Tag: police

police

  • Naihati: সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েও লাভ হল না, দুই বন্ধুই তলিয়ে গেল গঙ্গায়

    Naihati: সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েও লাভ হল না, দুই বন্ধুই তলিয়ে গেল গঙ্গায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সঙ্গে দুই বন্ধু মিলে গঙ্গার ঘাটে স্নানে নেমেছিল। চোখের সামনে বন্ধুকে তলিয়ে যেতে দেখে অন্য বন্ধু তাকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়ায়। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। দুজনেই গঙ্গায় তলিয়ে যায়। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির (Naihati) লিচুবাগান এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    ঠিক কী হয়েছে?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ দুই যুবকের নাম শুভম দে ( ১৮) এবং সুজল সাউ ( ১৭)। শুভমের বাড়ি নৈহাটির (Naihati) মক্রেশ্বর ঘাট রোডে। সে এবছর নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতন থেকে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। নৈহাটির সঞ্জীব চ্যাটার্জি রোডের বাসিন্দা সুজল। সে মহেন্দ্র হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে তারা দুজনে খেলা করতে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বের হয়। ওরা মাঠে খেলাও করে। পরে, তারা বঙ্কিমঘাটে আসে। সেখানে দুজনেই একসঙ্গে স্নান করতে নামে। সুজল একটু বেশি জলে গিয়ে স্নান করছিল। আর শুভম ঘাটের সামনের দিকে ছিল। আচমকা সুজল তলিয়ে যেতে থাকে। সে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিত্কার করতে থাকে। চোখের সামনে বন্ধুকে তলিয়ে যেতে দেখে শুভম তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যায়। দুজনেই গঙ্গায় তলিয়ে যায়। ঘাটের আশপাশে থাকা লোকজন ছুটে আসেন। অনেকেই সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। কিন্তু, অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাদের দুজনের হদিশ মেলেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, একজন গঙ্গার অনেকটাই ভিতরে চলে গিয়েছিল। আর সে ফিরতে পারেনি। অন্যজন তাকে বাঁচাতে গিয়ে এই বিপত্তি হয়েছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    ঘটনার পর পর খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন, পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা এবং নৈহাটি (Naihati) পুরসভার চেয়ারম্যান যান। গঙ্গায় ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু. তাদের আর হদিশ মেলেনি। পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, গঙ্গার ঘাট সংস্কার না হওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। গঙ্গায় ড্রেজিং করার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি এই ঘাটের সংস্কার করার প্রয়োজন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj:  কালিয়াগঞ্জে পুলিশের ভয়ে বাসিন্দারা রাত কাটাচ্ছেন ফসলের ক্ষেতে!

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের ভয়ে বাসিন্দারা রাত কাটাচ্ছেন ফসলের ক্ষেতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও মুহূর্তে পুলিশ বাড়িতে এসে তুলে নিয়ে যেতে পারে। সেই আতঙ্কে রাত কাটছে মাঠে, ফসলের ক্ষেতে। এমনই অবস্থা কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) সাহেবঘাটা, রঘুনাথপুর, রাইপুর, মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দাদের। পুলিশ এটা বন্ধ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি জেলা বিজেপি নেতৃত্বের।

    পুলিশের ভয়ে বাড়িছাড়া

    নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। ভাঙচুর হয়েছে কালিয়াগঞ্জ থানা, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল থানা সংলগ্ন এলাকায়। পুলিশকে বেধড়ক মারধরও করা হয়। আর তার জেরে চলে পুলিশি অভিযান। এরই মাঝে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর এলাকার যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের। গত দশ দিন ধরে এত কাণ্ড কালিয়াগঞ্জে ঘটেছে। এরপরও কালিয়াগঞ্জের বেশ কিছু গ্রামে পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এখনও কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা, রঘুনাথপুর, রাইপুর, মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না পুলিশের ভয়ে। যে কোনও মুহূর্তে পুলিশ এসে বাড়ির পুরুষ ও মহিলাকে তুলে নিয়ে যেতে পারে, এমনই আশঙ্কায় রাতের বেলায় মাঠে কিংবা ফসলের ক্ষেতে থাকছেন তাঁরা।

