Tag: post poll violence

post poll violence

  • Murshidabad: ভোট পরবর্তী হিংসা জেলায় জেলায় অব্যাহত, মুর্শিদাবাদে খুন এক দুধ ব্যবসায়ী

    Murshidabad: ভোট পরবর্তী হিংসা জেলায় জেলায় অব্যাহত, মুর্শিদাবাদে খুন এক দুধ ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। দেশে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এই রাজ্যের তৃণমূল বিপুল সংখ্যায় ভোট নিয়ে ২৯টি আসনে জয় লাভ করেছে। কিন্তু ফল ঘোষণার পর থেকেই জেলায় জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। কখনও বিরোধী দলের কর্মীদের টার্গেট করছে শাসক দল, আবার কখনও শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। রবিবার দলীয় কোন্দলে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ গেল একজন ব্যক্তির। পরিবারের দাবি, খুনিদের পরিচয় না জানা গেলেও তৃণমূলের দলীয় কোন্দলে খুনের ঘটনা ঘটেছে।

    কীভাবে খুনের ঘটনা ঘটল (Murshidabad)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়ায় গজনীপুর এলাকায় খুন হওয়া ব্যক্তির নাম সনাতন ঘোষ। এই ব্যক্তি এলাকায় তৃণমূল করতেন। পেশায় তিনি ছিলেন একজন দুধ ব্যবসায়ী। গতকাল রবিবার রাত ১২ টায় গজনীপুর থেকে নিজের বাড়িতে বাইকে করে আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু গজনীপুর ও শ্রীপুরের মধ্যবর্তী মাঠ এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের বাইক থামিয়ে খুব কাছ থেকে গুলি করে।

    পুলিশের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) পুলিশ সূত্রে খবর, সনাতনের দেহের একাধিক জায়গায় গুলি লেগেছে। গুলির শব্দ এবং চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সনাতন। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর পুলিশ তাঁকে মুর্শিদবাদ মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।

    আরও পড়ুনঃ সুকান্ত মন্ত্রী হতেই বাজি ফাটিয়ে মিছিল করে উৎসবে মাতলেন বালুরঘাটবাসী

    পরিবারেরে বক্তব্য

    মৃত সনাতনের পরিবারের (Murshidabad) পক্ষ থেকে এক মাসি বলেছেন, “রাতের বেলায় পার্টির মিটিং করে বাইকে করে ফিরছিলেন সনাতন। কিন্তু পেছন থেকে একটি গাড়ি এসে, রাস্তায় তাঁদের বাইক দাঁড় করিয়ে দুষ্কৃতীরা ৬ রাউন্ড গুলি করে। এই গুলি সনাতনের কানে, বুকে, পেটে লাগে। যারা গুলি করেছে তাদের পরিচয় জানা না গেলেও দলীয় কোন্দলের কারণে খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও রাজনৈতিক কারণে তাঁকে বার বার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।” যদিও তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির দিকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।  

  • Election Result 2024: পূর্ব মেদিনীপুরের মুসলিম অধ্যষিত অঞ্চলেও লিড দিয়ে বাজিমাত বিজেপির

    Election Result 2024: পূর্ব মেদিনীপুরের মুসলিম অধ্যষিত অঞ্চলেও লিড দিয়ে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ২টি লোকসভা কেন্দ্র কাঁথি এবং তমলুকে ভোটের ফলাফলে (Election Result 2024) ১৬টি বিধানসভার মধ্যে ১৫টিতে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। একই ভাবে নন্দীগ্রামে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। ফলে ২০২১ সালে তৃণমূলের জয়ী হওয়া বিধানসভাগুলিতে ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কার্যত শুভেন্দু ম্যাজিকে বাজিমাত করেছে বিজেপি।

    ৩০ শতাংশ মুসলমান এলাকায় এগিয়ে বিজেপি (Election Result 2024)

