Tag: police

police

  • North 24 Parganas: দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব! সরস্বতী পুজোর আগেই একের পর এক মূর্তি ভাঙায় কাদের হাত?

    North 24 Parganas: দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব! সরস্বতী পুজোর আগেই একের পর এক মূর্তি ভাঙায় কাদের হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাকপুরের বিলকান্দা পঞ্চায়েতে। রাতের অন্ধকারে সরস্বতীর মূর্তি ভাঙার ঘটনা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বিলকান্দা ব্লক ২ লেনিনগড় অঞ্চলে। ঘটনায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে মৃৎশিল্পীদের। এই নিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার মানুষ। ঘটনায় তদন্তে নেমেছে ঘোলা থানা।

    ভাঙা হয় প্রায় ৩৫ টিরও বেশি মূর্তি (North 24 Parganas)

    স্থানীয় (North 24 Parganas) সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৫ টির বেশি তৈরি করা সরস্বতীর মূর্তি ভেঙেছে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় কারা কারা জড়িত এখনও পর্যন্ত তাদের নাম জানা যায়নি। তৈরি করা সরস্বতী মূর্তিগুলিকে এমনভাবে ভাঙা হয়েছে যে সেগুলি ফের নতুন করে তৈরি করতে অনেক সময় লাগবে। এই অবস্থায় সামনেই পুজো। তাই সঠিক সময়ে মূর্তির জোগান না দিতে পারলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন, এই ভেবে মৃৎশিল্পীরা দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন। স্থানীয় মৃৎশিল্পী শ্যামল পাল বলেন, “এলাকায় পুলিশ নিস্ক্রিয়। মানুষের সুরক্ষার জন্য কাজ করে না। পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছি যেন দ্রুত দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে।”

    মৃৎশিল্পীদের বক্তব্য

    এলাকার (North 24 Parganas) মৃৎশিল্পী বাপন পাল বলেন, “আমরা রাত জেগে কাজ করি। রাতে কাজের পর যখন চলে গিয়েছি, পরদিন এসে দেখি সরস্বতীর মূর্তিগুলির নাক, হাত, পা ভেঙে দিয়েছে। এমনকী অনেক মূর্তি পুরোটাই ভেঙে দিয়েছে। প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকার মূর্তি ভেঙে ক্ষতি করে দিয়েছে। কয়েকদিন পরেই পুজো। ৮-১০ জন পরিবারের জীবন চলে এই মাটির কাজ করে। এটা আমদের জন্য মারাত্মক ক্ষতি। পুলিশের কাছে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (North 24 Parganas) তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য রিনি দে সাহা বলেন, “এলাকায় এই ধরনের মূর্তি ভাঙার খবর আগেও ঘটেছিল। দুর্গাপুজোর সময় বেশ কিছু মূর্তি ভাঙা হয়েছিল। এবার সরস্বতী পুজোর সময়েও একই ঘটনা ঘটেছে। কোনও খারাপ উদ্দেশ্যে এই কাজ করা হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে তদন্তের কথা বলেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: বেহাল রাস্তার দাবিতে অবরোধ, মহিলাকে হেনস্থা করে দাপট দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা

    Panihati: বেহাল রাস্তার দাবিতে অবরোধ, মহিলাকে হেনস্থা করে দাপট দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ার কারণে বেহাল হয়ে গিয়েছে রাস্তা। প্রশাসনিক মহলে একাধিকবার দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা মিলেই রাস্তা অবরোধে নেমেছিলেন। কিন্তু, রাস্তা সারানোর প্রতিশ্রুতি তো দূরে থাক, উল্টে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের দাদাগিরি দেখলেন অবরোধকারীরা। এক মহিলার হাত ধরে টেনে তাঁকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটি (Panihati) পুর এলাকার রাসমণি মোড় সংলগ্ন আর এন এভিনিউতে।

