Tag: police

police

  • Sukanta Majumdar: বোকা বনল পুলিশ! বাবুঘাটেই গঙ্গারতি বিজেপির, আটক রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার

    Sukanta Majumdar: বোকা বনল পুলিশ! বাবুঘাটেই গঙ্গারতি বিজেপির, আটক রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের চোখ এড়িয়ে বাবুঘাটে গঙ্গা আরতি করলেন সুকান্ত মজুমদার। বাজাকদমতলা ঘাটে গঙ্গা আরতি করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু কলকাতা পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। শেষমেশ বাবুঘাটে সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে গঙ্গারতি করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির অন্যান্য কর্মী সমর্থক নেতৃত্বরা। আরতি করার পর সুকান্ত বলেন, “আমি বলেছিলাম পুজো করব, পুজো করেছি। পুলিশ আটকাতে পারেনি। আমারা ধর্মীয় অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছি। সর্বত্র গঙ্গা এক। এখন পুলিশ চাইলেই আমায় গ্রেফতার করুক।”

    গণতন্ত্র চায় না তৃণমূল

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি, নতুন কিছু নয়। এই সরকার গণতন্ত্রকে রাখতে চায় না, তাদের মনোভাবেই স্পষ্ট। তারা চায় এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করতে, যেখানে তৃণমূলই শাসক, তৃণমূলই বিরোধী। নিজেদের মধ্যে মারামারি করবে বোম নিয়ে। এই সরকার যতদিন থাকবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না।” মঙ্গলবার গঙ্গার মঙ্গল চেয়ে গঙ্গা পুজোর অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। পুলিশের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, গঙ্গাসাগর মেলার আবহে বাবুঘাট এলাকায় ইতিমধ্যে পুণ্যার্থীদের একটা বড় অংশ জড়ো হতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবারেও তার অন্যথা হবে না। ফলে তার মাঝে বিজেপির প্রস্তাবিত কর্মসূচি আয়োজিত হলে শহরের রাস্তায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হবে। সেনার তরফে আগেই অনুমতি পেয়েছিল বিজেপি। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয় গঙ্গা চত্বর। বিকেলে নেতাজি ইন্ডোরের সামনে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। বাজা কদমতলায় দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশবাহিনী। সে দিকে না গিয়ে সুকান্ত পায়ে হেঁটে চলে যান বাবুঘাটে। সেখানেই সারলেন গঙ্গা আরতি।

    আরও পড়ুন: বিজেপির গঙ্গা আরতি কর্মসূচি নিয়ে ধুন্ধুমার বাবুঘাট, গ্রেফতার সজল ঘোষ

    এরপর বাবুঘাট থেকে পায়ে হেঁটে বাজা কদমতলার দিকে এগোতে থাকেন সুকান্ত। ততক্ষণে দলের কর্মী-সমর্থকদের একটা অংশকে আটক করে পুলিশ। সুকান্ত তখন সেই প্রিজন ভ্যানের সামনে বসে পড়েন। সেখানে পুলিশের সাথে তর্ক বিতর্ক ধ্বস্তাধ্বস্তির পর সুকান্তকেও আটক করে পুলিশ। তখন বাধা দিতে রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিজেপি কর্মীরা। তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং পুলিশের মধ্যে। এরপর বিজেপি কর্মীদের আটক করা হয়। প্রিজন ভ্যানে করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। সুকান্ত-সহ সবাইকে গ্রেফতার করার পর মঙ্গলবার রাতে লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপ থেকে ছাড়া হয় প্রত্যেককে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘পুলিশ অন্যায়ভাবে আমাদের গঙ্গারতি কর্মসূচি পালনে বাধা দিয়েছে। আমাদের কর্মী সমর্থক এবং আমাকেও চরম হেনস্থা করা হয়। “

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেলা হলে এক পক্ষের হবে না। আর যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে। শুক্রবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে (TMC) এই ভাষায়ই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন ব্যারাকপুরের চিড়িয়া মোড়ে দলীয় সভার আয়োজন করে বিজেপি। এই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সুকান্তই। শাসক দলের পাশাপাশি এদিন পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও।

