Tag: police

police

  • Fraud: জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা! কীভাবে জানেন?

    Fraud: জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা! কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জাল প্যান কার্ড তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ উঠল এক চক্রের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই প্রতারণা চক্রের দুই পান্ডাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অনুজ শর্মা এবং সুনীল পাটওয়া। অনুজের বাড়ি কলকাতার ট্যাংরায়। সুনীলের বাড়়ি মানিকতলায়। তাদের কাছে থেকে একাধিক মোবাইল, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

    কীভাবে প্রতারণা? (Fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রতারকরা বিভিন্ন পরিচিতদের নামে জাল প্যান কার্ড তৈরি করতো। আর সেই প্যান কার্ড দিয়ে গ্রামীণ এলাকায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলত। আর বেসরকারি ব্যাঙ্কে তারা এই ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলত। সেখানে নিয়ম মেনে বেশ কিছু টাকা ব্যাঙ্কে জমা রাখত। সেই টাকার জোগান দিত জামতাড়া গ্যাং। এরপরই নিয়ম মেনে ব্যাঙ্ক থেকে ক্রেডিট কার্ড পেয়ে যেত প্রতারকরা। সেই ক্রেডিট কার্ড নিয়েই লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করতো। মূলত তাদের টার্গেট পয়েন্ট ছিল সোনার দোকান। সোনার দোকানে গয়না কিনে টাকা মেটানোর সময় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতো। এরপর সেই সোনা ব্যাঙ্কে মডগেজ রেখে সেখান থেকে টাকা নিয়ে নিত। আর লোন তারা শোধ করত না। নিউ বারাকপুরে একটি সোনার দোকানে ৩৮ হাজার টাকার সোনা কিনেছিল প্রতারকরা। ক্রেডিট কার্ডে বিলও মিটিয়েছিল। পরে, লোন পরিশোধ না করায় প্রতারণার (Fraud) বিষয়টি জানাজানি হয়। কারণ, নতুন করে আরও একজন ওই সোনার দোকানে একই কায়দায় ক্রেডিট কার্ড নিয়ে সোনা কিনতে এসে ধরা পড়ে। তার সূত্র ধরেই আরও একজনের হদিশ পায় পুলিশ।

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিক কী বললেন?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, এই চক্রের সঙ্গে আর কারা রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫৫ লক্ষ টাকার প্রতারণার (Fraud) হিসেব আমাদের কাছে এসেছে। যদিও এই পরিমাণটা যৎসামান্য বলে মনে করছেন ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁদের ধারণা, এর থেকে অনেক বেশি প্রতারণা করছে এই প্রতারকরা। বাগুইআটি, মধ্যমগ্রাম মিলে তিনটে অফিস রয়েছে প্রতারকদের। সেখান থেকে মূলত জালিয়াতি কারবার চালাতে প্রতারকরা। সেখানেও পুলিশ হানা দিয়ে বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: থানায় সটান হাজির শুভেন্দু, পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলার হুমকি

    Suvendu Adhikari: থানায় সটান হাজির শুভেন্দু, পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলার হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকা থানার সামনে একের পর এক গাড়ি এসে থামল। গাড়ি থেকে নামলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সঙ্গে ছিলেন দলীয় বিধায়ক। সোজার ঢুকে পড়লেন থানার ভিতর। শনিবার রাত দশটার ঘটনা। ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা। থানার ভিতরে এভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ঢুকে পড়বেন তা আঁচ করতে পারেননি থানার ডিউটি অফিসার থেকে বড়বাবু। স্বাভাবিকভাবে সকলেই হকচকিয়ে যান।

    থানায় কেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  বাশগোড়াতে সভা ছিল। তার আগে বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানকার মণ্ডল কমিটির সম্পাদক যুব নেতা রবীন মান্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে  কাজ করা হয়নি বলে অভিযোগ। একেবারে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। দীর্ঘক্ষণ তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। এই ঘটনার খবর পেয়ে রাত প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ দাসপুর থেকে কাঁথির বাড়ি ফেরার পথে মারিশদা থানায় ঢুকে পড়েন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক-সহ ধৃত বিজেপি নেতার পরিজন ও একঝাঁক দলীয় সমর্থক। শুভেন্দু আসার খবরে মারিশদা থানার বাইরে ক্রমশ ভিড় জমাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। থানার সামনে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

