Tag: police

police

  • ECL:  আসানসোলে ইসিএল কোলিয়ারির গাড়ি আটক করে বিক্ষোভে এলাকাবাসী, কেন জানেন?

    ECL: আসানসোলে ইসিএল কোলিয়ারির গাড়ি আটক করে বিক্ষোভে এলাকাবাসী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাত হলেই  গাড়ি করেই দিনের পর দিন পাচার হয়ে যেত ইসিএল (ECL) কোলিয়ারির জিনিসপত্র। বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকাবাসীর কাছে এই অভিযোগ আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে পাচার হওয়ার সময় এলাকার বাসিন্দারা জোটবদ্ধ হয়ে জিনিসপত্র সহ গাড়ি আটক করেন। আসানসোল ইসিএল (ECL)  এর সোদপুর এরিয়ার বন্ধ মাউদডি কোলিয়ারির এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, বন্ধ কোলিয়ারির বিভিন্ন সামগ্রী একটি পিকআপ ভ্যানে করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিল। সোদপুর গ্রামের বাসিন্দারা ওই পিকআপ ভ্যানটিকে আটক করেন। পরে, গাড়ি চালকের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু, তিনি তা দেখাতে পারেননি। তখনই তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    কোলিয়ারির জিনিসপত্র পাচার নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী? ECL

    বন্ধ কোলিয়ারির জিনিসপত্র পাহাড়া দেওয়ার জন্য নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। এলাকাবাসীর বক্তব্য, দিনের বেলায় কেউ কয়লার গুঁড়ো নিতে আসলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের তাড়া করেন। আমরা পদক্ষেপকে প্রশংসা করছি। কিন্তু, রাতের অন্ধকারে গাড়ি ভরতি করে কোলিয়ারি ভিতর থেকে জিনিসপত্র সামগ্রী পাচার হয়ে যাচ্ছে, তা দেখার সময় নিরাপত্তারক্ষীদের নেই। আসলে ইসিএল (ECL)  কোলিয়ারির কর্তৃপক্ষের একাংশের মদতেই রমরমিয়ে এই  পাচার চলছে। গত কয়েকদিন ধরে দেদার জিনিসপত্র পাচার হয়ে যাচ্ছিল। এদিনও তারা গাড়ি করে জিনিসপত্র পাচার করার সময় ধরা পড়ে যায়। আমাদের বক্তব্য, গাড়ি করে যে সব জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জরুরি কিছু নয়। তাই, দিনেরবেলায় নিয়ে গেলে কারও কোনও আপত্তি থাকত না। কিন্তু, রাতের অন্ধকারে এভাবে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়াতে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে।

    ইসিএল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য? ECL

    জিনিসপত্র নিয়ে গাড়ি পাচার করার সময় এলাকাবাসী দীর্ঘক্ষণ আটক করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আসেন ইসিএল (ECL)  কোলিয়ারির ম্যানেজার মহম্মদ একলাখ খান। তিনি বলেন, কোনও পাচার করার জন্য গাড়ি করে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল না। নিয়ম মেনেই এই কোলিয়ারি থেকে আমাদের মেন অফিসে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গাড়ির চালকের কাছে চালানো রয়েছে। এলাকাবাসী আমাদের ভুল বুঝে বিক্ষোভ দেখান। তবে, ম্যানেজারের বক্তব্য এলাকাবাসী মানতে চাননি। তাঁরা কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে গাড়িসহ জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Salt Lake Kolkata: বিলাসবহুল গাড়িতে মিলল কয়েক কোটি টাকার মাদক আর গাঁজা! কোথায় জানেন?

