Tag: police

police

  • Indi Alliance: ইন্ডি জোট ‘ঘেঁটে ঘ’! কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর মঞ্চও খুলে দিল মমতার পুলিশ

    Indi Alliance: ইন্ডি জোট ‘ঘেঁটে ঘ’! কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর মঞ্চও খুলে দিল মমতার পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) এ কী হাল! জোটের অন্যতম শরিক কংগ্রেসের হাইকমান্ড রাহুল গান্ধী বাংলা সফরে আসছেন। সেখানে জোটের আর এক শরিক তৃণমূল তাঁকে স্বাগত জানাবে, এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। তাঁর জন্য নানা ব্যবস্থা করে সৌজন্য দেখাবে, এমনটাও ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু, কোথায় কী! রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’-র আগেই হোঁচট। রাহুলকে স্বাগত জানাতে কংগ্রেস কর্মীরা যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, তাতে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    পুলিশ দিয়ে হেনস্থা! (Indi Alliance)

    বুধবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুলের রাজ্য সফর প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “আমাকে কি বলে বাংলায় আসছে?” এভাবেই রাহুলের আসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। তারপরই পুলিশ দিয়ে হেনস্থার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারে অসম সীমানায় রাহুলকে স্বাগত জানাতে কংগ্রেস যে মঞ্চ তৈরি করেছিল, তা পুলিশের আপত্তিতে খুলে অন্যত্র সরাতে বাধ্য হয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। পুলিশের দাবি, জাতীয় সড়কের উপরে অনুমতি না নিয়ে মঞ্চ তৈরি করায় আপত্তি জানায় তারা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কোচবিহারের বক্সিরহাট দিয়ে রাহুলের রাজ্যে আসার কথা ছিল। ২৮ জানুয়ারি ছিল তাঁর জলপাইগুড়ি শহরে পৌঁছনোর কথা। সূচি অনুযায়ী ঠিক ছিল, সেখানে এবিপিসি এবিপিসি মাঠে মধ্যাহ্নভোজ করবেন তিনি। কিন্তু, সেদিন পুলিশের একটি পরীক্ষা রয়েছে। তাই জেলা পুলিশের তরফে অনুরোধ করা হয়, রাহুল যেন দুপুর দু’টোর পরে শহরে ঢোকেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সেই মতো সূচি বদলানোর প্রস্তুতি তাঁরা নিয়েছিলেন। মধ্যাহ্নভোজের জায়গাও বদলানোর তোড়জোড় করছিলেন।

    কংগ্রেস নেতৃত্ব কী বললেন?

    কোচবিহার জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা রাহুলকে স্বাগত জানাব বলে সভা মঞ্চ করেছিলাম। পুলিশ সভামঞ্চ খুলে দেয়। পরে, রাস্তার ঠিক উল্টো দিকে এক ব্যক্তির জমিতে আমরা মঞ্চ তৈরি করি। পুলিশ দিয়ে আমাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।

     রাহুলের সভা নিয়ে তৃণমূল নেতারা চুপ!

    রাহুল আসার আগে প্রস্তুতি দেখতে কোচবিহারে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি, রাহুলের কর্মসূচিতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কী করবেন, তা নিয়ে চর্চা চলছিল। বেশিরভাগ তৃণমূলের জেলা নেতা এই নিয়ে অবশ্য চুপ ছিলেন। আলিপুরদুয়ারের সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছিল, তাঁরা যাত্রায় যোগ দেবেন। যদিও শেষ মুহূর্তে রাহুল গান্ধী এই কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লি ফিরে যাচ্ছেন বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘রণসজ্জায়’ সজ্জিত ইডি শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকল তালা ভেঙে, উধাও ‘তৃণমূলের বীরপুঙ্গবরা’