    পুলিশকে অপহরণের মামলার হুমকি দিলেন শুভেন্দু

    গাড়ি থেকে নেমে থানার ভিতরে ঢুকে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসারের কাছে দলীয় নেতার গ্রেফতারির ‘অ্যারেস্ট মেমো’ দেখতে চান বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। এর পরেই পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। সেই সময় পুলিশকে রীতিমতো ধমকের সুরে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ ও আইনের বিভিন্ন ধারার উল্লেখ করে বিজেপি নেতার গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেন। তিনি সরাসরি পুলিশ আধিকারিককে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আপনি সুপ্রিম কোর্টের আইন অমান্য করে ক্রিমিনাল প্রসিডিওর ভায়োলেট করেছেন। আমি ওঁর (বিজেপি নেতার) স্ত্রীকে দিয়ে এখনই কিডন্যাপের (অপহরণ) অভিযোগ দায়ের করাব।’ সেই সময়েই পিছন থেকে এক পুলিশকর্মী কিছু বলতে গেলে তাঁকে থামিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘ডোন্ট ডিকটেট মি, ডিউটি অফিসার আমাকে বলুন। সিভিল ড্রেসে গিয়ে বাড়ির লোকের সই ছাড়া দলীয় কর্মীকে তুলে এনেছে। অ্যারেস্ট করেছে ৪টের সময়, এখন রাত সাড়ে ১০টা বাজে। আমি অ্যারেস্ট মেমো চেয়েছি। সেটা দিতে সাড়ে ছ’ঘণ্টা লাগে নাকি! ডিউটি অফিসার আর ওসির বিরুদ্ধে মামলা করব।’ এরপর তিনি থানার বাইরের বেঞ্চে বেশ কিছু সময় বসে থাকেন‘অ্যারেস্ট মেমো’ হাতে পাওয়ার দাবিতে। তবে পুলিশের তরফে কোনও কাগজ না পেয়ে অবশেষে রাত ১১টার আগেই তিনি মারিশদা থানা থেকে বেরিয়ে যান। যাওয়ার আগে পুলিশকে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘আপনারা আইপিসি-সিআরপিসি মানেন না। আপনাদের সঙ্গে তা হলে আদালতেই আমার দেখা হবে। এই মামলাটি অনেক দূর যাবে।’

    খেজুরি বনধের ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা

    থানা থেকে বেরিয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের পর দীর্ঘ ৫ ঘন্টা তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। সব শেষে রাত প্রায় ১০টা নাগাদ মারিশদা থানায় থাকা কয়েক জন বিজেপির শুভানুধ্যায়ী আমাকে ম্যাসেজ করে জানান, এই থানায় রবীন মান্নাকে রাখা হয়েছে। আমি থানায় ঢুকে যেতেই ডিউটি অফিসার থরথর করে কাঁপছেন। এদের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই আদালতে যাব। ধৃত নেতা স্ত্রীকে দিয়ে আমি রবিবার কাঁথি আদালতে কিডন্যাপের মামলা দায়ের করব। সোমবার হাইকোর্ট খুললে সেখানে আমি রিট পিটিশন দাখিল করব। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী সোমবার খেজুরি বনধ ডাকা হল।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অপরাধে লাগাম কীভাবে, পুলিশকে শেখাচ্ছেন অর্জুন সিং!

    Barrackpore: বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অপরাধে লাগাম কীভাবে, পুলিশকে শেখাচ্ছেন অর্জুন সিং!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও অপরাধে লাগাম টানতে পারেনি। এক বা দু’বার নয়, বার বার অপরাধীরা প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে খুন করছে। ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা জ্বলন্ত প্রমাণ। শুধু সামান্য বিষয় নিয়ে গন্ডগোলের জেরে মুড়়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি হচ্ছে। কার্যত বারাকপুর শিল্পাঞ্চল অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলেও বারাকপুরের সাংসদ কয়েক দফা দাওয়াই দিয়েছেন। সেগুলি মেনে চললে শিল্পাঞ্চলে অপরাধে লাগাম টানা সম্ভব বলে সাংসদের দাবি। তিনি বলেছেন, আমার বাবা, দাদু সকলেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অপরাধে কী করে লাগাম টানতে হয়, তা আমি জানি। এই শিল্পাঞ্চলে হুকিং, জুয়া আর হেরোইন বন্ধ করতে হবে। এখান থেকে অপরাধীদের হাতে কাঁচা পয়সা আসে। আর তাতে জোর বেড়ে যায়। এই তিনটি জিনিস বন্ধ করতে হবে। আর অপরাধীদের এলাকার বাইরে, নাহলে জেলে রাখতে হবে। এই পদক্ষেপগুলি নেওয়া হলেই শিল্পাঞ্চলে অপরাধে লাগাম টানা যাবে। যদিও তাঁর এইসব বাণী শুনে আড়ালে অনেকেই হাসাহাসি করছেন। কারণ, জনশ্রুতি আছে, বারাকপুর এলাকাজুড়ে তাঁর আগোচরে নাকি কোনও অপরাধই সংঘটিত হতে পারে না। সে হেন অর্জুন দিচ্ছেন নীতিশিক্ষার পাঠ? 

