Tag: police

police

  • CBI: সিউড়ি থানার আইসিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জেরা সিবিআইয়ের, কেন জানেন?

    CBI: সিউড়ি থানার আইসিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জেরা সিবিআইয়ের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মঙ্গলবার বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি শেখ মহম্মদ আলিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে সিবিআই (Cbi) ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মূলত কয়লা পাচার করার জন্য তাঁকে নিয়মিত প্রোটেকশন মানি দেওয়া হত বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার মুখেও এই পুলিশ অফিসারের নাম সিবিআই (Cbi) আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। মহম্মদবাজারের অফিসার ইন চার্জ হিসেবে থাকার সময় এই পুলিশ আধিকারিক নিয়মিত প্রোটেকশন মানি নেওয়ার পাশাপাশি  বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যেত। বিনিময়ে পাচারকারীদের   কয়লা পাচার করতে  কোনও সমস্যা হত না। কোনও সমস্যা হলেই মহম্মহ আলি মুশকিল আসান ছিলেন। মহম্মদ আলি থাকলে পাচারকারীদের কাজ করতে কোনও সমস্যা হত না বলে তদন্তকারী অফিসার জানতে পেরেছেন। কারণ, অনেকেই সে কথা তদন্তকারী অফিসারদের কাছে স্বীকার করেছে। এর আগে কয়লা পাচারে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা এবং গরু পাচারে অভিযুক্ত এনামূল হকের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে যে সব নথি পাওয়া গিয়েছে, তাতে রাজ্যে ১০০টি থানার অফিসার ইন চার্জের নাম পাওয়া গিয়েছে। লালার নিতুড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ হাজার পাতার খাতা পাওয়া গিয়েছে, তাতে সব পুলিশ অফিসারের খুঁটিনাটি রয়েছে। প্রোটেকশন মানি হিসেবে কাকে কত টাকা দেওয়া হত তার বিস্তারিত রয়েছে। সিউড়ি থানার আইসির কাছে নিয়মিত টাকার খাম পৌঁচ্ছে যেত। লালার কাছে থেকেই সেই তথ্য তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছে।

    মহম্মদ আলি বীরভূম জেলায় কত বছর আছে জানেন? Cbi

    ২০০৫ সালে বীরভূম জেলায় মহম্মদ আলির পোস্টিং হয়। এরপর নলহাটি, কাঁকড়তলা, খয়ড়াশোল, ইলামবাজার মহম্মদবাজার থানায় তিনি ঘোরাফেরা করেছেন। মূলত যে সব রুট দিয়ে কয়লা পাচার হত, সেই সব থানায় তিনি দায়িত্বে থাকতেন। এক সময় তিনি বাম নেতাদের কাছাকাছি থাকলেও রাজ্যে পালা বদলের পর তিনি শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। মহম্মদবাজার থানায় থাকার সময় তিনি কয়লা পাচারকারীদের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেন। কয়লা পাচারকারীরা তাঁর মাধ্যমেই পুলিশের বিভিন্ন আধিকারিকদের কাছে টাকা পৌঁচ্ছে দিত। শুধু তাই নয়, যে সব থানা দিয়ে কয়লার গাড়ি যেত সেখানকার প্রোটেকশন মানিও তাঁর হাত দিয়ে যেত বলে (Cbi) সিবিআই তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। কারণ, যারা নিয়মিত এই টাকা মহম্মদ আলিকে দিত তারা তদন্তকারী অফিসারের কাছে সে কথা স্বীকার করেছেন। কয়লা পাচারকারীদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার পাশাপাশি শাসক দলের দাপুটে নেতাদের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত ওঠাবসা ছিল। বীরভূমের এক প্রভাবশালী নেতার কাছে তিনি নিয়মিত যেতেন বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। এক সময় প্রায় নিয়মিত সেই নেতার বাড়ি গিয়ে কী করতেন তা তদন্তকারী অফিসাররা জানার চেষ্টা করছেন। সিউড়ি থানার আইসি হিসেবে থাকলেও নলহাটি, মহম্মদবাজারসহ একাধিক থানা তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন। জেলার এক উচ্চ পদস্থ কর্তার সঙ্গে তাঁর এতটাই সখ্যতা ছিল যে জেলার বিভিন্ন থানায় কে কোথায় অফিসার হবেন তা তিনি ঠিক করতেন। তদন্তকারীরা আধিকারিকরা এই সব তথ্য কতটা সত্যি তা যাচাই করে দেখছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Police: মেমারি থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, কেন জানেন?

