Tag: police

police

  • Bankura: “পুলিশ আধিকারিক আমার গলা টিপে ধরেছিলেন”, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের

    Bankura: “পুলিশ আধিকারিক আমার গলা টিপে ধরেছিলেন”, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটির নিধিরামপুর গ্রামে ফের নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিল। বুধবার স্থানীয় বিজেপি কর্মী শুভদীপ মিশ্র ওরফে দীপুর বটগাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তাল হয় ওই গ্রাম। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামে যান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ও শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। এমনকী সত্যনারায়ণবাবুর গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠল এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। রীতিমতো বিজেপি বিধায়কের গায়ে হাত তুলে দাদাগিরি দেখানোর চেষ্টা করেন ওই পুলিশ আধিকারিক। কর্মীদের বিক্ষোভে পুলিশ আধিকারিক কিছুটা চুপসে যান। যদিও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধায়কের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bankura)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটি থানার নিধিরামপুর গ্রামে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় স্থানীয় বিজেপি কর্মী তথা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পঞ্চায়েত প্রার্থী শুভদীপ মিশ্র ওরফে দীপুর। বাড়ির অদূরে নিধিরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে বটগাছের ডালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে দাবি তুলে শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির নেতৃত্বে প্রবল ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। পরে ঘটনার সিবি আই তদন্তের দাবিতে বিজেপি কর্মীরা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। বৃহস্পতিবার নিধিরামপুর গ্রামে যান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। সঙ্গে ছিলেন শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি ও ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। গ্রামে হাজির থাকা উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের কাছে ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিধায়করা। এক পুলিশ আধিকারিক উত্তেজিত হয়ে বিজেপি বিধায়কের গায়ে হাত দিয়ে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনেই ওই পুলিশ আধিকারিক দাদাগিরি দেখাতে শুরু করেন। বিধায়কের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেন বলে কর্মীদের অভিযোগ। আর তাতেই ছাতনার ওই আক্রান্ত বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন। শুরু হয় প্রবল বচসা। পরে, দুপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

    পুলিশের হাত তোলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ আধিকারিককে আমরা কিছু প্রশ্ন করি। ওই পুলিশ আধিকারিক ভয় দেখিয়ে আমার গলা টিপে ধরেছিলেন। তখনই আমি ক্ষোভ জানাই। ধমকে, চমকে আমাদের ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, পুলিশের তদন্ত নিয়ে গ্রামবাসীরা সন্দিহান। তাই, সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন। পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রকৃত তদন্ত করবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছে। আর বিধায়কের গায়ে পুলিশ আধিকারিকের হাত তোলা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিধায়ককে আঙুল তুলে কথা বলতে পারেন না পুলিশ। সেখানে বিধায়কের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উত্তাল বাঁকুড়া, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Bankura: বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উত্তাল বাঁকুড়া, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটি থানার নিধিরামপুর গ্রাম। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মৃতের নাম শুভদীপ মিশ্র। তিনি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের কাছে বুধবার সকালে বটগাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন শুভদীপবাবু। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের লোকজনের অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bankura)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভদীপ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হওয়ায় এলাকার মানুষের অনেকটাই কাছের হয়ে উঠেছিলেন। তিনি ভালো সংগঠক ছিলেন। মাঝে মধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। গত সাতদিন আগে তিনি উধাও হয়ে যান। মঙ্গলবারই বাড়ি ফেরেন। এরপরই এদিন সকালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির কাছে একটি বটগাছের ডালে নাইলন দড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। দেহের সঙ্গে বাঁধা ছিল হাত। প্রকৃত তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ গেলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। পুলিশ কুকুর এনে তদন্তের দাবি জানানো হয়। এভাবে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে দেহ আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ। তার পর ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ দেহ নিতে গিলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। দোষীদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবি তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামের মানুষ। ভাঙচুর করা হয় প্রতিবেশী এক মহিলার বাড়িও। ওই মহিলা-সহ তাঁর পরিবারের তিনজনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা প্রথমে বাধা দেন।খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে যান শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি যান। মৃতের গলা থেকে ফাঁস খুলে দেহ গাড়িতে চাপিয়ে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই শালতোড়ার বিধায়ক পুলিশের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ পাঁজাকোলা করে বিধায়ককে সরিয়ে দেয়।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি বলেন, পরিবারের দাবি, দীপুকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। আমি তদন্তের দাবি জানালে আমাকেও হেনস্তা করেছে পুলিশ। রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। আমরা তদন্তের দাবি থেকে নড়ছি না। এর পর আমরা গঙ্গাজলঘাটি থানা ঘেরাও করব। প্রয়োজনে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করব।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন তিনি ট্যুইট করে স্পষ্ট বলেছেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রার্থী শুভদীপের জনপ্রিয়তা মানতে পারেনি তৃণমূল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় খুন করা হয়েছে শুভদীপকে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের আড়াল করবে রাজ্য পুলিশ, সিবিআই তদন্ত চাই’।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের গঙ্গাজলঘাটি-২ নম্বর সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি নিমাই মাজি বলেন, ঘটনা আত্মহত্যা কি না তা তো তদন্তেই বোঝা যাবে। পারিবারিক কারণেই এই ঘটনা বলে আমার ধারণা। প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে ওই যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তার জেরে এই ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: উর্দি পরে মঞ্চে উঠে তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে সংবর্ধনা নিলেন থানার আইসি