    নাইন এমএম দিয়ে তৃণমূল কর্মী ভিকিকে খুন! (Barrackpore)  

    বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে অপরাধীদের হাতে সহজেই সেভেন এমএম, নাইন এমএম পৌঁচ্ছে যাচ্ছে। ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে নাইন এমএম দিয়ে খুন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নাইন এমএম খোল উদ্ধার করেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে। ফুটেজ খতিয়ে দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে, ঘটনার পর দুদিন কেটে গেলেও মূল অপরাধী তো দূরের কথা, যারা খুনের ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাদের নাগাল পেল না পুলিশ।

    জেলে বসেই হচ্ছে সমস্ত অপরাধের পরিকল্পনা

    জেলে বসেই বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে একের পর এক অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। জগদ্দল থানার ভাটপাড়ার পুরসভায় এলাকায় তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে আরও একবার প্রমাণ করে দিল। বছরখানেক আগে বারাকপুরে নামী বিরিয়ানি দোকানের মালিকের উপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেই হামলার ছকও হয়েছিল দমদম জেলে বসে। তদন্তে পুলিশের হাতে এই তথ্য আসে। কিছুদিন আগে পলতা এলাকায় এক তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি করে। সেই ঘটনার পরিকল্পনা জেলে বসেই হয়েছিল। পাশাপাশি জেল থেকে ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে তোলার টাকা চাওয়া হয়। বার বার জেলের নাম সামনে আসতেই  বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট পক্ষ থেকে বারবার দমদম জেল ও বারাকপুর জেল কর্তৃপক্ষকে দুর্গা পুজোর আগে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না ভাটপাড়ার ঘটনা তা প্রমাণ করে দিয়েছে। জেলে বসেই দাগি অপরাধীরা অনায়াসেই মোবাইল ব্যবহার করছেন। আর সেই মোবাইল থেকেই আসছে তোলাবাজি ও খুনের হুমকি ফোন। রীতিমতো ত্রাসের সৃষ্টি হচ্ছে ওইসব ফোন। ফোনের পর ঘটে যাচ্ছে একটার পর একটা ঘটনা। তৃণমূল কর্মী ভিকিকেও জেল থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Police: মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশকে বার বার আক্রমণ তৃণমূলের নেতাদের, দলের লাগাম নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Police: মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশকে বার বার আক্রমণ তৃণমূলের নেতাদের, দলের লাগাম নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদাধিকার বলে পুলিশমন্ত্রী। আর সেই পুলিশকেই (Police) নিশানা করছেন শাসকদলের বিধায়করা। কেউ পুলিশকে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, কেউ আবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। ভাঙড় থেকে মহিষাদল। শাসক দলের নেতাদের নিশানায় পুলিশ। দলের লাগাম নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    পুলিশকে (Police) কেন হুঁশিয়ারি দিলেন বিধায়ক শওকত মোল্লা?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় কয়েকদিন আগে একটি ফুটবল ম্যাচের শেষে বাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় ভাঙড় কলেজ মাঠে। সেই সময় পুলিশ কর্তারা বিশৃঙ্খলা থামানোর চেষ্টা করলে বিধায়ক মাইক্রোফোন হাতে পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা।  তিনি বলেন, ‘আমরা তো বলেছি বাজি ফাটবে না। কোন পুলিশ (Police) অ্যারেস্ট করবে? ইয়ার্কি হচ্ছে? মগের মুল্লুক পেয়েছেন নাকি? একবার অ্যারেস্ট করে দেখান।’ মাইক্রোফোন হাতে উত্তেজিত ভাবে কথা বলতে বলতে বিধায়ক মঞ্চের নীচে নেমে গিয়ে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কিও জুড়ে দেন শওকত। সূত্রের খবর, ওই পুলিশ কর্তা দমে না গিয়ে পাল্টা বিধায়ককে বলেন, ‘আপনি ঘোষণা করলেও ছেলেরা শুনছে না, বাজি ফাটানো বন্ধ করছে না।’ সেই সময় শওকত ঘনিষ্ঠ সাদেক মল্লিককে আবার মাইক্রোফোন হাতে পুলিশের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা শান্ত থাকুন, অযথা হুজ্জোতি করবেন না।’

    মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়কও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন

    কয়েকদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরে মহিষাদল ব্লকের কেশবপুর জালপাই রাধাকৃষ্ণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের শতবর্ষ পূর্তি উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানে তুমুল গণ্ডগোল বাধে বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রামকৃষ্ণ দাসের অনুগামীদের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তীর অনুগামীদের। সেদিন বিজেপি প্রধানকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পালটা, তৃণমূল বিধায়ককে কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ, মারধরের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার পর তৃণমূল বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তীরকে ফোনে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। এরপরই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘পুলিশের (Police) ওইদিন যে ধরনের ভূমিকা নেওয়া উচিত ছিল, সেই ধরনের ভূমিকা পুলিশ নেয়নি।’ বিধায়কের এই মন্তব্যকে সমর্থন করে তমলুক সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূলের সভাপতি আজগর আলি বলেন,’পুলিশ সব জায়গায় নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করছে না। অনেক জায়গায় পক্ষপাতিত্ব করছে। ‘

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: হুগলিতে সারের ব্যাপক দুর্নীতি! বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে, মাথায় হাত কৃষকদের

    Hooghly: হুগলিতে সারের ব্যাপক দুর্নীতি! বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে, মাথায় হাত কৃষকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে তৃণমূলের শাসনে দুর্নীতির শেষ নেই। শিক্ষক নিয়োগ, রেশন বণ্টন, পুরসভা নিয়োগ, কয়লা, বালি, পাথর, মাটি, টিকিট বিক্রি এমনকী মৃতদেহের মতো এবার কৃষকের সার নিয়েও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সার বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। কার্যত চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। আলুচাষের মরসুমে সারের কালবাজারির খোঁজ মিলতেই এবার হানাদিল হুগলি জেলা পুলিশ। হুগলির (Hooghly) গ্রামীণ এলাকায় ডিএসপি নিমাই চৌধরির নেতৃত্বে সিঙ্গুরে বেশ কিছু সারের দোকানে অভিযান চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় বেশ কিছুসময় ধরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সারের কারবারে কালবাজারি শুরু করেছে বলে খবর ছিল। জেলার ব্লকগুলির মধ্যে এই সময় একটা বিরাট চক্র চলছিল। আর তাই পুলিশের তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। বিরোধীরা অবশ্য অভিযোগ করছেন সব দুর্নীতির মধ্যে তৃণমূল নেতাদের ভাগ রয়েছে।

    চাষিদের মূল অভিযোগ কী?

    শীতের শুরুতেই আলু চাষের পাশাপাশি সর্ষে, গম, ভুট্টা এবং সবজি ফলনের একটা সময় পর্ব চলে। সিঙ্গুরের চাষিরা জানিয়েছেন, “এই সময় চাষের জমিকে প্রস্তুত করতে চাষিরা ফসলের জমিতে সার দিতে হয়। ফলে সারের চাহিদা বাজারে বেশি থাকে। আর এই চাহিদায় সঙ্কট তৈরি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সারের কালোবাজারি করে। নির্ধারিত মূল্যের থেকে দ্বিগুণ মূল্যে সার বিক্রি করা চলছে এলাকায়। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না।” চাষিদের আরও অভিযোগ যে গোডাউনে সার মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম চাহিদার আবহ তৈরি করে চলছিল রমরমা সারের ব্যবসা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাই সারের দাম নিয়ে কালোবাজারি বন্ধের অভিযোগ জানায় কৃষকরা। আর তাই অভিযোগ উঠতেই পুলিশ প্রশাসন, সিঙ্গুরে (Hooghly) একেবারে সক্রিয় হয়ে হানাদেয় বলে জানা যায়।

