যে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা এবং সামজিক সুরক্ষার বিষয় নিয়ে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূলে হাতাহাতি, পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ

    Malda: সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূলে হাতাহাতি, পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরস্বতী পুজো করাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি। প্রথমে শুরু হয় বচসা এবং পরে হাতাহাতি হয় উভয় পক্ষের মধ্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে, পুলিশের বিরুদ্ধে মারধর, লাঠিচার্জের অভিযোগ তোলেন বিজেপি সমর্থক গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুর থানার শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শীর্ষি এলাকায়। ের জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।

    স্থানীয়দের বক্তব্য (Malda)

    এলাকায় (Malda) সরস্বতী পুজোকে ঘিরে মারধরের প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি সমর্থক উত্তম মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, “আমরা এলাকায় পুজো করছিলাম। আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমাদের পুজোর সামগ্রী ফেলে দেয় তারা। এরপর আমাদেরকে মারধর করে। ঘটনায় পুলিশে খবর দিলে হবিবপুর থানার পুলিশ এসে উলটে আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যক্ষ মদতে পুলিশ এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। ইতিমধ্যে ১১ জন আহত হয়েছেন। তাঁদেরকে মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। তিনি বলেন, “পুলিশ দোষীদের না ধরে বিজেপি সমর্থক গ্রামবাসীদের ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। পুলিশ অফিসার বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী স্থানীয় তৃণমূল নেতার নির্দেশে এই কাজ করেছেন। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।” পরে অবশ্য গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে হবিবপুর থানা ও জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় সরস্বতী পুজো হয়ে থাকে একটি জমিতে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী দেব মন্ডল দাবি করেন ওই জমিটি তাঁর। আর এই নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। ঘটনায় বিবাদ থামাতে হবিবপুর (Malda) থানার পুলিশ পৌঁছে সামাল দেয় গ্রামবাসীদের। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিপ্লব মন্ডল বলেন, “সরস্বতী পুজো করে গায়ের জোরে অশান্তি তৈরি করেছে বিজেপি।” আবার জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বলেন, “সারা বাংলায় তৃণমূলের উন্নয়নের কাজে বিজেপি উস্কানি দিয়ে চলেছে। সরস্বতী পুজোর দিনে এই সংঘর্ষ কাম্য নয়। পুলিশকে আরও সংযত হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধা, অসুস্থ সুকান্ত, ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে

    Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধা, অসুস্থ সুকান্ত, ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে টাকিতে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা হয়। পরে, তিনি আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। অচৈতন্য হয়ে মাটিতে পড়়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তিনি মাটিতে পড়ে থাকেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর তাঁকে কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, পালস রেট কমছে। অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

    বসিরহাট থেকে সন্দেশখালির পথে সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে যোগ দিতে সড়কপথের পরিবর্তে লোকাল ট্রেনে যান সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। সন্দেশখালিকাণ্ডে মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে নেতৃত্ব দেন তিনি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিজেপির সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মুক্তির দাবিতে রাতভর ধর্না দেন সুকান্ত। গভীর রাতে তাঁকে আটক করার কিছুক্ষণ পর ছেড়েও দেয় পুলিশ। বুধবার সকাল হতেই আবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বুধবার সকালে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সুকান্ত সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন। পুলিশ মাঝপথে তাঁদের আটকে দিলে, যেখানে আটকানো হবে, সেখানেই সরস্বতী পুজো শুরু করবেন তাঁরা। এমনই বলেছিলেন সুকান্ত। কিন্তু, ঘটনাচক্রে দেখা গেল, সেই পরিকল্পনাও বদলে ফেললেন সুকান্ত।

    টাকিতে পুলিশি বাধা, অচৈতন্য হয়ে পড়েন সুকান্ত

    বুধবার দুপুরে টাকির হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে একটি সরস্বতী প্রতিমা কোলে নিয়ে বেরিয়ে আসেন সুকান্ত। ইছামতীর ঘাটে প্রতিমা বসিয়ে পুজো শুরু হয়। পরে সন্দেশখালি যাওয়ার উদ্যোগ নিতে টাকিতে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় সুকান্তের (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, তিনি সন্দেশখালি যাবেনই। অন্য দিকে, পুলিশ জানায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই অনুমতি মিলবে না। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির মধ্যে পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন সুকান্ত। কিছুক্ষণের মধ্যেই পড়ে যান। দেখা যায়, মুখ ঢাকা এক মহিলা হাত ধরে গাড়ির বনেট থেকে সুকান্তকে নামানোর চেষ্টা করেন। তার মধ্যেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি। খানিকক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। অসুস্থ সুকান্তকে তড়িঘড়ি গাড়িতে তোলা হয়। তাঁকে বসিরহাটের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share