Tag: police

police

  • TMC: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই তৃণমূল নেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই তৃণমূল নেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দেখা করতে বলা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে দেখা করতে বলা হয়েছে তাঁকে। এপ্রিল মাসের প্রথমদিকে তিন আদিবাসী মহিলাকে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ দণ্ডি কেটে এসে যেভাবে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিতে হয়, সেই ঘটনায় প্রদীপ্তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। দলও যে বিষয়টি ভালভাবে নেয়নি, তা প্রথম থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। দণ্ডিকাণ্ডের প্রায় এক মাস পর পুলিশি প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে চলেছেন অভিযুক্ত এই নেত্রী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন আদিবাসী মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। এরপর দণ্ডিকাণ্ডে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়। পরবর্তীতে ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করে চলে তদন্ত। এবার আরও কিছুটা বিপাকে পড়লেন তিনি। দলীয় পদ খোয়ানোর পর এবার আইনি নোটিশ পাঠানো হল তাঁকে। ভিডিয়ো ফুটেজের ভিত্তিতে এই আইনি নোটিস পাঠাল পুলিশ। বৃহস্পতিবারই পুলিশের তরফে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এনিয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, বিচারাধীন বিষয় হওয়ায় এনিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতৃত্ব?

    সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরে জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়ে দণ্ডিকাণ্ডের তিন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, আগেই তৃণমূলের (TMC) দক্ষিণ দিনাজপুর সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভানেত্রী পদ খোয়ান তিনি। পুলিশি নোটিশ পাঠানো নিয়ে তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, এটাই তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন পুলিশ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। পুলিশ ভাল ভাবে কাজ করছে। দলকে সাধুবাদ জানাবো। আগামী দিনও দলের ঊর্ধ্বে গেলে পরে তাঁর বিরুদ্ধে এমনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কী বললেন বিজেপি-র জেলা নেতৃত্ব

    এনিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার। তিনি বলেন, শুধুমাত্র আইনি নোটিশ পাঠানো নয়, অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে এসসি-এসটি আইন লাগু করতে হবে। তৃণমূল (TMC) নেতার নির্দেশ ছাড়া পুলিশ কোন কাজ করে না, সেটা আবারও প্রমাণিত হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: টুইটারে বিজেপি বিধায়ককে খুনের হুমকি! কেন জানেন?

    BJP: টুইটারে বিজেপি বিধায়ককে খুনের হুমকি! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় শিলিগুড়ির বিজেপি (BJP) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের পর গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়। মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে সমালোচিত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সম্প্রতি শিলিগুড়ির বিজেপি (BJP) বিধায়ক তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে প্রতিবাদ জানান। তাঁর সেই প্রতিবাদের জন্য বিপ্লব নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক। এনিয়ে শনিবার তিনি শিলিগুড়ি থানায় এফআইআরও করেছেন।

    টুইটারে কী লিখেছিলেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    শঙ্করবাবু তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, হীরক রানির রাজ্যে এভাবেই ধর্ষিতা কন্যাদের মৃতদেহ সম্মান পায়। সঙ্গে একটি কার্টুন ছবিও তিনি তুলে ধরেন, যেখানে একজন নির্যাতিতাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা দেখানো হয়েছে। তাঁর এই টুইটারের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বিপ্লব নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে শঙ্কর ঘোষকে গ্রেফতার করে মারার হুমকি দেওয়া হয়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, এই ঘটনার পিছনে আমি তৃণমূলের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। কেননা আমাকে গ্রেফতার করে মারার কথা বলা হয়েছে। গ্রেফতার কে করবে? পুলিশ, আর পুলিশ তৃণমূল সরকারের। এছাড়াও যে অ্যাকাউন্ট থেকে আমাকে গ্রেফতার করে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেই টুইটার অ্যাকাউন্টে নিয়মিত ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়। শুধু তাই নয়, ওই টুইটার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তৃণমূলের নব জোয়ারের ট্যাগ করা রয়েছে। কাজেই আমাকে মারার ক্ষেত্রে তৃণমূলের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। সে কারণে আমি পুলিশে এফআইআর করেছি।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের দার্জিলিং(সমতল) জেলা কমিটির মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, তৃণমূল নয়, এ রাজ্যে যাবতীয় অশান্তি পাকাচ্ছেন শঙ্কর বাবু ও তাঁর দল। অপরাধীরা অপরাধ করে এরাজ্যে পার পায় না। শঙ্করবাবু পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে পুলিশ যদি কাউকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজবংশী যুবকের মৃত্যু, অভিযোগের তিরে পুলিশ