    পুলিশের বক্তব্য

    হুগলি (Hooghly) জেলার ডিএসপি পুলিশ আধিকারিক নিমাই চৌধরি বলেন, “আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। বেশ কিছু দোকানে সারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। তাই আমরা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে দোকানে দোকানে দাম যাচাই করছি। সারের বিক্রিতে দামে গরমিল পেলে আইন অনুয়ায়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরপর সারা জেলাজুড়ে এই তাল্লাশি চলবে।” তবে কালোবাজারি রুখতে পুলিশ অতিরিক্ত সার মজুত আছে কিনা সেই বিষয়ে নজর রাখছেন। মজুত করা থাকলে সারের হিসাবের বিষয়টিকেও দোকানে দোকানে মিলিয়ে দেখেছেন পুলিশ আধিকারিক। দোকানে সারের মূল্যের তালিকা রয়েছে কিনা, সেই দিকগুলিও খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সকল দোকানের মালিককে বলা হয়েছে সারের মূল্যের তালিকা দোকানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • New Barrackpore: প্রকাশ্যে মদ্যপানের বিরোধিতা করতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ, চাঞ্চল্য

    New Barrackpore: প্রকাশ্যে মদ্যপানের বিরোধিতা করতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে কালীপুজোর চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আক্রান্ত হন। ক্লাবের ছেলেরা মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেন। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকেও মারধর করা হয়। এবার প্রকাশ্যে মদ খাওয়ার বিরোধিতা করার জন্য ক্লাবের ছেলেদের হাতে আক্রান্ত হলেন এক মহিলা পুলিশ কর্মী সহ এক পুলিশ অফিসার। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নিউ বারাকপুর (New Barrackpore) পুরসভার ৮নং ওয়ার্ডে জনকল্যাণ পাড়া এবং ৪ নং ঝিলের সামনে একটি গলিতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে। বার বার এরকম হামলার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (New Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ বারাকপুর (New Barrackpore) পুরসভার ৮নং ওয়ার্ডে জনকল্যাণ পাড়ায় চলছিল স্থানীয় ক্লাবের শ্যামা পুজো উপলক্ষে বিচিত্রানুষ্ঠান। তারপর রাত ১২ টায় পাশের ঝিলে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। থানার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা এলাকায় ডিউটি করছিলেন। রাতে গলিতে কয়েকজন যুবক প্রকাশ্যে মদ্যপান করছিলেন। প্রতিবেশীরা মদ্যপানের প্রতিবাদে করলে তাঁরা হুমকি দেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন প্রতিবেশীদের। শেষে নিউ বারাকপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রতিবেশীরা। ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত টহলদারি পুলিশ কর্মীরা গেলে যুবকদের হাতে তাঁরা আক্রান্ত হন। কর্তব্যরত মহিলা পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে  ওই যুবকরা। নিগৃহীত করা হয় মহিলা পুলিশ কর্মীকেও। হামলার জেরে থানার সাব ইন্সপেক্টর আশিস গুহ গুরুতরভাবে জখম হন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নিউ বারাকপুর থানার অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। ঘটনার পর পরই পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে চারজন যুবককে আটক এবং পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের বারাকপুর আদালতে হাজির করা হয়। এর আগেও এই থানা এলাকায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Jalpaiguri: রাস্তা আটকে চাঁদা আদায়! প্রতিবাদ করতে গিয়ে মাথা ফাটল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের

    Jalpaiguri: রাস্তা আটকে চাঁদা আদায়! প্রতিবাদ করতে গিয়ে মাথা ফাটল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ির আংরাভাসা এলাকায়। ক্লাবের ছেলেদের হাতে আক্রান্ত হন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াংডেন ভুটিয়া ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jalpaiguri)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ির আংরাভাসা এলাকায় একটি ক্লাবে কালীপুজোর অনুষ্ঠান চলছিল। অভিযোগ, সেই সময় ক্লাবের সদস্যরা এশিয়ান হাইওয়েতে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা তুলছিলেন। এর ফলে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। তাতে আটকে যায় জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াংডেন ভুটিয়ার গাড়িও। তাঁর নিরাপত্তারক্ষী গাড়ি থেকে নেমে বিষয়টি দেখতে গেলে চাঁদা আদায়কারীরা তাঁর ওপর চড়াও হন। তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিজে গাড়ি থেকে নেমে নিরাপত্তারক্ষীকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার জেরে এলাক জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

    কী বললেন আক্রান্ত পুলিশ আধিকারিক?