    Salt Lake Kolkata: বিলাসবহুল গাড়িতে মিলল কয়েক কোটি টাকার মাদক আর গাঁজা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়েকদিন আগে সোদপুরের বিটি রোডে বিলাসবহুল গাড়িতে গরু পাচার করার ঘটনা সামনে আসে। পাচার হওয়া গরুসহ গাড়িটি আটক করে পুলিশ। এবার কলকাতার (Salt Lake Kolkata) দুটি জায়গায় গাড়ির ভিতর থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক এবং গাঁজা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সল্টলেকে (Salt Lake Kolkata) দুটি বিলাসবহুল গাড়ি থেকে পাওয়া গেল কয়েক কোটি টাকার মাদক। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) অভিযান চালিয়ে ওই মাদক উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, গাড়ির ভিতর থেকে বড় প্যাকেটে ৫০০ গ্রাম হেরোইন এবং ৩০ হাজারের বেশি ছোট ছোট প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ওই প্যাকেটগুলিতে ঠাসা ছিল বহুমূল্য হেরোইন। সেগুলো শহরেরই নানা জায়গায় পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এসটিএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে নওডাঙার  অভিযান চালানো হয়। সেখানেই দুটি বিলাসবহুল গাড়ির হদিশ মেলে। দুটি গাড়িতেই প্রচুর হেরোইন রাখা ছিল। কিছুদিন আগে বিধাননগরের নাওডাঙায় তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকার মাদক সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোমিন খান ও মেহতাব বিবি নামে ওই দম্পতি ছাগলের খোঁয়াড়ের আড়ালে বহুমূল্য মাদকের কারবার চালাত। সেখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হত। হাতেনাতে তাদের গ্রেপ্তার করে বিধাননগর থানার পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। এই মাদক পাচারচক্রের জাল বহুদূর অবধি বিস্তৃত বলেই মনে করছে পুলিশ। ধৃত দম্পতি পশুপালনের ব্যবসা করতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ধাপার মনপুর এলাকায় তাঁদের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। পশুপালনের আড়ালে মাদক তৈরি ও বিক্রির কাজ করত ওই দম্পতি। তাদের কাছ থেকে  প্রায় সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম হেরোইন পাওয়া গিয়েছিল। সেই সঙ্গে মিলেছিল হেরোইন এবং ব্রাউন সুগারের মতো মাদক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় দেড় কিলোগ্রাম রাসায়নিক। এই পাচারচক্রে আর কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার শহরে, কোথায় জানেন? Salt Lake Kolkata

    মঙ্গলবার গভীর রাতে ইএম বাইপাসে (Salt Lake Kolkata) একটি গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সার্ভে পার্ক থানা এবং নারকোটিকস বিভাগের আধিকারিকরা অভিযান চালিয়ে গাড়ির ভিতর থেকে ১২৮ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশের চোখে ধূলো দিতে গাড়ির সিটের নীচে গাঁজা লুকিয়ে রাখা ছিল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইমরান বলে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ভিন রাজ্য থেকে ওই গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছিল।  দক্ষিণ  ২৪ পরগনার একটি জায়গায় গাঁজা পাচার করার কথা ছিল। তার আগেই পুলিশের হাতে ধরল পড়ল পাচারকারী। ধৃত ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dead: দুই সন্তানসহ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য! কোথায় জানেন?

    Dead: দুই সন্তানসহ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ঘরের ভিতর স্ত্রী সন্তানসহ একই পরিবারের চারজনের মৃতদেহ (Dead) উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রবিবার সাতসকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের কুড়ুরিয়াডাঙা এলাকায়। স্বামী, স্ত্রীসহ দুই সন্তানের মৃত্যুর (Dead) ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিশকে মৃতদেহ (Dead)  উদ্ধার করতে বাধা দেন মৃতের অত্মীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, মৃত্যুর আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁদের মৃত্যুর জন্য কারা দায়ী তা উল্লেখ করেছেন। সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাঁদের দাবি, দুই সন্তান সহ স্বামী ও স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে। যদিও ঘটনার তদন্তে ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম অমিত মণ্ডল (৪২)। তিনি পেশায় জমি ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর স্ত্রী রূপা মণ্ডল (৩৪)। তাঁদের পুত্র মিমিত মণ্ডল(১০) ও শিশুকণ্যা নিকিতা মণ্ডল (২)। তাঁদের বাড়ি দুর্গাপুর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কুড়ুরিয়াডাঙায়। কী করে জানাজানি হল বিষয়টি? পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পারিবারিক হোয়াট’স অ্যাপ গ্রুপে সুইসাইড নোট দেখে মৃত অমিত মণ্ডলের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন। বাড়ির ভিতরে দেখা যায়, ঘরের ভেতর নীচে পড়ে রয়েছে  ১০ বছরের মিমিত মণ্ডলের নিথর দেহ। বিছানায় শিশুকণ্যার সঙ্গে পড়ে রয়েছে মা রূপা মণ্ডলের দেহ। সিলিংয়ে হাতবাঁধা অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ (Dead)  উদ্ধার হয় অমিতের। বিষয়টি জানাজানি  হতেই আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আসানসোল দুর্গাপর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম বলেন, ফরেনসিক টিম নমুনা সংগ্রহ করেছে। দুজনকে আটক করা হয়েছে। সমস্ত ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    সুইসাইড নোটে কী লেখা রয়েছে? Dead

