Tag: police

police

  • Uttar Dinajpur: মেয়ে নির্দল প্রার্থী! গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের লাঠি খেলেন তৃণমূল বিধায়ক

    Uttar Dinajpur: মেয়ে নির্দল প্রার্থী! গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের লাঠি খেলেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) নিজের মেয়ে নির্দল প্রার্থী। তার হয়ে গণনা কেন্দ্রে ঢোকার সময় পুলিশি বাধার মুখে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। পুলিশি লাঠিচার্জের অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর আহত চোপড়ার এই তৃণমূল বিধায়ক। অবৈধ জমায়েত ও জোর পূর্বক গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টার কারণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমার ইসলামপুর হাই স্কুল প্রাঙ্গণে।

    কেন ঢুকতে চেয়েছিলেন বিধায়ক (Uttar Dinajpur)?

    উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে ইসলামপুরের বিদ্রোহী বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে আর্জুনা বেগম। মঙ্গলবার গভীর রাতে ইসলামপুর হাই স্কুলে গণনা কেন্দ্রে জমায়েত করেছিলেন বিধায়ক হামিদুল রহমান সহ তাঁর অনুগামীরা। জানা গেছে, গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় বিপুল পরিমাণ লোকজন থাকায় পুলিশ প্রবেশে বাধা দেন। সেই সময় পুলিশের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়ে হামিদুল রহমান সহ তাঁর অনুগামীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

    পুলিশের বক্তব্য

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জোরপূর্বক গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে বাধা দেয় এবং পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের মারে আহত হন খোদ বিধায়ক সহ তাঁর বেশ কয়েকজন অনুগামীরা। তাঁদের তড়িঘড়ি ইসলামপুর (Uttar Dinajpur) মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বিধায়ক সহ ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে।

    বিধায়কের বক্তব্য

    যদিও বিধায়ক হামিদুল রহমানের (Uttar Dinajpur) অভিযোগ, “ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিনা প্ররোচনায় তার অনুগামীদের ওপরে চড়াও হয় পুলিশ এবং লাঠিচার্জ করে।” তবে গোটা ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করছে রাজনৈতিক মহল। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

    প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    গণনার দিন মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটলে পরের দিন বুধবার সকালে বিধায়ক হামিদুল রহমান সহ তাঁর অনুগামীদের ওপরে পুলিশি লাঠিচার্জের প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের একাংশ। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে চোপড়ার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। বিধায়ক সহ তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চোপড়া থানার পুলিশ। পুলিশি আশ্বাসে প্রায় দুই ঘন্টা পরে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Poll: গণনার দিনও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, গুলিতে মৃত ৩ আইএসএফ কর্মী, গুলিবিদ্ধ পুলিশ আধিকারিক

    Panchayat Poll: গণনার দিনও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, গুলিতে মৃত ৩ আইএসএফ কর্মী, গুলিবিদ্ধ পুলিশ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন (Panchayat Poll) থেকেই উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। দফায় দফায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। এবার গণনার দিনও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল ভাঙড়। গণনা কেন্দ্রের বাইরে পুলিশ ও আইএসএফের মধ্যে ব্যাপক বোমা ও গুলির লড়াইকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। গণ্ডগোলে তিনজন আইএসএফ কর্মীর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এক পুলিশ আধিকারিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম হাসান আলি মোল্লা, রাজু মোল্লা, রেজাউল গাজি। হাসান, রাজু এলাকায় চিনে পুকুর এলাকায় থাকত। আর রেজাউল থাকত ভোগালি-১ পঞ্চায়েত এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মঙ্গলবার রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অশান্তি বাড়তে থাকে এলাকায়। সূত্রের খবর, ভাঙড়ে ততক্ষণে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Poll) জেলা পরিষদের একটি আসনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। বাকি দুটি আসনের ফল ঘোষণা বাকি রয়েছে। গণনা চলছিল জেলা পরিষদ আসনের। জানা গিয়েছে, একটি আসনে আইএসএফ এগিয়েছিল। সেই আসনে তৃণমূল জয়ী ঘোষণা করার পর পরই আইএসএফ কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আচমকাই ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া স্কুলের বাইরে ঘিরে ফেলে আইএসএফরা। এই স্কুলেই গণনা চলছিল। সেই গণনা কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়তে থাকে তারা। পাল্টা তাদেরকে হটাতে পুলিশের পক্ষ থেকে টিয়ার গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ফাটানো হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ ও আইএসএফের মধ্যে খণ্ড যুদ্ধে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তিনজন আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়। এক পুলিশ কর্তাও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ভাঙড় ২ ব্লক জুড়ে। এই ব্লকের মোট ১৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল ১৮ টি পঞ্চায়েত দখল করলেও ১ টি পঞ্চায়েত দখল করেছে আইএসএফ ও জমি কমিটির জোট।

    কী বললেন আইএসএফ নেত্রী?

