Tag: police

police

  • Agitation: তৃণমূলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ এলাকাবাসীর, কেন দেখে নিন?

    Agitation: তৃণমূলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ এলাকাবাসীর, কেন দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ভাটপাড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আর্য সমাজের ডাম্পিং গ্রাউন্ড। ডাঁই হয়ে জমে রয়েছে জঞ্জাল। কে বা কারা সেই জঞ্জালের স্তূপে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এমনিতেই জ়ঞ্জালের গন্ধে টেকা দায়। তারমধ্যে দোসর হচ্ছে ডাঁই হয়ে থাকা জঞ্জালের স্তূপে ধোঁয়া। গোটা এলাকায় দুর্গন্ধ যুক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বাড়িতে বয়স্ক লোকজন থেকে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার এলাকার মানুষ জঞ্জাল সরানোর দাবিতে রাস্তায় বেঞ্চ পেতে রাস্তা অবরোধে সামিল হন। তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ( Agitation) উগরে দেন। আর এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এই পথ অবরোধের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় কাউন্সিলর লালন চৌধুরী। পরিস্থিতি সামাল দিতে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম যান। তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? Agitation

    ভাটপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল পুরবোর্ডে ক্ষমতায় রয়েছে। আর এই পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আর্য সমাজ এলাকায় বহু বছর ধরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জাল ফেলা হয় বলে অভিযোগ। জঞ্জালের ধোঁয়া আর ছাইয়ের কারণে শিশু থেকে বয়স্ক লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বহুবার তৃণমূল পুরবোর্ডে এই বিষয়ে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলে, তৃণমূল পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্রমশ ক্ষোভ  দানা বাঁধতে শুরু করে। এদিন ফের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জালের স্তূপে ধোঁয়ায় গোটা এলাকা ছেয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে আসেন। রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ( Agitation) উগরে দেন। অবিলম্বে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরানোর দাবিতে সরবও হন। স্থানীয় কাউন্সিলর লালন চৌধুরী বলেন,  এই জঞ্জাল এলাকাবাসীর কাছে মস্তবড় বোঝা। জঞ্জালের ধোঁয়ার কারণে বহু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অনেকে বয়স্ক লোকজন ধোয়ার কারণে ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারে না। ছয় মাসে আগে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুরবোর্ডের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। জগদ্দলের বিধায়ককে বিষয়টি বলা হয়েছিল। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অগত্যা আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। এই এলাকায় কোনওভাবে জঞ্জাল রাখা যাবে না।

    স্থানীয় কাউন্সিলারের সঙ্গে সহমত এলাকাবাসী। এদিন অবরোধে সামিল হয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, পুরসভার কাছে আবেদন করে কোনও লাভ হয়নি। তাই, বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হল। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী বিক্ষোভে ( Agitation) ফেটে পড়েন। বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ১২ বছর ধরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জাল জমে। নতুন কিছু নয়। ধোঁয়ার জন্য এলাকাবাসীর কষ্ট হয়। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আগের তুলনায় জঞ্জাল অনেকটাই কমানো হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই জঞ্জালের স্তূপ আমরা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tmc Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এমনকাণ্ড, নামল পুলিশও, কোথায় দেখে নিন?

    Tmc Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এমনকাণ্ড, নামল পুলিশও, কোথায় দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক দল। সামনের পাঁচ বছরের ক্ষমতার রাশ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে এখন দলের অন্দরে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে দলের অন্দরেই চর্চা শুরু হয়েছে। আর এই প্রার্থী বাছাই নিয়ে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহেরা নিল মালদহের হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। এই পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর বুথ কমিটির বৈঠকে দলীয় প্রার্থী (Tmc Candidate) ঠিক করা নিয়ে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।  ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    বুথ কমিটির বৈঠকে কী নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত? Tmc Candidate