    Uttar Dinajpur: উর্দি পরে মঞ্চে উঠে তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে সংবর্ধনা নিলেন থানার আইসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পুজোর সময় মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি দেবদূত গড়মের হাতে উপহার তুলে দিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। নবমীর রাতের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। উর্দি পড়ে থানার মধ্যে সেই উপহার নেন থানার আইসি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। সেই জের কাটতে না কাটতেই ফের তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে উর্দি পরে মঞ্চে হাজির থানার আইসি। এই ঘটনায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পুলিশ দলদাস। শাসক দলের হয়ে কাজ করে পুলিশ। বিরোধীদের আনা অভিযোগ যে সত্যি তা এই ঘটনার মধ্যে দিতে আরও একবার প্রমাণিত হল। বিতর্কিত এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার চোপড়ার চোপড়া হাই স্কুল মাঠে। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Uttar Dinajpur)

    তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বিজয়া সন্মেলনীর অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে এবারে বিতর্ক দেখা দিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়ায়। মঙ্গলবার চোপড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয়া সন্মেলনীর মঞ্চে দেখা গেল চোপড়া থানার আইসি সঞ্জয় দাসকে।  রীতিমতো উর্দি পরে অনুষ্ঠান মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন তিনি। মঞ্চে ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে সংবর্ধনা দিতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বকে। মঞ্চে হাজির ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হামিদুল রহমানও। প্রকাশ্যে দলীয় মঞ্চে উর্দি পড়ে পুলিশ অফিসার কেন উঠলেন তা জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, দলের নির্দেশে ব্লকে এবং জেলা স্তরে বিজয়া সন্মেলনীর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই উপলক্ষেই হয়ত দলের আমন্ত্রণে আইসি সাহেব অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন। এতে রাজনীতির কিছু দেখছি না। বিরোধীরা এটা নিয়ে জলঘোলা করার চেষ্টা করছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলার (Uttar Dinajpur) সহ সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, পুলিশকে  দলদাসে পরিণত করেছে তৃণমূল। যে কারণে রাজনৈতিক মঞ্চেও হাজির হতে দ্বিধা করছে না পুলিশ। পুলিশের এই ভাবমূর্তি জনগণের কাছে নষ্ট হচ্ছে। এই আইসি নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে। তিনি আর থানার আইসি নন, তিনি এখন তৃণমূলের আইসি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: পুলিশের কনভয়ে জঙ্গি হামলা! মণিপুরে রুদ্ধশ্বাস অভিযান অসম রাইফেলসের

    Manipur Violence: পুলিশের কনভয়ে জঙ্গি হামলা! মণিপুরে রুদ্ধশ্বাস অভিযান অসম রাইফেলসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর পুলিশের কমান্ডোদের একটি দলকে রক্ষা করতে এগিয়ে এল অসম রাইফেলসের জওয়ানরা। ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। দাবি করা হচ্ছে,ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩১ অক্টোবর। মণিপুর পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিককে জঙ্গিরা গুলি করে হত্যা করার পর থেকে তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল রাজ্য পুলিশের কমান্ডো বাহিনী। ওই দলটি ইম্ফল থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে টহল দিচ্ছিল। সেই সময় হাইওয়ের উপর কমান্ডো বাহিনীর কনভয়কে লক্ষ্য করে পাহাড়ের উপর থেকে আচমকাই হামলা চালায় জঙ্গিরা। 