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজবংশী যুবকের মৃত্যু, অভিযোগের তিরে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। আর এই ঘটনার জেরে দুদিন আগেই থানায় রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের ডেপুটেশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। থানায় আগুন লাগানো থেকে শুরু করে পুলিশের গাড়ি জ্বালানোর ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে বুধবার রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রাজবংশী যুবকের মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদগাঁ গ্রামে। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মৃত্যুঞ্জয় বর্মন (৩৩)। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই ঘটনা নিয়ে টুইটও করেছেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বিষ্ণু বর্মন কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) বিজেপি-র পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় তাণ্ডব চালানোর ঘটনার সূত্র ধরে বুধবার রাতে তাঁর বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। কিন্তু, তাঁকে না পেয়ে তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে টেনে হিঁচড়ে মারতে মারতে পুলিশ গাড়িতে তোলে বলে অভিযোগ। চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে বিষ্ণুর ভাইপো মৃত্যুঞ্জয় এর প্রতিবাদ করেন। এরপরই পুলিশ গুলি চালায়। তাতে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হয়।

    কী বললেন মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন?

    মৃত্যুঞ্জয়ের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ছেলে শিলিগুড়িতে একটি কোম্পানিতে চাকরি করত। সেখানেই পরিবার নিয়ে সে থাকত। খুড়তুতো ভাইয়ের বিয়ের জন্য সে সপরিবারে এসেছিল। বৃহস্পতিবারই ট্রেনে করে তাদের শিলিগুড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই বুধবার রাতে পুলিশ পাশের বাড়িতে একজনকে ধরতে আসে। আমার দুই ছেলে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল। পুলিশের গুলিতে আমার ছোট ছেলের মৃত্যু হয়।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের বক্তব্য, এলাকার কেউ কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় গণ্ডগোলের ঘটনায় যায়নি। তাহলে পুলিশ কেন এই এলাকায় অভিযান চালাল? একজনকে ধরে নিয়ে গেল? একজন নিরীহ যুবককে পুলিশ গুলি করে খুন করল। মৃত যুবকের পরিবারের লোকজনকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি। একইসঙ্গে দোষী পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান?

    স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বলেন, কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় গণ্ডগোলের দিন গ্রামে বিয়ে ছিল। সেদিন গ্রাম থেকে কেউ সেখানে যায়নি। পুলিশ কেন এই গ্রামে অভিযান চালাতে এসেছিল তা জানি না। আর পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনাকে আমরা সমর্থন করি না।

    পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে সরব হলেন বিজেপি সাংসদ

    বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ হাসপাতালে যান বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। সেখানে তিনি মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে, এই ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ বিজেপি কার্যকর্তাদের ওপর অত্যাচার ও গ্রেফতার করছে। কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) থানা জ্বালানো কিংবা পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনার সঙ্গে কোথাও বিজেপি যুক্ত নেই। বিজেপি-র এস পি অফিস ঘেরাওয়ের আলাদা কর্মসূচি ছিল। সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে গ্রেফতার, অত্যাচার, গুলি করে, খুন করে বিজেপিকে শেষ করতে চাইছে। যদি তিনি মনে করেন এভাবে বিজেপিকে শেষ করা যাবে তা কোনওদিনই সম্ভব না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: থানায় আগুন, পুলিশকে ইট! গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ কালিয়াগঞ্জ, কেন?

