Tag: police

police

  • Uttar Dinajpur: রাস্তায় টাকা তুলছে পুলিশ, দিচ্ছে জাল চালান, ছবি দেখে হতবাক বিচারপতি, তদন্তের নির্দেশ

    Uttar Dinajpur: রাস্তায় টাকা তুলছে পুলিশ, দিচ্ছে জাল চালান, ছবি দেখে হতবাক বিচারপতি, তদন্তের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিশের টাকা তোলার অভিযোগ নতুন নয়। বাম আমলেও এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের জমানাতে তা অনেকটাই বেড়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। গত বছর খড়দায় তোলাবাজির অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড হয়েছিলেন। তবে, কোনও পুলিশ কর্মীর তোলাবাজির ছবি বিচা্রপতি নিজের এজলাসে বসে দেখছেন, এই দৃশ্য খুব কম দেখা যায়। জানা গিয়েছে, পাথর বোঝাই ট্রাক চালকদের থেকে টাকা তুলছে পুলিশ। আর পুলিশের সেই টাকা তোলার ছবিই রেকর্ড করা হয় মোবাইলে। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ডালখোলা শহরে। সোমবার এজলাসে সেই রেকর্ডিং দেখেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিশের তোলাবাজি দেখে বিচারপতিও হতবাক হয়ে যান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Uttar Dinajpur)

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ডালখোলায় পাথর বোঝাই ট্রাক থেকে তোলা তোলার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। দু’টি ট্রাক বেআইনিভাবে এই টাকা দিতে না চাওয়ায়, তাদের আটকে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আবার কিছু ট্রাকচালক বাধ্য হয়ে টাকা দেন। কিন্তু, তাঁদের যে চালান দেওয়া হয়েছে তাও জাল বলে অভিযোগ। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পুলিশের সমস্ত তোলাবাজির বিষয়টি মোবাইলে রেকর্ড করা হয়। হাইকোর্টে শুনানির সময় বিচারপতির সামনে তা পেশ ধরা হয়।

    বিচারপতি কী নির্দেশ দিলেন?

    ছবি দেখে বিচারপতি বলেন, ‘এটা কী হচ্ছে? একটা থানায় এত টাকা, তিনটে থানা এত টাকা…এটা কি ভেটিং প্লেস? পুলিশ ঠিক করে দিচ্ছে! আশ্চর্য…।’ মামলাকারীর তরফে বলা হয়, ‘একটা থানা সাড়ে ৪ হাজার টাকা চাইছে।’ সেই কথা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘সরকার ওই অফিসারের নাম দেবে। আমি দিচ্ছি না। রেকর্ডিং থেকে সব দেখা গিয়েছে, শোনাও গিয়েছে।’ বিচারপতি নির্দেশ দেন, ‘পুলিশ রেট ঠিক করে দিচ্ছে কত টাকা দিতে হবে! ভিডিও ফুটেজ দেখে এটা স্পষ্ট, এটা অতি গুরুতর অভিযোগ। এর ফরেন্সিক পরীক্ষা করতে হবে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে এই মামলা সিআইডি-কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল। নতুন এফআইআর করে তদন্ত করতে হবে সিআইডি-কে।’ এছাড়া জাল চালান দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই চালানও পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠান হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ নভেম্বর। সেই শুনানিতেই রেকর্ডিং সম্পর্কে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arms Factory: দুই কামরার বাড়ির পুরোটাই অস্ত্র কারখানা! চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরই!

    Arms Factory: দুই কামরার বাড়ির পুরোটাই অস্ত্র কারখানা! চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে এসে শিকার ধরা পড়ল জালে। পুলিশের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে এসে ধরা পড়ল দুষ্কৃতী। এরপর সূত্র ধরে, জয়নগরে দুই কামরার ঘরে মিলেছে অবৈধ বিশাল অস্ত্রের কারখানার (Arms Factory) হদিশ। পুকুরের মধ্যে লুকানো ছিল বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করতে এসে পুলিশ নিজেই হতবাক। এতো অস্ত্র! তদন্তকারী অফিসারের চক্ষু চড়কগাছ। বাড়ির মালিকের নাম রহমতুল্লা শেখ। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের ভূমিকা (Arms Factory)