    কী ঘটেছিল

    জানা গিয়েছে, মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ভারত-মায়ানমার সীমান্তবর্তী শহর মোরেহের দিকে যাচ্ছিল পুলিশের একটি কনভয়। টেংনোপাল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরের সাইবোলের কাছে হঠাৎ পুলিশের কনভয়ের উপর অতর্কিত হামলা চালায় জঙ্গিরা। গুলিবর্ষণ করতে থাকে তারা। পুলিশের কনভয়ের উপর জঙ্গিদের হামলার খবর পান অসম রাইফেলসের জওয়ানরা। সঙ্গে সঙ্গে জওয়ানদের একটি দল ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। জঙ্গিদের পালটা জবাব দেয় তারা। পুলিশের দলটিকে অতর্কিত হামলার হালার হাত থেকে রক্ষা করলেও, বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম হন। তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

    কী বলছে পুলিশ

    পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে নতুন করে মণিপুরের হিংসায় এক পুলিশ অফিসারের মৃ্ত্যু হয়েছিল। এরপর নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য মনিপুর সরকার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছিল। সাইবোলের কাছে হেলিপ্যাডের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্যই পাঠানো হচ্ছিল মণিপুর পুলিশের একটি বিশেষ দলকে। জঙ্গিরা পাহাড়ের উপরে থাকায় বেশি সুবিধা পাচ্ছিল। কমান্ডোদের সব গতিবিধি নজর রেখে তাঁদের উপর হামলা চালাচ্ছিল। সেই সময় ওই হাইওয়েতেই টহল দিচ্ছিল অসম রাইফেলসের মাইন প্রতিরোধী গাড়ি। কমান্ডোদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে বিষয়টি চোখে পড়তেই অসম রাইফেলসের জওয়ানরা তাঁদের ‘কভার’ করতে এগিয়ে যান। মাইন প্রতিরোধী গাড়ি থেকে জঙ্গিদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালাতে থাকেন তাঁরা। আর সেই সুযোগেই একের পর এক কমান্ডোদের উদ্ধার করেন তাঁরা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Katwa: গঙ্গায় নেমে মোবাইলে করছিলেন রিলস! তলিয়ে গেলেন দুই ছাত্র

    Katwa: গঙ্গায় নেমে মোবাইলে করছিলেন রিলস! তলিয়ে গেলেন দুই ছাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গায় স্নানের দৃশ্য মোবাইলে রেকর্ড করতে নেমেছিলেন তিন যুবক। এঁদের দুজনের হাতে ছিল মোবাইল। বাকি দুই বন্ধু ছিলেন পাড়ে দাঁড়িয়ে। ভালোই ভিডিও তোলা হচ্ছিল। কিন্তু, তার মধ্যেই ঘটে গেল অঘটন। মুহূর্তের অসতর্কতায় দুই যুবক গঙ্গার জলে তলিয়ে গেলেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার (Katwa) দেবরাজ ঘাটে। নিখোঁজ দুই যুবকের নাম দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় ও অভিষেক সিং। বর্ধমান শহরে তাঁদের বাড়ি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Katwa)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বর্ধমানের পাঁচজন ছাত্র মিলে কাটোয়ার (Katwa) বিআইটি কলেজের রেজিস্ট্রেশন তুলতে এসেছিলেন। পরে দুপুর নাগাদ তাঁরা কাটোয়ার দেবরাজ ঘাটে গঙ্গাস্নান করতে যান। তাঁদের ইচ্ছা ছিল, গঙ্গাস্নানের দৃশ্যের রিলস তৈরি করবেন। সেইমতো মোবাইল নিয়ে গঙ্গার জলে স্নান করতে নেমেছিলেন দীপঙ্কর, অভিষেক-সহ আরও এক যুবক। দুই যুবক পাড়ে বসেছিলেন। এরই মধ্যে হঠাৎ করে দু’জন গঙ্গার জলে তলিয়ে যেতে থাকেন। অপরজন কোনওরকমে পাড়ে এসে ওঠেন। নদীর পাড়ে থাকা বন্ধুরা দু’জনকে তলিয়ে যেতে দেখে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। গামছা ছুড়ে দেন জলে ডুবতে থাকা বন্ধুদের দিকে। কিন্তু, চেষ্টা করে কোনও লাভ হয়নি। দুই বন্ধু গঙ্গায় তলিয়ে যেতেই কাটোয়া থানায় খবর দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে কাটোয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পাশাপাশি কাটোয়া থানার পুলিশ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের খবর দিয়ে নিয়ে আসে। গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া দুই ছাত্রের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