    আইএসএফ নেত্রী রেশমা খাতুনের অভিযোগ, ভোটের দিন (Panchayat Poll) থেকেই তৃণমূলকে সাহায্য করছে প্রশাসন। আমাদের জেলা পরিষদের এক প্রার্থী জাহানারা খাতুন পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু, রাত সাড়ে বারোটার সময় বিডিও জানিয়ে দেন সে ৩৬০ ভোটে হেরেছে। আইএসএফের দাবি, পুলিশ ও তৃণমূল সেটিং করে তাদেরকে হারিয়ে দিচ্ছে। তাঁরা এই সিটে পুনরায় গণ্নার দাবি জানান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: গ্রামে পুলিশ ঢুকতেই লাঠি ও বঁটি নিয়ে চড়াও মহিলারা, কুলপিতে চাঞ্চল্য

    South 24 Parganas: গ্রামে পুলিশ ঢুকতেই লাঠি ও বঁটি নিয়ে চড়াও মহিলারা, কুলপিতে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট অশান্তিতে গ্রামে পুলিশ ঢুকতেই লাঠি ও বঁটি নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হলেন সাধারণ মহিলারা ভোটাররা। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কুলপির (South 24 Parganas) উদয়রামপুর ৭৪ নং বুথ। ভোটের পরের দিন তৃণমূল-নির্দলের সংঘর্ষ হলে পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। হিংসার পরিস্থিতিকে সঠিক সময়ে নিয়ন্ত্রণ করেনি পুলিশ। সাধারণ ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ না করতে দেওয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই জেলা জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসার কথা উঠে আসছে। শুধু তাই নয়, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে, মগরাহাটে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় এবং পুলিশ উত্তপ্ত এলাকায় মার খায় বলেও জানা যায়।

    মূল অভিযোগ কী (South 24 Parganas)?

    এলাকার (South 24 Parganas) নির্দল কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, রবিবার এলাকার তৃণমূল প্রার্থী আবুল হোসেন গাজি দলবল নিয়ে নির্দল প্রার্থী চম্পা হালদারের উপর চড়াও হন। এরপরেই দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক লড়াই বেধে যায়। ঘটনায় কুলপি থানার পুলিশ নির্দল প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে। আর এই আটকের পরেই গ্রামের মহিলারা লাঠি, ঝাঁটা, বঁটি নিয়ে গ্রামে পুলিশ ঢুকতেই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ঘটনা ঘটার সময় কেন পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করেনি, সেই রাগেই পুলিশের উপর চড়াও হন সাধারণ মানুষ।

    পুলিশের বক্তব্য

    অন্যদিকে পুলিশের (South 24 Parganas) পক্ষ থেকে জানানো হয়, তৃণমূল ও নির্দল দুটি দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উদয়রামপুর এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে আপাতত। 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতার বক্তব্য, এলাকায় নির্দল প্রার্থীর পরাজয় বুঝে এই রকম ঘটনা ঘটিয়েছে। দল আমদের এই সব কাজকে অনুমোদন করে না। পুলিশের উপর আঘাত করে আইন হাতে তুলে নেওয়াটা ভীষণ অন্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মন্ত্রী ও পুলিশের গাড়িতে দুষ্কৃতীদের হামলা, জখম ডিএসপি সহ পুলিশ কর্মী

    Malda: মন্ত্রী ও পুলিশের গাড়িতে দুষ্কৃতীদের হামলা, জখম ডিএসপি সহ পুলিশ কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের আবহে ভোট সম্পন্ন হল। মালদায় (Malda) তৃণমূলের মন্ত্রী এবং পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ করে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনকী এক পুলিশ কর্মীকে পাথরের আঘাতে জখম করার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট এলাকায় পুলিশ কর্মী দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের আবহ চলছে।