    পুলিশের সামনেই এক মহিলাকে হেনস্থা করেন এক তৃণমূল কর্মী! (Panihati)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটি (Panihati) পুরসভা এলাকার এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। খানাখন্দে ভরে রয়েছে। সকাল থেকে রাত ধূলোয় ঢাকছে এলাকা। রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায় প্রতিদিনই ছোটবড় দুর্ঘটনা যেমন ঘটছে, তেমনি অত্যধিক ধূলোর কারণে রাস্তা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা বিশেষ করে প্রবীণ ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। স্থানীয় পুরসভা সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি। প্রশাসনিক উদাসীনতার অভিযোগ তুলে ওই এলাকার বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে আর এন এভিনিউয়ের রাস্তায় বাঁশ ফেলে অবরোধে সামিল হন। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে খড়দা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বেশকিছুক্ষণ ধরে চলে অবরোধ। অভিযোগ, অবরোধ চলাকালীন আচমকা অবরোধ তোলার জন্য তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী ঘটনাস্থলে হাজির হন। তৃণমূল নেতা রাজেশ দে-র নেতৃত্বে প্রথমে তাঁরা অবরোধ তোলার জন্য বলেন। কিন্তু, অবরোধকারীরা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কথা না শোনায় তাঁদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অবরোধকারীরা। তাদের আরও অভিযোগ, পুলিশের সামনেই এক মহিলা অবরোধকারীকে হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে সরিয়ে দেয় তৃণমূলেরই এক কর্মী। বাধা দিতে গেলে অবরোধীকারীদের উপর চ়ড়াও হয়। উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। বেগতিক বুঝে পুলিশ অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

    খুব শীঘ্রই রাস্তা সংস্কার করা হবে, আশ্বাস চেয়ারম্যানের

    পানিহাটি (Panihati) পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, ‘প্রথমত রাস্তাটি পুরসভার নয়, পূর্ত দফতরের রাস্তা। কাচকলের দিক থেকে ইতিমধ্যে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই তা শেষ হবে। কিন্তু, তার মধ্যেও এদিন যাঁরা অবরোধ করলেন বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বোঝাই যাচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। সাধারণ মানুষ সব কিছুই দেখতে পাচ্ছেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিশের শ্লীলতাহানি! এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা

    Panihati: পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিশের শ্লীলতাহানি! এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের পানিহাটি (Panihati) উৎসবে মহিলা পুলিশ কর্মীর শ্লীলতাহানির ঘটনা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। তারপরই নড়়েচড়ে বসে পুলিশ। মহিলা পুলিশ কর্মী শ্লীলতাহানির  ঘটনায় অবশেষে যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম দীপ মজুমদার। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Panihati)

    গত ২৩ শে ডিসেম্বর রাতে পানিহাটি (Panihati) উৎসবের ভিতরে এক মহিলা পুলিশ কর্মীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। প্রকাশ্যে এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এমন হয় যে তৃণমূল নেতাদের বেলেল্লাপনা আটকাতে অন্য পুলিশ কর্মীদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। মেলার ভিতরে মহিলা পুলিশ কর্মীর সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই মহিলা পুলিশ কর্মী খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে, গত ২৩ তারিখে অভিযোগ দায়ের করা হলেও এক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। ২৯ শে ডিসেম্বর ওই মহিলা পুলিশ কর্মীর অভিযোগ পত্র সঙ্গে নিয়ে রাজ্যে নারী সুরক্ষার হাল কী তা তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পোস্ট করার পরেই পুলিশ নড়েচড়ে বসে।