    মহেন্দ্রপুর গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের নাম মহম্মদ মুজাহিদ। এবার এই বুথে শাসক দলের প্রার্থী (Tmc Candidate)কে হবেন তা নিয়ে হাইস্কুল মাঠে বুথ কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রার্থী হওয়া নিয়ে নাম সংগ্রহ করা হয়। আলোচনার মাধ্যমে দলীয় সদস্য মুজাহিদের পাশাপাশি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা জাকির হোসেনের নাম ওঠে। অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন এই নাম নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা বাধে। পরে, হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ। এই বিবাদ বাড়ি পর্যন্ত পৌঁচ্ছে যায়। মুজাহিদের অনুগামীরা জাকিরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে সোহেল আক্তারকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। সোহেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    এই বিষয়ে আক্রান্ত তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা জাকির হোসেন বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী (Tmc Candidate) হওয়া নিয়ে ঝামেলা। এখন যে পঞ্চায়েত সদস্য আছে সে তার দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে মারধর করেছে। আমার ছেলের অবস্থা খুব খারাপ। আমি ওদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ মুজাহিদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছি। এবারেও প্রার্থী (Tmc Candidate) হিসেবে আমার নাম প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সেই জন্যই এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

    তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। মহেন্দ্রপুর অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুস শোভান বলেন, যত ভোটের দিন এগিয়ে আসবে তৃণমূলের কোন্দল তত বাড়বে। এদের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে ভরাডুবি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। এখন বিদায় বেলায় তারা নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা করে শেষ হবে। এই ঘটনায় আদতে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় কোন্দল নিয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু সাফাই দিয়ে বলেন,তৃণমূল বড় দল।একই আসনে অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে।মতান্তর হতেই পারে।এই নিয়ে বিরোধীরা অযথা রাজনীতি করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Tea Stall:  বাহাত্তর বছরের চায়েওয়ালার জীবন যুদ্ধের কাহিনী জানলে চমকে উঠবেন

    Tea Stall: বাহাত্তর বছরের চায়েওয়ালার জীবন যুদ্ধের কাহিনী জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এভাবেও ঘুরে দাঁড়ানো যায়। চাঁপদানী ফাঁড়ির সামনে অর্জুন টি স্টলের (Tea Stall) মালিক বছর বাহাত্তরের অর্জুন রাজভর তার জ্বলন্ত প্রমাণ। যে সময় মানুষ অবসর জীবন কাটান, সেই বয়সে দাঁড়িয়ে তিনি ভোর থেকে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।  ভোর থেকে রাত দশটা পর্যন্ত তাঁর চায়ের দোকানে (Tea Stall)  ভিড় লেগে থাকে। এই অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাঁর এই চায়ের দোকান।

    কীভাবে গড়ে উঠল এই অর্জুন টি স্টল? Tea Stall

    দোকানের মালিক  অর্জুনবাবুর বাড়ি  চাঁপদানীর ফেসুয়াবাজারে। এই দোকান তৈরি হয়েছে মাসখানেক আগে। তৈরি করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই চায়ের দোকানের (Tea Stall)  পিছনে রয়েছে এক লম্বা ইতিহাস। আসলে এই চায়ের দোকানের মধ্য দিয়েই এক জন যাবজ্জীবন কয়েদিকে তার মেয়াদ পূর্ন হবার পর নতুন ভাবে পথ চলার পথ খুলে দেন জেলা প্রবেশন অফিসার মনোজ রায়। অতীত আর মনে রাখতে চাননা অর্জুনবাবু। একসময় তিনি একটি কারখানার গাড়ির চালক হিসেবে জীবন শুরু করেছিলেন। কিন্তু, ছেলের অসুখকে কেন্দ্র করে কিছু অতিরিক্ত অর্থ দাবি করায় মালিকপক্ষের সঙ্গে তাঁর বিবাদ বাধে। খুনের মামলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেটা ২০০৪ সাল। খুনে তাঁর যাবজ্জীবন সাজা হয়। ঠাঁই হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। প্রায় ১৭ বছর সংশোধনাগারে কাটিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। সংশোধনাগারে তাঁর ভালো আচরণের জন্য জেলা প্রবেশন অফিসারের সুনজরে পরে যান তিনি। সেই অফিসার মনোজ রায় জেলাশাসকের কাছে দরবার করে আইনগত ভাবে অর্জুনকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেন। আর তাঁর এই ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনী নিয়ে অর্জুনবাবু বলেন, পুরোনো দিনের কথা আর মনে রাখতে চাইনা। কিছু ভুল করেছিলাম। তার শাস্তি পেয়েছি। শাস্তি দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তাঁর আরও সংযোজন, যাঁরা শাস্তি দিলেন তাঁরাই আবার আমায় সাহারা দিয়েছেন। এরজন্য আমি সরকারি আধিকারিক দের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। শুধু যে ভালোভাবে তিনি দোকান চালাচ্ছেন তা নয়, দোকানে মাইনে দিয়ে দু জন কর্মচারীও রেখেছেন তিনি। জীবন সায়াহ্নে এসে তাঁর এই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইকে সকলেই কুর্ণিশ জানাচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Magician: জাদুকরের ভেলকিতে স্বামীর ঘর থেকে ভ্যানিশ হয়ে গেল বধূ, কোথায় দেখে নিন?

