Tag: police

police

  • Mafia Raj: পুকুরের মাটি কেটে ট্রাক্টরে দেদার পাচার, মাটি-মাফিয়াদের মাথায় কাদের হাত?

    Mafia Raj: পুকুরের মাটি কেটে ট্রাক্টরে দেদার পাচার, মাটি-মাফিয়াদের মাথায় কাদের হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাটি-মাফিয়াদের কি স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে আরামবাগ মহকুমার বেশ কিছু এলাকা? অভিযোগ, সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্যে চলছে মাটি-মাফিয়াদের (Mafia Raj) দৌরাত্ম্য। পুকুর থেকে মাটি জেসিবি দিয়ে কেটে, ট্রাক্টরে পাচার হচ্ছে অন্যত্র। ঘটনাস্থল গোঘাটের পশ্চিমপাড়া পঞ্চায়েতের ভাতশালা এলাকা। সেখানেই শতাধিক ট্রাক্টরে চাপিয়ে মাটি এইভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। শুধু তাই নয়, সেই খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি গ্রামের লোকজন ডেকে ঘেরাও করে রাখার হুমকি দেওয়া হয়।

    খবর সংগ্রহে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হুমকির মুখে

    কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল, ভাতশালা এলাকার একটি পুকুর থেকে অবৈধভাবে জেসিবি দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে এবং পুকুরের পাড়ে না ফেলে তা অন্যত্র পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভাতশালা এলাকায় ঢুকতেই পুকুরপাড়ে থাকা সমস্ত ট্রাক্টর তড়িঘড়ি এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। সাংবাদিকদের দেখে সাময়িক ভয় পেলেও মুহূর্তের মধ্যে হাজির হয় স্থানীয় দুই তৃণমূল কর্মী। তারপরেই সাংবাদিকদের ক্যামেরা বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী গ্রামের লোকজন ডেকে তারা ঘেরাও করে রাখার হুমকি দেয়। তাদের কথাতেই বোঝা গেল, এই মাটি চুরির (Mafia Raj) ক্ষেত্রে মাথায় হাত রয়েছে একাধিক নেতার। শুধু তাই নয়, রয়েছে সরকারি আধিকারিকদের সমর্থনও। সেই প্রভাব খাটিয়েই দেদার চলছে পুকুর থেকে মাটি তুলে অন্যত্র পাচার।

    কী বলছে শাসকদল এবং প্রশাসন?

    কয়েকদিন ধরে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর মাটি পাচার (Mafia Raj) হলেও, কেন পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল না? তাহলে কি শাসকদলের নেতাদের হাত মাথায় থাকলে সব সম্ভব? যদিও ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকলে ছাড় পাবে না বলে জানান গোঘাট ২ নং তৃণমূল ব্লক সভাপতি অরুণ ক্যাউড়া। অন্যদিকে ঘটনায় আরামবাগ এসডিপিও অভিষেক মন্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Minor Schoolgirl Missing: কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালালো নাবালিকা দুই সহপাঠী, শোরগোল মালদায়

    Minor Schoolgirl Missing: কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালালো নাবালিকা দুই সহপাঠী, শোরগোল মালদায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই বান্ধবী এমন ঘটনা ঘটালো যে, তাদের খুঁজে পেতে কালঘাম ছুটল পুলিশের। পরিবারে নাকি বাবা-মায়ের কড়া শাসন ও বকুনি। আর তা থেকে রেহাই পেতেই নাকি বাড়ি ছেড়েছিল (Minor Schoolgirl Missing) দুই সহপাঠী। কিন্তু তারা যে একরকম নাকানি-চোবানি খাওয়াবে, তা কে জানতো। তাদের উদ্ধার করতে কালঘাম ছুটল মালদার চাঁচল থানার পুলিশের। কার্যত পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলল দুই সহপাঠী। অবশেষে সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে নাগালে এল দুই বান্ধবী। এখন আদালতের নির্দেশে দুই সহপাঠীর স্থান হয়েছে মালদা শিশু সুরক্ষা কমিশনের হোমে। 

    কীভাবে পালিয়ে গেল দুই কিশোরী?

