Tag: police

police

  • Malda: নাবালিকা খুনের সেই অস্ত্র কোথায়? পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    Malda: নাবালিকা খুনের সেই অস্ত্র কোথায়? পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। মালদায় (Malda) নাবালিকা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কমিশন। এবার পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির বক্তব্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হয়েও সুরক্ষিত নয় কোনও নাবালিকা। ঠিক এই ভাবেই সরব হলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। 

    কী বলল জাতীয় কমিশন (Malda)?

    মালদা (Malda) শহরে নাবালিকা খুনের ঘটনায় এবার রাজনীতির পারদ ক্রমশ চড়ছে। গতকাল রবিবার মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্য এবং জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। জাতীয় কমিশনের সদস্যরা ইতিমধ্যে পুলিশের তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কমিশনের সদস্যা দিভিয়া গুপ্তার বক্তব্য, “নাবালিকা খুনের ঘটনায় পুলিশের তদন্তে আশ্বাস নেই। গত ২৯ জানুয়ারি থেকেই নিখোঁজ হয়েছিল নাবালিকা। তিন দিন ধরে পুলিশ কোনও সন্ধান দিতে পারেনি। এমনকি ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশের কাছে তুলে দেয় পরিবারের সদস্যরাই। নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল কি না, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ। খুন করার অস্ত্র কেন এখন উদ্ধার হয়নি?”

    কী বলল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন

    মালদা (Malda) শহরের নাবালিকা খুনের ঘটনায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যা যশবন্ত শ্রীমানি বলেছেন, “অভিযুক্ত সুনু কেশরী তদন্তে পুলিশের সঙ্গে ঠিক ভাবে সহায়তা করছে না। আমরা মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিতে বলেছি। বিচার ব্যবস্থাকে আরও কঠোর হতে হবে। অপরাধ প্রবণতাকে আটকাতে আরও সচেষ্ট হতে হবে। আমরা একাধিক সংশ্লিষ্ট জায়গায় চিঠি পাঠাবো।”

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত নাবালিকার পরিবারের বক্তব্য, যে চাকু দিয়ে খুন করা হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গতকাল মালদায় (Malda) গিয়েছিলেন এবং তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “ঘটনার দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা জেলা সফরে মালদাতেই ছিলেন। অথচ ঘটনা নিয়ে একটি বাক্য খরচ করেননি কেন? রাজ্যের নাবালিকাদের সুরক্ষা কোথায়?”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের দেহ উদ্ধার, তদন্তে গিয়ে মার খেল পুলিশ

    South 24 Parganas: নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের দেহ উদ্ধার, তদন্তে গিয়ে মার খেল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আক্রান্ত হল পুলিশ। নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুরের পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas)। এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর মহামায়াতলায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে গেলে আক্রান্ত হয় পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম অপ্রতিম দাস। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুরের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এলাকায় মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১ ফেব্রুয়ারি অপ্রতিম বাড়ির পাশেই একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। রাতের খাওয়া-দাওয়া সেরে কয়েকজনের সঙ্গে গল্পগুজব করছিলেন। তারপর বাথরুম পেয়েছে বলে তিনি নীচে নেমে আসেন। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে এলাকার বাসিন্দা এবং পরিবারের বক্তব্য। অপ্রতিমকে খুঁজে না পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাঁর মোবাইল ফোন থাকলেও বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সেটি সুইচ অফ ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তদন্তে গাফিলতি করেছে। রবিবার দুপুরে বাড়ির কাছাকাছি একটি জলাশয়ে তাঁর দেহ দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ এলে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগও ওঠে। এলাকার পুরুষ ও মহিলারা পুলিশ কর্মীদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরে, খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আগামীকাল দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজের অভিযোগ দায়েরের পরই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এলাকায় গিয়ে তদন্তের পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন থানাতেও জানানো হয়। এছাড়া রাজ্য পুলিশের যে মিসিং পোর্টাল রয়েছে, সেখানেও তথ্য-ছবি সহ দেওয়া হয়েছিল। তাই, গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয়।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Moyna:  নদিয়ার পর ময়না, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, গাড়ি ভাঙচুর