    Magician: জাদুকরের ভেলকিতে স্বামীর ঘর থেকে ভ্যানিশ হয়ে গেল বধূ, কোথায় দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জাদু সম্রাট জুনিয়র পিসি সরকারের (PC Sarkar) জাদুর ভেলকিতে কিছুক্ষনের জন্যই কলকাতার ভিক্টোরিয়া বিল্ডিং ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছিল। নব্বইয়ের দশকে রাজ্যবাসীর অনেকেই সেই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। এবার রাকেশ পাহাড়ি নামে অন্য এক কুখ্যাত জাদুকরের (Magician) হদিশ মিলেছে। তাঁর হাতযশের ক্যারিশমা এখন হারে হারে টের পাচ্ছেন মালদহের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিপুর গ্রামের বাসিন্দারা। কারণ, জাদুকরের (Magician)হাতযশে গ্রামের বহু বধূর সোনার গয়না উধাও হয়ে গিয়েছে। আর তাঁর জাদুর ভেলকিতে স্বামীর ঘর থেকে গৃহবধূ ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। হন্যে হয়ে সেই জাদুকরকে খুঁজছে গোটা শান্তিপুর গ্রাম।

    শান্তিপুরে গিয়ে জাদুকর আর কী কী ভেলকি দেখিয়েছেন?

    কিছুদিন আগে নিছক সাইকেল খেলা দেখাবেন বলেই গ্রামে ঘাঁটি বেঁধেছিলেন জাদুকর(Magician) রাকেশ পাহাড়ি। সুঠাম চেহারা, তেমনি মুখে মিষ্টি কথা। তাঁর হাতে ভেলকি ছিল চোখ জুড়ানো। কচিকাঁচা থেকে গ্রামের সকলেই তাঁর জাদুতেই মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন। সোনা ডবল করার টোপও দিয়েছিলেন তিনি। সেই ফাঁদে পড়ে গ্রামের অনেক বধূ নিজের কানের সোনার দুল, হাতের বালা, আংটি জাদুকরের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। আর জাদুকরের (Magician) মিষ্টি কথার জাদুতেই মজে গিয়েছিলেন প্রসেনজিত্ রায়ের অষ্টাদশী স্ত্রী খুশি রায়। তাঁর জাদুর (Magician) ভেলকি এতটাই নিখুঁত ছিল যে স্ত্রীর মন চুরি হওয়ার খবর স্বামীও টের পাননি। স্ত্রীকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন প্রসেনজিত্ রায়। তিনি বলেন, গ্রামে এসে জাদুকর খুব সুন্দর খেলা দেখাতেন। কথাবার্তাও তাঁর খুব ভালো ছিল। গ্রামের সকলের সঙ্গে ওর সখ্যতা হয়ে গিয়েছিল। সোনা, টাকা ডবল করার প্রলোভন দেখিয়ে বহু বাসিন্দাদের সর্বস্ব লুঠ করেছেন ওই জাদুকর। তবে, কখন যে আমার স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তা টের পাইনি। জাদুকরের (Magician) হাত ধরে চলে যাওয়ার পরই আমাদের টনক নড়ে। ততক্ষণে ওই জাদুকর আমাদের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। তবে, শুধু খুশি রায়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন নন,অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গোটা গ্রাম।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত জাদুকরের (Magician)  বাড়ি নদিয়া জেলায়। তবে, সেটা তাঁর আসল বাড়ি কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। এই বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ওই জাদুকরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তের সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Poppy Cultivation: ধান, আলু ছেড়ে জমিতে এ কী চাষ করছেন গোঘাটের চাষিরা?