    ঘাড়ে ব্যাগ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল (Minor Schoolgirl Missing) নাবালিকা দুই সহপাঠী। একই স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত তারা। তাদের বাড়িও চাঁচলে। ৭ এপ্রিল পরিবারের উপর অভিমান করে এবং বাড়ি না ফেরার জেদ নিয়ে দুই বান্ধবী চাঁচলের একটি লজে আত্মগোপন করার চেষ্টা করে। কিন্তু দুজনই নাবালিকা হওয়ায় লজ কর্তৃপক্ষ তাদের ঠাঁই দেয়নি। পরে তারা সামসি স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকে। 

    কীভাবে তারা এল পুলিশের নাগালে?

    সারাদিন বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা চাঁচল থানায় নিখোঁজের (Minor Schoolgirl Missing) অভিযোগ করেন। শুরু হয় তল্লাশি। সন্ধ্যায় পুলিশ নিখোঁজ দুই সহপাঠীর আত্মীয়কে নিয়ে সামসি স্টেশনেও খোঁজ নিতে যায়। কিশোরীরা আড়াল থেকে আত্মীয়কে দেখে অন্যত্র লুকিয়ে যায়। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক জানান, ওই দুই নাবালিকা স্থানীয় একটি রিসর্টে লুকিয়ে রাত কাটায়। পরের দিন সকালেও থাকে। ৮ এপ্রিল বিকেল নাগাদ আবার চাঁচলে আসে। চাঁচলের একটি বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসেবে আত্মগোপন করে। কিন্তু ওই দুই বান্ধবী স্কুল ও টিউশনিতে না গিয়ে ঘরবন্দি হয়ে থাকে দুদিন। বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয়। এরপর বাড়ির মালিকও তাদের তাড়িয়ে দেয় ১১ এপ্রিল। দিশেহারা হয়ে চাঁচল শহরের বুকে ঘোরাফেরা করে দুই বান্ধবী। অবশেষে গতকাল রাতে তারা পুলিশের নাগালে আসে। 

    কী জানালেন পুলিশ সুপার?

    মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, গতকাল ওই দুই নাবালিকাকে (Minor Schoolgirl Missing) উদ্ধার করে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে আজ দুই নাবালিকাকে পাঠানো হয় মালদা শিশু সুরক্ষা কমিশনের হোমে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CID: সিআইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে জালিয়াতি! অবশেষে গ্রেফতার ভুয়ো পুলিশ অফিসার, কোথায় জানেন?

    CID: সিআইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে জালিয়াতি! অবশেষে গ্রেফতার ভুয়ো পুলিশ অফিসার, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে হাওড়া থেকে শুভজিত্ বারুই নামে এক ভুয়ো সিবিআই (CBI) অফিসারকে পুলিশ গ্রেফতার। রাজারহাট থানার পুলিশ ওই টাওয়ার লোকেশন দেখে গ্রেফতার করেছিল। সেই জের মিটতে না মিটতেই এবার ভুয়ো সিআইডি (CID) অফিসারের হদিশ মিলল কলকাতা উত্তর শহরতলি এলাকা। নিজেকে তিনি সিআইডি-র (CID) এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট বলে পরিচয় দিতেন। পুলিসের বড় পদে রয়েছেন এই পরিচয় দিয়ে সোদপুরের বিষ্টুভদ্র মোড় এর কাছে একটি বাড়িতে ভাড়াও নিয়েছেন। নিজে একটি বুলেট বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। যে বাইকের সামনে পুলিস স্টিকার লেখা থাকতো। তার চালচলন, আবভাব ছিল পুলিসের মতই। ভয়ে তার সঙ্গে কেউ কথা বলতেন না।

    কী করে ধরা পড়ল ওই ভুয়ো পুলিশ অফিসার (CID)?