    চাপা আতঙ্ক গোটা গ্রামে 

    রঘুনাথপুর এলাকার গ্রামবাসীদের দাবি, কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) সাহেবঘাটায় নাবালিকার মৃত্যুতে যে বিক্ষোভ হয়েছিল, সেখানে তাঁরা ছিলেন না। এমনকী থানা ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনাতেও তাঁরা ছিলেন না। তারপরেও পুলিশ রাত হলেই আসছে এবং গ্রামবাসীদের ভয় দেখাচ্ছে। যার ফলে তাঁরা আতঙ্কিত। বিশেষ করে রাধিকাপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবকের মৃত্যু হওয়ায় আতঙ্কের ছাপ গ্রামবাসীদের মুখে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় নির্ভয়ে গ্রামে থাকতে বললেও তাতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। অন্যদিকে নাবালিকার মৃত্যুর পর তার গ্রামে বসানো হয়েছে পুলিশ পাহারা। বাড়ির কাছেই সমাধিস্থ করা হয়েছে নাবালিকাকে। পুলিশের সঙ্গে নাবালিকার গ্রামের মানুষদের কথাবার্তাও হচ্ছে। কিন্তু তারপরও এক চাপা আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। আর এই সমস্ত  কিছু কাটিয়ে গ্রামবাসীরা চাইছেন আবারও পুরোনো ছন্দে ফিরুক গ্রাম, স্বাভাবিক হোক জনজীবন।

    বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির

    পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। অপরদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ফোনে জানিয়েছেন, পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে পারেনি। মোয়াজ্জেম হোসেন গুলি করেছে। তাকে আইসিইউতে রেখে জামাই আদর করে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট চলছে। আর নিরীহ গ্রামবাসীরা, যারা কোনওভাবেই ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে হয়রানি করছে। তাতে পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের যে ক্ষোভ জমা হচ্ছে, তা কোনওভাবেই সমাজের পক্ষে মঙ্গল ডেকে আনবে না। পুলিশের উচিত প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করা। পুলিশ যদি এটা বন্ধ না করে, মানুষের স্বার্থে বড় আন্দোলনে (Kaliaganj) নামার হুঁশিয়ারি দেন বাসুদেববাবু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: সিভিক ভলান্টিয়ারের মানবিক মুখ! প্রাণ রক্ষা পেল মুমূর্ষু রোগীর

    Arambagh: সিভিক ভলান্টিয়ারের মানবিক মুখ! প্রাণ রক্ষা পেল মুমূর্ষু রোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিন্দু রক্ত যে মানুষের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারে, তা আরও একবার প্রমাণ মিলল। সিভিক ভলান্টিয়ারের মানবিক রূপ দেখলেন আরামবাগবাসী (Arambagh)। এক সিভিক ভলান্টিয়ার নিজে রক্ত দিয়ে মুমূর্ষু এক রোগীর প্রাণ বাঁচালেন। সিভিক ভলান্টিয়ারের পাশে দাঁড়ানোর এই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানালেন সকলে।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    আরামবাগ (Arambagh)  ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মীর শামসেদ তার ২২ বছরের অসুস্থ মেয়েকে আরামবাগ (Arambagh)  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা মেয়ের জন্য তাঁকে রক্ত জোগাড় করতে বলেন, তা না হলে রোগীকে  বাঁচানো যাবে না বলে জানানো হয়। শামসেদসাহেব ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তের খোঁজ করেন। কিন্তু, সেখানে রক্ত না থাকায় চারিদিকে হন্যে হয়ে তিনি রক্ত খুঁজছিলেন। কোথাও রক্তের হদিশ পাননি তিনি। অবশেষে শামসেদসাহেব আরামবাগ ট্রাফিকের ওসি সরোজ কুন্ডুর কাছে গিয়ে তাঁর সমস্যার কথা বলেন। ওই পুলিশ আধিকারিক রক্তের গ্রুপ জেনে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করেন। তুহিন শুভ্র হাজরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার ওই পুলিশ আধিকারিককে রক্ত দেওয়ার কথা জানান। তুহিনের বাড়ি আরামবাগ (Arambagh) থানার জয়রামপুর গ্রামে। তিনি রক্ত দেওয়ার জন্য হাসপাতালে চলে যান। সেখানে তিনি রোগীর জন্য রক্ত দেন। শামসেদসাহেব বলেন, সিভিক ভলান্টিয়ারের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকব। তাঁরজন্য আমার মেয়ের জীবন রক্ষা পেল।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    আরামবাগ (Arambagh) ট্রাফিকের ওসি সরোজ কুন্ডু বলেন, ওই রোগীর বাবাকে চরম অসহায় দেখাচ্ছিল। তিনি মেয়ের রক্তের জন্য হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন। তাঁর কাছে রক্তের গ্রুপ জেনে আমি পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করি। আর তাতেই কাজ হয়ে যায়। ওই সিভিক নিজেই উদ্যোগী হয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমি তাঁকে সঙ্গে করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করি।