    হরিশ্চন্দ্রপুরে (Malda) পুলিশ আক্রান্ত

    জানা যায়, ভোটের দিন শনিবার রাত ১০ টা নাগাদ রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তজমুল হোসেন ও হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda) থানার পুলিশ এলাকার ২ নং ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ভোট পরিদর্শন করে ফিরছিলেন। হঠাৎ বস্তা গ্রামে একদল দুষ্কৃতী রাজ্যের মন্ত্রী ও পুলিশের গাড়ি আটকে পাথর ও ইটের টুকরো ছুড়তে শুরু করে। পাথরের আঘাতে ভেঙে যায় গাড়ির কাচ এবং এক পুলিশকর্মী জখম হন। আক্রান্ত পুলিশ কর্মী হচ্ছেন মালদার ট্রাফিকের ডিএসপি বিপুল ব্যানার্জি। রাতেই এই পুলিশ কর্মীকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর। তবে অনুমান করা হচ্ছে বিহার থেকে এসে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত  শুরু করেছে পুলিশ।

    মগরাহাটে আক্রান্ত পুলিশ

    একই দিনে মালদায় পুলিশ আক্রান্তের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও পুলিশ আক্রান্তের খবর মিলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন মগরাহাট থানার ৩ পুলিশ কর্মী। মগরাহাট থানার একজন এসআই সহ দুই কনস্টেবল আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন হাসপাতালে। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মগরাহাটের নৈনান এলাকা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের মধ্যে নৈনান এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে মগরাহাট থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সেখানেই কংগ্রেস কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে বলে জানা যায়। ঘটনায় মাথা ফেটেছে পুলিশ কর্মীদের। আহত তিন পুলিশ কর্মী হলেন এসআই আরিফ মহম্মদ ও ২ কনস্টেবল লালটু ও প্রসেনজিৎ। তাঁদের মধ্যে একজন কনস্টেবলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। ঘটনার পর নৈনান এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bardhaman: নবজোয়ারে দু’হাজার পুলিশ, আর নির্বাচনে মাত্র ২২০০ আধা সেনা? কটাক্ষ অগ্নিমিত্রার

    Bardhaman: নবজোয়ারে দু’হাজার পুলিশ, আর নির্বাচনে মাত্র ২২০০ আধা সেনা? কটাক্ষ অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় এক কোম্পানি আধা সেনা দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট কি সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তরে আসানসোলের (Bardhaman) বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল কটাক্ষের সুরে বলেন, তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে যুবরাজের নিরাপত্তার জন্য মোতায়ন দু’হাজার রাজ্য পুলিশ। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার জন্য মাত্র ২২০০ আধা সেনা। সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! 

    কী বললেন বিধায়িকা?

    বিজেপি নেত্রী (Bardhaman) বলেন, রাজ্যে এই নির্বাচনের সময় নতুন জুটি তৈরি হয়েছে রাজীব সিনহা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এই জুটি রাজ্যের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে বাজারে নেমেছে। গণতন্ত্রকে হত্যা ও মানুষ খুনের খেলায় মত্ত এই জুটিকে আটকাতে বাংলার মানুষ সর্বত্র নামছেন। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট ২২ কোম্পানি আধা সেনা দিয়ে করলে অবশ্যই রক্তগঙ্গা বইবে, যদি না অতিরিক্ত আধা সেনা আসে। এই বিষয়ে আমরা আদালতের দারস্থ হব।

    প্রশাসনকে নিয়ে কী বললেন?

    দেগঙ্গায় আইএসএফ এবং তৃণমূলের ফের খণ্ডযুদ্ধ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা অগ্নিমিত্রা পল বলেন, ১২ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই! বিজেপির বুকের পাটা আছে বলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে এককভাবে মনোনয়ন জমা করছে। অন্যদিকে তৃণমূল নির্বাচনে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছে। পুলিশ-প্রশাসন এবং তৃণমূল প্রার্থীরা একত্রিত হয়েছে বলেই মনোনয়ন জমা করতে পেরেছে। দুদিনের মধ্যেই তৃণমূল ১০০% জায়গায় তাদের প্রার্থীর মনোনয়ন জমা করতে পেরেছে। তা না হলে দু-মিনিট করে সময়ে কীভাবে তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারে! অন্যদিকে এই পুলিশ পশ্চিম বর্ধমানে (Bardhaman) বিরোধীদের মনোনয়ন জমা করার কাজে বাধা দিতে সব রকম চেষ্টা চালিয়ে গেছে।

    তৃণমূল বিধায়কের দল ছাড়া নিয়ে কী বললেন?