    ED: ‘রণসজ্জায়’ সজ্জিত ইডি শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকল তালা ভেঙে, উধাও ‘তৃণমূলের বীরপুঙ্গবরা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ দিন পর বুধবার ফের সন্দেশখালির বেতাজ বাদশার ডেরায় হানা দিল ইডি (ED)। তাঁর বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালিয়ে কী উদ্ধার হয় তা নিয়ে রাজ্যবাসীর নজর ছিল। এদিন শাহজাহানের বাড়িতে হানার সময় রাজ্য পুলিশের পাশাপাশ রাজ্য পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত র‍্যাফকে দেখা গিয়েছে। তাঁরা হেলমেট পরিহিত। হাতে লাঠি বা আধুনিক অস্ত্র। শাহজাহানের বাড়ির ফটকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের জওয়ানরা। সঙ্গে রয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ানরাও। এবার ‘রণসজ্জায়’ সজ্জিত হয়ে তৃণমূল নেতার ঘরের তালা ভেঙে ঢোকেন ইডি আধিকারিকরা। তারপর একের পর এক ঘরে ঢুকে চলে তল্লাশি। নামিয়ে আনা হয় সুটকেস। ভাঙা হয়েছে আলমারির তালা।

    তল্লাশি চালিয়ে কী মিলল? (ED)

    বুধবার সাতসকালে শাহজাহানের বাড়িতে যান ইডির (ED) ছয় আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। এ ছাড়া এক জন আছেন শুধুমাত্র ছবি তোলার জন্য। তাঁরা একের পর এক ঘরে যান। সমস্ত ঘরে তল্লাশি চালান। আসবাবপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে পৌঁছে যান রান্নাঘরেও। ঘরের ভিতরে থাকা আলমারির তালা ভাঙা হয়েছে। সুটকেস নামিয়ে খোলা হয়েছে। কিন্তু, রান্নাঘরের সিঙ্ক থেকে বাসনকোসন আর আলমারি এবং সুটকেস থেকে জামাকাপড় ছাড়া কিচ্ছু মেলেনি।

    নিরাপত্তায় মোড়া গোটা এলাকা, বন্ধ শাহজাহান মার্কেট

    ১৯ দিন আগে ইডি (ED) হানার সময় সন্দেশখালির শাহজাহানের বাড়ির সঙ্গে বুধবারের তাঁর বাড়ি ও আশপাশের পরিবেশের চেহারা একেবারেই আলাদা। এদিন সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির অভিযান চালানোর সময় বাড়ির সামনে নেই কোনও জনতার ভিড়়। তৃণমূল নেতার নামাঙ্কিত শাহজাহান মার্কেটের একটি দোকানও খোলেনি। বাজারে দেখা গেল সুনসান ছবি। আদালতের নির্দেশে তৃণমূল নেতার বাড়ির সঙ্গে সঙ্গে সন্দেশখালির বাজারেও সিসি ক্যামেরা বসিয়েছিল পুলিশ। সাধারণ মানুষের আনাগোনাও একেবারেই হাতেগোনা। সমস্ত এলাকা দখল নিয়েছে রাজ্য পুলিশ এবং সিআরপিএফ। শাহজাহানের বাড়ি থেকে বড় রাস্তায় যাওয়ার জন্য রয়েছে এক চিলতে রাস্তা। সেই ১০০ মিটার রাস্তাও পুরোপুরি মোড়া খাকি, জলপাই পোশাক পরিহিত দীর্ঘদেহীদের দিয়ে। বড় রাস্তার দখলও পুরোপুরি নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে। জায়গায় জায়গায় তাঁরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সকাল থেকে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সেরকম গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাননি ইডি আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাল বিজেপি, অগ্নিমিত্রার হাত ধরে হল যোগদান

    Asansol: সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাল বিজেপি, অগ্নিমিত্রার হাত ধরে হল যোগদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে আসানসোলে (Asansol) সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাল বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যোগদান কর্মসূচিতে নানাভাবে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শত বাধার পরও বিজেপির যোগদান কর্মসূচিতে শতাধিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যোগদান করেন।

    বিজেপি বিধায়ক কী বললেন? (Asansol)