    খেলা হবে…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘খেলা হবে’ শব্দবন্ধের ব্যাপক প্রয়োগ করে তৃণমূল। দলের তরফে এনিয়ে গানও শোনানো হয় বিভিন্ন জনসভায়। তারস্বরে বাজানো সেই গানের চোটে ঘুম উড়ে যায় রাজ্যবাসীর। তৃণমূলের সেই অস্ত্রকেই এবার হাতিয়ার করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। এদিনের সভায় তৃণমূলকে নিশানা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আপনারা এক পক্ষকে মারছেন। ভাবছেন বিজেপি কর্মীদের হাত-পা নেই। ঝান্ডার গায়ে ডান্ডা নেই। এটা ভাবলে ভুল করছেন। এর পরেই তিনি বলেন, খেলা হলে এক পক্ষের হবে না। দু পক্ষেরই হবে। আর যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আমরা তো ডাকছি, আপনারা দিল্লিতে আসুন। হাডুডু খেলি! কিন্তু কেউ যেতে চাইছে না। ভাইপো বলছে যাব না। পিসিও বলছে যাব না। সুকান্ত বলেন, কিন্তু কেন যাবে না, সেটাই তো বুঝতে পারছি না।

    আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    এদিনের সভায় অনুব্রত অনুষঙ্গও টানেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, এক সময় চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসা খাওয়ানোর কথা বলত, সেই কেষ্টও দিল্লি যেতে চাইছে না। দিল্লিতে গেলে ভাল গুড় বাতাসা, লাড্ডু খাওয়াব। তা সত্ত্বেও দিল্লির লাড্ডু খেতে চাইছে না। এর পরেই সুকান্ত বলেন, তাই সাবধান করছি!গণতন্ত্রকে গণতন্ত্রের মতো চলতে দিন। বিজেপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তার মানে এই নয় যে বিজেপি দুর্বল। সুকান্ত বলেন, তৃণমূল নেতাদের ঠান্ডা করতে জানে বিজেপি কর্মীরা। তার ওষুধও রয়েছে বিজেপির কাছে।

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ডিসেম্বর মাস পড়ে গেছে। সরকার কাঁপছে। যত বড়ই চোর হোক, পার পাবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রয়েছেন, ততক্ষণ কোনও চোর চুরি করে পার পাবে না। সে যত বড় পদেই থাকুক না কেন। পুলিশের উদ্দেশে সুকান্ত বলেন, শাসক দলের তাঁবেদারি করা ছাড়ুন। আগামিদিনে লোকসভায় বিল আসবে। পুলিশের সংবিধান বিরোধী কাজ করা বন্ধ হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TMC Factionalism: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, চলল গুলি, জখম পুলিশ 

    TMC Factionalism: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, চলল গুলি, জখম পুলিশ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Factionalism)। তার জেরে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক পুলিশ (Police) কর্মীও। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বসিরহাটের শাকচূড়া বাজারে। ঘটনার জেরে থমথমে এলাকার পরিস্থিতি। ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অশান্তি এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    নেপথ্য কাহিনি…

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শাকচূড়া বাজারের টাকি রোডের ওপর রয়েছে তৃণমূলের (TMC) একটি পার্টি অফিস। সোমবার রাতে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে তুমুল অশান্তি (TMC Factionalism) হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে চলে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ। পরে শুরু হয় বচসা। কিছুক্ষণ এভাবে চলার পর শুরু হয় দু পক্ষে হাতাহাতি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বসিরহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ওই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। গুলির ঘায়ে জখম হন অনন্তপুর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল প্রভাস সর্দার। গুলি লাগে তাঁর বাম কাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। এর পরেই ছত্রভঙ্গ হয় দুষ্কৃতীরা। জখম ওই পুলিশ কর্মীকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী। রয়েছেন বসিরহাটের পুলিশ সুপার জেবি থমাস কে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলকে সমর্থন করা বাংলাদেশিদের নামই ভোটার লিস্টে রাখুন’’, বিতর্কে বিধায়ক

    গুলি চালানোর ঘটনার পরে পরেই স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ছেলে সহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা সিরাজুল ইসলামকেও। পার্টি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দু রাউন্ড গুলি। তৃণমূল কর্মী কুতুবউদ্দিন গাজি বলেন, আমাদের এক নেতা বাজারে ছিল। আচমকাই সিরাজুলের অফিস থেকে বেশ কিছু জন বেরিয়ে তাঁকে মারধর করে ও বন্দুক দেখায়। আমরা ছুটে গেলে আমাদেরও মারধর করা হয়। তিনি বলেন, পার্টি অফিসে পুলিশ ঢুকতে যাওয়ার সময় গুলির আওয়াজ শোনা যায়। একজন পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম হন। সিরাজুলের ছোট ছেলে বা ভাইয়ের হাতে একটা বন্দুকও দেখা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • One Nation – One Police Uniform: দেশজুড়ে পুলিশের অভিন্ন উর্দির হয়ে সওয়াল মোদির, পরামর্শ রাজ্যগুলিকে