    তৃণমূল বিধায়কের দাবি ভিত্তিহীন, প্রমাণ করে দিল পুলিশ

    যদিও বিষয়টি জানাজানি হতেই পানিহাটি (Panihati) বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ শুক্রবার দাবি করেন, পানিহাটি উৎসবের মধ্যে কোনওরকম শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূলের কোনও কর্মী সমর্থক এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। পুলিশের একাংশ বিজেবি সঙ্গে যোগাসাজস করে এসব করছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মূলে জোর-চাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। বিধায়কের দাবি যে ভিত্তিহীন তা যুব তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হতে প্রমাণিত হয়ে গেল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, ২৩শে ডিসেম্বর মহিলা পুলিশ কর্মীর সঙ্গে শ্লীলতাহানি করা হয়। নিয়ম মেনে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে যেহেতু শাসক দলের নেতারা জড়িত, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করার সাহস দেখায়নি। আমাদের দলের রাজ্য সভাপতি বিষয়টি রাজ্যবাসীর সামনে আনতে পুলিশ নড়েচড়ে বসে। অবশেষে এই ঘটনা জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে যুব তৃণমূল নেতাকে। এ ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। আমাদের দাবি প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: লোকসভায় বিজেপির পাখির চোখ ৩৫টি আসন, স্পষ্ট করে দিলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: লোকসভায় বিজেপির পাখির চোখ ৩৫টি আসন, স্পষ্ট করে দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর মহকুমার সমস্ত থানা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের নামে পুলিশ মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। নানাভাবে বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ বিজেপির। এবার সেই পুলিশের বিরুদ্ধে শুক্রবার আন্দোলনে নামল বিজেপি। এদিন বিকেলে বুনিয়াদপুরে গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), কিষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার, বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা।

    পুলিশকে তুলোধনা সুকান্ত-র (Sukanta Majumdar)

    এদিন বিকেলে বুনিয়াদপুর শহরের ফুটবল ময়দান থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। যা গোটা শহর পরিক্রমার পর এসডিপিও অফিসে যায়। সেখানে বিজেপি কর্মীর-সমর্থকরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। পরে, কয়েকজনের প্রতিনিধি দল এসডিপিওকে ডেপুটেশন দেন। এদিন এসডিপিও অফিসের পাশেই সভামঞ্চ করা হয়। সেখানেই জেলার পুলিশকে এক হাতে নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, এসডিপিও অফিসের অধীনে যে সব থানা আছে, সেইসব থানার পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হিসেবে কাজ করছে। তৃণমূলের নেতারা কোথায় ওঠাবসা করছেন তা আমাদের জানা রয়েছে। পুলিশ তৃণমূল নেতাদের কথা শুনে আমাদের কর্মীদের মিথ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে। পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের ঘর বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। এমনকী মহিলাদের শ্লীলতাহানি করছে এই পুলিশ। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ। কারণ, পুলিশের ভয় দেখিয়ে তৃণমূল যদি মনে করে আমাদের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেবে তা কখনও সম্ভব নয়। দলদাসের মতো পুলিশের এই আচরণ বন্ধ করতে হবে।

    লোকসভায় পাখির চোখ ৩৫টি আসন, বললেন সুকান্ত

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোকসভায় ৩৫টি আসন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন, সেটা নিয়ে আমরা এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। তাই, রাজ্যে তৃণমূল একা লড়বে, না কংগ্রেস বা সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল লড়াই করবে, তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথা ব্যাথা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: নির্মল ঘোষের পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীরা অধরা

    Panihati: নির্মল ঘোষের পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীরা অধরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো কিংবা উৎসবে ভিড়ের মধ্যে শ্লীলতাহানি বা কোনও অপরাধ রুখতে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে বিশেষ বাহিনী তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীরা তো রয়েইছে। এসবের পরও এক মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পানিহাটিতে (Panihati)। তিনি বর্তমানে রাজ্য পুলিশের র‍্যাফে কর্মরত রয়েছেন। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতা পুলিশকর্মী খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু, ঘটনা ঘটার পর প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল, পুলিশ অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Panihati)