    কী বললেন সিভিক ভলান্টিয়ার?

    এ বিষয়ে অবশ্য রক্তদাতা সিভিক ভলান্টিয়ার তুহিন শুভ্র হাজরা বলেন, আমি একজন মানুষ হিসাবে অন্য একজন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সামাজিক দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যেতে পারিনি।  আমার এই ছোট উদ্যোগে ওই রোগী উপকৃত হলেন। কেউ বিপদে পড়লে তার পাশে সকলের দাঁড়ানোর দরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: শিল্পাঞ্চলে ফের শুটআউট! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু বিজেপি নেতার

    BJP: শিল্পাঞ্চলে ফের শুটআউট! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ফের শুটআউটের ঘটনা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিজেপি (BJP) নেতার। শনিবার দুপুরে আসানসোলের জামুড়িয়া থানার বোগড়া কালী মন্দিরের কাছে ২ নং জাতীয় সড়কে একটি স্করপিও গাড়ির ভিতর থেকে ওই বিজেপি (BJP) নেতার গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। মৃত বিজেপি নেতার নাম রাজেন্দ্র সাউ (৪০)। তাঁর বাড়ি আসানসোলের রানিগঞ্জ থানার রানিসায়ের এলাকায়। তিনি আসানসোল পুরনিগমের ৩৩ নং ওয়ার্ডের বিজেপির কনভেনার ছিলেন। গাড়ির পাশে রাস্তায় পড়েছিল একটি খালি কার্তুজ।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    এই ঘটনায় রানিসায়ের অঞ্চলে রাজেন্দ্রর বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত বিজেপি নেতার আত্মীয় জীতেন্দ্র সাউ বলেন, শনিবার দুপুরে রাজেন্দ্রর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে খুব গালিগালাজ হয়। তবে, কে ফোন করেছিল আমরা জানতে পারিনি। ফোন রেখে বেলা দুটো নাগাদ বেশ কিছু টাকা নিয়ে সে বেরিয়ে যায়। তারপরই এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে। মনোজ সাউ নামে এক আত্মীয় বলেন, রাজেন্দ্র আমার ভাইপো ছিল। খুব ভালো ছেলে। সকলের বিপদে সে ঝাঁপিয়ে পড়ত। তাকে এরকম হবে খুন করা হবে তা ভাবতে পারিনি। আমরা দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    দলীয় নেতা খুন হওয়ার প্রতিবাদে বিজেপি-র (BJP) রাস্তা অবরোধ

    শনিবার বিজেপি (BJP) নেতা রাজেন্দ্র সাউয়ের খুন হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্ৰেফতার হয়নি। পাশাপাশি এই খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার আসানসোলের রানিসায়ের মোড়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখান। অবরোধকারীদের দাবি, খুনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী যায়। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ অবরোধ চলার পর অবশেষে অবরোধ ওঠে। অন্যদিকে, এই ঘটনার পিছনে ব্যবসায়িক শত্রুতা আছে বলেই মনে করছে পুলিশ।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    দলের নেতার মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকায় যান বিজেপির (BJP) রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। দলের নেতার মৃত্যুতে শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপির (BJP) আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দিলীপ দে ও বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। শনিবারও রাস্তা অবরোধ করা হয়। বিজেপি বিধায়ক বলেন, আমাদের কর্মীকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Arms Factory: পঞ্চায়েত ভোটের আগে হদিশ মিলল অস্ত্র কারখানার, বাজেয়াপ্ত প্রচুর অস্ত্র, গ্রেফতার ২

