Tag: police

police

  • Nadia: মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের দিনই পুলিশকে গাছে বেঁধে পেটালেন গ্রামবাসীরা

    Nadia: মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের দিনই পুলিশকে গাছে বেঁধে পেটালেন গ্রামবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর চলাকালীন তার পুলিশকে গাছে বেঁধে পেটালো এলাকাবাসী। এক কনস্টেবল এবং এক সাব ইনস্পেক্টরকে গাছে বেঁধে রাখেন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার পূর্ব ভাতছালা এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক ধরে নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার পূর্ব ভাতছালা এলাকায় দুই পরিবারের মধ্যে একটি জমিকে কেন্দ্র করে বিবাদ চলছিল। এই জমি দখলকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ওই দুই পরিবারের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। লাঠি-বাঁশ নিয়ে দুই পক্ষই চড়াও হয়। সংঘর্ষের জেরে বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভীমপুর থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই ওই এলাকার মহিলারা ঘিরে ধরেন। পাশাপাশি কর্তব্যরত সাব ইন্সপেক্টর এবং একজন কনস্টেবলকে গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন তাঁরা। পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁদের মূলত অভিযোগ, যারা বেআইনিভাবে জমির দখল নিতে চাইছে তাঁদের হয়ে পুলিশ এলাকায় তান্ডব চালিয়েছে। অবশেষে বিরক্ত হয়ে গ্রামবাসীদের একাংশ পুলিশকে গাছে বেঁধে রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তবে যখন পুলিশকে গাছে বেঁধে রেখে মারধর করেন এলাকাবাসী, ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী জেলা সফরে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরবর্তীকালে পৌঁছায় ভীমপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারাই ওই সাব ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    স্থানীয় বাসিন্দা কী বললেন?

    ওই এলাকার বাসিন্দা অমর দাস বলেন, আমরা সকলেই শুনতে পাই আমাদের জমির একাংশ কেটে নিয়ে অন্যপক্ষ দখল করে নিচ্ছে। আমরা ঘটনাস্থলে গেলে ওরা বিরোধিতা শুরু করে। এরপরেই আচমকা লাঠি বাঁশ নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়। আমরা কোনও রকমে প্রতিরোধ করে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

    এই ঘটনার নিন্দা করতে ছাড়েনি বিজেপি। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা সোমনাথ কর বলেন, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা একেবারে তলানিতে চলে গেছে। যেখানে পুলিশ রক্ষাকর্তা হিসেবে কাজ করা উচিত, সেখানে ভোগ কর্তা হিসেবে কাজ করছে। এই ঘটনায় অবিলম্বে পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত।।

    আট জন গ্রেফতার

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপার কে অমরনাথ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। পুলিশ যখন তদন্ত করতে যায় পুলিশকে গাছে বেঁধে রাখে তারা। তাদের উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনার অভিযোগে আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: বীরভূমে ‘ন্যায় যাত্রায়’ আপত্তি পুলিশের, রাহুলের কর্মসূচি ঘিরে সংশয়!

    Rahul Gandhi: বীরভূমে ‘ন্যায় যাত্রায়’ আপত্তি পুলিশের, রাহুলের কর্মসূচি ঘিরে সংশয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ থেকেই রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ করতে বাধা দিয়েছিল মমতার পুলিশ। কোচবিহারে খুলে নেওয়া হয়েছিল মঞ্চ। মালদায় সরকারি গেস্ট হাউসে মধ্যাহ্ন ভোজনের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এবার দক্ষিণবঙ্গের বীরভূমে রাহুলের সেই ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি ধাক্কা খেল। ২ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ঢুকছে বীরভূমে। সে জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা কংগ্রেস। কিন্তু, ওই দিনই মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য রাহুলের যাত্রার অনুমোদন দিল না মমতার পুলিশ। এই অবস্থায় ২ তারিখ রাহুলের কর্মসূচি নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে।

