Tag: police

police

  • Raiganj: বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে পুলিশ, রায়গঞ্জ থানায় অবস্থানে দলের বিধায়করা

    Raiganj: বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে পুলিশ, রায়গঞ্জ থানায় অবস্থানে দলের বিধায়করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রায়গঞ্জ উপ-নির্বাচনে সব রাজনৈতক দলের প্রচার এখন তুঙ্গে। এরই মাঝে এবার বিজেপি কর্মীদের ওপর পুলিশি অত্যাচার ও হুমকির বিষয়টি সামনে এসেছে। আর এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় কর্মীদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে শুক্রবার রায়গঞ্জ (Raiganj) থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন বিজেপি বিধায়করা। ভোটের আগে পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপির এই আন্দোলন নিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলাজু়ড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক? (Raiganj)

    শুক্রবার রায়গঞ্জ (Raiganj) থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, গাজোলের বিধায়ক চিন্ময় দেববর্মন, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন, হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মু, গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন রায়, ওল্ড মালদার বিধায়ক গোপাল সাহাসহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, উপ-নির্বাচনে জেতার জন্য তৃণমূল তাদের শাখা সংগঠন পুলিশকে কাজে লাগিয়েছে। আর পুলিশ রাতের অন্ধকারে আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের তুলে নিয়ে আসছে। কাউকে ভয় দেখাচ্ছে, কাউকে নানা ধরনের টোপ দিচ্ছে। পুলিশ রাজনৈতিক দলের মতো কাজ করছে। আমরা কোনওভাবেই তা মেনে নেব না। কারণ, এই এলাকার মানুষ বিজেপির পক্ষে রয়েছে। ফলে,শত চেষ্টা করেও কোনও লাভ হবে না। পুলিশের এই জুলুমবাজির বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন। আমরা এদিন শান্তিপূর্ণ অবস্থান করে পুলিশকে বার্তা দিয়ে গেলাম। আগামীদিনে এর বিরুদ্ধে বৃহত্তরও আন্দোলন হবে।

    আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    শুভেন্দুর নির্দেশে অবস্থান-বিক্ষোভ

    বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ (Raiganj) বিধানসভা উপ-নির্বাচনের বিজেপি (BJP) প্রার্থী মানস কুমার ঘোষের সমর্থনে জনসভায় যোগ দিতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা মঞ্চ থেকেই দলীয় (BJP) কর্মীদের ওপরে অত্যাচার ও নানাভাবে ভয় দেখানোর অভিযোগ তোলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে বিধায়কদের থানা ঘেরাও ও অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে যান তিনি। শুভেন্দুর নির্দেশ মেনে এদিন রায়গঞ্জ থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি বিধায়কেরা। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে এই অবস্থান বিক্ষোভ চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: চোপড়াকাণ্ডের ছায়া যেন শিলিগুড়িতেও! সালিশি সভায় মারধরের পর আত্মঘাতী গৃহবধূ

    Siliguri: চোপড়াকাণ্ডের ছায়া যেন শিলিগুড়িতেও! সালিশি সভায় মারধরের পর আত্মঘাতী গৃহবধূ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতেও (Siliguri) যেন চোপড়া কাণ্ডের ছায়া! বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে বসেছিল সালিশি সভা। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে ডেকে এনে বেধড়ক মারধর করা হয়। কিন্তু এই সালিশি সভায় অত্যাচারের পরই ঘর থেকে উদ্ধার হয় মহিলার দেহ। অপামানে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এলাকার মহিলারা নির্যাতন করেছে বলে স্বামীর অভিযোগ। ইতিমধ্যে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি ১ নম্বর অঞ্চলের বকরাভিটা এলাকায়।

    যাচ্ছেতাইভাবে মারধর করা হয়েছে (Siliguri)!