    Arms Factory: পঞ্চায়েত ভোটের আগে হদিশ মিলল অস্ত্র কারখানার, বাজেয়াপ্ত প্রচুর অস্ত্র, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে অস্ত্র কারখানার (Arms Factory) হদিশ মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী থানার রামচন্দ্রখালি পঞ্চায়েতের ছোটকলাহাজরা তেঁতুলতলা এলাকায়। পুরানো অস্ত্র মেরামতি করার পাশাপাশি নতুন অস্ত্র তৈরি করা হত সেখানে। একটি বাড়ির মধ্যেই চলত অস্ত্র কারখানা (Arms Factory)। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করে। একইসঙ্গে এই অস্ত্র কারবার (Arms Factory) চালানোর অভিযোগে মূল অভিযুক্তসহ দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যেভাবে একের পর এক অস্ত্র কারখানা আর অস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধার হচ্ছে, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন জেলাবাসী।

    জরির কাজের আড়ালেই চলত অস্ত্রের কারখানা (Arms Factory)

    বাসন্তীর রামচন্দ্রখালির তেঁতুলতলা এলাকায়|পুকুরের পাড়ে খড়ের ছাউনির ঘরেই এই অস্ত্র তৈরির কারখানা (Arms Factory) ছিল। মহিলারা বাড়ির মধ্যে জরির কাজ করতেন। আর তার আড়ালেই চলত অস্ত্রের কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস ও বাসন্তী থানার এস আই সোমনাথ দাসের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে হানা দেয়। পুলিশ সূত্রের খবর, বাইকে করে পুলিশের বিশেষ টিম মোতালেবের ডেরায় যায়।  তারপর ক্রেতা সেজে তারা ওই বাড়িতে যায়। অস্ত্র নিয়ে দামদর করতেই একদল পুলিশ তার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে সাতটি ইম্প্রোভাইজ লং আর্মস, ড্রিল মেশিনসহ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। আর এই কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে মোতালেব পুরকাইত এবং জয়নাল মোল্লাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বাসন্তী, ক্যানিং, গোসাবায়  মোটা টাকায় অস্ত্র বিক্রি করা হত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ওয়ান শাটারের দাম ১২ হাজার টাকা এবং  একনলা সিঙ্গেল ব্যারেল পাইপগান ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি হত।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার মিস পুষ্পা বলেন, সকলের চোখে ধূলো দিতে ওই বাড়িতে মহিলারা জরির কাজ করত। এই কারবারের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোতালেব পুরকাইতকে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ অস্ত্র কারখানা (Arms Factory) চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই সময় উদ্ধার হয়েছিল ৬ টি আর্মস। এবারও সেই একই অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda Murder: শ্বশুরবাড়িতে কুড়ুল দিয়ে হত্যালীলা জামাইয়ের, প্রাণ গেল কিশোরীসহ ৩ জনের