    One Nation – One Police Uniform: দেশজুড়ে পুলিশের অভিন্ন উর্দির হয়ে সওয়াল মোদির, পরামর্শ রাজ্যগুলিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার সুরজকুন্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সবকটি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিয়ে এক চিন্তন শিবির আয়োজন করেছেন। দু দিনের এই চিন্তন শিবিরের অন্তিম দিনে অনুষ্ঠানটিতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,পুলিশের জন্য এক দেশ এক ইউনিফর্ম হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, সারা দেশের পুলিশকে এক ও অভিন্ন বোঝাতে একই পোশাক ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তিনি এই সিদ্ধান্ত রাজ্যগুলোর ওপর চাপিয়ে দিতে পারেন না বলে জানিয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    পুলিশ মানুষকে বিপদ থেকে রক্ষা করে। দেশের যে কোনও জায়গার পুলিশকে যাতে সাধারণ মানুষ একবারে চিহ্নিত করতে পারে সেই কারণেই পুলিশের জন্য সারা দেশে এক ইউনিফর্ম হওয়া প্রয়োজন। রাজ্য বোঝায় জন্য কিছু নম্বর বা প্রতীক ইউনিফর্মে থাকতে পারে। তবে তিনি আশাবাদী যে পুলিশের এই ইউনিফর্মটি আগামী ৫,১০ বা ৫০ বছরের মধ্যেই পরিবর্তন হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি আর কোনও একটি রাজ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অপরাধ এখন আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্জাতিকে পরিণত হচ্ছে। প্রযুক্তির সঙ্গে অপরাধীরা এখন সীমানা ছাড়িয়ে অপরাধ করার ক্ষমতা রাখছে। আর এই পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রের সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার একে অপরকে সহযোগিতা করা উচিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে অপরাধীর থেকে দশ ধাপ এগিয়ে থাকতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে।

    [tw]


    [/tw]

    ৪৫ মিনিটের ভাষণে তিনি একাধিক বিষয় তিনি তুলে ধরেন। কখনও তিনি মাওবাদী প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তো কখনও তিনি দেশের যুব সমাজ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, মাওবাদীরা এখন বন্দুকের বদলে হাতে তুলে নিচ্ছেন কলম। যাতে আরও বেশি করে মাওবাদীরা মূলস্রোতে ফিরতে পারেন, সেই দিকে নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি তিনি দেশের যুব সমাজ নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশের যুব সমাজকে ক্রমাগত বিভ্রান্ত করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। যে কোনও মূল্যে তা রোধ করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

    প্রসঙ্গত, সূরজকুণ্ডে এই চিন্তন শিবিরে ৮টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ১৬টি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীরা একত্রিত হয়েছেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে ঘোষিত ভিশন ২০৪৭ এবং পঞ্চ প্রাণ বাস্তবায়নের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করার লক্ষ্যে, এই চিন্তন শিবিরটি গৃহমন্ত্রীর পৌরিহিত্যে এর আয়োজন করা হয়েছিল।এই শিবিরে অনুপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Cash Recovered: ফের উদ্ধার মোটা অঙ্কের টাকা, পুলিশ হেফাজতে ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক

    Cash Recovered: ফের উদ্ধার মোটা অঙ্কের টাকা, পুলিশ হেফাজতে ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার পর এবার হাওড়া (Howrah)। ফের উদ্ধার প্রচুর নগদ টাকা (Cash)। পুলিশের (Police) জালে ভিন রাজ্যের তিন কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক। তাঁদের গাড়ি থেকেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে বান্ডিল বান্ডিল নোট। কার টাকা, নিয়েই বা যাওয়া হচ্ছিল কোথায়, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    শনিবারই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) পার্থ-অর্পিতা ইস্যুতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) নেতৃত্বে পথে নেমেছিল কংগ্রেস। এদিন রাতে তাঁদেরই দলের তিন বিধায়কের কাছ থেকে উদ্ধার হল বিপুল নগদ অর্থ। এ নিয়ে টুইটে সরব বাংলার শাসকদল তৃণমূল। তাদের প্রশ্ন,  ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলা ও ঘোড়া কেনাবেচার গুঞ্জনের মধ্যেই বাংলায় তিন কংগ্রেস বিধায়কের কাছ থেকে বিপুল নগদ উদ্ধার হল। এই টাকার উৎস কি খতিয়ে দেখবে ইডি? স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করবে?  নাকি এই তৎপরতা শুধুমাত্র বাছাই করা কয়েকজনের জন্যই?

    পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে জামতাড়াগামী একটি কালো গাড়িতে করে টাকা পাচার হচ্ছিল বলে সূত্র মারফত খবর পেয়েছিল হাওড়া পুলিশ। সেই সূত্রেই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন পাঁচলার রানিহাটি মোড়ের কাছে তল্লাশি চালায় পাঁচলা ও সাঁকরাইল থানার পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের বিধায়কের স্টিকার লাগানো একটি কালো গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালাতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নোট ভরতি দু’টি কালো ব্যাগ। সেই গাড়িতে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক- রাজেশ কচ্ছপ, নমন বিকসাল এবং ইরফান আনসারি। পুলিশ সূত্রে খবর, চালক-সহ মোট ৫ জন ছিলেন গাড়িতে। এত নগদ কোথায়, কী উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তার স্বপক্ষে কোনও নথি দেখাতে পারেননি তাঁরা। এরপরেই তিন কংগ্রেস বিধায়ককে আটক করা হয়।

    আরও পড়ুন :এসএসসি-দুর্নীতির টাকা পাচার বাংলাদেশে? হাওয়ালা-যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    জানা গিয়েছে, এদিনই দমদম বিমানবন্দরে নেমে সড়কপথে ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। আপাতত পাঁচলা থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই বিধায়কদের। তাঁদের কাছে উদ্ধার হওয়ার টাকার পরিমাণ জানতে আনা হয়েছে চারটি কারেন্সি কাউন্টিং মেশিন। দু’টি ব্যাগে এখনও পর্যন্ত ৪৯ লক্ষ টাকা মিলেছে বলে পুলিশের একটি সূত্রের খবর। হাওড়া জেলার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) স্বাতী ভাঙারিয়া জানান, আমাদের কাছে আগাম খবর ছিল। সেই সূত্র ধরেই কালো গাড়িটি আটক করা হয়। 

    এদিন টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সরব তৃণমূল। গাড়ির ডিকিতে থাকা নোটের বান্ডিলের ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূলের প্রশ্ন, ইডি কি শুধুমাত্র কয়েকজন ব্যক্তির ক্ষেত্রেই তৎপর?  বিষয়টি ইডির নজরে এনে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিকে ঝাড়খণ্ডের বিরোধী দল বিজেপির তরফে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন : এসএসসি-র বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে গোছা গোছা ‘নকল’ নিয়োগপত্র, মাথা কে?

  • NSE Co-Location Case: ইডির জালে এনএসই প্রধান চিত্রা রামকৃষ্ণা , তলব প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকেও

    NSE Co-Location Case: ইডির জালে এনএসই প্রধান চিত্রা রামকৃষ্ণা , তলব প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার প্রাক্তন ন্যাশনেল স্টক এক্সচেঞ্জ সংক্ষেপে এনএসই (NSE) প্রধান চিত্রা রামকৃষ্ণা (Chitra Ramkrishna)। কো-লোকেশন কেলেঙ্কারি (Co Location Scam) মামলায় বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি(ED)। এদিনই তাঁকে তোলা হয় সিবিআই (CBI) আদালতে।

    অনৈতিক উপায়ে এনএসই-র কর্মীদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ রয়েছে চিত্রার বিরুদ্ধে। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এনএসই কর্মীদের ফোনে তিনি আড়ি পেতেছিলেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে এই ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগে নতুন করে মামলা দায়ের করে সিবিআই। নয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, আইসেক সার্ভিসেস নামক সংস্থাকে অনৈতিক উপায়ে এনএসই কর্মীদের ওপর নজরদারি, ফোন ট্যাপিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন চিত্রা।

    আরও পড়ুন : ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগে প্রাক্তন পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে শুরু সিবিআই তদন্ত

    কেবল চিত্রা নন, এই ঘটনায় মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পাণ্ডের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। চিত্রার বিরুদ্ধে আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ রয়েছে। হিমালয়ের এক যোগীকে মেইল পাঠিয়ে এনএসইর পরবর্তী পাঁচ বছরের ফাইনান্সিয়াল প্রোজকশন, ডিভিডেন্ড পে-আউট রেসিও, বিজনেস প্ল্যান, বোর্ড মিটিংয়ের টার্গেট লক্ষ্য সম্পর্কিত পরামর্শ নিতে বলতেন। তাঁর কাছ থেকেও পাল্টা মেইল আসত। মেইলে আসা সেই নির্দেশ মতোই কাজ করতেন চিত্র। মার্চ মাসে চিত্রাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে স্টক মার্কেটের বিপুল পরিমাণ আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। এনএসইর গোপন নানা তথ্যও বাইরে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে চিত্রার বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন : রুজিরা নারুলাকে চেনেন না রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কয়লাপাচার তদন্তে গোলকধাঁধায় সিবিআই-ইডি