    Moyna: নদিয়ার পর ময়না, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, গাড়ি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার পর এবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার (Moyna) বাকচায় এবার আক্রান্ত হল পুলিশ। টহলদারির সময় পুলিশকর্মীদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাব, ইট ছোড়া হয়। বাঁশ দিয়ে পুলিশের গাড়িতেও চলে ব্যাপক ভাঙচুর। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বার বার পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশের ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিরোধীদের বক্তব্য, পুলিশ এখন দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আইন মেনে শান্তি রক্ষা পুলিশের কাজ। সেটা অনেক সময় পুলিশের জন্য ব্যাহত হচ্ছে। তাই, পুলিশের ওপর বার বার হাত তোলার সাহস দেখাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Moyna)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর ময়নার (Moyna) বাকচায় কোনও এতটি বিষয় নিয়ে গণ্ডগোল হয়। শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ময়না থানার ডিউটি অফিসার ঈশ্বর সিংয়ের নেতৃত্বে ৬ জন পুলিশকর্মী টহল দিচ্ছিলেন। ময়না বাকচার নিমতলায় পৌঁছে চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পান পুলিশকর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ পুলিশের উপরই হামলা চালায়। মারধর করা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাব, ইট ছোড়া হয়। বাঁশ দিয়ে পুলিশের গাড়িতেও চলে ব্যাপক ভাঙচুর। জখম হন ৬ পুলিশকর্মী। তাঁদের ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কী কারণে হামলা তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর চলাকালীন নদিয়ার ভীমপুরে পুলিশকে গাছে বেঁধে পেটালো এলাকাবাসী। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন পুলিশকর্মীরা। দুই পুলিশ কর্মীকে গাছে বেঁধে ফেলেন মহিলারা। তাঁদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় আরও পুলিশ বাহিনী। তাঁরা গিয়ে ওই দুই পুলিশ কর্মীকে উদ্ধার করে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ময়নায় ফের পুলিশ আক্রান্তের ঘটনা ঘটল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রায়’ চরম বিশৃঙ্খলা! পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি কংগ্রেস কর্মীদের

    Rahul Gandhi: রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রায়’ চরম বিশৃঙ্খলা! পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি কংগ্রেস কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারতজোড়ো ন্যায় যাত্রায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। মধ্যাহ্ন ভোজনের স্থানে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় কংগ্রেস কর্মীদের। অন্যদিকে, মাধ্যমিকের প্রথম দিনে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রার জন্য একাধিক অভিযোগ জমা পড়ল বীরভূম পুলিশের কাছে। পুলিশের কাছে  অভিযোগ করেন অভিবাবকেরা।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Rahul Gandhi)

    পশ্চিমবঙ্গে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারতজোড়ো ন্যায় যাত্রা পঞ্চম দিন ছিল বীরভূম জেলা সফর। শুক্রবার থেকে মাধ্যমিক শুরু হওয়ায় রাহুলের ন্যায় যাত্রায় আপত্তি ছিল পুলিশের। এমনকী বেশ কয়েক দফা শর্ত বেঁধে দেয় পুলিশ। ফলে, পুলিশের কড়া নজরদারির মধ্যেই এদিন রাহুলের ন্যায় যাত্রা হয় বীরভূমে। জানা গিয়েছে, তারাপীঠের বুধীগ্রাম থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার রাজগ্রাম পর্যন্ত ছিল এই ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি। কিন্তু, এদিন থেকে শুরু হয় মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই রাহুল গান্ধীর কর্মসূচিতে অনুমতি ছিল না বীরভূম পুলিশের। তাই, সোজা তারাপীঠের বুধিগ্রাম থেকে রামপুরহাটে মধ্যাহ্ন ভোজনের স্থানে আসে রাহুল গান্ধীর র‍্যালি। সেখানে দলের নেতাকে দেখার জন্য ভিড় জমান দলীয় কর্মীরা। শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় কংগ্রেস কর্মীদের। বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী এসে ভিড় দূরে সরিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বাংলা সফরে এসে একাধিক জেলায় মমতার পুলিশের হাতে বাধা পেল রাহুলের ন্যায় যাত্রা। পরে, বীরভূম সফর শেষে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করে রাহুল গান্ধীর কনভয়।

    ‘ন্যায় যাত্রা’- বিরুদ্ধে অভিযোগ অভিভাবকদের

    অন্যদিকে, মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারতজোড়ো যাত্রা করায় অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। ফলে, এই কর্মসূচি নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ অভিবাবকেরা। ইতিমধ্যের বীরভূম জেলা পুলিশের কাছে রাহুলের এই ন্যায় যাত্রায় তাঁদের অসুবিধার কথা জানিয়ে ১৫ জন অভিবাবক পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তে পারবেন না রাহুল, আর কী শর্ত দিল পুলিশ?

