Tag: police

police

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র, পুলিশকে মামলা খারিজের নির্দেশ

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র, পুলিশকে মামলা খারিজের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan) অবশেষে ‘স্বস্তি’ পেলেন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বাঁকুড়ার সোনামুখী থানায় দায়ের করা একটি পুরনো মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চ, দায়ের করা এই মামালকে খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিজেপি অবশ্য একাধিকবার দাবি করেছে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল পুলিশকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক-বিধায়ক-সাংসদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করছে।

    মামলা দায়ের হয়েছিল ২০২৩ সালে (Calcutta High Court)

    জানা গিয়েছে, গত বছর ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার অন্তর্গত মানিক বাজার এলাকায় এক বিক্ষোভ আন্দোলেন ভাষণ দিয়েছিলেন সৌমিত্র (Soumitra Khan)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, এই সভা থেকে থানার সেই সময়ের ওসির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। এরপর এই বিষ্ণুপুর সাংসদের বিরুদ্ধে হিংসা ছাড়ানো, মারধর এবং শ্লীতাহানির অভিযোগে এফএইআর দায়ের করেছিল থানার পুলিশ। সৌমিত্র যেহেতু একজন জনপ্রতিনিধি তাই তাঁর মামলা এতদিন শুনানি চলছিল বিধাননগর সাংসদ-বিধায়ক আদালতে। এই মামলায় একাধিকবার হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। গত ৯ জুলাই ছিল হাজিরার নির্দেশ। কিন্তু হাজিরা না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল পুলিশ। নিম্ন আদালতের নির্দেশের পর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃস্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় অভিযোগ হতেই তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    আগেও মামলা দায়ের হয়েছিল

    এই প্রসঙ্গে বলা যায় ২০১৯ সালে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র এবং বিষ্ণুপুর থানায় সৌমিত্রের বিরুদ্ধে আগেও মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আবার আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময় পুলিশ বেআইনি অস্ত্র মামলা এবং বালি পাচার মামলা রুজু হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এই মামলার কারণে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোটের প্রচারে যেতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে লোকসভা ভোটে জয়ী হয়ে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি পেয়ছিলেন। তবে সৌমিত্র পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একই ভাবে শাসক দল তৃণমূলকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madhya Pradesh: ছাত্রদের সংস্কৃত ‘শ্লোক’ পাঠে বাধা! প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

    Madhya Pradesh: ছাত্রদের সংস্কৃত ‘শ্লোক’ পাঠে বাধা! প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংস্কৃত নয়, পড়ুয়াদের বলতে হবে ইংরেজি। এমনটাই চেয়েছিলেন প্রধান শিক্ষিকা। কিন্তু এই আচরণ মোটেও ভালোভাবে নেননি হিন্দুরা। স্কুলের সামনে প্রতিবাদ শুরু করেন তাঁরা। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) গুনা জেলার জনপ্রিয় এক কনভেন্ট স্কুলেই এমন কাণ্ড ঘটেছে। ঘটনার পরেই হিন্দুত্ববাদীদের রোষের মুখে পড়েছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (FIR Against Principal)  

    জানা গিয়েছে, গত ১৫ জুলাই মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এই স্কুলের প্রার্থনায় ইংরেজির বদলে সংস্কৃতে শ্লোক পাঠ করছিল এক পড়ুয়া। ঠিক সেই সময় তাঁকে থামিয়ে ইংরেজিতে বলার নির্দেশ দেন কনভেন্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। আসলে অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও স্কুল শুরুর আগে প্রার্থনার জন্য জড়ো হন সকলে। দুজন পড়ুয়ার দায়িত্ব ছিল প্রার্থনা শুরুর আগে বক্তৃতা রাখার। আর সেখানেই এক পড়ুয়া গীতার শ্লোক আওড়াতে শুরু করেন। ইংরেজির বদলে সংস্কৃত শুনেই ওই পড়ুয়াকে থামার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষিকা। সবার সামনে তাঁর মাইক কেড়ে নিয়ে বলেন, এখানে স্রেফ ইংরেজি বলার নিয়ম রয়েছে। এমনকি ওই পড়ুয়াকে ঠিকমতো ইংরেজি স্পিচ শিখে আসার নির্দেশও দেন। 