    রাহুলের (Rahul Gandhi) “ন্যায় যাত্রায়” আপত্তি পুলিশের

    মুর্শিদাবাদের পর ২ তারিখ রাহুলের (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রা বীরভূমে ঢোকার কথা। জেলা কংগ্রেস সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম, এড়োয়ালি, আওগ্রাম, মাঝিপাড়া মোড় হয়ে বীরভূমের তারাপীঠ থানার বুধিগ্রামে তা পৌঁছনোর কথা। ন্যায় যাত্রার অনুমতি চেয়ে সাত দিন আগে প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্য পুলিশের ডিআইজি, আইজি-র কাছে সমস্ত রকম সহযোগিতা চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। ২৯ জানুয়ারি জেলা পুলিশ সুপার এবং রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা সকাল সাড়ে নটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত হওয়ার কথা। ওই দিনই মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। সেই কারণে প্রশাসনের কাছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র র‍্যালির জন্য সমস্ত রকম সহযোগিতার জন্য আবেদন জানানো হয়। রাহুলের সফর ঘিরে সংশয় দেখা দিলেও জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। জেলায় প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় বিশেষ করে রামপুরহাট শহরের জনবহুল মোড়ে রাহুলের ন্যায় যাত্রার ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে। পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য কোনও রকম সভা বা মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। র‍্যালি হলে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবে কী করে? কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছিল। আপত্তির কথা জানানো হয়েছে।

    জেলা কংগ্রেস সভাপতি কী বললেন?

    বীরভূম জেলা কংগ্রেস সভাপতি মিল্টন রশিদ বলেন, আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রার বার্তা জনগণের কাছে দিতে চাইছি। প্রশাসনের সঙ্গে কোনও রকম দ্বন্দ্বে আমরা যেতে চাই না। কর্মসূচি অনুযায়ী রাহুল গান্ধী শুধুমাত্র গাড়ি নিয়ে র‍্যালি করবেন। কোথাও কোথাও নেমে হয়তো মানুষের সঙ্গে হাত মেলাবেন। কিন্তু, কোনও পথসভা করার কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। মাইকও ব্যবহার হবে না। যাত্রাপথে মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্রের এক কিলোমিটার দূর থেকে কর্মীরা চুপচাপ থেকে কোনও রকম আওয়াজ না করে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপি কর্মীর খুনকে দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে পুলিশ”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বিজেপি কর্মীর খুনকে দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে পুলিশ”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনাকে পুলিশ দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে। কার্যত পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্যে আগেও ভোট পরবর্তী হিংসা, পঞ্চায়েত নির্বাচন, পুরনির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ এবং হত্যার ঘটনায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে দেখা যায় বিজেপিকে। এবার শালবনীর মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    আজ বুধবার শালবনীতে মৃত বিজেপি কর্মী মিঠুন খামরুইয়ের বাড়িতে গিয়ে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বললেন, “পরিকল্পনা করে বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। সকাল থেকে পুলিশের যে কাজ করা দরকার ছিল, সেই কাজ করেনি। পুলিশ এককভাবে দায়িত্ব নিয়ে খুনকে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে। এর পিছনে শাসক দলের তৃণমূল দুষ্কৃতীরা রয়েছে। কিন্তু পুলিশ দোষীদের আড়াল করতে চাইছে। বিজেপি পরিবারের পাশে সব সময় থাকবে। সবরকম সহযোগিতা আমরা করব।”

    কীভাবে উদ্ধার মৃতদেহ?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার একটি মেলা চলছিল এলাকায়। সেখানেই গিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী মিঠুন খামরুই। রাতে আর তিনি বাড়িতে ফেরেননি। মঙ্গলবার পরের দিন সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় শালবনীর ভাদুতলা থেকে কর্ণগড় যাওয়ার রাস্তায় একটি কালভার্টের নীচে থেকে। যদিও এই মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। আবার বিজেপি কর্মীর ছেলে সৌভিক খামরুই জানিয়েছেন, “বাবাকে খুন করা হয়েছে। তবে কারা করেছে বলতে পারছি না।” তবে স্থানীয় বিজেপির দাবি, তাঁকে পরিকল্পনা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। দলের মৃত কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন এদিন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: “ভিজে কাপড়ে সারারাত থর থর করে কেঁপেছি”, পুলিশি বর্বরতার কাহিনি শোনালেন মহিলা বিজেপি কর্মীরা