    Malda Murder: শ্বশুরবাড়িতে কুড়ুল দিয়ে হত্যালীলা জামাইয়ের, প্রাণ গেল কিশোরীসহ ৩ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীর সঙ্গে সামান্য বিষয় নিয়ে বচসা। আর তার জেরেই কুড়ুল দিয়ে হত্যালীলা চালাল স্বামী টুবাই মণ্ডল। স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে এলোপাথারি কোপানোর (Malda Murder) অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে। আর তার এই নৃশংস এই হামলা জেরে মৃত্যু হল কিশোরী সহ দুজনের। আর ঘটনার পর নিজে পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে তারও মৃত্যু হয়।  শনিবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদহের (Malda Murder) ইংরেজবাজারের কমলাবাড়ি বাঁধাপুকুর এলাকা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম লক্ষ্মী মণ্ডল (১৪), দীপ্তি সিংহ মণ্ডল (২৪) এবং টুবাই মণ্ডল (৩৫)। লক্ষ্মী মণ্ডল হচ্ছে টুবাইয়ের শালীর মেয়ে। দীপ্তি সিংহ মণ্ডল হচ্ছে টুবাইয়ের শ্যালকের স্ত্রী। আর হামলায় গুরুতর জখম হন টুবাইয়ের স্ত্রী নির্মলা মণ্ডল। তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত টুবাই মণ্ডল ভিন রাজ্যে কাজ করত। গত কয়েক মাস ধরে স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার ঝামেলা চলছিল। সম্প্রতি সে ভিন রাজ্য থেকে বাড়িতে ফেরে। তার স্ত্রী নির্মলাদবী বাপের বাড়িতে ছিলেন। শনিবার টুবাই স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে শ্বশুরবাড়িতে যায়। অভিযোগ, স্ত্রী তার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি ফিরতে রাজি হননি। এরপরই দুজনের মধ্যে বচসা হয়। হাতের সামনে কুড়ুল নিয়ে সে তার স্ত্রীকে এলোপাথারি কোপ (Malda Murder) মারে। মাসিকে কোপাতে দেখে চোদ্দ বছরের লক্ষ্মী মেশোমশাইকে বাধা দিতে যায়। তাকেও টুবাই এলাপাথারি কোপায়। পরে, শ্যালকের স্ত্রীও টুবাইকে বাধা দিতে যান। তাঁকেও সে কুড়ুল দিয়ে এলোপাথারি কোপায়। ঘরের ভিতর যখন এরকম নৃশংস তাণ্ডবলীলা চলছে, সেই সময় বাইরে প্রতিবেশীরা ভিড় করতে শুরু করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কুড়ুল ফেলে সে ছাদ থেকে লাফ দেয়। সেখান থেকে নীচে পড়ে  ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।  

    কী বললেন মৃতের বাড়ির লোকজন?

    টুবাইয়ের শ্যালক মৃদুল মণ্ডল বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। জামাইবাবু সন্ধ্যার সময় আমাদের বাড়িতে আসে।   বাড়ির দরজা লাগিয়ে দিয়ে এই তাণ্ডব চালায় সে। হামলার জেরে আমার স্ত্রী আর বোনঝির মৃত্যু হয়েছে। আর আমার বোন গুরুতর জখম। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগেও আমার বোনকে ও মেরে পা ভেঙে দিয়েছিল। ওর অত্যাচারের জন্যই আমার বোন শ্বশুরবাড়ি যেতে রাজি হয়নি। তারজন্য এভাবে ও হত্যালীলা (Malda Murder) চালাবে তা ভাবতে পারিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: স্ত্রীকে খুন করতে সুপারি দিয়েছিল স্বামী, কেন জানেন?