     অমিতের বাবা নরেশ মণ্ডল একসময় প্রভাবশালী প্রোমোটার ছিলেন। শিল্পশহর লাগোয়া জমির কেনাবেচা করতেন তিনি। বছর ছয়েক আগে কিডনির অসুস্থতায় মৃত্যু হয় তাঁর। বাবা বেঁচে থাকতে তাঁর সঙ্গে জমি কেনাবেচায় হাতপাকান অমিত। ফলে, ফুলেফেঁপে ওঠে তাঁদের সম্পত্তি। ওই জমি ব্যবসা থেকে কয়েক’শো কোটি টাকার সম্পত্তি তৈরি করেন। কুড়ুরিয়াডাঙায় বিলাসবহুল তাঁদের বাড়ি রয়েছে। সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুর (Dead)  পিছনে হাত রয়েছে তাঁর বড় মামার ছোটো ছেলে সুশান্ত নায়েক ওরফে নান্টু। সে মাস্টার মাইন্ড। এছাড়াও  মামার বাড়ির  অনেকে জড়িত রয়েছে। সুশান্ত নায়েক অন্ডালের সিঁদুলি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করে। এছাড়া মা বুলা রানি মণ্ডলের নাম রয়েছে। মা বাপের বাড়ির সকলকে ভালোবাসে। আমার ছেলেমেয়েদের দেখতে পারে না। আমাকে পছন্দ করে না। ছোটো মামার মেয়ে মিলি নায়েক ঘোষের নামও উল্লেখ রয়েছে। তিনি পান্ডবেশ্বরে বৈদ্যনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বড় মামার সেজো ছেলের বৌ শিলা নায়েক মণ্ডলের নাম রয়েছে। তিনি আমরাই প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ২০১২ সালে পরীক্ষা, ইন্টারভিউ  না দিয়ে তাঁরা সকলে চাকরি পেয়েছেন। সুশান্ত নায়েক সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত দলই করেছেন। ওরাই আমাদের পরিবারকে শেষ করে দিল। প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের যোগ রয়েছে তিনি উল্লেখ করেছেন। সুইসাইড নোটটি সিবিআই(CBI), ইডি (ED), রাজ্য পুলিশ এবং বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে তিনি ট্যাগ করেন।

    কী বললেন মৃতের আত্মীয়? Dead

    মৃতা রূপা মণ্ডলের মাসতুতো বোন সুদীপ্তা ঘোষ বলেন,” গতকাল রাতে জামাইবাবু বলল মা এসেছে বাড়িতে। আবারও অশান্তি হবে।” তিনি আরও বলেন,” সম্পত্তির বিবাদ। জামাইবাবুর মা বুলা রানি জামাইবাবু, দিদি ভাগ্নে, ভাগ্নিকে সহ্য করতে পারে না। সমস্ত সম্পত্তি জামাইবাবুর মামার ছেলেদের তিনি দিয়ে দিতে চান। তাই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে। আমাদের অনুমান পরিকল্পিত খুন। কারণ, বাড়ির সিসিটিভি উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতে স্ট্রিট লাইট বন্ধ রাখা ছিল। আমাদের দাবি, বুলা রানি, সুশান্ত, প্রশান্ত সহ জামাইবাবুর মামার বাড়ির সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্ত করা হোক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Security:  রাতারাতি তুলে নেওয়া হল বারাকপুর মহকুমার বহু তৃণমূল নেতার নিরাপত্তা রক্ষী, জানেন কী তালিকায় কারা রয়েছেন?