    সোদপুরের যে বাড়িটি তিনি ভাড়া নিয়েছেন সেই বাড়ির মালিক মীনাক্ষী দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করল খড়দহ থানার পুলিস। তার কাছ থেকে পুলিসের পোশাক, টুপি, এনফিল্ড বুলেট বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বুধবার তাকে বারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম সুবীর বণিক। বয়স ৪৫ হবে। আসল বাড়ি জগদ্দলের আতপুরে। বেশ কিছুদিন ধরে সে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। তবে, তার আচরণ দেখে বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয়। তিনি খড়দহ থানায় সমস্ত বিষয়টি জানান। এরপরই পুলিশ তদন্তে নেমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে।

    কী বললেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তা?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, সিআইডি (CID) অফিসার পরিচয় দিয়ে তাঁর নামে নানা রকম প্রতারণা করার অভিযোগ আসছিল। বাড়ির মালিকের কাছ থেকে বিপ্লব দাস নামে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি। পুলিশের পরিচয় দিয়ে লোকদেরকে প্রতারণা করছিল এই সুবীর। কাকে কাকে প্রতারণা করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সমস্ত বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rishra: পুলিশি বাধায় রিষড়ায় ঢুকতে পারলেন না ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা, কী বললেন তাঁরা?

    Rishra: পুলিশি বাধায় রিষড়ায় ঢুকতে পারলেন না ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা, কী বললেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাম নবমীর দিন রিষড়ার গন্ডগোলের পর  প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। তারপর ঘটনাস্থলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি  সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। শুক্রবার আইএসএফ-র প্রতিনিধিরা ঢুকতে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শনিবার দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের প্রতিনিধিদের রিষড়া (Rishra) যাওয়ার আগেই আটকে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এদিন রিষড়াকাণ্ডে (Rishra)  ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলতে যান। রিষড়া (Rishra)  ঢোকার বেশ কিছুটা আগেই শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটি মোড়ে দিল্লি রোডে তাদের কনভয় আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়,  ১৪৪ ধারা জারি থাকায় কোনও প্রতিনিধি দলকেই এই মুহূর্তে রিষড়া যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তাই, ওই দলের সদস্যদের ফিরে যেতে বলা হয়।

    কমিটিতে কারা রয়েছেন?

    ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে ৬ জন সদস্য রয়েছেন। প্রতিনিধি দলের মধ্যে  একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নরসীমা রেড্ডি, আইনজীবী চালুওয়ালি খন্না, আইনজীবী ওমপ্রকাশ ব্যাস,  অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার রচপাল সিং এবং প্রবীণ সাংবাদিক সঞ্জীব নায়েক রয়েছেন। শনিবারই এই প্রতিনিধি দল এসেছেন। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁরা কলকাতায় থাকবেন। শনিবার রিষড়া (Rishra) এবং রবিবার তাদের হাওড়ার শিবপুর যাওয়ার কথা। আর ১০ এপ্রিল নবান্নে যাওয়ার কথা রয়েছে। পরে, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ১০ এপ্রিল কলকাতায় তাঁদের সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা রয়েছে। প্রথম দিন রিষড়ায় (Rishra)  পরিদর্শনের আগে তাদের বাধা দেওয়া হয়।

    কী বললেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা?

    রিষড়া (Rishra)  ঢোকার আগেই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পুলিশের কাছে বাধা পান। তাঁরা বলেন, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন না, তাহলে কেন তাঁদের আটকানো হবে? ওই এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে চান তাঁরা। কিন্তু, প্রশাসন তাদের বাধা দিচ্ছে। ভারতবর্ষের আইন সব মানুষকে দেশের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার দিয়েছে। তাঁরা ১৪৪ ধারা মেনে একজন একজন করে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাতেও তাঁদের আটকানো হয়েছে।  তাঁদের প্রশ্ন“কী লুকোতে চাইছে পুলিশ? আমরা রিষড়ায় (Rishra)  গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলতাম। সেদিন পুলিশের কী ভূমিকা ছিল? মানুষের কতটা ক্ষতি হয়েছে? সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতাম। আমরা বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

     

  • Attack: বিজেপি-র যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা! কেন জানেন?

    Attack: বিজেপি-র যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় পতাকা খোলাকে কেন্দ্র করে বচসা। বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা (Attack) চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।  শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ধমান শহরের ঢলদীঘি মোড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রকাশ্যে বিজেপি নেতার উপর হামলার (Attack)  ঘটনা দেখে সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে, বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, একটি গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী নিয়ে গন্ডগোল?