    Police: মেমারি থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তত বেসুরো হয়ে পড়ছে শাসক দলের বিধায়ক থেকে মন্ত্রী। প্রকাশ্যেই পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। কয়েকদিন আগে বেলঘরিয়ায় প্রকাশ্য জনসভায় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন। পুলিশ (Police)  তৃণমূলের কথা শুনছে না, বিজেপি-সিপিএমের হয়ে কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর বক্তব্য রাখার দুদিনের মধ্যে ফের রাজ্যের এক মন্ত্রী পুলিশকে হুমকি দিলেন। রবিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ঝিকরা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা ছিল। মেমারি ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের বাড়ির কাছেই সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী প্রকাশ্যে পুলিশকে (Police)  হুমকি দেন। এমনকী মেমারি থানা ঘেরাওয়ের তিনি হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, যে বা যারা মন্ত্রীসভার ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে গালমন্দ করে অপদস্ত করছে। আইনের চোখে তারা অপরাধ করছে। পুলিশ (Police)  তাদের গ্রেফতার করে নেবে, আমি বলে রাখছি। পুলিশ (Police)  কি করবে তার ব্যাপার। পুলিশকে বুঝতে হবে কারা অফিসিয়াল দল। আশ আর বাঁশ পাতাকে এক করলে হবে না। পুলিশ (Police)  কি নাবালক নাকি, পুলিশকে সাবালক হতে হবে। এসব ভণ্ডামি আমি শুনবো না। কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সাধারণ মানুষ আমার নেতৃত্বে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে। আমি বুঝে নেব। আমার চিন্তা পুলিশকে (Police)  করতে হবে না। পুলিশকে দক্ষ প্রশাসনের ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা অফিসিয়াল। তিন মাস আগে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশ কিছু জানে না এটা হতে পারে না। আমি এসপিকে তেল লাগাতে যাব না। এসপি আমার গুরুদেব নয়। এখন এসপি, ডিএসপি দেখানো হচ্ছে। এরপর তিনি হুমকির সুরে বলেন, আজ পুলিশকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে গেলাম। পুলিশ যদি ঠিক মতো কাজ না করে মেমারি থানার বড়বাবুকে ঘোরাও করে রাখব। থানা থেকে বের হতে দেব না বলে তিনি হুমকি দেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই পুলিশ মন্ত্রী। তাই, দলের বিধায়ক থেকে মন্ত্রী সকলেই পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাঁরা সরাসরি আঙুল তুলছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পুলিশের বিরুদ্ধে মন্ত্রীর এত ক্ষোভ কেন? Police