    Barrackpore: “ভিজে কাপড়ে সারারাত থর থর করে কেঁপেছি”, পুলিশি বর্বরতার কাহিনি শোনালেন মহিলা বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বারাকপুরে (Barrackpore) শান্তিপূর্ণ আইন অমান্য কর্মসূচিতে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এমনকী মিছিল লক্ষ্য করে পুলিশ পাথর ছুড়েছে। তাতে বহু কর্মী-সমর্থক জখম হয়েছেন। বাদ যাননি মহিলারা। এমনই অভিযোগ করলেন বারাকপুরের বিজেপি কর্মীরা।

    পুলিশ অমানবিক ও বর্বর আচরণ করেছে (Barrackpore)

    গন্ডগোলের ঘটনায় পুলিশ ৫ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে দুজন মহিলা কর্মী রয়েছেন। মঙ্গলবার বারাকপুর (Barrackpore) আদালতে যাওয়ার পথে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তাঁরা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ আমাদের কর্মসূচিতে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হামলা চালাল। জল কামানে আমাদের জামাকাপড় ভিজে যায়। অপরাধীর মতো আমাদের সঙ্গে পুলিশ ব্যবহার করে। দুই মহিলা বিজেপি কর্মী বলেন, রাতেই মহিলা থানায় আমাদের আনা হয়। শুধু পিচবোর্ডে বসতে দেওয়া হয়। ভিজে কাপড়ে আমরা থাকি। আমাদের কোনও চাদর দেয়নি। প্রচণ্ড শীতে সারারাত ধরে আমরা শুধু থর থর করে কেঁপেছি। জল পর্যন্ত খেতে দেয়নি। রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে আমাদের খেতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আমাদের গায়ে জ্বর চলে আসে। কোনও চিকিৎসা পর্যন্ত করেনি। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে যোগ দিয়েছি বলে পুলিশ এত বর্বর আচরণ করেছে। যদিও বিজেপি কর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিকতার অভিযোগ তোলায় পুলিশ কর্মীরা তাঁদের বলতে বাধা দেয়। তাদের জোর করে নিয়ে চলে যাওয়া হয়।

    শান্তিপূর্ণ মিছিল লক্ষ্য করে পুলিশ ইট, পাথর ছোড়ে!

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে বারাকপুরের (Barrackpore) ১৫ নম্বর রেল গেটের সামনে থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হন। সেখানে সুতলি বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে, সুকান্তর নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল আটকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি ব্যারিকেড করা হয়েছিল। রাস্তায় রাখা ছিল জল কামানও। প্রতিটি ব্যারিকেডে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রথম ব্যারিকেড পেরিয়ে বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেডে জমায়েত হন। বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপরই বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। বহু মহিলা কর্মীর ওপর লাঠিপেটা করা হয়। মিছিলের ওপর জলকামান চালানো হয়। সুকান্ত মজুমদারও জল কামানের জলে সম্পূর্ণ ভিজে যান। পুলিশি হামলা বিজেপি কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এরপর মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। বিজেপি-র কর্মসূচিকে পুলিশ বানচাল করে দেয় বলে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ। পরে, সন্ধ্যা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে অবস্থান বিক্ষোভ চলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর মিছিলে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের সেল

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর মিছিলে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের সেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে আইন অমান্য কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বারাকপুর। মূলত, বিজেপি-র পক্ষ থেকে সোমবার দুপুরে বারাকপুর পুলিশ কমিশনার অফিস ঘেরাও করার ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই কর্মসূচি শুরুর আগে মিলল বোমা। যা নিয়ে মিছিলের শুরুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে, মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের ওপর পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান চালানো হয়। পুলিশই প্রথম বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। বহু বিজেপি কর্মী জখম হয়। জখম হয়েছেন পুলিশ কর্মীও।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে ১৫ নম্বর রেল গেটের সামনে থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো কর্মী সমর্থকরা জমায়েত হন। সেখানে সুতলি বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে, সুকান্তর (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল আটকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি ব্যারিকেড করা হয়েছিল। রাস্তায় রাখা ছিল জল কামানও। প্রতিটি ব্যারিকেডে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রথম ব্যারিকেড পেরিয়ে বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেডে জমায়েত হন। বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপরই বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। বহু মহিলা কর্মীর ওপর লাঠিপেটা করা হয়। মিছিলের ওপর জলকামান চালানো হয়। সুকান্ত মজুমদারও জল কামানের জলে সম্পূর্ণ ভিজে যান। পুলিশি হামলা বিজেপি কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এরপর মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। বিজেপি-র কর্মসূচিকে পুলিশ বানচাল করে দেয় বলে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ।