    হুগলির বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে বিজেপি বিধায়িকা বলেন, তিনি দলে থাকবেন, না বেরিয়ে যাবেন, তা তৃণমূলের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু যাঁরা তৃণমূলের প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে লড়াই করে এসেছেন, তাঁদের জায়গা বর্তমানে মঞ্চের নিচে। কেবল মাত্র যুবরাজের জায়গা মঞ্চের উপরে। বর্তমানে যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সুপার মুখ্যমন্ত্রী, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও উপরে।

    বুধবার বর্ধমানের (Bardhaman) বিজেপি সদর কার্যালয়ে রাঢ়বঙ্গের দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে আসেন বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, বীরভূমের দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। এছাড়াও আসানসোল, বীরভূম ও বর্ধমান সদর জেলার সভাপতি  এবং  অন্যান্য নেতৃত্বরা বৈঠকে ছিলেন বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ায় (Bankura) বিরোধীদের মনোনয়ন দাখিলে বাধা দিতে পুলিশকে নিয়ে ময়দানে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল। আর এই অভিযোগ তুলে মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই সরব গেরুয়া শিবির। আজ ইন্দাসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র পুলিশের সাথে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় গেরুয়া বাহিনীর। আক্রান্ত হন বিজেপির বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া।

    বাঁকুড়ায় (Bankura) অভিযোগ কী?

    বুধবার ইন্দাস (Bankura) বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু পুলিশ বিজেপিকে বাধা দেয়। বিজেপির অভিযোগ, মিছিল আটকাতে পাল্টা ইন্দাসের পিরতলায় জমায়েত করে তৃণমূল। পাশাপাশি, সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। বিজেপির মিছিলকে জোর করে আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে সেখানেই ধর্ণা ও বিক্ষোভ শুরু করে দেন তাঁরা।

    পুলিশের ভূমিকা

    এরপর ইন্দাসের (Bankura) বিজেপি বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া দলবল নিয়ে মিছিল করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিডিও অফিসের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। আর তাতেই ছড়ায় উত্তেজনা। মুহূর্তের মধ্যে বিজেপি ও পুলিশে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। বিধায়কের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি, ইটের আঘাতে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে  জানানো হয়েছে। বিধায়ক নিজেও আহত হন বলে দাবি করেছে বিজেপি।

    আক্রান্ত সাংসদও

    এদিকে ইন্দাস যাওয়ার পথে কাঁকরডাঙ্গায় আক্রান্ত হন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, তৃণমূলের লোকজন এমনকী মহিলারা মিলে তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে কোনও রকমে বাঁচিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ বিধায়ক নির্মল ধাড়ার ওপর আক্রমণ চালায়। এবং এই ঘটনায় তিনি বিষ্ণুপুরের (Bankura) এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খানকে তীব্র ধিক্কার জানান। তিনি অভিযোগ তোলেন, এই অফিসার বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ, নেতা-কর্মীদের মেরে ফেললেও মনোনয়ন দেওয়া থেকে আটকাতে পারবেন না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নে যদি এই পরিস্থিতি হয়, নির্বাচনের দিনে কী হবে? তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পুলিশের গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যার হুমকি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের!