    মৃত মহিলার (Housewife) স্বামী, বাড়ির পাশের কয়েকজন মহিলা সম্পর্কে অভিযোগ করে বলেছেন, “আমাকে স্বপ্না এবং টুম্পা বলেছিল, তুই বউকে সঙ্গে করে নিয়ে আয়, আমরা একটু সাবধান করে দেবো। এরপর আমি শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে আসি। তারপরই আমাকে ভয় দেখিয়ে ওরা বলে, বউকে ঘরে তুললে তোকে শেষ করে দেব, বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেবো। এরপর যাচ্ছেতাইভাবে মারধর করেছে আমার স্ত্রীকে। সেই সঙ্গে আমাকেও মারধর করেছে ওরা। এরপর আমি এনজেপি (Siliguri) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”

    পুলিশ সূত্রে খবর

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বকরাভিটে গ্রামের নিগৃহীত মহিলার সঙ্গে পাশের গ্রামেরই এক যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। কয়েকদিন আগে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এদিকে পরিবারের তরফ থেকে থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও খবর দিতে পারেনি। পরে জানা গিয়েছে ৮ দিন পর স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন মহিলা। স্বামীও তাঁকে ফিরিয়ে নেন। এরপর এলাকার মানুষ সালিশি সভা বসায়। এই সভায় মারধর করা হয়েছে ওই মহিলাকে। ঠিক তারপরই বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন মহিলা।

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যে একেরপর এক গণপিটুনির ঘটনার মাঝেই ডাইনি অপবাদে বধূকে মারধর!

    মহিলারা দু’-তিনটি চড়-থাপ্পড় মেরেছে (Siliguri)

    স্থানীয় (Siliguri) তৃণমূল নেতা শম্ভু রায় বলেছেন, “অতীতেও মহিলা (Housewife) অন্য আরও এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর আবার ফিরে এসেছিলেন। বারবার এই ঘটনা ঘটায় আশেপাশের মহিলারা দু’-তিনটি চড়-থাপ্পড় মেরেছে। সে দিতেই পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তাকে খুনের হুমকি! পুলিশকে জানিয়েও হচ্ছেনা লাভ! চাঞ্চল্য

    Siliguri: অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তাকে খুনের হুমকি! পুলিশকে জানিয়েও হচ্ছেনা লাভ! চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রমোটারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশকর্তা। তাঁর অভিযোগ, “পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না কেউ। এমনকী পুরসভার অফিসে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না।” প্রতিনিয়ত খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর নিজেকে অসহায় ভেবে কার্যত কেঁদে ফেললেন। ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে।

    অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের বক্তব্য (Siliguri)

    অভিযোগকারী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তার নাম অভিজিৎ সাহা। তিনি রাজ্যের ডিসিপি পদ মর্যাদার অফিসার ছিলেন, গত ডিসেম্বরে অবসর গ্রহণ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, “শিলিগুড়িতে (Siliguri) বাড়ির পাশেই এক বহুতলের প্রোমোটার গণেশ দাস নামে এক ব্যক্তি, ঠিক তাঁর বাড়ির গা ঘেষে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে। প্রতিবাদ করায় বাড়িতে ঢিল পড়ছে। ফোন করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই প্রমোটার অত্যন্ত প্রভাবশালী। পুলিশ, স্থানীয় পুরসভার কাছে অভিযোগ জানিয়েছি কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। জীবনের এতটা সময় পুলিশের হয়ে কাজ করলাম, আজ পুলিশই আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আমি হাইকোর্টে মামলা করেছি এই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে। এই নিয়ে মেয়র গৌতম দেব, পুলিশ কমিশনার এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে আমার অভিযোগ জানিয়েছি। অবসরের পর এই ভাবে হেনস্থার শিকার হতে হবে ভাবতে পারিনি।” একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী পলি সাহা বলেছেন, “অত্যাচারে আমরা একেবারে অতিষ্ঠ। রাস্তায় বের হতে আমাদের ভয় হচ্ছে। পাড়ার সকলে জানেন বিষয়টা, আর তাই প্রভাবশালী প্রমোটার ভেবে সকলে চুপ করে আছেন। সন্ধ্যে বেলায় মাস্ক পড়ে তিনজন এসে শাসিয়ে গেছে। খুন করবে বলে হুমকি দিয়ে গিয়েছে। বলেছে গুলি করে হত্যা করবে। ভয়ে আমাদের ঘুম হচ্ছে না। অত্যন্ত অসহায় বোধ করছি।”