    Kaliaganj: থানায় আগুন, পুলিশকে ইট! গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ কালিয়াগঞ্জ, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল রাজবংশী এবং আদিবাসী সংগঠনের যৌথমঞ্চের। আর সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানা চত্বর। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। পুলিশের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরে, টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরে, আন্দোলনকারীরা থানার পাঁচিল ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগানো হয় থানার একটি ঘরেও।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের পালোইবাড়ি এলাকার পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয় দ্বাদশ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ। ঘটনায় ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে সরব হয় মৃতার পরিবার ও গ্রামবাসীরা। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে পরপর কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ ও আন্দোলন চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালোইবাড়ি সাহেবঘাটা সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এদিন থানায় ডেপুটেশনকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে এদিন আন্দোলন নামে রাজবংশী তফশিলি ও আদিবাসী সংগঠন গুলির সমন্বয় কমিটি। মঙ্গলবার তাদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে তারা। ঘটনায় পিছু হঠতে দেখা যায় পুলিশকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের ধরতে পালটা দৌড় শুরু করে পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স। ঘটনায় এক বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। এরপরই আন্দোলনকারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। থানার পাঁচিল ভাঙার পাশাপাশি থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। আগুন ধরানো হয় থানার একটি গাড়িতেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে কেন সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে কেন সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তাল গোটা রাজ্য তথা দেশ। গত শুক্রবার কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) সাহেবঘাটা সংলগ্ন পালোইবাড়ি এলাকায় একটি পুকুরের পাশে উদ্ধার হয় দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর দেহ। মৃতার বয়স ১৭ বছর। নৃশংস এই ঘটনার খবর চাউর হতে আলোড়ন পড়ে যায়। ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) দ্রুত পৌঁছন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। তার পরপরই আসেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার।

    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কী বললেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান?

    সোমবার দিল্লি যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর মৃতার পরিবারের সঙ্গেই দেখা করেছি। সকলের সঙ্গে কথা বলে এবং সবকিছু দেখে মনে হয়েছে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। কেননা নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে না। ঘটনার পর থেকে পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। আমরা দিল্লি থেকে ছুটে এসেছি। লিখিতভাবে জানানোর পরও প্রোটোকল অনুযায়ী আইজি, জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় এই ঘটনার যে তদন্তকারী অফিসার তাঁকেও পাওয়া যায়নি। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তা আড়াল করার চেষ্টা চলছে।

    সিবিআই তদন্তের কেন দাবি জানালেন কমিশনের চেয়ারম্যান?

    জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার বলেন, দিল্লিতে ফিরে গিয়ে গোটা বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই রিপোর্ট জমা দেব। তবে আমরা ইতিমধ্যেই নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য অবিলম্বে কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানার আইসি এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার এসপিকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছি। এঁদের রেখে তদন্ত করলে সেই তদন্ত নিরপেক্ষ হবে না। এরপরেও যদি দেখা যায় যে তদন্তের নামে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে, তাহলে আমরা সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করব।

    রাজ্য সরকারের কাছে কী আবেদন জানালেন কমিশনের চেয়ারম্যান?

    কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পিছনে রয়েছে এরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা সত্য বা প্রকৃত ঘটনা ও অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা। একথা জানিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার আরও বলেন, এরপরেও যদি এই ঘটনাকে আড়াল করা হয় তাহলে তার খারাপ পরিণতি হবে। কেননা এধরনের ঘটনায় বারবার অপরাধীদের আড়াল করার জন্যই অপরাধীরা সাহসী হয়ে উঠছে। ফলে একের পর এক এধরনের ঘটনা ঘটছে। তাই রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, এ ধরনের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে উপযুক্ত শাস্তি দিন। অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা করবেন না। এতে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। নিজেদের পরিবারেও এধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।

    কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে (Kaliaganj) কতজন এএসআই-কে সাসপেন্ড করা হল?

    কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে (Kaliaganj) চারজন এএসআই-কে সাসপেন্ড করা হল। সোমবার একথা জানান রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার। তিনি বলেন, ঘটনার পরই আমরা বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছিলাম। প্রাথমিক সেই রিপোর্ট আসার পরই আমরা চারজনকে সাসপেন্ড করেছি। জানা গিয়েছে, ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর তার মৃতদেহটি অমানবিকভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি-র আইটি সেলের মুখপাত্র অমিত মালব্য টুইটও করেছিলেন। রাজ্য জুড়ে ওই ঘটনার কড়া সমালোচনা হয়েছিল। এরপরই চারজনের সাসপেন্ডের ঘটনা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ। পুলিশ সুপার আরও বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী বিষক্রিয়ার জেরে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না দেওয়ার যে অভিযোগ মৃতার পরিবার ও জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের তরফ থেকে করা হয়েছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপারের বক্তব্য, পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন করলে আইন অনুযায়ী যে নিয়মে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হয় সেভাবে রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NCPCR: কেন্দ্রীয় কর্তার হুমকির পরই সুর নরম, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য

    NCPCR: কেন্দ্রীয় কর্তার হুমকির পরই সুর নরম, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক হুমকিতেই সুর নরম হয়ে গেল জেলা প্রশাসনের। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ (Rape) করে খুনের ঘটনায় রবিবারই অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের (NCPCR) চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। কেন্দ্রীয় আধিকারিক ক্ষোভ দেখানোর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর অবশেষে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের সঙ্গে বৈঠক করলেন জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকেরা। সোমবার সকালে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় সার্কিট হাউসে যান মহকুমাশাসক কিংশুক মাইতি, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) মানস মণ্ডল, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ভাস্করজ্যোতি দেবনাথ। পরবর্তীতে এসে পৌঁছান এই মামলার তদন্তকারী অফিসার রিগদেন সেরিং লেপচা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের (NCPCR)  চেয়ারপার্সন।

    জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর কী বললেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের (NCPCR)  চেয়ারপার্সন?

    রবিবার দিনভর একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়ান জাতীয় সুরক্ষা কমিশন (NCPCR) এবং রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের কর্তারা। যার জেরে রবিবার কোনও বৈঠকও হয়নি। যদিও রবিবার রাতে পুনরায় বৈঠক স্থির করার প্রস্তাব দেয় জেলা প্রশাসন। সেই মতো সোমবার সকালে এই বৈঠক বসে। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের (NCPCR) চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। তিনি বলেন, ছাত্রীর ধর্ষণের (Rape) ঘটনার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমাদের দেওয়া হয়নি। তিনজন চিকিত্সক ময়না তদন্ত করেছিলেন। কিন্তু, আমার সঙ্গে একজন চিকিত্সক দেখা করেছেন। বাকিদের ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিকের রবিবার সার্কিট হাউসে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, একজন এডিএম তাঁকে যেতে দেননি। এই তদন্তে আমাদের কোনওরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে না। যারজন্য একটি বৈঠক করার জন্য আমাদের ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।

    কী বললেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের আধিকারিকেরা?

    কালিয়াগঞ্জকাণ্ড নিয়ে জাতীয় ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের মধ্যে সংঘাত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। শনিবার থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ ও পাল্টা ক্ষোভ উগরে দিয়েছে উভয় পক্ষই। সোমবারও একই ঘটনা সামনে এসেছে। এদিন সকালে জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সনের সাংবাদিক বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় এবং অপর প্রতিনিধি অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা বলেন, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে (NCPCR) পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছে। সোমবারের বৈঠকে পুরো ঘটনা সবিস্তারে বলা হয়েছে। কিন্তু, জাতীয় কমিশন তা মানতে নারাজ বলে অভিযোগ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর কথা উল্লেখ থাকলেও জাতীয় কমিশন (NCPCR) তা না মেনে মনগড়া কথা বলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলের যুব কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ার! প্রশ্ন তুলতেই বিজেপি নেতাকে হুমকি থানার আইসি-র