    শুক্রবার বর্ধমান শহরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা ছিল। তারজন্য সভার আগে থেকে শহরের রাস্তা  বিজেপি কর্মীরা দলীয় পতাকায় মুড়ে দিয়েছিলেন। আক্রান্ত বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সভাপতি  পিন্টু শ্যামের বক্তব্য, শহর জুড়ে আমাদের দলীয় পতাকা ছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি কয়েকজন আমাদের পতাকা খুলে তৃণমূলের পতাকা লাগাচ্ছিল। আমি তার প্রতিবাদ করি। আর দলীয় পতাকা খুলতে তাদের বাধা দিই।  প্রথমে আমার সঙ্গে তাদের বচসা বাধে। পরে, একজন আমাকে তেড়ে আসে। সঙ্গে আরও দুজন ছুটে আসে। আমি তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ওরা আমাকে হামলা (Attack) করে। একজন আমাকে ছুরি চালিয়ে দেয়। আমি ছুটে একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নিই। ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তার ফুটেজ সংগ্রহ করলেই পুলিশ জানতে পারবে কারা হামলাকারী (Attack)। আমাদের দাবি, হামলাকারীদের(Attack)  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    হামলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি?

    দলীয় নেতা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা সহ দলীয় কর্মী সমর্থকরা। জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, শুক্রবার বর্ধমানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ছিল। রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি  শ্যামাপদ মণ্ডল কর্মসূচিতে ছিলেন। রাতে তিনি বর্ধমানেই ছিলেন। এদিন পিন্টু তাকে বর্ধমান স্টেশনে ট্রেনে তুলে বাড়ি ফিরছিল। ওই সময়ে পিন্টু দেখে ঢলদীঘি মোড়ে কয়েকজন আমাদের দলীয় পতাকা খুলে দিচ্ছে। এই নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তার উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও (Attack)  হয়। ধারাল অস্ত্র নিয়ে তৃণমূলের লোকজন রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুষ্কৃতীরাজ চলছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, এটা মিথ্যা অভিযোগ। শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর সভায় ওদের লোকজন হয়নি। তাই, এসব মিথ্যা অভিযোগ করে বাজার গরম করতে চাইছে। যেহেতু আজ আমাদের মিছিল রয়েছে, তাই ওরা এসব করছে। আসলে ওদের দলের কোন্দলের জন্যই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ECL:  আসানসোলে ইসিএল কোলিয়ারির গাড়ি আটক করে বিক্ষোভে এলাকাবাসী, কেন জানেন?

    ECL: আসানসোলে ইসিএল কোলিয়ারির গাড়ি আটক করে বিক্ষোভে এলাকাবাসী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাত হলেই  গাড়ি করেই দিনের পর দিন পাচার হয়ে যেত ইসিএল (ECL) কোলিয়ারির জিনিসপত্র। বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকাবাসীর কাছে এই অভিযোগ আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে পাচার হওয়ার সময় এলাকার বাসিন্দারা জোটবদ্ধ হয়ে জিনিসপত্র সহ গাড়ি আটক করেন। আসানসোল ইসিএল (ECL)  এর সোদপুর এরিয়ার বন্ধ মাউদডি কোলিয়ারির এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, বন্ধ কোলিয়ারির বিভিন্ন সামগ্রী একটি পিকআপ ভ্যানে করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিল। সোদপুর গ্রামের বাসিন্দারা ওই পিকআপ ভ্যানটিকে আটক করেন। পরে, গাড়ি চালকের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু, তিনি তা দেখাতে পারেননি। তখনই তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    কোলিয়ারির জিনিসপত্র পাচার নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী? ECL

    বন্ধ কোলিয়ারির জিনিসপত্র পাহাড়া দেওয়ার জন্য নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। এলাকাবাসীর বক্তব্য, দিনের বেলায় কেউ কয়লার গুঁড়ো নিতে আসলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের তাড়া করেন। আমরা পদক্ষেপকে প্রশংসা করছি। কিন্তু, রাতের অন্ধকারে গাড়ি ভরতি করে কোলিয়ারি ভিতর থেকে জিনিসপত্র সামগ্রী পাচার হয়ে যাচ্ছে, তা দেখার সময় নিরাপত্তারক্ষীদের নেই। আসলে ইসিএল (ECL)  কোলিয়ারির কর্তৃপক্ষের একাংশের মদতেই রমরমিয়ে এই  পাচার চলছে। গত কয়েকদিন ধরে দেদার জিনিসপত্র পাচার হয়ে যাচ্ছিল। এদিনও তারা গাড়ি করে জিনিসপত্র পাচার করার সময় ধরা পড়ে যায়। আমাদের বক্তব্য, গাড়ি করে যে সব জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জরুরি কিছু নয়। তাই, দিনেরবেলায় নিয়ে গেলে কারও কোনও আপত্তি থাকত না। কিন্তু, রাতের অন্ধকারে এভাবে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়াতে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে।