    Poppy Cultivation: ধান, আলু ছেড়ে জমিতে এ কী চাষ করছেন গোঘাটের চাষিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ তৃণমূল সরকারের আমলে ধান বা আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখতে পান না চাষিরা। এমনই অভিযোগ চাষিদের। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়ক মূল্যে চাষিদের থেকে সরাসরি ধান কেনার কথা বলা হলেও আদতে ফড়েরা লাভের গুড় খেয়ে নেয়। তাই, বেশি লাভের আশায় হুগলির গোঘাটের মান্দারণ, কাঁটালি এলাকায় প্রথাগত চাষ ছেড়ে বিঘার পর বিঘা জমি জুড়়ে রমরমিয়ে চলছে পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation)। পোস্ত চাষ করা বেআইনি। কারণ, এই পোস্ত থেকে আফিম তৈরি হয়। মাদক বিরোধী প্রচার চলছে রাজ্য জুড়ে। কিন্তু, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই কারবার চললেও পুলিশ প্রশাসন উদাসীন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রথমে এলাকার একজন বা দুজন এই চাষ করতেন। আর এই চাষ করে চাষি পরিবার রাতারাতি ফুলে ফেঁপে উঠতেই গ্রামের অন্য চাষিরা এখন পোস্ত চাষে মেতেছেন।

    এক বিঘা জমিতে পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation) করলে কত আফিম তৈরি হয় জানেন কী?

    বিঘা প্রতি পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation) করে তৈরি হচ্ছে ২ থেকে ৩ কেজি করে আফিম। প্রতি কেজি আফিম বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার টাকারও বেশি দামে।  চাষিদের মতে, এক বিঘা জমি থেকে পোস্তর আঠা সংগ্রহ করে ২ থেকে আড়াই কেজি মতো আফিম তৈরি হয়। যার বাজার মূল্য কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। পোস্তর আঠা বের করে নেওয়ার পর যে ফলটি পড়ে থাকে, তার ভেতর থেকে তৈরি হয় খাবারের পোস্ত।

    পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation) আদতে বেআইনি। জরিমানা থেকে শুরু করে জেল পর্যন্ত হতে পারে। কড়া আইন থাকলেও তাকে উপেক্ষা করেই বিঘার পর বিঘা জমিতে চলছে পোস্ত চাষ। প্রশাসনের তরফে পোস্ত চাষের বিরুদ্ধে প্রচার এবং আবগারি দফতর মাঝে মধ্যে অভিযান চালালেও কোনও সুরাহা হয়নি। জমির মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্যই রমরমিয়ে এই চাষ হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু হুগলির গোঘাট বলে নয়, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম জেলায় এই  চাষের রমরমা রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালানো হয়। বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় মানুষেরও।

    যদিও এই বিষয়ে গোঘাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা কাটারি বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের খবর আমাকে কেউ দেয়নি। সংবাদ মাধ্যমের কাছেই শুনলাম। যদি কেউ এরকম করে থাকে, আমরা ব্যবস্থা নেব।” অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেরা বলেন, প্রশাসনের প্রশয়ে এই ধরনের বেআইনি চাষের রমরমা। প্রশাসন খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা না নিলে, আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Purba Medinipur: ভলভো বাসের পর এবার তেলের  ট্যাঙ্কারে গরু বোঝাই আস্ত গোয়াল! প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    Purba Medinipur: ভলভো বাসের পর এবার তেলের ট্যাঙ্কারে গরু বোঝাই আস্ত গোয়াল! প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল ভলবো বাসে করে গরু ভর্তি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। আজ ফের গরু উদ্ধার হল তেলের ট্যাঙ্কার থেকে। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) পুলিশের নাকা চেকিং থেকে এই গরু বোঝাই তেলের ট্যাঙ্কার উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকার মানুষের অভিযোগ অবৈধ ভাবে গরু পাচার করা হচ্ছিল।

    কীভাবে উদ্ধার হল (Purba Medinipur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গরু বোঝাই একটি তেলের ট্যাঙ্কার যাচ্ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) হেঁড়িয়া ইটাবেড়িয়া রাজ্য সড়ক ধরে। কিন্তু গাড়ির গতিপ্রকৃতি দেখেই সন্দেশ করে পুলিশ। এরপর গাড়িকে আটক করতে চাইলে গাড়িকে নিয়ে চালক আচমকা ছুট দিতে চায়। এরপর পুলিশ আরও তৎপর হলে ট্যাঙ্কারকে ধাওয়া করে গাড়িকে পাকড়াও করে। গাড়িটিকে ইটাবেড়িয়া বাজার থেকে ভূপতিনগর থানার পুলিশ আটক করে। এরপর শুরু হয় তল্লাশি।

    ট্যাংকার খুলতেই পুলিশের চোখ কপালে!