    TMC: পুলিশের গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যার হুমকি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো মামলায় একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে এসে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ গ্রামের মধ্যে পুলিশকে আটকে রাখা হয়। আর এসবের নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের (TMC) গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। পুলিশের চলন্ত গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এমনকী আরামবাগ থানার আইসি-র পা জড়িয়ে ধরেন তিনি। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের হরিণখোলার পূর্ব কৃষ্ণপুর এলাকায়। শাসক দলের প্রধানের এই রূপ দেখে সকলেই হতবাক।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শনিবার গভীর রাতে আরামবাগের হরিণখোলার ফড়িংখলার পূর্ব কৃষ্ণপুর  এলাকায় শেখ বাবুসোনা নামে একজনের বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। তার নামে পুলিশের খাতায় অভিযোগ রয়েছে। পুরনো মামলায় তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ হানা দেয়। বাবুসোনা হরিণখোলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান শেখ আব্দুল আজিজ খাঁ ওরফে শেখ লাল্টু খানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। দরজা খুলে ঢোকার পর বাবুসোনার স্ত্রী এবং মায়ের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে পুলিশ। এমনই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ স্থানীয় ফাঁড়ির ইনচার্জ সহ পুলিশ কর্মীদের গ্রামের মধ্যে আটকে রাখা হয়। পরে, আরামবাগ থানার আইসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মহিলাদের উপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ তুলে বিচারের আশায় আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষের গাড়ির সামনে হরিণখোলা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাল্টু খান শুয়ে পড়েন। থানার আইসি-র পা চিপে ধরেন তিনি। গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দিতে থাকেন। পরে প্রধানকে বুঝিয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান?

    হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান লাল্টু খান বলেন, বাবুসোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করুক। কিন্তু, সে বাড়়িতে ছিল না। বাড়িতে মহিলারা ছিল। লেডি কনস্টেবল ছাড়াই আরামবাগ থানার পুলিশ অর্থাৎ হরিণখোলা ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ মদ্যপ অবস্থায় পুলিশ নিয়ে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। এই অন্যায়ের সুবিচারের দাবিতে ফাঁড়ির ইনচার্জ শংকর কোলেকে এলাকার মানুষ আটকে রাখেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার সামনে পুলিশ নির্যাতন চালিয়েছিল। আমি মেনে নিতে পারিনি। তাই, পুলিশের গাড়ির নিচে শুয়ে আমি আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলাম। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সামশেরগঞ্জের আমবাগান থেকে দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার, ব্যাপক চাঞ্চল্য

    Murshidabad: সামশেরগঞ্জের আমবাগান থেকে দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার, ব্যাপক চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত সপ্তাহেই মুর্শিদাবাদের রানিনগরে ফলের বাগানে, রেজিনগরে পাট ক্ষেতে এবং ডোমকলে নদীর ধারে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। এই জেলায় (Murshidabad) ফের পঞ্চায়েত ভোটের আগে একটি আমবাগান থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের জীবনে এখন বোমার আতঙ্ক যেন নতুন সংযোজন।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কীভাবে বোমা উদ্ধার?

    রাজ্যে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর ঠিক তার আগেই ফের ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমার খোঁজ মিলল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। সোমবার সকাল সকাল এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে সামশেরগঞ্জ থানার হাউসনগর কৃষক বাজার সংলগ্ন এলাকায়। এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাউসনগর কৃষক বাজারের উল্টো দিকে একটি আমবাগানে হানা দেয় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। তারপর সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা। এরপর ঘটনাস্থলকে ঘিরে রেখে, খবর দেওয়া হয় বোম স্কোয়াডকে। কে বা কারা আমবাগানে বোমাগুলো রেখেছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। দুই ব্যাগে প্রায় ১৫ টি বোমা থাকতে পারে বলেই অনুমান পুলিশের। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে একের পর এক বোমা উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সামশেরগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে।

    এবার দেখা যাক, এর আগে জেলার কোথায় কোথায় বোমা উদ্ধার হয়েছিল।

    রানিনগরে (Murshidabad) বাগান থেকে উদ্ধার বোমা

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রানিনগর (Murshidabad) থানার ইলসামারি এলাকায় একটি বাগানে তল্লাশি চালায় পুলিশ এবং তিনটি ব্যাগ ভর্তি সকেট বোমা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চঞ্চলা ছড়ায়। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশ। বোম্ব স্কোয়াডকেও খবর দেওয়া হয়েছিল বোমগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য। কে বা কারা, কী কারণে এতগুলি বোমা বাগানের মধ্যে মজুত করে রেখেছিল, সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    রেজিনগরে পাট ক্ষেতে বোমা উদ্ধার