    ইসিএল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য? ECL

    জিনিসপত্র নিয়ে গাড়ি পাচার করার সময় এলাকাবাসী দীর্ঘক্ষণ আটক করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আসেন ইসিএল (ECL)  কোলিয়ারির ম্যানেজার মহম্মদ একলাখ খান। তিনি বলেন, কোনও পাচার করার জন্য গাড়ি করে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল না। নিয়ম মেনেই এই কোলিয়ারি থেকে আমাদের মেন অফিসে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গাড়ির চালকের কাছে চালানো রয়েছে। এলাকাবাসী আমাদের ভুল বুঝে বিক্ষোভ দেখান। তবে, ম্যানেজারের বক্তব্য এলাকাবাসী মানতে চাননি। তাঁরা কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে গাড়িসহ জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Salt Lake Kolkata: বিলাসবহুল গাড়িতে মিলল কয়েক কোটি টাকার মাদক আর গাঁজা! কোথায় জানেন?

    Salt Lake Kolkata: বিলাসবহুল গাড়িতে মিলল কয়েক কোটি টাকার মাদক আর গাঁজা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়েকদিন আগে সোদপুরের বিটি রোডে বিলাসবহুল গাড়িতে গরু পাচার করার ঘটনা সামনে আসে। পাচার হওয়া গরুসহ গাড়িটি আটক করে পুলিশ। এবার কলকাতার (Salt Lake Kolkata) দুটি জায়গায় গাড়ির ভিতর থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক এবং গাঁজা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সল্টলেকে (Salt Lake Kolkata) দুটি বিলাসবহুল গাড়ি থেকে পাওয়া গেল কয়েক কোটি টাকার মাদক। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) অভিযান চালিয়ে ওই মাদক উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, গাড়ির ভিতর থেকে বড় প্যাকেটে ৫০০ গ্রাম হেরোইন এবং ৩০ হাজারের বেশি ছোট ছোট প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ওই প্যাকেটগুলিতে ঠাসা ছিল বহুমূল্য হেরোইন। সেগুলো শহরেরই নানা জায়গায় পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এসটিএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে নওডাঙার  অভিযান চালানো হয়। সেখানেই দুটি বিলাসবহুল গাড়ির হদিশ মেলে। দুটি গাড়িতেই প্রচুর হেরোইন রাখা ছিল। কিছুদিন আগে বিধাননগরের নাওডাঙায় তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকার মাদক সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোমিন খান ও মেহতাব বিবি নামে ওই দম্পতি ছাগলের খোঁয়াড়ের আড়ালে বহুমূল্য মাদকের কারবার চালাত। সেখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হত। হাতেনাতে তাদের গ্রেপ্তার করে বিধাননগর থানার পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। এই মাদক পাচারচক্রের জাল বহুদূর অবধি বিস্তৃত বলেই মনে করছে পুলিশ। ধৃত দম্পতি পশুপালনের ব্যবসা করতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ধাপার মনপুর এলাকায় তাঁদের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। পশুপালনের আড়ালে মাদক তৈরি ও বিক্রির কাজ করত ওই দম্পতি। তাদের কাছ থেকে  প্রায় সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম হেরোইন পাওয়া গিয়েছিল। সেই সঙ্গে মিলেছিল হেরোইন এবং ব্রাউন সুগারের মতো মাদক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় দেড় কিলোগ্রাম রাসায়নিক। এই পাচারচক্রে আর কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার শহরে, কোথায় জানেন? Salt Lake Kolkata

    মঙ্গলবার গভীর রাতে ইএম বাইপাসে (Salt Lake Kolkata) একটি গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সার্ভে পার্ক থানা এবং নারকোটিকস বিভাগের আধিকারিকরা অভিযান চালিয়ে গাড়ির ভিতর থেকে ১২৮ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশের চোখে ধূলো দিতে গাড়ির সিটের নীচে গাঁজা লুকিয়ে রাখা ছিল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইমরান বলে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ভিন রাজ্য থেকে ওই গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছিল।  দক্ষিণ  ২৪ পরগনার একটি জায়গায় গাঁজা পাচার করার কথা ছিল। তার আগেই পুলিশের হাতে ধরল পড়ল পাচারকারী। ধৃত ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dead: দুই সন্তানসহ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য! কোথায় জানেন?