    গোপন সূত্রে পুলিশ আগেই খবর পেয়েছিল এই অস্ত্র কারখানার (Arms Factory) সম্পর্কে। সময় বুঝে বারুইপুর থানার পুলিশের এসওজি, জয়নগর থানা এবং বকুলতলা থানার পুলিশ একত্রিত হয়ে অভিযান চালায়। পুলিশ নিজের পরিচয় আত্মগোপন করে প্রথমে অস্ত্র কেনার জন্য ক্রেতা হিসাবে কারখানার মালিকের কাছে যায়। এরপর টাকা নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে যেতে বলে অস্ত্র কারবারীকে। ঠিক সন্ধ্যা ৬ টার সময় মাল দেওয়ার কথা হয়। এরপর পুলিশ এলাকায় অনেক সময় অপেক্ষা করে তাকে গ্রেফতার করে।

    কী কী উদ্ধার হল?

    ধৃত কারখানার (Arms Factory) মালিক রহমতুল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে অস্ত্র কারখানা থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৮ টি ওয়ান শটার বন্দুক, দুটো লং পাইপ। অস্ত্র তৈরির পালিশ মেশিন, ড্রিল মেশিন, ডাইস, ফাইল, করাত, হ্যাক্সো, বাটালি, হাতুড়ি, লোহার পাইপ ইত্যাদি উদ্ধার হয়। এই সব সরঞ্জাম দিয়ে অস্ত্র তৈরি করা হত বলে জানা গেছে। এই প্রসঙ্গে আরও জানা গেছে, ধৃত ব্যাক্তি নিজের সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে এই বাড়িতেই বসবাস করতেন।

    পুলিশের বক্তব্য

    বারুইপুর থানার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অপারেশন করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র কারখানা থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অনেক দিন ধরেই আমরা এই অভিযুক্তকে নজরে রেখেছিলাম। তবে এই ধৃত ব্যক্তির পিছনে কোনও রাজনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে কিনা, এই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তদন্ত আরও এগোলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: জেল থেকে ফোনেই চলছে তোলাবাজি! আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা, কী করছে পুলিশ?

    Barrackpore: জেল থেকে ফোনেই চলছে তোলাবাজি! আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা, কী করছে পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে বসেই বারাকপুর (Barrackpore)  শিল্পাঞ্চলে অবাধে তোলাবাজি চালায় বিচারাধীন বন্দিরা। পুজোর আগে এইসব দাগি বিচারাধীন বন্দিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানালেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। জেল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। জেলে থাকা বন্দিদের হাতে মোবাইল যাতে কোনওভাবেই না পৌঁছায় তা দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    জেলে বসেই বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে তোলাবাজি! কী বললেন ব্যবসায়ীরা?

    কয়েক মাস আগেই বারাকপুর (Barrackpore) শহরের এক নামী বিরিয়ানি প্রস্তুতকারক সংস্থার মালিককে স্করপিও গাড়ি চেয়েছিল এক দাগি বন্দি। জেলে বসেই বিচারাধীন বন্দি সেই টাকা চেয়েছিল। বিরিয়ানির মালিক থানায় অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ মোবাইল ট্র্যাক করে জানতে পারে জেলখানা থেকেই এই ফোন এসেছে। এর পাশাপাশি বারাকপুর-বারাসাত রোডের উপরে আরও এক বিরিয়ানির মালিকের কাছে মোটা টাকা চায় এক বিচারাধীন বন্দি। বিরিয়ানি মালিক টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে হুমকি দেয় ওই বন্দি। হুমকি দেওয়ার দু’দিনের মধ্যেই বিরিয়ানির দোকানে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। দোকান লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলিও ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। এছাড়া ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বড় ব্যবসায়ী, প্রোমোটারের কাছ থেকেও তোলা দাবি করে এই সব দাগি অপরাধীরা। জেলে থেকেই চলে তোলাবাজির কারবার। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, জেলের ভিতরে বন্দিদের হাতে কী করে মোবাইল যায়? এর পিছনে জেল কর্তৃপক্ষের একাংশে হাত রয়েছে। জেলে বসেই বন্দিরা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অপরাধ জগৎ সামলাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন কড়া না হলে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে। এই অঞ্চলে ব্যবসায়ীরা সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারবে না। জানা গিয়েছে, বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় বারাকপুর মহকুমা সংশোধনাগার ছাড়াও দমদম জেল রয়েছে। মূলত এই দুটি জেল থেকেই দাগি বিচারাধীন বন্দিরা ফোন করে তোলাবাজি চালায়। এই দুই জেল কর্তৃপক্ষকে দাগি অপরাধীদের উপর নজরদারি চালানোর জন্য বলা হয়েছে।

    কী বললেন পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক?

    বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, পুজোর আগে  জেল থেকে দাগি বিচারাধীন বন্দিরা তোলাবাজি করতে না পারে এই বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এই ধরনের কারবারের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। তাদের হাতে কোনও ভাবেই যাতে মোবাইল না যায়  তার নজরদারি করতে বলা হয়েছে। জেলে বসে কিভাবে তারা বাইরের। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mandarmani: যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন, উদ্ধার মন্দারমণিতে, নারীপাচার চক্রের যোগ!

    Mandarmani: যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন, উদ্ধার মন্দারমণিতে, নারীপাচার চক্রের যোগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:১১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে মন্দারমণির (Mandarmani) চাঁদপুরে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবতীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই যুবতীর পরিচয় পেলেন তদন্তকারীরা। যুবতীর বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তাঁকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ খুন করা হয়েছে। মন্দারমণি, চাউলখোলা এলাকায় একটি নারী পাচার চক্র রয়েছে। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে গরিব মেয়েদের ভাল কাজ দেওয়ার নাম করে নিয়ে এসে বিপথে চালিত করে। এই যুবতীও এই ধরনের চক্রের খপ্পড়ে পড়েছিল বলে বলে পরিবারের লোকজনের দাবি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Mandarmani)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে শনিবার কিংবা রবিবার সোদপুরে বিউটিশিয়ানের কোর্স শিখতে যেতেন মৃত যুবতী। শনিবার দিদির বাড়ি বারাকপুরে থেকে সোদপুরের উদ্দেশে বের হন এবং বাড়িতে ফোন করে জানান ফিরতে রাত হবে। ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সন্ধে ৬টার সময় মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এরপর তাঁর ফোন সুইচ অফ দেখায়। ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে মন্দারমণি (Mandarmani) কোস্টাল থানা এলাকার চাঁদপুরে সমুদ্রের পাশে বোল্ডারের ওপর একটি অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সময় নাম-পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। এদিকে যুবতীর পরিবার তাহেরপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করে। এরপর জানা যায়, মৃত যুবতীই তাহেরপুরের বাসিন্দা।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    কীভাবে নদিয়ার তাহেরপুর থেকে সোদপুর হয়ে মন্দারমণি (Mandarmani) পৌঁছলেন, তার ব্যাখা নেই পরিবারের কাছেও। যদিও মৃত যুবতীকে ধর্ষণের পর গলা টিপে খুন করা হয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন মৃত যুবতীর দাদা দিলীপকুমার পাল। তিনি বলেন, ‘মন্দারমণির চাউলখোলায় একটি বড়সড় চক্র রয়েছে। যাঁরা বিভিন্ন জায়গা থেকে গরিব বাড়ির মেয়েদের কাজ ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বিপথে পরিচালনা করে। সোদপুর পর্যন্ত এই চক্র কাজ করছে কিনা পুলিশ তদন্ত করলে পরিষ্কার হয়ে যাবে। হয়তো আমার বোনকে এখানে নিয়ে এসে বাজে কাজ করানোর চেষ্টা করেছিল। রাজি হয়নি বলেই বোনকে মেরে ফেলা হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার জের! বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে বরখাস্ত