    মঙ্গলবার আসানসোল (Asansol) পুরনিগমের ২৮ নং ওয়ার্ড জাহাঙ্গীর মহল্লায় বিজেপির পক্ষ থেকে যোগদানের অনুষ্ঠান করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে প্রায় শতাধিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছে। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, আসানসোল রেল পাড়ে নেতাজির জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে কয়েকশো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের যোগদান করার কথা ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার রাত থেকে তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিজেপিতে যোগদান করলে তাদের সবরকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে এবং তাদের পরিবারের ওপর অত্যাচার করা হবে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কিন্তু, এখানকার জনগণ দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বারা বঞ্চিত হওয়ার কারণে তারা বিজেপিতে যোগদান করেছে। আসলে তৃণমূল কংগ্রেস এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে  সভা করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, শত প্রতিকুলতার মধ্যে সভা করে শতাধিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপিতে যোগদান করেছে। যা দেখে শাসক দলের নেতাকর্মীরা হতবাক হয়ে গিয়েছেন।

    আরও বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপি যোগ দেবেন!

    আসলাম নামে এক যোগদানকারী বলেন, সোমবার রাত থেকে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিজেপির অনুষ্ঠান যাতে না করা হয় ডেকোরেটরদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ভয়ে কেউ মঞ্চ তৈরি করার সাহস দেখায়নি। কিন্তু, আমরা পথসভার মাধ্যমেই যোগদান করেছি। শাসক দলের বাধা না থাকলে এই এলাকার বহু মানুষ বিজেপিতে যোগদান করেন। তবে, বাধা দেওয়া হলেও আগামীদিনে আরও বহু কর্মী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: ভুয়ো কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি!

    Burdwan: ভুয়ো কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যজুড়ে দাপিয়ে বেড়়াচ্ছে ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। এবার ভুয়ো কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করার অভিযোগ উঠল এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান (Burdwan) সহ আশপাশের এলাকায়। অনেক ব্যবসায়ী তার খপ্পরে পড়ে টাকাও দিয়েছেন। তবে, এক ব্যবসায়ী প্রতারকের আচরণ দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন। ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, প্রতারকের সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কত জন ব্যবসায়ীর থেকে ওই প্রতারক টাকা হাতিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত প্রতারকের নাম রঞ্জিত বসু। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার নোনাচন্দনপুকুর এলাকায়। অভিযোগ, রঞ্জিত নিজেকে সেন্ট্রাল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। যদিও কেন্দ্রের এই ধরনের কোনও সংস্থা নেই। গত কয়েক দিন ধরে এই ভুয়ো পরিচয়ে রঞ্জিত বর্ধমানের (Burdwan) বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা তুলছিলেন বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত এক ব্যবসায়ীর উপস্থিত বুদ্ধির জোরে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে বর্ধমানের পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবারও ওই প্রতারক জামালপুরের আধাপুর এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে হানা দেন।

    ব্যবসায়ীর বুদ্ধিতেই গ্রেফতার প্রতারক

    শেখ আবদুল কাশেম নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন রঞ্জিত। আবদুল কাশেম বলেন, ওই ব্যবসায়ী কেন্দ্রীয় সংস্থার নাম করে আমাকে হুমকি দিতে থাকে। প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পরে, তাঁর আচরণ দেখে  সন্দেহ হওয়ায় প্রতারককে বসিয়ে রেখে থানায় ফোন করি। এরপরই জামালপুর থানার পুলিশ এসে রঞ্জিতকে পাকড়াও করে। যদিও পুলিশকেও নিজের ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, লাভ হয়নি। রঞ্জিতকে গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বহরমপুরের পর রানিনগর, তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, আতঙ্ক

    Murshidabad: বহরমপুরের পর রানিনগর, তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সত্যেন চৌধুরীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের চর ৫১ গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুতর জখম ওই যুবকের নাম মনোজ মণ্ডল (২৭)। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই সঞ্জয় মণ্ডল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ২৬ জুলাই রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের চর ৫১ গ্রামে একটি বিষয় নিয়ে বাপি মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী ও তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল রাজবীর মণ্ডল নামে এক যুবকের। অভিযোগ, সেইদিন বাপি ও তাঁর শাগরেদরা মিলে রাজবীর-সহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছিল। সেদিন বাপির সঙ্গী ছিলেন এদিনের জখম তৃণমূল কর্মী মনোজ মণ্ডল। আর তারই বদলা নিতে রাজবীররা কয়েকজন মিলে বুধবার রাতে মনোজের বাড়িতে ঢুকে হয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। যার একটি গুলি তাঁর পেটে লেগেছে। মনোজ বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিলেন। পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে রানিনগরের গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কী বললেন?