    Rahul Gandhi: জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তে পারবেন না রাহুল, আর কী শর্ত দিল পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ কর্মসূচি বার বার বাধা পেয়েছে মমতার পুলিশের কাছে। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। বীরভূমে রাহুলের ন্যায় যাত্রা কর্মসূচিতে আপত্তি জানিয়েছে পুলিশ। তারপরই এদিন মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূমের উদ্দেশে রওনা দেন।

    কর্মসূচিতে বেঁধে দেওয়া হয়েছে শর্ত (Rahul Gandhi)

    কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুলের (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রায় বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে পুলিশ। বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের বাকি অংশ যাত্রার সময় গাড়ি থেকে বা গাড়ি থেকে নেমে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তে পারবেন না। জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া কনভয় কোথাও দাঁড় করানো যাবে না। রাহুলের কনভয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি গাড়ি থাকবে। রাহুলের যাত্রায় ‘সঙ্গী’ কংগ্রেস কর্মীরা দড়ি দিয়ে রাস্তার দু’পাশ আটকাতে পারবেন না। কোনও ভাবে যাতে পথ অবরুদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। রাহুলের যাত্রার রুটে যান চলাচল পুলিশই নিয়ন্ত্রণ করবে। তাতে নাক গলাবেন না কংগ্রেস নেতার নিরাপত্তারক্ষীরা। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কংগ্রেস কর্মীরা পুলিশকে সবরকম ভাবে সহায়তা করবে। রাহুলকে যদি জরুরি পরিস্থিতিতে গাড়ি থেকে নামতে হয়, তা হলে সর্বোচ্চ তিনজন তাঁর সঙ্গে নামতে পারবেন। রাহুলের যাত্রাপথে কোনও মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র থাকলে সচেতন থাকতে হবে। পরীক্ষা শেষ হলে আশপাশেই কোথাও যাত্রা থামিয়ে দিতে হবে। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে গেলে তারপর আবার যাত্রা শুরু করা যেতে পারে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও ভাবে অসুবিধায় পড়তে না হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে। পুলিশের দেওয়া শর্ত মেনে রাহুল তাঁর কর্মসূচি সফল করেন তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। দলের অনেকেই বলেছেন, বকলমে কর্মসূচি যাতে ভালোভাবে রূপায়ণ না হয় তার জন্য পুলিশ এই শর্ত বেঁধে দিয়েছে।

    কংগ্রেস নেতৃত্ব কী বললেন?

    কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, পুলিশ এমন কিছু শর্ত দিয়েছে তা কর্মসূচি না পালনের মতো। যদিও ওই কর্মসূচিতে পুলিশই নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে, ন্যায় যাত্রায় এখনও পুলিশ কোথাও আটকানোর খবর মেলেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের দিনই পুলিশকে গাছে বেঁধে পেটালেন গ্রামবাসীরা

    Nadia: মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের দিনই পুলিশকে গাছে বেঁধে পেটালেন গ্রামবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর চলাকালীন তার পুলিশকে গাছে বেঁধে পেটালো এলাকাবাসী। এক কনস্টেবল এবং এক সাব ইনস্পেক্টরকে গাছে বেঁধে রাখেন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার পূর্ব ভাতছালা এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক ধরে নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার পূর্ব ভাতছালা এলাকায় দুই পরিবারের মধ্যে একটি জমিকে কেন্দ্র করে বিবাদ চলছিল। এই জমি দখলকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ওই দুই পরিবারের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। লাঠি-বাঁশ নিয়ে দুই পক্ষই চড়াও হয়। সংঘর্ষের জেরে বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভীমপুর থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই ওই এলাকার মহিলারা ঘিরে ধরেন। পাশাপাশি কর্তব্যরত সাব ইন্সপেক্টর এবং একজন কনস্টেবলকে গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন তাঁরা। পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁদের মূলত অভিযোগ, যারা বেআইনিভাবে জমির দখল নিতে চাইছে তাঁদের হয়ে পুলিশ এলাকায় তান্ডব চালিয়েছে। অবশেষে বিরক্ত হয়ে গ্রামবাসীদের একাংশ পুলিশকে গাছে বেঁধে রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তবে যখন পুলিশকে গাছে বেঁধে রেখে মারধর করেন এলাকাবাসী, ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী জেলা সফরে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরবর্তীকালে পৌঁছায় ভীমপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারাই ওই সাব ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    স্থানীয় বাসিন্দা কী বললেন?