    আরও পড়ুন: বক্স অফিসে নয়া রেকর্ড! ২৮ দিনে ১ হাজার ১০০ কোটি ছুঁল প্রভাসের ‘কল্কি’

    প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর (Madhya Pradesh) 

    আর এরপরেই ওই শিক্ষিকার এই আচরণের খবরে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয় হিন্দুবাদী সংগঠন এভিবিপির (Akhil Bharatiya Vidyarthi Parishad-ABVP) সদস্যরা। এইভাবে সংস্কৃতে গীতাপাঠ থামিয়ে দেওয়ার কথা জানতে পেরে দীর্ঘক্ষণ গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখান সংগঠনের সদস্যরা। এমনকি জোর করে স্কুলের ভিতরেও ঢুকে পড়েন কেউ কেউ। প্রধান শিক্ষিকাকে সবার সামনে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলেন সংগঠনের সদস্যরা। নিয়মের বদল না হলে, স্কুল বন্ধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। এরপর প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ (FIR Against Principal) দায়ের করেছেন ওই হিন্দুত্ববাদীরা।

    যদিও এ প্রসঙ্গে শিক্ষিকা জানিয়েছেন, স্কুলে সপ্তাহের এক এক দিনে এক একটি ভাষায় বক্তৃতা রাখার নিয়ম। কোনওদিন হিন্দি আবার কোনওদিন ইংরেজিতে বক্তব্য রাখতে হয় পড়ুয়াদের। তার জন্য নির্দিষ্টভাবে বেছে নেওয়া হয় কয়েকজনকে। বক্ততৃতায় কোনও ধর্মগ্রন্থের উদ্ধৃতি নেওয়া যাবে না, এমন নিয়মও নেই। বরং প্রার্থনার সময় গীতা, কোরান, কিংবা বাইবেলের অংশও পাঠ করতে পারেন পড়ুয়ারা। শুধু খেয়াল রাখতে হবে কোনদিন কোন ভাষায় প্রার্থনার নিয়ম। ঘটনার দিন ইংরেজির কথা বলার দায়িত্ব ছিল ওই পড়ুয়ার। তার বদলে সংস্কৃত পাঠ শুরু করায় তাঁকে থামিয়ে দেন প্রধান শিক্ষিকা। একইসঙ্গে তিনি জানান, একটুও বকাবকি না করে সেদিন ওই পড়ুয়াকে ইংরেজিতে বক্তৃতা রাখার কথা বলেছিলেন তিনি। তবে পড়ুয়ার প্রস্তুতি না থাকায়, সময় দিয়ে প্রস্তুত হয়ে আসতে বলেন। তবে সেই ঘটনা যে এমন আকার নিতে পারে, তা ধারণা করতে পারেননি প্রধান শিক্ষিকা। 
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে রানাঘাটে জোড়া খুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Ranaghat: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে রানাঘাটে জোড়া খুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানাঘাটে প্রকাশ্যে সোনার দোকানে ডাকাতির পর এবার (Ranaghat) ভরসন্ধ্যায় জোড়া খুন (Murder)। এই ঘটনায় রানাঘাটের আনুলিয়া মনসাতলা এলাকা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম রূপক দাস (৩৮) এবং সুমন চক্রবর্তী (৪০)। সুমনবাবু পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর গাড়ির চালক ছিলেন রূপক। দুজনের বাড়ি রানাঘাট পুরসভা এলাকায়। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের লোকজন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ranaghat)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমনবাবুর কাছে বৃহস্পতিবার ফোন এসেছিল। সেই ফোন পেয়েই রূপকবাবুকে নিয়ে বাইকে করে ওই ব্যবসায়ী বেরিয়েছিলেন। তবে, তিনি কোথায় যাচ্ছেন তা বাড়িতে বলে যাননি। আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ পরিবারের লোকজন খবর পান, নির্মীয়মাণ বাড়িতে তাঁদের ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে রয়েছে। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি তাঁদের দুজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের প্রাথমিক অনুমান, চক্রান্ত করে ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর গাড়ির চালককে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তবে, এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে দিল নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও এখনও উত্তপ্ত রানাঘাট। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে রানাঘাট থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

    নিহত ব্যবসায়ীর আত্মীয় কী বললেন?