    গত ২৩ ডিসেম্বর পানিহাটি (Panihati) উৎসবে ডিউটিতে গিয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মী। গায়ে উর্দি পরেছিলেন তিনি। ঘড়িতে তখন রাত আনুমানিক দশটা থেকে সাড়ে দশটা। অভিযোগ, সেই সময় একদল মদ্যপ যুবক র‍্যাফের ওই মহিলা কর্মীর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। অভিযুক্তরা স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ওই মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে মহিলা পুলিশকর্মী বলেছিলেন, আমাকে সেখানে গালিগালাজ করা হয়েছিল। এমনকী ধাক্কাধাক্কির সময় অভব্য আচরণও করা ও হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যে সেখানে কর্তব্যরত অন্যান্য পুলিশ অফিসাররা এসে আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছিলেন। এরপরই খড়দা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানাই।

    বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সরব হয়েছেন

    এই বিষয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্যোশাল মিডিয়ায় মহিলার অভিযোগপত্র তুলে ধরে লিখেছেন, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ পরিচালিত পানিহাটি (Panihati) উৎসবে তৃণমূলের এক কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এক মহিলা পুলিশকর্মীকে হুমকি, গালিগালাজ ও শ্লীলতাহানি করা হয়। ৬দিন হতে চলল পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। রাজ্যে নারী সুরক্ষার হাল এতটাই খারাপ যে সাধারণ মহিলা তো বটেই , কর্তব্যরত মহিলা পুলিশও ছাড় পান না তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত থেকে।

    অভিযোগে কী লিখেছেন মহিলা পুলিশ কর্মী?

    অভিযোগপত্রে মহিলা পুলিশকর্মী কাউকে চিনতে না পারার কারণে, কারও নাম উল্লেখ করেননি। এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ থেকে শুরু করে সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা, কর্তব্যরত সরকারি কর্মীর উপর চড়াও হওয়া-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে খড়দা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারণ মহিলারা। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ কর্মী সুরক্ষিত না হলে সাধারণ মহিলাদের নিরাপত্তা কে দেবে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ‘আমার বিরুদ্ধে পুলিশ চক্রান্ত করছে’, কেন বললেন অর্জুন সিং?

    Arjun Singh: ‘আমার বিরুদ্ধে পুলিশ চক্রান্ত করছে’, কেন বললেন অর্জুন সিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নিষেধ করেছে রাজ্য নেতৃত্ব। দলের রাজ্য নেতা সুব্রত বক্সির নির্দেশ মেনে সোমনাথ ইস্যুতে আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। তবে, বুধবার বারাকপুর মহকুমা আদালতে এসে ভাইপো পাপ্পু সিংকে গ্রেফতার ও বার বার হেফাজতে নেওয়া ইস্যুতে পুলিশকে তুলোধনা করলেন তিনি। পাশাপাশি অর্জুন অনুগামীরা এদিন ফের সোমনাথ শ্যামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন।

    সোমনাথের চক্রান্তেই গ্রেফতার, বিস্ফোরক অর্জুন ভাইপো

    তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) ভাইপো পাপ্পু সিংকে কয়েকদিন আগে পুলিশ গ্রেফতার করে। পাঁচদিন হেফাজতে থাকার পর বুধবার তাঁকে ফের বারাকপুর আদালতে তোলা হয়। দাপুটে এই তৃণমূল নেতাকে আদালতে তোলা হবে বলে এদিন সকাল থেকেই পুলিশি তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। আদালত চত্বরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ড্রোন দিয়ে গোটা এলাকার নজরদারি করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৯ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতের কাছে দরবার করা হয়। বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় পাপ্পু সিং বলেন, সোমনাথ শ্যামের চক্রান্তেই আমাকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। পাপ্পু সিংয়ের আইনজীবী রাকেশ সিং বলেন, পাঁচ দিন হেফাজতে থাকার পর তার কাছ থেকে কোনও কিছু পুলিশ পায়নি। ভিকি যাদব খুনে ধৃত পঙ্কজের সঙ্গে আটমাস আগে কথা হয়েছিল পাপ্পুর। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ এসব করছে। পুলিশের একাংশে চক্রান্তের শিকার হয়েছে পাপ্পু।