    ওই এলাকার বাসিন্দা অমর দাস বলেন, আমরা সকলেই শুনতে পাই আমাদের জমির একাংশ কেটে নিয়ে অন্যপক্ষ দখল করে নিচ্ছে। আমরা ঘটনাস্থলে গেলে ওরা বিরোধিতা শুরু করে। এরপরেই আচমকা লাঠি বাঁশ নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়। আমরা কোনও রকমে প্রতিরোধ করে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

    এই ঘটনার নিন্দা করতে ছাড়েনি বিজেপি। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা সোমনাথ কর বলেন, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা একেবারে তলানিতে চলে গেছে। যেখানে পুলিশ রক্ষাকর্তা হিসেবে কাজ করা উচিত, সেখানে ভোগ কর্তা হিসেবে কাজ করছে। এই ঘটনায় অবিলম্বে পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত।।

    আট জন গ্রেফতার

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপার কে অমরনাথ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। পুলিশ যখন তদন্ত করতে যায় পুলিশকে গাছে বেঁধে রাখে তারা। তাদের উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনার অভিযোগে আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: বীরভূমে ‘ন্যায় যাত্রায়’ আপত্তি পুলিশের, রাহুলের কর্মসূচি ঘিরে সংশয়!

    Rahul Gandhi: বীরভূমে ‘ন্যায় যাত্রায়’ আপত্তি পুলিশের, রাহুলের কর্মসূচি ঘিরে সংশয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ থেকেই রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ করতে বাধা দিয়েছিল মমতার পুলিশ। কোচবিহারে খুলে নেওয়া হয়েছিল মঞ্চ। মালদায় সরকারি গেস্ট হাউসে মধ্যাহ্ন ভোজনের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এবার দক্ষিণবঙ্গের বীরভূমে রাহুলের সেই ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি ধাক্কা খেল। ২ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ঢুকছে বীরভূমে। সে জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা কংগ্রেস। কিন্তু, ওই দিনই মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য রাহুলের যাত্রার অনুমোদন দিল না মমতার পুলিশ। এই অবস্থায় ২ তারিখ রাহুলের কর্মসূচি নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে।

    রাহুলের (Rahul Gandhi) “ন্যায় যাত্রায়” আপত্তি পুলিশের

    মুর্শিদাবাদের পর ২ তারিখ রাহুলের (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রা বীরভূমে ঢোকার কথা। জেলা কংগ্রেস সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম, এড়োয়ালি, আওগ্রাম, মাঝিপাড়া মোড় হয়ে বীরভূমের তারাপীঠ থানার বুধিগ্রামে তা পৌঁছনোর কথা। ন্যায় যাত্রার অনুমতি চেয়ে সাত দিন আগে প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্য পুলিশের ডিআইজি, আইজি-র কাছে সমস্ত রকম সহযোগিতা চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। ২৯ জানুয়ারি জেলা পুলিশ সুপার এবং রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা সকাল সাড়ে নটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত হওয়ার কথা। ওই দিনই মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। সেই কারণে প্রশাসনের কাছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র র‍্যালির জন্য সমস্ত রকম সহযোগিতার জন্য আবেদন জানানো হয়। রাহুলের সফর ঘিরে সংশয় দেখা দিলেও জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। জেলায় প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় বিশেষ করে রামপুরহাট শহরের জনবহুল মোড়ে রাহুলের ন্যায় যাত্রার ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে। পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য কোনও রকম সভা বা মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। র‍্যালি হলে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবে কী করে? কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছিল। আপত্তির কথা জানানো হয়েছে।

    জেলা কংগ্রেস সভাপতি কী বললেন?