    মেমারি-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন মহম্মদ ইসমাইল। পাশাপাশি তিনি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। মাস ছয়েক আগে তাঁকে সরিয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর অনুগামী একজনকে নতুন সভাপতি করা হয়। তিন মাস আগে ব্লক কমিটি গঠিত হয়। সেখানেও মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের ঠাঁই হয়। গত দুমাস ধরে মন্ত্রী নিজের বিধানসভায় সভা করতে গেলেই দলের একাংশ তাঁকে কালো পতাকা দেখাচ্ছে, গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এসবই মহম্মদ ইসমাইল ও তাঁর অনুগামীরা করাচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিশের (Police) কাছে বলার পরও কোনও কাজ হচ্ছে না। দলের অফিসিয়াল ব্লক কমিটিকে পুলিশ (Police) পাত্তা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে, দলের মধ্যে কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এলাকায় নিজের দাপট এবং নতুন কমিটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই পুলিশের (Police)  বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মন্ত্রী বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল বলেন, আমি তো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য করিনি। তিনি আসলে মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তাই এসব বলছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loot: রহড়ায় প্লাস্টিকের কারখানায় লুঠ হওয়া অর্ধেক টাকার হদিশ মেলেনি, মূল দুই অভিযুক্ত পলাতক, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Loot: রহড়ায় প্লাস্টিকের কারখানায় লুঠ হওয়া অর্ধেক টাকার হদিশ মেলেনি, মূল দুই অভিযুক্ত পলাতক, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বড় কোনও ডাকাতির ট্র্যাক রেকর্ড তাদের পুলিশের খাতায় নেই। খুচরো অপরাধের সঙ্গে কামারহাটির ওই যুবকদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এক ট্রিপেই তাদের কেল্লাফতে। রহড়ার ডাঙাদিঘলায় প্লাস্টিকের কারখানায় কামারহাটির কয়েকজন বন্ধু মিলে সেখানে হানা দেয়। কারখানা থেকে ৩৪ লক্ষ লুঠ (Loot) করে পালায় দুষ্কৃতীরা। কয়েকজন বন্ধু মিলে এতবড় ডাকাতি করতে পারে তা পুলিশ ভাবতেও পারেনি। এখন তারাই পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের ঘোল খাইয়ে ছাড়ছে। যদিও লুঠ হওয়া ৩৪ লক্ষের মধ্যে ১৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর এই ডাকাতির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী তিন জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এই তিনজনের মধ্যে দুজন সরাসরি ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভিনরাজ্যে তারা গা ঢাকা দিয়েছে। আর বাকি টাকা অভিযুক্তরা কোথায় রেখেছে তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। এর আগে এই ভাগের টাকা গচ্ছিত করার অভিযোগে মহম্মদ রাজা নামে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ডাকাতির ঘটনায় ৫ জন সরাসরি যুক্ত থাকলেও আরও বেশ কয়েকজন এই চক্রের মধ্যে ছিল। গত দুমাসে কয়েক দফায় ১০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি দুজনের এখনও হদিশ পায়নি পুলিশ। তারা কোথায় রয়েছে তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন,  তদন্তে নেমে আমাদের সামনে বেশ কিছু সূত্র সামনে এসেছে। অর্ধেকের বেশি টাকা আমরা উদ্ধার করেছি। বাকী টাকার খোঁজে আমরা তল্লাশি শুরু করেছি।

    লুঠ করা টাকা নিয়ে কী করেছিল অভিযুক্তরা? Loot

    ডাকাতির ঘটনার পর পরই অভিযুক্তরা নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগ করে নিয়েছিল। ১০ জনকে গ্রেপ্তারের পর প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। লুঠ (Loot) হওয়া  বাকী টাকার হদিশ পুলিশ এখনও পায়নি।  ডাকাতির ঘটনার মূল দুই অভিযুক্ত ডাকাতির অর্ধেক টাকা নিয়ে ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে। ধৃত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও তাদের নাগাল পায়নি পুলিশ। ডাকাতির পর পরই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে, এই ডাকাতির ট্রিপ যে দিয়েছিল, সেই ট্রিপারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর একটি সূত্র থেকে জানতে পেরে মহম্মদ রাজা নামে এক অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। জানা গিয়েছে, ধৃত রাজা সম্পর্কে সনুর ভাই। এই সনু দক্ষিণেশ্বরে একটি হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছিল। পুলিশ হোটেলে হানা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে সে গুলি চালিয়েছিল। তাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হন। সনুকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তবে, এখনও এই ডাকাতির মূল মাস্টার মাইন্ড অধরা রয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় যারা জড়িত ছিল তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি কাঁকিনাড়া। আর বাকী সকলের বাড়ি কামারহাটি এলাকায়।  তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ৫ জানুয়ারি রহড়ার ডাঙাডিহিলায় প্লাস্টিকের কারখানায় ডাকাতির আগেই ডাকাতির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রহড়ার একজনের কাছে ট্রিপ পেয়েছিল। ডাকাতি করার আগে কারখানার খুঁটিনাঁটি সব কিছু জেনে নিয়েছিল সে। এরপরই কামারহাটির বাকী বন্ধুদের সে খবর দেয়। মোটা টাকার লোভে সকলেই মিলে ৫ জানুয়ারি গভীর রাতে কারখানায় হানা দেয়।কারখানার কর্মীদের হাত পা বেঁধে রেখে ৩৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা চম্পট দেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: আইসিডিএসে চাকরি দেওয়ার নাম করে এরকম দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    Scam: আইসিডিএসে চাকরি দেওয়ার নাম করে এরকম দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ টেট, গ্রুপ ডি এবং এসএসসির পর এবার দুর্নীতির(Scam) ছায়া আইসিডিএসে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসাবে চাকরি দেওয়ার নামে বেশ বড় রকমের প্রতারণার অভিযোগ উঠল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। আইসিডিএসের হেল্পার মোসলেমা বেওয়া ও তাঁর মেয়ে পুতুল নশা পারভিন ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক এবং তৃণমূল নেতাদের নাম ভাঙিয়ে মহেন্দ্রপুর গ্রামের জাহেদুল ইসলামের মেয়েকে আইসিডিএস-এ চাকরির টোপ দেন বলে অভিযোগ। কিন্তু, দুবছর হতে চলল এখনও চাকরি পাওয়া তো দূরের কথা, টাকা ফেরত দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেই। সামনেই জাহেদুল ইসলামের মেয়ের বিয়ে। তাই, পাওনা টাকা চাইতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক বচসা হয়। হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ।

    চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে কত টাকা লেনদেন হয়েছিল?

    শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা আছে জেনে জাহেদুল চাকরি পাওয়ার আশা ছিল। ১৫ দিনের মধ্যে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। বিনিময়ে চার লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই মতো জাহেদুল ইসলাম স্ত্রীর গয়না বন্ধক ও জমি বিক্রি করে নগদ চার লক্ষ টাকা তুলে দেন। জাহেদুল ইসলামের অভিযোগ, টাকা নেওয়ার সময় ব্লকের সিডিপিও ও জেলার ঊর্ধ্বতন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাদের ভালো পরিচয় রয়েছে বলে ছিল। ১৫ দিনের মধ্যেই চাকরি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এই রাজ্যে তৃণমূল নেতাদের টাকা দিলেই চাকরি হয়। তাই, চাকরি পাওয়ার আশায় টাকা দিয়েছিলাম কিন্তু, দুবছর হতে চলল চাকরি পাওয়ার কোনও আশা নেই। সামনেই আমার মেয়ের বিয়ে। তাই, ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাদের কাছে গিয়েছিলাম। আমাকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।

     

    যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আইসিডিএস-এর হেল্পার মোসলিমা বেওয়ার মেয়ে পুতুল নেশা পারভিন। তিনি বলেন, ওরা ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছে।চাকরি দেওয়ার নাম করে আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি। আমার কাছে ওরা মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা ধার চাইতে এসেছিল।এর আগেও ওদের টাকা ধার দিয়েছি। এদিন টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার বিরুদ্ধে এই সব মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। কোনও ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যেই প্রতারিত জাহেদুলসাহেব থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Bomb Blast:  বোমা বিস্ফোরণে উড়ল তৃণমূল নেতার বাড়ি, কোথায় দেখে নিন?