    নিহত ব্যবসায়ীর আত্মীয় মেঘনাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুমন পেশায় ব্যবসায়ী ছিল। তার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল বলে আমার জানা নেই। পরিবারের কাছে এই ধরনের আশঙ্কার কথাও ও বলেছে বলে আমার জানা নেই। এদিন সন্ধ্যায় আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে আসি। যেটুকু জেনেছি, কোনও ফোন পেয়ে সুমন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। সঙ্গে গাড়ির চালক ছিল। দুজনকে এভাবে কুপিয়ে খুন (Murder) করা হবে তা ভাবতে পারছি না। পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। ফলে, এই ঘটনার পর আমরাও আতঙ্কিত। আমাদের দাবি অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Potato Traders Strike: রাজ্যজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট আলু ব্যবসায়ীদের, দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা!

    Potato Traders Strike: রাজ্যজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট আলু ব্যবসায়ীদের, দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই আলুর যা দাম তাতে নাভিশ্বাস অবস্থা রাজ্যবাসীর। গত কয়েকদিন ধরে আলুর দাম বেড়েই চলেছে। এই আবহের মধ্যে এবার সোমবার থেকে রাজ্য জুড়ে ব্যবসা বনধের (Potato Traders Strike) ডাক দিলেন আলু ব্যবসায়ীরা। পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য কমিটি ও পশ্চিমবঙ্গ হিমঘর অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২২ জুলাই সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আলু ব্যবসায় ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (Potato Traders Strike)

    পশ্চিমবঙ্গ হিমঘর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিদ্যুৎ প্রতিহার বলেন, শনিবার রাত থেকে আলু হিমঘর থেকে বের করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনও আলু ইতিমধ্যেই হিমঘর থেকে বের হতে থাকে, অথচ লোড করা হয়নি তা রবিবারের মধ্যে লোড করে বেরিয়ে যেতে হবে। সোমবার থেকে গাড়িতে কোনও আলু লোড করাও যাবে না। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য উপদেষ্টা বিভাস দে বলেন, আলুবোঝাই গাড়ি অন্য রাজ্যে যেতে দিচ্ছে না প্রশাসন। রাজ্যের বিভিন্ন সীমানায় আটকে রয়েছে গাড়ি। সরকারিভাবে কেউ দায় স্বীকার করছে না। এর প্রতিবাদে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ২২ জুলাই থেকে এই আলু ধর্মঘট (Potato Traders Strike) ডাকা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলা রেখেই আমরা ধর্মঘট করব।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    আলুর দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা

    ধর্মঘটের কারণে আলুর দাম (Potato Price) নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনিতেই অন্যান্য সবজির দাম বেড়ে গিয়েছে এক লাফে অনেকটাই। এমনকী রাজ্য সরকার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনকে টাস্ক ফোর্স নামিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও দাম খুব একটা নামেনি। আলু ব্যবসায়ী সমিতির এই সিদ্ধান্তের জেরে ফের বাজারে আলুর জোগানে ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে ফের আলুর দাম (Potato Price) বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি খোলা বাজারে আলুর দাম কমানোর জন্যও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। তার জেরেই কি আলু ব্যবসায়ীদের এই পদক্ষেপ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: পুলিশকে মেরে ফিল্মি কায়দায় যুবতীকে ছিনিয়ে নিল পরিবার, শোরগোল

    Balurghat: পুলিশকে মেরে ফিল্মি কায়দায় যুবতীকে ছিনিয়ে নিল পরিবার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে তোলার আগে হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে নিয়ে আসা এক যুবতীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। সিনেমার দৃশ্যের মতো এমন ঘটনা ঘটল বালুরঘাটে (Balurghat)। যা নিয়ে তোলপাড়় শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে ওই যুবতীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল তপন থানার (Balurghat) পুলিশ। মেডিক্যাল পরীক্ষার পর হাসপাতাল থেকে যুবতীকে নিয়ে বের হয় পুলিশ। সেই সময় চারটি ছোট গাড়ি করে একদল দুষ্কৃতী এসে ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে এক পুলিশ অফিসার ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা, ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের ধরতে দক্ষিণ দিনাজপুরের সমস্ত থানার মাধ্যমে জেলাজুড়ে নাকাবন্দি করা হয়েছে। যদিও রাত পর্যন্ত দুষ্কৃতী ও যুবতীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: ইউরোপের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয়, ভারতীয় হিসেবে নজির গড়লেন হুগলির শুভম

    যুবতীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ছিল?