    পুলিশকে তুলোধোনা করলেন অর্জুন (Arjun Singh)

    এদিন অর্জুন সিং (Arjun Singh) আদালতে এসে বলেন, আমার উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য পুলিশ চক্রান্ত করছে। পাঁচ দিনে পাপ্পুর কাছে কিছু পাওয়া যায়নি,  সাত দিন তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হল। চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়। আসলে পাপ্পু আমার সমস্ত কিছু দেখাশোনা করত। নির্বাচনটাও করত। ও সামনে আসত না। আমার অফিস ও সামলাত। তাই, এভাবে ওকে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। সেখানেই আসল সত্য প্রমাণ হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ফের তৃণমূল নেতার দৌরাত্ম্য! কম্বল বিতরণের নামে তোলাবাজির অভিযোগ

    Purba Bardhaman: ফের তৃণমূল নেতার দৌরাত্ম্য! কম্বল বিতরণের নামে তোলাবাজির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ। এলাকায় কম্বল বিতরণের নামেই চলছে তৃণমূল নেতাদের দৌরাত্ম্য। টাকা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলায়। তবে অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

    ঠিক কোথায় তৃণমূলের তোলাবাজি (Purba Bardhaman)?

    স্থানীয় (Purba Bardhaman) সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের ১ নং ব্লক এলাকায় তৃণমূলের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হবে। এই জন্য ১০০ টি কম্বলের টাকা চেয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী শেখ আরজুরকে প্রথমে চাপ দেওয়া হয়। এরপর টাকা দিতে রাজি না হলে গালিগালাজ এবং মারধরও করা হয়। ঘটনায় ফের একবার অভিযুক্ত হলেন শাসক দলের তৃণমূল নেতা।

    অভিযোগকারীর বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Bardhaman) ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী কর্মী শেখ আরজুর নিজেকে তৃণমূলের কর্মী বলে জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “সামনের রবিবার ভোতারপাড় এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ মালিকের উদ্যোগে একটি কম্বল বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের জন্য ১০০ টি কম্বলের দাম দিতে বলা হয়। কিন্তু আমি দিতে অস্বীকার করি। কারণ আমি একজন সাধারণ কর্মী মাত্র, যা বলার মালিককে বলুন। কিন্তু কোনও কথা না শুনে আমাকে কম্বল দেওয়ার কথা বলে প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হয়। আমি দিতে না পারায় ব্যাপক ভাবে মারধর করা হয়। এমন কী প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার পরে আমি বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এরপর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।”

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় (Purba Bardhaman) তৃণমূলনেতা শেখ মালেক বলেন, “সমস্ত ঘটনা মিথ্যা। ওই গোডাউনে বেআইনি কাজ চলে। খবর জানতে পেরেই আমাদের কর্মীরা সেখানে গিয়েছিল। পালটা শেখ আরজুর, আমাদের কর্মীদের নিজের দলবল নিয়ে চড়াও হয়। এলাকায় আমরা চাঁদা তুলে কম্বল বিতরণ করি। এখনও পর্যন্ত এক হাজার কম্বল কিনে ফেলছি। তাঁর কাছে টাকা নেওয়ার কোনও দাবি করিনি। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।”   