     রানিনগর ২ ব্লকের নব নির্বাচিত সভাপতি মাহাবুব মুর্শিদ বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করে রেখেছে বিজেপি। এই ঘটনা তারই জের। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ প্রকৃত দোষীদের ধরে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির রানিনগর মণ্ডল সভাপতি আশিক ইকবাল বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি কোনওভাবেই জড়িত নয়। পুরানো ঝামেলার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ছাত্রীর গলায় ছুরি মারল যুবক! এলাকায় উত্তেজনা 

    Malda: ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ছাত্রীর গলায় ছুরি মারল যুবক! এলাকায় উত্তেজনা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় শাস্তি মিলল এক স্কুল ছাত্রীর। প্রকাশ্যে ছুরি চালিয়েছে যুবক। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে মালদায়। যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে স্কুল থেকে ফেরার সময় রাস্তায় ওই যুবক সহপাঠীদের সামনে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর গলায় রীতিমতো ছুরি চালায়। এরপর চিৎকারে স্থানীয় মানুষ ছুটে এলে আক্রমণকারী যুবক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর আহত ছাত্রীকে দ্রুত মালদহ (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে মেয়েটি খুব আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য (Malda)

    প্রাথমিক তদন্ত করে মালদা (Malda) পুলিশ জানিয়েছে যে খারাপ কথা বলার প্রতিবাদ করায় মেয়েটিকে আক্রমণের শিকার হতে হয়। এই দৃশ্য রাস্তায় থাকা সিসিটিভির ভিডিও ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনার ছবি এবং ভিডিও সংগ্রহ করে অভিযুক্ত যুবকের পরিচয় প্রকাশ করেছে। অভিযুক্ত যুবকের নাম উজ্জ্বল মণ্ডল। তার বয়স ২৩। ওই স্কুলের পাশেই থাকে সে। পুলিশ তার সন্ধানে এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছে। ঘটনায় ওল্ড মালদার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের আটমাইল এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    সহপাঠীদের বক্তব্য

    স্কুলের (Malda) সহপাঠীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, স্কুলে যেতে আসতে রোজ আহত ছাত্রীকে খারাপ ভাষায় বিরক্ত করত যুবকটি। অভিযুক্ত যুবক উজ্জ্বল নিজে প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রোজ তাকে উত্যক্ত করত। এই অভব্য আচরণের বিরুদ্ধে মেয়েটি প্রতিবাদ করে। আক্রান্ত আরও এক সহপাঠী বলে, “ঘটনার দিন আমরা প্রত্যেক দিনের মতো স্কুল ছুটির পর রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলাম। ওই যুবক রাস্তায় লুকিয়ে ছিল। এরপর আচমকা সামনে এসে দাঁড়ায় এবং একটি চাকু বের করে গলায় আঘাত করে। পরপর বেশ কয়েকটি আরও চাকুর আঘাত করে। এরপর আমরা ভয়ে চিৎকার করি। রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায় মেয়েটি। আর ঘটনায় চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিরা। ঘটনা দেখে সকলেই স্তম্ভিত হয়ে যান।”

    স্কুল শিক্ষিকার বক্তব্য

    এই স্কুলের (Malda) প্রধান শিক্ষিকা সায়নী সাহা বলেন, “অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি স্কুলের পাশেই। বেশ কয়েক দিন ধরে মেয়েটিকে ওই যুবক বিরক্ত করছিল। প্রতিবাদ করাতেই তাকে এই ভাবে আক্রমণ করে। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। যুবকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: শাগরেদের সঙ্গে আদালতে দেখা করাই হল খুনির কাল, পুলিশের জালে গ্রেফতার

    Murshidabad: শাগরেদের সঙ্গে আদালতে দেখা করাই হল খুনির কাল, পুলিশের জালে গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে গত ৭ জানুয়ারিতে নির্মীয়মাণ বহুতলে উঠে তিনজন দুষ্কৃতী গুলি করে খুন করেছিল তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরিকে। তিন দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজনের মাথায় হেলমেট পড়া ছিল। তবে মাথা ঢাকা থাকলেও রেহাই পায়নি খুনি। শাগরেদের সঙ্গে আদলাতে দেখা করাই কাল হল খুনির। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ আদালত চত্বর থেকে ধরে ফেলে এই অভিযুক্ত খুনিকে। ধৃত দুষ্কৃতীর নাম রহিম শেখ।