    Security: রাতারাতি তুলে নেওয়া হল বারাকপুর মহকুমার বহু তৃণমূল নেতার নিরাপত্তা রক্ষী, জানেন কী তালিকায় কারা রয়েছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের ছোট, মাঝারি, বড় মাপের নেতাদের নিরাপত্তার জন্য কারও কাছে একজন, কারও কাছে আবার দুজন করে নিরাপত্তা রক্ষী ছিল। কিন্তু, আচমকাই কমিশনারেটে পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় ৪১ জন দাপুটে তৃণমূল নেতার কাছে থেকে রাতারাতি নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়া হল। এরমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন। এছাড়া এই তালিকায় জগদ্দলের প্রাক্তন বিধায়ক পরশ দত্ত, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী রয়েছেন। আর ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় যে সব নেতারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলেন, নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়, খড়দহ পুরসভার কাউন্সিলর সুকণ্ঠ বনিক, নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিং, উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস, খড়দহ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সায়ন মজুমদার, নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদ সদস্য সনত্ দে, ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদ সদস্য অমিত গুপ্তা, ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলর অরুণ ব্রহ্ম সহ একাধিক নেতা রয়েছেন। অবশ্য বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট এর বক্তব্য, পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, পুলিশ কমিশনারেটের এই নির্দেশিকা ঘিরে শাসক দলের অন্দরে নেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসতেই অনেক নেতা তাঁদের ক্ষোভের বিষয়টি চেপে রাখতে পারেননি। তাঁদের বক্তব্য, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই অবস্থায় নিরাপত্তা না তোলায় দরকার ছিল। অনেকেই ফের নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষী ফিরে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তদারকি করা শুরু করেছেন। একটি সূত্রে থেকে জানা গিয়েছে, কয়েকজন নেতার ফের নিরাপত্তা রক্ষী ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে বিবেচনা করা হচ্ছে। ফলে, অনেকে ফের নিরাপত্তা রক্ষী ফিরে পেতে পারে।

    তৃণমূল নেতাদের কেন নিরপত্তা রক্ষী দেওয়া ছিল?

    ২০২২ সালে রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার মতো ব্যারাকপুর মহকুমার সব পুরসভায় পুরভোট হয়। পুরভোটের সময় ১৩ মার্চ পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে আগরপাড়া স্টেশন রোডে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। প্রকাশ্যে এই খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের তৃণমূলের জন প্রতিনিধিরা। পুলিশ কমিশনারের কাছে তাঁরা নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে কমিশনারেট এলাকায় অধিকাংশ দাপুটে তৃণমূলের জন প্রতিনিধিদের নিরপত্তা রক্ষীর ব্যবস্থা করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Police: হিমঘরে আলুর বন্ড নিতে এসে পুলিশের লাঠিপেটা, জখম বহু চাষি, কোথায় দেখে নিন

    Police: হিমঘরে আলুর বন্ড নিতে এসে পুলিশের লাঠিপেটা, জখম বহু চাষি, কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ শনিবার রাত থেকে চাষিরা হিমঘরের সামনে ভিড় করেন। রবিবার হিমঘর থেকে চাষিদের আলুর বন্ড দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো চাষিরা হিমঘরের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন। রাত গড়িয়ে সকাল হতেই কয়েক হাজার চাষি সেখানে আলুর বন্ড নেওয়ার জন্য হাজির হন। কিন্তু, বহু চাষি আলুর বন্ড না পেয়ে পুলিশের (Police) হাতে মার খেয়ে হতাশ হয়ে শুকনো মুখে বাড়ি ফিরে যান। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের শ্রীকৃষ্ণপুর হিমঘরে। পুলিশের লাঠির ঘায়ে অনেকে জখম হন। যদিও পুলিশের এক আধিকারিকের বক্তব্য, হিমঘরের সামনে প্রচুর জমায়েত হয়েছিল। হিমঘরের ভিতরে ঢোকা নিয়ে গন্ডগোলও হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতেই লাঠি উঁচিয়ে তাড়়া করা হয়েছিল।