    BJP: তৃণমূলের যুব কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ার! প্রশ্ন তুলতেই বিজেপি নেতাকে হুমকি থানার আইসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ আসলে শাসকের দলদাস! বিরোধীদের এই অভিযোগকেই কার্যত মান্যতা দিল খোদ তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব! এগরায় যুব তৃণমূলের ব্লক কমিটিতে উঠে এল সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে যুব তৃণমূলের ওই তালিকা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলায়। এগরা-২ এর বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতি দেবকুমার পণ্ডাকে এগরা থানার পুলিশ আধিকারিক ফোনে ধমক ও গ্রেফতার করার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। আর সেই ফোনালাপের অডিও ( ফোনালাপের অডিও যাচাই করেনি মাধ্যম) ভাইরাল হতেই বিতর্ক আরও জোরালো হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা-২ ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যুব তৃণমূলের সভাপতি স্বপন পাত্র ১৭ জনের কমিটির নাম প্রকাশ করেন। তাতেই ১৬ নম্বরে রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সনাতন গিরির নাম। তারপরেই নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। যদিও বিষয়টি জানতে বিজেপি-র (BJP) মণ্ডল সভাপতি দেবকুমার পণ্ডা এগরা থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলেন। ফোনে আইসি বলেন,আপনি কি আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন? ভবিষ্যতে আপনি সতর্ক থাকবেন। বক্তব্য থাকলে থানায় এসে বলবেন। আপনি আপনার মতো রাজনীতি করুন, এইভাবে প্রশ্ন করতে পারেন না। পরবর্তী দিনে কোনও ফল্ট পেলে আপনাকে গ্রেফতার করে নেব তিনি হুমকি দেন।

    যুব তৃণমূল কমিটিতে নাম নিয়ে কী বললেন সিভিক ভলান্টিয়ার?

    যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক কমিটিতে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ার সনাতন গিরির দাবি, ‘‘বিষয়টি আমারও জানা ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই দেখলাম, আমার নাম ও মোবাইল নম্বর রয়েছে। আমার নাম দলীয় কমিটিতে রাখার কোনও প্রশ্নই নেই। সেই নাম বাতিল করা হয়েছে বলে শুনেছি।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে এগরা-২ ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি স্বপন পাত্রের সাফাই, ‘‘যুব তৃণমূল কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম থাকার বিষয়টি জানা ছিল না। আসলে বুথ কমিটি থেকে নাম এসেছিল, সেটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। পরে ভুল বুঝতে পেরে আমরা শুধরে নিচ্ছি৷ ’’পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, প্রশাসনের কাজ নিরপেক্ষভাবে হওয়া দরকার। পুলিশকে নিরপেক্ষ হতে হবে। কর্মরত অবস্থায় সক্রিয় রাজনীতি করা উচিত নয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এমন পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের বড় প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বিজেপি-র (BJP) কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক তন্ময় হাজরা বলেন, “রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হচ্ছে। সিভিক ভলান্টিয়ার আসলে যে তৃণমূলেরই ক্যাডার, সেটা এঘটনা থেকে স্পষ্ট। এদেরকে দিয়েই পঞ্চায়েতে ভোটের নামে প্রহসনের পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। বিজেপির রাজ্য এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “নিন্দনীয় কাজ। আমরা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এগরা থানার আইসি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Atiq Ahmed: আতিক খুনের প্রতিবাদে বাংলায় পুলিশি ঘেরাটোপে মোমবাতি মিছিল! কারা করল?