    বেলডাঙা ২ রেজিনগর (Murshidabad) থানার বিকননগর কৈখালী সাঁকোর কাছে পাটের জমি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ড্রাম ভর্তি তাজা সকেট বোমা। আর এই উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয় এলাকা জুড়ে। স্থানীয়রা ক্ষেতের মধ্যে বোমা দেখে, রেজিনগর থানায় খবর দিলে পুলিশ সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করে। এই ঘটনায় এলাকার চাষিরা জমিতে চাষ করতে গেলে ভয় পাচ্ছেন বলে জানা যায়।

    ডোমকলে নদীর ধারে বোমা উদ্ধার

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ডোমকলে (Murshidabad) উদ্ধার হয়েছিল সকেট বোমা। আর একে ঘিরেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের ডোমকলের শিয়ালমারী ঘাটের ধারে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সকাল নদীর ধারে একটি বাগান থেকে একটি বালতি বোঝাই সকেট বোমা উদ্ধার হয়। তারপরেই বোমার স্থানকে ঘিরে রাখে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Missing: পুলিশ ব্যস্ত অভিষেকের নিরাপত্তায়, নাবালিকা মেয়ের খোঁজ না পেয়ে বুক চাপড়াচ্ছে হতভাগ্য বাবা-মা

    Missing: পুলিশ ব্যস্ত অভিষেকের নিরাপত্তায়, নাবালিকা মেয়ের খোঁজ না পেয়ে বুক চাপড়াচ্ছে হতভাগ্য বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিষাদল থানা এলাকার গোপালপুর গ্রামের গণেশ অধিকারীর ১৪ বছরের নাবালিকা কন্যা নিখোঁজ (Missing)। গোপালপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। কিন্তু এখন তার সন্ধান করবে কে? জেলার সব পুলিশ তো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রায় সুরক্ষার কাজে ব্যস্ত। পুলিশ সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা না ভেবে কেবল রাজনৈতিক নেতাদের সুরক্ষা দিচ্ছে, এমনই অভিযোগ তুলছে পরিবার। এলাকায় এ নিয়ে সরগরম রাজনীতির ময়দানও।

    অভিষেকের সুরক্ষার ফলে কী ঘটেছে (Missing)?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ। ফলে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তার মা-বাবা। পরিবার থানায় গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলাতে আছেন, তাই সমস্ত পুলিশ এখন তাঁর নিরাপত্তার কাজে ব্যস্ত। পুলিশ জানিয়ে দেয়, তিনি জেলা থেকে চলে গেলে তারপর খোঁজখবর (Missing) নিয়ে দেখা হবে। আর এই কথাতেই পরিবার মনে করছে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ আদৌ চিন্তিত নয়। তারা চিন্তিত কেবল শাসক দলের নেতার সুরক্ষা নিয়ে। নিখোঁজ নাবালিকার সন্ধান পাওয়া নিয়ে পরিবার এখন খুবই চিন্তিত।  

    কেন পুলিশ নিখোঁজ (Missing) কন্যার সন্ধান করতে ব্যর্থ

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে নবোজোয়ার কর্মসূচি করছেন। জন্য জেলা প্রশাসনকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে। এর কারণ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুরে সভা করতে এলে, তাঁকে চড় মেরেছিল এক যুবক। আর তারপর থেকেই তিনি এই জেলাতে এলেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকে জেলার পুলিশ প্রশাসন। যেহেতু তিনি জেলাতে আছেন, তাই প্রত্যেকটি থানার পুলিশ নিরাপত্তার কাজে ব্যস্ত। জেলা পুলিশ বর্তমানে অন্য বাকি কাজ (Missing) করতে পারছেন না বলে জানা গেছে। কিন্তু নাবালিকাকে অপহরণের পর যদি কোনও অঘটন ঘটে, তাহলে কী হবে? এই প্রশ্নে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকজন।

    পুলিশের বক্তব্য

    এই বিষয়ে মহিষাদল থানার পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছে, নিখোঁজ (Missing) নাবালিকার বিষয়ে মিসিং ডায়েরি করা হয়েছে। আপাতত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করবে পুলিশ। নিখোঁজ মেয়েটিকে উদ্ধারে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: পানিহাটি মহোৎসবতলা ঘাটের মন্দিরের ভিতরে এবার পুজো দিতে পারবেন না ভক্তরা, কেন জানেন?