    বন্ড না পেয়ে রাজ্য সরকারকেই কেন দুষছেন চাষিরা? Police

    রাজ্য সরকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের হিমঘরে আলু রাখার জন্য এবার সংরক্ষণ ঘোষণা করে। কৃষি বিপণন দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে যে সব চাষির নাম রয়েছে তারা বন্ড নিতে পারবেন। সরকারের এই ঘোষণায় চাষিরা মুখে হাসি ফুটেছিল। কারণ, এতদিন হিমঘরের বন্ড এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা মোটা টাকা দিয়ে বন্ড কিনে নিতেন। সেখানে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের আলু রাখার মতো ক্ষমতা ছিল না। সরকারি এই সিদ্ধান্তে চাষিরাও নিজেদের জমির আলু হিমঘরে রাখার স্বপ্ন দেখেন। কারণ, এমনিতেই খোলা বাজারে আলুর দাম কম। তাই, চাষিরা হিমঘরে আলু রাখার জন্য বন্ড নিতে আসেন। আগের দিন রাত থেকে তাঁরা লাইন দেন। সারা রাত ধরে হিমঘরের সামনে পিল পিল করে চাষিদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। রবিবার সকালে হিমঘরের গেট খুলতে বিস্ফোরণ হয়। চাষিদের ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে তা সামাল দিতে পুলিশকে (Police) বেধড়ক লাঠি চার্জ করতে হয়। নজরুল ইসলাম নামে এক আলু চাষি বলেন, রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কিন্তু, বন্ড পাইনি। পুলিশ (Police) লাঠিচার্জ করে তাড়িয়ে দিচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা চাষিদের বক্তব্য, বন্ড বিলির নির্দিষ্ট নিয়ম থাকবে। সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। এই সুযোগে বন্ড নিয়ে কালোবাজারি হচ্ছে। যাদের টাকা রয়েছে, তারা বন্ড কিনে রেখে দিচ্ছে। আর আমাদের মতো চাষিরা পুলিশের (Police) হাতে মার খাচ্ছে। এদিন হাজার হাজার চাষি রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পুলিশ (Police) চাষিদের সুষ্ঠুভাবে বন্ড দেওয়ার ব্যবস্থা না করে লাঠিচার্জ করে এলাকা ছাড়া করেছে। বহু চাষি জখম হয়েছেন। রাজ্য সরকারের ভুল নীতির জন্য হাজার হাজার চাষি নাকাল হচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra:  রাজ্য পুলিশকে একী বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র?

    Madan Mitra: রাজ্য পুলিশকে একী বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) । তিনি বেলঘরিয়ায় দলীয় সভায় প্রকাশ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তিনি বলেন, রাজ্যের পুলিশকে বলছি, আপনারা ভুলে যান তৃণমূল কংগ্রেস শাসকদলে রয়েছে। কয়েকদিন আগে রথতলায় ৫০টি মাইক বেঁধে সিপিএম সভা করল। আপনার চুপচাপ বসে বসে মজা দেখছিলেন। তবে, সব পুলিশ এক নয়। পুলিশের মধ্যে কিছু চড় রয়েছে। এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,  বিজেপি বাংলার বাজার গরম করলে কিভাবে ঠান্ডা করতে হয় তৃণমূলের কাছে সেই মন্ত্র আছে। প্রয়োজনে সেই মন্ত্র প্রয়োগ করা হবে।বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ জেনে রাখুন আমরা বাংলা চালাই। সিপিএম, বিজেপিকে আপনারা বাবা বলে ভাবলেও ওরা কিন্তু বাবা নয়। মুখ্যমন্ত্রী একধারে পুলিশমন্ত্রীও। শাসক দলের দাপুটে এই নেতার পুলিশ নিয়ে এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাহলে কী বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ দলদাস হয়ে কাজ করছে না। কী কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য কামারহাটির কালারফুল বয় (Madan Mitra) করলেন তা তিনি খোলসা করেননি। তবে, দলের অন্দরে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা এটা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়নে। আসলে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অর্থ মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি পরোক্ষে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।

    কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে একী বলেন তৃণমূল বিধায়ক? Madan Mitra

    সাগরদিঘিতে বিরোধীদের অশুভ আঁতাত হয়েছে বলে মদন মিত্র (Madan Mitra) বারবার সোচ্চার হয়েছেন। এবার বিরোধীদের অশুভ আঁতাতের বিরুদ্ধে কামারহাটিতে ধিক্কার মিছিল করা হয়। মিছিল শেষে সভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কামারহাটির বিধায়ক( Madan Mitra) বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম মনে রাখবেন এই তিনজনকে বান্ডিলে প্যাক করে প্রয়োজনে দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় কি করে তর্পন করতে হয়, ন্যাড়া করতে হয় তা আমরা জানি। এরপর কৌস্তভ বাগচির নাম না করে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে ন্যাড়া হয়ে   আমাদেরকে ভয় দেখাবেন না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Loot: স্কুটি নিয়ে বান্টি অর বাবলির দৌরাত্ম্য! অভিনব কায়দায় লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ, চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ কর্তাদের