    ফাঁদ পেতে পাকড়াও করা হয় খুনিকে (Murshidabad)

    বহরমপুর (Murshidabad) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরিকে খুন করতে সুপারি কিলার হিসাবে খুনিদের ভাড়া করা হয়েছিল। তাই তাকে খুন করতে অত্যন্ত কাছ থেকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুটি মোবাইল নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। এরপর গ্রেফতার ঠেকাতে বাংলাদেশে গা ঢাকা দিতে চেয়েছিল অভিযুক্ত প্রধান খুনি রহিম শেখ। সীমান্তের ওপারে যেতে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে আদালত চত্বরে আসে রহিম। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে ধরার জন্য ফাঁদ পেতে রাখে। আদালত চত্বরে পৌঁছালেই সঙ্গে সঙ্গে পাকড়াও করে রহিমকে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার তাকে আদলাতে তোলা হয়। বিচারক, এই অভিযুক্ত খুনিকে ১০ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

    পুলিশের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার পুলিশ প্রধান সূর্য প্রতাপ এই খুনের পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, “খুনের পর ঘটনাস্থলের পাশে থাকা দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত খুনিদের তল্লাশি করার কাজ শুরু হয়েছিল। বেশ কিছু অভিযুক্তদের পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। খুনের পিছে আর কে কে আছে তাদের খোঁজ করা হচ্ছে।”

    কল লিস্ট থেকে মিলেছে তথ্য

    খুন হওয়া সত্যেনের (Murshidabad) একটি মোবাইল উদ্ধারের পর কল লিস্ট থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশের অনুমান ছিল খুনে অভিযুক্তরা নওদা হয়ে নদিয়ার সীমান্তে আত্মগোপন করে রয়েছে। পাশাপাশি মোবাইলের সূত্র ধরে নদিয়ার এক যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার নাম মুস্তাফা শেখ। এই তৃণমূল নেতার বাড়ি হল তেহট্ট-১ ব্লকের কানাইনগরে। তিনি এই অঞ্চলের অঞ্চল যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি। এরপর বাকি অভিযুক্তদের ধরার প্রক্রিয়া শুরু করে পুলিশ। পরে অবশ্য মুস্তাফা জামিন পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: তোলা না পেয়ে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা, বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা

    Barrackpore: তোলা না পেয়ে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা, বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোলার টাকা না পেয়ে ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালানোর ঘটনার ঘটেছিল। বারাকপুরের (Barrackpore) সদর বাজার এলাকায়। আক্রান্ত ব্যবসায়ী গৌরব রায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সদর বাজারের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বনধের ডাক দিলেন। এদিন সদর বাজারে কোনও দোকান খোলেনি। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, হামলা চালানোর একটা অভিযোগ হয়েছে। হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাকপুর (Barrackpore) সদর বাজার এলাকার ব্যবসায়ী  গৌরব রায়কে বেশ কিছুদিন ধরে ফোনে হুমকি দিচ্ছিল স্থানীয় যুবক সোনু সাউ। তার কাছ থেকে বারংবার টাকা দাবি করা হচ্ছিল।  কিন্তু কয়েকদিন ধরে সনুর  গৌরব রায় ফোন ধরা বন্ধ করে দেয়। রবিবার সকালে গৌরব রায় যখন নিজের কর্মস্থলে যান, সেই সময় সেখানে সনু উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ী গৌরব কে  ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আহত অবস্থায় তাকে ব্যারাকপুর জগদীশ চন্দ্র বসু জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।  ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হন ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। আহত যুবক গৌরব রায বলেন, আমার ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। আমি এটা ফ্ল্যাট তৈরি করছি। এটাই আমার অপরাধ। কয়দিন ধরে ফোন করে আমাকে তোলা চায় সনু। আমি ওর ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ও আমার ফ্ল্যাটের কাজ বন্ধ করে দেয়। মিস্ত্রিদেরকে  সেখান থেকে বের করে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সনু কে এই ধরনের ও আচ্ছা  আচরণ করতে নিষেধ করি। উল্টে সে আমাকে ধারালো অস্ত্র  দিয়ে কোপ মারে। আমার ভাই বাঁধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে। আমার এক বন্ধু সেখানে এলে তার উপরও চড়াও হয়। পরে এলাকার লোকজন  জড়ো হতে  ও পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।

    ব্যবসায়ীরা কী বললেন?

    ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ব্যবসা করার জন্য তোলা দিতে হলে এই এলাকায় কেউ আর ব্যবসা করতে পারবে না। এটা ঠিক নয়। আমরা তাই ব্যবসা বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছি। অবিলম্বে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি-র বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই তোলাবাজির সঙ্গে তৃণমূল জড়িত। তৃণমূলের দৌরাত্ম্যে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। সারা রাজ্য জুড়ে এইভাবে তোলাবাজি চলছে। তৃণমূল নেতা সঞ্জীব সিং বলেন, ঘটনাটি ঠিক হয়নি। তবে, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: মমতার রাজত্বে এ কী হাল! গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে সাধুদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

    Purulia: মমতার রাজত্বে এ কী হাল! গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে সাধুদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগরগামী তিন সাধুর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে রাজ্যে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার (Purulia) কাশিপুরে। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা তিন সাধুর ওপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর চালানো হয় তাঁদের গাড়িতে। পরে, কাশিপুর থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো শুক্রবার রাত্রে কাশিপুরে গিয়ে থানা থেকে তিন সাধুকে নিজের বাসভবনে নিয়ে আসেন। শনিবার তাদের পুরুলিয়ার চকবাজারের বড় কালী মন্দিরে নিয়ে গিয়ে সসম্মানে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জেলা বিজেপি সূত্রে খবর।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তিন সাধু উত্তরপ্রদেশ বেরিলির বাসিন্দা। সেখান থেকেই একটি গাড়ি করে বাংলায় এসেছিলেন। তাঁদের যাওয়ার কথা গঙ্গাসাগরে। সেখানে যাওয়ার পথে রাঁচির জগন্নাথ মন্দির দর্শন করেন তাঁরা। এরপর পুরুলিয়ায় (Purulia) ঢোকেন। কাশিপুরের কাছে গোবরডিঙ্গা গ্রামে আনোয়ার নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার গুজব তৈরি করে এলাকার মানুষদের খেপিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপরই তিন সাধুর ওপর হামলা চালানো হয়। তাঁদের লাঠিপেটা করা হয়। তাঁদের উপর শারীরিকভাবে চরম নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের সঙ্গে থাকা গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আক্রান্ত সাধুরা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও পুলিশ জানতে পেরে আক্রান্ত সাধুবাবাদের উদ্ধার করে কাশিপুর থানায় নিয়ে যায়।

    আমাদের পিটিয়ে মেরে ফেলত, বললেন আক্রান্ত সাধুবাবা

    আক্রান্ত সাধুবাবা মধুর মহারাজ বলেন, আমরা কোনও ভাষা বুঝতে পারছিলাম না। তাঁর আগেই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পুলিশ কয়েক মিনিট দেরি করে ঘটনাস্থলে আসলে ওরা আমাদের পিটিয়ে মেরে দিত। আমাদের কী দোষ তা আমরা বুঝতেই পারিনি। অকারণে আমাদের ওপর ওরা হামলা চালাল। গাড়ি ভাঙচুর করা হল।

    মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ট্যুইট করলেন অমিত মালব্য

    এই ঘটনার পর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়। মাফিয়াদের কাছে সাধু সন্তরাও নিরাপদ নন বলে দাবী করেন। সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, শেখ আনোয়ারের নেতৃত্বে এই গুজব ছড়িয়ে সাধুদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এক তৃণমূল নেতাও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনামূলক পোস্ট করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গেরুয়া পোশাক পড়ে আছে বলেই বিজেপি তকমা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা হয়েছে। বিজেপি-র রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা আইটি সেলের সর্বভারতীয় ইনচার্জ  অমিত মালব্য মমতার পুলিশের কড়া সমালোচনা করেন। আনোয়ার নামে এই সিভিক ভলান্টিয়ারের নেতৃত্ব এই হামলা হয়েছে বলে ট্যুইটও করেন।

     

     

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া অবশ্য এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমাদের দল এই ঘটনাকে সমর্থন করে না। সাধুদের পুলিশ রক্ষা করেছে। না হলে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত। বিজেপি এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।

    জেলা পুলিশ সুপারের কী বক্তব্য?