    কী বললেন কাটোয়ার পুরপ্রধান?

    এ-প্রসঙ্গে কাটোয়ার (Katwa) পুরপ্রধান সমীর সাহা বলেন, ‘গঙ্গাবক্ষের ওই অংশে বেশ কিছু গর্ত রয়েছে। পুরসভার তরফে ওই এলাকায় গঙ্গায় স্নান করতে না নামার সতর্কবার্তা দিয়ে বোর্ডও লাগানো আছে। কিন্তু তারপরেও সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে তাঁরা গঙ্গায় নেমেছিলেন। শুনেছি ওরা ছবি তোলায় মত্ত হওয়ার কারণেই এই বিপত্তি হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Titagarh: টিটাগড়ে ফের দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Titagarh: টিটাগড়ে ফের দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল টিটাগড়ের উড়ানপাড়া এলাকা। টিটাগড় (Titagarh) পুরসভার তৃণমূলের দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে বলে অভিযোগ। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর ফলে ফের টিটাগড় পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। এক সপ্তাহ আগেই তৃণমূল কাউন্সিলার বিকাশ সিং এবং সনু সাউয়ের মধ্যে প্রকাশ্যে মারামারি হয়েছিল। সংঘর্ষের জেরে বিকাশের এক অনুগামীর মৃত্যু হয়। এনিয়ে পুলিশের ধমক খেতে হয় সনু সাউকে। যা নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা হয়। দলীয় নেতৃত্ব সতর্ক করার পরও ফের টিটাগড় পুরসভার অন্য দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে প্রকাশ্যে গন্ডগোল বাধল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশ উড়ানপাড়া এলাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা টোটো, অটোতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ভাঙচুরের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Titagarh)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টিটাগড় (Titagarh) পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিষ্ণু সিং এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মহম্মদ জলিলের অনুগামীদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। আসলে ঘটনার সূত্রপাত একটি ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। রবিবার রাতে জি সি রোড এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আর তাতে দুই কাউন্সিলারের অনুগামীরা একে অপরকে দায়ী করে বচসা শুরু করে। বচসা থেকে হাতাহাতি বাধে। দুপক্ষই হামলায় জখম হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতেই উড়ানপাড়ার দিকে সকলেই পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদের পিছনে ধাওয়া করে। তখনই উড়ানপাড়ার রাস্তায় থাকা অটো, টোটোতে পুলিশ ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুলিশের কাজ হচ্ছে এলাকায় শান্তি বজায় রাখা। কোথাও কোন গন্ডগোল তা থামানোর কাজ পুলিশের। কিন্তু পুলিশ এসে সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এটা অন্যায় কাজ করেছে পুলিশ।

    পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল কাউন্সিলার তথা পুরসভার (Titagarh) ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ জলিল বলেন, এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল হয়। কী নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল আমরা জানি না। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই। গন্ডগোল থামাতে এসে পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের অটো, টোটোতে ভাঙচুর চালায়। এটা ঠিক হয়নি। এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: গরু তুমি কার! প্রকৃত মালিক খুঁজতে নাজেহাল অবস্থা পুলিশের, কী হয়েছে জানেন?