    ২০২১ সালে তৃতীয় বারের জন্য বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে এই নির্বাচনে জয় ধরে রেখে ব্যাপক ভাবে সম্মান বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু দুটিতে হারের মুখ দেখতে হয়েছে তৃণমূলকে। তমলুকে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন প্রায় ৭৮ হাজার ভোটে। আবার কাঁথিতে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন প্রায় ৪৮ হাজার ভোটে। একই ভাবে মুসলমান অধ্যষিত বিধানসভাগুলিতে লিড পেয়েছে বিজেপি। কোলাঘাটে ৩০ শতাংশ মুসলমান রয়েছে, সেখানেও এবার বিজেপি ২৭১১ ভোটে এগিয়ে (Election Result 2024) গিয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, মুসলিম এলাকাগুলিতেও শুভেন্দু অধিকারীর বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকে বরাবর তাঁর উপর আস্থা রেখেছেন জনসাধারণ। মুসলমান সমাজের উন্নয়ন নিয়ে মমতা সরকারের দুর্নীতির কথাকে স্পষ্ট করে তুলে ধরেছিলেন তিনি। একই ভাবে মসজিদের ইমাম ও মুসলমান সমাজের মুরুব্বিদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যকে এগিয়ে নিতে গেলে বিজেপিকে কেন গ্রহণ (Election Result 2024) করা উচিত, সেই দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃবিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরে যুক্ত ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    তৃণমূলের বক্তব্য

    কোলাঘাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী নিজের বুথে হেরেছেন। তিনি বলেছেন, “গোটা জেলাতেই তৃণমূলের ফল (Election Result 2024) অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। কেন এই রকম ফলাফল হল তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমি নিশ্চিত আমাদের সাংগঠনিক ভাবে দুর্বলতা ছিল। কিছু লোক বিজেপির হয়ে কাজ করেছে নির্বাচনে। আমরা পর্যালোচনা করে জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: বিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরে যুক্ত ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    Post Poll Violence: বিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরে যুক্ত ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরের (Post Poll Violence) ঘটনায় ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিউড়ি আদালত। গত বৃহস্পতিবার, তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে এক বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের গুন্ডারা। হামলার সঙ্গে চলে ব্যাপক ভাবে বাড়ি ভাঙচুর। সেই সঙ্গে বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনের উপর করা হয় অত্যাচার। ঘটনা ঘটেছিল বীরভূমের সদাইপুরের সাহাপুরে।

    বিজেপির বক্তব্য (Post Poll Violence)

    স্থানীয় বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরেই শুরু হয় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস (Post Poll Violence)। বীরভূম বিজেপি নেতা দেবব্রত ঘোষের বাবা এবং ভাইকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের গুন্ডারা। দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই ভাবে বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়ে মারা হয়। ঘটনায় মোট আটজন তৃণমূল দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গতকাল শুক্রবার তাদের আদালতে তোলা হলে, ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন সিউড়ি আদালতের বিচারক। এই হামলা এবং মারধরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সদাইপুর পুলিশের কাছে।

    আরও পড়ুনঃভোটে বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি, ধরাশায়ী তৃণমূল

    ফলাফল ঘোষণার পর থেকে শুরু সন্ত্রাস

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)। কোচবিহার থেকে কলকাতা সর্বত্র জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীদের টার্গেট করে হামলা করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িঘর ভাঙচুর করছে, প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র লুটপাট করেছে। প্রাণের ভয়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে অন্যত্রে আশ্রয় নিয়েছে অনেক কর্মী-সমর্থকরা। রাজ্যের সন্ত্রাস আটকানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা করেছে রাজ্য সরকারকে। প্রয়োজন হলে পাঁচ বছর রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে এমন মন্তব্যও করেছে কোর্ট। কিন্তু তাতেও মমতার হেলদোল নেই।

    উল্লেখ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ব্যাপক ভাবে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রচুর পরিমাণে অভিযোগপত্র জমা পড়েছিল। খুন, ধর্ষণ, লুটপাট হয়েছিল ব্যাপক। মামলা কলকাতা হাইকোর্টে গেলে তদন্তের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া হয়। সেই মামলা এখনও চলছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: পশ্চিম মেদিনীপুরের বিরোধীশূন্য পুরসভায়ও ধরাশায়ী তৃণমূল, এগিয়ে বিজেপি