    Atiq Ahmed: আতিক খুনের প্রতিবাদে বাংলায় পুলিশি ঘেরাটোপে মোমবাতি মিছিল! কারা করল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে আতিক আহমেদকে (Atiq Ahmed) গুলি করে খুন করার ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে মোমবাতি মিছিল করল রাজা ইসলামিক মিশন নামে একটি সংগঠন। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের রামগঞ্জ এলাকায়। ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় রামগঞ্জ বাজারে এই মোমবাতি মিছিল হয়। মিছিলে সংগঠনের বহু সদস্য পা মেলান। আতিক আহমেদ খুন হওয়ার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশে নৈরাজ্য এবং আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার ছবি দেখে আমি স্তম্ভিত। পাল্টা টুইট করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের নৈরাজ্য ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি দেখে আপনি কবে স্তম্ভিত হবেন? স্বাভাবিকভাবে আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) ইস্যুতে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে তর্ক, বিতর্কের মাঝে ১৬ এপ্রিল রাজা ইসলামিক মিশনের ব্যানারে প্রকাশ্যে মোমবাতি মিছিল হওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। একজন দাগি দুষ্কৃতীর মৃত্যুর ঘটনায় মোমবাতি মিছিল করা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    কী বললেন মোমবাতি মিছিলের উদ্যোক্তারা?

    মোমবাতি মিছিলে রাজা ইসলামিক মিশনের সঙ্গে একাধিক সংগঠনের সদস্যরা ছিলেন বলে উদ্যোক্তাদের দাবি। মোমবাতি মিছিলের একটি ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সকলের হাতে মোমবাতি ছিল। আর পিছনে পুলিশের একটি গাড়ি এসকর্ট করে মিছিলটি নিয়ে যাচ্ছিল। মিছিল শেষে সংগঠনের সদস্যরা উত্তরপ্রদেশ সরকার মুর্দাবাদ বলে স্লোগান দেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও তাঁরা কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি এই রাজ্যের পুলিশের প্রশংসা করেন তাঁরা। রাজা ইসলামিক মিশনের সভাপতি আসজাদ রাজা বলেন, উত্তর প্রদেশে আতিক আহমেদকে (Atiq Ahmed) যে ভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে সংবিধানকে খুন করা হয়েছে। কারণ, আতিকের সাজা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তার উপর পুলিশের সামনে দুষ্কৃতীরা হামলা চালাল? পুলিশের সামনে হামলা হওয়ার পরও পাল্টা হামলা পুলিশ করল না। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন গুন্ডা, মাফিয়াদের বাড়িতে বুলডোজার চালায়। আতিককে (Atiq Ahmed) যারা খুন করল তাদের বাড়িতে বুলডোজার কবে চালানো হবে? এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা এদিন শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছিলাম। পুলিশও আমাদের সঙ্গে ছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Arrest: রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতার! কে এই ধৃত ব্যক্তি?

    Arrest: রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতার! কে এই ধৃত ব্যক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজু ঝা খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম অভিজিৎ মণ্ডল। তার বাড়ি কাঁকসা থানার বামুনাড়া এলাকায়। সেখানে একটি বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকতো সে। সেই ফ্ল্যাট এখন তালাবন্ধ। রাজু ঝা খুনের ঘটনায় এটিই প্রথম গ্রেফতার (Arrest)। রাজু ঝাকে খুন করার পিছনে ধৃতের ঠিক কী ভূমিকা ছিল, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু ঝা খুন হওয়ার পর বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১২ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছিল। এতদিন ধরে তল্লাশির পর অবশেষে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করতে সমর্থ হল। ধৃত ওই যুবক শিল্পাঞ্চলের দাপুটে এক ব্যবসায়ীর গাড়ির চালক ছিলেন। যদিও এই বিষয়ে পুলিশ স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    পয়লা এপ্রিল, শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে ফিল্মি কায়দায় এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে রাজু ঝা-কে খুন করে দুষ্কৃতীরা। জানা যায়, কয়লামাফিয়া রাজু ঝা দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বেতাজ বাদশা ছিলেন। তাঁর সঙ্গে গরুপাচারকাণ্ডের অন্যতম মাথা আব্দুল লতিফও ছিলেন। এই লতিফের দুধসাদা গাড়িতে করেই রাজু ঝা কলকাতায় যাচ্ছিলেন। গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিলেন লতিফ আর ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। গাড়ি চালাচ্ছিলেন নুরুল হোসেন নামে একজন। শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে তাঁদের গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। শুটআউটের আগেই গাড়ির চালক নুরুল নেমে গিয়েছিলেন। হামলার সময় রহস্যজনকভাবে লতিফও গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন। নীল রংয়ের একটি গাড়ি থেকে রাজু ঝা-কে গুলি করা হয়। পূর্ব বর্ধমানের জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, খুন হওয়ার ১৮ দিনের মাথায় একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হল। ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলের আদি বাড়ি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি এলাকায়। সে পানাগড় এলাকায় থাকত, চাকরি করত প্রাইভেট কোম্পানিতে। মঙ্গলবার রাতে তাকে দুর্গাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার তাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। বিচারক ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: ‘কেবল সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করে সমস্যা মিটবে না’, মন্তব্য বিচারপতি মান্থার  