    জানা গিয়েছে, মাস দেড়-দুয়েক আগে ওই যুবতী এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যান। এনিয়ে নিয়ে যুবতীর পরিবার তপন থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। সেই মামলায় ওই যুবক-যুবতী থানায় আত্মসমর্পণ করেন। তপন থানার পুলিশ ওই যুবতীকে এদিন জেলা আদালতে তোলার আগে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মেডিক্যাল চেকআপ করাতে নিয়ে যায়। পরীক্ষার পর হাসপাতাল থেকে বের হতেই একদল দুষ্কৃতী পুলিশকে মারধর করে ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে যায়। ওই যুবতীকে তাঁর পরিবারের সদস্যরাই পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, পুলিশ (Police) এক আসামীকে মেডিক্যাল করাতে নিয়ে আসে। মেডিক্যাল করার পর যখন বাইরে আসে তখন পুলিশের ভ্যান থেকে কয়েকজন এসে সেই আসামীকে নিয়ে যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    Asansol: যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্লু ফ্যাক্টারি সংলগ্ন এলাকায় যুবক-যুবতীকে দেখে ছেলেধরা সন্দেহে গুজব ছড়ায় আসানসোল (Asansol) উত্তর থানা এলাকায়। কিন্তু ঘটনায় পুলিশকে খবর দিলেও দীর্ঘক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর জনগণের রোষ গিয়ে পড়ে পুলিশের উপর। পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা করে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    কেন পুলিশের উপর হামলা (Asansol)?

    স্থানীয় (Asansol) সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও অনেক দেরি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এরপর উত্তেজিত গ্রামবাসী পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিশের পাঁচটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। সেই সঙ্গে চলে ইট বর্ষণ। ইটের আঘাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ার এবং কয়েকজন পুলিশ কর্মী দারুণ ভাবে আঘাত পান। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে বিরাট সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। কিন্তু ওই যুবক-যুবতীর কোনও আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, এলাকায় গুজব ছড়ানো হয়েছিল। দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতি মধ্যে বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ “শুকুনের দৃষ্টি মমতার আমাদের ওপর পড়েছে”, বুক চাপড়ে আর্তনাত এক হকারের

    গুজব ছড়িয়ে মারধরে উত্তাল রাজ্য

    গুজব ছড়িয়ে মারধরের ঘটনায় রাজ্যে সম্প্রতি ব্যাপক ভাবে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এমন ঘটনা প্রায় প্রত্যেকে দিন জেলা থেকে উঠে আসছে। প্রশাসন এই বিষয়ে ভীষণ ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কোথাও চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারা হচ্ছে, আবার কোথাও ছেলে ধরার গুজব ছড়িয়ে মারা হচ্ছে। সম্প্রতি চোপড়ায় এক প্রাতপশালী তৃণমূল নেতা, রাস্তায় ফেলে কঞ্চি দিয়ে তরুণ-তরুণীকে বেধড়ক মারধর করেছেন। সেই ঘটনা সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। আবার চোর সন্দেহে, বউবাজার, সল্টলেক, পাণ্ডয়া, জামবনি, তারকেশ্বরে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। কোথাও টাকা চুরি, কোথাও গাড়ি চুরি আবার কোথাও মোবাইল চুরির ঘটনার কথা উঠে এসেছিল। ফের একবার গুজেব শোরগোল পড়েছে আসানসোলে (Asansol)।

    আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ গণপিটুনির ঘটনায় ন্যায় সংহিতার ব্যাখ্যায় বলেছেন, “জাতি, সম্প্রদায়, লিঙ্গ, জন্মস্থান, ভাষা ও অন্যান্য যেসব কারণে মারধরের ঘটনা ঘটে, তাতে ৭ বছরের জেল থেকে শুরু করে মৃত্যুদণ্ডের সাজা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা যুক্ত করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: বর্ধমানে চোর সন্দেহে গণ-পিটুনি! পুলিশের গায়ে হাত তুললেন উত্তেজিত জনতা