    আরও পড়ুনঃ শনি-রবি ৪৪টি লোকাল ট্রেন বাতিল শিয়ালদা শাখায়, জানালো পূর্ব রেল

    প্রমোটারের বক্তব্য

    এদিকে শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রমোটার গণেশ দাস বলেছেন, “আমি জায়গা না ছেড়েই কাজ করেছি। চাইলে পুরসভা ভেঙে দিক না। আপত্তি নেই। আইনি পথেই এগোচ্ছি।” স্থানীয় তৃণমূলের কাউন্সিলর সিক্তা বসু রায় বলেছেন, “দুজনেই ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সহ নাগরিক। আইন আইনের পথেই চলবে। আদালতের নির্দেশ দেখিছি। অভিজিৎ সাহার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রোমোটারকে নোটিশ দিয়েছি। সব খতিয়ে দেখছি। বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

    South 24 Parganas: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ তোলা চেয়েছিল ১০০ টাকা। আর মাল বোঝাই পিকআপ ভ্যানের চালক ২০ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, নাছোড় পুলিশ তা মানতে চায়নি দেখে চালক গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। সামান্য ১০০ টাকার জন্য পুলিশও সরকারি তেল পুড়িয়ে পিকআপ ভ্যানের পিছনে ধাওয়া করে। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতেই এরপরই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িটি। বুধবার ভোরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড় থানা এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁঠালদিয়া এলাকায় ভোর রাতে টহল দিচ্ছিলেন কাশিপুর থানার পুলিশ কর্মীরা। সেই সময় মুর্শিদাবাদ থেকে একটি কাঁঠাল বোঝাই গাড়ি আসছিল। গাড়িটিকে দাঁড় করান কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা। গাড়ির চালক তরুণ রুইদাস বলেন, “আমার কাছে একশো টাকা দাবি করেন পুলিশ কর্মীরা। আমি কুড়ি টাকা দিতে চাই। সামান্য ২০ টাকা নিতে রাজি হননি আধিকারিকরা। এরপরই গাড়ির চালিয়ে আমি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। আমার গাড়ির পিছনেই ধাওয়া করে উত্তর কাশিপুর থানার একটি গাড়ি। উত্তর কাশিপুর থানার বর্ডার পেরিয়ে  ভাঙড় থানার (South 24 Parganas) মধ্যে গিয়েও রেহাই পাইনি আমি। পুলিশের  ভ্যানটি এসে আমাকে একদিকে চেপে দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপরই বিদ্যুতের খুঁটিতে গিয়ে ধাক্কা মারি। সামান্য টাকার জন্য পুলিশ যা করল তাতে আমি মৃত্যুর মুখ থেকে ঘুরে এলাম।” জানা গিয়েছে, দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় বাগানাইটের কাছে গাড়িটি রাস্তার পাশের একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে সজোরে ধাক্কা মারে। তারপরই পালিয়ে যায় পুলিশের গাড়িটি। গাড়ির ভিতরে থাকা এক ব্যক্তি জখম হন।

    পুলিশের আচরণে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ

    এই ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ এলাকার সাধারণ মানুষজন। বুধবার সকালে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুততার সঙ্গে গাড়িটি সরানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সামান্য টাকার জন্য পুলিশ যা করছে তা মেনে নেওয়া যায় না। এই তোলাবাজির ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: স্ত্রীর উপস্থিতিতে ডেবরার মৃত বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: স্ত্রীর উপস্থিতিতে ডেবরার মৃত বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীর উপস্থিতিতে ডেবরার মৃত বিজেপি কর্মীর দেহের ময়নাতদন্ত করতে হবে। ঠিক এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ইতিমধ্যেই থানা ও জেলের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও চেয়েছেন বিচারপতি। বিজেপি জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের ওপর তাদের ভরসা নেই। সিবিআই তদন্তে করলে ন্যায় বিচার পাবে পরিবার।