    Calcutta High Court: ‘কেবল সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করে সমস্যা মিটবে না’, মন্তব্য বিচারপতি মান্থার  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আসল সমস্যা পুলিশে (Police) নিয়োগ না করা। শুধুমাত্র সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) নিয়োগ করে সমস্যা মিটবে না। সরশুনা থানার বিরুদ্ধে ওঠা একটি মামলার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি বলেন, রাজ্যের আসল সমস্যা পুলিশে নিয়োগ না করা। ফলে এক্ষেত্রে চুক্তিভিক্তিক কর্মীদের ওপরে ভরসা করতে হচ্ছে। পুলিশের কাজ সিভিক ভলান্টিয়াররা করছে। কনস্টেবল, এসআই এবং এএসআই নিয়োগ করা না হলে উপায়ও নেই।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বলেন…

    বিচারপতি মান্থা বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায়ও দুজন সিভিক ভলান্টিয়ার ওই রাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, পুলিশের ঘাটতি মেটাচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ার। তাই পুলিশে নিয়োগ না করলে এভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়ে নিচুতলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার চেষ্টা হলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। বিচারপতির (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, যতদিন না সরকার পুলিশে নিয়োগের ব্যাপারে উদ্যোগী হবে, ততদিন এই এক বছরের চুক্তি ভিত্তিক লোকদের দিয়েই নিচুতলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা হবে।

    প্রসঙ্গত, ২১ মার্চের শুনানিতে এই মামলায়ই রাজ্যের আইজিকে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন মান্থা। হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয়, সে ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। আদালতে এদিন এই বিষয়টিই স্পষ্ট করা হয়।

    আরও পড়ুুন: ‘আরএসএস সদস্যরা অপরাধী নন’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের, দিল মিছিলের অনুমতিও

    কয়েক দিন আগে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে সরশুনা থানার বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগ, দু জন সিভিক ভলান্টিয়ার ওই যুবককে তুলে নিয়ে যায়। সঙ্গে ছিল পুলিশও। তার পর থেকে আর ওই যুবকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় যুবকের পরিবার। এর পরেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব বেঁধে দিয়ে রাজ্য পুলিশকে নির্দেশিকা তৈরির নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কী ভূমিকা রয়েছে, কোন কোন কাজে তাঁদের ব্যবহার করা হয়, সে প্রসঙ্গেও রাজ্য পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিল উচ্চ আদালত।

    উল্লেখ্য, গত বছরই আমতার ছাত্র নেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যুতে তোলপাড় হয় রাজ্য। আনিসের পরিবারের অভিযোগ, রাতে পুলিশের পোশাকে বাড়িতে ঢুকেছিল কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়াররাও ছিলেন। তাঁকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। রাজ্যের তরফে আনিসকাণ্ডে পুলিশি গাফিলতির কথা আদালতে স্বীকার করে নিয়েছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share