    Burdwan: বর্ধমানে চোর সন্দেহে গণ-পিটুনি! পুলিশের গায়ে হাত তুললেন উত্তেজিত জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই ছেলে ধরা সন্দেহে গণ-পিটুনির অভিযোগ উঠছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। একাধিক জায়গায় গণ-পিটুনির জেরে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। ছেলে ধরার জের কাটতে না কাটতেই এবার চোর সন্দেহে আটকে মারধরের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) দেওয়ানদিঘি এলাকায়। আর পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশও।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে আলমপুরে (Burdwan) চারজনকে ঘিরে চোর সন্দেহে মারধর করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এলাকায় কয়েকদিন ধরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন ওই ব্যক্তিরা। প্লাস্টিকের জিনিস বিক্রি করতেন তাঁরা। মূলত মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সকলে। তাঁদেরকে চোর সন্দেহ করে এলাকার লোকজন বেধড়ক পেটান। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের ওপরও চড়াও হন গ্রামের লোকজন। হেনস্থার শিকার হন পুলিশ কর্মীরা। গ্রামের লোকজনের বক্তব্য, এলাকায় এসে তাঁরা চুরির ছক কষছিলেন। আমাদের আশঙ্কা, পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেবে। সেটা চলবে না। এটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয়। জানা গিয়েছে, চারজনকে উদ্ধারে বাধা দেন এলাকাবাসী। পরে, বিশাল বাহিনী গিয়ে পুলিশ কর্মীর পাশাপাশি চারজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশ (Police) সুপার (Burdwan) আমন দীপ বলেন, “আমাদের কাছে খবর আসে চোর সন্দেহে গ্রামে চারজনকে মারধর করা হয়েছে। এরপরই পুলিশের দু’টো গাড়ি পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পুলিশ (Police) সেখানে গিয়ে চারজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। সেই সময় পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। ফলে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের ডিএসপির নেতৃত্বে একটা টিম সেখানে ফের যায়। বড় বাহিনী পাঠানো হয়। পুলিশের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে আমরা মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমরা হেফাজতে নিতে চাই তাদের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dholahat Death Case: জামিন পাইয়ে দিতেও ঘুষ চেয়েছিল পুলিশ! ঢোলাহাটকাণ্ডে অভিযোগ মৃতের পরিবারের

    Dholahat Death Case: জামিন পাইয়ে দিতেও ঘুষ চেয়েছিল পুলিশ! ঢোলাহাটকাণ্ডে অভিযোগ মৃতের পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক ঘটনায় মুখ পুড়ছে রাজ্য পুলিশ- প্রশাসনের। ঢোলাহাটে যুবকের মৃত্যু (Dholahat Death Case) ঘিরে এমনিতেই অভিযোগের আঙুল পুলিশের দিকে। এ বার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলাকালীন (Calcutta HighCourt) ‘জামিন পাইয়ে দেওয়ার শর্ত’ হিসেবেও পুলিশের বিরুদ্ধে পৌনে দু’লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করল মৃত যুবকের পরিবার। 

    আগে কী ঘটেছিল? (Dholahat Death Case)   

    ঘটনার সূত্রপাত গত ৩০ জুন। ওইদিন ঢোলাহাটের ঘাটমুকুলতলা এলাকায় একটি চুরির ঘটনা ঘটে। এরপর আবু সিদ্দিক হালদার (২২) নামে এক যুবককে চোর সন্দেহে থানায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে মথুরাপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসকরা সাড়া না দেওয়ায়, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্কসার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে। আর সেখানেই গত সোমবার রাতে মৃত্যু হয় যুবকের। এরপরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    ঠিক কী অভিযোগ মৃতের পরিবারের? 