    পুলিশি নির্যাতন নিয়ে মুখ খুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল যাচ্ছিল। সেখানে আমাদের দলীয় কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ইড ছোঁড়ে। এরপরই কর্মীরা প্রতিবাদ করলে গন্ডগোল লাগে। পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এসব করেছে। অন্য জায়গায় পুলিশ ভয়ে টেবিলের তলায় লুকায়। আর এখানে পুলিশ নিজের ক্ষমতা দেখাচ্ছে। আমরা সমস্ত স্তরে জানিয়েছি। আমাদের বহু কর্মী জখম হয়েছে। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারছে না, অথচ আমাদের বহু কর্মীকে ওরা গ্রেফতার করেছে। পুলিশের প্ররোচনাতেই সব হয়েছে। এই ঘটনার আমি তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। পুলিশ নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ আন্দোলনে নামব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: ইন্ডি জোটের ফের দফারফা! উত্তরবঙ্গে টিম রাহুলের বাস আটকে দিল মমতার পুলিশ

    Indi Alliance: ইন্ডি জোটের ফের দফারফা! উত্তরবঙ্গে টিম রাহুলের বাস আটকে দিল মমতার পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) পিন্ডি চটকে যাওয়ার মতো অবস্থা! এর আগে কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর জন্য সভামঞ্চ খুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল মমতার পুলিশের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদে রাহুলের কর্মসূচিতে আসা কংগ্রেস কর্মীদের থাকার জন্য বহরমপুর স্টেডিয়াম চাওয়া হয়েছিল। মমতার প্রশাসন তা নাকচ করে দিয়েছে। এর সঙ্গে এবার জুড়ল জলপাইগুড়ির নাম। রাহুলের ন্যায় যাত্রাকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল জলপাইগুড়ি। টিম রাহুলের বাস আটকে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এই অশান্তির মাঝেই শহরে পৌঁছলেন রাহুল গান্ধী। মমতার পুলিশের এহেন আচরণে চরম ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Indi Alliance)

    জলপাইগুড়িতে রাহুলের ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি রয়েছে। আর এদিন রাজ্য পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে পরীক্ষা রয়েছে। জলপাইগুড়িতে একাধিক পরীক্ষার সেন্টার করা হয়েছে। শহর জুড়ে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। সাড়ে এগারোটায় বাগডোগরায় নেমেছেন রাহুল। এদিন সকালে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর মোড়ে ন্যায় যাত্রার বাস ঢুকতেই বাধা দেয় পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। ফলে, কংগ্রেস কর্মীরা ন্যায় যাত্রায় যোগ দিতে বাধা পান বলে অভিযোগ। কংগ্রেস কর্মীদের বত্তব্য, পরিকল্পনামাফিক পুলিশ বাধা দিয়েছে। নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এর আগে শনিবার ধূপগুড়ির একাধিক এলাকায়  রাহুল গান্ধীর একাধিক পোস্টার ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। বার বার এই ঘটনায় ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাংলার মাটিতে কংগ্রেসকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে তৃণমূল রাজি নয়, তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ন্যায় যাত্রায় রাহুল

    এদিন বাগডোগরা বিমান বন্দরে নেমে রাহুল সোজা যান জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুরে। সেখানে জাতীয় সড়কের ধারে এক ধাবায় মধ্যাহ্নভোজন করেন কংগ্রেস সাংসদ। সেখান থেকে চলে যান জলপাইগুড়ি শহরের পিডব্লুডি মোড়ে। পিডব্লুডি মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করেন রাহুল। পোস্ট অফিস, থানা মোড় হয়ে কদমতলা মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। এই কর্মসূচি শেষ করে সেখান থেকে অসম মোড়, ফাটাপুকুর, ফুলবাড়ি হয়ে রাহুল গান্ধী পৌঁছে যাবেন শিলিগুড়ি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পর পর বোমা বিস্ফোরণ! হাত উড়ল যুবকের