    কী বললেন বিচারপতি? (Calcutta High Court)

    কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা বিজেপি কর্মীর মৃত্যু মামলায় নির্দেশে বলেছেন, “মৃতের স্ত্রী এবং তাঁর কোনও প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এসএসকেএমে দেহের ময়নাতদন্ত করতে হবে। হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া হবে। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফিও করতে হবে। ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দিতে হবে পরিবারের হাতে।”

    ঘটনা কী ঘটেছিল? (Calcutta High Court)

    গত ৪ জুন মেদিনীপুরের ডেবরার ভরতপুর অঞ্চলে পুরুষোত্তম নগরে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে দুই পক্ষের বেশ কিছু লোকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ৪২ বছরের বিজেপি কর্মী সঞ্জয়। কিন্তু জেলে মাথা ফেটে যায় তাঁর। এরপর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিজেপি কর্মীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। কিন্তু জেলে কীভাবে মাথা ফাটল এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিবারের তরফে মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে হাইকোর্টে মামলা (Calcutta High Court) করলে বিচারপতি এই নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুনঃ বিজেপির দলবিরোধী কাজের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হল অভিজিৎ দাস ববিকে

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    মৃত বিজেপি কর্মী সঞ্জয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর খুব কাছের মানুষ ছিলেন। তৃণমূলের নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। সঞ্জয়ের মৃত্যুর ন্যায় বিচার চেয়ে সামজিক মাধ্যমে শুভেন্দু লিখেছেন, “মমতার পুলিশের বর্বরতায় হেফাজতে থাকাকালীন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সিবিআই তদন্ত বা বিচার বিভাগীয় (Calcutta High Court) তদন্তের দাবি জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: প্রকাশ্যে ডাকাতি-ছিনতাই, চলল গুলি, এবারও টার্গেট সেই সেনকো গোল্ড, আতঙ্ক

    Asansol: প্রকাশ্যে ডাকাতি-ছিনতাই, চলল গুলি, এবারও টার্গেট সেই সেনকো গোল্ড, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বের হওয়ার পর আসানসোল (Asansol) শিল্পাঞ্চলে ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে শহরবাসীর। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিশেষ করে রবিবার দুপুরে একেবারে ভরা বাজারের মধ্যে সোনার দোকানে ভয়ঙ্কর ডাকাতির ঘটনায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন শহরবাসী। রানাঘাট, পুরুলিয়ার পর রানিগঞ্জ। এবারও টার্গেট সেই সেনকো গোল্ড।

    রানিগঞ্জে সেনকো গোল্ডে ডাকাতি! (Asansol)

    রবিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রায় ৯ জনের একটি দুষ্কৃতী দল হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মুখে কাপড় বেঁধে হঠাৎ ঢুকে পড়ে রানিগঞ্জের (Asansol) নেতাজি সুভাষ বোস রোডের ওপর সেনকো গোল্ডের শোরুমে। বন্দুক দেখিয়ে দোকানের কর্মীদের এক জায়গায় বসিয়ে রেখে লুটপাট চালাতে শুরু করে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই রানিগঞ্জ থানা, শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। ডাকাতদের ধরতে পুলিশ কর্মীরা হানা দিতেই প্রায় ২০-২৫ রাউন্ড দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। একজন দুষ্কৃতী গুলিবিদ্ধ হয়। তার সঙ্গীরা তাকে তুলে নিয়ে পালিয়ে গেছে বলেই জানা যাচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও সেখানে জড়ো হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: ঘামে প্যাচপ্যাচ! জ্যৈষ্ঠের গরমে জেরবার জনজীবন, স্বস্তির বৃষ্টি কবে?

    গুলি চালিয়ে ভয় দেখিয়ে গাড়ি ছিনতাই!