    Loot: স্কুটি নিয়ে বান্টি অর বাবলির দৌরাত্ম্য! অভিনব কায়দায় লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ, চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ কর্তাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বলিউড সুপারহিট সিনেমা বান্টি অর বাবলির কথা মনে আছে। সেলুলয়েডের পর্দায় তাদের চুরি বা কেপমারির কৌশল দেখে হতবাক হয়েছিলেন আমজনতা। এবার বাস্তবের বান্টি অর বাবলি হদিশ পাওয়া গিয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। তবে, তারা সম্পর্কে বন্ধু নয়, তারা স্বামী-স্ত্রী। ইতিমধ্যেই নিউ বারাকপুর থানার পুলিশ এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্ষু চড়কগাছ কমিশনারেটের কর্তাদের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গত চার-পাঁচ বছরে উত্তর ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলার ১৫ টি থানা এলাকায় স্কুটি নিয়ে অভিনব কায়দায় কেপমারি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার অধিকাংশ থানা এলাকায় বহু মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে পগার পার হয়ে যেত তারা। যদিও কমিশনারেটের কর্তাদের পাতা ফাঁদে পড়ে আপাতত তারা এখন শ্রীঘরে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আকবর আলি এবং রাবিয়া বিবি। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, বিভিন্ন থানা এলাকা মিলে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার বেশি তারা হাতিয়েছে। আরও কত টাকা তারা হাতিয়েছে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই স্কুটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই স্কুটি করেই তারা অপারেশন চালাত।

    কী ভাবে তারা অপারেশন চালাত? Loot

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আকবর আর রাবিয়া বিবির বাড়়ি খড়দহ থানা এলাকায়। স্বামী, স্ত্রী মিলে পরিকল্পিতভাবে টাকা লুঠ (Loot) করে চলেছে। কমিশনারেট এলাকার মধ্যে জেটিয়া, নৈহাটি, খড়দহ, নিউ ব্যারাকপুর থানা এলাকা এবং জেলা পুলিশ এলাকার মধ্যে মধ্যমগ্রাম, বারাসতসহ একাধিক থানা রয়েছে। এছাড়া হুগলি জেলায় চন্দননগর, চুঁচুড়াসহ পাঁচটি থানা এলাকায় হানা দিয়েছে। প্রথমে স্কুটি করে তারা একসঙ্গে বাড়ি থেকে বের হত। পাড়ার লোকজন জানতেন কাজের বের হচ্ছেন। কারণ, তাদের বাড়ি রহড়া থানায়। সেখানে তারা কোনও অপরাধ করেনি। ফলে, এলাকার মানুষ তাদের সন্দেহ পর্যন্ত করত না। তাদের পোশাক, পরিচ্ছদ ছিল দেখার মতো। কোনও থানা এলাকায় গিয়ে একটি ব্যাঙ্ককে তারা বেছে নিত। সেই ব্যাঙ্কের সামনে তারা অপেক্ষা করত। রাবিয়া বিবি স্কুটি থেকে নেমে কিছুটা দূরে থাকত। ব্যাঙ্ক থেকে বয়স্ক কোনও লোকজন বের হলেই তাকে তারা টার্গেট করত। তার পিছনে ধাওয়া করত। টোটো বা অটোতে করে সেই বয়স্ক লোকজন উঠলেই সেই গাড়িতেই যাত্রী সেজে রাবিয়া বিবি উঠে পড়ত। আর পিছনে পিছনে তার স্বামী স্কুটি নিয়ে তার গাড়ি লক্ষ্য করত। রাবিয়াবিবি সুযোগ বুঝে গাড়ির মধ্যে বয়স্ক মানুষের সঙ্গে আলাপ জমাত। এরপর সুযোগ বুঝে ব্যাগে ব্লেড চালিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত ( Loot)।  বুঝে ওঠার আগেই স্বামীর স্কুটি করে সে পগার পরা হয়ে যেত। ধৃতরা এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: তৃণমূলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ এলাকাবাসীর, কেন দেখে নিন?