    Election Result 2024: পশ্চিম মেদিনীপুরের বিরোধীশূন্য পুরসভায়ও ধরাশায়ী তৃণমূল, এগিয়ে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধীশূন্য পুরসভা অঞ্চলে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। আবার একই সঙ্গে শহর অঞ্চল বা ব্লকেগুলিতে তৃণমূল থেকে অনেক বেশি ভোটে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। লোকসভার ফলাফলে (Election Result 2024) তৃণমূলের বিপক্ষে এই জনমত বিজেপির জন্য আশার আলো দেখা যাচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক পুরসভায় বাজিমাত করেছে বিজেপি। অপর দিকে হিরণ, ঘাটালে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস বন্ধ করতে নাম না করে দেবের কাছে আবেদন করলেন সামজিক মাধ্যমে।

    তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে জনতা (Election Result 2024)

    রাজ্যের ২০২১ সালের পুরসভা নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি পুরসভাতেই বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। এইবারের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে শহরের জনতা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তৃণমূলের কাছ থেকে। ভোটের ফলাফলে (Election Result 2024) দেখা যাচ্ছে পাঁচটি পুরসভার মধ্যে চারটি পুরসভা অঞ্চলে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন অনেক বেশি পরিমাণে। গত দুই বছরের তৃণমূলের শাসনে দুর্নীতি একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ। তৃণমূল কথিত পুরসভার উন্নয়নমুখী কাজ কি দুর্নীতি ইস্যুর সামনে একটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে? এই প্রশ্ন এখন সব জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

    কোন কোন পুরসভায় এগিয়ে বিজেপি?

    পশ্চিম মেদিনীপুর এলাকার ঘাটাল মহকুমার মধ্যে একমাত্র চন্দ্রকোনা পুরসভায় জয়কে অব্যাহত রাখতে পেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অপর দিকে ঘাটাল, খড়ার, ক্ষীরপাই এবং রামজীবনপুর পুরসভায় এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। গতবারের পুর নির্বাচনে বিরোধীশূন্য ছিল এই পুরসভাগুলি। এবার এই এলাকাগুলিতে বাজিমাত করেছে বিজেপি। সামগ্রিক ভাবে এগিয়ে থাকা পুর এলাকাগুলির মধ্যে কোথাও এক হাজার আবার কোথাও দেড় হাজার ভোটে এগিয়ে (Election Result 2024) রয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ বিধানসভার নিরিখে জ্যোতিপ্রিয়-জীবনকৃষ্ণ ধরাশায়ী, বাজিমাত বিজেপির

    ফেসবুকে সন্ত্রাস বন্ধের আবেদন হিরণের

    ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পরবর্তী হিংসা (Election Result 2024) নিয়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস বন্ধ করতে সামজিক মাধ্যমে নিজের আবেদন রেখেছেন হিরণ। তিনি নাম না করে দেবের কাছে আবেদন করে বলেন, “আমি হেরে গিয়েছি। আমি হার স্বীকার করেছি। আমাকে প্রয়োজনে শাস্তি দিন। কিন্তু আমার কর্মীদের অত্যাচার করবেন না। গরিব অসহায় মানুষের উপর অত্যাচার বন্ধ করেদিন। রাজনৈতিক অধিকারকে রক্ষা করে বেঁচে থাকার অধিকারে দয়া করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “দোকান ঘর থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করল তৃণমূলের ছেলেরা”, বললেন আক্রান্ত ব্যবসায়ী