    Shantipur: তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার জের! বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে বরখাস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার জন্য এরকম ঘটনা ঘটবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি শান্তিপুর (Shantipur) থানার সিভিক ভলান্টিয়ার কার্তিক হালদার। তাঁর বাড়ি শান্তিপুরের নৃসিংহপুরে। বিজেপির টিকিটে স্ত্রী জয়লাভের পর তাঁর সঙ্গে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল তাঁকে। চাপের কাছে মাথানত না করায় এবার চাকরি গেল তাঁর। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ একমাস অনুপস্থিত থাকার কারণেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে অপসারণ করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Shantipur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিকবাবুর স্ত্রীর নাম সুপর্ণা বর্মন। তিনি ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। দু’বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুপর্ণা বর্মন বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়লাভ করেন। সুপর্ণাদেবী জয়লাভ করলেও স্বামীকে নিয়ে উধাও হয়ে যান। চাপ থাকলেও তিনি তৃণমূলে পরে যোগদান করেননি। এই প্রসঙ্গে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সুপর্ণাদেবী বলেন, ‘‘শান্তিপুর (Shantipur) থানার পুলিশ-প্রশাসন থেকে শুরু করে দুষ্কৃতীরা তৃণমূলে যোগদান করার জন্য আমার বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করার জন্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে আমার ভোটপ্রচারে একদিনও স্বামীকে পাইনি। বোর্ড গঠনে অংশ নেওয়ার পর তিনি ভেবেছিলেন, এবার বুঝি কিছুটা স্বস্তি মিলবে। কিন্তু, রবিবার রাতে থানা থেকে আমার স্বামীর সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি থেকে বরখাস্তের চিঠি এসেছে।’’

    কাজ চলে যাওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী?

    বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী কর্তিকবাবু বলেন, ‘‘এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ডিউটিতে অনিয়মিত যোগদানের। কিন্তু, গত ১০ বছর ধরে চাকরিতে কোনও ছুটি পর্যন্ত নিইনি। শান্তিপুর (Shantipur) থানার ওসি সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। তাতে কোনও অন্যায় হয়নি। আমার স্ত্রী বিজেপির সদস্য বলেই আমার চাকরি চলে গেল।’’

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    আসলে নদিয়া জেলার মধ্যে শান্তিপুর (Shantipur) পঞ্চায়েত সমিতিই একমাত্র বিজেপির দখলে। সঙ্গে তিনটে পঞ্চায়েতও। আর সেই জয়ের পর বিশেষ পুলিশি অত্যাচার নেমে এসেছিল। জানা গিয়েছে, শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে ২৯টি আসনের মধ্যে ১৬টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। ১৩টি তৃণমূলের। অভিযোগ, বোর্ড ঘোরানোর খেলায় তৃণমূলের সঙ্গে নেমেছিল পুলিশ-প্রশাসনও। শুধুমাত্র বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী বলে তাঁরা নিজেদের আত্মগোপন রেখেও বোর্ড গঠনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার কারণে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামীর চাকরি চলে গেল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, তাঁরা নিজেদের আত্মগোপন করেই রেখেছিলেন, তাহলে আর চাপ দেওয়া কীভাবে সম্ভব! সিভিক ভলান্টিয়ারের অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক বিষয়। তাতে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, কল্যাণীতে চাঞ্চল্য

    Kalyani: মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, কল্যাণীতে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকা এক পুলিশ কর্মীর রেল লাইনের ধার থেকে ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। বুধবার রাতে মদনপুর- কল্যাণী (Kalyani) স্টেশনের মাঝে রেল লাইনে ধার থেকে ক্ষতবিক্ষত মৃত উদ্ধার হয় ওই পুলিশ কর্মীর। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম ইসরাফিল সাহাজি। তার বয়স ৩০ বছর। তাঁর বাড়ি মদনপুর এলাকায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kalyani)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসরাফিল বুধবারই ডিউটি শেষ করে মদনপুরের বাড়িতে ফেরেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে বিকেলের দিকে বাড়ি থেকে তিনি হাঁটতে বের হন। স্থানীয় লোকজন তাকে বিকেলে এলাকায় শেষবার দেখেছে। সন্ধ্যার পর থেকে আর তার সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। তার পরিচিত সকলের সঙ্গে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করে। কিন্তু, কোথাও তাঁর হদিশ পাওয়া যায়নি। এরপরই রাতে থানার যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন পরিবারের লোকজন। তার আগে জিআরপি-র কাছে থাকা আসা ফোন পেয়ে ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    পরিবারের এক সদস্য বলেন, বাড়ি আসলে সাধারণত বিকেলে হাঁটতে বের হতেন। তবে, সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরে আসতেন। কিন্তু, এদিন তা হয়নি। তাই, তাঁকে ফোন করতেই আর তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। রাত বাড়তেই তিনি বাড়ি না ফেরায় আমরা চারিদিকে তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাই। কিন্তু, কোথাও তার হদিশ পাইনি। পরে, জিআরপি-র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তারা কল্যাণী (Kalyani) -মদনপুর স্টেশনে রেল লাইনের ধার থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানায়। জানা গিয়েছে, ইসরাফিলের পকেটে পরিচয়পত্র রাখা ছিল। তা দেখেই জিআরপি তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরিবারে লোকজন গিয়ে দেহ সনাক্ত করেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকা পুলিশ কর্মীর এভাবে মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। পরিবারের লোকজন এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত  শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: নার্সিং হোম থেকেই চলছে শিশু বিক্রির রমরমা! পুলিশের জালে ধৃত ৩