    পুরুলিয়ার (Purulia) পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গুজবকে কেন্দ্র করেই সাধুদের ওপর হামলা হয়। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর কারা জড়িত রয়েছে, তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গ্রেফতার পুরুলিয়ায়, মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা

    Purulia: মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গ্রেফতার পুরুলিয়ায়, মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গলমহলের পুরুলিয়ায় (Purulia) ফের নতুন করে সশস্ত্র মাওবাদী কার্যকলাপ সক্রিয় করে তোলার ছক কষা হচ্ছিল। এবার পুলিশের জালে গ্রেফতার হল কুখ্যাত মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গোস্বামী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর ফলে বড় রকমের নাশকতামূলক চক্রান্তকে নস্যাৎ করা গিয়েছে। এই মাওবাদী নেতা সিপিআই (মাওবাদী) শাখার কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সদস্য। তার একাধিক ছদ্মনাম ওরফে বাবু, ওরফে কিশোর, ওরফে পঙ্কজ। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ এই মাওবাদী নেতার মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ১০ লক্ষ টাকা।

    উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলার করিডরের পরিকল্পনা (Purulia)

    সব্যসাচী গোস্বামীর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থানা এলাকার এইচবি সোদপুর রোড ৬ নম্বর এলাকায়। তার পরিকল্পনায় ছিল উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলার করিডর রচনা করা। ২০২২ সালে অসমের গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে মাও কার্যকলাপের জন্য মামলা রুজু করা হয়েছিল তার নামে। বর্তমানে সে ছিল পূর্ব ক্ষেত্রের বুরোর সক্রিয় সদস্য। পুরুলিয়া (Purulia) থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই বড় সাফল্য এসেছে। শুক্রবার স্থানীয় বেলগুমা পুলিশ লাইনে তাকে আনার কথা। এরপর আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    মোট ৫ বার গ্রেফতার

    এই নিয়ে মাও নেতা সব্যসাচী গোস্বামী মোট ৫ বার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল। ২০২১ সালে অসমের গোলাঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। ২০১৮ সালে মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থেকে এসটিএফ গ্রেফতার করেছিল তাকে। ঠিক তারও আগে ২০০৫ সালে একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। কিন্তু প্রত্যেক বার জামিন পেয়ে আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যেত সব্যসাচী। এছাড়াও ২০২১ সালে একাধিকবার যেমন-২০২২ সালে বাঁকুড়ার বাড়িকূল থানা এলাকায় এবং ২০২৩ সালে ঝাড়গ্রামের ধরমপুর থেকে বারবার পুলিশের হাতে এসেও অল্পের জন্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় সে। কিন্তু পুরুলিয়াতে (Purulia) বেশ কিছুদিন সক্রিয় ছিল এই মাও নেতা।

    অস্ত্র চালাতে পারদর্শী সব্যসাচী

    সিপিআই (মাওবাদী) কলকাতা সিটি কমিটির সম্পাদক হয়েছিল সব্যসাচী। ২০০৪ সালেই রাজ্য কমিটির সদস্য পদ পেয়েছিল এই মাওবাদী নেতা। ২০১৮ সালের পর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়। নোনাডাঙা উচ্ছেদ কমিটির সদস্য হিসেবে বিশেষ ভূমিকা ছিল তার। ছাত্রজীবনে নকশাল নেতা সন্তোষ রানার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল। মূলত তাত্ত্বিক মাওবাদী নেতা হলেও অস্ত্র চালাতে পারদর্শী সব্যসাচী। বাংলায় মাওবাদী সংগঠনকে শক্তিশালী করাই একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল তার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share