    Panihati: পানিহাটি মহোৎসবতলা ঘাটের মন্দিরের ভিতরে এবার পুজো দিতে পারবেন না ভক্তরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাল, শুক্রবার পানিহাটির (Panihati) মহোৎসবতলা ঘাটে চিঁড়ে উৎসবের সূচনা হচ্ছে। সাজো সাজো রব গোটা এলাকা। গতবারের  দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পানিহাটির মহোত্সবতলা ঘাটের মন্দিরের ভিতরে ঢুকে এবার আর ভক্তরা পুজো দিতে পারবেন না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম প্রস্তুতি রয়েছে। গতবার পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন বহু ভক্ত। মন্দিরের মূল সেবাইত বঙ্কুবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুর্ঘটনা এড়াতে এবার ভক্তের সংখ্যা কমবে মনে হয়। আর ভক্তরা এসে মন্দিরে পুজো দিতে না পারলে তাঁরা হতাশ হবে। ফলে, আগামীদিনে ভক্তের সংখ্যা আরও কমবে। তবে, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে নিতে হবে।”

    দুর্ঘটনা এড়াতে এবার কী উদ্যোগ নিল প্রশাসন?

    জানা গিয়েছে, পানিহাটি (Panihati) দণ্ড মহোৎসব এবছর প্রশাসন কিছু নির্দিষ্ট রুটে দর্শনার্থীদের প্রবেশের জন্য ধার্য করা হয়েছে। মূলত দর্শনার্থীরা সোদপুর ট্রাফিক মোড় ও স্বদেশী মোড় দিয়ে হেঁটে প্রবেশ করতে পারবে উৎসব প্রাঙ্গণে। কিছুটা দূরত্ব থেকে একমুখী পথ রাখা রয়েছে দর্শনার্থীদের  জন্য। সেই পথ ধরে কয়েকটি ড্রপ গেট ধরে এগিয়ে শ্রী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর শ্রী মন্দির পানিহাটি (Panihati) দণ্ড মহোৎসব তলায় প্রবেশ করতে পারবেন  দর্শনার্থীরা। মূল মন্দিরে পুজোর ক্ষেত্রেও রয়েছে কিছু নির্দেশিকা। মূল মন্দির থেকে ইসকন পানিহাটি হয়ে রাঘব ভবন (পাটবাড়ী) যাওয়ার পথ সম্পূর্ণ একমুখী রাখা রয়েছে। পানিহাটি বৈষ্ণব সমিতি মাঠে করা হচ্ছে পূর্ণার্থীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা। রয়েছে স্বাস্থ্য শিবির। এছাড়াও দুটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া থাকছে ফ্রায়ার ব্রিগেড থেকে শুরু করে পানীয় জলের সুব্যবস্থা। প্রসাদ বিতরণের জন্য মন্দিরগুলিকে আলাদা ভাবে ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে প্রশাসন সূত্রে। মেলার ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনো স্টল বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি এবার। এছাড়া খুব গরম থাকায় থাকবে বিশেষ জল বর্ষণের ব্যবস্থা। এছাড়া থাকছে ২০০ টির বেশি সিসিটিভির মাধ্যমে সুরক্ষা ব্যবস্থা।

    কবে শুরু হয়েছিল এই উৎসব?

    চৈতন্য মহাপ্রভু পানিহাটির (Panihati) মহোত্সবতলা ঘাটে চিঁড়ে উত্সবের সূচনা করেছিলেন। ৫০৭ বছর আগেই ভক্তদের উপস্থিতিতে মহাপ্রভুর নির্দেশে এই উত্সব শুরু হয়েছিল। কথিত আছে ১৫১৬ সালে সপ্তগ্রামের জমিদার রঘুনাথ দাসকে দই চিঁড়ে বিতরণের কৃপাদণ্ড দিয়েছিলেন। মহাপ্রভু ও ভক্তদের সকলের জন্য দই, চিঁড়া, কলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই থেকেই  এখানে এই চিঁড়ে উত্সব পালিত হয়ে আসছে। ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস এই উত্সবে আসতেন। এছাড়াও রামদাস বাবাজী, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মতো মণীষীদের পদধূলি ধন্য এই মহোত্সব তলা ঘাট। কালের নিয়ম মেনেই কয়েকশো বছর ধরেই এই পানিহাটিতে এই উত্সব পালিত হয়ে আসছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share