    Purba Medinipur: নার্সিং হোম থেকেই চলছে শিশু বিক্রির রমরমা! পুলিশের জালে ধৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিঘা হাসপাতালের (Purba Medinipur) তৎপরতায় শিশু বিক্রির বড়সড় চক্রের হদিশ পেল দিঘা মোহনা থানার পুলিশ। জনকাল্যাণ নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ প্রসবের পর বলে, মৃত সন্তান জন্ম হয়েছে। তাই শিশুর পরিবার দেখতে চাইলেও দেখাতে দেয়নি নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। শনিবার মাঝ রাতে যখন পুলিশ আসে, তখন পরিবারের লোক জানতে পারেন, তাঁদের শিশুটি জীবিত আছে। পরে বাচ্চাটিকে বিক্রি করে দিয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। আর এমন অভিযোগেই তোলপাড় এলাকা। পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয় ৩ জন।

    কীভাবে জানা গেল শিশু বিক্রি (Purba Medinipur)?

    সূত্রের খবর, গত সোমবার দিঘা (Purba Medinipur) রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের বহির্বিভাগে জন্মের পর টিকাকরণের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল ৪ দিনের এক শিশুপুত্রকে। টিকাকরণের আগে শিশুটির জন্ম শংসাপত্র-সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিশুটির সঙ্গে থাকা ৩ মহিলা তা দেখাতে পারেনি। তাছাড়া তাদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি থাকায় সন্দেহ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি পুলিশের নজরে আনা হয়। এরপর উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে।

    পুলিশের ভূমিকা

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হলে, ৩ মহিলাকে আটক করে দিঘা মোহনা (Purba Medinipur) থানার পুলিশ। পরবর্তীতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ না মেলায় ২ মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শিশু কেনার অভিযোগে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় রামনগর থানার দুর্গাপুরের বাসিন্দা মর্জিনা বিবিকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার এগরার একটি নার্সিংহোমের ( জনকল্যাণ নার্সিং হোম) মালিক সঞ্জয় গোল ও তার স্ত্রী সুপ্রিয়া গোলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নন্দীগ্রামের রানীচকের বাসিন্দা তারা। ধৃত দম্পতি, ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাচ্চাটিকে কেনার জন্য নিঃসন্তান মর্জিনাকে সহযোগিতা করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক তাদের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। দিঘা মোহনা থানার ওসি মৌসুমি সর্দার আরও বলেন ‘এছাড়াও শিশু বিক্রির এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত আছে, তার খোঁজ চলছে। পাশাপাশি বাচ্চাটির মা ও দাদুকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: দত্তপুকুরে সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তায় বেআইনি বাজি! সব জেনেও পুলিশ কী করছিল?

    Duttapukur: দত্তপুকুরে সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তায় বেআইনি বাজি! সব জেনেও পুলিশ কী করছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সরকারি স্ট্যাম্প দেওয়া বস্তায় ভরে বাজি পাচার। দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোল গ্রামে বিস্ফোরণস্থলের একেবারে কাছেই দুটি দোকান ঘরে এরকম কয়েকশো বাজির বস্তার হদিশ। যেগুলির প্রতিটিতেই কোনও না কোনও সরকারি সংস্থার ছাপ দেওয়া রয়েছে। পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই বাজি কারবারিরা এই অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু, তারপরেও পুলিশ সেই সমস্ত বাজি ভর্তি বস্তা বাজেয়াপ্ত কিংবা দোকানঘর থেকে সরাতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি, এমনটাই অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তাই উঠছে প্রশ্ন।