    আসানসোলের (Asansol) মহিশিলা চক্রবর্তী মোড়ে গুলি চালিয়ে চার চাকা গাড়ি ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতীরা। রবিবার দুপুরে  এই ঘটনায় এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় নয়না নন্দ দত্ত ও প্রবাল স্যান্যাল নামে দুজন জখম হন। হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আহত নয়না নন্দ দত্ত বলেন, চারচাকা গাড়িতে করে পরিবার নিয়ে দুর্গাপুর থেকে আমরা অনুষ্ঠান বাড়িতে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। আচমকা চারজন দুষ্কৃতী আমাদের গাড়ি থামিয়ে তাদেরকে হাসপাতালে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। পরিবারের লোকজন রয়েছে বলে আমি আপত্তি জানালে আমাকে লক্ষ্য করে ওরা গুলি চালায়। এরপরেই ওই চার দুষ্কৃতী আমাদের গাড়ি থেকে বের করে গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয়। প্রবাল স্যান্যাল নামে আরও এক ব্যক্তি বলেন, গুলির আওয়াজ শুনে গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে আমার হাত ঘেঁষে গুলি বেরিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

    গুলি কাণ্ডে বাজেয়াপ্ত গাড়ি, গ্রেফতার ১

    রানিগঞ্জে (Asansol) সোনার দোকানে ডাকাতি ও আসানসোল মহিশিলা এলাকায় গুলি চালনার ঘটনা একই দলের সংঘটিত। এমনই অনুমান পুলিশের। ঘটনায় ছিনতাই করা গাড়ি সহ একজনকে গিরিডি থেকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় একথা জানান ডিসি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব  দাস। তিনি বলেন, “রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার পরে ওই দলটি আসানসোল থেকে একটি গাড়ি ছিনতাই করে পালায়। ঘটনায় পুলিশের একটি টিম পিছু করতে করতে গিরিডি পুলিশের সাহায্য নিয়ে একজনকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Naxalites Killed: সংঘর্ষে খতম ৬ মাওবাদী, গভীর জঙ্গলে লুকোল সঙ্গীরা…

    Naxalites Killed: সংঘর্ষে খতম ৬ মাওবাদী, গভীর জঙ্গলে লুকোল সঙ্গীরা…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার নকশাল দমনে (Naxalites Killed) বড়সড় সাফল্য পেল কেন্দ্র। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে ৬ মাওবাদী। ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলার ঘটনা। সংঘর্ষে যে ছয় মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের সম্মিলিত মাথার দাম ছিল ৩৮ লাখ টাকা।

    নিকেশ ৬ (Naxalites Killed)

    পুলিশ সূত্রে খবর, নারায়ণপুরের বিভিন্ন এলাকায় মাওবাদীরা আত্মগোপন করে রয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর পায় পুলিশ। এর পরেই যৌথ অভিযানে নামে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহনী। যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গোবেল ও থুলথুলি গ্রামের কাছে আত্মগোপন করে থাকা মাওবাদীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। প্রতিরোধ গড়ে তোলে যৌথ অভিযানে শামিল হওয়া পুলিশকর্মী ও জওয়ানরা। খতম হয় ৬ মাওবাদী। এদের মধ্যে তিনজন মহিলাও রয়েছে।

    মাও দমনে শাহি বচন

    মাওবাদী দমনে (Naxalites Killed) কেন্দ্র যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, বারংবার তা মনে করিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের দিন দুই আগেই তিনি বলেছিলেন, “মোদিজি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বিজেপি সরকার নকশালবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবিরাম প্রচার শুরু করেছে। ২০১৪ সাল থেকে আমরা ক্যাম্প তৈরি করতে শুরু করেছি।”

    এর আগে মে মাসে এই নারায়ণপুর ও বিজাপুর জেলার সীমানায় অভিযান চালিয়েছিল যৌথবাহিনী। সেবারও নিকেশ হয়েছিল ৭ মাওবাদী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছিল সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ৩০ এপ্রিল নারায়ণপুর ও কাঙ্কের জেলার সীমানায় তল্লাশি অভিযানে খতম হয়েছিল ১০ মাওবাদী। এর মধ্যেও ছিল তিন মহিলা। এই মাসেই কাঙ্কেরে সংঘর্ষে খতম হন ২৯ জন মাওবাদী। তার পর মাও দমনে এদিন ফের মিলল সাফল্য।

    আর পড়ুন: শপথ গ্রহণের প্রস্তুতি সারা, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে কারা?