    Bomb Blast: বোমা বিস্ফোরণে উড়ল তৃণমূল নেতার বাড়ি, কোথায় দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) উড়ে গেল তৃণমূল নেতার বাড়ি। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাঁড়ুই থানার ভেড়ামারি গ্রামে। তৃণমূল নেতার নাম হাফিজুল শেখ। তিনি তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক দলের নেতার বাড়িতে এরকম বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ শেখ রিন্টু এবং শেখ গোলাম নামে দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। গত চারদিন ধরে এই জেলায় এত পরিমাণ বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায় জেলা জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    তৃণমূল নেতার বাড়িতে কী করে বোমা বিস্ফোরণ হল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতার বাড়ির গোয়াল ঘরে চারটি  ড্রামের মধ্যে বোমা (Bomb Blast) রাখা ছিল। শুক্রবার রাতে সেই বোমা ভরতি ড্রাম কোনওভাবে নীচে পড়ে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। গোয়াল ঘরে থাকা বেশ কয়েকটি ছাগলও মারা যায়। বিস্ফোরণে (Bomb Blast) তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে তৃণমূল নেতার কংক্রিটের বাড়ি একেবারে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাতে আচমকাই বিকট শব্দে গোটা গ্রাম কেঁপে ওঠে। প্রথমে কী হয়েছে তা বুঝতে পারিনি। ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি, হাফিজুলের বাড়়ির একাংশ ভেঙে পড়েছে। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগে থেকে বোমা মজুত ছিল, না বিরোধীরা বোমা রেখে ছিল তা তদন্তসাপেক্ষ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তবে, পুলিশি তদন্তে ওই তৃণমূল কর্মী দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে দলগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বীরভূম জেলায় পাল্লা দিয়ে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১ মার্চ নানুর থানা এলাকায় বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। ২ মার্চও নানুর থানা এলাকা থেকে ৩ ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে ৩ মার্চ সাঁইথিয়ার বাতাসপুর এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। আর ৩ মার্চ রাতে সাঁইথিয়ার পর পাঁড়ুই থানা এলাকায় তৃণমূল নেতার আস্ত একটি বাড়িই কার্যত উড়ে গেল। বিরোধীদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, বোমা বারুদের ভর কেন্দ্র হয়ে উঠছে এই জেলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: মমতা সরকার স্বৈরাচারী! কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মমতা সরকার স্বৈরাচারী! কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বগটুই গণহত্যা, আনিস খান খুন কিংবা পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ইস্যুর মতোই কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার বাইরে বেরিয়ে আন্দোলন জোরদার করার ডাক দিলেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু যা বললেন

    শুভেন্দু বলেন, ‘সম্প্রতি মমতা সরকারের দুর্নীতি, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যে কয়েকজন যুবক সোচ্চার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে কৌস্তভ অন্যতম। তাঁর দ্রুত মুক্তির দাবি করি। পুলিশ যে কায়দায় রাত তিনটের সময় ওঁর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়েছে তার প্রতিবাদ করছি। আমরা সোচ্চার হব।’ একই সঙ্গে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে স্মরণ করাতে চায়, ২০২১ সালে নন্দীগ্রামের জনগণ যখন আমাকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিল, তার পরে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কম্পার্মেন্টাল চিফ মিনিস্টার হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন, এমএলএ হওয়ার জন্য, মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদ বাঁচানোর জন্য৷ তখন এই প্রদেশ কংগ্রেস প্রকাশ্যে প্রার্থী না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন ঘোষণা করেছিল৷ সঠিক সময়ে তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেসকে সেই প্রতিদান ফিরিয়ে দিচ্ছেন!’’

    কেন গ্রেফতার কৌস্তভ

    উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর আত্মহত্যা এবং তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে ‘অনেক কথা’ জানেন, বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জেরেই শুক্রবার পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। সেখানে তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ব্যক্তি আক্রমণ’ করেন বলে অভিযোগ। এরপরই শুক্রবার গভীর রাতে কৌস্তভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে বড়তলা থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    কৌস্তভের পাশে থাকার কথা বললেও এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা কপিল সিব্বল এবং মনু সিংভি যেভাবে প্রতিদিন মমতার সরকারকে সাহায্য করছেন, ঠিক একইভাবে কৌস্তভ বাগচীকেও নিজেদের সহকর্মী হিসেবে তাঁরা সাহায্য করবেন, দ্রুত জামিনের বিষয়ে লড়বেন এটা আমি ওনাদের কাছে আশা করব৷’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • ISF: আইএসএফের তাণ্ডবের জেরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা, বাঁশ নিয়ে তাড়া পুলিশকে  