    Balurghat: “দোকান ঘর থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করল তৃণমূলের ছেলেরা”, বললেন আক্রান্ত ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে বিজেপির এক বুথ সভাপতির দাদার দোকান সহ আরও দুটি দোকান ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট (Balurghat) লোকভার গঙ্গারামপুর থানার নিউমার্কেট এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে গঙ্গারামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    আক্রান্ত চশমা ব্যবসায়ী সৌম্যকান্তি আঢ্য গঙ্গারামপুর (Balurghat) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, চার-পাঁচ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী দোকানে এসে হামলা চালায়। সৌম্যকান্তি আঢ্য বলেন, আমার চশমা এবং অন্যান্য দামি জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। দোকানের সিসিটিভিও ভেঙ্গে দেয়। দুষ্কৃতকারীরা আমাকে দোকান ঘর থেকে টেনে এনে বেধড়ক মারধর করে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য এমন ঘটনা বলে জানান তিনি। ওই চশমার দোকানদার সৌম্য কান্তি আঢ্য এর মামাতো ভাই এলাকার বিজেপি বুথ সভাপতি জ্যোতির্ময় সাহা। অভিযোগ, লোকসভা ভোটে গঙ্গারামপুর এলাকা থেকে তৃণমূল কম ভোট পাওয়ায় এবং ভাই বিজেপির বুথ সভাপতি হওয়ায় তার দোকানে এসে হামলা চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিজেপির বিধায়ক সত্যেন রায় সহ বিজেপির কর্মীরা। এদিন আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে গঙ্গারামপুর থানায় যান তাঁরা। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: “লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটেই জিতেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক রাজু বিস্তা

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই বিষয়ে গঙ্গারামপুরের (Balurghat) বিজেপির বিধায়ক সত্যেন রায় বলেন, ভোটের পরে এইখানে আবহাওয়া ভালো ছিল। আবহাওয়া খারাপ করার জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গঙ্গারামপুরের ৩ টি দোকান ভাঙচুর করে। একটি চশমার দোকানের মালিক কে মারধর করে। কারণ তারা বিজেপিতে ভোট দিয়েছে। গঙ্গারামপুরের মানুষের একটাই দোষ যে তারা বিপ্লব মিত্রর বিরুদ্ধে সাড়ে চার হাজার ভোট বেশি দিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে জিতিয়েছেন। সেই কারণে আমাদের কর্মীর উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আমরা এই বিষয়টি থানায় জানিয়েছি। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, এইটা তাঁদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা নিয়ে হতে পারে। এইটার মধ্যে তৃণমূলের কোনও হাত নেই। নির্বাচনে জেলায় তৃণমূল কোনও গন্ডগোল করেনি, বিজেপি গন্ডগোল করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: বারুইপুরে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের জন্য খোলা হল ‘আশ্রয় শিবির’

    Post Poll Violence: বারুইপুরে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের জন্য খোলা হল ‘আশ্রয় শিবির’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর যেমন ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস (Post Poll Violence) সৃষ্টি হয়েছিল, ঠিক তেমনই এইবারের লোকসভা নির্বাচনের পরও সন্ত্রাসের চিত্র অব্যাহত রয়েছে। গত মঙ্গলবার, ফল প্রকাশের পর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তী, বারুইপুর সহ একাধিক এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালিয়েছে। মানুষ অত্যাচারের শিকার হয়ে নিজেদের ঘরছাড়া হয়ে গিয়েছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে জেলা নেতৃত্ব এবং রাজ্য নেতৃত্ব বার বার তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এবার আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের আশ্রয় দিতে বারুইপুর জেলা অফিসে খোলা হয়েছে ‘আশ্রয় কেন্দ্র’।

    আশ্রয় কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে আইনি সহযোগিতা (Post Poll Violence) 

    ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের টার্গেট করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তীতে তৃণমূল রীতিমতো তাণ্ডব (Post Poll Violence) চালিয়েছে। কোথাও রড, কোথাও বাঁশ, আবার কোথাও আসবাবপত্র ফেলে মারধর করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। নিজের প্রাণকে হাতে নিয়ে কোনও ক্রমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে আছেন অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে। এই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের আশ্রয় দিতে বারুইপুর জেলা বিজেপির কার্যালয়ের খোলা হয়েছে অফিস। এই আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় দিয়ে করা হচ্ছে কর্মীদের চিকিৎসা। সেই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় খাবার। বাড়ি ছাড়াদের বাড়িতে ফেরাতে প্রশাসনের একাধিক স্তরে কথা বলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে আইনি সহযোগিতা। জেলার বিজেপির নেতৃত্ব এবং রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০-৮০ জন বিজেপি কর্মীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এই জেলা কেন্দ্রে।