    ল্যাবরেটরির পর সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তার হদিশ

    দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোলে বিস্ফোরণের পর বিভিন্ন জঙ্গল এবং বাঁশঝাড়ে বাজির উপকরণ ফেলে দিয়েই চম্পট দেয় শ্রমিকরা। যা এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আশেপাশে। মঙ্গলবারই নিহত কেরামত আলির রাসায়নিক ভর্তি গোডাউনের হদিশ পাওয়া যায়। তারও আগে বেরুনান পুকুরিয়ার একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরির হদিশ মিলেছিল। সেখান থেকে টেস্টটিউবের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তেমনই অত্যাধুনিক সেই ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন ধরনের বোমা-বাজির পরীক্ষা-নিরীক্ষারও বন্দোবস্ত ছিল। এবার হদিশ মিলল সরকারি ছাপ দেওয়া বাজি মজুতের বস্তা।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা? (Duttapukur)

    দত্তপুকুর (Duttapukur) থানার ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের মোচপোল গ্রাম এবং তার আশপাশে বাজিই যেন কুটির শিল্প। এলাকার যেদিকেই চোখ যাবে সেদিকেই লক্ষ্য করা যাবে ছোট, বড়, মাঝারি মাপের বাজি তৈরির গোডাউন। কেউ কেউ আবার ঘর ভাড়া নিয়ে বাজির কারখানা করে ফেলেছেন। ঘটনাস্থলের ১০-১৫ ফুট দূরে পরপর তিনটি শাটার দেওয়া দোকানঘরের হদিশ পাওয়া যায়। এর দুটিতেই থরে থরে সাজানো ছিল সরকারি ছাপ দেওয়া বাজি ভর্তি বস্তা। কোনও বস্তায় ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ায় ছাপ দেওয়া, আবার কোনওটায় পাঞ্জাব সরকার, কর্ণাটকের চিনি কলের ছাপ দেওয়া রয়েছে বস্তায়। কার্যত অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেগুলো। পুলিশের এই গা-ছাড়া মনোভাব আতঙ্ক বাড়িয়েছে মোচপোল গ্রামের বাসিন্দাদের। এ বিষয়ে একজন এলাকাবাসী বলেন, দোকানঘরগুলি কেরামত আলি ভাড়া দিত। সেখানে বাজি মজুত করত সে। আমরা বললেও আমাদের কথা তারা শুনত না। উল্টে টাকার গরম দেখিয়ে ভয় দেখাত আমাদের। পুলিশেকে টাকা খাইয়ে এই বেআইনি কারবার চালাত। আমরা গরিব, আমাদের টাকাপয়সা নেই। তাই পুলিশ আমাদের কথা শুনতো না। সরকারি স্ট্যাম্প দেওয়া বস্তায় বাজি মজুতের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল এলাকা জুড়ে। যে বস্তায় খাদ্সামগ্রী থাকার কথা, সেই বস্তায় কীভাবে বাজি মজুত হল, এখন সেটাই সব থেকে বড় দেখার প্রশ্ন। পাশাপাশি কীভাবেই বা সেই সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তা বাজি কারবারিদের কাছে পৌঁছে গেল, তা নিয়েই এখন শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Crime: ফ্ল্যাটে স্ত্রী-কন্যার গলাকাটা দেহ! স্বামী রেলে আত্মঘাতী! হাড়হিম করা ঘটনা দমদমে

    Crime: ফ্ল্যাটে স্ত্রী-কন্যার গলাকাটা দেহ! স্বামী রেলে আত্মঘাতী! হাড়হিম করা ঘটনা দমদমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যমগ্রাম রেল স্টেশনের কাছে ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার প্রাক্তন সেনাকর্মীর। একই দিনে তাঁর স্ত্রী-কন্যার মৃতদেহ উদ্ধার (Crime) হল দমদমের ফ্ল্যাটে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ফ্ল্যাট থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্তে নেমেছে। পুলিশের অনুমান, স্ত্রী এবং মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই সেনাকর্মী।

    কীভাবে ঘটল (Crime)?