    Agitation: তৃণমূলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ এলাকাবাসীর, কেন দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ভাটপাড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আর্য সমাজের ডাম্পিং গ্রাউন্ড। ডাঁই হয়ে জমে রয়েছে জঞ্জাল। কে বা কারা সেই জঞ্জালের স্তূপে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এমনিতেই জ়ঞ্জালের গন্ধে টেকা দায়। তারমধ্যে দোসর হচ্ছে ডাঁই হয়ে থাকা জঞ্জালের স্তূপে ধোঁয়া। গোটা এলাকায় দুর্গন্ধ যুক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বাড়িতে বয়স্ক লোকজন থেকে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার এলাকার মানুষ জঞ্জাল সরানোর দাবিতে রাস্তায় বেঞ্চ পেতে রাস্তা অবরোধে সামিল হন। তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ( Agitation) উগরে দেন। আর এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এই পথ অবরোধের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় কাউন্সিলর লালন চৌধুরী। পরিস্থিতি সামাল দিতে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম যান। তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? Agitation

    ভাটপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল পুরবোর্ডে ক্ষমতায় রয়েছে। আর এই পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আর্য সমাজ এলাকায় বহু বছর ধরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জাল ফেলা হয় বলে অভিযোগ। জঞ্জালের ধোঁয়া আর ছাইয়ের কারণে শিশু থেকে বয়স্ক লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বহুবার তৃণমূল পুরবোর্ডে এই বিষয়ে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলে, তৃণমূল পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্রমশ ক্ষোভ  দানা বাঁধতে শুরু করে। এদিন ফের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জালের স্তূপে ধোঁয়ায় গোটা এলাকা ছেয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে আসেন। রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ( Agitation) উগরে দেন। অবিলম্বে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরানোর দাবিতে সরবও হন। স্থানীয় কাউন্সিলর লালন চৌধুরী বলেন,  এই জঞ্জাল এলাকাবাসীর কাছে মস্তবড় বোঝা। জঞ্জালের ধোঁয়ার কারণে বহু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অনেকে বয়স্ক লোকজন ধোয়ার কারণে ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারে না। ছয় মাসে আগে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুরবোর্ডের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। জগদ্দলের বিধায়ককে বিষয়টি বলা হয়েছিল। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অগত্যা আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। এই এলাকায় কোনওভাবে জঞ্জাল রাখা যাবে না।

    স্থানীয় কাউন্সিলারের সঙ্গে সহমত এলাকাবাসী। এদিন অবরোধে সামিল হয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, পুরসভার কাছে আবেদন করে কোনও লাভ হয়নি। তাই, বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হল। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী বিক্ষোভে ( Agitation) ফেটে পড়েন। বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ১২ বছর ধরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জাল জমে। নতুন কিছু নয়। ধোঁয়ার জন্য এলাকাবাসীর কষ্ট হয়। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আগের তুলনায় জঞ্জাল অনেকটাই কমানো হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই জঞ্জালের স্তূপ আমরা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tmc Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এমনকাণ্ড, নামল পুলিশও, কোথায় দেখে নিন?

    Tmc Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এমনকাণ্ড, নামল পুলিশও, কোথায় দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক দল। সামনের পাঁচ বছরের ক্ষমতার রাশ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে এখন দলের অন্দরে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে দলের অন্দরেই চর্চা শুরু হয়েছে। আর এই প্রার্থী বাছাই নিয়ে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহেরা নিল মালদহের হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। এই পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর বুথ কমিটির বৈঠকে দলীয় প্রার্থী (Tmc Candidate) ঠিক করা নিয়ে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।  ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    বুথ কমিটির বৈঠকে কী নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত? Tmc Candidate

    মহেন্দ্রপুর গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের নাম মহম্মদ মুজাহিদ। এবার এই বুথে শাসক দলের প্রার্থী (Tmc Candidate)কে হবেন তা নিয়ে হাইস্কুল মাঠে বুথ কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রার্থী হওয়া নিয়ে নাম সংগ্রহ করা হয়। আলোচনার মাধ্যমে দলীয় সদস্য মুজাহিদের পাশাপাশি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা জাকির হোসেনের নাম ওঠে। অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন এই নাম নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা বাধে। পরে, হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ। এই বিবাদ বাড়ি পর্যন্ত পৌঁচ্ছে যায়। মুজাহিদের অনুগামীরা জাকিরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে সোহেল আক্তারকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। সোহেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    এই বিষয়ে আক্রান্ত তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা জাকির হোসেন বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী (Tmc Candidate) হওয়া নিয়ে ঝামেলা। এখন যে পঞ্চায়েত সদস্য আছে সে তার দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে মারধর করেছে। আমার ছেলের অবস্থা খুব খারাপ। আমি ওদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ মুজাহিদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছি। এবারেও প্রার্থী (Tmc Candidate) হিসেবে আমার নাম প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সেই জন্যই এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

    তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। মহেন্দ্রপুর অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুস শোভান বলেন, যত ভোটের দিন এগিয়ে আসবে তৃণমূলের কোন্দল তত বাড়বে। এদের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে ভরাডুবি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। এখন বিদায় বেলায় তারা নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা করে শেষ হবে। এই ঘটনায় আদতে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় কোন্দল নিয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু সাফাই দিয়ে বলেন,তৃণমূল বড় দল।একই আসনে অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে।মতান্তর হতেই পারে।এই নিয়ে বিরোধীরা অযথা রাজনীতি করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Tea Stall:  বাহাত্তর বছরের চায়েওয়ালার জীবন যুদ্ধের কাহিনী জানলে চমকে উঠবেন

    Tea Stall: বাহাত্তর বছরের চায়েওয়ালার জীবন যুদ্ধের কাহিনী জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এভাবেও ঘুরে দাঁড়ানো যায়। চাঁপদানী ফাঁড়ির সামনে অর্জুন টি স্টলের (Tea Stall) মালিক বছর বাহাত্তরের অর্জুন রাজভর তার জ্বলন্ত প্রমাণ। যে সময় মানুষ অবসর জীবন কাটান, সেই বয়সে দাঁড়িয়ে তিনি ভোর থেকে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।  ভোর থেকে রাত দশটা পর্যন্ত তাঁর চায়ের দোকানে (Tea Stall)  ভিড় লেগে থাকে। এই অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাঁর এই চায়ের দোকান।

    কীভাবে গড়ে উঠল এই অর্জুন টি স্টল? Tea Stall

    দোকানের মালিক  অর্জুনবাবুর বাড়ি  চাঁপদানীর ফেসুয়াবাজারে। এই দোকান তৈরি হয়েছে মাসখানেক আগে। তৈরি করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই চায়ের দোকানের (Tea Stall)  পিছনে রয়েছে এক লম্বা ইতিহাস। আসলে এই চায়ের দোকানের মধ্য দিয়েই এক জন যাবজ্জীবন কয়েদিকে তার মেয়াদ পূর্ন হবার পর নতুন ভাবে পথ চলার পথ খুলে দেন জেলা প্রবেশন অফিসার মনোজ রায়। অতীত আর মনে রাখতে চাননা অর্জুনবাবু। একসময় তিনি একটি কারখানার গাড়ির চালক হিসেবে জীবন শুরু করেছিলেন। কিন্তু, ছেলের অসুখকে কেন্দ্র করে কিছু অতিরিক্ত অর্থ দাবি করায় মালিকপক্ষের সঙ্গে তাঁর বিবাদ বাধে। খুনের মামলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেটা ২০০৪ সাল। খুনে তাঁর যাবজ্জীবন সাজা হয়। ঠাঁই হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। প্রায় ১৭ বছর সংশোধনাগারে কাটিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। সংশোধনাগারে তাঁর ভালো আচরণের জন্য জেলা প্রবেশন অফিসারের সুনজরে পরে যান তিনি। সেই অফিসার মনোজ রায় জেলাশাসকের কাছে দরবার করে আইনগত ভাবে অর্জুনকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেন। আর তাঁর এই ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনী নিয়ে অর্জুনবাবু বলেন, পুরোনো দিনের কথা আর মনে রাখতে চাইনা। কিছু ভুল করেছিলাম। তার শাস্তি পেয়েছি। শাস্তি দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তাঁর আরও সংযোজন, যাঁরা শাস্তি দিলেন তাঁরাই আবার আমায় সাহারা দিয়েছেন। এরজন্য আমি সরকারি আধিকারিক দের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। শুধু যে ভালোভাবে তিনি দোকান চালাচ্ছেন তা নয়, দোকানে মাইনে দিয়ে দু জন কর্মচারীও রেখেছেন তিনি। জীবন সায়াহ্নে এসে তাঁর এই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইকে সকলেই কুর্ণিশ জানাচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share