    আরও পড়ুনঃ “বিজেপি চুপ করে থাকবে না”, সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি সুকান্তর, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

    ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব বিজেপি

    মঙ্গলবার রাতে ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ (Post Poll Violence) করেছিল। গুরুতর জখম হয়েছেন বিজেপি নেত্রীর স্বামী এবং মা। হামলার পর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন এই বিজেপি পরিবার। বিজেপি নেত্রী বলেছিলেন, “রাত নটার পর অস্ত্র হাতে হামলা চালায় ওরা। হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। এর আগেও হামলা হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও রেখেছিলাম। আমি সে সময় বাড়িতে ছিলাম না, তখনই হামলা হয় আমার মা ও স্বামীর ওপর। ইতিমধ্যে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি।” আবার আজ বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুধরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আবার শুভেন্দু রাজ্যপালকে চিঠি লিখে হিংসায় নিপীড়িত মানুষের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন করেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “বিজেপি চুপ করে থাকবে না”, সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি সুকান্তর, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

    Post Poll Violence: “বিজেপি চুপ করে থাকবে না”, সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি সুকান্তর, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানালেন তিনি। অপর দিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য করে মমতাকে বলেন, “বিজেপি চুপ করে থাকবে না, শুধরে যান।”

    কী লিখেছেন চিঠিতে শুভেন্দু (Post Poll Violence)?

    রাজ্যের তৃণমূল একক ভাবে আসন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়ে জেলায় জেলায় সন্ত্রাস (Post Poll Violence) সৃষ্টি করছে। এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শুভেন্দু ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান রাজ্যপালকে। হিংসা কবলিত স্থান দ্রুত পরিদর্শন এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা লেখেন। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে চিঠি সম্পর্কে লিখেছেন, “ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর তৃণমূলের গুন্ডাদের হামলা চালানো এখন পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর যেমন বিজেপি কর্মীদের প্রাণ হারাতে হয়েছিল, একই ভাবে লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর বিজেপি কর্মীদের আক্রমণ করা হচ্ছে। যে গুন্ডারা বিজেপির কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে, রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে তাদের। এ নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছি।”

    ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত?

    ফল প্রকাশের পর থেকে এই রাজ্যের জেলায় জেলায় হিংসা (Post Poll Violence) সৃষ্টি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোচবিহার থেকে ক্যানিং পর্যন্ত তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে। বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার, তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, “তৃণমূল গণতন্ত্র মানে না৷ তাই ওদের মুখে বড় বড় কথা মানায় না। বিজেপি কিন্তু চুপ করে বসে থাকবে না। প্রয়োজনে জবাব দেবে, তখন কিন্তু রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। মমতা আপনি নিজে ২৯টা আসন পেয়েছিলেন। আপনিও একদিন বিরোধী ছিলেন। আপনার কাছে মাত্র ১টি আসন ছিল। তবে বিজেপির কাছে ১২ জনকে সাংসদ রয়েছে। আপনি প্রশাসনকে ব্যবহার করে আমাদেরকে হারানোর অপচেষ্টা করেছেন। জেলাশাসককে চাপ দিয়েছেন আরেকবার গণনা করার জন্য। আপনি শুধরে যান। এখনও সময় আছে। আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে আপনার দেখা করা উচিত। কারণ তাঁরা বিজেপির ভোটার হলেও, আপনার রাজ্যের নাগরিক।”

    আরও পড়ুনঃ মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    সন্দেশখালিতে বাধা সুকান্তকে

    রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) বাদ গেল না উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের মিনাখাঁর বামুনপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম। খবর শোনার পর আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত কর্মী ও সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে যান সুকান্ত। তাঁকে দেখে তাঁর গাড়ি আটকে দলীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূলের নেতাকর্মী সমর্থকরা। একই সঙ্গে জয় বাংলা ও গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে। এরপর প্রশাসনের তৎপরতায় সঙ্গে সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের গাড়িগুলিকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: বিজেপি কর্মীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা, বাড়ি-অফিস ভাংচুর, বোমাবাজিতে উল্লাস তৃণমূলের