    ইটাবেড়িয়া বাজারে (Purba Medinipur) তেলের ট্যাঙ্কার খুলতেই পুলিশের চোখ একাবারে কপালে উঠে যায়। গাড়ির ট্যাঙ্কারে তেল নেই, এক দম ফাঁকা। লাইন করে বাঁধা রয়েছে প্রচুর গরু। এরপর পুলিশ, চালক এবং খালাসিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। কিন্তু তাদের বক্তব্যে অসঙ্গগতি মেলায় গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার নিজে অত্যন্ত তৎপর হয়ে বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে নাকা চেকিংয়ে এই ভাবে গরু আটক হবে কেউ ভাবতে পারেনি। আবার অনেক স্থায়ীবাসিন্দা বলেছেন, এই ভাবে গরু পাচার হল এক অভিনব কায়দায় গরু পাচার।

    ভলভো বাসের উদ্ধার গরু

    গতকাল শুক্রবার, যে বিলাস বহুল বাসে মানুষ যাতায়ত করে সেই বাসে করেই গরু পাচার করা হচ্ছিল। বর্ধমানের মেমারিতে জিটি রোডর কাছেই এই ঘটনা ঘটেছিল। বাসের দুই পাশেই ভিতর থেকে পর্দা দিয়ে ঢাকা ছিল। পর্দার রঙ রঙিন হওয়ায় বাইরে থেকে বাসের ভিতরের অংশ দেখা যাচ্ছিল না। আর সম্ভব এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ ভাবে গরু পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এলাকার মানুষের সচেতনতায় পাচার হওয়া গরুগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছিল। গতকালকের পর আজ পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) গরু পাচারের ঘটনায় ফের একবার চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidbad: স্কুলের মিড-ডে মিলে নয়ছয়! প্রতিবাদ করায় পড়ুয়াদের পুলিশ দিয়ে মারধর, অভিযুক্ত ওসি

    Murshidbad: স্কুলের মিড-ডে মিলে নয়ছয়! প্রতিবাদ করায় পড়ুয়াদের পুলিশ দিয়ে মারধর, অভিযুক্ত ওসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের মিড-ডে মিলে নয়ছয়, ছাত্রদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চনা নিয়ে মঙ্গলবার স্কুলে আন্দোলন শুরু করেছিল পড়ুয়ারা। প্রতিবাদ জানিয়ে স্কুল তালাবন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। আর সেই ঘটনায় পড়ুয়াদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidbad) জলঙ্গি থানার ওসি কৌশিক পালের বিরুদ্ধে। ছাত্রদের দাবি “স্কুলে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করছিলাম। সেই সময় স্কুলে পুলিশ ডেকে আমাদের উপর অত্যাচার চালানো হয়।” এই ঘটনায় স্কুলে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ছাত্রদের অভিযোগ (Murshidbad)

    স্কুলের (Murshidbad) পড়ুয়াদের দাবি, “আমরা শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখেই অবরোধ চালাচ্ছিলাম। সেই সময় প্রধান শিক্ষক পুলিশ ডেকে বেধড়ক মারধর করায়। ঘটনায় নেতৃত্ব দেন ওসি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বহুদিন ধরে টাকা-পয়সা নিয়ে দুর্নীতি করছিলেন। ছাত্রছাত্রীদের মিড-ডে মিলের খাবার না দিয়ে বঞ্চনা করা হচ্ছিল। অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছিল। আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন করলে আমাদের উপর পুলিশ দিয়ে আক্রমণ করা হয়। আমাদের অনেককে ব্যাপক মারধর করা হয়। আমরা যাতে বাইরে এই মারধরের কথা না জানাই, তাই আমাদের দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে কোনও মারধর করা হয়নি বলে বক্তব্যকে ভিডিও করে নেওয়া হয়।” এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আহত ছাত্রদেরকে চিকিৎসার জন্য গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