    বীরভূম জেলা কংগ্রেস সভাপতি মিল্টন রশিদ বলেন, আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রার বার্তা জনগণের কাছে দিতে চাইছি। প্রশাসনের সঙ্গে কোনও রকম দ্বন্দ্বে আমরা যেতে চাই না। কর্মসূচি অনুযায়ী রাহুল গান্ধী শুধুমাত্র গাড়ি নিয়ে র‍্যালি করবেন। কোথাও কোথাও নেমে হয়তো মানুষের সঙ্গে হাত মেলাবেন। কিন্তু, কোনও পথসভা করার কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। মাইকও ব্যবহার হবে না। যাত্রাপথে মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্রের এক কিলোমিটার দূর থেকে কর্মীরা চুপচাপ থেকে কোনও রকম আওয়াজ না করে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপি কর্মীর খুনকে দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে পুলিশ”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বিজেপি কর্মীর খুনকে দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে পুলিশ”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনাকে পুলিশ দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে। কার্যত পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্যে আগেও ভোট পরবর্তী হিংসা, পঞ্চায়েত নির্বাচন, পুরনির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ এবং হত্যার ঘটনায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে দেখা যায় বিজেপিকে। এবার শালবনীর মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    আজ বুধবার শালবনীতে মৃত বিজেপি কর্মী মিঠুন খামরুইয়ের বাড়িতে গিয়ে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বললেন, “পরিকল্পনা করে বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। সকাল থেকে পুলিশের যে কাজ করা দরকার ছিল, সেই কাজ করেনি। পুলিশ এককভাবে দায়িত্ব নিয়ে খুনকে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে। এর পিছনে শাসক দলের তৃণমূল দুষ্কৃতীরা রয়েছে। কিন্তু পুলিশ দোষীদের আড়াল করতে চাইছে। বিজেপি পরিবারের পাশে সব সময় থাকবে। সবরকম সহযোগিতা আমরা করব।”

    কীভাবে উদ্ধার মৃতদেহ?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার একটি মেলা চলছিল এলাকায়। সেখানেই গিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী মিঠুন খামরুই। রাতে আর তিনি বাড়িতে ফেরেননি। মঙ্গলবার পরের দিন সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় শালবনীর ভাদুতলা থেকে কর্ণগড় যাওয়ার রাস্তায় একটি কালভার্টের নীচে থেকে। যদিও এই মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। আবার বিজেপি কর্মীর ছেলে সৌভিক খামরুই জানিয়েছেন, “বাবাকে খুন করা হয়েছে। তবে কারা করেছে বলতে পারছি না।” তবে স্থানীয় বিজেপির দাবি, তাঁকে পরিকল্পনা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। দলের মৃত কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন এদিন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: “ভিজে কাপড়ে সারারাত থর থর করে কেঁপেছি”, পুলিশি বর্বরতার কাহিনি শোনালেন মহিলা বিজেপি কর্মীরা

    Barrackpore: “ভিজে কাপড়ে সারারাত থর থর করে কেঁপেছি”, পুলিশি বর্বরতার কাহিনি শোনালেন মহিলা বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বারাকপুরে (Barrackpore) শান্তিপূর্ণ আইন অমান্য কর্মসূচিতে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এমনকী মিছিল লক্ষ্য করে পুলিশ পাথর ছুড়েছে। তাতে বহু কর্মী-সমর্থক জখম হয়েছেন। বাদ যাননি মহিলারা। এমনই অভিযোগ করলেন বারাকপুরের বিজেপি কর্মীরা।

    পুলিশ অমানবিক ও বর্বর আচরণ করেছে (Barrackpore)