    Post Poll Violence: বিজেপি কর্মীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা, বাড়ি-অফিস ভাংচুর, বোমাবাজিতে উল্লাস তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফলাফল ঘোষণা হতেই হিংসা (Post Poll Violence) ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়। শাসক দলের ২৯টি আসনে জয় ঘোষণার পর থেকেই অশান্তির খবর উঠে আসতে শুরু করেছে সর্বত্র। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, মধ্যমগ্রাম, বারাকপুর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, সোনারপুর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, আসানসোলের একাধিক জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ি ভাঙচুর, সম্পত্তি লুট, ঘরছাড়া, বোমাবাজি করার মতো একাধিক ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণে বিজেপি কর্মী-সমর্থক এবং ভোটাররা ব্যাপক ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। পাল্টা তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    আসানসোলে ভোটপরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)

    আসানসোলের বারাবনি বিধানসভার সরিষাতলী গ্রামে ভারতীয় জনতা পার্টির মন্ডল ১-এর যুব মোর্চার সভাপতি খোকন মহারাজ ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের শিকার (Post Poll Violence) হয়েছেন। তৃণমূল আশ্রিত ১৫-১৬ জন গুন্ডা, শিবেন ঘাঁটির নেতৃত্বে এই বিজেপি নেতার বাড়িতে চড়াও হন। এরপর তাঁর ওপর প্রাণঘাতী হামলা করা হয়। এমনকী অত্যাচার থেকে বাদ যায়নি বাড়ির মহিলা এবং বাচ্চারাও। খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখা করে বিজেপির জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায়, যুব মোর্চার ট্রেজারার বাপি প্রধান এবং মাইনোরিটি মোর্চার জেলার ইনচার্জ আকবর হোসেন। অবশ্য বিজেপির দাবি, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর যেমন তৃণমূল আক্রমণ করেছিল, ঠিক একই কায়দায় আক্রমণ করা হচ্ছে। আবার দুর্গাপুরে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট হওয়ায়, এজেন্টের বোনের কাপড়ের দোকান পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    পাত্রসায়রে বিজেপির কার্যালয় ভাঙচুর

    লোকসভার ফল ঘোষণার পর বিরোধী দলের দলীয় কার্যালয়গুলিতে ব্যাপক ভাঙচুর (Post Poll Violence) করেছে তৃণমূলের গুন্ডারা। বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লকের নারায়ণপুরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়কে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে এখানকার প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি তথা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক তমালকান্তি গুইয়ের বাড়িতে ইট বৃষ্টি করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে আক্রমণের কথা স্পষ্ট করেছেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “বার বার আমাকে ফোনে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।” আবার সোনামুখীর বিধায়ক বলেছেন, “সারা দেশে হিংসার ছবি নেই, কিন্তু এই বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস লাগাতার হিংসা করছে।”

    কোতুলপুরে তৃণমূলের বোমাবাজি

    এক দিকে যেমন ভাঙচুর চলছে সেই সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখাতে প্রকাশ্যে বাড়ির সমানে বোমাবাজি (Post Poll Violence) করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিষ্ণুপুর লোকসভার কোতুলপুরে বুধবার রাতে কোয়ালপাড়া বেড়ারপাড় এলাকায় একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বাড়ির ছোট, বড়, বয়স্ক এবং মহিলাদেরকেও মারধর করা হয়। তৃণমূল জয়ী হওয়ার খুশিতে একাধিক বিজেপি কর্মীর মাথায় বোমা ফাটানো হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকেই।

    আরও পড়ুনঃ মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিষ্ণুপুর তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দল কোনও রকম ভাবে এই সব অশান্তির (Post Poll Violence) মধ্যে নেই। আমাদের জয়কে ছোট করতে বিজেপি এই আচরণ করছে। সবটাই বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: বর্ধমান জেলা বিজেপির অফিসে হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, একাধিক গাড়ি ভাঙচুর!