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: দলীয় মঞ্চে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে উর্দি গায়ে পুলিশ আধিকারিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    Birbhum: দলীয় মঞ্চে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে উর্দি গায়ে পুলিশ আধিকারিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) নানুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠান মঞ্চে উর্দি পরে অতিথি হিসেবে বসে পুলিশ অফিসারেরা। নানুর চণ্ডীদাস মহাবিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে বার্ষিক অনুষ্ঠানে নেতাদের পাশে মঞ্চে বসে সার্কেল ইনস্পেকটর কল্যাণপ্রসাদ মিত্র ও নানুর থানার ওসি শেখ ইজরাইল। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) নানুর চণ্ডীদাস মহাবিদ্যালয়ে বার্ষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেই মতো দলীয় পতাকা সহ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে মঞ্চ সাজানো হয়েছিল। এমনকী, মঞ্চের পিছনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ লেখা লোগো দেওয়া ছিল। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি, তৃণমূল নানুর ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। একই মঞ্চে অতিথি হিসেবে উর্দি পরে বসে থাকতে দেখা যায় নানুর সার্কেল ইনস্পেকটর (সিআই) কল্যাণপ্রসাদ মিত্রকে। এছাড়া, সাধারণ পোশাকে বসে থাকতে দেখা যায় নানুর থানার ওসি শেখ ইজরায়েলকে। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কীভাবে তৃণমূল আয়োজিত অনুষ্ঠান মঞ্চে নেতাদের সঙ্গে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসাররা বসে থাকতে পারেন। যদিও, এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি কোন তৃণমূল নেতৃত্ব।

    রাজ্যে শাসকের আইন চলছে, কটাক্ষ বিজেপির

    বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অষ্টম মণ্ডল বলেন, ‘রাজ্যে আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন চলছে। পুলিশ সব সময় শাসকের দলদাস। তাই ইউনিফর্ম পরে পুলিশ তৃণমূলের মঞ্চে বসে রয়েছে। এটা কাম্য নয়। এই পুলিশ কখনও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে? পুলিশের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা পাল্টে যাচ্ছে। এসব মানুষ বেশিদিন মেনে নেবে না। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সেই ভোটে মানুষ তৃণমূলকে বুঝিয়ে দেবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বালি তোলার সরকারি চালান নকল করে বিক্রি! লক্ষ লক্ষ টাকা আয়, তারপর কী হল জানেন?

    Birbhum: বালি তোলার সরকারি চালান নকল করে বিক্রি! লক্ষ লক্ষ টাকা আয়, তারপর কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম (Birbhum) জেলার বৈধ বালিঘাট মালিকদের অনলাইনে চালান কেটে তা ছাপিয়ে রাখতে হয়। বিক্রির সময়ে সেই চালান ট্রাক চালকদের হাতে দিয়ে দিলেই বালি নেওয়ার ছাড়পত্র মেলে। গড়ে প্রতিটি ট্রাক চালককে তিন হাজার টাকার রাজস্ব আদায়ের চালান নিতে হয়। সরকারি সেই চালান নকল ছাপিয়ে তা কম দামে বিক্রি করা হত। আর এই নকল চালানের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। রাতারাতি মালামাল হয়ে যায় নকল চালান তৈরির মালিক। লক্ষ লক্ষ টাকা আয়ও করেছে বেআইনি এই কারবার ফেঁদে। বছর দেড়েক ধরে এই কারবার চালানোর পর অবশেষে পুলিশ তদন্তে নামে। নকল কারবারির হদিশ পায় পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে ময়ূরেশ্বর থানার কলেশ্বরে হানা দিয়ে একটি ছাপাখানা ও তার মালিককে গ্রেফতারও করা হয়।

    কীভাবে চলত এই চক্র? (Birbhum)  

    বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বর থানার কলেশ্বরের কুনুটিয়া গ্রামের মোড়ে রয়েছে একটি সাইনবোর্ড। সেখানে লেখা রয়েছে, বই বাঁধানো হয়। এই বই বাঁধানোর ছাপাখানার আড়ালেই চলত নকল চালানের কারবার। দিনে রাতে লাখ লাখ টাকার লেনদেন চলত। আর নকল চালানের কারণে জেলাজুড়ে রাজস্ব আদায় কমে যাচ্ছিল। তিন হাজার টাকার চালান পাঁচশো টাকায় বিক্রি করত বলে অভিযোগ। রাস্তার পাশের দোকানে হাত গলিয়ে ‘বালি’ বললেই হুবহু আসল চালানের মতো ছাপ দেওয়া কাগজ মিলছিল এতদিন। ট্রাকচালকরা ওই নকল চালান ব্যবহার করছিলেন বলেই খবর। দিব্যি কারবার চালাচ্ছিলেন কুনুটিয়া গ্রামের আলতামাস কবির মল্লিক। অভিযোগ, গোটা পরিবারই এই কাজে যুক্ত। তদন্তে নেমে পুলিশ এই নকল কারবারির হদিশ পায়।

    ধৃতের কাছে থেকে কী কী বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?