    Dead: দুই সন্তানসহ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ঘরের ভিতর স্ত্রী সন্তানসহ একই পরিবারের চারজনের মৃতদেহ (Dead) উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রবিবার সাতসকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের কুড়ুরিয়াডাঙা এলাকায়। স্বামী, স্ত্রীসহ দুই সন্তানের মৃত্যুর (Dead) ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিশকে মৃতদেহ (Dead)  উদ্ধার করতে বাধা দেন মৃতের অত্মীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, মৃত্যুর আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁদের মৃত্যুর জন্য কারা দায়ী তা উল্লেখ করেছেন। সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাঁদের দাবি, দুই সন্তান সহ স্বামী ও স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে। যদিও ঘটনার তদন্তে ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম অমিত মণ্ডল (৪২)। তিনি পেশায় জমি ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর স্ত্রী রূপা মণ্ডল (৩৪)। তাঁদের পুত্র মিমিত মণ্ডল(১০) ও শিশুকণ্যা নিকিতা মণ্ডল (২)। তাঁদের বাড়ি দুর্গাপুর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কুড়ুরিয়াডাঙায়। কী করে জানাজানি হল বিষয়টি? পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পারিবারিক হোয়াট’স অ্যাপ গ্রুপে সুইসাইড নোট দেখে মৃত অমিত মণ্ডলের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন। বাড়ির ভিতরে দেখা যায়, ঘরের ভেতর নীচে পড়ে রয়েছে  ১০ বছরের মিমিত মণ্ডলের নিথর দেহ। বিছানায় শিশুকণ্যার সঙ্গে পড়ে রয়েছে মা রূপা মণ্ডলের দেহ। সিলিংয়ে হাতবাঁধা অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ (Dead)  উদ্ধার হয় অমিতের। বিষয়টি জানাজানি  হতেই আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আসানসোল দুর্গাপর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম বলেন, ফরেনসিক টিম নমুনা সংগ্রহ করেছে। দুজনকে আটক করা হয়েছে। সমস্ত ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    সুইসাইড নোটে কী লেখা রয়েছে? Dead

     অমিতের বাবা নরেশ মণ্ডল একসময় প্রভাবশালী প্রোমোটার ছিলেন। শিল্পশহর লাগোয়া জমির কেনাবেচা করতেন তিনি। বছর ছয়েক আগে কিডনির অসুস্থতায় মৃত্যু হয় তাঁর। বাবা বেঁচে থাকতে তাঁর সঙ্গে জমি কেনাবেচায় হাতপাকান অমিত। ফলে, ফুলেফেঁপে ওঠে তাঁদের সম্পত্তি। ওই জমি ব্যবসা থেকে কয়েক’শো কোটি টাকার সম্পত্তি তৈরি করেন। কুড়ুরিয়াডাঙায় বিলাসবহুল তাঁদের বাড়ি রয়েছে। সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুর (Dead)  পিছনে হাত রয়েছে তাঁর বড় মামার ছোটো ছেলে সুশান্ত নায়েক ওরফে নান্টু। সে মাস্টার মাইন্ড। এছাড়াও  মামার বাড়ির  অনেকে জড়িত রয়েছে। সুশান্ত নায়েক অন্ডালের সিঁদুলি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করে। এছাড়া মা বুলা রানি মণ্ডলের নাম রয়েছে। মা বাপের বাড়ির সকলকে ভালোবাসে। আমার ছেলেমেয়েদের দেখতে পারে না। আমাকে পছন্দ করে না। ছোটো মামার মেয়ে মিলি নায়েক ঘোষের নামও উল্লেখ রয়েছে। তিনি পান্ডবেশ্বরে বৈদ্যনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বড় মামার সেজো ছেলের বৌ শিলা নায়েক মণ্ডলের নাম রয়েছে। তিনি আমরাই প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ২০১২ সালে পরীক্ষা, ইন্টারভিউ  না দিয়ে তাঁরা সকলে চাকরি পেয়েছেন। সুশান্ত নায়েক সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত দলই করেছেন। ওরাই আমাদের পরিবারকে শেষ করে দিল। প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের যোগ রয়েছে তিনি উল্লেখ করেছেন। সুইসাইড নোটটি সিবিআই(CBI), ইডি (ED), রাজ্য পুলিশ এবং বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে তিনি ট্যাগ করেন।