    শনিবার পুলিশের বস্তার রেঞ্জের আইজি বলেন, “৬ জুন রাতে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে অপারেশন চালাচ্ছিলেন। নারায়ণপুর, কেন্দাগাঁও, দান্তেওয়াড়া এবং বস্তার জেলায় মাওবাদীর ঘাঁটি গেড়েছে বলে খবর মেলে। শুক্রবার বিকেল তিনটে নাগাদ নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা গুলি চালান জওয়ানরাও। দীর্ঘক্ষণ সংঘর্ষ চলার পর মাওবাদীরা পাহাড়ে ঘেরা গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায় (Naxalites Killed)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Arambagh: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Arambagh: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগ (Arambagh) লোকসভায় জয়ের পরই তান্ডব শুরু করেছে তৃণমূল। বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এমনকী গন্ডগোল থামাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। শুক্রবার রাতে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল গোঘাটের কুমারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের ভুরকুন্ডা এলাকা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    আরামবাগের (Arambagh) গোঘাটে রাজনৈতিক অশান্তির মাঝে পড়ে রক্ত ঝরল এক পুলিশ কর্মীর। জানা গিয়েছে, কুমারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের ভুরকুন্ডা এলাকার বেশ কিছু জায়গায় বিজেপির পতাকা লাগানো রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, ভোটের পরও কেন এলাকায় বিজেপির পতাকা লাগানো রয়েছে তা নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা প্রশ্ন তোলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝামেলার সূত্রপাত। সেই গন্ডগোল থেকেই রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় গোটা এলাকা। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা এসে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করেন। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। গোঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ্য করেও এলোপাথাড়ি ইট ছোড়া হয়। রক্তাক্ত হন এএসআই পদমর্যাদার এক আধিকারিক। আহত ওই আধিকারিকের নাম বরুণকুমার বাগ। তাঁর মাথায় চোট লাগে। উর্দিতেও রক্তের ছিটে লাগে। ৫ জন বিজেপি কর্মী, ২ মহিলা ও পুলিশ আধিকারিককে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে।

    আরও পড়ুন: “ভারতীয় মিডিয়াতে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন”, রামোজি রাওয়ের প্রয়াণে শোকবার্তা মোদির

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ভোটের আগে থেকেই বারবার আরামবাগ (Arambagh) সহ গোঘাটে রাজনৈতিক অশান্তির অভিযোগ এসেছে। ভোট মিটলেও সেই ছবি বদলায়নি। বিজেপির এক নেতা বলেন, এই লোকসভায় তৃণমূল জিতলেও গোঘাট বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ভাল ফল করেছে। এটাতেই ক্ষুব্ধ তৃণমূল। ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, বিজেপি এলাকায় অশান্তি করছে। এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়। অকারণে তৃণমূলের নাম জড়াচ্ছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: কুকুরে খুবলে খাচ্ছে মানবখুলি! হাড় হিম করা ঘটনা মালদায়

    Malda: কুকুরে খুবলে খাচ্ছে মানবখুলি! হাড় হিম করা ঘটনা মালদায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুকুরে খুবলে খাচ্ছে মানবখুলি! রবিবার রাতে এই হাড় হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন জাতীয় সড়কে। স্বাভাবিকভাবেই এ দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন রোগীর আত্মীয়েরা। ঘটনাটি নজরে আসতেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে খুলিটি। ইতিমধ্যেই ময়না-তদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে সেটি।  

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Dog carrying human skull) 

    মালদহ (Malda) মেডিক্যাল কলেজে এরআগে একাধিক বার সদ্যোজাতের দেহাংশ কুকুরকে খুবলে খেতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এ বার মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশের সদর দরজা লাগোয়া জাতীয় সড়কের নর্দমার উপরে কুকুরকে একটি খুলি খুবলে খেতে দেখা যায়। ঘটনাটি নজরে আসতেই রোগীর আত্মীয়দের একাংশ কুকুরটিকে তাড়া করে সরিয়ে দেন। রোগীর আত্মীয়দের দাবি, খুলিটি সদ্যোজাতের হতে পারে। তবে মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া এলাকায় কী ভাবে খুলিটি এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  