    অভিভাবকের বক্তব্য

    স্কুল পড়ুয়াদের এক অভিভাবক বলেন, “গতকাল আমাদের ছাত্ররা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে স্কুলের প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। এরপর সন্ধ্যায় তিন গাড়ি পুলিশ আসে। ছাত্রদের ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে মারধর করা হয়। ছাত্রদের উপর এই পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক একজন দুর্নীতিগ্রস্থ লোক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত না করে উল্টে ছাত্রদের ভয় দেখায়। এটা রক্ষকের ভক্ষক সুলভ আচরণ। দুর্নীতির কথা যাতে বাইরে না যায়, তাই ছাত্রদের উপর অত্যাচার করে আন্দোলনকে দমন করতে চাইছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: এ কেমন গ্রেফতার শাহজাহান! কোমরে দড়ি পরানো দূর, গায়ে হাত পর্যন্ত দিতে পারল না পুলিশ

    Sheikh Shahjahan: এ কেমন গ্রেফতার শাহজাহান! কোমরে দড়ি পরানো দূর, গায়ে হাত পর্যন্ত দিতে পারল না পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুখ্যাত দুষ্কৃতী শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) সঙ্গে পুলিশের আচরণ দেখে হতবাক রাজ্যবাসী। সাধারণত দাগী অপরাধীদের আদালতে তোলার সময় কোমড়ে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক সময় কোমড় ধরে বা হাত ধরে আদালতে তোলা হয়। কিন্তু, সন্দেশখালির বাদশা শাহজাহানকে কোমরে দড়ি পরানো তো দূরের কথা পুলিশ হাত পর্যন্ত দেওয়ার সাহস দেখাল না। আদালতের এজলাসে তোলার সময় কোনওভাবে মনে হচ্ছিল না শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বরং, তাঁর পিছনে যেভাবে পুলিশ ছিল তাতে তাকে এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এমনই অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী থেকে সাধারণ মানুষের। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    সন্দেশখালির বাসিন্দারা কী বললেন? (Sheikh Shahjahan)

    সাদা জামা, সাদা প্যান্ট, ম্যাচিং করে ধূসর রঙের কোর্ট। পায়ে সাদা স্নিকার্স। ৫৫ দিন পর শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) এই সাজেই ধরা দিলেন। তবে গ্রেফতার হওয়ার পরও তাঁর শরীরে কার্যত দেখা গেল না কোনও উত্তাপ। তাঁর হাতে দেখা গেল না কোনও হ্যান্ডকাফ, কোমরে নেই দড়িও। আঙুল উঁচিয়ে এমন ভাবে আদালতে প্রবেশ করলেন যেন ‘জামাই’। তাহলে কি নিয়ম সবার জন্য আলাদা? এমনই প্রশ্ন তুলেছে সন্দেশখালিবাসী। তাঁদের বক্তব্য, শাহজাহান কোনও বীর পুরুষ নন। তিনি একজন ধর্ষণকারী। তাঁর বিরুদ্ধে জমি লুট, একাধিক খুন, বাড়ি ভাঙচুর, শ্লীলতাহানির মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ রয়েছে। এরকম একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতীর সঙ্গে পুলিশের আচরণ মেলানো যাচ্ছে না। পুলিশের সামনেই খোশ মেজাজেই রয়েছে শাহজাহান। গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে তাঁকে জামাই আদর করে নিয়ে যাওয়া হল। তাহলে পুলিশ হেফাজতে শাহজাহান বহাল তবিয়তে থাকবে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, আসলে ইডি-র হাত থেকে শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan)  রক্ষা করতেই মরিয়া পুলিশ। তাঁকে লোকদেখানো গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে, পুলিশ এতদিন জামাই আদর দিয়ে, ভালো-মন্দ খাইয়ে রেখেছিল। আজ যখন লোক দেখানো গ্রেফতারের পর আদালতের উদ্দেশ্যে তাঁকে বার করা হচ্ছে, পুলিশ তাঁর হাতটুকু ধরার সাহস দেখাতে পারিনি। সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব জোনাল কমিটির সদস্য কিংকর কান্তি রায় বলেন, পুলিশের ক্ষমতা নেই শাহজাহানের কোমরে দড়ি পরানোর। বারবার বিভিন্ন কেস দিয়ে শুধু পিসি টানবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ

    Sandeshkhali: শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন শিবু প্রসাদ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আগেই ধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। বসিরহাট আদালতে আজ বুধবার একটি গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে নতুন করে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূলত আদালতে দায়ের করা হয়েছে মামলা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সঙ্গে আরও দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই নতুন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    গত শনিবার গ্রেফতার করা হয় (Sandeshkhali)