    মঙ্গলবার গভীর রাতে অতিরিক্ত জেলাশাসক অসীম পাল, ময়ূরেশ্বর থানার ওসি-সহ যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। বেআইনি কারবারে অভিযুক্ত আলতামাসের বাড়ি থেকে দামি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ছাপার যন্ত্র-সহ একধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বীরভূম (Birbhum) জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে  কিনা তারও তদন্ত করবে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: পাচারে যুক্ত পুলিশ! ব্রাউন সুগার সহ গ্রেফতার ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মী

    Cooch Behar: পাচারে যুক্ত পুলিশ! ব্রাউন সুগার সহ গ্রেফতার ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের হাতেই পুলিশকর্মী গ্রেফতারের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ব্রাউন সুগার সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল কোচবিহারের (Cooch Behar) কোতোয়ালি থানার পুলিশ। যার মধ্যে একজন পুলিশ কনস্টেবল রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত কনস্টেবলের নাম শেখ আজিজুল। অন্য জনের নাম শেখ শাহবাজ। দু’জনের বাড়ি মালদহের রতুয়ার বাহারাল-সাহাপুরে। শাহবাজ সম্পর্কে আজিজুলের শ্যালক। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে একশো গ্রামের বেশি ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য দেড় লক্ষ টাকার মতো।

    পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ ছিল? (Cooch Behar)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ আজিজুল বছর তিরিশের যুবক। বছর চারেক আগে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পান তিনি। এক বছর আগে, কোচবিহার ক্রাইম ব্রাঞ্চের সদস্য করা হয় তাঁকে। অভিযোগ, তারপর থেকেই একাধিক অভিযান ব্যর্থ হতে শুরু করে ক্রাইম ব্রাঞ্চের। তার মধ্যে সবগুলিই ‘ব্রাউন সুগার’ সম্পর্কিত ঘটনা। বেশ কয়েকটি ঘটনায় নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে অভিযান শুরু করা হয়। ওই অভিযানের প্রত্যেকটিতে শামিল ছিলেন আজিজুল। কিন্তু নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর আগেই দেখা যায়, দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে। তাদের মোবাইলও বন্ধ। এক পুলিশ অফিসার বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আমরা গ্রাহক সেজে অভিযান করি। কিন্তু দেখা যায়, আগে থেকেই সব জেনে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তখনই আমাদের সন্দেহ দানা বাঁধে, পুলিশকর্মীদের মধ্যে থেকেই পাচার করে দেওয়া হচ্ছে অভিযানের তথ্য। তদন্তে নেমে আজিজুলকে সন্দেহ করা হয়। তাঁর মোবাইলে ফাঁদ পাততেই উঠে আসে একের পরে এক তথ্য। জানা গিয়েছে, আশ্রমঘাটে ফাঁদ পাতে কোচবিহারের (Cooch Behar) কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ব্রাউন সুগার-সহ গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। রতুয়ায় বেশ অবস্থাপন্ন আজিজুলের পরিবার। বেশ কিছু জমিজমাও রয়েছে তাঁদের। কিন্তু আজিজুল ব্রাউন সুগারের কারবারের সঙ্গে জড়িত তা বিশ্বাস করতে পারছেন না গ্রামবাসীরা।

    জেলা পুলিশ সুপার কী বললেন?

    কোচবিহারের (Cooch Behar) পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, ধৃতদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাতে আরও নতুন তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share