    Malda: স্ত্রীকে খুন করতে সুপারি দিয়েছিল স্বামী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহ করে পরিবারে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত। অশান্তি মেটানোর জন্য পরিবারের লোকজন হস্তক্ষেপও করেছিলেন। কিন্তু, স্বামী মাসু সেখের  মন থেকে সন্দেহ দূর হয়নি। বরং, যতদিন গিয়েছে সন্দেহ আরও বেড়েছে। তাই, নিজের স্ত্রীকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নিজেই স্ত্রীকে খুন করার জন্য দুজন যুবককে সুপারি দেন। তাঁর দেওয়া সুপারি মতো দিনের বেলায় প্রকাশ্যে রাস্তার মধ্যে স্ত্রীকে খুন করা হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) শিমূলধাপ এলাকায়। তদন্তে নেমে পুলিশ স্বামী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২৫ এপ্রিল  মালদহ (Malda) থানার রায়পুর থেকে মোটরবাইকে করে নিজের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতে রাহামাটনগর গ্রামে যাচ্ছিলেন মাসু সেখ। রায়পুর গ্রামে মাসু সেখের শ্বশুরবাড়ি। আর রাহামাটনগর গ্রামে তাঁর বাড়ি। বাইকে করে বাড়ি ফেরার পথে নীল রঙের একটি বাইক তাঁদের পিছু নেয়। বাইকে দুজন ছিল। শিমূলধাপ এলাকায় খুব কাছে থেকে  দুষ্কৃতীরা মাসু সেখের স্ত্রী আইনুল বিবিকে গুলি করে। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা গুলিবিদ্ধ আইনুল বিবিকে মালদহ (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মাসু শেখ সেই সময় বলেছিলেন, আমরা বাইকে করে বাড়ি যাচ্ছিলাম। দুজন যুবক এসে স্ত্রীকে গুলি চালিয়ে দিয়ে চলে যায়। কেন আমার স্ত্রীকে খুন করা হল তা বুঝতে পারছি না।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    মালদহের (Malda) জেলা পুলিশ সুপার সাউ অমিত কুমার বলেন, ২৫ তারিখের ঘটনার পর আমরা তদন্ত শুরু করি। বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা মাসু সেখের সঙ্গে স্ত্রীর গণ্ডগোলের বিষয়টি জানতে পারি। পরে, মাসু সেখকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। পরে, জানতে পারি, মাসু সেখ উজির সেখ  ও হজরত সেখ নামে দুজনকে সুপারি দিয়েছিল। মাসু টাওয়ারের কাজ করে। সেই সূত্রে এদের সঙ্গে তার পরিচয়। তবে, এই খুন করার জন্য কত টাকা সে দিয়েছিল তা জানতে পারিনি। যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ওই বধূকে খুন করা হয়েছিল তা এখনও উদ্ধার হয়নি। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Titagar Shootout: টিটাগড় শুটআউটে মূল অভিযুক্তসহ গ্রেফতার ৩, কেন খুন করা হল তৃণমূল কর্মীকে?

    Titagar Shootout: টিটাগড় শুটআউটে মূল অভিযুক্তসহ গ্রেফতার ৩, কেন খুন করা হল তৃণমূল কর্মীকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া টাকা চাওয়ার জন্যই টিটাগড়ে তৃণমূল কর্মী আনোয়ার আলিকে খুন (Titagar Shootout) করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে প্রাথমিকভাবে এই তথ্য সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে প্রকাশ্য দিবালোকে শুটআউটের (Titagar Shootout) ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ও তার স্ত্রীসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম  মহম্মদ সানি, মহম্মদ আরিফ এবং সানির স্ত্রী শবনম বানু। তিনজনকেই পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাদের বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়।

    ৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার জন্যই কী ব্যবসায়ীকে খুন?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সানির বাড়ি টিটাগড়ের উড়ানপাড়া এলাকায়। বছর পাঁচেক আগে সানির বিরুদ্ধে একটি খুনের অভিযোগও ছিল। তাতে সে জেলও খেটেছে। পরে, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মোবাইল কেনাবেচার কাজ করা শুরু করেছিল। আনোয়ারসাহেব তৃণমূল কর্মীর পাশাপাশি এলাকায় তিনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। টিটাগড় এলাকায় তাঁর মোবাইলের দোকান রয়েছে। তিনি জমি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি পরিবহণের তাঁর ব্যবসা ছিল। আনোয়ারের মোবাইল দোকান থেকে ধারে মোবাইল নিত সানি। পরে, তা বিক্রি করে টাকা ফেরত দিত সে। এইভাবে কারবার দুজনের মধ্যে ঠিকঠাক চলছিল। তবে, কয়েকমাস আগে আনোয়ারের দোকান থেকে সানি বেশ কয়েকটি মোবাইল ধারে নিয়েছিল। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা। সেই টাকা দীর্ঘদিন ধরে ফেরত দিচ্ছিল না বলে অভিযোগ। আনোয়ার আলি ও তার ছেলে সোহেল বার বার সানির কাছে বকেয়া টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু, সানি সেই বকেয়া টাকা ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ। যার জেরে সোহেলের সঙ্গে সানির একবার ঝামেলা হয়েছিল। আনোয়ারের সঙ্গে তুমুল বচসাও হয়। আনোয়ার বকেয়া টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত সানির উপর চাপ দিয়েছিলেন। নতুন করে আর সানিকে মোবাইল তিনি আর ধার দেননি। ফলে, সানি চরম বিপাকে পড়ে যায়। এরপরই সানি তার বন্ধু আরিফকে সমস্ত বিষয়টি বলে। আরিফ নৈহাটি থেকে একজন শার্প শুটারকে নিয়ে আসে। আনোয়ারকে খতম করার তারা ছক কষে।