    Balurghat: গরু তুমি কার! প্রকৃত মালিক খুঁজতে নাজেহাল অবস্থা পুলিশের, কী হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু তুমি কার! গরুর প্রকৃত মালিক খুঁজতে ঘুম ছুটেছে পুলিশের। ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট (Balurghat) থানা এলাকায়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। গরুর প্রকৃত মালিক কে, তার ফয়সালা করতেই গলদ ঘর্ম দশা পুলিশের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গরুর দাবিদার দুজন। দুপক্ষই থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ একবার ফয়সালার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, দুপক্ষই গরুর সম্পর্কে গোপন কিছু কথা তুলে ধরা এবং প্রতিবেশীদের সাক্ষ্য দেওয়াতে পুলিশ আরও সমস্যায় পড়েছে। প্রকৃত গরুর মালিক কিভাবে  চিহ্নিত করা যাবে,  সেই বিষয়েও পুলিশকর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নিচ্ছেন। বালুরঘাট (Balurghat) শহরের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গোরু নিয়ে বিবাদ শুরু হয় মাস তিনেক আগে। গরুর আসল মালিক বলে যিনি দাবি করছেন সেই কল্পনা ঘোষ,  তার বাড়ির গরুগুলিকে ছেড়ে দিতেন মাঠে খাওয়ার জন্য।  সকালে গোরুগুলি ছেড়ে দেওয়া হলেও, প্রতিদিন রাতেই কল্পনা ঘোষের কংগ্রেসপাড়ার বাড়িতে ফিরে আসত গরুগুলি।  কিন্তু,  মাস তিনেক আগে অন্য গরুগুলি ফিরে এলেও, বিতর্ক তৈরি হওয়া গরুটি ফেরেনি। এরপর  তিনি খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। মাস কয়েক ধরে তিনি খোঁজাখুঁজির পর সেটাকে না পেয়ে, সম্প্রতি এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন বালুরঘাট শহরের নেপালি পাড়া এলাকার সাবিত্রী সাহার বাড়িতে  তাঁর গোরুটি বাঁধা রয়েছে। এর পর ওই বাড়িতে গিয়ে তাঁর  গোরুটি খুলে আনতে গেলে বাধা পান তিনি। যদিও ছেলেদের সহায়তায় জোর করে কল্পনা ঘোষ ওই গরুটিকে তার বাড়িতে নিয়ে যান।

    দুই দাবিদারের কী বক্তব্য?

    কল্পনা ঘোষ নামে এক দাবিদার বলেন,  আমার বাড়ির এই  লাল সাদা রঙের গরুটিকে আমরা মাস তিনেক ধরে খুঁজে পাচ্ছিনা। দুদিন আগে খবর পেয়ে ওই সাবিত্রী সাহার বাড়ি থেকে গরুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এরপরেই সাবিত্রী বালুরঘাট (Balurghat) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আমাদের গরু বেঁধে রেখে, আবার আমাদের নামেই অভিযোগ করেছে।  সাবিত্রী সাহা নামে অন্য এক দাবিদার বলেন, লকডাউনের সময় আমি বাছুরকে মাঠে ছেড়ে দিয়েছিলাম। তারপর থেকে সেটির কোনও হদিশ পাইনি। অবশেষে মাস কয়েক আগে বাছুরের কানে জন্মের দাগ রয়েছে, তা দেখেই চিনি। সেখান থেকেই বাড়িতে নিয়ে যাই। কিন্তু, আচমকা ওরা আমার বাড়ি থেকে জোর করে গরুটিকে নিয়ে গেল। তাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

    পুলিশের কী বক্তব্য?

    বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন,  ‘গরুর তো আর মালিকানার কাগজপত্র হয় না। দুজনই দাবি করছেন, গরুটি তাঁদের। এতেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি, বিষয়টি কী ভাবে সমাধান করা যায়।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: থানায় গিয়ে আইসিকে ‘উপহার’ দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Malda: থানায় গিয়ে আইসিকে ‘উপহার’ দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী, জেলাজুড়ে শোরগোল

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ দলদাস। শাসক দলের হয়ে কাজ করে পুলিশ। এমনই অভিযোগ করে বিরোধীরা। আর সেই শাসকদলের হয়ে সারা বছর ধরে কাজ করা পুলিশকে ‘ভেট’ দেওয়া হবে না, সেটা কি হয়! আর তাই এবার পুজোর সময় মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি দেবদূত গড়মের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন তৃণমূলের প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। নবমীর রাতের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর এতে তৃণমূল এবং পুলিশ দুপক্ষই চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? (Malda)