    কী বললেন মৃতের আত্মীয়? Dead

    মৃতা রূপা মণ্ডলের মাসতুতো বোন সুদীপ্তা ঘোষ বলেন,” গতকাল রাতে জামাইবাবু বলল মা এসেছে বাড়িতে। আবারও অশান্তি হবে।” তিনি আরও বলেন,” সম্পত্তির বিবাদ। জামাইবাবুর মা বুলা রানি জামাইবাবু, দিদি ভাগ্নে, ভাগ্নিকে সহ্য করতে পারে না। সমস্ত সম্পত্তি জামাইবাবুর মামার ছেলেদের তিনি দিয়ে দিতে চান। তাই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে। আমাদের অনুমান পরিকল্পিত খুন। কারণ, বাড়ির সিসিটিভি উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতে স্ট্রিট লাইট বন্ধ রাখা ছিল। আমাদের দাবি, বুলা রানি, সুশান্ত, প্রশান্ত সহ জামাইবাবুর মামার বাড়ির সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্ত করা হোক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Security:  রাতারাতি তুলে নেওয়া হল বারাকপুর মহকুমার বহু তৃণমূল নেতার নিরাপত্তা রক্ষী, জানেন কী তালিকায় কারা রয়েছেন?

    Security: রাতারাতি তুলে নেওয়া হল বারাকপুর মহকুমার বহু তৃণমূল নেতার নিরাপত্তা রক্ষী, জানেন কী তালিকায় কারা রয়েছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের ছোট, মাঝারি, বড় মাপের নেতাদের নিরাপত্তার জন্য কারও কাছে একজন, কারও কাছে আবার দুজন করে নিরাপত্তা রক্ষী ছিল। কিন্তু, আচমকাই কমিশনারেটে পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় ৪১ জন দাপুটে তৃণমূল নেতার কাছে থেকে রাতারাতি নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়া হল। এরমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন। এছাড়া এই তালিকায় জগদ্দলের প্রাক্তন বিধায়ক পরশ দত্ত, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী রয়েছেন। আর ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় যে সব নেতারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলেন, নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়, খড়দহ পুরসভার কাউন্সিলর সুকণ্ঠ বনিক, নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিং, উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস, খড়দহ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সায়ন মজুমদার, নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদ সদস্য সনত্ দে, ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদ সদস্য অমিত গুপ্তা, ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলর অরুণ ব্রহ্ম সহ একাধিক নেতা রয়েছেন। অবশ্য বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট এর বক্তব্য, পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, পুলিশ কমিশনারেটের এই নির্দেশিকা ঘিরে শাসক দলের অন্দরে নেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসতেই অনেক নেতা তাঁদের ক্ষোভের বিষয়টি চেপে রাখতে পারেননি। তাঁদের বক্তব্য, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই অবস্থায় নিরাপত্তা না তোলায় দরকার ছিল। অনেকেই ফের নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষী ফিরে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তদারকি করা শুরু করেছেন। একটি সূত্রে থেকে জানা গিয়েছে, কয়েকজন নেতার ফের নিরাপত্তা রক্ষী ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে বিবেচনা করা হচ্ছে। ফলে, অনেকে ফের নিরাপত্তা রক্ষী ফিরে পেতে পারে।

    তৃণমূল নেতাদের কেন নিরপত্তা রক্ষী দেওয়া ছিল?