    Bomb Blast: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পর পর বোমা বিস্ফোরণ! হাত উড়ল যুবকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পর পর তিনটে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast)। আর তাতেই হাত উড়ল এক যুবকের। জখম হয়েছেন দুজন। রবিবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কাঁচরাপাড়ার সুবোধ রায় সরণির মণ্ডলবাজার এলাকায়। জখম দুজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মধু রায় নামে এক ব্যক্তির টিন-লোহা ভাঙার ব্যবসা রয়েছে। বাড়ির পাশেই গোডাউন। সেই গোডাউনে টিন, লোহা ভাঙা মজুত থাকে। দোকানের শ্রমিকরা সাইকেল করে ফেরি করে টিন-লোহা ভাঙা গোডাউনে মজুত করে। এদিন দুপুরে দুজন শ্রমিক ফেরি করে গোডাউনে টিন ভাঙা মজুত করছিলেন। সেই সময় টিনের জিনিসপত্র সরাতে গিয়ে প্রথম বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হয়। তার কিছুক্ষণ পরই আবারও পর পর দুটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এক শ্রমিকের পাঞ্জা থেকে হাত উড়ে যায়। আর অন্যজন হাতে জখম হন। আর দিনের বেলার পর পর বোমা বিস্ফোরণে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। গোডাউনের মালিক বলেন, কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটল তা বুঝতে পারছি না। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। দুজন শ্রমিক জখম হয়েছেন। তাঁদের কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গোডাউনের পাশে বাচ্চাদের স্কুল রয়েছে। পাড়াতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খেলা ধূলা করে। এদিন রবিবার থাকা স্কুল বন্ধ ছিল। না হলে আরও বড় বিপদ হতে পারত। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    স্থানীয় কাউন্সিলর শর্মিষ্ঠা মজুমদার বলেন, শান্ত কাঁচরাপাড়াকে এভাবে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। কী করে এরকম ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছি না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে দেখছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: উপড়ে নেওয়া হয়েছে চোখ, শরীরে ক্ষতের চিহ্ন, সর্ষের ক্ষেতে মিলল কিশোরীর দেহ!

    Murshidabad: উপড়ে নেওয়া হয়েছে চোখ, শরীরে ক্ষতের চিহ্ন, সর্ষের ক্ষেতে মিলল কিশোরীর দেহ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপড়ে নেওয়া হয়েছে চোখ, সারা শরীরে গভীর ক্ষতের চিহ্ন। কার্যত সর্ষের ক্ষেতে মিলল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর দেহ। ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছে প্রেমিক। গত দুই দিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিল কিশোরী। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। অবশেষে শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে মিলল কিশোরীর দেহ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার হরিহরপাড়ায়।

    পরিবারের বক্তব্য(Murshidabad)

    অষ্টম শ্রেণির ওই মৃত ছাত্রীর পরিবাবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল মেয়ে। আত্মীয় বা বন্ধু কারও বাড়িতে (Murshidabad) খোঁজ না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি আমরা। এরপর শনিবার দুপুরে হরিহরপাড়া থানা থেকে ফোন আসে এবং জানানো হয় একটি কিশোরীর দেহ মিলেছে। পুলিশ আমাদের জানিয়েছে, লোকালয় থেকে দূরে একটি সর্ষের ক্ষেতে এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। এরপর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহকে শনাক্ত করি। তার দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। পরিবার তরফে আরও বলা হয়, স্থানীয় এক তরুণ বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল তাকে। পুলিশের কাছে ওই তরুণের নামও জানিয়েছেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। এমনকী, বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় মেয়েটি ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে দাবি পরিবারের।

    পুলিশ সূত্রে খবর

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর দুটো চোখই উপড়ে নেওয়া হয়েছে। তার সারা শরীরে অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। শরীরের উপর অত্যন্ত অত্যাচার হয়েছে। নাবালিকার দেহ উদ্ধারে এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। দেহ উদ্ধারের পর তড়িঘড়ি দেহ নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজে। এরপর সেখানে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

    কিশোরীর মায়ের বক্তব্য

    মৃত কিশোরীর মা (Murshidabad) বলেন, ‘‘আমার বাচ্চা মেয়েটাকে ভুল বুঝিয়ে নগদ ১০ হাজার টাকা সমেত বাড়ি থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। টাকাপয়সা নিয়ে আমার মেয়েকে খুন করেছে। তারপর মাঠের মধ্যে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছে। আমি ওই খুনির ফাঁসি চাই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: বরানগরে তৃণমূল কর্মীর রহস্য মৃত্যু! খুনের অভিযোগ পরিবারের