    Post Poll Violence: বর্ধমান জেলা বিজেপির অফিসে হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, একাধিক গাড়ি ভাঙচুর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের পর জেলায় জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) অব্যাহত। এবার বর্ধমান বিজেপির জেলা অফিসে হামলার অভিযোগ উঠলো শাসকদলের বিরুদ্ধে। একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে ইট, লাঠি নিয়ে হামলা করেছে। কিন্তু কার্যালয়ে অশান্তির খবর ছড়িয়ে পড়তেই পার্টি অফিসের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে।

    বিজেপির অভিযোগ (Post Poll Violence)

    বর্ধমান জেলা বিজেপি নেতা সুমিত দত্ত বলেন, “ভোটের ফল প্রকাশের পর আজ বৃহস্পতিবার তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা আমাদের পার্টি অফিসের সামনে এসে হামলা (Post Poll Violence) চালায়। জেলা সভাপতির গাড়িতে ইট মারা হয়। নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গার দলীয় কর্মীরা ঘর ছাড়া হয়ে পড়েছেন। আমাদের অনেক কর্মীরা পার্টি অফিসে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিন হামলার সময় আমাদের দলীয় কর্মীদের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাইরে থেকে দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়। আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ করলে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা পালিয়ে যায়।” বিজেপির আর এক নেতা দেবজ্যোতি সিংহ রায় বলেন, “বর্ধমান উত্তর বিধানসভা এলাকায় আজ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের বাইক মিছিল হয়। সেই মিছিল শেষে আমাদের পার্টি অফিসে হামলা করে।”

    পানীয় জলের লাইন কাটা হয়েছে!

    বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, “জেলার বিভিন্ন জায়গার বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা (Post Poll Violence) করা হচ্ছে। ভাতারে পানীয় জলের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন প্রশাসনের উপর ভরসা আছে। পুলিশের কাছে আমাদের আবেদন দুস্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বর্ধমানের তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, “জেলায় বিজেপি সাফ হয়ে গেছে। তাই ওদের তৃণমূল কেন আক্রমণ (Post Poll Violence) করবে? বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে গোলমাল হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    Post Poll Violence: মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) জেরে মিনাখাঁর আটপুকুর অঞ্চলের কচুরহূলো এলাকার ১১৩ নম্বর বুথে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আনুমানিক ১০ থেকে ১২টি ঘর ভাঙচুর করার পাশাপাশি ওই এলাকা থেকে দুটি মোটর বাইক, তিনটি সাইকেল সহ একাধিক বাড়ি থেকে টিভি, ফ্রিজ নানা জিনিসপত্র লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ওই এলাকার শতাধিক বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।

    বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য (Post Poll Violence)

    উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর আটপুকুরের আক্রান্ত এক বিজেপি কর্মী বলেছেন, “লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে পুলিশের প্রত্যক্ষ মদতে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের পরিবারের উপর আক্রমণ (Post Poll Violence) করেছে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার করছে। চলছে লুটপাট, বাড়ি ভাঙচুর। এমনকী আমাদের বাড়ির বাইকে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে নিপীড়িত মানুষের জীবন এবং সম্পত্তিকে রক্ষা করা। দেশের গণতান্ত্রিক উৎসবে অংশ গ্রহণের পর, নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়াটা কি এই রাজ্যে অন্যায়? তৃণমূল স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছে।”

    আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে ধরাশায়ী গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র! অধিকাংশ ওয়ার্ডে বাজিমাত করল বিজেপি

    তৃণমূলের বক্তব্য

    লোকসভার ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সন্ত্রাসের (Post Poll Violence) অভিযোগকে অস্বীকার করে মিনাখাঁ তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিরোধিতার নামে চক্রান্ত করেছে বিজেপি। তৃণমূল ব্যাপক জনমত নিয়ে এই ভোটে জয়ী হয়েছে। বিজেপি নিজেদের মধ্যে টাকার ভাগাভাগি নিয়ে গোলমাল বাঁধিয়েছে। পুরোটাই একটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত নয়।” অপর দিকে বারাসত, মধ্যমগ্রাম, বারাকপুর, নিউটাউন, ক্যানিং, কোচবিহার, নদিয়া, বীরভূমের একাধিক এলাকায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share