    ২০২২ সালে রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার মতো ব্যারাকপুর মহকুমার সব পুরসভায় পুরভোট হয়। পুরভোটের সময় ১৩ মার্চ পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে আগরপাড়া স্টেশন রোডে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। প্রকাশ্যে এই খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের তৃণমূলের জন প্রতিনিধিরা। পুলিশ কমিশনারের কাছে তাঁরা নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে কমিশনারেট এলাকায় অধিকাংশ দাপুটে তৃণমূলের জন প্রতিনিধিদের নিরপত্তা রক্ষীর ব্যবস্থা করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Police: হিমঘরে আলুর বন্ড নিতে এসে পুলিশের লাঠিপেটা, জখম বহু চাষি, কোথায় দেখে নিন

    Police: হিমঘরে আলুর বন্ড নিতে এসে পুলিশের লাঠিপেটা, জখম বহু চাষি, কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ শনিবার রাত থেকে চাষিরা হিমঘরের সামনে ভিড় করেন। রবিবার হিমঘর থেকে চাষিদের আলুর বন্ড দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো চাষিরা হিমঘরের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন। রাত গড়িয়ে সকাল হতেই কয়েক হাজার চাষি সেখানে আলুর বন্ড নেওয়ার জন্য হাজির হন। কিন্তু, বহু চাষি আলুর বন্ড না পেয়ে পুলিশের (Police) হাতে মার খেয়ে হতাশ হয়ে শুকনো মুখে বাড়ি ফিরে যান। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের শ্রীকৃষ্ণপুর হিমঘরে। পুলিশের লাঠির ঘায়ে অনেকে জখম হন। যদিও পুলিশের এক আধিকারিকের বক্তব্য, হিমঘরের সামনে প্রচুর জমায়েত হয়েছিল। হিমঘরের ভিতরে ঢোকা নিয়ে গন্ডগোলও হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতেই লাঠি উঁচিয়ে তাড়়া করা হয়েছিল।

    বন্ড না পেয়ে রাজ্য সরকারকেই কেন দুষছেন চাষিরা? Police

    রাজ্য সরকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের হিমঘরে আলু রাখার জন্য এবার সংরক্ষণ ঘোষণা করে। কৃষি বিপণন দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে যে সব চাষির নাম রয়েছে তারা বন্ড নিতে পারবেন। সরকারের এই ঘোষণায় চাষিরা মুখে হাসি ফুটেছিল। কারণ, এতদিন হিমঘরের বন্ড এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা মোটা টাকা দিয়ে বন্ড কিনে নিতেন। সেখানে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের আলু রাখার মতো ক্ষমতা ছিল না। সরকারি এই সিদ্ধান্তে চাষিরাও নিজেদের জমির আলু হিমঘরে রাখার স্বপ্ন দেখেন। কারণ, এমনিতেই খোলা বাজারে আলুর দাম কম। তাই, চাষিরা হিমঘরে আলু রাখার জন্য বন্ড নিতে আসেন। আগের দিন রাত থেকে তাঁরা লাইন দেন। সারা রাত ধরে হিমঘরের সামনে পিল পিল করে চাষিদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। রবিবার সকালে হিমঘরের গেট খুলতে বিস্ফোরণ হয়। চাষিদের ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে তা সামাল দিতে পুলিশকে (Police) বেধড়ক লাঠি চার্জ করতে হয়। নজরুল ইসলাম নামে এক আলু চাষি বলেন, রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কিন্তু, বন্ড পাইনি। পুলিশ (Police) লাঠিচার্জ করে তাড়িয়ে দিচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা চাষিদের বক্তব্য, বন্ড বিলির নির্দিষ্ট নিয়ম থাকবে। সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। এই সুযোগে বন্ড নিয়ে কালোবাজারি হচ্ছে। যাদের টাকা রয়েছে, তারা বন্ড কিনে রেখে দিচ্ছে। আর আমাদের মতো চাষিরা পুলিশের (Police) হাতে মার খাচ্ছে। এদিন হাজার হাজার চাষি রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পুলিশ (Police) চাষিদের সুষ্ঠুভাবে বন্ড দেওয়ার ব্যবস্থা না করে লাঠিচার্জ করে এলাকা ছাড়া করেছে। বহু চাষি জখম হয়েছেন। রাজ্য সরকারের ভুল নীতির জন্য হাজার হাজার চাষি নাকাল হচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share