    জলপাই পোশাকে হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর আইসি দেবদূতবাবু। তাঁর দিকে হাসি মুখে উপহার এগিয়ে দিচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। বিধায়কের পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তির হাত থেকে নতুন জামাও নিলেন আইসি। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। জানা গিয়েছে, নবমীর রাতে  হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় গিয়ে আইসি-কে ‘পুজোর উপহার ’দেন মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক তাজমুল। বিরোধীদের বক্তব্য, পুলিশ এবং শাসকদলের নেতাদের মধ্যে যে দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক, তা এই ভিডিওতেই পরিষ্কার। আমাদের প্রশ্ন, এর পরও বিরোধীরা কী ভাবে আশা করবেন যে কোনও রাজনৈতিক অশান্তিতে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবে পুলিশ? গোটা বিতর্কে মুখ খুলতে নারাজ জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ যাদব।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    এই বিষয় নিয়ে অহেতুক জলঘোলা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাজমুল-ঘনিষ্ঠরা। তাজমুল হোসেন বলেন, এটা সৌজন্য। পুজো উপলক্ষে সামান্য উপহার দিয়েছি আইসিকে। তবে এই ভাবে উপহার দেওয়া যায় কি না, সেটা আমার জানা নেই।

    হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি?

    হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি উপহার নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সামান্য পুষ্পস্তবক দিয়েছেন মন্ত্রী। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা মন্ত্রীর এলাকার মধ্যে পড়ে। তাই প্রায়ই তিনি এখানে আসেন। এর বেশি কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এ নিয়ে বিজেপির দক্ষিণ মালদা (Malda) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, পুলিশ আর তৃণমূল নেতাদের মধ্যে কোনও দূরত্ব নেই। লুকোছাপা নেই। কোথাও পুলিশই তৃণমূল দল  চালাচ্ছে। কোথাও তৃণমূল নেতারা পুলিশকে চালাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের এটাই এখন পরিস্থিতি। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: গাড়ির ডিকিতে বান্ডিল বান্ডিল টাকার নোট, তাজ্জব পুলিশ কর্মীরা

    Burdwan: গাড়ির ডিকিতে বান্ডিল বান্ডিল টাকার নোট, তাজ্জব পুলিশ কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার চাকা গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ টাকা। গাড়ির ডিকির ভিতর কাগজে মোড়ানো অবস্থায় বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধার হয়। টাকার পরিমাণ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান (Burdwan) শহরে। শনিবারও সেই টাকা গোনার কাজ চলছে। এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে, এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বর্ধমান (Burdwan) শহরে পুলিশের পক্ষ থেকে রুটিন নাকা চলছিল। গাড়িটি রায়নার দিক থেকে বর্ধমান শহরে যাচ্ছিল। বর্ধমান শহরের তেলিপুকুর এলাকায় কালো রঙের ছোট ওই চারচাকা গাড়িটি আটকায় পুলিশ। গাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় ব্যাগের ভিতরে কাগজে মোড়ানো কিছু জিনিস লক্ষ্য করেন পুলিশ কর্মীরা। কাগজের মোড়ক সরাতেই চক্ষু চড়ক গাছ হয় পুলিশ কর্মীদের। কারণ, ডিকির মধ্যে লক্ষ লক্ষ টাকার বান্ডিল রাখা ছিল।  গাড়িতে করে এই বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। গাড়ির মধ্যে দুজন মহিলা সহ পাঁচজন ছিলেন। এত টাকা নিয়ে কোথায় যাওয়া হচ্ছিল তা পুলিশ কর্মীরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে গাড়ির আরোহীরা জানান, রাইস মিলের টাকা। বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যদিও গাড়ি আরোহীদের এই বক্তব্যে পুলিশ সন্তুষ্ট হয়নি। তাই আটক করে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, গাড়ির মধ্যে থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ির আরোহীরা যে যুক্তি দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া এত টাকা কোথায় থেকে তারা পেল তা স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: কোচবিহারের পুলিশ সুপারের নাম করে প্রতারণা! কৃষ্ণনগরের স্কুল শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট সাফ করল প্রতারকরা