    মৃতের পরিবারের দাবি, ঢোলাহাট থানার আইসি ওই যুবককে জামিন পাইয়ে দেওয়ার জন্য পৌনে দু’লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। থানায় আবুকে বেদম মারধরের পাশাপাশি বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়েছিল বলেও তাদের অভিযোগ। পরিবারের তরফে আরও জানানো হয়, ৪ জুলাই জামিন পাওয়ার পরে আবুর শরীরে আঘাতের দাগ ছিল। বাড়ি ফেরার পর তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। একাধিক হাসপাতাল ঘুরে শেষে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে মারা যান (Dholahat Death Case) আবু।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে ভারতীয় পরিচারিকার শ্লীলতাহানির চেষ্টায় অভিযুক্ত পাকিস্তানি কুক 

    পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ 

    এ দিন কোর্টে (Calcutta HighCourt) পুলিশের বিরুদ্ধে মৃত্যুর ঘটনা (Dholahat Death Case) আড়াল করার অভিযোগও করেছেন আবুর পরিবারের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ আবুর দেহের ময়নাতদন্তের কথা পরিবারকে জানায়নি। ডাক্তারের রিপোর্টও দেওয়া হয়নি। কেন এই ‘অতি সক্রিয়তা’, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও এ প্রসঙ্গে রাজ্যের দাবি, জন্ডিস এবং রক্তে ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিনের উচ্চমাত্রাই ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে বিপাকে পুলিশ! শোরগোল

    Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে বিপাকে পুলিশ! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি খাস জমিতে রেস্তোরাঁ বানানোর অভিযোগে বিজেপির এক নেতাকে গ্রেফতার করে বিপাকে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে জলপাইগু়ড়ির (Jalpaiguri) গজলডোবার ভোরের আলো থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ উঠেছিল, সরকারি খাসজমি দখল করে রেস্তোরাঁ বানিয়েছেন ওই বিজেপি (BJP) নেতা। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের নির্দেশে উত্তম রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়। যদিও শুক্রবার উত্তম রায়কে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলার পর সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কাগজ বদলে জমি দখল করার অভিযোগে উত্তম রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তম রায় রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদরি উত্তর মণ্ডলের প্রাক্তন সম্পাদক। তাঁর স্ত্রী মায়ারানি রায় বিজেপির মহিলা মোর্চার জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদিকা।

     গ্রেফতারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (Jalpaiguri)

    রাজগঞ্জ ব্লক (Jalpaiguri) ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতেরে আধিকারিক সুখেন রায় বলেন, এই জমি আমরা পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলেছিলাম। সরকারি নথিতে এই জমির আরও একজনের নাম মালিকানায় দেখা যাচ্ছে। কার জমি সেটা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল। আমরা পুলিশ গ্রেফতার করতে বলিনি। 

    রেস্তোরাঁ ভাঙতে এসেও কেন ফিরে গেল প্রশাসন?

    শুক্রবার সকালে রাজগঞ্জের (Jalpaiguri) বিডিও প্রশান্ত বর্মন, ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক সুখেন রায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে উত্তম রায়ের রেস্তোরাঁ ভেঙে জমি দখলে নিতে যান। সেই সময় উত্তম রায়ের ছেলে তাপস রায় বিডিওর হাতে তাঁদের জমির পাট্টা ও অন্যান্য নথিপত্র তুলে দেন। যা  দেখার পর রেস্তোরাঁ না ভেঙে বিডিও দলবল নিয়ে সেখান থেকে ফিরে যান।

    কী বলছেন বিজেপি নেতা ও তাঁর স্ত্রী?

    মায়ারানি রায় ও উত্তম রায় শুক্রবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) আদালতের চত্বরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ৩৫ বছর ধরে এই জমিতে বসবাস করছি। জমির পাট্টা রয়েছে। সেই কাগজ দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছি। রান্নার গ্যাসের কমার্শিয়াল লাইন নিয়েছি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বিনা দোষে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসলে ভূমি দফতর বিষয়টি পুলিশকে দেখার কথা বলেছে। আর আমি বিজেপি করি। তাই, পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে তৃণমূলের কতটা দলদাস তা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, তাহলে শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মাকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তিনি সরকারি জমি দখল করে পুকুর,  বাগানবাড়ি বানিয়েছিলেন। তা ভেঙে দিয়ে পুলিশ প্রশাসন জমি উদ্ধার করে সরকারের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। আমরা এই অন্যায়ের সুবিচার চায়।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বলছে বিজেপি?

    ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ির বিধায়ক বিজেপির (BJP) শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, উত্তম রায়কে বিনা দোষে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা যতদূর যাওয়া যাবে। গজলডোবায়, শিলিগুড়ি পুরসভার একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর, অনেক বড় বড় নেতা সরকারি জমি দখল করে আছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে পুলিশ কেন তাদের গ্রেফতার করে সেই সব জমি উদ্ধার করছে না?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hathras Stampede: বিলাসবহুল আশ্রমে প্রাইভেট রুম-ক্যাফে! কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক ভোলে বাবা

    Hathras Stampede: বিলাসবহুল আশ্রমে প্রাইভেট রুম-ক্যাফে! কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক ভোলে বাবা

    নিউজ ডেস্ক: হাথরসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার (Hathras Stampede) পর থেকেই বেপাত্তা স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা। তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও পুলিশ ভোলে বাবা এবং অনু্ষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। সেই তদন্তের প্রেক্ষিতেই ভোলে বাবার বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেইসব নথি ও তথ্য দেখেই চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের। সম্প্রতি হাথরসের সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যুর পর ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ হরি সরকার ওরফে সুরজ পালের নামে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। আর তদন্তের মধ্যেই এবার মিলল তাঁর বিপুল সম্পত্তির (Bhole Baba assets) হদিশ। 

    কত টাকার মালিক ভোলে বাবা? (Hathras Stampede) 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বাজেয়াপ্ত হওয়া নথিগুলি থেকে প্রমাণ মিলেছে, ভোলে বাবা বিপুল সম্পত্তির (Bhole Baba assets) অধিকারী। উত্তর প্রদেশের মইনপুরীতে তাঁর একটি ১৩ একরের পাঁচতারা আশ্রম রয়েছে। যার বাজারদর বর্তমানে ৪ কোটি টাকা। যে আশ্রমের খোঁজ পুলিশ পেয়েছে তাতে অন্তত ১৫-২০টি ঘর রয়েছে। তার মধ্যে ৬টি ঘর শুধুমাত্র ভোলে বাবার নিজস্ব কাজের জন্য ছিল। বাকি ৬-৭টি ঘর বরাদ্দ ছিল আশ্রমের কমিটির সদস্য এবং ভলেন্টিয়ারদের জন্য। ভোলে বাবার লাক্সারি লাইফ এখানেই শেষ হচ্ছে না। এই আশ্রমে আসার জন্য একটি প্রাইভেট রাস্তাও ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পাশাপাশি এলাহি এক ক্যাফিটেরিয়াও রয়েছে আশ্রমে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, এমন আরও একাধিক সম্পত্তি দেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ভোলে বাবার নামে। তাদের দাম অন্তত কোটি টাকার কাছাকাছি। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানায়, ‘ভোলে বাবা রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ২৪টি আশ্রমের তত্ত্বাবধান করেন। যদিও তাঁর মূল বাসস্থান মইনপুরীর এই আশ্রমই।’
    হাথরাসের ঘটনা (Hathras Stampede) নিয়ে ইতিমধ্যে দেশের রাজনৈতিক মহল আন্দোলিত। ওই ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই হলেন শিশু এবং মহিলা। ইতিমধ্যেই কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে? তা নিয়ে উঠে আসছে নানান তত্ত্ব। কীভাবে একজন স্বঘোষিত ধর্মগুরু এমন অনু্ষ্ঠান করার অনুমতি পেলেন, কেন আগে থেকে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, সেই প্রশ্ন উঠছে বারবার।

    আরও পড়ুন: সাঁওতাল মেয়েদের ধর্মান্তরণ! অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়ানোর নির্দেশ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের

    যৌন হেনস্তার অভিযোগও রয়েছে ভোলে বাবার বিরুদ্ধে

    যদিও শুরু থেকেই সাধু ছিলেন না সুরজ পাল। তাঁর দাবি, একটা সময় পর্যন্ত তিনি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে চাকরি করতেন। ধর্মীয় উপদেশ দেওয়ার জন্য তিনি নাকি চাকরি ছেড়ে দেন। ভোলে বাবার বিরুদ্ধে এর আগে যৌন হেনস্তার অভিযোগও উঠেছিল। কিন্তু তখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি তাঁর বিরুদ্ধে। এখন হাথরাসের এই ঘটনার (Hathras Stampede) পর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পুরনো মামলাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share