    আরও পড়ুন: পুরুলিয়া গণনা কেন্দ্রে ঘোরফেরা করছে আই প্যাকের টিম! বিস্ফোরক জ্যোতির্ময়

    তদন্তে নামল পুলিশ 

    অন্যদিকে খুলিটি আদেও সদ্যোজাতের কি না, তা ময়না-তদন্তে স্পষ্ট হবে দাবি পুলিশের। এছাড়াও পুলিশ জানিয়েছে, খুলির অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্পষ্ট করে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। মালদহের (Malda) পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেছেন, “ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পাশাপাশি খুলি উদ্ধারের সঙ্গে মেডিক্যালের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, মেডিক্যাল, সংলগ্ন এলাকায় একাধিক নার্সিংহোম রয়েছে। জাতীয় সড়কের পাশে রেল লাইনও রয়েছে। সেখানে প্রায়ই সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। কুকুরে খুলি (Dog carrying human skull) সেখান থেকেও নিয়ে আসতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। এ ঘটনায় মালদহ (Malda) মেডিক্যাল কলেজের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ বর বলেন, “মেডিক্যাল চত্বরে খুলি উদ্ধারের ঘটনা ঘটেনি। মেডিক্যালের বাইরে হয়েছে। তবু ব্যাপারটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ফের সন্দেশখালিতে ধুন্ধুমার! পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মহিলারা

    Sandeshkhali: ফের সন্দেশখালিতে ধুন্ধুমার! পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ফের সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ধুন্ধুমার বাধে। আগারহাটি মণ্ডলপাড়ায় বিজেপি নেতার খোঁজে তল্লাশির নামে পুলিশ চরম হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতা অমর ভুঁইয়ার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। বিজেপি নেতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    সোমবার রাতে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) বিজেপি নেতার বাড়িতে পুলিশ ঢুকতে গেলে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশ ঘরে ঢুকতে গেলে পরিবারের লোকজন আপ্রাণ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে, ধস্তাধস্তি, তুমুল চিৎকার শুরু হয়। অনুমতি ছাড়া পুলিশের অভিযান নিয়ে বিরোধিতা করেন বিজেপি নেতার পরিবারের সদস্যরা। অমর ভুঁইয়ার পরিবারের মহিলা সদস্যদের টেনে হিঁচড়ে বের করেন মহিলা পুলিশ কর্মীরা। বিজেপি নেতার ঘরের মধ্যে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। পুলিশের দাবি, ভোটের আগে এবং ভোটের সময় যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তার নেপথ্যে হাত ছিল এই অমর ভুঁইয়ার। রবিবারও কার্যত এক ছবি দেখা গিয়েছিল সন্দেশখালিতে।

    আরও পড়ুন: গণনার আগে বারাকপুরে গণনাকেন্দ্রে বিজেপি-তৃণমূল ধস্তাধস্তি, ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণ

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য?

    পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে মহিলারা রাস্তায় বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এক জনের বাড়িতে পুলিশ কখনও এভাবে ঢোকে? এ কীরকম পুলিশ? এসবই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চামচা’। আমাদের প্রশ্ন, ‘অমর ভুঁইয়া কিছু করেননি। তাও তাঁর নাম আসছে কেন?’ বিজেপি নেতার পরিবারের সদস্যরা পুলিশের কাছে তল্লাশি অভিযানের সার্চ ওয়ারেন্ট দেখতে চান। পুলিশ সেসব কথার কোনও গুরুত্ব না দিয়ে মহিলাদের গায়ে হাত তোলে অভিযোগ। এরপরই মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। প্রসঙ্গত, রবিবারও সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আগারহাটি মণ্ডলপাড়ায় রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রামে ঢুকে ধরপাকড়ের অভিযোগ ছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় তুমুল বিক্ষোভ করেন গ্রামের মহিলারা। সোমবার রাতেও সেই একই বিক্ষোভের ছবি ধরা পড়ল সন্দেশখালিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share