    Baranagar: বরানগরে তৃণমূল কর্মীর রহস্য মৃত্যু! খুনের অভিযোগ পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরানগরে (Baranagar) এক তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে।  শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বরানগরের লেকভিউ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আশিস দে (৫২)। তাঁর বাড়ি বরানগরের প্রামাণিকপাড়ায়। লেকভিউ এলাকার তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ইতিমধ্যেই পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Baranagar)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আশিস দে তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। পেশায় তিনি প্রোমোটার। ২৫ তারখি সন্ধ্যায় আশিসবাবুর মোবাইলে ফোন আসে। তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে যেতে বলা হয়। ফোন পাওয়ার পরই তিনি সেখানে বেরিয়ে যান। আর তিনি বাড়ি ফেরেন নি। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ স্ত্রী তাঁকে ফোন করেন। তখন তিনি হাসপাতালে রয়েছি বলে জানান। পরে, আর যোগাযোগ হয়নি। রাতে বাড়়ি না ফেরায় আশিসবাবুর স্ত্রী তাঁর মোবাইলে ফের ফোন করলে সুইচড অফ আসে। শুক্রবার সকালে পুলিশ আশিসবাবুর মৃত্যু খবর জানান। আশিসবাবুর স্ত্রী অপর্ণা দে বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে কারও কোনও ঝামেলা ছিল না। তাঁর কোনও শত্রুও ছিল না। বন্ধুর মা হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। তারপর বরানগরের (Baranagar) লেকভিউ এলাকায় তাঁর দেহ মেলে। আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল কর্মীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    বরানগর (Baranagar) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ নারায়ণ বসু বলেন, আশিসবাবু আমাদের দলের কর্মী। কেন এরকম ঘটনা ঘটল তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তির মা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁর সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘পুলিশ মন্ত্রী ঘুমোচ্ছেন, এবার লড়াইয়ে নামতে হবে’, হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘পুলিশ মন্ত্রী ঘুমোচ্ছেন, এবার লড়াইয়ে নামতে হবে’, হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার মহাত্মা গান্ধী রোড এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে রাজ্য সভাপতি বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    গত ২৪ তারিখ রাতে হাওড়া টিকিয়াপাড়া সংলগ্ন বেলিলিয়াস রোডে একটি গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। একটি মিছিল থেকে এলাকায় তাণ্ডব চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, কিছু ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। ঘটনায় বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন বলে জানা যায়। কারও মাথা ফাটে, হাত ভাঙে। তারপর থেকেই এলাকায় চলছে ১৪৪ ধারা। ওইদিনের ঘটনায় আহতদের দেখতে শনিবার হাওড়ায় যান সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। কিন্তু, হাওড়ার মহাত্মা গান্ধী রোডে আটকে দেওয়া হয় সুকান্তকে। দু’টি স্তরের ব্যারিকেড টেনে পথ আটকায় পুলিশ। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুকান্ত। পুলিশের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে সে কারণেই কোনও জমায়েত করা যাবে না।

    পুলিশ মন্ত্রী তো ঘুমোচ্ছেন! লড়াইয়ে নামার ডাক দিলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত বলেন, “পুলিশ ১৪৪ ধারা তখনই লাগায় যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তার মানে এই পুলিশ প্রশাসন স্বীকার করে নিচ্ছে যে ঘটনার পর ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও আইন-শৃঙ্খলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নেই। সে কারণেই ১৪৪ ধারা। এটা নিজেরাই স্বীকার করছে। এই পুলিশ থেকে কী লাভ? পুলিশ সরে যাক না। দেখি তারপর কত বোমা-গুলি আছে। সেন্ট্রাল হাওড়াকে পাকিস্তান বানাতে দেব না।”ঘটনার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কেনও কেউ গ্রেফতার হয়নি সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। সরাসরি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত বলেন, “পুলিশ মন্ত্রী তো ঘুমোচ্ছেন। এবার আমাদের লড়াইয়ে নামতে হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share