    ISF: আইএসএফের তাণ্ডবের জেরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা, বাঁশ নিয়ে তাড়া পুলিশকে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএফের (ISF) তাণ্ডবের জেরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা। তৃণমূল (TMC) নেতা আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারির দাবিতে ধর্মতলায় অবরোধ। অবরোধ তুলতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ (Police)। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল এবং বোতল ছোড়েন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। এর পরেই বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল পাঠায় পুলিশ। অশান্তি থামে শনিবার সন্ধের দিকে।

    আইএসএফ…

    ২১ জানুয়ারি, শনিবার আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রাতে ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকায় পতাকা টাঙাচ্ছিলেন আইএসএফ কর্মীরা। এনিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় আইএসএফের। দু পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। তার জেরে জখম হন দু পক্ষের কয়েকজন। ইটের ঘায়ে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে বলে অভিযোগ। সংঘর্ষ চলাকালীন আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় গেলে শান্ত হয় পরিস্থিতি।

    শনিবার দুপুরে কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভেনিউতে সভা করে আইএসএফ (ISF)। বক্তৃতা দেন ভাঙড়ের বিধায়ক নৌসাদ সিদ্দিকি। সভায় আসার আগে তাঁর গাড়িতে তৃণমূলের লোকজন ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে সেখান থেকে বেরিয়ে সভায় আসেন নৌসাদ। সভা শেষে আরাবুলের গ্রেফতারির দাবিতে পথ চৌরঙ্গী মোড়ে অবরোধ করেন আইএসএফের কর্মী-সমর্থকরা। অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করে পুলিশ। তার পরেও কাজ না হওয়ায় অবরোধকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল এবং বোতল বৃষ্টি করতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে আইএসএফ বিধায়ককে প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে। বিক্ষোভকারীরা কার্যত তাণ্ডব চালাতে শুরু করেন। লাঠি, বাঁশ নিয়ে পুলিশকে তাড়া করেন তাঁরা। পুলিশের গার্ড রেল ভাঙচুর করা হয়।

    আরও পড়ুুন: ভাঙড়ে শাসক-আইএসএফ সংঘর্ষ, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর

    পরিস্থিতি সামাল দিতে পদস্থ কর্তাদের নেতৃত্বে আসে পুলিশের বিশাল বাহিনী। তার পরেই ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। পিছু হটেন বিক্ষোভকারীরা (ISF)। তাঁরা চলে যান জওহরলাল নেহরু রোডের দিকে। ঘটনায় জখম হন কয়েকজন। ঘণ্টা দেড়েক ধরে অবরুদ্ধ থাকে ধর্মতলা। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পরিস্থিতি শান্ত হলে ফের শুরু হয় যান চলাচল। যদিও ধর্মতলার চারমাথার মোড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে জুতো, জলের বোতল, ইটপাটকেল, লাঠি, বাঁশ। তাণ্ডবের চিহ্ন হিসেবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত। তা যদি না হত, তাহলে সভা করতে এসে ইটপাটকেল, কাচের বোতল, লাঠি, বাঁশই বা বিক্ষোভকারীরা (ISF) পেলেন কোথা থেকে? পুলিশই বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে আগাম প্রস্তুতি নেয়নি কেন? সে প্রশ্নও উঠেছে।

       

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     
     
     

     

  • Sukanta Majumdar: বোকা বনল পুলিশ! বাবুঘাটেই গঙ্গারতি বিজেপির, আটক রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার

    Sukanta Majumdar: বোকা বনল পুলিশ! বাবুঘাটেই গঙ্গারতি বিজেপির, আটক রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের চোখ এড়িয়ে বাবুঘাটে গঙ্গা আরতি করলেন সুকান্ত মজুমদার। বাজাকদমতলা ঘাটে গঙ্গা আরতি করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু কলকাতা পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। শেষমেশ বাবুঘাটে সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে গঙ্গারতি করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির অন্যান্য কর্মী সমর্থক নেতৃত্বরা। আরতি করার পর সুকান্ত বলেন, “আমি বলেছিলাম পুজো করব, পুজো করেছি। পুলিশ আটকাতে পারেনি। আমারা ধর্মীয় অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছি। সর্বত্র গঙ্গা এক। এখন পুলিশ চাইলেই আমায় গ্রেফতার করুক।”