    এদিকে, মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পাণ্ডেকে সমন পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এনএসই কো-লোকেশন মামলায় তাঁকেও ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফোনে আড়িপাতার অভিযোগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই দিল্লিতে ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে সঞ্জয়কে। চলতি মাসের ন’ তারিখে একপ্রস্থ জেরা করেছে সিবিআই। এবার তাঁকে মুখোমুখি হতে হবে ইডির। সিবিআইয়ের এক আধিকারিক জানান, সঞ্জয়কে প্রথমে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তিনি নিজেই সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হন। প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের ১৯৮৬ সালের ব্যাচ তিনি। চাকরি থেকে অবসর নেন জুন মাসের ৩০ তারিখে।

     

  • Moosewala Murder: পুলিশের হাতে খতম মুসেওয়ালা খুনের দুই অভিযুক্ত 

    Moosewala Murder: পুলিশের হাতে খতম মুসেওয়ালা খুনের দুই অভিযুক্ত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃতসরে এনকাউন্টারে (Encounter) নিহত সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Noosewala) খুনের দুই অভিযুক্ত। দুই মৃত দুষ্কৃতির নাম জগরূপ রূপা এবং মুন্না কুশা। এই দুজনেই পাঞ্জাবি (Punjab) গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুনের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে দাবি পুলিশের। অমৃতসরেরে কাছে ভাকনা জেলায় বুধবার এনকাউন্টারের ঘটনাটি ঘটে।  

    আরও পড়ুন: মুসেওয়ালাকে খুনের পর বন্দুক নিয়ে উল্লাস খুনিদের, প্রকাশ্যে ভিডিও

    ৫ ঘণ্টার এই গুলির লড়াইয়ে তিনজন পুলিশকর্মী এবং একজন ক্যামেরাম্যানও আহত হয়েছেন। যদিও তাঁদের আঘাত খুব গুরুতর নয় বলে পাঞ্জাব পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। স্থানীয়দেরও বাড়ির বাইরে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ক্ষোভের চাপ! ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা ফেরাল পাঞ্জাবের আপ সরকার

    গত ২৯ মে দুষ্কৃতিদের গুলিতে প্রাণ হারান তরুণ পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা। সেই হত্যার অন্যতম চক্রী লরেন্স বিষ্ণোইকে ইতিমধ্যেই দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টের নির্দেশে গ্রেফতার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, লরেন্স আরও এক সঙ্গীর সঙ্গে পরিকল্পনা করেই সিধুকে হত্যা করেছিল।  

    এনকাউন্টারের পর সিধু মুসেওয়ালা খুনের মামলায় পুলিশের নজর ফের ঘুরেছে বিষ্ণোই গ্যাং – এর দিকে। প্রায় ৭০০ সদস্য রয়েছে তার দলে। বিষ্ণোইসহ ওই গ্যাং- এর অনেকেই দেশের বিভিন্ন জেলে সাজা খাটছে। পুলিশের ধারণা এনকাউন্টারে মৃত দুই দুষ্কৃতিও ওই কুখ্যাত গ্যাং- এরই সদস্য ছিল। 

    মুসেওয়ালা খুনের ঘটনায় এক শার্প শুটারকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বাকিরা অধরাই ছিল। তদন্তে জগরূপ রূপা এবং মুন্না কুশা নামে দুজনের নাম সামনে আসে। এদিন তাদের গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। কিন্তু, তখনই তারা পাল্টা হামলা চালায় পুলিশের ওপর। আত্তারি সীমান্তের কাছে একটি বাড়িতে লুকিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় ওই দুই দুষ্কৃতি৷ টানা পাঁচ ঘণ্টা গুলি চালাচালির পর পুলিশের হাতে খতম হয় মুসেওয়ালা খুনের ওই দুই অভিযুক্ত। ওই স্থান থেকে একে ৪৭, পিস্তলসহ একটি ব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ কর্মীদের মধ্যে একজনের পায়ে, একজনের বুকে এবং একজনের চোখের কাছে গুলি লেগেছে।

    মুসেওয়ালা খুনের পরেই এই দুই দুষ্কৃতি পাঞ্জাব ছেড়ে পালায়। কিছুদিন আগেই তারা রাজস্থান থেকে পাঞ্জাব ফিরে এসেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করে পুলিশ। 

     

LinkedIn
Share