    এই ঘটনা নিয়ে কী বললেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) আশিস মৌর্য বলেন, সানির সঙ্গে আনোয়ার আলির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যা ছিল। এনিয়ে বচসাও হয়েছিল। এরপরই তাকে খুন করা হল। ঘটনাস্থল থেকে একটি স্কুটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে আনোয়ারের গতিবিধির উপর সানি ও তার দলবল নজর রাখছিল। এমনকী সানির স্ত্রী শবনম আনোয়ারকে ফোন করে তাঁর অবস্থান জানার চেষ্টা করে। আনোয়ার খুন হওয়ার কিছুক্ষণ আগে তাঁকে শবনম ফোন করে বকেয়া টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল। সেই টাকা আনতে গিয়েই সানি ও তাদের গ্যাংয়ের হাতে আনোয়ারসাহেব খুন (Titagar Shootout) হন। তবে, ঘটনার সময় সানি আরিফ ছাড়়াও আরও একজন ছিল। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bolpur: স্কুল ফাঁকি দিয়ে নদীতে স্নান! তলিয়ে গেল যমজ ভাই, এলাকায় শোকের ছায়া

    Bolpur: স্কুল ফাঁকি দিয়ে নদীতে স্নান! তলিয়ে গেল যমজ ভাই, এলাকায় শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল ফাঁকি দিয়ে কোপাই নদীতে স্নান করতে এসে তলিয়ে গেল যমজ ভাই। পরে, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে নদী থেকে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদের নাম সায়ক পাল ও সোহম পাল। তাদের বাড়ি বোলপুরের (Bolpur) বাইপাস এলাকায়। তারা টেকনো ইণ্ডিয়া স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    এদিন সকালে স্কুল যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে দুই ভাই বের হয়। তাদের সঙ্গে আরও চারজন বন্ধু ছিল। তারা সকলেই বোলপুরের (Bolpur) টেকনো ইণ্ডিয়া গ্রুপ পাবলিক স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়ার কাছে কোপাই নদীতে ৬ জন মিলে স্নান করতে নামে। সেখানেই দুই ভাই  একসঙ্গে তলিয়ে যায়।  ক্ষিপ্ত জনতা মৃতদের বন্ধুদের মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে বোলপুর ও শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। স্থানীয় যুবকেরা জলে নেমে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করেন। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ দুটি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    বন্ধুদের বক্তব্য কী?

    চোখের সামনে দুই বন্ধুকে তলিয়ে যেতে দেখে হতবাক হয়ে পড়ে তাদের বাকী চার বন্ধু। সৌগত গড়াই নামে এক বন্ধু বলে, স্কুল ফাঁকি দিয়ে আমরা নদীতে স্নান করতে এসেছিলাম। তবে, সবাই নদীতে নামিনি। সায়ক আর একজন জলে নেমেছিল। পরে, আমিও স্নান করতে নামি। সায়ক নদীর অনেকটাই ভিতরে চলে গিয়েছিল। আচমকাই সে তলিয়ে যেতে থাকে। আমি বুঝে ওঠার আগেই তার ভাই সোহম নদীতে তাকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেয়। দুজনেই একসঙ্গে তলিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে তারা জলে স্নান করছিল। জলের মধ্যে লাফালাফি করছিল। দুজনেই তলিয়ে যায়। এরপরই ক্ষিপ্ত জনতা মৃত দুই ভাইয়ের বন্ধুদের মারধর শুরু করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ কোনওরকমে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে চার ছাত্রকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda School: হাতে অ্যাসিড বোমা নিয়ে ক্লাসের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াল বন্দুকবাজ, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা

    Malda School: হাতে অ্যাসিড বোমা নিয়ে ক্লাসের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াল বন্দুকবাজ, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চক, পেন্সিল হাতে নিয়ে ক্লাসে ঢুকেছেন স্কুলের (Malda School) শিক্ষক। পড়ুয়াদের ভিড়ে ঠাসা ক্লাসরুম। শিক্ষক সবে ক্লাস শুরু করেছেন। আচমকাই আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে আর দুটি কাচের বোতল নিয়ে অপরিচিত মাঝবয়সী একজন ক্লাসরুমে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়লেন। তাঁকে দেখে শিক্ষক থেকে ছাত্র-ছাত্রী সকলেই ভয়ে সিঁটিয়ে গেলেন। শিক্ষকের বই-খাতা রাখার টেবিলে দুটি কাচের বোতল রাখেন ওই বন্দুকবাজ। ওই ব্যক্তি ক্লাসের পড়ুয়াদের বলেন, কাচের বোতলে অ্যাসিড আর পেট্রল বোমা রয়েছে। স্কুলের মধ্যে বন্দুকবাজের এরকম দাপাদাপির খবর শুনলে মনে হতেই পারে মার্কিন মুলুক কিংবা অস্ট্রেলিয়ার কোনও এলাকার ঘটনা। কিন্তু, ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে এই রাজ্যেই। ঘটনাস্থল পুরাতন মালদহের মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুল (Malda School) । চোখের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে একজনকে দেখে ক্লাস সেভেনের পড়ুয়ারা কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

    কেন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্কুলে হামলা চালালেন ওই ব্যক্তি?

     বন্দুকবাজের খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্কুলের (Malda School)  অন্যান্য ক্লাসের পড়ুয়ারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবকরা স্কুল গেটের বাইরে ভিড় করেন। স্থানীয় লোকজনের ভিড়ে স্কুল গেটের সামনে কয়েকশো মানুষের ভিড় জমে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মালদহ থানার পুলিশ আসে। ততক্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি ক্লাসরুমের ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে হাতে একটি কাগজ নিয়ে বলতে থাকেন, তৃণমূল আর পুলিশ প্রশাসন আমার স্ত্রী ও ছেলেকে দুবছর ধরে অপহরণ করে রেখেছে। আমি বিডিও থেকে নবান্ন পর্যন্ত সব জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। আমি এর আগে ফেসবুকে বিষয়টি বলেছিলাম। কিন্তু, কেউ কথা রাখেনি। আজ, আমি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্কুলে এসেছি। আমার ব্যাগের মধ্যে ইলেকট্রনিক বোমা রয়েছে। হাতে নাইন এমএম রয়েছে। আর দুটি কাচের বোতলের একটিতে অ্যাসিড বোমা, অন্যদিতে পেট্রল বোমা রয়েছে।  বোমা ফাটলে গোটা ক্লাসরুম ঝলসে যাবে। এই কথাগুলি তিনি যখন বলছিলেন, তখন ক্লাসের মধ্যে থাকা পড়ুয়ারা কার্যত ভয়ে সিঁটিয়ে ছিলেন। আর ক্লাস রুমের বাইরে তখন শিক্ষক, অভিভাবক আর পুলিশ অফিসারদের ভিড়। এক পুলিশ আধিকারিকের তত্পরতায় ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলা হয়। আগ্নেয়াস্ত্রসহ অ্যাসিড বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরে, ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

     স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম দেববল্লভ রায়। তার বাড়ি পুরাতন মালদহের নেমুয়া এলাকায়। একসময় তার স্ত্রী বিজেপি-র পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ছিলেন। পরে, তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বছর দুয়েক আগে থেকেই তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে তৃণমূল অপহরণ করে রেখেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এদিনের ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কোনও কারণ থেকে ওই ব্যক্তি এসব করেছে। তাকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়াতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নানা অভিযোগ করেছিল। তখনও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। এবার স্কুলে (Malda School) এভাবে কেন এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share