    Fraud: কোচবিহারের পুলিশ সুপারের নাম করে প্রতারণা! কৃষ্ণনগরের স্কুল শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট সাফ করল প্রতারকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিত্য নতুন কৌশলের মাধ্যমে রাজ্যজুড়়ে সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। দুদিন আগেই সেনা বাহিনীর নাম করে বারাকপুরে একটি ডায়াগনাস্টিক সেন্টারের দুই কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিয়েছে প্রতারকরা। এরইমধ্যে আবার কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপারের নাম ভাঙিয়ে এক স্কুল শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। প্রতারিত স্কুল শিক্ষকের নাম গৌতম মণ্ডল। তাঁর বাড়ি বারাকপুর। আর তিনি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তিনি কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে, পুলিশ- প্রশাসনের কর্তাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে প্রতারকেরা যদি এমন প্রতারণা (Fraud) ঘটানোর সাহস পায়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ কী করবেন, উঠেছে সে প্রশ্নও।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Fraud)

    লেখালেখির সুবাদে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য  এবং কৃষ্ণনগরের শিক্ষক গৌতম মণ্ডল পূর্ব পরিচিত। অভিযোগ, গত ৩০ অক্টোবর দ্যুতিমানের নামে বানানো মেসেঞ্জার থেকে কম দামে আসবাব ও গাড়ি কেনার দু’টি প্রস্তাব পান গৌতম। মেসেঞ্জার বার্তায় বলা হয়েছিল, এসপির বন্ধুস্থানীয় কপিল কুমার নামে সিআইএসএফের এক আধিকারিক কলকাতা থেকে হঠাৎ বদলি হয়ে কাশ্মীর চলে যাচ্ছেন। তিনি কম দামে আসবাব বিক্রি করতে চান। আপনি (গৌতম মণ্ডল) যেন সে সুযোগ হাতছাড়া না করেন। ওই মেসেজের পরে, কপিল কুমার বলে পরিচয় দিয়ে এক জন ফোন করে গৌতমবাবুকে। হোয়াটসঅ্যাপে আসবাবপত্রের ছবিও পাঠায়। পুলিশ সুপারের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা না বলে গৌতমবাবু আসবাবের জন্য কৃষ্ণনগরের একটি রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ৬০,০০০ টাকা ‘ট্রান্সফার’ করেন। অভিযোগ, এরপরে, আসবাব পাঠানোর গাড়ির ‘সিকিওরিটি মানি’ হিসাবে ‘ফেরতযোগ্য ২১ হাজার টাকা চায় ‘প্রতারক’। গৌতমবাবু তাও দেন। তাঁর দাবি, এর পরে একটি গাড়ির ছবি পাঠিয়ে সেটিও কিনতে তাঁকে ‘প্ররোচিত’ করা হয়। সন্দেহ হওয়ায় সরাসরি কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে ফোন করেন গৌতমবাবু। তারপরই প্রতারণার (Fraud) বিষয়টি তিনি জানতে পারেন।

    কী বললেন প্রতারিত শিক্ষক?

    প্রতারিত শিক্ষক গৌতমবাবু বলেন, সমস্ত বিষয়টি পুলিশকে জানাই। সব শুনে এসপি জানান, এটা সাইবার অপরাধের ঘটনা। এর আগেও পুলিশ সুপারের নামে সমাজমাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা (Fraud) করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফোনে কথা না বলে টাকা দিতে গেলেন কেন? গৌতমের দাবি, কৃষ্ণনগরে একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করলেও পুরো টাকা আমি পাইনি। সে ব্যাপারে পুলিশ সুপারের সাহায্য নেব ভেবেছিলাম।  তাই কোচবিহারের এসপির নাম করে পাঠানো মেসেজে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছিলাম।

    কী বললেন কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার?

    কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, সাইবার অপরাধীরা দু’ভাবে প্রতারণা (Fraud) করার চেষ্টা করছে। এক, ভয় দেখিয়ে, দুই, লোভ দেখিয়ে। তাঁর বক্তব্য, আইনানুগ যা-যা ব্যবস্থা নেওয়ার সব নেওয়া হয়েছে। এ সব ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আচমকা এমন কোনও প্রস্তাব পেলে, সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তা হলেই সব স্পষ্ট হবে।

    নদিয়ার পুলিশ সুপারের কী বক্তব্য?

    কৃষ্ণনগর পুলিশ-জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেন, সাইবার প্রতারণার অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়ছে। গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। নাগরিকদের সতর্ক করতে সচেতনতা প্রচার চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share