    সূত্রে জানা গেছে, দমদম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় (৪৮), দেবিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (৪৪) এবং মেয়ে দিশা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (১৯) নিয়ে ছোট্ট সংসার ছিল তাঁদের। আজ শুক্রবার মধ্যমগ্রাম রেল স্টেশনের কাছ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয় স্বামী গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৪৮)। তারপরই তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় মর্মান্তিক দৃশ্য (Crime)। দমদমের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় স্ত্রী এবং মেয়ের গলাকাটা মৃতদেহ। সূত্রে আরও জানা গেছে, গৌতম নিজে প্রাক্তন সেনাকর্মী এবং বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক ভাবে তদন্ত শুরু করেছে।

    পুলিশের বক্তব্য (Crime)

    পুলিশের অনুমান, মেয়ে এবং স্ত্রীকে খুন (Crime) করা হয়েছে। কারণ দু’ জনের গলায় ধরালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গৌতম রেলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান করছে পুলিশ। আপাতত দেহগুলিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাড়ির আশপাশে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করছে পুলিশ।

    প্রতিবেশীদের বক্তব্য

    পাশের বাড়িতে থাকা এক বাসিন্দা বলেন, এই পরিবারে তেমন কোনও অশান্তির কথা আমরা আগে শুনতে পাইনি। সব সময় হাসিখুশি ছিলেন তাঁরা। গোটা পরিবারে এমন মৃত্যুর ঘটনায় (Crime) আমরা স্তম্ভিত। এই প্রতিবেশী আরও বলেন, মৃত গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ রেল লাইনের পাশে পাওয়ার পর সূত্র ধরে পুলিশ দমদমের ফ্ল্যাটে আসে। এরপর উদ্ধার হয় স্ত্রী এবং কন্যার মৃতদেহ। ফলে ওই ব্যক্তি কেন এমন করলেন, তা অনেককেই অবাক করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগের খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রথম বোর্ড গড়ল বিজেপি, কর্মীদের উচ্ছ্বাস

    Arambagh: আরামবাগের খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রথম বোর্ড গড়ল বিজেপি, কর্মীদের উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলকে হারিয়ে আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি। শুধু আরামবাগ নয়, হুগলি জেলায় প্রথম বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গঠন করল। যদিও বোর্ড গঠনের আগেই একটু উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরে, তা মিটে যায়। খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ৩৩ টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে তৃণমূল জয়ী হয় ১৫ টি আসনে। আর বাকি ১৮ টি আসনের দখল নেয় বিজেপি। সেই কারণে এদিন সকাল থেকে বোর্ড গঠনের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির অফিস চত্বরে প্রচুর বিজেপি কর্মী সমর্থক জমায়েত হন। প্রথমদিকে সামান্য উত্তেজনা হওয়ার পর বিজেপি বোর্ড গঠন করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    এদিন আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ঘিরে সকাল থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল। ঘটনার সূত্রপাত, ব্লক অফিসে একটি অচেনা গাড়ি ঢোকাকে কেন্দ্র করে। অচেনা গাড়ি দেখে হঠাৎ করে বিজেপি কর্মীরা বাধা দেন। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করতেই বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিজেপি কর্মীরা পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদ করেন। বিজেপি কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই বাধ্য হয়েই পিছু হটতে হয় পুলিশকে। যদিও পরে, শান্তিপূর্ণভাবে বোর্ড গঠন হয়। প্রথম পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে বিজেপি কর্মীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, এই খানাকুলে তৃণমূল এতদিন সন্ত্রাস কায়েম করে রেখেছিল। এবার মানুষ বিজেপির উপর আস্থা রেখেছে। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবে নতুন বিজেপি বোর্ড। অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। আমাদের কর্মীরা পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করতে গিয়েছিল, সেখানে পুলিশ তাদের ওপর অমানবিকভাবে বিনা দোষে লাঠি চালিয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। শাসক দল চেয়েছিল পুলিশকে দিয়ে বোর্ড গঠন বানচাল করে পঞ্চায়েত সমিতি দখল নেবে। কিন্তু, আমাদের কর্মীরা মার খেয়েও এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনি। তাই, এতদিন পর আমরা বোর্ড দখল করলাম।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, বিজেপির বাধায় আমাদের কর্মীরা যেতে পারেনি। যাওয়ার পর ওরা যে পরিস্থিতি তৈরি করেছিল তাতে কর্মীরা বাধ্য হয়ে ফিরে আসে। তবে পুলিশের উপর হামলা করেছে বলে জানতে পারছি। এ ঘটনা খুবই নিন্দনীয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share