    গণতন্ত্র চায় না তৃণমূল

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি, নতুন কিছু নয়। এই সরকার গণতন্ত্রকে রাখতে চায় না, তাদের মনোভাবেই স্পষ্ট। তারা চায় এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করতে, যেখানে তৃণমূলই শাসক, তৃণমূলই বিরোধী। নিজেদের মধ্যে মারামারি করবে বোম নিয়ে। এই সরকার যতদিন থাকবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না।” মঙ্গলবার গঙ্গার মঙ্গল চেয়ে গঙ্গা পুজোর অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। পুলিশের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, গঙ্গাসাগর মেলার আবহে বাবুঘাট এলাকায় ইতিমধ্যে পুণ্যার্থীদের একটা বড় অংশ জড়ো হতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবারেও তার অন্যথা হবে না। ফলে তার মাঝে বিজেপির প্রস্তাবিত কর্মসূচি আয়োজিত হলে শহরের রাস্তায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হবে। সেনার তরফে আগেই অনুমতি পেয়েছিল বিজেপি। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয় গঙ্গা চত্বর। বিকেলে নেতাজি ইন্ডোরের সামনে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। বাজা কদমতলায় দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশবাহিনী। সে দিকে না গিয়ে সুকান্ত পায়ে হেঁটে চলে যান বাবুঘাটে। সেখানেই সারলেন গঙ্গা আরতি।

    আরও পড়ুন: বিজেপির গঙ্গা আরতি কর্মসূচি নিয়ে ধুন্ধুমার বাবুঘাট, গ্রেফতার সজল ঘোষ

    এরপর বাবুঘাট থেকে পায়ে হেঁটে বাজা কদমতলার দিকে এগোতে থাকেন সুকান্ত। ততক্ষণে দলের কর্মী-সমর্থকদের একটা অংশকে আটক করে পুলিশ। সুকান্ত তখন সেই প্রিজন ভ্যানের সামনে বসে পড়েন। সেখানে পুলিশের সাথে তর্ক বিতর্ক ধ্বস্তাধ্বস্তির পর সুকান্তকেও আটক করে পুলিশ। তখন বাধা দিতে রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিজেপি কর্মীরা। তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং পুলিশের মধ্যে। এরপর বিজেপি কর্মীদের আটক করা হয়। প্রিজন ভ্যানে করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। সুকান্ত-সহ সবাইকে গ্রেফতার করার পর মঙ্গলবার রাতে লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপ থেকে ছাড়া হয় প্রত্যেককে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘পুলিশ অন্যায়ভাবে আমাদের গঙ্গারতি কর্মসূচি পালনে বাধা দিয়েছে। আমাদের কর্মী সমর্থক এবং আমাকেও চরম হেনস্থা করা হয়। “

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেলা হলে এক পক্ষের হবে না। আর যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে। শুক্রবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে (TMC) এই ভাষায়ই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন ব্যারাকপুরের চিড়িয়া মোড়ে দলীয় সভার আয়োজন করে বিজেপি। এই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সুকান্তই। শাসক দলের পাশাপাশি এদিন পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও।

    খেলা হবে…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘খেলা হবে’ শব্দবন্ধের ব্যাপক প্রয়োগ করে তৃণমূল। দলের তরফে এনিয়ে গানও শোনানো হয় বিভিন্ন জনসভায়। তারস্বরে বাজানো সেই গানের চোটে ঘুম উড়ে যায় রাজ্যবাসীর। তৃণমূলের সেই অস্ত্রকেই এবার হাতিয়ার করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। এদিনের সভায় তৃণমূলকে নিশানা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আপনারা এক পক্ষকে মারছেন। ভাবছেন বিজেপি কর্মীদের হাত-পা নেই। ঝান্ডার গায়ে ডান্ডা নেই। এটা ভাবলে ভুল করছেন। এর পরেই তিনি বলেন, খেলা হলে এক পক্ষের হবে না। দু পক্ষেরই হবে। আর যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আমরা তো ডাকছি, আপনারা দিল্লিতে আসুন। হাডুডু খেলি! কিন্তু কেউ যেতে চাইছে না। ভাইপো বলছে যাব না। পিসিও বলছে যাব না। সুকান্ত বলেন, কিন্তু কেন যাবে না, সেটাই তো বুঝতে পারছি না।

    আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    এদিনের সভায় অনুব্রত অনুষঙ্গও টানেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, এক সময় চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসা খাওয়ানোর কথা বলত, সেই কেষ্টও দিল্লি যেতে চাইছে না। দিল্লিতে গেলে ভাল গুড় বাতাসা, লাড্ডু খাওয়াব। তা সত্ত্বেও দিল্লির লাড্ডু খেতে চাইছে না। এর পরেই সুকান্ত বলেন, তাই সাবধান করছি!গণতন্ত্রকে গণতন্ত্রের মতো চলতে দিন। বিজেপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তার মানে এই নয় যে বিজেপি দুর্বল। সুকান্ত বলেন, তৃণমূল নেতাদের ঠান্ডা করতে জানে বিজেপি কর্মীরা। তার ওষুধও রয়েছে বিজেপির কাছে।

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ডিসেম্বর মাস পড়ে গেছে। সরকার কাঁপছে। যত বড়ই চোর হোক, পার পাবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রয়েছেন, ততক্ষণ কোনও চোর চুরি করে পার পাবে না। সে যত বড় পদেই থাকুক না কেন। পুলিশের উদ্দেশে সুকান্ত বলেন, শাসক দলের তাঁবেদারি করা ছাড়ুন। আগামিদিনে লোকসভায় বিল আসবে। পুলিশের সংবিধান বিরোধী কাজ করা বন্ধ হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TMC Factionalism: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, চলল গুলি, জখম পুলিশ 

    TMC Factionalism: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, চলল গুলি, জখম পুলিশ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Factionalism)। তার জেরে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক পুলিশ (Police) কর্মীও। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বসিরহাটের শাকচূড়া বাজারে। ঘটনার জেরে থমথমে এলাকার পরিস্থিতি। ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অশান্তি এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    নেপথ্য কাহিনি…

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শাকচূড়া বাজারের টাকি রোডের ওপর রয়েছে তৃণমূলের (TMC) একটি পার্টি অফিস। সোমবার রাতে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে তুমুল অশান্তি (TMC Factionalism) হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে চলে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ। পরে শুরু হয় বচসা। কিছুক্ষণ এভাবে চলার পর শুরু হয় দু পক্ষে হাতাহাতি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বসিরহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ওই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। গুলির ঘায়ে জখম হন অনন্তপুর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল প্রভাস সর্দার। গুলি লাগে তাঁর বাম কাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। এর পরেই ছত্রভঙ্গ হয় দুষ্কৃতীরা। জখম ওই পুলিশ কর্মীকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী। রয়েছেন বসিরহাটের পুলিশ সুপার জেবি থমাস কে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলকে সমর্থন করা বাংলাদেশিদের নামই ভোটার লিস্টে রাখুন’’, বিতর্কে বিধায়ক

    গুলি চালানোর ঘটনার পরে পরেই স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ছেলে সহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা সিরাজুল ইসলামকেও। পার্টি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দু রাউন্ড গুলি। তৃণমূল কর্মী কুতুবউদ্দিন গাজি বলেন, আমাদের এক নেতা বাজারে ছিল। আচমকাই সিরাজুলের অফিস থেকে বেশ কিছু জন বেরিয়ে তাঁকে মারধর করে ও বন্দুক দেখায়। আমরা ছুটে গেলে আমাদেরও মারধর করা হয়। তিনি বলেন, পার্টি অফিসে পুলিশ ঢুকতে যাওয়ার সময় গুলির আওয়াজ শোনা যায়। একজন পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম হন। সিরাজুলের ছোট ছেলে বা ভাইয়ের হাতে একটা বন্দুকও দেখা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share