    জখম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াংডেন বলেন, বেশ কয়েকজন রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে টাকা তুলছিল। রাস্তায় যানজট হচ্ছে বলে আমার নিরাপত্তারক্ষী বিষয়টি দেখতে যান। ওরা তাঁকে মারধর করে। চোখের সামনে নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করতে দেখে আমি তাঁকে বাঁচাতে যাই। ওরা আমার উপর চড়াও হয়।

    জেলার পুলিশ সুপার কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার পুলিশ সুপার খান্ডবহালে উমেশ গণপত বলেন,  রাস্তা আটকে চাঁদা আদায় করা অন্যায়। তারপর পুলিশ আধিকারিকের উপর চড়াও হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Jalpaiguri: নেতা-মন্ত্রীদের ভিড়ে আটকে পড়ল মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স! ক্লোজ পুলিশ আধিকারিক

    Jalpaiguri: নেতা-মন্ত্রীদের ভিড়ে আটকে পড়ল মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স! ক্লোজ পুলিশ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মা মাটি সরকারের শাসক দল তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের ভিড়ে আটকে থাকলো মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স। তৃণমূল মানবিক! বার বার শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের ভাষণে শোনা যায়। কিন্তু কালীপুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ল সারি সারি গাড়ি। আর এই গাড়ির ভিড়ের মধ্যে আটকে গেল মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স। ঘটনায় ক্লোজ করা হল এক পুলিশ আধিয়ারিককে। ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়িতে।  

    কিন্তু প্রশ্ন হল শাসক দলের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে। নাগরিক সমাজের প্রতি যদি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতারা দায়িত্বশীল থাকেন, তাহলে এমন ঘটনার জন্য নেতা-মন্ত্রীদের কি কোনও শাস্তির বিধান রয়েছে? নাকি সব দায় আমলাদের? এই প্রশ্নই উঠছে ধূপগুড়িতে (Jalpaiguri) কালীপুজোর উদ্বোধন করতে আসা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের ভূমিকা নিয়ে।

    নেতা-মন্ত্রীর ভিড়ে আটকে যায় অ্যাম্বুল্যান্স (Jalpaiguri)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন ধূপগুড়িতে। সঙ্গে ছিলেন জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপার। গাড়ির ভিড়ে রাস্তা জ্যাম হয়ে যায়। এই অবস্থায় রাস্তায় আটকে পরে এক অসুস্থ মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স। সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। আধ ঘণ্টার সময়ের বেশি সময় ধরে আটকে ছিলেন রাস্তায়। এরপর রোগীর পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘটনাস্থলে এলাকায় শতাধিক মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এরপরই ঘটনায় অভিযোগ জমা পড়লে ঘটনায় ক্লোজ হন এক পুলিশ আধিয়ারিক।

    জেলা শাসকের বক্তব্য

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার জেলা শাসক উমেশ খান্ডবাহালে বলেন, “বিকল্প রাস্তা খোলা ছিল। ওই রাস্তা দিয়ে অনেক গাড়ি চালাচল করছিল। প্রাথমিক ভাবে একজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনায় কোনও চক্রান্ত হয়েছে কী না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

  • Bankura: “পুলিশ আধিকারিক আমার গলা টিপে ধরেছিলেন”, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের

    Bankura: “পুলিশ আধিকারিক আমার গলা টিপে ধরেছিলেন”, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটির নিধিরামপুর গ্রামে ফের নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিল। বুধবার স্থানীয় বিজেপি কর্মী শুভদীপ মিশ্র ওরফে দীপুর বটগাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তাল হয় ওই গ্রাম। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামে যান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ও শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। এমনকী সত্যনারায়ণবাবুর গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠল এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। রীতিমতো বিজেপি বিধায়কের গায়ে হাত তুলে দাদাগিরি দেখানোর চেষ্টা করেন ওই পুলিশ আধিকারিক। কর্মীদের বিক্ষোভে পুলিশ আধিকারিক কিছুটা চুপসে যান। যদিও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধায়কের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bankura)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটি থানার নিধিরামপুর গ্রামে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় স্থানীয় বিজেপি কর্মী তথা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পঞ্চায়েত প্রার্থী শুভদীপ মিশ্র ওরফে দীপুর। বাড়ির অদূরে নিধিরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে বটগাছের ডালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে দাবি তুলে শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির নেতৃত্বে প্রবল ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। পরে ঘটনার সিবি আই তদন্তের দাবিতে বিজেপি কর্মীরা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। বৃহস্পতিবার নিধিরামপুর গ্রামে যান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। সঙ্গে ছিলেন শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি ও ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। গ্রামে হাজির থাকা উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের কাছে ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিধায়করা। এক পুলিশ আধিকারিক উত্তেজিত হয়ে বিজেপি বিধায়কের গায়ে হাত দিয়ে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনেই ওই পুলিশ আধিকারিক দাদাগিরি দেখাতে শুরু করেন। বিধায়কের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেন বলে কর্মীদের অভিযোগ। আর তাতেই ছাতনার ওই আক্রান্ত বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন। শুরু হয় প্রবল বচসা। পরে, দুপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

    পুলিশের হাত তোলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ আধিকারিককে আমরা কিছু প্রশ্ন করি। ওই পুলিশ আধিকারিক ভয় দেখিয়ে আমার গলা টিপে ধরেছিলেন। তখনই আমি ক্ষোভ জানাই। ধমকে, চমকে আমাদের ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, পুলিশের তদন্ত নিয়ে গ্রামবাসীরা সন্দিহান। তাই, সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন। পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রকৃত তদন্ত করবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছে। আর বিধায়কের গায়ে পুলিশ আধিকারিকের হাত তোলা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিধায়ককে আঙুল তুলে কথা বলতে পারেন না পুলিশ। সেখানে বিধায়কের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উত্তাল বাঁকুড়া, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Bankura: বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উত্তাল বাঁকুড়া, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটি থানার নিধিরামপুর গ্রাম। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মৃতের নাম শুভদীপ মিশ্র। তিনি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের কাছে বুধবার সকালে বটগাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন শুভদীপবাবু। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের লোকজনের অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bankura)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভদীপ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হওয়ায় এলাকার মানুষের অনেকটাই কাছের হয়ে উঠেছিলেন। তিনি ভালো সংগঠক ছিলেন। মাঝে মধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। গত সাতদিন আগে তিনি উধাও হয়ে যান। মঙ্গলবারই বাড়ি ফেরেন। এরপরই এদিন সকালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির কাছে একটি বটগাছের ডালে নাইলন দড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। দেহের সঙ্গে বাঁধা ছিল হাত। প্রকৃত তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ গেলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। পুলিশ কুকুর এনে তদন্তের দাবি জানানো হয়। এভাবে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে দেহ আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ। তার পর ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ দেহ নিতে গিলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। দোষীদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবি তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামের মানুষ। ভাঙচুর করা হয় প্রতিবেশী এক মহিলার বাড়িও। ওই মহিলা-সহ তাঁর পরিবারের তিনজনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা প্রথমে বাধা দেন।খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে যান শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি যান। মৃতের গলা থেকে ফাঁস খুলে দেহ গাড়িতে চাপিয়ে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই শালতোড়ার বিধায়ক পুলিশের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ পাঁজাকোলা করে বিধায়ককে সরিয়ে দেয়।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি বলেন, পরিবারের দাবি, দীপুকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। আমি তদন্তের দাবি জানালে আমাকেও হেনস্তা করেছে পুলিশ। রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। আমরা তদন্তের দাবি থেকে নড়ছি না। এর পর আমরা গঙ্গাজলঘাটি থানা ঘেরাও করব। প্রয়োজনে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করব।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন তিনি ট্যুইট করে স্পষ্ট বলেছেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রার্থী শুভদীপের জনপ্রিয়তা মানতে পারেনি তৃণমূল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় খুন করা হয়েছে শুভদীপকে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের আড়াল করবে রাজ্য পুলিশ, সিবিআই তদন্ত চাই’।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের গঙ্গাজলঘাটি-২ নম্বর সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি নিমাই মাজি বলেন, ঘটনা আত্মহত্যা কি না তা তো তদন্তেই বোঝা যাবে। পারিবারিক কারণেই এই ঘটনা বলে আমার ধারণা। প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে ওই যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তার জেরে এই ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share