    গন্ডগোলের ঘটনায় পুলিশ ৫ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে দুজন মহিলা কর্মী রয়েছেন। মঙ্গলবার বারাকপুর (Barrackpore) আদালতে যাওয়ার পথে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তাঁরা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ আমাদের কর্মসূচিতে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হামলা চালাল। জল কামানে আমাদের জামাকাপড় ভিজে যায়। অপরাধীর মতো আমাদের সঙ্গে পুলিশ ব্যবহার করে। দুই মহিলা বিজেপি কর্মী বলেন, রাতেই মহিলা থানায় আমাদের আনা হয়। শুধু পিচবোর্ডে বসতে দেওয়া হয়। ভিজে কাপড়ে আমরা থাকি। আমাদের কোনও চাদর দেয়নি। প্রচণ্ড শীতে সারারাত ধরে আমরা শুধু থর থর করে কেঁপেছি। জল পর্যন্ত খেতে দেয়নি। রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে আমাদের খেতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আমাদের গায়ে জ্বর চলে আসে। কোনও চিকিৎসা পর্যন্ত করেনি। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে যোগ দিয়েছি বলে পুলিশ এত বর্বর আচরণ করেছে। যদিও বিজেপি কর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিকতার অভিযোগ তোলায় পুলিশ কর্মীরা তাঁদের বলতে বাধা দেয়। তাদের জোর করে নিয়ে চলে যাওয়া হয়।

    শান্তিপূর্ণ মিছিল লক্ষ্য করে পুলিশ ইট, পাথর ছোড়ে!

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে বারাকপুরের (Barrackpore) ১৫ নম্বর রেল গেটের সামনে থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হন। সেখানে সুতলি বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে, সুকান্তর নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল আটকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি ব্যারিকেড করা হয়েছিল। রাস্তায় রাখা ছিল জল কামানও। প্রতিটি ব্যারিকেডে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রথম ব্যারিকেড পেরিয়ে বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেডে জমায়েত হন। বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপরই বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। বহু মহিলা কর্মীর ওপর লাঠিপেটা করা হয়। মিছিলের ওপর জলকামান চালানো হয়। সুকান্ত মজুমদারও জল কামানের জলে সম্পূর্ণ ভিজে যান। পুলিশি হামলা বিজেপি কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এরপর মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। বিজেপি-র কর্মসূচিকে পুলিশ বানচাল করে দেয় বলে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ। পরে, সন্ধ্যা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে অবস্থান বিক্ষোভ চলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর মিছিলে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের সেল

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর মিছিলে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের সেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে আইন অমান্য কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বারাকপুর। মূলত, বিজেপি-র পক্ষ থেকে সোমবার দুপুরে বারাকপুর পুলিশ কমিশনার অফিস ঘেরাও করার ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই কর্মসূচি শুরুর আগে মিলল বোমা। যা নিয়ে মিছিলের শুরুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে, মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের ওপর পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান চালানো হয়। পুলিশই প্রথম বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। বহু বিজেপি কর্মী জখম হয়। জখম হয়েছেন পুলিশ কর্মীও।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে ১৫ নম্বর রেল গেটের সামনে থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো কর্মী সমর্থকরা জমায়েত হন। সেখানে সুতলি বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে, সুকান্তর (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল আটকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি ব্যারিকেড করা হয়েছিল। রাস্তায় রাখা ছিল জল কামানও। প্রতিটি ব্যারিকেডে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রথম ব্যারিকেড পেরিয়ে বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেডে জমায়েত হন। বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপরই বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। বহু মহিলা কর্মীর ওপর লাঠিপেটা করা হয়। মিছিলের ওপর জলকামান চালানো হয়। সুকান্ত মজুমদারও জল কামানের জলে সম্পূর্ণ ভিজে যান। পুলিশি হামলা বিজেপি কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এরপর মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। বিজেপি-র কর্মসূচিকে পুলিশ বানচাল করে দেয় বলে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ।

    পুলিশি নির্যাতন নিয়ে মুখ খুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল যাচ্ছিল। সেখানে আমাদের দলীয় কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ইড ছোঁড়ে। এরপরই কর্মীরা প্রতিবাদ করলে গন্ডগোল লাগে। পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এসব করেছে। অন্য জায়গায় পুলিশ ভয়ে টেবিলের তলায় লুকায়। আর এখানে পুলিশ নিজের ক্ষমতা দেখাচ্ছে। আমরা সমস্ত স্তরে জানিয়েছি। আমাদের বহু কর্মী জখম হয়েছে। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারছে না, অথচ আমাদের বহু কর্মীকে ওরা গ্রেফতার করেছে। পুলিশের প্ররোচনাতেই সব হয়েছে। এই ঘটনার আমি তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। পুলিশ নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ আন্দোলনে নামব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share