    গত শনিবার শিবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বসিরহাটের ন্যাজাট এলাকা থেকে। তাঁর অবর্তমানে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিধায়ক সুকুমার মাহতো। গত ছয় বছর আগে দল, শিবুকে ব্লকের সভাপতি করেছিল। এরপর থেকেই তাঁর এলাকায় আধিপত্য বৃদ্ধি হতে শুরু করে। নানা দুর্নীতি, অসামাজিক কাজের প্রত্যক্ষ মদত দিতো শিবু। এরপর এলাকার নেতা শেখ শাহজাহানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। অপর দিকে ইডি, শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে আক্রান্ত হতে হয়। এরপরেই জমি জোর করে দখল করা, মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচারের অভিযোগে ব্যাপক উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এরপর সেখানে শিবুর মুরগির খামারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার ক্ষিপ্ত মানুষ প্রতিবাদে ভাঙচুর করে শিবুর বাগান বাড়িও। অবশেষে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ আবার আদালতে পেশ করলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষ। একইভাবে তাঁকে ঘিরে ‘চোর চোর’ শ্লোগান দেওয়া হয়। কিন্তু পলাতক নেতা শাহজাহান এখনও পুলিশের কাছে অধরা।

    পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন ডিজি

    অপর দিকে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আইন শৃঙ্খলার বিষয়কে খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তাঁর সঙ্গে থাকবেন এডিজি সুপ্রতিম সরকার এবং বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান। সেখানে করা হবে একধিক বৈঠক। পাঁচ জায়গায় মোট ১০টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশি নজরদারি ইতিমধ্যে বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরাতেই খালিস্তানি-ইস্যু তৃণমূলের? পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরাতেই খালিস্তানি-ইস্যু তৃণমূলের? পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে কার্যত লেজেগোবরে দশা তৃণমূলের। এহেন আবহে সন্দেশখালি থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে ‘খালিস্তানি’ গল্প ফেঁদেছে তৃণমূল। অন্তত এমনই অভিযোগ বিরোধীদের (Suvendu Adhikari)। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী একজন শিখ পুলিশ অফিসারকে খালিস্তানি বলার অভিযোগ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রমাণ করার জন্য এডিজিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। অন্যথায় তাঁকে পরিণতির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত থাকতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আড়ালে থেকে যা খুশি করতে পারে না রাজ্য পুলিশ।”

    ২৪ ঘণ্টা সময়

    অভিযোগ প্রমাণ করতে শুভেন্দু স্বয়ং এডিজি দক্ষিণবঙ্গকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলছেন, “কর্তৃপক্ষ যদি দাবি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়, তবে মানহানির মামলা করব।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) যেদিন সন্দেশখালি যাচ্ছিলেন, সেদিন তাঁকে ধামাখালিতে বাধা দিতে এক শিখ আইপিএসকে মোতায়েন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আইপিএস যশপ্রীত সিংহ তাঁকে সন্দেশখালি যেতে বাধা দেন। সেই সময় শুভেন্দু খালিস্তানি শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করেন শুভেন্দু।

    মানহানি মামলার হুঁশিয়ারি

    তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ প্রমাণ করতে বলেছেন এডিজিকে। তা না হলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্য পুলিশের এডিজি সুপ্রতীম সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি সুপ্রতীম সরকারকে চব্বিশ ঘণ্টা সময় দিলাম। যদি ওই সময়ের মধ্যে ধামাখালিতে পুলিশ অফিসারকে আমি খালিস্তানি বলেছি তা প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে আমি রাজ্য পুলিশের এডিজি সুপ্রতীম সরকারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।”

    আরও পড়ুুন: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    মঙ্গলবার সুপ্রতীম বলেন, “জনৈক পুলিশ অফিসার যশপ্রীত সিংকে যেভাবে খালিস্তানি বলেন আক্রমণ করা হয়েছে, তা তাঁর এবং একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগকে আক্রমণ করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা এমন মন্তব্য করতে পারেন না। আমরা বিরোধী দলনেতার খালিস্তানি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনি যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।” শুভেন্দু বলেন, “সন্দেশখালিতে যেভাবে আমার যাওয়ার পর জন সুনামি হয়েছিল, তা থেকে নজর ঘোরাতেই প্লট তৈরি করা হয়েছে (Suvendu Adhikari)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি করতে এবং ভালো পোস্টিং পেতে নিজে এ কথা বলেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share